সম্প্রতি কুমিল্লায় ফেইসবুকে হযরত মুহাম্মদকে নিয়ে কথিত কটুক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে। একই অভিযোগে এর আগেও বাংলাদেশের কয়েক জায়গায় হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। এই প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। এরকম ঘটনা আরো ঘটবে বাংলাদেশে। কেন? কারণ অবাধ ধর্মের চাষ করছি আমরা। জঙ্গি দমন করছি কিন্তু জঙ্গিদের সূতিকাগারে জল সিঞ্চন করে যাচ্ছি। ধর্মীয় শিক্ষার আধুনিকায়নের নামে দেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ইসলামীকরণ করে ফেলছি। শরীয়া আইনের আদলে ৫৭ ধারার মত আইনকে কঠিন করে তুলছি। ধর্মের বিষদাঁত ভেঙ্গে ফেলার বদলে সেই দাঁতকে মুজবুত করে তুলছি। আখেরে এসব আমাদের কি দিবে? বৌদ্ধ মন্দির, হিন্দু মন্দির একের পর এক হামলার শিকার হবে। ধর্মের এই বিষদাঁত ভেঙ্গে না দিলে এই ঘটনা আরো ঘটতে থাকবে…
এ পর্যন্ত বোধহয় ঠিক আছে, যারা জঙ্গি, মৌলবাদী, ফারাবীর মত মানুষ তারা কাদের মোল্লার ফাঁসি চাইলেও নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী বলে দাবী করে, তারা কখনোই এসবের সঙ্গে একমত হবে না। কিন্ত যারা একটু উদার, নিজেকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, ধর্মের ব্যাপারে উদাসিন (কেউ কেউ হয়ত নাস্তিক মনে করেন নিজেকে) তারা নি:সন্দেহে একমত হবেন আমার সঙ্গে। কিন্তু ঐ লাইনগুলোই যদি আমি বদলে দেই, লিখি এভাবে “ …কারণ অবাধ “ইসলামের” চাষ করছি আমরা। “ইসলামের” বিষদাঁত ভেঙ্গে না দিলে এই ঘটনা আরো ঘটতে থাকবে…” কেমন হবে তখন প্রতিক্রিয়াটা?
যখন আমি বলবো “আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না, তার প্রেরিত কোন পুরুষকে মানি না, কোন ধর্মগ্রন্থ ঈশ্বরকৃত লিখিত নয় বরং এসব ঐ ঈশ্বরের বার্তাবাহক দাবীকারীদের নিজেদের কীর্তি…” তখন আমি নাস্তিক। কিন্তু যখন আমি বলবো “ “আমি আল্লাকে বিশ্বাস করি না, তার কথিত প্রেরিত মুহাম্মদকে মানি না, কোরআন আল্লাকৃত লিখিত নয় বরং এটা ঐ আল্লার বার্তাবাহক দাবীকারী মুহাম্মদের কীর্তি…” তখন আমি কি বলে চিহ্নিত হবো?
আমরা সবাই “ধর্মের বিষদাঁত” ভেঙ্গে দিতে চাই কিন্তু “ইসলামের নয়। আমরা “ঈশ্বরের” সমালোচনা করবো কিন্তু “আল্লাহ “ নয়। একজন নাস্তিক তার ধর্ম বিষয়ক লেখায় যদি ‘ঈশ্বর’ ‘ধর্ম’ ‘ধর্মাবতার’ ‘ধর্মগ্রন্থ’ লিখে তার কাজ সারেন তাহলে তিনি একজন খাঁটি নাস্তিক! কিন্তু শুধু ইসলাম, আল্লাহ, নবী, মুহাম্মদ, কোরআন ইত্যাদি লিখেন তাহলে তিনি শুধু ইসলামকেই ‘কটাক্ষ’ করছেন। দুনিয়াতে আরো তো ধর্ম আছে, সেখানে সমালোচনার কিছু নেই? সেখানে অন্যায়, অবিচার, বিকৃত মতবাদ নেই?… আমরা সবাই মৌলবাদের বিপক্ষে কিন্তু ঢালাওভাবে ইসলামী দেশ ও সেখানকার মৌলবাদীদের চিহ্নিত করতে পারবো না। আপনাকে বলতে হবে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী’ ‘ইসলামী মৌলবাদী’ নয়। এসব বলবে ‘ছুপা হিন্দু ইসলাম বিদ্বেষীরা’! যারা ঢালাওভাবে আল্লাহ, কোরআন, মুহাম্মদকে সমালোচনা করে। যারা “ভারসাম্য” রক্ষা না করে কেবল ইসলামকে সমালোচনা করে “তারা সব ছুপা হিন্দু”! এদের একটা ধর্মীয় পরিচয় আছে যেটা তারা গোপন করে শুধু ইসলামকে আক্রমন করার জন্য! …
না, জামাতী-হেফাজতী, পীর-মাশায়েখ, আল্লামা, সাইখুল হাদিসরা কি মডারেট মুসলিমরা অনেককাল ধরে এসব বলে আসছে, আমি তাদের কথা বলছি না।আমি বলছি অধুনা বিবর্তিত নব প্রজাতীর “মডারেট নাস্তিক”দের কথা।বলাই বাহুল্য তারা ধর্মের পক্ষে না, মৌলবাদের পক্ষে না, মুহাম্মদ প্রেমিও না, কিন্তু তারা “ভারসাম্য” চান! তাদের আপত্তি কেন শুধু ইসলামকে নিয়ে পড়ে থাকতে হবে? খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মকে কেন এক হাত নেয়া হয় না? শেষ পর্যন্ত তাই তারাও একমত হয়েছে এই “ইসলাম বিদ্বেষীরা” “ছুপা হিন্দু” শিবসেনা না হয়ে পারেই না!
এই প্রজাতির নব জন্মলব্ধরা (অনেকে বলে ছুপা নাস্তিক!)আশ্চর্যজনকভাবে অন্তত ৯৫% প্রতিক্রিয়াশীল, ধর্মজীবি, মৌলবাদীদের আদর্শের সঙ্গে তাদের আদর্শ মিলে যায়! এরা সমকামিতাকে অসুস্থতা মনে করে (যদিও চরম ব্যক্তি স্বাধীনতার পূজারী হওয়ায় এসবকে আইন করে বা গায়ের জোরে বন্ধ করার পক্ষে তারা নন) এবং নিজস্ব অবস্থান থেকে একে নিন্দা করে যাবেনই।হুমায়ূন আজাদে এদের এ্যালর্জি!আর হালের আসিফ মহিউদ্দিনকে তো এরা ফারাবীর মতই “নেক নজরে” দেখে। আরো আশ্চর্য বিষয় হলো দেশে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে এদের দ্বিমত!এরা উদাহরণ দেয় ইউরোপ-আমেরিকায় খ্রিস্টান মৌলবাদী দলের রাজনীতির অধিকারের কথা।ইউরোপের কোথায় কোথায় ন্যাৎসিবাদের চাষ হচ্ছে সরকারের চোখের সামনে নেটে ঘেটে এনে দেখায়।পন্ডিত কানা যে অহংকারে এ সত্য মিথ্যে নয়।খ্রিস্টান মৌলবাদ বা হিন্দু মৌলবাদকে যে তাদের ধর্ম দিয়েই ধরাশায়ি করা যায় এরা সেটা জানে।জানে যে মোদীর রাম রাজ্য সিরিয়াসলি নিলেও হিন্দু ধর্মগ্রন্থের কোথাও এরকম ঈশ্বরের আজ্ঞা বা অভিলাষ মোদী কেন হিমালয় থেকে নেমে আসা কোন সাধূও দেখাতে পারবে না।মোদীকে তাই “হিন্দু জাতীয়তাবাদ” নিয়ে সেন্টিমেন্ট খেলা খেলতে হচ্ছে। তাকে বলতে হচ্ছে ভারত ছাড়া হিন্দুদের কোথাও যাবার জায়গা নেই।দুনিয়ার যেখান থেকে হিন্দু খেদানো হোক তাদের আশ্রয় ভারত ছাড়া আর কোথাও হবে না।এসব তো ধর্ম কথা না।উপনিষদ, বেদ, গীতা, মনুবচন কোথাও এসব নেই।হিন্দু মৌলবাদীদের এই আধুনিক যুগে ধর্মরাষ্ট্র তথা রামরাজ্য বলে গরীব ধর্মান্ধ ভারতবাসীকে বিভ্রান্ত করতেই পারে কিন্তু এই প্রচারণার বিপরীতে হিন্দু ধর্ম দিয়েই তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া যায়।ভাগবান কোথায় বলেছে রামরাজ্য গড়তে? কিন্তু আমরা কি “ইসলামী রাষ্ট্র” বা “আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা” বা “ইসলামী শাসন” এই অস্ত্রগুলোকে ইসলাম দ্বারাই ভোঁতা করে ফেলতে পারবো? ব্লগে-ফেইসবুকে অনেকেই দেখি গায়ের জোরে পাহাড় ঠেলেন। প্রশ্ন রাখেন এসব কোরআনে কোথায় আছে দেখান? তারা মনে হয় আয়মান আল-জাওয়াহিরির থেকে ইসলাম বেশি বুঝে? অতদূর যাবার দরকার কি,আমাদের দেশে আলেমওলামাদের চেয়ে বেশি ইসলাম বেটে খেয়েছে? তারা কোথায় দাবী করেছে “ইসলামী শাসন” এই দাবী বেদাত? কিংবা নিদেন পক্ষে এটা বলেছে, এইরকম কিছু ইসলামে নেই? ইসলামী মৌলবাদকে ইসলাম দিয়ে মোকাবেলা করা যাবে না। একটাও ইসলামী রাজনৈতিক দলকে ইসলাম দ্বারা মোকাবেলা করা যাবে না। বিদ্যাসাগর বিষ দিয়ে বিষ ক্ষয় করেছেন। মনুর বিধি তিনি মনুর বিধি দিয়েই খন্ডন করেছেন। বিধবা বিবাহ আইন পাস করেছেন তিনি হিন্দু ধর্মকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে- বিষয়টা মোটেও এরকম নয়। তাকে ধর্মের মধ্যে থেকেই এটা করতে হয়েছে। নিজে নাস্তিক হলেও তিনি জানতেন ভারতবাসী ধর্মের যত ক্ষতিকারক বিধানই হোক ধর্ম বলে সেটাই মেনে নিবে বিনাবাক্য ব্যয়ে। তাই ধর্ম দিয়ে ধর্মকে তিনি মেরেছেন। আমরা এখন ইসলাম দিয়ে ইসলামকে কিভাবে মারবো? “ইসলামী শাসনের” বিপক্ষে কোরআন-হাদিসের এমন একটা উদাহরণ দেখাতে পারবো? তবু ধর্মীয় রাজনীতি চলার পক্ষে মত দিয়ে সে তো ইসলামী রাজনীতিকেই সার্পোট করে গেলো!এই বিষবৃক্ষের চাষ তারা কেন চায়? গণতান্ত্রিক অধিকারের দোহাই দিয়ে প্রগতির হন্তাকারক কোন শক্তিকে কেন প্রমোট করতে হবে?
আসুন এবার দেখি কেন বার বার হিন্দু আর অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর হযরত মুহাম্মদকে কটুক্তির অভিযোগে হামলা হচ্ছে? ফেইসবুকে ব্লগে যারা ইসলামকে সমালোচনা করে লেখে তারা আসলে “ইসলাম বিদ্বেষী ছুপা হিন্দু”- আগেই বলেছি এই আবিষ্কার কিন্তু শুধু ফারাবী গংরাই করে না অধুনা উৎপন্ন “মডারেট নাস্তিক”পর্যন্ত বিষয়ে একমত! তাহলে কুমিল্লায় যে অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হলো তাকে সমর্থন করা না করার আগে সবাই একমত যে এটা কোন হিন্দুর কাজ হতেই পারে?
মুসলিম মাত্রই সব সাম্প্রদায়িক আর হিন্দু বিদ্বেষী জেহাদী এ রকম মনে করাটাই অসুস্থতা। বৌদ্ধ মন্দির আর হিন্দু মন্দির ও তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা করলে তারা সবাই খুশি হন না। কিন্তু কোনভাবে এটা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে যে ‘এই হিন্দুগুলি অনলাইনে ইসলামের নবীকে নিয়ে কটুক্তি করে’ তাহলে এই সিম্পিথিটা আর থাকবে না। আর তখনই “সুধাংশু তুই পালা” পরিস্থিতি অনেক সহজতর হয়ে যাবে। শতভাগ “মুসলিম বাংলা” যাদের স্বপ্ন তাদের এখন প্রথম ও একমাত্র টার্গেট হিন্দু খেদাও! তাই উদার মুসলিমদের মনোভাবও হিন্দু বিরোধী করতে একের পর এক কথিত হযরত মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ আসতে থাকবে। আর এভাবেই একের পর এক হিন্দু অধ্যুষিত জনপদ পুড়তে থাকবে…।
তা বুঝলাম, কিন্তু “ছুপা হিন্দু ইসলাম বিদ্বেষী”আবিষ্কারক ‘মডারেট নাস্তিক’, ‘স্বয়ংবাদী’ ‘আধা নাস্তিক’, ‘আধা আস্তিক’ তাদের মনোভাব কিভাবে বুঝা যাবে? তার আগে একটু মুসলিম সমাজে “আল্লাহ” শব্দটি নিয়ে স্পর্শকাতরতার একটা নমুনা দেখাই। বাংলায় একটা কথা আছে ‘শিবের অসাধ্য’! দুরহ কোন কাজকে আপনি বললেন, এ তো শিবের অসাধ্য! মানে স্বয়ং শিবের পক্ষেও এটা সম্ভব না! আকছার বলা হয় এই উক্তি।একবার পাড়ার এক বড় ভাইকে কেউ একজন বড় একটা নোট দেখিয়ে বলেছিলেন ভাংতি হবে কিনা, বড় ভাই কৌতূক করে বলেছিলেন, ‘এত বড় নোট!এটার ভাংতি তো আল্লার কাছেও নাই…’।আশেপাশে মহল্লার একজন মুরব্বি ছিলেন, চোখ-মুখ লাল করে এগিয়ে এসে বললেন, শইলের তেজে বেয়াদপি কইরো না! তোমার জিভ এখনো আস্ত আছে আল্লায় চাইছে বইলাই!আল্লা-খোদারে নিয়া বেয়াদবী করো তুমি…’। বেচারা বড় ভাই কাচুমাচু, বিব্রত, অপরাধী…। ১৫-২০ বছর আগের কথা। এখন আর এরকম রশিকতা করার মত মানসিকতার কাউকে পাওয়া যাবে না।গত ১৫-২০ বছরে আমাদের ধর্মে মতি বেড়েছে, ভয় ও মান্যতাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে।এরকম রশিকতাকেও কেউ এখন বরদাস করবে না।
গত বছর এক বন্ধুর স্বর্ণের দোকানে বসে আছি। লক্ষ্মিপূজা সেদিন, সন্ধ্যাবেলা দোকানে চক বা এইরকম কিছু দিয়ে মেঝেতে পূজার আগে লক্ষ্মির পা আঁকা হচ্ছে।যে ছেলেটি আঁকছে সে অত পটু নয়।দুটো পা-ই সে আঁকছে সমান্তরাল করে। বন্ধুর বাবা এসে সেই দৃশ্য দেখে চোখে-মুখে কৌতূক মেখে বললেন, মায় কি আজকা লাফায় লাফায় আইছে নাকি রে!’ আমরা সবাই হাসলাম ব্যাপারটা লক্ষ্য করে।বন্ধুর বাবা নাস্তিক নন।তিনি সন্ধ্যায় জপ করেন, ‘নাম’ নিয়েছেন, পূজাআর্চা করেন নিয়মিত।তবু দেব-দেবী নিয়ে এরকম রশিকতা কিভাবে করেন আমার মুসলিম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে বুঝতে সত্যি কষ্ট হয়।কোন হাজি সাব এরকম মামুলি রশিকতা করতে পারবে?
‘আল্লাহ’ শব্দটি একটি স্পর্শকাতর শব্দ। ‘মুহাম্মদ’ শব্দটি আরো এককাঠি সরেস। আল্লাহকে নিয়ে কিছু বলেও পার পেতে পারেন কিন্তু কোরআন, মুহাম্মদ নামে কোন সমালোচনা করে পার পাবেন না। এগুলো আরো সেনসেটিভ। মুসলিম পরিবারগুলোতে বংশ পরম্পরায় এসব চলে এসেছে। সেই পরিবার থেকেই নাস্তিক বেরিয়ে কতটুকু অবচেতনে শব্দগুলোর মোহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে? পারে না বলেই বোধহয় তাদের সন্দেহ হয় “এরা ছুপা হিন্দু”…।
এইখানে এত হাউকাউ দেখিয়া কুতুকুতু লেভেলের বিরক্ত হইলাম :guli:
মুক্তমনার প্রথম পেজে মনে হয় ‘সূস্থ ব্লগিং নির্দেশনা’ জাতীয় টপিকে স্থায়ীভাবে লেখা ঝুলিয়ে রাখার সময় হয়েছে।
@আদিল মাহমুদ, একমত , :guru:
@আদিল মাহমুদ, পুন্দানি, ছুপা হিন্দু, ইন্ডিয়ান, ইতর, গাধা, চটকানা মারা- এরকম ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমন আমি মুক্কমনায় ভাবতেই পারি না। কিন্তু এসব নাকি অনেক পুরোনো ঐতিহ্য!
সহমত। (Y)
হা হা হাহ পাঠকদা ,
এইখানেও দেখি আপনার অবস্থা করুন।:))
@আউল বাউল, আপেক্ষিক। আপনার কাছে একরকম, অন্যদের কাছে অন্যরকম। তবে আমার অবস্থা “করুণ” কল্পনা করে আপনার উচ্ছ্বাস আমাকে বিনোদন দিয়েছে। ভাল থাকবেন। মুক্তমনায় স্বাগতম।
পাঠক দা ,
আমি আপনাকে অনেক আগেই বলেছি যে আপনার লেখার হাত ভালো, লেখায় স্বতস্ফুর্ত গতিময়তা আছে, এটাকে মৌলিক লেখার কাজে লাগান, আমরা একটা ভালো লেখক পাই।
আপনি যে ধারায় লিখেন তাতে ইসলামে আপনার অসহিষ্ণুতা ও প্রকট ভাবে বিদ্বেষ ফুটে উঠে। এভাবে লিখে এপর্যন্ত ইসলামের কোনো পরিবর্তন বা অগ্রসরমানতা বন্ধ এখনো কেউ করতে পারেনি।এই পোস্টের কমেন্টেই আপনার যুক্তিহীন গা-জোয়ারি কথাবার্তাই আপনার করুন অবস্থার নিদর্শন,এটা দেখে আমার হতাশা কে আপনি উচ্ছাস ভেবেছেন। আপনিও ভাল থাকবেন, আপনার চিন্তার জগতে ইতিবাচক পরিবর্তন কামনা করছি।
সুষুপ্ত পাঠক, আমি খ্যান্ত দিচ্ছি। আর না। আপনি ইসলামকে সমানে পিটাতে থাকেন। আমি নিজেকে আপনার এই লেখা থেকে এবার সম্পুর্ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আপনি এতে বিজয়ের আনন্দে বগল বাজাতে থাকেন, বা আরো কিছু বিষ থাকলে ঝাড়েন আমার কি তাতে? আমার শুরু থেকেই বক্তব্য ছিল এই যে এইভাবে মানুষের গোঁড়ামি কমানো যায় না, বরং এতে হিতে বিপরীত হয়। যাক এটা যদি না বুঝেন সেখানে আমিই বা খামোখা কেন এত কথা বলে নিজের মাথা নষ্ট করছি? আমার কোন দরকার নেই।
মুক্ত মনা ব্লগ সম্পর্কে একটা ভাললাগা সবসময় কাজ করে আমার, আর তাই এটাকে পরিচ্ছন্ন দেখতে চেয়েছিলাম আমি। কিন্তু যদি মুক্ত মনা ব্লগ নিজেই আপনার লেখার ছাড়পত্র দিয়ে থাকে তবে এখানে আমার আর কি বলার থাকতে পারে? যাক আমি মুক্ত মনার কোন মুখপাত্র না, কোন স্পোক পার্সন না, শুধুই একজন সাধারন সদস্য আর ভক্ত। কিন্তু আমার মনে হয় এখন আসলেই থামা উচিত। আপনাদের যদি আদৌ কোন ব্যাবস্থা নেবার দরকার হয়, তবে সে সিদ্ধান্ত না হয় মুক্ত মনা ব্লগ নিজেই নিক। খামোখা একজন সাধারন সদস্য হিসাবে আমার ফালাফালি করা ঠিক না।
ভাল থাকেন আর সুখে ইসলাম পেটাতে থাকেন, এতে মনের সুখ যদি আপনার হয় তবে হোক। আশা রাখি আমরা দুইজনেই আরো অনেকদিন বেঁচে থাকব। এই রকম চরিত্রহনন করে মুসলিমদের গোঁড়ামি কতখানি কমাতে পারেন সেটা জানাবেন সবাইকে। ভাল থাকেন। এটাই আপনার এই লেখায় আমার শেষ মন্তব্য।
@অর্ফিউস,
আজব! মুক্তমনায় আমার এমন একটা পোস্ট দেখান যেখানে হিতে বিপরীত হতে পারে! আপনি গুলিয়ে ফেলছেন! অন্তত মুক্তমনায় প্রকাশিত আমার লেখাগুলো মৌলবাদদের বিরুদ্ধে। সরাসরি ধর্ম সমালোচনা নয়।
পুন্দানি, ছুপা হিন্দু, ইন্ডিয়ান, ইতর – এগুলো বুঝি পরিচ্ছন্ন রাখার নমুনা?
আবারও বলছি আমার একটা লেখার তুলনা করুন এই পরিপেক্ষিতে।
পারলে নমুনা দেখিয়ে পোস্ট দেন। দেখি কেমন করে আপনি মুসলিমদের গোমামি দূর করার সাজেশন দেন আপিন। শুনুন, সুর বদল করলেই আপনার চরিত্র বদল হবে না। আপনার মুখোশ খুলে গেছে। নিজের অজান্তেই নিজের ভেতরের গোড়ামি আপনি গোপন করতে পারেননি। আপনার অহমিকা আপনার বিপদ ডেকে এনেছে। যাই হোক, ভাল থাকবেন।
সমালোচনা করতে হলে অবশ্যই তাকে নিরপেক্ষ থেকে করতে হবে। আমি জানি নাস্তিক হতে হলে তাকে অনেক কিছুই জানতে হবে। মৌলবাদী দের কাছে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। শুধু আল্লাহ বা অন্যান্য স্রস্টাকে অবিস্বাস করলেই কিন্তু তাকে নাস্তিক বলা যাবে না, হয়ত বড়জোর তাকে সংশয়ী ব্যক্তি বলা যেতে পারে। সেই বুদ্ধিমান অবিশ্বাসী দের সমালোচনার সাম্যতা রক্ষা করা উচিৎ, না হলে কিন্তু অনেক দুর্ঘটনায় ঘটবে। তাছাড়া আপনার এটা বোধগম্য থাকা উচিত যে নাস্তিক নিধন কোন অপরাধ নয়!!! এটা মহাপুন্নের কাজ, বেহেশতের টিকিট কনফার্ম করে বলে ব্যাখা দিবে এবং আমাদের মত মুসলিম প্রাধান্য দেশে এর শাস্তি কখনই হবে না।
ধন্যবাদ অনেক সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
অধিকাংশ নাস্তিকই খ্রিস্টানদের অনুসরন করে।নাস্তিক নামধারীদের ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশি চুলকানি। তারা যেকোন মূল্যে চায় ইসলাম ধর্মকে হেয় করতে। তাই তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাপোর্ট দেয়। এমনকি অন্য ধর্মের রীতিনিতিও পালন করে থাকে। এর মানে কি? নাস্তিকতার মানেই তো ধর্মকে বিশ্বাস না করা ও পালন না করা। কিন্তু এদের কার্যকলাপ তো সে কথা বলে না। এক ধর্মকে অমান্য করে অন্য ধর্মকে বা ধর্মের কিয়দংশ মানা নিশ্চয়ই নাস্তিকতা নয়? আর তারাও নিশ্চয়ই নাস্তিক নয়?“ছুপা হিন্দু”! কিছু আছে, এরা নিজেদের নাস্তিক পরিচয় দিয়ে ইসলাম ধর্মের পিছে লাগে। 😛
@বেয়াদপ পোলা,
ভাইয়া তাড়াতাড়ি এই ধরনের কয়েক জন নাস্তিকদের নাম বলেন ! 😕
তাঁর নাস্তিকতা ছুটাইয়া দিয়া আসি … :guli:
এইটা আবার কি বললেন !!! :-O
প্রথমে বললেন অধিকাংশ নাস্তিক খ্রিস্টান আবার এখন বলছেন তারা ‘ছুপা হিন্দু’ !!! মাথা আউলাইয়া গেছে… :-X
আগে আপনে ঠিক করেন তারা ‘খ্রিস্টান’ নাকি ‘ছুপা হিন্দু’ ?? :-Y
@হয়রান,
নাস্তিকতা ছুটানোর পন্থা টা যদি বলতেন উপকৃত হতাম। :lotpot:
নিজেকে কোন উপাধিতে ভূষিত করলে নিজের জীবন ধন্য মনে করবেন ‘খ্রিস্টান’ নাকি ‘ছুপা হিন্দু’ আমি ঠিক করে আপনাকে সেই উপাধিতেয় ভূষিত করব 😀
@বেয়াদপ পোলা,
তাও ভালো আপনি নতুন কিছু কইলেন। এতদিন শুনতাম নাস্তিকেরা ছুপা হিন্দু; ছুপা খৃস্টানও যে হয় এই প্রথম শুনলাম 😛
ইসলাম কোন ছুঁতরা পাতা তাইলে বুইঝা নেন; যে সবার চুল্কানির কারন হয় 😛
এর জন্যই এই আগাছা উপড়ে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা দরকার। আর খাঁটি মুসলিমেরা (যেমন বর্তমানের “বোকা হারাম” রা) নিজেরাই ইসলামের পুঙ্গি বাজিয়ে কুল পাচ্ছেনা; এসব দেখে একটু আলোচনা সমালোচনা বা হাসাহাসি করলে সেটা আর যাই হোক অন্তত ইসলামকে হেও করা বলা যায় না।
ভাইজান; নাস্তিকেরা অন্য ধর্মের কোন রীতি নীতি পালন করে একটু বলবেন কি ??? শুনতে ইচ্ছে করছে।
হাগু করে পানি খরচ করা “সুন্নৎ” বলে কেউ যে ইসলামের সুন্নৎ পালন করতে পারবে না তা তো নয় তাইনা??? দুনিয়ার সকল জাতি এই “সুন্নৎ” পালন করে তাই বলে তো সবাই মুসলিম আর মুহাম্মদের অনুসারী হয়ে যায়নি তাইনা ???
এরকম ভাবে যদি বলতে চান শ্রদ্ধা দেখাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে আমরা সবাই হিন্দু খৃস্টান হয়ে গিয়েছি তবে তো মুশকিল। ধর্মীয় প্রথা আর সংস্কৃতি ভিন্ন জিনিস; যদিও মূর্তি আর ভাস্কর্যের পার্থক্য যারা না বঝে তারা সেটা বুঝতে পারবে বলে মনে করিনা 🙂
@এম এস নিলয়,
শুনে মনে হচ্ছে ব্যাপক গর্ব বোধ করলেন, করার এ কথা, ছুপা হিন্দু; ছুপা খৃস্টান, বিশাল মর্যাদার ব্যাপার। :))
নাস্তিকতা কোন ধর্ম নয়, অনেক মানুষের মতে নাস্তিকতা একটি ধর্ম। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ধার্মিকরা ধর্ম দ্বারা এতই প্রভাবিত যে, কোনোপ্রকার ধর্মবিশ্বাসহীন একজন মানুষ কল্পনা করা তাদের বোধশক্তির বাইরে। যারা নাস্তিক্যবাদকে ধর্ম বলে দাবী করে, তাদের নাস্তিক্যবাদ সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই এবং যখন ধর্মের সংজ্ঞা দ্বারা এটিকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করা হয়, তখন সেটি একটি হাস্যকর চেষ্টা হয়ে দাঁড়ায়। নাস্তিক্যবাদ কোনো কাঠামোবদ্ধ বিষয় নয়। সাধারণভাবে বলা যায় স্রষ্টা, দেবতা বা অতিপ্রাকৃত কোনো কিছুতে অবিশ্বাসই নাস্তিক্যবাদ। নাস্তিক্যবাদ সব ক্ষেত্রে এক রকম নয় এবং এটা কোনো জীবনদর্শন ও নয়। কারো ইউনিকর্নে অবিশ্বাস যেমন জীবনদর্শন নয়, তেমনি স্রষ্টায় অবিশ্বাসও জীবনদর্শন হতে পারেনা। নাস্তিক্যবাদ আস্তিক্যবাদের মত কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও নির্দেশের সমাবেশ নয়। একজন নাস্তিকের দর্শন যে আঙ্গিকেই হোক না কেন, ঈশ্বরে অবিশ্বাস করলেই সে নাস্তিক্যবাদের আওতাভুক্ত। এটি আস্তিক্যবাদের মত প্রমাণ ছাড়া কিছু বিশ্বাস করতে বলে না, এখানে যে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা যায়, প্রমাণ চাওয়া যায়।নাস্তিক্যবাদ ধর্মের সবকটি বৈশিষ্ট্যকে অমান্য করে। কাজেই নাস্তিক্যবাদকে কোনোভাবেই ধর্ম বলা যায় না। :-s
@বেয়াদপ পোলা, এম এস নিলয় বলার পর আর কিছু বলার নেই আসলে। তবু একটি কথা। “অধিকাংশ নাস্তিক খ্রিস্টানদের অনুরসণ করে”-আপনার এই উক্তির পরিপেক্ষিতে বলি, একজন সাচ্চা মুসলমান হতে হলে আগে একজন সাচ্চা খ্রিস্টান হতে হবে! খ্রিস্টান আর ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য খুবই কম। অথচ এই দেশে মাওলানা সাহেবরা কথায় কথায় “ইহুদীখ্রিস্টান কালচার” বলে বিষেদাগার করেন। আপনি সেই ওয়াজ শুনে মুসলমান বুঝাই যায়। আপনার মত মুসলমানরা ইউরোপীয় কালচারকে খ্রিস্টান কালচার মনে করার মত মূর্খামী করতেই থাকবেন। বলার কিছু নাই। এক মিনিট নিরবতা পালন বা মোমবাতি প্রজ্বলন, কেক কাটা এসব কি মধ্যপাচ্যের যীশুর সংস্কৃতি ছিল? চরম মূর্খ না হলে মুসলিমরা নিজের ছেলের নাম রাখতে পারে “মো: উট”! (মো: জামাল অর্থে। এইরকম হাস্যকর নামে ভরপুর তথাকথিত ইসলামী নামের বাহারে।) একটু উদার আর শিখতে চেষ্টা করুন। পশ্চাৎপত মুসলিম সমাজকে ফের জাগিয়ে প্রগতিশীলতায় আনার চেষ্টা করুন। নইলে এইরকম উট, বিলাই… নানা নামের স্বার্থকতা কিন্তু ধরা পড়বে নিজেদের কাজে…
@সুষুপ্ত পাঠক,
জনাব,আপনার বিদ্বেষ দেখে আমার মজা লাগছে। শেষে নাম নিয়ে টানাটানি শুরু করলেন? তো স্যার নিজে আরেকটু উদার হলে ভাল হয় না? Potter মানে কি কুমোর না?এই নাম টা কিন্তু বেশ প্রচলিত।দেখেন হালের হ্যারি পটারের নামের বানান কিন্তু একই। আবার elijah wood একে চেনেন নিশ্চয়ই? এখানে তার নামের শেষটা কিন্তু কাঠ। তেমন Kate Moss এখানে এর শেষ নামের অর্থ শেওলা। এগুলোতে সমস্যা নাই সমস্যা হল জামালে!
নামের অর্থ করতে গেলে কিন্তু কেউই মুর্খ কম না স্যার। আপাতত আর উদাহরন হাতে নেই, তার হয়ত দরকারও নেই।তবু লাগলে বলবেন খুজে বের করা যাবে।
@অর্ফিউস, যাক ভালই হলো যে আপনি কমেন্ট করায় উত্তর দিতে পারছি। নইলে অন্য ব্লগে আপনার কমেন্টের উত্তর দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না কারণ ওখানে এক শীর্ষস্থানীয় সেলিব্রেটি “ব্লগ সন্ত্রাসীর ” সঙ্গে বিবাদের জেরে আমি ব্যান হয়ে আছি। যাক সেকথা। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি ফের আপনি আমার এই পোস্টে কমেন্ট করতে আসবেন আর ফের ধরা খাবেন। ধরাটা পরে খাওয়াই আগে একটু কথা সেরে নেই। মুক্তমনায় আমার কাছে বাঁশ খেয়ে সেই যে আপনি চলে গেলেন আর পাত্তাই নেই। যারাই আপনার আমার মধ্যে কমেন্টগুলো পড়েছে তারাই পরে আমাকে ফেইসবুকে বলেছে উচিত শিক্ষাই দিয়েছেন ওকে। মানে তাদের কাছে মনে হয়েছে যুতসই হয়েছে কমেন্টগুলো। অথচ আকাশ মালিকের পোস্টে কমেন্ট করলেন:
লিংক
ভাইজান, আবার একটু আপনার আমার কমেন্টসগুলো পড়েন। :hahahee:
তবে ঐ ব্লগে আমার একটি অনেকে আগে লেখা পোস্টে আমার উপর আপনার আক্রোশ দেখে ইমরান যথার্থ লিখেছে আপনার সম্পর্কে। সদালাপে গিয়ে আপনার রায়হান হুগুরের সাথে বাতচিত দোষে নয় অবশ্যই। তবে মুক্তমনাকে সেখানে বারবার বিকৃত করে প্রচার করার পরও আপনার নিরবতা, এবং রাহয়ানের কাছে আপনার আত্মপক্ষ সমর্থন: মুক্তমনার সবাইন নাস্তিক না…। 😛 জব্বর হইছে!
যাই হোক, আপনি ইসলাম ফ্যান হতেই পারেন সেটা তো দোষের না। ভান করার দরকার কি? স্বয়ংবাদী এইরকম ধানাইপানাই করার প্রয়োজন আছে কি? মো: উট বলাতে দুনিয়ার গুষ্টি তুলে এনেছেন! তা সেটা খ্রিস্টান নামের তাই না? ইহুদী? ভাইজান, আমি যে খোচাটা দিয়েছি সেটা তথাকথিত “ইসলামী নাম” রাখার যে রেওয়াজ সমাজে সেটাকে। আরবী নামকে “ইসলামী নাম” এই তকমা কে কবে লাগিয়েছে জানি না। দু:খজনক যে বাঙালি মুসলমান ছেলেমেয়েদের নাম আরবীতে রাখারপ্রচলিত। শুধু তাই না, ইসলাম বিশ্বে যেখানেই গেছে তার নতুন অনুসারিদের একটা করে আরবী নামে দিয়ে তার পূর্ব পরিচয়কে এভাবেই মুছে ফেলতে চেয়েছে। অথচ ওমর-আবু বকররা মসলিম হয়ে নতুন নাম পান না। কোথাও দেখা যায় না মুহাম্মদ তথাকথিত ইসলামী নাম রাখতে বলছেন। এজন্য একজন আরবী খ্রিস্টান আর একজন আরবী মুসলিমের নাম শুনে ধর্ম বুঝা যায় না। কিন্তু একজন বাঙালি হিন্দু আর একজন বাঙালি মুসলিমের নামের কারণে একজনকে মনে হয় ভারতবর্ষীয়, অন্যজন যেন মধ্যপাচ্য থেকে এসেছে। আপনি যে ইংরেজি বা ইউরোপীয় নামের উদাহরণ দিয়েছেন তা যতই হাস্যকর হোক তা তো তাদের ভাষায় ও নিজস্ব জাতিসত্ত্বার নাম। তথাকথিত বেহেস্তি নাম তো তারা রাখতে যায়নি। বাংলাতেই কত হাস্যকর নাম মানুষের আছে। আমার অভিযোগটা ছিল ইসলামী নামের মোহে না বুঝে উট, বিলাই আরো কত কিছু না রাখছে তারা সন্তানদের! এ যখন আমার অবস্থান, আপনি ওমনি ছুটে আসলেন মুসলিমদের ইজ্জত বাচাতে! ইমরানের অভিযোগ একদম সঠিক তার প্রমাণ এখানেই। কিন্তু উত্তেজনার বশে ভুলেই গেছেন ইউরোপীয়রা তাদের সন্তানদের নাম তাদের ভাষায় যতই হাস্যকর হোক, রাখছে নিজেদের ভাষায়। আরবী নাম তো রাখছে না! আর যেটুকু ধর্মীয় চরিত্রের নাম রাখছে সেটাও নিজেদের ভাষার উচ্চারণে। ঢালাওভাবে আমাদের মত আরবী নাম রাখছে কি? মো: জামাল? আবু বকর (বরকির বাপ!)
ভাই, আপনার যা ভাব বুঝলাম, আপনি খেলতে আসছেন এখানে। আকাশ মালিককে বললেন, তিনি নাকি এখানে ড্র করে গেছেন আপনার সঙ্গে! বাহ বাহ! আপনি দারুণ খেলুড়ু তাহলে! সদালাপে রায়হানের সামনে আদবের সাথে যে বাতচিত করে তার তো সবাইকেই ইসলাম বিদ্বেষী মনে হবেই। রায়হান অভিজিৎ আর মুক্তমনাকে গালি না দিয়ে ভাত খায় না। অভিজিৎদা হচ্ছে বিড়াট ইসলাম বিদ্বেষী! আকাশ মালিককে নিয়া তারা এক সাপ্তাহ পালন করেছে বিষেদাগার জন্য। আপনি আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলেছেন কোন অসুবিধা নাই। রায়হান যেমন অভিজিৎদা আর আকাশদাকে বলে তাদের যুক্তিগুলোর জন্য। তাদের তথ্যগুলোর জন্য। যাই হোক, ফারুক বা মজ বাসার অতীতে তর্ক করে শেষে আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী গাল দিয়ে সরে পড়েছে। আমি আপনাকে তাদের থেকে ভিন্ন কিছু মনে করি না। ভিন্ন কিছু আশাও করি না।… তবে তারা ইসলাম সম্পর্কে অনেক বেশি জানে আপনার থেকে।
@সুষুপ্ত পাঠক,
চোখে মনে হয় কম দেখতেছেন। অবশ্য সেটা দেখারই কথা, সারাদিন চোখে মুসলিম আর ইসলাম দেখলে অন্যকিছু কম দেখা স্বাভাবিক। শুনেন স্যার আমি রায়হানের কাছে না, আমি মুহাম্মদ হাসানের কাছে নিজেকে পরিষ্কার করেছি।
আর মুক্ত মনা সম্পর্কে বিকৃত প্রচার করলে সেখানে গিয়ে আগে মুক্ত মনা কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের সাথে লাগা, তার আগে আমি লাগতে যাবার কে? আমি কি মুক্ত মনার মুখপাত্র? নাহ তা নই নিশ্চয়ই। আপনার এতই দরদ যখন, আপনি কেন কোন মন্তব্যই সেখানে করলেন না যেখানে ( সদালাপে) আপনি সারাদিন পড়ে থাকেন?
আপনার আকাশ দা কে আমি মুক্ত মনাতেই চটকানা দিয়েছি। কাজেই আকাশ মালিকের সাথে আর কারো তুলনা না করলেই খুশি হব। অবশ্য এই লোকের সাথে আমার ব্লগীয় সরাসরি দ্বন্দ তেমনটা ছিল না। আমার ব্লগে যখন ভাল কথার মন্দ অর্থ করল এইবার দেখবে যে দ্বন্দ কি জিনিস। আমি ইট খেলে পাটকেল দিতে ভুল করি না।
আর আপনি রায়হান রায়হান করে একটা মন্ত্র লিখে ফেলেন, আমি তার দরকার দেখি না।
আপনার মন্তব্যের পুরাটা পড়ি নাই, তার দরকার মনে করতেছিনা আর। আরবী নাম রাখলেই দোষ এটা আগে বললেই তো হত এত ত্যানা প্যাচানোর দরকার ছিল না। তাহলেই আমাকে এই নিয়ে পালটা রেফারেন্স দিতে হত না।
এবার আপনাকেও আমি কি মনে করি সেটা পরিষ্কার করে দিচ্ছি। আপনার মত একজন কাপুরুষ যে কথায় কথায় সদালাপ আর মুক্ত মনার কি হচ্ছে সেটাকে ক্যামোফ্লাজ হিসাবে বুবহার করেন তাকে আর সমীহ করা যায় না, যথেষ্ট হয়েছে। নাহ আপনাকে আমি ছুপা হিন্দু মনে করি না, বরং আপনাকে আমি ছদ্মবেশি হিন্দুত্ব বাদী বলেই সন্দেহ করে থাকি এমন কি আপনি বাংলাদেশের নাগরিক কিনা সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে, কথাটা শুনে রাখুন।
@অর্ফিউস,
বাহ সেখানে মুক্তমনা নিয়ে কি আমি কথা বলেছি? মাথা ঠিক আছে? “মুক্তমনার সবাই নাস্তিক না” বলে তো মুক্তমনাকে আপনি জড়ালেন। আর উত্তর দিবো আমি? মুক্তমনা দিবে? শোনেন, ইসলাম প্রেমী, শিবিরের ব্লগে সুষুপ্ত পাঠক কমেন্ট করে না। ওখানে গিয়ে আপনার মত মানুষই সমমনা লোক খুজে পায় এবং সদালপাপের একটা সৎ গুণও আবিষ্কার করে ফেলে!
আপনার ভেতরের “সদালাপকে “আমি টেনে বের করবোই!
অন্যত্র আমাকে উদ্দেশ্য করে আকাশ মালিককে :
হা হা হা… মানুষ যখন যুক্তিতে হেরে যায় তখন এভাবেই গায়ের জোর দেখাতে চায়। আকাশ মালিকের মত মুক্তমনার পুরোনো লেখককে চটকানা দেয়ার মত শব্দ ব্যবহার করা যায় আপনার মত নতুন বৈরাগীর কাছ থেকে তা জানা ছিল না! সাবাস!
ত্যানা প্যাচালো কে? মাথা ঠিক আছে? মো: উট শুনে একদম দৌড়ে আসছে মোহাম্মদের উজ্জত বাঁচাতে!
না-ই বা হলাম বাংলাদেশের নাগরিক! তাতে কি হলো? নাকি এখন ধর্ম নিয়ে আসর জমাতে না পেরে এন্টি ইন্ডিয়ান রাজনীতিকে টেনে আনবেন? :lotpot: হ্যা, তাতে লোক পাওয়া যাবে ম্যালা। আর আমি আসলেই বাংলাদেশের নাগরিক কিনা গবেষণা করতে থাকেন। আমি হিন্দু এটা তো আবিষ্কার শেষ তাই না?
না ,আপনার শিক্ষা হয়নি। আর আপনাকে ছাড় দেয়া যায় না।
@সুষুপ্ত পাঠক,
হরি ঘরে কে রে আমি গুড় খাই নি।
আমার মন্তব্যটা কি ছিল সেটা আমি এখানে দিয়ে দিচ্ছি। যদিও তার কোন দরকার নাই, তবু আপনাকে মিথ্যাবাদী প্রমান করা জরুরী তাই দিচ্ছি।
আসলে এখানে আপনারা শব্দটি ব্যবহারে আমি আপত্তি করছি। আমি মুক্ত মনার কোন স্পোক পার্সন না, শুধুই একজন সাধারন সদস্য, আর কাউকেই ব্যক্তিগত ভাবেও চিনি না, শুধুই ব্লগিয় পরিচয়।
তবে এটা আসল কথা না, আসল যে ব্যাপার সেটা হল আমি মোটেই নাস্তিক না, নিজেকে কোনদিন নাস্তিক বলে দাবী করেছি বলেও মনে পড়ে না।ধন্যবাদ।
এখন সবাই দেখুক যে আমি মুক্ত মনার সবাই নাস্তিক না বললাম, নাকি বললাম যে আমি মুক্তমনার স্পোকপার্সন না। আপনার মত নিচুশ্রেনীর লোক যে কিনা দিন কে রাত করে, মন্তব্য কে বদলায়, তার সাথে কথাবার্তা বলার রুচি আমার নষ্ট হয়ে গেছে। তবে তবে শয়তানী যদি বন্ধ না করেন তবে আমাকেও সরে গেলে হবে না।
আপনার টেনে বের করা লাগবে না, আমি নিজেই বলছি যে আমি সদালাপী আর আমি খাঁটি ইমানদার, খুশি এবার? সদালাপি আর ইমানদার হইসি তো কি হইসে? তার মানে কি আপনার মত একটা হেইটফুল ভন্ড কে পেটান যাবে না? আলবৎ যাবে।
হ্যাঁ তো হইসে টা কি? মুক্ত মনের ছদ্মবেশে হিন্দুত্ববাদীরা মহাম্মদের ইজ্জত মারলে যে কেউ সেটা বাঁচাতে পারে।
আমাকে আপনি ছাড় দিচ্ছেন জনাব মিথ্যুক? কে ভাগছে আমি না আপনি নিজেই? দেখেন না আমার আগের মন্তব্যে?
দেখেন আমি আমাদের আগের ঝামেলার শেষ মন্তব্যটা যার আপনি জবাব দেন নি সেটাই তুলে দিচ্ছি।
@সুষুপ্ত পাঠক,
শুনেন স্যার, সদালাপে গেছি আপনার খোঁচা খাবার পর থেকে। আর দুটা লেখাতে মন্তব্য করেছি। তবে তার অনেক আগ থেকেই কিন্তু আপনাকে আর আপনার সমগোত্রীয় কিছু লোককে ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষী বলেই মনে করে থাকি।
আর আপনাকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলে রাখি, আর তা হল, যতক্ষন কেউ আমার সাথে আপত্তিকর আচরন না করছে ততক্ষন তার সাথে আদবের সাথে বাতচিত কেই আমি ভদ্রতা বলে মনে করি। সেটা রায়হান হোক বা যেই হোক। আপনি জানেন না যে ভদ্রতা কাকে বলে তাই আপনাকে আর সেটা শেখাতে যাব না। কারন ওটা আপনি বুঝবেন না।আমি জা করছি পরিষ্কার ভাবেই করছি, কথায় কথায় অভিদা অভিদা করে অভিদাকে টেনে ক্যামোফ্লাজ নিচ্ছি না, যেটা আপনি করছেন হীনভাবে।শুনে রাখেন আমি অভিদা সহ মুক্ত মনার বিদগ্ধ আর নামী গুনী লেখক সবাইকে শ্রদ্ধা করি এটা আপনাকে আগেও বলেছি, অবশ্য এটা আর আপনাকে ব্যখ্যা দেবার দরকার দেখছি না। কোন ব্যখা দিতে হলে আমি তাঁদের কেউ দেবো, আপনার মত কাপুরুষ কে নয়।
আর তাদের মত মুক্ত মনার নামী লেখকদের পাশাপাশি আপনার মত বিদ্বেষীর নাম করতে হচ্ছে বলে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে। তাই এটা বাদ থাক আপাতত।
আর আপনার মন্তব্য আরো একবার খাপছাড়া করে পড়লাম আর এর পর যা বলতে চাই যে কারো মুখপাত্র হিসাবে কথা আপনার না বলাই ভাল। আমার সাথে আমার ব্লগে কিন্তু আকাশ মালিকের সাথে এই মাত্র সমঝতাও হয়ে গেছে। উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন, আমিও মেনে নিয়েছি। তাই অযথা ফাঁদে পড়া কেন গো ভাইজান?
@অর্ফিউস,
বাহ গণেশ যে উল্টে গেলো! অভিদা আর ফরিদ ভাই করে কে আমার এই পোস্টেই তেলিয়েছে? আমি?
এটা কি আপনার কমেন্টস: আপনার আকাশ দা কে আমি মুক্ত মনাতেই চটকানা দিয়েছিএখন কি কোরআনওয়ালাদের মত বলবেন এটা রূপক অর্থে ব্যবহার হয়েছে, আক্ষরিক অর্থে নয়! :-Y
আশরাফ আর আতরাফ? শিট ম্যান! আপনার মত লোকও মুক্তমনাতে ল্যাদাতে আসে! ছি:!
রেহাই চাচ্ছেন তাহলে? ;-(
@সুষুপ্ত পাঠক,
মুক্ত মনা আপনার পৈতৃক সম্পদ না। আমাকে একমাত্র মডারেটর রাই আসতে মানা করতে পারেন, আপনার মত ইসলাম পোন্দানো জন্তুরা না।
আপনার দালালী থেকে রেহাই চাইছি, পারলে নিজে কিছু বলেন, অন্যের হয়ে কথা বলেন না। আর আমার ব্লগের মন্তব্য এখানে টেনে এনে নিজের পরিচয় তো দিয়ে দিচ্ছেন। যাক এটা আপনার ব্লগ আমি আর কথা বাড়াব না। আপনি মনে সুখে পোন্দান,আর ইসলামের পুটু মারেন। অন্যদের ব্লগে এটা করলে আমি আপনাকে আবার দেখব।
@অর্ফিউস,
হিন্দু! ইন্ডিয়ান! জন্তু! বেহাল অবস্থা ভাই আপনার! যাকে বলে একেবারে কেরাসিন! পুটু কি এখনো জ্বলছে?
এ পর্যন্ত ব্যক্তিগত আক্রমণ ভালই করলেন। কার দালালী করছি নাম বলুন। বলতে না পারলে নাকে খত দিয়ে ভাগেন।
আপনি পারবেন। হাসে পারে, মুরগি পারে আপনি পারবেন না কেন! :lotpot:
@সুষুপ্ত পাঠক,
আমি অন্য ব্লগে কার সাথে কি করলাম সেটা নিয়ে আপনার গা জলছে তো তাই বললাম আর কি।
@অর্ফিউস, তাহলে নাকে খত দিন! নাকে খত দিয়ে মাপ চেয়ে এখান থেকে বেরিয়ে যাবেন। মিথ্যা অভিযোগ কেন করবেন। আপনার স্বভাব হচ্ছে কথা এগিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যাওয়া। আপনি যে কতবড় একটা বেয়াদপ তার প্রমাণ আপনি একজন সিনিয়র লেখককে চটকানা দেয়ার সাথে তুলনা করেন। অন্যকে ইতর বলার আগে আয়নায় নিজেকে একবার দেখবেন। উত্তর পেয়ে যাবেন।
@সুষুপ্ত পাঠক,
আপনি এই লেখায় না অন্য লেখা থেকেই বার বার বলছেন যে আপনাকে আর অভিদাকে কারা নাকি কি কি বলে। আচ্ছা অভিদার কথা এসেছিল কেন? আমি কি অভিদার না আপনার কথা বলেছিলাম? আর শুনেন ফরিদ ভাইকে আমি তেলাই না। উনি আমার শ্রদ্ধেয়; আপনারা যে উনাকে ছেড়ে দেন নাই সেটাই আমি বলেছি, কোনটা তেলানো আর কোনটা তেলানো না সেটা অবশ্য আপনার বুঝার কথা নয়, যেহেতু আপনিই রাত দিন তেল দিতে ভাল বাসেন।
শুনেন, আপনার বিতর্কের ফাদ কিন্তু সফিক সাহেবের একটা লেখায় ফরিদ ভাই এড়িয়ে গিয়েছিলেন মনে আছে? জামাতের রাজনীতি সংক্রান্ত একটা লেখা? আপনার মত তেলাপোকার সাথে উনি তর্কে জড়াতে চান নি। আমি কিন্তু অনেকটা আপনার মতই চুনোপুঁটি লেভেলের, আমি কিন্তু আপনার প্রাপ্যটা আপনাকে ঠিকই বুঝিয়ে দিতে পারছি আশা রাখি।
@অর্ফিউস, শু
ফরিদ আহমেদের মত মুক্তমনা সিনিয়র ও শ্রদ্ধেয় লেখক আমার মত তরুণ লেখককে আমলে নেননি, রূঢ ভাষায় এড়িয়ে গেছে তা কি হয়েছে। আমি তাকে এখনো শ্রদ্ধা করি তার লেখার জন্য। একমত না হতে পারি তাতে কি? আমি আপনার মত কখনো বলবো না (যেমনটা আকাশ মালিককে বলেছেন) …”আপনার আকাশ দা কে আমি মুক্ত মনাতেই চটকানা দিয়েছি।”
এখন আপনি কার মুখোপাত্র হয়ে কথা বলছেন? এই মনোভাব কখনো ফরিদ আহমেদের মত লেখকের থাকতে পারে না। আপনি তাকে বিতর্কিত করলেন! আপনি আমাকে ইতর বললেন, কিন্তু নিজের গোত্রটা চিনিয়ে দিলেন।
@সুষুপ্ত পাঠক,
ওই মিয়া আপনার মাথা কি খারাপ? আপনি দেখেন না যে এর আগে আপনার আর আমার মন্তব্যের শেষ মন্তব্যটা আমার করা!! আপনার কাছে বাঁশ খেয়ে আমি ভাগলাম না, আপনিই আমার কথার জবাব না দিতে পেরে ভাগছেন? সত্যি কি চোখে কম দেখতেছেন? :-s
আর আপনারে ফেসবুকের আবাল গুলাও কি আপনার মতই কানা নাকি?যাই হোক ওরা যে যাই বলুক আমার কি? ওইটা আমার জায়গা না আপনার। তো তাদের দেখাইয়া দিয়েন যে আমার সাথে পোন্দাপুন্দিতে আপনি নিজেই ভাগছেন আমি না।
আর ইমরান ওয়াহিদরে নিয়া এত লাফানোর কি আছে? আমার ব্লগে আমি তার সব জবাব দিছি। আমি না চুপ সেই করছে। নাহ আপনার সাথে কথা বলতেছি কেন আপনি? যে লোক দিন কে রাত করতে পারে তার সাথে কথা?
ভাল করে আপনার আর আমার আগের বিতর্ক দেখেন, ওখানে আমার মন্তব্যের জবাব আপনি না দিয়া ভাগছেন, আমি ভাগি নাই জনাব মিথ্যাবাদী! :-Y
@অর্ফিউস, ও
পাগলের সুখ মনে মনে, কাগজ ছিড়ে ট্যাকা গুণে! আপনার করুণ অবস্থা দেখে শেষে কয়েকজনের অনুরোধে খ্যামা দিতে হয় আমাকে।
ভাই মুখ খারাপ করেন কেন? মুক্তমনাতে এই ধরনের গালি আগে কেউ কল্পনাও করতে পারতো কিনা সন্দেহ! তবে এখন দিনকাল পাল্টাছে। কত আপথ পথ হইছে/কত আঘাট ঘাট হইছে/ কত নাপিত দরোগা হইছে/ কাটিবে কে …ল”!
ইমরানও আমার মতই। আপনাকে অনেক আগেই মেপে রেখেছে। বিরক্ত হয়ে এখন কমেন্ট বন্ধ রেখেছে। আপনি সেখানে নিজের ঢোল বাজালেন সেটা পড়ে দ্বিতীয়নামের কমেন্টটা নিশ্চয় দেখেছেন? লজ্জ্বা লাগে ভাই!
@সুষুপ্ত পাঠক,
ঠিক যেমন আপনের এই অবস্থা হইসে।
আমার করুন অবস্থা? আর অন্যদের অনুরোধ? হাহাহা নিজে নিজেই হাতি ঘোড়া মারতে থাকেন জনাব, অবশ্য ওটা ছাড়া পারবেন টা কি? যেখানে আমি নিজেই আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে রেখেছি সেখানে আপনি অন্যদের অনুরোধে চুপ থাকবেন? আপনি কি খালি অন্যদের কথামত চলেন? আর হাসাইয়েন না।
গাধা নাকি। এইসব একজন প্রাচীন মুক্ত মনার কাছ থেকেই শেখা। উনি চ বর্গীয় গালিও দেন। আমিই এতে তাঁর উপর রাগ করতাম, আজ দেখি যে না উনি ঠিকই করেন। আপনারা আরো খারাপের জোগ্য।আপনি যে মুক্ত মনার ভন্ড ভক্ত এটা বুঝাই যায় কারন মুক্ত মনা পড়েন নাই আগে থেকে। পড়বেনই বা কি? যার কাজ খালি ইসলাম আর মুসলিমদের পুটু মারা, সে অন্য কি কাজ করবে।
@অর্ফিউস,
নাম আর লিংক দেন। কার কাছ থেকে গালি শিখছেন তাও আবার মুক্তমনাতে এসে দেখতে হবে না।
@সুষুপ্ত পাঠক,
নিজের ঢোল আমাকে বাজান লাগে না ভাইজান। আমার বিখ্যাত হবার শখ নেই। আমিও ২য় নাম কে উত্তর দিসি। ওইটা যদি আমাকে খোচানির মন্তব্য হয় তবে এটা বলব যে ওইটাও আপনার মতই ইতর। আচ্ছা কোন মন্তব্যে মনে হল যে আমি আমার ঢোল পেটালাম? আপনার ২য় নাম কিন্তু সেটা বলে নাই। অনর্থক বাতাসে তলোয়ার চালিয়ে লাভ নেই। আপনি চুপ কেন? কেউ কি বলেছে নাকি আবার যে থাক অর্ফিউস বেচারা কাহিল ওকে ছেড়ে দাও :hahahee:
@অর্ফিউস,
আপনার মত ভদ্রলোক সবাইকে ইতরই ভাববে সেটাই স্বাভাবিক। আমি আগেই বলেছে আপনি কতাটা নিচে নামতে পারেন সেটা আমি করেই যাবো! আমার কথার সাথে না পেরে একের পর এক গালি দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার জন্য স্রেফ করুণা হচ্ছে আমার।
http://baby-names.familyeducation.com/lists/animals/
এই লিঙ্কে দেখেন স্যার সুষুপ্ত,এখানে কিছু মহামুর্খ নাম আছে অর্থ সহ 😀
@অর্ফিউস, আপনি প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গে দৌড়ান। আমার প্রতি মন্তব্যগুলোকে জবাব না দিয়ে আমাকেই মিথ্যু বলছেন। তবে এই বেলা আপনার ছালপালা সব তুলে ফেলা হবে।
@সুষুপ্ত পাঠক,
এইটা সবাই এ জানে । নতুন কিছু নাহ, দয়া করে আরও জানুন, ইহুদী ধর্মকে মনে করা হয় সর্বজন স্বীকৃত প্রথম একেশ্বরবাদি ধর্ম। ইহুদী ধর্মের মৌলিক ১০টি শিক্ষার প্রথম শিক্ষা হলো এক পরম সত্তায় বিশ্বাস। মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে ইহুদী ধর্মের আগে কোন ধর্ম মানুষকে এত বেশি সতর্ক করেনি। এই ধর্মে সবচেয়ে বড় নৈতিক শিক্ষা হচ্ছে অন্যেরা যে আচরণ করলে তুমি অখুশি হও, সে আচরণ অন্যের সাথে করো না।
আপনার এই কথাটা ভালো লাগল না, আমি কোন ওয়াজ শুনে মুসলিম নাহ, আমার নিজের চিন্তা চেতনা, যুক্তি, নিজে যে টুকু জানছি এবং জানার পরে যা বুঝেছি সেই ভিত্তিতে আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী , মুসলিম এর সংজ্ঞাটা আমি ঠিক জানিনা ।
চরম মূর্খ না হলে মুসলিমরা নিজের ছেলের নাম রাখতে পারে “মো: উট”! (মো: জামাল অর্থে। এইরকম হাস্যকর নামে ভরপুর তথাকথিত ইসলামী নামের বাহারে।) একটু উদার আর শিখতে চেষ্টা করুন।
লেখক, খুবই সঠিক, যৌক্তিক লেখা লিখেছেন। আপনি লিখে যান। আমরা পড়তে রাজি। ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ সংগঠনের দুইজন আমার সামনে তাদের নাস্তিকতা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তারা জানেননা বাংলাদেশে ‘হেইট ক্রাইম’ জাতীয় কোন অপরাধ ঘটে কি না? আমি হেইট ক্রাইমের বিরুদ্ধে আইন করার জন্য প্রস্তাব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তারা সরাসরি বলে দিলেন বাংলাদেশে হেইট ক্রাইম জাতীয় কোন অপরাধ ঘটে বলে তাদের মনে হয় না। হে! হে! কি তামশা!!!!
@ ষুষুপ্তঃ আপনি আসলে ভুল করেছেন। মডারেট নাস্তিকরা নয়, অন্যদের ছুপা হিন্দু বা ‘শিবছাগু’ টাইটেল দিতে পারদর্শী হল ‘মডারেট আস্তিকক’রা!
আর ব্যালেন্স চাওয়ার চেয়ে যেটা প্রয়োজন, সেটা হল সহনশীলতা এবং আত্মসংযম!
মডারেট নাস্তিক বলতে কাদের বুঝানো হয়েছে ?? :-s
আমার মনে হচ্ছে “মডারেট নাস্তিক” শব্দটি দিয়ে আপনি তাদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন যারা নিজেরা নাস্তিক, তবে ইসলামকে সিঙ্গেল আউট করে “ব্যাশিং” এবং নাস্তিকতার নামে মুসলিমদের প্রতি জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরোধীতা করে | আমি কি ঠিক বুঝেছি ? 🙂
নাস্তিকদের মধ্যে কে কাকে “ছুপা-হিন্দু” ট্যাগ দিয়েছে ? সেটাও এই লেখায় ক্লিয়ার হয় নাই |
যখন কোনো নাস্তিক হিন্দুদের গো-মুত্র পান করা এবং ম্যা ম্যা বলে গরুর গোবর খাওয়া নিয়ে ঠাট্টা করে কিংবা বৌদ্ধদের পশু হত্যা করবো না কিন্তু ইচ্ছামত খাব … এইসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা করে তখন আমি অনেক নাস্তিককে বলতে দেখেছি হিন্দু/বৌদ্ধ’রা তো এদেশে জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড করছে না, এদের নিয়ে সমালোচনা ক্যানো !? :lotpot:
সেই নাস্তিকের হিন্দু/বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি এত সহানুভূতির কারণ কি হতে পারে ? 😕
এমনকি অনেক নাস্তিক পরিচয় দানকারীকে বলতে শুনেছি বৌদ্ধ ধর্ম অন্যান্য ধর্মের তুলনায় ভালো !! ধর্ম তো ধর্মই এখানে আবার তুলনামূলক ভাল-খারাপ কি ?? 😀
মনের কথা গুলো গুছিয়ে লিখে দিয়েছেন; এরকম শত পরিস্থিতির শিকার আমরা প্রতিদিন হই।
আজকেল তারা “অ” বললেই এর পরে কি বলবে সেটা সম্পর্কে আন্তাজ করতে পারি।
“তুই ছুপা হিন্দু” কথাটা তাদের শেষ অস্র; যখন দেখে আর কোন ফাঁক নেই পালানোর তখনই এটা বলা তাদের জন্য সুন্নতের মতন।
মুসলিমদের ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে হারাম গেলানোর ১ টি ভণ্ডামির কথা হঠাত মনে পড়ে গেলো।
“কিতাবুল মকাদ্দাস” নামের বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি থেকে বের হওয়া একটা বই আছে যা মূলত বাইবেলের ইসলামী সংস্করণ। ভেতরের সব লেখা বাইবেলের মতনই শুধু নাম গুলো আর শব্দ গুলো ইসলামী কায়দায় ইস্লামিকরন করা হয়েছে; মূলত বলা যায় বাইবেল কে মুসলমানি করিয়ে মুসলমান বানানো হয়েছে। মুসলমানেরা সেটাকে ভালো ভাবেই গ্রহণ করেছে; বাইবেল সোসাইটি সেই বই গুলো মুসলিমদের মাঝে ভালো ভাবেই বিতরন করেছে এবং মুসলমানেরা সেই বই ভালো ভাবেই গ্রহণ করেছে; বাংলার প্রায় সব মাদ্রাসায় এই বই দেয়া হয়েছে এবং সকল মসজিদেও দেয়া হয়েছে। যখন আমি চার্চের সাথে ছিলাম তখন আমি নিজ হাতে ১০ টি কিতাবুল মকাদ্দাস আমাদের এলাকার মসজিদে দিয়ে এসেছিলাম।
শুধু নাম বদলে দিলেই কি আর ভেতরের জিনিস বদলায় ??? একটু ঘুরিয়ে বললেই কি আর নাস্তিককের বিশ্বাস বলদে আস্তিককের জগাখিচুড়ী বিশ্বাসে রূপান্তরিত হয়ে যায় ???
কিতাবুল মোকাদ্দসের স্নাপের লেখাটি পড়ুন নিজেই বুঝতে পারবেন কতটা চাটুকারিতার সাথে বইটির রুপান্তর ঘটানো হয়েছে এবং ডাউনলোড করুন এখান থেকে।
এদের জাস্ট নাম বদলে ঘোল খাওয়ালেই এরা খুশী। শুধু “আল্লা” “মুহাম্মদ” নিয়ে কিছু না বললেই হল। বদ বাতাস ছাড়ুন সমস্যা নেই খালি শব্দ আর গন্ধ বের না হলেই হল 😀
@এম এস নিলয়, আপনার লিংক থেকে ডাউন লোড করে নিবো। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন, অশেষ কৃতজ্ঞতা।
😀
প্রিয় সুষুপ্ত পাঠক,
প্রথমেই এই ঘটনার নিন্দা করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি দেশের একজন নাগরিক হিসাবে।
এবার আপনার লেখাটার বাকি অংশের কথায় আসি।খুবই কটু বিদ্বেষ আর বিষোদ্গারে ভরা আপনার এই লেখাটি, যার ছত্রে ছত্রে চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব আপনার মানসিকতার, তবে সেটা করতে পেলে সারাদিন পার হয় যাবে। তাই কিছু পয়েন্ট নিয়ে কথা বলি।
আপনি আগেই চিহ্নিত হয়ে গেছেন বলেই আমার ধারনা, কাজেই নতুন করে আপনাকে চেনানোর দরকার নেই।
আপনার লেখার শিরোনামটিই শুরু হয়েছে ঢালাও ভাবে আপনার সাথে যারা এমনকি সামান্য ভিন্নমত প্রদর্শন করে তাদের প্রতি প্রচন্ড ক্রোধ আর ঘৃণা দিয়ে;এতে আমি বিব্রত বোধ করছি যে এমন একটা লেখায় কি আলোচনা করব!
আচ্ছা কোরান যে মুহাম্মদের লেখা, আল্লাহ কে মানি না,মুহাম্মদ কে মানি না এইসব শব্দ কি নতুন?এসব কথাবার্তা তো যেকেউ বলতে পারে, এতে সমস্যা কি আছে? এতে আপনার তথাকথিত মডারেট নাস্তিক রা কেন আঙ্গুল তুলবে আর আপনাদের ছুপা হিন্দু বলে দাবী করবে? আর হিন্দু হলেই বা সমস্যা কি? মুসলিমরা ছাড়া যে কেউই মুহাম্মদ কে স্বীকার করবে না এটাই স্বাভাবিক, সেখানে এই জিনিস কেন?
খুবই পরিচিত কথা, আমি নিজেও কয়েকবার বলেছি যে ইসলাম বা কোন ধর্মকে নির্মুল করা যায় না, বরং এতে যে বিষ তথা উগ্রবাদ আছে সেটার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে, যেমনটা অতীতে খ্রিষ্ট ধর্ম নিয়ে করা হয়েছিল। সেখানে এখানে এইসব বললে কাকে এবং কেন আপনার তথাকথিত মডারেট নাস্তিক রা ছুপা হিন্দু বলবে বুঝিয়ে বলার দরকার মনে করেনি;নিজের মন গড়া কল্পকাহিনী এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
আচ্ছা ইসলাম তো অনুসারিদের দিক দিয়ে ২য় বৃহত্তম ধর্ম। সেখানে ধর্মের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়া মানেই কি ইসলামকেও বুঝানো হচ্ছে না?সেখানে ইসলাম কে কি একক ভাবে সিঙ্গেল আউট করা কোন মুক্ত চিন্তার পরিচয় বহন করে?
আপনি মিথ্যা বলে চলেছেন ক্রমাগত ভাবে। এমন কথা কোন তথাকথিত মডারেট নাস্তিক বলেছেন এমনটা আমি অন্তত মুক্ত মনাতে দেখিনি।মুহাম্মদ, আল্লাহ কোরান এইসব নিয়ে ঢের সমালোচনা হয়েছে,এমন কি নুন্যতম সভ্যতা যেগুলোতে দেখানো হয়েছে সে লেখাগুলি যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছে আপনার আবিষ্কৃত নতুন এই প্রজাতির দ্বারা। সেখানে এদের কে সিঙ্গেল আউট করে নিজে কি দেখিয়ে দিলেন না যে আপনার নিজের কথার সাথে যারা বিন্দুমাত্র দ্বিমত করেন, তারা এমনকি মৌলবাদী বা সাধারন ধর্মপ্রান মুসলিম হবার দরকার নেই;শুধু প্রচন্ড বিদ্বেষের বিরোধিতা করে কিছু বললেই তারা আপনার ( বা আপনার মত করে যারা ভাবেন) লক্ষ্য বস্তু?
যদি ছুপা হিন্দু বলে কাউকে সন্দেহ করা হয় তবে সেটা মোটেও ইসলামকে এককভাবে সমালোচনা না করে শুধুই বিজাতীয় আক্রোশ আর জিঘাংসা নিয়ে ইসলাম এবং এর নবী বা খেত্রবিশেষে মুসলিম জাতির চরিত্র হনন করে করা হয়ে থাকে। যেখানে এমনকি অতীতে দেড় বিলিওন মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার প্রস্তাবও একজনের কাছে থেকে এসেছিল।
আপনার আবিষ্কৃত নব্য সম্প্রদায় তথা যারা ব্যালেন্স করে চলতে চায়, এদের প্রতি আজ আপনার এত আক্রোশ দেখে মনে হয় যে আপনার উদ্দেশ্য আসলে সমালোচনা নয়, প্রতিপক্ষ কে বিষের মাধ্যমে ঘায়েল করার অপচেষ্টা।
আচ্ছা বলতে পারেন যে ইসলামের চরিত্র হনন করা হলে কেন অন্য ধর্মের তুলনা করা যাবে না ঘৃণার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে? যেখানে এই বর্তমান দুনিয়াতেই এমন ধর্মও আছে যেখানে নিজের গোত্রের এক এক শ্রেনীর মানুষকে অছ্যুত ঘোষণা করা হয়? কেন এদের তুলনা টেনে আনলেই তারা হিন্দু বিদ্বেষী হবে? আপনি অন্য এক লেখায় আমাকে সরাসরি হিন্দু বিদ্বেষী বলে আক্রমন করেছিলেন, শুধুমাত্র আপনি যখন ইসলামের চরিত্র হনন করছিলেন, আমি হিন্দু ধর্মের একটা রেফারেন্স দিয়ে বলেছিলাম যে এখানে বর্নবাদও ইসলাম ধর্মীয় সন্ত্রাসের মত আরেক ভয়াবহ অমানবিক জিনিস?
আপনি কিন্তু আমাকে হিন্দু বিদ্বেষী আখ্যায়িত করেছিলেন কিন্তু সে কথার কোন প্রমান করতে পারেন নি;অবশ্য হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা বললেই যদি সেটা হিন্দু বিদ্বেষ হয় আপনার কাছে, সেক্ষেত্রে নিজেকেই আপনি নিজে চিনিয়েছেন নিজের অসহিষ্ণু আচরন দিয়ে; কাজেই আর বিশেষ কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে করছি না আমি।
শিবসেনা রা ছুপা হিন্দু নয় বরং এরা প্রকাশ্য হিন্দুত্ব বাদী। ছুপা হিন্দুত্ব বাদীরা শিবসেনার চেয়েও খারাপ, যেমন ছুপা ইস্লামিস্ট রা প্রকাশ্য ইস্লামিস্ট ধর্মীয় দল গুলির চেয়েও খারাপ। আর আপনার প্রতিক্রিয়া আর লেখাটা এতই বাজে আর মিথ্যা তথ্যে ভরা যে এখানে নতুন করে কিছু বলার অবকাশ থাকে না। আপনার মানসিকতা কন পর্যায়ের সেটা আপনি ইতিমধ্যেই প্রমান করে দিয়েছেন।
আরেকটা জলন্ত নির্লজ্জ মিথ্যাচার।
সবাই সমকামিতাকে অসুস্থতা মনে করে না। আচ্ছা যদি এদের সবাই সমকামিতাকে অসুস্থতাই মনে করে কিন্তু সমকামীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নিরুৎসাহিত করে থাকে, তবে আপনার এত জ্বালা ধরছে কেন গায়ে?এমন কোন কথা আছে যে সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না? নিজেই করছেন কাল্টের চর্চা আর নিজের ঢোলে বাড়ি দিয়ে প্রমান করতে চাচ্ছেন যে আপনি বিশাল প্রগতিবাদী আর মুক্ত মনের অধিকারী মানুষ?
এই তথ্য পেলেন কোথায়? প্রমান দিন। হুমায়ুন আজাদ আর আসিফ মহিউদ্দিন এক না কাজেই এমঙ্কথা বললে আপনাকে প্রমান দিতেই হবে।
কিসের মধ্যে কি, পান্তাভাতে ঘি। আচ্ছা আসিফ কে আপনি পুজা করতে থাকুন মানা করেছে কেউ? কিন্তু কেন তার কথার সাথে দ্বিমত করা যাবে না সেটা কিন্তু বলেন নি।
আর আসিফ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হল তিনি একটা লেখা ছাড়েন আর তারপর চ্যালেঞ্জ করা হলে জবাব না দিয়ে ব্যাস্ততার অজুহাতে কেটে পড়েন এবং আর আসেন না। আপনাকে বুঝতে হবে যে ব্যাস্ত আমরা কম বেশি সবাই। তবে কিছু একটা লিখলে পাঠককে এড়িয়ে যাবার এই হীন কৌশল খুব দৃষ্টি কটু সন্দেহ নেই।
ভগবান রাম রাজ্য গড়তে বলেছেন কিনা সেটা জানা নেই সঠিক, তবে এটা জানা আছে যে ভগবান নিজের হাতে শুদ্র বেচারার কি হাল করেছিলেন সেটা রামায়নের উত্তর কান্ডে বেশ ভাল করেই দেয়া আছে।
মহাভারতে ভগবানে মহানুভবতা আরো স্পষ্ট। নিজে যুদ্ধে অংশ নেবেন না বলেও অর্জুন কে কর্নের হাত থেকে সহস্তে রক্ষা করেছেন কয়েকবার।নিজে দুর্যধন নিতি নিয়ে কর্ণ কে তখন বধ করিয়েছেন অর্জুনের দ্বারা, যখন কর্ন নিরস্ত্র হয়ে রথের চাকা মাটি থেকে টেনে তুলতে চেষ্টা করছিলেন।
ভগবান এর আগে শিখণ্ডী কে সামনে রেখে ভীষ্মকে দিয়ে অস্ত্র পরিত্যাগ করিয়ে তারপর ভক্ত অর্জুনকে দিয়ে নিরস্ত্র ভীষ্মের শরশয্যা প্রস্তুত করেছিলেন।
পরে গদাযুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করে ভীম কে নিজের উরু চাপড়ে ঠিকই দেখিয়ে দিয়েছেন যে উরুতে মারতে হবে, যেটা মহাভারতের গদাযুদ্ধে একটা মারাত্বক অনৈতিক কাজ, যেমন নিরস্ত্রকে ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করা।
গদা যুদ্ধের পর এমন কি ভগবানের ভাই পর্যন্ত পান্ডব দের সাইজ করতে এসে ভগবানের কারনে পারেন নি, এবং ক্রুদ্ধ হয়ে দেশে ফিরে গেছিলেন।
এর আগে আবার অশ্বত্থামা হত বলার পরে ইতি গজ যেন দ্রোন শুনতে না পারেন,সেই ব্যবস্থাও করেছিলেন। সত্যি ভগবানে নৈতিকতার কোন তুলনা নেই। এইসব মহান নৈতিকতার পরে আর কিছু লাগে না।
আর বর্নবাদের মত অমানবিক জিনিস তাহলে হিন্দু ধর্মের কোন জিনিস দিয়ে বন্ধ করা যায় বলতে পারেন? বর্নবাদ নিজেই কি হিন্দুত্ব বাদ বা রামরাজ্যের পরিচায়ক নয়, যেখানে স্বয়ং রাম কিনা শুদ্র বধ করেছিলেন?
আমার আরো কিছু বলার ছিল, সেগুলো পরবর্তী সময়ের জন্য উঠিয়ে রাখলাম কারন মন্তব্য ইতিমধ্যেই অনেক বড় হয়ে গেছে।
@অর্ফিউস,
একটু কষ্ট করে মুক্ত চিন্তার সংগা দেওয়া সাপেক্ষে যদি বুঝিয়ে দিতেন, তাহলে কৃতার্থ থাকতাম । 🙂
@অর্ফিউস, প্রথম কথা,
কাদের বিরুদ্ধে? কটু বিদ্বেষ জিনিসটাই বা কি? মিষ্টি বিদ্বেষ আছে নাকি জনাব? আশা করি কাদের বিরুদ্ধে আমার বিদ্বেষ সেটা পরিস্কার করবেন। অন্ধকারে ঢিল ছুড়লে তো হবে না।
ছুপা হিন্দু! :lotpot:
বিব্রতবোধ করারই কথা! যাকে বলে জায়গা মত হাত দেয়া, বিব্রত না, এরপর চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়ে যাবে যে…। আর আমার লেখার শিরোনাম আমার সাথে ভিন্নমত পোষণকারীদের প্রতি আমার ক্রোধ বা ঘৃণা প্রকাশ কিনা সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত যা আপেক্ষিক।
আমি তো সেই কথাই বলছি! সমস্যা কোথায়?
এই ভালমানুষি প্রশ্ন করার জন্যই কি এইখানে আসছেন? আপনার পরবর্তী কমেন্টগুলো বলে দেয়, নাহ্!
নিজেকে ডিফেন্স করছেন কেন? আপনি কোথায় কি বলেছেন সেটা কেউ জানতে চেয়েছে? আপনাকে কেউ “মডারেট নাস্তিক” তকমা লাগিয়েছে? 😛
যাদের বলেছি তাদের লাগবে। আমি সত্য বলেছি না কল্প কাহিনী সেটা তাদের জ্বলুনু দেখলেই বুঝা যায়!
ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম কে বলল? কোথায় এই তথ্য পেলেন? না হে, ধর্মের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়া, ঈশ্বর, ধর্মগ্রন্থ লিখে দেখেছি, পাল্টা আল্লা, ইসলামের বিষদাঁত, নবী মুহাম্মদ লিখে দেখেছি। এসব এক জিনিস নয়। ঈশ্বর লিখলে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে না! আল্লা লিখলে, মুহাম্মদ লিখলে অনুভূতি খসে খসে পড়ে!
আপনার কমেন্ট পড়তে পড়তে হাসছি! আমি ক্রমাগত মিথ্যা বলে চলেছি-এই বাক্যটি এখানে খাটেই না। এখানে আমি কোন ব্যক্তির প্রতি বা কারুর নাম উল্লেখ করে কিছু লিখিনি যে আপনি বলতে পারেন আমি ক্রমাগত মিথ্যা বলছি। “আমি অন্তত মুক্ত মনাতে দেখিনি”মুক্তমনা এখানে আসছে কেন? বাহ্ আপনি তাহলে এই “মডারেট নাস্তিকদের” চেনন?! এই্ মুক্তমনাতেই আছে? কাজেই আপনাকে তাদের নাম বলতেই হবে! তাদের হয়েই তো ওকালতি করতে এসেছেন, তাই না? আমি কিন্তু এই লেখাটা বৃহদ পরিসরে, সমস্ত অনলাই জগতে নানা ব্লগ ও ফেবুতে কারু কারু মানসিকতা নিয়ে লেখা। মুক্তমনা না। আপনিই বলছে আমার বলা “মডারেট নাস্তিক” মুক্তমনাতে আছে এবং তারা আল্লা ও মুহাম্মদের সমালোচনার সময় বাহা বাহা করেছে। এবার তাহলে কয়েকজনের নাম বলে ফেলুন দেখি।
এটাও ব্যক্তি অনুভূতি, আপেক্ষিক। আরেক জনের কাছেই যেটা হতে পারে খুব যৌক্তিক।
বোল্ড করে দিলাম আপনার কমেন্টের কিছু অংশ। পাঠক বিচার করুক। যখনই ইসলামের সমালোচনা আপনার ভাষায় “চরিত্র হনন!” তখনই অন্য ধর্মকে টেনে এনে দেখানো কি অপ্রাসঙ্গিক না? আলাদাভাবে যে কোন ধর্মকে সমালোচনা, তাদের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে লেখা যায়, কিন্তু হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করা লেখায় কেউ সেখানে ইসলামের হাদিস এনে ইসলামের ভ্রান্তি দেখালে, এমন ভাব করা যে দেখো ইসলামেও কত ভুলে ভরা, ইসলামও একটা ফালতু ধর্ম-সেটা কি পর্যায় পড়ে? আমি নিশ্চিত আপনি এসব বুঝতে অক্ষম!
লেখা বাজে এতে আমার কোন কমেন্ট নেই। আমার লেখা যে কারুর বাজে লাগতে পারে এবং সেটা প্রকাশের অধিকারও তার আছে। কিন্তু মিথ্যা তথ্যের? এটা আপনাকে প্রমাণ করতে হবে! নইলে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে এ জন্য আপনাকে। মিথ্যা তথ্যগুলোর এগিনেস্টে “সত্য তথ্য” গুলো দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে আমি মিথ্যা ছিলাম। নতুবা ক্ষমা চাইবেন।
প্রমাণ করুন। ফাঁকা গুলি ছুড়বেন না।
না যাবে না! আবার শুনে রাখুন, না, যাবে না! আপনি কি একজন সুস্থ মানুষকে অসুস্থ বলবেন? এটা আপনার অধিকারের মধ্যে পরে? কোন মুক্তমনা এটা করতে পারে যেখানে আধুনিক বিজ্ঞান সমকামিদের বলছে আমাদের মত বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্টদের মত একদম সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ। তাদের যৌন চাহিদার মধ্যে কোনরকম অসুস্থতা নেই। (মুক্তমনাতে এই বিষয়ে অনেক লেখা আছে পড়ে নিবেন)। আপনার “মুক্তমনায়” দেখি ঘাপলা আছে!
আমি লিখেছিলাম, “হুমায়ূন আজাদে এদের এ্যালার্জি” এখন আপনি বলছেনম প্রমাণ দিন? হাসায় মাইরা ফেলাইবেন দেখছি! কিসের প্রমাণ দিবো আমি? এই “এদের” বা “তারা” আমি তো উল্লেখ করিনি তারা কে কে বা কার কারা। তাহলে প্রমাণের কথা আসে কেন? প্রমাণ দিতে গেলে ব্যক্তি নাম আসবে, তাদের লেখা চলে আসবে, আমি ওখানে যাবো না। যাদের গায়ে লাগার তাদের লাগবেই। “হুমায়ুন আজাদ আর আসিফ মহিউদ্দিন এক না কাজেই এমঙ্কথা বললে আপনাকে প্রমান দিতেই হবে”পথে আসুন! এবার ব্রেরাদার, আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে হুমায়ূন আজাদ আর আসিফ কেন এক না? এখানে দুজন লেখক একই মাপের তা বুঝাচ্ছি না, হুমায়ূন আজাদ তার প্রতিভার স্বাক্ষর ও প্রমাণ রেখে গেছেন, আসিফ তরুন এবং লিখছেন, ভাবিকালই বলে দিবে তার লেখক উচ্চতা কতটা। এবার আপনি বলুন কোন এঙ্গেল থেকে আপনি বলেছেন এরা দুজন এক না?
কে বলল দ্বিমত করা যাবে না?
প্রধান অভিযোগ! কতবার ঘটেছে এমন ঘটনা? কতবাব? কতবার?
এখানে ত্যানা না প্যাচিয় এসব লিখে আলাদা একটা পোস্ট দেন। আমি হিন্দু ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মের তুলনায় ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভাল জানি কারণ আমার ব্যাকগ্রাউনাড মানে মুসলিম পরিবারে জন্ম বিধায় ঐ ধর্মগুলো একটু বেশি জানি। তাই শুধু ইসলাম নিয়েই লিখতে পারি।
আমাদের লড়াই এইসব অন্ধকারের বিরুদ্ধেই। কারটায় দোষ বেশি, কারটায় কম সেটা খোঁজা নয়। বাংলাদেশে বাস করি বিধায় বাস্তবতায় ইসলামই প্রধান্য পায়। রাজনৈতিক ইসলামের রমরমা অবস্থা দেখে এটাকে উপরে প্রধান্য দিতে হবে। আপনার মগজ সেটা বুঝবে না। আপাতত এই পর্যন্তই…
@সুষুপ্ত পাঠক,
খেল ভালই দেখাচ্ছেন। নাহ আমাকে তকমা লাগানো হয়নি, তবে যত্রতত্র মলত্যাগ করলে সেই দুর্গন্ধ নাকে এসে লাগে কিনা, তাই বাধ্য হয়েই প্রকাশ্যে মলত্যাগের বিরুদ্ধে কথা বলতে হয়।
জলুনি না আসলে বিবমিশা হচ্ছে,প্রকাশ্যে যত্রতত্র মলত্যাগ করলে যারা বিষ্ঠা ঘেটে অভ্যস্ত তাদের ছাড়া অন্যদের বমি আসবেই।
আসলে আল্লাহ আর মোহাম্মদ লেখার নাম করে যদি মহাম্মদের দুই পায়ের ফাকে যে দন্ডটা আছে সেটার কতখানি তেজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে, সাথে মুহাম্মদের বিবিদের মাসিকের খবরাখবর রাখা হয় ( মুক্ত মনাতেই পাবেন, মুহাম্মদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র, মোহাম্মদ ও উম্মে হানি, ইসলাম ও মোহাম্মদ এই সিরিজ গুলো পড়তে থাকেন), তবে বুঝতে বাকি থাকে না যে আসলে ইসলামের সমালোচনা নয়, বরং উদ্দ্যেশ্য টা কি।
কাজেই খসে খসে পড়া স্বাভাবিক যেখানে অধিকাংশ মুসলিম মুহাম্মদ কে অনেক ক্ষেত্রে পিতামাতার চেয়েও শ্রদ্ধা করে থাকেন বেশি। সেখানে খসে খসে পড়লে দোষের কিছুই নেই।
মডারেট নাস্তিক আপনার আবিষ্কৃত টার্ম। আমি এটার এই মিন করেছি যে যারা আপনাদের মত ছদ্মবেশি নাস্তিক নন, বরং প্রকৃত লেখক, যারা সুস্থ ভাবে ইসলাম ধর্মের গোঁড়ামির সমালচনা করে থাকেন, অথবা নাস্তিক হলেও যারা তাদের লেখায় বা মন্তব্যে থুতু বিষ্ঠা ছিটান না। এখনো মাথায় ঢুকল না? মুক্ত মনার মুল ধারার লেখক যারা তাদের কথাই বলছি,যাদের লেখা পড়লে শ্রদ্ধা হয় তাঁদের প্রতি, তাদের লেখা পড়ার জন্যেই মুক্ত মনাতে আসা। তাঁরা হয়ত নানা কারনে আজ লেখেন না আগের মত, তবে তাঁদের লেখাগুলো আমাদের মত পাঠকদের কাছে অনুপ্রেরনা হয়েই থাকবে।
বর্তমানের মুক্ত মনা কে চিনতে কষ্ট হয়, কারন আপনার লেভেলের লেখক দিয়ে মুক্ত মনা ভরে যাচ্ছে,যারা সারাক্ষন চরিত্র হনন ছাড়া আর যত্র তত্র জলবিয়োগ বা মলত্যাগ করে পরিবেশকে দুষিত করে তোলেন।
মুক্ত মনা ব্লগ বলেই আপনারা পার পেয়েছেন কারন এখানে বাকস্বাধীনতার চর্চা করতে মানা নেই, আর এরই সুযোগ নিচ্ছেন আপনাদের মত কতগুলি বিদ্বেষী লোক। অন্য অনেক জায়গাতে এই সুযোগ পেতেন না বলেই মনে করি। পরীক্ষা করে দেখতে পারেন; হয়ত ইতিমধ্যেই কিছু অভিজ্ঞতা লাভ করে ফেলেছেন।
আরেকটা কথা আপনি মডারেট নাস্তিকি শুধু না, আধা নাস্তিক, আধা আস্তিক এইসব কথাও লিখেছেন। দেখেন
সাবাশ সাবাশ। এই না হলে মৌলবাদী? নাস্তিক মৌলবাদী?
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বলে যে দুইবার।
এখানে এবং এখানে
আপনার ব্যাক গ্রাঊন্ড কি সেটা আমার কনসার্ন না, আমার যে জিনিসটিতে আপত্তি করেছি সেটা হল আপনার যত্রতত্র মলত্যাগ করা নিয়ে।
আপনারা নিজেরাই তো অন্ধকারে থেকে অন্ধ ভাবে বিদ্বেষ করে চলেন, সেখানে অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়াই কিভাবে করবেন?
যেটা করবেন সেটা হল চরিত্র হনন।প্রথমে করতেন শুধু ইসলাম আর মুসলিমদের, এখন করবেন তাদের যারা আপনাদের ঘরানার নন তাদের। অতীতে দেখেছিলাম যে শ্রদ্ধেয় ফরিদ ভাইয়ের মত মুক্ত মনার একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও আপনাদের বিষ থেকে রেহাই পান নি, কারন তিনি আপনাদের মত যত্র যত্র বিষ্ঠা নিক্ষেপ কারী ছদ্মবেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন।
@অর্ফিউস,
এত তাড়াতাড়ি মেজাজ হারালে চলে ভায়া! সবে তো কলির সন্ধ্যে! একটা কমেন্টেই আমার লেখাকে মলমূত্র বলার মত খিস্তি চলে গেলে পরের কমেন্টে কোথায় নামবেন? আমি যে আপনি কতটা নামতে পারেন সেই দিকেই তাকিয়ে আছি! 😀
আপনার জন্য এবার মায়াই হচ্ছে ম্যান! এগুলো যুক্তি খন্ডানো কথা নয়, হতাশার ক্ষোভ! :-X
আপনাদের সবার আগে উচিত ইমাম বোখারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া! আয়েশার স্বামী কিভাবে তাকে আদর করেছে সে বর্ণনা উপন্যাসের রগরগে বর্ণনার মত করে কথিত “হাদিসে” দেয়া আছে। ৭০ জন মরদের যৌনশক্তি একজন মহাপুরুষের শরীরে -এরকম তথ্যের উৎস হাদিস। “আল্লাহ আর মোহাম্মদ লেখার নাম করে” -কেউ বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলেনি। কাজেই রং গেইম খেলবেন না।
আপনি এই পোস্টগুলো লেখাগুলোকে কোমল ও কঠিন এই দুইভাবে ভাগ করতে পারেন। কেউ খুব রূঢ় ভাষায় লিখেছেন, কেউ মাখান মাখিয়ে লিখেছেন, এই পাথর্ক্য। কারণ সবাই সূত্রই কোরআন ও হাদিস, তাফসির, ইসলামী বই। মুক্তমনার এই লেখাগুলোর উদ্দেশ্যগুলোকে আপনি যেভাবে চিহ্নিত করলেন, মুক্তমনার জন্মবধি সদালাপসহ জামাতীসহ নানা মৌলবাদী অনলাইন পেইজ ও সাইট সে ইঙ্গিতই করেছে। আপনার পেয়ারের ইসলামী বিরোধী লেখকদের দুচারজনের উদাহরণ দিবেন যেখানে তারা গণিমতের মাল ও ইহুদী বস্তিতে আক্রমণকে মানবিক হিসেবে বর্ণণা করেছে?
তাতো ঠিকই! তখন কি চুপ করে বসে থাকা যায়! এ জন্যই তো কুমিল্লায় একদম শুইয়ে দিয়েছি! ভবিষ্যতে ভিটাবাড়িতে ঘু ঘু চড়াবো! কারণ দোষের তো কিছু নাই! অনুভূতি তো শুধু মুমিনের, বিধর্মীর নয়! প্রতি নিয়ত আমি ওয়াজ করে করে হিন্দুর মূর্তিপূজাকে হেয় করবো, খ্রিস্টানবে ধর্ম বিকৃতকারী বলবো তবু ঐ নাসারাদের আর এই শালা মালুদের কোন অনুভূতি খসে পড়বে না! পড়বে খালি মুমিনের, আর তাতে কোন কোন “মুক্তমনা” দোষও দেখবে না! শিট!
আপনি বার বার মুক্তমনা ও এখানে গুণি ও শ্রদ্ধেয় লেখকদের টেনে আনছেন কেন? আপনার উদ্দেশ্য সৎ নয়! তবে আমি আপনার ফাঁদে পা দিবো না।আমি এই লেখা লিখেছে আমাদের অনলাইন জুড়ে ব্লগে-ফেবুতে কিছু এই মানসিকতার নব্য যাদেরকে আমি আমি “মডারেট নাস্তিক” তাদেরকে নিয়ে। আপনার জ্বলুনি কেন আমি জানি না। আপনি জানেন। আপনার মন্তব্যের বোল্ড করা অংশটা দেখেন। “আমি ছুপা হিন্দু”! সাবাস! চালিয়ে যান! মুক্তমনায় ধর্ম বিষয়ক সব লেখাই অনেক বছর আগেই পড়া শেষ হয়ে গেছে। আপনার বিচারে এখন তাহলে সব গুলো লেখাই মুছে ফেলতে হয়! সেখানে মুহাম্মদকে শিশু নিপীড়সকারী, গণিমতের মাল ভক্ষনকারী, যুদ্ধাপরধী (যুদ্ধবন্দিনী নারীদের নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়া) চিহ্নিত হয়েছে। পারলে লেখক ও পোস্টে নাম করে দিবেন, নতুন করে পড়ে দেখবো, ফাঁসির দড়িতে মাখন মাখিয়েছে নাকি শুষ্ক দড়িটাই গলায় চাপানো হয়েছে!
মাথা ঠান্ডা করেন ভাই! কি বলছেন নিজেই জানেন না।
মুক্তমনা ফ্রি মডারেশন ব্লগ না ব্রেরাদা! এখানে ছাকনি দিয়ে ছেকে তবে সদস্যপদ দেয়া হয়। এভাবেই এখানে সদস্য হন। মডারেশন প্যানেলকেই আপনি হেয় আর অপমান করলেন তাহলে। আপনার কমেন্টের বোল্ড করা অংশগুলো দেখুন: আমার বিরুদ্ধে কমেপ্লেই করুন কর্তৃপক্ষের কাছে। যখন যুক্তি ফুরিয়ে যায় তখন আদালতের দারস্ত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। আপনি এখন কি করবেন আমার জানা আছে। ইনিয়ে-বিনিয়ে আমাকে মুক্তমনার লেখকদের সাথে পড়াতে চাইবে। না, আপনাকে সে সুযোগ দেয়া হবে না। আপনি যেমন মুক্তমনার একজন, আমিও মুক্তমনার একজন। মুক্তমনা নিয়ে আপনার চেয়ে আবেগ আমার কম নেই। কাজেই নোংরা খেলাটা বন্ধ করুন।
হে আল্লাহ! এই লোকটিকে একটু যুক্তিটুক্তি জগিয়ে দাও! এ তো আমাকে গালাগালি করছে! এটা কি আমার লেখার জবাব হলো? :-Y
আপনি বাঁচার জন্য মুক্তমনার শ্রদ্ধেয় লেখকদেরকে বার বার টেনে আনছেন আলোচনাকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য। কারণ আপনি আর পথ খুজেঁ পাচ্ছেন না। তাই এরপর একের পর এক লেখককে টেনে আনবেন। কিন্তু আপনাকে সে সুযোগ আমি দিবো না। আমাকে অতটা আনাড়ি ভাবা আপনার বোকামী হয়েছে।
আমাদের দিয়ে কি হবে, আপনি আছেন না! হুমায়ূন আজাদের বচনসমূহ যার কাছে হাস্যরস হয় তার মত মুক্তমনাকে দিয়ে সমস্ত অন্ধকারকে আমরা ঝাড়ু দেয়াবো ইনশাল্লাহ!
@সুষুপ্ত পাঠক,
মনে হয় না আপনার সাথে আমি এই নিচে নামার প্রতিযোগিতায় পেরে উঠব। 🙂
গালাগালি করছি না, শুধু আপনার প্রাপ্যটা আপনাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। কোদাল কে কোদাল বা সাপ কে সাপ বললে সেটাকে গালাগালি বলা হয় না।
বাঁচার দরকার তাদের হয় যারা নিজেকে কুৎসা ছড়ায়। এটা আপনার দরকার হতে পারে, দরকার হতে পারে ক্যামোফ্লাজের, ছদ্মবেশের, আমার সেটা দরকার নেই।
আপনাকে আনাড়ি ভাবছি আমি সেটা ভাবছেন কেন?আপনি যে অতিরিক্ত রকম চালু জিনিস সেটা আমার বুঝতে বাকি নেই।
নিজের পরিচয় তো এবার ভাল করেই দিয়ে দিলেন! নিজেকে নাস্তিক বলেন আবার হুমায়ুন আজাদের কাল্ট চর্চা করছেন।
শুনুন একটা কথা ভাল করে, হুমায়ুন আজাদ আমার দেবতা নয়, সে একজন মানুষই, এবং তারও ভুল হয় এবং হয়েছে। কাজেই এখানে হুমায়ুন আজাদের কোন কথা খারাপ বা হাস্যরস মনে হওয়া চলবে না বলে আপনি নিজেই প্রমান করলেন যে হুমায়ুন আজাদ আপনার কাছে দেবতা। সেক্ষেত্রে তার বচন কেন, বমনও আপনার কাছে ভাল লাগতে পারে, কিন্তু সবার জন্য সেটা প্রযোজ্য নয়।
আর আমার মত মুক্ত মনার কথা বলছেন? যে মুক্ত মনা হতে হলে হুমায়ুন আজাদ বা অন্য কারো কাল্টকে পুজা করতে হয়, তেমন মুক্ত মনা আমি কোনদিন হতে চাইব না।
মনের সুখে কাল্ট চর্চা করুন আর আত্মপ্রসাদ লাভ করুন।
@অর্ফিউস, এইযে পলাতক মিথ্যাবাদী সুষুপ্ত পাঠক, এইটাই সেই মন্তব্য যেখানে আপনি পালাইসিলেন, আমি না।
হিন্দুধর্মকে ধর্ম দিয়েই দমন করা যায়,তাই হিন্দুধর্ম নিয়ে না লিখলেও চলবে,আমি এমনটা মনেকরি না।আমি মনেকরি ধর্ম নিয়ে লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের মনের কুসংস্কার দূর করা।শুধু মুসলমানদের মনের কুসংস্কার দূর করলেই কি হবে, হিন্দুদের মধ্যে থাকা কুসংস্কারও তো দূর করতে হবে?এখন বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখ্যায় কম তাই বলে কি হিন্দুধর্ম নিয়ে লেখালেখির প্রয়োজন শেষ?বাংলাদেশের কোন ব্লগে কিছু লিখলে তা কি দু চার জন ভারতীয় হিন্দুর চোখে পড়তে পারে না,যারা কিনা কুসংস্কারাচ্ছন্ন? এইতো দুই দিন আগে মোদি বলল সে নাকি স্বয়ং মা গঙ্গার নির্দেশে নির্বাচন করতে এসেছে।মোদির এই যে উত্থান এত জোশ তা ভারতে গোঁড়া হিন্দুদের বিশাল সংখ্যায় অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।তেমনি বাংলাদেশে রাজাকার সাঈদির আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা জানায় দেয় এদেশে গোঁড়া ও রোমান্টিক মুসলমানের সংখ্যাই বেশী।এই গোঁড়া মনোভাব ও রোমান্টিসিজম সবধর্মেই আছে,তাই সবগুলো ধর্ম নিয়েই লেখা প্রয়োজন।এখন কে কোন ধর্ম লিখবে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার।কেউ বৌদ্ধ কেউ খ্রিষ্টান কেউ ইসলাম যার কাছে যেটা উপযুক্ত বলেমনে হয়,কিংবা কেউ সবগুলো নিয়েই লিখতে পারে।
আর যারা বিদ্বেষী তারা লেখালেখির নামে কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই অযথা গালিগালাজ করে।ফেবুতে কিছু পেজ আছে যেখানে হিন্দু দেবদেবীদের নামে অবিরাম কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করা হয়,তেমনি ভাবে ইসলাম ধর্ম নিয়েও নোংরা গালি দেওয়া হয়।
এবার একটা তরুণ ছেলের কথা ভাবা যাক যে বিশ্বাসী এবং যে কিনা প্রথম প্রথম ফেবু বা ব্লগ পড়তে শুরু করেছে।সে যদি দেখে ধর্ম বিষায়ক যাবতীয় লেখা কেবলি ইসলাম নিয়ে,তাহলে তার মনে সন্দেহের উদ্রেগ হতেই পারে,তার মনে হতেই পারে সব সমস্যা কি ইসলামে,অন্য ধর্মে কি কোন সমস্যা নেই?যেহেতু তার জানাশোনা কম তাই তার মনেহতেই পারে লেখক বোধহয় পক্ষপাত করছেন,এতে করে তার মনের কুসংস্কার কমার বদলে আরও বেড়ে যেতে পারে,যেটা ধর্ম বিষায়ক লেখালেখির মূল উদ্দেশ্যকেই ব্যাহত করে।এই কারণেই প্রচলিত সব বড় ধর্মগুলি নিয়েই লেখার প্রয়োজন আছে।
@প্রাক্তন আঁধারে, ভাই প্রাক্তন আঁধারে, আমি ভাই কোথাও বলিনি হিন্দু নিয়ে লেখা যাবে না বা প্রয়োজন নেই। আমি বলেছি হিন্দু বা অন্য ধর্মীয় মৌলবাদকে তাদের ধর্ম দিয়েই মারা যায়। মোদির উদাহরণ দিয়েছি পোস্টে। হিন্দু ধর্মের সমালোচনা, এই ধর্মের কুসংস্কার নিয়ে লেখা উচিত অন্য ধর্মের মতই। যারা এই ধর্মগুলো সম্পর্কে বেশি জানেন তারা লিখবেন নিশ্চয়। আমার লেখার বিষয় কিন্তু ভাই এটা ছিল না। আর যারা যে কোন ধর্মের নামের ফেবুতে পেইজ খুলে বিকৃত মনোবিকার দেখায় আমার বিষয়বস্তু তাদেরকে নিয়ে নয়। এরা আলোচনার বাইরে। পর্ণো সাইটের মতই এগুলো বিকৃত মনো বিকার। যারা ধর্ম বিষয়ে লিখে অলরেডি “ইসলাম বিদ্বেষী” তকমা খেয়েছে সেই সব গুণি, যাদের লেখার মান সাহিত্যগুণ সম্পন্ন তাদের কথা আলোচনায় আছে। অথচ ধর্ম বিষয়ক লেখার কথা আসলে ঐ বিকৃত লেখার উদাহরণ চলে আসে। কেন? সিনেমার কথা উঠলে ক্ল্যাসিক থেকে এফডিসির কথা পর্যন্ত আসবে। হলিউড থেকে টালিউড…। কিন্তু পর্ণ ছবির কথা আসবে কি? ওগুলো তো অন্য প্রসঙ্গ। কাজেই ধর্ম বিষয়ক লেখায় ঐ বিকৃত ধর্ম পেইজ ও তাদের এডমিনদের উদাহরণ আমরা দিবো না। ধন্যবাদ ভাই।
৫৭ ধারার ভয় নেই আপনার?
@তামান্না ঝুমু, ৫৭ ধারার চেয়েও বড় ভয় “মডারেট নাস্তিক”দের! এরা আমাদের প্রচেষ্টাকে ব্যহত করছে। বিপক্ষদের মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন এটা একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য করার পথে, যারা ইসলামের সমালোচনা করে তারা ইসলাম বিদ্বেষী, যেন ইসলামের সমালোচনার কিছু নেই। বিদ্বেষীরাই বিদ্বেষ প্রসন করছে। “ছুপা হিন্দু” রবও দুই দলের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।