|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|শেষপর্ব/১০|

( নবম পর্বের পর...) ... করুণার ধন স্ত্রীধন পিতৃসম্পদে নারীর কোন উত্তরাধিকার নেই। কিন্তু যে ধনটুকুতে নারীর অধিকার স্বীকৃত তা হচ্ছে স্ত্রীধন। তবে এটা এমনই ধন যা নারীর প্রতি করুণার ধনই বলা যায়। মনুশাস্ত্রে ছয় ধরনের স্ত্রীধনের উল্লেখ রয়েছে, যা বণ্টনেও জটিলতা রয়েছে- ‘অধ্যগ্ন্যধ্যাবাহনিকং দত্তঞ্চ প্রীতিকর্মণি। ভ্রাতৃমাতৃপিতৃপ্রাপ্তং ষড়বিধং স্ত্রীধনং স্মৃতম্।।’ স্ত্রীধন ছয় প্রকার- অধ্যাগ্নি, অধ্যাবাহনিক, [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৯/..|

[ স্বীকারোক্তি : সুপ্রিয় পাঠকদের কাছে প্রথমেই মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি, গত পর্বে উল্লেখ করেছিলাম যে এটা হবে শেষ পর্ব। কিন্তু সে মোতাবেক কাজ করতে গিয়ে দেখা গেলো, পর্বটা পাঠকের বিরক্তি উৎপাদনের চাইতেও দীর্ঘ হয়ে যায়। তাই সবার কাছে আরেকটি পর্ব ধার চেয়ে নিচ্ছি। আগামী পর্বে নিশ্চয়ই সিরিজটা শেষ করতে পারবো। ] ... (অষ্টম পর্বের পর…) [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৮/..|

(সপ্তম পর্বের পর…) ... মনুশাস্ত্রে নারীর গুরুত্ব ও ব্যবহার পুরুষের দৃষ্টিতে যা কিছু নেতি বা নিকৃষ্ট তারই উৎস হিসেবে নারীকে মনুশাস্ত্রে যথেচ্ছভাবে হীন খলচরিত্রে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হলেও সমাজজীবনে নারীর উপস্থিতির অবশ্যম্ভাবীতার কারণে তাকে গুরুত্ব না-দিয়েও উপায় নেই পুরুষের। কিন্তু তাও হয়েছে পুরুষের অনুকুলে, উদ্দেশ্যমূলক- ‘পতির্ভার্যাং সম্প্রবিশ্য গর্ভো ভূত্বেহ জায়তে। জায়ায়াস্তদ্ধি জায়াত্বং যদস্যাং জায়তে [...]

|মনু’র বৈদিক চোখ: নারীরা মানুষ নয় আদৌ|পর্ব-০৭/..|

(ষষ্ঠ পর্বের পর…) ... মনুশাস্ত্রে স্ত্রীর কর্তব্য বিবাহ নামক নারী-সংগ্রহ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত যে নারীটিকে শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী পুরুষের ব্যক্তি-মালিকানায় রক্ষিতা বানানো হয়েছে, সেই নারীকে বহুমাত্রিক ভোগ-ব্যবহারের মাধ্যমে পূর্ণতৃপ্তি বা সন্তোষ না পেলে পুরুষতন্ত্রের সার্থকতা থাকে না। বর্ণ-নির্বিশেষে নারী সামাজিকভাবে শূদ্রধর্মীতার কারণেই শ্রম বা উৎপাদন-যন্ত্রবিশেষ, পুরুষের উপভোগ্য দেহধারণের কারণে নারী ভোগ্যসামগ্রি এবং গর্ভধারণকারী প্রজননযন্ত্রের কারণে নারী [...]

| অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং একজন বাবাসাহেব |০৫/৮|

(পূর্ব-প্রকাশিতের পর…) … অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ পর্ব:[০১] [০২] [০৩] [০৪] [*] [০৬] [০৭] [০৮] ০৬ ব্রাহ্মণদের প্রভূত্বকামী শাসনব্যবস্থা ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রধান অস্ত্রই হলো চতুবর্ণ প্রথা। অর্থাৎ সমাজে চারটি বর্ণের উপস্থিতি- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। এই প্রথার মাধ্যমে গোটা জনগোষ্ঠিকে এক অদ্ভুত বর্ণবৈষম্যের মধ্য দিয়ে বিভাজিত করে যে ‘ভাগ করো, শাসন করো’ নীতি কায়েম করা হয়েছে, সেখানে [...]

Go to Top