ইন্ডিয়ার দালাল অথবা ভারতের দালাল এই শব্দ হারহামেশাই শোনা যায় আমাদের দেশে।মজার ব্যাপার ভারত প্রাসাঙ্গিক এই শব্দ যেভাবে শোনা যায় পৃথিবীর আর অন্য কোন দেশ নিয়েই এধরনের কোন শব্দ সেভাবে শোনা যায়না।হয়তো কেউ রাত-দিন ২৪ঘণ্টা লন্ডন-অ্যামেরিকা যাবার জন্য পাগল হয়েও লন্ডন-অ্যামেরিকার দালাল হতে পারেনা।আমাদের সিলেটের বেশিরভাগ পরিবারেরই কেউ না কেউ লন্ডনে থাকে।তারপরেও তারা লন্ডনের দালাল হতে পারেনা।অথচ ভারতে কেউ থাকুক বা না থাকুক ভারতের পক্ষে অথবা পাকিস্তানের বিপক্ষে কেউ কথা বললেই আমাদের দেশে সে ভারতের দালাল হয়ে যাবে।
এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক এই শব্দের উৎপত্তি।৪৭ উপমহাদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়ে জন্ম নেয় দুটি রাষ্ট্রের ভারত-পাকিস্তান;যার মধ্যে পাকিস্তান পুরোপুরি ধর্ম ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র।ইসলাম ব্যাবহার করে জন্ম নেয় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একে অন্যের যে বিরোধিতা;ধর্ম ও রাষ্ট্র ভিত্তিক তারও আঁচ লাগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালিদের।পশ্চিম পাকিস্তানিদের মত বেশিরভাগ পূর্ব পাকিস্তানিরাও ছিল ভারত বিরোধী।কিন্তু মজার ব্যাপার হল পূর্ব পাকিস্তানের সাচ্চা বাঙালি-পাকিস্তানিরা যতই ভারত বিরোধী হোক না কেন জাতিগতভাবে তারা বাঙ্গালীই ছিল।আর পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছে বাংলা মাত্রই হিন্দুদের ভাষা,ভারতের ভাষা;বাঙালি সংস্কৃতি হিন্দুদের সংস্কৃতি,ভারতের সংস্কৃতি।ফলে বাঙালি পাকিস্তানিদের তারা কখনই পাকিস্তানি ভাবতে পারতোনা,মুসলিম ভাবতে পারতোনা।ফলে বাঙালি পাকিস্তানিদের তারা জোর করে উর্দু ভাষা গেলাতে চেষ্টা করল।বাংলা সংস্কৃতিকে এদেশ থেকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করল।
কিন্তু তাদের এই অন্যায় দাবি কখনোই মেনে নেয়নি বাঙালি পাকিস্তানিরা।(কিছু সংখ্যক যে মেনে নিয়েছিল তা আমাদের অজানা নয়।কি নামে তাদের সম্বোধন করবো বুঝতে পারছিনা।৭১ এ এরাই রাজাকার-আলবদর নামে পরিচিতি পায়।এদের অস্তিত্ত এখনো এই বাংলার মাটিতে রয়েছে।রক্ত প্রতিম পাকিস্তান প্রীতি হয়েও তারা বাংলাদেশি হয়ে আছে।) ফলে পশ্চিম পাকিস্তান-পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।যে দূরত্ব ছিল দুই পাকিস্তানের মধ্যকার ভৌগলিক অবস্থানের থেকেও অনেক বেশি।
৭১ এ দুই পাকিস্তানের একত্রে থাকার শেষ দিন পর্যন্ত পশ্চিম পাকিস্তানিরা এদেশের বাঙ্গালিদের ভারতের দালাল বলে মনে করতো।স্বাধীনতাকামী প্রত্যেকটা বাঙ্গালিকে তারা ভারতের দালাল মনে করতো।মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের দালাল মনে করতো।জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়া প্রত্যেক বাঙ্গালিকে তারা ভারতের দালাল মনে করতো।
৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে পূর্ব পাকিস্তানের নাম মুছে দিয়ে জন্ম নেয় বাংলাদেশ।স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতে যে ১ কোটি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল যার বেশিরভাগই ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী।দেশ স্বাধীন হবার পর যার একটা বড় অংশই আর স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেনি।কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বা যুদ্ধের আগে-পরে যে পরিমাণ হিন্দু দেশ ত্যাগ করেছিল তার থেকে অনেক বেশি হিন্দু দেশ ত্যাগ করেছে যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে।
নিচের চার্ট লক্ষ্য করলে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ১৯৭১ এর পরে অন্য সব ধর্মের মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
ধর্ম | শতকরা জনসংখ্যা১৯৭৫ | শতকরা জনসংখ্যা১৯৯০ | শতকরা জনসংখ্যা২০১০ |
ইসলাম | ৮৪% | ৮৭% | ৮৯.৫% |
হিন্দু | ১৫.৬% | ১২.৪% | ৯.৫% |
খ্রিস্টান | ০.১% | ০.১% | ০.৩% |
বুদ্ধ | ০.৩% | ০.৫% | ০.৭% |
আরও পিছনে তাকানোর জন্য আমরা নিচের চার্টটি লক্ষ্য করি।
সাল | ১৯৪৭ | ১৯৬১ | ১৯৭৫ | ১৯৯০ | ২০১০ |
শতকরা হিন্দু | ৩১% | ১৯% | ১৫.৬% | ১২.৪% | ৯.৫% |
১৯৪৭ সালে এদেশে মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী।১৯৭৫ সালে যা নেমে যায় ১৫.৬ শতাংশে।আর ২০১০ সালে যা মাত্র ৯.৫ শতাংশে নামে।অর্থাৎ পাকিস্তান আমলেও হিন্দুরা এদেশে নিজেদের যতটা নিরাপদ মনে করতো স্বাধীন বাংলাদেশে তারা ততোটা নিরাপদ মনে করেনা।৪৭এ ভারত-পাকিস্তান জন্মের সময় যারা দেশ ত্যাগ করেনি,৬৪ এর দেশভাগের সময় যারা দেশ ত্যাগ করেনি,৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পরেও যারা ভিটে মাটি ছেড়ে যায়নি,তাদেরই একটা বড় অংশ স্বাধীন বাংলার মাটি ছেড়ে গেছে দেশ স্বাধীন হবার পরে।কঠিন হলেও সত্য ১৯৯১ আর ২০০১ সালে যা তীব্র আকার ধারণ করে।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয়-পরাজয়ের উপরও নির্ভর করে কি পরিমাণ হিন্দু এবার সীমান্ত অতিক্রম করবে।প্রতি বছর খবরের কাগজে মূর্তি ভাঙ্গার সংবাদ পড়ে আমরা শারদীয় দুর্গা পূজার আভাস যেমন পাই তেমনি নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু (পড়ুন হিন্দু) সম্প্রদায়ের প্রতিনিয়ত খবরের কাগজের শিরোনাম হতে দেখে আঁচ করতে পারি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশ ত্যাগ করার সময় আবার এসেছে।
স্বাধীনতার সময়কালে নিচের এই পোস্টারের ব্যাপক প্রচলন ছিল।
বাংলার হিন্দু
বাংলার খ্রিষ্টান
বাংলার বৌদ্ধ
বাংলার মুসলমান
আমরা সবাই বাঙালী
ছিলও তাই।ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কাধে কাধ মিলিয়ে বাংলার মাটি শত্রু মুক্ত করেছিল এদেশের বাঙ্গালিরা।কিন্তু বছর বছর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যফ্রন্টের মানববন্ধন উপরের এই পোস্টারটির সার্থকতা প্রকাশ করে?
পাকিস্তানিরা তীব্র মাত্রায় ভারত বিরোধী-হিন্দু বিরোধী।৭১ সালে এদেশে গণহত্যা তারা পশ্চিম পাকিস্তানে প্রচার করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের কিছু মানুষ ভারতের দালালি করছে,পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাই পাকিস্তান সরকার সেই সব ভারতের দালালদের প্রতিরোধ করছে।যেহেতু পাকিস্তান সরকার ভারতের দালালদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে তাই পশ্চিম পাকিস্তানিরাও কোন মাথা ব্যাথা দেখায়নি।তাদের কাছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই ভারতের দালালি করা।কিন্তু আমরাতো জানি ৭১এ আমরা ভারতের দালালি করিনি।৭১ আমাদের অস্তিত্ত।৭১ আমাদের স্বাধীনতা।৭১ আমাদের প্রেরণা।
৭১ এ পাকিস্তান দুই টুকরো হয়েছে।স্বাধীন বাংলাদেশ ৪১ বছরে পা দিয়েছে।আজকে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরেও আমরা ভারতের দালাল এবং শুধুমাত্র ভারতের দালালই খুজে পাই আমাদের দেশে।এতদিন এদেশের হিন্দুরাকেই শুধুমাত্র ভারতের দালাল হিসেবে গন্য করা হলেও এখন যুগ বদলেছে।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বললে যে কেউই ভারতের দালাল হয়ে যেতে পারে।
‘যদি বাংলাদেশকে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয় তাহলে ভারতের আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যেদিন আমার সৈনিকরা বাংলাদেশকে মুক্ত করে সেদিনই আমি এ কথা উপলব্ধি করি। বাংলাদেশীদের কখনোই ভারতের প্রতি তেমন ভালবাসা ছিল না। আমি জানতাম ভারতের প্রতি তাদের ভালবাসা অস্থায়ী। অনুপ্রেরণা লাভের জন্য ভারতের দিকে না তাকিয়ে তারা মক্কা ও পাকিস্তানের দিকে দৃষ্টিপাত করবে। আমাদেরকে সত্যাশ্রয়ী হতে হবে। বাংলাদেশীদের প্রতি আমরা সঠিক আচরণ করিনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের সব রকমের সাহায্য করা উচিৎ ছিল, কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা তা করেননি। তারা বেনিয়ার মতো আচরণ করেছেন।’
ফিল্ড মার্শাল মানেক শ’
(ভারতের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান)
স্টেটম্যান, ২৯ এপ্রিল ১৯৮৮।
এই উক্তিটি করেছেন সেই ব্যক্তি, যিনি ১৯৭১ সালে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার দিনই উপলব্ধি করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যে চেতনা বিরাজ করছে তাতে করে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার স্থান হওয়া সম্ভব নয়।
৭১ আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে।আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।কিন্তু কঠিন হলেও সত্য ৭১ পারেনি আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পাকিস্তানকে।জাতিতে তারা অবশ্যই বাঙালি,কিন্তু হৃদয়ে পাকিস্তানি।
তবে আমাদের দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরও ভারত প্রীতি চোখে পরার মত।কিন্তু তাদের এই অতিরিক্ত ভারত প্রীতিতে সমাজের ভুমিকাও কম নয়।ছোট থেকেই নিজ ধর্ম,ধর্মের মানুষদের নির্যাতিত হতে দেখে মনের অজান্তেই তারা এসব থেকে মুক্তি চাইতে শুরু করে।চাকরির বাজারে থাকে অবহেলিত।মানসিকভাবে ধর্ষিত।এসব থেকে মুক্তির আশায় তাকিয়ে থাকে ভারতের দিকে।আর যখন দেয়ালে ঠেকে যায় পিঠ,সীমান্ত পারি দিয়ে চলে যায় ভারতে।
বাংলাদেশের হিন্দুরাও যে ইসলাম বা মুসলিম বিদ্বেষী নয় ব্যাপারটা ঠিক তা নয়।এদেশের হিন্দুরাও মুসলমানদের পছন্দ করেনা।আগে প্রায়ই শোনা যেতো,অনেক হিন্দু তাদের রান্নাঘরে কোন মুসলমানকে ঢুকতে দিতেননা।মুসলমানের স্পর্শ করা খাবার তারা মুখে নিতোনা।কিন্তু এদেশের মুসলিমদের হিন্দু বিদ্বেষ বিভিন্ন সময়ে যতটা প্রকাশ পেয়েছে এবং পাচ্ছে,হিন্দুদের মুসলমান বিদ্বেষ সেভাবে প্রকাশ পায়নি।এর কারন হিন্দুরা এখানে নিজেদের নিরাপদ মনে করেনা,প্রকাশ্যে মুসলিম বিরোধিতা কিভাবে করবে?
৭১ আমাদের নতুন একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু অন্তরের স্বাধীনতা দিতে পারেনি।পাকিস্তানি চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি।পাকিস্তানিদের মতই তীব্র ভারত বিরোধিতা করেই সময় চলে যায় আমাদের,দেশের কথা ভাববে কখন?ক্রিকেট খেলতে অন্য কোন দেশ যখন পাকিস্তানে যেতে চায়না নিরাপত্তার অভাবে আমাদের বিসিবি সভাপতি লোটাস কামাল জাতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।দেশের বেশিরভাগ মানুষই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি কিন্তু যারা মেনে নিয়েছে তাদের সংখ্যাও কম নয়।
৭১ এ দেশ স্বাধীন করেছিল কারা?দেশে এতো পাকিস্তানপন্থি দেখি,ক্ষমতাবান রাজাকার দেখি।মুক্তিযোদ্ধা তো দেখিনা…মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো দেখিনা…।
দেশ, জাতি, ধর্ম এসব কিছুই থাকবে না আর ১০০ বছর বাদে। সুতরাং এসব নিয়ে এত কথন, অনেকটাই সময়ের অপচয় বলে মনে হয় আজকাল।
একজন বাংলাদেশী আমেরিকাতে এসে, বৃহত্তর আমেরিকার সাথে বাঁচতে অনেকটাই আমেরিকান হওয়ার চেষ্টা করেন-করতেই হয়। কারন তা না হলে, তার স্যোশাল ইউটিলিটি ভ্যালু, বেঁচে থাকার জন্যে যা দরকার তার নীচে নেমে যাবে। এই যে আমরা বাংলাদেশী, ভারতীয় এসব বলে নিজেকে জাহির করি- এর একটা ভ্যালুয়েশন বনাম ডিভ্যালুয়েশন আছে। বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে একজন বাংলাদেশী নিজেকে দেশপ্রেমী, আর বৃহত্তর কমিউযনিটিতে সে কিন্ত নিজেকে একজন গ্রহণযোগ্য মানুষ হিসাবেই উপস্থাপন করবে।
এবার ব্যাপারটা যেটা হচ্ছে, সেটা হচ্ছে এই-“একজন বাংলাদেশী” বা একজন ভারতীয়কে যখন “বৃহত্তর মার্কেটে” করে খেতে হবে-যেখানে সবাই আছে-সব দেশের, সব ধর্মের লোকেরা তার ক্রেতা-তার এই বাংলাদেশী মুসলমান বা ভারতীয় হিন্দু ভ্যালুয়েশন কমে যাবে। এটা কমলেই সে আর “সেটা” হতে চাইবে না। যেমন ধরুন ভারতে বেশী হিন্দুয়ানী দেখালে, মেইন স্ট্রিম হিন্দুদের মধ্যে সে বেশী পাত্তা পাবে না। মুসলমানদের মধ্যে এটা সত্য না- বেশী মুসলমানরা মেইনস্ট্রিম মুসলিমদের মধ্যে পাত্তা পায় বেশ। সেদিন এক সেকুলার মুসলিমের বাড়িতে গেলাম। যে মোটেও ধার্মিক না। কিন্ত পার্টিতে আমি বাদ দিয়ে সবাই ছিল বাংলাদেশী মুসলমান। তাদের আলোচনার বিষয়বস্ত হয় বাংলাদেশ প্রেম নইলে কে কত নামাজি, আর কার ছেলে মেয়ে কত নামাজি হচ্ছে। এটা ভারতীয় বাঙালীদের মধ্যে নেই-তবে ভারতীয় অবাঙালীদের মধ্যে আছে। এর কারন সেই এক-সামাজিক “গ্রহণযোগ্যতা”।
বিশ্ববাজারে ভারতীয় হিন্দু বা বাংলাদেশী মুসলমানদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক কম হবে-সেখানে একমাত্র গ্রহণযোগ্য লোক ভাল ক্রেতা বা বিক্রেতা। সেইদিন খুব দ্রুত আসছে। সরকারি ভর্তুকির চোটে সব দেশ চলছে-মুক্ত বাণিজ্য বাড়ছে না। ধার করে সরকার আর যেদিন ঘি খাওয়াতে পারবে না-বিশ্ববাজারে করে খেতে হবে-এসব ধর্মীয় জাতীয়তাবাদি সুরসুরিতে আর কিছু কাজ হবে না। আমি চাই আজ থেকে শতবর্ষ বাদে আমার উত্তরসুরীরা পড়ুক
There were a country called Bangladesh. There were a country called India.
Sorry, need correction in English**
There were countries called India, Bangladesh etc…
@বিপ্লব পাল,
একদম ঠিক বলেছেন, বিপ্লবদা! আমি দেখেছি, একজন ধার্মিক মুসলিম প্রাকটিসিং, ননপ্রাকটিসিং – সব ধরনের মুসলিমের নিকট বেশ আদরনীয়, ভাবনাটা এমন- ”এই নৈতিক অধপতনের যুগে কয়জনই বা পারে ধর্মের কঠিন নিয়ম কানুন এমন নিষ্ঠার সাথে পালন করতে?” যে নিয়ম-কানুনকে আপনি বলছেন শৃংখলা, তাকেই ধরে নেয়া হচ্ছে জীবনের মহত্তম সাধনা। আর তাই ঐ ধার্মিক লোকটির ডিমান্ড বেড়ে যাচ্ছে সমাজে।
(Y)
(Y) (Y)
দুঃখিত, ‘শৃংখলা’ এর পরিবর্তে হবে ‘দাসত্বের শৃংখল’।
পাকিস্তান শব্দটি “Land of the Pure” অর্থে জ্ঞান করা হয়েছিল, এবং সেটাই তার প্রকৃত অর্থ। যে সব অঞ্চল মুসলিম-প্রধান ছিল, তাকে পুত-পবিত্র মুসলিম ভূমি বানানোই ছিল পাকিস্তান সৃষ্টির উদ্দেশ্য।
মুসলিম লীগের সার্বিক প্রচারণায় দেশ-বিভাগ আন্দোলন ছিল “জিহাদ”। আন্দোলনকালীন বড় বড় মুসলিম নেতাদের মন্তব্য, বিলি-করা প্রচারণাপত্র ইত্যাদি পড়লেই তা সুস্পষ্ট হয়।
বিভাগ-পরবর্তি বহির্বিশ্বকে খাওয়ানোর জন্য জিন্নাহর কিছু উক্তিকে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রকৃত ভিত্তি হিসেবে ধরলে আমরা ভুল করব।
পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভিত্তি কি হবে, পাকিস্তানের প্রকৃত প্রতিষ্ঠা-পিতা ইকবাল ১৯৩০ সালের মুসলিম লীগের সংগ্রেসের সভাপতির ভাষণে তা সুস্পষ্ট করেছেন।
মুসলিমদের ভারত-বিভাজন আন্দোলন ছিল একটা মৌলবাদী/ইসলামবাদী ধারনা, যার সূচনা জিন্নাহকে দিয়ে নয়। জিন্নাহ পরবর্তিতে এসে সে আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। আমি সেই অর্থে বলেছিঃ
তাছাড়া বিলাতে বসবাসকারী একমাত্র জিন্নাহকে পাকিস্তান আন্দোলনের সর্বেসর্বা ধরলেও আমরা ভুল করব। সামগ্রিকভাবে মুসলিম জনতা পাকিস্তান আন্দোলনকে কিভাবে দেখেছে সেটাই মুখ্য।
@আলমগীর হুসেন,
জ্ঞান করাটা পরে। প্রদেশএর নামাংশ নিয়ে নামকরণটা আগে। জ্ঞানটা কাকতালীয় হতে পারে। সবাই তাদের নিজের দেশকে পবিত্র মনে করে। তাতে কি? “পুত-পবিত্র মুসলিম” দেশ কোথাও বলা হয়নি নামকরণের উদ্দেশ্য হিসেবে। জিন্নাহর কথা হচ্ছিল। জিন্নাহর কোন ভূমিকা নেই এই নামকরণে বা নামকরণের এই “কথিত” উদ্দেশ্যে।
কোথায় পেলেন সার্বিক প্রচারণায় জিহাদ? আপনি খেলাফত আন্দোলনের বা সিপাহী বিদ্রোহের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন, ঐ দুটোতে ইসলামী ভাবধারা সম্পৃক্ত ছিল। আবার স্মরণ করিয়ে দেই জিন্নাহ আলোচনার বিষয। জিন্নাহ খেলাফত আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। অন্যদিকে সুহরাওয়ার্দী (মুজিবের গুরু) খেলাফতত আন্দোলনের পক্ষে ও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। যে বিলি-করা প্রচারণাপত্রের কথা বলছেন সেগুলি কোলকাতা মুসলীম কংগ্রেসের বিলি করা প্রত্যক্ষ দিবস উপলক্ষ্যে। এটা গোটা ভারতে করা হয় নি। জিন্নাহর কোন হার ছিল না কোলকাতার প্রচারণায়। জিন্নাহ শান্তিপূর্ণভাব প্রত্যক্ষ দিবস এর ডাক দিয়েছিলেন। এবং কোলকাতা বাদে সর্বত্রই শান্তিপূর্ণভাবে তা পালিত হয়। কোলকাতার প্রত্যক্ষ্য দিবসের আয়োজনের এর হোতা ছিলেন সুহরাওয়ার্দী। কোলকাতার দাংগার জন্য তাঁকেই দায়ী করা হয়। যা হোক সে আরেক টপিক।
জিন্নাহ তো মারাই গেলেন ১৯৪৮। কোন উক্তির কথা বলছেন?। জিন্নাহর দীর্ঘ রাজনৈতিক কার্যকলাপ ও উক্তি দিয়েই তাকে বিচার করেন সব ইতিহাসবেত্তারাই। আমরাও তাই করব।
ভারত বিভাজন ইসলামী মৌলবাদ?। বিস্ময়কর মত। ইহুদী রাষ্ট্রএর প্রতিষ্ঠা ইহুদী ধর্মের ভিত্তিতে, অথচ ইসরাইল একটি ধর্মনিরপক্ষে রাষ্ট্র। আপনার বইএ ইসলামী মৌলবাদের সংজ্ঞা কি? ধর্মকে আইডেন্টিটি করে পৃথক সেকুলার রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন করা কি ইসলামী মৌলবাদ? বাংলাদেশের অনেক হিন্দু (বিশেষ করে যারা ভারতে পালিয়ে গেছেন) তারা মুসলীমদের অত্যাচার থেক বাচতে হিন্দুদের নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র (জন্মভূমি) করতে চায়। সেটা কি হিন্দু মৌলবাদ বলবেন? এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হতে পারে, কিন্তু মৌলবাদ নয় কখনও। আবারো স্মরণ করিয়ে দেই জিন্নাহ এক ধর্মনিরপেক্ষ পাকিস্তানের চিন্তা করেছিলে। যার জন্য মওদুদীর মত মৌলবাদীর রোষাণলে পড়েছিলেন ও মওদুদী পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছিলেন।
@কালযাত্রী,
সুতরাং আপনি বলতে চাচ্ছেনঃ মুসলিম লীগের মন্ত্র ও প্রচারণা পাকিস্তান সৃষ্টির মূলমন্ত্র নয়।
রাজনীতিকে আমি রাজনীতি হিসেবেই বিবেচনা করতে চাই। দু’এক নেতা দেশবাসী তথা সামগ্রিক বিশ্বকে খাওয়ানোর জন্য মুখে কি বললেন বা ঘোষণাপত্রে কি আওড়ালেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মুখ্য নয়। সেটার চাইতে তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা কি “ভাবে” ও “করে” সেটাই মুখ্য আমার কাছে।
হাসিনা-খালেদার মুখের বুলি বা ঘোষণাকে আমরা যেভাবে দেখি, সেটাও অন্যত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পাকিস্তান সৃষ্টিকে ঘিরে ঘোষণাপত্রকেও সেভাবে দেখা যেতে পারে; সেগুলোর বক্তব্যকে পবিত্র বাণী হিসেবে নেওয়া সঠিক হবে না।
তবে হ্যা, অনেক ক্ষেত্রে ঘোষণাপত্রের বাণী ও রাস্তায় কর্মকাণ্ড মিলে যায়, যেমন হয়েছিল অন্তত বেশীরভা মার্ক্সবাদী বিপ্লবগুলোতে। লাহোর প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে অমুসলিমদের ব্যাপারে, রাস্তায় ঘটেছে তার ঠিক উলটো — এবং তার নেতৃত্ব দিয়েছে জিন্নাহর মুসলিম লীগ কর্মীরা।
আমার মতেঃ পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য যে লাখ লাখ মুসলিম জনতা রাস্তায় নেমেছিল, তাদের মনের স্পন্দনই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি।
জিন্নাহ ছিলেন ক্ষমতালোভী। খিলাফত আন্দোলনের তার কোন লাভ ছিলনা, কেননা ভারতের অধিপতি হতেন তুর্কি খলিফা। তবে খিলাফত আন্দোলনের সমর্থক এ, কে, ফজলুল হকও ছিলেন। তথাপি ফজলুল হক জিন্নাহর চেয়েও অনেক বেশী অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী ছিলেন। এবং এটাও ঠিক যে, ১৯২৩ সনে তুর্কি খিলাফত ভেঙ্গে দেওয়ার পর ব্যর্থ খিলাফত আন্দোলনই ক্রমে বিচ্ছিন্নতাবাদী পাকিস্তান আন্দোলনে রূপ নিল। যদিও দু’এক খিলাফতপন্থী নেতা, যেমন মওদুদী, দীর্ঘদিন পাকিস্তান বিরোধী থাকেন, শুরুতেই তাদের সিংহভাগ নেতা পাকিস্তানী আন্দোলনে ঢুকেন; এবং শেষে মওদুদীও পাকিস্তানের সমর্থক হন। পাকিস্তান আন্দোলন ছিল খিলাফত আন্দোলনেরই রূপান্তর মাত্র। এবং ক্ষমতার সুযোগ যখন এল, জিন্নাহ লন্ডন থেকে এসে তরিৎ সে আন্দোলনের নেতৃত্ব নিলেন।
জিন্নাহর ডাকটার উদ্ধৃতি পাওয়া যাবে?
