সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে চলমান লাগাতর হামলা, আক্রমণ, নিপীড়নের মূল দায় কার- এ  বিষয়ে সময়ের ইসলামবাদী বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মাজহার, পিনাকী ভট্টাচার্য, পারভেজ আলম ও তাদের অনুসারীরা ভারতের হিন্দুত্ববাদীদেরকে সামনে নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ হাসিনা সরকারকেও দোষের ভাগীদার করতে হাসিনা-মোদীর জোগসাজশ পেলেও শেখ হাসিনা সরকারকে সহযোগী হিসেবেই দেখাচ্ছেন। কেউ কেউ বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লী, তৌহিদী জনতার সমালোচনা করছেন এই বলে যে তারা বস্তুত ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। এভাবে মন্দির ভাঙ্গা, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা, আক্রমণ, নিপীড়ন করার মাধ্যমে যেন ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সুবিধা না করে দেয়, এদেশের তৌহিদী জনতা বা মুসল্লীদের প্রতি সেই আহবানই তারা জানাচ্ছেন! 

ফরহাদ মাজহার লিখেছেন, মাথায় গোবরভর্তি অপরিণামদর্শী সাম্প্রদায়িক জাতিবাদী মুসলমান সনাতন ধর্মের পূজামণ্ডব  মন্দির ভাঙা শুরু করেছে। দুর্বল, অসহায়, শক্তিতে-সংখ্যায় স্বল্প সনাতন ধর্মাবলম্বী এই দেশেরই নাগরিদের, কিন্তু তাদের ওপর তারা হামলা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। গুলি খেয়ে মরছে। তার ধারনা সে ইসলাম রক্ষা করছে, কোরান অবমাননার বিরুদ্ধে লড়ছে। আসলে সে জানেও না যে সে পা দিয়েছে মোদী-অমিত শাহ আদিত্যনাথের মুসলমান নিধন ইসলাম নির্মূল রাজনীতির ফাঁদে” 

পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, কুমিল্লার ঘটনা যদি ঠান্ডা মাথায় লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন, হনুমানের কোলে কোরআন শরীফ কাউকে না কাউকে রাখতে হয়েছে। … যে রেখেছে,  তার সাধারণ উদ্দেশ্য ছিলো মুসলমান সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে দিয়ে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের সময়ে হিন্দুদের মন্দিরে যেন হামলা করা হয়। কিন্তু এতে কার লাভ? সরাসরি লাভ মোদির। সে তার হিন্দু ভোটারদের দেখাবে যে দেখো হিন্দুরা কত অনিরাপদ বাংলাদেশে, সে দেখাবে দেখো মুসলমানেরা কত খারাপ। মোদির ভোটের বাক্স উপচে পড়বে। হাসিনা দেখাবে, দেখো আমি কেমনে এদের সাইজ করি। কোন মাফ নাই, আমার কোন বিকল্প আছে? এর মধ্যেই তিনজন মারা গেছে গুলিতে। মোদির সন্মান রক্ষায় হাসিনা গনহত্যা চালায়ে ম্যালা পয়েন্ট আর্ন করছে, এইবারে আরো কিছু বোনাস পয়েন্ট আর্ন করবে”। “ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায় কিন্তু পরিকল্পনা দিল্লিতে। লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার হয় সেটা দেখিয়ে বিজেপির ভোটের বাক্স ভরা। … আমাদের দেশে এর হয়ে কাজ করে এমন অনেক গ্রুপ আছে। অনুমান করা হচ্ছে কিছু গ্রুপ এই কাজ ঘটিয়েছে। এরাই  সবার অলক্ষ্যে ভোরবেলা মন্দিরে কোরান শরীফ রেখে এসেছে” 

পারভেজ আলম লিখেছেন, বাঙালি মুসলমানরা হইল বর্তমান ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সংখ্যালঘু মজলুম জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশে, ভারতে, মিয়ানমারে এই বাস্তবতা বেশ প্রবলভাবেই প্রকাশিত হয়েছে। আপনি অন্ধ না হইলে আপনার তা দেখার কথা। জার্মানিতে নাজিরা যেমন ইহুদিদেরকে টার্গেট করে রাজনৈতিক বয়ান তৈরি করতো, বর্তমান ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের প্রধান টার্গেট হইল বাঙালি মুসলমান। আর বাংলাদেশটা তাদের জন্যে একটা রেডিমেড কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। … যেখানে আমাদের দরকার ছিল এখন মজলুম সংখ্যালঘুর রাজনীতি করে দুনিয়ার বুকে নিজেদের মর্যাদা অধিকার আদায় করে নেয়া, সেখানে আমরা ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের মতো ভিসিয়াস ইডিয়টদের উৎপাদিত ডিসকোর্সের হাতেই মার খেয়ে ভুত হয়ে যাচ্ছি”

মোহাম্মাদ রোমেল লিখেছেন (এবং পারভেজ আলম প্রচার করেছেন), উপমহাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশে যারাই, যেকোন উছিলায় মন্দির বা মণ্ডপে হামলা করবে, তারাই আসলে বিজেপি তথা হিন্দুত্ববাদী সৈনিকের হয়ে কাজ করবে সেটা মুখে সে নিজেকে যত তৌহিদী জনতা বা মুসলমান বলেই প্রচার করুক না কেন”

রুমি আহমেদ লিখেছেন, বাংলাদেশের বোকাচোদা তৌহিদী জনতা কি এটা বুঝতে পারে যে তাদের জিহাদী জোশের প্রত্যক্ষ বেনিফিশিয়ারি ভারতের মোদী / অমিত শাহ আর সঙ্ঘ পরিবার?”

খুলনায় মন্দিরে ভাংচুর, ডয়চেভেলে’র “২০২১ সালের ছবিঘর” থেকে সংগৃহীত। ফটোক্রেডিটঃ তরুণ চক্রবর্তী বিষ্ণ।

এটা ঠিক যে, বাংলাদেশে মন্দির ভাঙ্গা হলে, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা, আক্রমণ, নিপীড়ন হলে, সেগুলোকে পুঁজি করে ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ফুলে ফেঁপে ওঠে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে নিপীড়ন দেখিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে তীব্র সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কিন্তু, বাংলাদেশের যাবতীয় সাম্প্রদায়িক হামলার দায় দেয়ার প্রসঙ্গ যখন আসছে, তখন মূল দায় কার বা কাদের? বাংলাদেশে যারা সরাসরি এরকম তাণ্ডব চালাচ্ছে, দায় কি তাদের নয়? এই নারকীয় তাণ্ডবের মূল দায় সেই তৌহিদী জনতার, জুম্মা পরবর্তী মুসল্লীর, ইসলামবাদী রাজনীতির। নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ প্রশাসনের, রাষ্ট্রের, সরকারের। তাদের বাদ দিয়ে বা টপকিয়ে কিভাবে ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের ঘাড়ে প্রধান দায় চাপানো সম্ভব? যেখানে বাঙালি মুসলমান (প্রত্যক্ষ যারা অংশ গ্রহণ করেছে, সারাদেশে যারা প্রত্যক্ষ সমর্থন জুগিয়েছে – উৎসাহ দিয়েছে, কিংবা যারা মৌন থেকে পরোক্ষে সমর্থন জুগিয়েছে) সারাদেশের এই হামলা – নিপীড়নের প্রধান হোতা, সেখানে বাঙালি মুসলমানকেই এশিয়ার/ দুনিয়ার সবচাইতে মজলুম জনগোষ্ঠী বলা হচ্ছে! অর্থাৎ, জুলুমকারী হয়ে যাচ্ছে মজলুম, আর জুলুমের যারা শিকার তাদের ধর্মবাদী রাজনীতিকে এখানে জালিম বানিয়ে দেয়া হচ্ছে! এই যে বাংলাদেশের ধর্মীয় মজলুমকে জালিম, আর জালিমকে মজলুম বানিয়ে দেওয়া, সেটাও একটা রাজনীতি, সেই রাজনীতির নামই হচ্ছে ইসলামবাদ বা পলিটিকাল ইসলাম। কি ভয়ানক মিথ্যার উপরে দাঁড়িয়ে আছে এই ইসলামবাদী রাজনীতির বয়ান!

পারভেজ আলম জানিয়েছেন, তার এরকম বক্তব্যের এথিকাল স্ট্রেন্থ নিয়ে কনসার্ণের দরকার নাই, সামাজিক এফেক্ট দেখতে হবে। অর্থাৎ, তার দাবি হচ্ছে তাদের এরকম বক্তব্যের সামাজিক এফেক্ট অনেক। দেশের অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ ‘শান্তিপ্রিয়’ মুসলমানদেরকে তারা “তথাকথিত” সেক্যুলার, প্রগতিশীলদের মত খারিজ না করে, বরং তাদেরকে পাল্টানোর কাজটাই করছেন। তাদের আশা, তাদের এমন বক্তব্য হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা, আক্রমণ থেকে তৌহিদী জনতাকে বিরত রাখবে, বা মুসলমানদের মাঝে এরকম হামলা-আক্রমণ বিরোধী মনোভাব তৈরিতে ভূমিকা রাখবে! কিভাবে? তৌহিদী জনতা এদেশের “হিন্দু”দের প্রতি ঘৃণাটা সরিয়ে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের প্রতি ঘৃণা ধারণ করলেই বুঝি এদেশের হিন্দুদের প্রতি করা সমস্ত তাণ্ডব বন্ধ হয়ে যাবে?

অথচ, তারা এটা বুঝতে পারছেন না (কিংবা বুঝেশুনে আড়াল করছেন) যে, ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের সুবিধা না করে দিতে এদেশে হিন্দুদের আক্রমণ না করার এই আহবানের মাঝেই এক ধরণের ঘৃণা বা বিদ্বেষ রয়েছে! ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন মত পথ বা সম্প্রদায়ের উপরে হামলা-আক্রমণ করাটা যে ইটসেলফ জঘণ্য কাজ – ভয়ানক অপরাধ, তা সে অন্যদেশের কেউ সুবিধা নেক বা না নেক – এই সহজ আলাপটা তারা সোজাসাপ্টা করতে পারছেন না, করতে চাইছেন না! ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে এই আলাপ তারা ভারতীয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে করছেন না, করছেন বাংলাদেশের মুসলমান পাঠকদের উদ্দেশ্যে। এর সামাজিক এফেক্ট কি? এখানে মুসলমানদের মাঝে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে চাইছেন। এখন, বাংলাদেশী মুসলমান এই পাঠকরা বাংলাদেশে মোদী, অমিত শাহ, বিজেপি, আরএসএস, শিবসেনাদের কোথায় পাবে? তারা তাদের ঘৃণা, রাগ, ক্ষোভ মেটাতে খুঁজে বেড়াবে শিবসেনার ফুটসোলজার, হিন্দুত্ববাদীর সমর্থক, ভারতের দালাল- ইত্যাদি। বলাই বাহুল্য, এদেশের হিন্দুদেরকেই এভাবে অভিহিত করা হবে। স্বয়ং পারভেজ আলম তার পোস্টেই হিন্দু নামধারী একজনের নিরীহ প্রশ্নের জবাবে তাকে “হিন্দুত্ববাদী” আখ্যা দিয়ে ব্লক করতে চেয়েছেন। তার এক সাগরেদ এরকম বক্তব্যের বিপরীতে করা কমেন্টে লাইক দেয়ার অপরাধে হিন্দুনামধারী (“দত্ত”) একজনকে শিবসেনার ফুটসোলজার হিসেবে অভিহিত করেছেন, পোস্ট লেখক পারভেজ আলম তাতে নীরব সমর্থন জুগিয়েছেন। পিনাকী ভট্টাচার্য তো উঠতে বসতে বাঙালি লেখক-পাঠকদের মধ্যে যাকে তাকে র’ এর এজেন্ট আর শিবসেনার সৈনিক বানিয়ে দেন! তাহলে, বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে এই যে ঘৃণা উৎপাদন করা হচ্ছে, তার আল্টিমেট সামাজিক এফেক্ট কি? ভারতেও বিজেপি, আরএসএস, শিবসেনারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের ইসলামবাদীদের হাতে হিন্দুদের নিপীড়ন দেখিয়ে, ইসলামবাদীদের প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে করতেই মুসলমানদের উপরে নিপীড়ন, হামলা চালায়, বাংলাদেশের ইসলামবাদী-তৌহিদী-হেফাজতিদের দেখিয়েই ভারতের মুসলিম নিপীড়নকে জাস্টিফাই করে। একদম একই কাজ কি এখানকার এই ইসলামবাদী বুদ্ধিজীবীরা করছেন না?

আর, এখানকার তৌহিদী জনতা, জুম্মার মুসল্লীরা খুব ভালো করেই জানে যে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে নিপীড়ন করলে ভারতে বিজেপি’র রাজনীতি শক্তিশালী হবে, ভারতেও মুসলমানদের উপরে হামলা, নিপীড়নের সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশের এই ইসলামবাদী সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো বাঙালি ‘তৌহিদী’ মুসলমানের কেউই মজলুম নয়, কারো মাথায় গোবর ভর্তি না, কেউ “বোকাচোদা” বা বেকুবও না, কেউ কারোর ফাঁদেও পা দেয়নি। পরিণাম সম্পর্কে তারা ভালো সচেতন, পরিণামে ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির লাভালাভের কথা তারা আগাগোড়াই জানে। যেমনটা, ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা জানে ভারতে মুসলমানদের উপরে হামলা-নিপীড়ন, অত্যাচার চালালে সেটা বাংলাদেশেও ইসলামবাদীদের শক্তিশালী করবে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে ভয়ানক দুর্যোগ নেমে আসবে। দুই দেশের দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীই এটা যেমন জানে, দুই ধর্মবাদী রাজনৈতিক শক্তিই জানে। এবং জানে বলেই – দুই দেশের ইসলামবাদী আর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি যারা করে, তারা মিলেমিশে আপোসেই নিজ নিজ দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা-আক্রমণ-নিপীড়ন চালায়। বিজেপি’র যেমন বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করার কোন তাগিদ নেই, বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রতি ন্যুনতম দায়বোধ, সহানুভূতি তাদের নেই, তেমনি ভারতের মুসলমানদের নিয়েও তৌহিদী জনতার কোন মাথাব্যথা নেই। বরং, বিজেপির রাজনীতি যেমন বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হামলা হলে লাভবান হয়, একইভাবে ভারতে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি যত শক্তিশালী হয়, ভারতের মুসলমানদের উপরে যত অত্যাচার, নিপীড়ন, বৈষম্য চালানো হয়, সেটা এদেশের ইসলামবাদী রাজনীতির পালেই হাওয়া দেয়।

বাংলাদেশ-ভারতে বড় অংশের আম-মুসলিম আম-হিন্দু একে অপরকে ঘৃণা করলেও এবং দুই দেশের ইসলামবাদী ও হিন্দুত্ববাদীরা সাধারণের মাঝে এই ঘৃণা-বিদ্বেষকে ছড়িয়ে দিতে প্রবল ভূমিকা রাখলেও, দুই দেশের ইসলামবাদী ও হিন্দুত্ববাদীদের মাঝে কিন্তু দারুণ ঐক্য ও সমঝোতা। পারস্পরিক রাজনৈতিক স্বার্থেই মিলেমিশেই তারা এই ঘৃণাবাদী রাজনীতি চালিয়ে যায়! অথচ, আমাদের ইসলামবাদী বুদ্ধিজীবীরা উপরে উপরে হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে জিহাদী আক্রোশ দেখায়। কেননা, তারা জানে এখানকার মুসলমানরা হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে সেই ঘৃণাকে হিন্দুবিদ্বেষ দিয়ে প্রতিস্থাপন করবে। তার চাইতেও বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে, এখানকার ঘৃণাবাদী ইসলামবাদীদের দায়মুক্তি। এখানকার হামলাকারীরা “মুখে যতই নিজেদের তৌহিদী জনতা বা মুসলমান হিসেবে দাবি করুক”, এই বুদ্ধিজীবীদের চোখে তারা বিজেপি, শিবসেনা, সঙ্ঘ পরিবারের হয়ে কাজ করা সৈনিক, বা হিন্দুত্ববাদীদের ফাঁদে পা দেওয়া মজলুম মুসলমান! এর সামাজিক এফেক্ট কি? দায়মুক্ত ঘৃণাবাদীরা মহা উৎসাহে আরো বেশি করে ঘৃণার চর্চা করবে! সেই ঘৃণাবাদী রাজনীতির চর্চাই বস্তুত আলোচ্য ইসলামিস্ট বুদ্ধিজীবীরা এসমস্ত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন।