বিবর্তনকে উদ্দেশ্য করে সৃষ্টিবাদীদের করা সবচেয়ে প্রচারিত সন্দেহ, বিবর্তন শুধুই একটি তত্ত্ব, এর কোনও বাস্তবতা নেই। সত্যিই কি তাই? বিজ্ঞানীরা বাস্তবে ঘটেনা, এমন কোনও কিছু নিয়ে কখনও তত্ত্ব প্রদান করেন না। কোন পর্যবেক্ষণ যখন বারংবার বিভিন্নভাবে প্রমানিত হয় তখন তাকে আমরা বাস্তবতা বা সত্য (fact) বলে ধরে নেই।
প্রাণের বিবর্তন ঘটছে। প্রতিটি প্রজাতি স্বতন্ত্রভাবে সৃষ্টি করা হয়নি, বরঞ্চ প্রাণের উদ্ভবের পর থেকে প্রতি নিয়ত পরিবেশের বিভিন্ন প্রভাবের কারণে এক প্রজাতি বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এইপরা রাতে ঘুমালো, সকালে উঠে দেখলো তারা সবাই হোমোসেপিয়েন্স এ রুপান্তরিত হয়ে গেছে- এমন না, এটি লক্ষ বছরে পরিবেশে টিকে থাকার জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তনের ফসল। প্রজাতি এক রূপ থেকে আরেক রূপে বিবর্তিত হতে পারেনা, এটা এই যুগে এসে মনে করাটা পাপ, যখন দেখা যায়, চৈনিকরা যোগাযোগ খরচ বাচানোর জন্য গোল, গোল তরমুজকে চারকোণা করে ফেলেছে। কবুতর, কুকুরের ব্রিডিং সম্পর্কেও আমরা সবাই অবগত। মাত্র কয়েক প্রজন্মেই এক প্রজাতির কুকুর থেকে আরেক প্রজাতির উদ্ভব হয়, সেখানে পরিবেশ পেয়েছে লক্ষ- কোটি বছর। বিবর্তনের যে বাস্তব এই প্রমান দেখতে আগ্রহীদের জন্য ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যানেলের নির্মিত প্রামান্য চিত্র ‘ওয়াজ ডারউইন রং’, চ্যনেল ফোরের ‘জিনিয়াস অফ চার্লস ডারউইন’, অক্সফোর্ড প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্সের ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ (২০০৯) বইটি সহায়ক হতে পারে।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, বিবর্তন ঘটে। পাহাড় সমান প্রমান, ফসিল, ডিএনএ -র আবিষ্কার প্রমান করে, এটা বাস্তব। আমরা জানি, পর্যবেক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে ব্যাখ্যা করার জন্যই প্রয়োজন হয় বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের। যেমনঃ গাছ থেকে আপেল পড়ে, এটি একটি বাস্তবতা, একে ব্যাখ্যা করা হয় নিউটনের মহার্কষ তত্ত্ব দ্বারা। তত্ত্ব কোনও সাধারণ বাক্য নয়, বাস্তবতার ব্যখ্যা করার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রথমে একটি হাইপোথিসিস বা অনুমিত তত্ত্ব দাঁড় করান। পরবর্তীতে এই অনুমিত তত্ত্বকে পর্যবেক্ষণ লব্ধ জ্ঞান, অন্যান্য বৈজ্ঞানিক সূত্রের মাধ্যমে আঘাত করা হয়। যদি সকল আঘাত থেকে যুক্তিযুক্ত ভাবে একটি অনুমিত তত্ত্ব বেঁচে ফিরতে পারে এবং যখন প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ প্রমান একে সমর্থন করে তখন একে একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব উপাধি দেওয়া হয়। বিবর্তনকে যে তত্ত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়, তার নাম ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব’।
