বিজ্ঞানী ডারউন অনেক বড় কাজ করে রেখে গেছেন জীব জগতের উৎপত্তি (সৃষ্টি নয়), তার ক্রম বিবর্তনের রূপ পদ্ধতি বর্ননার মাধ্যমে। সংক্ষেপে আমরা যাকে বলি বিবর্তন তত্ত্ব। এ তত্ত্ব বলে মানুষের উৎপত্তিও এ পৃথিবীর আর সকল প্রাণীর মতোই প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে টিকে থাকা এক প্রজাতি বৈ আর কিছুই নয়। চিন্তাশীল, যুক্তিবাদী, বিজ্ঞান সচেতন সকল মানুষ আজ এই তত্ত্ব সঠিক বলে মেনে নিয়েছেন। জীব বিবর্তনের তত্ত্ব আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য।
এই সত্য সরাসরি বিরোধিতা করে এতদিনকার জানা, ধর্মগ্রন্থ বর্নিত, পারিবারিকভাবে জানা, যা প্রায় আজন্ম লালিত অন্ধ বিশ্বাস হয়ে আমাদের মাথায় বসে থাকা সৃস্টিকর্তা রূপী আল্লাহ্ ইশ্বর বা গডের ধারনাকে। অবশ্য এখানে সচেতনভাবেই অপ্রাসঙ্গিক হবে বিধায় এই এক ইশ্বর ধারনার পূর্ববর্তী বহু ইশ্বর বা দেব দেবীর ধারনার বিবর্তন নিয়ে আলোচনা বাদ রাখলাম। জৈবিক বিবর্তনই শধু নয় বা চিন্তাগত জগতেও তথ্য-উপাত্ত এবং সমেয়র হেরফেরে পরিবর্তন হয়। বিবর্তন তত্ত্ব বিরোধীদের / পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিহীণ, অযৌক্তিক অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে এ এক মোক্ষম তত্ত্ব।
এ তত্ত্ব জ্ঞান একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। এর সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। গোলবাঁধিয়েছেন এর প্রয়োগকারীরা এর অপপ্রয়োগের মাধ্যমে। আণবিক শক্তির আবিষ্কার একটি বৈজ্ঞানিক তত্ব, একটি সত্য জ্ঞান এখন এর প্রয়োগ কী মানুষের কল্যানে হবে না মানুষের ধ্বংসের কাজে ব্যবহার হবে সেটাই হলো আমার এই প্রবন্ধের মূল কথা। বন্দুক নিজে কোন শত্রু-মিত্র বা খারাপ-ভাল কিছুই নয়, এই বন্দুক দিয়ে ডাকাতি করা যেমন যায় আবার ডাকাতি থেকে নিজেকে রক্ষাও করা যায়। এভাবে কেউ যখন বলে আমি আল্লাহর সৃষ্টি, ভগবানের বা গডের এমনকি কেউ যদি বলে আমি আল্লাহ ভগবান সৃষ্টিকর্তা এসব কিছুই মানি না, আমি নিরীশ্বরবাদী, আমি প্রকৃতি সৃষ্ট তাতে কারোর কী কোন অসুবিধা হওয়ার কথা বা হয়?
আমি তো এতে কোন অসুবিধা দেখতে পাচ্ছি না। অসুবিধাতো সৃষ্টি হয় তখন যখন এসব বলে অন্যের সম্পদ কেড়ে নেয়া হয়, জোর করে বা প্রতারণার মাধ্যমে, অর্থাৎ ছলে বলে কৌশলে। কাউকে অপমান, অসম্মান করা হয়, সামাজিক অন্যায় বা রাষ্ট্রীক আইনের মাধ্যমে সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিতের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে সমাজে মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়। এক্ষেত্রে সুবিধাভোগীরা অন্ধ-বিশ্বাসী না মুক্তমনা, ইশ্বরবাদী না নিরীশ্বরবাদী, সৃষ্টিবাদী না বিজ্ঞান সচেতন, পুরাতন না আধুনিক বিবেচ্য নয়। সমাজে মানুষের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার সমানাধিকার দিতে আগ্রহী কিনা এটাই হলো বড় বিবেচনার বিষয়।
এটাই একজন মানুষের জ্ঞান মেধা যোগ্যতা যাচাইয়ের কঠিন পরীক্ষা। এখানে দেখছি অনেকেই এ ব্যপারটা একবারেই গুলিয়ে ফেলছেন। কেউ বলছেন আগেকার যুগের লোকেরা রাজতন্ত্রীরা, মন্ত্রী যাজকেরা প্রজা নামের মানুষদের শোষণ করেছেন, তাদের উৎপাদিত ফসল/ সম্পদ ইশ্বরের নাম করে কেড়ে নিয়েছেন, অত্যাচার করেছেন, বড় অন্যায় করেছেন। আমরা এখন গণতন্ত্রী, সকলে ভোট দিয়ে আমরা আমাদের শাসক নির্বাচন করি, এই শাসকদের পছন্দ না হলে, অন্যায় করলে পাঁচ বছর পর আবার নতুন শাসক নিয়োগ দেই। আমরা মানুষের পশ্রিমের কষ্ট অনেক লাঘব করেছি, যন্ত্র বানিয়েছি। মেধা খাটিয়ে, পুজিঁ খাটিয়ে, বাঁচার জন্য, ভেগের জন্য পণ্য বানিয়েছি, আর এই পণ্য লেনদেনের জন্য টাকা ও বাজার বানিয়েছি। যার যা দরকার সবই এখন বাজারে পাওয়া যাবে। বিক্রি করতে হলেও বাজারে যাও। এই বাজার একেবারেই খোলা, উন্মুক্ত সকলের জন্য, খাটিঁ মুক্ত বাজার, কোন বাঁধা নিষেধ নাই। তোমার টাকা নাই, তোমার প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছ না, তাহলে সুদখোর মহাজন/ ব্যাংকের নিকট থেকে ধার নাও, এমনিতে ধার দিচ্ছে না তো বন্ধক রাখো কিছু, বন্ধক রাখার মতো কিছু নেই, থাকলে তো বাজারে বিক্রিই করতে পারতে? তাহলে বন্ধক রাখো নিজেকেই, বেগার খাটবে। তা নাহলে না খেয়ে মর। এসমাজে বেঁচে থাকার তোমার কোন যোগ্যতা নেই, অধিকার নেই। প্রাকৃতিক নিয়মে যোগ্যতমেরই শুধু টিকে থাকার অধিকার স্বীকৃত। এটাই প্রকৃতির নিয়ম, সমাজ এভাবেই চলবে, প্রকৃতির বিধান এর কোন ব্যত্যয় নেই। এটাই শেষ কথা।
পুজিঁ কোথায় পেলে? এমন বেয়ারা প্রশ্ন কেউ করো না। পুঁজি মুনাফা ছাড়া টিকতে পারে না, সংবর্ধিত হতে পারে না। আর কারোর মুনাফা মানেই অন্যের ভাগে কম পরা। পুঁজি তাই মুনাফার মাধ্যমে, উদ্বৃত্ব শোষণের মাধ্যমেই টিকতে পারে। পুঁজি তাই বাজারের মাধ্যমে, মুণাফার মাধ্যমে সম্পদ কুক্ষিগত বৈষম্য সৃষ্টি করে। মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টিকারী এ বাজার ব্যবস্থাকে জীব বিবর্তনের তত্ত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না।
সাধারনভাবে দেখলে মনে হতে পারে জীব বিবর্তনের এ তত্ত্ব বুঝি মৎসান্যায়ের মতো চরম বৈষম্য বাদী নীতিকে সমর্থন করে। এটা আসলে ভুল ধারনা। বড় পুঁজি ছোট পুঁজিকে মাছেদের মতোই গিলে ফেলে স্ফীত হয়। এ রকমের উদাহরন থেকেই এমন ধারনার সৃষ্টি। একটু খেযাল করলে দেখবেন, প্রাকৃতিক নির্বাচনে যোগ্যতমের টিকে থাকার নিয়মেই বড় মাছ ছোট মাছকে গিলছে তা ঠিকই তবে সেটা কিন্তু পুঁটি মাছ পুঁটি মাছকে গিলছে না। আমি বলতে চাইছি এক প্রজাতির পুঁটি মাছকে কিন্তু অন্য প্রজাতির তথা শোল মাছ বা বোয়াল মাছে গিলছে। জীব বিবর্তনের তত্ত্ব এখানে লঙ্গিত হয় নাই। পুঁজির নিয়মকে, প্রাকৃতিক নিয়মের তুলনায়/ বা মিলানোতে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এমন অপযুক্তির মুখে এর অগেও আমাকে পরতে হয়েছে। একবার অনেক জ্ঞানী গুনী মানুষদের সংগেই বসছি, কথা হচ্ছে বিশ্বরাজনীতি, আধিপত্য বিস্তারে সাম্রাজ্যবাদীদের পালের গোদা মার্কিনীদের ভূমিকা ও বাংলাদেশের জনগণের করনীয় নিয়ে। এক পর্যায়ে একজন বলে বসলেন “হক ভাই কথাতো সব ঠিকই বলেছেন, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?” অন্যরা অনেকেই মুখ টিপে হাসছেন, আমি বুঝতে পারলাম, আমাদের করনীয় নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো থেকেও আমাকে ঘায়েল করতে বেশী আগ্রহী। এদের মতো অর্ধ শিক্ষিত কপট লোকদের সঙ্গে কথা বলাটা আসলে সময় নস্ট করা। যা হউক আমার উত্তর এটা একটা ভুল উপমা, উপমার মাধ্যমে অপযুক্তি দাঁড় করানো হয়েছে। ছলে বলে কৌশলে মার্কিন শতক বা নয়া বিশ্ব নীতি (নিউ ওর্য়াল্ড অর্ডার) যারা স্থাপন করতে চান তারাও আমাদের মতোই মানুষ, তারা কোন বিড়াল নয় আর আমরাও ইঁদুর নই। ইভেনজেলিক বুশ তত দিনে বলে বসেছে হোয়াইট হাউসের করিডোরে গডের সঙ্গে দেখা হয়েছে আর তার প্রত্যাদেশ পেয়েই ইরাক আক্রমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামন্ত যুগের সম্রাটদের সহায়ক ও ছিলেন এই গড বর্তমান গণতন্ত্রের রক্ষক প্রেসিডেন্টের সহায়ক ও এই গড।
সারা বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত অসহায় মানুষদের সহায়তায় এই গড কখনো তার চতুর্থ আসমানের এজলাস থেকে নেমে আসেন নি, আসবেনও না কখনো। কারণ এমন কিছুর আসলে কোন বাস্তব অস্তিত্ব নাই। এজন্যই জার্মান দার্শনিক ফুয়ের বাক বলেছিলেন মানুষই তার প্রয়োজনে ইশ্বর সৃস্টি করেছেন, ইশ্বর কখনো কাউকে সৃস্টি করেনি। সমাজের কায়েমী স্বার্থবাদী, সুবিধাবাদী শাসক শোষকের সেই থেকে অনেক জ্বালা। তার উপড় ডারউইনের এই তত্ত্ব মানুষ সৃস্ট কাল্পনিক এই ইশ্বরকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি দিয়ে উৎখাত করে দিলেন।
বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ভুল প্রযোগের মাধ্যমে মানব সমাজের প্রভুত ক্ষতি ইতি মধ্যেই আমরা করেছি, এমনকি পুরো পৃথিবীটাকেই মুনাফা শিকারীরা আজ ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে এসেছে যা মোটেই কাম্য নয়। এই তত্ত্ব দ্বারা কাল্পনিক ইশ্বরকে উৎখাত করা গেলেও সমাজের কায়েমী স্বার্থবাদী, সুবিধাবাদী, শাসক-শোষক, সৃস্টিতত্ত্ববাদীদের সৃষ্ট লোক ঠকানো এই বাজার ইশ্বরকে উৎখাত করা সম্ভব নয়। তার জন্য অন্য তত্ত্ব লাগবে, এ নিয়ে আবার লিখব।০২-০২-১০
লেখাটা শুরুর দিকে ভালো লাগলেও শেষে একটু হতাশ হলাম, আরেকটু গুছিয়ে লিখলে ভালো হত। যাই হোক সব মিলিয়ে ভালো লেখা।
বিবর্তনবাদ প্রচলিত ধর্মগুলোকে বাতিল করে দিলেও স্রষ্টার অস্তিস্ত্ব বাতিল করেনা। তবে বিবর্তনবাদ থেকে বোঝা যায় স্রষ্টাকে যেভাবে নিখুত কারিগর হিসাবে কল্পনা করা হয় তিনি সেটা নন, দেহের অপ্রয়োজনীয় ও অসম্পূর্ণ অঙ্গগুলো তার প্রমাণ। তবে কোনো আস্তিক যদি দাবী করে যে স্রষ্টা ইচ্ছা করেই এভাবে বিবর্তন দ্বারা প্রাণের বিকাশ ঘটিয়েছে তখন খুব বেশী কিছু বলার থাকেনা, তবে যখন নব্য ধর্মবিজ্ঞানীরা ধর্মগ্রন্থে বিবর্তন খুজে পায় তখন হাসি পায়।
: এটা কি ফুল ?
:রোজ
: না, এটা CHRYSANTHEMUM
: না, এটা রোজ
: না, এটা CHRYSANTHEMUM
: ঠিক আছে, CHRYSANTHEMUM বানান কর..
: K..R…I না না C…R…Y না না C….H….Y… ধুর!! তোর কথাই ঠিক!! এটা
রোজ…..
বন্যার কথার রেশ ধরেই বলছি, বিজ্ঞানীগণ ইশ্বরে বিশ্বাস বা ইশ্বর আছে কি নেই তা নিয়ে তা নয়ে কাজ করে না, এ কাজ দার্শনকিদেরই, একথা সত্য। প্রকৃতির নিয়ম অনুসন্ধান, তার সাধারন সূত্র আবিষ্কারই বিজ্ঞানীদের কাজ। এক কথায় দর্শনের দৃষ্টিতে তারা বস্তুবাদী। গোল বাঁধিছেন কিছু এমন বিজ্ঞানী যারা আবার ভাববাদী ইশ্বরে বিশ্বাস করেন তারা। যেমন পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক সালামের মতো বিজ্ঞানী যারা আবার ইশ্বরে/ আল্লায় বিশ্বাস করেন তারা। বস্তুবাদী বিজ্ঞানীর ভাববাদী ইশ্বরে বিশ্বাস। দুই বিপরীত মেরু এক বিন্দুতে অবস্থান, যা অংকের হিসাবে কিছুতেই মিলানো যাবে না। বস্তুত এমন সাধারন মানুষের অভাব নেই যারা একই সঙ্গে ভাববদী আবার বস্তুবাদীও, সমাজের বেশীর ভাগ মানুষই এই ধারার মধ্যে পরেন।
উচ্চ মাধ্যমিকে আমরা যারা বিবর্তন তত্ত্ব পড়েছি তার মধ্যে আমার সেই ক্লাশমেটের একজন এখন একটি সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ, যিনি এর আগে একটি সরকারী কলেজের প্রণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান ছিলেন। তার আমন্ত্রনে একদিন তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে কথা বলার মাঝখানে জোহর (দুপুরের) নামাযের সময় হয়ে যায়। এমন সময় তার এক কলিগ তাকে নামাযের জন্য ডাকতে আসে, তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কী রে নামাজ পড়িস নাকি? আমার প্রশ্নের মূল বিষয়টি বুঝতে পেরেই সে বলল, অসুবিধা কি নামাযের কাজ নামায করবে বিজ্ঞানের কাজ বিজ্ঞান। এবার আমার অবাক হওয়ার পালা বললাম, তুই বলতে চাইছিস জীব বিজ্ঞানের তত্ত্ব মানুষের জৈবিক চাহিদা যেমন স্বাস্থ রক্ষায় ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়ে মানব কল্যানে কাজ করবে আর নামায পরকালে বেহেস্ত পেতে সাহায্য করবে। আমি আরও বললাম বাঃহ বন্ধু বেশ বলেছিস এগুলিতো চরম সুবিধাবাদী কথা (চিন্তা) তুই গাছেরটাও খাবি তলেরটাও কুড়াবি। তুই যে স্বার্থপর সেটা বড় কথা নয় আমি ভাবছি অন্যকথা, দুই জন মানুষের একজন যদি বলে দুধের রং সাদা, অন্যজন বলে কালো তাহলে তোকে কে সঠিক বিচার করতে বললে তুই কোনটা বলবি? হয় বলবি সাদা নয় কালো, এখন যদি তুই দুইজনকেই সঠিক বলিস তাহলে তো তোর বিচার ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেরে।
বস্তুত সমাজের অধিকাংশ মানুষের এই বিবেক বা বিচার করার ক্ষমতা নেই বা লুপ্ত হয়েছে। লুপ্ত হয়েছে বলছি এই কারণে যে বাচ্চাদের এই ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা এই বিচারিক/বিবেক বোধটা অনেক প্রখর থাকে বড় হতে হতে আস্তে আস্তে লোপ পায়।
দর্শন এবং দার্শনিক চিন্তা এই জন্য জরুরী যা বৈজ্ঞানিক আবিস্কার থেকেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার নিকট রোগ থেকে বাঁচার উপায় হিসাবে প্রতিষেধক তৈরীটা বৈজ্ঞানিকদের কাজ আর তার প্রতিরোধের কাজটা যেন বস্তুবাদী (বরা ভাল দ্বান্ধিক বস্তুবাদী) দার্শনিকদের। শর্ত একটাই বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যেমন দর্শনের ক্ষেত্রেও তেমন, দুপক্ষকেই বস্তুবাদী হতে হবে। বিজ্ঞানেতো ভাববাদের কোন স্থান নেই, দর্শনের ক্ষেত্রে যেহেতু এই ভাগটা আছে তাই এর উল্লেখ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কথাটা একটু ব্যাখ্যার দরকার আছে। যেমন –
বিগত ৪/৫ দশক আগেও আমাদের দেশে কলেরা বসন্তের কারণে আমাদের দেশে প্রতি বৎসর হাজার মানুষ মারা যেত। হিন্দুরা বলতো এর কারণ ওলা দেবী, শীতলা দেবর প্রভাব। আর মুসলমানরা বলতো, আসমানী বালা, উভার প্রভাব ইত্যাদি। এই ধরনের ব্যাখ্যা বা চিন্তাই হলো ভাববাদী দর্শন। বস্তুবাদীরা তো এইসব মানে না। তাই তাদেরই দায় পড়লো এ রোগের বস্তুগত কারণ বের করা। তারা তখন এর বস্তুগত কারণ, কলেরা এবং বসন্তের ভাইরাস আবিষ্কার করলেন এবং তার ধ্বংসেরও। এখানে ভাববাদী/কল্পণাপ্রসূত/ভুল চিন্তাগুলি থেকে মুক্ত করা বা হওয়াটা দার্শনিক কাজ আর তার বাস্তব কারণ ও প্রতিষেধক আবিষ্কারটা বৈজ্ঞানিক কাজ। আমার লেখাটা কিছু মানুষের মধ্যে হলেও প্রশ্ন তৈরী করতে পেরেছ এইটা কম সুখবর নয় আমার জন্যে। ধন্যবাদ সকলকে।
মুক্তমনায় স্বাগতম আব্দুল হক। নিয়মিত লিখে যান।
@আব্দুল হক ভাই,
মুক্ত-মনায় স্বাগতম। ধন্যবাদ চমৎকার লেখাটার জন্য।
সাব্বাশ ফুয়াদ ভাই! :yes:
তাহলে, বিবর্তন তত্তের আসল কাজ ধর্মের বিরুধীতা করা(!). আসলে আপনি কাজের কাজ কিছুই করতে পারবেন না, যা পারবেন উলটা সাইন্সরে গুরা কইরা দিবেন। কই বিবর্তনের বিভিন্ন ভাল জিনিস বের করবেন, তা না ইউগেনিক্সের মত আরেক সসিয়াল ডারোয়িনিসম বার করেন। আচ্ছা আমারে বুঝান, বিবর্তন তত্ত প্রানের উতপত্তি এবং বিকাশ ব্যাক্ষা করতেছে, না কি গড আছেন কি নাই তা ব্যক্ষা করতেছে? লেখক ও বিজ্ঞানীদের অনেকগুলি বই পরলাম, গডের বিরুদ্ধে তো কেউ কিছু লেখল না। আপনার যে কই পান তা আপনারাই জানেন। একটি বইয়ের মধ্যে ইভুলোশন ও রিলিজিয়ন নামে একটি পাঠ-ই দিয়ে দিয়েছে। ঐখানে পক্ষে বিপক্ষে অনেক লিখা আছে, কিন্তু কোথাও বলা হয়নি ইভুলোশন, গড কে বাতিল করে।
ঐখান থেকে কয়েকজনের উক্তি দিলাম
আরেকটি উক্তি দেই,
আর যদি আপনি মনে করেন, ইভুলুশন থিউরির কাজ গডের বিরুধিতা করা, তাহলে তো আর কথাই রইল না। তত্তের বিরুধীদের যুক্তির সাথে একমত হইলেন। 😀 :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: তাহলে, তারাই ঠিক। :laugh: :laugh: :laugh: :laugh:
@ফুয়াদ,
কথাটা তো সমানই মনে হয়। প্রাণের উৎপত্তির ব্যখ্যা জানতে পারলে, গড আছেন কি নাই তা এমনিতেই জানা হয়ে যায়। চাঁদের বুড়ির সুতা উৎপত্তির ব্যখ্যা জানতে পারলে, চাঁদে বুড়ি আছে কি নাই তা জানা হয়ে যায়। বুড়ির সৃস্টি সুতা উৎপত্তির ব্যখ্যা যতদিন মানুষের অজানা ছিল, বুড়ি জীবিত ছিলেন, আল্লাহর সৃস্টি মানুষ উৎপত্তির ব্যখ্যা যতদিন মানুষের অজানা ছিল, আল্লাহও জীবিত ছিলেন। বিজ্ঞান তাদের বিরোধীতা করতে আসে নাই, তবুও দুর্ভাগ্য বশত তারা উভয়েই ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি অয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
@আকাশ মালিক,
মালিক ভাই, বিবর্তনবাদ কি প্রানের উতপত্তি কনক্লুসিভলি প্রমান করতে পেরেছে? আমি তো জানি পারেনি। যতদুর বুঝতে পারি যে জলাশয়ে প্রানের উতপত্তি তেমন একটা ধারনা দেয়, কিন্তু এই ধারনা প্রমানিত সত্য নয়। বিবর্তনবাদ প্রমানিত তবে প্রানের উতপত্তি এখনো প্রমানিত সত্য নয় বলেই জানি।
এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতির বিবর্তন আর প্রানের উতপত্তি ব্যাখ্যা মনে হয় ভিন্ন ব্যাপার।
@আদিল মাহমুদ,
প্রাণের উৎপত্তির রহস্য শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে কিনারা করতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা খুব কাছাকাছি জায়গাতেই আছেন। এমনকি জীবনের প্রথম অনু তৈরি করা হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।। রসায়নাগারে কৃত্রিমভাবে ভাইরাস তৈরী করার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে অনেক দিন হল; ২০০৩ সালে প্রথম সিন্থেটিক ভাইরাস তৈরী করা হয়েছিল – এবং তা ১০০% নিখুঁত। পোলিও ভাইরাস সহ দশ হাজার প্রজাতির ভাইরাস তৈরী করা গেছে ভাইরাসের জিনোম পর্যবেক্ষন করে এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাহায্যে। এক ব্যাক্টেরিয়া থেকে অন্য ব্যাক্টেরিয়াতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াও সফল হয়েছে। কৃত্রিম লাইফ তৈরির গবেষণা একেবারে জোরে সোরে শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সিথেটিক লাইফের গবেষণা অদূর ভবিষ্যতে “মলিকিউলার বায়োলজি”কে প্রতিস্থাপন করতে চলেছে। তারপরেও কিছু গ্যাপ আছে। গ্যাপ আছে বলেই তো বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু গ্যাপ থাকলেই সেটা কোন অতীন্দ্রিয় শক্তিকে বৈধতা দেয় না। এটা আসলে আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনোরেন্স (আপনাকে বলছি না – কারণ আপনি হয়ত কোন অতিন্দ্রীয় শক্তিকে আনেননি, কিন্তু ফুয়াদের কথা থেকে মনে হচ্ছে তিনি ঈশ্বর দিয়েই এই গ্যাপ ভরাট করতে চাচ্ছেন)।
তবে একটা ব্যাপার কিছু স্পষ্ট, আলাদা ভাবে প্রজাতির তৈরি না হলে সৃষ্টি তত্ত্ব ভেঙ্গে পড়ে। ঈশ্বর যে আদমকে ডেকে পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল প্রানীর নাম শিখিয়েছিলো (দেখুন 2:31, কিংবা জেনেসিস ২:১৯) সেগুলোর কোন অর্থ থাকে না। আসলে বিবর্তন তত্ত্ব খুব পরিস্কারভাবেই ডিজাইন আর্গুমেন্টকে বাতিল করে দেয়। কারণ বিবর্তন সত্য হলে মানুষকে আর আলাদাভাবে সৃষ্টি করা হয়নি, মানুষের উৎপত্তি হয়েছে বিবর্তনের ফলশ্রুতিতে এবং ধারাবাহিকতায়। প্রাণের উৎপত্তি সংক্রান্ত কিছু গ্যাপ যদি থাকেও – কিন্তু সেই গ্যাপকে পুঁজি করে ঈশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করতে গেলে (এবারে অপার্থিব রাগ করতে পারেন 🙂 ) সেই ঈশ্বর কেবল ‘ঠুটো জগন্নাথ ঈশ্বর’ ছাড়া আর কিছুই হবেন না কিন্তু – কারণ আদি প্রাণ তৈরি করার পরে আসলে তারা বসে বসে দেখা ছাড়া খুব বেশি করনীয় নেই – কারণ বিবর্তন বলছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের প্রভাবে এমনিতেই প্রজাতির উদ্ভব ঘটবে।
@অভিজিৎ,
হ্যা, জানি মানুষ ইতোমধ্যেই জীব ও জড়ের মাঝামাঝি ভাইরাস ল্যাবরেটরিতে বানিয়ে ফেলতে পেরেছে। একদিন এরই ধারাবাহিকতায় আসল প্রান সৃষ্টি করে ফেলাটাও মোটেও অসম্ভব কিছু হবে না। খুবই সম্ভব।
তবে এক্ষেত্রে কিন্তু ফুয়াদ ভাই এর মতন ধর্মবাদীদের কোর্টেই বল থাকছে। প্রান কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা যায় প্রমান করা গেলে বলা যাবে যে ঈশ্বর বা গড ছাড়াই প্রান সৃষ্টি করা যায়, তবে বিশ্বাসের দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে গেলে বলা যাবে না যে গড বলে কোন বস্তু অতি অবধারিতভাবে নেই। বিশ্বাসীদের চোখে এ দুনিয়ারো যা কিছু দেখা যায় সবই গড এর তৈরী। কিন্তু এর বহু কিছু তো মানুষ ইতোমধ্যে নিজেরাই তৈরি করেছে, তাতেই প্রমান হয়ে যায়নি যে গড নেই। বড়জোর বন্যার মত বলা যে মানুষও ইশ্বরের সমান ক্ষমতাবান (কিছু দিক দিয়ে তো বটেই)।
তবে হ্যা, প্রান সৃষ্টি করা গেলে বিপদের পড়বেন সেইসব ধার্মিকরা যারা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসে আছেন যে গড ছাড়া প্রান সৃষ্টি মানুষের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় তারা।
আর ধর্মের দৃষ্টিতে বিজ্ঞান যাচাই করা পুরোই হাস্যকর। আমার ধর্ম বিষয়ক বিতর্কের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝতে পেরেছি যে ধর্মে কি আছে তার ব্যাখ্যার কোন ধরাবাধা মাথা মুন্ডু নেই। যার যেভাবে খুশী সেভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। আমিও বানর থেকে মানূষের বিবর্তন ধর্মগ্রন্থের কোন আয়াত শ্লোক থেকে রুপক টেকনোলজী ব্যাবহার করে ব্যাখ্যা দিয়ে দিতে পারব দরকার হলে।
আপনার উদাহরন দিয়েই দেখুন নাঃ
“ঈশ্বর যে আদমকে ডেকে পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল প্রানীর নাম শিখিয়েছিলো (দেখুন 2:31, কিংবা জেনেসিস ২:১৯) সেগুলোর কোন অর্থ থাকে না।”
– আমি এখন ধুর্ত দুদে উকিলের মতন কুটিল হাসি মেরে বলতে পারি যে; ওহে এই আয়াতে কি এমন কোন কথা গড বলেছেন যে তিনি ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আর কোন নুতন প্রজাতির প্রানী পাঠাবেন না বা অন্য এই প্রজাতিগুলি থেকেই অন্য প্রজাতি রুপান্তরিত করবেন না???
ফুয়াদ ভাই যেমন ধরে বসেছেন যে সমস্ত বস্তু সমস্ত মানেই পৃথিবীর সমস্ত প্রানীকুল এমন কথা নয়। আসলেই এ ধরনের তর্ক বিতর্কের কোন মানে নেই। ব্যাখ্যাকারী দরকার মতন যা ইচ্ছে ব্যাখ্যা দিতে পারেন।
এজন্যই আমি বলি যে ধর্ম ও বিজ্ঞানের তূলনা হল এক মাইলের সাথে এক ঘন্টার তুলনা করা।
কাজেই ধর্মের আয়াতের কি এলো গেল সে নিয়ে সময় নষ্ট করার কোন মানে নেই। তবে আইডি ওয়ালারা বিজ্ঞান চর্চায় বাধা দিতে চাইলে তাদের উপযুক্ত জবাবও দিতে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা, উনাদের কোর্টেই কেবল বল থাকে 🙂 কি আর করা। াগেই বলেছি – প্রাণের উদ্ভবের পেছনে বিরাজমান আদি নিয়ামকগুলোর কিছু ব্যাপার এখনও অজানা, অনেক কিছুই এই মুহূর্তে ব্যাখ্যাতীত, কিন্তু তা বলে এ নয় যে তার পেছনে ঈশ্বর নামক কোন কাল্পনিক সত্ত্বাকে আমাদের মেনে নিতে হবে। আজকের বিজ্ঞানীদের কাছে যা অজানা ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীরা তার সমাধান নিয়ে আসবেন, এবং তা তারা সমাধান করবেন বিজ্ঞানকে ব্যবহার করেই। এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদের জ্ঞান এগুচ্ছে। অনেকেই এ ব্যাপারটি বুজতে চান না। যখনই কোন রহস্য সমাধান করতে তারা ব্যর্থ হন, এর পেছনে ঈশ্বরের ভুমিকাকে কল্পনা করে নেন। যখনই আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের মধ্যে কোন ফাঁক ফোকর দেখতে পান, এর ভিতরে ঈশ্বরকে গুজে দিয়ে এর একটা সহজ সমাধান দিতে সচেষ্ট হন। এধরনের আর্গুমেন্টকে দর্শনের পরিভাষায় বলে ‘গড ইন গ্যাপস’। আগে একটা সময় ঝড় বৃষ্টি কিভাবে হয় সেটাও আমাদের জানা ছিলো না, কিংবা জানা ছিলো না এই পৃথিবীটা কি করে শূন্যে ঝুলে থাকে।তখন এগুলোকে ব্যাখ্যার জন্য ঈশ্বরেরে নানা কর্মচারী লেগেছিলো – মিখাইল ফেরেস্তা লেগেছিলো, কিংবা লেগেছিলো ইন্দ্রের কারসাজি, কিংবা ঈশ্বরকে এই পৃথিবীকে স্থাপন করতে হয়েছিলো গরুর শিং এর উপর।
এই গ্যাপগুলো ভরাট হয়ে গেছে বিজ্ঞানের সাহায্যেই – জলচক্র, মাধ্যাকর্ষণ সহ বিজ্ঞানের নানা আবিস্কারের পরে। খোদা এখন লুকিয়ে পড়েছে ‘বিজ্ঞানীরা কি ল্যাবরেটরীতে জীবকোষ তৈরী করতে পেরেছে’ অথবা ‘মানুষ কি মৃত্যুকে জয় করতে পেরেছে?’ অথবা ‘বিগ ব্যাং-এর আগে কি ছিল বিজ্ঞান কি তা ব্যাখ্যা করতে পারে?’ – এধরনের কিছু আপ্তবাক্যের ভিতরে। প্রাণের উৎসের গ্যাপটা কেউ কখনো ভরাট করলে করবেন বিজ্ঞানীরাই – এবং সেটি বিজ্ঞানকে ব্যবহার করেই। যতই বিজ্ঞান এগুচ্ছে, গ্যাপগুলো যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে সেটা বোধ করি না বললেও চলে। কাজেই তাদের কোর্টের যে বলটা একসময় বাস্কেটবল আকৃতির ছিলো, এখন বিজ্ঞানের গদাঘাতে চুমসে গিয়ে পিংপং বলে রূপ নিয়েছে। একটা সময় হয়তো পিংপংও ছেড়ে দিয়ে মার্বেল কুড়াতে হবে। তারপরেও আপনি ঠিকি বলেছেন, বল (তা যতই ছোট হোক না কেন) থাকে তাদের কোর্টেই, কি আর করা। 🙂
@অভিজিৎ,
🙂
“যখনই কোন রহস্য সমাধান করতে তারা ব্যর্থ হন, এর পেছনে ঈশ্বরের ভুমিকাকে কল্পনা করে নেন”
– ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। তারও বেশী। অন্যদিকে রহস্য সমাধান করতে পারলে কি ইশ্বরের ভূমিকাকে অস্বীকার করেন নাকি তারা? উহু। তখনো যেই লাউ সেই কদুই থাকবে। আমিই তখন বলব আল্লাহই দয়া করে তোমার উছিলায় এই অপার রহস্য জানিয়ে দিয়েছেন।
কাজেই বল সবসময় আমার আর ফুয়াদ ভাই এর কোর্টে। আমরাই খেলব, শুধু বাইরে বল প্রে গেলে আপনারা কুড়িরে দেবেন।
@আদিল মাহমুদ,
এরকম একটা হাবার মত কথা আমি কখন বলসিলাম একটু বলবেন কি? আপনি কি আমাকে কোট করলেন এখানে নাকি অন্য কাউকে?
@বন্যা আহমেদ,
এহ হে, বড় ভুল হয়ে গেছে। সকালে ব্যাস্ত ছিলাম, এক চোটে ফুয়াদ ভাই এর রিপ্লাই কে কি দিয়েছিলেন তা আগে পড়ে তারপর লিখতে বসেছিলাম দূঃখিত।
“হাবার” মত কথাটা আপনি বলেননি, বলেছিলেন আকাশ মালিক ভাই।
” আল্লাহ নেই তা প্রমান না হলেও, মানুষ যে আল্লাহ হতে পারে তা বোধ হয় প্রমান হয়ে যায়।” এইই ছিল ওনার সেই বানী। আশা করি এই বাণীর সাথে বিশেষনে উনি কিছু মনে করবেন না।
@আদিল মাহমুদ,
বন্যার কাঁধে বন্দুক রেখে শিকার করলেন বুঝি?
এ কথা বলে আপনি নিজেই ঘোষণা দিচ্ছেন, মানুষও ইশ্বরের সমান ক্ষমতাবান।
অথচ আমিও এ কথা বলিনি, বন্যাও বলেন নি।
একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে বাক্যটি অর্ধেক কেটে অর্ধেক উল্ল্যেখ করে কার স্বার্থ রক্ষা করলেন বুঝলাম না।
অভিজিত দা’কে উদ্দেশ্য করে লিখা আপনার সম্পূর্ণ মন্তব্যটা আরেকবার পড়ুন।
আপনার কথাগুলো কোনভাবেই প্রমাণ করেনা যে, আপনি আমার কোন উক্তি কোট করেছেন বা করতে চেয়েছিলেন।
মানুষও ইশ্বরের সমান ক্ষমতাবান রং মাখানো আপনার আবিষ্কার এই কথাটা শুনে বন্যার হাবা শব্দ ব্যবহারে আমার দুঃখ পাওয়ার কি আছে?
ভাল হয়, আমরা যদি অন্য দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিই। আমার বোধ বয়স বেড়ে গেল, আজকাল কথা একটু বেশীই বলছি মনে হয়, নাকি সঙ্গ গুণে জলে ভাসছি বুঝতে পারতেছিনা। শো’লের হেমা উরফে বসন্তির কাছ চুপ থাকার তাবিজ আনতে হবে।
@আকাশ মালিক,
বন্দুক আপনার ঘাড়েই রেখে শিকার করা উচিত ছিল সেটা আগেই বলেছি।
আপনি কি দয়া করে ব্যাখ্যা করবেন আপনার “মানুষ যে আল্লাহ হতে পারে তা বোধ হয় প্রমান হয়ে যায়।” এই কথা আর মানুষ ইশ্বরের সমান ক্ষমতাবান এই দুয়ের মাঝে অর্থগত পার্থক্য কতটা? এটা আগেই মেনেছি যে আমি পুরো বাক্য কোট করিনি, কেন করিনি তাও আগেই বলেছি। তবে অর্থগত দিক দিয়ে আমার ক্ষুদ্র বিবেচণায় মানুষ আল্লাহ হতে পারে আর মানুষ ইশ্বরের সমান ক্ষমতাবান এই দুয়ের মাঝে বিভেদ কতটা তা আমি এখনো বুঝতে পারছি না।
এর সাথে আমার শিক্ষা বা অর্ধ বাক্য কোট করে কারো স্বার্থ রক্ষার কি যোগ দেখলেন তাও এই পর্যায়ে রহস্যময়। আপনারাও যদি বলা শুরু করেন আস্তিকেরা সৌদী ইরানীদের পয়সা খেয়ে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সদা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তো যাই কোথায়।
মূল বিতর্ক ছিল কৃত্রিম উপায়ে প্রান সৃষ্টি করা নিয়ে। একজন নাস্তিক যদি সে পরিস্থিতিতে দাবী করেন যে প্রান সৃষ্টি করা গেলে ঈশ্বরের প্রয়োযনীয়তা ফুরিয়ে যায় এ আলোকেই এই প্রসংগ এসেছিল।
হতে পারে, মানুষ আল্লাহ হতে পারে এই কথার যথার্থ অর্থ আমি বুঝতে পারিনি। তবে আপনি তার ব্যখ্যা না দিয়ে খামোখাই মনে হয় পেচালেন।
@আদিল মাহমুদ,
আমি বলেছিলাম, চলুন আমাদের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে নিই। পাছে না একটি ফালতু কথা নিয়ে অন্য কেউ জড়িয়ে পড়েন। আপনি আমাকে ফিরিয়ে আনলেন, ব্যাখ্যাও চাইলেন।
কিছু বুঝা গেল? এটা একটি অসম্পূর্ণ অর্থহীন বাক্য। একজন বক্তার পূর্ববর্তি অন্য একটি বক্তব্যের রেশ ধরে পরবর্তি বক্তার সম্ভাব্য ধারণাকে টুইস্টিং করে পূর্ণ একটি সাক্ষী বা স্টেইটমেন্ট দাঁড় করেছেন এই বলে- আকাশ মালিক বলেছেন, মানুষ ইশ্বরের সমান ক্ষমতাবান।
উদাহরণটা দেখুন-
‘ক’ একজন নির্দোষ ব্যক্তি আপনাকে বললেন -‘মানুষ খুন করতে পারলে তো আমিও খুনী বা খুন করতে পারি প্রমান হয়ে যায়’।
তার এই কথা শুনে আপনি স্টেইটমেন্ট দিলেন- ‘ক’ বলেছেন তিনি একজন খুনী।
কেমন হলো ব্যাপারটা?
আমার ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করতে চাইলে, আর বন্যা আমাকে হাবা বলতে চাইলে, আমার মন্তব্যের উপরই করতে পারতেন।
তবে আপনি যে একজন দক্ষ শিকারী তাও আজ জেনে নিলাম।
আদিল ভাই, প্লীজ বাদ দিন। এমনিতেই এই প্রবন্ধে অপ্রাসংগীক অনেক কথা হয়ে গেছে।
@আকাশ মালিক,
দীর্ঘ দিন কারো কারো সাথে কথাবার্তা চালালে কখনো কখনো অজান্তেই হয়তবা ঘনিষ্টতা গড়ে ওঠে, যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সময় অসাবধানী বাক্য বেরিয়ে আসতে পারে।
কাল আসলে আমি অনেকটা মজা করার জন্যই ফুয়াদ ভাই এর সেই কমেন্ট দেখে লেখা শুরু করি। এক নজর পড়েছিলাম কে কি বলেন। কারো কথা কোট করে হুবহু কপি পেষ্ট করার মত সময় ছিল না। অচেনা কারো সাথে বাতচিত চালাতে হলে যেটা অতি অবশ্যই করতাম। মোটামুটি কে কি বলতে চেয়েছেন তা বুঝে সে হিসেবে ধমাধম দ্রুত লিখে ফেলেছি। ঐ নিয়ে এত জল ঘোলা হবে ঘুনাক্ষরে টের পেলে কি আর এই দূঃসাহস করি নাকি। টুইষ্টিং বা এই জাতীয় কোন জটিল মোটীভ আমার কোনভাবেই ছিল না। বন্যার হাবা শব্দটাও নিতান্তই মজা করার জন্যই কোট করেছিলাম। বুঝতে পারছি কাজটি উচিত হয়নি, তাতেই মনে হয় আপনি বিরক্ত হয়েছেন। এখানে তেমন ধরনের মজা প্রায়ই করি; আপনার সাথেও আগে করেছি বলেই মনে পড়ে।
আপনি যদিও আপনার সেই বাক্য যা নাকি আমি টূইষ্ট করেছি তার আসল ব্যাখ্যা কি দেননি, কিন্তু আর জানার প্রয়োযন মনে করছি না।
@আদিল মাহমুদ,
কথাটা কৌতুকও যদি হয়, তবু বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
যুক্তিটা হজম করতে পারছিনা। ধর্ম যদি বস্তু জগতের রহস্য নিয়ে কোন কথা বলতোনা, তাহলে আপনার যুক্তি ঠিকই ছিল। ধর্মগ্রন্থ যদি বলে বেহেস্ত খুটির উপর ভর করে আছে, তাতে কোন অসুবিধে নাই, কিন্তু যদি বলে পৃথিবী খুটির উপর ভর করে আছে, তাহলে সংঘাত এড়াবেন কিভাবে? একই বস্তুর পরস্পর বিরোধী দুটি ব্যখ্যার তুলনা করাকে, মাইলের সাথে ঘন্টার তুলনা, মনে করা আমি সঠিক মনে করিনা।
@আকাশ মালিক,
তার ব্যাখ্যা আমি এখানেও অভিজিতকে বলেছি। এ জাতীয় সমস্যা থেকে ধর্মগ্রন্থগুলিকে রক্ষার কবচ হিসেবে রূপকের ব্যাপক ব্যাবহার লক্ষ্য করার মতন।
উদাহরন দেইঃ
আকাশকে পৃথিবীর ছাঁদ কারো কাছে মনে হতে পারে চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক কথা, আবার একই বাক্য কারো কাছে মনে হতে পারে রূপক, যার শাব্দিক অর্থ ধরতে নেই। বিজ্ঞানের কোন তত্ত্ব নিয়ে কি এরকম রুপকের কথামালার খেলা চলে?
কিংবা ধরুন বহুল সমালোচিত জুলকারনাইনের পংকিল জলাশয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ায় চাক্ষুস সাক্ষ্য। কারো কাছে এটা প্রাচীন যুগের মানূষের কল্পনার শেষ সীমা, কারো কাছে এই বাক্যের শাব্দিক অর্থ ধরতে নেই, রুপক। যাবেন কই? ধর্মগ্রন্থ নিখুত বিজ্ঞানের গ্রন্থ এমন দাবী ধার্মিকেরাও করে না। ধর্মগ্রন্থে রুপক আরো অনেক বানী আয়াত আছে যেগুলির বিজ্ঞানের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, কিন্তু সেগুলি যে রূপক তাতে কোন সন্দেহ নেই। কাজেই তর্কের অবকাশ থেকেই যায়।
কোন বিজ্ঞানী কোন তত্ত্ব দিলে সেটা অন্য বিজ্ঞানীরা ভুল প্রমান করে দিতেই পারেন, তখন আবিষ্কারক বিজ্ঞানী কোনদিন বলতে পারেন না যে আমার সেই তত্ত্ব ছিল রুপক। ধর্মগ্রন্থ নিয়ে যেটা অনায়াসেই করা যায়। সে জন্যই বলেছিলাম যে ধর্মগ্রন্থের সাথে বিজ্ঞানের সংঘাত বা যোগ বের করতে যাওয়া নিতান্তই সময়ের অপচয়। ধর্মবাদীরা কোনদিনই কোন ভুল মেনে নেবেন না।
@আদিল মাহমুদ,
একমত।
প্রানের উতপত্তি শব্দটা প্রবন্ধে নেই, ফুয়াদ সাহেব নাজিল করেছেন।
এ জন্যেই তো গডের জানাজার দিন তারিখ ঠিক করতে দেরী হচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
আকাশ মালিক ভাইয়েরা যা-ই বলেন না কেন, মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রানী গবেষনা করে উত্পন্ন করতে পারলেও আল্লাহ নেই তা প্রমান হয় না। শুনেছি রাইবো নিউক্লিয় এসিড উতপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন না বোঝেই অনেকে ইভুলোশন তত্ত আল্লাহর অস্তিত্ত বাতিল করতে নিচের কমেন্ট গুলিতে ব্যাস্ত হয়ে গেছেন। যাইহোক, উদাহারন দিলে বুঝবেন কিভাবে হয় না। মনে করুন শক্র গ্রহে আল্লাহর প্রান সৃষ্টির ইচ্ছা হল। তিনি আদেশ দিলেন হও। তখন হঠাত করেই, একটি ধুমকেতুর যা পানি বিশিষ্ঠ এসে শুক্র গ্রহকে আঘাত করে তাকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দিল, একেবারে হেবিটেব্যাল জোনের কোন কক্ষপথে নিয়ে আসল। মনে করুন ঐ কক্ষপথে পৃথিবী নামে কোন গ্রহ নেই। ধরুন ধুমকেতুর প্রভাবে শুক্র গ্রহের মধ্যে প্রানের জন্য পর্যাপ্ত কার্বন, নাইট্রজেন, আয়রন, অক্সিজেন এবং পানি পাওয়া গেল, ভর বেড়ে মুটামুটি পৃথিবীর ভরের কাছা কাছি এল। তাহলে পৃথিবীর মত বায়ূমন্ডল তৈরি হবে, ধরুন পরস্পর ক্রিয়া বিক্রিয়ায় এবং প্রয়োজনীয় পরিবেশ পেয়ে এমাইনু এসিড তৈরি হল। তারপর আস্তে আস্তে জীবন উন্নত হয়ে প্রানী হয়ে গেল।
জীবনের সংজ্ঞা দেওয়া আছেঃ
এ রকম কিছু একটি হলেই হল। তাই আল্লাহ নেই, বলার কোন ক্ষমতা ইভুলোশন থিউরির নেই।
@আভিজিত দা,
ভুল ধারনা,
সমস্ত বস্তু কি পৃথিবীর সমস্ত বস্তু ? নাহ আপনি তা বলতে পারেন না।
খ্রিস্টান দের দিফেন্ড করা আমার দরকার নেই, তবুও করতেছি
চার্চ ফাদার অরিজিন(c185-c254) লিখেনঃ
@ফুয়াদ, হ্যা বিবর্তনবাদ আল্লাহ, গড বা দেবদেবী ব্রম্মা আছে কিনা তা নিয়ে কাজ করেনা। জীবের বিবর্তন নিয়ে কাজ করাই এর উদ্দেশ্য ( আসলে বিবর্তন জীবের উৎপত্তি নিয়েও কাজ করে না)। কিন্তু এর বাই প্রডাক্ট হিসেবে কিন্তু অনেক কিছু বেড়িয়ে আসে। যেমন ধরুন, বিবর্তনবাদ যে সৃষ্টিতত্ত্ব এবং ডিজাইন আর্গুমেন্ট কে বাতিল করে দেয় তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। প্রায় সব ধর্মগ্রন্থেই কোন না কোনভাবে বলা আছে যে কোন একটা শক্তি প্রতিটা প্রজাতিকে আলাদা আলাদা করে তৈরি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে. আব্রাহামিক ধর্মগুলো বলছে আদম হাওয়াকে সৃষ্টি করে ঈশ্বর এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। সৃষ্টিতত্ত্বের এই বেসিক ব্যাপারগুলো কিন্তু নাকচ হয়ে যাচ্ছে বিবর্তনবাদ দিয়ে। এখন যদি কেউ ধমর্গ্রন্থের এগুলোকে রূপক হিসেবে ধরে নিয়ে কোন ‘শক্তি’কে বিশ্বাস করতে চায় তাহলে কারও কিছু বলার নেই। আবার ওদিকে বিবর্তনতত্ত্ব পড়ে কে যদি মনে করে সৃষ্টিতত্ত্ব যেহেতু বাতিল হয়ে যায় তাই সে ধর্মগ্রন্থ বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে না তাহলে তার এই যৌক্তিক অবস্থানের বিরুদ্ধেও কিন্তু কিছু বলার নেই। বিবর্তনবাদ নাস্তিকতা নিয়ে গবেষণা করে না, কিন্তু এর দার্শনিক ‘বাই প্রডাক্ট’ হিসেবে কেউ একে আজকের প্রতিষ্ঠিত ধর্মগুলোকে নাকচ করতে ব্যবহার করতেই পারে।
আগেও অনেকবার বলেছি যে, আমি ব্যাক্তিগতভাবে ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করতে পছন্দ করি না, আমার কাছে এখন নয়, সেই ছোটবেলা থেকেই এটা একটা অপ্রয়োজনীয় বিষয়। যেমন ধরুন, আমি ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বইটা নাস্তিকতা প্রচারের জন্য লিখি নি, সমাজে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরির জন্য লিখেছি। কিন্তু এটা পড়ে যদি কেউ নাস্তিক হতে চায় তাহলে আমার কিছু বলার থাকে না। কিন্তু আবার আস্তিক থেকে যদি জীবন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী রাখতে চায় তাহলেও কিন্তু কিছু করার নেই।
@ফুয়াদ,
গবেষনা করে প্রাণী সৃষ্টি করতে পারলে, আল্লাহ নেই তা প্রমান না হলেও, মানুষ যে আল্লাহ হতে পারে তা বোধ হয় প্রমান হয়ে যায়।
তাই আল্লাহ নেই, বলার কোন ক্ষমতা ইভুলোশন থিউরির নেই।
এবার তাল গাছটা আপনাকে দিয়ে দিলাম। :guru: :guru: :guru:
@আকাশ মালিক,
আপনি যে কবে থেকে তাল গাছের ব্যাবসায় নামলেন, লাভ কেমন হয়? 🙂 🙂
আমি ঐ লেখাটি প্রান বা জীবনের সংজ্ঞা হিসাবে দিয়েছি। ইভুলোশনারী বায়োলজির মতে। এটা তো জানেন আল্লাহ পাক যা চান, তা হও বললেই, তা হয়ে যায়। 🙂 🙂
আল্লাহর কোন গবেষনা করার প্রয়োজন হয় না। আদিল ভাইকে লিখা পুরো উদাহারনটি পড়ুন।
@ফুয়াদ,
অক্কে অক্কে, আঁই মানি নিলাম যে বেবাক কিছুর উপ্রে একখান মামু আছে (ঈশ্বর)। BUT কিন্তু ফুয়াদ ভাই এত শিউর হইলেন ক্যান্নে যে খালি হেতানের আল্লাই আছে? এই মামুতো খিরিস্টানগো গড,হিন্দুগো ভগবান, প্যগানগো দেবতা অথবা এগুলানের কুনোটাই না হইয়া অন্য কেউও হইতারে !!?
ঈশ্বর নেই সেটা প্রমাণ করার কোন দরকার নেই। এই আকাইম্মা বস্তুটা থাকা অথবা নাথাকা তে কারো কিছু এসে যায় না। কিন্তু ধর্ম যে ভূয়া তা প্রমান করা তে অনেক কিছু এসে যায়। কারন ওই আকাইম্মা ঈশ্বর মানুষে বিভেদ করার সামর্থ রাখে না, কিন্তু এই ফালতু ধর্ম সেই কাজটাই করে। বিবর্তন ঈশ্বর নেই সেটা প্রমান করার জন্য আবিস্কার হয় নি। এটা বৈজ্ঞানিক সত্য হিসাবে আবিস্কৃত হয়েছে, যা আপনাদের ওই সব ঈশ্বরপ্রেরিত ধর্ম গ্রন্থের ভূল ধারনা ভেঙে দেয়।
অবশ্য আপনারা ভূল ধারনাটাকে ঘুরায়ে ফিরায়ে শিয়াল পন্ডিতের কুমিরের বাচ্চা দেখানোর মত দেখায়ে ঐটাকে শুদ্ধ প্রমান করতে চান। তবে আর বেশি দেরি নাই। আপনারাই কুমিরের বাচ্চাগুলাকে খেয়ে খেয়ে শেষ করে ফেলছেন (জোকার নায়েকের মত মানুষের কুযুক্তির মাধ্যমে)। শেষে আপনারা দেখানোর মত আর কিছু পাবেন না। তখন আবার নতুন ঈশ্বরের আমদানী করতে হবে, নতুন কোন এক ডিজিটাল নবীর দরকার পরবে।
[[এই ফাকে মডারেটরদের একটু বলে নেই। আমার পোস্টের কমেন্ট অপশনটা কিভাবে বন্ধ হয়ে আছে তা বুঝলাম না। অনেক চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারলাম না। যদি একটু ঠিক করে দেন!!]]
@তানভী,
হাস্যকর কথাবার্তা। এটাই প্রমানিত হল যখন যুক্তি থাকেনা তখন নাস্তিকরা বিশ্বাসীদের সাথে ঠাট্টা তামাশায় লিপ্ত হয়। তামাশা করতে থাকুন। সমস্যা নেই।
আল কোরান দূরের কথা বাইবেল কেও কিছু করতে পারেন না। উপরে আমার দেওয়া ফাদার অরিজিনের বক্তব্য পরে নিন। ভাবিয়েন না যে উনি বিবর্তন বাদ দেখে এই বক্তব্য দিয়েছেন। কারন উনি এই বক্তব্য খ্রিস্ট ধর্মের প্রথম দিকের ব্যাক্ষায় এই দিয়েছেন।
আপনার যুক্তি গুলি এ রকম (যুক্তি বিদ্যায় আমার জ্ঞান জ্বির কাছা কাছি, পড়াশুনা চলতেছে)
খেতের ধান গরু খেয়েছে কি ছাগলে খেয়েছে এই টাই প্রমানিত হয় নাই। ঐখানে গরু ধান খেয়েছে বলে অপবাদ দিয়ে গরুকে শাস্তি দিতে গেলেন। এই টাইপের কাজ।
@ফুয়াদ,
“আল কোরান দূরের কথা বাইবেল কেও কিছু করতে পারেন না।”
আপনার কথায় আস্তিক হিসেবে বেশ ভরসা পেলাম। বুঝতে পারলাম যে বিবর্তনবাদ সত্য হলেও অন্তত কোরান বা বাইবেলে বিশ্বাসীদের চিন্তিত হবার কোনই কারন নেই। আপনি কি দয়া করে এই কথা অন্য যায়গায় বলবেন যারা ধর্মীয় গোড়ামীর কারনে বিবর্তনের কথা শুনলেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন? কেউ কেউ আবার শয়তানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র এই বিবর্তনবাদ বলে ঘোষনা দেন?
কেনই বা তাহলে বিশ্বাসীরা বিবর্তনবাদের প্রতি এত খড়গহস্ত হন?
কেনই বা এক শ্রেনীর বিশ্বাসী জীববিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানীদের গবেষনাপত্র বাদ দিয়ে হারুন ইয়াহিয়ার বই নিয়ে লাফালাফি করেন?
“Since then, nearly all criticisms of evolution have come from religious sources, rather than from the scientific community.[4] Although most religions accept the occurrence of evolution, such as those advocating theistic evolution, some members still reject it in favor of creationism, the view that the God of Judaeo-Christian / Islamic mythology created the world largely in its current form.[5] The resultant creation-evolution controversy has been a focal point of recent conflict between religion and science.”
সূত্র
কোরান বাইবেলের কোন সমস্যা না হলে ধর্মওয়ালাদের এত তীব্র আপত্তি কিসের?
@আদিল মাহমুদ,
আমি কিছু লেখার চিন্তা করতেছি এ নিয়ে, সময় করে নেই। কিন্তু প্রশ্ন না করলে উত্তর আসবে কোথা থেকে। তাই বিজ্ঞান স্থির থাকুক তা আমি চাই না। অতএব, প্রশ্ন থকুক তা যে কোন ধরনের হওক না কেন। এর থেকে অবশ্য-ই কোন না কোন ভাল বেরিয়ে আসবে। এই যে ইভুলোশন থিউরির এত উন্নতি হয়েছে, এতে কি ইভুলোশন বিরোধীদের কোন অবদান নেই। ভাল করে চিন্তা করুন। তারা বিরুধীতা করে বলেই, নিত্য নুতুন প্রমান সংগ্রহ করতে বিজ্ঞানীরা সচেষ্ট হয়েছেন। এতে শুধু থিউরি না, প্রানী জগত কে আরো ভাল ভাবে বুঝতে সহায়তা করতেছে। তারপর, বিরুধীদের প্রানীর বৈশিষ্ট নিয়ে ভাবনা, প্রানী বা উদ্ভিতকে আরো দাড়ুন ভাবে বুঝতে সহায়তা করেছে। উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক গবেষনা থেকে আরো গভীর কিছু বেরিয়ে আসতে পারে। হয়ত নুতুন কোন থিউরি, হয়তবা থিউরির সংশোধন, হয়তাবা থিউরির উন্নয়ন, অথবা থিউরির নুতুন ব্যাবহার, অথবা থিউরির সপক্ষে আরো অনেক নুতুন প্রমান।
একটি সংবাদ শুনাই,
আমার নিকট কিছু বিজ্ঞানীর হাইপোথিসিস আছে, যা নিয়ে লেখার ইচ্ছা। ইনশি-আল্লাহ লিখব।
@ফুয়াদ,
ধর্ম গ্রন্থে কি বলা হয়েছে? বলা হয়েছে এডাম এন্ড ইভ বা আদম আর হাওয়াকে গড বা আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন। তাই নয় কি? আর বিবর্তন তত্ত্ব কি প্রমাণ করেছে? করেছে মানুষও অন্যান্য প্রজাতির মতোই একটি প্রজাতি যা প্রকৃতিক কারণে প্রকৃতি থেকেই উৎপত্তি হয়েছে। এ কি দুই বিপরীত কথা হলো না। তাহলে কোনটা ঠিক? এই প্রশ্ন কি তৈরী করে না?
ভাই ফুয়াদ আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এখন কাজের কাজটা কি তা যদি একটু বিশদভাবে বুঝিয়ে বলেন, তো ভাল হয়, আমি ভাই একটু বোকা টাইপের মানুষ।
মি: লুইস পড়ে আপনি মনে হয় আপনিও লুইসের মতোই আপনার অবস্থান কোথায় বুঝতে পারছেন না। আপনি আপনার নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করুন।
আমার অবস্থান নিরীশ্বরবাদীদের দলে, আমি নিজেকে নাস্তিক বলি না বলি আস্তিক কারণ আমার অবস্থান অস্তিত্বের অস্তিত্বে বিশ্বাসীদের দলে। কারণ আমি মনে করি অস্তিত্বহীণের অস্তিত্বে যারা বিশ্বাস করে তারা ই না নাস্তিক। শুধু আল্লাহ গড বা ইশ্বর কেন আমি কোরানে বর্নিত জ্বীন, আত্মা, বেহেস্ত, দোযখ জাতীয় অমন অলৌকিক কিছুতেই বিশ্বাস করি না। বলতে পারেন বস্তুবাদী।
@আব্দুল হক,
চমৎকার বলেছেন। :yes:
@আব্দুল হক,
হুম্ম :-/ :-/ :-/ । কিন্তু ঘটনা ভিন্ন, আল্লাহর বর্নিত ঘটনা যা পৃথিবী বা এই জগতের বাহিরে ঘটেছিল তার সাথে পৃথিবীতে কি ঘটছিল তার মিল কিভাবে পাইলেন, বুঝলাম না। বিবর্তনবাদ তো পৃথিবী বা এই জগতে কি ঘটেছে তার বর্ননা দেয়, নাকি পৃথিবী বা এর বাহিরের জগতে কি ঘটে তার বর্ননা দেয়। ধর্ম গ্রন্থে কি বলা হয়েছে, তা আগে ক্লিয়ার হয়ে নেন 🙂 ।
@ফুয়াদ,
শুনেন ভাই, বিবর্তন তত্ব তেমন কিছুই করে নাই, যাস্ট একটা কাজই করেছে। আর সেটা হচ্ছে,
আপনাদের মত আশরাফুল মখলুকাতের মার্কা মারা এজেন্টদের কান ধরে শ্রেষ্ঠ থেকে সাধারনের লেভেলে নামিয়ে এনেছে। মানুষ যে কত বড় বোকাই আর ভোদাই ,তা প্রমান করাতেই বিবর্তনবাদের সার্থকতা। আপনারা সৃস্টির সেরা জীব! আর কেউ ধারে কচছে নাই! এই ফালতু ধারনা কাচের দেয়ালের মত ভেঙে দেয়াতেই বিবর্তন তত্ত্বের সার্থকতা।
ধর্ম গ্রন্থ হচ্ছে তামাশার আকর। এর এক পৃষ্ঠায় যে কথা লেখা থাকে, তার কয়েক পৃষ্ঠা পরে সেইটা বাদ দিয়া আবার নতুন ঝামেলা পাকায়। আর আজকে একজন এক কথা শুনালে ,কালকে আরেকজন আইসা কয় তিনার টা ভূল ছিল আমার টা ঠিক~!!! তবলীগে ডাইন কইলে, আরেক পার্টি বামে কয়!! আপনি এককথা কইলে,আইভি আপা আইসা আরেক কথা কয়!! আজিব দুনিয়া!!
আপনারাই আপনাদের চুল ধইরা টানাটানি করেন, আমরা তো দ্বিধায় পইরা যাই!!!
@তানভী,
তাই নাকি? আমি তো জানতাম বিবর্তন বাদ এটাই প্রমান করে প্রানীরা আমাদের নিকটতম। সব প্রানীয় আত্মীয়। কিন্তু এটা জানতাম না, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এই কথা কাচের দেওয়ালের মত ভেংগে দেয়। হাসির বিষয়। আফসুস, বান্দর আর শিম্পাঞ্জি মানুষের চাচাত আর ফুফাতো ভাই হয়েও বিবর্তন বাদের ব ও চিনে না। :laugh: :laugh: :laugh: :laugh: :laugh:
@ফুয়াদ,
ভাইরে আপনার আমার মত মানুষই যেখানে বিবর্তনের “ব” ও জানেনা সেইখানে আপনি কিভাবে আশা করেন যে ঐ হনুমান শিম্পাঞ্জিরা বিবর্তন জানবে? আমি আপনারে বুঝতে পারি নাহ!
আপনি খালি নিজের দিকে তাকায়া থাকেন! ইকটু দূরেও তাকান! আফ্রিকার জঙ্গল, আমাজনের জঙ্গলে এমন সব মানুষও আছে যারা প্লেন যাইতে দেখলে মনে করে দেবতা আসতেসে! সাদা মানুষ দেখলে ভাবে আকাশ থেকে নাইমা আসছে! তাদের জীবন আর শিম্পাঞ্জীদের জীবনের পার্থক্য কতদূর? তারা তো আপনের আপন ভাই, কই তারাও তো বিবর্তন চিনে না!!
আর ফাদার অফ অরিজিনের অই কথা তো আবার ইব্রাহিমের কথাই মনে করায়া দেয়। আর দিন রাত না হলেই বা কি আসে যায়? এখন দিন রাত হচ্ছে বলে সব ঘটনা যেভাবে ঘটছে,তখন দিন রাত না থাকলে ঘটনা অন্য ভাবে ঘটত।
যেমন ধরেন বিজ্ঞানের যুগে আমরা ইলেক্ট্রিসিটি পেয়ে অভ্যস্ত। আমেরিকার কথাই ধরুন,যেখানে ইলেক্ট্রিসিটি কখনোই যায় না। এখন সেখানেও যদি হঠাৎ একেবারের জন্য ইলেক্ট্রিসিটি চলে যায় যে তা আর আসবে না, এরকম হলে কি হতো? মানুষ সব কি মরে যেত? নিশ্চই না। মানুষ তখন অন্য রাস্তা খুঁজে নিতো।
এটাকেই যদি আপনি মহাবিশ্বের দৃষ্টিতে দেখেন তাহলে দেখবেন পথের কোন অভাব নাই, যত পথ তত মত। দিন রাত না হলে কি হতো? বেশি হলে মানুষ সৃস্টি হতো না। তখন অন্যকোন ভাবে অন্য কোন প্রাণী সৃষ্টি হতো
এটাইতো পার্থক্য। এটাকে যদি আপনি নিয়ম বলেন, তাইলে বলতে হয় অনিয়মটাই আসলে নিয়ম।
আমি জানি এর পর আপনি বলবেন তাইলে অন্য গ্রহে প্রাণ নাই কেন? সেই প্রশ্নতো আমি আপনার ঈশ্বরকেও করতে পারি? আর আমাদের কাছে পিঠে কোথাও প্রাণ না থাকার মানে এইনা যে অন্য কোথাও কোন প্রাণ নেই। মহাবিশ্বের এই ক্ষুদ্র বালুকণার উপর বসে আমাদের দৌড় আর কতটুকুই বা! সময় হোক সব জানা যাবে(হয়তো আমরা থাকবো না)।
আর আমি আপনের সাথে ঝগড়া করার যোগ্য না। আমার এখনো বয়স হয় নাই! আমি অল্পতেই রেগে যাই, অল্পতেই বিরক্ত হয়ে যাই আর অল্পতেই হাপায়ে যাই! আপনার মত ধৈর্য আমার নাই!!
আপনার ধৈর্যের জন্য অন্তত আপনাকে একটা থ্যঙ্কু দেয়া দরকার! আমি আপনাকে দেখেই আরো উৎসাহ পাই। :rose:
সম্ভবত মুক্তমনায় আপনার প্রথম লেখা। মুক্তমনায় স্বাগতম এবং ধন্যবাদ একটি সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্যে। :rose: :rose: :rose:
সত্যি!
এরপর তো আর বলতে পারিনা- নাস্তিকতাও এক প্রকার বিশ্বাস। :guru:
@আকাশ মালিক,
এমন উৎসাহ পেলে ভুলবাল লেখা লিখতেও উৎসাহ লাগে।
আসলে তা কি ঘটছে?
দেশে গিয়ে তো শুনলাম একটা প্রমোশনও বিভাগীয় মন্ত্রীকে টাকা না দিলে হয়না!
ওনারাই আমাদের সমাজের সম্মানিত রুই,কাতলা।যাদের জন্য আমাদের এই অবস্থা!
আমাদের বড় মাছেরাই চুনোপুটিঁদের গিলে খাচ্ছে প্রতিদিন!
আসলে নিজের পুকুরের মাছকে সামলান দরকার আগে, বিশাল আটলান্টিকের তিমি সামলানোর আগে!
আমার মনে হয়, শিক্ষা,শিক্ষা,শিক্ষাই এর পূর্বসর্ত!
@লাইজু নাহার, শিক্ষার দরকার অবশ্যই, তবে কোন ধরেনর শিক্ষা এ প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। মাদ্রাসার অদ্ভূত শিক্ষার কথা না হয় বাদই দিলাম। অমাদের বাংলা ইংরাজী মাধ্যমের অবস্থা কী, এখানকার সবচেয়ে মেধাবীরাও বড়েজার একটা বড় কোম্পানীর লুটপাটের সহায়ক নাট বল্টু হওয়ার স্বপ্ন দেখে, এর বেশী কিছু নয়। পুরো সিস্টেমের খোলনলচে ধরেই টান দিতে হবে। ধন্যবাদ
গিলার ক্ষমতাই তো নেই তাই হয়তো এক পুটি অন্য পুটিকে গিলছে না। এ ক্ষমতা তাদের থাকলে বোঝা যেত। 🙂
আমরা অন্য দশটা প্রাণীর মত হতে চাই না। প্রকৃতির ক্রীড়ানক হওয়া বা প্রকৃতিকে অনুকরণ করা নয়, প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আমাদের স্বার্থে। আর আমাদের মানবিক হতে হবে নিজেদের প্রয়োজনেই।
কিন্তু সমস্যা হলো মানুষ তো আর বসে থাকার ‘আমি আল্লাহর সৃষ্টি, ভগবানের বা গডের’ তা বলে না এবং এটা বললে একশনে যেতেই হয় কারণ বলার সাথে সাথে অনেক দায়িত্ব মাথার উপর চেপে বসে।
সুন্দর বলেছেন, আপনার লেখার অপেক্ষায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :rose: