এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে অন্যেরা যখন ভিন্ন কোনো গ্রহে থাকার ব্যবস্থা করা যাবে কী যাবেনা সেসব নিয়ে গবেষণা করছে আমরা তখন হয় “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ইসলাম” পড়াচ্ছি নাহয় ধর্ম নামক ফানুশটার কোনো দিক দিয়ে দমকা বাতাস ঢুকে যেনো মধ্যিখানের প্রদীপটা নিভিয়ে না দিতে পারে সে লক্ষ্যে জোড়াতালি মেরে চলেছি!
বাংলাদেশের মতো আধা-ইসলামিক দেশের অধিকাংশ মানুষই মডারেট মুসলমান হবে এটা স্বাভাবিক। আর মডারেটদের গডফাদার হলো মোল্লাগণ ও সমাজের প্রথম সারির লোকেদের একাংশ। প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক যে, মডারেট কী?
উত্তরে বলা যায়- যারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে চান (এককথায় সুবিধাবাদী বলা যেতে পারে) তারাই মডারেট। তবে কারো পক্ষে পূর্ণ মধ্যপন্থা অবলম্বন সম্ভব হয়না। তারা যে কোনো একদিকে খানিকটা ঝুঁকে থাকেন। আর এখানেই তাবৎ সমস্যা লুক্কায়িত। যদি তাদের বেশিরভাগ মুক্তমনের দিকে ঝুঁকে থাকেন তাহলে তেমন একটা সমস্যা হয়না কিন্তু উল্টোটা হলে দেখা দেয় চরম অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশে সম্ভবত এখন উল্টোপথের পাল্লাটা ভারি। যার প্রমাণ পাওয়া যায় সাম্প্রতিক বিবিধ ঘটনা্সমূহে। পাঁচ মাস পরেও মুক্তচিন্তার ঝাণ্ডাধারণকারী ব্লগারদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ঢিমে-তে-তা-লা গতি, টিএসসিতে নারী লাঞ্চিত হওয়া থেকে শুরু করে সর্বশেষ বিভিন্ন জেলা শহরসহ বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে গত শুক্রবার প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবি- এসব এক সূত্রে গাঁথা।
ফেসবুকে “ধর্মীয় প্রশ্নের ব্যাঙ্গানিক উত্তর” নামে একটা মকারি গ্রুপে সোহেল আহম্মেদ আমাদের মডারেট মুসলমানদের চিন্তাধারা এই ভার্চুয়াল জগতে উন্মোচন করেছেন এভাবে-
Sohel Ahammad অনুভব করছেন দুঃখী
21 এপ্রিল, 08:48 পূর্বাহ্ন-এ
প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে কোটি কোটি নারী পুরুষ হজ্ব ও ওমরা হজ্ব করতে মক্কা মদিনায় যায়।
নারী সংখ্যাও নেহাত কম না, প্রায় ৩০/৪০ লাখ। আরব, মিশর, ইরানীসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অত্যাধিক সুন্দরী নারীরাও এই হজ্বে অংশ গ্রহণ করেন ।
পুরুষের মত এই নারীদেরও পরনে থাকে প্রায় একই রকম কাপড়। কিন্তু আপনারা কি কখনো শুনেছেন? সেখানে গিয়ে কোন নারীকে যৌন নিপড়নে শিকার হতে? শুনেছেন কি কোন পুরুষকে কোন নারীর কাপড় টেনে খুলে দিতে??
নাহ, শুনেনি! কারণ সেখানে কেউ নষ্টামি করতে যায় না, সবাই পূণ্যের আশায় যায়। জায়গাটাও নষ্ট লোকদের নয়।।
অন্যদিকে-
* থার্টি ফার্স্ট নাইট,
* পহেলা বৈশাখ,
* মেলা,
* কনসার্ট,
* নাইট ক্লাব
এগুলো পূণ্যাস্থান নয়, এখানে কেউ পূণ্যের আশায় আসে না। আসে অপূণ্যের কাজ তথা উদ্দেশ্যহীন আনন্দ আর রস রসিকতা করার জন্য। এই সব স্থান বা অনুষ্ঠান সব সময় পদচারণায় মুখর থাকে দুষ্ট লোকের। যারা সব সময় সুযোগ খুঁজে সর্বোচ্চ ‘মজা’ নেওয়ার। আপনি একজন শালীন নারী, আপনি জেনে শুনে কি করে এই সব জায়গায় হাজারো দুষ্ট লোকের কাছ থেকে পূণ্যবান হাজীদের মত আচরণ প্রত্যাশা করেন??
এরকম গা-বাঁচানো মডারেট ধ্যান-ধারণা নিয়েই দেশের অধিকাংশ মানুষ চলে। নজরুল বলেছিলেন,
“বিশ্ব যখন এগিয়ে চলে, আমরা তখনও বসে
বিবি তালাকের ফতোয়া খুজিঁ ফেকাহ হাদীস চষে”
বলতেই হচ্ছে, হে কবি! আপনির জেনে “আপ্লুত” হবেন যে, “চর্ষণ” প্রক্রিয়া এখনো চলমান! শুধু “কারা” খোঁজ-দ্য সার্চ করবে সেটা নিয়েই মাঝেমধ্যে ক্যাঁচাল বাঁধে! আর বাঁধবেনাই বা কেনো? ইসলামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতপন্থী, শিয়াপন্থী, কাদিয়ানিপন্থী, আহমেদিয়াপন্থীসহ আরো বেশ কয়েকটি পন্থী আছে এবং তাদের মধ্যে হরেক রকমের মতভেদ আছে যেসব নিয়ে একটা প্রমাণ সাইজের গবেষণাধর্মী রচনা লিখে ফেলা সম্ভব! অথচ চতুর মোল্লারা এটাকে নবির “প্রচলিত মোজেজা” বানিয়ে জনসাধারণকে গেলাচ্ছে! মডারেট জনগণও সেসব অমিয় মনে করে গিলে চলেছে। হাদিসে আছে,
রাসূল (সঃ) বলেছেন, “ওহে, অবশ্যই যারা তোমাদের পূর্বে ছিল তারা ৭২ দলে বিভক্ত ছিল এবং অবশ্য্ই আমার এই উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। ইহাদের সকল দলই দোযখে যাবে এক দল ব্যতিত। সাহাবা (রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, সেটি কোন দল? নবী (সঃ) বললেন, ” আমি এবং আমার সাহাবীগণ যার উপর আছি, তার উপর যারা থাকবে।”
(তিরমিজী ও আবু দাউদ, রেওয়ায়েতে মেশকাত শরীফ ১ম খন্ড, হাদীস নং- ১৬৩)
অর্থাৎ নবির বাণী অব্যর্থ! আসলেই ইসলাম বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন মডারেটরা সরাসরি জোর দিয়ে, জোশের সাথে অহঃরহই বলে,
আমি/আমরা যে পন্থায় আছি সেটাই হক পন্থা, বাকি সব বাতিল
অথচ কুরান-হাদিস অনুযায়ী এধরনের উক্তি গর্হিত কাজ!
‘আর তোমরা কেউ কারো গীবত করো না, তোমরা কি কেউ আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে ? একে তোমরা অবশ্যই ঘৃণা করবে।, (সূরা হুজুরাত:১২)
সাহাবি আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গীবত কাকে বলে, তোমরা জান কি? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -ই ভালো জানেন। তিনি বললেন, তোমার কোনো ভাই (দীনি) সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তা-ই গীবত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যে দোষের কথা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যে দোষের কথা বল, তা যদি তোমার ভাইয়ের থাকে তবে তুমি অবশ্যই তার গীবত করলে আর তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছ। (মুসলিম)
বিস্তারিত পাবেন এখানে
এক্ষেত্রে সব মুসলমান কিন্তু তাদের মুসলমানিত্ব হারালো; একটা বাদে সব দল ভুল করে, আর সহি দলটি “গিবত” করে! মজা্র বিষয় হলো মো্ল্লারা এখানেও পিছলে যাওয়ার ত্বরীকা ঠিক করে ফেলেছে! কোরান-হাদিসের সরাসরি আয়াতকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে আল্লামা ইমাম নববী রচিত মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ এবং তাফহীমুল কুরআনকে সম্বল করে ছয় প্রকার গিবতকে জায়েজও করে ফেলেছে তারা!
