এত রক্ত কেন ?
গত ১৮ আগস্ট বাঁকুড়া জেলার সারাঙ্গপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে প্রতি বছরের মত এবারও মনসা পুজো উপলক্ষ্যে পশুবলি সঙ্ঘটিত হল। মানভুমের জেলাগুলিতে মনসা পুজোয় পশুবলি সেরকম কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা নয়। হাজার হাজার মনসার থানে লাখে লাখে পাঁঠা, ভেড়া, মুরগি, হাঁস বলি দেওয়া হয়ে থাকে। আর সারা বছরে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কত কোটি পশু বলি হয় তার ইয়ত্তা নেই। সমস্যাটি হয়ে ছিল এবারে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে ছোটো ছোটো শিশুরা পড়াশোনা করে সেখানে পশুবলির মত নৃশংস অপরাধটি কেন হবে এই প্রশ্ন নিয়ে যুক্তিবাদী সমিতির তরফ থেকে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চিঠি দেওয়া হয় ১ লা আগস্ট। সাথে সাথে পশুবলি বন্ধ করে ভারতীয় আইনকে মান্য করার অনুরোধও জানানো হয় ওই চিঠিতে। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয় নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, গঙ্গাজলঘাটি থানা, গঙ্গাজলঘাটির বিডিও, বাঁকুড়া জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শককে। যুক্তিবাদী সমিতির লক্ষ্য ছিল এই লড়াইটিকে একটি দৃষ্টান্ত রূপে তৃলে ধরে বাকি ক্ষেত্রে পশুবলির বিরুদ্ধে লড়া। চিঠি পাওয়া মাত্রই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রামের ষোলোআনার মাতব্বরদের সাথে আলোচনায় বসে। রাজনৈতিক নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট সেই মাতব্বরদের রায় পুজো এবং পশুবলি যেমন হচ্ছিল তেমনই হবে কোন নড়চড় হবেনা। গত কয়েক বছরে ওই এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমিতির ভালোই ‘বেস’ তৈরি হয়েছিল যার ফলে গাঁয়ের যুব সম্প্রদায়ের একাংশ পশুবলির বিপক্ষে। কিন্তু প্রতাপশালী মোড়ল শ্রেনীর রক্তচক্ষু প্রদর্শনের কাছে তারা নেহাতই শিশু। যুক্তিবাদী সমিতির তরফ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হলে থানা জানিয়ে দেয় তারা এ বিষয়ে কিছু করতে অপারক। বেশ, ধরা হল এলাকার উদ্যোগী বিডিওকে। বিস্তর আলোচনার পর বিডিও সাহেবও পিছপা হলেন। বিদ্যালয় পরিদর্শক, গ্রাম পঞ্চায়েত সর্বত্রই চালাকি করে পিছলে যাওয়া উত্তর। একটি বে-আইনী এবং সামাজিক অপরাধ বন্ধ করতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় বারে বারে হত্যে দেওয়ার পরেও যুদ্ধটি শেষ হল একরাশ হতাশাকে সম্বল করে।
তন্ত্রে বলা হয়েছে, দেহস্থ আত্মা উষ্ণ শোনিতের দ্বারা সঞ্জীবিত থাকেন; শোনিত ঠান্ডা হইলে আত্মাকেও দেহ ত্যাগ করিতে হয়; সুতরাং আত্মাকে ভোগ দিতে হলে উষ্ণ শোনিতই সর্বোৎকৃষ্ট ভোগ। মুন্ডমালাতন্ত্র ও বৃহৎসারতন্ত্রে আছে, শক্তির উদ্দেশ্যে ছাগ বলি দিলে বাগ্মী হয়, মেষ বলি দিলে কবি, মহিষ বলিতে সম্পদ বৃ্দ্ধি, মৃগ বলি দিলে মোক্ষফল ভাগী হওয়া যায়, গোধিকা বলি দিলে মহাফল লাভ করা যায়, নরবলি দিলে মহাসমৃদ্ধি লাভ হয়, অষ্টসিদ্ধির অধিকারী হওয়া যায়। বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, সৌর এবং গাণপত্য-হিন্দু ধর্মের এই পাঁচটি ধারার মধ্যে কেবলমাত্র শাক্তদের মধ্যে বলির রেওয়াজ আছে। ভারতীয় ইসলামীদের মধ্যে শিয়া এবং সুন্নি দুই সম্প্রদায়ই বকরিদের সময় গরু, উঁট, দুম্বা কুরবানি দেয়। ধর্মের ধ্বজাধারীরা প্রচার করে থাকেন, ধর্মীয় কারনে পশুবলি দিলে মানসিক শক্তির বিকাশ হয়। তারা যুক্তি রূপে টেনে আনেন তন্ত্রের কথা। অথচ পুজোর নামে এই নৃশংস প্রথা কোনো ভাবেই মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করেনা বরং দুর্বল এবং অবলা প্রানীদের যে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় এতে খুনী মানসিকতার জন্ম নেয়। বিশেষত শিশুমনে বলিপ্রথার কু প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এ থেকে মানসিক রোগ, ভীতি, হিংস্রতা বৃদ্ধি, নিদ্রাহীনতা হতে পারে। সারা পৃ্থিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের এমনটাই অভিমত। আমাদের আলোচ্য বিদ্যালয়টির শিশুগুলি মনের ওপর কি ঘটছে তা সহজেই অনুমেয়।
এখন দেখা যাক ধর্মীয় কারনে পশুবলির বিরুদ্ধে আমাদের দেশের আইন কি বলছে?
The prevention of cruelty to animals act, 1960 অনুসারে, প্রকাশ্যে পশুবলি নিষিদ্ধ। কোন প্রত্যক্ষদর্শী ওই বলির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালে মন্দিরের পূরোহিত সমেত পূজো কমিটির কর্মকর্তা ও বলি দানে অংশগ্রহনকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। আবার Wild life protection act অনুসারে যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী প্রানী হত্যা দন্ডণীয় অপরাধ। জেল এবং জরিমানা দুটোই হতে পারে। Public nuisance act অনুসারে কোনো ব্যক্তির চোখের সামনে বলি দেওয়া যায় না।
ভাবলে অবাক হতে হয়, পশুবলির বিরুদ্ধে এতগুলি জোরালো আইন থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে দুর্গা, কালি, মনসাপুজো, ইদের কুরবানীর সময় কত কত পাঁঠা, ভেড়া, গরু, উঁট নির্বিচারে বলি দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে উঁটের মত একটি বিরল প্রজাতির প্রানীকে কুরবানির সময় অকারনে হত্যা করা পরিবেশের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। আর দেশের নির্লজ্জ সরকার ধর্মের দোহায় দিয়ে এইসব বে-আইনী প্রথাকে পশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারতীয় আইন ব্যবস্থাকে কদর্য রূপে বলাৎকার করছে। স্বাধীনোত্তর ভারতে কোনোদিনই সরকার আইনগুলিকে বাস্তবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেনি। এক্ষেত্রে বামপন্থী ডানপন্থী সব শেয়ালেরই এক রা। আমাদের রাজ্যে ৩২ বছর একটি কমিউনিষ্ট সরকারের শাসন চলার পরেও পশুবলি বন্ধে প্রশাসনিক স্তরের কোনো উদ্যোগ নেই। বরং তাদের জমানায় প্রতিটি থানায় বামপন্থী পুলিশ ইউনিয়নের উদ্যোগে ফি বছর ঘটা করে কালি পুজো হয় যাতে পশুবলিও হয়ে থাকে। গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় কমিউনিষ্ট নেতাদের পরিচালনায় হয়ে থাকা পুজ়োয় শয়ে শয়ে প্রানী হত্যা হয়ে থাকে। তাতে তাগা-তাবিজ-আংটি ধারী মার্কসবাদী বুলি কপচানো কমিউনিষ্ট নেতাদের ‘জয় মা’ ‘জয় মা’ ধ্বনিও শোনা যায়। কতদিন? আর কতদিন এমন ভন্ডামি চলবে? রাজ্যের মানুষ কী এতই বোকা? চিরটা কাল প্রতারনা সহ্য করে যাবে? এই প্রতারকদের ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলার দিন কি এখন আসেনি?
কোনো এক কালে নরবলির প্রচলন ছিল, সতীদাহপ্রথা ছিল। শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই প্রথাগুলি দূর হয়নি, হয়ওনা। জনসচেতনতা এবং কঠোর আইনের সঠিক প্রয়োগে এই কুপ্রথাগুলিকে আমরা প্রায় বিদায় করতে পেরেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে আইনের যথাযথ প্রয়োগ একান্তই জরুরী, যেমন- দূষণরোধ, চোলাইঠেক বন্ধে, ডাইনিপ্রথা রোধ, পশুবলি রোধ ইত্যাদি। আমাদের সরকার সব গুলি ক্ষেত্রেই পরাজিত। উলটে আমাদের মত যে সব সংঘঠন জনসচেতনতার কাজটুকু করতে যায় তারা প্রশাসনিক উদাসীনতা এবং রাজ্যের শাসক দলের সরাসরি বিরোধীতার শিকার হয়। তবুও আশা ছাড়া যায় না। একবুক আশা নিয়েই বর্ধমানের বিখ্যাত সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ২০০৫ সালে গিয়েছিলাম, যেখানে ৩০০ ওপর পাঁঠা বলি হত সেবার সংখ্যাটি নেমে এসেছিল ২০ টি তে। কমলাকান্ত কালিবাড়ির ২০ টি পশুবলি কমে দাঁড়িয়েছিল ২ টি তে। রক্ষাকালিবাড়িতে কর্তৃপক্ষ পোস্টার দিলেন ‘জনমতের কারনে এবার বলি বন্ধ করা হল’। রবীন্দ্রনাথও তো বলিপ্রথার বিরুদ্ধে ছিলেন। আমাদের হয়েই লিখে গেছেন বিসর্জনের মত নাটক। শুধুমাত্র ২৫ বৈশাখ আর ২২ শ্রাবনে গদগদ ভঙ্গিতে কবিতা পাঠেই তাঁকে সম্মান জানানো শেষ হয়ে যায়? তাঁর চিন্তা ধারাকে সম্মান জানাতে আমরা এটুকু করতে পারিনা?
বিপ্লব পালের ইউটিউব ভিডিওটি ভাল লাগল। তবে নাস্তিক হয়ে আমার বড় হ্যাপিন্যাস হল মাথার উপড় হতে খড়গ দুর হওয়া। ইসলামে কথায় কথায়, একটু চুন থেকে পান খসলে, কোন সুন্দরী মেয়ের দিকে তাকালে এমনকি সুন্দরী মেয়ের চিন্তা করলেও শত শত বছর নির্ঘাত দোযখ। সারা দিন দোযখের তারা খেয়ে কেউ সুখি হতে পারে কেমনে বুঝিনা। তবে যারা সমাজ-সংসার ছেড়ে লাদেন, বাংলা ভাই এর মত সারাদিন কাফের নিধনে ব্যাস্ত থাকে এবং পেট্রো-ডলারে পকেট ভরে তারা সুখি হতে পারে।
@হেলাল,
আমার মনে হয় মানুষ ধর্মে যুক্তি বা বিজ্ঞান নেই বলে যতনা ধর্ম বিমুখ হয় তার থেকে বেশী ধর্ম বিমুখ হয় নানান ধরনের ধর্মীয় আচার আচরন কালাকানুনের অত্যাচারে। এসব কালাকানুনের বেশীরভাগই আসলে অর্থহীন, বেশ কিছু চরমভাবে স্ববিরোধী।
ছোটবেলা থেকে দেখতাম নানা দাদা শ্রেনীর লোকেরা টিভি দেখছি দেখলেই গুনাহর ভয় দেখাতেন, এখনো ৯০% মোল্লাই মনে হয় গান শোনা পাপ, খেলাধুলা পাপ এ জাতীয় তত্ত্ব দিয়ে বেড়ান। এনাদের মতে মানূষের জীবনে কোন বিনোদন বা সুকুমার বৃত্তির বিকাশ ঘটাতে নেই। গত বছর নয়া দিগন্তে এবনে সামাদ নামক এক ভদ্রলোকের লেখা পড়েছিলাম বাউল মূর্তি ভাঙ্গা সমর্থন করে কলাম লিখতে। উনি হাদীস দিয়ে প্রমান করছিলেন যে জীবন্ত প্রানীর ছবি তোলা মূর্তি বানানো সব মহা গুনাহর কাজ। উনি মনে হয় খেয়াল করেননি যে উনি অনার সব কলাম লেখায় নিজের ছবি ঠিকই ছাপিয়ে যান।
অবশ্য ইসলামী ফিলোসপি অনুযায়ী দুনিয়া কিছুই না, পরকালই সব। তাই টিপিকাল ইসলামী আইডিওলোজী মতে জগতের ভগবিলাস যত কমানো যায় ততই ভাল। মুশকিল হল কমাতে গিয়ে উলটা ফল হচ্চেহ কিনা তা কেউই বুঝতে চান না।
‘উন্নত বিশ্বে নাস্তিকের সংখ্যা বাড়ছে’ এই ডাটায় কি যারা ধর্ম-কর্ম পালন না কিন্ত ধর্মে বিশ্বাস করে তারাও আছে? গত জুলাই ২০০৮ পোপ বেনেডিক্ট যখন সিডনী এসেছিল তখন মনে হয়েছিল খৃষ্টধর্ম এখনও প্রবল প্রতাপের সাথেই মানুষের মনে স্থান করে আছে। আমার এক বস্ ১২ বছর লিভটুগেদার করে ৪ সন্তানের জননী হয়ে তারপর বিয়ে করল এবং তার বোন ও মা এখনও বয় ফ্রেন্ডের সাথে লিভটুগেদার করে। কিন্ত তারা পুরো ফ্যামিলি নিয়মিত চার্চে যায় এবং খ্রিষ্টধর্মে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করেনা। আমার কিছু ফ্রেন্ড আছে যারা জীবনে একবারও প্রার্থনার জন্য চার্চে যায়নি বা ধর্মের কোন কিছু পালন করেনি, ধর্ম নিয়ে তারা কোন আগ্রহও বোধ করেনা। কিন্ত নিজেরা নাস্তিক বা খৃষ্টধর্ম ভূল এটাও মানতে নারাজ।যদি এই জাতীয় নাস্তিক হিসেবে ধরা হয় তবে সংখ্যাটা দ্রুতই বাড়ছে। তবে নদীর উল্টা স্রোতও আছে। এশিয় মুসলিমগুলো বিদেশে এসে বেশীমাত্রায় মুসলিম হয়ে যায়। আমি খোজ নিয়ে জেনেছি ৮/১০ বছর আগে পরিস্থিতি এমন ছিলনা। এখন মসজিদের সংখ্যা যেহারে বাড়ছে ,মুসলিম স্কুল গুলোও ততোধিক হারে বাড়ছে। হয়তো মুসলিম ইমিগ্রান্টের সংখ্যাও বাড়ছে কিন্ত তাদের উৎপাত আরো অধিক হারে বাড়ছে।
@হেলাল,
ভাল পয়েন্ট, দেখা যাক বিপ্লব কি বলেন।
@হেলাল,
আপনি যাদের কথা বলছেন ধর্মটা তাদের জীবনে আইডেন্টিটির কাজ করে। ওর বেশী কিছু গুরুত্ব নেই। মানে ওইটুকু না করলে সমাজ খুজে পাবে না। লিভ টুগেদার বা সেক্সুয়াল লিব্যারাল হলেই অধার্মিক হয় না-গুগল বলছে % অনুযায়ী মুসলিম দেশ থেকেই বেশী সেক্স সার্চ হয়-বাংলাদেশের প্রথম ৩০ টি ওয়েব সাইটের অধিকাংশই পর্ন বা ডেটিং সাইট বা ওই জাতীয় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট-ভারতেও তাই।
অর্থাৎ না মশাই! ধর্ম ভয় দেখিয়ে ধার্মিককে সেক্স থেকে বিরত রাখতে পারে নি-গোপনে সে দেখছে- সেক্সের তাড়নায় আল্লাকে সে অত ভয় পায় না যতটা মনে করেন আপনি। ওপরে মৌলবাদি সাজিয়ে নিজেকে ধার্মিক প্রমান করছে সমাজ থেকে গুরুত্ব পেতে-আর কিছু নয়। ধর্মভীরুতা সামাজিক গুরুত্ব পাওয়ার জন্যে এক ধরনের ঢ্যামনামো। হিন্দু বা মুসলমান সবাই জৈবিক-নইলে দুই দেশেই কিছু পর্ন ওয়েবসাইট একই রকম র্যাঙ্কে থাকে কি করে? আপনার বাংলাদেশের সব থেকে বড় মুসলিম মৌলবাদিকে ১ মিলিয়ান ডলার আর আমেরিকার ভিসা দিন খ্রীষ্টান ধর্ম নেওয়ার জন্যে–সেও ধর্মের ভয় কাটিয়ে তাই করবে!
এসব ধর্মভীরুতা একধরনের সামাজিক বিহেভিয়ার।
@বিপ্লব পাল,
এটা আপনার ভয়ংকর ভুল ধারনা ।
সবাই টাকার জন্য ধর্ম পালন করে না ।
এই ধনী দেশীরা হামেশাঈ মসুল্মান হইতেছে, হইয়া প্রচার করতেছে । টাকার জন্য করতেছে না।
@বিপ্লব পাল,
মিশনারী রা ভারতে ভাল করতেছে । বাংলাদেশ আ না । অতএব, বক্তব্য সঠিক নয় ।
হ্যা মানুষ শান্তি পায়। এই নিয়ে অনেক গবেষনাও হয়েছে। এটা প্রমানিত সত্য। কিন্ত তার কারন ধর্ম না, তার কারন জীবনে “একটি দৃঢ় উদ্দেশ্য” কে অবলম্বন করা। জীবনের পারপাস থাকলে মানুষ এমনিতেই শান্তি পাবে। আমাদের জৈবিক ধর্ম ত ছেলে মেয়ে মা্নুষ করা-সেটাকেই জীবনের পরম উদ্দেশ্য বলে মেনে নিলে, একই শান্তি আপনিও পাবেন। এই নিয়ে আমি একটা ইউ টিউব ভিডিও বানিয়েছিলাম
http://www.youtube.com/watch?v=R74qBHB3zvs
@বিপ্লব পাল,
খুব ইন্টারেষ্টিং পয়েন্ট। আসলেই মানুষের মনের সান্ত্বনার জন্য কোন না কোন একটা উদ্দেশ্য লাগে। ধর্মের ব্যাপারটাও তাই হতে পারে।
কিভাবে সান্ত্বনা পাওয়া যায় তা এক একজনের কাছে এক এক উপায় হতে পারে অবশ্যই। মোদ্দা কথা মনে হয় কিছু নিয়ে ব্যাস্ত থেকে হতাশাপূর্ণ অতীত বা বর্তমান থেকে দূরে থাকা।
আপনার ভিডীও অতি অবশ্যই বাড়ি গিয়ে দেখব। ধণ্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
ইউ টিউবে গিয়ে আপনার ভিডিও দেখলাম। দারুন।
@বিপ্লব পাল,
ইউটিউবের লিঙ্ক দেয়ার সময় h t t p : // এর p এর পরে একটা v যোগ করুন। তাহলে ভিডিও ক্লিপ দেখা যাবে এরকমভাবে –
httpv://www.youtube.com/watch?v=R74qBHB3zvs
মন্তব্য সাবমিট করার আগে ‘প্রিভিউ’ বাটন চেপে দেখে নিতে পারেন সব কিছু ঠিক ঠাক আছে কিনা, মানে ক্লিপ দেখা যাচ্ছে কিনা । তারপর ‘মন্তব্য করুন’ বাটনটিতে ক্লিক করুন।
১।দুঃখিত দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্য।
২। আপনার বক্তব্যটি ছিল “আমি কখনোই মনে করিনা যে ধর্ম পৃথিবী থেকে উঠে যাবে,অন্তত দু এক হাজার বছরের মধ্যে।ধর্মকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না বলে যেকোন ধর্মীয় বিশ্বাষকে আসলে সুপারষ্টিশন বলে।“
আমি একমত যে যুগের সাথে পরিবর্তিত আকারে খাপ খাইয়ে ধর্ম হয়তো আরো হাজার বছর টিকে থাকবে। কিন্ত তাতে ধর্মের পক্ষে যুক্তি আছে কি নেয় তার জন্য নয়। আসলে ধর্মীয় আচার-আচরণ গুলো মানুষ যুক্তি আছে কি নেয় তা চিন্তা করে পালন করে না।এর হয়তো বহু কারণ আছে, আমি সেদিকে গেলাম না।
৩। আপনি বলেছেন” এসব সংগঠন (যুক্তিবাদী সমিতি, মুক্তমনা ইত্যাদি)কি ধর্মের অযৌক্তিক দিকগুলিকেই তুলে ধরেনা?” একদম খাটি কথা। তার মানে ধর্মের মধ্যে এমন কিছু আছে যা যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমাণ করা যায়। যুক্তি নেয় বলতে আমি বুঝি যেখানে ভাল-মন্দ, পক্ষে-বিপক্ষে কোন কথা যুক্তি দিয়ে বলা যায়না। কিন্ত যদি আপনি বলেন ধর্মের বিষয়গুলো যুক্তিদিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না, তাহলে আমাদের কাছে কি ভূলবার্তা আসেনা?
৪।আপনার প্রায় প্রতিটি লেখাই আমি পড়ি, খুব ভাল লাগে। আমি জানি আপনি আমার চেয়ে সব কিছুই ভাল জানেন। ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। আসলে আপনার ভূল ধরা আমার উদ্দেশ্য ছিলনা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@হেলাল,
আপনার কথা মন দিয়ে পড়েছি। প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে আমার ধর্ম সম্বন্ধে তত্ত্বীয় লেখাপড়া একদমই অল্প। এখানে যা কিছু বলি তার বেশীরভাগই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে নিজের অভিব্যক্তি। আপনার তা ভাল লাগে জেনে খুশী হলাম। যুক্তিপূর্ণ আলোচনা আমারো বেশ ভাল লাগে, তাই এখানে অনেক সময় দেই।
ধর্মের মূল ভিত্তী (এক আল্লাহ বা নানারকমের দেব দেবী) হল সম্পূর্ণ যুক্তিবিরুদ্ধ, অনেকতা আবেগের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকটা বলছি এ কারনে যে সরাসরি যুক্তি না হলেও তর্ক করা যায় যে এ জগতের বেশ কিছু ইভেন্ট আছে যা র্যান্ডম বলে মনে হয় না, একটা ইনটেলিজেন্ট স্রষ্টার ছাপ দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া মনে হয় না খুব তর্কের কিছু আছে বলে।
যার ভিত্তীই আসলে প্রথাগত যুক্তিবিরুদ্ধ তা নিয়ে আর কি তর্ক হতে পারে? তবে যুক্তি তর্ক ছাড়াও বিশ্বে বেশ কিছু জিনিস আছে, এবং সেগুলির দরকারও আছে। তাই ধর্ম আর প্রথাগত যুক্তি হল দুটি দুই ডাইমেনশনের ব্যাপার। অনেকটা এক ঘন্টার সাথে ১ মাইল তূলনা করার মত ব্যাপার। এই দুয়ের মিল বা অমিল কোনটাই ঘটার সম্ভাবনা নেই। মিলের থেকে অমিল পাওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য অনেক বেশী। প্রতিটা ধর্মের মধ্যেই জঞ্জাল ঢুকেছে অনেক অনেক বেশী, ধার্মিকরা হীনমন্যতার কারনে নিজ ধর্মের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করতে চান না। এখানেই মুক্তমনার মত প্রতিষ্ঠানগুলির প্রয়োযন। কেউ প্রকৃত ধার্মিক বলে নিজেকে দাবী করলে তার এতে দ্বিমত থাকার কথা না।
যেমনঃ, যারা ধর্ম পছন্দ করেন না, একে ঝেটিয়ে বিদায় করতে চান তারা একটা পয়েন্ট মনে হয় না কখনো গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেন বলে। ধর্ম ঠিক না বেঠিক এটা বড় কথা না, ধর্মের অনেক ভয়াবহ দিক আছে, খুব সত্য কথা, তার চেয়েও বড় কথা ধর্মকর্ম পালন করে বেশ কিছু মানুষ কিন্তু মনে শান্তি পায়। এটা কিন্তু নেহায়েত ফেলনা কোন পয়েন্ট নয়। বিশেষ করে ধর্ম পরাজিত বা হতাশ মানুষকে সাময়িকভাবে হলেও স্বান্তনা দিতে পারে। ধরূন, একজন হতাশ ভাগ্যহত মোসলমান যিনি জগতে সব হারিয়েছেন, কোন আশাই আর নেই তিনি মনে করছেন যে আল্লাহ তাকে পরকালে অনন্ত শান্তি দেবেন; এই বোধ (অনেকের কাছেই ভুল) ঙ্কিন্তু তার মনকে অনেকটা শান্ত রাখবে। হতাশাগ্রশ্ত মানুষ যার আর হারাবার কিছুই নেই তারা কিন্তু হয়ে উঠতে পারে সমাজের জন্য মারাত্মক সমস্যা। আমার মনে হয় ধর্ম অন্তত এইদিক দিয়ে হলেও সমাজের জন্য দরকারী। তাই আমার মনে হয় ধর্মের অনেক বাজে দিক থাকলেও পুরো ধর্মহীন বিশ্ব খুব একটা সুখী চেহারার কিছু হবে না।
@আদিল মাহমুদ,
আবার ভেবে দেখবেন সমাজের বেশিরভাগ সমস্যার মূল কিন্তু ধর্ম থেকেই উদ্ভূত। ধর্ম সর্বদাই শোষক শ্রেনীর হাতিয়ার রূপে ব্যাবহৃত হয়ে এসেছে। সেই আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত।
@হেলাল, @হেলাল,
আমি একটি মাত্র তথ্য দিতে চাইছি। সারা পৃথিবী তে ধর্মহীন (অর্থাৎ যারা প্রচলিত ধর্মমতে বিশ্বাস করেন না) মানুষের সংখ্যা ১৯৮৫ সালে ছিল মোট জনসংখ্যার মাত্র ২%। অথচ, মাত্র ২৫ বছরের মধ্যে এটা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬%। এটা আমি বলছিনা, বলছে সারা পৃথিবীর ইয়ারবুক গুলি বলছে। তাহলে? মুক্তমনের মানুষ বাড়ছে তো? কি বলেন? ভাবলেও ভাল লাগে। তাই না?
@বিপ্লব দাস,
এই তথ্য ঠিক না। চীনে ত ধর্ম বিশ্বাস নেই-তাহলে ১৯৮০ সালে সেটা ২% হলো কি করে?
সব চেয়ে বড় কথা উন্নত দেশে যখন নাস্তিকের সংখ্যা বাড়ছে মুসলিম দেশগুলিতে তা কমছে-সেটাই সব থেকে বড় বিপদের-
আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানী, সুইডেন এসব দেশে বিশ্বাসী কমে আসছে-সুইডেন সব থেকে অন্যতম উন্নত দেশ বলে-ওদের অবিশ্বাসী সংখ্যা ৮৭%। ইউরোপে এখন বিশ্বাসী বলতে শুধু মুসলমানরা!
এটাতে কোন সন্দেহই নেই আল্লা যে বিবর্তনের শক্তিতে উঠেছিলেন, সেই শক্তিতেই আগামী ১০০ বছরের মধ্যে তার বিসর্জন আসন্ন। আল্লা/ঈশ্বর বিহীন পৃথিবী এল বলে।
২০০৮ এর মনোরোমা ইয়ারবুকে পেয়েছিলাম সারা পৃথিবীতে ধর্মহীন এবং নাস্তিকের মোট সংখ্যা প্রায় ৯২ কোটির কাছাকাছি। ওতে ভারতের ছিল । ০.৯ অথবা ০.০৯ % এর মত কিছু একটা। ২০০৬,২০০৫, ২০০১ ইয়ারবুকতে আরও কম ছিল সংখ্যাটি। আর ১৯৮৫ সালের তথ্যটি আমাদের সমিতির ই পত্রিকার একটি সংখ্যাতে ছিল। সে কোথা থেকে পেয়ে ছিল জানা নেই। আপনি শেষ ২০ কী ২৫ বছরের একটা হিসেব কোথা থেকেও জোগাড় করে দিতে পারবেন। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে,সেমিনারে, এই তথ্য টি খুব কাজে লাগে।
১।তবুও পশুবলি বন্ধে এই প্রচেষ্টা একধাপ অগ্রগামী হয়েছে বলে আমি মনে করি।আগামি বছর হয়তো জনমত আরো বাড়বে।
২।আর কোন একটি ফেসটিবাল অনুষ্ঠানের ঠিক আগ মূহুর্তে সেটি বন্ধ করা আসলেই কঠিন।মানুষ সারা বছরের পরিকল্পনা হঠাৎ করে ধুলিস্যাৎ করতে চায়না। তাতে যতই যুক্তি থাকুক।
৩।আর আদিল মাহমুদের মত আমি মনে করিনা যে ধর্ম যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না, অবশ্যই যায়। আর যায় বলেই যুক্তিবাদি সমিতি, মুক্তমনার মত বহু সংগঠন গড়ে উঠেছে কোন নবী, অবতারের চেষ্টা এবং যুদ্ধ ছাড়াই।
৪।পশুবলির পেছনে ধর্মের চেয়েও আবেগ এবং হুজুগের প্রভাব বেশী।সাঙ্গারপুর গ্রামের যুক্তিবাদি সমিতির এই প্রচেষ্টা অব্যহত না রাখলে অন্য জায়গাতেও এটিকে উদাহরন হিসেবে বেছে নেবে।প্রশান্ত মন্ডলকে কিছুতেই এক ঘরে করতে দেয়া হবেনা জেনে ভাল লাগলো।
৫।বাংলাদেশের কথা বাদই দিলাম, সিডনিতেও কুরবানি বন্ধ করা করার কথা প্রচার করা বিপদজনক।বাঙ্গালী মুসলিমরা ধর্মীয় আচার আচরনকে ধর্মীয় নিয়ম-কানুন ছাড়িয়ে আবেগ এবং হুজুগের চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ফলে দেখা সাক্ষাত,আলাপ-আলোচনা, এস এম এস এসবের প্রধান বিষয় হল ধর্ম।বিপ্লব দাসের এই প্রচেষ্টা অন্তত সিডনির চেয়ে ভারতে সহজ হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
৬।আপডেটে সুখবর পাব আশা করছি।
@হেলাল,
Dear Helal also to Adil,
I think in India, educated people understand very
well about the superstition, but they are just busy with their own job. They do no care much for these even if they understand it. Few people spend time in social awareness campaign.
It will be possible to eventually get rid of the superstition (hindu religion related superstition) in India if more good-hearted people come forward. Because in India, due to the secular constitution, in academic program no religion based subject is taught. Another important thing is hindu religion is not based on one so called holy book. Hindu/Sanatan dharma has evolved with time and it has adapted with time. If some one does not like one approach, he can take another approach. If you do not want to worship Deity/Idol/Protima, then also it is fine. You do not need to worship an deity to be the follower of Sanatan dharma. According to Veda, every soul is potentially divine. If you serve humankind in any form you serve God. That is the main theme. Ramakrishna practiced all paths (islam, sanatan dharma, christianity etc etc), and came to the conclusion that “Jibey prem korey jei jon, shei jon shebichey ishwar”. So, the puja, deity worship, and rituals are just external part. Spiritual part is the main theme. I met people who only meditate, but they do not worship deity. They told me that they like that approach.
Many of the prayers in Sanatan Dharma scriptures are like ..
” All the people be happy,
All the people be disease free,
All the people be in peace,
No one should have sufferings.”
It does not say anything about Hindu versus non-Hindu. The “hindu” word is also not there.
In case of islam, many of the things are for “Muslim Jahan”. In islam, it is Quran based. Muslim and non-muslims, believer and non-believer etc. You know about the issues in islam. I do no want to say too much.
Thank you all.
@ জনাব Truthseeker,
ইসলামের নামে কেউ কিছু কইলেই আপ্নে দেখি খুব জোরে হাত তালি লাগান, আর ভারত আর হিন্দু ধর্মের নামে লিখলেই আপ্নে আসেন হিন্দু ধর্মরে ডিফেন্ড করতে। হাজার হাজার সতী গো পুড়ায় মারছে এক সময় হিন্দু ধর্মের নামে, শুদ্র আর দলিত গো তো কচুকাটা করছে। ভারতে শিব সেনা আর বজরং দল দেইখ্যা কি আপ্নের মনে হয় দিন্দু ধর্ম খুব শান্তির ধর্ম? যতই পাঠার নামে কুমড়া বলি দেন, আপ্নাগো রক্তললুপ চেহারা কারো কাছে গোপন নাই।
আবুল কাশেমরা ইসলাম ধর্মে এক সময় জন্মায়াও নিজের ধর্মটারে সমালোচনা করেন। আর আপ্নে কি করেন – তা গো পিঠ চাপ্রানি ছাড়া? মামদোবাজি না কইরা নিজের সনাতন ধর্মের দোষগুলা নিয়া লেখান দয়া কইরা। তা ত করবেন না। খালি সাম্প্রদায়িকতা ছড়াইবেন।
নিজে হিন্দু হইয়া ইসলাম্রে গালাইলেই কি Truthseeker হয় নি? আসলে আপ্নে হইতাছেন ফুয়াদ সাবের হিন্দু ভার্সন। উনি যেমন বুইঝা, না বুইঝা ইসলামরে ডিফেন্দ করেন, তেমনি আপ্নে করেন হিদু ধর্ম আর ভারত মাতারে। কোন পার্থক্য নাই। আপ্নে এক কাজ করেন – Truthseeker নামটা বদলায়া ‘ইসলাম বিদ্বেষী’ রাখেন।
@রফিক,
You can read the book “Why I am not a hindu”
Why I Am Not a Hindu
by Kancha Illaiah
This book analyzed the downside of hindu religion etc etc.
@রফিক,
Every religious books has garbage and people clean the garbage. People adapt with changing time.
Today the reality is as follows.
A case is going on in USA court.
Recently one muslim girl name Rifqa Bary left islam and started following other belief system. Now, she is facing a situation of probable honor killing.
See the videos below.
http://www.youtube.com/watch?v=09WjFwe8pUk
http://www.youtube.com/watch?v=qxutg5LUX5A
I checked the Quran
http://www.quraanshareef.org/index.php?sid=4&&ano=176&&st=75&&arabic=
Sura 4, Ayat 89
They wish that you reject Faith, as they have rejected (Faith), and thus that you all become equal (like one another). So take not Auliyâ’ (protectors or friends) from them, till they emigrate in the Way of Allâh (to Muhammad SAW). But if they turn back (from Islâm), take (hold) of them and kill them wherever you find them, and take neither Auliyâ’ (protectors or friends) nor helpers from them.
It seems some of the verses of Quran violates the basic human rights and human values.
If islam really preaches inhuman values (using some of the verses of Quran), then a new Quran should be written by picking up the good verses only.
Other religions also had garbage, but try to clean the dirt and people adapted with time.
Moderate, liberal muslims should come forward to reform islam. Liberal muslims should come forward in support of Rifqa Bary.
Thanks.
@Truth Seeker,
when is the last time you are bothered by the garbage of other religions (example Hinuism) except Islam. I see you very enthusiastic about Islam. But you are always silent about the other garbage. it looks funny to me.
Don’t you think being a member of a specific religion, its your duty to clean up the garbage from your own backyard instead of pointing the garbage of your neighbor? I see you defend your religion and always like to find garbage in Islam. Am I wrong?
You are right about Islam. But my point is why do you feel agitated if some mukto-mona members criticize your religion, Hinduism? It appears to me that you start defending it. This is the irony. Can you call yourself a ‘Truthseeker’ when you bash Islam and defend Hinduism? You provided a link from you tube. You tube have the video about honor killing, but I am sure you tube has also video about Hindu fascists and their activities. When will you forward those in mukto-mona ?
@রফিক,
ভুল বললেন, আমি কিন্তু হিন্দু ধর্ম কিংবা নাস্থিকতা নিয়া হাসাহাসী করি নাই । এই টপিকে এটাই আমার প্রথম কমেন্ট । যদিও আগে পড়েছি । কই তালি দিয়ে ত কোন কমেন্ট করি নাই ।
অতএব, এখানে আমার নাম না আনলেই ভাল হত ।
@হেলাল,
“আদিল মাহমুদের মত আমি মনে করিনা যে ধর্ম যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না, অবশ্যই যায়। আর যায় বলেই যুক্তিবাদি সমিতি, মুক্তমনার মত বহু সংগঠন গড়ে উঠেছে কোন নবী, অবতারের চেষ্টা এবং যুদ্ধ ছাড়াই।”
একটু ব্যাখ্যা করবেন? ধর্ম যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা গেলে যুক্তিবাদি সমিতি, মুক্তমনার মত বহু সংগঠন গড়ে উঠেছে কেন? এসব সংগঠন কি ধর্মের অযৌক্তিক দিকগুলিকেই তুলে ধরে না?
আজ সন্ধ্যের খবর গ্রামের ষোলোআনার মাতব্বরেরা ওখানে আমাদের লড়াকু সাথী যার নেতৃত্বে বলির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল সেই প্রশান্ত মন্ডলকে একঘরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষও(সি পি এমের) এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আশার কথা এই যে, এই ব্যর্থ আন্দোলনেও গ্রামের অনেকের চিন্তাধারায় ঢেউ লেগেছে, যার ফলে মনে হয় একঘরে রাখার পরিকল্পনা কিছুতেই কার্যকরী করতে পারবেনা।
@বিপ্লব দাস,
মন্তব্য করার আগে দয়া করে লগ ইন করে নেবেন। লগ ইন করা অবস্থায় মন্তব্য করলে সরাসরি ওয়েবে প্রকাশিত হয়ে যায়, মডারেটরের এপ্রুভালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
ধন্যবাদ।
@বিপ্লব দাস,
আপনার সেই গ্রামের কনটাক্টের ফোন আছে? আমার ইমেল [email protected] কি হয়েছে তার ওপর আমি রেডিও ইন্টারভিউ নিতাম। সিপিএমের এই ধষ্ঠামো আর সহ্য হয় না।
“নরবলি দিলে মহাসমৃদ্ধি লাভ হয়”
তো বলিওয়ালাদের কে বলি হয়ে যাবার প্রস্তাব দিলে তো তাদের আপত্তি না করে খশী হয়েই হাড়ি কাঠে মাথা পেতে দেওয়া উচিত। মহাসমৃদ্ধি লাভে এইটুকু আত্মত্যাগ তো মহত দৃষ্টিতে দেখার কথা। তাদের অমন প্রস্তাব দিয়ে দেখতে পারেন। ধর্মে বলির এত সুফল থাকলে নরবলিতেই বা বাধা কিসের?
নিজেদের বলি হয়ে যাওয়াটাই তো উত্তম। ভন্ডামির ও তো সীমা থাকা দরকার।
যেখানে পরিষ্কার আইন আছে সেখানে আইনওয়ালাদের এহেন নিষ্ক্রিয়তা ও এহেন রক্তলোলুপ ধার্মিকদের সহায়তার বিরুদ্ধে কি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা যায় না?
একদম ঠিক কথা। চার্বাকের দল কি আর সাধে ব্রাহ্মণ পান্ডাদের নিয়ে একসময় লিখেছিলো-
চতুর পুরোহিতদের দাবী অনুযায়ী যদি জ্যোতিষ্টোম যজ্ঞে বলিকৃত প্রাণী সরাসরি স্বর্গলাভ করে, তাহলে তারা নিজেদের পিতাকে এভাবে বলি দেয় না কেন? কেন তারা এভাবে তাদের পিতার স্বর্গপ্রাপ্তি নিশ্চিত করে না? :
যদি জ্যোতিষ্টোম যজ্ঞে
বলি দিলে পশু যায় স্বর্গে
তবে পিতাকে পাঠতে স্বর্গে
ধরে বেঁধে বলি দাও যজ্ঞে।।
@আদিল মাহমুদ,
Adil,
You said in the west caucasian people do not criticise Qurbani. That is true.
I talked with caucasian people of USA and Europe, they are mainly Ph.D. degree holders, Professors, and some regular people. They understand the issues of islamic countries and muslims. They also understand that this is due to “Islam”. But, due to political correctness they do not tell it openly. I went to a Thanks Giving Dinner Party in USA. It was at an old Professors house. He was the Chairman of the Department at a top ten American University. Dean of the Pharmacy School was also there. And other senior people were also there. These people give opinion on islamic rituals only when they are certain there is no followers of islam in the room. We discussed about how people are killed in Arab countries, chopping of hands for stealing, beheading, beating publicly etc. Islamic way etc.
Since my name is not islamic, and I am not a muslim, so I get the opinion, but that also after being close to them for some time.
Thanks Adil.
Tata bye bye.
আমার মনে হয় আপনারা লড়াইটাকে আইনের পথে না করে, জনচেতনার পথে করলে আরো ভাল হয়। পশুবলি হিন্দু এবং ইসলামের ধর্মীয় আচারের অন্ত্ররভুক্ত। যদিও দুই ধর্মেই পশুপ্রেমের জন্যে অনেক আয়াত আছে, তাতে কিছু যায় আসে না। এসব ওই ধর্মীয় কনট্রাডকশনেরই অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশ কালী মন্দিরে এখন সিম্বলিক ভাবে কুমড়ো বলি দিচ্ছে-যদিও অর্থনৈতিক কারনে। তবে এই ব্যাপারে আইনের চেয়েও জনচেতনা
তৈরী করা দরকার বেশী।
@Biplab Pal,
আসলে কি, আমরা আমাদের প্রতিটি কুসংস্কার বিরোধী অনুষ্ঠানে বলি প্রথার বিপক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা করি। এভাবে বর্ধমান এবং মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় সাফল্যও পেয়েছি। এক্ষেত্রেও গত এক বছর ধরে ঐ অঞ্চলে অনেক কাজ করেছি। কিন্তু এমন একটা সময় এসে যায় যখন আইনী সাহায্য জরুরী হয়ে পড়ে। যেহেতু আইন আছে তাই তার সাহায্য প্রার্থনা করি। প্রশাসন চায়না যে মানুষ সত্যি সত্যিই কুসংস্কার মুক্ত হোক, বাধা আসে ওদের তরফ থেকে, প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভাবে।
@Biplab Pal,
কুমড়া বলি দেওয়ার ঘটনা বেশ ইন্টারেষ্টিং।
জন্সচেতনতা বৃদ্ধি আসলেই খুব দরকার। আইন আদালত যাই বলুক না কেন মানুষ যদি তাকে মন থেকে গ্রহন না করে তবে সেই আইন সফল হতে পারে না।
আপনাদের দিকে জানি না, তবে আমাদের দিকের মানুষের মানসিকতা যা তাতে কোরবানীর বিরুদ্ধে কিছু বলে জনসচতেনা বৃদ্ধি করতে গেলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা। বড়জোর নিজের বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের কাছে বলা যায়। পাবলিকলি বলা যায় না। নিজেরই কোরবানী হবার সম্ভাবনা আছে।
তবে আপনাদের যা দেখলাম অত্যন্ত ষ্পষ্ট আইন আছে, তার সাহায্য সাথে সাথে নিতেই পারেন। শুধু সচেতনায় হবে না। ভারতীয় সুপ্রীম কোর্ট তো যথেষ্ট নিরপেক্ষ এবং কার্যকর।
@আদিল মাহমুদ,
Adil thanks. earlier also i wrote on this. at our home in india, during Kali puja they stopped sacrificing the goat in front of the Goddess. I guess it (goat sacrificing) has been stopped for last fifteen years. This is due to humanitarian reason. In some places some people give “Kumra Boli” as Biplab told (english will be “pumpkin sacrificing”! ) which is symbolic. For jobs etc all the family members of my generation are outside home. Only elderly people of parents’ generation are at home. Puja is more of a festival and some ritual..
In Dewali/Deepabali many many people celebrate with drinking wine/liquor/scotch/whisky. I heard a speech of L. K. Advani where he was saying “it is Deepabali. So, everyone will have a drink…etc etc..”
People are still superstitious at various levels. Whenever I did a new reaction in lab on saturday, I found that the reaction does not work. Something wrong happens. So, I stopped starting a new reaction in lab on saturday. I understand it is just a superstition. That sort of stuff. In general I feel younger generation in india is mostly rational. Though I am outside of india for a long time.
Thank you Adil.
@Truthseeker,
আমার কিভাবে যেন ধারনা ছিল যে মোষ বলি পাঠা বলি এগুলি ভারত থেকে এখন প্রায় উঠেই গেছে। হয়ত কালে ভদ্রে গন্ড গ্রামে দেওয়া হয়। দেখা যাচ্ছে আমার ধারণা ভুল ছিল। কে যানে তাই হয়ত আমাদের কোরবানী নিয়েও পাশ্চাত্য বিশ্বে ততটা সমালোচনা হতে দেখি না যা পাশ্চাত্য ধ্যান ধারনার সাথে সাংঘর্ষিক। ইসলামের অনেক কিছু নিয়েই তো তীব্র সমালোচনা হয়, এটা কেন বাদ যায় তা আমি ঠিক বুঝি না।
মূক্তমণায় কিছু আর্টিকেল আছে, তবে আমার মতে ঘটনা যত বীভতস সমালোচনা ততটা প্রখর নয়।
আমি কখনোই মনে করি না যে ধর্ম পৃথিবী থেকে উঠে যাবে, অন্তত দু এক হাজার বছরের মধ্যে। ধর্মকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না বলে যেকোন ধর্মীয় বিশ্বাসকে আসলে সুপারষ্টিশন বলা যায়। তাই বলে তার তো একটা সীমা থাকা উচিত।
হাজার হাজার নীরিহ অবলা পশুকে পৈশাচিক আনন্দের জন্য সাথে জবাই করে মোক্ষলাভ করা যায় এধারনা সভ্য মানুষে কোন ধর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারে?
আমি যখন ঘোর ধার্মিক ছিলাম তখনো কোরবানী কখনো মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। বন্ধুবান্ধবের সাথে তর্ক করলে পালটা যুক্তি আসত তুমি যে বাপু বড় বড় কথা বলছ তুমি নিজে তো গোমাংস বেশ ভালই খাও, তাতে তো কোন আপত্তি দেখি না, বরং আমাদের থেকে বেশীই খাও। খালি জবাই করার ব্যাপারেই মানবিকতার লেকচার ঝাড়ো? যুক্তির মধ্যে আসলে সত্যতা আছে।
তবে তারপর ও বলা যায় যে খাদ্যের প্রয়োযনে হত্যা এক জিনিস, আর স্রেফ ধর্মীয় নির্দেশে অকারন হত্যা ভিন্ন জিনিশ। গরীবরা মাংস পায়, ভাল কথা। তো গরীব্দের ২ বেলা মাংস খাওয়ানো থেকে কোরবানীর টাকা দিতে তাদের স্বনির্ভর করার কোন ব্যাবস্থা করা হতে পারে আরো অনেক বেশী মংগলজনক।
আর এভাবে পাবলিক প্লেসে জবাই রক্তারক্তি কোন সূস্থ মাথার মানুষে সহ্য করতে পারে? পশু হোক আর যাই হোক, তার প্রান চলে যাছে, ঘড় ঘড় আওয়াজ হচ্ছে আর আমরা হাসিমুখে তাই দেখছি, বাচ্চাদেরও এ দৃশ্য দেখতে বাধ্য করছি, এর কোন মানে হয়?
এই প্রসঙ্গে আপনাদের একটা কথা বলি। পশুবলি আমাদের দেশে এখনও ভালভাবেই টিকে আছে। বর্ধমানের ভাতারের কাছে একটা জায়গায় কালি পুজোর সময় কয়েক হাজার পাঁঠা বলি হয়। একজন বলি দিতে দিতে যখন হাঁফিয়ে ওঠে তখন আরেকজন যায় বলি দিতে। গত কালই খবর পেলাম একটা গ্রামে হাঁড়িকাঠ থেকে পাশেরই নদী পর্যন্ত নালা তৈরি আছে। বলি ততক্ষন অবধি হবে যতক্ষন না রক্ত নালাতে গিয়ে পড়ছে। আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে এই ঘটনা টি দেখতে যাবার ইচ্ছে আছে। এছাড়া শ দুশ বলি তো অনেক জায়গাতেই হয়। কালি পূজো আর দুর্গাপুজোতে( সন্ধি পুজো) বেশি বলি হয়। মানভুমের জেলা গুলিতে মনসা পূজোয় বেশি হয় হাঁস বলি। এবারের খরার মরসুমেও মনসা পূজোর আগের দিন পুরুলিয়ার একটি মাত্র বাজারেই হাঁস বিক্রি হয়েছে কয়েক হাজার। পুরো মানভুমে কত লক্ষ্য তার ইয়ত্তা নেই। প্রায় সবগুলিই চড়বে হাঁড়িকাঠে। বলি দিতে আসা আর দেখতে আসা মানুষ গুলোর কী পৈশাচিক আনন্দ তখন। বাচ্চাদের চোখেমুখেও দেখা যায় নিষ্ঠূরতার ছাপ। আমরা যারা আন্দোলনের কাজে গাঁয়ে গঞ্জে ঘুরে বেড়াই তারা খবর রাখি এগুলোর। দূঃখ হয় প্রতিবাদ না করতে পেরে।