আমার ভেতরে যেই ‘মানুষনারী’ বাস করেন তার পরিচয় আমি আজ প্রকাশ্যে আনলাম – মুখপঞ্জিকা (Facebook)-এর পরিচিতির লৈঙ্গিক পরিচয়ে আজ পুরুষ শব্দটা পরিবর্তন করে নারী শব্দটা বসালাম । বন্ধুরা , অনেক অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম – প্রকৃতপক্ষে আমি আসলে একজন নারী ।
আমি শারীরিকভাবে সক্ষম বা সক্রিয় শিশ্ন (Activ Penis) সংযুক্ত পুরুষ হলেও মানসিকভাবে একজন সম্পূর্ণ নারী । আসলে সর্বোপরি আমি একজন মানুষ কিন্তু নিজেকে নারী ভাবতেই বেশী ভালো লাগছে !! এবং এই নারী পরিচয়ে আমি মোটেই লজ্জিত না – বরং উল্টা নারী পরিচয়ে আমি নিজেকে গর্বিত বোধ করছি !!
যদিও ‘শারীরিকপুরুষ’ হওয়া কোনো খারাপ কিছু না – কারণ , ‘মানসিকপুরুষ’রা খারাপ হলেও সমস্ত ‘শারীরিকপুরুষ’রা খারাপ না । আবার সকল নারীরাও দুধে ধোয়া তুলসী পাতা না – অনেক অনেক নারীই আছেন যারা – ‘মানসিকপুরুষ’রা যেইরম জঘন্য খারাপ – সেইরম জঘন্য খারাপ ।
তারপরেও – আমি নিজেকে শেষ পর্যন্ত ‘মানসিকনারী’ হিসেবে পরিচয় দিতেই গর্বিত অনুভব করছি !! কারণ , আমার ভাবনাচিন্তার ধরন , অনুভূতি প্রকাশের ধরন এবং ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি সবকিছুই ‘শারীরিকনারী’র মতো অর্থ্যাৎ তাঁদের সাথেই মিলে যায় । শুধু শরীরটা বাদে নারীর সাথে আমার খুব একটা অমিল নাই ।
বন্ধুরা , জানেন কি – পুরুষ শরীরটা ও পুরুষতন্ত্রের তৈরী মেকি পুরুষত্বের মধ্যে বন্দি হয় আমি ছটফট করে মরে যাচ্ছি – আমি এই বর্বর অনিয়ম থেকে মুক্তি চাই !! আমি পুরুষ আর থাকতে চাই না – এইবার আমি পুরুষত্ব থেকে বেরিয়ে – মানুষ হতে চাই এবং সেই মানুষটা যদি আচরণে ও প্রকাশে নারীর মতো হয় – তাতে আমার আনন্দ ছাড়া অনুশোচনা নাই , কোনো ক্ষেদ নাই ।
আমার কথা শুনে কোনো পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পুরুষরা হয়তো হাসবেন , তাতে আমার কিছুই যায় আসে না । হাসেন , তাচ্ছিল্যের হাসি হাসতে থাকেন – তবুও আমি সেই নারীর মতো মানুষ হতে চাই – যেই মানুষ – সাঁজতে , হাসতে , মন খুলে কথা বলতে , গাইতে , নাচতে , আঁকতে , আবৃত্তি ও অভিনয় করতে , শাড়ি-চুড়ি-গয়না পরতে , বড় চুলে ঝুঁটি বেঁধে রঙিন ফুল গুজতে ইত্যাদি ইত্যাদি শৌখিনতা ভালোবাসে ।
যে মানুষ পুরুষত্ব না , মনুষ্যত্বের চর্চা করতে চায় – আমি সেইরম মানুষের মতো প্রকৃত মানুষ হতে চাই !! পুরুষত্বের নিষ্ঠুর খোলসে গেঁথে থেকে আমি মরমে মরে যাচ্ছি , একটা বিষম যন্ত্রণায় ছটফট করছি !! পুরুষত্ব নামক একটা মেকি ও রুঢ় , নিষ্ঠুর ভাবমূর্তির মুখোশ পরে থেকে আমি আর বাঁচতে পারছি না !! এইভাবে আর বাঁচতে চাই না !!
ইদানিং বাংলাদেশের ঢাকাতে অনেক মানুষ আছেন যারা ‘মানসিকনারী’ কিন্তু ‘শারীরিকপুরুষ’ – তারা প্রকাশ্যে শাড়ি পরছে এবং সাজগোজ করছে – এইসব সাহসী মানুষগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত । আর – তাদেরকে অনুপ্রেরণা ও সাহস দেবার মতো , তাদের পাশে বাস্তবে অনেক মানুষই আছে – তাই হয়তো তারা প্রকাশ্যে শাড়ি পরতে পারছেন – প্রকাশ্যে নিজেকে নারী বলতে পারছেন ।
কিন্তু আমার যৌবনের প্রারম্ভে আমার পাশে ওইরম সাহস ও অনুপ্রেরণা দেবার মতো কেউ ছিলো না বিধায় সারা জীবন নিজেকে দমন করেই গেলাম !! কারণ কি জানেন ? কারণ হচ্ছে – অন্যে মানুষের সমালোচনার ভয়ে । আমার হাটাচলা নিয়া সবসময় গালাগালি খেতে হয়েছে – তার উপরে যদি শাড়ি পরতাম তাহলে কথাই নাই , “সেরের উপর শোয়াসের” – গালি খেতে খেতে দফারফা সারা হয়ে যেতো !!
আমার বাস্তব জীবনে ঘটা করে একটা বিশ্রী বিষয় বলি : “মাইগ্যা” কিংবা “তোরে তো দেখতে ও হাঁটাচলা মাইয়াদের মতো , শরীরটা টুকুটুকে রাঙা ও নরম তূলতুলে এক্কেরে মাইয়াগো মতো” – এই কথাগুলা একসময় আমাকে ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত করে রাখতো !! ইস কি ভয়ংকর সময়টাই না পেরে করেছি – কৈশোর ও কৈশোর পরবর্তী বয়ঃসন্ধীকালে !! 😢😢
‘শাড়ি’ শিরোনামে আমার একটা সুদীর্ঘ লেখা আছে – সেইটা যারা পরেছেন তারা নিশ্চয় জানেন যে ছোট বেলায় আমি মেয়েদের পোশাক পরতে ও মেয়েদের মতো সাজতে চাইতাম । কিন্তু আমি কেনো ওইরম চাইতাম ? কারণ , শরীরে শিশ্ন সহকারে পুত্র হিসেবে জন্ম নিলেও আমি মননে ছিলাম একজন কন্যা ।
আমার সেই কন্যা সত্তাই একদিন ‘মানুষনারী’র রূপ ধারনা করেছে । এতোদিন আমার সেই মানসিকনারী’ সত্তাকে গোপন রাখলেও – আজ এতদিনে এই পরিনত বয়সে এসে প্রকাশ করলাম । যদিও এতদিন এই ব্যাপারটা সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে , শংকায় , আতংকে চেপে রাখলেও – আর কতো !! ?? আর কতো নিজেকে দমন করা ?? যথেষ্ট হয়েছে । আর না ।
তাই , আজ জনসম্মুক্ষে সবাইকে জানিয়ে দিলাম – আমি একজন মানুষ – যে কি না – মানসিকভাবে নারী অর্থ্যাৎ ‘মানুষনারী’ এবং এর জন্য আমি গর্বিত !! ‘মানুষনারী’ হিসেবে হয়তো গর্ভিত হতে পারবো না – এই কথা ঠিক , তবে গর্বিত হতে পারবো – এইটা তো সত্য , তাই না ? ভুল কিছু বললাম কি ?
আপনারা আবার ভাববেন না যেনো – আমি ‘মানুষনারী’কে ‘মানুষপুরুষ’-এর চাইতে উর্ধে স্থান দিয়েছি !! বরং আমি বলতে চাইছি যে – ‘মানুষপুরুষ’ ও ‘মানুষনারী’ দুইজনেই সমান সম্মান , অধিকার , সুযোগসুবিধা ইত্যাদি পাবার বা ভোগ করার অধিকার রাখে – তাই , কেউ কারো চাইতে কম না আবার কেউ কারো চাইতে বেশীও না ।
কি , স্পষ্ট করে বুঝাইতে পারলাম তো , না কি ? আপনাদের কাছে যদি মনে হয় – ভুল কিছু বলেছি , তবে সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করতে পারেন । এই বিষয়ে তুল্যমূল্য বিচার করে আরো বিস্তারিতভাবে আরেকদিন কিছু লেখার ইচ্ছা আছে – তবে আজ এইটুকুই থাক । ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালোবাসা রইলো সব্বার প্রতি !!
পুনশ্চ : আমার এই আত্মস্বিকৃতীমূলক লেখাটা পড়ে অনেক বন্ধুই মুক্তমণা ও আমার ব্যক্তিগত ফুটাখাতা বার্তাবাকসে (Facebook Inbox-এ) আমাকে ভুল বুঝে অভিযোগ করেছেন যে – আমি নাকি ‘মানুষনারী’কে ‘মানুষপুরুষ’-এর উপরে স্থান দিয়েছি !! কখনোই না – আমি তা করি নাই । তাইজন্যেই এই পুনশ্চের উল্লেখ করা ।
আসলে আমি কখনোই ‘মানুষনারী’কে ‘মানুষপুরুষ’-এর ওপরে স্থান দেই না , কারণ , ‘মানুষবৃহন্নলা’ ‘মানুষনারী’ ও ‘মানুষপুরুষ’ ইত্যাদি আমরা প্রতিটা মানুষই সমান ভালোবাসা , সম্মান , স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার রাখে – কেউ কারো চাইতে কম না আবার কেউ কারো চাইতে বেশীও না । তাই এই লেখাতেও দেই নাই – তাহলে যে আমার মানব জন্ম ও জন্মের স্বার্থকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে !!
বন্ধুরা , আপনারা লেখাটা পুনরায় পড়ুন – তাহলেই বুঝতে পারবেন যে – এই বিষয়ে আস্ত একটা বাক্য আছে । যাইহোক , পাশে থাকুন ও পাশেই রাখুন !! আপনাদের মন্তব্য আমার জন্য সবসময়েই অনুপ্রেরণাদায়ক । ধন্যবাদ !!
”মানুষপুরুষ’-এর শরীরে আমি একজন ‘মানুষনারী”
সংযোজন
পুনশ্চ:
[০২] :
সাইরাম আয়ারের (Sairam Iyer) মানুষপুরুষ ও মানুষনারী কন্ঠে “ইয়ে রাতে ইয়ে মওসম নদীকা কিনারা , ইয়ে চঞ্চল হাওয়া” (Ye Raatein Ye Mausam Nadee ka kinara, Yeh Chanchal Hawoa) গানটা যতবার শুনি আর ততবার চোখের জল ফেলি আর মনে পড় যায় বয়ঃসন্ধিকালে আমিও কাউকে না শুনিয়ে গোপনে একা একা কতো কতো গান যে মানুষনারীর কন্ঠে গেয়েছি । আহারে আমার মানুষনারী সত্তা !! আমি আসলেই মনে প্রাণে একজন মানুষনারী ছিলাম এবং এখনো আছি ……….
মানুষনারীরা পুরুষের চাইতে প্রায়শঃই ইতিবাচক ও সৃজনশীল হন, এই জন্যই আমি নিজেকে ‘মানুষনারী’ ভেবে গর্ব অনুভব করি । কিন্তু নারীতান্ত্রিক নারীরা ‘মানুষনারী’র এই ভাবমূর্তিকে পুরুষতন্ত্রের তৈরী “নারী” বলছে !! তারা বলছে, পুরুষতন্ত্র নারীকে এইভাবে তৈরী হতে বাধ্য করেছে !! , জানি না তাদের ভুল বুঝলাম কি না !! বন্ধুরা , আপনাদের কি মনে হয়, আমার ধারনা কি ভুল ?
শ্রদ্ধেয় মানুষ বন্ধুরা , আমি কিন্তু এখন থেকে থেকে আর নিজেকে একেবারেই পুরুষ মনে করি না , আমি নিজেকে নারী ও সর্বোপরি মানুষ ভাবি এবং নিজেকে নারী ভাবতে পারায় গর্বিত বোধ করছি । আমার Facebook Profile এর পরিচিতি বা ব্যক্তিগত তথ্যের জায়গায় গেলে দেখবেন লিঙ্গের জায়গায় “নারী” লেখা রয়েছে।
সুতরাং আমাকে ‘দিদি’ , ‘মানুষ’ বা ‘বন্ধু’ ইত্যাদি যা খুশি সম্বোধনে ডাকতে পারেন, কিন্তু অনুগ্রহ করে পুরুষ হিসেবে “ভাই” বলে আর সম্বোধন করবেন না । নিজেকে পুরুষ ভাবতে বা দেখাতে দেখাতে আমার ঘৃনা ধরে গেছে । আমি নিজেকে পুরুষ পরিচয় দিতে রীতিমতো লজ্জিত বোধ করছি । সুতরাং আমাকে দয়া করুন, পুরুষবাচক কোন সম্বোধনে ডেকে আর কষ্ট দিবেন না ।
পুন: পুনশ্চ:
[০৩]
“মানুষপুরুষ’ এর শরীরে আমি একজন ‘মানুষনারী” শিরোনামে আমার মূল লেখাটা প্রথমে সংক্ষিপ্ত আকারে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্ৰুপে প্রকাশ করেছিলাম। তারপর থেকেই আমি ভয়ঙ্কর অপ্রিতীকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছি এবং অনবরত হয়ে চলেছি। আমার ইনবক্সে ক্রমাগত অদ্ভুত সব যৌন সম্পর্ক তৈরীর প্রস্তাব ও আপত্তিকর ছবি আসছে। তাই আমি এই পূনশ্চে কিছু কথা খোলাখুলিভাবে জানাচ্ছি।
লেখাটিতে শারীরিকভাবে সক্ষম (Active) মানুষপুরুষ বলতে বোঝাচ্ছি যে, যৌনমিলনের সময় আমার শিশ্ন সক্রিয় (Active) থাকে এবং সক্রিয় উত্থিতশিশ্ন আমার যৌনসঙ্গীর শরীরে প্রবেশ করাই ও চালনা করি এবং সেইসাথে আমি এইটাও চাই আমার যৌনসঙ্গী আমাকে প্রচুর আদর করুক, আমার সমস্ত শরীর চুম্বনে-আদরে ভরিয়ে তুলুক এবং আমিও তার সমস্ত শরীর চুম্বনে আদরে ভরিয়ে তুলি।
এইখানে যৌনসঙ্গী বলতে ‘মানুষনারী’ এবং নিষ্ক্রিয় (Passive) ‘মানুষপুরুষ’দের বুঝিয়েছি । সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো এই যে, আমি কিন্তু আমার শরীরে যৌনসঙ্গীর শিশ্ন প্রবেশ করাতে পারি না , আর এতে আমার কোনো আনন্দ , মজা বা সুখ নাই , করলে উল্টো প্রচন্ড ব্যাথা বা যন্ত্রণা পাই, অর্থ্যাৎ আমি (Passive) না । তারমানে এই দাঁড়ালো যে, সক্রিয় (Active) মানুষপুরুষের উত্থিত শিশ্ন আমার শরীরে প্রবেশ করাতে ও চালনা করাতে পারি না ।
কোনো কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অনুরোধে সেই প্রচেষ্টা করেছি কিন্তু কখনো সম্ভব হয়ে ওঠে নাই । অর্থ্যাৎ আমি যৌনমিলনের সময় আমি সক্রিয় (Active) থাকি, নিষ্ক্রিয় (Passive) নই । সুতরাং আমি নিজেকে ‘মানসিকভাবে নারী’ মনে করি বলে কেউ ভাববেন না যেনো আমি ‘নিষ্ক্রিয় মানুষপুরুষ’ (Passive) । বরং উল্টা যৌন মিলনের সময় আমার শিশ্ন সক্রিয় ভূমিকা (Active Role) পালন করে । সুতরাং আমার মত ‘মানসিক নারীত্ব’এর কথা শুনে সক্রিয় (Active) ‘মানুষপুরুষ’দের দূরে থাকবার পরামর্শ দেব। যারা কৌতূহলী তাদের বলতে পারি আপনারা বরং LGBTQA+ কমিউনিটি নিয়ে জানতে চেষ্টা করুন। মানুষকে ‘মানুষ’ ভাবতে ও সম্মান করতে শিখুন।
— খান ওয়াহিদুজ্জামান
বাহ,মানুষ আপনি এটাই সব।তার ওপরেও সত্যবাদী মানুষ।পক্ষপাতহীন
প্রকৃত মানুষ।
খুব সুন্দর লেখা , অনেক কিছু জানতে পারলাম। জানি না এখনো কত কিছুর বাকি আছে।
ধন্যবাদ।
মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।
অাত্মবিশ্বাসের সাথে থাকবেন।
সবার আগে অাপনি মানুষ এবং এটাই হোক একমাত্র পরিচয়।
The writter has an amazing power of telling truth
ধন্যবাদ।
মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।
অাত্মবিশ্বাসের সাথে থাকবেন।
সবার আগে অাপনি মানুষ এবং এটাই হোক একমাত্র পরিচয়।
কামরুন নাহার , আপনাদের উৎসাহই আমাকে লিখতে প্রেরণা যোগাবে । মুক্তমনার পাশেই থাকুন । ধন্যবাদ !!
খান ওয়াহিদুজযযামান কে বলছি , ব্যাপার টা সম্বন্ধে আমার তেমন ধারনা ছিলনা । আপনার লেখার মাধ্যমে সুন্দর ভাবে বুঝতে পারলাম । প্রকাশ ভঙ্গি টা খুব প্রাঞ্জল ।
অবশ্যই নিজেকে এর জন্য দোষ দিবেন না । আত্মবিশ্বাসের সাথে থাকবেন । আপনি আগে একজন মানুষ , তারপর অন্য কিছু । মানুষ হিসাবে বাঁচার সবার অধিকার আছে ।
শ্রদ্ধেয় নার্গীস রসীদ , আপনাদের এই অনুপ্রেরণামূলক কথাগুলাই আমার পথ চলাকে আরো মসৃণ করবে । আমাকে আপনার অলিন্দের পাশেই রাখেন এবং আমার পাশেও আপনি থাকেন । ধন্যবাদ !!
খুব ভালো লাগলো । এখন সময় এসেছে বদলাবার । বদলে যাবে সব ঘৃণার জঞ্জাল । শুধু ভালবাসা ।
শুহানুর রহমান , আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক । ভালোবাসা আপনাকেও । পাশেই থাকুন ।
অনেক ভালো লাগনো, আসলে কথা গুলো আমার জীবনের সাথে অনেক টাই মিলে যায়, পরিবারের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, বাইরের সমাজের নানান রকম কথা শুনতে হতো, তবে, আমি এখন আগের মত ভয় পাই না, ঠিক আপনার লিখা কথা গুলোর মতই আমিও সবাইকে বলি আমি ৩য় লিঙ্গের মানুষ, আর এতে আমার কোনো লজ্জা নেই, আমি আমার মতই ভালো আছি, তাই আমার ব্যাপারে কেও কোনোভাবে কথা বললে আমি কিছু মনে করি না, কেননা সমালোচনার পাত্র হতে গেলেও যোগ্যতা লাগে
প্রিয় স্বজন – তৃপ্ত অধিকারী – না , কোনো ভয় পাওয়া আর না । আমরা যথেষ্ট ভয় পেয়েছি কিন্তু আর না । এইবার পিঠ টানটান করে সোজা উঠে দাঁড়ানোর সময় । এইবার নিজের পায়ে সটান দাঁড়িয়ে মেরুদণ্ড সোজা রেখে , বুকটা টানটান করে , মাথাটা উঁচু করে , মুখটা হাসিআনন্দে ভরিয়ে তুলে – আর দুইচোখ সামনের দিকে প্রসারিত করে তাকাবার সময় ।
জীবনটা আমাদের – তাই আমরাই সিদ্ধান্ত নিবো – কার সাথে আমরা সংসার করবো আর কার সাথে করবো না – এইটা আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ , সিদ্ধান্ত ও স্বাধীনতা । – এর মধ্যে সমাজ বা কোনো তৃতীয় ব্যক্তি নাক গলাতে পারবে না । কিছুতেই না ।
একজন মানুষ , সে মানুষনারী হোক বা মানুষবৃহন্নলা বা মানুষহিজড়া হোক কিংবা সে মানুষপুরুষ হোক – সে কার প্রেমে পড়বে আর কার প্রেমে পড়বে না , কাকে ভালোবাসবে আর কাকে বাসবে না , কাকে এবং কোথায় দাঁড়িয়ে চুমু খাবে আর খাবে না , কাকে অন্তরঙ্গ বন্ধু মনে করবে আর করবে না , কার সাথে একবিছানায় শোবে আর শোবে না , কার সাথে একঘরে থাকবে আর থাকবে না , কোন পোশাক সে পরবে আর পরবে না , কখন ঘর থেকে বের হবে আর বের হবে না – এইসব একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এখন থেকে আমরাই নিবো ।
আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ ও সিদ্ধান্তের উপর আমরা আর কারো হস্তক্ষেপ বা খবরদারি মানবো না । জীবনটা যেইহেতু আমাদের তাই – পছন্দ , সিদ্ধান্ত ও স্বাধীনতাটাও আমাদের । বুঝাইতে পারলাম , বন্ধু ? সুতরাং পরিবেশ ও বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে এখন থেকে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিবেন এবং নিজেকে প্রচুর ভালোবাসবেন !! কেমন ?
ভালো থাকুন । আপনার প্রতি আমার মননের গভীর থেকে অনবদ্য ভালোবাসা জানালাম । “ভালো থেকো ফুল , মিষ্টি বকুল – ভালো থেকো !!”
হ্যাঁ, ভাইয়া, আমার ও একই সিদ্ধান্ত ❤️
আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলাম।
ধন্যবাদ, সময়োপযোগী এই লেখাটির জন্য।
ধন্যবাদ পার্থ চৌধুরী ,
আপনাদের ভালোবাসার মাঝেই আমি নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারি । ভালোবাসা রইলো !!
খুব সুন্দর লেখা।বিষয়টি নিয়ে আরো পরিষ্কার জানলাম।ধন্যবাদ।
ফজলুল হক চৌধুরী , আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই – আপনার ভালো লাগা প্রকাশের জন্য । পাশে থাকুন ও আমাকে আপনার অলিন্দের পাশেই রাখুন । আর মুক্তমনার লেখা নিয়মিত পড়ুন – অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
খান ওয়াহিদুজ্জামান আপনি বাংলাদেশের সমাজে সমপ্রেম নিয়ে লিখার সময় পাচ্ছেন কবে? দয়া করে জানান।
প্রিয় ইশরাত , প্রেম নিয়ে লিখতে বলেছেন , কিন্তু কোন প্রেম নিয়া লিখতে বলেছেন ? – আমি অবশ্যই লিখবো , কিন্তু কোন প্রেম নিয়া ? মানুষের চিরায়ত ও চিরন্তন প্রেম নিয়া ? নাকি শুধু – মানুষনারী-মানুষপুরুষের তথাকথিত প্রেম নিয়া ?
প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়া আপাতবিরোধী – মানুষবৃহন্নলার সাথে মানুষপুরুষ বা মানুষনারীর প্রেম , নাকি মানুষপুরুষ-মানুষপুরুষের প্রেম , নাকি মানুষনারী-মানুষনারীর প্রেম – এইগুলার মধ্য থেকে কোন ধরনের প্রেমের গল্প আপনাকে আকর্ষণ করে ?
যদিও একজন আপাতবিরোধী প্রেমীকের কিছু কষ্টকর অভিজ্ঞতা আমার একটা লেখায় তুলে আনতে চেষ্টা করেছি – জানি না কতটুকু স্বার্থক হতে পেরেছি !! আমার ‘ফুটাখাতা দেয়াল বা সময় রেখা’তে (Facebook Wall or Timeline-এ) যদি যান তবে দেখতে পাবেন ।
আন্তরিক ধন্যবাদ ইশরাত – এইভাবে অনুপ্রেরণা দিয়ে আমাকে আপনার অলিন্দের পাশেই রাখেন এবং আমার পাশেও আপনি থাকেন । আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমার চলার পথের পাথেয় !! নিরন্তর ভালোবাসা রইলো !!
খুব ভালো লাগলো পড়ে। দারুন।
ধন্যবাদ , অনিকেত দে । মুক্তমনায় চমৎকার কিছু লেখা আছে সেইগুলাও পড়তে পারেন । আমার বিশ্বাস আফনৃর কাছে লেখাগুলা ভালো লাগবে ।
ধন্যবাদ , অনিকেত দে । মুক্তমনায় চমৎকার কিছু লেখা আছে সেইগুলাও পড়তে পারেন । আমার বিশ্বাস আর কাছে লেখাগুলা ভালো লাগবে ।
ধন্যবাদ , অনিকেত দে । মুক্তমনায় চমৎকার কিছু লেখা আছে সেইগুলাও পড়তে পারেন । আমার বিশ্বাস আপনার কাছে লেখাগুলা ভালো লাগবে ।
কি বিচিত্র মানব জীবন। কত কিছুই যে জানার আছে। আপনার মত আরো অনেক মানুষ রয়েছে এই পৃথিবীতে। সভ্য দেশগুলোতে সামাজিক ভাবে আপনাদের মত একটু অন্যরকম মানুষদের আলাদা চোখে দেখা হয় না বা অসম্মান করবার সুযোগ নেই। তাঁরাও অন্য সব নাগরিকের মত সব ধরণের নাগরিক সুবিধে ভোগ করেন। লেখক আপনি যে আপন পরিচয় দাবি করেছেন আর নিজেকে অকপটে উন্মোচন করেছেন সে জন্য অভিনন্দন ও সাধুবাদ। মাথা উঁচু করে জীবনকে যাপন করুন, উদযাপন করুন। নিরাপদ থাকুন।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা !! আপনার কথাগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করলো !! আসলে কয়েকদিন ধরে মনের উপর প্রচন্ড ঝড় বয়ে যাচ্ছে – এই লেখাটা প্রকাশ হবার পর থেকে আমার Facebook Inbox-এ নানা ধরনের মানুষের কাছ থেকে নানামাত্রিক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা পাচ্ছি – যা ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না !! – যার বেশিরভাগই নেতিবাচক । যদিও ইতিবাচক মন্তব্যও আসছে – আমাকে সবাই ভুল বুঝে নেতিবাচক মন্তব্যই করছে বেশী !! যাই হোক – ভালো থাকুন !!
প্রিয় ইশরাত , প্রেম নিয়ে লিখতে বলেছেন , কিন্তু কোন প্রেম নিয়া লিখতে বলেছেন ? – আমি অবশ্যই লিখবো । কিন্তু কোন প্রেম নিয়া ? মানুষে মানুষের চিরায়ত ও চিরন্তন প্রেম নিয়া ? নাকি শুধু – মানুষনারী-মানুষপুরুষের তথাকথিত প্রেম নিয়া ?
প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়া আপাতবিরোধী – মানুষবৃহন্নলার সাথে মানুষপুরুষ বা মানুষনারীর প্রেম , নাকি মানুষপুরুষ-মানুষপুরুষের প্রেম , নাকি মানুষনারী-মানুষনারীর প্রেম – এইগুলার মধ্য থেকে কোন ধরনের প্রেমের গল্প আপনাকে আকর্ষণ করে ?
যদিও একজন আপাতবিরোধী প্রেমীকের কিছু কষ্টকর অভিজ্ঞতা আমার একটা লেখায় তুলে আনতে চেষ্টা করেছি – জানি না কতটুকু স্বার্থক হতে পেরেছি !! আমার ‘ফুটাখাতা দেয়াল বা সময় রেখা’তে (Facebook Wall or Timeline-এ) যদি যান তবে দেখতে পাবেন ।
আন্তরিক ধন্যবাদ ইশরাত – এইভাবে অনুপ্রেরণা দিয়ে আমাকে আপনার অলিন্দের পাশেই রাখেন এবং আমার পাশেও আপনি থাকেন । আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমার চলার পথের পাথেয় !! নিরন্তর ভালোবাসা রইলো !!
খান ওয়াহিদুজ্জামান, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য; আমি সমলৈঙ্গিক প্রেম অর্থাৎ দুজন নারীর মধ্যকার প্রেম বুঝিয়েছি; আপনি চাইলে এই ব্লগে এ সম্পর্কিত লিখতে পারেন; আপনার ইচ্ছে। আর ফেসবুক একাউন্ট আমি আপাততঃ ব্যবহার করিনা।
প্রিয় ইশরাত , আমি সমপ্রেমকামী গল্প অবশ্যই লিখবো । আমার নিজের জীবনে ঘটা সহ অনেকের অনেক ঘটনাই জানি – সুতরাং এইসব গল্পই তো আমি লিখে ফেলতে পারি ।
আমি Facebook-এ প্রকাশিত যেই লেখাটার কথা বলেছি – সেই লেখাটা আমি আজ – মুক্তমনা E-mail করবো – প্রকাশ করা বা না করা – সম্পূর্ণ সম্পাদকমণ্ডলীর স্বাধীনতা !! ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ইশরাত !!
পড়ে অনেক আনন্দিত হলাম, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার! এভাবে প্রকাশ না পাইলে মানুষ জানবে কিভাবে! প্রচুর মানুষ আছে এসব ব্যাপারে অবগত নয়, আবার অনেকে ভুল ধারণা পোষণ করে, আর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসাতো আছেই। মানুষ হিসেবে সমান অধিকার আপনাদেরও আছে। অধিকার আদায় করতে হবে। সকল পুরুষ ও নারীর মানষিকতা যেমন এক নয়, তেমনি ব্যতিক্রমীদের মাঝেও সকলে এক হবার নয়, কারণ- যুক্তি হিসেবে প্রাণীবিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার গবেষণায় স্পষ্ট উঠে আসবে। তাই এই ব্যতিক্রমীদের নিয়ে পড়াশোনার প্রয়োজন আছে, আছে কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা ইত্যাদি ইত্যাদি!
💖এভাবে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।💝
👍শুভকামনা আপনার প্রতি!👌
প্রিয় হাসান , আপনাদের মূল্যবান মতামতই আমাকে আরো বিকশিত করবে !! 💚💚 আপনার অলিন্দের পাশেই আমাকে রাখেন এবং আমার পাশেই থাকেন । ধন্যবাদ !!
নিজেকে উপস্থাপন করা,চাওয়া পাওয়া গুলো প্রকাশ করা অবশ্যই দোষের না যদিনা অনৈতিক হয়।সুন্দর একটি লেখা!
এগিয়ে যান সগৌরবে,,পাশে আছি ।।
—-ক্ষুদ্র পাঠক।
আমি একজন Non-binary।
ভালো লিখেছেন। সকলে যদি মেনে নিত।
অভিনন্দন ও আন্তরিক ভালোবাসা আপনার প্রতি । একদিন হয়তো সকলেই মেনে নিবে – এই আকাঙ্ক্ষাপূর্ণ প্রত্যাশাই আমাদের চলার পথের পাথেও এবং নিজের প্রতি নিজের অনুপ্রেরণা !!
আসলে এটাতে কোন বেক্তির দোষ নেই এমন হওয়ার পেছনে কারন হল হরমোন এর ভারসাম্য ঠিক না থাকা বাকীটা পরিবেশ আর পরিস্থিতি
শান্ত ভৌমিক , শুভেচ্ছা জানবেন । নিজেকে ‘মানুষনারী’ ভাবা ও এই পরিচয়টা প্রকাশ্যে আনা – কোনো “ব্যাক্তির দোষ নয়” – এইটা তো অবশ্যই শতভাগ সত্য কথা । কিন্তু – “Hormone-এর ভারসাম্য ঠিক না থাকা” – ব্যাপারটা ঠিক স্পষ্ট বুঝলাম না !! আচ্ছা , এই ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা করবেন কি ? ধন্যবাদ !!
পুরো লেখাটাতে আমাকেই পেয়েছি। মনে হচ্ছে লেখক বিনা পারিশ্রমিকে আমার চিন্তা প্রকাশ করেছেন। অসম্ভব ধন্যবাদ।
আপনার এই অনুপ্রেরণামূলক সরল স্বীকারোক্তির মাধ্যমেই আমার কষ্টকরে লেখার সম্মানী বা পারিশ্রমিক যাই বলেন না কেনো – সেইটা পেয়ে গেছি !! নিষকলুষ ভালোবাসা জানবেন !! পাশে থাকুন , বন্ধু !!
খান ওয়াহিদুজ্জামান আপনি যদি পারেন তাহলে সমপ্রেম (সমলৈঙ্গিক প্রেম) নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখুন; অভিজিৎ রায় দাদার ‘সমকামিতা’ বইটা পড়েছেন নিশ্চয়ই। বাংলা সাহিত্যে কারা কারা সমপ্রেমের পক্ষে লিখেছেন তা যদি আপনি জানাতেন তাহলে উপকৃত হতাম খুব; অভিজিৎ দা’র বইতে বাংলা সাহিত্যে সমকামিতা নিয়ে লেখাগুলো (পরিচ্ছেদ)টি তথ্যবহুল হলেও ওগুলো আমি যাচাই করতে পারিনি, একমাত্র ইমদাদুল হক মিলনের ‘কালোঘোড়া’ উপন্যাসে ছোটো-খাটো সমকামিতার বর্ণনা পেয়েছি আর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘উৎসব’ গল্পে সমকামিতা নেই (অভিজিৎ দা তার সমকামিতা বইতে এমনটাই লিখেছেন যদিও)।
আপনার অনুরোধ বা পরামর্শ – রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা করবো । আপনার মন্তব্যগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করে – এইভাবেই পাশে থাকুন এবং আমাকেও আফনার অলিন্দের পাশেই রাখুন । কেমন ! ?
চমৎকার 💞💞💞
সবাই যদি এই ব্যাপারগুলো সহজ ভাবে মানতে পারতো, কত ভালো হতো!!!
