বাংলাদেশের মানুষ কোমল অনুভূতিসম্পন্ন। ধর্ম নিয়ে একটি কথাও তারা সইতে পারে না। তাদের অনুভূতি বিপন্ন হয়ে পরে। যারা তাদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে তাদের যেকোন ধরনের শাস্তি যথার্থ। রাস্তায় কুপিয়ে কুপিয়ে তারা বিশ্বজিৎ হত্যা দেখতে পারে, মোবাইলে ভিডিও করতে পারে, চোর সন্দেহে বিপুল বিক্রমে পিটিয়ে পিটিয়ে যেকোন মানুষকে রাস্তায় সাপ মারার মতো করে মেরে তার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করতে পারে, তাতেও কোথাও কারো কোন অনুভূতি বিপন্ন হয় না। শুধু প্লীজ ধর্মে হাত দিও না, নট টু টাচ ……… একজন মানুষও কী দ্বিধাহীন কন্ঠে বলতে পারে না, “আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে যেকোন মানুষের এ ধরনের মৃত্যু কোন সভ্য দেশের ভূখন্ডে কাম্য নয়। আমরা এই অন্যায়ের তীব্র নিন্দা জানাই।“ তারা কী তাহলে সৃষ্টিকর্তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না, পরকালের শাস্তি নিয়ে কী নিজেরাই দ্বিধায় আছে?
ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোত্র, ভাষা নির্বিশেষে যেকোন হত্যা বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করে, যারা কোন সীমার মধ্যে নিজেকে বাঁধে না, তাদের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগের কিংবা ঘৃণার অন্ত নেই। মুক্তমনা, নাস্তিক প্রতিটি শব্দই অত্যন্ত ঘৃণার সাথে উচ্চারিত হয়। ব্যঙ্গ করে বলা হয়, মুক্তমনা আবার কী জিনিস?
মুক্তমনা হয়তো তারাই যারা হাজার হাজার বছর আগে অন্যে কী বলে গেছে কিংবা কী করেছে সেটাকে গুরুত্ব দেয়ার থেকে বর্তমান সময়ে নিজের শিক্ষা, বিবেক, বুদ্ধি, নৈতিকতার ওপর বেশি আস্থা রাখে। শোনা কথায় অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করার চেয়ে যুক্তিকে বেশি প্রাধান্য দেয়
কোমল অনুভূতিসম্পন্নদের বলছি, মহানবী তাঁর বাবা দাদার ধর্ম প্রচার করেননি। তিনি নতুন চিন্তা ভাবনা প্রচার করেছিলেন, প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে যেয়ে নতুন ভাবনা প্রচার করলেন, সেই অর্থ তিনি মুক্তমনা ছিলেন না? তিনি আক্রান্ত হননি সনাতন বিশ্বাসীদের দ্বারা? তিনি তার সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী তার আশপাশের দেখা অনাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেননি? পরিবর্তন আনেনি আরব সমাজে?
ছোট বড় অনেক যুদ্ধের পর, হাজার মানুষের কল্লা কেটেই আজকের শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পূর্ব পুরুষদের পূজার মূর্তি ভেঙ্গেই কাবা ঘর প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তখন কোমল অনুভূতি কোথায় ছিলো? গ্যালিলিও, ব্রুনো, সক্রেটিস কেউই কোমল অনুভূতি পায়নি। কোন যুগেই পায়নি। নবী বোধহয় তখনো জানেননি আরবদের পরেই যেই বর্বর জাতি পৃথিবীতে আছে তার নাম বাঙালি। জানলে তার পরবর্তী নবী বাংলাদেশেই আসতো। যুগে যুগে যেখানে হেদায়তের দরকার সেখানেই নবীর আবির্ভাব।
শুভানাধ্যায়ী, বন্ধুরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ধর্ম নিয়ে কিছু লিখলে যেনো নিজ নামে আর না লিখি, ছদ্মনামে লিখতে। কোমলপ্রাণের মানুষদের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার ফল ভাল হবে না। কিছু উদাহরণতো চোখের সামনেই আছে। লিখবো না কিছু তাই আপাতত ভাবছি। আর যদি কিছু কখনো লিখি তাহলে নিজ নামেই লিখবো। আর কতোদিন কোমল অনুভূতিসম্পন্ন মানুষের ভয়ে মুক্তমনারা নিজের নাম পর্যন্ত লুকিয়ে ফেলবে? কবে কাটবে এই অমানিশা ……………
” আমি ভেবে পাইনে দিশে
সব জিনিস যে পয়দা করলো
সে পয়দা হইলো কিসে?”
~লালন
০৮/০৩/২০১৫
“বাক স্বাধীনতা মানে অপরের অনুভূতি আহত করা নয়” এটিকে ভুলভাবে ব্যখ্যা করা হচ্ছে কে? আপনি বাক স্বাধীনতার নামে একজনের অনুভুতিকে ধর্ম ছাড়াও আর ও অনেক ভাবে আঘাত করতে পারেন, কারো মা, বাবা, ভাই বোনকে গালি দিতে পারেন, এটাও আপনার বাকস্বাধীনতার মধ্যে পড়ে, কিন্তু বাক শালীনতার মধ্যে পড়েনা। সে আর এরকমটি আপনার সাথে ঘটলে আপনি কি করবেন। উদারতা দেখিয়ে গালি আর ও দিতে বলবেন? আপনি কোন ধর্ম বা কোন মতবাদ /বিশ্বাস মানতে বা বিশ্বাস করতে বাধ্য নন। কিন্তু যারা সেটা মানেন, পালন করেন তাদের প্রতি আপনার কোন বিদ্বেষ থাকবে কেন। আপনি নাস্তিক হতেই পারেন তাতে কারো কিছুই যায় আসেনা, ধর্মের কোন অনুভতি নেই, অনুভুতি আছে অনুসারীদের। যেহেতু আপনি কোন ধর্ম বা মতবাদ বিশ্বাস করেন না সেহেতু সেটা নিয়ে আপনার আর কোন আগ্রহই থাকার কথা না, কারন মানুষ সাধারনত অনাগ্রহের বিষয়ে মাথা ঘামায়না। কিন্তু আগ বাড়িয়ে একটি বিশ্বাস মতের প্রতি বিদ্বেষমুলক কোন কিছু করারই বা কি যুক্তি থাকতে পারে?
@সাঈদ,
আমিও পালটা গালি দিতে পারি, কিন্তু এটা নিশ্চিত যে পূর্ব-পরিকল্পনা করে দা-হাতে কোপ দিতে ছুটবো না। ব্যক্তিগতভাবে আমি ধর্ম নিয়ে কেবল নৈর্ব্যক্তিক আলোচনায় আগ্রহী, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ বা অশালীন কটাক্ষে আমার আগ্রহ নেই; কিন্তু যারা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেন, তাদের সে অধিকার আছে বলে মনে করি।
কোন বিদ্বেষ নেই, থাকা উচিতও না। মুক্তমনা প্ল্যাটফর্মটিও বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য নয়। সিনিয়র ব্লগারদের মন্তব্যগুলো পড়লেই দেখবেন যে যারা অতীতে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তাদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছে, এমনকি তাদের মুক্তমনা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
আপনি মানসিক শান্তি, আত্মার উন্নতির জন্য ব্যক্তিগতভাবে ধর্ম পালন করলে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু একজনের ধর্মপালন আরেকজনের জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করলে তখন তো তা নিয়ে ভাবতেই হবে। একজন গোঁড়া ধার্মিক যখন তার নিজ ধর্মের দর্শনের বিচারে জোর করে একজন নাস্তিক বা বিধর্মী মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে চান তখন বিতর্ক হবেই।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আরো আলোচনা করুন, দরকার মনে করলে যারা ধর্মের সমালোচনা করেন তাদের বিরুদ্ধে ‘কটূক্তি’ করুন; কিন্তু ‘কাটারী’-র ব্যবহার নিরুৎসাহিত করুন।
@সাঈদ,
যেহেতু বর্তমান সময়ে ধর্ম নামের একটি অনুভুতির আমদানি হয়েছে এবং এই অনুভুতিটিই বর্তমানের সব থেকে আলোচিত এবং সমাচিত অনুভুতি তাই ধরে নিতে পারি আপনি শুধু অনুভুতি বলতে ধর্মানুভুতিকেই বুঝাচ্ছেন। আমি আসলে সঠিক ভাবে বুঝি না ধর্মানুভুতিটা আসলে কি ধরনের অনুভুতি? আর এই অনুভুতিটা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বল অনুভুতি কেন সেটাও বুঝতে পারিনি কখনই।
পৃথিবীতে অনেক অনুভুতিতে আঘাতজনীত জঘন্য কাজ পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলে কিন্তু তাতে কারো অনুভুতিতে আঘাত লাগে না। বোমা মেরে মানুষ মারা, নিশংসভাবে কাউকে খুন করা এবং ধর্ষনের মতো অমানুবিক অন্যায় করা, এসবের কোনটিতেই কারো কোনরুপ অনুভুতিতে আঘাত লাগে না। শুধু প্রাচীণ মানুষদের দারা তৈরী হওয়া প্রাচীণ কুসংস্কারের বিরোদ্ধে কিছু বললেই একদল মানুষের ধর্মানুভুতি নামের অদ্ভুত অনুভুতিতে আঘাত লাগে। কেন এমনটি হয় কখনই কি ভেবে দেখেছেন?
রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রভৃতি মানুষের নাম সম্পর্কে আপনিতো অবগত আছেনই। আচ্ছা বলুনতো এরা যদি হিন্দু কুসংস্কারের বিরোদ্ধে না দাড়াতো তাহলে সতিদাহ্ প্রথার মতো ভয়ংকর অমানবিক প্রথা কি কখনই রোধ হতো? বিধবা বিবাহের মতো মহৎ কাজ কি সমাজে প্রচলিত হতো?
