আল মাহমুদের কবিতার চিত্রকল্পে নারীর সৌর্ন্দয ও যৌনতা
নুরুজ্জামান মানিক
আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি । কবিতার শব্দ ব্যবহারের স্বতঃবেদ্য স্বাভাবিকতা এবং বিশ্বাসের অনুকুলতা নির্মানে তিনি নিঃশংসয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় একজন অগ্রগামী কবি । প্রখ্যাত সময়ালোচক অধ্যাপক শিবনারায়ণ রায় বলেন -“সমকালীন যে দুজন বাঙালী কবির দুর্দান্ত মৌলিকতা এবং বহমানতা আমাকে বারবার আকৃষ্ট করেছে তাদের মধ্যে একজন হলেন বাংলাদেশের আল মাহমুদ , অন্যজন পশ্চিমবঙ্গের শক্তি চট্রোপাধ্যায় । “ অধ্যাপক ডঃ রাজীব হুমায়ুনের মতে , তিনি চল্লিশ দশক পরবর্তী কবিদের মধ্যে অন্যতম মৌলিক কবি , নতুন কবি । রাজীব হুমায়ুন ‘তাঁর মৌলিকত্ব এবং নতুনত্ব ‘ দেখেছেন আল মাহমুদের ‘গাঁয়ে ফেরার পিপাসায়‘ এবং ‘অনিবার্য শব্দ, উপমা , চিত্রকল্পে সে পিপাসার প্রকাশে ‘ । পঞ্চাশ দশকের প্রধান কবি আল মাহমুদ গ্রামে ফিরলেন এবং গ্রামের মেঠো পথ বেয়ে চলতে গিয়ে রচনা করলেন –
এখন কোথায় যাওয়া যায় ?
শহীদ এখন টেলিভিশনে । শামসুর রাহমান
সম্পাদকীয় হয়ে গেলেন । হাসানের বঙ্গজননীর নীলাম্বরী বোনা
আমার দ্বারা হবে না । জাফর ভাই ঘোড়ার গায়ে হাত বোলান ।
অতএব কবির কোথাও যাওয়া হলো না , কেননা :
আমার সমস্ত গন্তব্যে একটি তালা ঝুলছে । (আমার সমস্ত গন্তব্যে )
বিধায় , আল মাহমুদ লোকজ অভিমুখে যাত্রা করে লোকায়ত বাংলার চিরায়ত শব্দ সুষমাকে আধুনিক বাক্য বন্ধনে উপস্থাপন করলেন । তার নির্মিত পটভুমির কেন্দ্রবিন্দু মানবতা ই আত্মবিশ্বাস । জসীম উদ্দিন এবং জীবনানন্দ উভয়ের থেকে তিনি সম্পুর্ন ভিন্ন প্রকৃতির কবি । কারো প্রতিধবনি নয় , নির্মীয়মাণ স্বকীয়তাই তাকে আধুনিক জগতে বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী করেছে । ক্রমশ হয়ে উঠেছেন আস্থাশীল এক কাপ্তান । আল মাহমুদই আমাদের বিপুল জনসমষ্টির জীবনধারার অভিজ্ঞতাকে কবিতায় ব্যবহার করেছেন :
] “আমার বিষয় তাই , যা গরীব চাষীর বিষয়
চাষীর বিষয় বৃষ্টি ফলবান মাটি আর
কালচে সবুজে ভরা খানা খন্দহীন
সীমাহীন মাঠ ।
চাষীর বিষয় নারী ।
উঠৌনে ধানের কাছে নুয়ে থাকা ।
পুর্নস্তনী ঘর্মাক্ত যুবতী । ” (কবির বিষয় )
স্পন্দমান আবগের ভুগোল , দেশজ চেতনা ,লেককাহিনী ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর সৌন্দর্যে আপ্লুত আল মাহমুদ একজন মিথলজিক্যাল রোমান্টিক কবি । যেমন তিনি তার শ্রেষ্ট কর্ম ‘সোনালী কাবিন ‘ এ মাতৃভুমির ইতিহাস খনন করে তুলে এনেছেন ঐশ্বর্যময় ও বীর্যবান অনিষঙ্গসমুহ । তিনি এখানে শক্তিমত্তার সাথে রোমান্টিসজম প্রবেশ করিয়েছেন যা ‘সোনালী কাবিন ‘ সনেট গুচ্ছকে করেছে মহিমান্নিত ।
“সোনার দিনার নেই , দেন মোহর চেয়ো না হরিনী
যদি নাও , দিতে পারি কাবিনহীন হাত দুটি
আত্মবিক্রয়ের স্বর্ন কোনকালে সঞ্চয় করিনি
আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি ;
ছলনা জানিনা বলে আর কোন ব্যবসা শিখিনি । “
‘সোনালী কাবিন‘সনেটগুচ্ছ কবি উপমা -রুপকের চর্চার কুশলতার যে নিদর্শন রেখেছেন , আমাদের কবিতার ক্ষেত্রে তা নতুন এবং আন্তরিক সততায় উজ্জ্বল । গ্রামের মাটি থেকে বিচিত্র আকুল আগ্রহকে কবি উন্মোচন করেছেন , নদীর চরের প্রতি কৃষানীর পতির অধিকার প্রতিষ্ঠার রূপকল্পে প্রমানিত হয়েছে নারীর প্রতি পুরুষের আকাঙখার ক্ষুধার্ত নদীর উপমায় নর-নারীর কামনার চিত্র ফুটে উঠেছে । এইতো আমাদের আল মাহমুদ এবং তার গ্রামীন প্রান্তরের উপঢৌকন যেখানে যৌনতার আন্তরিক অভিব্যক্তি ঘটেছে –
“ক্ষুধার্ত নদীর মতো তীব্র দুটি জলের আওয়াজ
তুলে মিশে যাই চলো অকর্ষিত উপত্যকায় । “
বাংলাদেশের কবিতার মেজাজ ও মন বুঝতে হলে আমাদের আল মাহমুদের কবিতার দরজায় নক করতেই হবে ।
“ কবিতা কি ?
কবিতা তো শৈশবের স্মর্তি
কবিতা চরের পাখী , কুড়ানো হাসের ডিম , গন্ধভরা ঘাস
স্নান মুখ বউটির দড়িছেড়া হারানো বাছুর
কবিতাতো মক্তব্যের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার । “ ( কবিতা এমন )
কবিতা সহ সাহিত্যের কোন শাখায় নর-নারীর মিলঙ্কে অস্বীকার করা যায় না । হুইটম্যানের কবিতায় ভাবের এক বে আব্রু প্রকাশ দেখে আমরা তাই আতঙ্কিত হলেও খুব্ধ হইনা :
It is I , you women , I make my way
I am stern acrid , undissuble , but I have you
I do not hurt you any more than is necessary for you
I pour the stuff to starts sons and daughters fit for these states
I press with slow rude muscle
I brace myself effectually. I listen to no entreaties
I dare not with draw till deposit what has so long accumulated within me.
তখন আমরা মু্গ্ধ হই এই ভেবে যে , মানব মনের একটি অদৃশ্য ও আদিমতম কামনার জোয়ারকে কবি বিন্দুমাত্র বাঁধা না দিয়ে তার প্রবাহমানতাকে আরো স্বচ্ছন্দ দিয়েছেন । আল মাহমুদ ‘সোনালী কাবিন‘ কাব্যে শব্দ প্রতীক ও উপমার মাধ্যমে আদিমতাকে অপুর্ব চিত্রায়ন পুর্বক আদি ও অন্ত পর্যন্ত চিরন্তন রোমান্টিক ধারাকে প্রজ্জ্বল করেছেন :
” তারপর তুলতে চাও কামের প্রসঙ্গ যদি নারী
খেতের আড়ালে এসে নগ্ন করো যৌবন জরদ
শস্যের সপক্ষে থেকে যতটুকু অনুরাগ পারি
তারো বেশী ঢেলে দেবো আন্তরিক রতির দরদ । “( সনেট ১০ )
আল মাহমুদ যে মৌলিক ও নতুন কবি তা আগেই বলা হয়েছে । একজন কবির বড়ত্ব তার কাব্যভাষা, চিত্রকল্প এবং ছন্দের নতুনত্বে । আল মাহমুদের বড়ত্ব তার নিজস্ব বাকরীতি প্রবর্তনে এবং অদ্ভুত সুন্দর চিত্রকল্প নির্মানে । সৌন্দর্য বিভায় উদ্ভাসিত তার কবি হূদয় সর্বদা সুন্দরের পুজারী । তিনি তার কাব্যে বহু বিচিত্র বিষয়ের চিত্রকল্প নির্মান করেছেন ।
বক্ষমান রচনায় আমাদের বিবেচনা তার নারী সৌন্দর্য বন্দনা । আল মাহমুদের নারী অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক , কামোদ্দীপক ও সৌন্দর্যময় । এক্ষেত্রে অধ্যাপক শিবনারায়ণ রায়ের মনতব্যাটি যথার্থ : “তিনি বোদলেয়ারের অনুরাগী । কিন্তু মাটি তার কাছে সেই নারী যে জলসিক্ত সুখদ লজ্জায় নিজেকে উদাম করে । তিনি শুনতে পান মেঘনার জলের কামড়ে ফসলের আদিগন্ত সবুজ চিৎকার । অভাবের অজগর তার টোটেম । যে কিসিমে শিষ্ট ঢেউয়ের পাল রাতের নদীতে ভাসা পানকৌড়ি পাখির ছতরে ছলছল ভাঙে সে কিসিমেই তিনি তার বানুর গতরে চুমো ঢালেন । ” (একজন খাটি কবি , উপমা , পৃ ২৫ )
নারী দেহের স্তনের বর্ণনা দিতে বিদ্যাপতি রাধিকার স্তনকে বলেছিলেন -“হেম কমলন জনি অরুণিত চঞ্চল ।” সৈয়দ আলী আহসান সহসা সচকিত এর ৩১ নং কবিতায় উল্লেখ করেন –
“কভু মনে হয় পদ্ম কোরক
দেহ তরঙ্গে বিকশিত
শিশির উষার সুর্যের তাপে
যেন আশংকা বলসিত । “
আল মাহমুদ নারী স্তনের সৌন্দর্য যেভাবে কল্পনা করেন –
* শঙ্খমাজা স্তনদুটি মনে হবে শ্বেতপদ্ম কলি
(সিম্ফোনি : লোক লোকান্তর)
*তার দুটি মাংসের গোলাপ থেকে নুনের হাল্কা গন্ধ আমার
(চক্রবর্তী রাজার অট্রহাসি : মায়াবী পর্দা দুলে ওঠে)
*…চোখ যেন
রাজা মহীপালের দিঘী । আর বুক দুটি
মিথুনরত কবুতর ।
( অস্পস্ট স্টেশনঃ আরব্যরজনী্র রাজহাঁস )
*ইস্পাহানের হলুদ আপেল বাগান আমার হাতে দুলে দিয়েছে
তার সুপক্ক দুটি সোনালি ফল ।
তোমার ব্লাউজের বোতাম খো্লো ….
( অভিযোজনা ঃ আমি , দুরগামী )
আল মাহমুদ এখানে স্তনের সৌন্দর্য উপমার চিত্র কল্পনা করেছেন ঃ শঙ্খমাজা শ্বেতপদ্ম কলি, মাংসের গোলাপ , মিথুনরত কবুতর ,সোনালি ফল ইত্যাদির সাথে ।
নারী দেহের প্রধান সৌন্দর্য অংগ তার যোনী । মধ্যযুগের বেশ কিছু কবি যোনীকে পুস্পের সাথে তুলনা করেছেন । আধুনিক কবি সৈয়দ আলী আহসান যোনীকে দ্বিদল ফুলের সাথে তুলনা করেছেন –
প্রাচী্ন কাব্যে উরু সংযো্গ
যেনবা অমোঘ দ্বিদল ফুল
আল মাহমুদ রমনী দেহের যোনীকেও অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিভিন্ন উপমায় শোভিত করেছেন যেমন –
*আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো বুকের গঠন
লুকানো যায়না তবু অনিবার্য যৌবনের ফুলপ্রতীকের মত যেন জেগে থাকে তোমার জঘন ।
(অহোরাত্রঃ লোক লোকান্তর)
*সর্প বিতানের কোনো ফলবান বৃক্ষের শিকড়ে
খুলে দিয়ে দুটি উষ্ণ উরুর সোপান
ঢেকে আছে নগ্নযোনি গহরফলক
( শিল্পের ফলক : ঐ )
*আঘাত থকে আসবে ছেলেগুলো
নাভির নিচে উষ্ণ কালসাপ
( মাংসের গোলাপ : কালের কলস)
* তোমার নাভিমূলে দেখেছি একা আমি
নরম গুল্মের কৃষ্ণ সানুদেশ ।
( শোনিতে সৌরভ : সোনালী কাবিন )
* চরের মাটির মতো খুলে দাও শরীরের ভাজ
উগোল মাছের মতো খুলে দাও শরীরের ভাজ ।
(আষাড়ের রাত : আরব্যরজনীর রাজহাস )
*আবার বুকের কাছে মুখ । ঘামে ভেজা মাংসের কিষান
তৃপ্ত করে জ্যামিতির গুল্মময় ত্রিকোন কর্দম । ( ঐ)
* তবুওতো চাদ উঠে জনপদে । ব্রাকের
আপার মতো ঠাট
চান্দেরী শাড়ির নিচে জোছনা দেখানো গুঢ রাত ।
(খরা সনেট ৪: দোয়েল ও দয়িতা )
* ত্রিকোন আকারে যেন
ফাক হয়ে রয়েছে মৃন্ময়ী ।
(প্রকৃতি , সোনালী কাবিন )
* জলজ তুনের মতো ফের
জন্ম নেবে ধরত্রীর মুত্রভেজা যোনীর দেয়ালে ।
( ভারতবর্ষ , বখতিয়ারের ঘোড়া )
* তারপর তুলতে চাও কামের প্রসঙ্গ যদি নারী
খেতের আড়ালে এসে নগ্ন করো যৌবন জরদ
(সনেট , সোনালী কাবিন)
নারীর যোনীকে আল মাহমুদ প্রতীকের মত জঘন, গহরফলক,উষ্ণ কালসাপ,নরম গুল্মের কৃষ্ণ সানুদেশ , চরের মাটির মতো শরীরের ভাজ,ত্রিকোন কর্দম ,গুঢ রাত , ত্রিকোন মৃন্ময়ী ,মুত্রভেজা যোনীর দেয়াল, যৌবন জরদ ইত্যাদি উপমায় সুশোভিত করেছেন ।
আল মাহমুদের ইসলামি কবিতা বাদে প্রায় সব কবিতায় নারী দেহের সৌন্দর্য , উপমা ও যৌনতা প্রকাশ পেয়েছে । তিনি নারী নিসর্গ প্রেম ভালবাসায় কৃত্রিমতার বা রাখ ঢাকের খোলস নির্মান করেননি । তিনি মার্ক্সিস্ট থেকে ইসলামের বিশ্বাসি হয়েছেন কিন্তু তারপরও
তার কবিতায় আমরা দেখছি মাংসের গোলাপ , মিথুনরত কবুতর , ত্রিকোন কর্দম কারন তিনি প্রথমত কবি শেষত ঐ কবিই ।
ষাটের মান্নান সৈয়দ কে আমরা দেখেছি নারী নগ্নতার মধ্য দিয়ে পরাবাস্তবাতা ও আধ্যাত্মার কথা বলতে । একই দশকের শ্রেস্ট কবি নির্মলেন্দু গুনের কাম বিষয়ক কবিতার সমগ্রও আমরা হাতে পেয়েছি ।
নর-নারীর যুথজীবন যাত্রায় নগ্নতা , রম্যতা , জীবন ঘনিস্টতা অতি বাস্তব । এই বাস্তবতাকে উপমা -চিত্রকল্পে যথার্থ করা -শব্দের এবং চিত্রের অর্থ্ময়তা ও আনন্দময়তা যে কবি যতবেশি দান করতে পারেন নব নব শিল্প চিত্রনে সে তত বড় কবি ।
আল মাহমুদ তাই আমাদের প্রিয় কবি -জনপ্রিয় ত বটেই ।
আল মাহমুদের কাব্য যাত্রা সচল থাকুক ।
নগ্নতার চিত্রকল্প এঁকেছিলেন যখন তিনি ইসলাম থেকে দূরে ছিলেন ।
এমন আশ্লিল কবিতা যে নগ্ল কবি লেখেন সে চাইলে এমন আশ্লিল কবিতার বিপরিতে ভাল কিছু লিকতে পারতেন,
একটি কম্পাণী তার পন্যের প্রসার এর জন্য পন্যের গুণাবলি তুলে দেরন ক্যেতার কাছে , আল মাহমুদ- নারির গোপন অংগের প্রসার এর জন্য কাজ করে যাচ্ছে আর কিছু নিরবোদ তার বাহাবা গাইছে। একদিকে ণারী উন্নয়নের শ্রলগান আরেক দিকে ণারী উলগ্নের প্রতিযোগিতা। কবি, সাহিত্যীক, পরিচালকের কেউ কেউ এই কাজে নিজেকে উতসরগ করেছেন, প্রতিতার মত জেন লজ্জা শরমের কিছুই নেই তাদের কাজের মধ্যে। লজ্জাতো সব নারীর মৌলিক গুন,
সেই নারীর লজ্জ যে প্রকাশ করে তার আবার লজ্জাকিসের। :lotpot:
editing- in 6th line the word ‘dranded’ is to be read as ‘branded’. please edit it.
shameem
No doubt Al Mahmood is one of the best poets in Bangla. But our political culture and common peoples’ motivation made by the politicians produced some raw and trash products branded as fine ones. Al Mahmood on the other hand Shamsur Rahman are the two binary opposite products that time has brought in front of us, the dranded gems. But speaking the truth Nirmolendu Gun, an ever freedom fighter of Bangla, who has been the spokesman of history of Bangladesh and made his life only for dedication to love, knowledge and Bangali culture is yet to be evaluated by Poem-lover Bangalees. To me Gun has got his own individual voice to strive for Bangla literature. If time allows the man would take new course, turn and new dimension in his literary work- that is lacked both by Al Mahmood and Shamsur Rahman. Al Mahmood could not recreate him, the imagery he produced in his poem is not awesome, novel, farfetched and dramatic. The descriptive picture he draws in his poem is fine no doubt not stunning and bewildering. Shamsur Rahman at the same time is the venture of ‘Progotisheel’ people who had been ignited by his pen. Shamsur Rahman is to be studied onto the context of different events of Bangladesh from the point of view of an educated citizen- politico-economic scenerio.Nature, tradition and other factors that make us Bangalee are not as upheld as they have been made by Al Mahmood. But Mahmood’s attachment with the moulobadi people is not at all trust and praiseworthy.
Then Gun? What things can we not tell in favour of him? Shamsur Rahman never took arms against the Pak in freedom fight. He wrote encouraging poems ‘Swadhinota tumi” beside the pond of his village home. That time Gun and Mahmood are on the front line of the liberation war. Later Al Mahmood turned to be spokesman of opposite stream of liberation. It is a poet’s tragedy that he gets to be biased to any political platform. He could not have done it. But Gun, a genuine freedom fighter a revolutionary upstart, gigantic in feature is till fighting against illiteracy, poverty and misconducts of the state by working in the field level. It must be retold that Gun has bagged less care in comparison to the above mentioned other two poets. It needs much more focus on the issue though I think, but I like to ring the bell to say that lets make a revision about our best poets.
shameem mahboob
আল মাহমুদ?
সব সময়ই কেমন যেন অন্যরকম!
মৌলিকতার প্রশ্নে জীবিত বাঙলা কবিদের মাঝে সবচাইতে এগিয়ে…….
প্রিয় হুমায়ুন আযাদ স্যার যখন এই ধরনের কবিতা লিখতেন তখন তা হত নগ্নতা বা আশ্লিল কবিতা। মুল্লারা কবি আল মাহামুদ লিখা কবিতাকে আশ্লিল কবিতা বলে কি?
Majhkaner comments guli ami porini, JOUNOtA shamporke amar ja dharona, ta jodi ami boli tobi prai shob bangalee atke uthbe. even, ekhane jaja asen, mukto monara, tader kauke kauke o hoito mene nite kasto lagte pare. Tai aj r bosi na, 4tar beshi bejese, ekhono lounch korini, Bye!
ধন্যবাদ @রণদীপম বসু
আল মাহমুদের ‘সোনালি কাবিল’ নিঃসন্দেহে বাঙালির মাটিগন্ধি জীবনাচারের অনার্য দলিল। আর তাই বোধ করি এতো মোটা দাগে কামজ উপকরণগুলো নির্দ্বিধায় কবিতায় এসে ঢুকে গেছে। নারীর যৌনাঙ্গের এমন সরাসরি চিত্রকল্পিত বয়ানের পর বাংলা কবিতা কতগুলো দশক পেরিয়ে এলেও কালিক দৃষ্টিতে সোনালি কাবিনকে অন্যতম মাস্টারপিস হিসেবে দাবি করতেই পারি আমরা। তবে সময় পরিক্রমায় এসে নির্মলেন্দু গুণের আদিরসাত্মক চিত্রকল্পগুলোকে অনেক বেশি শিল্পসম্মত মনে হয়। কেন যেন নারীর সংবেদনশীল অঙ্গের রূপ বর্ণনায় এসে আল মাহমুদের কলমে এখনো সুক্ষশিল্পত্ব মার খেয়ে যায়। তার পরেও আল মাহমুদকে আমাদের প্রধানতম কবিদের একজন হিসেবে এখনো মান্য করি আমি।
মানিক ভাইকে ধন্যবাদ তাঁর এই সাহিত্য আলোচনাটির জন্য।
আমি একমত ডঃ জাফর উল্লাহ, ধন্যবাদ ।
Pardon my intrusion. Bengali poets are way behind when the issue is modernity. If someone translates Al Mahmud’s “masterpieces” into English, the poems will remind someone of pornographic literature. One hardly has to resort to vulgarity to prove that he or she is a modern poet.
Contrast this with that of Jibanananda Das’s poem which he penned in the thirties and forties. Das did not resort to vulgarity, yet his poems stood apart from others. The way he approached the mortality (read death) of human and ephemeral nature of human life in his poems, no poet in India treated these aspects of human life so alluringly. No amount of vulgarity would make Al Mahmud a modern poet. Please read the new poems that are published in the New Yorker magazine to understand in which direction the poetic wind is blowing for the last half a century.
@জাফর উল্লাহ,
Thanks for your nice comment.Be noted I am a fan of Jibananada Das. Once you translated some of Das’s poem and I like them.
“নারী দেহের প্রধান সৌন্দর্য অংগ তার যোনী
এটা বোধ করি আপনার নিজস্ব মত। ” -পরশ
এই মত আমার নয় , কবি আল মাহমুদের ।
প্রথমেই অভিনন্দন চমৎকার এই লেখাটির জন্য। আপনার উপস্থাপনা খুবই পরিশীলিত।
আপনি লিখলেন, ‘আল মাহমুদের নারী অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক , কামোদ্দীপক ও সৌন্দর্যময়।’ আসলে কোন মাহমুদের নারী যে চিত্তাকর্ষক আর কামোদ্দীপক নয় সেটা কি একটু বলতে পারেন? আমার কাছে মনে হয়, এখানে কৃতিত্ত্বটা কোন মাহমুদের নয়, কৃতিত্ত্বটা নারীর। কোনও কবি কি পারবে তার কবিতা দিয়ে চিত্তবিকর্ষক, কাম-কামনাবিহীন, কুৎসিত কোন নারীকে কমনীয়,মোহনীয় করে তুলতে?
নারী স্তনের সৌন্দর্য কল্পনায় শ্বেতপদ্ম কলির তুলনা চমৎকার। কিন্তু মাংসের গোলাপ আর সোনালি ফল খুব সাধারণ মানের তুলনা মনে হয়েছে। মিথুনরত কবুতর, শুনতে ভালো শোনালেও খুব একটা অর্থবোধক কি?
এটা বোধ করি আপনার নিজস্ব মত। কিন্তু হঠাৎ পড়তে গিয়ে মনে হয় কোন বায়োলজির বই থেকে তুলে দিচ্ছেন। বিশেষ করে ‘প্রধান’ কথাটা কেন ব্যবহার করলেন বুঝতে পারলাম না। প্রধান সৌন্দর্য অংগ না বলে প্রধান জননাংগ বললেও হয়তো মেনে নেয়া যেত। এমন বহু নারীকে পাওয়া যেতে পারে যাদের ‘যোনী’ জাতীয় কোন অংগের কথা চিন্তা না করেও অন্য এমন কিছু সৌন্দর্য আছে, যার জন্য অনায়াসে মুগ্ধ হওয়া যায়।
আপনার লেখার জন্য আবারো অভিনন্দন।
এমন প্রাণবন্ত, জীবনমুখী কবি মোল্লাদের খপপরে পড়লেন কি করে? আওয়ামী লীগের জেলের হাওয়ার এত জোর? এর আগে বিপ্লবী অরবিন্দ ঋষি অরবিন্দ হয়ে গিয়েছিলেন ইংরেজের জেলের হাওয়ায়। এটাও কি সেম কেস? আল মাহমুদের পরিবরতনের কারণ নিয়ে কেউ গবেষণা করেছেন কি?
জানা নাই।
তবে আভাস পেতে পারেন এই সাক্ষাৎকার থেকে।
https://nocturnemagblog.wordpress.com/2015/07/11/%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6/
ধন্যবাদ
জাহিদুল ইসলাম
নগ্নতা, যৌনতা ইত্যাদিকে বাংগালী অন্তপুরের জিনিস ভাবে। যেন রেখে ঢেকে ফিসফাস। কিন্তু এসবতো আমাদের জীবনের গুরত্বপুর্ন অংশ। তার প্রমাণ গুন, মাহমুদ এবং তাদের অমিত সুন্দর কবিতা আর তার চমতকার শৈল্পিক অভিব্যক্তি। লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ মানিক সাহেব আপনার বিশ্লেষনধর্মী লেখার জন্যে। ভালো থাকবেন।
Thanks @suman