হিন্দুত্ববাদি শক্তির পরাজয়
সাম্প্রতিক পাঁচটি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সাফল্যে অনেকেই আশ্চর্য্য। যারা ভেবেছিলেন হিন্দুত্ববাদ, জাতিয়তাবাদের সুরসুরি দিয়ে এখনো ঘরে ফসল তোলা যায়, তাদের জন্যে রাজস্থানে বিজেপির ভরাডুবি এবং দিল্লীতে কংগ্রেসের টানা তিনবার জয় বড়ই দুঃসংবাদ। ভোটাররা এখন অনেক বেশী পরিণত-এই সব আবেগপ্রবণ ডোবার জল খাওয়ার চেয়ে নিজেদের বস্তুবাদি স্বার্থকেই তারা বেশী দেখছে। গণতন্ত্রের নিয়মে এটাই ত প্রত্যাশিত-গণতন্ত্রের অভ্যেসই গণতন্ত্রকে পরিণত করে। আদর্শ গণতন্ত্র বলে কিছু হয় না-বিবর্তনের পথে গণতন্ত্রের প্রতি নিষ্ঠা আস্তে আস্তে উন্নততর সমাজের জন্ম দেয় “অটোকারেকশনের” মাধ্যমে।
এই জায়গাটার বিশদ বিশ্লেষন প্রয়োজ়ন। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে যখন মিলিটারী ব্যাকড কেয়ারটেকার সরকারের শাসন চালু হয়- বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অনেকেই আমাকে বলেছিলেন-বাঁচা গেল। দুই নেত্রী যা লুটপাট শুরু করেছিলেন দেশটাই বাঁচত না। আমি এই ধারনাকে সমর্থন করি না অন্য কারনে। কারনটা এই, সবাই মনে করে গণতন্ত্র একটা পার্ফেক্ট সিস্টেম-এখানে কেও টাকা খাবে না-নেতা, নেত্রীরা দ্বায়িত্বশীল হবে। আমাদের গনতন্ত্র চাই-কিন্ত তা হতে হবে ইউরোপের দেশগুলির মতন মসৃণ। এই ধারনা ঝেড়ে ফেলতে হবে। গণতন্ত্র আসলেই এমনটা সিস্টেম, যেটা ক্রমাগত বিবর্তিত হতে থাকবে। যত বয়স বাড়বে তত পরিণত হবে। গণতন্ত্রের এই বিবর্তনটা সদার্থক হবেই যদি নির্বাচন অবাধ হয়। অবাধ এবং কারচুপিহীন নির্বাচন হলে গণতন্ত্র প্রতিটা নির্বাচনেই কিছু কিছু না কিছু উন্নতির দিকে এগোবে। ভারতে এই সপ্তাহে হওয়া পাঁচটা রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপি জাতিয়তাবাদের হাওয়ায় অন্তত চারটিতে জিতবে ধরেই নিয়েছিল। বিধি বাম। নিজের রাজ্য রাজস্থানে ও হারালো বিজেপি। দিল্লীতেও প্রায় তথৈবচ অবস্থা। সবথেকে বড় কথা গত এক বছর ধরেই হিন্দুত্ববাদি পথ থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি। কারন মানুষ উন্নতির স্বপ্ন দেখতে চাইছে। তাদের প্রত্যাশা লেটেস্ট নকিয়া ফোনকে ঘিরে, রামকে ঘিরে না।
বাংলাদেশে ২০০৭ সালের মিলিটারী ক্যু আসলেই গণতন্ত্রকে পিছিয়ে দিয়েছে। কারন ওই সময় নির্বাচন হলে বি এন পির ভরাডুবি হত এবং তার থেকে শিক্ষা নিয়েই বি এন পি ঘৃণার রাজনীতি ছেরে উন্নয়নের রাজনীতির দিকে হাঁটতে বাধ্য হত। গণতন্ত্রের এই শিক্ষাটা বি এন পি পেল না। মনে রাখে হবে গণতন্ত্রে দক্ষিন পন্থি শক্তি থাকবেই। কিন্ত তাদের যতবার ভোটে জিততে হবে, তত ঘৃণা আর জাতিয়তাবাদের রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাবে। ফলে নতুন করে গণতন্ত্র আসার পর-আবার সেই ঘৃণা আর দুর্নীতির সাইকেল বাংলাদেশের ভাগ্যে আছে বলে মনে হচ্ছে। গণতন্ত্রের সমস্যা থাকলে, সেটা গণতান্ত্রিক উপায়েই সমাধান করতে হবে। গণতন্ত্র ই উন্নততর গণতন্ত্রের জন্ম দেয়-মিলিটারি দিয়ে জোর করে উন্নততর গণতন্ত্র হয় না-এসব চিন্তা একধরনের বিকৃত ভ্রান্তিবিলাস।
মুম্বাই এ সন্ত্রাসবাদের হামলার পর নানা ফোরামে ঝড় ওঠে গণতন্ত্র দিয়ে নাকি সন্ত্রাসবাদ আটকানো যাবে না। ডিক্টেটরশিপ চাই। বাংলাদেশের অনেকেই আমাকে বলেন, গণতন্ত্র এলে বাংলাদেশে মৌলবাদ আরো অনেক বাড়বে-কারন ‘৯১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সেটা নাকি তাদের অভিজ্ঞতা। ভারতেও মৌলবাদের উত্থান হয়েছে গণতান্ত্রিক পথেই। গণতন্ত্র কি সত্যি মৌলবাদ বা সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে ব্যার্থ?
বিজেপি যে আস্তে আস্তে হিন্দুত্ববাদ থেকে দূরে সরতে বাধ্য হচ্ছে-এর একটা বড় কারন অবশ্যই গণতন্ত্র। মোদিকেও উন্নয়নের পথেই ভোট চাইতে হচ্ছে কারন উনিও বুঝেছেন ঘৃণার রাজনীতি দিয়ে একবার জেতা যায়, দুবার নয়। হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি থেকে সরে আসার জন্যে বিশ্বহিন্দু পরিষদ এবং আর এস এস অখুশী। তারা নানান রাজ্যে বিজেপি বিরোধি আরো উগ্র হিন্দুত্ববাদি দল তৈরী করেছে। মধ্যপ্রদেশে উমা ভারতী বিজেপি ছেড়ে উগ্রহিন্দুত্বের আহ্বানে ভারতীয় জনশক্তি পার্টি খুলেছেন। গত রবিবার তাদের সবকটি পার্থীই মধ্যপ্রদেশে প্রায় জামানত জব্দ হল(একটা মাত্র সিটে জিতেছে)-বিজেপি সেখানে জিতে গেল উন্নয়নের রাজনীতির জোরে। বিশ্বহিন্দু পরিষদ উমাভারতীর পেছনে থেকে কিছু করতে পারল না। এর থেকেই বোঝা যায় হিন্দুত্বের রাজনৈতিক শক্তি ক্রমশ ফিকে হচ্ছে। ১৯৯১-২০০১ পর্যন্ত কংগ্রেসে অন্তর্কলহ,দুর্নীতি এবং বামপন্থিদের হটকারী রাজ়নীতি হিন্দু-জাতিয়তাবাদি শক্তির উত্থানের পথ প্রশস্ত করে। গুজরাটে দাঙ্গার পর, ভারতের সাধারন মানুষ বুঝতে পারে এরা কারা এবং ফ্যাসিবাদি শক্তির আসল রূপ। ফলে বিজেপি কার্যত দুটো ভাগে ভেঙে যায়। একটা দল তীব্র মুসলমান বিরোধিতার পথে থাকতে চাইছিল-অন্যদলটা হিন্দুত্ব বাদ দিয়ে জাতিয়তাবাদের পথে হাঁটতে চাইছিল। ক্ষমতাসীন নেতারা দেখলো হিন্দুত্ববাদ বা জাতিয়তাবাদ আর কোনটাই খাবে না-ফলে তারাও উন্নয়নের রাজনীতিতে আসতে বাধ্য হয়। এটাই গণতন্ত্রের বিবর্তন। এইসব আদর্শবাদের নামে ঘৃণার রাজনীতি করে গণতন্ত্রে বেশী দিন টেকা যায় না। আবেগ মিটে গেলে লোকে ভাত-কাপড় চাইবেই। না পেলে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। যেমনটা হয়েছে রাজস্থানে। বিজেপির রাজমাতা সেখানে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গুলি চালিয়েছেন। কৃষকরা হিন্দু রাজমাতা বলে তাকে ছেড়ে দেবে না কি? রাজস্থানেএবার বিজেপি সম্পূর্ণ ডুবে গেছে কৃষক বিদ্রোহে। বাংলাদেশে ২০০৬-২০০৭ সালে নির্বাচন হলে একই ভাবে কৃষক-জনরোষে বি এন পি ডুবত। এবং তার থেকেই দক্ষিনপন্থি শক্তি ঘৃণার রাজনীতি ছেড়ে, উন্নয়নের পথে হাঁটত-যেমনটা বিজেপি বাধ্য হয়েছে। কিন্ত মিলিটারি ক্যু এটা বাংলাদেশে হতে দিল না। তাদের আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। এই জন্যেই আমি বারবার বলছি, বাংলাদেশের মিলিটারী ব্যাকড কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুশীল সমাজ যতই উচ্ছাসিত হন না কেন-বাংলাদেশের কি ক্ষতি হয়ে গেল, তারা বুঝতে পারছেন না।
মুম্বাই এর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মিডীয়াতে এত কংগ্রেস বিরোধি সোরগোল ফেলে, তাই নিয়ে ভোটের দিন দিন ঢালাও বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরেও বিজেপির ভরাডুবি। মিডীয়ার প্রচারে মনে হচ্ছিল কংগ্রেস জনরোষে ভষ্ম হলে বলে। বিজেপি গত দুবছর বেশ কিছু বিধানসভায় জিতলেও কংগ্রেস ধারাবাহিক ভাবেই ভালো ফল করেছে। আঞ্চলিক দলগুলি এবং বামশক্তি কিছু বিচ্ছিন্ন উদাহরন ছাড়া দ্রুত জমি হারাচ্ছে। দিল্লীতে সব বাম-পার্থীর জামানত জব্দ। জাতপাতের রাজনীতি মায়াবতীকে কেন্দ্রকরে কিছুটা হাওয়া পেলেও-একটু বিশ্লেষনের মাধ্যমে আমরা বুঝবো মায়াবতীর ভবিষ্যত ও উজ্জ্বল নয়।
পৃথিবীর যেকোন গণতন্ত্রে তিনটি মুখ্য শক্তি থাকে-বাম, ডান এবং মধ্যম পন্থী। ভারতে এর মধ্যে আরেকটা উটকো শক্তি আছে-সেটা জাতপাতের। এবং মানব সমাজের বিবর্তন মেনেই, মায়াবতী-মুলায়েম-লাল্লু-পাশোয়ানদের রাজনীতি দ্রুত মিউজিয়ামে চালান হবে। কিন্তু বাম, ডান এবং মধ্যপন্থী-এই তিনটি মূল শক্তি যেকোন সুস্থ গণতন্ত্রে থাকবে-থাকাই উচিত। সেই ভিত্তিতেই আমরা দেখবো কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভিত্তি আসলেই অন্য পার্টি গুলির চেয়ে এখনো অনেক বেশী শক্তিশালী। কারন ভারতীয় রাজনীতির বিবর্তনের ধারায়, তারা কিছুটা হলেও এগিয়ে।
আদর্শবাদ থেকে ইস্যুভিত্তিক রাজনীতিতে উত্তোরনঃ বাম এবং দক্ষিন পন্থার রাজনীতি আদর্শবাদের রাজনীতি। এটাই তাদের শক্তি-আবার এটাই তাদের দুর্বলতা। বাম বা হিন্দুত্ববাদি আদর্শবাদকে কেন্দ্র করে কিছু লোককে এককাট্টা করা সহজ-সমাজ বিজ্ঞানে এই পদ্ধতিকে বলে সেলফ অর্গানাইজেশন। সেই জন্যে সিপিএম এবং বিজেপি র সংগঠন অনেক বেশী শক্তিশালী। কারন আদর্শবাদের মোহগ্রস্থ ক্যাডার বাহিনী।
আবার এই আদর্শবাদ ই তাদের দুর্বলতা। স্যার কার্ল পপার, লিব্যারেল ডেমোক্রাসীর বিশ্লেষনে সেটাই বলেছিলেন –আদর্শবাদের শক্তিই তাদের দুর্বলতম দিক। যেমন ধরুন প্রকাশ কারাত ভারত-আমেরিকা অসামরিক পারমাণবিক চুক্তির বিরোধিতা করতে গিয়ে রাজনৈতিক আত্মহত্যা করে বসলেন। কারন পরমানু বিদ্যুত ছাড়া, আগামী একশো বছরে আর কোন উপায় নেই। সেটা জেনেও ভারত বর্ষের ভবিষ্যত সৎকার করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন, সিপিএমের সেক্রেটারী জেনারেল। আমেরিকান ভূত দর্শনের আদর্শগত বাধ্য-বাধকতা। নীট ফল? ভারতের নতুন শিক্ষিত প্রজন্মের কাছে সিপিএম অচ্ছ্যুত। এবং বেশ ঘৃণিতও বটে। সাধারন লোকে এটা এখন অন্তত বোঝে, এগুলো ক্ষমতাদখলের জন্যে সার্কাস। দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অত্যন্ত ভয়ংকর এক খেলা। রিংমাস্টার আর সার্কাসটা শুধু বদলায়।
বিজেপির অবস্থা দেখুন। রামসেতুর মধ্যে দিয়ে ক্যানাল তামিলনাডুর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভীষন ভাবে দরকার ছিল। সেটাকে নাকি কাটা যাবে না! অর্থনৈতিক উন্নয়নের সৎকার করে রামের ঐতিহাসিক অস্তিত্বের কুনাট্য রচনা করল বিজেপি। হিন্দুত্ববাদের “ইন্টালেকচুয়াল” সাপোর্টাররা কল্পকাহিনীতে লজ্জা পেতে পারেন বলে, পরিবেশ রক্ষার কুযুক্তি দিলেন। যেখানে ওই প্রোজেক্টের এনভাইরনমেন্টাল এসেসমেন্ট অনেক আগেই বলে দিয়েছে-কোন ক্ষতি নেই। ঠিক বামপন্থীরা যেমন ভারতের জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন-নিউক্লিয়ার পাওয়ার না হলেও চলবে। এসব ই কুযুক্তি। দেশের স্বার্থের ক্ষতি করে ক্ষমতা দখলের লোভ। নেতারা বোঝেন নি-দলের ব্রেইনওয়াশড ক্যাডারবাহিনীও হুক্কাহুয়া করেছে। নিজেদের ক্ষতি, আম জনতা ঠিক ই বুঝেছে।
বিজেপি তাও দায়ে পড়ে একটু একটু করে হিন্দুত্ববাদি আদর্শবাদ থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে। সিপিএম পশ্চিম বঙ্গে অনেক দিন আগেই ডিগবাজি খেয়ে পুঁজিবাদের মাখন খাওয়া শূরু করেছে। কিন্তু আদর্শবাদ থেকে পিছু হঠলে, পার্টির মধ্যেই দ্বিচারিতা এবং ভন্ডামি শুরু হবে চুড়ান্ত মাত্রায়। কারন সেলফ-অর্গানাইজশনের শক্তি-অর্থাৎ যে আদর্শবাদের টানে পার্টিতে লোকজন আসত-দল গঠনের সেই ভিত্তি ভূমিতেই আঘাত লাগবে। ফলে পার্টি ভাঙবে। বিক্ষুব্ধ ক্যাডারের সংখ্যাও বাড়বে। এই ভাবেই আরো বিশুদ্ধ বামপন্থী আদর্শের সন্ধানে মাওবাদীদের পালে হাওয়া লেগেছে। মাওবাদি-সিপিএম গৃহযুদ্ধে পশ্চিম বঙ্গে এখন ঘোর অমবশ্যা। অন্যদিকে বিজেপি হিন্দুত্ববাদের লাইন ছেড়েছে বলে সতী-সাদ্ধীরা হিন্দু বেলটে নতুন উগ্রহিন্দুত্ববাদি দল খুলছেন। তাতে অবশ্য বিজেপির খুব ক্ষতি হয় নি এবার। কিন্তু এদের কেও কেও মসজিদে বোমাও মারছেন। এতে একটা কাজই হয়েছে। মালগাঁও বিষ্ফোরনের সাথে উগ্রহিন্দুত্ববাদিরা জড়ানোই-মুম্বাই বিষ্ফোরনের পরেও লোকে বুঝেছে, হিন্দুত্ববাদিরা ক্ষমতা দখল করলে উপদ্রব আসলেই আরো বাড়তে পারে।
আদর্শবাদ ভিত্তিক রাজনীতির সমস্যা কোথায়? হিন্দুত্ববাদ বা কম্যুনিজম -আদর্শবাদের নাম যাই হোক না কেন- এসব কিছুই রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধানের অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। গণতন্ত্রের আসল কাজ হচ্ছে রাষ্ট্রের সমস্যার সমাধান করা। কিন্তু প্রতিটা সমস্যাই আলাদা। এই মুহুর্তে ভারতের মূল সমস্যা হচ্ছে -দারিদ্র, অশিক্ষা এবং পরিকাঠামো । দারিদ্র এবং নিরক্ষরতা দূরীকরনে সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতির বিকল্প নেই। আবার পরিকাঠামো চাঙ্গা করতে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগ নিতেই হবে। চাকরী সৃষ্টি করতে গেলেও ধণতন্ত্রের পথেই হাঁটতে হবে। এটাই আসলে ইস্যুভিত্তিক রাজনীতির সুবিধা-যেটা কংগ্রেসের আছে। কারন কংগ্রেস রোগ বুঝে ঔষুধ দিতে পারে-সমাজতন্ত্র বা ধণতন্ত্র দুটোই কংগ্রেসে আদৃত নীতি। ‘৯১ সালে ভারতের অর্থনীতিকে দেওলিয়া করে দেওয়া বিজেপি-সিপিএম-জনতা গ্যাং এর হাত থেকে একমাত্র মনমোহন সিং ই দেশকে বাঁচাতে পারতেন বাজার অর্থনীতি, সংস্কারের পথ খুলে দিয়ে। তখন সিপিএমের মতন সমাজতন্ত্রের পথে হাঁটলে ভারত আজ আর্জেন্টিনার মতন পথে বসত।
অর্থাৎ এই ইস্যুভিত্তিক রাজনীতি করার ম্যাচুরিটি এখন ভারতীয় ভোটারদের এসে গেছে। তাদের জাতীয়তাবাদ, হিন্দুত্ব, লেনিনিজম শুনিয়ে লাভ নেই।
নেতা এবং নেতৃত্বঃ এই মুহুর্তে কংগ্রেসে দেশ চালচ্ছেন প্রনব, চিদাম্বরম এবং মনমোহন। শিক্ষাগত যোগ্যতা, সততা এবং বিচক্ষনতার মাপকাঠিতে, অরুন জেটলি, আদবানি বা প্রকাশ কারাত কি এদের ধারে কাছে আছেন? জি-২০, পৃথিবীর সেরা কুড়িটি দেশের বৈঠকে, সমস্ত রাষ্ট্রনেতা পৃথিবীর অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে মনমোহনের পরামর্শ মেনে নিয়েছে। এমন কি আমেরিকাও মনমোহনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছে। এর কারন আমাদের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পৃথিবীর একজন সেরা অর্থনীতিবিদ ও বটে। ভারতবাসী হিসাবে এট পরম গর্বের। চিদাম্বরন হার্ভাডের এম বি এ। অর্থাৎ পৃথিবীর সেরা বিজনেস স্কুলের ছাত্র। ভারতীয় হিসাবে সেখানে ঢুকতে গেলে অসম্ভব মেধাবী হতে হয়-কারন পৃথিবীর সমস্ত কর্পোরেট এবং বিজনেস লিডাররা এখানে পড়তে আসেন। ওবামা সহ আমেরিকার অনেক প্রেসিডেন্ট ই হার্ভাডের প্রাত্তন ছাত্র । প্রনব মূখার্জির শিক্ষাগত যোগ্যতা হয়ত এদের সমান না-কিন্তু তার মেধা এবং বুদ্ধিকে কে অস্বীকার করবে? ১৯৮৪ সালে ইউরোমানি ম্যাগাজিনের ভোটে তিনি পৃথিবীর সেরা ফাইন্যান্স মিনিস্টার নির্বাচিত হোন। এদের সাথে ভারতের বাকী রাজনৈতিক নেতাদের যোগ্যতার পার্থক্য এতটাই বেশী-সে আলোচনা করাটাই অর্থহীন।
এরা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বে কিভাবে এলেন এবং কেন বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের মতন লোককে আওয়ামী লিগ ঈর্ষার চোখে দেখে দূরে সরিয়ে রাখে , সেটার ও বিশ্লেষন প্রয়োজন। এর মূলকারন দ্বিস্তরীয় ভারতীয় পার্লামেন্ট-রাজ্যসভা এবং লোকসভা। মনমোহন এবং চিদাম্বরন এর মতন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যাক্তিরা কখনোই মাঠে নেমে রাজনীতি করে একটা দেশের মন্ত্রী হত পারবেন না। ডবল টায়ার সিস্টেম দরকার। যেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশের সুশীল সমাজকে নির্বাচিত করে রাজ্যসভার মতন একটা “অভিভাবক সভা” সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। এই অভিভাবক সভার মধ্যে দিয়েই কিন্তু মনমোহন, প্রণব এবং চিদাম্বরন এসছেন। বাংলাদেশের মতন এক টায়ারের পার্লামেন্ট হলে ইউনুসের মতন বিচক্ষন ব্যাক্তিত্ব কোনদিন ই বাংলাদেশ চালানোর সুযোগ পাবে না। ভারত যখন তার সেরা অর্থনীতিবিদকে দেশ চালানোর সুযোগ দিচ্ছে-বাংলাদেশের ও ইউনুস বা দেশের সেরা অর্থনীতিবিদকে সেই সুযোগ দেওয়া উচিত। সেই জন্যে আমি অনেক দিন থেকে বলে আসছি বাংলাদেশে দ্বিস্তরীয় পার্লামেন্ট চালু করতে যাতে সুশীল সমাজ দেশপরিচালনায় সরাসরি অংশ নিতে পারে।
পরিবারতন্ত্রের বিবর্তনঃ সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে শুধু গান্ধী বলে গালাগাল দেওয়াটা আজকাল মর্ডানিস্ট ভারতের লেটেস্ট ফ্যাশন। সোনিয়া গান্ধী ইটালিয়ান এবং খ্রীষ্ঠান-তাই হিন্দু বিরোধি-ইত্যাদি কুৎসা প্রচারও অব্যাহত। পরিবারতন্ত্রের আমিও বিরুদ্ধে। কিন্ত দুটো ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে
(১) পৃথিবীর প্রায় সবদেশের গণতন্ত্রে কিছু পরিবারের প্রভাব আছে। আমেরিকা এবং বৃটেনেও আছে। এটা আসলেই রাজতন্ত্র থকে গণতন্ত্রের বিবর্তনের ধাপে এসেছে। যা আস্তে আস্তে চলে যাবে। কিন্ত এর বিবর্তনটাও আমাদের দেখতে হবে। ২০০৪ সালে সোনিয়া গান্ধী কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদ মনমোহনকে দিয়ে নিজে পার্টির চেয়ারম্যান হয়েছেন। ৩০ বছর আগে এটা ভাবা যেত না ইন্দিরা গান্ধী, নিজে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেরে দেশের খ্যাতনামা কোন অর্থনীতিবিদকে প্রধানমন্ত্রী করছেন-কারন দেশ চালাতে সেই যোগ্যতম। এটা বাংলাদেশেও ভাবা যায় না, শেখ হাসিনা মহম্মদ ইউনুসকে যেচে প্রধান মন্ত্রী করছেন। বরং ইউনুস রাজনীতিতে নামবেন শুনেই শেখ হাসিনার ১০৫ ডিগ্রি জ্বর উঠে সুদখোর বলে ইউনুস বিরোধি ডায়ালোগ মারতে থাকেন।
এটাই কিন্তু বদলাত। ভোটারদের লাথি দুতিন-বার খেলেই বাংলাদেশের নেত্রীরা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্যে বাধ্য হতেন পার্টিতে দেশের কৃতি সন্তানদের নিয়ে আসতে। তবে তার জন্যে দ্বিস্তরীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশে আগে দরকার।
(২) ভারতে যেসব নেতারা সোনিয়া গান্ধীর বিরোধিতা করছেন তাদের চরিত্রটাই বা কি?
সোনিয়া গান্ধী যেভাবে প্রধানমন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দিয়েছেন-একবার না, দুবার, ভারতের কোন রাজনৈতিক নেতা সেটা করে দেখিয়েছেন? রাজনীতিবিদ মুখে কি বললো বা তার জাত,ধর্ম, দেশ, পরিবার দিয়ে বোঝা যায় না। ব্যাবসায়ী যেমন চেনা যায় টাকায়, লেখক লেখায়, তেমন রাজনীতিবিদ চেনা যায় ক্ষমতার সাথে সম্পর্কে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্যে আদবানী বনাম বাজপেয়ীর খেয়োখেয়ী কি আমরা জানি না? আর যেসব বিজেপির নেতা সোনিয়া গান্ধীর সমালোচনা করছেন, তারা প্রধানমন্ত্রীত্ব দূরের কথা একটা এম পি সিটের জন্যে পাগল! প্রকাশ কারাতের কথা ছেড়েই দিলাম। উনিত, নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে, ভারত বর্ষের চূড়ান্ত ক্ষতি করতেও রাজী আছেন। অথচ সোনিয়া গান্ধী, বিচক্ষন লোকের হাতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন-যার পরামর্শ গোটা পৃথিবী নিচ্ছে।
সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের হাল ধরার পর, কংগ্রেসের পারফর্মান্সটা কি এরা দেখছেন? এরা কি দেখতে পাচ্ছেন না, কংগ্রেসের গোষ্ঠিদ্বন্দ গুলি আস্তে আস্তে সোনিয়া গান্ধী পরিষ্কার করেছেন বেশ বিচক্ষনতার সাথে? এবং এই মুহুর্তে কংগ্রেস বিজেপির চেয়ে অনেক বেশী ডিসিপ্লিইন্ড। এই ডিসিপ্লিনটা রাজস্থানে কংগ্রেসকে জিতিয়েছে। বিজেপির যেখান বিক্ষুব্ধ পার্থী ছিল ৬৯, কংগ্রেসে ছিল গুটী কয়েক। মধ্যপ্রদেশে হারলেও রাহুল গান্ধী অনেক নতুন মুখ পার্টিতে এনেছেন। মোদ্দা কথা কংগ্রেস তরুন প্রজন্মের কাছে সব সময় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কংগ্রসে তাও রাহুল গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতন নতুন মুখ আছে। তারা আবার আরো নতুন প্রজন্মকে তুলে আনছেন। অন্যান্য পার্টিতে সব বাতিল বুড়োদের দল।
অর্থাৎ এই মুহুর্তে কংগ্রেসের ট্রাম্পকার্ড চারটি-
–ইস্যু ভিত্তিক রাজনীতি-প্রবলেম অনুযায়ী সল্যুউশন
—উচ্চস্তরের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পেশাদারদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা
–সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে, পার্টির সংগঠনে ডিসিপ্লিন
–রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে তরুন প্রজন্মের আশা আকাক্ষার কাছাকাছি পৌঁছানো
এবং এর কোনটিই কংগ্রেসের অবদান না। গণতান্ত্রিক বিবর্তনের পথেই এটা এসে গেছে। কংগ্রেসে সবার আগে এসেছে কারন তারা মধ্যমপন্থী হওয়াই অনেক বেশী ফ্লেক্সিবল। এগুলো বাকি সব পার্টিতেই আসবে। সব দেশেই আসবে। কিন্তু তারও আগে গণতন্ত্রকে সুযোগ দিতে হবে।
বিদ্রঃ আমি বাংলাদেশের রাজনীতি কিছু রেফারেন্সের জন্যে নিয়ে আসলাম। কারন গণতন্ত্রের বিবর্তন বুঝতে তুলনামূলক আলোচনা খুবই দরকার।
” think anger Awami league made a very bad decision thinking, BNP will rig the election. I wrote several analysis on Bangladesh that time and I don’t think, there was much of a chance of rigging to an extent that BNP could win election because farmers and common people were totally against them because of misrule.”