কিন্তু তাদের ধর্মীয় কুসংস্কার বদলাতে সেই সময়ের মানুষের তথাকথিত ধর্মানুভুতিতে আঘাত না করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না।
যদি তারা আপনাদের মতো মানুষের মতো করে ভাবতো যে, কারো ধর্মানুভুতিতে আঘাত করা যাবে না তাই সতিদাহ্ প্রথা রোধ করার কথা বলা যাবে না, তাতে কিছু মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগবে” তাই এসব কুসংস্কার চলতেই থাকুক, তাহলে কোন দিনও হিন্দু সমাজে মানবিকতা আসতো না। তারা এখনও বর্বর থেকে যেতো।
ঠিক তেমনি আজকের দিনে মুসলমানরা পুরো পৃথিবী জুরে যে ধর্মীও সন্ত্রাসী কাজ করে যাচ্ছে, ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানার নামে যদি এই সব সন্ত্রাসী কাজের বিরোধীতা মানুষ না করে তবে পুরো পৃথিবীতে ধ্বংসলীলা চলতে থাকবে। এখন যদি সবাই আপনাদের মতো করে চিন্তা করে বলে, না এই সব সন্ত্রাসী কাজের বিরোধীতা করা যাবে না; তাতে তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগবে। তারা দাবী করে পৃথিবীতে তাদের ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে তারা সবাইকে আক্রমন করার ধর্মীয় অধিকার রাখে; তাই তাদেরকে তাদের ধর্মীয় অধিকার পালন করতে দেওয়া হোক। তাদেরকে এসব কাজের বিরোধীতা করে তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করার অধিকার কারো নেই; তবে সেটি কি মানবিক হবে?
মুসলিমরা মনে করে মেয়েদের অধিকার পুরুষদের চেয়ে কম। তাদেরকে পুরুষের কথা মতো সারা জীবন কাটিয়ে দিতে হবে। তারা সারা জীবন পুরুষের চেয়ে কম মর্যাদার মানুষ হিসেবে কাটিয়ে দেবে। তারা পুরুষের যৌন দাসি হিসেবে তাদের জীবন কাটিয়ে দেবে। পুরুষরা চাইলেই তার স্ত্রীকে আঘাত করতে পারবে (শারীরিক ও মানুষিক ভাবে)। এবং পুরুষরা তাদের স্ত্রীদেরকে ইচ্ছানুযায়ী ধর্ষন করতে পারবে।
মুসলিমরা মেয়েদেরকে ঘরে বন্দি করার পক্ষপাতি। তাদেরকে বস্তাবন্দি করে রাখতে চায় তারা। এমনকি মেয়েদের প্রতি তাদের হিংসাত্বক মনোভাব কাজ করে সব সময়। তারা মেয়েদেরকে মানুষ মনে করতে চায় না। এবং মেয়েদের প্রতি মানবিকতাও দেখাতে চায় না।
এসব প্রচলিত হয়ে আসছে ইসলাম ধর্ম আবির্ভাবের প্রথম থেকেই।
কিন্তু মানুষ এখন আধুনিক যুগের সভ্য জগতে বাস করে। তারা প্রাচীন বর্বরতা মেনে নিতে চায় না। আধুনিক যুগে মানুষ মেয়েদেরকে পুরুষের সমান মর্যাদা দেয়। আধুনিক মানুষের কাছে একজন নারীর অধিকার এবং মর্যাদা একজন পুরুষের সমান। তাই মানুষ আর প্রাচীণ আমলের কিছু মানুষের তৈরী করা বর্বর নিয়ম মানতে চায় না। তাই তারা ধর্মের এসব ভুল নিয়মের বিরোধীতা করে। ইসলাম ধর্মের যেসব কালো দিক, যেসব অন্যায় অনাচার আছে সেসবের বিরোধীতা না করে যদি সেগুলোকে চুপচাপ মেনে নেওয়া হয় এটা বলে যে, কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগবে , তবে কোন দিনও এই সব বর্বর নিয়ম সমাজ থেকে দুর হবে না। কুসংস্কারের বিরোদ্ধে কথা যদি না বলা হয় কিছু ধর্মান্ধদের ধর্মানুভুতি নামের অদ্ভুত এক অনুভুতিতে আঘাত লাগবে এই ভয়ে, তবে সমাজের কুসংস্কারগুলো থেকেই যাবে। মানুষ নারীর সম্মানের অবমাননা করাতে যদি কারো কোন অনুভুতিতে আঘাত না লাগে তবে নারীর প্রতি অবজ্ঞা, অত্যাচান অবিচারের বিরোদ্ধে কথা বললে কেন সেটা ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগবে বলে দাবী করা হবে?
বোমা মেরে যেসব ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষ মেরে ফেলে তখন কারো অনুভুতিতে যদি আঘাত না লাগে তবে কেন এর প্রতিবাদ করলে সেটা কোন এক শ্রেণীর মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগবে?
কই কখনইতো শুনিনি যে মুসলমান জঙ্গী কর্তৃক আঘাতপ্রাপ্ত কারো প্রতি কোন মুসলমানের মানবতাবোধে আঘাত লেগেছে। মাথা নিচু করে না সবাই সেটাকে মেনে নেয়! কোন মুসলমানরাইতো তাদের ধর্মকে বিকৃত করে তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লেগেছে বলে সেই সব জঙ্গী মুসলমানের বিরোদ্ধে কিছুই বলে না। প্রতিবাদতো তারা করেই না! কেন এমন ভন্ডামী?
আর এসব কথা বললেই তখন তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগে! কিন্তু কেন?
