মুম্বাই এ ফিদাইন হানা – একটি বিশ্লেষণ
-বিপ্লব পাল
গোটা বিশ্বের চোখে এখন আমচি মুম্বাই। ৯/১১ এর পর আজ আরেকটি কালোদিনের সাক্ষী গোটা পৃথিবী। ভারতে এই বছরেই একের পর এক সন্ত্রাসবাদি আক্রমন হয়েই চলেছে। ভারতের গুপ্তচর সংস্থাগুলির অস্তিত্ব আদৌ আছে কি না তাই নিয়ে সবার মনেই আজ বিরাট প্রশ্ন চিহ্ন। ইস্রায়েল এবং ইরাকের থেকে ভারতের কোন পার্থক্য রইল না।
প্রথমে আসি আত্মঘাতি জঙ্গীপনা বা ফিদাইনদের কথায়। প্রায় ৫০ জন ফিদাইন জ়ঙ্গী সবমিলিয়ে ৫ টা বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক আক্রমন করল-অর্থাৎ এরা মিডিয়া এটেনশন চাইছিল। সেই দিক থেকে তাজ এবং ওবেরয় হোটেল আক্রমনে- উদ্দেশ্য শতকরা ১০০ ভাগ সিদ্ধ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই সব তরুন যুবকরা কেন আত্মঘাতি পথ বেছে নিচ্ছে? এটাত কোন বস্তুবাদ দিয়ে ব্যাখ্যা হয় না। একমাত্র স্বর্গের লোভেই ফিদাইনরা প্রাণ দিতে পারে। কোন সুস্থ লোককে ১০০ বিলিয়ান ডলার দিলেও কি সে আত্মহত্যা করবে? গ্রুপের স্বার্থে আত্মবিসর্জন প্রাণী জগতে বিরল নয়- তবে এখানে সেরকম কিছু দৃষ্টিকোন খুব কষ্ট করে বার করতে হয়। গুজরাটের ২০০২ সালের দাঙ্গা দিয়ে, তারপর ঘটে যাওয়া প্রায় ত্রিশটি জঙ্গী হানার কোন ব্যাখ্যা হয় না। কারন সন্ত্রাসবাদিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাকিস্থানি। এমনকি তাদের সাথে জোটা ভারতীয় সংস্করন “ভারতীয় মুজাদিহিন” দের মধ্যে গুজরাটি মুসলমান কোথায়? তাহলে প্রশ্ন উঠবে ইসলামিক ভাতৃত্ব বোধ থেকেই ভারতে প্রতি মাসে একটা করে সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ করে, গুজরাটের প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে। এটাও অতিসরলিকরন।
আমি মনে করি না এই পৃথিবীতে কেও মরতে চাই। ফিদাইনরাও চাই না। পার্থক্য হচ্ছে তারা ভাবে স্বর্গের অনন্তসুখ হাসিল করার জন্যে -খোদার খাসি হওয়া খুব জরুরী। এই জন্মের পৃথিবীটা একদম অর্থহীন। যদিও এরা মুসলিম বলে মনে হতে পারে কোরান থেকেই তারা এধরনের অনুপ্রেরনা পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে একথাও মনে রাখা উচিত পৃথিবীতে সব ধর্মেই ইহকাল অপেক্ষা পরকালেই পুরষ্কারের ওপর অনেক বেশী জোর দেওয়া হয়েছে। কোরান কোন ব্যাতিক্রম কিছু নয়। তাহলে প্রশ্ন উঠবে ইসলামে আত্মঘাতি সন্ত্রাসী বেশী কেন? মনে রাখতে হবে তামিল টাইগার-যারা শ্রীলংকান হিন্দু, তারাই এই ফিদাইন সন্ত্রাসবাদের জন্মদাতা। মুসলমান জঙ্গীদের তারাই পথ প্রদর্শক। সুতরাং লোকে কেন আত্মঘাতি জঙ্গী হয়, তার পেছনে যেমন ভাববাদি ধর্মের হাত আছে-ঠিক তেমন ই বস্তুবাদি আর্থ সামাজিক বিশ্লেষন না করলে, কারা কেন জঙ্গী হচ্ছে-তার সম্পূর্ণ বিশ্লেষন সম্ভব নয়।
তাই এই সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদি ‘চরিত্র” এবং “আন্তর্জাতিকতার” বিশ্লেষন ভীষন ভাবে আবশ্যক। এক্ষেত্রে দুটি পার্টি ছিল। প্রথমটা ভারতীয় মুজাদিহিন। যারা নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির সন্ত্রাসী উইং। তাদের সাহায্য করেছে পাকিস্থানের লস্কর ই তইবা। উভয়ের শ্রেণী চরিত্রে কিছু পার্থক্য আছে। ভারতীয় সংগঠনটি উচ্চ শিক্কিত মুসলমান যুবকদের। পাকিস্থানের এল ই ট্ আসলেই নিম্বমধ্যবিত্ত শিক্ষিত মুসলমানদের যারা পাকিস্থানের সুবিধাভোগী “এলিট” শ্রেণীটির সাথে শ্রেনী দ্বন্দে লিপ্ত। লস্কর ই তৈবার “প্রতিবাদি” অবস্থান মার্ক্সীয় বিশ্লেষন দিয়ে পরিষ্কার বোঝা যায়। স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্থান ভোগ করেছে গুটিকয় পরিবার। সুতরাং শ্রেণী সংঘর্ষ সেখানে আসতই-কিন্ত্র এই দ্বন্দটাকে সেখানকার বামপন্থী বা কমিনিউস্টরা কাজে লাগাতে ব্যার্থ হয়েছে। কেও ব্যার্থ হলে ত আর শ্রেণী দ্বব্দ বসে থাকে না-কোন না কোন আদর্শবাদ সেই প্রতিবাদি চরিত্রকে হাইজ্যাক করবেই। ইসলাম জন্মলগ্ন থেকেই প্রতিবাদি-তাই দ্বন্দকে হাইজ্যাক করতে অসুবিধা হয় নি। শুধু দ্বন্দের ডাইমেনশনটা পালটে মধ্যযুগীয় আরব সংস্কৃতি বনাম পাশ্চাত্য সংস্কৃতি হয়েছে। সেটা বামপন্থীদের হাতে গেলে ধনাট্য সামন্ততান্ত্রিক প্রভুদের শোষনের বিরুদ্ধে সমাজমুক্তির আন্দোলন হতে পারত। কিন্তু সেরকম কিছু হয় নি-প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে পরে, ওই সুবিধাবাদি পাকিস্থানী এলিটদের হাত আরো শক্ত হয়েছে। উগ্র ইসলামিক পার্টিগুলি বামপন্থীদের কাছ থেকে শ্রেনীদ্বন্দকে পাকিস্থান এবং বাংলাদেশ- উভয়দেশেই ছিনিয়ে নিয়ে-শোষনের হাতকে আরো শক্তিশালী করেছে। ফলে শত শত ইসলামিক জ়ঙ্গীদল তৈরী হয়েছে। এবং ইসলামিক দেশগুলিতে বামপন্থার এই পরাজয়ের পেছনে-“ধর্মের সাথে আপোস” করে চলা নীতিই মূলত দায়ী। ধর্মের সাথে আপস করে চললে, বস্তুবাদি মার্ক্সিয় বামপন্থীরা সহজেই হাপিস হয়ে যাবে-কারন প্রতিটা ধর্মেই সাম্য এবং প্রতিবাদি চরিত্র বর্তমান। ফলে ইসলামের ভাববাদি সাম্যবাদ বা প্রতিবাদি চরিত্রকে মেনে নিতে গিয়ে ইসলামিক দেশের বামপন্থীরা আত্মহত্যা করেছেন। ইরান, পাকিস্থান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া-সর্বত্র আমরা একই দৃশ্য দেখি। এর কারনটা ফুকোর “জ্ঞান এবং ক্ষমতার” তত্ত্বে খুব পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায়। একটা দেশে ক্ষমতার কেন্দ্রগুলি কিছু “আদর্শবাদ” ঘিরেই আবর্ত্তিত হয়। সেক্ষেত্রে ইসলাম যদি গরীবদের বড়লোকদের হাত থেকে মুক্তির নিদান শোনায় এবং বামপন্থীরাও যদি সেটা মানে-তাহলে ক্ষমতার কেন্দ্রগুলি ইসলামের হাতেই যাবে-কারন অধিকাংশ লোক সেটাই মানছে। অন্যদিকে ইসলামিক আদর্শবাদিরা কিন্তু নাস্তিক্যবাদি মার্ক্সের বস্তুবাদি সাম্য মানছেন না-ফলে, ইসলামিক দেশগুলির সাধারন যে কনসেনসাস -সেটা ইসলামের প্রতিবাদি এবং সাম্যবাদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ক্ষমতার কেন্দ্রগুলিকেই শক্তিশালি করছে। আলকায়দা তথা সমস্ত ইসমালিক জঙ্গীদের এটাই মূল রাজনৈতিক শক্তি-যা আমেরিকার সুবিধাবাদি বিদেশনীতি আরো শক্তিশালী করেছে। আমি অনেক ক্ষেত্রেই দেখি, আমরা পাকিস্থান বা বাংলাদেশের বুর্জোয়া পার্টিগুলিকেই ইসলামিক মৌলবাদের উত্থানের জন্য গালাগাল দিই। কিন্ত আমি এটা বুঝি না-কেন এই বুর্জোয়া পার্টি গুলি, ইসলামিক মৌলবাদকে সাপোর্ট করবে না? শ্রেণী দ্বন্দটাকে ছিনিয়ে নিয়ে, গরীবদের প্রতিবাদি চরিত্রটাকে ছিনতাই করে, ইসলামিক মৌলবাদ ত এদের সবথেকে বড় হাতিয়ার। নইলে গরীব গুর্বোগুলোর পেটের আগুনে এরা অনেকদিন আগেই কফিন হয়ে যেত।
