আমেরিকার অলীক শত্রু
ক্যাথেরীনা রোজারিও কেয়া
যেতে তো চাই নি, তবু জোর করে পাঠালো
না গিয়েও উপায় নেই, পরিস্থিতি একটু তো ঘোরালো
বয়স যখন মাত্র ষোল , স্বপ্ন তরী ভাসলো জলে
ইচ্ছে বৈঠা আমার হাতেই, হাওয়া লাগলো নতুন পালে
মাস কাবারে দয়া সরকার কলেজে ভরেন মায়না
চুক্তি করেছি সৈ্নিক হবো, যদিও মন চায় না
যুদ্ধ বাজ নই তো আমি, সিক্ত শান্তি জলে
মায়নে নিয়েছি বছর বছর , এখন এসব বললে কি চলে?
যেতেই হবে যুদ্ধ ক্ষেত্রে চাই বা না চাই আমি
আটকে গেছি জটিল জালে সাধ্য নেই তো থামি
ভীষণ যুদ্ধ কপট যুদ্ধ , অস্ত্র আমার হাতে
বুকের ভেতর মৃদু ধাক্কা- একি রক্ত এলো সাথে?
দুদিন পরেই বৃষ্টি দিনে এলাম যখন ফিরে
অবাক কান্ড ! লোক জন সব কাদঁলো আমায় ঘিরে
আমি এখন কফিন বন্দী – বীর সেনানী লাশ
আমেরিকার অলীক শত্রু- জঙ্গী করেছি নাশ
সোভিয়েত রাশিয়া যখন পেরেস্ত্রয়কা আর গ্লাসনস্ত নামের মরণ হেঁচকি তুলে মারা গেল তখনি তাকে সমাহিত করতে কফিন নিয়ে যারা অপেক্ষা করছিল তারা সমাজতন্ত্র পরবর্তী নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার সপ্ন দেখানোয় ব্যস্ত! ১৯৯১ সালের ১৬ই মার্চ বার্কলের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ায় দেয়া ভাষণে আমেরিকার antorjatik সম্পর্কের গবেষক নওয়াম চমস্কি বলেন ” জর্জ বুশ এবং জেমস বেকার এর বক্তব্য অনুযায়ী আমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছি বিশ্ব ইতিহাসের বিরল, পরিবর্তনশীল এক মুহুর্তে যার ভিত্তি আইন,ন্যায়পরায়নতা আর শান্তি” কিন্তু বিশ্বও রাজনীতিতে ভারসাম্যহীনতার সুযোগ নিয়ে তেল-আবিব এর ইহুদিগণ বিশ্ব জুড়ে তাদের আদর্শগত মূলশত্রু মুসলমান সম্প্রদায় (বিশ্ব ব্যাপী সব ধর্মের প্রচার প্রসার বন্ধ হয়ে গেলেও ইসলামের ক্ষেত্রে তা এখনো হয়নি এবং তা নব্য ইহুদিদের দুশ্চিন্তার কারণ ; তারা সারা পৃথিবীকে godless global village বানাতে চায় কিন্তু ইসলামের কারণে তা হয়ে উঠছে না)এবং সম্ভাব্য ইসলামী বিপ্লব প্রতিরোধ ও নির্মূলের পরিকল্পনা নেয়!তাদের এই পরিকল্পনায় স্নায়ু যুদ্ধোত্তর বিশ্বে অস্ত্র ব্যবসার হাল ধরে রাখার পাশাপাশি আগামী দিনের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক ইসলামী শক্তিকে ফাঁদে ফেলে হেয় প্রতিপন্ন এবং দুর্বল করার ছক আঁকে!
USA এর think-tank ইস্রায়েল এর ইহুদিবাদীদের(যারা এই মুহুর্তে সারা পৃথিবীর বানিজ্য, প্রযুক্তি এবং প্রশাসনের কান্ডারী) পরিকল্পনা অনুযায়ী USA এর পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দু ইউরোপ থেকে অনাহরিত সম্পদের ভান্ডার মুসলিম প্রধান এশিয়ার দিকে ফেরানো হয়/জন্ম দেয়া হয় 9/11 এর! একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলেই বোঝা যাবে 9/11 এর সন্ত্রাসী হামলা ইহুদিদের একটা নোংরা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না! আফগানিস্তানের দরিদ্র জনগনের পক্ষে কখনই এমন একটা হামলা বাস্তবায়ন সম্ভব না! এই 9/11 এর ভাষণে জর্জ W বুশ ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের ঘোষণা দেন/সন্ত্রাসের নামে যুদ্ধের নামে এই ক্রুসেডে যে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র কে এর প্রতিপক্ষ চিন্হিত করে গণতন্ত্র, মুক্তি বা স্বাধীনতার নামে সেখানে হামলার এমন সব পদ্ধতি রাখা হয়েছে যা সব পৃথিবীর আইন, মানবাধিকার এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি! সারা পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির মাঝে নিজেদের অস্ত্র অর্থ দিয়ে জাতিগত দাঙ্গা ছড়িয়ে নব্য-উপনিবেশিকতার আড়ালে তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার করে চলেছে!
USA এর ধর্মভিত্তিক বুশ প্রশাসনএর নব্য রক্ষনশীল নীতি অনুযায়ী শুরু করা যুদ্ধের প্রথম শিকার আফগানিস্তান! USA এর লালন করা আফগান শাসক তালেবান এবং উসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানের ওপর দিয়ে আরব সাগর পর্যন্ত তেল ও গাস এর পাইপলাইন সম্পম্প্রসারণ চুক্তির অংশ দাবি করে/ কিন্তু US কোম্পানি তা প্রত্যাখান করে এবং আফগানিস্তানকে 9/11 এর সাথে যুক্ত করে আক্রমন করে/ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হয় আফগানিস্তান /লাভবান হয় ভারত/সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে জড়িয়ে ভারত শুধু central asia, middle east ও south asia তেই আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পায়নি বরং সামরিক দিক থেকেও অনেক অন্যায় ও বৈষম্যমূলক সুবিধা লাভ করে!
9/11 এর সাথে সম্পর্ক থাকার মিত্থ্যা অভিযোগে ব্যাপক মারনাস্ত্র থাকার কথা তুলে UN এর অনুমতি ছাড়াই USA তার ঘনিষ্ট মিত্র ইরাকে হামলা চালায় এবং তাকেও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করে! এরপর তারা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সহযোগী বানিয়ে পাকিস্তানকেও পুরোপুরি অস্থিতিশীল তথা ব্যর্থ বানিয়ে রেখেছে! USA লেবাননেও তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে 2006 সালে ইঙ্গ-মার্কিন-ইসরায়েলি হামলা ব্যর্থ হবার পর সেখানে জাতিসংঘের বাহিনী মোতায়েন করে তাকেও একরকম ব্যর্থ করে রেখেছে!
এবার পারমানবিক অস্ত্র সমৃদ্ধিকরণের কথা বলে Iran কে টার্গেট করেছে তারা! বিভিন্নভাবে ইরানকে তার নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে উঠে পরে লেগেছে গত অমুসলিম বিশ্ব, ভারতও এর ব্যতিক্রম নয় !তবে ইরানের বিষয়টা তত সহজ নাও হতে পারে! কেননা ইরানের জাতিগত ঐক্য অনেক শক্ত! বাংলাদেশকেও একটা অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে উঠে পরে লেগেছে তারা! গভীর চিন্তার ব্যাপার হলো মুসলিম বিশ্বে জঙ্গিবাদ এর অর্থের উত্স আসলে যোগান দিচ্ছে ইসরেল এর এবং এর দোসররা !সোমালিয়া সহ আফ্রিকার মুসলিম প্রধান দেশগুলোতেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে তারা! নিজেদের তৈরী অস্ত্র বিলিয়ে দেশে দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাস আর তারপর সেই দেশে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে শুরু করছে শোষণ আর বঞ্চনার মহড়া! মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ভুল হলো তারা ইসলামী ভাতৃত্ববোধ সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে পাশ্চাত্যের অনুকরণে নিজেদের মধ্যে বিবাদে মগ্ন! অবশ্য তাদের নবী (স:) অনেক আগেই এমন ভবিষ্যতের কথা বলে গেছেন! এখন শুধুই মুসলমানদের অবনমনের সময়!কয়েকদিনের মধ্যেই গত মুসলিম বিশ্বের ওপরেই নেমে আসবে অবর্ণনীয় অত্যাচারের খড়গ!এ থেকে পরিত্রানের উপায় সহসাই মিল্বেও না! তবে অনেক ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত ইসলামের জয় হবেই!
@Muhammad Talut, nice saying man. most of the people don’t know these things.
@কেয়াদি,
ভাবনাটা অভিনব।ছন্দ কি মিশ্র?মূলত পাঁচ মাত্রার পর্বের স্বরবৃত্তে কান সায় দিচ্ছে,যদিও চিরায়ত স্বরবৃত্তের চাল নয়।অক্ষরবৃত্ত তো আমার কানে ঠেকছে না।ঠিক বললাম কি?