বাংলা সিনেমার জগতে নতুন আগত একাধারে পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা অনন্ত জলিল ও তার স্ত্রী নায়িকা বর্ষা লাইভ অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত মডারেটগিরি দেখিয়েছেন। তাদের আলাপচারিতার অংশ-
উপস্থাপক তাদের সন্তানকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে-
অনন্ত: আ… আমাদের দুইজনের পরিকল্পনা হচ্ছে…. মানে…. ইসলাম যে একটা ধর্ম… আমাদের ধর্ম….. আই ই ই… সে তো অবশ্যই পড়াশুনা করবে… ওকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়বে, বিদেশে পড়বে, সব জায়গায় পড়বে… পার্টিসিপেন্ট এর মতো… আমরা চাই আল্লাহ তায়ালা তাকে দিয়ে যেনো ইসলাম ধর্মটা প্রচার করে… এবং এটা হচ্ছে আমাদের জীবনের আশা…
উপস্থাপক: মানে সিনেমায় কি আসবে?
বর্ষা: ননানা…. মানে ইন্টারন্যাশনালি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়ে ও ইসলাম সম্পর্কে রিসার্চ করবে, এটা জানবে
অনন্ত: এই যেমন ড. জাকির নায়েকের সন (পুত্র) যেমন ইসলাম ধর্ম প্রচার করে, মানে এতো ছোটো বয়স থেকে
যেটা আমাদের দুজনের ইচ্ছা মানে আমাদের সন্তান যেনো ইসলাম প্রচার করে…
বর্ষা: কুরানের হাফেজ বানাবো ইনশাল্লাহ
ভাবখানা এমন- নিজেরা পাপ করতেছি। এক এক জন কুরানের হাফেজ তো ১০ জন করে জাহান্নামী লোককে জান্নাতে নিতে পারবে! আবার, হাফেজের বাবা-মাকে হাশরের দিনে মোতিসজ্জিত তাজ পড়ানো হবে! সুতরাং জাহান্নাম থেকে বাঁচার এটাই একমাত্র রাস্তা!
এমন অভিজ্ঞতা আমার জীবনেও হয়েছে। আমাদের পরিবারে আমরা দুই ভাই ছিলাম। বাচ্চাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বাবা-মা বেশ গর্বের সাথেই লোকজনকে বলতেন, “একটাকে দিয়েছি দুনিয়া সামলানোর জন্য, আরেকটা আখিরাত!” বলা বাহুল্য আমি স্কুলে পড়তাম আর আমার দু’বছরের ছোট ভাই পড়তো মাদ্রাসায়।
যেসব টিনেজ বা আরো একটু বড় বয়সের ছেলে-মেয়েরা সিরিয়া-ইরাক যেতে চায় শহীদ হওয়ার জন্য তাদের মধ্যেও স্বল্প পরিশ্রমে বেহেশত লাভের আকাঙ্খা থাকে সম্ভবত।
যাহোক, এই বদ্ধমনা জনগোষ্ঠী বেড়ে যাওয়া কিন্তু মারাত্নক চিন্তার বিষয়। এই বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে সর্বাগ্রে যে কারণটা আসবে তা হলো শিক্ষা। আমরা নতুন প্রজন্মকে সঠিকভাবে, উপযুক্ত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। মুখস্ত নির্ভর শিক্ষা থেকে সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থায় যাওয়ার আগে কর্তাব্যক্তিদের ভাবা উচিত ছিলো প্লাটফর্ম তৈরি কীনা! এমনিতেই বেতন কম বলে আমাদের শিক্ষালয়ে শিক্ষক হিসেবে প্রথম সারির ছাত্ররা আসতে চাননা, তার উপর আছে কোটা সমস্যা ও ঘুষ। আমাদের শিক্ষালয়গুলো চলে দ্বিতীয় সারির ছাত্র কাম শিক্ষকগণ দ্বারা। এঁরা নিজেরাই সারাবছর পড়া মুখস্ত করে পরীক্ষার হলে উগরে দিয়ে আসতে অভ্যস্ত। ফলে তাঁদেরকে ট্রেনিং দিয়েও “সৃজনশীল শিক্ষক” বানানো যায়নি অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আর মাদ্রাসা শিক্ষার অবস্থা তো আরো শোচণীয়। ক্বওমীদের কথা নাহয় নাই বললাম!
আমাদের ফি বছর প্রচুর পরিমাণে তরুণ প্রাণ জন্মগ্রহণ করছে কিন্তু সঠিক নার্সিংয়ের অভাবে কেউ ঝরে যাচ্ছে, কেউ জীবনযুদ্ধে আশানুরূপ ফল দিচ্ছে না। সাফল্যের হার যে একেবারে নেই তা নয়; কিন্তু সেটা অপ্রতুল।
সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়া উচিত ছিলো শিক্ষার ব্যাপারে। কিন্তু তারা বিগত বছরসমূহের সাথে প্রতিযোগিতা করে কেবল পাশের হার বাড়াতেই ব্যস্ত ছিলেন! এমনটা বলার কারণ আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছোট ভাই এর রেজাল্ট! সে এবার এস. এস. সি. পরীক্ষা দিয়েছিলো। বই পড়েছে তিন-চার মাস। আমার এখানে বেশ কয়েকদিন এসেছিলো পড়া বোঝা ও গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো চিন্হিত করার জন্য। সিক্স, সেভেন ও এইটে না পড়ায় অনেক কিছুরই বেসিক সম্পর্কেও ভালো কোনো আইডিয়া ছিলো না। আমি নিশ্চিত ছিলাম ফেল করবে! অথচ রেজাল্ট এলো এ মাইনাস! অর্থাৎ প্রত্যেক বিষয়ে গড়ে ৬০% নম্বর! যে ছেলে কম্পিউটারের ব্যবহার জানে কেবল গেমস খেলা, গান দেখা ও শোনা সে কম্পিউটারে পায় লেটার মার্ক! আমি আমার জীবনে এমন তাজ্জব খুব কম হয়েছি।
এই যদি হয় সার্বিক অবস্থা তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বদ্ধমনা জনসাধারণ বাড়ার সাথে সাথে রাষ্ট্রযন্ত্রেও ভাঙণ অবশ্যম্ভাবী। অথবা দক্ষিণ এশিয়ায় আর একটি পাকিস্তানের অভ্যুদয় ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
অনন্ত বর্ষার কথাগুলো বেশ মজা লেগেছে। ওরা সবসময় ই কোন না কোনভাবে হাসির খোরাক জোগায়। কিন্তু তবু ও তাদের প্রতি আমার একটা সম্মান আছে।
হুমায়ুন আজাদ তার নারী গ্রন্থটিতে বলেছেন, “বর্তমান সমাজে কিছু প্রগতিশীল লোক আছে যাদের প্রগতিশীলতা পুরুষ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার প্রগতিশীলতা, সেখান থেকে নারী নির্বাসিত।”
আমাদের মডারেট লোকগুলো আজ বিজ্ঞান ও প্রগতিশীলতা চর্চা করে ধর্মান্ধতাকে সুপতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে। এরা বিজ্ঞানের ছায়ায় থেকে বিজ্ঞানের অন্তর্দৃষ্টির দিকে লক্ষ্য রাখে না।
এ সব মডারেটদের নিয়ে একটি লেখা লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে।
আপনার প্রতিটি কথার সাথে রয়েছে আমার সহমত। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমার লেখাটি অসম্পূর্ণ। মনে হচ্ছে আরো লেখার ছিলো। আমি লিখেছি বলে যে আপনি লিখতে পারবেন না তেমন তো নয়!
আপনিও লিখুন…
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
আপনার কথাগুলোর সাথে সম্পূর্ণ একমত আমি।
সুবিধাবাদী মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই এই সমাজে… 🙁
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন… 🙂