সাদাকে সাদা বলাতে যদি কারো কোন অদ্ভুত অনুভুতিতে আঘাত লাগে তবে কার কি করার আছে? কালো কে কালো বললে কেউ যদি তার অনুভুতিতে আঘাত পায় তবে কার কি করার আছে?
রাজা রাম মোহন রায়, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো মানুষ যদি সমাজের কুসংস্কারের বিরোদ্ধে কথা বলতে পারে তবে আমরা কেন সমাজের কুসংস্কারের বিরোদ্ধে কিছু বলতে পারবো না কিছু ধর্মান্ধ মানুষের ধর্মানুভুতি নামের অদ্ভুত অনুভুতিতে আঘাত লাগার কারণে।
বেগম রোকেয়া যদি প্রচলিত ধর্মের বিরোদ্ধে না যেতো তবে আমাদের সমাজের মেয়েরা এখনও ঘরের কোনায় তাদের সারা জীবন কাটিয়ে দিতো।
ঠিক সেই সময়েও আপনাদের মতো কিছু ধর্মানুভুতি সম্পন্ন মানুষ এর প্রতিবাদ করে বলেছিল, আমাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করা যাবে না। কিন্তু তাই বলে কেউ থেমে থাকেনি কুসংস্কারের বিরোদ্ধে সোচ্চার হওয়া থেকে।
আজকে সব মানুষ নারী অধিকার নিয়ে কথা বলে; কিন্তু একদিন আপনার মতো ধর্মান্ধরা তাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করা হচ্ছে বলে চিৎকার চেচামেচি করেছে। কিন্তু কেউ সেসব কুসংস্কারগুলো সংস্কার করা থেকে দুরে সরে যায়নি।
ধর্মের নামে শত অন্যায় অবিচার হলে কোন ধার্মিকের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগে না, কিন্তু যখনই ধর্মের অসাড়তা সম্পর্কে বলা হয় তখনই ধর্মান্ধ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলোর ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগে। কিন্তু ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কাজের জন্য কারো কোন অনুভুতিতে আঘাত লাগে না। তখন কেন তাদের অনুভুতি নির্লিপ্ত থাকে?
বহু বিবাহ, বাল্য বিবাহ এসবতো সমাজ থেকে মানুষ ঝেটিয়ে বিদায় করেছে। তাতে করে আপনাদের মতো মানুষগুলো ঠিকই রেঁ রেঁ করে উঠেছিল (এখনও হেফাজতে ইসলামরা প্রতিবাদ করে)। কিন্তু তাই বলে কুসংস্কারমুক্ত মানুষগুলো থেমে থাকেনি। তারা ঠিকই ভুল নিয়মের বিরোদ্ধে কথা বলেছে। আপনাদের মতো মানুষদেরকে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করা ছাড়া সমাজ সংস্কার করা সম্ভব হয়নি কোন দিনই।
@সাঈদ, বাক স্বাধীনতা আর বাক শালীনতা দুটোতেই মুক্তমনারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বলেই, আপনার এবং আপনার মতো আরো অনেকের মুক্তমনাদের আক্রমন করে দেয়া মন্তব্য মডারেশান পেরিয়ে সাইটে প্রকাশিত হয়।
আগ বাড়িয়ে বিষ ছড়াচ্ছি কী করে বুঝলেন? কাউকে ঘাড় ধরে বাধ্য করা হয়েছে, অভিজিৎ রায় অথবা অন্য কোন মুক্তমনার বই কেনার জন্যে কিংবা পড়ার জন্যে? নাকি মুক্তমনা ওয়েবসাইটে কোমল অনুভূতিসম্পন্নদের লগ ইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে? কারা কী বলছে তা নিয়ে মাথা না ঘামালেই পারেন। মুক্তমনারা তাদের কাজ করছে, আপনারা আপনাদের কাজ করেন। কে বলেছে, ওয়েবসাইট খুলে পড়ে নিজের বিশ্বাস আর অনুভূতি আহত করতে?
তারপরও বলবো,
Someone hurts your feelings,
Step 1: You stop talking to him/her.
Step 2: Protest it with logic
Step 3: You hurt his/her feelings
Step 4: Go to court
DO NOT SLAUGHTER SOMEONE HURTS YOUR FEELINGS.
@তানবীরা,
সহমত।
আমি কখনো কোন মুক্তমনা মানুষকে দেখিনি সামনে বসা ধার্মিক লোকটির নামাজ নিয়ে উপহাস করতে। মুক্তমনারা লিখেন কিংবা কোন প্রসংগে যৌক্তিক তর্ক করেন, রেফারেন্স দেন কিংবা পরিবেশ বুঝে বন্ধুদের মাঝে কিংবা সমমনা মানুষদের সাথে হাসাহাসিও হয়। নানা কর্মকান্ডে প্রশ্ন তুলেন, এটা হলে তাহলে এটা কেন হলো না। এর বাইরে আমার দৃষ্টিতে পরেনি।
কিন্তু ধার্মিক লোকেরা নিজেরা নামাজ পড়া শেষ করেই অন্যের নামাজ না পড়া নিয়ে উপহাস করেন, দোজখের ভয় দেখান, রোজার মাস এলে, রোজা না রাখা নিয়ে অন্যের ওপর প্রায় অত্যাচার করেন (অবশ্য এগুলো করতে কোরানে নির্দেশও দেয়া আছে) মেয়েরা ক্ষেত্র বিশেষে হিজাব, বোরকার জন্যেও তাদের থেকে কথা শুনেন, হালাল খাওয়া, গান নাচ ইত্যাদি নিয়ে তির্যক মন্তব্যতো আছেই। এগুলো বেশির ভাগ সময় দেখা যায় বাক-স্বাধীনতার সীমা ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত আক্রমন পর্যায়ে পরে।
এবং যুগে যুগে বহু মুক্তমনা সমাজে থাকার তাগিদে নিজের ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিজের ভিতর রেখে এসমস্ত কিছুর সাথে আপোষ করে গেছেন আর যাচ্ছেন। তাদের কঠোর কিংবা কোমল অনুভূতির কী হবে?
যাদের অনুভূতি ধর্মীয় ব্যাপারে অতি কোমল তাদের উচিত নিজ দায়িত্বে ধর্মকে পাবলিক স্পটে না আনা।
ধর্ম হল প্রথমতঃ সম্পূর্ন বিশ্বাসের ব্যাপার যা পুরোই আপেক্ষিক, পরম নয় (নিজেরা যতই দাবী করুক নিজেরটা পরম সত্য, অপরের কাছে তা সত্য নয়, সত্য নয় বলেই এত রকমের ধর্মবিশ্বাস এখনো টিকে আছে)।
এরপর ধর্মকেন্দ্র করে পূর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থার দাবী করা হতে থাকলে, ধর্মকে প্রতি পদে জীবন ব্যাবস্থা নিয়ন্ত্রনের পথে আনার পাবলিক ক্যাম্পেন চালাতে থাকলে যা হবার তা হবেই। নিঃসন্দেহে এর সাথে দ্বি-মত করার লোকের অভাব হবে না; মানেই হল কোন না কোন পর্যায়ে ধর্মবিরোধী সকলকেই হতে হবে, এমনকি নিজ ধর্মগোষ্ঠীর লোকেরাও এক পর্যায়ে কোন না কোন ইস্যুতে ধর্মবিরোধী বলেই পরিচিত হবে।
কেন ধর্মবিরোধী লেখা……বাক স্বাধীনতা মানে অপরের বিশ্বাসে আঘাত হানা নয়……এইসব আপ্ত বাক্যর ব্যাবহারিক মূল্য অন্তত মুসলমান দেশে নেই। ধর্মকে এসব দেশে নিয়ে আনা হয় জীবনের পদে পদে, দাঁড় করানো হয় প্রগতি, অসাম্প্রদায়িকতা, আধুনিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে। এখানে ধর্মবিরোধী কথা বলা অপশন নয়, নেসেসিটি।
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলি শরিয়া আইন কায়েম দাবী করে। আমি এখন তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত না হেনে ঠিক কিভাবে তার বিরোধীতা করতে পারি তা কি “বাক স্বাধীনতা মানে অপরের বিশ্বাসে আঘাত হানা নয়” বানী ওয়ালারা বলতে পারেন? আপনাকে হয় তাদের বিশ্বাসে আঘাত না হেনে দাবী মেনে নিতে হবে নয়ত ধর্মবিরোধী বক্তব্যই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিতে হবে। মাঝামাঝি অবস্থান এই অবস্থায় কিভাবে সম্ভব? শরিয়া আইন অস্বীকার করা মানে প্রকারন্তে কোরান হাদীসিয় বিধানই অস্বীকার করা, যতই ইহা আসল ইসলাম নয় বলে অনর্থক ত্যাঁনা প্যাঁচানো হোক।
ধর্মীয় অনুভূতি টনটনে হলে সেই অনুভূতি আহত করতে না চাইলে একে নিজ নিজ ব্যাক্তিগত গন্ডিতে সীমাবদ্ধ না রাখা ছাড়া কোন উপায় নেই। যতই একে পাবলিক প্লেসে টানা হবে অনুভূতি আহত হবেই। আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ যিনি প্রচার করতে পারেন তিনি সেই ধর্ম কেন শ্রেষ্ঠ নয় বা দাবীতে ফাঁক আছে শুনলে খেপে উঠলে কোন আক্কেলে তা পাবলিক প্লেসে প্রচার করেন?
অন্য ধর্ম শ্রেষ্ঠ, সেই ধর্ম দিয়ে জীবন চালাতে হবে কানের কাছে এই ধরনের প্রচারনা অবিরত শুনতে থাকলে উনি পরধর্মকারীদের অনুভূতিতে আঘাত লাগার মহতি চিন্তা করে তার বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না এটা বিশ্বাসযোগ্য?
@আদিল মাহমুদ,
প্রচলিত ধর্মগুলো বিশ্বাস-নির্ভর যেখানে যুক্তি বা প্রমাণ অপরিহার্য নয়। এখন ধর্মকে যুক্তি বা ব্যবহারিক জ্ঞান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করলে বিভিন্ন রকমের অসঙ্গতি, পরস্পর-বিরোধিতা, যুগ-অনুপযোগিতা ইত্যাদি নানা রকমের দুর্বলতা বের হয়ে আসবেই। কাজেই ধর্মের যৌক্তিক আলোচনা একনিষ্ঠ ধর্ম-বিশ্বাসীদের আহত না করে করা সম্ভব নয়। কিন্তু কেবল কারও মুখের কথা বা লেখায় মনে আঘাত পেলে তার জন্য তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে ধর্ম-পালনকারীদের এই ধারনাটাই চরম ভুল। ধর্ম-বিশ্বাসীদের শিখতে হবে যে বাক্যের জবাব বাক্যে, লেখার জবাব লিখেই দিতে হবে; দরকার পড়লে তারা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন, কিন্তু কখনও আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না।
@মনজুর মুরশেদ,
আমি সে পর্যন্তও যাচ্ছি না। মডারেট অনুভূতিওয়ালারাও আপনার কথা অন্তত মুখে হলেও স্বীকার করে। অভিজিতের হত্যার বিচার এতদিন তাকে যারা নানান ভাষায় বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করেছে তারাও করছে। আমার কথা সেখানে নয়।
আমার কথা আরেক ধাপ আগে। এ জাতীয় ইস্যু এলেই জোরেশোরে মডারেট ধার্মিকদের মুখে শোনা যায় “বাক স্বাধীনতা মানে অপরের অনুভূতি আহত করা নয়”।
ধর্ম নিয়ে অনুভূতি যদি এতই সূক্ষ্ম হয় তবে তাকে কেন বেহুদা পাবলিক প্লেসে এনে আহত হবার ঝুঁকি নেওয়া? জীবন ব্যাবস্থা বানানো? এমন কোন ব্যাক্তিকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ দাবী করা যার জীবনের কিছু অংশ নিজেদের সহি সোর্স থেকে কোট করলে নিজেরাই বিব্রত হন? পাবলিক প্লেসে আনলে, ওপেন ডিস্কাশন হলে; বিশেষ করে ধর্মভিত্তিক জীবন ব্যাবস্থা করতে হবে ধর্মীয় সূত্রের আলোকে এই ধরনের দাবী দাওয়া করতে থাকলে তাতে ভিন্নমত শোনা যাবে না এই রকম অদ্ভূত ধারনা লোকের ঠিক কিভাবে হয়?
আজকে যদি বাংলাদেশের কোন হিন্দু সংগঠন ধর্মীয় বিশ্বাসের উছিলায় জোরে শোরে দাবী করা শুরু করল হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ…আমাদের বেদ গীতা ভিত্তিক সমাজ গড়তে হবে……রামকৃষ্ম বা স্বামী বিবেকানন্দ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ যাদের জীবন আদর্শ দিয়ে সমাজ চালাতে হবে তবে তাদের দাবী কি “বাক স্বাধীনতা মানে অপরের অনুভূতিতে আঘাত করা নয়” বানী যারা দেন তারা একমত না হলেও নিজ বক্তব্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নীরবে শুনে যাবেন? হিন্দু ধর্মের লোকজনের অনুভূতি আহত না করে তারা ঠিক কিভাবে তার বিরোধীতা করবেন?
@আদিল মাহমুদ,
এই কথাটিই পরস্পর-বিরোধী। বাক-প্রকাশ যদি শর্ত মেনে করতে হয় তাহলে তা আর স্বাধীন থাকে কি করে? তাছাড়া আমার অতি সাধারণ কথাতেও অনেকের কোমল অনুভূতি আহত হতে পারে, সেসব বিবেচনায় নিলে তো কথা বলাই বন্ধ করে দিতে হয়। আমাদের দেশে যেসব মডারেট মুসলিমরা এধরনের কথা বলছেন তাদের অনেকেই হয়ত সত্যি এই বাক্যের সার্বজনীনতায় বিশ্বাস করেন না। ওয়াজ-মাহফিলসহ বিভিন্নভাবে যখন অন্য ধর্মের অশালীন কুৎসা করা হয়, হেয় করা হয়, তারা কি বুঝতে পারেন যে এতে অন্যধর্মের অনুসারীরা আহত হচ্ছে? বাক্যের মাধ্যমে আহত করাতো অতি সামান্য বিষয়, দেশে যখন অন্যধর্মের অনুসারীদের মূর্তিভাঙ্গা, অগ্নি-সংযোগ, হত্যা, ধর্ষণের মত ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয় তখনও হয়তো তাদের অনেকেরই সহমর্মিতাবোধ জাগ্রত হয় কিনা সন্দেহ।
আমরা অনেকেই নিজের জিনিসটি সেরা বলে প্রচার করি, যেমন আমার দৈ বাজারের সেরা, বাংলাদেশ সকল দেশের রাণী, রবি ঠাকুর দুনিয়ার সেরা কবি, ইত্যাদি। এসব সত্যি হলেও এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, মতভেদ থাকতে পারে, আমরা তা মেনেই এসব বলি। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা কিভাবে তাদের ধর্মের প্রচার চালাবেন তা তারাই ঠিক করুন, কিন্তু তারা যদি দাবী করেন ইসলাম ধর্মই সেরা এবং এর প্রচারক আদর্শ পুরুষ তাহলে তাদেরও ভিন্নমত গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, আমি একথাটিই বোঝাতে চেয়েছি।
ধর্ম প্রচার এর জন্য যত জন ধর্ম যাযক এর নাম আজ অব্দি শুনেছি তাদের সবাই কেই খুব কটিন সময় পার করতে হয়েছে । অনেক বাধা বিপত্তি পার করতে হয়েছে তাদের । অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হইয়েছে । নিজের বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা দিয়ে তো বিচার করবেন তার মানে কি এটা আপনার কাছে ভুল মনে হল আর আপনি সেইটিকে গালি গালাজ বা পশু তুল্ল করে প্রকাশ করবেন । আপনার কি এটা বুজবেন না মানুষ এর একটি সিমাবদ্ধতা আসে । মানুষ আজকে যেটা সটিক ভাবছে কালকে সেটাকে আবার ভুল ভাবছে এবং তা পরিবর্তন করে নিচ্ছে । সুধু সাধারন মানুষ নয় ব্যাপক পরিক্ষা এবং গবেষনা করে বের করা বিজ্ঞান এর আবিষ্কার ও ভুল প্রমানিত হয়েছে । একই বিষয় এ অনেক বিজ্ঞানী ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন ।
আপনি ধর্ম পালন করছেন আর না করছেন তাতে অন্ন মানুষ এর কোন সমস্যা নাই, কিন্তু যকন আপনি তাদের কে আক্রমন করছেন তখন তো তারা আঘাত পাচ্ছে । মানুষ এর সব থেকে বড় আদালত হল তার বিবেক । মানুষ এর শরির যদি কোনো রোগে আক্রান্ত হয় তখন কষ্ট টা তার বিবেক বা মস্তিক্কের মাধ্যমে সে তা অনুভব করে । অথাথ কাওকে কস্ট দেওয়ার জন্ন্য বিবেককে আঘাত করতে পারা টাই যথেস্ট ।
আপনারা যখন ধর্মকে গালি দেন তখন ধর্ম কি কষ্ট পায় ?? পায় না পায় মানুষ । আপনি বা আপ্নারা যদি মানুষকে তার অধিকার পাইয়ে দেওয়ার কথা ভাবেন তাহলে তাদের কেই কষ্ট দিয়ে কেন ।
মুক্তমনা ব্লগ যাদের সব থেকে বেশি সুনাম অর্জন ধর্ম কে গালি বা অপমান করে এমন একটি ব্লগ হিসেব এ । এবং এই ব্লগ এর বিভিন্ন পাতায় তার যথেস্ট প্রমান রয়েছে । যদিও ব্লগ এর নিয়ম অনুসারে কোনো লেখক তার লেখাই ধর্ম বা ধর্ম গ্রন্থ কে পশু এর সাথে তুলনা করতে পারবেন না বলা আছে তারপরও মডারেটর এর অনুমতি সাপেক্ষে সেই লেখা গুলো প্রকাশ পেয়েছে । দেখুন আপনি বা আপ্নারা যখন নিজেদের বানানো একটি ব্লগ কে নিয়ন্তন করতে পারছেন না তখন আপনাদের জ্ঞান এর পরিধি টা কি প্রস্নবিদ্ধ হয় না ।
আপ্নারা সেই বিষয় গুলোতে ধর্ম কে ভুল বলার চেষ্টা করেন যেটার বেপার ই বিজ্ঞান এর মতামত এখনও অনেক গবেষনার বাকি আসে ।
ধর্ম বলে মানুষ হল সৃষ্টির সেরা জীব আর বিজ্ঞান বলে এলিয়েন নামক প্রাণী আছে যারা মানুষ এর থেকেও অনেক বেশি বুদ্ধিমান, যদিও তা আজ অবদি প্রমান করতে পারেনি , মাঝে মাঝে শোনা যাই তারা জিবাশ্ম দেখতে পেয়েছে ।
এই একটি সত্য কে বিশ্বাস করলেও তো আপনার বোঝা উচিত বিজ্ঞান নিজেই অনেক ভুলে ভরা । সেই ভুলে ভরা বিজ্ঞান কে ভরশা করে ধর্ম এবং ধর্ম এর অনুসারিদের আঘাত করা উচিত নই ।
আপনি সেই পথে মানুষ কে কিভাবে ডাকতে পারেন যেই পথে আপনি নিজেই জানেন না এর শেষ কোথাই ।
আপনি নিজেই যানেন না আপনার ভবিষ্যত কি ।
আপনি হয়ত বিজ্ঞান র সেই যুক্তি তে বিশ্বাস করেন যখন তারা বলে আমাদের আদি পুরুষ বানর ছিল এবং সময় এবং কাল এর বিবর্তন এ আমরা আজকের রুপ ধারন করেছি । বলতে চায় সেই আদি ইতিহাস থেকে আজ পযন্ত কি শুনেছেন যে একটি বানর মানুষ হয়েছে অথবা মানুষ গর্ভে বানর সন্তান হয়েছে ?
অথাথ আমাদের আদি পুরুষরা মানুষ ই ছিল এবং স্রিস্টি কর্তা তো বলেছেন তিনি মানুষ ই সৃষ্টি করেছেন । দেখুন এখানে বিজ্ঞান আবার ভুল আর ধর্ম সটিক ।
তাই আক্রমন করা থেকে বিরত থাকুন ।
প্রিয় শাওন,
মুক্তমনায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মনে প্রশ্ন আছে, আপনি তার উত্তর খুঁজছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি যদি খোলা মনে মুক্তমনার শীর্ষ ব্লগারদের লেখা/মন্তব্যগুলো পড়েন তাহলে আপনার অনেক প্রশ্নরই উত্তর পেয়ে যাবেন। একটাই অনুরোধ, সময় নিন, পড়ুন আর আলোচনা করুন। হটাৎ করে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। সত্যিকার মুক্তমনারা কেবল সত্যের সাধক। তারা দরকার পড়লে প্রথাগত চিন্তার বাইরেও ভাবেন, প্রতিষ্ঠিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেন, পুরাতন ধারনাকে ভেঙ্গে নতুন করে গড়েন। এসবই সত্য অনুসন্ধানের অংশ; এখানে কোন জোর-জবরদস্তি নেই, কারও প্রতি হিংসা-বিদ্বেষের কোন স্থান নেই। আপনি আলোচনা করুন, যৌক্তিক মনে হলে মেনে নিন, না মনে হলে যাচাই-বাছাই করা তথ্যের ভিত্তিতে পালটা যুক্তি দিন।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে আপনি যে উৎস থেকে বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন তা নির্ভরযোগ্য নয়। অনেক পত্রিকা/বই যাচাই-বাছাই না করেই মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বিজ্ঞানের নামে চটকদার খবর প্রকাশ করে। এগুলো বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভুলে ভরা। আপনি বলেছেন বিজ্ঞান ভিনগ্রহবাসীদের অস্তিত্ব দাবী করেছে। আসলে এটি ভুল তথ্য, কেউ এখনও কোন প্রমাণ দেখাতে পারে নি যে ভিনগ্রহবাসীরা আছেই; বিজ্ঞান বড়জোর তাদের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা দাবী করতে পারে, কোনমতেই এর বেশী কিছু নয়।
আপনি ঠিকই বলেছেন যে আমরা আজ পযন্ত আমরা শুনিনি যে একটি বানর মানুষ হয়েছে অথবা মানুষের গর্ভে বানর সন্তান হয়েছে। আসলেই এই ধরনের ঘটনা বাস্তবে অসম্ভব; তবে বিবর্তনবাদ মানতে হলে এটি কোন পূর্বশর্ত নয়। আপনি খোলা মনে বিবর্তন সম্পর্কে লেখাগুলো পড়ুন, বুঝতে চেষ্টা করুন, দেখেবেন যে এটি কোন বিশ্বাস বা কারও মুখের কথা নয়। দেখবেন কি করে গবেষণা থেকে পাওয়া জ্ঞান আর যুক্তির উপর ভিত্তি করে বিবর্তনের ধারনাগুলোকে শক্তভাবে দাঁড় করানো হয়েছে। এ নিয়ে মুক্তমনাতেই বন্যা আহমেদের লেখা পাবেন। যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে মুক্তমনার লেখক/পাঠকেরা অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবেন।
পরিশেষে পড়ুন, জানুন, আলোচনা করুন; কোন কিছু মানার আগে প্রমাণ চান; বিনা তর্কে কোন কিছু মেনে নেয়া থেকে বিরত থাকুন।
@মনজুর মুরশেদ, খুব গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার উত্তর পড়ে আমি মুগ্ধ। আমি জানি আমি কখনো এতো গুছিয়ে লিখতে পারতাম না।
শাওন, বিজ্ঞানীরা কী কী প্রমান করতে পারেননি তা নিয়ে অনেক রাগ, কিন্তু বিজ্ঞানের আবিস্কার ব্যবহার করে এই যে ওয়েবসাইট খুলে বিজ্ঞানীদের দুটো গালি দেয়ার সুযোগ হলো, সেই অবদান কী করে অস্বীকার করা যায়? বিজ্ঞান এর বড় কথা হলো, এর শেষ নেই, এটি অন গোয়িং প্রসেস। যেটা ধর্মের ক্ষেত্রে খাটে না। সেখানে আমি এই বলেছি, এটাই সঠিক, ফুলস্টপ। কিন্তু একজন বিজ্ঞানী যেখানে শেষ করেন পরে একশজন আবার সেখান থেকে শুরু করেন এবং কেউই দাবী করেননি আমি সঠিক, এখানেই শেষ। তাই আমিও বলবো
পড়ুন, জানুন, আলোচনা করুন; কোন কিছু মানার আগে প্রমাণ চান; বিনা তর্কে কোন কিছু মেনে নেয়া থেকে বিরত থাকুন।
@তানবীরা, অনেক ধন্যবাদ! মুক্তমনায় আপনাদের সবার লেখা পড়তে পড়তেই তো অভ্র শেখা আর মন্তব্য করার শুরু। আগে অনেক লিখতেন; ‘অভিব্যাক্তিবাদ ডারউইন এর পূর্বে ও পরে’ লেখাটিকে আরও বিস্তৃত করবেন বলেছিলেন। এখন মনে হয় তা পাওয়ার আশা করা যেতেই পারে 🙂
ভাল থাকবেন!
@মনজুর মুরশেদ, আমার নিজেরও আর মনে নেই বলেছিলাম কী না। কতো কী জীবনে ভেবেছি যা আর কখনো করা হয়ে ওঠেনি। হয়তো লেখা হয়ে যাবে হয়তো না। ভাল থাকবেন।