লিখতে তো চেয়েছিলাম ছড়ার ছন্দে, যার গতি হবার কথা ছিলো তরিৎ, চটুল। এর আরেক নাম শ্বাসাঘাতপ্রধাণ ছন্দ। এই ছন্দের প্রত্যেকটা পর্বের প্রথম অক্ষরে একটা ঝোঁক পড়বার কথা ছিল। ডঃ নীরদ বরণ হাজরার ভাষায় “আমরা অক্ষরের মাত্রা সংখ্যা গুনবার যে নিয়ম শিখেছি তা’ এক্ষেত্রে অচল।” খুশীমত কখনও দুই মাত্রাকে এক মাত্রা করে লেখা যায় আবার এক মাত্রাকে করা যায় দুই মাত্রা। নীরদ বরণ আরো বলছেন “আসলে এখানে গোনা হয়, স্বরের সংখ্যা। যত স্বর, ততগুলি মাত্রা।এজন্যে এর অন্য নাম ” স্বরবৃও।
এই ছন্দ বিষয়ে প্রবোধচন্দ্র সেন বলছেন যে এটিকে ধামালী ছন্দও বলা হতো, ধামালী শব্দের অর্থ হচ্ছে ধাবমান, দ্রুত গতিশীল।
সুবীর ভট্টাচার্য বলছেন এই ছন্দ গঠিত হয় “দলমাত্রা” নিয়ে। মুক্ত বা রুদ্ধ সব দলই উচ্চারণ সমান হয়। অর্থাৎ পড়বার সময় একমাত্রাই দাঁড়ায়।
রবীন্দ্রনাথ দিয়ে শেষ কথাটা লিখি। তিনি বলছেন “ছন্দ এমন একটা বিষয় যাতে সকলে একমত হতে পারে না। তোমার সঙ্গে একমত হতে পারবো এমন আশা করা যায় না। ছন্দ হচ্ছে কানের জিনিস। একেক জনের কান একেক রকম ধবনি পছন্দ করে।”
এ তো গেল তত্ত্বকথা। ছড়াটা লিখতে গিয়ে কতটা কি হয়েছে জানি না, তবে আনন্দ পেয়েছি এটুকু বলতে পারি।
@ কেয়াদি,
আপনার ছড়ার চালে স্বরবৃত্ত খুব সার্থকভাবে আছে।মাত্র এক দুইটা পংক্তির পর্বে ,যেমন “মায়নে নিয়েছি বছর বছর ” পাঁচ মাত্রা রাখেন নি।স্বরবৃত্তে সাধারণত ২,৩ বা ৪ মাত্রার পর্ব রাখা হয়।৫ ও হতে পারে ।আমি ভেবেছিলাম আপনি সচেতন ভাবে একটা এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছেন।
@কেয়াদি,
বহু জায়গায় চার স্বরমাত্রা করে আছে।আজ আবার ভালো করে খেয়াল করলাম। 🙂
কেয়া, আপনার কবিতার বক্তব্য নাড়া দিয়েছে।একটা প্রাচীন ক্ষুদে কবিতার লাইন মনে পড়ছে।আমার অক্ষম ভাবানুবাদ।
নিহত স্পার্টানের জন্য
বন্ধু ,লাকেদাইমোনিয়ানদের কাছে,
নিয়ে যাও এ খবর,-
শুনতে গিয়ে তাদের নির্দেশ,
আমরা হয়েছি গণ কবর।
(For The Spartan Dead at Thermopylai by Simonides)
অবশ্য আমেরিকান সৈন্যরা গণকবর হয় নি,সে ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে ইরাক এবং আফগানিস্তানের মানুষকে)
আজকের খবরে জানলাম, প্রেসিডেন্ট ওবামা আরো ত্রিশ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছেন আফগানিস্তানে। অলীক শত্রু নিধনের জন্য। সাথে নিধন হচ্ছে ঊনিশ-কুড়ি বছরের বাচ্চা আমেরিকান ছেলেমেয়েরা।
কেয়ার ছড়াটা বেশ অভিনব – একজন মৃত আমেরিকান সৈন্যের মুখে বলা। বেশ ভালো লাগলো।
সেদিন একটা বাম্পার স্টিকার দেখলাম – support our troops, bring them back – আমি একমত।
@ইরতিশাদ,
আমি মাঝে মাঝে ভাবতে চেষ্টা করি একজন আমেরিকান বাবা মার কথা যার ছেলে এরকম অকারনে মিথ্যা প্রপাগান্ডার শিকার হয়ে বিদেশ বিভূইয়ে প্রান দিয়েছে। ভিয়েতনাম, ইরাক, আফগানিস্তান, এর শেষ কোথায়?
আমেরিকান মানুষ আমি খুব পছন্দ করি, কিন্তু এদের আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে অন্ধ, বোবা, কালা সেজে শুধু সরকারের কথাকে বেদবাক্য ধরে বসাটাকে কোনদিন মানতে পারি না।
এদের মনে হয় কোনদিন চেতন হবে না।
কেয়া আপা,
সুন্দর। ভাবগত জায়গা থেকে একমত।
কিন্তু কবিতার ভাষাগত বৈশিষ্ট্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কবিতা শুধু শাব্দিক অর্থ নয়। তার ব্যঞ্জণা, উদ্ভাস এবং শ্রুতি মধুরতা তাকে কথা থেকে কবিতা করে তোলে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় আরেকটু ভালো হতে পারত। যেমন ধরুন —
“মাস কাবারে দয়া সরকার কলেজে ভরেন মায়না”- এই লাইন টি গঠনগত দিক থেকে পুরোপুরি সম্পূর্ণ মনে হচ্ছেনা।
ছন্দ গঠনের দিক থেকে কিছু ইনকনসিস্টেন্সি (দূর ছাই, এর বাংলা কী?) লক্ষ্য করছি।
যেমন—
আমি এখন কফিন বন্দী – বীর সেনানী লাশ
আমেরিকার অলীক শত্রু- জঙ্গী করেছি নাশ
দ্বিতীয় বাক্যে জঙ্গী শব্দটি দুই মাত্রার হওয়াতে অক্ষর বৃত্তের ছন্দ পতন ঘটছে। কিন্তু আবার কিছু লাইন অসাধারণ। যেমনঃ
ভীষণ যুদ্ধ কপট যুদ্ধ , অস্ত্র আমার হাতে
বুকের ভেতর মৃদু ধাক্কা- একি রক্ত এলো সাথে?
ভুল বুঝবেননা, আমি ঠিক সমালোচক নই। নিজের মত যা মনে হয়েছে আর কি। যারা লিখতে পারেনা তারা নাকি সমালোচক হয়। জীবনানন্দ সমালোচকদের জন্য একটি কবিতা লিখেছেন—-
‘বরং নিজেই তুমি লেখোনাকো একটা কবিতা—”
বলিলাম ম্লান হেসে; ছায়াপিণ্ড দিলো না উত্তর;
বুঝিলাম সে তো কবি নয়– সে যে আরূঢ় ভণিতাঃ
পাণ্ডুলিপি, ভাষ্য টীকা, কালি আর কলমের ‘পর
বসে আছে সিংহাসনে — কবি নয়– অজর, অক্ষর”—- 🙁
@বকলম,
চমৎকার আলোচনা। :yes: এরকম গঠনমূলক (সমা)আলোচনা আরো দরকার। আসলে কেবল ‘খুব ভাল হয়েছে’, ‘খুব ভাল লেগেছে’ – এ ধরণের গতানুগতিক মন্তব্যের বাইরে মন্তব্য না আসলে লেখালিখির ক্ষেত্রে আত্মিক, মানসিক কোন উন্নতিই কিন্তু আশা করা যায় না। ব্যাপারগুলোকে কিন্তু গঠণমূলক দৃষ্টিকোণ থেকে সবার গ্রহণ করতে হবে।
আমি কবিতার ক্ষেত্রে অন্তঃমিলের ব্যাপারগুলো একদমই কম বুঝি। এমনিতে যা বুজেছি তা হল – কবিতাটা (ছড়া) সত্যই অভনব। একজন মৃত আমেরিকান সৈন্যের বলে যাওয়া বানী, যেটা নীচে ইরতিশাদ ভাই উল্লেখ করেছেন। এই অভিনবত্বটুকু ভাল লেগেছে। তবে কিছু লাইনের মিলের ব্যাপারে বকলমের মত আমারো খটকা আছে। তবে স্বীকার করেই নিচ্ছি, কবিতা একেবারেই কম বুঝি আমি। সেজন্যই বকলম আর কেয়ার আলোচনা থেকেই বোঝার চেষ্টা করব বাকিটা।
@অভিজিৎ,
অত আতেল হতে ইচ্ছে করে না। আমি এজন্যই কবিতা থেকে সাধরনত একটু দূরে থাকি। এটা ভাল লেগেছে বিষয়টার জন্য। কবিতা সাহিত্য সবই মনের ব্যাপার। সব নিয়ম মেনে, স্কুলে শিখিয়ে কি কবিতা লেখা শেখানো যায়?
চমতকার কবিতা।
এত সরল ভাবার্থ, যে কারোই একমত হতে কোন অসুবিধে থাকার কথা নয়।
কিন্তু যাদের উদ্দেশ্যে বলা তাদের কি চেতন কোনদিন হবে?