(প্রথমেই সরল স্বীকারোক্তি: বেশীরভাগই কমন পড়ে যাবে- হাসি আসবে না: দয়া করে দোষ দিয়েন না)
আমার প্রথম কৌতুকটি সামহোয়াইনব্লগে কয়েকজনের পোস্টে দেখেছি। নিজের ভাষায় পুনর্লিখন করছি:
কৌতুক এক:
এক ধার্মিক ব্যক্তি আর এক নাস্তিক পাশাপাশি হাটছিল। ধার্মিক ব্যক্তি স্বভাবসুলভ পাশের ব্যক্তিটিকে নামাজ-রোজা এসবের ফজিলত বর্ননা শুরু করতেই নাস্তিক ব্যক্তির প্রশ্ন: আপনি আল্লাহরে বিশ্বাস করেন?
ধার্মিক ব্যক্তি একটু থতমত খেয়ে জবাব দেয়: হ্যা।
নাস্তিক: কেন?
ধার্মিক: বাহ, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের পালনকর্তাকে বিশ্বাস করবো না?
নাস্তিক মহাশয় এবার একটা ব্যঙ্গ হাসি হেসে বললো: আপনি দেখেছেন কখনো আল্লাহকে? আর, আল্লাহকে মানতে গেলে তো ভাগ্যকেও মানতে হয়- ভালো আর মন্দ তাহলে তো সবই আল্লাহরই কাজ- তাতে আমাদের কি কোন হাত আছে?
নাস্তিকের প্রশ্ন দুটি শুনে ধার্মিক ব্যক্তি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো। তারপর, হঠাৎ করেই একটা ইট তুলে- নাস্তিকের মাথায় মেরে বসলো।
থানা-পুলিশ হয়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালো। বিচারক ধার্মিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন: আপনাকে ঐ ব্যক্তি দুটো প্রশ্ন করলো- আর আপনি তাকে এভাবে আঘাত করলেন? বেচারি কত ব্যথা পেলো!
ধার্মিক ব্যক্তি: আমি তার দুটি প্রশ্নের জবাব এক ইট দিয়ে দিয়েছি।
বিচারক: সেটা কিভাবে?
ধার্মিক ব্যক্তি: সে বলেছে যা দেখা যায় না,তা বিশ্বাস করা যায় না। তাহলে সে যে ব্যথা পাচ্ছে তা তো আপনি আমি কেউ দেখছিনা। সে শুধু অনুভব করছে।
বিচারক: আর, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর?
ধার্মিক ব্যক্তি: ওটা তার কপালে লেখা ছিল।
*****************
মনে হয়- ১ম কৌতুকটি ফ্লপ, একটুও হাসি আসেনি- তাই না? আমারো আসতো না- কিন্তু এটাকে কৌতুক হিসাবে চালানোর প্রচেস্টায় খুব হাসি পেয়েছিল। প্রচেস্টাটা বেশ অভিনব- গল্প বা কৌতুকের ছলে- নাস্তিকদের দুটো প্রশ্নের জবাব কি সুন্দর দেয়া হলো! আমি অবশ্য ভাবছি- তার পরের ঘটনা। বিচারক কি করবেন? ইট মারার অভিযোগে নিশ্চয়ই ধার্মিক ব্যাটার শাস্তি হবে। এবং এই রায়টাকেই বলা হয় ইহজাগতিক। ইহজাগতিক এই কারণে যে- বিচারক তার রায় দিবেন নাস্তিকের ব্যথার কথা শুনে নয়- দিবেন ঘটনার কারণে- ঘটনাটি হচ্ছে, ইট দিয়ে নাস্তিকের মাথায় আঘাত করা হয়েছে এবং এটি ধার্মিক ব্যক্তির হাতে ছিল, নাস্তিক ব্যক্তি ঘটনাটি দেখেছে- ধার্মিক ব্যক্তিও স্বীকার করছে এবং আশে পাশের দু একজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য এর প্রমান- যার ভিত্তিতে বিচারক রায় দিতে পারেন। (কৌতুকটি থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে: যুক্তিতে না পারলে বা জবাব দিতে না পারলে- ইট-ই ভরসা!!)
এবারে দ্বিতীয় কৌতুকে যাওয়া যাক। এটি বাচ্চাকালে শোনা এবং তখনও আমি মোটেই নাস্তিক নই।
কৌতুক দুই:
এক মুসলমান অন্ধ ব্যক্তি ধর্ম-কর্মের ব্যাপারে খুবই উদাসীন। এমনকি জুম্মার নামাজটাও সে পড়তে যায় না। সুরা-দোয়া-দরুদ কিছু তার মুখস্ত নেই। পাড়ায় সবাই খুব নিন্দে করে। নিন্দে শুনে তার বউ এর খুব মন খারাপ হয় এবং এসে স্বামির সাথে খুব হাম্বিতাম্বি করে। কিন্তু অন্ধ লোকটি যেমন তেমনই থাকে; খালি হাই তুলে বলে: অন্ধ মানুষ- আল্লাহ নিশ্চয়ই সব ভুল-চুক মাফ করে দিবেন।
পাড়ার মসজিদের ইমামের কাছে অনেকেই নালিশ তুলেন। ইমাম নিজে খোড়া, তাই অন্ধলোকটির প্রতি কিছুটা সহানুভূতি ছিল। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য রাখতে পারলেন না- অন্ধলোকের বাড়িতে গিয়ে ফতোয়া দিয়ে আসলনে- পরের জুম্মায় তাকে যদি মসজিদে না দেখা যায়- তবে তাদেরকে একঘরে করা হবে। শুনে অন্ধলোকের বউ তো কেদেকেটে একাকার, সেও জানিয়ে দিলো- এবারের জুম্মায় তার স্বামি না গেলে- সে আত্মহত্যা করবে। উপায়ন্তর না দেখে জুম্মাবারে নামাজ পড়তে অন্ধলোকটি মসজিদে গিয়ে হাজির।
জামাতে অনেকের সাথে দাড়িয়েছে নামাজ পড়ার জন্য। ইমাম আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করেছে। সুরা পাঠ শুরু হয়েছে- আলহামদুলিল্লাহ…। অন্ধলোকটি শুনছে আর ভাবছে- এগুলো কি বলছে, এসবের মানে কি? কিছুই বুঝতে পারছে না – বুঝার চেস্টা করছে- বুঝা যাচ্ছে না: এমন সময় দেখে ইমামের একটি বাক্যের আংশিক সে বুঝতে পারছে: ইয়া কানা বুদুয়া ইয়া কানাস্তাইন…। কিন্তু শুনেই তো অন্ধলোকের পুরা মাথা গরম। সে কানা বলে তাকে নিয়ে মশকরা! ল্যাংড়া ইমামের মনে তাহলে এটাই ছিল! তাকে ডেকে সকলের মধ্যে এমন অপমান!
অন্ধলোকটি দমার পাত্র না, সে কোনমতেই ছাড় দিতে রাজী হলো না। সেও চিৎকার করে উঠলো: ইয়া ল্যাংড়া বুদুয়া ইয়া ল্যাংড়াস্তাইন….
