দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষলে কি হয় তা মনে হয় আমরা এখন হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছি। আমাদের লজ্জা যে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তো করিইনি উল্টো তাঁদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। যে কারণে আজ তাঁরা বলতে সাহস করে যে স্বাধীনতায় তাঁদেরও অবদান আছে। আমরা জাতি হিসেবে কতটা খারাপ হয়ে যাচ্ছি সেটা আর কষ্ট করিয়ে আমাকে দেখিয়ে দিতে হচ্ছে না। যে জাতিতে যুদ্ধাপরাধীরা, দুর্নীতিবাজরা গলা উচিয়ে চলে আর সৎ মানুষেরা হয় সমাজে অচল, সে জাতি কিভাবে পৃথিবীতে টিকে থাকবে আমি জানি না। এখনো সময় আছে, আমাদের জাতিকে গড়ে তোলবার। যার জন্য এই প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে, কাজ করতে হবে। ভুলে যেতে হবে আমাদের আগের প্রজন্মের ব্যার্থতার কথা। তাঁরা পারেননি, হয়তো তাঁদের সীমাবদ্ধতা ছিল। তাঁরা হয়তো স্বাধীনতা এনে দিয়েই তাঁদের দায়িত্ব শেষ মনে করেছে।
আজকে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল, মিডিয়া সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতির ফলে আমরা যেটা সুবিধে পাচ্ছি তা হল সমমনাদের একত্রে পাওয়া- যা অতীত কালে এভাবে সম্ভবপর হয়ে উঠতে পারতো না। আজ পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত হতে যে কেউ যে কোন প্রকল্প হাতে নিতে পারে এবং তার জন্য সকলে মিলে কাজ করতে পারি। যে কারণে দেশ হতে বাহিরে এসেও কেউই ভাবে না সে দেশের বাহিরে রয়েছে। আমি যেখানেই থাকি না কেন প্রিয় জন্মভূমির জন্য টান কখনো মলিন হবার নয়।
এই মুহুর্তে আমাদের যেটা করা দরকার ব্লগে ব্লগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বিপুল জনমত তৈরী করা। আমি জানি জনমত তৈরী আছেই, কিন্তু সেটাই এখন আওয়াজ দিয়ে সরকারের কর্ণকুহরে পৌছানো। সরকার যেন কোনভাবেই না ভাবে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিডিয়ার হত্যা মামলা বা ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা বা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ। আর আওয়ামী লীগ যেন কোনভাবেই এই বিচারেকে তাঁদের আগামী নির্বাচনের ইস্তিহারের বিষয় ভেবে না রাখে। সরকারের বিভিন্ন কথাবার্তায় সে রকমই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা যত দেরী করবো তত এই যুদ্ধাপরাধীরা মানুষকে আরো বেশি বিভ্রান্ত করবে।
সরকারকে এই মুহুর্তে একটি ডেড লাইন দিয়ে দেওয়া জরুরী। এই ক্ষেত্রে আমি বলবো আমরা আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর্ব শুরু হয়েছে দেখতে চাই। এ জন্য আমরা সবাই প্রচারনা চালিয়ে যাই। ব্যানার হোক, পোস্টার হোক, শ্লোগান হোক, কবিতা হোক, গান হোক, ছবি হোক, গল্প হোক, লেখা হোক, মানব বন্ধন হোক। কিন্তু আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর্ব শুরু না হয়া পর্যন্ত আমাদের মুখ বন্ধ রাখবো না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিসিবি যুদ্ধাপরাধীদের জন্য আলাদা আর্কাইভ খুলেছে। সচলেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি/লেখা নিয়ে আলাদা আর্কাইভ এর চিন্তা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া WCSF (War Crime Strategy Forum) গঠন হয়েছে যেখানে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে গড়ে উঠছে যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কিত মিডিয়া আর্কাইভ এবং ই-লাইব্রেরী । মিডিয়া আর্কাইভে গত এক বছরের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে প্রকাশিত সকল পত্রিকার খবর ও ব্লগে প্রকাশিত লেখা, বিভিন্ন ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। ই-লাইব্রেরীতে বাংলা ও ইংরেজীতে প্রকাশিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কিত বই, জার্নাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো সকলের ব্যবহারে জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে একেক জন যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আলাদা আলাদা তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং সেখান থেকে তাঁদের কুকীর্তিগুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করা হবে যা পরবর্তীতে উইকি এবং অন্যান্য সকল জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই তথ্য ভাণ্ডার যেন বিচারের সময় ব্যবহৃত হয় সেটার জন্যও সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হবে। এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আরো তথ্য পাওয়া যাবে জেনোসাইড আর্কাইভ, মুক্তধারা, নিউ-ইয়র্ক বাংলার ওয়েবসাইটে। এই তথ্যগুলো সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হোক।
আমাদের প্রজন্মের আক্ষেপ থাকতে পারে যে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের এ কথাও ভুলে গেলে চলবে না যে মুক্তির জন্য সে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়ে যায় নি। এখনো রাজাকার, দুর্নীতিবাজরা লাল সবুজের পতাকার গাড়িতে করে ঘুরে বেড়ায়। তাই নিজেকে প্রশ্ন করি যে যার অবস্থানে থেকে কি করতে পারি দেশের জন্য। সবাইকে যে এর জন্য রাজনীতি করতে হবে তাও নয়। প্রথমতঃ নিজে যদি সচেতন হই, মুক্ত চিন্তার মানুষ হই তখনই দেশ গড়ার কাজে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তারপর নিজের অবস্থান, নিজের ক্ষমতা বুঝে যে কোন একটি ক্ষেত্রে অবদান রাখা। এই মুহুর্তে সবচেয়ে উপযোগী ক্ষেত্র হচ্ছে বাংলা উইকিকেসমৃদ্ধ করা। আমার মতে আমাদের দেশের মত অনুন্নত দেশগুলোর জন্য উইকি একটি বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে। একটি শক্তিশালী নুতন প্রজন্ম গঠনের জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। মানুষ যে সব শিক্ষা শুধু বিদ্যালয়েই পায় তা নয়। তাঁর পরিবার, বন্ধু বান্ধব, সহকর্মী, মিডিয়া সকল ক্ষেত্রে থেকেই সে জ্ঞান লাভ করে। আর সেই জ্ঞানের জন্যই প্রয়োজন একটি তথ্য ভাণ্ডার। চিন্তা করে দেখুন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সম্ভবপর নয় সকল স্কুলে বা সকল গ্রামে একটি করে লাইব্রেরী দেওয়া। কিন্তু আমাদের পক্ষে সম্ভব সকল জায়গায় একটি করে কম্পিউটারর ও ইন্টারেন্ট দেওয়া। স্বল্প খরচে সকলের কাছে আমরা জ্ঞানের দড়জা খুলে দিতে পারি যদি আমদের সেই জ্ঞানের ভান্ডার থাকে। উইকিকে আমি সেই জ্ঞানের ভান্ডার হিসেবেই দেখি। সকলের প্রচেষ্টায় আমরা এই ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারি। বাংলার ইতিহাস, পৃথিবীর ইতিহাস, সমাজ, বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি কোন বিষয় নেই যা আপনি আজ উইকির মাধ্যমে জানতে না পারছেন।
বাংলা উইকির রাগিব সব সময় এই কথাগুলো বলার চেষ্টা করছে। আমিও আজ থেকে তাঁর সাথে এই কথাগুলো বলে যাবো। আমরা ফেইসবুকে বা ব্লগে যে পরিমান সময় ব্যয় করি তার থেকে কিছু সময় দিতে পারি উইকিকে, অন্তত পক্ষে বাংলা উইকিকে। উইকিতে লিখা আর ব্লগে লেখার মাঝে তেমন বিশেষ পার্থক্য নেই। তারপরেও রাগিবের টিউটোরিয়াল দেখে নিলে তেমন কোন সমস্যাই হবে না। আরকেটি কথাঃ অনেকেই ভাবি যে উইকিতে লিখতে হলে হয়তো অনেক কিছু জানতে হয়। সেটা ঠিক নয়। আপনি যা জানেন সেটাই লিখুন। কোন বইয়ে কিছু পড়েছেন, এবং যদি আপনার মনে হয় সেই তথ্যটি মানুষ জানলে উপকৃত হবে তবে তা দিয়ে দিন। শুধু বইয়ের সুত্রটি দিয়ে দিবেন। অথবা ইংরেজী উইকি থেকে কিছু পড়েছেন এবং যদি মনে করেন আপনি চান মানুষ সেটা জানুক তবে সেটাকে অনুবাদ করে নিজের ভাষায় কিছু লিখে দিন। ব্লগে যদি এত কিছু লিখতে পারেন তবে অবশ্যই সেখানেও দু’এক লাইন লিখতে পারবেন। আসুন গা ঝাড়া দিয়ে উঠুন, কিছু কাজ করুন। শুধু বিচারের দাবী জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে হবে না। আর কখনো যেন বিচারের জন্য অপেক্ষা না করতে হয় সেটার জন্যও কাজ করতে হবে। এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেন সমাজে আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা হয়। কেউই যেন নিজেকে আইনের উর্ধ্বে মনে না করে। দুর্নীতিবাজ, যুদ্ধাপরাধীদের স্থান যেন হয় শুধু চার দেওয়ালের ভেতরে।
নোটঃ লেখাটি একই সাথে অন্য ব্লগেও প্রকাশিত।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না পারাটা আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অক্ষমতা এবং লজ্জ্বা। দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধাপরাধীরা যে বিরাট কোন শক্তি ছিল তা কিন্তু নয়। একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বরের পর নেড়ি কুত্তার মত লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছিল এরা। রাষ্ট্র যদি তখন নাগরিকদের হাতেই এদের বিচারের ভার ছেড়ে দিত তবে এদের কারোরই অস্তিত্ব থাকার কথা ছিল না।
এমনকি এখনো এদেরকে বিচার করার জন্য যেটুকু শক্তি থাকা প্রয়োজন তার সবটুকুই রাষ্ট্রের আছে। আছে জনগণের পূর্ণ সমর্থন। যা নেই তা হচ্ছে শুধু সদিচ্ছা। কেন নেই সেটা রাষ্ট্রের কর্ণধারেরাই ভাল বলতে পারবেন।
এই ঘৃণ্য অপরাধীদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবার যে কোন আন্দোলনে, যে কোন কর্মকান্ডে সাথে আছি।
ধন্যবাদ অভিজিৎ’দা। সংকলন করে ফেলুন। এগুলো এক সাথে রাখা উচিৎ। ব্লগে কিন্তু নিয়মিত মন্তব্য করে যাই। আমি মুলত পাঠক, হঠাৎ হঠাৎ লিখি। তাছাড়া নিজের পিএইচডির কাজ শেষের দিকে। সংসার আর গবেষনার ফাঁকে লেখালেখি করা সম্ভবপর নয়।
বাংলা উইকির ব্যাপারে চিন্তা করে দেখবেন। বিজ্ঞান ও দর্শনের বিষয়গুলো নিয়ে যদি আমরা না লিখি তবে কারা লিখবে? ব্লগে তো লিখছি। সেখান হতে অল্প কিছু তথ্যও যদি বাংলা উইকিতে যুক্ত করতে পারা যায় তাহলে অনেক বেশি কাজ দিবে। বিপুল সংখক মানুষ কিন্তু তথ্যের জন্য উইকিতেই যাবে। আর এখন যেহেতু ইউনিকোড দিয়ে খুব সহজেই সার্চ করা যায় তাই উইকিতে সঠিক তথ্য থাকা জরুরী। বিবর্তন সহ অন্যান্য বিজ্ঞান বিষয়ক এবং দর্শন বিষয়ক তথ্যের জন্য মুক্তমনা এগিয়ে আসবে সেটাই কামনা করি। মুক্তম্নার সদস্যদের কাছেও সেটাই অনুরোধ।
@স্বাধীন,
