প্রতিদিনের পত্রিকার পাতা ও টিভির পর্দায় রকমারি দাড়ি শোভীত একদল যুবকের ছবি দেখানো হচ্ছে। সংখ্যায় তারা প্রায়ই হাফ থেকে ফুল ডজনের মত। এই ডজেন ডজন যুবক ধরা পড়ছে আমাদের আইন শৃঙ্খ্লা বাহিনীর হাতে। তাদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে গ্রেনেড, ডেটনেটর, বোমা তৈ্রীর নানা সরঞ্চাম এবং জিহাদী বই। তাদের এই ধরা পড়ার ঘটনা যতটানা স্বস্তির তার চাইতে অনেক বেশী উদ্বেগের। কারন এই ঘটনা প্রমান করছে, তারা যে সংখ্যায় ধরা পড়ছে, ধরা না পড়া সংখ্যাটা তার চাইতে বহুগুন বেশী। একটা বিশাল অয়োজন চলছে। তার সমস্ত আলামত এখন প্রকট হয়ে উঠছে। যে ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধিতে আমাদের সমাজ-রাষ্ট্র অদূর ভবিষ্যতে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে তার পূর্ব লক্ষন, কারন, সম্ভাব্য পরিনতি ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করবো।
পূর্ব লক্ষনঃ যেকোন প্রতিষ্ঠীত মতবাদ বা ধর্মের মত মুহাম্মদের ইসলামও প্রচারের শুরুর দিকে ছোট আকারে ছিল। ধীরে ধীরে এর আয়তন বাড়তে থাকে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুহাম্মদকে ছোট বাহিনী নিয়ে বড় বাহিনীর মোকাবেলা করতে হয়েছে। পরিমান যেহেতু তার পক্ষে ছিলনা ফলে গুনের উপর নির্ভর করা ছাড়া তার উপায় ছিলনা। যে জন্য, বাহিনীর মনোবল বাড়াবার প্রয়োজনে, জিহাদী জোস ছড়ানোর প্রানান্ত চেষ্টার ছাপ পাওয়া যায় কোরান ও হাদিসের পাতার পর পাতা জুড়ে এবং মুসলমান বাহিনী মধ্যযুগের একটা সময় পর্যন্ত দিগ্বিজয়ী বাহিনীর খেতাব ধরে রাখতে পারে। যদিও তাদের এই দিগ্বিজয়ী বাহিনীতে পরিনত হবার পেছনে আরো গুরুত্বপূর্ন উপাদান রয়েছে কিন্তু এই আলোচনার ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক বিধায় বাদ দিচ্ছি।
প্রথম থেকেই মুসলমান অভিযান মূলত আরব সাম্রাজ্যবাদের সমান্তরালে বয়ে চলে। বর্তমান জিহাদের সাথে পূর্ববর্তি আরব অভিযানের মূল পার্থক্যকারী বৈশিষ্ট হচ্ছে, পূর্বেরটা ছিল আগ্রাসী চরিত্রের আর বর্তমানেরটা রক্ষনাত্ত্বক। যারা এক্ষেত্রে বদরের যুদ্ধের নজির টেনে দেখাতে চাইবেন যে আসলে মুসলামানরাই প্রথমে আক্রান্ত হয়েছিল। তাদেরকে বলবো, দয়াকরে ইসলামের ইতিহাস আরেকটু গোড়া থেকে অধ্যয়ন করার জন্য। মদিনায় হিজরত করা মুসলমানদের একটা দল মক্কার বনিক কাফেলাকে লুট করেছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই মক্কাবাসী; মুসলমানদের আক্রমন করে। মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের পরের ইতিহাস পুরোটাই ধারাবাহিক আগ্রাসনের ইতিহাস।
ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের পরে যে নতুন মূল্যবোধ, উৎপাদন শক্তির যে বিপুল বিকাশ আর তার সাথে যে নতুন আগ্রাসী শক্তিগুলর উদ্ভব হয়, তাদের সাথে মুসলামানরা নিজেদের অন্তসারশূন্য শ্রেষ্ঠত্ত্বের অহমিকা নিয়ে প্রতিযোগীতায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকে। তারা তাদের নবায়নের অযোগ্য জীবন বিধান ও মূল্যবোধের বন্ধ্যা অবস্থার বোঝা ক্রমশ ভারি করতে করতে কেবল ইউরোপ না বরং আজ তারা মানব জাতির অন্য সকল সম্প্রদায়ের থেকে হীন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। অবক্ষয়ের অন্তিম দশা চূড়ান্ত পরিনতি পায় যখন মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-গর্ভে আবিস্কৃ্ত হয় তেলের খনি। এটা তাদেরকে সব ধরনের জীবনমূখি উদ্যোগ থেকে কার্যত বিমূখ করে রাখে। অনায়াসলব্ধ প্রাচূর্যে ধনীর বখে যাওয়া বালকের দশা হয় তাদের। সীমাহীন ভোগ আর দরিদ্র মুসলিম দেশ সমূহে ইসলামিকী করনের উদ্দেশ্যে দান-খয়রাতের মধ্যে তাদের কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ে। মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসারে অঢেল টাকা তারা খরচ করে। আর মাগনা পেলে আলকাতরা খাবার প্রবাদের মর্যাদা নিশ্চিৎ করতে, আমাদের সরকারগুলো অকাতরে এই খয়রাতি সাহায্য এনে, জাতীকে শিক্ষিৎ করার মহান দায়িত্ব অতি সর্ট-কাটে সেরে ফেলে, যথারিতী নিজেদের আখের গোছানো্র মোহময় কাজে পুনঃমনসংযোগ করেন।
কারনঃ আধুনিক মুসলিম উগ্রবাদের শুরু বলা যায় ফিলিস্তিন সমস্যা থেকে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের অন্যায় আচরন বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের দ্বারা নিন্দিত হওয়া সত্ত্বেও তা পশ্চিমা বিশ্বের কায়েমী স্বার্থের প্রকাশ্য মদদে চলতে থাকে। এবং এই সমস্যা সমাধানে আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা ঐসব দেশের সাধারন মানুষের বড় অংশের চোখে সব সময়ই সন্দেহযুক্ত থেকে যায়। ফলে ফিলিস্তিনিদের সাহায্যকল্পে প্রথম দিকে বেশ কিছু আরব কেন্দ্রীক জঙ্গিবাদী সংগঠন গড়ে উঠে। পরবর্তিতে এরা বিভিন্ন আরব দেশের সরকারের সরাসরি সমর্থন পেয়ে বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠে।
যদিও এর অনেকটাই যে আরবের তেল এবং অস্ত্র বানিজ্যের মত বিষয়ের কারনে সুপরিকল্পিতভাবে জিইয়ে রাখা একটা সমস্যা, সেটা বোঝার জন্য খুব বেশী কসরত করতে হয় না। ইরাকের গনতন্ত্রায়নের জন্য যে আমেরিকার এত মাথা ব্যাথা, সৌদি আরবের ব্যাপারে তারাই কত উদার। আসলে ইরাকের তেলের খনির লিজ আমেরিকার হাতে ছিলোনা ফলে তার এত মাথাব্যাথা। ইরানের ক্ষেত্রেও তাই। দেখুন সম্প্রতি সীদ্ধান্ত হয়েছে, ইরানের ইউরেনিয়াম স্বল্প মাত্রায় সমৃদ্ধ করে ফেরত দেবে ফ্রান্স ও রাশিয়া। কারন আমেরিকার দ্বারা ইরান আক্রান্ত হলে বর্তমান খনি চুক্তি গুলি বাতিল হবে যা ফ্রান্স ও রাশিয়া চাচ্ছে না। আমেরিকা, এই সাম্রাজ্যবাদী দানবটাকে না বুঝলে অমরা বর্তমান মুসলিম জিহাদকে কখনই পুরোপুরি বুঝতে পারব না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে বিরোধ যে নতুন মাত্রা পায়, সেখানে কমিউনিষ্ট বিরোধী শক্ত ঘাঁটি হিসাবে আমেরিকা মুসলমানদের ঘনিষ্ট মিত্রের মর্যাদা দেয়। এ পর্যায়ে আফগানিস্থানে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে মুজাহিদ বাহিনীকে সরাসরি সহায়তা করে আমেরিকা। পাকিস্থানের মাদ্রাসাগুলি জিহাদী তৈ্রীর ফ্যাক্টরিতে পরিনত হয় তখন থেকেই। সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পরে, আমেরিকার সাথে মুসলমানদের মিত্রতার স্বর্নযুগের অবসান হয়। সৌদি শেখ পরিবার এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম। এই পরিবারের ভূমিকা এখন মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার প্রধান দালালের।
আরব জাতীয়তাবাদের প্রতিনিধিত্ত্ব এই পর্যায়ে ওসামা বিন লাদেনের আল-কায়েদার হাতে চলে আসে। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে আল-কায়েদা কোন প্রগতিশীল উপাদানের পরিবর্তে সেই সার্বজনীন, সর্বকালীন, চীরনবীন, সর্বরোগের দাওয়াই মধ্যযুগীয় নুরানী গ্রথখানাকেই সম্বল করে লড়াইয়ে অবতীর্ন হয়েছে। ফলে তুরস্ক, আলবেনিয়া, মালয়শিয়া বা ইরানের মত অপেক্ষাকৃ্ত ধনী ও শিক্ষার হার যে সব দেশে বেশী, সেখানে এই জিহাদী উম্মাদনা কম। কিন্তু পাকিস্থান ও বাংলাদেশের মত দেশ, যেখানে শিক্ষার হার খুব কম ও জনগন দারিদ্র পিড়ীত, সেখানে এই রোগের প্রকোপ খুব বেশী। পাকিস্থানে যা ইতিমধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা আমাদের দেশেও ভয়াবহ মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার জন্য যে সব কারন দরকার তার পটভূমী স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটা সরকারই যে যার সাধ্যমত করে রেখে গেছেন। বিশ্ব প্রেমিক এরশাদের অবদান এক্ষেত্রে সবচেয়ে সুমহান। তিনিই বাংলাদেশকে সাংবিধানিক ভাবে ইসলামি রাষ্ট্র করে গেছেন। ইসলামী রাষ্ট্রে ইসলামী আইন না থাকাটাইতো আসলে অন্যায়। ফলে জিহাদীরের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এক ক্ষেত্র হচ্ছে বাংলাদেশ। ২১ আগষ্টে যা তারা করতে চেয়াছিলো, যদি তারা সেটাতে সফল হতো তবে আজকে হয়তো বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হতো। তারা তাদের উদ্দ্যেশ্যের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। আবার যে কোন সময় তারা আঘাত হানতে পারে।
বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন গুলোর ইতিহাস খুঁজলে দেখা যায় যে, মূলত রাশিয়ার আফগান আগ্রাসনের সময় থেকে বাংলাদেশ –আর্ন্তজাতিক জঙ্গি সংগঠন গুলোর সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। এসময়ে বহু বাংলাদেশী যুবক পাকিস্থান হয়ে আফগান যুদ্ধে অংশ নেয়। যুদ্ধ শেষে তারা দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ত্ব জিইয়ে রাখে। এরকম সময়ে মায়ানমারের সীমান্ত দিয়ে রহিঙ্গারা শরণার্থী হয়ে হাজারে হাজারে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। আফগান ফেরত জিহাদীদের এক অংশ তাদের নৈতিক দায় থেকেই রহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে এবং দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে জঙ্গি প্রশিক্ষন সহ নানা তৎপরতা শুরু করে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে মতাদর্শিক বিভাজনের ফলে এই কার্যক্রম কেবল রোহিঙ্গা কেন্দ্রীক না থেকে নিশানা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যাবস্থার দিকে ঘুরে যায়।
আর একটি অংশ দেশের পশ্চিম অঞ্চলের জেলা গুলোতে ৪ দলীয় জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সর্বহারা নিধনের জন্য গড়ে উঠে। এই অংশ ভয়ংকর ও রোমহর্ষক কর্ম-কান্ডের মাধ্যমে দ্রুত মিডিয়ার প্রধান সংবাদ হয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে। শায়খ রহমান ও বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি বা বলা উচিৎ তড়িঘড়ি ফাঁসি আসলে অনেক মূল্যবান তথ্য-প্রমান থেকে আমেদেরকে বঞ্চিত করেছে।
সম্প্রতি পাকিস্থানী জঙ্গিদের হাতে যেসব ব্যাপক বিধ্বংসী বোমা দেখা যাচ্ছে তা অচিরেই আমাদের দেশের জঙ্গিদের হাতে এসে যাবার সম্ভাবনা কোন ভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায়না। এইসব ব্যাপক বিধ্বংসী বোমার প্রযুক্তি একবার তাদের হাতে চলে এলে পরিনতি কি হতে পারে তা এখন দেখানোর চেষ্টা করবো।
সম্ভাব্য পরিনতিঃ বিজয়ের সম্ভাবনা সবসময়ই মানুষকে উদ্দীপ্ত করে তোলে। এধরনের ব্যাপক বিধ্বংসী বোমা দ্বারা কিছু সফল আঘাত জঙ্গিদের দলভারি করার কাজে এক বিরাট অগ্রগতি আনবে।
নারীগনকে কোরানীয় মান-মার্যাদায় প্রতিষ্ঠীত করতে প্রথমে বস্তায়(বোরখায়)পরে গৃহে পুরে ফেলাই হবে তাদের প্রথম টার্গেট। স্কুল, কলেজগামী ও কর্মজিবী নারীদের নানা ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। কো-এডুকেশন বন্ধের জন্য তারা ঐসব প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলা চালাতে পারে।
তাদের প্রধান প্রধান হামলার লক্ষ্যবস্তু হবেঃ
প্রগতিশীল পত্রিকা ও সংগঠন ।
মাল্টি-ন্যাশনাল কম্পানিগুলোতে কর্মরত যারা ।
আদালত ও পুলিশ স্টেশন গুলো।
চার তারা ও পাঁচ তারা হোটেল।
মন্ত্রী, সংদদ সদস্য সহ রাষ্ট্রের অন্যান্ন গুরুত্ত্বপূর্ন ব্যাক্তিবর্গ।
NGO গুলোতে কর্মরত যারা।
ধীরে ধীরে তারা দেশের কোন একটা অঞ্চলে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে। তাদের এইসব কর্মকান্ডে তারা প্রশাসনের এক অংশের পরোক্ষ সাহায্য পাবে। এবং আদালত ও পুলিশের প্রতি মানুষের শতাব্দী প্রাচীন ক্ষোভের ফলে জনগনের অসচেতন অংশের সমর্থন জঙ্গিদের পক্ষে যেতে পারে। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের মত দেশে জনগনের মধ্যে অসচেতন অংশই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে একটা দীর্ঘমেয়াদী ও অনিশ্চিৎ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাকে যারা ছোটকরে দেখছেন তাদের সাথে আমার পরিষ্কার দ্বীমত রয়েছে। বছর কয়েক আগেও পাকিস্থানের আজকের পরিনতি খুব কম লোকই আঁচ করতে পেরেছিলো। পাকিস্থানে জঙ্গিবাদের প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে কাজ করেছে মাদ্রাসাগুলো। আমদের দেশের মাদ্রাসার শিক্ষা, শিক্ষার পরিবেশ এসবের সাথে পাকিস্থানের মাদ্রাসা শিক্ষার পার্থক্য খুব সামান্যই। আর জঙ্গি উৎপাদনে মাদ্রাসার ভূমিকা ইতিমধ্যে আমাদের দেশেও প্রতিষ্ঠীত সত্য।
সবচেয়ে মহান সম্ভাব্য পরিনতি হচ্ছে, একদিন সুন্দর সকালে হয়তো দেখা যাবে, এই যুদ্ধে আমাদের দূর্বল সরকারকে সহায়তা করতে আমেরিকান বাহিনী চালক বিহীন বিমান থেকে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপরে বোমা ফেলছে।
প্রতিকারঃ এটাই আজকের লেখার সবচেয়ে জটিল অধ্যায়। আসলে আজকের এই জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে অভ্যন্তরীন ও বাজ্যিক দুটি কারনই বিদ্যমান। আর্ন্তজাতিক ঘটনা প্রবাহের উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রনের কিছু নেই। মুসলমানদের উপরে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে যে কোন ভাল-খারাপ ঘটনার প্রতিক্রিয়া অন্যান্ন মুসলিম দেশে হবে। এটা মুসলিম ভাতৃ্ত্ত্বের ধর্ম কেন্দ্রীক বন্ধনের জন্যই ঘটবে। তাই যা আমাদের হাতে নেই তা নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। বরং যা আমরা করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করাই সময়ের স্বদব্যাবহার হবে।
এক্ষেত্রে জনগন ও সরকারের সুনিদৃষ্ট করনীয় আছে। জনগন বলতে আসলে জনগনের বিভিন্ন সংগঠন যেমন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদিকে বুঝতে হবে। কারন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় জনগন কোন শক্তি না। জনগন যে সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ হয়, এখানে জনগন বলতে তাদেরকেই বুঝতে হবে। তবে আমি মনে করি, এব্যাপারে সরকারের ভূমিকাটাই মূখ্য। কারন, সরকারের সামর্থ জনগনের অন্য যে কোন সংগঠনের থেকে বেশী।
স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী দুই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েই সরকারকে ভাবতে হবে।
স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনাঃ জঙ্গিদের অর্থের উৎস বন্ধ করা সরকারের স্বল্প মেয়াদী এবং অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন কাজের মধ্যে একটা। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীন উৎস খুব সহজে বন্ধ করা যাবেনা। কিন্তু বহিরাগত অর্থের জোগান বন্ধ করা তুলনামূলক সহজ। এ জন্য সন্দেহভাজন N.G.O গুলোর ফান্ডের ব্যাপারে আরো বেশী অনুসন্ধান প্রয়োজন।
সরকারের গোয়েন্দা তৎপরতা আরো বৃ্দ্ধি করা দরকার। একবার ধরা পড়ার পরে যারা ছাড়া পাচ্ছে, তারা পুনরায় জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে কিনা তার উপরে নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।
মিয়ানমার ও ভারতের সাথে একযোগে কাজ করা দরকার। কারন সীমান্ত অঞ্চলগুলো বরাবরই যেকোন রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতাকারী দের জন্য প্রিয় স্থান হয়ে থাকে।
আসলে, স্বল্প মেয়াদে এর থেকে খুব বেশী কিছু করার নেই।
দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাঃ যুগ যুগ থেকে গরীবের সন্তানদের জন্য শান্তনা শিক্ষা হিসাবে যে ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষা আমাদের দেশে চলে আসছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?
তা সরকারকে অবশ্যই পরিস্কার করতে হবে। সামগ্রীক ভাবেই যেখানে শিক্ষার উদ্দেশ্য আজো নির্ধারন করা যায়নি, সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য নির্ধারন সরকার বাহাদুরের জন্য বেশ দুরূহ বৈকি।
এখনো বিঞ্জানে স্নাতক ডিগ্রী নিয়ে মুদি দোকানদারি করতে হয় যে দেশে সেখানে মাদ্রাসা থেকে ডিগ্রী নিয়ে কে কি হবে তা নিয়ে সরকারকে ভাবতে বলা একটু বেশী চাওয়া হয়ে গেলেও বলবো, এটা এখন সময়ের দাবি। বেখেয়ালে, অবহেলায়, অযত্নে যে ফ্রংকেস্টাইন আমরা গড়ে চলেছি, এখনো সাবধান না হলে, এই দৈত্যই একদিন আমাদের ঘাঁড় মটকে দেবে।
আমার মতে, মাদ্রাসা শিক্ষার জাল থেকে মুক্ত হতে সরকারকে খুবই কৌশলী হতে হবে। প্রথমে সমস্ত স্কুল ও মাদ্রাসার জন্য ৪০% শিক্ষার্থীর পাস করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় ঐসব স্কুল ও মাদ্রাসার জন্য সরকারী অনুদান বন্ধ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সমস্যা যেটা হবে, তা হলো, পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে হ্রাস পেতে পারে। এটা ঠেকানোর জন্য নিয়মীত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে নূন্যতম ৮০% এর পরীক্ষায় অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক করতে হবে। এর ফলে কয়েক বছরের মাথায় বহু মাদ্রাসা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। মাদ্রাসার পাঠ্যসূচীর উপরে আরো বেশী নিয়ন্ত্রন আরোপ করতে হবে। দর্শন ও বিজ্ঞান পড়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের বর্তমান আগ্রহের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ছাড়া জঙ্গিবাদের ভুত থেকে আমাদের সহজে নিস্তার নেই। কারন অসংখ্য বেকার যুবক শুধুমাত্র কিছু আয়ের উদ্দেশ্যে জঙ্গি বাহিনীতে নাম লেখাচ্ছে। এই বাস্তবতা অস্বীকার করা আসলে একধরনের উদাসিনতা। যার উৎস, নিজের সন্তান দের ইউরোপ, আমেরিকাতে নিশ্চিৎ নিরাপত্তা বিধান করতে পারা জনিত স্বস্তি থেকে উৎপন্ন।
ভূমি সংস্কারের মাধ্যমে অনুপস্থিত ভুমি মালিকদের জমি খোদ কৃ্ষকদের মাঝে বন্টন করে কৃ্ষি বিল্পবের সূচনা করার ক্ষেত্রে সময় নষ্ট করা উচৎ হবে না।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আই এম এফ এর প্রেস্ক্রিপশন অনুসরন করার আগে ক্ষমতায় অধীষ্ঠিতদের নিজেদের কমিশনের অংশের জন্য কিঞ্চিৎ কম ব্যাকুল হয়ে, জনগনের জন্য ওতে ক্ষতিকর কোন বড়ি আছে কিনা তা অন্তত আরেকটু সদয় ভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। একটা উদাহরন দিলে আশাকরি আমি কেন এটা বলছি তা পরিস্কার হবে। বিশ্বব্যাংক আমাদেরকে কপোতাক্ষের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মানের জন্য ঋণ দিলো। এখন এর ফলে যে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, তা থেকে পরিত্রানের জন্য তারাই নাকি আবার বাঁধ কাটার জন্য ঋন দেবে। এরকম হরিলুটের চিত্র লিখতে গেলে এক মহাভারত হয়ে যাবে। কেবল একটা মজার তথ্য দিয়ে যাই। বাংলাদেশ দূর্নিতীতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল টানা ৫ বছর, এটা সবার জানা। বাংলাদেশকে এই শীর্ষস্থান হারাতে হয়েছে নীজের দূর্নিতী কমিয়ে নয় বরং অন্য দেশগুলি দূর্নিতীতে আমাদেরকে ছাড়িয়ে গেছে বলেই।
যতক্ষন না সত্যিসত্যি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে ততক্ষন আদালত প্রাঙ্গনে বোমা হামলাকে নিরুৎসাহিত করা বেশ কঠিন হবে। কারন যাদের ওখানে একবার যাবার সৌভাগ্য হয়েছে তারা জানেন
ওখানা কি বস্তু।
পুলিশকে মেরুদন্ডহীন বানিয়ে রেখে নিজেদের দূর্নিতীকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখার কুমতলব ত্যাগ করতে হবে। বিচার বিভাগ সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য।
সব শেষে বলবোঃ ঘুনে ঝাজড়া আপনাদের মূল্যবোধ নিয়ে এই সমস্যার কতটা ভালভাবে মোকাবেলা করতে পারবেন সে ব্যাপারে সমস্ত সংশয় সত্ত্বেও যেটুকু আশার আলো এখনো দেখি তার কারন; হরিলুটের এই যে মহোৎসব, একে রক্ষার জন্য হলেও আপনারা সচেষ্ট না হয়ে পারবেন না। আর যদি অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যান, যার সুন্দর ব্যাবস্থা করাই আছে, তবুও সমস্যা নাই। প্রকৃ্তির নিয়মেই আপনাদের শূন্যতা পূরন করতে কেউ না কেউ এগিয়ে আসবে। কারন, প্রকৃ্তি শূন্যতা অনুমোদন করে না। এজন্যই এখনো আশায় বুক বাঁধি। নিশ্চিই ভাল কিছু দিয়েই আপনাদের শূ্ন্যতা পূরন হবে। কারন খারাপের যে সূউচ্চ সীমা আপনারা স্পর্ষ করেছেন, তাকে ছাড়িয়া যাওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না। এই বিশ্বাস নিয়েই এখনো পথ চলা, ভালবাসা ও সন্তান জন্ম দিয়ে যাওয়া।
@আদিল মাহমুদ
মতবাদের গ্রহনযজ্ঞতা, প্রসার, ও প্রভাব এ বিষয় গুলর আলকে ইস্লামকে শ্রেস্ট বলেছি, যেমনিভাবে কিছু ভুলত্রুটি সহ গনতন্ত্র এ যুগে মানুেষর কাছে গ্রহনযজ্ঞ।
আর মানবতাবিরধী যা কিছু তাই রাজনৈ্তিক আমার উদ্দেশ্য ছিল না, যুদ্ধ বাপারটা ই আমার কাছে মানবতাবিরধী বলে মনে হয়, তবুও অনেক ক্ষেত্রে যুদ্ধের প্রয়োজন হয়ে পড়ে, সেরকম প্রয়জনে ইসলাম যে রুপরেখা দিয়ে দিয়েছে তার অনুসরণ ওমর পরযন্ত ছিল।
বাকীরা অনেক কিছু বলেছেন, সেগুলর প্রতিবাদ বা মিত্থা তা প্রমাণ করার চেস্টায় ইতিহাসের অনেক তত্থ উপস্থাপন করা ই যেত, মুক্তমনায় আমার লিখার উদ্দেশ্য এটি নয় বলে আমি সেদিকে যেতে চাচ্ছিনা। আমি মুক্তমনা কে একদল সচেতন মানুষের এ দেশের উন্নতি ও জ্ঞানের আেলায় সমাজ কে আেলা্কিত করার প্রচেস্টা হিসেবে দেখি, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন চিন্তার মানুষ নানান সমস্যা ও সমাধানে করনীয় এর মদ্ধে সীমাবদ্ধ থাকবে না, কার্জ পদ্ধতি ও বাস্তবায়ন করবে। যদিও বেশীরভাগ লিখাই মুল আলোচনা থেকে দূরে যেয়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে এসে শেষ হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় যে অনেকে আসল, কিছুক্ষন অহেতুক বাক বিতন্ডতা করে মজা পেয়ে যার যার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ল। (সবাই এমনটা না)
এ ব্লগটি যে বিষয়ের উপর লিখা হয়েছে সে বেপারটি নিয়ে আমিও চিন্তিত, আমার যে বন্ধু উনিভারসিটিতে উেঠ দুপাশে দুইটা মেয়ে নিয়ে বসে থাকত (মেয়ে নিয়ে বসা খারাপ সেটি বলিনি, পরিবর্তন বেপারটা বুঝিয়েছি) ইন্টারনেটে আনেক সাইট থেকে পরে নিজেই ফতয়া দেয়া শুরু করল, সবচেয়ে ভয়ের বেপারটি হল কিছুদিন আগে সে আমাকে বলল যে নিকাব পরা আবশ্যক কিনা, আমি তাকে বললাম যে না, সে তখন আমাকে নানান আয়াত দেখাল, আমি তাকে বুঝাতে চেস্টা করলাম যে ইস্লামের কন ফতয়া দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম নিতি মেনে চলতে হয়, (pick and choose) অনুসরণ করলে ভুল হবে, সে আমাকে মানল ই না, এভাবেই অনেকে বিভ্রান্ত হছে আর অনেক কে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, জঙ্গিবাদ উৎস এটিও হতে পারে।
@ আদিল মাহমুদ ,
আপনি তো বেশ গর্ব করে বলেছিলেন মুক্তমনায় লেখার জন্য, দুইবার করেছিলেন । তারপর, একবার বলেছিলেন কেন যে এখানে লেখেন না । তারমানে সব মিলিয়ে তিনবার । যাইহোক, আমি একটি লেখা দিয়েছিলেম , কেন ছাপা হয়নি তা ও আমাকে বলা হল না । পেন্ডিং পেন্ডিং পরেছিল । আমার পরের অনেক লেখা ছাপা হইলো , কিন্তু আমার লেখা হইলো না । আমি ১০০% মসুলমান মানুষ, তাই বলে কি আমার আত্মসম্মান বোধ থাকতে নেই । তাই পোষ্ট টি তুলে নিলাম । আমার ব্লগে দিলাম । এখানে দেখুন কি কি নিতিমালা ভঙ্গ করেছি http://www.somewhereinblog.net/blog/Fuad1dinohin/29047268
আপনি রেফারন্সের কথাও বলেছিলেন , তাই রেফারেন্স সহ ঈ দিয়েছিলাম । আপনাকে ধন্যবাদ ।
ফুয়াদ,মোহাম্মদ কে কেউ মক্কা থেকে তাড়িয়ে দেয় নি।
খাদিজাকে বিয়ে করার পর মোহাম্মদ কে জীবিকার জন্য
কিছুই করতে হয় নি।খাদিজা মারা যাওরার পর মোহাম্মদ
প্রচন্ড আর্থিক সমস্যায় পড়ে।এবং মক্কায় ১৩ বছর ইসলাম
প্রচার করে ১০০ থেকে কম অনুসারি জোগার করতে পেরেছিল।সুতরাং মোহাম্মদ তার ভবিশ্যত চিন্তা করে
মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় চলে যায়।
@ফরহাদ,
আর মুহাম্মদ কিভাবে মদিনায় পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন?
যদি মক্কাবাসীরা মুহাম্মদকে হত্যা করতে চাইত তবে তা না করতে পারার কোন কারণ ছিল না। মুহাম্মদের পালিয়ে যাওয়াকে মহিমান্বিত করে অলৌকিকতার যে বিবরণ দেন অন্ধবিশ্বাসীরা তা শুনলে শুধু হাসি পায়।আসলে মক্কাবাসীরা অনেক উদার ছিল। মুহাম্মদের উদ্ভট সব ব্যাপার-স্যাপার তারা সহ্য করেছিল অথচ বর্তমান যুগেও যদি একজন মুসলিম ধর্মত্যাগ করে বা ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে তবে তার মাথা কাটা যাবার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
@সৈকত চৌধুরী, সহমত
@ফরহাদ,
মুহাম্মদ সঃ ব্যবসা বানিজ্য করতেন , উনার ভালই সহায় সম্পত্তি ছিল । রেকরডের মত এসব মিথ্যা
বলে আপনাদের মত ব্যক্তিদের থেকে বাহবা পেতে পারবেন । মিথ্যা মিথ্যা ই , হয়ত মত মিথ্যা বার বার বলে, তা প্রতিষ্টিত করতে পারবেন । তবুও মিথ্যা কিন্তু মিথ্যা ঈ । ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ, মোহাম্মদ কি ব্যাবসা করতেন? বৌ এর পয়সায় খেতেন বলে,
দিনের পর দিন হেরা গুহায় কাটিয়ে দিতেন।আর মদিনায় ষাওয়ার পর
উনার প্রধান জীবিকা ছিল “মহা সড়ক ডাকাতি”।পরে উনার প্রধান আয়
ছিল “war booty”
@ফরহাদ,
আপনার সাথে তর্ককরা বৃথা, কি ব্যবসা করতে না জানলে পড়াশুনা করে দেখেন । আর যা বলেছেন তা সেই একই বিষয় মিথ্যা কে বার বার বলে প্রতিষ্ঠিত করা ।
ভেবেছিলাম আপনার এই পোষ্টে কিছু লিখব না । কিন্তু হঠাত করে আমার মনে হল তা বদরের শহীদের প্রতি অন্যায় করা হবে ।
আপনার লেখার বাহিরে যাওয়ার দরকার নাই । আপনার লেখা কে প্রশ্নকরলে কি পাওয়া যায় ।
১ কে আক্রমন করেছিল ?
উত্তরঃ মক্কার কাফির রা । তবে প্রতিশোধ নিতে ।
যুদ্ধের অজুহাত যাইহোক, একটা দেশের উপর আক্রমন কে করল ? উত্তর আসে মাক্কার কাফির ।(আপনার লেখা থেকেই)
স্যার জোসেফ গোয়েলবস ব্যপক জ্ঞানী লোখ ছিলেন বুঝতে পারতেছি । উনার সিস্টেম আজ ও সবাই ফলো করে ।
@ফুয়াদ,
মক্কার কাফেররা আক্রমন করেছিল তাতে দেখা যাচ্ছে দ্বি-মত নেই।
তবে তাদের আক্রমনের কারনের কি কোন গুরুত্ত্ব নেই? তাদের বানিজ্য কাফেলা লুট করলে তাদের প্রতিশোধ স্পৃহা বা ভবিষ্যতে এধরনের কিছু যেন না ঘটে তার ব্যসবস্থা নেওয়ার অধিকার থাকতে নেই?
@আদিল মাহমুদ,
আমি উনার কথার পয়েন্টে ধরেছি । উনি বলেছেন যুদ্ধ আক্রমনাত্তক আছিল । কিন্তু উনার কথা থেকেই উঠে আসে, যুদ্ধ রক্ষনাত্তক আছিল । এটাই আমি প্রমান করেছি । ইতিহাস নিয়া ঘটা ঘাটিতে যায়নি অথবা, কোন টা ন্যয় বা কোনটা অন্যায় তা নিয়ে আলাপ করি নি । তারপর ও আপনি যখন প্রতিশোধের কথা বললেন , তাই বলতেছি, চরম শত্র দুই দেশের মধ্যে বর্তমানেও দেখবেন, আকাশ সীমা পর্যন্ত ব্যসামরিক উদ্দোশ্যেও ব্যবহার করতে দেয় না । ঐ সময় এর যুদ্ধ তো আরো ভয়ঙ্কর ছিল । আপনি আপনার শত্রকে না আটকালে সেই আপনার অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দেবে ।
তাছাড়া, শত্র পক্ষ যুদ্ধের সরংজ্ঞমাদির জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেছিল এই খবর ও পাওয়া যায় । যাইহোক, এসব বর্নণা আমার উদ্দেশ্য নয় । আমি শুধু লেখকের কথা থেকেই কথা বলেছি ।
শেখ আহমেদ দিদাত রাঃ আমেরিকার এক টিভি চ্যানেল কে নাকি বলেছিলেন, তিনি স্যটানিক ভার্সেস থেকে মাত্র ৪০ মিনিট বা ৪০ বাক্য পাঠ করবেন এ জন্য ৪০ হাজার ডলার দিবেন , তিনি যদি একটি কথা বাহির থেকে বলেন তাহলে তারা যেন তা কেটে দেয় । কিন্তু তবুও ঐ টিভি চ্যনেল তাকে সেই অনুমতি দেয় নি ।
@ফুয়াদ,
দিদাত সাহেবের কথায় কি বোঝাতে চেয়েছেন পরিষ্কার হল না তাই ওইদিকে যাচ্ছি না।
তবে অন্যায় যেকেউই করুক সেটা অন্যায়, কাফের করুক্ল আর মোসলমানে করুক। কাউকে নিজ জন্মভূমি থেকে নুতন বিশ্বাসের কারনে বহিষ্কার করাও অন্যায়, অন্য কারো বানিজ্য কাফেলা লূট করাও অন্যায়, আবার অন্য দেশ আক্রমন করাও অন্যায়।
@আদিল মাহমুদ,
উনাকে তার মারতে এসেছিল । এই বিষয়টিও ধরে নেন । তাহলে আপনার কথায় আসুন {তাদের প্রতিশোধ স্পৃহা বা ভবিষ্যতে এধরনের কিছু যেন না ঘটে তার ব্যসবস্থা নেওয়ার অধিকার থাকতে নেই?} এখন মুস্লমিমদের কি আধিকার নেই তাদের হারানো সম্পত্তি ফিরিয়ে নেওয়া ।
তারপর যদি কাফেলার উদ্দোশ্য থাকে যুদ্ধের সরংজ্ঞমাদির জন্য অর্থ সংগ্রহ তাহলে ? তাছাড়া, মুসলিমদের পাওনা সম্পত্তির কি হবে ।
এ দিয়ে অবশ্যি মেনে নিলেন যুদ্ধ রক্ষনাত্তক ছিল । ধন্যবাদ ।
@ফুয়াদ,
আমি কারো পক্ষে বিপক্ষে চিন্তা না করে সাধারন অর্থে বলেছি। আমি নিজে কিছু প্রমান করতে চাইছি তেমন ভাববেন না। কাউকে জোর করে নিজের জন্মভুমি থেকে বের করলে সে জোর করে নিজ ভূমিতে ফিরতেই পারে। তার সে অধিকার নিঃসন্দেহে আছে।
@ফুয়াদ,
বিষয়টি ধরলাম। তর্কে জেতার খাতিরে আপনার যায়গায় আমি হলে ঘঠনাটা এরকম বলতাম। – কোরায়েশ নেতা আবুজেহেল তার তিন হাজার রণসাজে সজ্জিত দলবল নিয়ে নবিজীকে মারতে মদীনা ঘেরাও করলো। তারা দেখলো, মদীনায় তাদের বণিক সর্দার আবুসুফিয়ান সিরিয়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে মালামাল সহ কাফেলা নিয়ে আরামছে বসে আছে। তারা জনতে পারলো, রাসুল তার সাহাবীগণকে নিয়ে বহু দূরে তাবলীগে গেছেন। আবুজেহেল নবীজীকে খোঁজে পেল মদীনা থেকে ষাট মাইল দূরে এক জনশুন্য বদরমাঠে। আল্লাহর কুদরত বুঝা মুশকিল। সেদিন যদি রাসুল মদীনায় থাকতেন কাফেরেরা তাকে মেরেই ফেলতো, আমরাও মুসলমান হতে পারতাম না। আল্লাহ তার নবী ও মুসলমানদেরকে উদ্ধার করতে আসমান থেকে ১০হাজার ফেরেস্তা সৈন্য নিয়ে বদর মাঠে নামলেন। বিজয়ী আল্লাহ ৭০জন মানুষ খুন করে খুনের দায়ীত্ব স্বীকার করে লিখিতভাবে ঘোষনা দিলেন- তোমরা ছুঁড়ে মারোনি মেরেছি আমি—। তোমরা খুন করোনি করেছি আমি—। তোমরা তাদের গাছ-পালা কাটোনি কেটেছি আমি। (আল্-কোরান)। ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী ও তার সাহাবীদের কোনো হাত ছিলনা, কো্নো দোষ ছিলনা। এই ঘঠনা লিখা হয়েছিল আবুজেহেলের জন্মের আগে। সকল প্লান প্রোগ্রাম করা হয়েছিল আসমান থেকে তখন কোন মানুষই পৃথিবীতে ছিলনা। বদরের যুদ্ধে মুহাম্মদ ও তার সাহাবীগন তারা আল্লাহর আজ্ঞা পালন করেছিলেন মাত্র।
যুদ্ধবন্দীদের নয়, এবার সময় এসেছে যুদ্ধাপরাধীকে ধরার।
@আদিল মাহমুদ,
ইস্লামের সমসাময়িকতা নিয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকতে ই পারে, তবে ততকালিন সময়ে আরবকে একটি সুসংবদ্ধ, ও উন্নততর জীবনবাবস্থায় উন্নিত করার জন্য ইস্লামের আবদানকে খাট করে দেখার সুযগ নেই। ততকালীন সকল মতবাদকে পরাজীত করে ইসলাম তার মতবাদের শ্রেসঠ্ততা প্রমাণ করেছে। আমার জানা মতে ইসলাম ই মাত্র ধরম বা জীবন বাবস্থা যার “প্রবরতক”(ংশয় বাদী্দের মতে) ও অনুসারীরা তাদের জীবদ্দশায় এর প্রচার, ব্যক্তি, সমাজ, ও রাষট্রে এর প্রতিষঠা করে গেছেন। ্প্রথা বিরধী হওয়ায় যাদেরকে নিরযাতিত ও দেশ্ছাড়া হতে হয়েছিল তারাই বিজয়ী হবার পর বিজিতদের সাথে যে আচড়ণ করেছে তা ঐ মদধযুগে জেনেভা কনভেবশন থেকে বেশী ্বলে মনে করি যা খলীফা ওমর পরযন্ত বলবৎ ছিল। খলীফা ওমর যেকন যুদ্ধে যাবার পুরবে সেনাবাহিনী কে বলে দিতেন কন নারী, শিশু, বৃদধ এর উপর যেন অত্তাচার না করা হয়, আর যে পুরুষরা প্রতিরধ করবে না তাদেরকেও যেন হয়রানী না করা হয়। মুয়াবীয়া ততপরীবরতী সময়ে যেসকল যুদ্ধগুল ইস্লামের নয়, রাজনৈতিক কারনে। আর এর ফলে যেসকল মানবতা বিরধী ঘটনা ঘটেছে এমনকি মুসল্মানের সাথে (হাজ্জাজ বিন উইসুফের মদীনা আক্রমন ৩ দিন ধরে লুটতরাজ ধরষণ হত্তা) একে রাজনৈ্তিক কারন ছাড়া আর েকান ভাবেই ব্যাক্ষ্যা করা যায় না।
আমি বলিনা যে রাসুল থেকে নিয়ে ওমর পরযন্ত সকল যুদ্ধই জাস্টিফাইড, বনু কুরাইজার হত্তাকান্ড আমি এখন বুঝতে পারিনি তবে বদর যুদ্ধের পুরবে লুটতরাজ নিয়ে অভীযোগকারীরা তত্থের বিভ্রান্তীতে আছেন বলে আমি মনে করি। এ সম্পরকে জানতে সুরা আনফাল পড়তে পারেন।
@anas,
ইসলামের কোন আবদান নেই এমন কথা আমি কোথায় বলেছি? এখানে সবাই মোটামুটি স্বীকার করেন যে ততকালীন বর্বর আরব সমাজে ইসলাম যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।
ততকালীন সকল মতবাদকে পরাজিত করে বলতে কি বুঝিয়েছেন ঠিক নিশ্চিত নই। তবে সেকালে বা তারও আগে অনেক সভ্যতাই পৃথিবীতে ছিল ইসলামের কোনরকম প্রভাব ছাড়া। শ্রেষ্ঠ প্রশ্নটা বেশ বিতর্কিত হতে পারে।
যেসব যুদ্ধে মানবিকতা বিরোধি কর্মকান্ড ঘটেছে সেগুলি রাজণৈতিক আর যেগুলিতে ঘটেনি সেগুলি ঐশ্বরিক এই ধারনার সাথেও আমি পরিচিত নই।
@ফুয়াদ,
মক্কার মত একটা অনুর্বর অঞ্চলের লোকদের জিবীকার জন্য বানিজ্যের উপরে নির্ভরতা খুব বেশী পরিমানে থাকাটাই স্বাভাবিক। মুহাম্মদ তার জ্ঞাতীজনদের সাথে ছোটবেলা থেকেই বানিজ্যে যেতেন বলে জানা যায়।
সিরিয়ার সাথে মক্কার বানিজ্য সম্পর্ক ছিল অন্যতম প্রধান ও প্রাচীন রুট। রুটটা মদিনার পাশ দিয়ে ছিল।
এই বানিজ্য পথটা নিরাপদ রাখা তাদের জীবন ও জিবিকার সাথে যুক্ত একটা প্রশ্ন ছিল।
তাই যেকোন অজুহাত বলে মুহলমানদের অন্যায় কাজকে বৈধতা দেয়ার কোন মানে হয় না। অন্যায় মুসলমানরা করলেও অন্যায়, আর আপনার কথিত কাফেররা করলেও অন্যায়।
@আতিক রাঢ়ী,
আমি জাস্ট আপনার লেখা থেকেই প্রমান করেছি , অন্যদিকে যাই নি । ভাই, আপনি যেহেতু এই কথা লিখলেন তাই বলতেছি, আপনাকে আপনার বাপ দাদার বাড়ি থেকে অত্যাচার করে মৃত্যুর মুখে কেউ বের করে দিল । তাহলে, আপনার সাথে তার যুদ্ধ অনিবার্য ।
@ফুয়াদ,
কথায় আছে গেও যোগী ভিক পায় না। জিবরাইল ওহি নিয়া আসে এইটা প্রমান করতে মুহাম্মদ চাদর মুরি দিয়া মাদি উঠের মত শব্দ করলে কাহাতক এই ভন্ডামি সহ্য করা যায়। মক্কাবাসীর ধৈর্য্য সত্যিই অবাক করার মত। মক্কায় যে সে ভাত পাচ্ছিলনা তাতো প্রমানিত। এখনো আরবের কিশোররা লুঙ্গি পরিহিত আমাদের উপমহাদেশীয় দের পেলে পেছনঅদিক থেকে তা তুলে ধরে অনাবৃত নিতম্ব
দেখে নির্মল আনন্দ পায়। এধরনের কাজ যে তারা মুহাম্মদের সাথে করেনি তা বলা যাবে না। যদিও করে থাকে তবে তা আরব বৈশিষ্টের কারনেই, নির্মল বিনোদন পাবার জন্য। মুহম্মদকে হত্যার জন্য মক্কাবাসীর রাতের আঁধারের কি প্রয়োজন ছিল জানিনা। মুহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করার জন্য আলীকে তারা কিছুই বলেনি এটাও একটা রহস্য।
যাইহোক, এখন আপনি কি বলতে চান-মুহাম্মদকে হত্যা প্রচেষ্টার প্রতিশোধ ছিল ঐ ডাকাতি। হত্যা প্রচেষ্টার জবাব হতে পারে পালটা হত্যা( মুসলিম দর্শন আনুযায়ী)। ডাকাতি কিন্তু একেবারেই ভিন্ন ধরনের অপরাধ। শুনা যায় তারা প্রায়ই কাজটা করতো। কাফেলাটা ঘটনাচক্রে মক্কার হওয়াতে জানাজানি হয়ে যায়।
আসলেইতো তারা তাদের সহায়-সম্পদ মক্কায় ফেলে এসেছিলেন। এছাড়া আয়ের আর সহজ কি উপায় ছিল?
আর যে পয়েন্টে আপনি আমর যুক্তিকে খন্ডন করেছেন বলে দাবি করছেন, যদি দয়াকরে ঐ অনুচ্ছেদের শেষ বাক্যটি দেখেন, আমি বলেছি-“মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের পরের ইতিহাস পুরোটাই ধারাবাহিক আগ্রাসনের ইতিহাস।” অর্থাৎ মক্কা বিজয়ের আগের ইতিহাস, আধারাবাহিক আগ্রাসনের ইতিহাস। কৌশলগত ও সামর্থগত কারনেই কিছু রক্ষনাত্ত্বক যুদ্ধ
তাদেরকে করতে হয়েছিলো।
@ফুয়াদ,
কিন্তু এটলিস্ট আপনি মানলেন , যুদ্ধ রক্ষনাত্তক ছিল । আপনার এই কথাঈ তা প্রমান করে ।
কিন্তু আগে আপনি হুঙ্কার দিয়ে ছিলেন
যাইহোক, আপনার এই লেখার পয়েন্টে আসি
আলী রঃ বয়সে ছোট ছিলেন আর তিনি ছিলেন মক্কার অন্যতম সর্দার আবু তালিবের ছেলে । তাই তারা তাকে মারেনি ।
কখনোই নয় । আমি বলতে চাইতে ছি , পরস্পর শত্র দেশ এ , এক দেশ আরেক দেশের নিকট পজিশনে বানিজ্য করার অনুমতি নাই । যেমন, ইন্ডিয়া পাকিস্তানের যুদ্ধের সময় হয় । ২য় ত ঐ বানিজ্য, যুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার উদ্দোশ্যে ছিল । অতএব, রাসূল কে ঐ কাফেলা আটকাইতেই হইতো ।
এখানে আরেকটি বিষয় আপনার মাথায় রাখতে পারেন, শেখ মুজিবুর রহমান ৭ ই মার্চে ঘোষণা দিয়েছিলেন আজ হইতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আর কোন অর্থ পশ্চিম পাকিস্তানে যাবে না । এগুলো কৌশল গত বিষয় । আর্থিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়া । মক্কা, রাসূলঃ সাথে কোন সন্ধিতে ছিল না ।
আসলে হয়েছে কি , আমরা মসুলমান দের পথন হয়ে গেছে । প্রতিটি জাতির উত্তান আর পথন থাকে । তাই মসুলমানদের পথন হয়েছে । আপনারাও এ সুযোগে স্যার জোসেফ গোয়েলবস মিথ্যা কে সত্যে পরিনত করার তত্ত অনুযায়ী বার বার মিথ্যা বলতে বলতে, মিথ্যাকেই সত্য বানিয়ে ফেলবেন ।
@ফুয়াদ,
আচ্ছা মুহাম্মদ ও মুসলমানদের সাথে কি আমার জাতি শত্রুতা আছে নাকি যে মিথ্যা কে সত্য করতে গোয়েবলসীয় প্রপাগান্ডা করতে হবে ? আমার বাবা, মা, ভাই, বোন, বন্ধু ও পরিচিত অসংখ্য প্রিয় মানুষের বেশীর ভাগ ই মুসলমান। আমি তাদেরকে আপনার চেয়ে কম ভালবাসি না। ভালবাসি বলেই চাই তারা প্রশ্ন করুক। আপনার মত অন্ধ-বিশ্বাসী না হোক।
ঐতিহাসিক সত্য-মিথ্যা বিচারের জন্য দরকার তথ্য, পালটা তথ্য এরপর যুক্তিগ্রাহ্য পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে গ্রহন ও বর্যন। আপনার মত ঈমানী তেজে তেজদীপ্ত হয়ে সবার পক্ষে বলা সম্ভব না যে কোরান বলেছে, তাই সত্য, আর কোন বাছ-বিচারের দরকার নেই। আশার কথা হচ্ছে সবার মস্তিস্ক সেভাবে প্রস্তুত না।
এই যে মুসলমান্দের পতন হয়েছে বলে নাকি কান্না কাঁদছেন- আপনাকে এর কারন জিজ্ঞাসা করলে- আমি নিশ্চিৎ, আপনি বলবেন-তারা আল্লার দীন থেকে সরে গেছে। আমার উত্তর হচ্ছে, তারা বেশীরভাগই আপনার মত (অন্ধ বিশ্বাসী) হয়ে গেছে। আপনার মত হলে হয়তো বেহেস্তে যাওয়া যেতে পারে, কিন্তু ইহকালীন পতন অনিবার্য। সেটা ঠেকাবার নৈতিক দায় থেকেই লিখি। পরিবেশিত তথ্যে ভুল থাকতে পারে। সঠিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে তা সংসোধনের পথ সব সময়ই খোলা থাকছে। এরপর গ্রহন-বর্যনের ব্যপারটা পাঠকদের উপরই ছেড়ে দিতে হবে। মিথ্যা মিথ্যা বলে চিৎকার করলেই কোন সত্য মিথ্যা হয়ে যায় না। বড়জোর সাময়িক ভাবে কিছু ফয়দা হাসিল করা যায়। আপনাকে বলি, আপনার দুশ্চিন্তার কিছু নেই। গয়েবলসিয় প্রপাগান্ডা বা জাকির নায়কিয় প্রপাগান্ডা কোনটাই সত্যকে স্থায়ীভাবে মিথ্যায় পরিনত করতে পারে না।
@আতিক রাঢ়ী,
উপরে আদিল ভাইকে লিখা আমার উত্তরটা পড়ুন । ধন্যবাদ ।
@ফরিদ,
অভ্র ছারা ভাষা সৈনিক দিয়ে মন্তব্ব করা গেলে ভাল হত, বানান ভুলের জন্য ক্ষমা প্রারথি।
@আকাশ মালিক,
সাগত জানানর জন্ন ধন্নবাদ। নিজের চিন্তাধারা কার উপর চাপানর চেশটা করার মানসিকতা আমার নেই। েকান বিশয় সম্পরকে ধারনা না থাকলে মন্তব্ব করা থেকে বিরত থাকা ই স্রেয় মনে করি, এর বিপরিত হলে নিজের মন্তব্বটাকে যুক্তির সাথে উপস্থাপনের শিক্ষা মুলত সহশিক্ষা কারযক্রম থেকে পেয়েছি, আমার ধারনা মাদ্রাসা শিক্ষা বাবস্থায় সহশিক্ষা কারযক্রম এর অপ্রতুলতা, শিক্ষকের প্রতি অন্ধ আনুগত্ত, এ বাবস্থায় জড়িত বাক্তিদের সারথপরতা সরবপরি সমাজের অবহেলার কারনে এ বাবস্থাথেকে বিভ্রান্ত ও সঙ্কিরনমনা কিছু মানুষ বেরিয়ে আসছে। একটি সমাজ সেবা মুলক সংগঠনের ভিন্নধরমি চিন্তার ফলে মাদ্রাসা গুলতে বিতরক প্রতিজগিতার মত সহশিক্ষা কারজক্রম চালু করাতে আমরা এমন একদল মানুষ পেয়েছি, যারা প্রচলিত চিন্তাধারার বাইরে এসে ব্রিহত পরিসরে চিন্তা করার শিক্ষা অরজন করতে পেরেছে। সুধু সরকারের কারজক্রম নয়, সমস্যা বা পরিবরতন প্রত্তাশী যায়গা গুলতে খুদ্র সঙ্গঠনের উদ্দগী কারজক্রম সমাধানের একটি পথ হতে পারে। কাওকে পরিবরতন করতে চাইলে পরিবরতন হও নয়, তাকে সমস্যাটা বুঝিএ সমাধানের পথে উঠেত সাহাজ্জ করতে হবে, যারা একগুয়েমি করবে, বিবতননের ধারায় তারা এম্নিতেই হারিয়ে যাবে।
এটা হয়ত মুক্তমনার দাবি না, কিন্তু এটাই ইস্লামী বিশ্বে বাস্তব সত্য। যেখানে অন্য ধর্মের লোকেরা ধর্ম উন্মাদনাকে পরিহার করার চেস্টা করছে সেখানে মোশলমানরা ধর্ম উন্মাদানাকে এত প্রশ্রয় দেয় কেন?
আকাশ মালিক,
>>কোরানে হাত দিওনা হাদিসের সমালোচনা করোনা, হিতে বিপরিত হবে, আগুন লাগবে ইত্যাদি।>>
এরকম দাবি এখানে কে কোথায় করেছে আমার জানা নেই। কোথায় যেন একটা ভুল বোঝা বুঝি হচ্ছে। সত্য প্রকাশ করা, উলঙ্গ করা, সমালচনা করতে কে মানা করছে ? এটা ছাড়া বিকল্প মূল্যবোধ তৈ্রি হবে কি ভাবে ?
প্রশ্নটা উদ্দেশ্য নিয়ে মোটেও না। প্রশ্নটা ছিলো মুক্ত সমাজ গঠনের পদ্ধতিগত দিক নিয়ে। আপনি কোরান সংস্কারের কথা বলেছিলেন। পরে সেখান থেকে সরে গেছেন। কোরান সংস্কার, ধর্ম সংস্কার, সমাজ সংস্কার এরা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ ও ভিন্ন , ভিন্ন কার্যকারিতা বহন করে।
কোরানের বক্তব্য কেন অসত্য ও অবান্তর, পু্রোপুরি বা আংশিক তা বললে কোরানের সংস্কার করা হয় না। হয় কোরানকে খারিজ করা বা বাতিল করা। এটা সরাসরি সমাজ সংস্কার। ধর্ম সংস্কার কোন মুক্তমনার কাজ হতে পারে না। ওটা করার জন্য মার্টিন লুথার, বিবেকানন্দ, মৌদুদি রা আছেন। মুক্তমনারা মধ্যযুগীও সকল ধর্ম, অবান্তর মূল্যবোধ, অযৌক্তিক সকল মতবাদের উচ্ছেদ করে যুক্তি নির্ভর, বিজ্ঞান মনস্ক একটি মানবিক সমাজের জন্য কাজ করে। আর আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।
@আতিক রাঢ়ী,
এ ব্যাপারে আর কথা বাড়াতে রাজী নই দাদা, যথেষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের আপামর জনগন শ্বাসরুদ্ধ নিঃশব্দ নির্বাক দাঁড়িয়ে প্রতিক্ষায় ছিল সেই ঐতিহাসিক রায়ের। বঙ্গবন্ধু হত্যার রায়। লোমহর্ষক মর্মান্তিক সেই রাতের ঘটনার বিবরণ পত্র-পত্রিকায় পড়ে মনটা বিগড়ে গেছে। কোন একটি পত্রিকায় খুনী মহিউদ্দীনের একটি সাক্ষাতকার পড়েছিলাম, তাকে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পূর্বে। সে বলেছিল- শেখ মুজিব ছিলেন আমাদের ধর্ম ইসলামের জন্যে মারাত্বক হুমকি। শেখ মুজিবের হাতে ইসলাম নিরাপদ ছিলনা। এ হত্যার রায়ের উপর মুক্তমনা সদস্যবৃন্দের প্রতিক্রীয়া জানার অপেক্ষায় রইলাম।
@আকাশ মালিক,
রায় যথার্থ হয়েছে, তবে খেদ থেকেই যায় যে সব কটা খুনীকে মনে হয় এ জীবনে শাস্তি পেতে হবে না।
সেই রাতের বিবরন এতবার পড়েছি, তারপরেও কোথাও পেলে আবারো পড়ি, যদিও এসব বিবরন কোনমতেই মনমুগ্ধকর কোন বর্ণনা নয়।
ঠান্ডা মাথায় কাউকে সপরিবারে এরকম নৃশংশভাবে হত্যা করতে কোন ধরনের মোটিভেশন লাগে, ধর্ম হতে পারে সেই উত্তেজক। নাহলে যার সাথে কোনরকম ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই, তার অবোধ শিশু বা প্রসূতি মহিলাদের কিভাবে হত্যা করা যায়? কোন দেশপ্রেম রাজনীতির সংজ্ঞায় পড়ে?
এই হত্যার বিচার এত বছর রুদ্ধ ছিল তার পেছনেও রাজনীতির পাশাপাশি ধর্মীয় উগ্রতার ভূমিকা অবশ্যই আছে। নয়ত বিএনপি জামাত ইনডেমনিটি বাতিলের দিন সংসদ ছেড়ে চলে যায় কেন? এটা কি খুনীদের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানানো নয়? জামাত নাহয় বাদ থাকল, বিএনপির সাধারন সমর্থকদেরও কোনদিন দেখিনি তাদের দলের এহেন অমানবিক আচরনের কোন নিন্দা প্রতিবাদ জানাতে। ১৫ আগষ্টের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার ছাত্রদলের মিছিল থেকে শুনেছি। মানবিকতার কোন ধারায় এসব পড়ে? এগুলি উগ্রতা ছাড়া আর কি?
আমাদের দেশে এন্টি আওয়ামী একটা বড় ভোট ব্যাংক আছে, যারা মুখে স্বীকার না করলেও আওয়ামী লীগকে ধর্মীয় কারনেই ঘৃণা করে।
আজ দেখি রংগিলা মওদুদ সাহেব ভোল পাল্টেছেন, আইনের শাসনের জয় হয়েছে বলে মহতী বাণী দিচ্ছেন। এই বদ নিজে আইনমন্ত্রী থাকার সময় কিভাবে এই বিচার কাজ ঠেকিয়ে রেখেছিল তা আজ তাকে কেউ জিজ্ঞাসা করার নেই?
@আকাশ মালিক,
রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না।
@আকাশ মালিক, :yes:
@আতিক রাঢ়ী,
সম্পূর্ণ একমত।
আমি জানিনা যে মুক্তমনায় কিভাবে মন্তব্ব করেত হয়, কারণ আমি মুক্তমনার নিওমিত সদসস না। আমি মুলত মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত। মুক্তমনার ইয়াহু গ্রুপ এর সদসস খুব ছট বয়স থেকে। এখান থেকে শিখেসি অনেক কিছু। জানার ও আছে অনেক। আশা করি লিখার অনুমতি পেলে আমার কথা গুল জানাএত পারব। ধন্নবাদ
@anas,
মন্তব্য যেহেতু করেছেন, কাজেই কীভাবে করতে হয় তা জেনে গেছেন ইতোমধ্যেই।
মুক্তমনায় লেখার জন্য কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। মুক্তমনায় লেখা পাঠানোর নিয়মকানুন এখান থেকে জেনে নিতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয় একটা কপি অভিজিত ([email protected]) অথবা আমাকে ([email protected]) পাঠালে।
মুক্তমনার মানের কাছাকাছির লেখা হলে এবং এর আদর্শের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক না হলে আপনার লেখা পোস্ট হবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আপনার লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
@anas,
মুক্তমনায় স্বাগতম। অভ্র ফন্ট ব্যবহার করে মন্তব্য করতে পেরেছেন। অপ্রাসংগিক মন্তব্য, অশ্লীল কুরুচীপূর্ণ ভাষা ব্যবহার পরিহার করা বাঞ্ছণীয়। এখানে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত সদস্যের সংখ্যা নিতন্তই কম। বানিজ্যিক বিজ্ঞাপন বা কোন ধর্মের প্রচারণা বর্জিত ঘঠনমূলক লেখা মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ ছাপাতে আশা করি আপত্তি করবেন না।
খুবই ভাল লিখেছে আতিক। ফাইফ স্টার।
আমার মনে হয়ে কোরান কোরান না করে, কোরানের এক কালীন উপযোগিতা স্বীকার করে, কিছুটা নিয়ে বাতিল করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক ধাপে কেও দশতালা উঠতে পারবে না। আল্লাপাকর ভয় মুসলমানদের অবচেতন মনকে এমন ভাবে আচ্ছন্ন করে আছে, বিকল্প পথ খুবই কম।
@বিপ্লব পাল,
ধন্যবাদ বিপ্লব দা, আপনার ফাইভ স্টার মানে আমার জন্য পাঁচটা খুশির ডিগবাজি :-))
@বিপ্লব পাল,
দাদা, আপনারা হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোকে কি পরিমাণ উলংগ করে ছেড়েছেন তা দেখেছি। সেই সমস্ত বইয়ের উদৃতি দিয়েই আমার বইয়ে হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোর সমালোচনা করতে পেরেছি। খৃষ্টানরাও বাইবেলকে তুলোধুনো করে ছেড়েছেন। খৃষ্টান নতুন প্রজন্মের কাছে বাইবেল আজ ফেয়ারীটেইল স্টোরী বুক। শুধু মুসলমানের বেলায় ব্যতিক্রম। কোরানে হাত দিওনা হাদিসের সমালোচনা করোনা, হিতে বিপরিত হবে, আগুন লাগবে ইত্যাদি।
দু একজন অবচেতন আচ্ছন্ন মনের মুসলমান, মুক্তমনার বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ক আলোচনা সমালোচনা থেকে চৈতন্য ফিরে পেয়েছে, তা-ইবা কম কিসে? নতুন প্রজন্মের কাছে আমার একটাই স্লোগান- Don’t Just Believe What You Are Told – Prove It.
@আকাশ মালিক, সহমত।
আকাশ মালিক,
জনাব ফরহাদ কে লেখা আপনার জবাবটা পড়লাম। আপনার কথায় বুঝতে পারছি যে, আপনার মতে মূল শত্রু কোরান। সুতরাং যুদ্ধটা কোরানকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হওয়া জরুরী। এখানে আমার দ্বীমত আছে। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ঘৃনা করার উপদেশ বহু ধর্মেই আছে। ধর্মীয় উপদেশ দ্বারা পৃথিবীর মানুষ চালিত হলে এতদিনে এরা পরস্পরকে শেষ করে ফেলার কথা ছিলো। সুলতান মাহামুদের ভারত অভিযান আর স্পেনিয়ার্ডদের ম্যাক্সিকো, প্রেরনা বরাবরই ছিলো সম্পদের হাতছানি। যেকোন সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের জন্য আদর্শটা দরকার হয় এর অন্তরনিহীত লোভী চেহারাটা আড়াল করার জন্য।
তাজ হোটেল আক্রমনে বেঁচে যওয়া একমাত্র জঙ্গি কাসাব কে তার বাবা লস্করই-তৈ্যেবার কছে বিক্রি করে দিয়েছিল। সন্তানের প্রতি তার উপদেশ ছিলো- লস্করই-তৈ্যেবার টাকা আছে। তোমারও তা থাকতে হবে। ধনীর সন্তানরা জঙ্গিদলে ভেড়ে ক্ষমতার মোহে। আর আত্মঘাতীরা বেশীর ভাগই ভাড়া খাটা।
সতীদাহের জন্য নারীদের রাজি করানো হতো ঐ ব্রেন ওয়াশের মাধ্যমে।
এর জন্য হতভাগাদের কে সর্বক্ষন ঘীরে রাখা হয়। সতীদাহের জন্য প্রস্তুতকৃ্ত নারীদের যেমন মদ, ভাং এসব খাইয়ে পুরোহীত পরিবেষ্টিত করে রাখা হতো। আত্মঘাতী জিহাদিদেরো প্রস্তুত করতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নিশ্চিৎ কোন ড্রাগের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এটা আমার অনুমান।
কোন ধর্মেই সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে মূল গ্রন্থে হাত দিতে পারেনি। তারা যেটা করেছে সেটা হচ্ছে উপেক্ষা। ব্যাপারটা এমন যে- এটাতে যা লেখা আছে থাক- আমকে আমার মত চলতে দাও। এখন কোরানের সংস্কার বলতে আপনি কি ভাবছেন, সেটা আশা করি আপনি পরিস্কার করবেন। যদি বলেন এই এই আয়াত গুলো বাদ দিতে হবে বা পুনরায় লখতে হবে তবে সে কথা আপনি বলতেই পারেন। তবে যাদের জন্য বলা, তারা যদি আপনাকে আমলে না নেয় তবে দঃখ না পাওয়ার জন্য আপনাকে আগাম সাবধান করে দিচ্ছি।
আমার মনে হয় আধিক কার্যকর পন্থা হবে কোরানকে একটা সরল রেখা ধরে নিয়ে, একে মুছে ছোট করার চেষ্টা না করে এর পাশে আরেকটা বড় সরলরেখা টেনে দেয়া। যা বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের ব্যাপক চর্চার মধ্যমেই সম্ভব।
@আতিক রাঢ়ী,
আমিও মালিক সাহেবের লেখা পড়ে পুরো একমত হতে পারিনি, আমার ধারনাও আতিকের সাথে পুরোই মিলে যায়।
খুজতে গেলে সব ধর্মের ভেতরেই হিংসা, বিদ্বেষ হানাহানি ছড়ানোর যথেষ্ট উপাদান আছে। কিন্তু সবাই তো সেগুলি নিয়ে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ছে না। এমনকি এই ইসলামঈ জংগীবাদি সমস্যাও মাত্র কয়েক বছর আগে তেমন ছিল না, শুধু মাঝে মাঝে ইসরাইলে কিছু আলটপকা বোমা হামলা জাতীয় কিছু ঘটনা ছাড়া। সেটার জন্য ধর্মের থেকে রাজনীতি অনেক বেশী দায়ী।
তবে বর্তমানে যে জঙ্গীবাদ ছড়িয়েছে তার সাথে আসলেই ইসরাইল আমেরিকার সম্পর্ক অনেকটাই ক্ষীন।
দারিদ্র এবং অশিক্ষা হল এই ধর্মকেনন্দ্রিক সন্ত্রাসের মূল উপাদান। সেজন্যই আল কায়েদা তালেবান এরা মালয়েশিয়ার মত দেশে জনপ্রিয়তা পাবে না, পাবে পাকিস্তান আফগানিস্থানের বিরান পাহাড় মরুতে।
অন্য কোন ধর্ম থেকেই কেটে হিংসাত্মক আয়াত বাদ দেওয়া হয়নি, সেটা করতে গেলে ফল হবে আরো খারাপ। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। তার চেয়ে অন্য ধর্মের লোকেরা যা করে সেটা করাই যুক্তিযুক্ত। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের বাস্তবতা আর এই আমলের বাস্তবতা যে ভিন্ন তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হবে।
অবশ্যই এর জন্য কিছু শক্ত মানসিক আঘাত প্রয়োযন, তবে সেটা যুক্তিতর্কের আলোকেই করা যায়।
@আদিল মাহমুদ,
কোরান ধর্মকেনন্দ্রিক সন্ত্রাসের মূল উপাদান আমি বলিনা। কোরান সংস্কার বা কিছু আয়াত বাদ দেওয়া তাও বলিনা, এ যে অসম্ভব তা বুঝি। আমি বলি ধর্মের সন্ত্রাসী ইতিহাস, ধর্মের কুৎসিত চেহারা সাধারণ মানুষের সামনে তোলে ধরতে। মুখে না পারি অন্তত কলম দিয়ে।
হাজার হাজার শিক্ষিত মানুষের উপস্থিতে প্রকাশ্য জনসভায় মুসলমান আলেম কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ-উপহাস তিরস্কার করতে দেখেছি, কোরান হাদিস থেকে উদৃতি দিয়ে আহমেদ শরীফ ও তসলিমা নাসরিনকে হত্যার ফজিলতও নিজের কানে শুনেছি। আমরা কি এই সিদ্ধান্তে উপণীত হতে পারি যে, বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত জঙ্গীদের দ্বারা (জিহাদী নয়) যত মানুষ খুন হয়েছেন, যত সন্ত্রাসী কান্ড ঘটেছে তার সাথে কোরান হাদীসের কোন সম্পর্ক নেই?
দারিদ্র বুঝেছি, অশিক্ষা বুঝি নাই।
@আকাশ মালিক,
আমিও মানি যে ধর্মের সবই ভাল, খারাপ কিছু নেই হতে পারে না এ জাতীয় একতরফা প্রচারের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। ধর্ম খারাপ নাকি কিছু ধার্মিক খারাপ এসব বিতর্ক ফেলে স্বীকার করতে হবে যে ধর্ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে গেলে সমূহ গোলযোগ হবেই। এই কাজ খুব সহজে হবে না, এর জন্য প্রয়োযন কঠিন মানসিক আঘাত।
মানুষকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখাতে হবে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির ফল, প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলি যে এ যুগে অন্তঃসার শূন্য সেটা। ফল যে কিছু হচ্ছে না তা না। অন্তত টনক নড়েছে যে সহী হাদীস অতটা সহী নয়। অনেকে তো আবার কোরান অনলি মোসলমান বনে যাচ্ছেন। এভাবেই হয়ত কিছুটা সংস্কার হবে।
অশিক্ষা এ অর্থে বলেছি যে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী দিয়ে খুব বেশী কিছু মিন করে না। জ়ীবিকা ছাড়াও শিক্ষার যা মূল উদ্দেশ্য সেটা হল সংস্কারমুক্ত মানুষ তৈরী করা সেটা হচ্ছে না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে অতি উচ্চ শিক্ষিত লোকেও কি সহজে নিজ ধর্মের লোকের বিরুদ্ধে যেকোন অভিযোগের মধ্যেই গভীর ষড়যন্ত্র খুজে পান। এনারা কোন যুক্তিতর্কের ধার ধারতে চান না। আমার মনে হয় শিক্ষার এই মূল লক্ষ্য অর্জন এক পুরুষে হয় না, কয়েক জেনারেশন লেগে যায়। তারপর হয়ত সংস্কারমুক্ত মন তৈরী হয়।
বিষয়টি খুব ভহাবহ। আমার মনে হয় রাজধানী ঢাকাতে লোকজন কিছুটা কন্সাস্ আছে, কিন্তু ঢাকার বাইরে মফস্বল এলাকা গুলোতে আমি দেখেছি বোরখা/হেজাব পরা মহিলার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশী বাড়্ছে দিনে দিনে, অন্ততোপক্ষে আমার তাই মনে হয়েছে। মহিলারা খুবই চিন্তিত এই ব্যাপারে।
আমার মনে হয়, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
আর যেভাবে বয়লার মুরগী্র মত অল্প বয়সী জংগী্রা ধরা পড়ছে তাও সন্দেহজনক!
আসল কথা হলো,বেশীর ভাগ মুসলিম জীবনে কোরান অর্থসহ না পড়ে
মনে করে,কোরানের বানী সকল সময়ের,সকল মানুষের জন্য শুধুই শান্তির
বানী শুনিয়েছে, সকল ধর্মকে সমান মর্যাদা দিযেছে,মানবতার কথা বলেছে।
আমাদের মতো যারা আসলেই যারা বুঝে কোরান পড়েছে,তারা হয় কট্টর
মৌলবাদি/জংগি হয়ে যেতে হবে অথবা আমাদের মতো নাস্তিক হয়ে যেতে হবে,
এর মাঝামঝি কোনো পথ নেই। কোরানের বানী ঘৃনা,অনৈতিকতা,ভয়,ছাড়া
কিছুই শিখায় না।
“সকল মুসলমান জংগি নয়, কি্ন্তু প্রায় সকল জংগিই মুসলমান”
@ফরহাদ,
জংগী শব্দটিতে আমার আপত্তি আছে। এটি ধর্মকাতর শিক্ষিত লোকের সুচতুর আবিষ্কার। শব্দটিই বলে দেয়, এর সাথে ইসলাম বা কোরানের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলামের নবী মুহাম্মদের নির্দেশে রাতের অন্ধকারে শিশু সন্তান সহ ঘুমন্ত মাকে হত্যা, নিরপরাধ খোরায়েজ গোত্রকে বন্দী করে গণহত্যা, মুর্তি, ভাষ্কর্য্য, মসজিদ ভাংগা, জিহাদ না জংগীবাদ ছিল? জিহাদের বাংলা যদি জংগীবাদ হয় আমার কোন আপত্তি নেই। অন্যতায় ইসলামী সন্ত্রাসকে জিহাদ এবং সন্ত্রাসীকে জিহাদী বলাটাই সমুচীৎ। ইসলামের জন্মের দশ বছর পর থেকে এই সন্ত্রাস, এই জংগীবাদ, এই জিহাদের শুরু আর তা আজও অব্যাহত আছে। সময়ের বিবর্তনে অস্ত্র ও সন্ত্রাসের রূপান্তর ঘটেছে মাত্র। জংগীবাদের প্রধান কারণ উদ্ঘাটন করতে গিয়ে আমাদের দেশের কম্যুনিস্টরা সহ রাজনিতীবিদ, বুদ্ধীজীবি, সুশীল সমাজের একদল লোক চোখ বন্ধ করে সব সময় বলে আসছেন, এর মূল কারণ বৃটেন, আমেরিকা ও ইসরাইল। তাদের মতে দ্বিতীয় কারণ, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, রাজনৈতিক দৈন্যতা, দারিদ্র, সামাজিক বৈষম্য, বঞ্ছনা, আর্থিক অসচ্ছলতা। তারা কোনদিনই কোরান এর প্রতি অংগুলীনির্দেশ করতে রাজী নন। ৯/১১ এবং ৭/৭ এর মত ভয়াবহ ঘঠনার পরও প্রীন্স চার্লস, টনি ব্লেয়ার এমন কি জর্জ বুশও ইসলামের তথা কোরানের সাফাই গেয়েছেন। বাংলাদেশেও একইভাবে ১৭ আগষ্ট ২১ আগষ্ট এর পর ইসলামের জয়গান গাওয়া হয়েছে, কেউ কোরানের দিকে ইংগিত করেনি। কোরান সব সময়ই রয়েছে নমস্য তুলসীপাতা। আমরা বুঝি, জংগীবাদের মূল কারণ নির্ণয়নে এসমস্ত বলে দেয়া যত সহজ, কোরান এর প্রতি আংগুল তোলা তত সহজ নয়। তসলিমা, দাউদ হায়দার তোলেছিলেন, তারা দেশান্তরী হয়েছেন। কিছু সময়ের জন্যে আমরা যদি কল্পনা করি আমেরিকা ও ইসরাইলের অস্তিত্ব নেই, জংগীবাদ কি বন্ধ হয়ে যাবে?
এই কথাটা আমাদের রাজনীতিবিদ, আমলা, প্রশাসন, তথাকথিত সুশীল সমাজ, শিক্ষিত সমাজের মুখ থেকে বের করানো যাবে? যাবেনা। জংগীদলে আমরা কওমী মাদ্রাসার, আলীয়া মাদ্রাসার, গভর্নমেন্ট মাদ্রাসার, বুয়েটেরও ছাত্র পেলাম, আর ইংল্যান্ডের ধণী, শিক্ষিত, সমভ্রান্ত পরিবারের ছেলেদেরকেও দেখলাম। আপন বুকে বোমা বেঁধে, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে মৃত্যুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে, তারা বলে গেছে, ইহজাগতিক পার্থিব লোভে নয় বরং একটি আদর্শ বাস্তবায়নে তারা মারে ও মরে। কোরান দিয়ে ব্রেইন ওয়াশড বা মগজ ধোলাই না হওয়া পর্যন্ত নিজের বুকে বোমা বাঁধার মত একজন মানুষও জগতে খোঁজে পাওয়া যাবেনা, সে যতই অশিক্ষিত, বোকা, দরিদ্র বা নিঃসম্বল হউক। রাজনৈতিক কারণে, দেশপ্রেমে বা ইহজাগতিক স্বাধিকার আদায়ে যারা আত্মঘাতী পদক্ষেপ নেয় তাদের কথা এখানে অপ্রাসংগিক।
বাংলাদেশকে ইসলামীকরণে মেজর জিয়া ও জেনারেল এরশাদ যেমন দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ এবং মিডিয়াগুলোও এর জন্যে কম দায়ী নয়। যুক্তিবাদী, প্রগতিবাদী, সত্যবাদী দাবীদার এমন একটি পত্রিকাও কি আছে যেখানে- ধর্মকথা, ধর্মচিন্তা, ইসলামী জীবন, রোজার সংযম, কোরবানীর ফজিলত, নামাজের সময় সূচী, ইসলামে নারীর সম্মান, এসমস্ত আবর্জনা নেই। রাস্ট্রের মস্তিস্ক সবাই যখন ধর্মের তথা ইসলামের পাহারাদারের দায়ীত্বে নিয়োজিত, তখন আমাদেরকে একাই চলতে হবে। প্রয়োজন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের। আমাদের লেখনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সামনে তোলে ধরতে হবে বিজ্ঞান ভিত্তিক জীবনের উপযোগীতা, আর একই সাথে ধর্মের কুৎসিত চেহারা।
কথাটা সঠিক হয়েছে বলে মনে হয়না। তখন দল একটাই ছিল। দলের ও আক্রমনের নেতৃত্বে ছিলেন নবী মুহাম্মদ। মক্কাবাসী তাদের বনিকদলকে মুহাম্মদের হাত থেকে উদ্ধার করতে চেয়েছিল। কোরান সাক্ষী বদরের যুদ্ধ পূর্ব-পরিকল্পিত। কোরায়েশগন কোন অবস্থাতেই বদরের যুদ্ধ এড়াতে পারতেন না। প্রতিশোধ হিসেবে একটাই যুদ্ধ ঘটেছিল, ওহুদের যুদ্ধ। সে যুদ্ধে খালেদ বিন ওলিদের তলোয়ারের আঘাতে মুহাম্মদ আহত হয়েছিলেন।
মাদ্রাসায় কোরান পড়ানো যাবে, কিন্তু জিহাদ শিক্ষা দেয়া যাবেনা, এ শুধু স্বপ্নেই কল্পনা করা যায়। ঠিক তেমনি কোরান সংস্কার না করে, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ণ এক অলীক কল্পনা।
বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত চেহারা কেমন হবে, এর কিছুটা আভাষ পাওয়া যায় ১৫ ও ১৬ তারিখে ইনকিলাব পত্রিকায় পকাশিত সংবাদে।
এবার নীচের লিংকগুলো দেখুন-
httpv://www.youtube.com/watch?v=HCu4prr_qWU
httpv://www.youtube.com/watch?v=2cCnJsqHDuo
httpv://www.youtube.com/watch?v=NTyts_-PH8Y
httpv://www.youtube.com/watch?v=vNCbiG1ObrM
@আকাশ মালিক,
“কোরান সংস্কার না করে, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ণ এক অলীক কল্পনা।”
আপনি আসল যায়গায় হাত দিয়েছেন। মোসলমানদের একটা মৌলিক শিক্ষা হিসেবে সবার মাথাতেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে কোরান অক্ষরে অক্ষরে মানা ছাড়া পাক্কা মোসলমান হওয়া যাবে না। আমার মতে এখান থেকেই যত সমস্যার সৃষ্টি। মুশকিল হল অন্ধবিশ্বাসের মোহে এর প্রযোয্যতা যাচাই বাছাই না করেই সবাই এটা বিশ্বাস করতে চায়। যে কোরানের পুরো বাংলা অনুবাদ হয়ত পড়েনি সেও এটা মনেপ্রানে বিশ্বাস করে। কিছু না বুঝলেও অন্তত গুনাহ্র ভয়ে হলেও সে এটা বিশ্বাস করতে চায়। জিহাদী ফ্যানাটিসিজম প্রচারকারী মোল্লা আলেমের দল ঠিক এই দুর্বলতাটুকুরই সফল সুযোগ নেয়।
কোরান সংস্কার তো সম্ভব নয়, আরো বেশী আবেগের বিষয়। তবে সবাও বোঝা উচিত যে কোরানের সব বাণী বা শিক্ষা সব যুগে সব দেশে প্রযোজ্য নয়। অনেক আয়াত সেসময়কার আরববাসীদের জন্যই কেবল খাটে। এটা ভালভাবে না বুঝলে এ সমস্যার কোন সহজ সমাধান নাই।
@আদিল মাহমুদ, আপনারা যারা কোরানের সংস্কারের কথা বলেন, একবার প্রকাশ্যে বলে দেখুন, ঘাড়ে মাথাটা থাকে কিনা।আর আমাদের মত
নাদান পাবলিক কে যদি বলতেন, কোরানের কোন কোন
অংশ বাদ দিলে এর একটা আধুনিক রুপ দাড়াবে?
ধন্যবাদ সবাইকে।
@আকাশ মালিক,
আপনার কথাই হয়তো ঠিক। সেই ডাকাতিতে মুহাম্মদের নেতৃ্ত্ত্ব দেয়া অসম্ভব না।
তবে কোরান সংস্কারের ব্যাপারে আপনার মতামত আরো পরিস্কার ভাবে জানতে চাই। এব্যপারে যদি আপনার কোন প্রস্তাবনা থাকে । সংস্কার প্রস্তাব গুলো কি, আর তা বাস্তবায়ন হবে কি ভাবে ?
যদিও আমি ব্যাক্তিগতভাবে আদিল ভাইয়ের সাথে একমত যে কোরান আক্ষরিক ভাবে সংস্কার সম্ভব না। বিবর্তনের ধারায় এটা এসময় বেশীরভাগ মানুষের কাছে আবান্তর হয়ে যাবে।
মূলত কোন কিছু সংস্কার করা হয় আরো কিছুদিন ব্যাবহারের জন্য। বিলুপ্তির গতিকে মন্থর করার জন্য। সেটার কি আদৌ কোন দরকার আছে ? অনেক প্রাচীন ধর্ম নিজেকে সংস্কার করে এখনো টিকে আছে। কোরান এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম।
সে নিজেই ঘোষনা করছে যে সে সংস্কারের অযোগ্য। এই অনমনীয়তাই এর বিলুপ্তির জন্য যথেষ্ট। আমার মতে এটাকে এভাবে থাকতে দিলেই বরং মানব জাতি এই বোঝা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবে।
তারচেয়ে বরং ধীরে ধীরে জনগনকে বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তুলতে পারলে তারাই নিজেদের পথ খুঁজে নিতে পারবে।
এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, ঘোড়ার আগে গাড়ি না গাড়ির আগে ঘোড়া জুথতে হবে ?
আগে কোরান সংস্কার, পরে মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার নাকি উল্টোটা করা ঠিক হবে ? এক্ষেত্রে অন্য ধর্মগুলো কোন পথে এগিয়েছে ? কোরান সংস্কার করতে যে অনিদৃষ্টকাল সময়ের প্রয়োজন, সে পর্যন্ত মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার বন্ধ রাখা ঠিক হবে কিনা ?
মাদ্রাসাগুলির আধুনিকায়ন খুবই দরকার। এক দেশে দুধরনের শিক্ষা ব্যাবস্থা থাকাটাই সমিচীন না। মাদ্রাসার ছেলেপিলেরা সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিতদের সাথে বাস্তব জীবনের লড়াইতে অনেক পিছিয়ে থাকে। এতে তাদের মনে পুরো সমাজের উপরই ক্ষোভ জেগে উঠবে। ওঠাই স্বাভাবিক। এ বছর ঢঃবিঃ এর খ ইউনিট এর ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে এক মাদ্রাসা ছাত্র, কিন্তু সে ভাল ভাল অনেক বিষয়ে পড়তে পারবে না কারন তার মাদ্রাসা পাঠ্যক্রমে বাংলা ইংরেজীতে পর্যাপ্ত গুরুত্ত্ব ছিল না। এ বেচারার মনে ক্ষোভ থাকবে না? যদিও প্রচলিত নিয়মে এর জন্য করার তেমন কিছু নেই। সমাধান গোড়ায় হাত দেওয়া।
মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি দেশাত্মবোধক কিছু পাঠ দেওয়া যেতে পারে সমাজ বিজ্ঞান বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাশাপাশি যাতে তারা দেশীয় জাতীয়তাবোধ বোধ করে। এটা মনে হয় খুবই দরকার, কারন এখন বেশীরভাগ মাদ্রাসার শিক্ষার আদল সরাসরি নাহলেও অনেকটা ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক যা দারিদ্রের পাশাপাশি মাদ্রাসা থেকে কেন বেশী জংগী সহজে রিক্রুট করা যায় তার একটা বড় কারন। দেশের অধিকাংশ মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীতের কোন ব্যাপার নেই, এদের মাঝে দেশাত্মবোধ আসবে কি করে?
মসজিদের ইমাম মাওলানাদেরও কঠোরভাবে জেহাদী ধ্যানধারনা, জ্বালাময়ী প্রচারনা বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশে জেহাদ করে যে আমেরিকা বা ইসরাইলের লাভ ছাড়া ক্ষতি কিছু হবে না এ সরল বাস্তবতা বুঝতে হবে। কোরান হাদীসের অনেক কালাকানুন যে এ যুগে অচল এ সত্যও গ্রহন করার মানসিকতা গড়তে না পারলে সমস্যা থেকেই যাবে।
@আদিল মাহমুদ,
আমদের সমাজে জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে বৈষম্য ভয়াবহ ভাবে বেড়ে গেছে। হত দরিদ্র মানুষের সংখ্যা একদিকে যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে বিত্তশালী। ধনতান্ত্রিক সমাজে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমদের এখানে উৎপাদন শক্তির বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদক শ্রেনী গড়ে উঠছে না। এখানে ঘটছে ব্যাপক দূবৃত্তায়ন। কেউ কারখানা বানাবার জন্য লোন নিল, তারপরে পুরো টাকা ব্যংকার ও আমলা সহযোগে মেরে দিল। এই লুটেরা সংস্কৃতির বিকাশের ফলে প্রতিটা এলাকার টাউট, বাটবার যে কটা আছে সব বিত্তশালী হয়ে উঠছে। ফলে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হচ্ছে না। যুব সমাজের মাঝে হতাশা বাড়ছে। মুল ধারার শিক্ষিৎ যুবকদের মাঝেও হতাশা বাড়ছে। তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশের বিকল্প মাধ্যমের অভাবে, ঝুকে পড়ছে জঙ্গিবাদের দিকে।
শিক্ষার সংস্কার অবশ্যই জরুরী, একি সাথে অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন ছাড়া ভবিষ্যৎ সত্যিই অন্ধকার।
@আতিক রাঢ়ী,
যেহেতু রাজনীতি দূর্বৃত্তায়ন হয়েছে এবং টাউট,বাটপার ও মাফিয়াদের হাতে বাংলাদেশের ৯৫% লোকের জীবন বন্দী ও শোষনের জাতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে সেখানে শিক্ষার ও অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন বা সংস্কার হয় কিভাবে ? আর এই আমূল পরিবর্তনের জন্য আপাততঃ বাংলাদেশে কি আপামর গরীব-দুখী মানুষের ভাগ্য বদলানোর কোনো নেতৃত্ত বা পার্টি আছে ??? ওই রকম অবস্হায় তো কাউকে না কাউকে ঐ শূন্যতা পূরন করতে আসতে হয় যেটা জামাতে ইসলামী নাকি পিছলামী সহ পিছনের সব ধর্মীয় পাটি গুলি করছে।সে হিসাবে সেখানে জংগীবাদ তৈরী না হয়ে কি বিজ্ঞানভিত্তিক সেক্যুলার শিক্ষানীতি,অর্থনীতি ও রাজনীতির জন্ম হবে ???আপাতঃ সে আশা গূড়ে বালি।
ধন্যবাদ।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
সহমত। আসলেই এগুলি আজকের প্রেক্ষাপটে দূরাশা। কোন দিন না, ভালভাবে বাঁচার স্বপ্নটাও মরে যায়। তাই স্বপনের গোড়ায় পানি ঢেলে যাই।
যেকারনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয় যার ব্যাখ্যা ইতিহাসের জঘন্য জলপাই এরশাদ গত ১৫ ই নভেম্বর দৈনিক আমাদের সময়ে দিয়েছিল।http://www.amadershomoy.com/content/2009/11/15/news0525.htm
ধন্যবাদ আতিক কে লেখা টি লেখার জন্য।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
মামুন ভাই, আমাদের দেশ নেত্রী ও জন নেত্রী যেখানে এস এস এফের গার্ড ছাড়া দুই কদম চলতে পারেনা, যেখানে এই বিরল প্রতিভাটিকে একা একা গাড়ী চালিয়ে ঢাকার রাজপথে হাওয়া খেতে দেখা যায়। এটার সম্ভাব্য কারন নিয়ে আমি ভেবেছি——-
১) আল্লাহ ও শয়তানের ভুল নেই। তাই এরা ভয় ও অনুশোচনা শূন্য। এরশাদ ইহাদের একটির সমগোত্রীয় হবে।
২) প্রেমের প্রবল বেগ সামলাতে না পেরে নতুণ বান্ধবীর খোঁজে নিজের অজান্তেই এভাবে বেরিয়ে পড়েন।
৩) নাকি এরশাদকে শত্রুর মর্যাদা দিয়ে নিজেকে আমরা হেয় করতে চাই না।
বুঝিনা, মাথাডা খালি ঝিম ঝিম করে।
@আতিক রাঢ়ী,
আমার মনে হয় ৩ নং টা বেশী প্রযোজ্য। একে মেরে হাত গন্ধ করতে যাবে কে?
যে লোক নিজের দলের কর্মী সভায় বলেন আমার নামে আর নারী কেলেংকারী শুনলে আমার দুই গালে চড় মারবেন সেই লোকের ভয় কিসের? কথায় আছে ” ” নাই বাটপাড়ের ভয়।
ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
ধন্যবাদের জন্য ধন্যবাদ।