***************
বাচ্চাকালের কৌতুকে যতখানি উইট থাকে আর কি! যাহোক, পরে আরেকটি ঘটনার সময়ে এই কৌতুকের কথা আবার মনে পড়ে। বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। জনকন্ঠে ফতোয়া বিরোধী একটা লেখা নিয়ে মোল্লারা বিশাল চিল্লাফাল্লা করেছিল, কোরআন বিকৃতির অভিযোগে ঐ প্রবন্ধের লেখক, সম্পাদক-উপসম্পাদক অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। ঐ লেখাটিতে কি ছিল? ফতোয়াবাজরা কি করে কোরআনকে ব্যবহার করে ফতোয়া দেয় তার একটা উদাহরণ ছিল গল্প আকারে। এক বিধবার একমাত্র সম্বল তার বলদটির দিকে দেবরের লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে (ভাবীর দিকেও- কেননা একদম নিঃস্ব হয়ে পড়লে ভাবী বাধ্য হয়ে..)। দেবর টাকা পয়সা দিয়ে গ্রামের মাতুব্বর ও ইমামকে হাত করে। দেবরের নাম ছিল আমিন। সালিশ অনুষ্ঠিত হয়: বিধবা তার দুগ্ধপোষ্য শিশুটিকে নিয়ে হাজির হয়। সালিশের বিষয়- বিধবা মহিলার স্বামির মৃত্যুর পরে বলদের প্রকৃত মালিক কে? বিধবা? তার দুগ্ধপোষ্য শিশুটি? নাকি শিশুটির চাচা আমিন? ইমাম সাহেব কোরআন থেকে ফতোয়া দেন: “আত ত্বীন”- মানে তোমরা তিনজন। …. “বালাদাল আমিন”- মানে বলদ আমিনের। সুতরাং বলদটি আমিনের। ইত্যাদি।
এই ঘটনার পরে মনে হয়েছিল- বাচ্চাকালের “কানা বুদুয়া”কে “ল্যাংড়া বুদুয়া” যারা বানিয়েছিল- তাদেরো নিশ্চিত কাফের ঘোষণা করা উচিত ছিল। তবে মনে আছে- ঐ সময়ে এই গল্পটি যে বলেছিল- বা যারা শুনেছিলাম- সবাই আস্তিক ছিল। কারো কোরআন বিকৃতির কথা মাথায়ও আসেনি। ভাবি- আহা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
তিন নম্বরটা বেগম রোকেয়ার রচনা সমগ্র থেকে নেয়া। এবং মূল ভাবটি ঠিক রেখে এটি নিজের মত করে আমার তৈরি:
কৌতুক তিন:
মসজিদের ইমাম মসজিদেই এলাকার বাচ্চা – কাচ্চাদের কায়দা-আমপাড়া শেখান। তো, একদিন শহর থেকে মাদ্রাসার বড় হুজুর আসাতে ইমাম সাহেব ভাবলেন, বাচ্চাদের সাথে বড় হুজুরের সাক্ষাৎ হলে মন্দ হয় না। যেমন ভাবা তেমন কাজ।
বড় হুজুর এসে বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে ধর্ম-কর্ম নিয়ে কিছুক্ষণ ওয়াজ নসিহত করলেন। তারপরে চলে যাওয়ার আগে কি মনে করে যেন- বাচ্চাদের কাছে এক এক করে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন- বড় হয়ে কে কি হতে চায়।
: বল তো বাবা, বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও?
: আমি বাবার মতো কৃষক হবো।
: বাহ বেশ ভালো, বেশ ভালো। মানুষের ক্ষুদা নিবারনে কাজ করা খুবই সোয়াবের কাজ।
আরেকজনের দিকে তাকিয়ে: তো তুমি বলতো বাবা- কি হতে চাও?
: আমি বড় হয়ে শিক্ষক হবো।
: মা’শাল্লাহ। এটা আরো ভালো। মানুষের আত্মার ক্ষুদা নিবারণ হবে তাতে। এটাতে অনেক সোয়াব হবে।
আরেকজনকে: তুমি কি হতে চাও?
: আমি হুজুর হবো।
: মা’শাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! এটা তো সবচেয়ে ভালো কাজ। মানুষের ইহজগত-পরলোক সমস্ত ক্ষুদা নিবারণে তুমি কাজ করবে। আল্লাহ অনেক খুশি হবেন- অনেক সোয়াব দিবেন। …
উচ্ছাস একটু কমলে বাচ্চাটিকে আবার প্রশ্ন করেন: আচ্ছা বাবা, তোমার কেন এমন হুজুর হতে ইচ্ছা?
: আমরা খুব গরীব, ঠিক মত খাবার পাই না। তারপরেও যখন বাসায় হুজুর আসেন- মা বাসার মুরগী জবাই করে ওনাকে খুব যত্ন করে খাওয়ান।
***********
কৌতুকটি পড়ে ঠিক হাসি না, একটু মন খারাপ হয়ে যায়। এবার তাহলে আর মন খারাপের দরকার নেই। যে কৌতুকটি খুব হাসিয়েছিল, এবার সেটিই হোক:
কৌতুক: চার
দুই বন্ধু, একজন আস্তিক আরেকজন নাস্তিক।
একদিন দুই বন্ধু মিলে পাখি শিকারে গেল। তো, প্রতিবার গুলি করে পাখি মরছিল না- আর নাস্তিক বন্ধু বিরক্তির স্বরে বলে উঠে: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
শুনে আস্তিক বন্ধু কানে হাত দিয়ে সংশোধন করে দেয়: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন…
নাস্তিক বন্ধু সরি-টরি করে আবার পাখি শিকারে ব্যস্ত হলো।
আবার কিছুক্ষণ পরে টার্গেট করে গুলি ছুড়লো- কিন্তু পাখি মরলো না। বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো: ধুর! বালটা আবার মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (একটু রাগত স্বরে ও উচ্চস্বরে)
: সরি সরি…
আবার একই ঘটনা….
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (আরো রেগে আরো চিৎকার করে)
: সরি সরি সরি…. (প্রায় হাত-পা ধরা অবস্থা)
কিছুক্ষণ পর। একটা পাখির দিকে টার্গেট করেছে নাস্তিক বন্ধু, গুলি ছুড়লো- কিন্তু আবারো মিস…
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
: আমরা আমাদের মুখ সামলে রাখি, নচেত আল্লাহ রাগ করিবেন… (এবারে চরম ক্ষেপে গিয়ে সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে চিৎকার করে)
: স……..
নাস্তিক বন্ধুটি কথা শেষ করতে পারলো না…….
তার আগেই প্রচণ্ড আওয়াজ হয়ে একটি বাজ নেমে আসলো….
দেখা গেল- সেই বাজে আস্তিক বন্ধুটি মরে পড়ে আছে…..
এবং….
আকাশ থেকে একটি গায়েবী আওয়াজ শোনা গেল
: ধুর! বালটা মিস হয়া গেল!!
**********************************
এটি শুনে এক আস্তিক বন্ধু “কি হলো” “কি ঘটলো” জিজ্ঞেস করতে করতে শেষে মন্তব্য করল: “যাক! অন্তত- এটাতো স্বীকার করা হয়েছে যে ঈশ্বর আছে!” এই মন্তব্যটা কৌতুকের চেয়ে সামান্য কম হাসায়নি আমদের।
আসলে কৌতুকে আদিরস যুক্ত হওয়াটাই যেহেতু রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে- সেহেতু এসব রস ছাড়া কৌতুকে হাসানোটা কঠিন। এটা জেনেও- সে পথে যাচ্ছি না। মোল্লা-হুজুরদের নিয়েও কিছু কৌতুক প্রচলিত আছে, কিন্তু ঐ ব্যক্তিদের নিয়ে খালি খালি হাসি তামাশা করতেও মন চাচ্ছে না। এবারে আমার পরবর্তী কৌতুক…
কৌতুক: পাঁচ
মধ্যযুগের কাহিনী। এক অত্যাচারী রাজা তার বিপরীত মত পথের লোকদের নির্বিচারে ধর-পাকড়, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করছিল- এমন সময়কার ঘটনা। ঘটনাচক্রে এক খৃস্টান, এক মুসলমান আর এক নাস্তিক ধরা পড়লো- রাজার বিরোধিতা করার অপরাধে তাদের মৃত্যুদন্ডের রায়ও হলো।
নির্ধারিত দিনে এক এক করে তাদেরকে গিলোটিনে চড়ানোর জন্য নেয়া হলো। প্রথমে খৃস্টান ব্যক্তির পালা। তাকে বলা হলো: মরার আগে শেষবারের মতো প্রার্থনা করতে চাইলে সে করতে পারে। খৃস্টান ব্যক্তিটি আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রার্থণা করলো: “আমাকে আমার পিতা যেশাসই রক্ষা করবে”। এরপরে সে গিলোটিনে তার মাথা গিলোটিনে রাখলো। কিন্তু অবাক ব্যাপার! দেখা গেলো- ধারালো ব্লেডটি সাই সাই করে নামতে নামতে হঠাতই তার মাথার ইঞ্চিখানেক উপরে এসে থেমে গেলো।
জনতা গুঞ্জন করে উঠলো: কি অলৌকিক! কি অলৌকিক!
এবারে, মুসলমানের পালা। তাকেও শেষবারের মত প্রার্থনা করার সুযোগ দেয়া হলো। সে দু হাত উপরে তুলে আর্জি জানালো: ” আমাকে আল্লাহ পাক-ই রক্ষা করবেন”। প্রার্থনা শেষে মাথা গিলোটিনে রাখলো। এবং এবারেও অবাক করে- ব্লেডটি ঠিক মাথার কাছে এসে আটকে গেলো।
জনতার মাঝে আবার গুঞ্জন উঠলো: কি অলৌকিক! কি অলৈকিক!
সব শেষে নাস্তিকটির পালা। তাকে প্রার্থণা করতে বলা হলো। সে চুপচাপ দাড়িয়ে থেকে- গিলোটিনটির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়েই থাকলো। কয়েকবার বলার পরেও যখন সে একইরকম চুপ থাকলো- তখন তার মাথাটি ধরে গিলোটিনের নীচে রাখা হলো। ব্লেডটি নামানো হবে হবে- এমনই সময়ে সে কথা বলে উঠলো: “বোধ হয় আমি কারণটি ধরতে পেরেছি। বোকা, নীচ থেকে একফুট উপরে একটা আংটায় আটকে যাচ্ছে এটা বারেবারে- ওটা সরাও”।
******************
এক আস্তিকের কাছ থেকে শুনেছিলাম- ব্যাপক হাসছিলো নাস্তিকদের বেকুবগিরি দেখে। কিন্তু- আমার কাছে এই বেকুব নাস্তিক ক্যারেকটারটা অসাধারণ লেগেছিল। হয়তো বা- নিজেও অমন বেকুব হতে চাই বলেই।
এবারে, আজকের মতো শেষ কৌতুকটি বলি। (আদিরসের হালকা ছোয়া আছে)
কৌতুক:ছয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের মিড-টার্ম পরীক্ষার একটি প্রশ্ন:
দোযখ কি তাপোৎপাদী (exothermic) না কি তাপহারী (endothermic)? ব্যাখ্যা সহ লিখো।
বেশীরভাগই বয়েলের সূত্র থেকে ও আরো কিছু ভেরিয়েবল দিয়ে নিজেদের জবাবের পক্ষে যুক্তি হাজির করলো। (গ্যাস প্রসারিত হলে তা তাপমাত্রা হারায় বা সংকোচিত হলে তাপমাত্রা বাড়ে… ইত্যাদি)
যাহোক এক ছাত্রের খাতায় একটু ভিন্ন আঙ্গিকের আলোচনা পাওয়া গেলো:
“প্রথমত আমাদের দেখতে হবে- দোযখে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, না কি কমছে, না কি অপরিবর্তিত থাকছে। এটা বের করার জন্য আমদের দেখতে হবে- দোযখে প্রবেশ করা আত্মার সংখ্যা এবং দোযখ থেকে চলে যাওয়া আত্মার সংখ্যা কেমন।
আমার মনে হয়- কোন আত্মা একবার দোযখে ঢুকলে সে আর বেরুবে না। এমনটি ঘটলে ধরেই নেয়া যায় দোযখ থেকে কেউ বের হচ্ছে না। ফলে যা ঘটতে পারে তা হচ্ছে কেবল আত্মার দোযখে অনুপ্রবেশ। সুতরাং কিরকম সংখ্যায় আত্মা দোযখে ঢুকছে।
আমরা দুনিয়ায় নানা ধর্ম আছে, এবং প্রতি ধর্মই বলছে নিজ ধর্ম ব্যতিত অপর ধর্মের প্রতিটি মানুষই দোযখে যাবে। সে হিসাবে যেকোন মানুষই তার নিজ ধর্মের বাইরে অন্য যেকোন ধর্মের চোখে দোযখগামী। অর্থাৎ- যেহেতু কোন একজন মানুষের পক্ষে একই সাথে দুনিয়ার সকল ধর্মের অনুসারী হওয়া সম্ভব নয়- সুতরাং, বুঝাই যাচ্ছে- দুনিয়ার সর্ব যুগের সব মানুষই দোযখে যাচ্ছে।
যুগে যুগে মানুষের জন্মহার ও মৃত্যুহার দেখে আমরা বুঝতে পারি যে, দোযখে প্রবেশকারী আত্মার সংখ্যা এক্সপোনেনশিয়ালি বাড়ছে। দোযখে আত্মা প্রবেশের হার ও দোযখের প্রসারণের হার তুলনা করেই আমরা বুঝতে পারবো- এটা এক্সোথার্মিক- নাকি এন্ডোথার্মিক।
কেননা বয়েলের সূত্র থেকে আমরা জানি যে, দোযখের তাপমাত্রা ও চাপ একই রাখতে হলে- দোযখে আত্মার অনুপ্রবেশের হার অনুপাতে দোযখকেও প্রসারিত হতে হবে। এখান থেকে আমরা দু ধরণের অনুসিদ্ধান্ত টানতে পারি:
১। যদি আত্মা প্রবেশের হার দোযখ প্রসারণের হার অপেক্ষা অধিক হয়- তবে চাপ বাড়বে এবং তাপমাত্রাও বাড়িতে থাকিবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দোযখ তার সম্প্রসারণের শেষ সীমায় পৌছাইয়া বিস্ফোরিত হইতেছে। অথবা,
২। যদি আত্মা প্রবেশের হারের তুলনায় দোযখ প্রসারণের হার অধিক হয়- তবে তাপমাত্রা কমিতেই থাকিবে যতক্ষণ না দোযখ একেবারে জমিয়া যাইয়া প্রসারণ বন্ধ করিয়া দিতেছে।এ প্রসঙ্গে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য- গত গ্রীষ্মে আমার বান্ধবীর কথাটি উল্লেখ করা আবশ্যক, সে বলেছিল: “আমার সাথে শু’লে দোযখেও তুমি শীত অনুভব করবে”। যেহেতু, আমার বান্ধবীর কিছুদিন হলো অন্যত্র বিবাহ হয়েছে- সেহেতু, ধরে নেয়া যায়- ২ নং অনুসিদ্ধান্তটি ঘটিবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
অতএব, বুঝাই যাচ্ছে- দোযখ অবশ্যই এক্সোথার্মিক”।
এই ছাত্রটি এ+ পেয়েছিল।
*******************
আজ এ পর্যন্তই।
আশা করবো- আপনারাও আপনাদের কালেকশন দিয়ে এই পোস্টকে আরো সমৃদ্ধ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
মুক্তমনার বহু সদস্য আল মুর্শেদের কুরুচিপূর্ণ কৌতুকগুলোর ব্যাপারে আমাদের কাছে আপত্তি জানিয়েছেন। মুক্তমনা এ ধরনের নিম্নরুচির কৌতুক করা ব্লগে উৎসাহিত করে না। ধর্ম নিয়ে সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে রসিকতা করা এক জিনিস, আর তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি কেউ নারী নিয়ে নোংরা কৌ্তুক পরিবেশন করে বাহবা নেয়ার চেষ্টা করেন, তবে সেটি অভিপ্রেত নয়। আমরা চাই না এ নিয়ে নোংরা আলোচনা ব্লগে দীর্ঘায়িত হোক। এ ব্যাপারে ব্লগারকে সতর্ক করা হচ্ছে।
মুর্শেদ সাহেবের মন্তব্য এখন থেকে ব্লগে সরাসরি প্রকাশিত হবে না, মডারেটরের স্ক্রিনিং-এর মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হবে।
এক ষাটোর্ধ্ব বিপত্নীক নূতন বিয়ে করেছে।নিজের অর্ধেক বয়সী নব বধূকে খুশি করার জন্য তিনি বাজার হতে কালো রঙ কিনে এনে ব্যবহার করলেন।বাসর ঘরে নতুন বৌয়ের সাথে দেহ মিলনের পূর্বক্ষণে লুংগিটি খুলে পড়ে গেলে সে দিকে এক নজর দেখেই বধূ টি ফিক করে হেসে বললো,”এ মা,মাথার চুলে চাঁদের আলো,নীচে দেখি কৃষ্ণ কালো।”
@আল মুর্শেদ,
একসাথে পাঁচটি কৌ্তুক বলেছেন। আপনার মুসলমান নামের সাথে হিন্দু সমাজ নিয়ে সবগুলো কাপড়ের নীচের, নারী সম্বলিত নোংরা কৌ্তুক মানাচ্ছেনা। আপনার কৌ্তুকগুলো অশ্লীল, কুরুচীপূর্ণ আর সার্বিকভাবে হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে নারীজাতির অবমাননা। ওগুলো কৌ্তুক নয়, আসহায় মস্তিস্ক বিকৃত যৌন্নোমাদের আর্তচিৎকার। ভাইয়া আপনার ওজু ঠিক আছেতো?
@আল মুর্শেদ সাহেব,
আপনার চরম অশ্লীল কৌতুকগুলো পড়লাম। আপনি সুস্থ মস্তিষ্কে এই কৌতুকগুলো দিয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে আমার। অথবা কোন কারণে হয়তো মুক্তমনাকে ভুলক্রমে আপনি রসমনা মনে করে বসে আছেন। আপনার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনার কদর্য এবং কুৎসিত মানসিকতার পরিমাপ যাতে পাঠকেরা পেতে পারে সেজন্য আপাতত মুছে দিচ্ছি না অশ্লীল কৌতুকগুলো। দুই একদিন পরে শুধু এগুলো না, সাথে সাথে আপনাকেও মুছে দেয়া হবে মুক্তমনা থেকে।
মানমন্দিরে এক জ্যোতির্বিদ এবং তার মহিলা সহকারিনী কাজ করছিলেন।
সহকারিনীঃ নূতন কৃষ্ণ গহবরের ডাটাগুলো দেখেছেন স্যার?
জ্যোতির্বিদঃ দেখছি,তোমার কৃষ্ণ গহ্বরের কী খবর বল তো?
এক ক্ষমতাশালী ব্যক্তি এক মেয়েকে জোর করে ধরে এনেছে।খাস কামরায় এই চুল পাকা বাপের বয়সী লোকটিকে দেখে মেয়েটি ক্রুদ্ধ স্বরে চেঁচিয়ে উঠলো,”এই বুড়া তুই ক্যাঠা রে?”
লোকটি এক ঝটকায় তার কাপড় খুলে কালো,কুন্তল আবৃত তার ভীমাংগ প্রদর্শন পূর্বক মেয়েটির উপরে নিজেকে নিক্ষিপ্ত করে ভেতরে প্রবিষ্ট হতে যেয়ে বললো,” বাল কৃষ্ণ ঠ্যাকা রে।”
@আল মুর্শেদ,
একসাথে পাঁচটি কৌ্তুক বলেছেন। আপনার মুসলমান নামের সাথে হিন্দু সমাজ নিয়ে সবগুলো কাপড়ের নীচের তলার, নারী সম্বলিত নোংরা কৌ্তুক মানাচ্ছেনা। আপনার কৌ্তুকগুলো অশ্লীল, কুরুচীপূর্ণ আর সার্বিকভাবে হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে নারীজাতির অবমাননা।
অভাবের কারণে এক তরুণীর বিয়ে হয়েছে সত্তোর পেরনো এক বৃদ্ধের সাথে।তরুণীর প্রেম ছিল কৃষ্ণ কুমার নামে এক তরুণের সাথে।যাহোক,বিয়ের রাতে বুড়ো স্বামী অনেক চেষ্টা করেও সুবিধে করতে পারছিল না।শেষে নিজের বিগত যৌবনের শক্তির কথা মনে করে অংগ সঞ্চালনের চেষ্টা করতে করতে বললো,”হা রে,হা রে ,হা রে,হা রে(হায় রে)
নীচ থেকে নব বধূ বলে উঠলো,” কৃষ্ণ,কৃষ্ণ,কৃষ্ণ,কৃষ্ণ।
কৌতুকগুলো সব এক ধরণের হয়ে যাচ্ছে, তাই একটু বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছি।
এক কুমারী বরের জন্য শিবলিঙ্গের নিকট প্রার্থনা করলো,”হে শিব,এই কুমারীত্বের জ্বালা আর সহ্য হচ্ছে না,আপনি একটা ব্যবস্থা করুন।”
প্রার্থনা শেষে দৈব বাণী হলো,”ব্যবস্থা করছি,কিন্তু এতো বড় জিনিস নিতে পারবে তো?”
আদিল ভাই,
হুজুরের উত্তর গুলোও নিশ্চয়ই ততোধিক মজাদার ছিল।
৯৫-৯৬ সালের দিকের কথা। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর কিছুদিন গ্রামে ছিলাম। স্থানীয় হাইস্কুলের ধর্ম শিক্ষককে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করলেও (উনি ক্লাসে ঘুমান, ইত্যাদি) উনি আমাকে বেশ স্নেহই করতেন। এলাকা সুত্রে উনি আমার চাচা।
তো দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। চাচা একগাদা পরীক্ষার খাতা দেখছেন বাইরের দাওয়ায় বসে। আমি ঘুরতে ঘুরতে সেখানে হাজির। আমাকে দেখে উনার চোখে মুখে দিব্য হাসি। ভাবলাম অনেকদিন পর দেখা তাই হেসে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। খুশি হয়ে আরো এগিয়ে গেলাম। কিন্তু পরে বুঝলাম ঘটনা অন্য। মাঠে ধানকাটা চলছে। উনি যদি একটু মাঠে না যান তাহলে কামলারা ফাঁকি দিতে পারে। কিন্তু পরীক্ষার খাতা দেখাও জরুরী। তাই আমি যদি একটু দেখে দেই …
– কিন্তু আমিতো জানিনা সিলেবাস কি, বা কোন স্টান্ডার্ড এ মার্কিং হবে। বা এ বিষয়ে তো আমার জ্ঞান ও সীমিত। আমি কীভাবে মার্কিং করব?
– বাতিজা, এত চিন্তা করিওনা। এক ফৃস্টা লেখা দেইকলে ৩ নম্বর আর দুই ফৃস্টা দেইকলে ৪ নম্বর দিবা।
আক্কেলগুড়ুম হয়ে আমি ও খাতা দেখতে বসলাম।ক্লাস সিক্স এর ধর্ম পরীক্ষা। শুধু পৃষ্ঠা দেখে নম্বর দিতে আমার মন সায় দিলনা। তাই একটু পড়ার চেষ্টা করলাম।
প্রশ্নঃ হুদাইবিয়া সন্ধি সম্পর্কে কি জান লিখ।
বেশির ভাগ উত্তর ই মোটামুটি হুদাইবিয়া নিয়ে আমি যা জানি সেরকম ই। তবে দুই জনের উত্তর পত্রের দিকে চোখ আটকে গেল।
মোহাম্মদ রফিক আলম লিখেছেঃ
হুদার যখন বিয়া হল তখন বউ নিয়ে ঘরে এল। সবাই নতুন বউএর খুব প্রসংসা করল। আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) এই বিয়াকে একটি নেয়ামত হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন বিয়া হইলে হুদার বিয়ার মতই বিয়া হউয়া উত্তম। আমাদের ও এই ঘটনাটিকে আল্লাহর নেয়ামত হিসাবে নিয়ে তাকে অনুসরণ করা কর্তব্য…
এরকম করে মোটামুটি দেড় পৃষ্ঠা। চাচার নম্বরের হিসাব অনু্যায়ী আমাকে মোটামুটি সাড়ে তিন দিতে হয়। কিন্তু আমি বুঝতে না পেরে খাতাটি একপাশে সরিয়ে রাখলাম।
ফরিদা ইয়াসমীন এর উত্তরঃ
হুদাই বিয়া হল হুদাহুদি বিয়া। আরবের সেইসময়ে মহিলাদের কোন ইজ্জত ছিলনা। তাদের পুড়াইয়া মারা হইত। রাসুল (সঃ) এই ব্যাপারটি সহ্য করতে না পাইরা কিছু কিছু সম্ভ্রান্ত মহিলাদের হুদাহুদি বিয়ার ব্যবস্থা করেন। ইহার ফলে তাহাদের পুড়াইয়া মারার ঘটনা বন্ধ হইয়া যায়…
এটাও মোটামুটি এক পৃষ্ঠা। আমি মোটামুটি হতবুদ্ধি হয়ে কিছুক্ষ্ণ বসে রইলাম। আমাকে উদ্ধার করতে আল্লাহ এই সময়ে চাচীকে পাঠালেন।
উনি থালা ভর্তি জলপাই এর আচার এনে আমার সাথে গল্প করতে বসলেন।
@বকলম,
ভাই আপনার রিয়েল লাইফ কৌতূক তো সব্বাইকে হার মানায়।
ধর্ম শিক্ষকরা পৃষ্ঠা গুনে নম্বর দেন এটা সবাই জানে, কেউ কেউ আমাদের সময় এ জন্যই ইলেক্টিভ হিসেবে নিত।
@আদিল মাহমুদ,
না-হেসে পারলাম না, {@বকলম,
ভাই, আপনার রিয়েল লাইফ কৌতূক তো সব্বাইকে হার মানায়।}
একমত । আমিও এ রকম মানুষ পেয়েছি । এরা তো ইসলামের লাভের চেয়ে ক্ষতিঈ বেশী করবে বলে মনে হয় । হাসি আসলে ও ভিতরে কান্না আসে । কি হবে আমাদের ? আল্লাহ পাক আমাদের মাফ করুন ।
@ফুয়াদ,
আমিও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনি কেন ধর্মের সামান্যতম ছোয়া যাতে আছে সেটাইকেই খুব সিরিয়াসলি নিয়ে নেন।
ঐ গল্পের এক হুজুর দিয়ে সব হুজুরকে বিচার করা যায় না। যদিও একই রকম অভিযোগ অনেক আছে যা আমিও বলেছি। সেটা বাংলা, ইতিহাস এ ধরনের বিষয়তেও আসে, এ ধরনের বিষয়তেও পৃষ্ঠা গুনে নম্বর দেওয়ার বহু নজির দেখেছি। যেজন্য আমাদের সময় বলা হত বাংলায় বড় হরফে ফাক ফাক করে লিখবে যাতে পৃষ্ঠা বেশী হয়।
তাই পৃষ্ঠা গুনে নম্বর দেওয়ার সাথে ধর্মের লাভ ক্ষতির তেমন সম্পর্ক নেই, একই দোষে অন্য কিছু বিষয়ও পড়ে যায়।
আর ইসলামের লাভ ক্ষতির কথা চিন্তা করলে আসলেই যারা ইসলাম নিয়ে বেশী মাতামাতি করেন, কথায় কথায় কায়েম করতে চান (যদিও নিজেরাও মনে হয় জানেন না ব্যাপারটা আসলে কি) তারাই ক্ষতি করেছে বেশী। এই দলে এতদিন ছিল অশিক্ষিত বা আধা শিক্ষিত কিছু মোল্লা আলেম। তাই চিন্তিত হবার খুব বেশী কিছু ছিল না, তবে কিছু শিক্ষিত লোকে যেভাবে ধর্ম রক্ষার নামে মানুষকে পিছিয়ে পড়ার সবক দিচ্ছে তাতে কিছুটা উদ্বিগ্ন হতেই হয়। হাজার বছর ধরে এসব গোয়ার্তুমী করে জাতিকে পিছানোর শিক্ষাতেও মনে হয় না কোন চেতন হয়েছে বলে।
@আদিল মাহমুদ, thanks
ধন্যবাদ সবাইকে। গল্পগুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
অতটা হাসির না হলেও আরেকটি গল্প মনে পড়ছে।
এবছর ই জুলাই মাসে আমার দাদি মারা গেছেন। বড় ফ্যমেলি হওয়ায় আমার মা খুব ব্যস্ত থাকতেন পারিবারিক কাজে। দাদিই আমাদের মানুষ করেছেন অনেকটা। বিভিন্ন রূপকথা ও ধর্মীয় গল্পের পাশাপাশি উনি আমাদের পরহেজগার করে তুলতে কম চেষ্টা করেন নি। যদিও সে কাজে ওনার সফলতা খুবই সামান্য। সব সময় নামাজ, রোজা ইত্যাদি বিষয়ে তার উৎসাহ রবার্ট ব্রুস – এর চেয়ে কোনো অংশে কম ছিলনা।
একদিন কোন কারণে খুব ভোরে ঘুম ভেংগে গেল। উঠে এসে বারান্দায় গেলাম। দাদি কোরান পড়ছেন।
আমাদের বাসা থেকে খানিকটা দূরে আরেক বাড়ির ছাদে দুজন মিলে বেশ কসরত করছে মার্শাল আর্ট এর। বারান্দা থেকে তাদের লম্ফঝম্প আবছা ভাবে দেখা যাচ্ছে।
দাদির বয়স প্রায় আশি। চোখে আগের মত জোর নেই। আমাকে জিজ্ঞাস করলেন দূরে ওরা কি করছে? আমি বললাম ওরা ক্যারাতে শিখছে।
—- মাশাল্লা, মাশাল্লা। দেখছস, পোলা গুলা কত ভালা? বিহানে উইঠা ক্বেরাত শিখতাছে। তোগো মত খালি ঘুমের কলস না। সূরা-ক্বেরাত তো কিছু শিখলিনা। দোজখের হাঞ্জালে জ্বলবি।
@বকলম,
আপনার দাদীর প্রচেষ্টা যা তেমন সফল হয়নি তা বোঝাই যাচ্ছে। আমাদের ইসলামী জগতের সুবিধে হল যে কৌতুক বানাতে হয় না, বাস্তব জগতের নানান ঘটনা সরল মনে বর্ণনা করাই যথেষ্ট।
গত বছর কিছুদিন বাংলা চ্যানেল ছিল। তখন চ্যানেল আই তে মওলানা আবুল কালাম আজাদের (পরে রাজাকারির মামলায় পড়ে এ অনুষ্ঠান বাদ দেন) ‘হেরার আলো” নামক একটা ইসলামী অনুষ্ঠান দেখতাম। প্রথম প্রথম ধর্মীয় জ্ঞান আরোহনের জন্য বসতাম, পরের দিকে অনেকটা কৌতুক শোনার মতন মজা পেতেই বসতাম। মওলানা সাহেব অনেক মডার্ন, তবে প্রশ্নোত্তর নামে একটা পর্ব ছিল সেখানেই হত মজা। বেশীরভাগ প্রশ্নই ছিল হাসির উদ্রেককারী। সাথে সাথে মনে হত শিক্ষিত মানুষ যিনি লিখতে পড়তে কম্পুটার ব্যাবহার করতে জানেন তার এই অবস্থা হলে অশিক্ষতদের কি অবস্থা?
কয়েকটি স্যামপলঃ
১। এক ভাই এর জিজ্ঞাসাঃ দাড়িয়ে পানি খেলে নাকি শয়তানের পেশাব খাওয়া হয়?
২। আরেক ভদ্রলোক একবার বিমানে করে দুবাই থেকে দেশে ফিরছেন। পথিমধ্যে ভোরে ফজরের অয়াক্ত হল। সবাইকে নামাজের আহবান জানানো হল। ভাল কথা। তবে গোল বাধল দিক নিয়ে। বিমান যাচ্ছিল পশ্চীম থেকে পূবে। অর্থাৎ, কেবলা বা পশ্চীম দিক পড়ে গেল পেছনে। অবস্থাটা আগে বুঝে নিন, সোজা কথায় কেবলা আপনার সিটের পেছনে। সদাশয় বিমান কতৃপক্ষ এটা চিন্তা করেই সবাইকে আহবান জানালেন সিটের পেছনে ঘুরে কেবলা ঠিক করে নামাজ পড়তে। দৃশ্যটা চিন্তা করেন একবার।
এ জাতীয় বহু জটিল প্রশ্ন আসত।
@বকলম,
:yes: আপনার মন্তব্যের ‘রিয়েল লাইফ কৌতুকগুলো’ মূল লেখার কৌতুকগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।
@বকলম,
ভাই, হাসি থামছেনা………অনেক ধন্যবাদ এমন মজার ঘটনা সবার সাথে শেয়ার করার জন্য।
@বকলম,
আমি ৮ম শ্রেণীতে থাকতে প্রশ্ন এসেছিল-সালাত কাকে বলে? এর উত্তরে অনেকেই টমেটোর সাথে পেয়াজ, মরিচ সব মিশিয়ে দিয়েছিল।
আমি এক হুজুরকে পেয়েছিলাম যিনি বলতেন ‘বিসমিল্লা’ বল না কারণ এর শুরুতেই বিষ(বিস)!
@সৈকত চৌধুরী,
হা হা হা।
@বকলম, আপনি আর নাস্তিকের ধর্মকথা মিলে একটা সিকুয়েল লেখা শুরু করেন এরকম সব কৌতুক নিয়ে। খুবই হাসির আপনাদের কৌতুকগুলো।
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কৌতুক নাস্তিক, শুয়োরের মাংস খোর জিন্না কতৃক মুসলিম
পাকিস্তান গঠন।
@ফরহাদ,
জিন্নাহ নাস্তিক ছিলেন নিশ্চিত জানেন? আমি যতটুকূ জানি উনি শিয়া মোসলমান, তবে নামাজ কলমার ধার ধারতেন না; মানে রিচুয়াল পালন করতেন না। তবে মদ্যপান, শুকরের মাংস ভক্ষনে অন্তত একসময় তার অরুচি ছিল না।
তবে এই জন্য তাকে নাস্তিক বলা যায় না।
@আদিল মাহমুদ, :yes:
“মাঝে মাঝে ভাবি, মুক্তমনা কতৃপক্ষ কেমনে আপনার মত লোককে এখানে লিখার অনুমতি দেয়”
@ রাহাত খান
আমি আপনার অনুযোগের সাথে একমত হতে পারলাম না। প্রথমত মত প্রকাশরে অধীকার সবারই আছে, তা সে গোড়া ধার্মিকই হোক আর পাড় নাস্ততিকই হোক।
আসলে মত না থাকলে দ্বিমতের আর কোন অস্তিত্বই থাকেনা, ফলে যুক্তিবোধে শান দেয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, যা মানুষের আত্মিক উন্নয়নের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়।
দ্বিতীয়ত,
ফুয়াদ সাহেবের করা কমেন্টে যদি অযৌক্তিক হাস্যকর কিছু থাকে তবে আমি মনে করি তার সমালোচনা হওয়া খুবই দরকার। কারন সমালোচনাই হল বিকাশের অন্যতম পূর্বশর্ত। এখন যদি তার মন্তব্যই প্রকাশিত না হয়, তাহলে আমরা সবাই যেমন আমাদের যুক্তবোধ আরেকটু শানিয়ে নেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হব তেমনি ফুয়াদ সাহেবও বঞ্চিত হবেন অমূল্য সমালোচনা পাওয়া থেকে। ফুয়াদ সাহেবের বক্তব্য যতই হাসি তামাশার খোরাক যোগাক না কেন, একমাত্র সমালোচনার তীরই পারে তাকে তার বক্তব্যের হাস্যরসটুকু উপলব্ধি করাতে।
আমরা যদি এটুকু হাস্যরস হজম করতে নাই পারি, তবে কি লাভ আলো হাতে এই আধারের যাত্রি হয়ে??
@মিঠুন, আপনার কথাই যদি ঠিক হয়, তাহলে তো সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া উচিত, অন্যান্য ব্লগে সারক্ষণ যেমন জামাতী আর ধার্মিকেরা ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে সেরকমও করতে দেওয়া উচিত এখানে। তাহলে মুক্তমনার আর বিশেষ করে ‘নাস্তিক (atheist), অজ্ঞেয়বাদী(agnostic), সংশয়বাদী(skeptic), মানবতাবাদীদের (humanist) সাধারণভাবে ‘মুক্তমনা সদস্য’ হিসেবে গণ্য করা হয়’ বলে ঘোষনা করার দরকার কি। নিচের লিঙ্কটায় আরো পরে দেখেন, কোন হিসেবে ফুয়াদের মত ব্যাক্তিরা ‘মুক্তমনা’ তা কি একটু বুঝিয়ে দেবেন? ওনার যুক্তিগুলো পড়ার জন্য তো মুক্তমনায় আসার দরকার নাই আমাদের, রাস্তাঘাট, মন্দির, মসজিদ, চার্চ যেখানে সেখানেই তো এসব শোনা যায়। আর এ ধরণের এক-দুইজন মানুষ যদি মুক্তমনায় মন্তব্য করতে পারে তাহলে এরকম আরো ৫০ জনকে লিখার অনুমতি দিলেই বা ক্ষতি কি, তখন মুক্তমনার মান এবং অবস্থান কোথায় গিয়ে ঠেকবে বলতে পারেন? তাহলে মুক্তমনার সাইট আলাদা করে রেখে আর লাভ কি, সামহোয়ার ইন বা অন্য কোন ধর্মভিত্তিক বাংলা ব্লগের সাথে মার্জ করে দেওয়া হোক না মুক্তমনাকে!
@রাহাত খান,আপনি এতো React করছেন কেনো?মাত্র কিছুদিন আগেই বিজ্ঞান বিষয়ক একটা লেখায় ফুয়াদ সাহেবকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি এ ব্লগে আর আসবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।কিন্তু মুক্তমনার সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্লগার এবং এডমিন তাকে অনুরোধ করেছিলেন চলে না যাওয়ার জন্য।এজন্য আমি মনে করি মুক্তমনার মর্যাদা বরং বেড়েছে,কমেনি।মুক্তমনাতে এসে একজন ধর্মপ্রাণ আস্তিক মানুষের আহত হবার সম্ভাবনাই বেশি।তাই আমাদের চামড়া গন্ডারের মতো(জনৈক ব্লগারের মতে) করে আসতে হয়।ফুয়াদ সাহেবের কথাগুলোকে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মন্তব্য মনে করলেই তো হয়।কম্যুনিষ্ট ব্লকের দেশগুলোও তো অনেক মুসলিম দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে।যাহোক ছোট বেলায় ‘শিশু’ পত্রিকার এক ঈদসংখ্যায় ‘তোতনের গল্প’ নামে একটি গল্প পড়েছিলাম।সেখান হতে একটি অংশ মনে পড়লো।তোতন পাঁচ বছর বয়সের এক শিশু,যে তার বাবাকে অসংখ্য প্রশ্ন করতে থাকে।বাবা ও যেভাবে পারেন ছেলের কৌতুহ্ল নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।তবে কিছু প্রশ্নের উত্তর তার সাধ্যের বাইরে।যেমন,
তোতনঃ বাবা,আল্লাহ আছেন?
বাবাঃহ্যাঁ
তোতনঃ আল্লাহ কোথায় থাকে?
বাবাঃআসমানে।
তোতনঃ বাবা,আল্লাহ কী গামছা পরে?
বাবাঃগামছা!!!বাবার চোখ হতে চশমা খুলে পড়ার উপক্রম হয়।
এটা কৌতুক হলো কি না জানি না।তবে ছোট বেলায় পড়ার সময় হেসেছি একটি বাচ্চার নিষ্পাপ প্রশ্ন করার ধরণ শুনে।লেখকের উদ্দেশ্য কি ছিলো জানি না তবে আমার ধর্মবোধ আহত হয় নি,এখনো হয় না।
@রাহাত খান,
” আপনার কথাই যদি ঠিক হয়, তাহলে তো সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া উচিত, অন্যান্য ব্লগে সারক্ষণ যেমন জামাতী আর ধার্মিকেরা ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে সেরকমও করতে দেওয়া উচিত এখানে। তাহলে মুক্তমনার আর বিশেষ করে ‘নাস্তিক (atheist), অজ্ঞেয়বাদী(agnostic), সংশয়বাদী(skeptic), মানবতাবাদীদের (humanist) সাধারণভাবে ‘মুক্তমনা সদস্য’ হিসেবে গণ্য করা হয়’ বলে ঘোষনা করার দরকার কি।”
আমার মনে হয়, কোন ধরনের লেখা মুক্তমনায় স্থান পাবে আর কোনগুলো পাবেনা, তা আগে থেকে সঙ্গায়িত করে রাখা মুক্তমনার বৈশিষ্ট্য নয়। বরং ঈশ্বর বিবর্জিত বা ঈশ্বরের গুনমুগ্ধ যেকোন লেখাই মুক্তমনায় স্থান পেতে পারে, তবে অবশ্যই সমালোচনার উর্দ্ধে থেকে নয়। আমার কাছে কে মুক্তমনা আর কে মু্ক্তমনা নয় তার ঘোষনার থেকে আমি কতটুকু মুক্তমনের অধীকারী হতে পারলাম সেটা বোঝাটা অনেক বেশী গুরূত্বপূর্ণ।
ফুয়াদ ভাই মুক্তমনা কিনা সেটা আসলে তার মনের কথার আলোচনা সমালোচনার ভিতর দিয়েই বেরিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। কতজন আবদ্ধমনা মুক্তমনায় মন্তব্য করে কতটুকু দুর্গন্ধ ছড়ালো তার থেকে অনেক বেশী গুরূত্বপূর্ণ কতজন আবদ্ধমনা মুক্তমনায় এসে আলোচনা করে নিজেদের ছড়ানো গন্ধের প্রকার বুঝতে পারলো। আর এজন্য মুক্তমনায় আস্তিক নাস্তিক সব ধরনের পোস্টেরই স্থান পাওয়া বাঞ্ছনীয় কারন এ দুর্গন্ধ দুর করার দায় মুক্তমনারই।
ধন্যবাদ।
@মিঠুন,
“কতজন আবদ্ধমনা মুক্তমনায় মন্তব্য করে কতটুকু দুর্গন্ধ ছড়ালো তার থেকে অনেক বেশী গুরূত্বপূর্ণ কতজন আবদ্ধমনা মুক্তমনায় এসে আলোচনা করে নিজেদের ছড়ানো গন্ধের প্রকার বুঝতে পারলো”
এটা খুব গুরুত্ব্বপূর্ণ কথা। মুক্তমনায় শুধু সমমনা সদস্যরা এসে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করলে সমাজের এমন কি এসে যাবে? সমাজ যদি পরিবর্তন করতেই চান তবে তো বৃহত্তর জনসাধারনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তাদেরকে আলোচনায় নিরুতসাহিত করলে বা হাসি ঠাট্টা করে বিদায় দিলে তো আরো উলটা ফল হবে।
যতক্ষন না যে কেউ ভদ্রতার সীমা অতিক্রম না করেন তাকে কথা বলতেই দেওয়া উচিত। সাইটের মান তো শুধু কমেন্টস দিয়ে হয় না।
@মিঠুন,
সহমত। :yes:
ফুয়াদ, আপনি এই ব্লগে লিখে এর পরিবেশ নষ্ট করেন কেন? আমি তো একটা মানুষও দেখি না যে আপনাকে এখানে সমর্থন করে, এমনকি এই ব্লগের ধার্মিকরাও আপনার কথা শুনলেই ‘বিনীতভাবে’ খ্যাক খ্যাক করে উঠে, নাস্তিকদের কথা না হয় বাদই দিলাম।অযথা সময় আর এনারজি নষ্ট করে আপনার লাভটা কি, যে জায়গায় মানুষ আপনার কথা শুনবে সেখানে যান না। সেরকম জায়গার তো কোন অভাব নাই। আপনার কি মনে হয় না, এদেরকে আপনি কিছুই শিখাইতে পারবেন না! মাঝে মাঝে ভাবি, মুক্তমনা কতৃপক্ষ কেমনে আপনার মত লোককে এখানে লিখার অনুমতি দেয়, হয়তো বিপ্লবদার মতই তারাও আপনার এইসব মন্তব্য দেখে নির্মল বিনোদন পায়, কে জানে।
প্রথম কৌতুকটি আমি কিছুদিন আগে আমার ব্লগে দেখি। তবে সেখানে ওটা কৌতূক হিসেবে নয়, ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল।
http://projapote.amarblog.com//posts/88518
আমরা কিছু ফ্রি-তে পেলে বলি- মাআগনা আনুহু– অর্থাৎ মাগনা পেলাম তাই নিয়ে আসলাম।
স্কুলে একদিন টিচার এই গল্পটি বলেছিলেন। ব্রিটিশ আমলে অনেক মাওলানা
জিন্নাহ এর বিরুদ্ধতা করতো। তারা ওয়াজে বলতো ॥মিনাল জিন্না তে ওয়ান্নাস॥ এর মানে হোলো শেষ জীবনে জিন্নাহ নামে একজন শয়তান আসবে
সে সকল কিছু নাস্ করে দিবে।
@ফরাহদ,
জিন্নাহ সাহেবের ঊল্টা পালটা চিন্তা আধুনিকতার কারনে , বাংলা পাঞ্জাবের হাজার হাজার লোক বাড়ি ঘর ছেড়ে হারিয়ে যেতে হয়েছে অজানার উদ্দেশ্যে । তারপর নুতুন রাষ্ট্রো ঠিক ভাবে চালাতে পারেন নি । তাই আরো ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত ঝড়লো । ভাল খারাপ জানি না , কিন্তু হোসাইন আহমেদ মাদানী হুজুর পর্যন্ত এর বিরুধীতা করেছিলেন ।
@ফরাহদ,
জনপ্রিয় আলেম মওলানা মওদুদী জিন্নাহর পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধীতা করেছিলেন, অবশ্য শোনা যায় তিনি সুন্নী বলেই শিয়া জিন্নাহ্র মাতব্বরী মেনে নিতে পারেননি।
আমার জানা মতে, এ জন্য এ ধরনের কৌতুক নিরোৎসাহ করা হয় । কারন এ ধরনের কৌ্তুক ই মানুষকে ধংশের বা নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যায় ।
আমরা যখন থেকেই এ ধরনের কৌ্তুক সমাজে চালু করেছি তখন থেকেই নাস্তিকতার বীজ বপন করেছি ।
তাই নাকি???
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
হ্যাঁ , তাই । 🙂 🙂
@ফুয়াদ,
ভাই আপনি সব কথা সিরিয়াসলি নেন কেন তা তো আমি বুঝি না। আর কারো কথায় কারও কোন ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। এই যেমন ‘মুহাম্মদ বিড়াল’, ‘ইয়া ল্যাংড়াবুদু’ এধরনের কৌতুক ছোটকালে শুনেছিঃ আমিও হেসেছি- যে শুনিয়েছে সেও হেসেছে; অথচ আমরা দুজনই আস্তিক ছিলাম আমাদের মনে বিন্দুমাত্র অবমাননার কোন উদ্দেশ্যও ছিল না আবার আম্রা এটা যে ধর্মের জন্য অবমাননাকর তা মনেও করিনি। অথচ সেদিন শুনলাম ধর্ম ব্যবসায়ীরা এই সামান্য কৌতুক নিয়েও সমস্যা শুরু করেছে। ঘটে ঘিলু কতটা কম থাক্লে সামান্য কৌতুককে কৌতুক হিসেবে নেয়া না যায় তা তাদের কাজ কারবার থেকেই বুঝেছি। অথচ এসব কৌতুকের উদ্দেশ্য কিন্তু অতি মহতঃ মানুশHকে আনন্দ বিলিয়ে দেওয়া। এই রসকষ হীণ দুনিয়ায় যে ব্যক্তি মানুষের মনকে আনন্দ দানের জন্য কৌতুক করতে পারে তাকে তো উল্টো সাধুবাদ জানানো যেতে পারে। যে মানুষ সরলমনা- আপনি নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন- সে কোনও প্যাচঘোচ চিন্তা করে না।আমরাও ছোট বেলায় কৌতুক করতাম নির্মল আনন্দ লাভের জন্য ; এর বাইরে কোন কিছু চিন্তা করতে পারতাম না। তাই আমরা এটাতে অবমাননার কিছু খুজতাম না। ধর্ম ব্যবসায়ীদের মন অবশ্যই সরল নয়; কারণ যারা অর্থের লোভে মানুষের অন্ধ-বিশ্বাসকে পুজি করে ব্যবসা করতে পারে তারা আর যাই হোক না কেন সরল মনা নয়। তারা সবসময় সাধারণ জিনিষে খুত খোজে- তাকে পুজি করে ব্যবসায়িক ভাবে লাভবান হতে চায়- তাদের অন্তরে সবসময়ে লোভ কাজ করে তাই তারা এই লোভের মাধ্যমে নিজের ভেতরের আল্লাহ কে ঢেকে ফেলেছে; ফলে তারা কাফের-তারা ‘অন্ধ-কানা-খোড়া’ – তারা প্রকৃত সত্য কে দেখতে শুন্তে পারে না। এই ভাবে সর্বশক্তিমান তাদের কে চতুর্পাশ থেকে পাকড়াও করেছেন; সুতরাং তাদের কথা বাদ দেই।
এ ধরণের বাক্যকে কৌতুক হিসেবে হাস্যরসের উপাদান হিসেবে নিলে কিন্তু সব ল্যাঠা চুকে যায়- শুধুমাত্র আমাদের একটু শিশুসুলভ আনন্দপিপাসু দৃষ্টি নিয়ে তাকাতে হবে। এর মধ্যে বাস্তবতা খুজতে গেলেই যত গোলমাল বাধবে। তাই আমার অনুরোধ একে শুধু হাস্যরসের উপাদান হিসেবেই নেওয়া উচিত- সরল কিছুর মধ্যে জটিল কিছু খুজতে গেলেই আমাদের মধ্যে মানষিক অশান্তির জন্ম নেবে। আর যদি বাস্তবতাই ধরেন তবে প্রশ্ন করতে হয়ঃ গায়েব থেকে কি কোন দিন কোন নির্দেশ এসেছে? মোহাম্মদের সময় ও কি গায়েব থেকে কিছু এসেছিল?
আর হ্যা যদি সমস্যা থেকেই থাকে তবে তা তখনই থাকবে যদি লেখক বা পাঠকরা অসত উদ্দেশ্যে কোন প্রসংগের অবতারনা করবেন। লেখক তো এখানে সে উদ্দেশ্যে কিছু করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। সুতরাং দোষ খুজতে যাওয়াই অনর্থক সময় ক্ষেপন ছাড়া আর কিছুই নয়। আর কারো কোন অকল্যাণ তখনই সংঘটিত হবে যখন সে অসত উদ্দেশ্যে কিছু করবে।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
আমি জানি এখান কার সবাই এই জিনিসগুলো বুঝবেন না । বিষয় হইতেছে এই জিনিস গুলি আল্লাহ পাকের কথার উপর কথা বলতে শিখায় । যা পরিবর্তিতে লজিক খুজতে চায় । আর তখন ঈ ধোকা খায় । ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
আপনার এ কৌতুকটিই সেরা, যার কাছে হার মানলো মুহাইমিন ভাইয়ের ছয় ছয়টি কৌতুক :-)) ।