“প্রত্যক্ষ্য দিবস” আবার কি জিনিস “ডাইরেক্ট একশন” প্রত্যক্ষ্য দিবস হয় কিভাবে? কোলকাতাকে বানানো হয় “ডাইরেক্ট একশন” সূচনার পটভূমি। অন্যত্র তেমন কোন মহড়া হয় নি। তবে অন্যত্রও যেখানে সভা-বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে হিন্দুর অপবিত্র রক্ত ঝরানোর জন্য “জিহাদ”-এর ডাক শুনা গিয়েছে।
“ডাইরেক্ট একশন”-এর উদ্যক্তা ছিলেন জিন্নাহ। অথচ সেটার সূচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হলো সুহরাওয়ার্দীকে। এবং জিন্নাহ মহা-সমারোহে আয়োজিত সে সভায় যোগও দিলেন না। জিন্নাহ ছিলেন একজন “উকিল”; সে পরিপ্রেক্ষিতেই আমি তার মনোবৃত্তিকে বিবেচনা করি। আমি সুহরাওয়ার্দীর উপর সার্বিক দোষ চাপানোর পক্ষে নই।
@কালযাত্রী,
আপনি সঠিক প্রশ্ন করেছেনঃ “বাংলাদেশের অনেক হিন্দু (বিশেষ করে যারা ভারতে পালিয়ে গেছেন) তারা মুসলীমদের অত্যাচার থেক বাচতে হিন্দুদের নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র (জন্মভূমি) করতে চায়। সেটা কি হিন্দু মৌলবাদ বলবেন?“সেটা ইসরাইল সৃষ্টির ক্ষেত্রেও হুবহু প্রযোজ্য। কিন্তু মুসলিমদের পাকিস্তান সৃষ্টির ক্ষেত্রে অনুরূপ প্রেক্ষাপট দাঁড় করানো যায় কি? আপনি হিন্দুদের উপর যে জঘন্য অপবাদ দিচ্ছেন, সেটা ঐতিহাসিক নয়; বাস্তব সত্যতা নয়।
হুম! সে-জন্যই দেশটার নাম চয়ন করা হয়েছিল পাকিস্তান।
“দুই জাতি তত্ত্ব” — সে দুই জাতি কি? কাল ও শ্বেতকায়? বাংগালী ও তামিল? ভারতীয় ও চাইনিজ?
আমার জানামতে, ফজলুল হক কংগ্রেসপন্থী ছিলেন; বিভাজনপন্থী ছিলেন না। জিন্নাহকে ভারত বিভাজনের মূল নায়ক বলা যায়, এ অর্থে যে সে ধারণাটাকে বাস্তবায়িত করেছিল। ধারনাটার সূচনাকারী তিনি নন। তিনি কেবল ক্ষমতার লোভে মৌলবাদী না হয়েও মৌলবাদী ধারনার পৃষ্ঠপোষক ও অগ্রনায়ক হন।
@আলমগীর হুসেন,
Pakistan = Punjab, Afghan (borderlands), Kashmir, Sind, and BaluchISTAN.
দুই জাতি অবশ্যই হিন্দু মুসলিম। ধর্ম একটা আইডেন্টিটি হিসেবে জাতিয়তার ভিত্তি হতে পারে। কিন্তু জাতি মানেই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র (Theocracy) হতে হবে এমন কথা নেই। জিন্নাহ কখনি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র চাননি।
ফজলুল হক কংগ্রেস্পন্থী হলেও ১৯৪০ সালের পাকিস্তান প্রস্তাব (লাহোর প্রস্তাব) তাঁরই উত্থাপিত। জিন্নাহ অ অনেকদিন কংগ্রেস্পন্থী ছিলেন ও হিন্দু মুসলীম মিলনের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যখন নেহরু, পেটেল কংগ্রেসে মুসলীমদের অধিকার বা ফেয়ার প্রতিনিধিত্ব দিতে অস্বীকার করেন তখনই জিন্নাহ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দিকে ঝুঁকলেন। এগুলো সব ঐতিহাসিক সত্য। পান্ডিত্যপূর্ণ বই পড়লেই তা জানা যায়। মূল কথা জিন্নাহ কখনই ধর্মীয় গোড়ামীর ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার চিন্তা করেন নি। তিনি কখনই ইসলামী মৌলবাদী ধারনার পৃষ্ঠপোষক ও অগ্রনায়ক ছিলেন না। আমি অবাক হব মুক্তমনার সদস্যদের মধ্যে একজনও যদি এ সম্পর্কে অবহিত না থাকেন। আরো অনেক রেফেরন্স দেয়া যায়। অন্য এক লেখায় সেগুলো দেবার ইচ্ছা আছে।
কিছু কিছু জায়গায় ঢালাও মন্তব্য করা হয়েছে বলে মনে করি,তবে লেখকের মূল বক্তব্যের সাথে অবশ্যই সহমত
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ধন্যবাদ দাদা।
একটু ব্যাখ্যা করলে ভাল হতো দাদা।
@নাস্তিক দীপ,
যেমন “এদেশের হিন্দুরাও মুসলমানদের পছন্দ করেনা।”…পড়লে মনে হতে পারে কোন হিন্দুই পছন্দ করে না…কিন্তু এই কথাটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না…(ব্যক্তিগত মতামত)
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ধন্যবাদ দাদা
@নাস্তিক দীপ,
আপনি বাক্যটি আগে সংশোধন করুন, তারপর কথা। ৬৪তে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছিল, দেশ ভাগ হয়নি। তারপর ৬৫তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়। আপনার প্রায় প্রতিটি লেখায় বাক্যের ‘দাড়ি-কমা’ এর পর স্পেইস না থাকার কারণে পড়তে অসুবিধে হয়, সে দিকে একটু নজর দিবেন। আমি নিজেই কানা, তবু অন্যকে এক কানার পথ দেখানোর চেষ্টা আর কি।
@আকাশ মালিক,
৬৪ এর দাঙ্গা দেশভাগ নামে পরিচিত।হয়তো দেশভাগের আড়ালে এই ভয়াবহ দাঙ্গাকে লুকিয়ে ফেলাই মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারের।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।পরবর্তীতে শুধরে নিতে চেষ্টা করব।
ভাল থাকবেন।
@নাস্তিক দীপ,
৬৪ এর দাঙ্গা দেশভাগ নামে পরিচিত।হয়তো দেশভাগের আড়ালে এই ভয়াবহ দাঙ্গাকে লুকিয়ে ফেলাই মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারের;
এই কথাটা নতুন করে বিষয়টা ভাবালো আমাকে;
১৯৬৪ সালের হিন্দুদের হত্যা এবং দেশ ত্যাগে বাধ্য করা এই দেশের কলঙ্কজনক, বড় লজ্জার অধ্যায়। সেই সময়ে স্থানীয় প্রেসে এ নিয়ে কথা বলার অধিকারও ছিল না, পুরোটা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, বলা হয়েছে হিন্দুরাই দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাইছে; কিন্তু বিদেশী প্রেসে তথ্যগুলো এসেছে, এবং পরে দীর্ঘ সময় লেগেছে সেই তথ্য যোগাড় করতে; এক মিথ্যা ধর্মের মিথ্যা নবীর চুল কোথায় কোন কাশ্মিরে কে চুরি করেছে, এর মুল্য দিতে হয়েছে হাজার হাজার হিন্দুকে; আমি এই ৬৪র প্রথম তথ্য পড়ি অমিতাভ ঘোষের The Shadow Lines উপন্যাসে, এখনতো উইকিপেডিয়ায় কিছুটা হলে আছে; সেই সময় হিন্দুই না বহু খৃষ্টানও দেশ ছেড়ে পালিয়েছে; এমনকি দেশ ছেড়ে পালানোর সময়ও তখনকার ইপিআর হাজার খানেক হিন্দুদের মেরেছে শুধু এক সীমান্তেই; আমি জানিনা বাংলাদেশে এই বিষয়ে কেউ গবেষনা করেছেন কিনা;
ধর্মকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই দেশে কখনোই হিন্দুদের ভালো চোখে দেখা হয়নি; যখনই সুযোগ এসেছে এদের অত্যাচার করা হয়েছে, কখনোই তারা নিরাপদ না এই ধর্মান্ধ আর ভন্ড তথাকথিত মধ্যপন্থি সংখ্যাগরিষ্ঠ মসুলমানদের দেশে; ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ কত নৃশংস হতে পারে তার উদহারন দিতেও বমি করতে ইচ্ছা করে; কিছুদিন আগে সর্বশেষ আমার বাপ দাদার জন্মভুমি সাতক্ষীরায়;
ধর্ম দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা এই দেশে এই অবস্থার পরিবর্তন এই জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারবো না তা নিশ্চিৎ।
উইকিপেডিয়ার লিংকটি এখানে: 1964 East Pakistan genocide
আর আমি এই দাঙ্গার কোন ফটোগ্রাফিক রেকর্ড দেখিনি…
১৯৪৭ সাল ছিল দেশভাগের সূচনা মাত্র। দেশভাগের উদ্দেশ্য ছিল “পাকিস্তান” বা “পাক-পবিত্রদের স্থান” অর্থাৎ নোংরা মূর্তিপূজক কাফের বিবর্জিত পুত-পবিত্র মুসলিম পুণ্যভূমি সৃষ্টি করা, যা ১৯৪৭ সালে মাত্র আংশিক সফল হয়েছিল। পরবর্তি দাংগাগুলো (১৯৫০, ১৯৬৪) ছিল মুসলিমদের পুত-পবিত্র পাকিস্তানের মহান আদর্শকে বাস্তবায়িত করার পরবর্তি পদক্ষেপ, যা যথেষ্ট সফল হয়েছিল, কিন্তু পরিপূর্ণ সফলতা পায় নি। তবে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে পরিপূর্ণ সফলতার পথে।
@আলমগীর হুসেন,
ঐতিহাসিকভাবে সঠিক নয়। পাকিস্তান আন্দোলনের মূল নায়কএরা ছিলেন, জিন্নাহ, একে ফজলুল হক, সুহরাওয়ার্দী (ও মুজিব)। পাকিস্তানের ভিত্তি ছিল দুই জাতি তত্ব, দুই ধর্মতত্ত্ব নয়। এই নায়কের সবাই ধর্মনিরপেক্ষ (উপমহাদেশের অর্থে, ইউরোপীয় অর্থে নয়) ছিলেন। জিন্নাহ could care less about islam. মদখোর আর শুয়োর খোর হিসেবে তাঁর সুনাম (দুর্নাম ছিল)। জামাতের মওদুদী জিন্নাহকে কাফের বলে গণ্য করতেন ও পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছিলেন, কারণ পাকিস্তানের ভিত্তি ইসলাম ছিলনা তাঁর বিচারে (সঠিক বিচার)। দুই জাতিতত্ব মানে যদি দুই ধর্মতত্ব হয় তাহলে বর্তমান বাংলাদেশের অস্তিত্বের কারণও দুই ধর্মতত্ব । তা নাহলে পশ্চিম বাংলার সাথে এক হয়ে ভারতের সাথে যোগ দিতে বাধা কোথায়?
৬৪তে কোন দেশ ভাগ হইল?
@সাইফুল ইসলাম,
৬৪শে ভয়াবহ দাঙ্গা হইছিল; আর তার প্রেক্ষিতে অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষই দেশ ত্যাগ করছিল; লেখক মনে হয় সেই সময়কার কথাই বলবার চাইছে! উগ্র ধর্মপ্রেম দেশ ভাগ করে; আবার উগ্র রাজনীতিপ্রেমও দেশ ভাগ করে। ৬৪তে যারা দেশ ত্যাগ করেছিল, তাদের অনুভূতি দেশভাগের মতই হয়েছিল মনে হয়!
@কাজি মামুন,
উত্তরটা না হয় লেখকই দেউক। কী কন?
@সাইফুল ইসলাম,
সাইফুল ভাই আমি কিচ্ছু জানিনা…ক্যামনে ক্যামনে জানি লেইখা ফেলাইসি…আমারে রতি ক্রিয়ার গালিডা দিয়েননা পিলিজ
@নাস্তিক দীপ,
আমি আপনাকে একটা সোজাসুজি প্রশ্ন করেছি। ৬৪তে উপমহাদেশের কোন দেশ ভাগ হয়েছে। উত্তর জানা থাকলে দেন না হইলে কেন লিখেছেন সেটা বলেন। এখানে অনুপস্থিত রতিক্রিয়া নিয়ে আপনাকে প্রতিক্রিয়া না দিলেও চলবে। প্রয়োজনহীন অর্থহীন আলাপের আয়োজন করে লাভ কী বলেন?
