pic1

আজ সন্ধ্যায় এক বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম। ইদানিং এধরণের যত গুলোতে গিয়েছি প্রায় সব খানেই আমাদের পূর্ব বরাদ্ধ টেবিলে বসেছি, অর্থাৎ অকুস্থলে গিয়ে আমার বা স্ত্রীর নাম লেখা একটি সুন্দর ছোট কার্ডের নিচে মূদ্রিত নম্বরের টেবিল খুঁজে নিয়েছি। সাধারণতঃ একটি টেবিল দাওয়াতে বন্ধুস্থানীয় লোকজনের জন্যই বরাদ্ধ থাকে। আজ এর ব্যাতিক্রম ছিল। টেবিলের আটজনের ছয় জন বন্ধু ছিলেন না, তবে পরিচিত। আনুষ্ঠানিক আসরে আপনি চুপ করে বসে থাকলে সেটা সবার জন্যই অস্বস্থির কারণ হতে পারে। কাজেই আমরা ক্রিকেট খেলার খবর, ঢাকার প্রচন্ড গরম, ওবামার ততোধিক নরম (পলিসি), ইসলামের ধরম (ভাল-মন্দ) ইত্যাদি নিয়ে দ্বৈত ও সমষ্টিগত আলোচনা উদ্দেশ্যবিহীন ভাবেই করতে থাকলাম। মাঝে মাঝে মাইক্রোফোনে বর ও কনের প্রশস্তি মূলক বক্তৃতার সময় হাসির হুল্লোড় ও হাততালি পড়লে আমরাও নিজেদের মাঝে কথা থামিয়ে সবার সাথে একাত্মতার প্রমাণ দিচ্ছিলাম। এমন সময় সুশ্রী এক মহিলা, ভদ্র অবশই, এসে ‘ভাবী কেমন আছেন’ জিজ্ঞেস করতেই আমার স্ত্রী উঠে দাঁড়িয়ে গল্প শুরু করে দিলে। আর আমি আমার ‘জরুরী’ আলোচনার সাথী হাড়িয়ে অসহায়ের মত এদিক সেদিক তাকাতে থাকলাম।

সব কিছু্রই শেষ আছে তাই এক সময় মহিলা বিদায় নিলেন। আমার স্মৃতিশক্তি একেবারেই লোপ পেয়েছে ভেবে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এটি আমার কোন বেয়াদব বোন বলতো? আমাকে তো একটিবার সালামও দিল না’। উল্টো প্রশ্ন শুনলাম ‘কার কথা জিজ্ঞেস করছো?’ বললাম ‘ঐ যে তোমাকে ভাবী ডেকে অনেক্ষণ গল্প করে গেল?’ উত্তর এলো ‘তোমার বোন হতে যাবে কোন দুঃখে, উনি তো আমার সহকর্মীর বড় বোন’। আমার তো আরো অবাক হবার পালা! ‘তা’হলে তোমাকে নাম ধরে না ডেকে বা অগত্যা আপা না বলে, ভাবী বলে কেন ডাকলেন? বাংলা ভাষায় ভাবী’র মানে তো হল ভাইএর বা বন্ধুর স্ত্রী!’ সহধর্মিনী তাদের মেয়েলী আলাপচারিতায় আমার জ্ঞ্যানের এই ঘাটতিতে করুণা না দেখিয়ে বরং বেশ খুশিই হলেন। সলাজ হেসে জানালে, ‘আপা বললে অনেকে রাগ করেন তাকে বয়সী প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে, অন্যদিকে নাম ধরে ডাকলে নিজেই নিজেকে বয়সী বানিয়ে ফেলা হয়। যেখানে পঁচিশ পেরোতেই মানুষের দেহের ক্ষয় শুরু হয়, আর অধিক বয়সে সেই ক্ষয় লুকিয়ে রাখতে এতো সময় ও অর্থ ব্যয় এবং প্রসাধনীর চর্চা করা হয়, কার এতো সাধ আছে যেচে নিজেকে বয়স্ক প্রতিপন্ন করার? আর অন্যেরা একাজ করলেই বা আরেকজন এটি মেনে নেবেন কেন?’ বললাম ‘কম বয়সীই বা হয়ে থাকতে হবে কেন তোমাদের সব সময়?’ কথার খেই হাড়িয়ে যাওয়ায় একটু থেমে উত্তর এলো, ‘কারণ তা না হলে তো তোমার আর আমাকে ভালো লাগবে না, অন্যের কম বয়সী স্ত্রীর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবে’। আমার প্রতি ওর নিষ্ঠার পরিচয় পেয়ে ভাল লাগলো। আর ভাবলাম কথাগুলো নেহাত মিথ্যে বলে নাই, সর্দি লাগায় নিঃশ্বাস ফেলতে সব সময় মুখ তো হা করেই রাখি। বয়সের সাথে সাথে পেশীর নমনীয়তা (ফ্লেক্সিবিলিটি) হাড়িয়ে ঘাড়টা খুব সহজেই এদিক সেদিক নাড়াতে পারি না, আর তার ওপর যদি কম বয়সী কেউ সামনে পড়ে ত’হলে তো কথাই নেই। স্ত্রীর কথায় সম্বিৎ ফিরে এলো, ‘বয়োজ্যোষ্ঠ বা কনিষ্ঠ বন্ধুর বা স্বামীর বন্ধুর স্ত্রীকে অনায়াসে ভাবী বলে ডাকা যায়। তাই ভাবী ডাকটি আমাদের খুবই সুবিধাজনক ও প্রিয়’।

ভেবে দেখলাম পুরুষদের বেলায় এধরণের কোন সুবিধাজনক সম্বোধনের অস্তিত্ব বা প্রয়োজন আছে কিনা। না, আমাকে তো অনাত্মীয় বা স্বল্প পরিচিত কেউ দুলাভাই বলে সম্বোধন করে না! সত্যিকারের শালা-শালীরাই তো কেউ আমাকে দুলাভাই ডাকে না, মনে হয় গালি শোনায় বলে। অথবা হয়তো দুলাভাই শব্দটি সেকেলে, ভাষার ও শব্দের ব্যাবহার তো অনবরতই পরিবর্তন হয়ে চলেছে। অন্য দিকে ভাই ডাকটা প্রাচীণ হলেও, আধুনিক অতি স্মার্ট লোকেরাও এই নামে ডাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আবার ইলেকশনের স্লোগানে বাবাকেও ভাই বলতে শোনা যায়। বিয়ের আগে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর প্রয়াত স্বামী, শ্বশুরকে মুজিব ভাই বলে ডাকতেন, নিজের বইতেই লিখেছেন। যে নামেই ডাকুক না কেন, বয়সের গতিতো শুধু একই দিকে, বেড়ে চলার দিকে। শোনা যায়, বিগত প্রধান মন্ত্রী রাষ্ট্র পরিচালনায় যত সময় ব্যয় করেছেন, প্রসাধণের চর্চায় তার চেয়ে কম ব্যয় করেন নাই। আসলে স্ত্রীকে আমার ওই প্রশ্ন করাই ঠিক হয় নাই। বয়স কমাবার ও বার্ধক্য ঠেকাবার জন্যে আমরা কি প্রতিদিন চেষ্টা করে যাচ্ছি না? এর লাগাম টেনে ধরার জন্যে ম্যাট্রিক সার্টিফিকেটে বয়স কমানোতো আমাদের একটি প্রাচীন ‘ঐতিহ্য’। এর সাথে আবার ইদানিং শুনতে পাই প্রয়োজনে পলিটিক্যাল জন্ম তারিখও হেরফের করা শুরু হয়েছে! সত্যি বলতে কি, একটি বয়স পেরোবার পর আমরা তো সবাই খাবার, পোষাক, জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে সক্ষম ও কর্মক্ষম থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বেশ ক’বছর আগে আমার চেয়ে প্রায় পনের বছরের বড় এক ভদ্রলোককে দেখে খুব ভাল লেগেছিল। বাসায় এসে বলেছিলাম দেখেছ ভদ্রলোক স্বাস্থ্যটা কি ভাল রেখেছেন, একটা চুলও পাকে নাই। পরে শুনেছিলাম উনি কলপ লাগিয়ে চুল কা্লো করে রাখতেন। প্রথমে বিস্বাস না হলেও ব্যাবস্থাটিকে আমার খুবই ভাল মনে হয়েছিল। আর একবার দেশে গিয়ে আপা ও মেঝোভাইকে বারবার বলছিলাম ‘জানেন, এবার আপনাদেরকে দেখে আমার খুব ভাল লাগছে, কেন বলুন তো’? একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হেসে বলেছিলেন ‘তুমি কি সত্যিই কিছু বুঝতে পারছ না’? আমার মাথা নাড়া দেখে অনেক কুন্ঠার সাথে বললেন, ‘আমরা তো কয়েকমাস থেকে চুলে কলপ লাগাচ্ছি’। ভেবে দেখলাম প্রতিবার দেশে ফিরে পরিচিত পথঘাট, দোকানপাট, বাড়িঘর, প্রিয়জন, যারা আমার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিকে ঐশ্বর্য্যমন্ডিত করে রেখেছে, তাদের সবকিছুকেই জীর্ণ থেকে জীর্ণতর হতে দেখে দেখে মনটা ভরাক্রান্ত হয়ে যায়। আমার অতি প্রিয় বড় দুলাভাই এর উজ্জ্বল গৌরবর্ণের চেহারাকে তামাটে ও কালো চুলকে বাদামি হতে দেখে তো একবার এয়ারপোর্টে তাঁকে জড়িয়ে ধরে সবার সামনে কেঁদেই ফেলেছিলাম। তার মাঝে কেউ যদি চুলকে কা্লো করার মত একটি সামান্য কষ্ট করে অন্যদের আনন্দ দিতে পারে, সেতো একটি মহৎ কাজ! অনুনয় করে বললাম, ‘প্লীজ আপনারা কখনো আর চুলকে সাদা হতে দেবেন না’।

pic2

এর পর প্রথমে যখন নিজের মাথার চুল পাকতে শুরু করে, ভাগনে-ভাগ্নিদের বলতাম একটা পাকা চুল তুলে দিলে পঁচিশ পয়সা পাবি। পয়সা দিয়ে যখন আর কুলোতে পারি না, আমার মাথা তখন পকেটের সাথে সন্ধি করে নিজ থেকেই চুল ঝড়িয়ে দিতে শুরু করলো। আরো লক্ষ্য করলাম কূটবুদ্ধিতে কেউ কারো চেয়ে কম যায় নাঃ বুড়ো সাদা চুলের বদলে মাথার শুধু অল্পবয়সী কালোচুল গুলিই ঝড়িয়ে দিতে লাগলো। কেন বাবা, এই বৃদ্ধ চুলগুলোকে কষ্ট দিয়ে আমার মাথার উপর বাঁচিয়ে রেখে তোমার কি লাভ? শেভ করি বলে দাড়ি পাকলে থোড়াই কেয়ার করি, কিন্ত যেদিন কালো গোঁফের আড়ালে উঁকিঝুকি মারা দুয়েকটি সাদা মড়াকে কাটতে গিয়ে অত সুন্দর গোঁফটিকেই অসমভাবে কেটে ফেলি, পুরো গোঁফটিকেই সেদিন বিসর্জন দিয়ে ফেলেছিলাম! সবকিছুর উপর আস্থা হাড়িয়ে পার্থিব জীবনের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে রঙ আর তুলি হাতে নিয়ে শিল্পকর্মে মনযোগ দিলাম। মৌলবাদের ঘাত প্রতিঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ওমর খৈয়াম সংসার বিমুখ হয়ে হাতে কলম তুলে নিয়েছিলেন বলেই তাকে আমরা কবি হিসেবেই পেয়েছি। কবি হওয়ার মুরোদ না থাকায় আমি সহজ পথটাই বেছে নেই; মাথায় যে কটি সাদাচুল এখনো কোনক্রমে ঝুলছে, অতি সাবধানে একটি একটি করে পরম মমতার সাথে তাদের উপর কালো রঙ এর তুলি চালিয়ে দেই। একটু অসাবধান হলেই কথা নেইঃ সারাজীবন ফেলকরা ছাত্ররাও খালি মাথার উপর নতুন স্বাধিনতা প্রাপ্ত, অজানা দেশের মানচিত্র থেকে ভুগোলের জ্ঞ্যান নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। নিজের অজান্তেই সারা বাড়িতে ডালমেশিয়ান কুকুরের সাদা-কালো ছোপে চিত্র আঁকা হয়ে যায়। যেসব শিল্পীর মাথা আমার মত দৈন্য নয়, তাঁরা অতি দৃঢ়চিত্তে মাথার উপর কালো কালির চুনকাম করে যান। আয়নায় নিজের বার্ধক্য এসে প্রতিদিন তিরস্কার না করায় দ্বিগুণ উদ্যোগে প্রাত্যহিক কাজগুলো শেষ করতে লাগলাম। সংসারে, কর্মস্থলে ও বন্ধু মহলে আমার কদর বেড়ে গেল। পৃথিবী আবার তার সৌন্দর্য নিয়ে সামনে এসে উপস্থিত হতে লাগলো।

pic3এই যে এতো পরিশ্রম, সময় ও অর্থের অপচয়, মেঝে, দেয়াল, বাথটাব ও বাথরুম সিংকে কালো কালো ছোপ লাগানো, আবার তা পরিষ্কার করা, এই পরিণত বয়সে আমরা কেন করি? সবই কি শুধুই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে? এ ব্যাপারে আমার নিজের উপলব্ধি হোল, আমরা সবাই শক্তির পুজারি। আমার ধারণা, প্রচন্ড শক্তি ও ক্ষমতা আছে ভেবেই আস্তিকরা শ্রষ্টাকে ও নাস্তিকরা প্রকৃতিকে বন্দনা করে, ভয় পায় বা ভালবাসে। শক্তি সুপ্ত’ই (পটেনশিয়াল) হোক বা প্রকাশিত’ই (কাইনেটিক) হোক, আমাদের দেয় এক প্রচন্ড ক্ষমতা। এই ক্ষমতার বলেই আমরা গতিশীল হই, নুতন কিছু সৃষ্টিতে মগ্ন হই, পুরনো সমস্যার নুতন সমাধান খুঁজি, অসম্ভবকে সম্ভব করি। আর প্রাকৃতিক নিয়মেই এই ক্ষমতার অধিকারী হয় আমার চেয়ে কম বয়সী এবং যুবক ও যুবতিরা। আমার ছেলেরা যখন বড় হচ্ছিল, ষোল-সতের বয়স হতেই তাদের সৌন্দর্য যেন ঠিকড়ে ঠিকড়ে বের হচ্ছিল। এদের চোখ, কান, নাক, চিবুক, বাহু, বক্ষ, সবকিছুই যেন এক অপার সম্ভাবনার ভাণ্ডার মনে হত। তখন ভাবতাম এ হয়তো নিজের সন্তানের প্রতি অত্যধিক স্নেহেরই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু যখন আমাদের পাড়ার একটি ছেলেকেও এই বয়সে পড়তে দেখলাম, তখনো তো একই মনে হয়েছিল। আমার দুটি ছেলে আর যে ছটি ছেলেমেয়ের সাথে শিশুকাল থেকে বড় হয়ে উঠেছে, তারা যখন এই বয়সটিতে পা রাখছিলো, আমরা সবাই কি কথা থামিয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকি নাই? আরো খেয়াল করে দেখলাম পরিচিত-অপরিচিত, আত্মীয়-অনাত্মীয়, সাদা-কালো, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র, সর্ব শ্রেণীর কিশোর-কিশোরিকেই যৌবন ঐশ্বর্যবান করে তোলে ও অপুর্ব সৌন্দর্য্যে ভরিয়ে দেয়। এদের শক্তি ও ক্ষমতা সেই সৌন্দর্য্যের মাঝেই বিকশিত হয়। আমি যা করতে সাহস পাই না, ওরা বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে সেই দায়িত্ব নিয়ে নেয়। এরা একেক জন সেই শক্তিরই প্রতিচ্ছবি। নিজে যখন বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাই তখন এদের সাহচর্য আমাদের দেয় এক নির্ভরতা। প্রকৃতিক নিয়মেই বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শক্তি ও ক্ষমতার ভাটা পড়ে। অথচ আমাদের যে সমাজ ব্যাবস্থা, তাতে আমার মত বয়সী লোকের ওপর চাহিদা ও আশা তো কমে যায় নাই। কর্মক্ষম থাকার জন্যে আমাদের অনবরত শারিরীক ও মানসিক কসরত করে যেতে হয়। এর পরেও যখন প্রকৃতির অমোঘ নিয়মকে আর হার মানাতে পারি না, তখন নিজের ও অন্যের কাছে অক্ষমতা লুকানোর জন্যে সৌন্দর্য চর্চার আশ্রয় নিতে হয়। এতে আমার নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে, তেমনি সামনে বসে থাকা আরেকজনও আমার এই আপাতঃ সক্ষমতাকে দেখে স্বস্থি বোধ করেন।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে কপালে, চোখের নীচে, গলার চামড়ায় ভাজ পড়ে; কাউকে বলে দিতে হয় না যে আপনার কর্মক্ষমতা কমে এসেছে, পৃথিবীতে আপনার প্রয়োজন ফুরিয়ে আসছে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে কেউ আর আপনার দিকে তাকায় না, কারণে অকারণে আপনার সাথে গল্প করতে কেউ আর এগিয়ে আসে না। আর কর্পোরেট আমেরিকায় বয়স চল্লিশ পেরোলে তো চাকুরি হাড়ানোর ভয়ে মিডলাইফ ক্রাইসিস্ শুরু হয়ে যায়। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কেউ যদি মুখে বা মাথায় রঙ ও প্রশাধনী লাগায়, বা আমার মত শিল্পীর তুলিতে নক্সা আঁকে, আমাদের তো সে ব্যাক্তিকে বেশি করে বাহবা দেওয়া উচিৎ। আর এর সাথে কাউকে যদি ভাবি বা ভাই বলে ডেকে নিজে তৃপ্তি পাওয়া যায় ও অপরকে আনন্দ দেয়া যায়, তা’হলে এর চাইতে ভাল ব্যাবস্থা আর কি হতে পারে?