ভূমিকা
মূলকথা
প্রথম প্রস্তাব
দ্বিতীয় প্রস্তাব
তৃতীয় প্রস্তাব
চতুর্থ প্রস্তাব – ১
চতুর্থ প্রস্তাব – ২
স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের জন্মদিনে অর্ঘ্য হিসেবে সিরিজের পরবর্তী অংশ আজ। আরজ আলী মাতুব্বরের সত্য ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র, বাড়িয়ে দিক অন্ধবিশ্বাসীদের সংশয়; অত:পর সংশয় পেরিয়ে হোক সত্যের জয়। পূর্ববর্তী অংশের পর:
[ধর্ম বিষয়ক-৩]
আরজ আলী মাতুব্বর
কোন বিশেষ কারণ না থাকিলে সচরাচর মৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যেই কবরস্হ করা যায়। ঐ সময়ের মধ্যে মৃতদেহের মেদ, মজ্জা ও মাংসাদির বিশেষ কোন বিকৃতি ঘটে না। এই সময়ের মধ্যেই যদি সে পুনর্জীবন লাভ করিয়া সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হয়, তবে তাহার সেই নবজীবন হয় বিগত জীবনের অনুরূপ। কেননা দেখা যায় যে, সর্পঘাত, উগ্র মাদকদ্রব্য সেবন, ক্লোরোফর্ম প্রয়োগ, কতিপয় রোগ, গভীর নিদ্রা ইত্যাদিতে মানুষের সংজ্ঞালোপ ঘটে। এইরুপ সংজ্ঞাহীনতা কয়েক ঘন্টা হইতে কয়েক দিন, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে সপ্তাহকাল স্হায়ী হইতে দেখা যায়। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই সংজ্ঞাপ্রাপ্তির পর কাহারো পূর্বস্মৃতি লোপ পাইতে দেখা বা শোনা যায় নাই। কেননা মগজস্হিত কোষসমূহে (Cell) বিকৃতি না ঘটিলে কোন মানুষের স্মৃতি বা জ্ঞানের ভাবান্তর ঘটে না। তাই কাহারো ভাষারও পরিবর্তন ঘটে না।
হৃৎপিন্ড, ফুসফুস ও মস্তিষ্ক – দেহের এই তিনটি যন্ত্রের সুষ্ঠু ক্রিয়ার যৌথ ফলই হইল জীবনীশক্তি। উহার যে কোন একটা বা দুইটির ক্রিয়া সাময়িক লোপ পাওয়াকে ‘রোগ’ বলা হয়। কিন্তু ঐ তিনটির ক্রিয়া একযোগে লোপ পাওয়াকে বলা হয় মৃত্যু। শরীর বিজ্ঞানীগণ দেখিয়াছেন যে, উক্ত যন্ত্রত্রয়ের একটি বা দুইটি নিষ্ক্রিয় (মৃত্যু) হইলে অদূর ভবিষ্যতে হয়ত তাহাও সক্রিয় করা সম্ভব হইবে। তাহাই যদি হয়, তবে কোন মৃত বাঙ্গালী পুনর্জীবিত হইলে সে কি ফরাসী ভাষায় কথা বলিবে, না, বাংলা ভাষায়?
পৃথিবীতে প্রায় ৩৪২৪টি বোধগম্য ভাষা আছে এবং অধিকাংশ মানুষই মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য ভাষা জানে না। কাজেই কোন মৃতকে পুনর্জীবিত করা হইলে, অধিকাংশই তাহার মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য কোন ভাষায় কথা বলিবার বা বুঝিবার সম্ভাবনা নাই। এমতাবস্হায় মনকিন ও নকির ফেরেস্তাদ্বয় মৃতকে প্রশ্ন করেন কোন ভাষায় – ফেরেস্তী ভাষায়, না মৃতের মাতৃভাষায়?
কেহ কেহ বলেন যে, হাশর ময়দানাদি পরলৌকিক জগতের আন্তর্জাতিক ভাষা হইবে আরবী, বোধহয় ফেরেস্তাদেরও। হাশর, ময়দানাদি পরজগতেও যদি পার্থিব দেহধারী মানুষ সৃষ্টি হয়, তবে তাহা হইবে এক অভিনব দেহ। কাজেই তাহাদের অভিনব ভাষার অধিকারী হওয়াও অসম্ভব নহে। কিন্তু মৃতের কবরস্হ দেহ অভিনব নয়, উহা ভূতপূর্ব। এক্ষেত্রে সে অভিনব (ফেরেস্তী বা আরবী) ভাষা বুঝিতে বা বলিতে পারে কিভাবে?
পক্ষান্তরে, যদি ফেরেস্তারা আঞ্চলিক ভাষায়ই প্রশ্ন করেন, তাহা হইলে ভিন্ন ভিন্ন ৩৬২৪ টি ভাষাভাষী ফেরেস্তা আবশ্যক। বাস্তবিক কি তাহাই?
ধর্মীয় বিবরণ মতে, পরলৌকিক ঘটনাবলীর প্রায় সমস্তই মানুষের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার বাহিরে। কিন্তু ‘গোর আজাব’ – এই ঘটনাটি যদিও পরলোকের অন্তর্ভূক্ত, তথাপি উহার অবস্হান ইহলোকে অর্থাৎ এই পৃথিবীতেই। বিশেষত উহা মানুষের অবস্হান হইতে বেশী দূরেও নয়। বড় বড় শহরের গোরস্হানগুলি ছাড়া গ্রামাঞ্চলের কবরগুলি প্রায়ই থাকে বাসস্হানের কাছাকাছি এবং উহার গভীরতাও বেশী নয়, মাত্র ফুট তিনেকের মত। ওখানে বসিয়া ফেরেস্হা ও পুনর্জীবিত ব্যক্তির মধ্যে যে সকল কথাবার্তা, মারধোর, কান্নাকাটি ইত্যাদি কাহিনী হয়, অতি নিকটবর্তী মানুষও তাহা আদৌ শুনিতে পায় না কেন?
দেখা যাইতেছে যে, হত্যা সম্পর্কিত মামলাদিতে কোন কোন ক্ষেত্রে মৃতকে কবর দেওয়ার তিন-চারদিন বা সপ্তাহকাল পরে কবর হইতে তুলিয়া নেওয়া হয় এবং উহা অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ পরীক্ষা করিয়া থাকেন। কিন্তু যত বড় দুর্দান্ত ব্যক্তির লাশই হউক না কেন, কোন ডাক্তার উহার গায়ে গুর্জের আঘাতের দাগ বা আগুনে পোড়ার চিহ্ন পান নাই। অধিকন্তু খুব লক্ষ্য করিয়া দেখা গিয়েছে যে, মুর্দাকে যেইভাবে কবরে রাখা হয়েছিল, সেইভাবেই আছে, একচুলও নড়চড় হয় নাই। বিশেষত কবরের নিম্নদিকে ৭০ গজ গর্ত বা কোন পার্শ্বে (দোজখের সঙ্গে) সুড়ঙ্গ নাই। ইহার কারণ কি? গোর আজাবের কাহিনীগুলি কি বাস্তব, না অলীক?
এ কথা সত্য যে, কোন মানুষকে বধ করার চেয়ে প্রহার করা সহজ এবং সবল ব্যক্তির চাইতে দূর্বল ব্যক্তি বধ করা সহজ। রেল, জাহাজ, বিমান ইত্যাদির আকস্মিক দুর্ঘটনায় এবং যুদ্ধক্ষেত্রে এক মুহূর্তে শত শত সুস্হ ও সবল মানুষ বধ করেন আজ্রাইল ফেরেস্তা একা। আর রুগ্ন, দুর্বল ও অনাহারক্লিষ্ট মাত্র একজন মানুষকে শুধু প্রহার করিবার জন্য দুইজন ফেরেস্তা কেন? পক্ষান্তরে শুধুমাত্র মৃতকে প্রশ্ন করিবার জন্য দুইজন ফেরেস্তার আবশ্যিকতা কিছু আছে কি?
জেব্রাইল, মেকাইল, এস্রাফিল ইত্যাদি নামগুলি উহাদের ব্যক্তিগত নাম (Proper Noun)। কিন্তু কেরামন, কাতেবিন, মনকির ও নকির – এই নামগুলি উহাদের ব্যক্তিগত নাম নয়, সম্প্রদায় বা শ্রেণীগত নাম (Common Noun)। বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ জীবিত আছে।* তাহা হইলে সমস্ত মানুষের কাঁধে কেরামন আছে ৩০০ কোটি এবং কাতেবীন ৩০০ কোটি, জানিনা মনকির ও নকির ফেরেস্তাদ্বয়ের সংখ্যাও ঐরুপ কিনা। সে যাহা হউক, উহাদের ব্যক্তিগত কোন নাম আছে কি? না থাকিলে উহাদের কোন বিশেষ ফেরেস্তাকে আল্লাহ তলব দেন কি প্রকারে?
কথিত হয় যে, মেয়ারাজ গমনে হজরত (দ.)-এর বাহন ছিল – প্রথম পর্বে বোরাক ও দ্বিতীয় পর্বে রফরফ। উহারা এরুপ দুইটি বিশেষ জানোয়ার, যাহার দ্বিতীয়টি জগতে নাই। বোরাক – পশু, পাখী ও মানব এই তিন জাতীয় প্রাণীর মিশ্ররুপের জানোয়ার। অর্থাৎ তাহার ঘোড়ার দেহ, পাখীর মত পাখা এবং রমণীসদৃশ মুখমন্ডল। বোরাক কোন দেশ হইতে আসিয়াছিল, ভ্রমণান্তে কোথায় গেল, বর্তমানে কোথায়ও আছে, না মারা গিয়াছে, থাকিলে – উহার দ্বারা এখন কি কাজ করান হয়, তাহার কোন হদিস নাই। বিশেষত একমাত্র শবে মেয়ারাজ ছাড়া জগতে আর কোথাও ঐ নামটিরই অস্তিত্ব নাই। জানোয়ারটি কি বাস্তব না স্বপ্নিক?
হাজার হাজার বৎসরের পুরাতন স্হাপত্যশিল্পের নিদর্শন পৃথিবীতে অনেক আছে। খৃ.পূ. তিন হাজার বৎসরেরও অধিককাল পূর্বে নির্মিত মিশরের পিরামিডসমুহ আজও অক্ষত দেহে দাঁড়াইয়া আছে। হজরতের মেয়ারাজ গমন খুব বেশীদিনে কথা নয়, মাত্র খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম দিকের ঘটনা। ঘটনাটি বাস্তব হইলে – যে সকল দৃশ্য তিনি মহাশূণ্যে স্বচক্ষে দেখিয়াছিলেন (আরশ ও বেহেস্ত-দোজখাদি), তাহা আজও সেখানে বর্তনান থাকা উচিত। কিন্তু আছে কি? থাকিলে তাহা আকাশ-বিজ্ঞানীদের দূরবীনে ধরা পড়ে না কেন?
মেয়ারাজ সম্বন্ধে পর্যালোচনা করিতে হইলে প্রথম জানা আবশ্যক যে, হজরত (দ.) –এর মেয়ারাজ গমন কি পার্থিব না আধ্যাত্মিক; অর্থাৎ দৈহিক না মানসিক। যদি বলা হয় যে, উহা দৈহিক, তবে প্রশ্ন আসে – উহা সম্ভব হইল কিভাবে?
আকাশবিজ্ঞানীদের মতে – সূর্য ও গ্রহ-উপগ্রহরা যে পরিমাণ স্হান জুড়িয়া আছে, তাহার নাম সৌরজগত, সূর্য ও কোটি কোটি নক্ষত্র মিলিয়া যে পরিমাণ স্হান জুড়িয়া আছে তাহান নাম নক্ষত্রজগত বা নীহারিকা এবং কোটি কোটি নক্ষত্রজগত বা নীহারিকা মিলিয়া যে স্হান দখল করিয়া আছে, তাহার নাম নীহারিকাজগত।
বিজ্ঞানীগণ দেখিয়াছেন যে, বিশ্বের যাবতীয় গতিশীল পদার্থের মধ্যে বিদ্যুৎ ও আলোর গতি সর্বাধিক। উহার সমতুল্য গতিবিশিষ্ট আর জগতে নাই। আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮৬ হাজার মাইল। আলো এই বেগে চলিয়া এক বৎসরে যতটুকু পথ অতিক্রম করিতে পারে, বিজ্ঞানীগণ তাহাকে বলেন এক আলোক বৎসর।
বিশ্বের দরবারে আমাদের এই পৃথিবী খুবই নগণ্য এবং সৌরজগতটিও নেহায়েত ছোট জায়গা। তথাপি এই সৌরজগতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্তে আলোক পৌঁছিতে সময় লাগে প্রায় ১১ ঘন্টা। অনুরূপভাবে, নক্ষত্রজগতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্তের দূরত্ব প্রায় ৪০০০ কোটি আলোক বৎসর।১১ এই যে বিশাল স্হান, ইহাই আধুনিক বিজ্ঞানীদের পরিচিত দৃশ্যমান বিশ্ব। এই বিশ্বের ভিতরে বিজ্ঞানীরা বেহেস্ত, দোজখ বা আরশের সন্ধান পান নাই। হয়ত থাকিতে পারে ইহার বহির্ভাগে, অনন্ত দূরে। হজরত (দ.)-এর মেয়ারাজ গমন যদি বাস্তব হয়, অর্থাৎ তিনি যদি সশরীরে একটি বাস্তব জানোয়ারে আরোহণ করিয়া সেই অনন্তদূরে যাইয়া থাকেন, তবে কয়েক মিনিট সময়ের মধ্যে আলোচ্য দূরত্ব অতিক্রম করা কিভাবে সম্ভব হইল? বোরাকে গতি সেকেন্ড কত মাইল ছিল?
বোরাকের নাকি পাখাও ছিল। তাই মনে হয় যে, সেও আকাশে (শূণ্যে) উড়িয়া গিয়াছিল। শূণ্যে উড়িতে হইলে বায়ু আবশ্যক। যেখানে বায়ু নাই, সেখানে কোন পাখী বা ব্যোমযান চলিতে পারে না। বিজ্ঞানীগণ দেখিয়াছেন যে, প্রায় ১২০ মাইলের উপরে বায়ুর অস্তিত্ব নাই।১২ তাই তাঁহারা সেখানে কোনরুপে বিমান চালাইতে পারেন না, চালাইয়া থাকেন রকেট। বায়ুহীন মহাশূণ্যে বোরাক উড়িয়াছিল কিভাবে?
নানা বিষয় পর্যালোচন করিলে মনে হয় যে, হজরত (দ.)-এর মেয়ারাজ গমন (আকাশভ্রমণ) সশরীরে বা বাস্তবে সম্ভব নহে। তবে কি উহা আধ্যাত্মিক বা স্বপ্ন?
এ কথায় প্রায় সকল ধর্মই একমত যে, ‘সৃষ্টিকর্তা সর্বত্র বিরাজিত’। তাহাই যদি হয়, তবে তাঁহার সান্নিধ্যলাভের জন্য দূরে যাইতে হইবে কেন? আল্লাহতালা ঐ সময় কি হযরত (দ.)-এর অন্তরে বা তাঁহার গৃহে, মক্কা শহরে অথবা পৃথিবীতেই ছিলেন না?
পবিত্র কোরানে আল্লাহ বলিয়াছেন – তোমরা যেখানে থাক, তিনি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছেন।“ (সুরা হাদিদ – ৪)। মেয়ারাজ সত্য হইলে এই আয়াতের সহিত তাহার কোন সঙ্গতি থাকে কি?
কোন কোন ধর্মপ্রচারক বলিয়া থাকেন যে, অমুক কাজে ‘দশ নেকী’ বা অমুক কাজে ‘সত্তর নেকী’ পাওয়া যাইবে। এ স্হলে ‘এক নেকী’-এর পরিমাণ কতটুকু এবং পরিমাপের মাপকাটি কি?
মনুষ্যকৃত ন্যায় ও ‘অন্যায়’ আছে এবং ইহারও তারতম্য আছে। কাজেই ইহারও পরিমাণ আছে। কিন্তু উহা পরিমাপ করিবার মত কোন যন্ত্র অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই।
‘অন্যায়’-এর পরিমাপক কোন যন্ত্র না থাকিলেও বিচারপতিগণ অন্যায়ের পরিমাণ নির্ধারণকরত অন্যায়কারীকে যথোপযুক্ত শাস্তির বিধান করিয়া থাকেন। এ ক্ষেত্রে বিচারকগণ নান প্রকার সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণপূর্বক অন্যায়ের পরিমাণ নির্ধারণ করেন, কোনরুপ যনত্র ব্যবহার না বা করিতে পারেন না।
কঠিন ও তরল পদার্থ ওজন করিবার জন্য নানা প্রকার তৌলযন্ত্র ও বাটখারা আছে। বর্তমান যুগে তৌলযন্ত্রের অভাবনীয় উন্নতি হইয়াছে। লন্ডন শহরের বৃটিশ ব্যাঙ্কে একটি তৌলযন্ত্র আছে। ভষারা (?? আমার বইয়ে পরিষ্কার নয়) নাকি একবারে একশত আশি মণ সোনা, রুপা বা অনুরুপ অন্যান্য দ্রব্যাদি ওজনে উহার কাঁটা দশ ইঞ্চি হেলিয়া পড়ে। তৌলযন্ত্রের এরুপ উন্নতি হইলেও – তাপ, আলো, কাল, দুরত্ব, বিদ্যুৎ ইত্যাদি উহা দ্বারা পরিমাপ করা যায় না। যেহেতু ইহারা পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা আকৃষ্ট হয় না। পূর্বেই বলিয়াছি যে, যাহা কিছু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তির আওতার বাহিরে, তাহা তৌলযন্ত্র বা নিক্তি মাপিবার চেষ্টা বৃথা।
‘অন্যায়’-এর নামান্তর পাপ বা অন্যায় হইতেই পাপের উৎপত্তি। সে যাহা হউক, কোনরুপ তৌলযন্ত্র বা নিক্তি ব্যবহার করিয়া পাপের পরিমাণ ঠিক করা যা কিরূপে?
আমরা শুনিয়া থাকি যে, সুসংস্কৃত ইসলামে কুসংস্কারের স্হান নাই। বিশেষত নিরাকার-উপাসক হইতে সাকার-উপাসকগণই অত্যধিক কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। যদিও বেদ বিশেষভাবে পুতুল-পূজা শিক্ষা দেয় নাই, তথাপি পরবর্তীকালে পুরাণের শিক্ষার ফলে বৈদিক ধর্ম ঘোর পৌত্তলিকতায় পূর্ণ হইয়াছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, বৈদিক বা পৌত্তলিক ধর্মের সহিত ইসলাম ধর্মের অনেক সাদৃশ্য দেখিতে পাওয়া যায়, যাহার ভাষা ও রুপগত পার্থক্য থাকিলেও ভাবগত পার্থক্য নাই। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় বাদ দিলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহে উভয়ত সাদৃশ্য দেখা যায়। যথা –
১. ঈশ্বর এক – একমেবাদ্বিতীয়ম (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)।
২. বিশ্ব-জীবের আত্মাসমূহ এক সময়ের সৃষ্টি।
৩, মরণান্তে পরকাল এবং ইহকালের কর্মফল পরকালে ভোগ।
৪. পরকালের দুইটি বিভাগ – স্বর্গ ও নরক (বেহেস্ত-দোজখ)।
৫. স্বর্গ সাত ভাগে এবং নরক সাত ভাগে বিভক্ত। (কেহ কেহ বলেন যে, ইহা ভিন্ন আর একটি স্বর্গ আছে, উহা বাদশাহ শাদ্দাদের তৈয়ারী।)
৬. স্বর্গ বাগানময় এবং নরক অগ্নিময়।
৭. স্বর্গ উর্ধদিকে অবস্হিত।
৮. পুণ্যবানদের স্বর্গপ্রাপ্তি এবং পাপীদের নরকবাস।
৯. যমদূত (আজ্রাইর ফেরেস্তা) কর্তৃক মানুষের জীবন হরণ।
১০. ভগবানের স্হায়ী আবাস ‘সিংহাসন’ (আরশ)।
১১. স্তব-স্তুতিতে ভগবান সন্তুষ্ট।
১২. মন্ত্র (কেরাত) দ্বারা উপাসনা করা।
১৩. মানুষ জাতির আদি পিতা একজন মানুষ – মনু (আদম)।
১৪. নরবলি হইতে পশুবলির প্রথা পচলন।
১৫. বলিদানে পুণ্যলাভ (কোরবাণী)।
১৬. ঈশ্বরের নাম উপবাসে পুণ্যলাভ (রোজা)।
১৭. তীর্থভ্রমণে পাপের ক্ষয় – কাশী-গয়া (মক্কা-মদিনা)।
১৮. ঈশ্বরের দূত আছে (ফেরেস্তা)।
১৯. জানু পাতিয়া উপাসনায় বসা।
২০. সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত (সেজদা)।
২১. করজোড়ে প্রার্থনা (মোনাজাত)।
২২. নিত্যউপাসনার নির্দিষ্ট স্হান – মন্দির (মসজিদ)।
২৩. মালা জপ (তসবিহ্ পাঠ)।
২৪. নির্দিষ্ট সময়ে উপাসনা করা – ত্রিসন্ধা (পাঁচ ওয়াক্ত)।
২৫. ধর্মগ্রন্হপাঠে পুণ্যলাভ।
২৬. কার্যারম্ভে ঈশ্বরের নামোচ্চরণ – নারায়ণৎ সমস্কতাং নবৈষ্ঞব নরোত্তমম (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)।
২৭. গুরুর নিকট দীক্ষা (তাওয়াজ্জ)।
২৮. স্বর্গে গণিকা আছে – গন্ধর্ব, কিন্নরী, অপ্সরা (হুর-গেলমান)।
২৯. উপাসনার পুর্বে অঙ্গ ধৌত রা (অজু)।
৩০. দিগনির্ণয়পূর্বক উপাসনায় বসা বা দাঁড়ান।
৩১. পাপ-পুণ্য পরিমাপে তৌলযন্ত্র ব্যবহার (মিজান)।
৩২. স্বর্গস্বামীদের নদী পার হওয়া – বৈতরণী (পুলছিরাত) ইত্যাদি।
ঐ সমস্ত ছাড়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিধি-নিষেধেও অনেক সাদৃশ্য পাওয়া যায়, সে সকল বিষয়ে চিন্তা করিলে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, হয়ত ইসলাম হইতে বিষয়গুলি পৌত্তলিকগণ গ্রহণ করিয়াছেন, নচেৎ পৌত্তলিকদের নিকট হইতে ইসলাম উহা গ্রহণ করিয়াছে। কিন্তু ইহা নিশ্চিত যে, পূর্ববর্তীগণের নিকট হইতে পরবর্তীগণ গ্রহণ করিয়াছে। পরবর্তী কাহারা?
* মূল পান্ডুলিপির রচনাকাল ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ।
১১. নক্ষত্র পরিচয়, প্রমথনাথ সেনগুপ্ত, পৃষ্ঠা. ১৪, ১৬
১২. মহাকাশের ঠিকানা, অমল দাসগুপ্ত, পৃষ্ঠা ৯৫
মুক্তমনার সৌজন্যে ইউনিকোড বাংলায় লিখিত।
নিশাচর
দারুণ লেখা ।
ভাইয়েরা বিশ্বাসই একটি অযুক্তির বিষয়।অন্ধবিশ্বাস মানুষের যুক্তিবোধ উপলব্ধির অন্তরায়।
test
@নিশাচর,
test
অসম্ভব ভাল লাগছে তোমার এই সুন্দর প্রোজেক্ট দেখে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো তোমার জন্যে।
@স্বপ্নীল,
ধন্যবাদ।
এই প্রোজেক্টে আপনারও অংশ নেয়ার কথা ছিল। আপনার কাজের কোন অগ্রগতি হয়েছিল কি? 😕
ফিরাউন সম্পর্কে কেউ যদি কোনো তথ্য দিতেন, খুব উপকার হোতো।
(আমি মুক্তমনার একজন নিয়মিত পাঠক)
ধন্যবাদ সবাইকে :rose:
@Digital Aslam,
মুক্তমনায় ফেরাউনের ওপর পূর্ণ লেখা আছে কি না আমি নিশ্চিত নই। তবে বিভিন্ন পোস্টে এবং মন্তব্যে আংশিক ভাবে ফেরাউনের প্রসঙ্গ এসেছে। যেমন: http://blog.mukto-mona.com/?p=6070
উইকি তে বেশ ভাল information আছে। দেখতে পারেন:
http://en.wikipedia.org/wiki/Pharaoh
আবুল কাশেম-এর “A Guide to the Qur’anic Contradictions”-এ পাবেন ফেরাউন সম্পর্কিত বেশ কিছু কোরআনের আয়াত এবং Contradiction (ইংরেজীতে):
http://mukto-mona.com/wordpress/?author=4
ফেরাউনের Myth সম্পর্কে বেশ ভাল একটি Article আছে এখানে:
http://www.scribd.com/doc/40241011/Li-Kulli-Fir-awn-Musa-The-Myth-of-Moses-and-Pharaoh-in-the-Iranian-Revolution-in-Comparative-Perspective
@নিশাচর,
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া——> :rose:
@Digital Aslam,
স্বাগতম।
অনেক দিন ধরেই মুক্তমনা সাইটের লেখাগুলো পড়ছি। এটা আমার প্রথম মন্তব্য।
আরজ আলীর লেখা গুলো থেকে আমার ভাবনার অনেক দিক খুলে দিচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ @নিশাচর কে। :yes: :yes:
তিনি আমার মত যারা মুক্ত মনের অধিকারী হতে চায় তাদের সাহায্য করছেন বলে।
@আলামীন, আমার মনে হয় এভাবে “হতে চেয়ে” কিছু হওয়া যায় না। যেকোনো বিষয়েই শুধু শোনা কথায় পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন না করে মনের জানালা-কপাট খোলা রেখে নিজ থেকে একটু চিন্তা-ভাবনা করলেই হয়। সাথে সহকারী হিসাবে যতটা সম্ভব পড়া-শুনা চালিয়ে যাওয়া…
@আলামীন,
Shravan ঠিকই বলেছেন। যেকোনো বিষয়ে অন্ধ বিশ্বাস স্হাপন না করে আগে তা নিজের যুক্তি বুদ্ধি জ্ঞান বিজ্ঞান দিয়ে বিবেচনা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হোক সে শত শত বছর ধরে পালিত হয়ে আসা ঐতিহ্য। ওটা করতে থাকলেই মুক্তচিন্তার সাথে বন্ধন তৈরী হয়ে যাবে।
আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি বলে ভাল লাগল। ধন্যবাদ। :rose:
এরকম শুভ উদযোগের জন্য সাধুবাদ।
:coffee:
@ক্রান্তিলগ্ন,
আপনাকে ধন্যবাদ। 🙂
ধন্যবাদ ওনার সম্পর্কে লেখার জন্য,খুব বেশি ভালো লাগে ওনাকে,ওনার সব কয়টা বই পড়েছি আর অভিভুত হয়েছি আর চার পাশের মানুষদের দেখে করুনা হয়েছে কারন তিনি যে অবস্থানে থেকে এতো মুক্ত ভাবে চিন্তা করতে পেরেছিলেন সে অবাস্থানের সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র -ছাত্রীদের অবস্থানের তুলনা করলে,করুনা না হওয়ার কোন কারন নেই…….।।…
@রনি,
বিশ্ববিদ্যালয় তো মুখস্হ কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুক্তচিন্তা এখন ছাত্র-শিক্ষকের কাছে বিলাসিতা! ডারউইনের সূত্র সবাই পড়ছে, এর অন্তর্নিহিত সত্য অনুধাবন করছে কয়জন? বিজ্ঞান অনুষদের প্রতিটি বিষয় বিজ্ঞান আছে, আলোর পথের ইঙ্গিত আছে, আলোর সন্ধান করে কয়জন!
ব্যতিক্রম আছে অল্প।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বিশাল বড় পরিশ্রমসাধ্য একটি প্রজেক্ট শেষ করার অভিনন্দন জানবেন। সুন্দর একটা রেফরেন্সের উতস হয়েছে এটা।
সম্পূর্ণ তিন খণ্ডেরই কী পি.ডি.এফ. আকারে বই হিসেবে আসবে?! জানাবেন। আর ধন্যবাদ এরকম শুভ উদ্যোগ এর জন্য।
@নিঃসঙ্গ বায়স,
তিন খন্ডের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারছি না কারণ, আমার এর পরের সিরিজ হবে হুমায়ুন আজাদের ‘আমার অবিশ্বাস’-এর ওপর (আলোচনা সহ)। তবে শুধু সত্যের সন্ধানের একটি pdf লেখা শেষ হবার পর তৈরী করে মুক্তমনায় রাখা যেতে পারে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
@নিশাচর,
এই প্রশ্নটি বার বার আসছে। কিন্তু আপনি বরাবরই তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। :deadrose:
@বিপ্লব রহমান,
উত্তরটা জানা থাকলে ভালই হত। আরজ আলী মাতুব্বর স্যার বেঁচে থাকলে জিজ্ঞেস করতাম। কিন্তু বড় দু:খ। তিনি নেই।
তবে এটা বলতে পারি তিনিও চাইতেন তাঁর সত্য সন্ধান পৌঁছে যাক সবার কাছে। আপনিই বলুন কি করা যায়।
@নিশাচর,
অনলাইনে আরজ আলীর দর্শন ছড়িয়ে পড়ুক– এটি আমারো একান্ত কামনা। তবে এ জন্য আইনী সুরক্ষা চাই। নৈতিকতার প্রশ্নটিও আছে। এ জন্য বার বার কপিরাইটের কথা বলছিলাম। …
আমার মনে হয়, আরজ আলীর লেখা ই-বুক আকারে প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকের অনুমতিই যথেষ্ট।
আপনার পরিশ্রম সর্বাত্নক সার্থক হোক। :rose:
আপনি খুব চমৎকার একটি কাজ করছেন। অনেকেই জানেন না যে আরজ আলী মাতুব্ববরের জন্মবার্ষিকী ১৮ই ডিসেম্বর। এই দিনের প্রাক্কালে এই লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। এমনিতেই আরজ আলীর লেখাগুলো নেটে রেখা দেয়া জরুরী।
আপনার লেখার ট্যাগ এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। ঠিক করার সময় লক্ষ্য করলাম যে, এক প্যারা অন্য প্যারায় চলে গেছে। ছোট অংশ কপি করার সময় মাউস উপরে চলে গেলে এমন হয় কোন কোন পিসিতে। আপনার প্রতি অনুরোধ কপি করলে পুরোটা একসাথে কপি করবেন, ছোট ছো্ট অংশ নয়। আর কপি করার সময় ভিজুয়াল এডিটর বন্ধ রাখবেন। আমি যতদূর পারি ঠিক করেছি, আপনি দেখুন সবকিছু জায়গামত আছে কিনা।
এটা একটা সংস্কৃত শব্দ, একমেবাদ্বিতীয়ম মনে হয়।
আপনার বইয়ে অনেক কিছুই স্পষ্ট নয় মনে হচ্ছে। আপনি পাঠক সমাবেশ থেকে আরজ আলী রচনা সমগ্র(প্রথম খণ্ড) সংগ্রহ করে নিতে পারেন। ওতে কিন্তু ছাপা স্পষ্টই।
@অভিজিৎ,
আজ নিশাচর ভাইয়ের ট্যাগ নিয়ে চরম কাণ্ড হয়ে গেসে :laugh: ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
চরম কাণ্ডের ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যক্রমে খালি তুমি আমি বুঝতেসি। তোমার মাথাই তো প্রায় আউলায় গেসিলো সাইটের চেহারা দেইখা! 😀
সাধে কি আমি নিশাচর জাতীয় প্রানীদের এতো ডরাই…
@অভিজিৎ দা,
ওয়ার্ডপ্রেস ইন্জিনও কম যায় না, পারেও সে! আমি তো ভয়ই পাইছিলাম। আমার কারণে বুঝি বারোটা বাজল! 🙁
আপনি মনে হয় ভুলক্রমে আরজ আলী মাতুব্ববরের জন্মবার্ষিকী ১৮ই ডিসেম্বর লিখেছেন। আসলে ওটা ১৭ ডিসেম্বর আমার লেখাটা যদিও late post.
আরেকটা কথা, USA-এর সময়ানুসারে আমি কিন্তু দিবাচর! 😎
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তোমাকে ভাল Testing Engineer হতে হবে। প্রথম পরীক্ষা বলে কিছু বললাম না! 😛
@নিশাচর,
আমার কিছু বলার নাই 😐 । ট্যাগ বন্ধ করতে ভূলে গিয়েছিল কে :-/ ?।
আমি,নিশাচর ভাই দুইজনই যে ভূলটা করসি,বারবার একই পেজ লোড করসি ঠিক হইসে নাকি দেখতে। শুধু যে একটা পোস্টে এই ঘটনা ঘটসে সেটা বুঝেছি অনেক পরে। এর মধ্যেই মহা কাহিনী করা হয়ে গেসে। আমি ভাবসি আমার সাধের এডিট করা থিমটা মনে হয় মারাই গেসে :(।
ব্যাপক এক অভিজ্ঞতা হলো বটে 🙂 ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
কাহিনীই বটে। বাংলা ব্লগের হোমপেজের নীচে শোভা পাচ্ছিল আমার Legendary post! 🙂
@নিশাচর,
আপনার লেখার ফরম্যাটিং কিন্তু ঠিক নেই। আপনি আবার পড়ে দেখুন।
কিন্তু ইহা নিশ্চিত যে, পূর্ববর্তীগণের নিকট হইতে পরবর্তীগণ গ্রহণ করিয়াছে। পরবর্তী কাহারা?
এই লাইনের পরে প্যারাগুলো পড়ুন।
সেগুলো যাবে ১৩. এক নেকী কতটুকু? কিংবা ১৪ পাপের ওজন কিরকম অংশে।
তারপর –
উপরের অংশ গুলো যাবে – ১১. মেয়ারাজ কি সত্য, না স্বপ্ন? অংশে।
শেষ প্যারাটি যাবে মনকির নকির বা ফেরেস্তা অংশে।
কপি করার সময় আপনার ফরম্যাটিং ঠিক হচ্ছে না। দয়া করে একটু ঠিক করুন।
@মুক্তমনা এডমিন,
লেখা ঠিক আছে। পুনরায় আপলোড করে দিলাম। এডমিনদের অনুরোধ করেছি লেখা পুনরায় এডিট না করতে। অনেক ধন্যবাদ খেয়াল রাখার জন্য।
@অভিজিৎ দা,
লেখাগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমারও শান্তি নেই। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে নেয়া।
আমি, আপনি একসাথে এডিট করছিলাম। বিপদ ঘটেছে সে কারণেই। ওপরে Warning ছিল।
Warning: মুক্তমনা এডমিন is currently editing this post
আবার আপডেট করে দিলাম।
ঠিক করে দিলাম। অনেক ধন্যবাদ। :rose: