শাফিউর রহমান ফারাবী নামের এক ফাতরা আছে ফেসবুক-ব্লগে, যাকে মোটামুটি সবাই চেনেন। সম্প্রতি সে একটি পোস্টে অভিজিৎ’দার কয়েকটা বইকে “নাস্তিক্যবাদী” (মূলত বিজ্ঞান ও দর্শনের বই) বলে ঘোষণা করে এগুলো অনলাইন বইবিক্রির প্রতিষ্ঠান rokomari.com -এর ওয়েব সাইট থেকে সরিয়ে ফেলতে হুমকি দিয়েছে। নয়তো ওয়েব সাইটির অফিসেও আক্রমণের হুমকি দিয়েছে।
[রকমারির প্রতি ফারাবীর থ্রেট : http://bit.do/iNdE]
www.rokomari.com-এর কর্ণধারেরা ফারাবীর এক হুমকিতেই লেজগোবরে কাত হয়ে বিজ্ঞান ও দর্শনের বইগুলা তাদের সাইট থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অথচ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, সাঈদীর বই বিক্রিতে কোনো আপত্তি আসে নাই ফারাবী পক্ষ থেকে, এমন কী রকমারিডটকম-এর পক্ষ থেকে। নিষিদ্ধ ঘোষিত মওদুদীর বইও বিক্রি হয় এই সাইট থেকে এতেও কোনো প্রবলেম নাই। মিথ্যা তথ্যে ভরপর ভুয়াবিজ্ঞানময় গ্রন্থ “পৃথিবী নয় সূর্য ঘোরে” অথবা জাকির নায়েকের বই বিক্রিতে কোনো অপরাধ নেই, কোনো অনুশোচনা নাই, কোনো আপত্তি নাই। যত দোষ নন্দঘোষ!
শাফিউর রহমান ফারাবী
বছর দুই-তিন আগে ফারাবী অনেকটা লুইচ্চা টাইপের ছিল। তার লুলামি আর মেয়েদের প্রতি কামুকতা ব্লগার আর ফেবু-ইউজারদের তীব্র বিনোদন যোগাত। বিবাহের প্রস্তাব নামের একটা ব্লগ লিখে সে প্রথম আলোচনায় আসে! তার লুলামি যখন সবার কাছে আলোচ্য হয়ে উঠে তখন সে দাঁড়ালো ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। ফেক্সিলোডের জন্য ২০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অ্যামাউন্টের টাকা সে চাইতো। তার মোবাইল নষ্ট হয়ে গেছে, তার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছে না, তার সৎ মা তাকে মারধোর করে, সে ইসলামিক মাইন্ডেড ছেলে, ইসলামি দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য টাকা দরকার, সে বিয়ে করতে চায় ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেসবুকে খুঁজে খুঁজে সে মেয়েদের ম্যাসেজ পাঠাতো, তার নিজের চরিত্র রক্ষার জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিতো, লুলামি করার চেষ্টা করতো। আর ছেলে হলে প্রবাসী খুঁজতো টাকার জন্য।
আমার এক ফ্রেন্ড দেশের বাইরে থাকে। তাকেও সে ম্যাসেজ দিয়েছিলো সাথে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার। আমার ফ্রেন্ড রিপ্লাই দিয়েছিলো ফারাবীকে, তুমি তোমার ফেবু অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিলে টাকা পাঠাতে রাজি আছি। এরপর ফারাবী আর কথা বাড়ায় নাই!
ফারাবী যখন পিছলার মতো লুলামি-লুইচ্চামি করে চরিত্র রক্ষা করতো আর ভিক্ষাবৃত্তিকে “ইসলামি” তকমা মাখাতে লাগলো ততক্ষণে সে বাংলার ব্লগজগতে “ছাগু দ্যা গ্রেট” উপাধি পেয়ে যায়। ফলে এই বিরাট বিনোদনের খোরাক ছাগু দ্যা গ্রেটের উম্মতের সংখ্যাও দিন দিন বাড়তে থাকে ভয়ঙ্করভাবে! ফারাবীর লুইচ্চামির কিছু হদিস পাবেন প্রথম আলো ব্লগের এই লেখা থেকে : http://bit.do/iNdJ ।
এখানে দেখবেন ফারাবী একজন মেয়েকে জীবনে দেখেও নাই, কথা বলেও নাই, তাকে উদ্দেশ্য করে কবিতা লিখেছে, তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলছে চরিত্র রক্ষার জন্য নাকি তার বিয়ে করা প্রয়োজন! একে একে চারজন মেয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ফারাবীর লুইচ্চামির! লুইচ্চামিতেও সে “সুন্নত” পালন করে! বিনোদনের উপরে বিনোদনরে বাবা!! [দ্রষ্টব্য: নারী ব্লগারদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য শাফিউর রহমান ফারাবীকে প্রথম আলো ব্লগ কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে ব্যান করে দেয়।]
আরো কয়েকটা স্ক্রিনশট দেখুন। ফারাবী কিভাবে ম্যাসেজ পাঠিয়ে মেয়েদের সাথে লুইচ্চামি করে গেছে দীর্ঘদিন!
১. এই লিংকে ক্লিক করে দেখুন। পুরো একটা অ্যালবাম ফারাবির লুইচ্চামির সাক্ষ্য দিচ্ছে। http://bit.do/iNeQ
এরপর ফারাবী আবির্ভূত হয় ইসলামের খেদমতগার হিসেবে। হেফাজতকারী হিসেবে। আমাদের এখানে একটা কথা প্রচলিত আছে, এরশাদ যদি আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতির রক্ষক হয় তবে এই রাজনীতিকে ধর্ষণ করার জন্য বাহির থেকে কোনো শত্রু আসার প্রয়োজন নেই, তেমন ফারাবীর মতো লুইচ্চা যদি হয়ে যায় ইসলামের খেদমতগার, তবে ইসলামের মুখে চুনকালি মাখাতে কোনো ইসলামবিরোধী, ইসলামবিদ্বেষীর প্রয়োজন নাই।
অনেকেই দেখেছি শুরু থেকে ফারাবীকে সাইকো, ফ্রিক, মানসিকরোগী বলে সম্বোধন করে এসেছেন, তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, বাট আমি কখনো মনে করি না, ফারাবী কোনো ফ্রিক পার্সন! সে একটা পিউর ক্যারাক্টার। সে মানসিক রোগীও নয়। তাকে শুরু থেকেই ইগনো করাটা ভুল হয়েছে। তাকে লুইচ্চামির জন্য প্রশ্রয় দেয়াটাও ভুল হইছে। শুরুতেই ভালো করে তার কান মলে দিলে আজ এমন পর্যায়ে গিয়ে এসে পৌঁছাতো না!
ফারাবী অমাদের চোখের সামনে ক্রমেই সাচ্চা-ঈমানদার-লুইচ্চা জিহাদী হয়ে উঠেছে। একসময়ের গেলমান থেকে হুজুর হয়ে উঠেছে। বাঁশেরকেল্লা, বখতিয়ারের ঘোড়ার মুরিদানেরা তার তলে আশ্রয় নিয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগ গণজাগরণের মঞ্চের আন্দোলনের সময় রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানো ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফারাবী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
দেখুন : http://bit.do/iNam ।
পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে নিউজ হয় ফলে হত্যার হুমকিদানের জন্য ফারাবীকে জেলে যেতে হয়। আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন পেয়ে আবার শুরু করেছে তার জিহাদি কর্মকাণ্ড। অনবরত সে হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলা ব্লগস্ফিয়ারের প্রতিষ্ঠিত সেক্যুলার ব্লগারদের। “নাস্তিক, মুরতাদ, কাফের” ফতোয়া দিয়ে সে নাম ধরে ধরে খ্যাতিমান ব্লগার, লেখকদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তার নিজের মত হচ্ছে :
“আল্লাহর রাসূলকে যারা গালিগালাজ করে তাদের কে হত্যা করা জায়েজ আছে।”
ফারাবীর একটা সহজ স্বীকারোক্তি হচ্ছে এই রকম :
“ইসলাম অর্থ শান্তি নয় ইসলাম অর্থ হল আত্মসমর্পন। ইসলামের ভিতরে জিহাদ, ক্বিতাল সবই আছে। আল্লাহ্র রাসূলকে যারা ঠান্ডা মাথায় গালিগালাজ করবে আমরা তাদের কে হত্যা করব এতে লুকোচুরির কিছু নাই।”
[ফারাবীর উপর-নীচের দুইটা কমেন্ট লক্ষ্য করুন এখানে : http://bit.do/iNjy এবং পুরা পোস্টটি পড়ুন : http://bit.do/iNhh]
অভিজিৎদা ফেসবুকে তার লেখায় বলেছেন –
ফারাবি ঢাকা জজ কোর্টের জেলা জজ জহুরুল হককেও হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। আসিফ মহিউদ্দীনকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল ফারাবী। মজার ব্যাপার হচ্ছে যাকে সে হত্যার হুমকি দেয়, দুই দিন পরে আবার তার কাছেই টাকা চায়। হত্যার হুমকি দেয়ার মতো টাকা চাওয়াটাও নাকি ওর বাতিক। অনেকেই বলে – মেয়েদের সাথে যৌনালাপ করতে করতেই সে নাকি তাদের কাছে টাকা চায়। এর মধ্যে একবার দেখলাম নাট্যব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখেছিল – ‘ FDC এর এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের আলেম উ-লামাদের কাছে ক্ষমা না চায় তাইলে এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও থাবা বাবার মত করুন পরিনিতি বরন করতে হবে।’ কিছুদিন আগে মুক্তচিন্তার পারভেজ আলমকে হত্যার ফতোয়া দিয়েছিল এই ডিজিটাল জিহাদি। তার নোটে লিখেছিল – ‘এই পারভেজ আলম কে হত্যা করা বাংলার মুসলমানদের জন্য এখন ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আমাকে (অভিজিৎ রায়) হত্যার উস্কানি তো আছেই।
ফারাবী শুধু “নাস্তিক” ব্লগারদের হত্যার হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও সে “নাস্তিক” বলে ফতোয়া দিয়েছে এইভাবে :
“বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনি নিজেও একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। তাই নাস্তিক শেখ হাসিনা তো নাস্তিক ৪ ব্লগারকে কাপড় চোপড় সরবরাহ করবেই। এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা নাস্তিক শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করুক।”
[পোস্টটি পড়ুন এখান থেকে: http://bit.do/iNmw]
গত ৫ জানুয়ারি ইলেকশনের আগে ফারাবী ফেসবুকে-ব্লগে শেথ হাসিনাকে শুধু নাস্তিক ফতোয়া দিয়ে আল্লাহর কাছে ধ্বংস কামনা করে নাই, সরাসরি সেনাবাহিনী, এসএসএফ বাহিনীর সদস্যদেরকে আহ্বান জানিয়েছে শেখ হাসিনাকে যেন গুলি করে হত্যা করা হয়। ফারাবীর এই পোস্টগুলি এখনো আছে। আমি ফারাবীর যৎসামান্য কিছু পোস্টের তথ্য এখানে তুলে ধরছি। পাঠকদের কাছে অনুরোধ করবো দয়া করে এই পোস্টগুলি পড়ার সাথে সাথে মন্তব্যগুলি পাঠ করতে। বাংলাদেশের ভার্চুয়াল জগতে কী বিশাল পরিসরে মৌলবাদী জিহাদী গ্রুপ গড়ে উঠছে সে সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাবেন এখান থেকে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ফারাবী একটা পোস্ট দিয়েছে, সেটা পড়ুন এখান থেকে: http://bit.do/iNmL। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফারাবীর মন্তব্য হচ্ছে:
“আচ্ছা আপনারা কি জানেন এই যে সারা দেশে এত এত মানুষ মরছে এই লাশ গুলি কোথায় যায় ? সারাদেশের সব নিহত ব্যক্তিদের লাশ গুলি গনভবনে যায়। হলিউঠের The Twilight Saga মুভিটা যারা দেখেছেন তারা জানেন যে Vampire রুপী নেকড়ে মানব গুলি মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। যখন এই Vampire গুলি মানুষের রক্ত পায় না তখন তারা পাগল হয়ে যায়। বাংলাদেশের এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হচ্ছে একটি Vampire। নেকড়ে মানবী, ডাইনী বুড়ি, এই Vampire শেখ হাসিনা আমাদের নিহত ভাইদের ঘাড়ে কামড় দিয়ে রক্ত শুষে খাচ্ছে। ডাইনী বুড়ি, ড্রাকুলা মানবী Vampire শেখ হাসিনার ভাত খাওয়ার সময় আমাদের ভাইদের রক্ত ভাতে মিশিয়ে খায়। বাংলার মানুষের রক্ত দিয়েই এখন ড্রাকুলা মানবী শেখ হাসিনা তার পিপাসা মিটায়। এই Vampire রুপী শেখ হাসিনার তার রক্তের পিপাসা মিটানোর জন্য আমাদের সবাইকেই হত্যা করে ফেলবে। তাই টেনে হিচড়ে এই ড্রাকুলা মানবী, Vampire শেখ হাসিনা কে ক্ষমতার মসনদ থেকে নামাতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই এই ড্রাকুলা মানবী, Vampire শেখ হাসিনার খাদ্য হবে।”
এই পোস্টটি প্রদানের ৫ দিন আগেও আরেকটা পোস্টে সে বলেছে :
“একটা দেশের বেসামরিক প্রশাসন যখন ধ্বংস হয়ে যায়, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল টি যখন দেশের স্বার্থের চেয়ে প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রটির স্বার্থকেই বেশী গুরুত্ব দেয় এবং নিজ দেশ কে প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রটির উপনিবেশ বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকে ঠিক তখনই সেই দেশের সামরিক বাহিনীর উচিত একটা রক্তাক্ত সামরিক অভ্যুত্থান করার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন রাজণৈতিক দলটির প্রধান নেত্রী থেকে শুরু করে সকল প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের কে ট্রিগার চেপে হত্যা করা। হ্যা বাংলাদেশে আরেকটি ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটা এখন সময়ের দাবী।”
[দেখুন এখান থেকে: http://bit.do/iNmZ]
“শেখ হাসিনার যারা দেহরক্ষী আছেন SSF বাহিনীর ভাইয়েরা আপনারা কি পারেন না আপনাদের রাইফেলের ট্রিগার চেপে এই জামিলের হাত থেকে আমাদের কে মুক্তি দিতে। বাংলার মানুষ আজ ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাত থেকে তার ঘরের সম্মান রক্ষার্থে ভীত। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে কখনই ক্যু হবে না কারন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট হচ্ছে বর্তমানে RAW এর একটি ঘাটি। এখন আমাদের আশা ভরসা হল সাভার ক্যান্টনমেন্ট, ময়মনসিং ক্যান্টনমেন্ট, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট আর চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট। সাভার, ময়মনসিং, কুমিল্লা আর চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট এ অনেক জাতীয়তাবাদী অফিসার আছেন। এখন আপনারা যদি আপনাদের ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিদ্রোহ করে ঢাকায় আসেন তাইলে ঠিকই ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অনেক দেশ প্রেমিক সৈনিক ও অফিসার আপনাদের সাথে যোগ দিবে। বাংলাদেশ তখনই স্বাধীন হয়েছে যখন ডিসেম্বর মাসে সারাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধারা এই ঢাকা অভিমুখে রওনা হয়েছিল। লিবিয়ার গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ কিন্তু ত্রিপলীতে হয় নি। তাই সাভার, ময়মনসিং, কুমিল্লা আর চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসার আর সৈনিকদের কে এই দেশবাসী অনুরোধ করছে আপনারা দয়া করে এই জালিম আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ঢাকা অভিমুখে রওনা হন। আপনারা যদি আপনাদের ক্যান্টনমেন্ট এ ক্যু করে ঢাকা অভিমুখে আসেন তাইলে নিশ্চিত থাকেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অনেক জাতীয়তাবাদী সৈনিক ও অফিসাররাও আপনাদের সাথে যোগ দিবে।”
[ফারাবীর পোস্টটি পড়ুন এখান থেকে: http://bit.do/iNnS]
“না আর চুপ থাকতে পারলাম না। বাংলাদেশ বর্তমানে একটা রক্তাক্ত জনপদের দেশে পরিনত হয়ে গেছে। মানুষ মারাই হচ্ছে এই আওয়ামী রাষ্ট্রযন্ত্রের কাজ। প্রতিদিন এই সরকারী পুলিশ বাহিনী ১০/১৫ জন ব্যক্তি কে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রান আজকে অতিথি পাখির চেয়েও মূল্যহীন। শেখ হাসিনা বর্তমানে একটি ড্রাকুলায় পরিনত হয়ে গেছে। ড্রাকুলা তো সেই যে মানুষের রক্ত খায়। শেখ হাসিনা শুধু ড্রাকুলার ন্যায় বাংলার নিরীহ মানুষের রক্তই খাচ্ছেন না শেখ হাসিনার ভাত খাওয়ার জন্য, শেখ হাসিনার গোসল করার জন্য আরো অনেক বাংলার নিরীহ মানুষের রক্ত দরকার। শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলার নিরীহ মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে আছে। “রক্ত রক্ত আমি তৃষ্ণার্ত” এটাই এখন ড্রাকুলা মানবী শেখ হাসিনার নীতি।
১৯৭১ সালে আমাদের কে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা মারত আর এই ২০১৩ সালে আমাদের কে আওয়ামী পুলিশ বাহিনীরা হত্যা করছে। আমি সেনাবাহিনীকে বলছি আপনারা আর কতদিন আপনাদের অস্ত্রকে সাজগোজ করে রাখবেন। আপনাদের কি উচিত না এখন আপনাদের ট্যাংক নিয়ে গনভবনে আক্রমণ করে এই ড্রাকুলা রুপী শেখ হাসিনার হাত থেকে নিরীহ দেশবাসী কে বাচানো। এই শেখ হাসিনা বর্তমানে নৃশংসতার দিক থেকে জল্লাদ ইয়াহইয়া খান, টিক্কা খান কেও হার মানিয়েছে। আমাদের দরকার এখন আরেকটি ১৫ আগষ্ট, ৭ নভেম্বর যার মাধ্যমে আমরা সিকিমের পরিনতি থেকে রেহাই পাব। তাই দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী কে আমি অনুরোধ করছি আজ রাতেই আপনারা একটা রক্তাক্ত সামরিক অভ্যুত্থান করে আমাদের কে ড্রাকুলা মানবী রক্ত পিপাসু শেখ হাসিনার হাত থেকে উদ্ধার করেন।”
[মূল পোস্ট এখানে: http://bit.do/iNor]
দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে “নাস্তিক” বলে ফতোয়া দেয়া, সরাসরি হত্যার হুমকি দেয়া, ১৫ আগস্টের মত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে আরেকটা ক্যু ঘটনার উস্কানি দেয়ার পর আমাদের পুলিশ বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা প্রয়োগকারীরা এব্যাপারে নিশ্চুপ। একসময়ের মুষিক এখন হায়েনা হয়ে উঠতে চাচ্ছে, সেটা দেখেও আর কতকাল নিশ্চুপ থাকবেন আমাদের জানমালের হেফাজতকারী আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। তারা কি সত্যি সত্যি কোনো অঘটন ঘটার অপেক্ষাতে আছেন? জঙ্গিবাদীদের দ্বারা এই দেশে কোনো অঘটন ঘটে গেলে তারপর তারা ব্যবস্থা নিতে আসবেন বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যের মতো? আমি জানি না, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে যদি ফারাবীর মত কেউ রাষ্ট্রপ্রধানদের হত্যার হুমকি দিতো তবে তার কি হতো?
অথচ সব সম্ভবের এই বাংলাদেশে এখনো ফারাবীর মতো ফাৎরা ব্যক্তিরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাউ ইজ ইট পসিবল?
ফারাবীকে অতিসত্বর পাগলা গারদে পাঠানো হোক…
এই রকম উন্মাদ শিকের বাইরে থাকাটা মোটেই নিরাপদ নয়।
অভিজিৎ বা আসিফ , এদের মত বেয়াদবদের জন্য ফারাবীর মত লোলার দরকার আছে ।
@badal alam,
হ্যা ঠিক বলেছিস !! ফারাবীর মত লুলার লুলামি এখন বঙ্গদেশে খুবই দরকার! তয় ব্যাপারটা হইলো লুলারে জেলে ভইরা বঙ্গদেশে রাখতে হইবো !!! 😮
@badal alam,
আসলেই, অভিজিতের বই এর পাবলিসিটি ফারাবি ভাই এর বদৌলতে ভালই হইছে।
ফেসবুক-এর যে লিংকগুলো দেওয়া আছে, সেইগুলোতে গিয়ে উন্মাদের প্রলাপ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের মন্তব্য আকারে লাফালাফি পড়ে মজাই লাগছিল | হিন্দুদের গালাগালি, নাস্তিকদের মুন্ডুপাত এবং মুক্তমনার বাপ-বাপান্ত শাপ-শাপান্ত চলছিল| তার সাথে অভিজিত রায়কে মারার হুঙ্কার| এর মধ্যে একটা জিনিস দেখে চমকে উঠলাম এবং শিরদাড়া দিয়ে আতঙ্কের স্রোত বয়ে গেল|
আমি অবিলম্বে মুক্তমনার কর্তৃপক্ষ এবং অভিজিত রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই বিষয়টাতে| ফারাবী নামক উন্মাদটি শুধু মাত্র অভিজিত রায়-এর হত্যার হুমকি-ই দেয়নি, তার সাথে ওনার পরিবারের ছবি দিয়েছে চিন্হিতকরনের জন্যে| এই ছবিতে ওনার স্ত্রী বন্যা আহমেদ এবং কন্যাও উপস্থিত| তিনি যে লুইজিয়ানা প্রদেশে থাকেন সেই কথাও জানানো হয়েছে| অনুরোধ করছি এইটাকে যেন হালকাভাবে না নেওয়া হয়| অবিলম্বে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এই পোস্ট, ছবি এবং পাগলটাকে যেন ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়| সেই সঙ্গে অভিজিত রায়কে অনুরোধ করব যা যা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব, তা নিতে!
ধর্মীয় উন্মাদনায় নিরীহ লোককে আক্রমেনের উদাহরণ ভুরি ভুরি| এত শত পাগলের মন্তব্যের মাঝে হয়ত এইটা আপনাদের চোখ এড়িয়ে গেছে| কেউ হয়ত খেয়াল করেননি| কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে|
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2014/03/3-21-2014-1-57-38-PM.gif[/img]
ফারাবীর ঘটনাটা আসলে খুব বড় নয়– রকমারীর জন্যতো নয়ই।
কিন্তু এই ঘটনাটা ইসলামী মন-মানস বোঝার ক্ষেত্রে খুব জরুরী।
ইসলামী সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মানসিক সামাজিক অবস্থা কিরকম হতে পারে তার উদাহরণ এই ঘটনা।
ফারাবীর মত একটা ফাত্রা ও যে রকমারীর মত একটা কোমাপানীর ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে এ শুধু মুসলমান অধ্যুষিত দেশেই সম্ভব। তাতে যে দেশের অনেকের মনজগতে বৈকল্য দেখা দিতে পারে তাও এরকম সমাজে সম্ভব।
দিন দিন দেখছি বিশ্বাসের ভাইরাস- তত্বই সত্য হয়ে উঠছে।
মুক্তমনা রাজনীতিবিদ, ধর্মপ্রচারক থেকে শুরু করে সকল ধরণের ব্যক্তি ও বিষয়ের যেকোন কর্মকান্ডের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা উৎসাহিত করে, কিন্তু হালকা চালে যুক্তি-তর্ক ব্যতিত অযথা আক্রমণ ও গালির ব্যবহার মুক্তচিন্তকদের জন্য সামগ্রিকভাবে ক্ষতিকর বলে আমরা মনে করি। তামান্না ঝুমুর মন্তব্যটি মুছে ফেলা হলো, সকল পাঠক ও লেখকদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।
এই জন্যই মুক্তমনাকে আমি এত পছন্দ করি। মুক্তমনার বিরুদ্ধে যারা আঙ্গুল তোলে, তাদের মুক্তমনার এই অনন্য বৈশিষ্টগুলো কথা একবার ভেবে দেখা উচিত।
@মুক্তমনা এডমিন,
অনেক ধন্যবাদ। অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক সৃষ্টির আগেই সেটি থামিয়ে দেয়ার জন্য।
পুরা দলিল হয়ে থাকল। ওর মতন পাগলকে কারাগারে রাখা ভাল। কবে কখন কাকে কামড়ায় বলা যায় না। :-X
ফারাবী কিন্ত তার কাজে দারুণ সফল হয়েছে, এর পেছনের কারণ হলো “ট্যাগিং”।
সে প্রথমেই সোহাগ সাহেবকে এমনভাবে নাস্তিক, ইসলাম্বিরোধী ইত্যাদি ট্যাগ দিলেন যে বেচারা ভয়ের চোটেই নিজেগে পরহেজগার প্রমাণের জন্য ফারাবীর প চাটা শুরু করে দিলেন। ট্যাগিঙের ব্যাবসা ইদানিং ভালোই চলছে
এই বিষয়ের মাঝে নতুন কিছুই পেলাম না। :-s ফারাবী এখানে উপাদান, তবে ফারাবী দ্বারা বেষ্টিত বাংলাদেশে পরিত্রান কামনা করাই তো চরম ভুল। লেখকের সাথে আমিও বলব, এদের আস্ফালন বেড়েছে অনেক। কিন্তু ব্লগার রাজীব এর হন্তারক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি’র ছাত্র নামধারী মানসিক ভাবে ধর্ষিত মানুষগুলো যখন এই রাষ্ট্রের মধ্যেই গাজী নামক উপাধি পায় তখন রকমারি ডট কম এর মত কমিশনিং ফান্ড এর ব্যবসায়ীরা তো ভয় পাবে, তাই নয় কি? মোদ্ধা কথা, কে কি বলেছে তা দেখার সময় নেই, চলছে লড়াই চলবে।
এই বদমাশ ফারাবির একটাই উদ্দেস্য এই সমস্ত করে ইস্লামিস্টদের নজরে এসে প্রচুর টাকা কামানো। টাকা কামানোর জন্যে তার কাছে এটাই সব থেকে সহজ পন্থা বলে মনে হয়। এই আগাছাকে জলদি উপড়ে ফেলা দরকার।
ভীষন উদ্বিঘ্ন আমি। এদেশের মানুষ কি এ ভাইরাসের হাত থেকে আদৌ রেহাই পাবেনা?
‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বইটির শেষ ক’টি লাইনের একটি ছিলো
রকমারি ডট কম সেই কাতারে পড়ে গিয়েছে কিনা সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে কিন্তু প্যারাসাইটিক মননের হুমকিকে সাদরে আপ্যায়িত করার মধ্যদিয়ে ভাইরাস সংক্রমণকে উৎসাহিত করা হল, নিজের অজান্তে যে ভাইরাস বয়ে নিয়ে চলেছে তাঁর জানার সুযোগকে সঙ্কুচিত করলো রকমারির পদক্ষেপ, এটাই ভয়ঙ্কর।
সোহাগ সাহেব তাঁর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন-
এটা জমা রাখার বিষয় নয়, আপনাদের পদক্ষেপ উত্তরটা ডিসেম্বরের আগেই দিয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করলে হয়তো আরো কিছু মননশীল বই আপনাদের উঠিয়ে নিতে হবে এই যা।
অনন্ত’কে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
@দেব প্রসাদ দেবু,
বইপড়ুয়াতে মৃদুল আহমেদ চমৎকার উত্তর দিয়েছেন দেখলাম –
@অভিজিৎ, (Y)
ব্যাপারটা ফারাবী নয়, সে কিছুই নয়, ব্লগে কঠিন ইসলামিস্টদের মোকাবেলা করতে হয় যারা অনেক ঘোরেল। এই ফারাবী সামান্য যুক্তিতর্কে চেপে ধরলেই হিন্দুদের নিয়ে অশ্রাব্য গালাগালি শুরু করে দেয় যা শেষ হয় অভিজিৎদাকে দিয়ে। ফেইসবুকে এই অভিজ্ঞতা কম-বেশি সবার আছে। তাকে কোনদিন তাই পাত্তা দেইনি। কিন্তু এখন যেটা হয়ে গেলো সেটা অন্য জিনিস। এই উম্মাদের এক হুকিতেই যেভাবে একটা জনপ্রিয় সাইট অভিজিৎদার বই সরিয়ে নিল এটা অশনিসংকেত। এটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে কাল আরেকজনের ক্ষেত্রেও ঘটবে যেটা বাংলাদেশের মুক্তচিন্তার চর্চার ক্ষেত্রে বিশাল ক্ষতি। অভিজিৎদা ফেইসবুকের স্টেস্টাসে সে কথাই বলেছেন। আমরাও মনে করি এটা। যেভাবে রকমারীর মালিককে ফারাবী পরিচয় করে দিল, তার কোচিংসেন্টারের নাম, মতিঝিলে তার প্রতিষ্ঠানের উপর হামলার আহ্বান এবং তারপর রকমারির বই সরিয়ে নেয়া, এটা মারাত্মক। এই চর্চাটা চলতে দেয়া যাবে না। ফারাবীকে আমি দেখছি একটা মাধ্যম হিসেবে যেখান দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলরা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে। রকমারীর সাহসী ভূমিকার দরকার ছিল। হুমায়ূন আজাদের ”পাক জমিন সাদ বাদ” উপন্যাস যেরকম ধর্মান্ধদের মাথা খারাপ করে দিয়েছিল এবছর অভিজিৎদার বই ”বিশ্বাসের ভাইরাস” সেরকম মাথা খারাপ করে দিয়েছে। এমন এক জায়গায় তিনি হাত দিয়েছেন এখন শুধু অন্ধকারের মানুষগুলিই নয় মডারেট মুসলিমরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এটাই দুঃখের কথা। অবশ্য মূলে হাত দিলে এমনটা হবেই। তাই বলে তো আর থেমে থাকা যাবে না।
@সুষুপ্ত পাঠক,
সঠিক কথা বলেছেন। (Y)
ফারাবীর লেখা-আলোচনা পড়লে মনে হয় তার সমসাময়িক মূল উদ্দেশ্য তার নিজের নাম প্রসার -দীর্ঘ মেয়াদী উদ্দেশ্য যাই হোক … সে যেসব বিষয় নিয়ে লেখে ঐ সব বিষয়ের উপর দক্ষ অন্যান্য লেখকদের কাছে সে মাঝে মাঝে হাসির খোরাক হয় – ফারাবীর লেখার হাস্যকর উপাদানের জন্য। সেই ফারাবীকে নিয়েই আনুমানিক দেড় হাজারেরও বেশি শব্দ ক্ষয় করে লেখা মুক্তমনায় পাবলিশ করা হল!!!
ডঃ মাহফুজুর রহমান এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প অথবা কিম কার্দাশিয়ান, রাখি সাঊয়ান্ত কিংবা প্যারিস হিল্টন এর কাতারে আমাকে আজকে শাফিউর রহমান ফারাবীকে স্থান দিতেই হচ্ছে -ফারাবীর জন্য :clap :clap – সে সফল – তার সমসাময়িক উদ্দেশ্য – পাবলিসিটিতে!!!
একটা কথা মানতেই হয়…
“there is no such thing as bad publicity”
বিশ্বাসের অশুভ ভাইরাসের গর্বিত ধারক ফারাবির যাবতীয় সব কিছু আর্কাইভ করে জাদুঘরে রাখা হোক (চাইলে তাকে মরণোত্তর মমি করেও রাখা যেতে পারে)।
যাতে করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিশ্বাসের ভাইরাসের কিছু ব্যাবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে হাতে কলমে শিক্ষা নিতে পারে।
যুগে যুগে বিশ্বাসের ভাইরাস কিভাবে সাম্রাজ্য কায়েম করেছে সেটার বর্তমান শ্রেষ্ঠ উদাহরণ ফারাবির কার্যকলাপে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অবশ্যই ধর্ম মানবতা বা শান্তির মাধ্যমে নয় বরং হুমকি ধামকি আর শক্তির প্রয়োগে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে যা ফারাবিরা তাদের চিন্তা চেতনায় এখনো ধারন করে আছে। মুখে যতই শান্তি শান্তি করুক; প্রকৃত হিংস্র লেজ তাদের বার বার বের হয়ে যায়। যেমনটা লেজ দেখিয়েছিল তাদের পূর্বপুরুষেরা।
এদের বিনাশ হবে কবে ???
বিশ্বাসের ভাইরাসের টিকা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
হুমকি দিয়ে কি আর সত্য লুকানো যায়???
পোস্ট টি চমৎকার হয়েছে (Y)
ফারাবীর মত ফাতরা(ইসলামিস্ট), ফাতরামিইতো করবে …
কিন্তু রকমারি ডট কম এই ফাতরার আবোল-তাবোল কথা গোনায় ধরলো ক্যামনে ??
রকমারি ডট কম কি ফারাবীর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারতো না??
