১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে দেশের শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবীদের । আর সেই নারকীয় হত্যার শিকারদের স্মরনে আমরা প্রতিবছর পালন করি দিবসটি । অবশ্য,২৫শে মার্চ ১৯৭১ কলো রাতেই শুরু হয় বুদ্ধিজীবীদের নিধন [১]এবং তা’ চলে যুদ্ধের পুরো নয় মাস জুড়ে । এমনকি ৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় লাভের পরেও বুদ্ধিজীবীদের নিধন অব্যাহত থাকে।দ্রষ্টান্তস্বরূপ ডঃ মনসুর আলী (ডিসে ২১,১৯৭১) চলচিচত্রকার জহির রায়হান (নিখোজ হন ৩০ শে জানু ১৯৭২ )এবং সাংবাদিক গোলাম রহমান (হত্যা জানু ১১,১৯৭২) ।
কিন্তু যেহেতু ১৪ই ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশী বুদ্ধিজীবীদের নিধন করা হয়েছিল এবং তা’ অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে তাই বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ (৩ নভেম্বর ১৯৭৫ ,জেলে হত্যাকান্ডের শিকার)এইদিনকে “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” ঘোষনা করেন।
৩৮ বছর পার হয়ে গেলেও ঠিক কতজন বুদ্ধিজীবীদের নিধন করা হয়েছিল তা’ এখনও আমাদের অজানা। বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত “শহিদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ ” (১৯৯৪) থেকে জানা যায় , ২৩২ জনের কথা । কিন্ত এটি যে অসম্পুর্ন তা’ ঐ গ্রন্থেই স্বীকার করা হয়েছে।
৩৮ বছর পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের নিধন -এর প্রকৃতি, পরিধি,রহস্য ও অপরাধীদের চিহ্নিত কল্পে কোনো সরকারি তদন্ত হয়নি।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ১৮ ,মতান্তরে ২৯ তারিখে বেসরকারীভাবে গঠিত “বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন” এর রিপোর্ট ও আলোর মুখ দেখেনি । উল্লেখ্য,ওই কমিশনের আহবায়ক ছিলেন চলচিচত্রকার জহির রায়হান যিনি নিখোজ হন ৩০ শে জানু ১৯৭২ সালে।
প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত তাজউদ্দিন আহমেদ একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেন ১৯৭১ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর । কিন্ত ,তার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি । [২]
একাধিক সুত্রে জানা যায়, পাক বাহিনী ও জামাত এ ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ক্যাডারগ্রুপ বুদ্ধিজীবীদের নিধনযজ্ঞের হোতা । আল বদর বাহিনীর যে দুইজন জল্লাদের নাম জানা গেছে তারা হলঃ চৌধুরী মাইনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান ।
তালিকা প্রণয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও হাত রয়েছে বলে জানা গেছে । ”বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশন ১৯৭১ ” প্রফেসর ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসইনের কর্তৃক প্রণিত একটি দলিল পায় বলে জানা যায়। [৩]। কিছু সুত্রমতে, তালিকা প্রণয়নে মার্কিন গেয়েন্দা সংস্থা সি আই এ এর ভুমিকা রয়েছে বলে জানা যায় । [৪]
বুদ্ধিজীবীর হত্যায় যারা ঘৃণ্য ভূমিকা রাখে তাদের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধী পাকি অফিসার ব্রিগে.রাজা , ব্রিগে আসলাম, ক্যাপ্টেন তারেক, কর্ণেল তাজ ,কর্ণেল তাহের, ভিসি প্রফেসর ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসইন,ডঃ মোহর আলী, আল বদরের এবিএম খালেক মজুমদার, আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মাইনুদ্দিন । এদের নেতৃত্ব দেয় মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী । [৫]
৩৮ বছর পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোনো বুদ্ধিজীবীর হত্যার বিচার হয়নি । দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে,ঘাতকরা আজ বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায় এবং এখনও বুদ্ধিজীবীদের হত্যার হুমকি দেয় ।
রেফারেন্সঃ
১।দ্সেই কাল রাত , নুরুজ্জামান মানিক ইত্তেফাক, ২৪ মার্চ ২০০০
২।নিউ এজ, ডিসেম্বর ১৫,২০০৫।
৩।সুত্রঃ নিউ এজ,ঐ ।
৪।ডাঃ এম এ হাসান, যুদ্ধোপরাধ,গনহত্যা ও বিচার অন্যেষণ ,ঢাকা ,২০০১
৫। বুদ্ধিজীবী হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার , এম এ হাসান, সমকাল ১৪ ডিসেম্বর ২০০৬ ।
আমি ভারতীয় অফিসারদের কাছ থেকে জানি, সেদিন যদি বাঁচানোর ক্ষমতা থাকত, তারা বুদ্ধিজীবিদের বাঁচানোর সব চেষ্টাই করত। এমন কি প্যারাড্রপিং করে ঢাকায় ঢুকে বাঁচানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। ১৪ ই ডিসেম্বর ঢাকা পাকিস্থানি বাহিনীর সম্পূর্ন কবলে এবং তখন ও দুর্ভেদ্য। মনে রাখতে হবে ট্যাঙ্গাইলে প্যারাট্রুপাররা নেমেছে ১১ তারিখে সন্ধ্যায় এবং সেই ৭০০ জন সৈনিক ১৪ ই ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে অনেক দূরে রাস্তা পাহারা দিচ্ছে।
যাইহোক দৈনিক সংগ্রামের ওই ধরনের লেখায় যেসব ভারতীয় অফিসার ‘৭১ এর যুদ্ধে নিজেদের প্রান হাতে করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তারা রুষ্ট হবেন। ২০০০ ভারতীয় সেনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রান দিয়েছেন-এটা যদি বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম না মনে রাখে ক্ষতি নাই। কিন্ত তাদেরকে বুদ্ধিজীবি হত্যার জন্যে দায়ী করার মতন নির্লজ্জ শঠতার সাহস যাদের হয়-এবং তারপরেও যদি তারা বাংলাদেশে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ান এবং এসব দেখে কিছু ভারতীয় যদি বাংলাদেশ সম্মন্ধে নীচু ধারনা পোষন করে-খুব ভুল করবে কি ?
@বিপ্লব পাল,
কথা খুবই সত্য। তাদের দোষ মোটেই দেওয়া যায় না। আমরা আসলেই লজ্জিত।
সংগ্রাম আমাদের কোন উল্লেখযোগ্য পত্রিকা না, ওটা জামাতে ইসলামীর দলীয় মূখপত্র এটা সবাই জানে। যারা ঐ পত্রিকা পড়ে তারাও মনে হয় না এর খবর বিশ্বাস করে বলে। সোজা কথায় একে কোন দৈনিক পত্রিকা না বলে বলা যায় টয়লেট পেপার যার একমাত্র ব্যাবহার হতে পারে বাথরুমে সৌচকার্যে।
তারপরেও এ আবর্জনা আমাদের দেশ থেকেই প্রকাশ্য দিনের আলোতেই বেরোয়। এর দায় আমাদেরই নিতে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
:laugh:
@আদিল মাহমুদ,
আমার মনে হয় সংগ্রাম কিনে তারা তাদের দলের প্রতি অর্থনৈতিক দায়িত্বটাই পালন করেন। আমার জামায়াতী আত্মীয়দেরও দেখেছি খুব মনযোগের সাথে প্রথম আলো পড়তে।
@বিপ্লব পাল,
আমি শুনেছি ৫০০০ ।
@নুরুজ্জামান মানিক,
না, ২০০০ ই সঠিক।
এই বাংলাদেশেই জাতীয় সংগীত অবমাননা করে গান লিখায় মামলায় হওয়ায় আসামীদের খালাস দিতে কি অবিশাস্য ভাবে রাতের বেলায় মহামান্য জজ সাহেবরা বিশেষ আদালত বসিয়েছিল তাও তো আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে।
সে মামলার কি হয়েছে কে জানে। আসলেই এদেশে আইন আদালত মনে হয় তামাশা মাত্র…..একমাত্র বড়লোকেরাই অর্থ খরচ করিয়া সে তামাশা দেখিতে পারে। এখানে এখন শুধু রাজাকাররাও দেখিতে পারে যোগ দিতে হবে।
আইন এমনই তামাশা যে একবার শোনা গিয়েছে যে রাজাকাররা নিজেদের লোক দিয়ে নিজেদের নামে রাজাকারির মিথ্যা মামলা দেওয়া শুরু করেছিল, যাতে মামলা মিথ্যা প্রমান হয়; ভবিষ্যতে আবারো রাজাকারির মামলা হলে যেন তার গুরুত্ত্ব চলে যায়।
@আদিল মাহমুদ,
একটা তথ্য দেই, মুজিব আমলেই মাওলানা মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল এবং সেই মামলা খারিজ হয়েছিল !
জহির রায়হান স্বয়ং শহিদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকারী জামাতের খালেককে ধরে থানায় সপর্দ করেছিলেন কিন্তু মুজিব আমলেই সে ছাড়া পেয়ে যায় !!
@নুরুজ্জামান মানিক,
মুনির চৌধুরীর এক ছেলে আমাকে মাস কয়েক আগে বলেছেন, তার পিতার হত্যার বিচারে তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাতে মুনির চৌধুরীকে অপহরণকারী গাড়ির ড্রাইভারের সাজাও হয়েছিল অপরাধের সহযোগি হিসেবে, কিন্তু পরে সে ছাড়া পেয়ে যায়।
@ আদিল মাহমুদ,
দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষলে যা হয় আর কি। কিছু না বলতে বলতে গাছের মাথায় উঠে গেছে। এরা অতি সুচতুর, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ভারত বিদ্বেষকে এরা শেষ মূহুর্তের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। আসলে এরা হচ্ছে প্রকৃত মুনাফিক। তাই এদের কোন অবকাশ না দিয়ে এখনই বিচার করা উচিত(মৃত্যু দন্ডই এদের জন্য একমাত্র বিধান)।
আসলে সমস্যা কি, এরা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের নিরক্ষরতাকে পুজি করে এখনও টিকে আছে। আর আমাদের রাজনীতিকরা মনে হয় না এদের বিচার করবে- কারন এদের বিচার হয়ে গেলেই তারা তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরীর একটি মূল্যবান অস্ত্র হারাবে। আর আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাতো নিজেদের জানরক্ষার দায়িত্বটাকে পরম পালনীয় মনে করে( মাঝে মাঝে আমার এই তথাকথিত সুশীল সমাজকেই সমূলে উৎপাটন করতে ইচ্ছে করে)। আমরা তরূন প্রজন্ম সাহস করে এগিয়ে না গেলে আমি আর কোন রাস্তা দেখি না।
(এই হত্যাকান্ডের খুটিনাটি সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল না, তাই দীর্ঘ আলোচনার পূর্বে আমার কিছু অ আ ক খ জ্ঞান দরকার। 😀 )
@মুহাইমীন,
কথাগুলি খুবই সত্য। আমার বিস্বাস যতদিন বাংলাদেশে ইসলামী উন্মাদনা থাকবে এবং যত দিন আমরা সৌদি আরব সহ অন্যান্য ইসলামি দেশের দান খয়রাত নিয়ে ধন্য হব তত দিন ঐ সব ইসলামি হত্যার বিচার হবেনা।
কারন? কোরান খুলে দেখুন। ঐ সব হত্যাকান্ড একে বারে ইসলামি।
@আবুল কাশেম,
আর হাদীস খুলে দেখুন, শুধু হত্যাকান্ড নয়, মায়ের সামনে মেয়েকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে খাঁটি মুসলমান সেনাবাহিনী ও খাঁটি মোল্লাদের কর্তৃক গণধর্ষনও ইসলামিক। নবী মুহাম্মদ ও তার সাহাবীগন তা নিজেরা করে দুনিয়ায় বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
আমার প্রশ্ন পাক বাহিনী কিভাবে এই বুদ্ধিজীবীদের নিধনের সাথে জড়িত, তারা সে সময় ছিল ভারত এবং বাংলদেশের অধীন।বুদ্ধিজীবীদের অনেকরাই ছিলেন যুক্ত পাকিসতানের পক্ষে।
@tausif,
আপনার প্রশ্নের সব জবাব তো “নুরুজ্জামান মানিক” ওনার লেখার মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন কারা ১৯৭১ সালে আমাদের জাতির সেরা বুদ্ধিজীবিদের এমন মধ্যযুগীয় বর্বর,হায়েনা পশুসুলভ মনোবৃত্তি পোষন করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।লেখাটি মনে হয় আপনি ঠিক মতো পড়েন নি।সময় থাকলে আবারো অতি গুরুত্বপূর্ন উপরে ওনার লেখাটি আরো একবার পড়ে নেন।পারলে ওনার রেফারেন্স দেওয়া বইগুলিও পড়ে নিয়েন।
ধন্যবাদ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস কিংবা স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কোন লেখা আসলেই তৌসিফ সাহেবের মাঝে মধ্যেই রহস্যময় আবির্ভাব ঘটে এই সাইটে, পাকিস্তানকে ডিফেন্ড করার জন্য। কখনো উনি ত্রিশ লক্ষ শহিদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করেন, কখনো বা পাক বাহিনী কিভাবে বুদ্ধিজীবী নিধনের সাথে জড়িত তা নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেন (আর লক্ষ্য করেছেন সংগ্রামের সম্পাদকীয়টির সাথে তৌসিফ সাহেবের বক্তব্যের কি অদ্ভুত মিল!)।
আমি একবার একটা লেখা লিখেছিলাম – যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। তৌসিফ সাহেব এসে প্রশ্ন করেছিলেন – মুক্তিযোদ্ধাদের হাতেও তো রাজাকার কিংবা পাকিস্তানীরা মারা গেছে, আমি তাদের হত্যারও বিচার চাই কিনা। আমার বক্তব্য দেখুন এখানে।
তৌসিফ সাহেবদের লজিক মেনে নিলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্য নাৎসী বাহিনীর নয়, মিত্র বাহিনীর বিচার শুরু করতে হয়ে। :-/
@অভিজিৎ,
এসব লোকজনের সাথে মোলাকাত হবার পজ়িটিভ দিকও কিন্তু আছে।
আমরা কয়জনে শখ করে উর্দু শিখতে চাই? পাকিস্তানীরা কিন্তু দেখা যাচ্ছে দিব্ব্যী বাংলা লিখতে পড়তে শিখছে। এই বা মন্দ কি?
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ এবং এখন বুঝলাম এই সাহেব কেন এতো আবোল-তাবোল বকবকানি আগেও করেছিল ,এখন আবার ঠিক এদিনে এসে ৭১ নিয়ে এবং বুদ্ধিজীবি দিবসে উল্টাপাল্টা ভীমরতি উদ্দেশ্যমূলক নিছক বালকসুলভ আচরন করছে !!!!!!!!!!!
@অভিজিৎ, :yes:
@আদিল মাহমুদ,
উক্ত ভাই যে উদ্দেশ্যেই আসুক না কেন আমাদের কে অবশ্যই শালীনতা বজায় রাখতে হবে। তাই এভাবে আঘাত করে কথা বলাটা উচিত হয় নাই। ভালবাসার পরিবর্তে ঘৃণা মানুষকে দূরে নিয়ে যায়-তাতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা বেশি। এই কথায় ঐ ভাই সুস্থ ভাবে সমালোচনা গ্রহণ করতে পারবে না(আর এটা সুস্থ সমালোচনার ভেতরে পড়েও না); বরং আরো বিগড়ে যাবে এবং আমাদের প্রতি একটি চিরস্থায়ী ঘৃণা লালন করবে; এতে আমাদেরও যেমন ক্ষতি তেমনি ঐ ভাই এর ক্ষতি সর্বাধিক।
এমনও হতে পারে ওনার ভেতরে কিছু ভুল ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি তা পর্যালোচনার প্রয়াস পেয়েছেন অথবা, ইতিহাস কম জানার কারণে কিছু প্রশ্ন তার ভেতরে আলোড়ন তৈরী করছে। আমাদের দায়িত্ব সুস্থ ভাবে তার প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়ে তার কৌতুহল মেটানো এবং এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণ করা। তাহলে ঐ লোকের উপকার বৈ অপকার হবে না(প্রথমে হয়তো একটু তর্ক হবে কিন্তু আখেরে আমাদের সেই আলোচনা তার জন্য চিন্তা জাগানিয়া হবে) আমরা যদি সুস্থ সমালোচনা না করি তাহলে আমাদের ক্ষতি সবচে’ বেশী।
ঘৃণা নয় ভালোবাসাই পারে মানুষকে পথে নিয়ে আসতে; বিশ্ব কে জয় করতে।আসুন, তা সে যেই হোক, আমরা অন্ততপক্ষে আমাদের অন্তরে সকলের জন্য ভালোবাসা রাখি-তাতে আমাদেরই মঙ্গল হবে; আমরা প্রকৃত মনুষ্যত্বের দিকে এগোবো।
:rose2: ধন্যবাদ
@অভিজিৎ, আপনি যদি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এর পর্যাবেক্ষন করবেন দেখা যাবে জার্মানরা নিজ সৈন্যদের শাস্তি দেয় Leipzig ware crimes এ। বর্তমানে আমেরিকানরা Lynndie england ,Javal Davis, Ivan frederick,Charles graner ইত্যাদিকে শাস্তি দেয়।কাদের সিদ্দিকীরও বিচার হওয়া উচিত গোলাম আযমের সাথে।
@অভিজিৎ,
ওফ! এই গাঁজাটি গুলা কোত্থিকা আসে!!!
আসলে নেশাখোড় বললে তাদের সুপরিকল্পিত প্লানেরও অপমান করা হয়!!
এরাইতো উইকিতে গিয়ে(ইংরেজী, বাংলা দুটোতেই) গোলাম আজমকে পাক পবিত্র করে দিয়ে আসে!!! :-Y ( আবার উইকির কথা চলে আসাতে দুঃখিত) উইকিতে বাঙ্গালীদের অলসতার সুযোগ নিয়ে এসকল রাজাকারের বাচ্চারা (আসলে কোন প্রাণীর নাম ধরে এগুলারে গালি দিলে ঐ প্রাণীকেই অপমান করা হয়।তাই শেষমেশ টাইটেল দিয়াই গালি দিলাম) ইচ্ছামত ইতিহাস বানায়া উইকিতে দিয়া দিচ্ছে। ফলে গোলাম আজম,নিজামীরা হইয়ে যাচ্ছে পাক পবিত্র মাসুম বাচ্চা!!! দুধের শিশু!! :-X
@tausif
তুই রাজাকার!! :guli: (যদি সত্যিই গুল্লি করতে পারতাম!!)
@tausif,
তৌসিফ, আপনাকে বলে বোধ হয় খুব বেশি লাভ হবে না, কারণ, আপনি জেগে থেকেও ঘুমের ভান করে পড়ে আছেন। তবুও বলি – Leipzig ware crimes প্যারিস পিস কনফাররেন্সে এলাইড লীডারদের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছিলো বিজিত পক্ষের নেতারা (defeated enemy leaders) আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচারের সম্মুখীন হবেন। সে অনুযায়ী যুদ্ধের পরে এমনকি Kaiser Wilhelm II ও দোষী সাব্যস্ত হন। এখন আপনিই বলুন ১৯৭১ এ বিজিত পক্ষ কে ছিলো? বাংলাদেশীরা নাকি পাকিস্তানীরা? এখন Leipzig ware crimes এর দৃষ্টান্ত অনুযায়ী ‘নিজ সৈন্যদের শাস্তি’ দেয়ার ব্যাপারটা আপনাদের পাকিস্তানের দায়িত্বের মধ্যেই কি ছিলো না? Kaiser Wilhelm II এর দৃষ্টান্ত অনুযায়ী আপনাদেরই উচিৎ ছিলো ইয়াহিয়া এবং ভুট্টোর মত নেতাদের যুদ্ধাপরাধের সম্মুখীন করা। সেটা এড়িয়ে গিয়ে ত্যানা প্যাচাচ্ছেন কেন?
কাদের সিদ্দিকী সম্বন্ধে আগেই বলেছি কাদের সিদ্দিকীর বিজয়দিবসের প্রাক্কালে বিহারীদের হত্যার ব্যাপারটি তো আমাদের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে কাদের সিদ্দিকীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা মনে রেখেও বলছি, স্বাধীনতার প্রক্কালে যেভাবে তিনি বিনা বিচারে গুলি চালিয়ে মেরেছেন, সেক্ষেত্রে তিনি কোন জেনেভা কনভেকশন মানেন নি, আন্তর্জাতিক যুদ্ধের এথিক্সও মানেন নাই। শুধু এটিই নয়, বিহারীদের উপরও আগ্রাসন হয়েছে, সেই বিহারীদের অনেকেই হয়ত অপরাধী ছিলেন না। আমি পক্ষ বিপক্ষ নির্বিশেষে যে কোন যুদ্ধাপরাধের আমি বিচার চাই।
কিন্তু সেই সাথে এটাও বলেছি পাকিস্তানিরা নয় মাসে যে গনহত্যা করেছে, যেভাবে ২৫ এ মার্চে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর ক্র্যাকডাউন করেছে, যে ভাবে লক্ষাধিক অসহায় নারীদের ধর্ষণ করেছে, সেটার তুলনায় উল্টোপক্ষের বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো তেমন ব্যাপক ছিলো না। আপনি পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার পাক-বাহিনীর নৃশংসতা তো আর কাদের সিদ্দিকী দিয়ে ঢেকে দিতে পারবেন না। যখন এই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টায় নাম্বেন, তখন আপনার উদ্দেশ্য নিয়েই সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিবে।
আপনি করাচী থেকে যে আমাদের উপর নজরদারি করছেন, তাতেই আমরা যার পর নাই কৃতজ্ঞ। গোলাম আযমের সাথে আর কার বিচার হবে, তা না হয় আমাদের হাতেই ছেড়ে দিন।
@তানভী,
এ সমস্ত গোলাগুলি করে তেমন লাভ হবে না। বরং আসুন আমরা আমাদের ডকুমেন্টেশন সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর করি। এটাই এদের জবাব দেবার একমাত্র চাবিকাঠি।
@tausif,
বুদ্বিজীবি হত্যাকান্ড প্রধান্ট হয়েছিল ডিসেম্বরের শুরু থেকে ১৪ই ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত। পাক বাহিনী তখনো আত্মসমর্পন করেনি। ঢাকায় প্রথম ভারতীয় বাহিনী প্রবেশ করে ১৬ ই ডিসেম্বর সকালে।
কাজেই বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের সময় পাকবাহিনী ভারত-বাংলাদেশের অধীনে ছিল এই অদ্ভূত তথ্য আপনি কোথায় পেলেন জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে। ১৬ই ডিসেম্বরের পর বুদ্বিজীব্বি হত্যা হয়েছে এমন অভিযোগ কেউ দিয়েছে বলে তো জানা নেই।
এটা ঠিক যে কোন কোন বুদ্বিজীবি ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। তার মানেই এই না যে পাকিস্তানীরা তাদের মাথায় তুলে নাচবে। পাকিস্তানীরা শেষ দিকে মরিয়া হয়ে অনেক যায়গায় তাদের স্নেহধণ্য রাজাকারদেরও মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়ে পালিয়ে বেচেছে। তারা চিন্তা করেছে এসব বুদ্বিজীবি স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষেই কাজ করবে, আগে যে পক্ষেই থাকুক। এ চিন্তাই ছিল তাদের নিধন করতে যথেষ্ট।
@আদিল মাহমুদ, :yes:
@আদিল মাহমুদ, @তানভি এবং অভিজিত আপনাদেরকে আমার আন্তিরক শুভেচ্ছা বিজয় দিবস উপলক্ষে, তানভি আমাকে আপনার গুলি খেতে কথায় আসতে হবে ?আমার বতর্মান location হচ্ছে করাচী।
@tausif,
১৪ তারিখে পাকিরা ভারতের অধীন ছিল এই আজগুবি তথ্য কোথায় পেলেন ? পাকিরা তো ১৬ তারিখেও পুরোদমে লড়াই করেছে মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর সাথে । এমনকি ১৬ তারিখে বিকালে ঢাকায় পাকিরা আত্মসমর্পন করলেও অনেক এলাকায় যেমন খুলনায় লড়াই হয়েছে ।
আজকের এই দিনে, তাঁদের মনে করি ……
আজকের দিনের জন্য যথার্থ পোস্ট।
@স্নিগ্ধা,
ধন্যবাদ স্নিগ্ধা ।
পাক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার বশীর, ক্যাপ্টেন কাইয়ুমের নামও শোনা যায়।
রাও ফরমান আলীর অফিসে তার দায়েরী পাওয়া যায় তাতে বুদ্বিজীবিদের নামের তালিকা ছিল, অনেকে নামে লাল ক্রস দেওয়া ছিল যাদের হত্যা করা হয়।
বুদ্বিজীবি হত্যা ছিল পুরোপুরি পাকদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বদর বাহিনীর অপারেশন; তাই নিখিল পাকিস্তান বদর বাহিনী প্রধান নিজামী ও পূর্ব পাকিস্তান বদর প্রধান মুজাহিদের নাম আসা উচিত প্রথমেই।
ঢাঃবিঃ এর বাংলার অধ্যাপক রফিকুল হক/ইসলামের নামও শোনা যায়।
এদের বিচার না হয়ার সুযোগে এখনো তাঁরা তাঁদের কাজ করে যাচ্ছে।
আজকে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকীয়টি পড়ে দেখুন সবাই।
@স্বাধীন,
ধণ্যবাদ এই অতি প্রয়োযনীয় লিংকটি দেওয়ায়।
কিরকম নির্জলা মিথ্যা স্বাধীন সাংবাদিকতার আড়ালে করা যায় তার প্রমান এটা।
আরো প্রমান হয় যে এসব দালাল এবং তস্য দালাল পাতি দালালদের চরিত্র কোনদিন বদল হয় না, ক্ষমা এদের জন্য নয়, এদের কোনদিন ক্ষমার প্রশ্নই ওঠে না।
@স্বাধীন,
ধরনী তুমি দ্বিধা হও, আমি প্রবেশ করি!!!!
আচ্ছা তাদের যখন আমরা কিছুই করতে পারছি না, তাদের টিকিটাও যখন আমরা স্পর্শ করতে পারি না,তাইলে এক কাজ করলে হয় না!!
চলেন আমরা সবাই একত্রে বিষ খাই! :-Y
মরে যাওয়া কাপুরুষের কাজ। কিন্তু গর্তে লুকিয়ে মরার জন্য বেঁচে থাকাও কি আরো বড় কাপুরুষের কাজ না??
@তানভী,
:guru: :guru:
@মুহাইমীন,
দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা হিসেবে টয়লেট পেপার থেকে বেশী কিছু না হলেও এ জাতীয় ধৃষ্টতা তো চোখে দেখা যায় না।
আমেরিকা ইউরোপের মত মুক্তকন্ঠের দেশে নাজী বাহিনীর পক্ষে বা হলোকাষ্টের বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না; আইন আছে।
আমেরিকায় হিটলার হামলাও করেনি, তাও তার নামে প্রকাশ্যে সমর্থন আইন করে নিষেধ করা হয়েছে। আর আমরা আমাদের নিজ দেশে এই সামান্য পাতি দালালদের দমনে কিছু করতে পারব না? এ লজ্জা তো আসলে আমাদের, দালালদের নয়।
@মুহাইমীন,
ভাই প্লীজ আপনি ইকটু কষ্ট করে এই স্মাইলি গুলো সরান। ওগুলো দেখে আমার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
আমার দুঃখে,ঘেন্নায় মরে যেতে ইচ্ছা করছে আর আপনি কিনা তালি বাজান!!! আমার ঐ কটু বাক্য গুলোকে উৎসাহিত করতে যেয়ে উলটো আপনি আমার ক্ষতে মরিচ ডলে দিয়েছেন। :-X
@তানভী,
ভাই আপনি যে স্বয়ং মরে যেতে চাচ্ছেন তা আমি বুঝতে পারি নাই। আর :clap2: সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, মডারেশনের পর দেখতে পাবেন। আসুন, এই লজ্জায় নিজেরা না মরে যারা এতদিন বিচার না করে নিজেদের জান রক্ষায় তৎপর ছিল এবং ‘বিড়ালের গলায় ঘন্টা পড়াবে কে’ এই নীতিতে দিনানিপাত করেছে তাদের সবার আগে কাঠ গড়ায় দাড় করাই। একেবারে মরে গেলে এই দায়িত্ব পালন করবে কে?
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
সত্যই এ লজ্জা আমাদের, দালালদের নয়। স্বাধীন দেশের মাটিতে বসে দৈনিক সংগ্রাম কিভাবে এই ধরণের সম্পাদকীয় লেখার সাহস কিংবা সুযোগ পায় এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তথাকথিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী’ সরকার নাকি ক্ষমতায়! অথচ চেতনাধারীদের নাকের ডগাতেই ঘটে চলছে মুক্তিযুদ্ধের চরম বিকৃতি এবং ধর্ষণ।
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
@অভিজিৎ
:yes: