আল্লাহ’র অস্তিত্বের স্বপক্ষে কিছু যুক্তি
নাস্তিকের ধর্মকথা
: আল্লাহ আছে প্রমাণ কি?
: কোরআনের আয়াতে আয়াতে আল্লাহর কথা বলা হয়েছে। সুরা এখলাসে পরিষ্কার বলা হয়েছে: “তুমি বলো- তিনি আল্লাহ; এক ও অদ্বিতীয়” (১২২:১)।
: কোরআন-ই যে সঠিক তার প্রমাণ কি?
: কোরআন সম্পর্কে কোনরূপ সন্দেহ নেই, সুরা বাকারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে: “এই সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই” (০২ : ০২)।
: কিন্তু যে কেউ তো একটা গ্রন্থ লিখে সেখানে দাবী করতে পারে- এটাতে কোন সন্দেহ নেই।
: হ্যা সেটা পারে, কিন্তু কোরআন তো মানুষ লিখেনি।
: কে লিখেছে?
: আল্লাহ।
: প্রমাণ?
: এটাও কোরআনেই পাবেন। সুরা ইউনুস দেখুন: “এই কোরআন আল্লাহ্ ছাড়া অপর কারও রচনা নয়” (১০ : ৩৭)।
@নাস্তিকের ধর্মকথা, সত্যই অসাধারণ করে সাজিয়েছেন প্রশ্ন আর উত্তরগুলো। (Y) । তা ভাই আপনাকে আর দেখি না কেন? আপনার লেখাগুলো অনেক মিস করি।
@অচেনা,
আপনাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছিনা। কেননা আপনি প্রশ্ন না করলে এই লিঙ্কটা পেতাম না। পড়ে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপ্নাকে এবং লেখক’কে (F)
@আফরোজা আলম, ভাল লাগছে আপু যে আমার তুচ্ছ একটা মন্তব্যের জন্য আপনি লেখাটা পড়ে আনন্দ পেয়েছেন। 🙂 । আপনাকেও শুভেচ্ছা (F)
Sura Lahab
In the name of Allah, most benevolent, ever-merciful.
1. DESTROYED WILL BE the hands of Abu Lahab, and he himself will perish.
2. Of no avail shall be his wealth, nor what he has acquired.
3. He will be roasted in the fire
4. And his wife, the portress of fire wood
5. Will have a strap of fibre rope around her neck.
Sura Syeem (Not, LoL)
In the name of Allah, most vicious, ever-jealous.
1. BLESSED WILL BE the hands of Syeem, and he himself will prevail.
2. Of no avail shall be Muhammad’s wealth, nor what he has lied about.
3. He will be molested by Jesus
4. And Syeem’s wife, the most beautiful woman in the earth
5. Will own a mine diamonds around her house.
P.S. I wrote the sura in just 5 minutes… comments please… I want my pulitzar now… :p
@Al Murshed,
শেষ কথাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমিও মনে প্রাণে বাঙ্গালী। আমার উচিত হয়নি ওরকম ভাষা ব্যবহার।
আর উপরের অংশ নিয়ে বলি- হ্যারি পটারের কথা আমি ব্যবহার করেছি উপমা রূপে। আপনি চাইলে রবীন্দ্রনাথের কাব্য হতেও অনেক ব্যখ্যা দাড়া করাতে পারেন। রবীন্দ্রনাথের ভান্ডার এত সমৃদ্ধ যে আপনি সেখান থেকে সমাজ নীতি,যুগ জিজ্ঞাসা,অর্থনীতি, ইত্যাদি অনায়াসেই খুজে পাবেন [রবীন্দ্রনাথকে আনলাম কারন- হ্যারি পটার থেকে উপমা খুজে পেতে আপনার কস্ট হলেও রবীন্দ্রনাথ থেকে খুজে পেতে আপনার মোটেও কষ্ট হবেনা] এজন্য ইচ্ছা করলে আপনি রবীন্দ্রকে সৃস্টিকর্তা প্রেরিত নবী এবং তার কাব্যকে সৃস্টিকর্তার বানী রুপে অনায়াসে দাবি করতে পারেন,কারন সে সুযোগ আছে। এমনকি রবীন্দ্র যদি নিজেই নিজেকে নবী দাবি করতেন তাহলে ব্যাপারটা কি রকম দাঁড়াত আপনি চিন্তা করুন [যদিও বুদ্ধিমান মুহম্মদ(সঃ) সে রাস্তা বন্ধ করে গেছেন। আমি বুঝিনা তার মৃত্যুর পরে তো বর্তমানে মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হয়েছে। তাহলে এখন নবীর প্রয়োজন নেই কেন? যদিও আপনি বলবেন এখন কোরান আছে। কিন্তু কোরান কি সবার কাছে পৌছাচ্ছে? আমরা তো দাবি করতেই পারি আমাদের জন্য কোন নবী আসেনি,আমদের পথ দেখানোর কেউ নেই] আবার ধরুন ডেভিড কপারফিল্ডের কথা। মুহম্মদ(সঃ) যে চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করেছিলেন তা দেখেছিল মাত্র ৩ কি ৪ জন। কিন্তু ডেভিড কপারফিল্ড হাজার হাজার মানুষের সামনে নিজেকে দ্বিখন্ডিত করেছেন এবং আরো কোটি কোটি মানুষ স্যাটেলাইটের কল্যানে তা দেখেছে। এক্ষেত্রে ডেভিড কপারফ্লড যদি নিজেকে ম্যজিশিয়ান না বলে নিজেকে সৃস্টিকর্তার প্রেরিত পুরুষ রূপে দাবি করতেন তবে(আমাদের সায়দাবাদীর মত!!) মানুষের উন্মাদনা কোন পর্যায়ে পৌছাতো তা আপনি চিন্তা করে দেখুন। কিন্তু তিনি সত্য বলে দেয়াতে আজ আমরা বিরাট হ্যপা থেকে রক্ষা পেলাম। নাইলে হয়ত মুক্তমনাতে তিনি(কপারফিল্ড) নবী কিনা তা নিয়েও আমাদের যুদ্ধ করতে হত।
আর আমি জামাতি হবার কথা বলিনি। আমি বলেছি কোরান বিকৃত করার কথা। আর মওদূদী যদি কোরান বিকৃত নাই করেন তাহলে কি দাড়াচ্ছে? ইসলাম শান্তির ধর্ম নয় ,তাইনা? কারন মৌলবাদিরা তো মওদূদির অর্থকৃত কোরান পড়েই মানুষ খুন করতে কুন্ঠা করছে না,সব ভয়ানক ভয়ানক ফতোয়া জারি করছে। জঙ্গিদেরকে এমন কি শিখানো হয় যে তারা জীবন দিয়ে দিতেও এক মুহুর্ত চিন্তা করেনা? নাকি আপনাদের কোরানই তাদেরকে এরূপ আদেশ দেয়? আমাদের মা বোনদের গনিমতের মাল রূপে ফতোয়া দেয়ার সাহসও তারা পায় ওখান থেকেই। তারা অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত জঙ্গিদের ডাইরেক্ট বেহেশতের টিকিট দিয়ে দেবার মত ব্যবস্থা পায় কোত্থেকে?আপনিই বলুন?
@রফিক ভাই- আপনাকে ধন্যবাদ। কারন আমি আগে কখনও এরূপ আক্রমনের সামনে পড়িনাই। তাই ইকটু অসহায় বোধ করছিলাম।আপনার এত গুলো উদাহরনের পর আমার আর কিছু বলতে হয় না।
@ অন্ধকারের নিভৃতচারি- ভাইয়া আমার কথায় যে আপনার আঁতে ঘাঁ লাগবে আমি তা বুঝিনি। আমি কাউকে আরিস্টটলের সাথে তুলনা করিনি। আমি তুলনা করেছি সেই সকল মানুষদের সাথে যারা আরিস্টটলকে দেবতার আসনে বসিয়েছিলেন তাদের সাথে। তারা কিছুই বুঝতে রাজি হন না। তারা শুধুই গোঁ ধরে নিজেদের যুক্তিতে বসে থাকেন, তা সে যুক্তি খোঁড়াই হোক আর না হোক। আর আমি শুধু আরিস্টটলের যুগের কথাই বলেছি,যে যুগে তিনিই ছিলেন সর্বেসর্বা।
আর ভাইয়া আপনি আমাকে হাসালেন!! বিবর্তনবাদ!!কোন দেশে সখ করে বিবর্তনবাদ পরানো হয়,এমন তো আমার জানা নেই। বরং অনেক দেশে আইন করে বিবর্তনবাদ পড়ানো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। যারা বিজ্ঞান নিয়ে মাথা ঘামায় তারা বাদে ক’জন মানুষ বিবর্তনবাদ সম্পর্কে জানে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারন,যদি সামান্য বিবর্তনবাদ টুকু সব মানুষের জানা থাকতো তবে তার মাথায় এমন সব প্রশ্নের উদ্রেক হত,যে গুলোর জবাব কোন ধর্মে পাওয়া যায় না। আপনার যদি বিবর্তনবাদ সম্পর্কে জানা না থাকে তবে প্লীজ ভালোমত জানুন,এবং তার পর নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন উত্তর পান কিনা। আর একদল অন্যদলের উপর মাস্টারি করে এ কথা আপনাদের উপর আরো বেশি প্রযোজ্য। আমরা যুক্তির খেলা খেলি,মাস্টারি করিনা। যুক্তি পছন্দ হলে গ্রহন করবেন,না হলে না।
আমি আরো বলতে চাই বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান চর্চার সময় এটা মাথায় রাখেননা যে তারা শুধু বিজ্ঞানী না মুসলিম/হিন্দু বিজ্ঞানী।তাই বিজ্ঞানীদেরকে কোন ধর্মের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করার কোন কারণ আমি দেখি না।
@Tanvy জ়নাব একটি মানুষকে না জেনে তার একটি মন্তব্য থেকে তাকে অন্ধ, অন্ধকারের নিভৃতচারী বলাটা কি Rationality’র পরিচায়ক?পৃথিবীতে এখোন এতো আলোর ছড়াছড়ি যে সাধারণ মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছে।জ়নাব,বলতে পারবেন কি ইসলামের ইতিহাসে কোথায়,কোন মুসলিম দেশে মুসলমানরা কোনো বিজ্ঞানীকে নির্যাতন করেছে তাঁর বৈজ্ঞানিক মতবাদের জন্য-পুড়িয়ে মারা তো দূরের কথা?ইসলামের নবী(সঃ) বলেছেন,”জ্ঞান(বিজ্ঞান) আহরণের জন্য সুদূর চীন দেশে হলেও যাও।”আরো বলেছেন,”জ্ঞান মুমিনের হারানো ধন”।তাই ইসলামের পূর্ব ইতিহাস আল জাবির(এলজেব্রার জনক),জাবির ইবনে হাইয়ান,আল খারেজমী,ওমর খৈয়াম,ইবনে সিনা’র মতো গণিত বিজ্ঞানী,জ্যোতির্বিদ,সাহিত্য,চিকিতসা বিজ্ঞানী এবং সার্জারি বিদ্যার জনকদের ও গৌরবময় ইতিহাস।তর্কের খাতিরে আবেগের জোরে অবাস্তব কথা না বলে পড়ুন,জানুন এবং জেনে লেখালেখি করুন।
@Al Murshed,
মুর্শেদ সাহেব, অযথা মুক্তমনায় এসে লিপ সার্ভিস দেওয়ার চেয়ে একটু ইতিহাসের বইগুলায় চোখ বুলাইলে পারেন। ইসলামের ইতিহাসে কোন বিজ্ঞানীকে অত্যাচার করা হয় নাই? কোন দার্শনিককে পোড়ায় মারা হয় নাই? মুর্শেদ সাব, আপনে কোন দুনিয়ায় আছেন? আপনে কি জানেন – খালিদ আল জুহানি, ওয়াসিল ইবনে আতা, জহম ইবনে সাফফাওয়ান, ইবনে রুশদ, আল কিন্দী, ইবনে বাজা, ইবনে খালিদ, যিরহাম, আল দিমিস্কি, ওমর খৈয়াম, ইবনে সিনা, এগো উপরে কি হইছিলো? এদের উপরে অত্যাচার হয় নাই? আগডুম বাগডুম না লিখা বাড়িতে গয়া একটু বই টই পড়েন। আপনে কি জানেন, মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে গিয়া মুতাজিলা গো কি দশা হইছিলো এক সময়? আপনের লাহান আল আশারি আর গাজ্জালীর ভক্তরা আমাগো পৈত্রিক ধর্মটার এমন দশা করছে যে এইগুলা লইয়া লিখতেও কুণ্ঠা হয়। আপনে নুরুজ্জামান মানিকের এই লেখাটা ইন্টারনেট থেইকা পড়তে পারেন –
ইসলামের চিন্তার ইতিহাসে যারা সত্যের শহিদ
http://www.sachalayatan.com/manik061624/15654
http://www.mukto-mona.com/project/Biggan_dhormo2008/chap8/islamer_sohid_manik.pdf
আজকের দুনিয়ায় সালমান রুশদি, তসলিমা নাসরীন, আহমদ শরীফ দের কি দশা হইছে? ইসলামের বান্দারা হুমায়ুন আজাদরে কোপায় নাই?
ভাই সাব, এই কথা আমাগো নবী কখনোই কয় নাই। এই সংক্রান্ত কোন হাদিস নাই। আমি আপনারে এই ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ দিতাছি । আপনে দেখান কোন হাদিসে আছে যে, “জ্ঞান(বিজ্ঞান) আহরণের জন্য সুদূর চীন দেশে হলেও যাও”? খুঁইজা দেখেন পান কিনা।
আপনেরে আরো একটা খবর দেই। নবী মুহম্মদ নিজেই আরবের বৃদ্ধ কবি আবু আফাক আর আসমা বিনতে মারওয়ানকে হত্যা করছিলেন তারে লইয়া ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা লেখনের লাইগ্যা। আপনে কি এই খবর জানেন? আপনের না জানোনেরই কথা। সুদূর চীন দেশে যাওনের মিথ্যা গল্প জানেন, আর আবু আফাক আর আসমা বিনতে মারওয়ান-এর সত্য ঘটনা জানেন না ক্যান?
হ এখন ওমর খৈয়াম,ইবনে সিনা’ রা হইছে আপ্নেগো চোখে বিরাট মুসলিম বিজ্ঞানী! অথচ হেরা যখন বাইচ্যা ছিলো তখন কিন্তু হেরাই আপনেগো মত ইসলামের পান্ডাদের হাতে নিগৃহিত হইছিলেন। ওমর খৈয়াম,ইবনে সিনা’ দের তো আল্লাহতেই কইতে গেলে কুনো বিশ্বাস ছিল না। খৈয়াম তো মদ আর সাকি লইয়া বহু নাফরমানি কবিতা লিখছে আর ধর্ম আর খোদারে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ক্যামনে ঐ ব্যাটা সাচ্চা মুসলিম হইলেন? আপনেরা পারেনো বটে। নজরুলরে জীবিত অবস্থায় ‘কাফের’, ‘মুরতাদ’ তকমা দিছেন, আর মরার পর সেই নজরুলই এখন বিশিষ্ট ‘ইসলামী কবি’, না? নিশ্চয় হুমায়ুন আজাদও শিগগীরই বিশিষ্ট আলেম আর ইসলামী লেখক হইয়া উঠব, কয় দিন সবুর করেন।
@রফিক,
রফিক সাহেব
আপনি কি উল্লেখিত বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও মু’তাজিলাদের হয়ে কথা বলছেন, না জ্ঞানের ঘোড়া যখন যেদিকে রফ রফ করে দৌঁড় দিচ্ছে সেদিকেই দৌঁড়াচ্ছেন? যাদের প্রতি এত দরদ দেখচ্ছেন তারা সবাই তো ইসলামে বিশ্বাসী, এমন কি ওমর খাইইয়ামও। তার অনেক পংতিতে strong irony-এর ব্যবহারকে কেন্দ্র করে একদল মুসলমানের শক্ত বিরোধ ঘটলেও আরেক দল তাকে ইসলাম বহির্ভূত মনে করেন নাই। তার দাফন কাফন, তার মাজার জিয়ারত তার পক্ষের লোকেরা সবদিনই বহাল রেখেছে। হ্যাঁ, আমরা ঘরে বসেই থাকতাম। তবে আপনাদের এত পড়াশুনা, এত জ্ঞান, এত যুক্তির ভান্ডার, এগুলির প্রাচুর্য দেখে ইচ্ছা হয় একটু জ্ঞান না হয় সংগ্রহ করে নেই -এটা কি ঘরে বসে থাকার চেয়ে ঢের ভাল না? গাজ্জালী আপনার পৈতৃক ধর্মের কোন ১২টা বাজালো গো, যে তাঁর ভক্তদেরে এমন খোঁচা দিলেন? নবী মুহাম্মদ ও তাঁর ধর্মগ্রন্থের ব্যাপারে মুক্ত-মনার অন্যত্র স্থানগুলিতের আপনার যেসব মন্তব্য দেখলাম তার আলোকে আপনার পৈতৃক ধর্মটা কি বুঝবো? আপনি যেমন, তারাও তেমন? গাজ্জালী ভক্তগণ সংস্পর্শে আসার পূর্বে আপনার পৈতৃক ধর্মের রূপটা কি ছিল?
যে রেফ্রেন্সুগুলি টানলেন, আর যেগুলি পড়ে পন্ডিত হয়ে রফ-রফি করছেন, সেগুলির তারিফ করি। কারণ এগুলি ‘এনসাইক্লোপেডিক’। ‘‘গোটা মুসলাম-জাতি’’ কিভাবে তাদের দার্শনিকদের পুড়িয়ে পুড়িয়ে, মেরে মেরে ছাই ও ভস্মীভূত করেছে তার অকাট্য দলিল পরিপূর্ণভাবে মিলেয়ে দিয়েছেন। এবারে আল-মুরশেদ সাহেবের বিবৃতবাক্য খন্ডিত হয়েছে, তাই না? আর নাস্তিক্যবাদের জয় হয়েছে! বিভিন্ন সময়ের (of periods), বিভিন্ন ব্যক্তিদের, বিভিন্ন প্রসঙ্গের, বিভিন্ন আন্দোলন ও তৎকালিন সামাজিক পটভূমিতে বিভিন্ন দলের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিক্রিয়ার বিবিধ জটিলতাকে সাধারণী-সিদ্ধান্ত টেনে মুসলিম জাতির বেওকুবি, ধর্মান্ধতার এনসাইক্লোপেডিক রেফ্রেন্সু দিয়ে একজন আল্লামার পরচয় দিয়েছেন। বাহ, এত বিদ্যা! রফিক সাহেব, আপনি খান কি রে ভাই? এত জ্ঞান-বুদ্ধি নিয়ে করেনটা কি? যে সব ব্যক্তিবর্গের নাম উল্লাখ করেছেন তাদের বক্তব্য আর মুক্তমনার পন্ডিতদের বক্তব্য কি এক? তারা কি আল্লাহ -রসূল, তাওহীদ-আখেরাত ইত্যাদিকে অস্বীকার করে আন্দোলন পরিচালনায় লিপ্ত ছিলেন, না এগুলিকে যুক্তির নিরিখে সুপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালাচ্ছিলেন? (‘কিয়ের মাঝে কি গো, আর পান্থা ভাতে ঘি)।’ ইসলাম ধর্মের এক পক্ষের লোক যখন অন্য পক্ষের উপর নির্যাতন করে, আর বিবর্তনবাদী নাস্তিকদের দরদ যখন কোন এক পক্ষের অনুকূলে দেখায়, তখন অজ্ঞদের স্বল্পজ্ঞান বিহব্বল হয়ে পড়ে!
সালমান রুশদি, তসলিমা নাসরীন, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ -এই মহাত্মারা ইসলাম ও মুসলামদের প্রতি কত সৌহার্দ ও সহনশীলতা দেখালো তারপরও এই মুসলমান জাতি তাদের প্রতি কি দূর্ব্যবহারই না করলো! অকৃতজ্ঞ। তবে, ‘নো চিন্তা ডু স্ফূর্তি’। নিশ্চয় একদিন আসবে যখন তারা তাদেরকে বেগম রুকিয়া ও কাজী নজরুলের মত জাতীর মর্যাদায় বসাবে। তা তো সুনিশ্চিত। তবে রফিক সাহেব, আপনি কি কখনো পাবনায় ছিলেন? এত দূরদর্শিতা কোথা থেকে এল?
থাক, সব কথা যা’ই হোক, হাদিসের চ্যালেঞ্জটা কিন্তু টিকে গেল। ‘চীনে’ যাওয়ার এবারত সম্বলিত বাক্য কোন সহিহ রেফারেন্সে দেখেছি বলে মনে হচ্ছে না। এখানে আপনার বিজয় আর মুরশেদ সাহেবের পরাজয় হয়েছে। এবারে একটু হাসেন ভাই, বিজয়ের হাসি। তবে একটু থামুন। চীনের উল্লেখ না থাকলেও অর্থগত সাদৃশ্যের অনেক সহিহ রয়েছে, যেমন, ‘যে ব্যক্তি শিক্ষা গ্রহণের জন্য পথে নামবে, আল্লাহ তার জন্য বেহেস্তের পথ সুগম করে দেবেন।‘ আবু হুরাইরা/মুসলিম/তিরমিজি।
Mr Monawwar Ahmed,a lot of thanks for this magnificent writing.I see the light of wisdom here.Unfortunately that is very rare.We talk about things that we don’t understand ourselves.I was away from this site for a long time.It appeared to me I was unable to post any further answer or question on this website,however rarional it was.I recently logged into one of my email accounts and found Mr Tanvy’s answer or attack.I keep getting posts to my email box but I was not allowed to answer back.How rational is this?It may be I could have access to this site today to read your article which has real gem of truth.Please write more.The world needs neither a super-rational animal nor a fanatic.
To the Moderator
Please could you move my above observation under the name-column of Mr. Al- Murshed. I meant to post it there but 2/3 times of mouse-movements brought it here as dependent.
This posting has been meant to go under the posting of Mr al –Murshed, but after an erroneous click of the mouse printed independently.
It prompts me to say a few words here, just as a way of expressing a stream of thoughts. What one needs to bare in mind is that the issue to prove or disprove the existence of God is not within the grasp of rationality. It is not possible to extend truly a rational conversation over ‘things’ which lie beyond our fives sensory knowledge. In Islam this difficult realm is called al-ghaibiyyat, the world of ‘unseen’, included in it are God, angels, heavens, Hells, spirits and the entire caboodle of things that cannot be seen or discussed. Hence, the appeal to ‘belief’. If one can believe, fine. If one cannot, that’s fine too, there is no real argument. There is no point quoting any Quranic verses because the Quran is not yet an authority to the objecting party. The relevance of any religious scripture to anyone is only after they had ‘believed’ in it, not before. To my understanding, people do not accept a religion because they found the ‘truth’ per se in a scripture, (for the thing that we call truth is debatable), but there are many other psycho-social elements that lie behind this. At best when someone says he found the truth in a particular religion all it appears to mean is that certain enquires sit well with his temperament of mind and convinces him of the features as being the truths in his ‘interpretation’. The outstanding question will be, how did he know what he had known was actually the truth? Truth is a difficult concept and truth cannot be truly understood. Religions only evoke truth, to be specific, Islam asks its adherents to ‘believe in’ certain things as true without demanding knowledge of them in full. The Islamic creed states, ‘I believe in Allah as He is’, that is a way to avoid an indulgence into something which cannot be known. This applies to all ghaibiyyat. Beliefs in certain things as the true have mostly utilitarian purposes –spirituality and religious life, not scientific truth and argumentation. As said, truth per se is an extremely complex and difficult issue. Consider what a person can know about water. To child at a primary school level, it means one thing. When moved on to physics at high school, it changes or improves upon (going into molecular level). After a Masters the knowledge changes drastically. When a PhD, say, in nuclear science it goes far deeper into the molecular level with string theory, and light theory (especially as in quantum physics) etc. it becomes massive. If one were to live another 80 years after PhD, and after the years teaching at unis, one could still improve and know more. Thus to understand truth per se, perhaps it would require an infinity, the more you live and the more you study, the more you tend know about reality. When the nature of truth in science is this complex, what can one expect from religious texts? Consider the story of Adam. Is true or false? It is true but not scientific, it is rather a mythical truth. Myth is not something ‘false’ but a way of addressing the incomprehensible, the truth that is larger than life. Art, literature and religion had addressed it in their own ways. Mythical truth can sit comfortably with other forms of truth. Even evolutionism can sit pretty well with Islam without wrestle, but I find it difficult to understand why some Muslims so vehemently argue against it.
Anyway, back to rationality and the Quran. The Quran is ‘a guide for the believers’ (muttaqun- those who seek a godly path of living a spiritual life); its role begins only after accepting Islam; it’s more like a communist party’s monthly magazine speaking to its own readership, telling them what they want to hear. The Quranic texts inspired a people during their battle times, during conflicting situations within themselves; about legal issues, about their social problems and above all it was to guide their spiritual enquiries. It is important to know which verse is contextual to what. Concerning truth, it rather evokes it, but not truth per se, but truth in faith format, for it is not possible to understand how God knows about a thing, therefore the appeal lies more on ‘belief’ than knowledge. When certain information referring to reality and on ghaibiyyat appear in the Quran, they are mostly within the cultural ambient of the time for the people to expand their spiritual horizon and to inform them of certain values conducive to live a peaceful life. Consider the difficulty: if one cannot fully understand the fixed truth, once for all, about a single molecule, how can he understand the truth per se about the entire reality and God in their totality? If a seven years old had asked a nuclear physicist what water was, is he likely to give a molecular explanation or a simple explanation to suite the child? Muhammad (pbuh) did not claim to be a scientist and in this persuasion he did not bring a scientific text so that people could build NANA centres all around the world. He claimed to be a prophet and preached a message of spirituality. His text was rich in metaphoricity, allegory, mythical understanding of the past people how they made sense of world around them: all of which informed them of how best to conduct themselves in this world and live a good life. The reading of his text is complex, it requires a good knowledge of how the Semites perceived of religion and spirituality, what myths and allegories represented their spiritual understanding of life, how the social relationship had been framed within these perimeters. A text has to be interrogated within its own discursive system and domain, if one wanted a fruitful discussion.
I am aware that most debates in here in this site is on the binary opposites that a group is working toward dismantling religions; they are not in the mood to listen to their enemies whose houses they are here to break, while a few trying to pick a rational argument in favour of religion. However, to the Muslims readers my point would be don’t feel uneasy by seeing rational attacks on Islam; don’t try to defend by presenting Islam as a religion based on rationality through and through –for no religion is so. They should feel confident that when something is not based totally on rationality in the first place, it cannot be broken down with rationality –for the standing of the two is on incompatible grounds. Faith and spirituality are a kind of knowledge in their own sphere; they are not comparable to many other kind of knowledge. This is not to deny that there is any scope for science and rationality in Islam, but the point suggested here is not jump onto the rational wagon. There is no need for it. There is no need to be apologetic either. They should believe in what they believe and let the others believe in what they want to believe. But the fact is there is no escape from ‘belief’ in the eventuality. The Muslims readers must realise that this kind of attack is good for their religion in the longer run. Remember the dictum, no publicity is bad publicity.’ Islam wouldn’t have been known today had it not been for the Quraish to attack the newly converts in Makkah and drive them out of the town. This site is in fact generating a lot ‘discussions around Islam,’ and no Muslim is paying for it. Many people will be ‘disorientated’ after reading some of the articles here, but they will gradually move onto reading more about Islam with these questions will still remain in the back of their mind. They will also read into other sites. And the inquisitive mind will continue to read until a time, may be over years, when they will come to realise what religion and spirituality were all about and how remote these discussions were from them. At that time, if they reject a religion, they will reject it for the right reason and if they accept it, they will also accept it for the right reason. (Reason is used here as informed choice).
Just one more final statement on rationality. Our daily life is based on many assumptions and presumptions. If we are to stride every step of the way with rational considerations, our life would be impossible. We are both rationale and irrational animals. Look at our own life. Have we made every decision on rational basis? Have we been consistent throughout our lives? Are our families rationally consistent in their action and behaviours? What about our local government? Is it rationally consistent with all its polities and procedure and the way it conducts the businesses? Does it do what it tells us to do? What about the central government or for that matter the entire world? Consider our unconscious which plays a huge role into our life and it is largely not rational. Our dreams erode the demarcation between the rational and irrational –time and space are often cut across; (you can enter a house [in dream] in Bangladesh and can come out in USA by its back door). Dream influences our life and action too. Ask the psychiatrists. Now, come to religion. Its main concern is spirituality –to live a good, fulfilled life, not about how things are as ‘God knows’ them to be, but about how we can grapple with the complex issues of reality. Religion has to seen for no other purpose than what it is –religion. In an anthropological approach we will be seen as social and ‘religious’ animals. I put inverted commas around religion with the intention that the term region is a hugely enriched phenomenon lending to different interpretations. Even ‘football’ can be extended to its scope and the modern sociological approaches often do so.
Our great poets and philosophers have addressed the rational and irrational not as a dichotomy but often recognising the existential disposition as part of us and tapping in spiritual understanding from the irrational. This topic can be a theme for book, but in a few sentences let’s consider the statement of the ‘dramatic I’ in following stanza of Bidrohi from Nazrul. আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ/আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ। In this the persona of the poem Bidrohi expresses his knowledge about himself not from the position of sanity (rational) but from its diametrically opposite platform –insanity (irrational). Now as insane, he understood himself. Consider the journey of the persona from his first utterance of ‘বল বীর’ and the movement through the end; do we see rationality to progress through and through in the expressions? Of course not. Rationality is only one element in our many faculties and how mad the aspiration could be to switch off all other ways of exploring the complexities and richness of our existence! The poet philosopher Lalon seeking spirituality through poetry and music strikingly hits the cord in such expression as সে আর লালন এক সাথে রয়, তবু লক্ষ যোজন ফাঁকরে/আমি একদিনও না দেখিলাম তারে। How profoundly the persona had expressed his spiritual realisation about the One who is beyond his rational enquiry! Nazrul and Tagore’s poems, as well as their songs, contemplate on God in an enriched devotional manner. Until I studied classical music to a humble small limit, I couldn’t truly appreciate some lyrics of Tagore and some Islamic songs (Gajals) of Nazrul. But I noticed that as soon as the lyrics are brought into action within the format of their appropriate ragas and talas accompanying with instruments, Devi Sharashoti (used in figurative) seems to jump on her feet and there appears a new dimension of meaning. There are many things that we cannot rationalise, but they are there to experience. Certain scriptural texts which demand recital such as the Quran convey different layers of meaning at the action of recital. The meaning of word Quran is simply ‘recital’. Our existence as human beings doesn’t seem to be totally around the material components –there are but more. Jalauddin Rumi, a Persian poet philosopher, writes in his Mathnawi, ‘rationality will show you the way as your Murshid, but when the inner realisation will hit its mark, it (rationality, the murshid) will take a back seat like a Shaghrid (student) following.’ This is again similar to Nazrul’s crossing the boundary of rational realisation. The discourse of madness (the irrational) and the contribution to it by Michael Foucault, a post-modernist philosopher (who suggests that there is no emancipation from human conditions/bondages and that truly there is no freedom; thus for example, secularism or feminism and all other isms are only other forms of bondages. For Foucault to be free would be ‘not to be’ a rational being. His work contains the Nietzschean idea that there is more to the irrational [madness] than scientific categorisation) is to be mentioned as a way to appreciate the irrational side of the human animal. Religion, more at the side with spirituality than politics, addresses our unconscious, our irrational thoughts, our dreams, our wakeful life. It is better not to seek guidance in the Quran on how to get to Mars and not to seek spiritual guidance from mathematical text book –perhaps that was the point in my mind when I started to write this.
Now, Mr. al Murshed, you might be wondering why I posted this writing under your name. There is no ‘rational’ explanation except that the space under your name appeared suitable as a clip to hang this wring on, not be critical on you in any way. In case of any point going against any of your beliefs or views, please excuse me. I wrote it because it’s a ‘disease’ of thinking people, when an idea hits the head, they feel better once it’s out -that’s all.
I am going to have a cup of tea now. And gosh, I never thought this was going to be that long! As I was writing it, Hemanta Mukherjee’s voice played in the background singing from Tagore, song after song, until the last as I leave, “তুমি সন্ধ্যার মেঘ মালা, তুমি আমার সাধের সাধনা .. মম অসীম গগন বিহারী.. তুমি…”
বুদ্ধিমান,আলোকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ,আপনারা এধরনের আজে বাজে কথা না বলে প্রমাণ করে দিন না যে,আল্লাহ(স্রষ্টা) নেই।আর পারলে কোরানের মতো আরেক খান গ্রন্থ রচনা করে দেখান না যে কোরান একজন মানুষের রচনা।এ চ্যালেঞ্জ তো ১৪০০ বছর ধরেই রয়েছে।
@Al Murshed,
মানে মানষ এত দিন যে বিজ্ঞান, সাহিত্য দর্শন রচনা করলো-তার কোন কিছুই কোরানের সমকক্ষ নয়? এরকম মাথা যার ফর্সা হয়ে গেছে-তার সাথে তর্ক করাও বৃথা। ধর্মীয় ব্যাক্তি মানেই আমার কাছে মানসিক রুগী-চিকিৎসার রকমফের দরকার।
@Biplab Pal,
মোরশেদ সাহেবের ৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৯-এর কমেন্টের প্রতিকূলে আপনি কি বুঝে কি উত্তরটা দিলেন? মানসিক রুগী কে, সে না আপনি? ‘কোরানের মতো আরেক খান গ্রন্থ রচনা করে দেখান’ -তার এ কথাটির মধ্যে দুনিয়ার যাবতীয় ধরনের সাহিত্যের অর্থ কি নিহিত ছিল -যে কারণে আপনার পান্ডিত্বের মহাসাগরে ঢেউয়ের উত্তাল ঘটলো?
@Al Murshed,
করব। তার আগে আপনি প্রমাণ করুন না চার পাখা ওয়ালা পঙ্খিরাজ ঘোড়া, মামদো ভুতের ছানা, খোক্কসের বাচ্চা, কালী, থর, জিউস, কিংবা স্পেগেটি মন্সটার নেই!