ধর্মান্ধদের দেখতে হলে অনলাইন সন্ত্রাসবাদের প্রচারক ফারাবীকে দেখতে হয়। তার হুমকিতে রকমারি ডট কম বই প্রত্যাহার করেছে, মালিকপক্ষের একজন হাত-পা ধরে রীতিমতো ক্ষমা চেয়েছে। ধর্মান্ধ এই জীবটি হত্যার হুমকি দিয়েছেও কিন্তু অবাক করার বিষয় এখনও সে বহাল তবিয়তে।
ব্যক্তি জীবনে তার নিম্ন মানসিকতা এবং ইনবক্স কেচ্ছার পর বুঝতে বাকি থাকে না তার চরিত্র সম্পর্কে। মজার বিষয় হচ্ছে সে কতিপয় ছাগলের পালের কাছে ছাগলসম্রাট হয়ে ধর্মকর্তা।
:lotpot: ফারাবীকে আল কায়েদার ৯/১১ এর গোল্ডন বল দেয়া উচিত। আই মিন , আর একটা ৯/১১ এর জন্য মেডেল দেশা উচিত।
ফারাবীর ফাতরামি একটি সময়োপযোগী লেখা। এভাবে ফাজিলদের মুখোশ খুলে জনসন্মুখে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
@গীতা দাস,
দিদি ধন্যবাদ। :guru:
ভাই শেখ হাসিনাকে নিয়ে এই জাতীয় পোস্ট দিবেন না। এতে আপনাদের সমস্যা হবে। পোস্টটা মুছে ফেলেন দ্রুত। এখানে ঠান্ডা মাথায় সামরিক অভ্যুত্থানের কথা বলা হয়েছে।
@ফারাবী, ভাই, নাস্তিকদের গলাকাটা বা তাদের আক্রমণ করার চেয়ে মুসলমানদের কি উচিত নয় নিজেদের ঈমান আর আমল শক্ত করার দিকে জোর দেয়া…?
এই সাইকো এখনো জেলের বাইরে! আমাদের সাইবার চৌকিদাররা কি ঘুমাচ্ছেন!! আজব!!! 😕
@বিপ্লব রহমান,
সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ! :-s
@অনন্ত বিজয় দাশ,
আমার মনে হয়, সরকারেরই একটি বিশেষ মহল ফারাবীকে দিয়ে খেলাচ্ছে। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারার ফায়দা লাভ: ০১. মোল্লাতন্ত্রকে হাতে রাখা, ০২. ব্লগারদেরে চাপে রাখা, যাতে তারা আর কখনোই শাহবাগ বিস্ফোরণ না ঘটাতে পারে! আর ফাও হিসেবে ব্যপক বিনোদন তো আছেই! 😉
[img]https://fbcdn-sphotos-f-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/t1.0-9/q71/s720x720/1966704_857125827647536_1919005433_n.jpg[/img]
আমার এক বন্ধু যে ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে বা অনলাইনে কখনো কিছু লেখে নি তাকে মেনশন করেও ফারাবি একবার লিখেছিল, যে সে হলো নাস্তিকরূপী ছুপা হিন্দু, ইসলাম ছাড়া আর কোনো ধর্মের সমালোচনা করে না।
যা হোক, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশের আইসিটির সাতান্ন ধারা শুধু সাধারণ ব্লগারদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এই ধরনের ধর্মোন্মত্ত এবং মানুষদেরকে প্রাণনাশের অবিরত হুমকি দিতে থাকা সাইকোপ্যাথদের জন্য নয়।
@অভীক,
ফারাবী আমাকে বহুবার ট্যাগ করেছে তার বিভিন্ন পোস্টে। এই ক্যারেক্টারটার মধ্যে fame-seeking behavior মারাত্মক রকমের পর্যায়ে চলে গেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ১৩ বিয়ার কাহিনি নিয়ে পোস্ট অজস্র ব্যক্তিকে ট্যাগ মন্তব্য করার জন্য। সে বিভিন্ন জনের ফ্রেন্ডলিস্ট খুঁজে খুঁজে ব্যক্তিদের ট্যাগ করতো।
ধন্যবাদ অনন্ত। ফারাবীর মতো লোকরা এত কিছু করেও কীভাবে পার পেয়ে যায় সেটাই বিস্ময়কর। ‘সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাচ্ছে’ তা দেখতে পাচ্ছি।
@প্রদীপ দেব,
খুবই সহজে, আমরা তো খালি চাপার জোর দেখিয়েই শেষ, ফারাবীর বিরুদ্ধে ICT57 ধারায় মামলা করা না হলে সে নির্দ্বিধায় এসব চালিয়েই যাবে। বিড়ালের গলায় গণ্টা বাঁধবে কে এই প্রশ্ন না করে পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে এমন কেউ মামলা করে দেন এই হারামীর রিরুদ্ধে। আমার তো ধারণা ICT57 এর সাথে সাথে দেশদ্রোহিতা বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মামলাও এই হারামীর বিরুদ্ধে করা যায়।
@প্রদীপ দেব,
অনেক ধন্যবাদ প্রদীপদা। ইন্টারনেট কানেকশন গত তিনদিন ধরে খুব স্লো থাকায় মুক্তমনায় লগইন করতে পারিনি। তাই উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
@অনন্ত বিজয় দাশ,
প্রথম স্ক্রিনশটটা একদম ঝাপসা এসেছে, কিছুই পড়া যাচ্ছে না। মাঝখানের একটা ছবিও তাই (“বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনি নিজেও একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। … এর পরের ছবিটা)। একটু বড় ছবি দিয়ে ঠিক করে দিও পারলে।
দরকারী পোস্টটার জন্য ধন্যবাদ।
@অভিজিৎদা,
ছবি দুইটা আপডেট করা হয়েছে। আশা করি এইবার পরিষ্কার বুঝা যাবে। :-s