| ইয়োগা, সুস্থতায় যোগচর্চা |
…
লেখকের জবানবন্দী:
চোখ ফেরালেই ইদানিং সুদেহী মানুষের অভাববোধ ভয়ানক পীড়া দিয়ে উঠে। তারচে’ও প্রকট সুস্থ দেহে সুমনা সত্ত্বার অভাব। আমরা কি দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছি ! সর্বগ্রাসী দুষণের মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণে মানুষের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখা বাস্তবিকই কঠিন আজ। এ বড় দুঃসহ কাল। শরীরের সাথে মনের যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক, তার সূত্র ধরেই নাগরিক সভ্যতায় আজ দিনকে দিন সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার সাথে পাল্লা দিয়ে একদিকে যেমন বেড়ে চলছে মানসিক অস্থিরতা, টেনশন আর অনিশ্চয়তা, অন্যদিকে অতিদ্রুত ভেঙে পড়ছে সতেজ মনে সুস্থ থাকার ন্যুনতম ভারসাম্যও। এই কঠিন দুঃসময়ে নিজের দিকে একটু ফিরে তাকানোর সময়ও কি হবে না আমাদের !
শহর বন্দর গ্রাম গঞ্জ থেকে একে একে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চোখে নিবিড় আদর বুলানো সবুজ বৃক্ষ, বুক ভরে শ্বাস নেয়ার নির্মল বাতাস, বিশুদ্ধ পানীয় জলের স্বচ্ছতা, খেলার মাঠ আর আকাশের উদারতা এবং সুস্থ দেহে বেঁচে থাকার অনিবার্য শর্তগুলো। আমাদের অজান্তেই আমরা যে কতো নীরব ঘাতকের চিহ্ণিত লক্ষ্য হয়ে যাচ্ছি সে খেয়াল কি রাখছি ? সৃজনশীল হওয়া সে তো বহু দূরের কথা। অথর্ব মন আর ভাঙা শরীর নিয়ে এতো সহজ মৃত্যুর দিকে জটিল সব অসুখের ডিপো হয়ে তিলে তিলে ভোগে ভোগে যেভাবে এক দুঃসহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা, সামনে এখন দুটো পথই খোলা। সব কিছু মেনে নিয়ে বাধ্য প্রাণীর মতো একযোগে আত্মহত্যা করা, নয়তো ঘুরে দাঁড়ানো। যিনি আত্মহত্যা করার মৌলিক অধিকারের ঝাণ্ডা উড়িয়ে মার্চপাস্ট করবেন, তাঁর সাথে তো আর কোন হিসাব চুকানোর কিছু নেই। যিনি তাঁর মানবিক সৃজনশীলতাকে অর্থবহ বাঁচিয়ে রাখার জন্যই ঘুরে দাঁড়াতে চান, আসুন আমরা সে চেষ্টাটাই করে দেখি একবার। আর সে চেষ্টা কিছুতেই যাতে বিফলে না যায়, তারই ছোট্ট প্রয়াস এই ‘ইয়োগা, সুস্থতায় যোগচর্চা’ গ্রন্থটি।
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে এটিকে কেবল একটি যোগ-ব্যায়ামের সাধারণ বই মনে করার ভ্রান্তি নিমেষেই কেটে যাবে বইটি একটু উল্টে-পাল্টে দেখলেই। কেননা যোগ-ব্যায়ামের সাধারণ সব বিষয়ের স্বাভাবিক ও বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনের পাশাপাশি একটি মনোদৈহিক প্রায়োগিক দর্শন হিসেবে ‘ইয়োগা’র হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও ইতিহাস খুঁড়ে পৃথক অধ্যায়ে তুলে আনা হয়েছে আধুনিক ইয়োগার জনক ঋষি পতঞ্জলি’র অষ্টাঙ্গ যোগের সারস্বত বয়ান, যা পাঠককে ইয়োগার সুরম্য গভীরে সাবলীল প্রবেশে সহায়তা করবে । এতে খোঁজা হয়েছে কিভাবে একটি আধ্যাত্ম দর্শন তার প্রায়োগিক উপযোগিতা নিয়ে ধর্ম বর্ণ গোত্র জাতি নির্বিশেষে দেশ-কালের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের অনিবার্য সুস্থাকাক্সার এক মনোহর ব্যবহারিক জগতে। মনো-দৈহিক স্বাস্থ্যরহস্যের উৎসমূলেও দৃষ্টি সম্পাতের চেষ্টা করা হয়েছে। সুস্থতার নিমিত্তে প্রাত্যহিক অনুশীলনকে অত্যন্ত কার্যকর ও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন যোগাসনের বেশ কতকগুলো আসন-বৈচিত্র্য্ও উপস্থাপন করা হয়েছে। বইয়ে সন্নিবিষ্ট বিভিন্ন আসন, মুদ্রা, প্রাণায়াম, ধৌতি ইত্যাদি চর্চা-প্রণালীর সাথে এগুলোর উপকারিতা ও প্রয়োজনীয় সতর্কতার বিষয়গুলোও সংশ্লিষ্ট আইটেমের বর্ণনায় স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। বিরক্তিকর কিছু রোগ ও এর নিরাময়ের উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সর্বোপরি আগ্রহী চর্চাকারীদের ব্যবহারিক সুবিধার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আশা করি এ থেকে সবাই উপকৃত হবেন।
বইয়ের নাম: ইয়োগা, সুস্থতায় যোগচর্চা
বইয়ের ধরন: স্বাস্থ্য ও গবেষণা
লেখক: রণদীপম বসু
প্রকাশক: শুদ্ধস্বর, ৯১ আজিজ সুপার মার্কেট (৩য় তলা), শাহবাগ, ঢাকা।
(ফেব্রুয়ারি’২০১০)
মুদ্রিত মূল্য: ৩৭৫ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০
অলংকরণ:
প্রচ্ছদশিল্পী: সব্যসাচী হাজরা
বইটি প্রকাশের পেছনে দেখা অদেখা অনেকের শ্রম ও আন্তরিকতা জড়িয়ে আছে নিঃসন্দেহে। অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে মুক্ত অন্তর্জালিক বিশ্বের তথ্য ভাণ্ডার থেকে শুরু করে ইতিপূর্বের বিভিন্ন দেশি-বিদেশি লেখকের প্রকাশনা যাচাই বাছাই এবং দীর্ঘকালীন ব্যক্তিগত ইয়োগাচর্চা ও অভিজ্ঞতার সর্বোত্তম সমন্বয়ের যথাসাধ্য চেষ্টা এই বই। তাই ইয়োগা-বিশ্বের চেনা-অচেনা সবার প্রতিই আমার সবিশেষ ঋণ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
[মুদ্রিত বইয়ের পাতা আর অন্তর্জালিক পৃষ্ঠায় তফাৎ অনেক, এবং এর উপস্থাপন ও পাফরম্যান্সও ভিন্ন। তবু বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে আগ্রহী হলে এই ইয়োগা-সাইটটি দেখতে পারেন।]
সবার জন্য একটা সুস্থ, সুন্দর ও চমৎকার আগামীর কামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবাই।
…
রণদীপম বসুর ‘ইয়োগা’ বা ‘যোগ’ বিষয়ক বিভিন্ন রচনা মুক্তমনায় প্রকাশ পাচ্ছে দেখে বিস্মিত হচ্ছি।
যোগ বিষয়টিকে বিজ্ঞানের মোড়কে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেবার যে সুচতুর পরিকল্পনা ভারতের কিছু শক্তি গ্রহণ করেছে, অনেক মুক্তচিন্তকও তার অনুধাবন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
যোগশাস্ত্রে মানবদেহের যে সাতটি চক্র সমূহের কথা বলা হয় তা যোগী পতঞ্জলির যোগশাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে।