তাহলে তো কোনো সমস্যাই ছিলোনা । ধন্যবাদ !!
লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। লেখককে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
ভালোবাসা আপনাকেও । ধন্যবাদ !!
দারুণ লিখেছেন 😍😍
ধন্যবাদ !!
এখন ধর্মের গোলামী থেকে সকলকে বের করতে হবে।
Dhaka Lock , বাস্তবমুখী কথা বলেছেন । ধন্যবাদ !!
এতো ভালো লেখা
সত্যি মুগ্ধ হলাম♥
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা !!
চমৎকার লেখা, উপলব্ধি এবং প্রকাশ। আমরা মানুষ এই শেষ কথা। জগতে আমাদের একত্রিত ভূমিকাই সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
আপনার অনুপ্রেরণাদায়ী কথাগুলা অলিন্দের পাশে এসে গাথল । ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
ওয়াও !! লেখাটা প্রকাশ করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে !! 😲😲 🤗🤗 আমি তো ভাবতেই পারি নাই – সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশ হবে – মুক্তমনা আমাকে তার দুইবাহুতে জড়িয়ে ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ করে ফেলছে – বেশ করেন তাহলে !! হৃদয়ের উষ্ণতায় আমাকে আপনাদের অলিন্দের পাশেই রাখেন এবং আপনারাও আমার পাশেই থাকেন !! আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো , কিন্তু !! 💚💚
হুমায়ুন আজাদের নারী বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের প্রথম বাক্য হচ্ছে সিমোন দ্য বোভোয়ারের সেই বিখ্যাত উক্তি যে, ‘কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয়না, ক্রমশ হয়ে ওঠে’ – অর্থাৎ একটি সমাজই একজন মানুষকে ‘নারী’ করে তোলে; আমরা সবাই তো মানুষ, পুরুষ বা নারী আসলে কি? এটা তো আসলে আমাদের সমাজেরই সৃষ্টি; পুরুষতান্ত্রিক সমাজ পুরুষদেরকে উপরে রাখে আবার পুরুষদেরকে গুঁতা মারে (বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত পরিবারে বড়ো ছেলে চাকরি না করলে গুঁতা খায়, বড়ো মেয়ে খায়না – এটা কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য); পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের স্বাধীনতা থাকে নামেমাত্র, এই ধরণের সমাজে নারীরা পুরুষদের কামের বস্তু (যৌনতার খাবার) আর অপরদিকে সমকাম অবৈধ থাকলেও সমাজে সমকামী নামের বহু কামুক পুরুষ কিশোরদেরকে যৌনহেনস্তা/হয়রানি করে বা বলাৎকার করে; আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা যদি এগুলো নিয়ে অনেক চিন্তা করতেন কতোই না ভালো হতো যে, ছেলেমেয়েদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছোটোবেলা থেকে নিরুৎসাহিত করাটা উচিৎ নয়; মানুষের পোশাক পরার স্বাধীনতা আছে, বলাৎকারের জন্য পোশাক দায়ী নয় – ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো ওয়াহিদুজ্জামান; ধন্যবাদ।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা , ইশরাত । অলিন্দের পাশে থাকুন এবং পাশেই রাখুন ।
মানুষনারী’কে ‘মানুষপুরুষ’-এর চাইতে উর্ধে স্থান দিয়েছেন কিন্তু মানুষের উচিত প্রথমত, গর্বের বিষয়টি ত্যাগ করা কারণ গর্ব গর্ববোধকে ক্ষুন্ন করে অতএব এটা অনুচিত, এবং দ্বিতীয়ত, গর্ব করতে হয় মানুষ হয়েই করতে হবে। মানুষের মধ্যে ভালো- খারাপ আর মতের অমিল থাকবেই। এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া যে আমরা বহু মতের প্রাণী হতে পেরেছি, যার মধ্যে হারানোর চেয়ে বহুগুনে পাওয়ার পাল্লাটা ভারী। মানুষের মধ্যে মানুষনারী’কে মানুষপুরুষ- এর উর্ধে নেওয়া কি বাস্তবিক গুণাবলীর প্রকাশ?
বরুন দা , আমি ‘মানুষনারী’কে কখনোই ‘মানুষপুরুষ’-এর ওপরে স্থান দেই না , তাই এই লেখাতেও দেই নাই – তাহলে যে আমার মানব জন্ম ও জন্মের স্বার্থকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে !! আপনি লেখাটা পুনরায় পড়ুন – তাহলেই বুঝতে পারবেন যে – এই বিষয়ে আস্ত একটা বাক্য আছে । যাইহোক , পাশে থাকুন ও পাশেই রাখুন !! আপনার মন্তব্য আমার জন্য সবসময়েই অনুপ্রেরণাদায়ক । ধন্যবাদ !!
দারুণ লেখা আপনার,আপনার নিজের মনের ভাবনা ও ইচ্ছা যে প্রকাশ করেছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই,ধন্যবাদ জানাই আপনার সৎ সাহসের জন্য