ভারতীয় মুজাদিহিনদের ক্ষেত্রে অবশ্য মার্ক্সিস্ট বিশ্লেষন খাটে না। কারন এদের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠিত ফ্যামিলি থেকে আসা উচ্চশিক্ষিত মুসলমান যুবক-যারা বুর্জোয়া শ্রেণীর প্রতিনিধি। তাহলে এরা কেন জ়ঙ্গীহচ্ছে? কেন ফ্যানাটিক ইসলামে বিশ্বাস করছে? ইসলাম এবং মুসলমানদের ওপর ভারতে অত্যাচার হচ্ছে এমন ধারনা থেকে ইসলামিক ভাতৃত্ববোধে উদবুদ্ধ হয়ে তারা এই কাজ করছে-এটাত আমরা ওপর থেকে দেখছি। ভেতরের খেলাটা কি? ভারতে হিন্দুত্ববাদের উত্থানের পর থেকেই মুসলীমদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা গোপনে বা প্রকাশ্যে ছড়ানো হচ্ছে। আমি বলছি না মুসলমানরা ধোয়া তুলসী পাতা-ঘৃণাটা তাদের দিক থেকেও কম কিছু নয়। আসলে সবাইত মানুষ-বিবর্তনের মায়াজালে ঘৃণা এবং ভালোবাসা দুটোই আমরা পেয়েছি। বিবর্তন ধর্মী ঘৃণাটা তখন ই উস্কে ওঠে যখন একটা গোষ্ঠির সাথে আমরা নিজেদের কে আইডেন্টিফাই করি। গণতন্ত্রে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই ঘৃণাটা সর্বত্র কাজে লাগানো হয়। প্রশ্ন হচ্ছে একজন আধুনিক মুসলিম যুবক নিজেকে ভারতীয় মনে না করে কেন “মুসলীম” বলে আইডেন্টিফাই করছে? তার জন্যে কি সে দায়ী? না রাষ্ট্র, রাজনীতি, সমাজ তাকে মুসলমান ভাবতে বাধ্য করাচ্ছে? ভারতে কোন ধর্ম নিরেপেক্ষ পার্টি নেই। রাজনীতি থেকে সমাজের প্রতিটা পদে তাকে বলা হচ্ছে, বোঝানো হচ্ছে তুমি মুসলমান-তাই তুমি এটা পেলে বা পেলে না। সে মানুষ নয়, ভারতীয় নয়, সে মুসলমান -এই ভাবেই আমরা তাকে ঠেলে দিচ্ছি। তারপর সে ধর্মীয় পরিচয় গাঢ় করতে ধর্মের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। ধর্মের পাঁকে ডুবলে সবারই মানবিক অস্তিত্ব লোপ পায়।
আমাদের হিন্দুদের কোন দোষ নেই-সবদোষ শালা মুসলমানদের-বা সব দোষ হিন্দুদের-এমন ঘৃণা এবং প্রতিহিংসার বৃত্ত থেকে আমাদের মুক্তি চাই। কেও হিন্দু বা মুসলমান হয়ে জন্মায় নি, মারাও যাবে না-সমাজের ইতিহাস এবং শ্রেনীদ্বন্দই তাকে হিন্দু বা মুসলমান বানিয়েছে। এই একবিংশ শতাব্দিতে যখন জেনেটিক্স এবং বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতিতে রাষ্ট্র, পরিবার, সমাজ ইত্যাদির ধারনা গুলোর বৈপ্লবিক পরিবর্ত্তন হচ্ছে-তখন মধ্যযুগীয় ধর্মগুলির আত্মিক উন্নতির কিছু বানী ছাড়া আর কিছুই আমাদের দেওয়ার নেই। সেই আত্মিক উন্নতির নিদান ধর্ম ছাড়াও বিজ্ঞান থেকেই পাওয়া যায়-তবুও কেও আত্মিক উন্নতির জন্য ধার্মিক হলে আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু ধর্মপালন যখন তার হিন্দু বা মুসলমান পরিচয়বোধকে উস্কে দিচ্ছে-সেটা খুব ভয়ঙ্কর। ধর্ম থেকে সেই বিষটাকে আলাদা করতে না পারলে, এগুলো আমাদের সভ্যতার ক্যান্সার হয়ে আমাদের সমস্ত অর্জনকে ধ্বংশ করবে।
ড. বিপ্লব পাল, আমেরিকাতে বসবাসরত পদার্থবিদ, গবেষক এবং লেখক। এক সময় ভিন্নমতের মডারেটর ছিলেন, বর্তমানে www.fosaac.tv সম্পাদনার সাথে জড়িত।
আতিকের প্রতি।
আমি যা বলতে চেয়েছি তা হল,আজকের যুগে বা আমাদের সময়ে পৃথিবির কোন অরগানাইজড রিলিজিয়নই রাজনীতি, সমাজনিতি, অর্থনীতির প্রগতির পথে অন্তরায় নয়
একমাত্র ইসলাম বাদে। কারন এরা সবাই ক্ষয়িষ্ণু জরাজির্ন বটবৃক্ষের মত। ঠিকই বলেছেন,
ইসলাম আজও নবযৌবনে উদ্দিপ্ত টাট্টূ ঘোড়ার মত ছুটছে। বাগে আনতে সারা দুনিয়ার
নাভিশ্বাস। আমার হিসাবে এ ভোগান্তি আরও বছর পঞ্চাস(৫০) চলবে। জ্ঞান, বিজ্ঞান,
প্রযুক্তির অতি দ্রুত অগ্রগতির জন্য সময়টা সক্ষিপ্ত।
আপনার বাকি লেখার সাথে আমি একমত।
The actual motive:
MUMBAI: It is improbable that Mohammad Ajmal Amir Iman’s family has seen the photograph that has made his face known across the world.
Hours before he began firing at commuters waiting at Mumbai’s Chhatrapati Shivaji Terminus (CST) last week, Iman, one of ten Lashkar-e-Taiba terrorists, was caught on closed-circuit camera.
After he and his partner, Mohammad Ismail, had killed 55 commuters at CST and three senior police officers, including Maharashtra Anti-Terrorism Chief Hemant Karkare, Iman was injured and captured — and the story he has since been telling Mumbai police investigators casts new light on how the feared terror group preys on the most vulnerable in Pakistani society to further its agenda of hate.
The man in the photo was born on July 13, 1987 at Faridkot village in Dipalpur tehsil of Okara district in Pakistan’s Punjab province. His family belongs to the underprivileged Qasai caste. His father, Mohammad Amir Iman, runs a dahi-puri snack cart. His mother, Noori Tai, is a homemaker.
Iman is the third of the family’s five children. His 25-year-old brother, Afzal, lives near the Yadgar Minar in Lahore. His sister, Rukaiyya Husain, 22, is married locally. Iman’s younger siblings, 14-year-old Suraiyya and 11-year-old Munir, live at home.
Iman’s desperately poor family could not afford to keep their second son, an indifferent student, at the Government Primary School in Faridkot past the fourth grade. He was pulled out of school in 2000, at the age of 13, and went to live with his older brother in Lahore. Afzal, who lives in a tenement near the Yadgar Minar in Lahore, eked out a living on a labourer’s wages, and could barely afford to look after his brother. For the next several years, Iman shuttled between the homes of his brother and parents.
Adrift
After a row with his parents in 2005, Iman left home, determined never to return. No longer welcome in Afzal’s home, he stayed at the shrine of the saint Syed Ali Hajveri until he could pick up some work. He began working as a labourer and by 2007 his work brought in Rs. 200 a day. Iman, however, found the work degrading. He soon began spending time with small-time criminals in Lahore. Along with a friend, a one-time Attock resident named Muzaffar Lal Khan, Iman decided to launch a new career in armed robbery.
On Bakr Eid day in 2007, Iman has told the Mumbai Police, the two men made their way to the Raja bazaar in Rawalpindi, hoping to purchase weapons. In the market, they saw activists for the Jamaat-ud-Dawa — the parent political organisation of the Lashkar-e-Taiba — handing out pamphlets and posters about the organisation and its activities. After a discussion lasting a few minutes, Iman claims, both men decided to join — not because of their Islamist convictions but in the hope that the jihad training they would receive would further their future life in crime.
A life in Lashkar
But at the Lashkar’s base camp, Markaz Taiba, Iman’s world view began to change. Films on India’s purported atrocities in Kashmir, and fiery lectures by preachers, including Lashkar chief Hafiz Mohammad Saeed, led him to believe that the Lashkar’s cause — the greater glory of Islam, as the organisation presented it — was worth giving his life to. It is possible, an official involved in the interrogation suggested, that the atmosphere of the camp gave him the sense of family he had lacked for much of his life.
When he returned home for a two-month break after his indoctrination at the Lashkar base camp, he found a respectability within his community and family that had eluded him most of his life. Where Iman had earlier been seen as a burden, he was now self-sufficient — and bore the halo of religious piety.
Later that year, Iman was chosen for the Lashkar’s basic combat course, the Daura Aam. He performed well and was among a small group of 32 men selected to undergo advanced training at a camp near Manshera, a course the organisation calls the Daura Khaas. Finally, he was among an even smaller group selected for specialised marine commando and navigation training given to the fidayeen unit selected to target Mumbai.
According to Iman, Lashkar military commander Zaki-ur-Rahman Lakhvi promised that his family would be rewarded with Rs. 1.5 lakh for his sacrifice.
Hi Atiq,
I liked your opinion in response to Chanokya’s comment. But when I talk to islamist people (Ph.D. degree holders at the University), in general, they all take pride in claiming that islam is a flawless religion, every word in quran is true, and quran is scientific, and Inshallah muslims will go to heaven etc. They used the words Inshallah, Allah, Alhamdulliah etc so many times. Most of these islamic people do not follow any logic in their discussion. They claim they are progressive. But that number of real progressive people is a tiny tiny fraction. May be there are progressive muslim people. But few. What Chanokya said about the bangladesh society in response to Prof.Mizanur Rahman’s article “Inshallah” is very true. In general people of Bangladesh are very much islamized. For everything they refer Allah so many times. More later. Thanks for your comments though. Its good.
এগুলো পুরানো খবর। অনেক রিউমার বাজারে। ২ জন বৃটিশ-পাকিস্থানি আছে বলছে। তবে লস্কর ই তৈবার হাত নিশ্চিত। ওরাই ছিল নেতৃত্বে।
এই ন্যাক্কারজনক হামলার নেতৃত্বে একজন বাংলাদেশী???
“One highly placed intelligence official who has been briefed on the attacks said that the head of the operation is a Bangladeshi and that the militants are Indians, Kashmiris and Bangladeshis.”
http://www.cnn.com/2008/WORLD/asiapcf/11/27/india.attacks.responsibility/index.html
আপনারা কি বলেন?
শান্তির ধর্ম?
হজরত মহম্মদ ৮১ টা যুদ্ধ করেছিলেন-শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে। মুসলিমরা মনে করে-ইহা সব ন্যায্য যুদ্ধ সত্য এবং আল্লাহর ইচ্ছার জন্যে।
আমেরিকার রিপাবলিকানরাও মনে করে বুশ ইরাকে যুদ্ধ করছেন মহৎ আমেরিকান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং বুশ অনেকবার জানিয়েছেন তিনি ঈশ্বরের দ্বার অনুপ্রাণিত।
এই দুটো জিনিসের মধ্য নৃতাত্বিক সাযুস্য আছে-একে বলে “আবেগপ্রবন সাম্রাজ্যবাদ”। ভেতরের কারন অবশ্যি অর্থনৈতিক। সেই সময় আরব্ দের সম্পদ কিছু ছিল না-ফলে পারস্যের মতন দেশ তাদের জিততেই হত। আমেরিকার তেলের ইন্টারেস্টের কথাও আমরা জানি।
আসলে বিশ্লেষনটাই ভুল। ঠিক ইসলাম, বেঠীক ইসলাম কিছু হয় না। ধর্ম গুলি একটি নৃতাত্বিক প্রয়োজন-এই ” নীডের” এঙ্গল থেকেই আমাদের সব বিচার করতে হবে।
religion of peace’ is a fake fallacy. Every religion talk about it but no one actually practiced it. Just look at the history… how they fight for this “peace”….
Our people never went to Mecca for Islam, they come to us with “Islamic Sword”…. Killed our kings and take the power for their own good… that’s how it works all the time…. everywhere… thats the real Islamic Peace
And the twenty-first century terrorists… they are actual Muslim… they follow Quran perfectly… perhaps its Quran, that converts an ordinary person to a terrorist… who believes it and followed it become terrorist… who believe it but don’t follow everything… become average non terrorist Muslim…
আমেরিকান ডিফেন্স করপরেট পৃথিবীর অনেক এভিলের জন্যেই দায়ী। পাকিস্থানে জিহাদি ফ্যাক্টরী তারাই বানিয়েছিল। কিন্ত আমরা বা তখনকার রাশিয়া কেওই ধোয়া তুলসী পাতা নয়। রাশিয়া আগগানিস্থান দখল করে। আর আমাদের ভূমিকা হচ্ছে এই বিশ্ব শক্তগুলির বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়িয়ে আমরা দুটো গ্রুপে ভাগ হয়ে গেলাম। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে এই বিভেদ আমাদের শাসক শ্রেণীর সৃষ্টী-সেটাকে রুখতে হলে হিন্দু এবং ইসলাম ধর্ম এবং ধর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাতেই হবে। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে শুধু মানুষ থাকবে-কোন দেশ বা জাতি বা ধর্ম থাকবে না। এই চিন্তা মননে না আসলে কোন ভাবেই এই ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় সম্ভব নয়।
বিপ্লব পালের লেখাটি আমার কাছে ঐতিহাসিক দ্বান্দিক বস্তুবাদের আলোকে লেখা পুরোপুরি বস্তুনিষ্ঠ একটি লেখা মনে হয়েছে।আমি চানক্যর প্রতিক্রিয়ার সাথে দ্বিমত পশন করছি। চানক্য
তার প্রতিক্রিয়ার যা বলেছেন সেটাই বরং আতিসরলীকরন।
বস্তুকে তার ঐতিহাসিক বিবরতনের ধারাবাহিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখলেই এই রকম
ভ্রানত আবস্থায় উপনিত হতে হয়।সাফ কথায় চানক্য যা বলেছেন ” ইসলাম বাদে আর কোন
ধর্মই সামাজিক,রাজনৈ্তিক প্রগতির আন্তরায় নয়।” এটা এমন একটা মন্তব্য যার দ্বারা বুদ্দ, সক্রেটিস,গ্যালিলিও,রাজা রামমোহন, ইশরচন্দ্র সহ সকল প্রগতিশীল পুরুষ ও তাদের অসী্ম অবদান কে আস্বীকার করা হয়।
আমাদের বোঝা দরকার যে ইস্লামের আবিরভাব পূর্বেও ধার্মান্ধতা ছিল আর তা হতে উৎপন্ন
সামাজিক,রাজনৈ্তিক অস্হীরতাও ছিল।ব্রাম্মন্যবাদের তৈরী বর্নবাদের জাল ছেড়ার ধারাবাহিক সংগ্রামের ইতিহাসই হল ভারতের ইতিহাস। শ্রেনী সংগ্রামের ভারতীয় সংস্করনই হল বর্নবাদ। বৌদ্ধ নিধনের ইতিহাস ভুলে গেলে ছলবেনা।পুরহিততন্ত্র সেদিনও ইউরোপের পথে প্রন্তরে স্বাধীনচেতা নারীদের জীবন্তদগ্ধ করার উৎসবে মেতেছিল।
আসলে আজকের পৃথিবীর প্রভাবশালী ধর্ম গুলর উৎপত্তিকাল পর্জালোচনা করলে দেখা যাবে ইসলাম হচ্ছে এদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ।বস্তুর স্বাভাবিকদ ধর্ম অনুযায়ী প্রতিটা জিনিসকেই উৎপত্ত,স্হিতী ও লয় এই তিনটি পর্ব বা সময়কাল অতিক্রম করতে হয়।হিন্দু,বৌদ্ধ, খৃস্টান, ইসলাম এই হল ধর্মের বয়সানুক্রমিক ধারাবাহিকতা ।ইসলাম ছারা বাকি গুলর বয়স ২০০০ বছরের বেশি। এরা বাস্তব কারনেই আজ বার্ধক্যে উপনীত।খৃষ্ট ধর্ম হতে ইসলাম, ব্যাবধান প্রায় ৫০০ বছর। সুতরাং এর উত্তেজনা পর্ব স্তিমীত হতে আরো কিছু সময় লাগার কথা। এই স্তিমীত হয়ে আসার ব্যাপারটা ঘটে ভিতর থেকে। আনুসারিদের বিশ্বাসে
ফাটল ধরে আর ধিরে ধিরে এই ফাটল ধরা আনুসারিদের সংখ্যা বারতে থাকে। নৈতিক সমর্থন হারিয়ে ফেলার পরেও এটি টিকে থাকে আর হাজার বছর কিন্তু তখন এর ক্ষতি করার সামর্থ বহুলাংশে লোপ পায়। তবে আশার কথা হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অত্যাশ্চর্য্য দ্রুত উন্নয়নের ফলে ইস্লামের ধর্মীয় উম্মাদনার আয়ু বড় জোর আর ৫০ থেকে ১০০ বছর । কারন বিপরিত চিন্তা ছড়িয়ে পরছে অসম্ভব দ্রুত গতিতে যা কিনা কিছু দিন আগেও সম্ভব ছিল না।
ইসলাম, বয়সে নবিন হবার কারনে এর প্রবক্তাগন সুযোগ পেয়েছিল পুর্ববর্তী ধর্ম সমূহের কিছু দৃশ্য্মান দুর্বলতা চিন্হীত করার। তারা প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছিল তাদের ঈশী বানির সংকলনকে যতদুর সম্ভব বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করার।ব্যাক্তিগত ও সামাজিক উভয় প্রকারের অনুশীলের উপের প্রথম থেকেই খুব জোর দেয়া হয়েছিল। এটির রয়েছে নীজেদের মত আই, আর্থনিতী, রাজনিতী মানে ১৪০০ বছর আগে এর মধ্যে অনেক উপাদান ছিল যা কিনা তখন প্রগতিশীল ছিল। মানব সভ্যতার মধ্যযুগে ইস্লামের অনেক অবদান আছে। কিন্তু সময়ের বিবরতনে আজ এর অবস্থান চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীলের কাতারে।
ইসলাম পুর্ব ধর্মগুল বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যেদিয়ে নিজেদেরকে যুগোপযগী করে নেয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাফল্য দেখিয়েছে কিন্তু ইস্লামের জন্য মরন ফাঁদ হয়েছে এর বিশুদ্ধতাজনিত অনমনীয়তা ও অনবায়নউপযোগীতা । যে জন্য ইস্লামে আজ পর্যন্ত কোন সংস্কার আন্দলন সফল হতে দেখা যায়নি । আর তাই বয়সে নবীন হওয়া সত্ত্বেও পূর্ববর্তী ধর্মের চেয়ে ইসলাম বুড়িয়ে যাচ্ছে দ্রুত।
সাম্রাজ্যবাদ নীজের স্বার্থে বরাবরই ব্যাবহার করে আসছে ধর্মকে আবার এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিক্রিয়াশীলটির লালনই তাদের জন্য বেশি লাভজনক। তারা আরাব বিশ্বকে সমাজতন্ত্রবিরোধী শিবীরের অটুট আখরায় পরিনত করার প্রয়যন ও সুযোগ দুটিই কাজে লাগিয়েছিল। সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার পতনের পরে সে প্রয়োজন ফুরিয়েছে। এখন আরাব বিশ্বের তেল লুট করাক অযুহাত তৈরির জন্য এবং ডিক চেনিদের কারখানার অস্ত্র আমেরিকান জনগনের করের টাকায় রাষ্ট্র কতৃক ক্রয় করানোর জন্য ইস্লামি মৌলবাদকে ব্যাবহার করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ নারী, শিশুসহ অনেক নিরপরাধ মুসলমানকে প্রতিদিনই জীবন দিতে হচ্ছে । আর এর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে জঙ্গীবাদের উত্থান।
সুতরাং কারনের পিছনের কারনটিকে চিন্হীত করা না গেলে প্রধান শত্রু সবসময় আড়ালেইত থেকে যাবে। বপ্লব পালকে ধন্যবাদ যে তিনি এই বহুরূপী সাম্রাজ্যবাদের মুখোসটি উম্মচন করার প্রয়াস পেয়েছেন।
One video on Paki politics of terror
I have prepared this video analyzing anti-India, anti-Hindu propaganda in Pakistani media –video presents how deep is the level of hatred against India & Hinduism in Pakistan and then how that is being utilized to unleash suicide terrorism against India. Your feedback will be appreciated.
http://www.youtube.com/watch?v=gSn62IaH6_I
@Truthseeker
Spirituality does not mean anything-right word is quest for self-that is to analyze self-who am I, what is my objective of life. It is not an issue of whether spirituality can or can not help-we are asking these fundamental questions of “who am I” and ” What is my objective in life” all the time through each of our action knowingly or unknowingly. Therefore, if you seek these answers through science, your experience-you will always be better of in taking better decision in your life. Now, if you look for these questions in religion-it is more likely you will get misled than getting any direction-however, reading of religion on this matter is not a problem if you already have developed a scientific mind. Therefore, it is not an issue of helping, it is about understanding our nature.
Hi Biplab,
Does spirituality help to solve the social problem ?
Please let me know your opinion.
Thanks.
Truthseeker
বিপ্লব পালের বিশ্লেষনী লেখার আমি খুব ভক্ত, এ লেখাতেও তিনি তার ধারাবাহিকতা রেখেছেন। তবে আমি এখনো নিশ্চিত না মুম্বাই এর এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনার আসল নায়ক কে বা কারা। সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মনে হয় একটু দ্রুত হয়ে যাছে। ইসলামি হোক বা হিন্দুবাদী হোক, খুব সম্ভবত ধর্মীয় কোন উগ্রবাদী দল জড়িত, আবার এমনো হতে পারে ্যে অন্য কোন গ্রুপ মাঝখান থেকে ফায়দা লুটছে। সবই এখনো অনুমান।
আমি ফরিদ সাহেবের কথার সাথে সম্পুর্ন একমত; “মানুষ যেদিন মানুষের মানুষ পরিচয়টা প্রধান করে দেখবে সেদিন হয়তো আত্মঘাতী এই সর্বনাশা খেলা থেকে মুক্তি পাবে মানুষ।”।
ধার্মিক রা একটি ক্থা প্রায় ই খুব গর্ব করে করেন, তাহল, প্রকৃত ধার্মিক নাকি অন্য যে কোন ধার্মিক্কে শ্রদ্ধা করেন। আমি বাস্তব জীবনে দেখেছি পুরো উলটো। যিনি যত বড় ধার্মিক অন্য ধর্মের প্রতি তার ঘৃণাও ততোধিক। এর জন্যই ভারতে মুসলমান বা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনে মেইন ষ্ট্রীম কমিউনিটই কখোনই দৃঢ় প্রতিবাদ করে না। অনেকে তো রাতারাতি অস্বীকার বা অন্য ধর্মের লোকেই দায়ী তা প্রমান করেন। যারা প্রতিবাদ করেন তারাও মন থেকে খুব কমই করেন। হাজার হোক নিজের ধর্মের লোক তো। বাংলাদেশে রাজাকারদের কোনদিন ই বিচার না হবার জন্য এই ফিলোসপি ই কাজ করে।
তবে এ ঘটনার জন্য আমি ভারতের বর্তমান সরকারকে দায়ী করব। মাত্র কিছুদিন আগে আমরা দেখেছি ভয়াবহ ট্রেনে সিরিজ বোমা হামলা। এর পর এই। সরকার তাহলে আছে কি করতে?
বিপ্লব পালের লেখাটি এককথায় অসাধারন। তবে কিছুটা অতিসরলিকরন বলে মনে হয়।
এই পৃথিবীতে যেখানে ইসলাম সেখানাই ধর্ম নিয়ে রেষারেষি, হিংসা,মারপিট, দাঙ্গা হাংগামা।
আর যেখানে ইসলাম নেই কিম্বা উপস্তিতি খুবই দুর্বল সেখানে আর যাই থাক, ধর্ম নিয়ে
অন্তত কোন সামাজিক অথবা রাজনৈতিক অসন্তোষ নেই। সাফ কথা হল গিয়ে ইসলাম বাদে
আর কোন ধর্মই সামাজিক, রাজনৈতিক প্রগতির অন্তরায় নয়।
Correction; not victom it would be victim. I do apologize for that.
সবাইকে ধন্যবাদ।
পাকিস্তানের বুর্জোয়ারা যেমন বাংলাদেশে গণহত্যার জন্যে দায়ী-তেমন ই আজ এই শ্রেণীটাই সব ইসলামিক জঙ্গীপনার নাটের গুরু। এরা আবার আমেরিকান প্রভুদের প্রতি খুবী লয়াল। আমি শুধু একথাটাই বলতে চাইছি-মানুষের মন এবং বিশ্লেষন বস্তুবাদি না হলে-এটা বাড়তেই থাকবে। এবং সেক্ষেত্রে বামপন্থী মানসিকতার লোকেরা ধর্মেও আছি জিরাফেও আছি অবস্থান নিলে মুশকিল আছে। এর মানে ধর্মকে তুলে দিতে বলছি না-সেটাও অবাস্তব কল্পনা-কিন্তু ধর্মর বাজে দিকগুলো -তা কৃষ্ণ ই বলুক বা মহম্মদ ই বলুক-বা আল্লার বাণীই হোক-পরিষ্কার নিন্দা করার দরকার আছে। সেটা না করলে সব যাবে। ইন্টারনেটের যুগে লোকেদের -বিশেষত তরুন প্রজন্মের মতাদর্শ খুবি দ্রুত বদলাচ্ছে। পশ্চিম বাংলার দিকে উচ্চশিক্ষিত যেসব মানুষকে ইন্টারনেটে পাই-তাদের সবাই তরুন, অধিকাংশই নাস্তিক এবং যারা ধার্মিক তাদের মধ্যে হাতে গোনা কিছু মাত্র দক্ষিন পন্থী। দক্ষিন পন্থীদের মধ্যে নাস্তিকরা আছে-এরা ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণায় দক্ষিনপন্থী হয়েছে। যেদিন ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে বুঝতে শিখবে-সেই ইল্যুশনটাও চলে যাবে। অথচ পশ্চিম বাংলার ৩৫-৬০ বছরের স্পেট্রামটা কিছুটা বামঅপন্থী, কিছুটা ধার্মিক ছিল। বামপন্থা আছে-ধর্মটা গেছে-তবে এখনো ধর্মটাকে এড়িয়ে চলতেই পারলেই ভাল-সেরকম একটা মনোভাব নিয়ে চলে।
বাংলাদেশের একটা বড় শিক্ষিত অংশ সন্দেহ নেই অনেকবেশী ধার্মিক। কিন্তু আমার বিশ্বাস পশ্চিম বংগের তরুন জেনারেশনের ন্যায়, বাংলাদেশের তরুন জেনারেশন যারা ইন্টারনেটের আউতাই আছে-তাদের সামনে বিশ্বের দরজা খুলে যাচ্ছে। আস্তিক নাস্তিকতা বাংলাদেশী ভারতীয় ইত্যাদির ওপরেও একটা জায়গা আছে -সেটা একান্তই মানুষের। সেই মানুষ হওয়ার সাধনাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। “সবার ওপর মানুষ সত্য” আজও সত্য। আমার ধারণা বাংলাদেশের তরুনদের সামনে ইন্টারনেট সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। সময় লাগবে-তবে একদিন এই বুর্জোয়া শ্রেণীর ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যাবহার করার ধাপ্পাবাজিটা এরা আরো ভাল বুঝবে। এই কাজটি বামপন্থীদের করার কথা। কিন্তু তারা পারে নি। তাই এখন ইন্টারনেটে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এই বিপ্লব ঘটাচ্ছে।
ভারতেও এইই ওইয়েভ আসছে। সেটাও ইন্টারনেটের জন্যেই হচ্ছে। আমি খুবী আশাবাদি ধর্মের এই পরিচয় ভেঙে পড়বে আমার জীবনকালেই। শুধু আমরা ভয় না পেলেই হল। মৃত্যু আমাদের নিশ্চিত বাস্তবতা-একদিন মরতে ত হবেই। তাই ভয় পেয়ে পিছিয়ে থাকলে হবে না। মানবতার দানবদের বিরুদ্ধে আমাদের ভাষাকে আজ ইন্টারনেটের যুগে কেও রুদ্ধ করতে পারবে না।
Brutal attack… Quazi Nazrul said that who is dying, hindu or muslim? Who cares to ask this, I say he is son of my mother. Mr. Biplab pal thanks for a heart touching article. Sympathy for all the innocent people who became the victom. Hopefully they will recover the damage very quickly and it won’t happen again.
আমি বুঝি না যারা এত জোর গলায় ইসলামকে ‘শান্তির ধর্ম’ বলে গলা ফাটিয়ে ফেলেন, তারা কি দেখেন না – তাদের ধর্মই আসলে যত অশান্তির কারণ? ধর্মের বাণীগুলো কিভাবে সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে? বিধর্মীদের প্রতি ঘৃণা করার কথা, নারীদের অবমানননা করার নির্দেশ, কাফেরদের উপর আক্রমন চালানোর কথা কোরানেই পরিস্কার ভাবে আছে। তারপরও তারা তাদের ধর্মকে ভাবেন ‘শান্তির ধর্ম’। এই শানির ধর্ম থেকে কেন গোলাম আজম জন্মায়, কেন শত সহস্র জঙ্গী সংগঠনের জন্ম হয় – কেউ কি বলতে পারবেন? বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়!
ফলই বলে দিচ্ছে শান্তির ধর্ম কারে কয়। মুম্বাইয়ে নিহত পরিবারদের প্রতি সমবেদনা।
Yes, I do agree that the failure of communist movement in this subcontinent has given the opportunity for the fundamentalists to capitalize the discontent of class struggle.
Thanks Biplob Pal for this nice analytical writing. Actually, we have no weapon
except Marxism to save us & our up coming generations from this blood thirsty
fundamentalism. As soon as we can realize this truth we can do something for us & our next generation.
মননশীল লেখার জন্য বিপ্লব পালকে ধন্যবাদ।
সন্ত্রাসী হামলায় চরমভাবে বিপর্যস্ত ভারতীয় জনগণের প্রতি রইলো সমবেদনা আর এই কাপুরুষোচিত কাজ যারা করেছে তাদের প্রতি একরাশ ঘৃণা।
সম্পূর্ণ একমত। ধর্মীয় এবং জাতিগত ঘৃণা এবং প্রতিশোধের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসাটা জরুরী হয়ে পড়েছে এই মুহুর্তে। মানুষ যেদিন মানুষের মানুষ পরিচয়টা প্রধান করে দেখবে সেদিন হয়তো আত্মঘাতী এই সর্বনাশা খেলা থেকে মুক্তি পাবে মানুষ। কবে যে আসবে সেই দিন কে জানে?
বিপ্লব পালকে অসংখ্য ধন্যবাদ অসাধারণ সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী এই লেখাটার জন্য।