কথাটা একশো ভাগ সত্য। নির্বাচনে কারচুপি, রিগিং, ছাপ্পা ভোট জাতীয় ঘটনা ঘটতো
তাতে সন্দেহ নেই। তবে তা ১৫ কোটি মানুষের ব্যালট বাক্সের রায়কে উলটে দিতে পারত
না। বিএনপি বিরোধি anti-incumbency মনোভাব ছিল তুংগে। মহাজোটের
জয় ছিল অবধারিত। সব কিছু ভেস্তে গেল শেখ হাসিনার অদুরদর্শিতা আর একগুয়েমির
কারনে। সত্যি কথা বলতে কি হাসিনাকে আমার কখনই visionary leader
বলে মনে হয়নি। সাদা মাঠা, সুযোগসন্ধানি, ধান্দাবাজ, ক্ষমতালোভি রাজনীতিবিদ বলাটাই
শ্রেয়। আমি মোটামুটি বাংলাদেশি টিভি চেনেল গুলোতে ভোটের হাওয়া, নির্বাচনি আলোচনা
সমুহ follow up করি। গ্রামে গঞ্জে হতদরিদ্র মানুষদের যখন রিপোর্টাররা প্রশ্ন করছে,
” মিয়াভাই কারে ভোট দিবেন?” সবারমুখে একই উত্তর সত্ ও যোগ্য প্রার্থিকে। কি
আশা করেন প্রার্থির কাছে? সবারমুখে একই উত্তর, ‘ দ্রব্যমূল্যের দাম কমাইবেন, সহজদামে
বীজ, সার ক্ষেতের পানি দিবেন, সন্ত্রাশ গুন্ডা মস্তান দমন, কলকারখানা করে বেকারদের
চাকরি বাকরির ব্যবস্থা করবেন। প্রতিটি দাবীই জীবন জীবিকার সাথে বাচা মরার সাথে জড়িয়ে। কাউকেই আমি শুনিনি বলতে মসজিদ মাদ্রাসা চাই, ব্লাশফেমি আইন চাই,
ইসলামের শাসন শরিয়তের শাসন আল্লাহর শাসন চাই। এইসব গরিব মানুষদের চিন্তায়
রাজনিতি ঘুরপাক খাচছে নিজের জৈবিক অস্তিতকে ঘিরে। তাই এখানেও বিপ্লব সঠিক।
কারন এটাই সমাজবিজ্ঞানের কথা।
Source: Jaijaidin December 17, 2008, Wednesday.
From 1926 to 1936, there was a literary movement at Dhaka University, called “Budhhir Mukti” . Abul Hossain, Kazi Abdul Odud, Kazi Abdul Kadir, Abul Fazal, Kazi Motahar Hossain, Khan Bahadur Abdur Rahman Khan, Anwar Hosssain etc were the main people behind this noble mission. As usual, conservative muslims objected and created troubles for these freethinkers. And these free thinkers had to beg pardon publicly for their free thinking movement. Under threat, these freethinkers such as Abul Hossain, Kazi Abdul Odud etc left east pakistan (east bengal) and went to West Bengal. They spent rest of their life in West bengal and did their literary work. Unfortunately today’s Bangladesh is more intolerant and society is radicalised. So, the common people are in the religious blackhole. There is no “Mukti” for the common people. Kazi Abdul Odud, and Abul Hossain left east pakistan (east bengal) for their own dignity and “MUKTI”.
Once Mr.Jafar Ullah wrote why Amartya Sen’s father left Dhaka? Why religious minority people leave bangladesh?? Now, you got the answer.
I got to go.
Thanks.
বাংলাদেশের ফার্টালিটি রেট এখন ভারতের থেকে কম। আসলে এন জি ও গুলো আসাই শিশুমৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। শিশুমৃত্যু ঠেকালেও তাদের খেতে দেবে কে? এতদিন বিশ্বমার্রেটে চালের দাম কম থাকায় এটা সমস্যা হয় নি। কিন্তু এখন বিরাট সমস্যা আসছে। সুতরাং খাদ্য সমস্যা ফেস করলে এটা এমনিতেই কমে যাবে। শিশু জন্মালেই ত হল না-খাদ্য না পেলে সে বাঁচবে কি ভাবে? সেই সমস্যাটা বাংলাদেশ এত দিন অতটা ফেস করে নি। এখন বিশ্বমার্কেটে খাবারের দাম বাড়ায় করছে। এতে জন সংখ্যা এমনিতেই কমবে। চীনের মতন জ়োর করে করার কোন দরকার নেই। চীনে এখন কিন্তু রিল্যাক্স করেছে। যারা বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, তারা বিয়ে করলে সর্বাধিক তিনটি সন্তান নিতে পারে।
Taking the effective measures in birth control will go against some so called religious beliefs, that is why our big two parties will never implement any action regarding birth control. Because our big two parties are not that much strong in their ideologies nor they are much popular among the general people because of their past activities.
I would like to thank Biplab and Adil for this lively debate. This is indeed very interesting and informative. I would be happy if you (Biplob and Adil) could further extend their discussion on the following issue.
It is most widely and accepted that the democratic system is the best governing system yet found for mankind. Democratically elected governments usually do not take steps against mass public opinion. However, in certain issues, a government has to take some steps against mass public opinion for the sake of better future and security of a nation. As for Bangladesh, I believe the over-population and high growth rate is (and will be)the major obstacle for all kinds of development. Please do not take the issue to the developed world, I am considering only overpopulated nation like Bangladesh, India and some other Asian countries. As the population growth does not seem to have imminent impact, politicians in BD do not like to waste their time on it. The country already overburdened with population density and overexploitation facing real danger ahead. Had china not been implemented the one-child policy decades ago, it would have faced a severe problem by this time. Not only China itself but also the whole world economy would have been affected by overpopulated China. Due to undertaking and forcing the people with one-child policy, the population growth in china is about to level-off in the near future. China is under one party, authoritative rule for a long time and the party-leaders could foresee the danger of being burdened with people.
Biplob could be right that through a long and self-correcting democratic process BD can get a better governing system. However, for this long period, I think that politicians would not take effective measures or enforcing laws regarding birth control.
Sajjad
BC, Canada
তেল থাকলেই তেলের অর্থনীতি থাকবে তা না। হাইব্রিড গাড়ীগুলি বাজারে তেলের ডিমান্ড ৪০% কমাতে পারবে। এছারা ইলেকট্রিক কার এসে গেছে। আরো দশ বছরে, শহরে এগুলো খুব জণপ্রিয় হবে। তাতে তেলের ডিমান্ড কমবে আরো ৩০% মতন। সুতরাং মধ্যপ্রাচ্যে, যেহেতু ওরা তেলের টাকায় অর্থনীতি তৈরী করার বদলে শুধু মল আর মসজিদ করেছে-এবার ভুগবে। কারন এক্সপোর্ট কমতেই থাকবে।
We see that the extremist groups are using poor people like in Mumbai one terrorist, who was caught, was a labor and was paid only 4000 Rs. to do this kind of destructive things. So poor people can be used easily and the extremist groups take those advantages. For poor people nothing will work when money is given to their hands and they are using that money to buy their foods and have better lives.
আপনার শেষ কথায় যুক্তি আছে, যদিও সময় লাগবে। জামাতের তেলের পয়সা ছাড়াও শক্ত গনভিত্তি আছে, সাদা চোখে তা মনে হতে পারে খুব কম। কিন্তু অনেকেই জামাত কে মনে মনে সাপোর্ট করলেও তা মুখে শিকার করেন না। যুদ্ধপরাধীদের বিচারের ইসু উঠলে এনারা নানা রকম কু্যুক্তি দাড়া করান।
আরেকটি গুরুত্তপূর্ন ব্যাপার হল, দল হিসেবে AL BNP জামাত থেকে বেটার হলেও খুব একটা বেটার না। তাদের শাসনেও খুশী বা আশাবাদী হবার খুব বেশী কিছু নেই, মৌলবাদী শক্তির উথ্বানে এই ফ্যাক্টর অ কাজ করে।
I do not know whether oil reserve will end soon or, not. Does anyone know how much oil reserve is still there in the world? I heard that new oil fields are being discovered in middle east. I dont know whether its true or not. I talked with a KURDISH guy from Iraq who is studying at my University, and he said that there is enough oil. Please send me the links.
I know that Israel Denmark has taken projects for alternative energy used to run cars.
http://www.betterplace.com/
For biofuel there is research going on.
http://www.coskata.com/
But, there are different opinions about their success.
Please send me the links if anyone knows.
Thanks.
তেলের অর্থনীতি মোটামুটি শেষ। এবার মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা নিজেরা খেতে পেলে হয়। সুতরাং ধর্মের পেছনে যে টাকাটা আসছিল-আর আসবে না। এটা বন্ধ হলেই জামাত মুখ থুবরে পড়বে।
বাংলাদেশ পাকিস্থান হবে না উন্নততর গণতন্ত্রের দিকে যাবে তা নির্ভর করছে জনগন কতটা ইসলাম থেকে বেড়তে পারবে। এর জন্যেই ইলেকশন দরকার ছিল। পাকিস্থানে মৌলবাদিরা এবার খুব কম ভোট পেয়েছে। যারা ধর্ম ধর্ম করে, তারা বেশী দেখায় বলে দেশটা অতটা ধার্মিক বলে মনে হয়। গরীবদের পেটের জন্যে ধান্দা ছাড়া আর কোন ধর্ম নেই। আমি এব্যাপারে নিশ্চিত। এদের ভোট গণতন্ত্রে এলেই, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে, তারা এটা করা ছেড়ে দিয়ে ডেভেলপমেন্ট পলিটিক্সে যাবে। কিছু পরজীবি শিক্ষিত লোকের ধর্মের বাহার দিয়ে ঠকবেন না। পেটে ভাত না থাকলে ধর্ম থাকে না-এটাই হবে সফল বাংলাদেশের চাবিকাঠি।
Dear Mr. Adil Mahmood,
Thanks for your comment. I very much liked your thoght process.
Sometimes diversity is an advantage. If I look at India, between a tamil and a bengali, the language is different, food habits are different, culture is different, even the murthy they worship look different. In spite of all these differences among people of different states of India, these people remain under the banner of one country. So, people of india have to accomodate each other, tolerate each other, otherwise the country does not exist. Once I talked to one white American professor and told him that America has no culture. The professor lived in france for three years. Then we talked and agreed that may be since America does not have its own culture, that helped to develop a work culture. In case of Bangladesh it is one language, one culture. Even then, Bangladesh as a nation does not have any proper direction. Comparison between Bangladesh and West Bengal can be a fair comparison, because culturally its similar. Comparison between India and Bangladesh or, Tamil Nadu and Bangladesh is not a fair comparison. Another thing I realized, in general, people of Bangladesh are emotional and unrealistic. For example, one bangladeshi was saying Bangladesh shera desh and it is unique. Why (Keno). Because only Bangladesh can make muslin cloth. Another Bangladeshi is complaining why indian bengali tell that he is an indian first and then bengali. Indian bengali should tell he is bengali first and then indian. These are all childish complain and arguement. Being practical is also necessary. Proper education system is needed in Bagladesh, but unfortunately it will not happen because policy makers, leaders, people, all are in a mess (in the black hole).
Even for animals, we keep animals in zoo, we give them food and shelter. We dont kill animals. But, one section of Bangladesh is trying to get rid of non-muslims by troubling them directly or, indirectly. And, majority people are silent. But, in west bengal it is not like that. The communist government, despite all its flaws (Biplab can tell you the flaws of communist government), atleast the communist goverment tries to handle things in a secular (or, impartial) manner. Comrade Jyoti Basu did not visit temple and still was the chief minister of the state for more than twenty years. But, in Bangladesh all the leaders went to Mecca for Haj, and all of them went to the bank of Turag river for namaj. After Ayodhya incident (most likely), I saw on TV, Jyoti Basu gave a speech for few minutes, “You should maintain peace. No one should try to create violence. Shoot at sight order has been issued. If anyone dies, then its your responsibility”. That is it. Things worked. Even though Jyoti Basu did not visit temple then also people of west bengal voted him to power. West Bengal Chief Minister Budhhadeb lives in a two bedroom apartment. This is the difference between west bengal and east bengal. Religion. Religion is a sensitive issue. I dont want to offend people. Now, if I say these things, it may hurt the sentiment of some people. Religious indoctrination has taken place for a long time. There are OIC countries (islamic countries). State religion is islam. Personal religious belief is fine. The use of religion in state politics did not help to improve the condition of people. White christians also told me that they tried this idea of using religion and it did not work. Now, islamists (radical or, non-radical) are desperate to try an idea which has already been tried and failed. If some non-muslims tell this, then muslim people may not
like it. Conservative muslims may think that the non-muslims are doing conspiracy against them. So, reformist minded muslim people (practising or non-practising) or people having arabic name have to come out to address these issues. More later. I got to go.
Kind regards.
Truthseeker,
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধণ্যবাদ। ৭২-৭৫ এর আমাদের দেশে কি সেকুলার ছিল? আমার মনে হয় বলা ভাল যে ধর্মনিরপেক্ষ ছিল। এতে কোন সন্দেহ নাই যে কারন যাই হোক, ৭২-৭৫ আমাদের দেশ ভাল চলেনি। তার ছুতা ধরে অবস্থা করা হয়েছে আরো ভয়াবহ, যার মাশুল জাতিকে দিতে হবে বহুদিন। মানুশের পরিচয় ধর্মের ভিত্তিতে, এই ধারণা বেশ সফল্ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক, আম জনতা এই তত্ব দ্বিধাহীন চিত্তে গ্রহন করেছে। এর নগ্ন রুপ দেখা গেছে ২০০১ সালে দেশে হিন্দু ধর্মের লোকদের উপর নির্মম অত্যাচারের ঘটনায়। অত্যাচার থেকেও যেটা বেশী দৃষ্টিকতু লেগেছে তা হল জনতার বড় একটা অংশ এ ঘটনার নিন্দা করা তো দুরের কথা, বিশ্বাস ই করেনি। ধর্মনিরপেক্ষ AL নেত্রী হাসিনাকেও হিজাব পরে তসবীহ পড়া ছবি ছাপিয়ে ভোট চাইতে হয়েছে। নাহলে আর উপায় কি?
না, এর জন্য আমি BNP জামাতকে একচেটিয়া দোষ দেই না। দোষ সিঙ্ঘভাগ মানুষ যারা তাদের চাপানো অতি ইসলামী মতবাদ আনন্দের সাথে গ্রহন করেছে তাদের দেই। BNP জামাতকে একচেটিয়া দোষ দেওয়াটা অনেকটা “রেকর্ড দুর্নিতীর জন্য দায়ী শুধু কিছু রাজনীতিবিদ আর আমলা, আর আমরা বাকী সাধারণ মানুষরা সহজ সরল সত লোক” এর মত শোনাবে।
আমার মনে হয় না আমাদের জাতীয় চরিত্রে কোন নাটকীয় পরিবর্তন আসা ছাড়া স্বাধীণতা, গনত্নত্র।। তক্তাবধোয়ক সরকার…সংস্কার কোন কিছুতেই কিছু হবে।
কিছু হাইপোথিটকাল উদাহরনঃ নিজামী মসজিদে প্রবেশ করা মাত্র সাধারন মুস্ললীদের মসজিদ ত্যাগ। (৭৯ সালে গোলাম আজম আরো ভয়াবহ অভ্যর্থনা পেয়েছিল বায়তুল মোকাররমে।
একজন ঘুষখোর অফিসার বা রাজনীতিক, তার আত্মীয় সজন কেউ তাকে হুজুর হুজুর করে না, সবাই তাকে ঘৃণা করে। তাকে এমন কি কেউ ছেলের জন্মদিন মেয়ের বিয়েতেই দাওয়াত করে না…। (আমার ছোট বেলাতে এমন দেখেছি।।তখন যারা দুর্নিতী করত তাদের সামাজিক কোন মর্যাদা ছিল না)।
এগুলো কি কেই এখন কল্পনা করতে পারে?
বিপ্লব,
ইসলাম ধর্ম বিপন্ন এমন অদ্ভূত ধারণা মাথায় আসার জন্য শুধু ধর্ম ব্যবসায়ীরা দায়ী না, সাধারন মানুষ ও দায়ী। বুশ ইরাক আক্রমনের সাথে খৃষ্টান মুসলিম ক্রুসেডের কোন সম্পর্ক আছে? সম্পর্ক আছে তেলের, বস্তুবাদী স্বার্থের। মানুষ এই সহজ কথা না বুঝলে কে তাদের সাহায্য করতে পারে?
এটা ঠিক যে ৯১১ এর ঘটনা পুরো বিশ্বের সব যায়গার মত আমাদের দেশেও মৌলবাদীদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। এর জের এখোন পূর্ণ মাত্রায় আছে এবং সামনের বহু দিন থাকবে। তাই নির্বাচণ আসলে ইসলাম ও বিপন্ন হবে।
তবে ধর্মের নামে রাজনীতি কিন্তু গরীব দেশেই সম্ভব বেশী। এটা ঠিক যে একটা লেভেলের পর এই জোশ কমার কথা। বাংলাদেশে মনে হয় না সেই সময় এখনো নিকট। আমাদের অবস্থা এখন জি্যাঊল হকের পাকিস্তানের মত। তালেবান আফগান হয়ত কখোন হবে না, তবে পাকিস্তান থেকে খুব ভাল কিছু হবে বলেও মনে হয় না। পাকিস্তানের আজকের এই ভয়াবহ অবস্থার পিছে রাষ্ট্রীয় মদদে ধর্মীয় মৌলবাদের উথ্বান একটা প্রধান কারন। কিন্তু পাকি জনগনের কি খুব বেশী হুশ ফিরেছে? আমার তো মনে হ্য় না। আমার পার্সোনাল লেভেলের বেশীরভাগ পাকি এমন কি স্বীকার অ করে না যে তাদের কোন সিরিয়াস সমস্যা আছে।
তবে আপনার আপার হাউস তত্বটা কিছুটা আশাব্যঞ্জক।
Dear Mr. Adil Mahmood,
Many regards for your comments. You are realistic.
The key things are humanity, love, and respect to people etc. In this world, human beings came first, and religion came much later. Islam came to Bengal mainly due to the socio-economic, socio-political reasons, may be to some extent the spiritual appeal of sufism. At that time, the social oppression, caste systems etc had socially and mentally isolated one section of people. (Mon thekey durey shorey jaoa). The rulers and landlords oppressed people. Indian rulers were also fighting among themselves. Due the oppression, lack of love, and unequal treatment, the common people mainly in the lower social and economic strata, took an alternative route and that is islam. At that time the people of Bengal who took islam, did not know Arabic, they did not read Quran and Hadith before taking islam, and they did not know the violent verses of Quran and illogical reasoning of Hadith. World has come a long way. Today, after hundreds of years, people have got western education, the science and technology have developed a lot. People like to think logically, analyze things, and then they decide.
Based on the two-nation theory, Pakistan and India came into picture in 1947. East Pakistan was also an islamic country from 1947 to 1971. From 1947 to 1971, the education in East Pakistan was distorted education, and communally biased education. From 1947 to 1971, the turmoil in East Pakistan, you people know that part. Though the majority people of West Pakistan and East Pakistan are muslims (practicing and non-practising muslims), they could not stay together. So, even if the religion is the same, then also they could not stay under the banner of one country. The concept of two nation theory based on religion failed. Sheikh Mujibar Rahman and other wise leaders and their activities finally gave birth to Bangladesh as a secular state in 1971. 30 lakh people died in that genocide. From 1971 to 1975, the educational program of Bangladesh was secular and proper education. From 1971 to 1975, there was practice of mukto-chetona in Bangladesh. After 1975, Bangladesh lost its secular character. After 1975, the education is again communally biased, and distorted education. Chances do not come always. Some of the incidents are turning points in our lives, turning points in case of a nation’s history. 1971 was a such turning point for the people of Bangladesh. But, Bangladesh decided an “Islamic Identity”. When a country is Islamic, then definitely that country has to be ruled by following the laws of Quran and Hadith.
There are few progressive reformist minded western educated muslims (practicing or non-practising) who understand the root cause of the problem. But, these people are very few compared to the total population. They are able to write and discuss openly, since they are in the western countries. Understanding theories and to practice them in reality are very different. “Bastob vishon alada”. Religious indoctrination has taken place for a long time. Sometime in 1930, in Dhaka University there was a discussion about “Budhhir Mukti Andolan”. Good thinkers, like Prof. Odud was there. If Dr. Biplab Paul sits in Pakistan or, Bangladesh and wants to write what he writing sitting in USA, he will be killed. In islamic countries, the system is not conducive to openly practice free thinking. If Prof. Kabir Chowdhury or, Shariar Kabir in Bangladesh tell the truth about religion, then people will call them “enemy of islam”. Dr.Biplab Paul is thinking theoritically and he is optimistic. Biplab’s analysis is definitely good though. People of Bangladesh live in darkness. How many people from Bangladesh can come to the western countries for survival. All the people of Bangladesh can not move to the west.
We know the problem. But, what is the solution? For solutions, muslims (practicing and non-practising) have to speak out with modern thinking, logical, scientific, rational thinking (Adhunik chinta, chetona, biggan monoshkota).
If all the verses of Quran and Hadith are not suitable today, then there is no necessity to follow Quran and Hadith word by word. Muslims have to think what they want to contribute to the humanity, to the science, arts, literature.
Then only, muslims will progress. Otherwise,
non-muslims all over the world will consider islam as a threat to humanity.
I feel good if the Bengali people come out of the black hole created by unrealistic religious fanaticism, socioeconomic, and sociopolitical reasons.
My writing is not very organized, but I wanted to send the message.
Thank you all.
‘৯৬ ইয়ে বি এন পির হেরে যাওয়াটা ছিল এন্টি ইনকাম্বেন্সি। তাদের আদর্শবাদের পরাজয় নয়। আমার ধারনা ২০০৬ সালে ইলেকশ হলে-ওদের ভরাডুবি হত। সেটা ‘৯৬ ইয়ে হয় নি। রাজীবের কিন্তু ভরাডুবি হয়েছিল-৪২০ থেকে ১৯৭। ধর্মভিত্তিক ভোট ব্যাঙ্ক কখনোই স্টেবল বেস নয়। যারা ইসলামের জন্য বিনপি কে ভোট দেয়-তারা দুদিন বাদেই সেই ভোট টা জামাতকে দেবে।কারন শুধু ইসলামের ওপর ভিত্তি করে একবার বা দুবার জেতা সম্ভব। ২০০১-২০০৬ সালে খালেদা জিয়া আরো ডেসপারেট হওয়ার অন্য কারন আছে
(১)২০০১ সালে ৯/১১ পরে গোটা বিশ্বজুরে ইসলামকে নিয়ে যে কাঁটা ছেড়া শুরু হয়, তাতে অধিকাংশ মুসলমানরাই বিপন্ন বোধ করে। প্রায় সব মুসলিম দেশেই এই সময়ে ইসলাম বনাম প্রগ্রেসিভদের লড়াই চলেছে-এবং রাষ্ট্রশক্তি তথা রাজনৈতিক শক্তিগুলি নিজেদেরকে ইসলামের রক্ষক এমন একটা ইমেজ তৈরী করার চেষ্টা করেছে। বি এন পির সময় হিন্দুদের তাড়ানোটা অনেকটাই রাষ্ট্রীয় মদতে ভিটে মাটিদখল করার প্ল্যান। সেটা রাজনৈতিক বৈধতা পায় কারন বি এন পি ধরেই নেই এতে ডবল লাভ-আওয়ামী লিগের সাপোর্টার কমবে+ইসলামের সেবকদের খুশী করা যাবে।
(২) ইসলাম বা হিন্দু ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে-তাদের ৯০% লেখা হচ্ছে এই ধর্ম গুলী কত বিপন্ন এবং তা সত্ত্বেও পৃথিবী জুরে লোকে এই ধর্ম গ্রহণ করছে-এই সব ধাপ্পাবাজি। আসলে ত ধর্ম টাই ধাপ্পা বাজি-তাই ধর্ম বিপন্ন বলে সুরসুড়ি দেওয়া মানে হল “তোমার অস্তিত্ব ও বিপন্ন”-এই জাতীয় ভয় মনে ঢোকানো হয়। এটা এক দুবার চলতে পারে। গরীব দেশে লোকেরা পেটে ভাত না পেলেই ধর্ম সুরসুড়ি সুরসুর করেই পালাবে। এটাকেই গণতন্ত্র দিয়ে নিশ্চিত করা উচিত।
(৩) বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বড় দুর্বলতা হচ্ছে আপার হাউস বা একটা অভিভাবক সভা না থাকা। বাংলাদেশে সিটীজ়ী ভোট আসার আগে তৈরী হয়। ফলে ক্ষমতাসীন দল, এটাকে ম্যানুপুলেট করে। এর থেকে রাজ্যসভার মতন অভিভাবক সভা তৈরী করা উচিত সংবিধান সংশোধন করে। রাজ্যসভা বৈশিষ্ঠ হল এটা পার্মেনেন্ট-দুবছর অন্তর ৫০% মেম্বারকে পরিবর্তন করা হয় নতুন ইলেকশন করে। ফলে হঠাৎ করে ভোটের আগে কোন দলের স্বার্থ সিদ্ধির প্রশ্ন ওঠে না। কারন, এইসব বুদ্ধিজ়ীবি মেম্বার রাহলেই দুবছরের পুরানো পাপী-যাদের কে লোকে দুবছর ধরে চেনার সুযোগ পাচ্ছে। আর এটা একটা ধারাবাহিক পদ্ধতি-হঠাৎ করে একদিনে উদয় হচ্ছে না। তাছাড়া অভিভাবক সভা যেহেতু বুদ্ধিজীবি পরিচালিত-সেহেতু সরকারের সমালোচনা এরা করতে পারে। অবশ্য চাটুকারে বাঙালী ভূমে, বুদ্ধিজীবিরাও চাটুকারদের বেশ্যা সংস্করন। সে সমস্যাটা থাকছেই।
তবে হ্যাঁ, গণতন্ত্রে নেতারা কিন্ত মানুষের প্রতিফলন। মানুষ না বদলালে, নেতা বদলাবে না। সেই পরিবর্ত্তন লেখা পড়ার মাধ্যমে আসবে বলে আমি দেখি না। সেই পরিবর্তন আসবে পেটের জ্বালায়-যদি পেটের জ্বালাটাকে ভোটবাক্সে রূপান্তরের প্রসেসটা চালু থাকে।
বিপ্লব দাদা,
আমিও Truthseeker এর মতই মনে করি যে আপনি well wisher হিসেবে আমাদের ব্যাপারে খুবই পজিটিভ। তবে আপনার analysis অনেকটাই থিওরিটিকাল, practical na. তাই আপনি রাজীবের সাথে খালেদার তুলনা করতে পারেন। খালেদা যদি ভুল থেকে শিক্ষা নিতেন তার সেই শিক্ষা ৯৬ এর পরই তো হবার কথা ছিল। ৯৬ সালে তাকে একরকম ছুড়ে ফেলাই তো হয়েছিল। কি শিক্ষা বা সংশোধন আমরা দেখলাম? তিনি হলেন আর ও বেপরোয়া। তার ১৯৯১ এর সরকার কে ২০০১ এর তুলনায় বলা যায় দুধে ধোয়া তুলসী পাতা। তিনি ৯৬ থেকে দুটি বড় শিক্ষা পেয়েছেন, এক, জামাত ছাড়া তাদের AL কে টেক্কা দেবার কোন উপায় নেই, দুই, EC থেকে শুরু করে পুরো প্রসাশন নিজ দল দিয়ে গড়া ছাড়াও গতি নেই। আপনাদের নেতাদের শিক্ষা আর আমাদের নেতাদের শিক্ষার পার্থক্য একটু পরিষ্কার হল? ওনারা যত শিক্ষা নেন, আমাদের তত দুর্ভোগ বাড়ে।
জী হ্যা, আমি বিশ্বাস করি যে বাংগালী আর ভারতীয় অন্য ethinicityr মাঝে পার্থক্য অনেক আছে। তাই স্বাভাবিক। এখানে দেখেছি যে উত্তর ভারতীয় আর দক্ষিন ভারতীয়দের মাঝেও পার্থক্য আছে। আরো চোখে পড়েছে যে WB কে অন্য ভারতীয়রা একটু অন্য চোখে দেখে। সেটা কিন্তু পজিটিভ না। আপনিও কিছু কিছু কারন এর মাঝেই বলেছেন।
আরেকটি ভাল পয়েন্ট তুলেছেন, ইসলামের অপপ্রয়োগ। এটা বলা যায় বোনাস, গোদের উপর বিষ ফোড়া। বিনপি তার সৃষ্টি থেকে নিজেদের সফল ভাবে ইসলাম রক্ষাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। যা দিয়েছে তাদের একটি warranted Vote bank. আমাদের দেশে সেই কারনে Anti-AL ভোট আছে, Anti-BNP ভোট নেই। WB er BJP supporteder মতই এদের বেশীরভাগ ই তা স্বীকার করেন না। আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল, দেশ বিক্রি করে দেবে জাতীয় উদ্ভট যুক্তি দাড়া করান। এই জোশে জার জন্ম ৭৫ এর পর সেও উত্তেজীত ভাবে তার জন্মের আগে ৭২-৭৫ এ AL কত জঘন্য কাজ করেছে তার নিখুত বর্ন্ণা দিতে পারে, কিন্তু চোখের সামনে BNP র আরো বড় অপকর্ম উদাসীনভাবে নেয়। বড় জোর বলে দেয়, সব ষড়যন্ত্র, আওয়ামী media..Indian RAW….কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবিদের চাল। এই রোগ থেকে মুক্ত্রির কোন সহজ উপায় আছে? ফলাফল, ভারত যত secuarism ba neutralism দিকে এগিয়েছে আমরা তত foundamentalism দিকে যাচ্ছি।
তাই সংঘাত বাধছে সেই চিরন্তন বাংগালী চেতনার সাথেও। ১০ বছ্র আগেও কেউ সাহস করত না রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে শহীদ মিনার।।শিখা অনির্বান” ভেঙ্গে “পুজ়া” করা বন্ধ করার।
কিছু মানুষ চেষ্টা করেই যাবেন স্রোতের বিরুদ্ধে, কিছু সাময়িক ফল ও পাবেন, তা প্রয়ো্যনের তুলনায় কিছু না। আমি হতাশাবাদী না, আশাবাদী, কিন্তু একই সাথে অবাস্তব আশাবাদী না, হলে তো নিজের দেশ ছেড়ে সারা জীবনের জন্য বিদেশে থানা গাড়তাম না।
Although origin of a nation is based on idealism, I do not see politics based on idealism like Islam and Hinduism can survive scrutiny of evolution. No way. Do not think Bangladesh as separate static system. Is their genetic print any different than Indian? No way. Then anthropologically, sociologically, Scientifically, how Bangladeshis are different than India and rest of the world? Islam? Bengali culture?
That’s not how you would think. Think all of us are actually very material being in need of food and education-and that will drive Bangladesh-neither Islam nor Bengali culture will drive it-it will be driven by the human being’s biological religion to raise the kids and give them a better future. It is not an issue of chetana but inherent seed of human society, that would set the motion for a better Bangladesh. “Chetana” is required to understand the material self inside so that veil of idealism like Hinduism or Islam can not fool you and you demand more for your material survival in democracy.
গণতন্ত্র রক্ষায় নাগরিক সমাজের ভূমিকা নিয়ে আজ আনন্দবাজারে একটি সম্পাদকীয় লেখা হয়েছেঃ
http://www.anandabazar.com/13edit1.htm
এই সম্পাদকীয়তে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে নাগরিক সমাজ়ে ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করা হয়েছে। বিশেষত মিজোরমে-যেখানে চার্চের লোকেরা অবাধ নির্বাচনের জন্যে ভোটকেদ্রের সামনে নজরদারি করেছে-সঙ্গে পুলিশ ত ছিল ই। সব থেকে বড় কথা ভোটের আগেই মিজোরমের নাগরিক সমাজ দুই পার্টিকেই সতর্ক করে দেয়-সমস্ত ভোট বিধি মানতে হবে। ফলে এবার সর্বাধিক ভোটার মিজোরমে ভোট দিয়েছে এবং এরকম অবাধ নির্বাচন সে রাজ্যে আর হয় নি। মিজোরম থেকে সবাই শিক্ষা নিতে পারে। নাগরিক সমাজের কাজ হবে কোন পার্টির সাথে না থেকে, নিজেদের ই নির্বাচন কমিশনের এক্সট্রা উইং এ পরিণত হওয়া। বুথে বুথে ভোটের দিন পাহারাদারি করা এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে এই ধরনের প্রচেষ্ঠাকে সাধুবাদ জানিয়ে, তাদেরকে পুলিশ দিয়ে প্রেটেক্ট করা।
গণতন্ত্রে জনগনের শক্তি।আসল অন্য কেও এসে ত গণতন্ত্রের প্রব্লেম সলভ করবে না। সেটা যদি এক্সপেক্টেশন হয়, মিলিটারী আসবেই। জনগণকেই পথে নেমে সমাধান করতে হবে। যেমনটা মিজোরা করেছে। মিজোদের মতন আদিবাসি উপজাতিরা যদি এই ভাবে পথে নেমে গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারে, সাংস্কৃতিক অর্জনে গর্বিত, উন্নত সভ্যতার দাবিদার বাঙালীরাই পারবে না কেন?
Rajib Gandhi and Khaleda Zia at the same scale? Give me a break.
Yes, in the long run probably the 1-11 incident of Bd. would make the situation even worse particularly it will make the politicians more desperate, no doubt. Now they have a clear impression that they are above all law in Bd. , none can touch them & assume the absolute immunity.
However, if the election would’ve happened then another BNP-Jamat rule without any challenge. AL couldn’t do anything other than some sporadic hartal/jalao porao…meaning more loss of innocents. Especially at that time the country was literally on a verge of civil war. I can’t imagine how many lifes would’ve gone during just the course of the election…
I would interpret the incident; the ovetaking of the Iazuddin Govt. by the present CTG was fully supportable to save the country from the immediate blood shedding and danger, then people of Bd. should’ve utilized the opportunity of trash their favourite corrupted leaders for good. Shouldn’t show any sympathy other than uncompromised hatred wihtout any reservation.
We are awfully failed in the last part. So, the failure is not the process of the current CTG, it is more our defeat who can’t ever think national interest impartially. If the current CTG would see unquestionable support in their anti-corruption movement then this situation would’n happen and we could’ve got a fresh jump start and the future politicians would always think twice before involving in desperate corruption.
Though I have serious doubt whether we’ll ever get honest leaders by any way; no I don;t expect leaders like the west, but at least like India? Sorry…I was born there and spend most of my life among them.
Hi Mr. Adil Mahmood,
You are right. I talked with my Professor uncle, whether secular democratic Bangladesh with good governance is going to happen soon. He replied that in case of Bangladesh there are so many “Ifs”. Then my uncle said the same proverb which your Mother said ” Jar hoi na noi bochorey, tar hoi na nobboi bochorey”. Some good hearted people will always try. But, these good people are in a boat against the tide. They are very few in number. Actually, our family moved from East Bengal to India. We have practical experience. We know the reality. 30 Lakh people have been killed in 1971. The biggest genocide. I lost my grandfathers and other relatives. I have has never seen them. In 1971 it was the test for bengali secularism versus radical islam etc. Bangladesh not yet passed that test. 37 years, a long time. The country does not have any direction. See the national flag of Saudi Arabia. There is only one God and it is Allah. We have to respect every human being despite their religious belief, or non-belief. We are taking pride about our great bengali culture!! The state has to treat every human being equal. Biplab is thinking out of goodness of his heart. Expecting good things are always good. Some good people will always try, and the “Bangali Chetona” will remain. So, there will be “Poila Boishak” and “Ekushey February”, and “Boi Mela” etc. That is it. Ar etuku jodi na thakey, taholey to ar kichui roilo na. This is the minimum. The progressive minded muslims (practising, or non-practising) are writing, because they are siting in the western countries and then writing. In Bangladesh, they can not write openly. Let us hope for the best. Ami choli. Shobar bhalo hok. Shanti.
Regards.
See you are supporting my argument. I wrote in my article that these leaders need to be punished by the voters in fair election. That is the only punishment they can be afraid of. Rajib Gandhi became a dictator with 420/540 majority in India in 1984. He lost in ’89. He realized his mistakes and learned hard ball of politcs.
Things and trends are never permanent. When people would figure out , the very people who speak “khoda hafez” many times and show religiosity are the kind of people who are in reality more corrupt-dishonest–the perceived valuation in society that they gain from religigious behavior, would decline and may turn negative. Like in WB, openly not many would admit to be a BJP supporter because then we call them “Chaddis” -means people of low intellect. So may be in Bangladesh, with evolution time will come, when people would evaluate these people with religious zeal with people of low intellect and morality-that perceived valuation will change the society. It can not happen in any other way.
people with strict moral priniciple
and honesty” – Among the bengalis?
Bingo!!!
here is the root cause behind all…..
Sorry to say that we the bengalis are exactly what you just mentioned – “chamcha type” by character.
I can assure you that we’ll never have TN Sheshan in Bd. Narsima Rao had to stand in the court when he was the PM for using Govt. helicopters in election campaign. Few months back I saw that a Tripura provincial minister was fined while traveling in the train without fare. Can anyone expect that in Bd.? Also Dr. Yunus won’t be able to lead us like Monmohon either. He tried to get into the politics but but was awfully rejected by the “Shushil Shomaj” who are nothing but the chamcha of the big 2 parties. We, the mass population are among that Shushul Shomaj who shed crocodile tears for the corruption and tyrrany of the big 2 parties but eventually want only them into the power.
We may accept punishment of Giasuddin Mamun like 3rd class dacoits, but can’t digest punishment of Madam, Apa or Bhaiya.
Funny thing is this so called “shushil Shomaj” held conference..write nerve damaging articles.. and have long breath hoping for an altertaive of the big 2s. How hypocritical we can be! In our mind, we the Bangladeshis still aren’t mentality prepared to accept anyone else other than the same 2 biggies.
Current CTG also realized that, that’s why all of a sudden the wave of the mass corruption cases started taking 180 degree turns. Te CTG are human being, have to stay in Bd.. with their families. Who wants to fight with the crocodiles of the river where they have to co-exists? No wonder CTG advisors now have to chase Khaleda’s home to take her opinion whom they sent to jail for serious corruption charges.
Ultimate result? Even worse. These corrupted leaders will now be more desperate as they are now court certified “honest” leaders who had to go to the jail due to their great “public service”. All conspiracy…..This corruption corruption game also showed again how porous the Bd. Justice system is, how Govt. can manipulate it as much as they like. Just few months back, there was almost no bail for the same charges then now…all are coming out on bail at the same charges….
I always see that the West Bengalis are over excited with us, probably they feel a fellow feeling towards us and have great respect for us as they closely witnessed the 71 war. Sadly, there is monumental difference of expectation and the reality.
My mom used to say a phrase when I was kid; “Jar 8 e hoy na tar 80 teo Hoy na”. We always have to be optimistic, but that mustn’t be unrealistic. Don’t compare Bd. To India just because it is “democratic”.
Both Mr. Pal and Mr. Mahmood are right, but where is the solution? We want to hear neutral discussions, because I think there are some contributions from AL towards the failing of the success of democracy in Bangladesh. The problem is when we are biased with the parties in Bangladesh, we specially Bangladeshies don’t like to criticize our own party. I like to hear fair unbiased judgments from both.
But I think criticizing one another will not definitely give us a solution but it may open people’s eyes where is the problems. Now in Bangladesh, middle class people’s behaviors have been changed from what we saw before 1990. Like wearing borkha/hejab, talking too many times ‘alhamdulillah/inshallah’ transferring word ‘khoda-hafez’ to allah-hafez ..so on.. are not good signs at all towards achieving the democracy. I am not a good writer, but you know what I am talking about.. just lack of progressive minded people. The behaviors of two main parties in Bangladesh (particularly in AL, because the other one already has a tie with Jamat) are not showing any symptoms to remove these trends what was going on in Bangladesh.
But at least through this process, now I hope BD has an EC which will be more trust-worthy. In India, T N Sheshan reformed EC to such a new height, electorates now have more faith on democracy and its process. Let wait to see a T N Sheshan in Bangladesh. And that is where may be India has advantage-I think to have a person like T N Sheshan among Bengalis is difficult but among Tamils, it is more typical. Bengalis are more “chamcha type” by character. But I am sure in Bangladesh too, people with strict moral priniciple
and honesty, one day will lead EC-which is minimum requirement for democracy.
Biplob,
It was not only AL that they suspected. The partialty of the EC/CTG was so prominent that the 4 advisors had to resign from the CTG govt. This should tell something.
Mass opinion is one thing and election rigging is a totally different thing. Yes, at that tie people were fedup..mass opinion was aganist BNP in general. That was well superceeded by the CTG and the EC.
In the same Bd. we witnesses many of such elections so we know by our heart.
Anyway, have some fun; a video of a top BNP leader Khondakar Delowar.
http://uk.youtube.com/watch?v=WHtv_67o7DE
I think anger Awami league made a very bad decision thinking, BNP will rig the election. I wrote several analysis on Bangladesh that time and I don’t think, there was much of a chance of rigging to an extent that BNP could win election because farmers and common people were totally against them because of misrule. See if you talk to any Indian, you may find beating BJP is impossible thing to do as you would ever come across any Congress supporter among NRI or even in upper middle class Indians. Because supporters of nationalistic party in every country are very vocal to make other know that they are “patriotic”. Same is also true with BNP supporters in Bangladesh. But don’t be fool by that. Majority of the voters in Bangladesh and India are poor or poor middle class-they are not like these parasite educated class. They need to make a living and they know what it takes to make a living from daily to daily basis-you can not fool these working class by Islam or Hinduism or by nationalism. They are true building blocks of democracy and not these fat educated parasite section of Bangladesh and India who speak so vociferously against neighboring countries to boost their nationalism and hatred against other religion. Common poor mass are well aware of these people with vested interest-it is just that they need to be allowed to vote freely. Common people want food and education. They do not want Hinduism or Islam. It is a wrong perception-extremely misleading thinking because normally even 90% people would not speak against their religion fearing isolation which would be very hard on them because they earn from society.
My experience with poorest of poor people in India taught me that they understand religion is being exploited for politics and religion can not feed them. It is that they can not speak out because they are economically totally dependent on a small section of a people who are keeping their power in the society by using religion as tool.
Dada,
Democracy? Yes, by paper. We are now free to elect who would suck our blood for the next 5 years through a fair election.
Experiement? May be…and can say for sure that this experiments will be going on forever.
Had enough already. Also got 3 big break through:
1. 1971 – Independence.
2. 1990 – Initiation of true democracy.
3. 1996 – Caretaker Govt. System
Where is the limit? Sky…
Many people think from their bitter experience that experiment of democracy has failed in Bangladesh, but that is not true. Indeed Bangladesh has more democracy than West Bengal but may be less than India.
Biplob,
Theoretically I do agree with you, there is no shortcut…it takes successive elections..lesson learned like trial and error process.
Also. Bd. didn’t get either the independence or democracy easily. They had to sacrifice a lot…
However, let me ask you; do you believe that if the election woul’ve happened in 2007 under the then CTG and EC then by anyway BNP would’be kicked out like you claimed? No way.
It was chrystal clear that they would’ve got another “landslide Victory” and they even started saying piublicly that they wouldn’t let anyone else to be in power over the next 25 years.
The Ec of 2007 was not just biassed, that was totally partisan. Better to say, “Jatiyotabadi Election Dol”. Not only EC, BNP had modified the entire administration starting from the root level (thana) to the secretary levels as their partisan folks, even the judges of the supreme court. What would you expect?
You may say that well, they could’vbe won….but democracy loving people woul’ve lodged mass movement aganist them like Ershad movement.
That wasn’t possible either. Like I said before, both big parties have their fixed vote banks, majority of the population wouldn’t lodge movement aganist BNP. Even at that time, I rarely find any BNP supporter (no matter what their education level is) crticizing BNP’s horrendous plot, their corruption…Politics in Bd. is also like religion. Especially, for the BNP Jamat supporters, as these parties are more fanatic, so do their followers.
My very naive comment is, system itself is not the key. They key is who are using the system. If the political parties are evil, then no democray or fair election will work, that’s what exactly happening in Bd. Yes, all 3 elections were fair. We got in 91 a BNP Govt., that was bad…but kind a OK.
Then in 1996, AL, wan’t that bad..but got some unnecessary bad names especially due to their VIP terrorists.
Then in 2001 BNP led alliance…simply a nightmare..
So, the trend was downward. Sorry, but our evolution was going from human to ape, not the other way.
Here is the difference between India and Bd./Pak. In india if the Army wants the power then I’m sure that they won’t find any supreme court judge to take the oath. Whereas in Bd., anytime the martial rulers didn’t face a least problem to find their co-horts.
I can say for sure that unless we can change our national character genetically then the situation of 1996..2007 will come on a regular basis.
Bangladesh is really an exception!
A unique case….
yes, I know civil society in Bangladesh will not agree with me but my point being, democracy is a sort of swiming experience-unless you have experience of being drowned, you do not learn swiming. Hasina and Khaleda, both of them would have come out matured in the process in long run. Also, election commission would have evolved to better one. Given India in 1975, election commission was not neutral but very much favored Congress. But evolution of democracy changed it in ’90s. In Bangladesh such change would have been even faster since both parties have nearly equal power.
We all love short-cut, sweetly managed way to a performing democracy. It does not happen that way. It only happens through successive fair elections. And even with problems, Bangladesh election in 91,96 and 2001 were fair compared to elections in India during 50-75 where Congress took some advantage. So please look at evolution and do not expect everything to be fair and good in a short time. In democracy things happen slowly but surely with more rebustness and the change is not imposed but comes from ‘within’. This power of ‘within’ in democracy is what I have talked about.
I strongly agree with the comments of Mr. Adil Mahmood. Anyway, I liked this kind of discussion from Mr. Pal and hope he will be continuing this kind of writings in future.
The fact of the article is contemporary and realistic.Need more more details how the redicalism couls be encountered and eleminated.
Thanks for the article.
I’m very surprized to see that Mr. pal apparently is not aware of the reality in Bangladesh. Though democratic; but there is a huge difference bet’n Indian and Bd. democracy. Mr. Pal can’t imagine how the election commission can be manipulated nakedly by a particular party.
If the election woul’ve taken place in 2007, then there was no way to resist BNP’s “Landslide Victory”. How the biassed the then Iazuddin led caretaker Govt. and the MA Aziz marked EC even a kid in Bd. knows very well. More frustratingly, unlike any other democrating country, BNP would’ve got a large number of supporters who wouldn’t mind such rigging to see their favourite party in the power again.
Blind supporters of Bd. politics is unique. Though it may look like that AL lost to BNP in 2001 greatly, but if you look at the total vote counts then there is a surprise. Same trend can be found also in 1996 election. This simply means that in Bd. both party have a strong base of blind supporters who would vote them under situation.
Aganist Mr. Pal’s theory, again Bd. is an exception. Since 91, the apparent real democracy started there, we got 3 elected Govts. They were all fairly elected with little exception, but the quality of governance diminished from successive Goverments. The last BNP led 4 party Govt. was the extreme.
I also don’t like the military influence in the politics at all, but sadly had to concur that in 2007 their interefernce was an must. Otherwise we would’ve got another BNP-Jamat govt. with bruit majority for sure. At the end though it won’t make any difference.
Anyway, thanks for another good writing.