মুক্তমনার নতুন ই-বুক

হাসান মাহমুদের ‘ইসলাম ও শারিয়া’

হাসান মাহমুদ (ফতেমোল্লা) মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম এবং মুক্তমনার উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য। একাত্তরের একজন গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘদিন ধরে লেখালিখি করছেন। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে গল্প, কবিতা, নাটক, সঙ্গীত তার পদচারণা  পেয়ে ধন্য হয়েছে প্রতিনিয়ত।  তার খ্যাতি আজ বাংলাভাষাভাষীর সীমানা পেরিয়ে চলে গেছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। শারিয়া ও ইসলামিক ল, মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেসের ডিরেক্টর তিনি, আমেরিকা ও ইউরোপে বিভিন্ন কনফারেন্স এবং সেমিনারে ইসলাম ও মানবাধিকারের উপর সফল বক্তা।  শারিয়ার উপরে তার ডকুড্রামা হিলা তাকে নিউইয়র্কের নাট্যমেলায় এনে দিয়েছে শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের সম্মান।

 

কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে ইদানিংকালে তার বড় পরিচয় ‘গনতান্ত্রিক’ জামায়াতে ইসলামীর প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে এক নিরলস সৈনিক তিনি। ধর্মগ্রন্থ থেকেই দলিল-দস্তাবেজ, সূত্র প্রমাণ হাজির করে হাসান মাহমুদ দেখাতে চান জামায়াত নিজেই এক চরম ইসলামবিরোধী দল। জামায়াত  মুখে ইসলামের কথা বললেও তারা মূলতঃ ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে চলা ইসলামবিকৃতকারী এবং কাজকর্মে সুবিধাবাদী একটি গ্রুপ।  কোরান হাদিস থেকেই অজস্ত্র রেফারেন্স হাজির করে তিনি দেখিয়েছেন  কিভাবে জামায়াত ইসলামকে বিকৃত করেছে, কিভাবে ইসলামকে পুঁজি করে রাজনীতিতে তাদের হিংস্র থাবা বিস্তার করেছে অহরহ।  তাই ফতেমোল্লা পণ করেছেন ইসলাম থেকে রেফারেন্স হাজির করেই জামায়াতে ইসলামীকে বধ করবেন তিনি। এই ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার’ সংবেদনশীল কাজটি একসময় বিদ্যাসাগর রামমোহনেরা করেছিলেন হিন্দু ধর্মের জন্য, তা আমরা জানি।  তাদের কাজকর্মের কল্যাণে ভারতে বিভস সতীদাহ বিলুপ্ত হয়েছে, বিধবারা পেয়েছে আবারো বিয়ে করার নৈতিক অধিকার। এ মানবিক কাজগুলো করার জন্য বিদ্যাসাগরকে ধর্মগ্রন্থের বাইরে যেতে হয়নি, বরং ধর্মগ্রন্থ থেকে অজস্র রেফারেন্স হাজির করে  ‘নাস্তিক বিদ্যাসাগর’ যুঝেছিলেন সেসময়কার ব্রাহ্মণ-পন্ডিতদের বিরুদ্ধে। জাগাতে পেরেছিলেন হিন্দুদের হারিয়ে যাওয়া সুপ্ত মানবতাকে। এই কাজটিই ফতেমোল্লা করতে চান এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে – পিছিয়ে পরা মুসলিম সমাজের জন্য।  জামায়াত সত্যই কোন গণতান্ত্রিক শক্তি কিনা এ নিয়ে তিনি বিতর্ক করেছেন ইসলামিক স্কলার শাহ আব্দুল হান্নানের সাথে। তার এই বিতর্ক মুক্তমনার আর্কাইভ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে। জামায়াত হয়েছে শঙ্কিত।  শারিয়া ব্যাপারটা সত্যই ইসলামসম্মত কিনা এ নিয়ে হাসান মাহমুদ বিতর্ক করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর উর্ধ্বতন এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী জনাব কামারুজ্জামান এর সাথে। ফতেমোল্লার সতীক্ষ্ণ যুক্তিজালে জর্জরিত কামারুজ্জামান কিভাবে পরাস্ত হয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণে তপর হয়ে উঠেছিলেন, তার নমুনা রয়ে গিয়েছে এই অডিও ফাইল

 

হাসান মাহমুদ এতদিন ধরে ইসলাম এবং শারিয়া নিয়ে যে একনিষ্ঠ কাজ করেছেন, তার বিধ্বংসী দলিল তিনি সম্প্রতি লিপিবদ্ধ করেছেন ‘ইসলাম ও শরিয়া’ গ্রন্থটিতে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে যেভাবে মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠেছে, যেভাবে ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়ে ধীরে ধীরে একমত হয়ে উঠছেন,  সেখানে হাসান মাহমুদের এই বইটি  তাদের জন্য তৈরি করবে খুবই উপযোগী প্রেক্ষাপট।  হাসান মাহমুদের এই বইটি হয়ে উঠতে পারে জামায়াত এবং সমমনা ধর্মবাদী দলগুলোর  জন্য এক ঘাতক মরণাস্ত্র, এটি হয়ত কাজ করবে জামায়েতের কফিনে শেষ পেরেক হিসাবে।

 

‘ইসলাম ও শারিয়া’ বইটির তৃতীয় সংস্করণ বাজারে বের হয়েছে। আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি হাসান মাহমুদ তার এই মূল্যবান বইটি ই-বুক আকারে ইন্টারনেটে রেখে দেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।  আমরা এই বইটি পিডিএফ ফরম্যাটে আমাদের সাইটে রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। পুরো বইটি আমাদের মুক্তমনা সাইটে রেখে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইটি পড়া যাবে এখান থেক।  

 

যারা বইটি সংগ্রহে রাখতে চান, তারা এটি অন লাইনে অর্ডার করতে পারবেন এখান থেকে। আমরা মুক্তমনার পক্ষ থেকে হাসান মাহমুদের মানবিক এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।


মুক্তমনার অন্যান্য ইবুক:


 

Buy MM books Online