বদলে যাওয়া বদলে দেয়া ব্যাপারটি সহজ নয়
বেলাল বেগ
বাংলাদেশে বিশুদ্ধ তথ্যমাধ্যম হিসাবে খুব কম সংবাদপত্রের আবির্ভাব হয়েছে। প্রাচীন পত্রিকাগুলি যেমন আজাদ, ইত্তেফাক, সংবাদ সজ্ঞানে সৎভাবে এক একটি রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচার ও পৃষ্ঠপোষকতা করত। নিজ মতাদর্শের শক্তিবর্দ্ধন ও সমপ্রসারনের কৌশল হিসাবে এরা প্রত্যেকেই নতুন বংশধরদের দলে টানার প্রয়াসে পত্রিকা-কেন্দ্রিক সংগঠন গড়ে তুলত। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির পথে টেনে আনার সুফল কি হয়েছে, গবেষণা ছাড়া তা বলা যাবেনা। তবে পত্রিকায় মুকুলের মহফিল, কচিকাঁচার মেলা ও খেলাঘর আসরের পাতার কারনে দেশে যে বিরাট সংখ্যক লেখক-লেখিকার জন্ম হয়েছে তা সকলেই স্বীকার করবেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বাকশাল নামে এক দলীয় শাসন প্রবর্তনের সময় স্বাভাবিকভাবে পত্রিকা জগতে একটা বড় ধাক্কা লেগেছিল। তারপর ১৯৭৫ সনে পৈশাসিক রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের পর বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশের স্বাধিনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি শত্র“ গোপনে বাংলাদেশ দখল করে নিলে সুস্থরাজনীতি ও রাজনৈতিক বিকাশের সম্পূর্ন পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু ঢেউ গুণে যারা পয়সা বানাতে ওস্তাদ, তারা কেউ বসে থাকে না। ওরা রাতারাতি পত্রিকা ব্যবসায়ে নেমে পড়ল। দেশে পত্রিকা প্রকাশের হিড়িক পড়ল। তখন পর্যন্ত ব্যক্তিমালীকানাধীন শিল্পকারখানা পত্রপত্রিকার বিজ্ঞাপন আয়ের বড় একটা উৎস হয়ে উঠেনি। সরকারী বিজ্ঞাপনই ছিল পত্রিকাগুলির প্রধান আয়ের উৎস। ঐ একমাত্র উৎসের বড় একটা ভাগ পেতে ক্ষমতাসীন সরকারের তোয়াজ ও ঘুষখোর সরকারী কর্মচারীদের সেবা করতে হত নবাগত পত্রিকা ব্যবসায়ী, মালিক, সম্পাদকদের। ফলে অচিরেই পত্রিকাসমূহের আদর্শবাদীতা, সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা, অর্থনেতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার মহৎ উদ্দেশ্যগুলি ]মশঃ ফিকে হয়ে উঠতে থাকে। এমন পরিবেশে খুব বড় পুঁজির শক্তি ও এক গোষ্ঠি প্রতিভাবান সাংবাদিক ও কর্মচারী নিয়ে পরীক্ষিত সাংগঠনিক প্রতিভার অধিকারী সম্পাদক মতিউর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আত্বপ্রকাশ করে দৈনিক প্রথম আলো। নানা রকম চমৎকারিত্বে ভরা প্রতিভাদীপ্ত পত্রিকাটির প্রচার সংখ্যা মার মার কাট কাট করে সকল পত্রিকাকে ছাড়িয়ে গেল খুব অল্পদিনে। এই অভাবনীয় জনপ্রিয়তা কিছুদিনের মধ্যেই পত্রিকাটির মাথা খারাপ করে দিল। হঠাৎ তারা রাষ্ট্রের ভিতরে রাষ্ট্রের মত আচরন শুরু করল। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজসং স্কৃতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ শুরু করে পত্রিকাটি কাল]মে উৎসবমুখর একটি বহুমুখি এনজিওতে পরিণত হল। এখন আর এটি জনমতের শক্তিশালী মঞ্চ নয়; এখন এটি সম্পাদক ও মালীকপক্ষের প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধির কুটকৌশলী হাতিয়ার। মানুষ অবশ্য এতে কিছু মনে করেনা বরং আনন্দ পায় কারন তাদের সকল আয়োজনে দারুন শো-বিজনেস থাকে। তরুনদের ত পোয়া বারো। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ’বদলে যাও, বদলে দাও’ অভিযানের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাতে সাড়ে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ শপথ-ব্যানার ধরে দাঁড়িয়ে থাকার যে উচ্ছ্বাস-উত্তেজনা এর কি তুলনা হয়! লক্ষ মানুষত লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ের এ মজা দেখতে যাবেই।
কিন্তু সব মানুষের মনে অত ফূর্তি নেই। যুদ্ধ,ধ্বংস ও মৃত্যুর নয় মাসে নিহত ৩০ লক্ষ মানুষের অতৃপ্ত আত্বার আহাজারী এখন পর্যন্ত বাংলার আকাশ বাতাস ভারী করে আছে, ২লক্ষ মা- বোনের অপমানের বিষজ¦ালা এখনো কুরে কুরে খাচ্ছে বাংলার জনপদ, তার উপর সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নারকীয় হত্যাকান্ড, জেলখানায় ঠান্ডামাথায় জাতীয় নেতাদের হত্যা, দেশে রাজনৈতিক হত্যার প্রচলন, স্বাধিনতার শত্র“দের কাছে স্বাধিনতা বিকিয়ে দেয়া, দেশের সেনাবাহিনী কতৃক যখনতখন সুন্দরী মেয়ে তুলে নেয়ার মত জনগনের মৌলিক অধিকার হরণ, রাজনীতির দুবৃত্তায়ন, রাষ্ট্রীয় সম্পদের উলঙ্গ লুটপাট, চুরি-ডাকাতি, খুন-ধর্ষন, হাইজ্যাক-জবরদখল, বিপুল জনগোষ্ঠীকে উন্নয়ন ও সভ্যতার বলয় থেকে দূরে রাখা, নির্বিচার শোষন-শাসন ইত্যাদি পাপাচারে মানুষের জীবন এখন প্রায় দুঃসহ। ভূলুন্ঠিত মানব- মর্যাদা। সাধারন মানুষ আজ সর্বত্র অসহায়। সব বাদ দিয়ে ইসলামি জঙ্গীদের বোমাবাজীতে নিহত মানুষদের এবং সর্বশেষ বিডিআর বিদ্রোহে নিহত তরুন সামরিক অফিসারদের পরিবারদের কথা ভাবুন- কি গভীর দুঃখ ছেয়ে আছে এ ভাগ্যাহত দেশটির আসমান-জমিন!
সাধারন মানুষের ত্যাগ ও রক্তে স্বাধিনতা অর্জিত হয়েছে আটত্রিশ বছর আগে। লুটেরা শাসক ও শোষক গোষ্ঠী আজ পর্যন্ত জনগনকে স্বাধিনতার দায়িত্ব ও কর্তব্যের ভাগ দেয়নি। ফলে জনগন রাষ্ট্র-বিচ্ছিন্ন হয়েই বসবাস করছে। জনগনের এ রাষ্ট্র-বিমুখিনতার সুযোগে দেশে গেঁড়ে বসেছে সামপ্রদায়িক রাজনীতি আর ভয়ঙ্কর অসভ্য ইসলামি জঙ্গীবাদ। ইতোমধ্যে বহু বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে তারা মানুষের জীবনে আতংক ঢুকিয়ে দিয়েছে। একবার ত সারা দেশে একযোগে বোমা ফাটানোর উৎসব করে তারা নিজেদের ক্ষমতারও এলান দিয়েছে।
বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষ অবশ্যম্ভাবী প্রকৃতিক বিপর্যয়ের মাঝে বাস করে। মাঝে মাঝে ঐ বিপর্যয় নেমে এলে আশ্রয়হীন, অনাহার ও রোগা]ান্ত মানুষগুলির দুঃখ কষ্টের সীমা থাকেনা। হতদরিদ্র লক্ষ লক্ষ মানুষের এক একটি বিপর্যয় থেকে উঠে দাঁড়ানোর লক্ষন দেখা দিলেই আর একটি ধ্বংসযজ্ঞ এসে তাদের কোমর ভেঙে দেয়। এই দুঃখ কষ্ট, দারিদ্র্য ও পশ্চাদপদতা, দূর্নীতি ও অপশাসনের অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসার যে শতর্, উপযুক্ত রাজনৈতিক ধ্যান-ধারনা, নেতৃত্ব,, শিক্ষা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, তাও শতচ্ছিন্ন ছাতার মত অকেজো হয়ে আছে। বহুদিন ধরেই দেশটি ’ব্যর্থ’ রাষ্ট্রের খাতায় নাম লিখে বসে আছে।
বাংলাদেশের মানুষের দারিদ্র্য, পশ্চাদপদতা এবং শোষণ-লুন্ঠনের পাপচ] থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারটি সকল চিন্তাশীল মানুষের প্রধান চিন্তা-ভাবনা হওয়া উচিৎ। সাধারন মানুষকেও বোঝাতে হবে আমাদের জীবনের এ সকল রূঢ় বাস্তবতার দিকগুলি। কথার তুবরী ছুটিয়ে, অলীক স্বপ্ন দেখিয়ে যারা রাতারাতি স্বাচ্ছšদ্য ও শান্তি এনে দেবার প্রতিজ্ঞা করে, তারাও এক ধরনের শঠ ও ঠগী। অতি সমপ্রতি ভেজাল সামরিক শাসনামলে আমরা এজাতীয় বহু ঠগবাজ মানুষকে মাঠে নেমে আস্ফালন করতে দেখেছি। তাতে কোন ফলই হয়নি কারন মানুষ তাদের বিশ্বাস করেনি। আসলে ১৯৭৫’র পর বাংলাদেশের মানুষ আর কাউকেই বিশ্বাস করেনি। না রাষট্র না সরকার, না রাজনীতিক না বিচারালয়, না পুলিশ না মিলিটারী। অথচ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের ভিত্তি। এ মানুষেরা জাগলেই কেবল একটি রাষ্ট্র সফল হয়। বাংলাদেশের মানুষেরা জেগেছিল বলেই বাঙালির সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষা পেয়েছে, বাঙালি জাতি তার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিল বলেই স্বাধিন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। অতএব, জাতির জাগরনই রাষ্ট্রের সকল উন্নতির একমাত্র শর্ত।
বাঙালির জাতিগত পরিচয় কয়েক হাজার বছরের। তবে জাতিগত চেতনার কলরব শুরু হয় এই সেদিন উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। আর বাঙালি জাতির উত্থান ঘটে নাটকীয়ভাবে ১৯৫২ সনে। পরবর্তী দুই দশক ছিল বাঙালি জাতির ’মনুষ্যমর্যাদা গর্ব’ প্রতিষ্ঠা ও আত্বশক্তি উদ্বোধনের সংগ্রাম। একাত্তরে অর্জীত স্বাধিনতা ছিল বাঙালির জাতি-শক্তির চুড়ান্ত প্রতিষ্ঠা। এরপর অনাগত অনন্ত সময়ে বাঙালির সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য রচনা করা হয় অবিনশ্বর জীবন বিধান- সংবিধান। ১৯৭৫ সনে বাঙালির দেশি-বিদেশি শত্র“রা বাঙালির স্বাধিনতা ও তার জাতীয় চেতনাকে চিরকালের মত ধ্বংস করার জন্য ১৯৭২ সনে রচিত সেই সংবিধানকে অর্থহীন করে দেয়। তারপর থেকে বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যাই হচ্ছে সেই সংবিধানের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। আবার সে সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার একমাত্র বাঁধাই হচ্ছে পঁচাত্তর পরবর্তীকালে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে ঢুকে পড়া বিজাতীয় রাজনীতি ও ভাবধারা এবং ছলেবলেকলেকৌশলে তার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ভাড়াটিয়া বাহিনী। বাংলাদেশকে আবার স্বাধিনতার চেতনা নিয়ে দাঁড়াতে হলে ঐ রাজনীতি ও ভাবধারাকে উচ্ছেদ করতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কারন ঐ রাজনীতি ও ভাবধারা বাঙালির ঐতিহাসিক রাজনৈতিক চেতনা, গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও প্রগতিবিরোধী।
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা চলে বাংলাদেশের ভাগ্যোন্নয়নের সংগ্রামে আপামর জনগনের সমপৃক্তি অর্জন একটি ব্যাপক, গভীর ও কঠিন সংগ্রাম। এ সংগ্রামের মূল বিষয় হবে পুনরায় জনগনের আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জন। আত্বসংশোধন, চরিত্রগঠন, পাঠে মনোযোগ, আলোকিত মানুষ হও, বদলে যাও বদলে দাও, আল−াহর রাজত্বে আস ইত্যাদি উপদেশ শুনে, লং মার্চ, মানববন্ধন, বৈঠা মিছিল ইত্যাদি শো প্রদর্শনী দেখে জনগন প্রশ্ন তুলবে নিজের টাকা পয়সা খরচ করে ওরা এসব করছে কেন?
