হুমায়ূন আহমেদের কিছু লেখাঃ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যের বিকৃতি ও অপবিজ্ঞান নিয়ে কিছু কথা-২ (শেষ পর্ব)

তিনি বিবর্তনের বিরুদ্ধে আরও পরিষ্কার করে বলেছেন, "আমি ওল্ড ফুলস ক্লাবের আড্ডায় প্রায়ই ঈশ্বর-বিষয়ক একটি গল্প বলি। পাঠকদের গল্পটি জানাচ্ছি। ধরা যাক এক কঠিন নাস্তিক মঙ্গল গ্রহে গিয়েছেন। সেখানকার প্রাণহীন প্রস্তরসংকুল ভূমি দেখে তিনি বলতে পারেন-একে কেউ সৃষ্টি করেনি। অনাদিকাল থেকে এটা ছিল। তার এই বক্তব্যে কেউ তেমন বাধা দেবে না। কিন্তু তিনি যদি মঙ্গল গ্রহে হাঁটতে হাঁটতে একটা ডিজিটাল নাইকন ক্যামেরা পেয়ে যান, তাহলে তাঁকে বলতেই হবে এই ক্যামেরা আপনা-আপনি হয়নি। এর একজন সৃষ্টিকর্তা আছে। মনে করা যাক ক্যামেরা হাতে তিনি আরও কিছুদূর গেলেন, এমন সময় গর্ত থেকে একটা খরগোশ বের হয়ে এল। যে খরগোশের চোখ নাইকন ক্যামেরার চেয়েও হাজার গুণ জটিল। তখন কি তিনি স্বীকার করবেন যে এই খরগোশের একজন সৃষ্টিকর্তা আছে?"

হুমায়ূন আহমেদের কিছু লেখাঃ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও তথ্যের বিকৃতি ও অপবিজ্ঞান নিয়ে কিছু কথা

স্রোডিনজারের বিড়ালটা আমি দেখছি । আমার দেখার কারণে বিড়ালের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে । এখন অবস্থাটা হচ্ছে আমার অবস্থাটা কি ?আমার অবস্থা জানার জন্যে আরেকজনকে আমার দিকে তাকাতে হবে যাতে আমার wave function collapse করে। সেইজনকে বলা হয় wigner’s girlfriend । উইনারের বান্ধবী । এখন সেই বান্ধবীর wave function কলাপস করার জন্যে আরেকজন লাগবে। তাঁর পেছনে আরেকজন লাগবে । এরকম চলতেই থাকবে। আমরা শেষ পর্যন্ত কোথায় থামবো ? একজন cosmic observer এ এসে থামবো । পাঠক লক্ষ্য করেছেন কোয়ান্টাম থিওরি আমাদের আধ্যাত্মবাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।

Go to Top