প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব নিয়ে ডারউইন একদিকে যেমন নিঃসংশয় ছিলেন অপরদিকে ছিলেন দ্বিধাগ্রন্থ। কারণ লক্ষ- কোটি প্রজাতির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট একটি প্রজাতির এই তত্ত্বের বাইরে উদ্ভব হওয়া এই তত্ত্বকে বাতিল করে দিতে যথেষ্ট। দীর্ঘ বিশ বছর বিভিন্ন প্রমাণ সংগ্রহের পর একটি বিশেষ ঘটনার কারণে ডারউইন ১৮৫৮ সালে তত্ত্বটি প্রকাশ করেন। তারপর থেকেই বিবর্তনবাদ বিজ্ঞানীদের ছুরির নীচে। গত দেড়শ বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে বিবর্তন তত্ত্বকে পরীক্ষা করা হয়েছে, এটি কখনওই ভুল প্রমানিত হয়নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রতিটা নতুন ফসিল আবিষ্কার বিবর্তন তত্ত্বের জন্য একটি পরীক্ষা। একটি ফসিলও যদি বিবর্তনের ধারার বাইরে পাওয়া যায় সেই মাত্র তত্ত্বটি ভুল বলে প্রমানিত হবে। একবার বিজ্ঞানী জেবি এস হালডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কিভাবে বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করা যায়? উত্তরে হালডেন বলেছিলেন,
কেউ যদি প্রক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে পায়।
বলা বাহুল্য এ ধরনের কোন ফসিলই এ পর্যন্ত আবিস্কৃত হয় নি। না হওয়ারই কথা, কারণ বিজ্ঞানীরা বিবর্তনের যে ধারাটি আমাদের দিয়েছেন তা হল :
মাছ –> উভচর –> সরীসৃপ –> স্তন্যপায়ী প্রানী।
খরগোশ যেহেতু একটি পুরোপুরি স্তন্যপায়ী প্রাণী, সেহেতু সেটি বিবর্তিত হয়েছে অনেক পরে এবং বিভিন্ন ধাপে (মাছ থেকে উভচর, উভচর থেকে সরিসৃপ এবং সরিসৃপ থেকে শেষ পর্যন্ত খরগোশ), তাই এতে সময় লেগেছে বিস্তর। প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল পাওয়ার কথা নয়, কারণ বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী এ সময় (প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে) থাকার কথা কতকগুলো আদিম সরল প্রাণ – যেমন নিলাভ সবুজ শৈবাল, সায়নোব্যকটেরিয়া ইত্যাদি (ফসিল রেকর্ডও তাই বলছে)। আর স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছে ট্রায়োসিক যুগে (প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগ শেষ হওয়ার ৩০ কোটি বছর পরে)। কাজেই কেউ সেই প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে পেলে তা সাথে সাথেই বিবর্তনতত্ত্বকে নস্যাৎ করার জন্য যথেষ্ট হত।
তত্ত্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য থাকে, এর মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যত আবিষ্কার সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারি। বিবর্তন তত্ত্ব সুচারুভাবে এই দায়িত্ব পালন করে। যেমন, আধুনিক পিঁপড়াদের পূর্বপুরুষের ফসিল কোথা থেকে পাওয়া যাবে সেইটা বিবর্তন তত্ত্ব দিয়ে বের করে সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। এছাড়াও তত্ত্বের গুরুত্বপূর্ন সকল ভবিষ্যতবাণীর তালিকা পাওয়া যাবে এখনে- http://tinyurl.com/4bh3n
আবার আসা যাক, নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বে। আগেই বলেছি, বর্তমান পর্যন্ত সকল আহোরিত জ্ঞান দিয়ে আঘাত করার মাধ্যমে একটি অনুমিত তত্ত্বকে তত্ত্বের মর্যাদা দান করা যায়। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গাছ থেকে আপেল পড়া বাস্তবতাটিকে ব্যাখ্যায় নিউটনের তত্ত্বই সঠিক ফলাফল দিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে আবিষ্কৃত বিশেষ কিছু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেল, নিউটনের তত্ত্ব সঠিক ফলাফল দিতে পারছেনা, যা পারছে আইনস্টানের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব। সুতরাং এখন আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বই গ্রহণযোগ্য। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন, গাছ থেকে আপেল পড়ার ব্যাখ্যা যাই দিয়েই দেওয়া হোকনা কেন, আপেল পড়া কিন্তু থেমে যায়নি। বিবর্তনও তাই। পাহাড় সমান প্রমানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা শতভাগ নিশ্চিত যে, পৃথিবীর সকল প্রজাতিত উদ্ভব বিবর্তনের মাধ্যমে হয়েছে। এটি সূর্য পৃথিবী চারদিকে ঘোরে, গাছ থেকে আপেল পড়ার মতোই বাস্তবতা। এই বাস্তবতাটি ডারউইনের তত্ত্ব দিয়ে এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে ব্যাখ্যা যাচ্ছে, ভবিষ্যতের কোনও পরিস্থিতিতে ডারউইনের তত্ত্ব যদি সঠিক ফলাফল দিতে অপারগ হয় তাহলে আমরা আরও সঠিক কোনও ব্যাখ্যার সন্ধান পাবো, কিন্তু গাছ থেকে আপেল পড়ছিল, পড়ছে এবং পড়তে থাকবে, বিবর্তনও হয়েছিল, হচ্ছে, হতেই থাকবে।
বিঃদ্রঃ সমকালের জন্য লেখা। শব্দসংখ্যা বেধে দেওয়া হয়েছে ৫০০ অথচ দুইবার, দুইভাবে লেখার পর দাঁড়ালো ৭৬৮ তে। বন্যা আহমেদের ফাঁসি চাই। তাকে বাঁচাইতে চাইলে লেখাটির সম্পর্কে আপনার মতামত জানান। কোথায় বাড়তি কাপড় কেটে ফেলার অবকাশ আছে তাও।
৩০ কোটি কেন ৩০০ কোটিই দেই না হয়। দেখেন এখানে,
http://www.fossilmuseum.net/Tree_of_Life/Stromatolites.htm
৩০ কোটি কিন্তু ভূতাত্ত্বিক হিসেবে খুব বেশী সময় নয়, তখন তো আদিকোষী->ইউক্যারিয়ট->মেরুদন্ডী প্রানী, মাছ->উভচর পেরিয়ে সরীসৃপের বিবর্তন ঘটে গেছে। এর তো ভুরিভুরি ফসিল আছে। বিবর্তনের পথ ধরে বইটার ৭ নম্বর চ্যাপ্টারে ইচ্ছা করলে বিবর্তনের ধাপগুলো দেখে নিতে পারেন।
@বন্যা আহমেদ,
বাপ রে!
আমার ধারনাই ছিল না এত আগের ফসিল ট্রেস করা সম্ভব বলে। বড়জোর লাখ কয়েক হয়ত পারা যায় এমন ধারনা ছিল।
এই ডেটিং কি কার্বন ১৪ দিয়ে করা হয়? নাকি অন্য কোন উন্নত প্রসেস ও আছে?
@আদিল মাহমুদ,
কার্বন-১৪ ছাড়াও অনেক প্রসেস আছে। কার্বন-১৪ দিয়ে মোটামুটি ৫০,০০০ হাজার বছর পুরানো ফসিলের বয়স নির্ধারণ করা যায়। তবে অনেক ফসিলের ক্ষেত্রেই কার্বন-১৪ প্রসেস কাজ করেনা কারণ ফসিলে কার্বনের পরিমাণ থাকে খুব কম। ৫০০০০ বছরের পুরানো ফসিলের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফসিল শিলার যে স্তরে পাওয়া গেছে সে শিলার বয়স নির্ধারণ করা হয়। বয়স নির্ণয়ের আরও কয়েকটি উপায় হলো ইউরেনিয়াম ডেটিং, পটাসিয়াম ডেটিং, রুবিডিয়াম ডেটিং ইত্যাদি। বিস্তারিত জানতে দেখুন:
http://www.encyclopedia.com/doc/1G2-3468302088.html
http://en.wikipedia.org/wiki/Radiometric_dating
মুক্তমনাতে radiometric dating নিয়ে কোনো লেখা আছে কি? এটা খুব দরকার।
@রামগড়ুড়ের ছানা, কি যে করি। ‘আমার নিজের লেখা বইটা আপনারা এখনই পড়েন’ বলে আর ভ্যানর ভ্যানর করতে আর কত ভালো লাগতে পারে কিন্তু এত কষ্ট করে বইটা লেখার পড়ে আবার ওইগুলা নিয়ে লিখতেও মঞ্চায় না। এমনি লিখতে আমার খুব কষ্ট হয়, তার উপর আবার একই জিনিষ বারবার লেখা। যা হোক, আবারও বিনবিন করে ( স্নিগ্ধা তুই এই শব্দটার জন্য ইতিহাসের পাতায় স্মরনীয় হয়ে থাকবি!) করে বলি… এ নিয়ে একটা মহাভারত লিখেছিলাম বিবর্তনের পথ ধরে বইটার সপ্তম অধ্যায়ে, কষ্ট করে পড়ে নিবেন নাকি একবার? পড়তে যাদের কষ্ট লাগে, কিন্তু আবার এ বিষয়ে জানতেও চান, তারা ইচ্ছা করলে শেষের কয়েক পৃষ্টা পড়তে পারেন চ্যাপ্টারটা থেকে।
বন্যাদি ধ্যাত কি লিংক দিলেন? আপনার লিংকে ক্লিক করলে একগাদা বিজ্ঞাপন আসতেসে, এটা কি নতুন কোনো ষড়যন্ত্র? যাই হোক আপনার বই আমি বেশ কিছুদিন আগে খুটিয়ে পড়ে ফেলেছি, আমি আবার বায়োলজী খুব খুব ভয় পাই কিন্তু আপনার বইটা মোটামুটি বুঝতে পেরেছি 🙂
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এখানে সঠিক লিঙ্ক আছে –
বিবর্তনের পথ ধরে।
আর রেডিও এক্টিভ ডেটিং আছে এই চ্যাপ্টারে।
আমি হইতেছি বন্যা ম্যাডামের অলিখিত সেক্রেটারী। কোন সমস্যা হইলে আমারে বলবেন। ম্যাডাম খুব বড় লেখক, প্রায়ই মিটিং ফিটিং নিয়ে বিজি থাকেন। ঠিকমত লিঙ্ক দেওয়া ম্যাডামের না, তার সেক্রেটারীর কাজ। তাই ম্যাডামের হুকুমে আপনার খেদমতে আমি আছি আপাততঃ 🙂
ধন্যবাদ অভিজিৎদা। আপনি আর বন্যাদি কেও যদি আমাকে আর একবার “আপনি” করে বলে তাহলে :guli: :guli: :guli:
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ধণ্যবাদ। এটাই জানতে চাচ্ছিলাম, আমি নিজেও জানতাম যে কার্বন ১৪ দিয়ে কোটি কোটি বছরের পুরনো ফসিল ডেটিং করা যাবে না। তাই কৌতূহলী হয়েছিলাম।
বাকি প্রসেসগুলো জানা ছিল না।
বন্যা,
আপনার বই আসলেই আমি এ পর্যন্ত পড়িনি, পড়েছি তেমন দাবী মনে হয় না কখনো করেছি। তবে পড়া দরকার মনে হচ্ছে। দূঃখ পাবেন না, বইটা কালার প্রিন্ট করে বাড়ি এনেছি বেশ কদিন আগে, তবে সময় নিয়ে পড়ব বলে আর পড়া শুরু করাই হচ্ছে না। শর্টকাট উপায় থাকতে কষ্ট করতে কার মন চায় বলেন।
@আদিল মাহমুদ, দুঃখ পাইলো কেডা? তয় একি জিনিষ নিয়া বারবার লিখতে কইলে যারপর নাই কষ্ট পাই, এই যা। লিখতে আমার বড়ই কষ্ট হয়, আর একবার যা লিখসি তা আবার লিখার আগে একবার আত্মহত্যা কইরা নিতে মঞ্চায়।
@বন্যা আহমেদ, আপনি বই লেইখ্যা কি কোন অপরাধ করছেন যে আপ্নারে আবার লাইভ ফোন ইন অনুষ্ঠানে এইসব কুশ্চেনের জবাব দিতে হইব?
@বন্যা আহমেদ,
এবার মনে হয় কিছুটা দূঃখ পাবেন। খুজতে গিয়ে দেখলাম বেশ কটা পেজ আমাদের কুকুরে তার অবসর বিনোদনের উপকরন হিসেবে আচ্ছাসে চাবিয়েছে।
তবে মন্দের ভাল হল পড়া যায়, আর কুকুরেরও বিবর্তনে আগ্রহ আছে সেটাও নেহায়েত কম পাওয়া নয়।
@আদিল মাহমুদ, এই অপমান সইব না।সৃষ্টিবাদীদের লুকিয়ে থাকা এজেন্ট আদিল মাহ্মুদ ও তার প্রভুভক্ত কুকুরের আইপিসহ ব্যান চাই।
@পথিক, সহমত প্রকাশ করছি। আলুবাদী+ সৃষ্টিবাদি কেও মুক্তমনাতে আসবে তা মানি না, মানবো না
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আশা করি এই উক্তি অন্য কারো প্রতি। কারন আমি আলুবাদী নই, আলুপুরিপন্থী বলা যায়। দুটোয় আকাশ পাতাল পার্থক্য। অতএব, এর বেশী কিছু আর আপাতত বললাম না।
@পথিক,
প্রতিক্রিয়াশীল চক্র একেই বলে।
যেখানে কোটি কোটি মানুষে বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করছে না সেখানে একটি কুকুরকে পর্যন্ত ই তত্ত্বে সফলভাবে আগ্রহী করে ফেলেছি সেটা বড় হল না? সে এমন কি অন্যায় করেছে? আমরা বলি না বই ভাজা ভাজা করে খেয়েছি, কিন্তু কেউ করে দেখাই না। সে বেচারী সেটা আক্ষরিকভাবেই করে দেখিয়েছে। নিজেরা যেটা পারেননি সেটা অবোধ প্রানী করে দেখিয়ে দিয়েছে।
নিজেদের আবার মুক্তমণা বলে দাবী করেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত।
@আদিল মাহমুদ, এই শর্টকাট উপায়গুলা বন্ধ করে দেওয়ার জোর দাবী জানাই। তাহলেই হয়তো আদিল ভাই নিজের হোমওয়ার্ক করতে আগ্রহী হবেন।
@রাহাত খান,
খ্যাক খ্যাক।
তাহলে তো ফোরামই বন্ধ করে দিতে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার কুকুরটার জন্য :rose2:
@সৈকত চৌধুরী,
যথাস্থানে ফুল পৌছে দেওয়া হল। তবে সে থ্যংকুর সাথে বলেছে যে হাড্ডির ইমো থাকলে ভাল হত। হাজার হোক কুকুর মানুষ, ফুল দিয়ে সে কি আর কি করবে।
প্রিক্যাম্বিয়ান যুগের সম্ভাব্য খরগোশের ফসিলের প্রসংগে একটি কথা মনে এলো।
এ পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পুরনো ফসিলের বয়স কত?
৩০ কোটি বছর আগের ফসিল কি পাওয়া সম্ভব?
লেনস্কি এক্সপেরিমেন্ট এর রিভিউ।অই মত কাটছাট করব।
দারূণ! দারূণ!! এত্ত দিনে পড়ার মত একটা লেখা পাইছি।
একটি মাত্র দিদি আমার। মতামত না দিয়ে কি পারি। তারে বাঁচাতে আর কিছু করা লাগলে বলবা।
@সৈকত চৌধুরী, ইয়াহু মেসেঞ্জারে এখন আসতে পারবেন?আলাপ করি?
@সৈকত চৌধুরী, তুমি মনে হয় একমাত্র মানুষ এই ব্লগে যার আমার প্রতি কিছু হলেও সহানুভূতি আছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে!
@বন্যা আহমেদ, আপা প্রেস্ক্রিপশন তো দিলেন না।
@পথিক, এটা কি ফাজলামী, নাকি সত্যিকারের প্রশ্ন? বুঝি নাই কিন্তু 🙂 । ‘ভালো মনে’ প্রশ্ন করে থাকলে বুঝায় বলেন আরেকবার, কোন প্রেস্ক্রিপশন এর কথা বলেন?
@বন্যা আহমেদ, লেনস্কি এক্সপেরিমেন্ট এর রিভিউ।অই মত কাটছাট করব।
ভালু পাই নাই!!! আরো ভালু হওয়া দরকার ছিল!! রসকস নাই!! আমার মত শিশুদের জন্য ইকটু প্রাণবন্ত লিখা না দিলে চলেনা।। মাইনাচ!!! :no:
এইগুলা পুরান হাবিজাবি। একটু নতুন কিছু লেখেন না(মানে এই ব্যপারটাকেই কি নতুন ভাবে লেখা যায় না??)। থিওরিটিকালী না লিখে নিজের মত(যেমনঃ আপনি নিজে প্রথম পড়ে কিভাবে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালেন সেইটা) লিখলে পড়ে আনন্দ, আর আমার মত পুঁচকাদের বুঝতে সুবিধা।(আবার আমারে লিখতে বইলেন না। আমি এই ব্যপারে বড়ই অলস, আর তেমন ভালো লিখিও না)
@তানভী,
হাবিজাবি হাবিজাবি হাবিজাবি হাবিজাবি হাবিজাবি হাবিজাবি হাবিজাবি হাবিজাবি হাবিজাবি 😀
রায়হান,
এই অংশটা মনে হয় বাদ দেওয়া যায়।
@বন্যা আহমেদ,
মুহাম্মদ আর আপনার সাজেশন এক করে তো হয়েই গেলো। আপনি ঠিক করে নিবেন, না আমি আবার পাঠাবো?
@রায়হান আবীর, ফাজলামী করে আর কত দিন কাটাবা। আমার আশায় থাকলে খবরই আছে। ঠিকঠাক কইরা পাঠাইয়া দিয়েন 🙂
কি মুশকিল, আমার ফাঁসি কেন, আমারে ফাসাও ক্যান, ভাইজান? তুমি তো দেখি দিন দিন খেইপা যাইতেসো, বলি, এত বিবর্তন পড়ার দরকার নাই। মাথামুথাই তো খারাপ হয়ে গেল এইসব হাবিজাবি বিবর্তন পড়তে পড়তে!!!
@বন্যা আহমেদ,
বিবর্তনের মতো ভুয়া বিষয় পড়ে কে। আমি আপাতত ঈশ্বর স্টেংগরের God The Failed Hypothesis পড়তেছি। ঠিক্কর্ছি, ঈশ্বরের সব বই মুখস্ত শেষ করে জাকির নায়েকের মতো লেকচারার হয়ে যাবো। আপাতত সব বই লব্ধ জ্ঞান সামিয়ার উপর দিয়া যাইতেছে। 😀
প্রকল্প হাইপোথিসিসের সঠীক বাংলা।
@বিপ্লব পাল,
সঠিক সঠীকের সঠিক বাংলা 😀
মাইণ্ড কইরেন না, জোক মার্লাম
@বিপ্লব পাল,
এতোদিন জেনে এসেছি হাইপোথিসিসের বাংলা অর্থ (অনুমান, কল্পনা থেকে) অনুকল্প। আচ্ছা দাদা, Project এর বাংলা কি প্রকল্প, পরিকল্পনা ?
শেষ লাইন টার পর ডারুইনের সেই লাইন There is grandeur in this view of life, with its several powers, having been originally breathed into a few forms or into one; and that, whilst this planet has gone cycling on according to the fixed law of gravity, from so simple a beginning endless forms most beautiful and most wonderful have been, and are being, evolved.দেওয়া যায় কিনা?আর অনুকল্প টাই ভাল মনে হয়।আর নামটাকে বিবর্তনবাদঃশুধুই কি একটা থিওরি? বা এরকম কিছু দিলে বোধ হয় ভাল হয়।
@পথিক,
দেখতেছি।
এটার উপর দিয়ে নৃশংসভাবে ছুরি চালানো হবে ভাবতেই কষ্ট লাগতাছে।
ছুরি চালানোর পরামর্শ:
এই অংশটাকে এক লাইনে সংক্ষেপে লেখা যাইতে পারে: আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মাধ্যমে নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্ব সংশোধন করেছেন।
অন্যদের পরামর্শ মিলানোর পর আশাকরি ৫০০ হয়ে যাবে।
আচ্ছা আমি কিন্তু হাইপোথিসিস এর বাংলা হিসেবে অনুকল্প ব্যবহার করছি। একই পত্রিকায় একই শব্দের পরিভাষা ভিন্ন হইলে ভাল্লাগবে না। কোনটা নেয়া উচিত: অনুমিত তত্ত্ব নাকি অনুকল্প?
@শিক্ষানবিস, আয়হায়, কি বল এগুলা? আমি আর অভি তো সারা জীবন হাইপোথিসিস এর বাংলা প্রকল্প লিখে আসলাম, প্রকল্প কি ভুল?
@বন্যা আহমেদ,
আমারে আবার ফাসাইলআ ক্যান? 🙂 আমি তো হাইপোথিসিসের বাংলা অনুকল্পই লিখি। তবে প্রকল্পও ভুল নয়। আমরা তো ইন্টারমিডিয়েটে রসায়নে পড়ছিলাম – এভোগেড্রোর প্রকল্প। কিন্তু প্রকল্প শুনতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মত লাগে। আর অনুকল্প শুনলে মনে হয় অনুমান মানে হাইপোথিসিসের সাথে একটা সম্পর্ক আছে! 😀
@অভিজিৎ, তোমাকে যে কি বলবো তার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না! এটা নিয়ে আমাদের দীর্ঘ আলোচনা হইসিল একবার এবং তুমি জোড় দিয়ে বলসিলা যে ‘প্রকল্পই’ ঠিক। রায়হান আর শিক্ষানবীশের ভয়ে এখন তা বেমালুম বদলায় ফেল্লা? রায়হান কথায় কথায় ফাঁসির দাবী জানায় বলে কি ভয় পেয়ে গেলা? তোমার সম্পর্কে আমার ধারণাটাই বদলায় গেল।
@বন্যা,
প্রকল্প ঠিক বলছিলাম নাকি? 😕 :-/
হইতেও পারে। তোমার স্মৃতিশক্তির উপর আমার আস্থা একেবারেই নাই যদিও, তারপরেও এই ক্ষেত্রে তোমার কথাই মেনে নিচ্ছি (আর তা ছারা, রায়হান, শিক্ষানবিসের চেয়ে তোমাকেই আমি বেশি ভয় পাই 😀 )।
কাজেই প্রকল্পবাদের জয় হোক!
@অভিজিৎ,
“এভোগেড্রোর প্রকল্প” পড়ার সময় আমার মনেও তখন প্রায়ই প্রশ্ন আসত যে এটাকে প্রকল্প কেন বলা হয়? তত্ত্ব বা সূত্র কেন বলা হয় না? আমরা তো নিউটনের তত্ব বা ভরবেগের নিত্যতা সূত্র বলি। তেমন কিছু না বলে প্রকল্প বা প্রকল্প বলার মানে কি?
@আদিল মাহমুদ,
আসলে প্রকল্প এবং তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য আছে। তত্ত্ব গানিতিক এবং ইম্পেরিকালি প্রমানিত। বহুভাবে পরীক্ষা করে এর সত্যতা পাওয়া যায় বা গেছে। কিন্তু হাইপোথিসিস হল – widely known speculative guess – খুব শক্ত গানিতিক মডেল দিয়ে প্রমাণিত নয়, কিন্তু সবাই জানে এটা ঘটবে। আপনি এই লিঙ্ক থেকে থিওরী আর হাইপোথিসিসের পার্থক্য দেখে নিয়ে পারেন।
তবে মজার ব্যাপার হল – Avogadro’s hypothesis কে Avogadro’s principleও বলে, কেউ বা বলেন Avogadro’s law । কাজেই এর সামাজিক অবস্থান একটু উপরের দিকে। 🙂
@আদিল, মনে হয় একটু ভুল বুঝছেন। সংশয়টা তত্ত্ব (থিওরী) এবং প্রকল্প(হাইপোথিসিস) নিয়ে ছিল না। হাইপোথিসিস এর বাংলা প্রক্লপ না অনুকল্প নিয়ে হবে সেটা নিয়ে কথা হচ্ছিল।
@ সবাই,
প্রকল্পই লিখা হোক। তবে অনুমিত তত্ত্বটা আমার খ্রাপ লাগেনা। এইটা পাইছিলাম, ইন্টারের স্ট্যাট বইতে। আমি ইন্টারে ডরের চোটে বায়োলজি না নিয়া পরিসংখ্যান পড়ছিলাম 😀
@রায়হান আবীর,
এতদিনে বুঝতে পারলাম সবকিছু!
@বন্যা আহমেদ,
আপনার বায়োলোজি ছাইড়া কম্পিউটারে যাওয়ায় জাতি কী বুঝবে সেইটাও বইলা যান 😀
@রায়হান আবীর, বন্যা আপা,
অনুকল্পের প্রতি আমার বিশেষ ভালবাসা ছিল। এটা ছেড়ে প্রকল্প গ্রহণ করতে বেজায় কষ্ট হবে। তাছাড়া অনুকল্প ব্যবহার করলে প্রজেক্ট এর বাংলা নিয়ে কোন ডাউট থাকে না। প্রকল্পই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এটা ঠিক, তবে অনুকল্পের মধ্যে দ্ব্যর্থতা কম।