আপনি যে কারণে মনেকরেন উপরের লিস্টের আজীব চীজগুলা নেই, আমিও ঠিক সেকারনেই ওগুলা অস্বীকার করি। আপনি যদি বুঝেন আপনি কেন কালী, থর বা জিউসকে মানেন না, তখন আপনি বুঝবেন যে আমি কেন আপনার আল্লাহকে অবিশ্বাস করি।
@Al Murshed,
আপনার চ্যালেঞ্জের কথা দেখলাম, কোরআনের মত আরেকটি গ্রন্থ লিখা ফেলার চ্যালেঞ্জ। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী। এখন আমাকে বলেন- কি করতে হবে? কোরআনের মত গ্রন্থ হতে গেলে কি কি থাকতে হবে বা কোনটিকে কোরআনের মত গ্রন্থ বলবেন?
সামহোয়ারইনেও এইরকম চ্যালেঞ্জ দুদিন পর পেতে পেতে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম- সেটি আবার এখানে আপনার উদ্দেশ্যে কপি করছি:
কোরআনের চ্যালেঞ্জঃ যেখানে সব্বাই ফেল মারছে!!!
….এই তো সেদিন সন্ধাবাতি আমার এক পোস্টে আমাকে বললেন,
“এক কাজ করুন, কুরআনের চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ফেলুন… কুরআনের মত শক্তিশালী একটা বই লিখে ফেলুন… যেই বই পড়ে ১৪০০ বছর পরে পৃথিবীর এক চতুর্থত মানুষ সেই বইকে মাথায় তুলে রাখবে… আর তার মধ্যে বড় একটা অংশ সেই বই ঠাঠা মুখস্ত করে ফেলবে”।
আর, স্ক্রু লুজ আরেক পোস্টে বললেন,
“আল্লাহ নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছেন – পারলে কোরআনের মত কয়েকটা আয়াত লিখো। আর কোরআনকে রক্ষা করা, কোরআনের যাতে শব্দ, দাড়ি কমা, বিন্দু কোন কিছু বাদ দিয়ে বা প্রবেশ করিয়ে কোরআনকে যাতে বিকৃত করা না যেতে পারে সে দায়িত্বও তিনি নিজে নিয়েছেন।
…..
মুহাম্মদ স. এর সময়ের গ্রেট গ্রেট কবিরা ফেল করেছে”।
এর আগেও কেউ কেউ আমাকে এ ধরণের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, কিন্তু এখন সেসব পোস্টের কথা মনে নেই।
তো আমি মানুষটা চ্যালেঞ্জ নিতে সবসময়ই পছন্দ করি, কিন্তু সমস্যা হলো গিয়ে, এই চ্যালেঞ্জের ধরণটি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। আমার পোস্টটিতে সন্ধাবাতিকে বুঝিয়ে বলার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ করলাম, কিন্তু তিনি সে বিষয়ে সম্ভবত তার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে উৎসাহী নন।
আসলে আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না কি করতে হবে?
যেমন সন্ধাবাতি বলেছেন, কোরআনের মত শক্তিশালী বই লিখে ফেলতে। এখন কোরআনকে একটি শক্তিশালী বই হিসাবে মানলে, এরকম শক্তিশালী বই তো এই দুনিয়ায় কম নেই। প্রাচীণ আমল থেকে এখন পর্যন্ত এমন বহু শক্তিশালী বই দুনিয়ার মানুষ লিখে গিয়েছে। সেই ওডিসি, ইলিয়াড, এখানকার রামায়ন, মহাভারত, এরিস্টটল-প্লেটো-সক্রেটিসের শক্তিশালী বইয়ের কথাও আমরা জানি, রুশো-ভলতেয়ারের শক্তিশালী বই, ডারউইনের বই, বিজ্ঞানের বই, এনসাইক্লৈডিয়া এসব অসংখ্য শক্তিশালী বই তো আছে। এখন তার কোন একটি বইয়ের মত শক্তিশালী বই লেখা মানে কি এটা বুঝাটা একটু কঠিন। ১৪০০ বছর আগের বই মানুষ মাথায় তুলে রাখা দিয়ে কি বুঝাতে চাইলেন বুঝলাম না। এখনও মহাভারত, রামায়নকেও অনেকে মাথায় তুলে রাখেন, সেগুলো আরো প্রাচীণ। আমরা আমাদের প্রাচীণ সাহিত্য চর্যাচর্যবিনিশ্চয়কেও মাথায় তুলে রাখতে চাই। জিনিসটা ক্লিয়ার না।
আবার, স্ক্রুলুজ যে কথাটা বললেন, আল্লাহ নাকি স্বয়ং দায়িত্ব নিয়েছেন যাতে কেউ শব্দ, দাড়ি কমা, বিন্দু কোন কিছু বাদ দিয়ে বা প্রবেশ করিয়ে কোরআনকে বিকৃত করতে না পারে। এটিও ঠিক বুঝতে পারছি না। এই চ্যালেঞ্জ মানে কি কোরআনকে কেউ বিকৃত করতে পারবে এটা যদি মিন করেন, তবে সেটা তো নেয়া যেতেই পারে, কোরআনের যেকোন আয়াতে শব্দ, দাড়ি, কমা উল্টা পাল্টা করে দিলেই তো বিকৃত করা হয়ে গেল, এবং এমন বিকৃত তো অহরহই হয় (মাদ্রাসায় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোরআনের আয়াত আরবীতে লেখতে গিয়ে ভুলে হয়ে যেতে পারে, বা মুদ্রণের সময় মুদ্রণ প্রমাদের কারণে)। আবার যদি বলেন, ঐটাতো বিকৃত কোরআন হলো, আসল কোরআনের মত গ্রন্থ হলো না! তবে তো বলা যায়, আল্লাহ বা ওনার মত আর কেউ কোন দায়িত্ব গ্রহণ না করার পরেও তো মার্চেন্ট অব ভেনিস, ইউলিসিস, মেঘনাদ বধ কাব্য, বা ধরুন নজরুলের “আমি হব সকাল বেলার পাখি” এই কবিতাটা কেউ বিকৃত করার ক্ষমতা রাখে না। কোন বাচ্চা ছেলেও যদি ভুলে ভুলে তার পরীক্ষার খাতায় ঐ কবিতা লিখতে গিয়ে এমনকি দাঁড়ি কমাও ভুল করে, বিকৃতির দায়ে নাম্বার কাটা পায়।
স্ক্রু লুজের পোস্টে কোরআনের কিছু সুরার (নাস, ফালাক, ফীল ইত্যাদি)কাব্যগুণের প্রশংসা করায় তিনি গদগদ হয়ে ঘোষণা করলেন, এই কোরআনের কাছে না-কি মুহাম্মদ স. এর সময়ের গ্রেট গ্রেট কবিরা ফেল করেছে!! এটাও ঠিক পরিষ্কার নয়। প্রাচীণ ছন্দের যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকার কথা সে সমস্ত বৈশিষ্ট্যই আছে এই গ্রন্থের কিছু কবিতায়। কিন্তু আধুনিক যুগে ছন্দের যত বৈচিত্র তার কানাকুড়িও কি এটাতে পাওয়া যায়? অবশ্য সেটা আশাও করিনা। যেমন চর্যাপদের পদ্যগুলোতে বা রামায়নের শ্লোকগুলোতে পয়ার বা চতুর্দশপদী আশা করাটা হাস্যকর।
কিন্তু, আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণের কি হবে??
কেউ কি একটু সাহায্য করবেন….
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
ঠিক বলেছেন। এই চ্যালেঞ্জের মাথামুন্ডু আমি কিছু বুঝি না। আল মুর্শেদরে বলেন না রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি কিংবা সেক্সপিয়রের হ্যামলেটের মত ‘গ্রন্থ’ লিখতে। উনি না পারলে কি সেগুলো ঐশ্বরিক গ্রন্থ হয়ে যাবে?
দুই। কোরানের মত গ্রন্থ ধরেন আমি লিখলাম। লিখনের পর ক্যামনে বোঝা যাবে চ্যালেঞ্জ ফুলফিল করছে কিনা? ক্যামনে বোঝা যাবে উহা কোরাণের চেয়ে উৎকৃষ্ট হইয়াছে নাকি নিকৃষ্ট? Al Murshed রে জিগাইলে কইব, কোরানের মত হয় নাই। আপনেরে জিগাইলে হয়ত কইবেন – কোরানের চেয়ে ম্যালা ভাল হইছে। এইটা থেকেইকা মুক্তি পাইবেন ক্যামনে?
তিন। কোরানের একডা চ্যালেঞ্জ আছে ‘সুরা লাইক ইট’ –
কইছে সুরা প্রডিউস কইরা দেখাইতে, আবার তারপরই আল্লাহ ভয় দেখাইছে এই বইলা –
But if ye cannot – and of a surety ye cannot – then fear the Fire whose fuel is men and stones,- which is prepared for those who reject Faith. — Qur’an 2.24 (trans. A. Yusuf Ali)
সুরা প্রডিউসের চ্যালেঞ্জ দিয়াই যখন য়াবার কেউ কয় – surety ye cannot তখন তো আল মুর্শেদের মত কোন মুস্লিম বাদায় আর ট্রাই দিব না। fear the Fire এর পর এই চ্যালেঞ্জের দশ হাত দূরে থাকব। আর অবিশ্বাসীরা ট্রাই করলে কইব – উহা কোরানের মত হয় নাই। কাজেই এই চ্যালেঞ্জ আপনার আর্টিকেলের চেয়েও সার্কুলার লজিকে বোঝাই।
এখন আল মুর্শেদের জন্য একখান খবর আছে। এই খ্রীস্টান বান্দায় কোরানের সুরার লাহান সুরা অনেকগুলান তৈরি কইরা দেখাইছে। এই সাইটে গেলেই দেখবেন-
http://suralikeit.com/
এখন মুর্শেদের সাহেবের কাছে প্রশ্ন চ্যালাঞ্জ কি তাহলে ফুলফিল হল? আমার মনে হয় উত্তরাটা জানা …surety ye cannot !
আর তারপর fear the Fire whose fuel is men and stones,- which is prepared for those who reject Faith!
@Avijit,
অভিজিত দা,
মন চায় বাংলাদেশের মাদ্রাসায় ফিরে যাই। সুরাগুলো মুখস্থ উচ্চস্বরে আবৃতি করে দেখি তারা কি বুঝে আর কি করে। এতো সুন্দর কাব্যিক ভাষা, ছন্দ-বিন্যাস, আরবীতে কোরানতো ছাই, এর আগে কোনদিন কোথাও দেখি নাই। প্লীজ-প্লীজ সুরাগুলোর বাংলা অথবা ইংরেজী অনুবাদ সংগ্রহ করে দিন, আকাশে যতো তারা আছে ততবার আপনাকে থ্যাঙ্ক ইউ দেবো। সেই সাথে অনুরুধ করবো ‘বোকার স্বর্গ’ লেখাটি এক এক করে ফ্রন্ট পেইজে প্রকাশ করে দিন যাতে ওরা কোরান চেনার আগে মুহাম্মদকে চিনতে পারে।
আকাশ-
@Avijit,
ভাইয়া ব্যপারটা খুব মজার। অনেকটা অ্যারিস্টটলের সময়ের মত। তখন অ্যারিস্টটল যা বলত তাই সবাই এক বাক্যে মেনে নিত। তাদের কাছে আরিস্টটল ছিল অলংঘণীয়। তাই ডেমক্রীটাসের মত বিজ্ঞানীরাও পাত্তা পায়নি। তারাও মনে করতযে আরিস্টটলের চেয়ে বেশি কেও জানেনা।আল মুরশেদ ভাইয়ের অবস্থাও একই। উনাদের চোখ কখনো খুলবেনা। উনারা অন্ধকারের নিভৃতচারী,তাই জোর করে আলো হতে দূরে থাকেন। কি আর করা! আমরাতো মাদ্রাসার হুজুর না যে তাকে পিটায়ে পিটায়ে মুখস্ত বিদ্যা শেখাব। তিনি বুঝলে বুঝবেন, না বুঝলে নাই।
উনাদের জন্যই ব্রুনোকে পুড়তে হয়,সক্রেতিসকে স্বেচ্ছায় বিষ খেতে হয়।
যারা আস্তিক তারা কোন সমস্যা করে না,যারা গোঁড়া তারাও এত বেশি সমস্যা করে না।বরং যারা উনার মত অন্ধ,তাদের জন্যই সক্রেটিসদের মরতে হয়।
@Al Murshed,
ভাইরে, পাকিস্তানের জামাত-ই-ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা মওদূদীতো গোটা কোরানের অর্থই পাল্টাই ফেলাইছে। জঙ্গিরা হেই উলটা পালটা অর্থ পইড়া অটো হইয়া যাইতেছে, সেইটাতো চোখের সামনেই দেখা। তাইলে আপনার আল্লা কি করছিলো তখন? নাকি মওদূদীই ঠিক,বাকি সবাই ভুল? আর প্রিন্টিং মিসটেক যে একদম হয় না সেই গ্যারান্টি আপনে কই পাইলেন? আর আপনেরা কোরানের বাক্যের যেসব বিশিষ্ট বিশিষ্ট অর্থ বাইর করেন আপনে চাইলে আমি সেই গুলান আমি হ্যারি পটারের বই থিকা বাইরের করি দিতে পারমু। আর আপনারে কই, আপনে পারলে একখান হ্যারি পটারের মত বই লিখা দেনতো বা একখান মেঘনাদবধ কাব্যর মত কাব্য লিখাদেন। পারবেন? পারলেও ওইটাযে আমার ডিমান্ড পুরাইতে পারবো তার গ্যারান্টি কি?
@tanvy,জনাব ধর্মের কথা বললেই জামাতী হতে হবে এ ধারণা এলো কোথা থেকে?জামাতীদের কি ইসলাম-এর সোল এজেন্সী দিয়ে দিয়েছেন না কি?মওদুদীর বই পড়িনি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ছিলো(এখনো)। জনাব আপনার লেখা হতে মনে হয় আপনি কোরান,হ্যারি পটার, মেঘনাদবধ ইত্যাদি কোনোটি-ই পড়েন নি অথবা পড়লেও বোঝেন নি।তাহলে পার্থক্যটি অবশ্য-ই বুঝতেন।আর ব্যঙ্গ করার জন্য বিকৃত আঞ্চলিক ব্যবহার না করে প্রমিত বাংলা ব্যবহার করুন।এ ভাষার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে জ়নাব।
@tanvy,
পন্ডিত ভাই তানভী সাহেব, মনে হচ্ছে আপনি কোরানের উপর কোন এক মহান বিশেষজ্ঞ। তো, মওদুদী মিয়া কোথায় কোথায় ভুল করলো তার ২/৪ টা উদাহরণ ও এ ভুলগুলির শুদ্ধ ভার্সনটা কি হয় তা আমাদেরকে একটু দেখিয়ে দিলেই খুব ভালো হয় দেবেক। তাতে আমাদের মত অজ্ঞরা খানিকটা শুধরাতে পারবে। আর ‘হেরি পর্টার’ থেকে আধ্যাত্মিক জীবন নির্দেশণার কিছু ব্যাখ্যা দিলে আরও খুশী হবো।
@tanvy,
তানভী সাহেব, প্রথমে আপনার জ্ঞান ও বুদ্ধির প্রশংসা করি। কারণ আপনারা আমাদেরকে, তথা গোটা বিশ্ববাসীকে, অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাবার কত আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আমরা যারা ভগবানে বিশ্বাস করতাম, এখন দেখছি ভগবান ছাড়াই যখন আপনাদের মত লোকের জ্ঞান ভান্ডারের বিপুল ঐশ্যর্যে জগত প্লাবিত হচ্ছে তখন কীইবা দরকার এই ভগবান-টগবানদের। যাকগে, ভালো কথা বেশী বললে অজ্ঞরা মনে করবে তোশামদি করছি। এবারে আসি আসল দুটি কথায়, তারপর প্রশ্ন, তারপর আরও প্রশ্ন। প্রথমতঃ ‘অ্যারিস্টটল যা বলত তাই সবাই এক বাক্যে মেনে নিত।’ একথাটি অন্ধকারের নিভৃতচারীদের কাছে একটু বেমানান লাগছে। বেচারাদের অজ্ঞতায় একথা নিহিত যে ‘সবাই’ অ্যারিস্টটলকে চিনতও না এবং জানতও না, মানা তো দূরের কথা। কারণ, সে যুগে শিক্ষিত এলিটদের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত নগন্য, তাছাড়া রাজকীয় পক্ষ নিজেদের স্বার্থে নির্বাচিত কিছু শিক্ষিতজনের কথা চালিয়ে নিলেও ‘সবাই’ তা মেনে নিত -এমনটি মানব সমাজে কোন দিন হয়েছে বলে এই আধাঁরবাসীদের অজ্ঞতায় নেই। বরং অ্যারিস্টটলের যুগ থেকে শুরু করে এই সেদিনের হবস, রুশোঁ, মিলস, রাসেল, মার্ক এবং আরও অসংখ্যজন তার অনেক চিন্তার সমালোচনা করেছেন। ‘সবাই তার কথা এক বাক্যে মেনে নিত’ এই সত্যটি, আমাদের যুগটা বাদ দিয়ে বরং, তার যুগের কিছু রেফারেন্স দিয়ে আমাদের আধাঁর-গৃহে খানিকটা আলোর সঞ্চারণ করলে বাধিত হব। দ্বিতীয়তঃ ‘আল মুরশেদ ভাইয়ের অবস্থাও একই। উনাদের চোখ কখনো খুলবেনা। উনারা অন্ধকারের নিভৃতচারী, তাই জোর করে আলো হতে দূরে থাকেন।’ আধাঁরে নিভৃতচারীদের কাছে এই উদাহরণটা বুঝতে একটু দেরী হচ্ছে। আল মুরশেদ আর অ্যারিস্টটলকে কি একই নিক্তিতে তুলনা করা হল? ভুল হোক, শুদ্ধ হোক অ্যারিস্টটল তো তার যুগেরই একজন ‘যুক্তিবাদী’ ছিলেন। রেনেসাঁ আন্দোলনের পর থেকে যুক্তিবাদ নতুন এক ধারা পরিগ্রহ করলেও এ সংস্কৃতি-ঝরনা সক্রেটিস পূর্ব যুগ থেকে উৎসারিত হয়ে আসছে। এবারে প্রশ্ন হচ্ছে এই ঐতিহাসিক ধারা থেকে কোন মূহর্ত্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে আপনারা এত বিপুল আলোয়ে আলোকিত হলেন? আরও কিছু প্রশ্ন। আপনারা এত আলোকিত কেন এবং অন্ধকারের নিভৃতচারীরা এত বেওকুব কেন? সেকন্ডারী এডুকেইশন-প্রাপ্ত থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বের লোকজন বিবর্তনবাদ সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানের অধিকারী না হলেও অজ্ঞ নহেন। কিন্তু তারা কেন আপনাদের মত আলোকিত হতে ব্যর্থ? কেন আপনারা এত জ্ঞান, এত আলো, এত প্রজ্ঞা, এত সুদূর প্রসারী দৃষ্টির অধিকারী? কেনই বা যুগ যুগ ধরে এমনটা হয় যে একদল লোক সবকিছু বুঝে ফেলে অন্য দলের উপর ‘শিক্ষকতা’ করে? আমরা মাজোরিটিরা কেন যুগে যুগে আসা সর্বজ্ঞদের আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়? কেন তাদের অবজ্ঞ-দৃষ্টি আমাদের উপর কথা ও ইঙ্গিতে নিপতিত হয়? এখন তো আমরা ভগবানও হারালাম; না হয় বলতাম, ‘ভগবান, মুকত-মনার সাহেবরা জ্ঞানে-গুণে কেন এত উর্বর, আর কেন আমাদের মস্তিস্ক এত নিরস?’ বিবর্তন-টিবর্তন, বিজ্ঞান-টিজ্ঞানে না গিয়ে একথা কি বুঝিয়ে বলা সম্ভব যে কেন আপনারা এত ‘বুঝের’ অধিকারী, আর কেন আমরা ‘অন্ধকারের নিভৃতচারী।’ আমাদের ব্লাক-হোলে যেহেতু আপনাদের আলো ঢুকে না, এখন আমরা কি করবো? পুরাকালের ভগবানরা যেমন কিছু লোককে নিজেদের আপন মহিমায় নির্বাচন করে নিতেন, বিবর্তন-প্রক্রিয়াও কি সেভাবে আপনাদেরকে নির্বাচন করে নিল? (হায়রে মদ, তুমি কত রঙীন বোতলে ঢুকো!)
@Al Murshed, ভাই আপনি হিন্দুদের ‘বেদ’ এর মত কিংবা খ্রিষ্টানদের ‘বাইবেল’ এর মত একটা গ্রন্থ লিখে প্রমাণ করে দিন ওগুলি মিথ্যে। পারবেন ?
প্রমান কী ? প্রমান নাই । বিশ্বাস করা। বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে। রুপকথার গল্পের মত !!!
আস্তিকদের পক্ষেই এই লেখা স্বাভাবিক ভাবে নেয়া সম্ভব ।
আসাধারণ, যার মাথায় কিছুটা সুপ্ত বুদ্ধি আছে তারা এটার মর্ম বুঝলেই লেখার সার্থকতা ।
@সালাহ্উদ্দিন, আস্তিকদের কাছে এই লেখাটা একটি গার্বেজ। বলবে, লেখ্টা কিছু হল নাকি?
মুক্ত-মনার হগোল পাডকের কাছে আমার প্রশ্ন আইচ্ছা কুইনচেন দেহি ডিম আগে না মুরগী আগে?
@suman, হাঁস-মুরগীর কথা তো জানি না সুমন ভাই,তবে এইটা মোটা-মুটি ভাবে নিশ্চিত যে ডিম আগে আসছে।কারন, ওনাদের কাছ থেকে আমরা জানি যে আদমের(আঃ) এর পরে তার হাড্ডি দিয়া হাওয়া(আঃ) রে বানানো হয়েছে।তাইলে ডিম আগে আইছে,যদি ঠিক(?!?) না হয় তয় আমনে আর আমি নাই … কি কন ??
@আমি নাই !,
জবাব আমারও জানা নেই ভাই! প্রশ্নটা করেছিলাম এটা বোঝানোর জন্যে যে উনাদের যুক্তিটা আসলে অনেকটা ডিম মুরগীর মত গোলমেলে। যেটা উনারা খোলা চোখেখ দেখতে পাননা, কিম্বা ইচ্ছে করেই চোখ বন্ধ করে থাকেন। তবে আশার কথা, আপনাদের মত লোকেরাতো আছেন তাদের চোখ টাইন্যা খুইল্যা দেওনের লিগা। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
@sumanভাই, আপনার কথাবার্তা আমি বুঝলাম না। আপনি কি দয়া করে আমার সাথে একটু কন্টাক করবেন? ০১৭১০১৮২৬২০, ০১৯২৩৫৫৬৫৬৯, [email protected]. phone is preferable. I rquiest humbly to Mr moderator to pass this message to Mr Suman.
@suman, আপনের মাথায় সিরিয়াস গন্ডগোল আছে এইটা অন্তত প্রমাণিত। ভাই জীববিজ্ঞান সম্পর্কে আপনি যে পুরাই বকলম এইটা একদম ক্লিয়ার। আর আপনার নিজের চোখ খোলা কিনা সেইটা নিয়াও আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে।’আমি নাই’ ভাই লিখলেন কি, আর আপনি বুঝলেন কি !?! পান্তাভাতে গাওয়া ঘি !!! ধর্ম খালি ডিম আর মূর্গী নিয়াই চিল্লাফাল্লা করে। কিন্তু নিজেও এটার কোন জবাব দিতে পারেনা। আমিও যদি একই প্রশ্ন করি যে সৃস্টি(ডিম)আগে না সৃস্টিকর্তা (মুরগী)আগে? তবে তার জবাব কি?সৃস্টিকর্তার আগে যদি সৃস্টবস্তুর অবস্থান হয়,তবে সৃস্টিকর্তার দরকার কি?
Yah! That’s good! Koran-Mohammad-Allah era tin jon prottyekei paroshparke poripurok vabe cover dische.
Allah sotto, karon koran a lekha ase. Koran sotto, karon ta Allah e bolsen. Ar, Allah-Koran uvoy e sotto karon, bishwa nobi-mohanobi ‘Al-amin’ Mohammad bolesen. Ar, Mohd j mohanobi tar proman ki? Keno, Koran e to Allah bar bar bole-e-sen. Wow! Ei na hole darshonic jukti!?!
বিপক্ষ যুক্তি শুনলাম। পক্ষের যুক্তিও শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে।
মানুষের অস্তিত্বের প্রমান কি?
কারন মানুষ বলে “আমি আছি-তাই আমি বলছি”
আল্লা/ঈশ্বরও দেখা যাচ্ছে ডেকার্টের সেই যুক্তিতেই কথা বলেন। নিজের অস্তিত্ব প্রমানের জন্যে মানুষের যুক্তিকে ধার করে আল্লাহ আরেকবার প্রমান করিলেন তিনি এবং তার সমস্ত ফর্মের ঈশ্বর বৃন্দ, মানুষ কতৃক রচিত-বিরোচিত-এবং প্রতিষ্ঠিত-যাতে একদল বুদ্ধিমান লোক অন্যদের পকেট মারতে পারে।
হ, এই না হইলে সার্কুলার লজিক।
@অভিজিৎ,
হুম! চক্রাকার যুক্তি!!
আচ্ছা, কোরান যে খাঁটি তা কিভাবে জানি আমরা?
সোজা। কারণ মহান আল্লাহ তালা বলেছেন যে।
আল্লাহ বাবাজী যে মিথ্যে বলছেন না বুঝবো কি করে?
