ভূমিকাঃ প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ কানাডা’র নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। যে সব প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা সবচেয়ে বেশী আসে সেটা হচ্ছে, কানাডায় কিভাবে যাওয়া যায়? কিভাবে কানাডার অভিবাসি হওয়া, লেখাপড়া ও কাজকর্ম করা ইত্যাদি যায়? এক এক করে সে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া সময়সাপেক্ষ। এ সব প্রশ্ন যারা করেন তাদের কথা চিন্তা করেই প্রয়োজনীয় লিংকসহ এই লেখাটি তৈরী করেছি। যারা বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে পরামর্শ ও সাহায্যের জন্য লেখেন, আশা করি তাদের এ লেখা কাজে লাগবে। 

লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন। এটা বুঝতে পারার দক্ষতা-যোগ্যতা আপনার থাকতে হবে। এ সব অফিসিয়াল ডকুমেন্ট না বুঝতে পারা এবং সেভাবে প্রস্ততি নিতে না পারা একটি অযোগ্যতা। সেটা হলে প্রথমে আপনাকে সেই জায়গাটা ঠিক করতে হবে। 

কানাডার অবিভাসন বিষয়ে গুগোল-ইউটিউবে অসংখ্য লিঙ্ক-ভিডিও আছে। সেগুলোর শিরোনাম দেখলে বিষ্মিত হতে হয়। যেমন, দুই দিনে কানাডার ভিসা ও কাজের ব্যবস্থা করা হয়। কানাডা লক্ষ-লক্ষ কাজ, লোকের প্রচন্ড অভাব, আবেদন করলেই চলে যাবেন। আগে কানাডার ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট তারপরে টাকা, ইত্যাদি! এই সব লিংক/তথ্য ভূয়া, যার অধিকাংশই ব্যবসায়ীক ধান্দবাজিতে করা হয়েছে। তবে অবশ্যই কিছু নির্ভরযোগ্য লিংকও আছে। এ বিষয়ে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।  

এই রকম কথার চাতুর্য, মিথ্যা তথ্য ও প্রলোভনে বিভ্রান্ত হবেন না। যদি আপনার কানাডায় আসার যোগ্যতা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার কোন অর্থ লাগবে না। আপনি নিজে আবেদন করবেন কোন ফি লাগবে না। যখন কানাডার ভিসা পাবেন তখন আপনার মেডিকেল চেকআপ, ল্যান্ডিং ফি ও প্লেনের টিকিট লাগবে, এর বাইরে আর কোন খরচ লাগবে না।     

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কানাডায় আসা যায়। সে বিষয়গুলোকে সংক্ষেপে ৪ ভাগে প্রয়োজনীয় লিংকসহ আলোচনা করেছি। এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, শুনবেন ও বুঝতে চেষ্টা করবেন।   

সে ৪টি ভাগ হচ্ছে; ১। অভিবাসন ২। কাজকর্ম ৩। শিক্ষা ও ৪। অন্যান্য

কানাডায় অভিবাসন আবেদন করার কয়েকটি পদ্ধতি বা ক্যাটাগরি আছে। তারমধ্যে একটি হচ্ছে এক্সপ্রেস এন্ট্রি। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কাজে অভিজ্ঞরা কানাডায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের সুযোগ পায়। এই এক্সপ্রেস এন্ট্রির অধীনে প্রধানত ৩টি প্রোগ্রাম আছে।

১। ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রগ্রাম (Federal Skilled Worker Program

২। ফেডারেল স্কিলড ট্রেডার্স (Federal Skilled Trades Program) ও 

৩। কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স এন্ট্রি (Canadian Experience Class

এই ৩টি প্রোগ্রামেই আবেদনকারীর বয়স ২১ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে হতে হয়। এ জন্য IELTS স্কোর থাকতে হয়। IELTS স্কোর ভালো হলে এবং বয়স ৩০ এর মধ্যে হলে যে কোন প্রদেশেই আবেদন করা যায়। ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রামে আবেদনকারীর স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং নির্দিষ্ট পেশায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। 

