কালো মানুষের গান
আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি।
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তার পিঠে রক্ত জবার মত ক্ষত ছিল।
কারণ তিনি ক্রীতদাস ছিলেন।
– আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
গাম্বিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা – ১৭৬৭ সাল
মান্দিনকা যোদ্ধা মুসলমান ওমোরোর সতের বছরের নওজোয়ান যোদ্ধা ছেলে কুন্তা কিন্তে জংগলে গিয়েছিল ড্রাম বানানোর কাঠ যোগাড়ের জন্য। অতর্কিতে চারজন অচেনা লোক ঝাপিয়ে পড়ে কুপোকাত করে ফেলে তাকে। তাদের সম্মিলিত আক্রমনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কুন্তা কিন্তে। জ্ঞান ফিরলে আবিষ্কার করে তার হাত পা সব বাধা শিকল দিয়ে। চিৎকার যে করবে সে উপায়ও নেই। মুখে কাপড় গুঁজে দিয়েছে। ভয়ংকর শেতাঙ্গ দাস বণিকদের হাতে বন্দী সে। নগ্ন করে ভয়াবহ অবমাননাকর অত্যাচারের পর গরম লোহার শলা দিয়ে গরু ছাগলের মত ক্রীতদাসের চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয় তার গায়ে। তারপর কুন্তা কিন্তে সহ আরো অনেক লোককে তোলা হয় দাস বহনকারী জাহাজে। চালান করে দেওয়া হয় পৃথিবীর আরেক প্রান্তের আমেরিকায়।
চিত্র : ১৮৬৩ সালে তোলা ছবি। চাবুকের আঘাতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে এই ক্রীতদাসের পিঠ।
তিন মাসের নরক যন্ত্রনাসম ভ্রমণের পর জাহাজ পৌঁছায় মেরিল্যান্ডে। সেই যাত্রায় ১৪০ জন বন্দীর মধ্যে কুন্তা কিন্তে সহ বেঁচে ছিল মাত্র ৯৮ জন। সেখানে ভার্জিনিয়ার এক খামারে দাস হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাকে। তার নতুন নামকরণ করা হয় টোবি বলে। কিন্তু তার বাকী জীবনে স্বাধীনতার স্বপ্নকে বিসর্জন দেয়নি কুন্তা কিন্তে, বিসর্জন দেয়নি নিজের পরিচয় এবং ধর্মকে। বার বার পালানোর চেষ্টা করেছে স্বাধীনচেতা এই গর্বিত যুবক। তিনবার পালানোর চেষ্টার পর শাস্তি হিসাবে খোজা করে দেওয়া, না হয়তো পা কেটে ফেলার বিকল্প বেছে নিতে বললে পাকেই বেছে নিয়েছিল কুন্তা কিন্তে। পা কাটার পরেও পালানোর প্রচেষ্টা থেমে থাকেনি তার। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়।
ওয়াশিংটন ডিসি – ১৮৬৫ সাল
এপ্রিলের এক সন্ধ্যায় ফোর্ড থিয়েটারের স্টেট বক্সে বসে সস্ত্রীক কমেডি নাটক Our American Cousin উপভোগ করছিলেন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন। নাটকের তৃতীয় অংকের সময় পিছনের দরজা খুলে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র ঘাতক জন বুথ। লিংকনের মাথার পিছন বরাবর ট্রিগার টেনে দেয় সে। অচৈতন্য লিংকনকে নিয়ে যাওয়া হয় রাস্তার অপর পাশের পিটারসন হাউজে। নয় ঘন্টা গভীর কমায় থাকার পর পরেরদিন সকালবেলা মারা যান তিনি।
লিংকন ছিলেন দাসপ্রথার ঘোরতর বিরোধী। ১৮৬০ সালে তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পরই শপথ গ্রহনের আগেই সাউথ ক্যারোলাইনার নেতৃত্বে দক্ষিণের রাজ্যগুলো ইউনিওন পরিত্যাগ করে আলাদা কনফেডারেট গঠন করে। উত্তরের রাজ্যগুলো ছিল ইউনিওনের আওতায়। শুরু হয় উত্তর ও দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মধ্যে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। ১৮৬৫ সালে ইউনিয়ন বাহিনী চুড়ান্তভাবে পরাজিত করে কনফেডারেট বাহিনীকে। সমাপ্তি ঘটে আমেরিকার দাসপ্রথার। মৃত্যুর মাত্র দুদিন আগের এক ভাষনে তিনি দাসদেরকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভোটাধিকার দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন। আর সে কারণেই অকালে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হয়েছিল তাকে।
মন্টগোমারি, আলাবামা – ১৯৫৫ সাল
দর্জির দোকানের কৃষ্ণাঙ্গী কর্মচারী রোজা পার্কস কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বাসে করে। যাত্রাপথে ক্রমে ক্রমে ভীড় বেড়ে চলছিল বাসের ভিতর। বাস যখন প্রায় ভরে গেছে যাত্রী দিয়ে তখন বাসের ড্রাইভার তাকে আদেশ করে একজন শেতাঙ্গ যাত্রীর জন্য আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ওই সময় মন্টগোমারির বাস ছিল দ্বিবিভাজিত। সাদাদের জন্য বাসের সামনের দিকে আর কালোদের জন্য বাসের পিছনের দিকে আসন সংরক্ষণ করা ছিল। রোজা পার্কস বসে ছিলেন বাসের পিছনের দিকে কালোদের জন্য নির্দিষ্ট আসনে। আসন আলাদা ছাড়াও আরো নিয়ম ছিল যে শেতাঙ্গদের জন্য নির্দিষ্ট আসন যদি ভর্তি হয়ে যায় তবে কৃষ্ণাজ্ঞদেরকে তাদের আসন ছেড়ে দিতে হবে তাদের জন্য। সেই সাথে কোন কৃষ্ণাঙ্গ লোক কোন শেতাঙ্গের পাশে বসতে পারবে না। তাকেও উঠে যেতে হবে তার আসন ছেড়ে। এই চরম অবমাননায় প্রতিবাদ করে উঠেন রোসা। অস্বীকৃতি জানান আসন ছেড়ে দেবার। আইন অমান্য করার অজুহাতে বাস ড্রাইভার পুলিশ ডেকে তাদের হাতে সোপর্দ করে দেয় রোজা পার্কসকে।
চিত্র: আলাবামা পুলিশের তোলা রোজা পার্কসের ছবি
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এই ঘটনা জানতে পেরে মন্টগোমারিতে অহিংস আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান। মন্টগোমারির সতের হাজার কৃষ্ণাঙ্গ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাবলিক বাস বয়কট করে চলে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট এর মধ্যে নাক গলায় এবং ঘোষণা করে যে মন্টগোমারির বাসের আসনে শেতাঙ্গ কৃষ্ণাঙ্গ বিভাজন অসাংবিধানিক। জয় হয় মানবতার আর রোজা পার্কস পরিণত হন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মাতা হিসাবে।
লিটল রক, আরকানসা – ১৯৫৭ সাল
শেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য আলাদা স্কুল করা যদিও আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে এর মধ্যেই, তারপরেও অনেক বর্ণবাদী স্কুল সেই আইনকে কাঁচকলা দেখাতো কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রদেরকে ভয়ভীতি বা হুমকি দেখিয়ে দূরে সরিয়ে রেখে। এরকম একটি কুখ্যাত স্কুল ছিল লিটল রকের সেন্ট্রাল হাই স্কুল। কিন্তু লিটল রকের নয়জন কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর কিশোরী (পরবর্তিতে এই নয়জনকে দ্য লিটল রক নাইন নামে ডাকা হতো) দৃপ্ত শপথ নেয় সাদাদের সাথে একই স্কুলে একই শিক্ষা গ্রহণের। স্কুলের প্রথম দিনেই তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য আরকানসার গভর্ণর ন্যাশনাল গার্ডের সশস্ত্র সৈন্যদেরকে পাঠিয়ে দেয় যেন কোনভাবেই ওই ছাত্র- ছাত্রীরা স্কুলে ঢুকতে না পারে। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারকে এগিয়ে আসতে হয় এই জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে। ন্যাশনাল গার্ডকে ফেডারেল সরকারের আওতায় নিয়ে যান তিনি এবং ইউ এস আর্মির ১০১ তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনকে পাঠান কচি কচি কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চাগুলোর নিরাপত্তার জন্য।
চিত্র : দ্য লিটল রক নাইন
বাচ্চাগুলোর দূর্ভাগ্যের সে ছিল সূচনা মাত্র। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে বর্ণবাদী ক্ষিপ্ত শেতাঙ্গরা দল বেধে দাঁড়িয়ে থাকতো দ্য লিটল রক নাইনকে অকথ্য কুকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার জন্য। দ্য লিটল রক নাইনের পনেরো বছরের কিশোরী এলিজাবেথ একফোর্ড বলেছিল, ‘আমি মরিয়া হয়ে অসহায়ের মত ক্ষিপ্ত লোকগুলোর মাঝে দয়ালু কাউকে খুঁজতাম। একদিন একজন বৃদ্ধা মহিলাকে দেখলাম। মনে হলো কিছুটা মায়া দেখতে পেলাম তার চেহারায়। আমি আশা নিয়ে তার দিকে আবার তাকালাম। কিন্তু তিনি প্রবল ঘৃণায় আমার মুখে একগাদা থুথু ছিটিয়ে দিলেন’। এরকম ভয়াবহ বৈরিতার মাঝেও হাল ছাড়েনি তারা। সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন করেই বেরিয়েছে তারা বর্ণবিদ্বেষী প্রথাকে পরাজিত করে।
গ্রীনসবোরো, নর্থ ক্যারোলাইনা – ১৯৬০ সাল
নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রীনসবোরো শহরের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের লাঞ্চ কাউন্টারে জোসেফ ম্যাকনেইল, এজেল ব্লেয়ার জুনিয়র, ফ্রাঙ্কলিন ম্যাককেইন এবং ডেভিড রিচমান্ড নামের চারজন কৃষ্ণাঙ্গ কলেজ ছাত্র অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট করা শুরু করে। এই লাঞ্চ কাউন্টার নির্দিষ্ট করা ছিল শুধুমাত্র সাদাদের জন্য। ফলে রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট তাদেরকে সেবা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে ওই চারজন দোকান বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই বসে থাকে। পরবর্তী পাঁচ দিনও তারা একই কাজ করে। এর মধ্যেই তাদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য জড়ো হয়ে গিয়েছে শত শত প্রতিবাদকারী। শেতাঙ্গ উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং ম্যানেজমেন্টের বাধা সত্ত্বেও ছাত্ররা ওই ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যায় সেখানে।
চিত্র : শুধুমাত্র সাদাদের জন্য নির্দিষ্ট লাঞ্চ কাউন্টারে অবস্থান ধর্মঘটরত কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্ররা
এই আন্দোলন কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রদের মধ্যে অবস্থান ধর্মঘটকে জনপ্রিয় করে তোলে। যেখানেই সাদাদের জন্য কোন কিছু সংরক্ষিত দেখেছে তারা, সেখানেই অবস্থান ধর্মঘট করা শুরু করে তারা। যতক্ষণ না তাদেরকে সেবা প্রদান করা হয় বা জোর করে বের করে দেওয়া হয় ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের অবস্থান ধর্মঘট।
গ্রীনসবোরো অবস্থান ধর্মঘটের কয়েকদিনের মধ্যেই আমেরিকান ব্যাপ্টিষ্ট থিওলোজিক্যাল সেমিনারী, ফিস্ক ইউনিভার্সিটি, মেহারি মেডিক্যাল কলেজ এবং টেনেসি এ এন্ড আই এর ছাত্ররা ন্যাশভিলের সমস্ত সাদাদের জন্য আলাদা কাউন্টারে পরিকল্পিতভাবে নীরবে বসা শুরু করে। তারা অহিংস থাকলেও সহিংসতা এড়াতে পারেনি। নিষ্ঠুরভাবে দমন করার চেষ্টা করা হয় বঞ্চিত এবং নিগৃহিতের এই প্রতিবাদকে। ক্যাফে এবং লাঞ্চ কাউন্টারের ম্যানেজমেন্টের লোকেরা পুলিশ ডেকে বর্ণবাদী আইন ভঙ্গের অভিযোগে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাদেরকে।
মেমফিস, টেনেসি – ১৯৬৮ সাল
লোরেইন মোটেলের দোতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। সাথে রয়েছে রেভারেন্ড জেসি জ্যাকসন। বিপরীত দিকের একটি বাড়ীর উপর তলা থেকে আততায়ীর ছোড়া একটি মাত্র বুলেট এসে লাগে তার ঘাড়ে। ঘাতক বুলেট ছিনিয়ে নিয়ে যায় কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার অন্দোলনের কিংবদন্তি নেতাকে। মেমফিসে কিং এসেছিলেন গার্বেজ ওয়ার্কারদের প্রতিবাদ আন্দোলনের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। এর আগেও কয়েকবার তাকে হত্যার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল।
চিত্র : মৃত্যুর আগের দিন মোটেল লোরেইনের ব্যালকনিতে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
১৯৫৫ সালের আলাবামা বাস ধর্মঘটের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিনি। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসি অভিমুখে বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। সেই মিছিলে তার দেওয়া ভাষণ আই হ্যাভ আ ড্রীম এখন জগত বিখ্যাত। গান্ধীর অনুসরণে অবস্থান ধর্মঘট বা প্রতিবাদ মিছিলের মাধ্যমে অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন। ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – ২০০৮ সাল
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেনিয়ান কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমান বাবা এবং আমেরিকান শেতাঙ্গিনী খ্রীষ্টান মায়ের সন্তান কৃষ্ণকায় বারাক ওবামা বিপুল ভোটের ব্যবধানে রিপাবলিকান প্রার্থী সিনেটর ম্যাককেইনকে পরাজিত করেছে। আগামি জানুয়ারী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের চুয়াল্লিশতম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন তিনি। শত শত বছরের অন্যায় আর অবিচারকে পিছনে ফেলে এই প্রথম পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর বাড়ীর সবচেয়ে ক্ষমতা সম্পন্ন চেয়ারে আসীন হবেন একজন কালো চামড়ার মানুষ। এর থেকে অসাধারণ আনন্দময় জিনিষ আর কী হতে পারে।
মানবতার চরম অপমান করে যে পাপ তাদের পূর্বপুরুষেরা কয়েক শতক জুড়ে করে এসেছে তার শাপমোচন শুরু করেছে নতুন প্রজন্মের আমেরিকানরা। শত শত বছর ধরে বঞ্চিত অপমানিত কোটি কোটি কালো মানুষের আনন্দ অশ্রুতে ধুয়ে মুছে যাক শতাব্দীর জমে থাকা ক্লেদ, অন্যায়, অবিচার, বঞ্চনা, গ্লানি আর যন্ত্রনাময় অতীত। শুধুমাত্র গাত্র বর্ণের কারণে আর যেন কাউকে হতে না হয় কুন্তা কিন্তে বা রোজা পার্কস। আশা করি এমন একদিন আসবে যখন পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ হয়ে উঠবে বর্ণান্ধ। কারো সঙ্গে কথা বলার সময় চোখে পড়বে না তার গায়ের রঙ, বিবেচনায় আসবে না তার জাতিগত কিংবা ধর্মীয় পরিচয় । সাদা, কালো, হলুদ, বাদামী রঙ ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় হয়ে উঠবে মানুষ নামের বর্ণহীন পরিচয়টাই।
মায়ামি, ফ্লোরিডা।
[email protected]
চোখে জল এনে দিল সত্যিই। বড্ড আবেগি হয়ে পড়লাম। কিন্তু, ওবামা কি সত্যিই কালোদের জন্যে কিছু করেছেন?
আর…ইয়ে…মুক্তমনা এডমিন একাউন্টে না রেখে লেখাটা আপনার একাউন্টে রাখলে ভালো হতো না?
মুক্তমনা এডমিন যে এরকম মহা একটা চোর, জানা ছিল না। বেড়ায় ক্ষেত খেলেতো বড় মুশকিল। ভাগ্যিস আপনি নজরে এনেছেন। চোর ব্যাটার খপ্পর থেকে নিজের লেখাটাকে ছিনিয়ে আনলাম। 🙂
এতদিন পর খুঁজে টুজে লেখাটা পড়া এবং মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
Really Cool, I will love to read more..
God Bless You..
ফরিদ,
আপনার লেখার সাথে আমি পরিচিত, তাই আপনার লেখা পড়ার সময় আপনার মনের ভিতরটাও ধরার চেষ্টা করি। লেখা পড়ে মনে হয়েছে জীবনে/সমাজে/সংসারে আপনিও নানান অসমতা বা ডিসক্রিমিনেশন দেখে দেখে পথ হেটেছেন, তাই লেখাতেও কথাগুলো খুব সরাসরি বলতে পারেন। আমি ব্যক্তির অভিজ্ঞতার সাথে তার প্রকাশিত আবেগকে মেলাতে চাই বলে এই ধরণের লেখাগুলোকে বেশি ভালবাসি। যদিও আপনার লেখা আগেই পড়েছি কিন্তু আজকে আপনাকে অভিনন্দন জানাতে ইচ্ছা হল। শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি লেখালেখি করবেন এইটুকু আশা করবো।
মঙ্গল কামনা।
লুনা শীরিন
অত্যন্ত আবেদনময় লেখা। খুব ভালো লাগলো পড়ে ! সময়ের কী সঞ্জীবনী গুণ, জানা বিষয়ও নতুন করে কেমন আবেগী হয়ে উঠে !
অসাধারন লেখা ফরিদ ভাইয়ের। এখন হোয়াইট হাউস এর নাম বদলে প্রেসিডেন্ট হাউস বা এই রকম কিছু করার অপেক্ষা।
অসাধারণ একটা লেখা ।
কালো মানুষ ওবামার এই বিজয় শুধু কালোদের নয় – প্রগতিশীলতার, মানবতার আর সুচেতনার বিজয়। দারুণ লিখেছ, ফরিদ! অল্প কথায় অনেক অনেক বছরের ইতিহাস তুলে এনেছ।
I have always opposed of viewing Obama as black American. He shared nothing common with them although Afro-American have embraced him as their true leader.
He is son of Kenyan economist. His forefathers were not slave and he truely came from a highly educated family from both sides. He was brought up by his white grandma and therefore, in his family culture, no trace of American black can be found -which indeed came to his advantage that he never considered himself a ‘black’ first-American second which is behind the failure of ‘civili liberty’ movement. I say it a failure, because their approach to justice for counterjustice,
could not yield anything in racial integration.
sovvota bohonkari amra manushera dormo,borno,sex,rajniti,artoniti,songskriti,gottro, jati-uppojati sudu bivoktto aar bivoktto. Koon sovvotay gele aamra oi-shob jirnota theke mukti peye manush ke sudu manush vehbe notun sovvota dharon korte parbo !!!!!!!!!!
Obama-r bijoye gota manobjatir manushika oo chintadharar moddy ek bishal notun poriborton-er suchona holo.
aar ei sotik somoye bornobader upor Farid Ahmed er lekha ti amader jibone ek maailfolok hoye thakbe. koti koti donnobad .
Excellent article Farid.
Another strong myth is broken forever. Next we need a female President.
Actually Canada had a State-Head in early nineties.
Keep well and keep it up.
Hasan.
I like it.
really a nice one.
চমৎকার প্রবন্ধ। আজকের এই ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণে এ লেখাটা দারুন আবেদন তৈরি করবে বলে আমি মনে করি। কালো মানুষদের কথা, তাদের উপর অত্যাচারের স্টিমরোলারের কথা যেন আমরা ভুলে না যাই।