খৃষ্টপূর্ব ৭ম শতকে শিক্ষাক্ষেত্রে তক্ষশীলা খুব প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। ব্রহ্মদত্ত, কৌটিল্য, পাণিনি, যিবেক ও পতঞ্জলি’র মত পণ্ডিতরা তক্ষশীলায় অধ্যয়ন করতেন। এদের মধ্যে পতঞ্জলি ছিলেন ভারতীয় যোগ দর্শনের প্রবর্তক।
‘যোগ’ হল হিন্দু আধ্যাত্মবাদ ও তন্ত্র সাধনার এক রহস্যময় পথ ।যোগীরা অনাদিনাথ বা শিবকেই যোগ বিদ্যায় উপদেশ দানকারী বলে উল্লেখ করেছেন। শ্রীমদ্ভাগবতের একাদশ স্কন্ধে শ্রীভগবান যোগসাধনের গুণগান গেয়েছেন। স্বামী বিবেকানন্দের যোগ বিষয়ক রচনায় যোগ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। গীতায় যোগ মাহাত্ম্য আছে। সেই হিসেবে হিন্দু-‘উপাসনা’ পদ্ধতিতে বিশ্বাসীদের কাছে যোগ এক প্রশ্নাতীত পরম সত্য।
যোগের প্রবক্তা যোগেশ্বর শিব বলেছেন জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগই হ’ল যোগ। আধ্যাত্ম বিজ্ঞান মতে মানুষের শরীরের মেরুদণ্ডের নিম্ন থেকে তিনটি নাড়ী বেরিয়েছে এর মধ্যে সুষুম্না নাড়ী সুষুম্না কাণ্ডের মধ্য দিয়ে সোজা চলে গিয়েছে সহস্রার চক্র পর্যন্ত। আর বা দিক থেকে ইড়া নাড়ী ও ডান দিক থেকে পিঙ্গলা নাড়ী বেরিয়ে ডানে বাঁয়ে ঘুরে ঘুরে পরস্পর মিলিত হতে হতে শেষে বাম নাসা দিয়ে ইড়া নাড়ী ও ডান নাসা দিয়ে পিঙ্গলা নাড়ী বেরিয়ে গেছে। এই তিনটি নাড়ী যেখানে যেখানে মিলিত হয়েছে তাকে বলে চক্র।
যোগ মতে ‘কুণ্ডলিনী’ শক্তিকে জাগ্রত করতে যোগীকে ‘ষট্চক্র’ ভেদ করতে হয়। যোগ বা তন্ত্রশাস্ত্র বিশ্বাস করে, প্রতিটি মানব দেহে ছটি চক্র আছে। চক্র ছটির অবস্থান গুহ্যে, লিঙ্গমূলে, নাভিতে, হৃদয়ে, কণ্ঠে ও ভ্রুদ্বয়ের মাঝখানে। ছ’টি চক্রের নাম গুহ্যে মূলাধারচক্র থেকে পর্যায়ক্রমে স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ ও জ্ঞানচক্র। মস্তিষ্কে আছে সহস্রদল পদ্ম। এই চক্রটিকে নিয়ে গুনলে চক্রের মোট সংখ্যা সাতটি। যোগের বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মূলাধারচক্রকে একের পর এক ছটি চক্র ভেদ করে কুণ্ডলিনী শক্তিকে মস্তিষ্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাথার খুলির নীচে রয়েছে সহস্রদল পদ্ম কুঁড়ি। কুঁড়ির ওপর ফণা মেলে থাকে সাপ। যার লেজ রয়েছে গুহ্যে। যোগ প্রক্রিয়ার সাহায্যে, বা বলতে পারি তন্ত্র প্রক্রিয়ার সাহায্যে ফণাটি সরিয়ে দিতে সক্ষম হলেই মস্তিষ্কে হাজারটা রঙিন পাপড়ি মেলে ফুটে উঠবে পদ্ম। এই যে সাপ বা মহাশঙ্খিনীশক্তি, ইনিই মহামায়া, মহাশক্তি। পদ্মের কর্ণিকা বা বীজকোষে রয়েছেন ব্রহ্মস্বরূপ শিব।
এই ষট্চক্র ভেদ করে সাপের ফণা সরিয়ে মস্তিষ্কের সহস্রদল পদ্মকে ফুটিয়ে তুলতে পারলেই নাকি ঘটবে ব্রহ্মদর্শন, মিলবে চির আনন্দ, মিলবে মোক্ষ।
পতঞ্জলির মতে, যোগ সিদ্ধিতে বা যোগ বিভূতিতে নাকি পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর ভাষা-জ্ঞান লাভ হয়, নিজেকে অদৃশ্য করা যায়, খিদে ও তৃষ্ণা নিবারণ করা, আকাশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যের দেহে প্রবিষ্ট হওয়া যায়। ঈষ্ট দেবতার সঙ্গে মিলিত হওয়া যায়। এমনকি খেচরী বিদ্যার সাহায্যে মৃত্যুকেও জয় করা যায়। কিছুদিন আগে রামদেব বাবা একটি টিভি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তিনি খেচরী মুদ্রা জানেন। অর্থাৎ তার কোনও দিনই মৃত্যু ঘটবে না। চলন্ত ট্রেনের সামনে ছুঁড়ে দিলে টুকরো টুকরো হয়ে গেলেও আবার টুকরোগুলো জোড়া লেগে যাবে।
এই ভাবে মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মনিপুর, অনাহত ও বিশুদ্ধ চক্রে মিলিত হবার পরে আজ্ঞা চক্রে গিয়ে তারা আলাদা হয়েছে। মানুষের জীবভাব প্রসুপ্ত অবস্থায় থাকে এই মূলাধার চক্রে, আর সহস্রার চক্রে রয়েছেন চৈতন্য সত্তা পরম শিব। এখন যোগ হচ্ছে এই প্রসুপ্ত জীবভাবকে জাগ্রত করে সহস্রার চক্রে শিবভাবে সমাহিত করা। এখানেই জীবনের সার্থকতা, পরমা প্রশান্তি।
যোগসাধনায় যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি অষ্টাঙ্গিক পথ হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে সামগ্রিক ভাবে আমার ধারণা বিষয়টি যুক্তিহীন, উদ্ভট বিশ্বাস এবং বিদঘুটে কিছু ধারনা ও সম্পূর্ণ ভুল অ্যানাটমি জ্ঞানের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে। এই অবৈজ্ঞানিক বিষয়টির নির্বোধ সুলভ চর্চায় যতটা সময় ও শ্রম খরচ করা হয়েছে প্রকৃত জ্ঞান চর্চায় তার ব্যয়িত হলে মানব সভ্যতা অনেক বেশি উপকৃত হতে পারত। বর্তমানে বিষয়টির সাথে স্নায়ু বিজ্ঞান ও কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার কিছু পরিভাষা যুক্ত করে বিষয়টিকে একটা বিজ্ঞান-বিজ্ঞান চেহারা দেওয়ার চেষ্টা প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। এই প্রেক্ষিতে বিষয়টিকে ছদ্মবিজ্ঞানও বলা যায়।
পতঞ্জলির ‘বায়ুতত্ত্বে’ ‘প্রাণায়াম’ নামের এক উদ্ভট তত্ত্বের বর্ণনা আছে। একটা করে নাকের ফুটো টিপে বন্ধ রেখে আর একটা করে নাকের ফুটো দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ চালানো। এ’রকমভাবে বায়ু নিয়ন্ত্রণ বা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ শেখানোর চেষ্টা করেন যোগশাস্ত্রবিদরা। নূন্যতম ‘অ্যানাটমি’ জ্ঞান থাকলে বুঝা যায় দুটো নাকের ফুটোই গিয়ে মিশেছে শ্বাসনালীতে এবং শ্বাসনালী যেহেতু একটাই, তাই নাকের ফুটো বন্ধ করে ফুসফুসের কোনো লাভ হওয়ার কথা নয়**।
যোগের দ্বারা সমাধি বা ভাব-সমাধি আসলে স্বসম্মোহন ছাড়া কিছুই নয়। যোগ সমাধিতে গভীরভাবে নিজের চিন্তায় একটি ধারণাকে সঞ্চারিত (auto-suggestion) করায় অলীক দর্শন, অলীক শ্রবণ ইত্যাদি অনুভূতি হতে থাকে। এই হলো যোগী ও তান্ত্রিকদের ‘সত্য দর্শন’, ‘সত্য উপলব্ধি’।
উল্লেখ্য, পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গ যোগে যে আটটি অঙ্গ রয়েছে, তার মধ্যে আসন অংশটি অবশ্যই আমাদের দেহের উপকার সাধন করতে পারে, কিন্তু আধ্যাত্মিকতার ধারণা থেকে মুক্ত অন্যান্য শরীর চর্চার পদ্ধতি থেকেও তা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু একটা কথা মনে রাখা দরকার ভুল অ্যানাটমি জ্ঞানের উপর নির্ভর করে তৈরি এই সব আসন রোগ নিরাময়ে ব্যবহারের পরিণাম কখনো কখনো মারাত্মক হতে পারে। অনুরূপ কথা আয়ুর্বেদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। রোগ চিকিৎসায় ফিজিও মেডিসিন একটি আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই ফিজিও মেডিসিনের সাথে যোগ শাস্ত্রের কিছু অংশের আপাত সাদৃশ্যের কারনে মানুষের বিভ্রান্ত হবার সুযোগ আছে।**
সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে। এর নেপথ্যের প্রেক্ষাপট উপলব্ধি আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের বোধগম্যতার বাইরে।
মুক্তমনায় অনেক যোগ্য ব্যক্তি আছেন, আমি বিষয়টির প্রতি তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমি মুক্তমনার দীর্ঘদিনের পাঠক। আমার মুক্তমনা হতে পারার পেছনে এই ব্লগের অবদান আমি সারা জীবন মনে রাখব।
যোগ শাস্ত্রের সমর্থনে প্রকাশিত নিবন্ধটি এই ব্লগের আদর্শের বিপ্রতীপ বলেই আমার মনে হয়। যোগ বিষয়ে অনেক মূল রচনা অনলাইনে পাওয়া যায়, আপনারা সেগুলো পড়ে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।
@রণদীপমদা,
অসাধারণ উদ্যোগ। যোগব্যায়ামের বইগুলো সাধারণত প্রচুর ভুল-ভাল তথ্যে ভরপুর থাকে। বইটিতে আধুনিক চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ হলে অসামান্য হবে। বইটা কেনার অপেক্ষায় আছি। আমি হার্ডকোর ওয়েট-ট্রেনিং এর পাশাপাশি যোগব্যায়ামের চর্চাও করেছি। নমনীয়তার জন্য যোগব্যায়ামের জুড়ি নেই। আপনাকে শুভেচ্ছা। :rose2:
রণদীপমদা, অভিনন্দন, বইটা আনানোর ব্যবস্থা করছি।
রণদীপম বসু, অনেক অনেক অভিনন্দন রইলো। বইটা অবশ্যই জোগাড় করবো।
আমাদের এই ঘৃন্য অসুস্হ্য ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতামূলক পুঁজিবাজারে শুধু আরো চাই,চাই,চাই করতে করতে নিজের অজান্তেই যে আমরা নিজেদের মানসিক ও শাররীক বিকাশ হারিয়ে ফেলেছি তাতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।জীবনের মানেই যে শুধু টাকা-পয়সা না এটা আমাদের বর্বর সমাজের অধিপতিরা একদম ভুলে গেছেন।
ইয়োগা, সুস্থতায় যোগচর্চা “রনদীপম বসুর” বইটি আমাদের মানসিক ও শাররীক সুস্হ্যতার জন্য মনে হয় সবার পড়া জরুরী।এমন একটি বই লেখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।বইটি বই মেলা থেকে তাড়াতাড়ি কিনবো বলে আশা করছি।
ভালো থাকুন যোগচর্চা করে,সাথে আমরাও আপনার সাথে সামিল হলাম।
অভিনন্দন রণদীপমদা, আবারো। বইটা কি আজকেই বেরুলো?