উইকির রাগিব সাহেবকেও আমাদের এখানে লিখতে বলে দেখতে পারেন। আমার সাথে উনার তেমন কোন পরিচয় নেই। মনে হয়না আমাদের কাজ সম্বন্ধেও উনি তেমন কিছু জানেন। পারষ্পরিক যোগাযোগ স্থাপিত হলে ভালই হয়। উনার কাছ থেকে অনুরোধ আসলে আমাদের সদস্যরা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হবেন। আমরাও উইকির সিস্টেম সম্বন্ধে একটু পরিচিত হতে পারতাম। অনেকেই অভিযোগ করেন ওটা নাকি তেমন ইউজার-ফ্রেন্ডলী নয়।
তবে আমার মনে হয় বাংলার পাশাপাশি ইংরেজীতেও ব্যাপারগুলোর প্রসার হওয়া জরুরী। আমি জানিনা আপনি এ অসুবিধাটি বোধ করেছেন কিনা – দেশের বাইরে কাউকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গেলেই রেফারেন্সের প্রশ্ন চলে আসে। অনেক সময়ই বাংলায় লেখা রেফারেন্স তারা গ্রহণ করতে অপারগ হন। সেজন্যই ইংরেজীতেও ডকুমেন্টেশন থাকা জরুরী। বাংলাদেশের গনহত্যাটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ গনহত্যা। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে যে আত্মত্যাগ করেছে সেটা ইতিহাসে বিরল। এর প্রপার ডকুমেন্টেশন না থাকাটা সত্যই দুঃখের। এদিকটাতেও আমাদের নজর দিতে হবে।
পোস্টটি করার জন্য স্বাধীন ভাইকে ধন্যবাদ।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে উইকিপিডিয়ার গুরুত্বটা অসাধারণ। গুগলের কল্যাণে যেকোনো বিষয়ের তথ্য অনুসন্ধানে সবার আগে উপস্থাপিত হয় উইকির তথ্য। আর খুব সহজে সম্পাদনা করা যায়, সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা যায়, এমন সব সুবিধার কারণে এবং তথ্যসূত্রের ও যাচাইযোগ্যতার কড়া নীতিমালার জন্য উইকিপিডিয়া আজ বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত তথ্যভাণ্ডার।
উইকিতে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তথ্য যোগের কথা প্রায় বছর চারেক ধরে বলে আসছি। এই ব্যাপারে আমরা যদি না এগিয়ে আসি, যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থকেরা তাদের বিকৃত ইতিহাস সেখানে যোগ করে দেবে। এর আলামত দেখা যাচ্ছে এখনই … ইংরেজি উইকিতে গোলাম আযম ও নিজামীর নিবন্ধতে তাদের যুদ্ধাপরাধের কথা বেমালুম গায়েব করে দেয়ার কাজটি ২ বছর ধরে সুকৌশলে করে আসছে গোলাম আযমের নাতি। এ থেকেই বোঝা যায়, তথ্য বিকৃতির কাজটা অনলাইনেও তারা আটঘাট বেঁধে নেমে গেছে।
@অভিজিৎদা,
নানা ব্যস্ততায় সব ব্লগ বা প্ল্যাটফর্মে আসলে আসা হয় না সেরকম। আমার সিংহভাগ প্রচেষ্টা বাংলা উইকি ও ইংরেজি উইকির বাংলাদেশ বিষয়ক নিবন্ধেই দিয়ে থাকি। আপনার সাথে এ বিষয়ে আমি একমত যে, ইংরেজি উইকিতেও এই বিষয়ে তথ্য যোগ করার কাজটা করতে হবে। বর্তমানে এই কাজটা খুব অল্প কিছু ভলান্টিয়ার, ৩/৪ জন মাত্র, এই সুযোগটা নিচ্ছে তথ্য বিকৃতকারীরাই। তাছাড়া বুদ্ধিজীবী হত্যা, ২৫শে মার্চের গণহত্যা — এসব সম্পর্কে তথ্য একেবারেই কম বা নেই। কাজেই বিদেশী কাউকে এই তথ্য জানানো ও রেফারেন্স দেয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আশা করি এই পোস্ট দেখে বাংলা ও ইংরেজি উইকিতে আরো অনেকে সক্রিয় হবেন। বাংলা উইকিতে যোগ দিন, সেখানে সাথে সাথে স্বাগত জানাবার জন্য কাউকে না কাউকে পাবেন। আমাদের যে গুটি কয়েক কর্মী ওখানে নিয়মিত কাজ করেন, বয়সে নবীন হলেও প্রাণশক্তিতে উদ্যমে কমতি নেই। কাজেই সম্পাদনা সংক্রান্ত সাহায্য চাওয়া মাত্রই পাবেন।
শুধু যোগ দিন … দিনে ৫টি মিনিট সময় হলেও দিন। মুক্তিযুদ্ধের শহীদরা যা আত্মত্যাগ করেছেন, তার প্রতিদান আমরা দিতে পারবোনা কখনোই, কিন্তু আমাদের ১টি দিন থেকে ৫টা মিনিট সময় হয়তো আমরা দিতে পারি অনায়াসেই, তাই না?
@রাগিব হাসান,
ভাইয়া, আপনাকে এই ব্লগে দেখে দারুন আনন্দ হচ্ছে। কারন অন্য কোন ব্লগে আইডি না থাকায় আমি আপনার লেখায় মন্তব্য করতে পারি না!!(আসলে আইডি খুলেছিলাম,ফাজলামো করে খুলেছিলাম বলে ইউজার নেম – পাসওয়ার্ড সব ভূলে গেছি! নতুন ইমেইল একাউন্ট থেকে খুলতে হবে।)
যাই হোক, আমি কিন্তু উইকিতে লেখার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমার কিবোর্ড পুরোনো হয়ে যাওয়াতে কি গুলো শক্ত হয়ে গেছে!! তাই হাতও চলে না! সারা দিন বসে মাত্র কয়েক প্যরা লিখতে পারি! :-X
আর রেফারেন্স পাওয়া এক বড় ঝামেলা। কিভাবে সহজে কার্যকর রেফারেন্স পাব সেটা কেউ জানলে আমাকে জানান।
আমার একমাত্র ভরসা আমার নিজের সংগ্রহের কিছু বই,আর পুরানো পত্রিকা( তাও অপ্রতুল)। বই নাহয় আরো কিনতে পারলাম,কিন্তু নেট রেফারেন্স কিভাবে পাব।
আর ইংরেজি উইকিতে কাজ করার যথেষ্ট ইচ্ছা থাকলেও যথেষ্ট ইংরেজি জানা না থাকায় লিখতে পারছিনা।( আসল সমস্যা হচ্ছে বাক্য চয়ন, বাংলায়তো বানিয়ে বানিয়ে বাংলা রচনা লিখে ভালো মার্ক পেতাম তাই বাংলা বানিয়ে,গুছিয়ে লিখতে সমস্যা হয় না, যদিও ইতিহাসের জন্য সঠিক শিরোনাম ও শব্দ চয়ন করা যথেষ্ট ঝামেলা। ইংরেজিতে নিজে থেকে একটা বাক্যও মনে হয় লিখতে পারবো না। :-Y )
@রাগিব হাসান,
আপনার মত গুনী ব্যক্তিকে আমাদের মাঝে পেয়ে সত্যই আমরা আনন্দিত। আপনার কথা আসলে অনেকের কাছ থেকেই এত শুনেছি যে সেটা বোধ হয় না বললেও চলে।
যা হোক, উইকিতে লেখার ব্যাপারে অয়ামন্ত্রণের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করব সেখানে কন্ট্রিবিউট করতে, যদিও ব্যপারটা শিখে নিতে আমার কিছুটা সময় লাগবে মনে হয়। আর আগামী একটা মাস খুবই ব্যস্ততার মধ্যে যাবে। তারপরেও এর মধ্য থেকেই কিছু করার চেষ্টা করব। আমি নিশ্চিত আমাদের অন্যন্য মুক্তমনা সদস্যরাও রাগিবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। মুক্তমনায় মুক্তিযুদ্ধের উপরে অনেক ভাল ভাল লেখা আছে। সম্প্রতি ইরতিশাদ ভাই (ডঃ ইরতিশাদ আহমেদ) মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি সিরিজ লিখে চলেছেন আমার চোখে একাত্তর – গুণে এবং মানে অতুলনীয় একটি সিরিজ। এ ধরণের তথ্য সংরক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই।
ভুট্টা ক্ষেতের কৃতি পাহারাদারকে (আপনার প্রোফাইলের কথাতেই) আরো একবার অভিনন্দন! 🙂 মুক্তমনাতেও আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করছি।
@তানভী,
আপনি কিন্তু বাংলা উইকিতে কাজ করতে পারেন। আর রেফারেন্স হিসেবে নেটের রেফারেন্সই দিতে হবে তা নয় বলে মনে হয়। বই বা পত্রিকার রেফারেন্সও দিতে পারেন।
@রাগিব হাসান,
আপনার সাথে মনে হয় আমার ব্লগে মৃদ্য আলাপ হয়েছে।
আমার উকি সম্পর্কে সম্পর্কে তেমন ধারনা নেই, কিভাবে তথ্য দিতে হয় বা এডিত করতে হয়। শুধু জানি যে যেই ইচ্ছে তথ্য তিতে পারে।
এ সম্পর্কে একটু যদি বলতেন তবে অনেক সময় বাচত। চেষ্টা করতে পারতাম কিছু কিছু লেখার।
@অভিজিৎ,
একদম আসল কথা বলেছেন। এ কারণেই আমাদের বাংলা ও ইংরেজী দু’ক্ষেত্রেই কাজ করতে হবে। তবে শুরুতে যদি বাংলার জন্য স্বেচ্ছাসেবক পাওয়া যায় তখন তাঁরাই আবার ইংরেজীর জন্যও কাজ করতে পারবে। আর উইকিতে তথ্য সংযোজন করা কঠিন কিছু নয়। টিউটোরিয়ালটি দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ স্বাধীন। অনেক দিন পরে ব্লগে আপনার লেখা পাওয়া গেলো। আরো নিয়মিত লিখুন। আমাদের ব্লগেও মুক্তযুদ্ধভিত্তিক বহু ভাল ভাল লেখা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এমনকি বহু প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণও আছে। দরকার এখন এগুলোকে একসাথে সংকলনের।
তবে ইউনিকোডে লেখালিখি শুরু হবার পরে অভূতপূর্ব অগ্রগামীতা লক্ষ্য করছি। আগে সার্চ করে যে বিষয়গুলো খুঁজে পাওয়া যেত না, চোখের নিমেষে েসে পড়ে বহু দরকারী তথ্য। দরকার আমাদের এ প্রচেষ্টাকে এখন সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার। আপনার আহবান ফলপ্রসু হোক।