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রাষ্ট্র শক্তি পুঁজির হাতে সহজে জিম্মি হতে পারে। রাষ্ট্র -শক্তি দখলে পুঁজিবাদীদের ঘাড়মটকানো প্রতিযগিতার কারনেই বাংলাদেশে বাঙালির নিজস্ব চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে দুর্লঙ্ঘ বাধাসমূহ তৈরি হয়েছে। এই সত্যটিকে চাপা দিয়েই জনস্বার্থবিমুখ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান সমূহ কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলি যদি বাঙালির ঐতিহাসিক স্বত্ত্বার প্রতি দায়িত্ববান থাকে, ’বদলে যাও, বদলে দাও’ জাতীয় শস্তা বানিজ্যিক সে−াগানের প্রয়োজন হয়না। কারন আমাদের বদলে যাবার কিছু নেই। আমরা ছয়’শ বছর আগেই মানব-সভ্যতাকে তার সর্বোত্তম বাণীটি দিয়েছি : ’শুনহ মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’। কেবল বাণী দিয়েই আমরা চুপ করে থাকিনি; আমাদের কবিরা তার অণির্বান শিখা এখন পর্যন্ত জ¦ালিয়ে রেখেছেন আমাদের ধমনীতে। আমাদের তথা মানবজাতির যা কিছু মহৎ তা ধারন করে আছেন আমাদের চন্ডীদাস, রবীন্দ্র নাথ, নজরুল, সুকান্ত, লালন-হাসন, জীবানন্দরা।
মানবজীবনের মহত্তম আদর্শসমূহ আমাদের ঐতিহাসিক স্বত্ত্বার মূলে বিরাজ করা স্বত্তেও জাতিরাষ্ট্র গঠনে সর্বপ্রকার নেতৃত্বে আমাদের ছিল অনভিজ্ঞতা, অপরিপক্কতা ও অয়োগ্যতা। এরই সুযোগ নিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের শত্র“রা আমাদের স্বাধিনতা বানচাল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল। এখন আর আগের অবস্থা নেই। স্বাধিনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা দেশ গঠনে বদ্ধপরিকর তারা এখন অনেক অভিজ্ঞ ও সাবধানী। তাদের নেতৃত্বে যে মূহূর্তে দেশবাসী আস্থা স্থাপন করতে যাচ্ছিল সে সময় তরুণদের কোন পথে নিয়ে যেতে চাচ্ছে প্রথম আলো? বদলে যাও, বদলে দাও কি নিছক পত্রিকার কাটতি ও প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধির একটি ঝলমলে প্রকল্প না তার পেছনে কোন গোপন উদ্দেশ্য আছে?
আমাদের দেশের জন্য এ মূহূর্তের বড় কাজ ঐতিহাসিক বাঙালি স্বত্ত্বার আলোকে মানুষকে জাগিয়ে তোলা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উত্তাল সমুদ্রের মত কর্মযজ্ঞ গড়ে তোলা। ’বদলে যাও, বদলে দাও’র মত বেপথু কর্মসূচীর পরিবর্তে মাত্র এক লক্ষ টাকা পুরুস্কার ঘোষনা করে প্রথম আলো যদি রবীন্দ্র নাথের ’নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতাটি আবৃত্তির একটি জাতীয় প্রতিযগিতা অনুষ্ঠান করত তাহলে তা একটি বিরাট কাজ হতো।
লেখক, সাংবাদিক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক প্রযোজক। বেলাল বেগ বর্তমানে নিউইয়র্ক প্রবাসী এবং মুক্তমনার সদস্য । লেখকের ইমেইল ঠিকানা : [email protected]
বেলাল বেগের চিনতা মৌলিক নয় ।
জনাব বেলাল বেগ,
আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা রইলো আপনার প্রতি। যথার্থই বলেছেন। আমি সম্পুর্ণ একমত আপনার বক্তব্যের সাথে। প্রথম যেদিন পত্রিকায় সংবাদটি দেখি, সাথে সাথেই মনে হয়েছিলো, আর সব টেলিফোন কোম্পানীর বিঞ্জাপনের মতো প্রথম আলো এমন বিঞ্জাপনের আয়োজন করতে গেলো কেন? কাটতি কি ইদানিং কমে গেছে?
তবে পেছনের উদ্দ্যেশ্য নিয়ে ভাববার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে বইকি। নিছক চমক সৃষ্টি এতো এতো টাকা খরচের নেপথ্যকারন, তা মানতে কোথায় যেনো বাধে। কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র “একতা”র সাবেক সম্পাদক মহোদয়ের তীখ্নতা তিনি ইদানিং কি কাটতে ভোঁতা করছেন, ঠিক বুঝতে পারছিনা। তরুণ সমাজকে খানিকটা বিচ্যূত দৃষ্টিভঙ্গীতে ঠেলে দেবার প্রবনতাটি সঠিক হলে, এখনি এব্যাপারে সবাইকে সচেতন করে তোলা উচিৎ। আপনি এবং আপনারাই পারেন এ ব্যাপারে গঠনমুলক ভুমিকা রাখতে। আপনার আরো আরো বিশ্লেষন মূলক লেখা প্রত্যাশা করছি।