@সাইফুল ইসলাম,
কিছুটা উপদেশের মতন শোনায় বই কি। আর উপদেশ শুনলে আমার আবার বাঙালি সম্পর্কে একটা কথা মনে পড়ে যায়। বাঙালি উপদেশ দিয়ে রতিক্রিয়ার চেয়েও বেশি আনন্দ পায়। :-X (আপনার ভাষায় )
httpv://youtu.be/yy2NoYii17U
আজকে পড়া শিল্পী রাফি হকের একটা লেখা মনে পড়ে গেলো–
“ আমাকে একবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলছিলেন, ’আর্ট কলেজ হচ্ছে হিন্দু বানাবার ইন্সটিটিউশন…!!’ ভাবুন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের পারসেপশন..!! সাধারণের কথা সহজেই অনুমেয় “
অনেক অনেক শুভকামনা দীপ !
@মিতা,
তোমার শুভকামনা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ
@নাস্তিক দীপ,
🙂 দু:খিত ভিডিও আর লিংক ঠিক মতো সংযুক্ত করতে পারলাম না … অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা !
@আসমা সুলতানা,
দুঃখিত হবার দরকার নেই আপু!!!
তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু!
@মিতা,
আপনি কি এই ভিডিও সংযুক্ত করতে চেয়েছিলেন?
httpv://www.youtube.com/watch?v=yy2NoYii17U&feature=youtu.be
@আকাশ মালিক,
অসংখ্য ধন্যবাদ আকাশ (:
ভারতের দালাল কারাঃ
১। ১৯৯৬ সালের ২৯শে জানুয়ারী বাংলাদেশ অবজার্ভারের এক রিপোর্টে বলা হয় যে জামাত নেতা নিজামী মেহেরপুরের এক সভায় বলেন যে ভারত বিএনপি কে ক্ষমতায় দেখতে চায় যাতে পঁচিশ বছরের গোলামী চুক্তির মেয়াদ বাড়ান যায়। একই কাগজের ৩০শে জানুয়ারী সংখ্যার রিপোর্টে লেখা হয় যে বাইতুল মোকাররমের এক সভায় জামাত নেতারা অভিযোগ করেন যে বিএনপি লোকহাসানো একদলীয় নির্বাচন করছে ভারত ও অন্যান্য দাতা দেশগুলির নীল নক্সা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে।
২। ১৮ই জুন ১৯৯৪ নেত্রকোনার এক সভায় শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন যে বেগম জিয়া ভারতের সাথে চুক্তি সই করে বাংলাদেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে।
৩। ঢাকায় ২৯শে জানুয়ারী ১৯৯৫ এর এক ভাষণে ও ২২শে জুন ১৯৯৫ এ কুড়িগ্রামের রাজীবপুর গ্রামে এক জনসভায় শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন যে যুক্ত ইশ্তেহার সই করে জিয়া বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রী করে দিয়েছেন।
@কালযাত্রী,
ধন্যবাদ দাদা…এই ধরনের আরও তথ্য আপনার রেফারেন্স সহ জানা থাকলে অনুগ্রহ করে জানাবেন।হয়তো নতুন কিছু লিখতে আমাকে সাহায্য করবে তথ্য গুলো।email: [email protected]
ভাল থাকবেন।
আশ্চর্যের ব্যাপারঃ
প্রতি বছর কয়েক সহস্র লোক আরবে যান আরবদের পদধুলি নিতে আর হজ করতে।
আমাদের দেশের প্রধাণ মন্ত্রী হতে ছোট ছোট মন্ত্রীরাও এর অন্তর্গত–তা হাসিনা হন বা খালেদা হন।
কিন্তু এদেরকে কেউ আরবদের দালাল বলে না।
@আবুল কাশেম,
একদম মনের কথাটাই বলেছেন।অন্য কোন দেশে আত্মীয় স্বজন থাকতে পারে।পাকিস্তানেও থাকতে পারে।কিন্তু ভারতে থাকা যাবেনা আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে!আমিতো মনে করি ভারতেই বেশি থাকা উচিত।কারন দেশ ভাগ-স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেকে দেশ ছাড়লেও তাদের আত্মীয় স্বজন থেকে গেছেন।বাংলাদেশের মনেহয় প্রত্যেকটা হিন্দু পরিবারের কেউ না কেউ ভারতে অবস্থান করছে।এটা হিন্দুরাও বলতে ভয় পায়।কেন?থাকতেই পারে।পাকিস্তানে থাকলেও মানুষ ভাল ভাবেই নেয়,ভারতে থাকলেই যত দোষ!
@আবুল কাশেম,
নিজের দেশে গেলে কি কাউকে দালাল বলে? এহেন ইমানদারগণ যে শয়নে স্বপনে আরবের ধ্যান করেন, কবি গান বাঁধেন, ‘যাব সোনার মদিনায়’; সোনার দেশের সোনার রাজারা বিনা বিচারে বাংলাদেশী কতল করে, তখনো দেখি তেনারা পদধরি চুমেন সোনার দেশের সোনার আইন।
@কাজি মামুন,
সহমত…ভাল বলেছেন কাজিদা! :lotpot:
কোথায় যেন পড়েছিলাম “গোলাম আজমের” ছেলেরা আমেরিকায় থাকে।তাহলে কি……
যাইহোক লেখার জন্য (F)
@ডারউইনের ভুত,
না নাহ!গোআজম কে অ্যামেরিকার দালাল ভাবনেননা!শান্তি কমিটির অবমাননা হবে যে!
অনেক ধন্যবাদ দাদা।ভাল থাকবেন
অনেক কঠিন কঠিন সত্য অনেক সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন।
কারণ এখানে ভোট নেই, ‘লন্ডনের দালাল’ শব্দটি ভোটের রাজনীতির জন্য উপযুক্ত নয়।
মানেক শ’য়ের কথায় মনে হয় সামান্য ভুল হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভিতর ধর্মনিরেপেক্ষ ও শোষনহীণ সমাজ প্রতিষ্ঠার চেতনাই বিরাজ করছিল। কিন্তু পরে বঙ্গবন্ধু, চার নেতা, তাহের, খালেদসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা এবং একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় বসিয়ে পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদী ভাবধারার ব্যাপক আবাদ হয়েছে এই দেশে, যার ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন।
একমত, বিশেষ করে মানসিক ধর্ষন আর চাকরির বাজারের ব্যাপারটি। তবে তাই বলেই যে বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে মুক্তির আশায়, কথাটা বোধহয় সর্বোতোভাবে সত্য নয়। আমি দেখেছি, এদের অনেকের জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেম অন্য ধর্মাবলম্বিদেরও হার মানায়!
@কাজি মামুন,
সহমত..।
আপনার কাছ থেকে একটু কাঁটা-ছেড়া আশা করেছিলাম দাদা!যেখানে যেখানে আপনার মনে হয়েছে ভুল।কিছু কঠিন কঠিন কথাই আশা করেছিলাম।কারন আমার নিজের কাছেই লেখাটা মান-সম্মত মনে হয়নি।
যাইহোক,আপনার মন্তব্য আমাকে সবসময়েই অনুপ্রাণিত করে।ভাল থাকবেন কাজিদা
ধন্যবাদ নাস্তিক দীপকে এ সুন্দর লেখাটা উপহার দেওয়ার জন্য।
এ ব্যাপারটাকে মুসলিম বিদ্বেষ বলা ঠিক হবে কি?
হিন্দুরা শুধু মুসলিম নয়, অন্য যে কোন ধর্মাবলম্বীদের ছোয়া বা রান্না করা জিনিস খেতনা যুগ যুগ ধরে। ব্রিটিশ আমলে যারা বিলাত যেতেন উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য, তারা দেশে ফিরে এসে সমগ্র পরিবারসহ সমাজচ্যুত হতেন খ্রীষ্টানদের সাথে উঠা-বসা, খাওয়া-দাওয়ার কারণে। এটা অবশ্যই যুগ-যুগান্তরের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ব্যাপার।
যদিও এটা চরম সামাজিক বিভাজনমূলক আচরণ, এর মাঝে অন্যের ক্ষতি করার মনোবৃত্তি বা উপাদান নেই। এ বিচারে হিন্দুদের এ আচরণকে বিদ্বেষ বলা হলেও, তা মুসলিমদের হিন্দু বিদ্বেষ থেকে ব্যাপক ভিন্ন। আর এ কারণেই হয়ত হিন্দুরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ও হচ্ছে, কিন্তু হিন্দু-ভারতে জনসংখ্যায় মুসলিমদের আনুপাতিক হার বেড়েই চলছে।
@আলমগীর হুসেন,
সঠিক পর্যবেক্ষণ। আরেকটা মন্তব্য যোগ দিতে চাই। হিন্দুরা যদি মুসলীম বিদ্বেষী হতও তাহলেও তাদের খুব একটা দোষ দেয়া যায় না। অষ্টম শতাব্দী ও তার পরবর্তী সময়ে মুসলীম বাহিনীর ভারত আক্রমণের সময় যে ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল সেটা হিন্দু সাইকীতে চিরস্থাইয়ী একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। আপনার নিজের লেখা “Fallouts of the Islamic Invasion and British Occupation in Perspective” প্রবন্ধে তার বিস্তারিত ঐতিহাসিক বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন।
@আলমগীর হুসেন,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় আমাদের দেওয়ার জন্য।
অবশ্যই এটা ধর্মীয় ও সংস্কৃতির ব্যাপার দাদা।কিন্তু আমার মনেহয় মুসলিম বিদ্বেষটাও আছে।আর থাকবেনাই বা কেন?বাংলাদেশের মাটিতে ওরা মুসলিমদের দ্বারা কম নির্যাতিত হয়নি।সুতরাং বিদ্বেষ থাকাটাও অস্বাভাবিক নয়।
আর মুসলিম বিদ্বেষের কারন আমরা ইতিহাস থেকেই খুঁজতে পারি।এই উপমহাদেশে হিন্দুদের সরিয়েই মুসলিমরা রাজত্ব করেছে।তাই মুসলিমদের সরিয়ে ইংরেজরা যখন উপমহাদেশ জয় করল,এখানকার মুসলিমরা কষ্ট পেলেও হিন্দুরা ফেলেছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস।
সহমত দাদা।মনের কথাগুলোই বলেছেন।
ভাল থাকবেন।
@নাস্তিক দীপ, একটা ব্যাপার আমরা বাংলাদেশীরা প্রায় কেউই জানি না।কারন আমাদের ইতিহাস বইগুলোতে এ তথ্য আমাদের শিখানো হয় না।আর তা হল,ভারতে মুসলিম শাসন শেষ করেছে মারাঠা আর শিখরা।ইংরেজরা ভারতে এসে মুস্লিমদের ক্ষমতায় পেয়েছিল খুব কম জায়গায়।ইংরেজরা যখন আসলে মুস্লিম্রা তখন ক্ষমতায় আচে পুর্ব ভারতে বাংলা ও বিহারে,দক্ষিন ভারতে হায়দ্রাবাদে আর মহীশুরে এবং উত্তর ভারতে শুধু দিল্লীতে(যদিও একে পুতুল রাজা বললেই সঠিক হয় নছে।যা সব মিলিয়ে ভারত উপমহাদেশের ১৫% হবে।ইংরেজ্রা ভারতে ক্ষমতা নিয়েছিল প্রধানত মারাঠা আর শিখদের কাছ থেকে।আপ্নি যা বললেন তা বাঙ্গালী হিন্দুদের ক্ষেত্রে খাটে।
শুরুতে ইণ্ডিয়ান বা ভারতীয় দালাল দিয়ে শুরু করেছেন ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে এদের সম্পর্কে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করলে ভালো হতো বলে আমাদের ধারনা। কথায় আছে, ঘরের শত্রু বিভীষণ। আমাদের দেশপ্রেম এত সস্তা যে, টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়। আর ভারতীয়, পাকিস্থানি বা অন্য দেশের দালাল গুলি বাংলাদেশের জন্য কি পরিমান অভিশাপ! তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। অথচ আমরা এসব এজেণ্ডাদের বা দালালদের সম্পর্কে অবগত আছি বা পরিচয় জানি কিন্তু কিছু তো করতে পারিনা? বরং তার রাষ্ট্রের মদদে, আশীর্বাদপুষ্ট ধন্য ও গর্বিত বাঙ্গালি সন্তান!
আপনার সুলেখাটির জন্য অভিনন্দন!
@শামিম মিঠু,
সহমত…একদম ঠিক ধরেছেন।আসলে খুব কম সময়ে কমপ্লিট করেছি।আমার আরও তৈরি হয়ে লেখা উচিত ছিল।নিজের কাছেই হযবরল লাগছে।ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন…
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা।ভাল থাকবেন