খুব সহজেই। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেছেন যে।
মোহাম্মদ ব্যাটাই যে সত্যি বলছে তারই বা নিশ্চয়তা কি?
কেন? কোরান সাক্ষী দিয়েছে না।
বাহ! কোরানই যে সত্যি কথা বলছে সেটাই বা কে বললো?
কেন? জান না বুঝি? আল্লাহইতো বলেছেন যে কোরান সত্যি। 😆
এতো ত্যানা প্যাচাও ক্যান শুনি? 👿
@ফরিদ ভাইয়া, ওনেক আগের লেখা।অভিদার লেখাতে পড়লাম আপনার এই জবাব। অসাধারণ। আমি অনেকক্ষণ হাসছিলাম এটা পড়ে । (Y) :hahahee:
@অভিজিৎ, জাহেদ আহমেদ কে পেলাম না। তাই আপনাকে বলছি’ আপনাদের ম্যাগাজিন “যুক্তি” পড়লাম। কিছু ভুল পেলাম। জাহেদ আহমেদ এর লেখা ‘বিজ্ঞান, বিজ্ঞান মন্সকতা বনাম কোরানিক বিজ্ঞান’ এ কিছু বিভ্রান্তিকর জিনিস আছে। যেমন, তিনি (৭:৫৪) নিয়ে একটি ভুল কথা লিখেছেন।আমি তাকে (৭৯:২৭-৩০) আয়াতগুলাও ভালমত পড়তে বলব। এখানে মোটেও তিনি যা লিখেছেন তা নেই। এখানে লুক্মান হাকিম এর যা মনে হয়েছিল তার কথা বলা হয়েছে। জাহিদ আহমেদ এর সবচেয়ে বড় সমস্যা তিনি অঙ্ক পারেন না। তার কথা হুবহু তুলে দিছিঃ [“(৪১:৯) অনুযায়ী,আল্লাহ দুই দিনে পৃথিবী তৈরি করেছেন এবং সেখানে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে সময় লেগেছে আরও চার দিন (৪১:১০)। সবশেষে বেহেশত ও পৃথিবী সৃষ্টিতে মোট ব্যায়িত সময় হছে(২+৪+২) সর্বমোট ৮ দিন।”] এখানে বাড়তি ২ দিন কিভাবে আসছে?? তিনি কি নিজের যুক্তি তুলে ধরার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিছেন না?? বেশ কিছু ব্যাপারে ভুল ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তাই আমি আবার তাকে উপদেশ দিব আপনি নিজে ভালমত কুরআন পড়েন তারপর এই ব্যাপারে মন্তব্য করেন।
@নাফীয জাওাদ হুসসাইন,
আমি যুক্তির সম্পাদক নই, জাহেদ আহমেদও নই। এই পোস্টে এসে আমার দিকেই প্রশ্নবান নিক্ষেপের কারণ আমি বুঝলাম না। আর আমি কোরান হাদিসের আয়াত নিয়ে তর্ক করা বহুদিন ধরেই ছেড়ে দিয়েছি। এর পরেও আমাকে উদ্দেশ্য করে যখন বলেছেন, খুব অল্প করে হলেও জবাব দিতে উৎসাহী হলাম।
আপনার মন্তব্য দেখলাম। আপনি অভিযোগ করেছেন, জাহেদ নিজের যুক্তি তুলে ধরার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিছেন। আমি একমত নই। জাহেদ আহমদ কোন মিথ্যের আশ্রয় নেননি।
সুরা 41:9-12 এর আয়াতগুলো একে একে দেখুন-
(Quran-41:9): Is it that ye deny Him who created the earth in TWO Days ?
বাংলা – তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে …
(Quran- 41:10): He set on the (earth) Mountains standing firm high above it, and bestowed blessing on the earth, and measured therein all things to give them nourishment in due proportion, in FOUR DAYS…
বাংলা – তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে
(Quran-41:12): So He completed them (heavens) as seven firmaments in TWO days …
পরে তিনি দুই দিনে সপ্তাকাশ তৈরি করলেন …
এবারের উপরের আয়াতগুলো নিজেই হিসেব করুন। পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ২ দিনে + পর্বতমালা স্থাপন সহ আনুষঙ্গিক কাজ করেছেন ৪ দিনে + সপ্তাকাশ বানিয়েছেন ২ দিনে। তাহলে যোগ করলে কি দাঁড়ালো? ২ + ৪ + ২ = ৮ দিন যেটা 7:54, 10:3, 11:7 – প্রভৃতি আয়াতে দেয়া ৬ দিনের হিসেবের পরিপন্থি।
জাকির নায়েক সহ অনেক ইসলামিক এপোলোজিস্টেরা অবশ্য এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিভিন্নভাবে। যেমন জাকির বাড়ি বানানো আর ছাদ ঢালাইয়ের উপমা টেনে এনে বোঝাতে চেয়েছেন শেষ দুই দিন আসলে মাঝখানের চার দিনের ভেতরেরই অংশ। তাই ওটা আট দিন না, ছয় দিনই। এখন এই ব্যাখ্যা আপনি মানবেন কিনা আপনার ব্যাপার, আমার কাছে খুব একটা মনঃপুত হয়নি।
দেখুন, জাহেদ অংক পারেন না বলে আপনি অভিমত দিয়েছেন। বলেছেন, “জাহিদ আহমেদ এর সবচেয়ে বড় সমস্যা তিনি অঙ্ক পারেন না।” কোরান পড়ে কিন্তু আমার মনে হয়েছে জাহেদ নয়, আল্লাহই বরং অংক পারেন না। কোরানে অনেক জায়গায়ই গনিতের গোলমাল আছে। তার মধ্যে একটি হল – উত্তরাধিকার আইন। কোরআন সুরা:আয়াত ৪:১১-১২ এবং ৪:১৭৬ এ বর্ণিত উত্তরাধিকার আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে দেখা যায়, যখন একজন পুরষ ওয়রিশ হিসাবে তিন কন্যা , তাঁর বাবা, মা এবং স্ত্রী রেখে মারা যান, উক্ত ওয়রিশগন তাঁর সম্পত্তির অংশ পায় এই ভাবে – সম্পত্তির ২/৩ অংশ তিন কন্যা একত্রে, ১/৩ বাবা- মা [সুরা:আয়াত ৪:১১] এবং অংশ ১/৮ পাবেন স্ত্রী [সুরা:আয়াত ৪:১২]। মোট সম্পত্তি যদি ১ হয়, তবে ২/৩ + ১/৩ + ১/৮ যোগ করলে মোট সম্পত্তির মানে ১ এর চেয়ে বেশি হয়।
আরেকটি উদাহরন : যদি একজন পুরষ তাঁর মা, এক স্ত্রী এবং দুই বোন রেখে মারা যান, তবে মা পাবেন ১/৩ অংশ [৪:১১], ১/৪ অংশ পাবেন স্ত্রী [৪:১২] ২/৩ অংশ পাবেন দুই বোন [৪:১৭৬]। যোগ করলে ১৫/১২ হয় মোট সম্পত্তি যা আবারো ১ এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়।
এই অসঙ্গতি থেকে রেহাই পেতে এক ধরনের গোঁজামিল দিয়ে হযরত আলী এর সমাধান দিয়েছেন যা ‘ফরায়েজে আউল’ নামে পরিচিত। মজার ব্যাপার – ‘ঐশী গ্রন্থ’ কোরানের ভুল শেষ পর্যন্ত অধম মানুষকেই শুদ্ধ করতে হয় – অনেকটা খোদার উপর খোদকারির মতোই। আরজ আলী মাতুব্বর তার সত্যের সন্ধান গ্রন্থে এ নিয়ে বিষদ লিখেছেন। আমি আর বেশি আলোচনায় যাচ্ছি না।
যা হোক, আপনি মানুন আর নাই মানুন, সংশয়বাদীরা কিন্তু এ ধরণের অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি এবং পরস্পরবিরোধিতাই উল্লেখ করেছেন তাদের লেখায়। কিছু আছে এখানে, এখানে, কিংবা এখানে।
যা হোক, আপনার যদি আমার ব্যাখ্যা মনঃপুত না হয়, কিংবা আরো কিছু বলার থাকে তাহলে সরাসরি জাহেদ আহমদকে জানাতে পারেন, তার ব্লগ সাইট এখানে কিংবা যুক্তির সম্পাদককে। আমার লেখা নিয়ে আমাকে মন্তব্য করতে পারেন, তাদের কইফিয়ত না হয় আমার থেকে না শুনে না হয় তাদের থেকেই সরাসরি শুনুন। আপনার অভিমতের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি যদিও।
ভাল থাকুন।