মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেল না। কয়েক মাস অপেক্ষা করে আবার তথ্য কমিশনে জানালাম আমি কোন তথ্য পাইনি। বিষয়টা আমলে নিয়ে আবার নিষ্পত্তির উদ্দ্যেশে উভয়পক্ষকে ডাকলো। এবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব জানালেন, তার মন্ত্রনালয়ে কোন তথ্য নেই, যেসব মন্ত্রনালয়ে তাগাদা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে তারাও কোন সাড়া দেয়নি।
তথ্য কমিশনের এবার সুমতি হল। তারা এবার তথ্য সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধিকে ডাকলো। নির্ধারিত দিনে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিশাল এক জ্যামে আটকা পড়ে গেলাম। কিছুটা বিলম্বে শুনানীতে উপস্থিত হলাম।
মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ সবাই একে একে জানালেন , তাদের মন্ত্রনালয়ে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই। আমি শুনে অবাক হয়ে গেলাম, এ কোন দেশে আছি! জন্মযুদ্ধের ইতিহাস ও তার বীরযোদ্ধাদের তথ্য সরকারের কোন মন্ত্রনালয়ে নেই! কমিশন প্রতিনিধিদের মাঝে সিনিয়রজনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করে দিলেন। তথ্য কোথায় আছে তা খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিলেন।
কমিটির কাজ কেমন হবে, তারা আদৌ আন্তরিক কিনা আমি জানি না।তাই
কমিশনকে সময় বাড়িয়ে দিতে, সেই সাথে তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করার আবেদন জানালাম।
সর্বশেষ আমার ভরসাস্থল আপনারা। বাংলাদেশ, ভারত সেই সাথে বহিবির্শ্বে বসবাসরত সকল নাগরিক ও দেশের মুক্তিযুদ্ধ গবেষকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, আপনাদের কাছে যদি কোন তথ্য থাকে তাহলে অনুগ্রহপুর্বক আমাকে জানান। অথবা তথ্য কোথায় কিভাবে পাওয়া যেতে পারে তাও জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ :good:
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্য নেই তাতে মোটেই অবাক হইনি। তথ্য পেতে হলে প্রথমত তথ্য কাউকে না কাউকে রাখতে হবে। যেহেতু প্রথম থেকেই তথ্য রাখার কোন ফলপ্রসূ এবং পরিকল্পিত উদ্যোগ সরকারীভাবে শুরু করা হয়নি কাজেই তথ্য নেই। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশে দু’ধরণের সরকার এসেছেঃ একটি তথ্য সংরক্ষণ বিষয়ে নির্লিপ্ত আর অপরটি মুক্তিযুদ্ধের তথ্য বিকৃতিতে ব্যস্ত। ফলাফল-মুক্তিযুদ্ধের তথ্য কোথাও নেই। আপনার অভিযোগের প্রেক্ষিত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো বিভিন্ন উৎস হতে তথ্য সংগ্রহ করে ভবিষ্যৎ রেফারেন্সের জন্য সংরক্ষণ করবে বলে বিন্দু মাত্র ভরসা নেই। এটা করার জন্য আপনাকে সাধুবাদ না দিয়ে বরং তিরস্কার করবে। যদি শুনি সনাতন ধর্মাবল্বী মানুষরা সচরাচর ধারণ করে এমন একটি নামের মানুষ হয়ে ঐ একই ধরণের নামধারী আর এক জন বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধার বিষয়ে আবেদন করার কারণে আপনাকে আড়ালে এবং প্রকাশ্যে বিভিন্ন কটু কথা শুনতে হয়েছে, তবে এতটুকু অবাক হব না।
সত্যি কথা স্বীকার করতে লজ্জা নেই, এ অকৃত্রিম সাহসী এবং সফল মুক্তিযুদ্ধা ভাইটির বিষয়ে আমার জানা ছিল না। বিভিন্ন ব্লগের কল্যাণ উনার বিষয়ে জেনেছি। এদেশের সরকার উনি সহ সকল বীর মুক্তিযুদ্ধাকে তাদের প্রকৃত সম্মান দিবে বলে বিশ্বাস করতে সাহস হয় না। তবে আপনার মত মানুষদের নিঃশ্বার্থ পরিশ্রমে আমাদের জাতীয় বীরগণ মানুষের অন্তরে স্থায়ী আসন লাভ করবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপনার উদ্যোগের জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ। সার্বিক শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। যদি কখনো আমার টাকা পয়সা হয় তাহলে ভারতে গিয়ে আকাশবাণী ও অল ইন্ডিয়া রেডিও অফিসে খোজ করব। এই সপ্তাহে ভারতীয় দুতাবাসে চিঠি লিখব। তদন্ত কমিটি কে আমার আন্তরিক মনে হয়নি।সবার গঠনমূলক মন্তব্য কামনা করছি।
এমন একটি মহৎ কাজের জন্য একজন ব্যক্তির টাকা-পয়সা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়া আমাদের সকলের পক্ষ থেকে বিষয়টির প্রতি আর একটি অবহেলা বলেই প্রতীয়মান হবে(যে অবহেলার জন্য আপনার লেখায় এবং আমাদের মন্তব্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে)। আমি মনে করি, দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির অবস্থা এতটা দুর্বল এখনও হয়নি যে প্রয়োজনীয় টাকা যোগাড় করা সম্ভব হবে না। ধরি, এ কাজটির জন্য এক লক্ষ টাকা দরকার। তার মানে ১০০ মানুষকে গড়ে এক হাজার টাকা করে দিতে হবে। যদি মানুষকে আশ্বস্ত করা যায় যে তাদের দেয়া অর্থ অপব্যবহৃত হবে না তবে টাকা যোগাড় কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়া এখনকার যুগে অনেক সময় স্পটে না যেয়েও বিকল্প মাধ্যমেও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব। পশ্চিম বঙ্গে কোন রাজনৈতিক বা আমলা সূত্র ধরতে পারলে কাজটি আরও সহজ হতে পারে। আমি নিশ্চিৎ যে আপনিও এ ধরণের বিকল্পের বিষয় মাথায় রেখেছেন। বিষয়টি সহ আপনার সকল শুভ উদ্যোগের জন্য সাফল্য কামনা করছি।
সমস্যা ঠিক ধরেছেন। এইজন্য প্রথমে ঢাকাস্থ ভারতীয় দুতাবাসে লিখব। জবাব না পেলে স্বশরীরে ভারত যাব। মন্ত্রনালয়ের জবাবের মাঝেই আমার কিছু তথ্য কিন্তু জোগাড় হয়েছে। এখন অডিও ক্লিপই আসল।
শুধু মহান মুক্তিযুদ্ধ বলে বলে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে সরকার। কিন্তু যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা তাদের ব্যাপারে কোন তথ্য নেই। ছি:
জগতজ্যোতি দাশকে বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা করতে সরকারের আসুবিধা কোথায়?
একমাস অপেক্ষা করতে হবে। এরপর জানা যাবে।
সমস্যা অনেক। প্রথম উনি একজন বেসামরিক যোদ্ধা ছিলেন। ফলে যা হবার ছিল তাই হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত উনি একজন সংখ্যালঘু। যদিও একজন হিন্দু হয়ে ভবিষ্যতের ইসলামিক ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাষ্ট্রের জন্য জীবনদান করা যে বৃথা এটা বোঝার মত সময় তিনি পাননি। একাত্তরে জীবন দেয়া আরও বিশ লাখ বা ততধিক সংখ্যালঘুর ক্ষেত্রেও একই কথা বলা চলে।
প্রিয় মডারেটর,
আমার এই পোস্ট এর বর্ননার চেয়ে ছবি গুলো আসল। কিন্তু ছবির লেখা পড়া যাচ্ছে না। ব্লগের উদ্দেশ্য বৃথা হয়ে গেল।আশাকরি দ্রুত ঠিক করে দিবেন।
আপনার অনুরোধ অনুযায়ী আপডেট করা হলো। এমনিতেও পাঠক ক্লিক করলে বড় আকারে দেখতে পেতেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী ছাড়া কারো কপালে বীর শ্রেষ্ঠ জোটে নাই। সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে।