ওবামার আলোকে সংখ্যালঘু প্রত্যাশার স্বপ্নসুধা

বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সংখ্যালঘু হবেন কি?

 

সোনা কান্তি বড়ুয়া

আমার স্বপ্ন আছে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভবিষ্যতে যে কোন যথোপযুক্ত আদর্শ নাগরিক গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ঠ্রপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন। আমি স্বপ্ন দেখি বাংলার মহান কবির কথা, “নানান বরন গাভীরে ভাই / একই বরন দুধ / সারা জগৎ ভরমি আইলাম,/ একই মায়ের পুত।” বাংলাদেশের মানুষ ও আমেরিকার মতো একটু পরিবর্তন চায়। আমেরিকায় সংখ্যালঘু কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হতে পারলে গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নেতাগণ দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না কেন? বাংলাদেশের মতো আমেরিকা দেশটা ও মাটির। আমেরিকায় সংখ্যালঘু কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হতে পারলে বাংলাদেশের চাকমা রাজা দেবাশিষ রায়, মেজর জেঃ সি আর দত্ত সহ সংখ্যালঘু নেতাগণ দেশের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না কেন? আমরা বাংলাদেশে ধার্মিক নামক ভন্ডদের জেলখানায় বন্দী এবং ধর্মের দেওয়াল তোলে মানবতাকে ধ্বংস করার কথা ইতিহাসে বিরাজমান। পাকিস্তান আমলের পর বাংলাদেশে (পূর্ব পাকিস্তানে) “মানুষের সকল মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, মানবতা বিরোধী এক কালো আইনের নাম শত্র“ সম্পত্তি বা অর্পিত সম্পত্তি আইন (ভোরের কাগজ, মে ১৫, ২০০৮)।” সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, “এই আইন মানুষের সব রকমের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।” রাজাকার সহ জামাতের সাম্প্রদায়িক কারনে বাংলাদেশে প্রতিদিন মাতৃভূমি ত্যাগে বাধ্য হচেছন ৬০০ সংখ্যালঘু নরনারী (ভোরের কাগজ, মে ১৫, ২০০৮)।


জামায়াতের অভিশাপ থেকে জনতা সহ আমরা মুক্তি চাই। ১৯৭৬ সালে অভিশপ্ত স্বাধীনতায় বিপর্যস্ত সময়ে জে: জিয়া জামায়াতকে জামাই আদর করলে ও গতকাল (১১ই নভেম্বর ২০০৮) পুলিশ জামায়াতকে আর আগের মতো জামাই আদর দেখায় নি। বায়তুল মোকারমের খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার এই ভূখন্ডকে জামায়াতদের পৃথিবী ভেবে রাস্তা দখল করতে গিয়ে পুলিশের সাথে জামাতি শিবিরদের হাতাহাতি হয়ে গেল। জামায়াত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমানিত করে করে যে বাড়া বেড়েছে, পুলিশ স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের পৈচাশিক উন্মত্ততায় সেই লম্বা হাত গুলো ভেঙে দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছে। আইনকে জামায়াত পকেটে নিয়ে দেশে অনেক জাদু দেখানোর পর স্বাধীনতার পরম শত্র“ জামাত সহ মইত্যা রাজাকার ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ গ্যাং আজ জেলখানার লৌহকপাটে বন্দী। চোরের দশদিন জনতার একদিন। জাগো, বাঙালি জাগো। যুদ্ধাপরাধী সহ জামাতকে শিক্ষা দিতে আমাদেরকে মু্িক্তযুদ্ধের বাদ বাকী কর্মকান্ড সমূহ আবার শুরু করতে হবে। প্রতিদিন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অন্যায়ের বিরুদ্ধে অসত্যের বিরুদ্ধে। প্রতিক্ষণ সর্বক্ষণ বেলা অবেলা কালবেলায় বাঙালি জাতিকে সজাগ সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।


ইউরোপীয়ান এনলাইটেনমেন্টের (আলোকিত যুগসন্ধিক্ষণে) পরম শত্র“ ছিল খৃষ্ঠান পাদরী (ধর্ম গুরু) সম্প্রদায় সহ পোপ ঠিক তেমনি আজকের বাংলাদেশের এনলাইটেনমেন্ট এবং ভণ্ড ধার্মিক হয়ে মইত্যা রাজাকার গ্যং ধর্মকে তলোয়ারের মতো ব্যবহার করতে সৌদী বাদশার কাছ থেকে বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে দেশ ও জাতির সর্বনাশ করেছে। সকাল সন্ধ্যায় দেশের সরকার কলা খায় কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের দোষ দেখে ও আঁখি বন্ধ করে আছে কেন? ফেলে আসা একাত্তরের শাওন রাতে যুদ্ধাপরাধীদের বীভৎস অত্যাচারের কথা আজ ও জনতা ভুলতে পারেন না। জাতির রাষ্ঠ্রক্ষমতায় বিবেক শূন্য হবার কথা ছিল না। বিগত ৩৭ বছরের ইতিহাসে আমাদের অভিশপ্ত রাজনীতির সব চেয়ে সকরুন ট্রাজেডী মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোস পরে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ চার জাতীয় নেতার হত্যাকান্ড।


ভয়কে আমাদের জয় করতে হবে। না, রাজনীতির অন্ধকার দেশে শেষ হয় নি। উৎপীড়িত জনতা ও ছাত্র সমাজ সহ না-পাওয়া মুক্তিযোদ্ধরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করলেন, আর আওয়ামী লীগের মুশতাক সহ সামরিক শাসকগণ দেশকে রাজনৈতিক অন্ধকারে ডুবিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে অতল তলে তলিয়ে দিলেন। ভাঙা যতো সহজ গড়া অসম্ভব কঠিন কাজ। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনাতে জামাত হাউ মাউ করে কেঁদে কেঁদে কুম্ভীরাশ্র“ বর্ষন করে যাচ্ছে।


আইনের চোখে সবাই সমান অথচ ধর্ম নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের হত্যাযজ্ঞ জেনে ও বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচার করে না কেন? যুদ্ধাপরাধীরা তো সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের অপেক্ষা শক্তিবান। সামরিক শাসকগণ বেলজ্জা বেহায়া জামাত ও রাজাকারদেরকে প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনে বসায় কি করে? দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বেঁচে থাকলে তো সেনা শাসকগণের “দুর্নীতি বধ” নাটকের মঞ্চ তৈরী হয় না। মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা “মেঘনাদ বধ” কাব্যের কথা সেনাশাসকদের হয়তো মনে আছে। “হে লক্ষপতি, ভুলিলে কেমনে জনম তব কোন মহাকুলে।”


দেশের জনতা উক্ত নেতাদের ভণ্ডামি দেখতে দেখতে গোটা প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস ওঠে গেছে এবং জনতা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছেন এই জগতে রাজনীতির রঙ বাজারে টাকারই খেলা। টাকার বস্তায় রাজশক্তির নানা খেলা। রাজনীতির টাকা চট্টগ্রামে লালদীঘি ময়দানের বলিখেলার মতো কুস্তি খেলে। সেনাশাসকগণ কি বানরের পিঠাভাগের রাজনীতি করেন? আপনাদের চেয়ে ভাল নেতা তো গাছে ধরে না। শেখ হাসিনা হচ্ছে বঞ্ছনা, খালেদা জিয়া লোভ। লোভের সাথে বঞ্ছনাকে একই পাল্লায় মাপা তো বুদ্ধিমান রাজনীতির কাজ নয়। সামরিক শাসকদের অসংখ্য দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক সমস্যায় দেশ জর্জ্জরিত। আজ বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভোটের জন্য অগ্নিগর্ভ।


একাত্তরে রাজাকার সহ জামাতিরা ধর্মকে তরোয়াল বানিয়ে মানব সন্তান হত্যা করে মসজিদে ভন্ড সেঁজে আল্লাহু আকবর করতো। টরন্টোতে ও প্রবাসীদের প্রশ্ন: “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ জনতার টরন্টো সভায় কানাডার আওয়ামী লীগ কি ধর্মনিরপেক্ষতা মানে? ” বিগত ২৪শে আগষ্ঠ ২০০৮ টরন্টোর আওয়ামী লীগ এবং এর অংগ সংগঠন জাতীয় শোক দিবস পালন করার সময় কোন হিন্দু বৌদ্ধ ও খৃষ্ঠান ধর্মের বাণী শোনা যায়নি। কারন সময় নেই। উক্ত জাতীয় শোক সভায় আমাকে কানাডার আওয়ামী লীগের সম্পাদক ত্রিপিটক পাঠ করার জন্য আমন্ত্রন করেছিলেন। সময়ের স্বল্পতার জন্যে অন্য ৩টি ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ থেকে বাণী পাঠ করার কথা মাঠে মারা গেল। মুসলমান বক্তাদের ভাষণের পর ভাষণে সভা টালমাটাল ছিল। হিন্দু বৌদ্ধ ও খৃষ্ঠান বক্তা কয়জন ছিলেন আমরা জানি না।


নিজে বাঁচলে বাপের নাম। পাকিস্তানের রাজনীতিতে অন্যধর্মের (হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্ঠান ) নাম ছিল শত্র“ ধর্ম এবং হিন্দুদের সম্পত্তির নাম শত্র“ সম্পত্তি। বর্তমানে শত্র“ সম্পত্তির পোষাকী নাম অর্পিত সম্পত্তি। ইসলাম ধর্ম ব্যতীত হিন্দু বৌদ্ধ ও খৃষ্ঠান ধর্মের নাম কি অর্পিত ধর্ম? এই দোষে আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে রাজাকারগণ সংখ্যালঘুদেরকে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ করে ঘরবাড়ী কেড়ে নেয়। মানবাধিকার আমাদের না থাকাতে আমরা টরন্টোর আওয়ামী লীগের সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারি না । আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের পাশে শক্ত হয়ে আছে কি?


রাজাকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল। উক্ত সেই দিন তো চলে গেল, আর ও নানারঙের দিন আসবে। আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ (হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান) বা বাংলাদেশের নাগরিককে তার অধিকার (২৬ লাখ একর শত্র“ বা অর্পিত সম্পত্তি) ফিরিয়ে দিতে রাষ্ঠ্রের দায়িত্ব সম্বন্ধে কি করেছেন? ইতিহাস কথা কও। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ভাত নেই এবং পরনের কাপড় নেই। এই আমাদের জাতীয় ট্রাজেডী। জনতা সহ মুক্তিযোদ্ধাদের অনন্ত দুঃখের জন্য দায়ী কা’রা? মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ের চামড়া দিয়ে রাজাকারগণ ডুগডুগি বানায় বলে আমাদের স্বাধীনতার কবি শামসুর রাহমান দুঃখভারাক্রান্ত মনে কবিতা লিখে দেশে অদ্ভুত অন্ধকার যুগের মর্মবেদনা রচনা করে গেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে লুট করে নিয়ে যায় যুদ্ধাপরাধী জামাতের দল, রাজাকার – রাজাকার করে সকলে। দেশ জুড়ে এই নাম ছড়িয়ে গিয়েছিল, সকলের আতঙ্ক – মইত্যা রাজাকার।যেমন কর্ম তেমন ফল। ২৯টি দাগী আসামির ফাইল স্বরাষ্ঠ্র মন্ত্রনালয় থেকে চুরি হয়ে গেল কেন? (মানব জমিন, ২৩ জুলাই, ২০০৮)। সরকারকে এইজন্যে জবাবদিহিতা করতে হবে এবং জনতা সহ আমরা রাষ্ঠ্রক্ষমতার কাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।


আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে জামাত, রাজাকার, আলবদর-যুদ্ধাপরাধীরা, সামরিক শাসকগণ ও দুর্নীতি পরায়ন রাজনীতিবৃন্দ গ্রাস করে ফেলেছে। বঙ্গভবনের রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে অহরহ গণতন্ত্র ও মানবতার বস্ত্র হরন হচ্ছে কেন? আমাদের স্বাধীনতা সংবিধানে নেই, রাষ্ঠ্রক্ষমতায় নেই, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চাবি ঢুকেছে সেনাশাসকদের ধর্মভিত্তিক রাজনীতির রসের হাঁড়িতে। ইতিহাস কথা বলে এবং তিন হাজার বছর আগে রাজপুত্র দুর্যোধন গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাশা খেলে জয়ী হয়ে কুরু রাজসভায় মহারাণী দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ করে। অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পঞ্চপান্ডব মহাযোদ্ধাগণ দুর্যোধন ও দুঃশাসনকে পরাজয় করার পর ভীম দুঃশাসনের কলজে দ্রৌপদীকে উপহার প্রদান করেন। দেশের সামরিক শাসক মুক্তিযোদ্ধা হয়ে জামাত ও রাজাকার নিয়ে রাজত্ব করার ফল আজকের রাজনীতির বিষবৃক্ষ। একাত্তরের মহাজাতক ও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আমাদেরকে স্বাধীনতার অমৃতভাণ্ড দান করে গেলেন এবং জামায়াত বিএনপির এত গলাগলি কেন? আমাদের স্বাধীনতার সিংহাসনে বসে রাষ্ঠ্রক্ষমতার ফায়দা লুটে পুটে খাচ্ছে জামাত এবং যুদ্ধাপরাধীগণ।


দেশের স্বাধীনতায় মহাশান্তি মহাপ্রেমের ঝর্ণাধারায় উদ্ভাসিত “গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে” জামাত রাজনীতিতে ধর্ম নিয়ে এতো জামাই আদর পাচ্ছে কেন? ধর্মভিত্তিক জামাত মার্কা বাংলাদেশ বানাতে বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে সবে ধন নীল মনি জেনারেল জিয়া তাদেরকে প্রবাসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আমলা পদে অভিষিক্ত করার পর রাজাকারদিগকে দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ রাষ্ট্রক্ষমতায় সাহেব বিবি গোলাম নিযুক্ত করে গেলেন। জে: জিয়া প্রেসিডেন্ট হয়ে শুরু জেল খানায় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সহ চার জাতীয় নেতাকে খুন করার পর ও দেশের সামরিক বাহিনীর লজ্জা শরমের বালাই নেই। সিংহাসনে বসার জন্যে জে: জিয়া ও অন্যান্য সেনা কমকর্তাদের সাথে রক্তাক্ত যুদ্ধ হয় অথচ পাকিস্তান আমলে বায়ান্নোর পর ও কোন বাঙালি সেনাকর্মকর্তা বা সদস্য বাংলা ভাষা আন্দোলনের জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করার রেকর্ড নাই কেন? বাংলাদেশে জে: জিয়া ও জে: এরশাদ গণতন্ত্রকে সমূলে ধ্বংস করে ধর্মভিত্তিক অমানবিক রাজনীতি রচনা করে জামাত রাজত্বের অদ্ভুত সন্ত্রাসি যুগের সূত্রপাত হ’ল।


বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে দেশের মিলিটারি সহ জে: জিয়া সর্বনাশ করেছে। রাজনৈতিক নেতাদেরকে মেরে সেনাশাসকের পতœী খালেদা জিয়া একাধিকবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সেনাকুঞ্জের ক্যান্টনম্যানস্থ ৬নং মইনুল রোডের সেনামার্কা রাজকীয় বাসার বদৌলতে। বঙ্গভবনের চেয়ে ও সেনামার্কা বাসার কি শক্তি তা খালেদা জিয়াই বাংলাদেশের উজ্জ্বল দৃষ্ঠান্ত। সেনাশাসকদের অমানবিক দর্প নেতাদের অধিকার খর্ব করে। দেশ এবং জাতি সব জেনে ও সেনাশাসকদের বন্দুকের গুলির যাদু টোনা দিয়ে জনতার হাত বেঁধে রেখেছে। জে: জিয়াউর রহমান ও জেঃ এরশাদ আজকের স্বাধীনতা বিরোধী জামাত ও যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ঠ্রক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দায়ী। দুর্নীতি বধ নাটকে সেনাশাসক গণ রাষ্ঠ্রদ্রোহী। জেনারেল জিয়া এবং জে: এরশাদের যথাযোগ্য বিচার না হবার কারনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করার নামে নিজেরাই অসংখ্য দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক সমস্যা স্থাপন করে বাংলাদেশের বিজয়কে রাজাকারগণ দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইসলামের সাম্য-মৈত্রী -স্বাধীনতার সুখের স্মৃতি ও যে নিষ্ঠুর হয় তা কি আমরা ভুলে গেছি? প্রতিবেশী ভারতে তিনজন (ডঃ জাকির হোসেন, ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ ও ডঃ আবুল কালাম আজাদ) প্রেসিডেন্ট মুসলমান হলে বাংলাদেশের একজন প্রেসিডেন্ট ও হিন্দু, বৌদ্ধ, পাহাড়ী বা খৃষ্ঠান হবেন না কেন?

 


লেখক : এস. বড়ুয়া, খ্যাতিমান কথাশিল্পী এবং বিবিধ গ্রন্থপ্রণেতা। ইমেইল – [email protected]