১.১। ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার প্রগ্রাম (Federal Skilled Worker Program): আবেদনকারীর যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় ৬টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। প্রতিটি বিষয়ে নির্দিষ্ট পয়েন্ট আছে। মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে শিক্ষায় ২৫, ভাষায় ২৮, কাজের অভিজ্ঞতা ১৫, বয়সে ১২, কাজ নিশ্চিত করা ১০ এবং অন্যান্য বিষয়ে ১০ পয়েন্ট। এই ১০০ পয়েন্টের মধ্যে কোন আবেদনকারী কমপক্ষে ৬৭ পেলে তিনি আবেদন করতে পারবেন। 

এই ক্যাটাগরিতে আবেদনের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/express-entry/eligibility/federal-skilled-workers.html

১.২। ফেডারেল স্কিলড ট্রেডার্স (Federal Skilled Trades Program): ফেডারেল স্কিলড ট্রেডার্স প্রোগ্রামে একটি নির্দিষ্ট ট্রেডে দক্ষ ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারেন। কানাডা সরকারের ইমিগ্রেশনবিষয়ক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে পয়েন্ট পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ট্রেড সার্টিফিকেট এবং কমপক্ষে দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আবেদনের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/express-entry/eligibility/skilled-trades.html

১.৩। কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স এন্ট্রি (Canadian Experience Class): গত তিন বছরের মধ্যে কানাডায় কমপক্ষে এক বছর কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আছে—এমন সব ব্যক্তি কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন। কানাডিয়ান ন্যাশনাল অকুপেশনাল ক্লাসিফিকেশন (এনওসি) অনুযায়ী কাজের অভিজ্ঞতার পয়েন্ট হিসাব করা হয়।

আবেদনের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/corporate/publications-manuals/operational-bulletins-manuals/permanent-residence/economic-classes/experience/qualifying-work-experience.html

এ ছাড়া আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কানাডায় আসা যায়। যেমন;

১.৪। প্রভিনশিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম (PNP)

পিএনপি প্রগ্রামটি কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে দক্ষ শ্রমশক্তির চাহিদা বা প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। কানাডার মোট ১১টি প্রভিন্স ও দু’টি টেরিটোরি। এই সব প্রদেশে অভিবাসি হিসেবে ও কাজ নিয়ে আসতে রিকয়্যারমেন্টের ক্ষেত্রে সিথিলতা আছে। যেমন ভাষা, শিক্ষা,  অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। পেপার বেইজড বা এক্সপ্রেস এন্ট্রি এই দুই পদ্ধতিতে পিএনপিতে আবেদন করা যায়। কানাডার ১১টি প্রদেশে যোগ্যতা সাপেক্ষে পেপার বেইজড আবেদন করতে পারেন। বিভিন্ন প্রদেশের ওয়েবসাইটে যোগ্যতা ও কাজের সুযোগ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। আগ্রহীরা এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমেও প্রভিনশিয়াল নমিনি প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন।

পিএনপিতে আবেদনের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/provincial-nominees/works.html

পিএনপি প্রগ্রাম টিউটোরিয়াল ভিডিও:  https://www.youtube.com/watch?v=fUvrv8G8hHc, https://www.youtube.com/watch?v=8X0f3T3ZHTU

১.৫। আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রকল্প

অভিবাসি হিসেবে আরেকটি আবেদন পদ্ধতি হচ্ছে, কানাডার আটলান্টা প্রভিন্স। কুইবেক কানাডার একটি প্রভিন্স হলেও এর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা। বছরের যে কোনো সময় নির্দিষ্ট কোটা উল্লেখ করে তাদের প্রোগ্রাম ঘোষণা দেওয়া হয়। সাধারণত এই প্রভিন্সের শর্ত বা যোগ্যতাসমূহ সহজ ও শিথিলযোগ্য থাকে। কুইবেক-এর প্রোগ্রামগুলো মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে হয়ে থাকে যেমন : ১. কুইবেক স্কিল ওয়ার্কার প্রোগ্রাম, ২। এন্টারপ্রেনার প্রোগ্রাম ৩। কুইবেক এক্সপেরিন্স ক্লাস। প্রতিটি প্রোগ্রামের নিজস্ব শর্তাবলি রয়েছে। আপনারা এখানেও আবেদন করতে পারেন।

এই ক্যাটাগরিতে আবেদনের লিংক: (১) https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/atlantic-immigration-pilot.html

(২) https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/express-entry.html#jobs 

১.৬। বিয়ে করে স্পাউস ভিসায় কানাডায় আসা যায় 

কেউ যদি কানাডার কোন নাগরিক বা অভিবাসিকে বিয়ে করেন সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী করে, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এখানে আসতে পারেন। সে প্রক্রিয়াও সময় সাপেক্ষ বিষয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে একজন ভাল ও নিরাপদ অভিবাসি পেতে হবে যাকে বিয়ে করে আপনি স্পাউস ভিসায় কানাডায় আসতে পারবেন।

এই ক্যাটাগরিতে আবেদনের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/application/application-forms-guides/guide-5289-sponsor-your-spouse-common-law-partner-conjugal-partner-dependent-child-complete-guide.html

২। কাজ ও ব্যবস্যা ক্যাটাগরিতে যারা কানাডায় আসতে চান

২.১। সেলফ ইমপ্লয়েড

কানাডায় স্বনির্ভরভাবে কাজ করতে আগ্রহীরা এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন। শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, বয়স, ভাষাগত দক্ষতা ও ভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে চলা এই ৫টি বিষয় বিবেচনা করে প্রার্থী বাছাই করা হয়।

এই ক্যাটাগরিতে আবেদনের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/self-employed.html

২.২। লেবার মার্কেট ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট প্রগ্রামে (Labor Market Impact Assessment): LMIA প্রগ্রামে যেতে হলে যে সব কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান তাদের ওয়েবসাইটে যেয়ে তাদের রিকোয়্যারমেন্ট অনুযায়ী- সেখানে সরাসরি আবেদন করতে হবে। সে সব কোম্পানী/প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সব দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা দরকার সে রিকয়ারমেন্ট পুরন করতে পারলে- তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কানাডায় আসতে পারেন। এক্ষেত্রে ভাষা, শিক্ষা, উপযুক্ত দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রমান করতে হবে।

আবেদনের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/application.html

লিংকঃ কিভাবে এনওসি দিয়ে LMIA’য় চাকরি খুজে আবেদন করতে হবে?  https://www.youtube.com/watch?v=4ZFG3J06XQY

২.৩। ডি ক্যাটাগরিতে চাকরি নিয়ে আসা

ডি ক্যাটাগরিতে কানাডায় চাকরি পেয়ে আসা নিয়ে অনেক বিভ্রান্ত আছে। ডি ক্যাটাগরি বলে আসলে আলাদা কোন কিছু নেই। ডি ক্যাটাগরি হচ্ছে কানাডায় কাজের যে ‘এনওসি’ আছে তারই অংশ। এতে চাকরির বিভাগকে বোঝানো হয়। সাধারণত যাদের দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা আছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তারা সেই কাজ করেন তাদের জন্য এ কাজ পাওয়াটা সহজ। এ কাজ পেতে উচ্চতর শিক্ষা ও ভাষার কোন বাধ্যবাধকতা নেই তবে অবশ্যই দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু ভবিষ্যতে কানাডার পিআর বা নাগরিক হতে হলে তাদেরকে সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

এই ক্যাটাগরিতে কানাডায় আসতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে। আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে যে সব কাগজপত্র লাগবে

১) প্রথমেই দরকার কানাডার কোন কোম্পানীর কাজের অফার। আর সেই কাজ যোগার করতে আপনাকে কানাডার বিভিন্ন কোম্পানীতে আবেদন করতে হবে। 

(২) কানাডার কোন কোম্পানীতে অনলাইনে আবেদন করতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কানাডার উপযোগী সিভি/রেজুমে ও কভার লেটার। 

(৩) আবেদনের পর কানাডার কোন কোম্পানী থেকে কাজের অফার বা ওয়ার্ক পারমিট দরকার হবে- কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে। 

(৪) কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে যে ডকুমেন্টগুলো লাগবে। 

(৫) আপনার সদ্য তোলা ছবি লাগবে। এই ছবির একটি নির্দিষ্ট ফরমেট আছে- সেটা অনুসরণ করতে হবে। ওয়েব সাইটে এ সম্পর্কিত তথ্য আছে। 

(৬) শিক্ষা সনদপত্র লাগবে। এ সব সনদ স্বীকৃত কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূল্যায়িত হতে হবে।

(৭) আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সনদপত্র লাগবে।  

(৮) ব্যাংক ব্যলেন্স সার্টিফিকেট লাগবে। এবং সেখানে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ থাকতে হবে।  

(৯) মেডিক্যাল চেকআপ রিপোর্ট মানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ লাগবে এবং তা হতে তাদের স্বীকৃত/অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে।  

(১০) ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে- ভিসা ফি প্রদানের রিসিপ্ট লাগবে। 

এই ক্যাটাগরিতে আবেদনের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/work-canada.html

৩। বিদেশে যারা লেখাপড়া করতে আসতে চান 

৩.১। প্রায় অনেক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক ইনবক্স করে কানাডায় লেখাপড়ার খোঁজখবর জানতে চান। কানাডার কোন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে সাহায্য করার সুযোগ আছে কি’না জানতে চান? তাদেরকে বলছি, শিক্ষার্থীদের যোগ্যতাই তাদের বাইরে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরী করবে। কানাডায় শিক্ষা অর্জনের কোন শটকাট কোন পথ নেই। স্মার্টনেস, পরিশ্রম ও কর্মক্ষমতাই আপনার স্বপ্নপুরণ করতে পারে। আমি যে বিষয় নিয়ে লিখছি তা নতুন কিছু নয়, তবে যারা বিদেশে শিক্ষাগ্রহনে আগ্রহী তাদের ওই প্রক্রিয়ার মধ্যেদিয়ে যেতে হবে। 

৩.২। প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কি বিষয়ে, কোথায় লেখাপড়া করতে আগ্রহী? যেখানে লেখাপড়া করতে আগ্রহী সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং যে তথ্যগুলো দরকার সেখানে থেকে তা সংগ্রহ করুন। কানাডা’র বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার রিকোয়ারমেন্ট কি? তার বিস্তারিত তথ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটগুলোতে পাবেন। 

৩.৩। সে সব তথ্যের ভিত্তিতে একটি ডকুমেন্ট চেকলিস্ট তৈরী করুন। তারপর এক এক করে সেগুলোর ভিত্তিতে প্রস্ততি নিতে থাকুন। মনে রাখবেন শিক্ষার্থীকে তার নিজেকেই ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যদি না আপনি কোন সঠিক বা নির্ভরযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন।

৩.৪। বিদেশে পড়তে যে বিষয়গুলো অবশ্যই লাগবেই; সেটা হচ্ছে IELTS, Educational Credential Assessment (বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠান দ্বারা শিক্ষা সনদের মান নির্ধারণ। সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়), Academic Certificates, Financial Ability etc. 

৩.৫। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃত্তির ব্যবস্থা আছে, সেটা প্রাপ্তি নির্ভর করছে আপনার একাডেমিক পারফরমেন্স, পরীক্ষার ফলাফল ও ভাষা-অংকের দক্ষতা প্রমানের উপর।

৩.৬। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকোয়ারমেন্ট প্রায় অভিন্ন হলেও অঞ্চল ও প্রতিষ্ঠান ভেদে এগুলোর তারতম্য আছে। ওয়েবসাইট থেকেই বিভিন্ন প্রদেশ/অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সে তথ্য সংগ্রহ করবেন। 

৩.৭। মনে রাখবেন সব ভর্তি এজেন্সিই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই আপনাকে তথ্য প্রদান করে।  যে কাজটি আপনি নিজে করলে সঠিক-নির্ভূল তথ্য পাবেন এবং কিছু অর্থও বাচাতে পারবেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি চিঠি লেখার ব্যবস্থা আছে। ওয়েবসাইটে প্রশ্নের মাধ্যমে (Frequently Asked Questions) উত্তর পাবার একটা ব্যবস্থা আছে। সেখান থেকেও অনেক কিছু জানতে পারবেন।    

৩.৮। বাংলাদেশের কানাডা দূতাবাস থেকেও আপনারা সে দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে-ইনস্টিটিউশনে ভর্তি সংক্রান্ত ও উপদেশ-পরামর্শ পেতে পারেন। সব দেশের দূতাবাসে শিক্ষাসংক্রান্ত পরামর্শক আছে।  

৩.৯। কানাডার অভিবাসি/নাগরিক তাদের ও আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার খরচ এক নয়। দেশীয় ছাত্রদের চেয়ে বিদেশী ছাত্রদের লেখাপড়ার খরচ প্রায় ৪ গুন বেশী। একজন স্থানীয় ছাত্রের টিউশন ফি যদি ২০ হাজার ডলার হয় বিদেশী ছাত্রের খরচ হবে ৮০ হাজার ডলার। 

কানাডায় লেখাপড়ার আবেদন ও প্রয়োজনীয় তথ্যের লিংক: https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/study-canada.html

৪। অন্যান্য ভাবে যারা যেতে পারেন

৪.১। রিফুজি হিসেবে কারা কানাডায় আসতে পারেন? 

কেউ যদি কোন ভাবে কানাডায় এসে পরেন এবং যদি মনে করেন আপনি আর দেশে ফিরে যাবেন না, দেশে যাওয়া নিরাপদ নয়, সেটা আপনাকে প্রমান করতে হবে। রিফুজি বা শরণার্থী হিসেবে তার নিজেকে বৈধ অবস্থান প্রমান করতে হবে। নিজেকে রিফুজি দাবী করে মামলা-মোকর্দমা করে জিতে এখানে থাকতে হবে। কিন্তু বাঙালিদের জন্য এই সুযোগ খুব কম, কাজটি সহজ নয়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগ কোন তথ্যই কারো অজানা থাকে না। তাদের বিভিন্ন ধরণের এক্সপার্ট আছে সে সব বিষয়ের খোঁজখবর নেয়ার। তাই বিষয়টা এখন আর অতটা সহজ নয়। তবে ইউক্রেন, ইরান, আফগানিস্তানের মত দেশগুলোর অবস্থা ভিন্ন। তাদের জন্য কানাডা সরকরের বিশেষ ব্যবস্থা ও আইন আছে। রিফুজির সুযোগটা সবার জন্য নয়, এটা বিশেষ পরিস্থিতেতে বিশেষ মানুষদের জন্য। 

কানাডা রিফুজি সংক্রান্ত আইন-অধিকার লিংকঃ https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship.html

৪.২। ভিজিট ভিসা

কানাডায় যারা ভিজিট ভিসায় বেড়াতে আসতে চান। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা করতে আসতে চান তাদের রিকোয়্যারমেন্ট কি সে তথ্য এই লিংক। 

https://www.cic.gc.ca/english/information/applications/visa.asp

৪.২। সভা-সেমিনার, অনুষ্ঠান-আয়োজনে আসার প্রক্রিয়া

সাধারণত কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান তারা নিজেরাই দাওয়াত দিয়ে থাকে। সেটা করে থাকলে যে কোন ব্যক্তি/ব্যক্তিসমুহ তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তারা ভিজিট ভিসার আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যিনি ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাকে কানাডা’র এম্বেসীতে কি কি ডকুমেন্ট জমা/প্রদান করতে হবে তার তালিকা নীচের লিংকে পাওয়া যাবে, সেভাবে প্রস্ততি নিতে হবে।   

(১) বৈধ পাসপোর্ট (২) আমন্ত্রন পত্র লাগবে (৩) ব্যাংক স্টেইটমেন্ট (৪) মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স (৫) নির্দিষ্ট সাইজের ছবি (৬) যেখানে থাকবেন তার ঠিকানা বা হোটেল হলে তার বুকিং স্লিপ (৭) প্লেনের বুকিং স্লিপ (৮) নিজের অতীত ভ্রমন তথ্য ইত্যাদি।  

লিংকঃhttps://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/visit-canada/business/invite-delegates.html

৫। কানাডায় অভিবাসন বিষয়ে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ  

৫.১। কানাডায় অভিবাসি’র ক্ষেত্রে যে সব পেশাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়

অ্যাকাউনট্যান্ট, অ্যাডমিন অ্যান্ড এইচআর, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, ফিন্যানশিয়াল অডিটর অ্যান্ড অ্যাকাউনট্যান্ট, রিটেইল সেলস সুপারভাইজার, ফুড সার্ভিস সুপারভাইজার, কুক, ইনফরমেশন সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড কনসালটেন্ট, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, ইন্টারঅ্যাকটিভ মিডিয়া ডেভেলপার, গ্রাফিকস ডিজাইনার, আইটি প্রফেশনাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ও ব্যাংকার পেশাজীবীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটের লিংক। এই লিংক থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নিতে হবে। সেগুলোর ভিত্তিতে নোট তৈরী করে প্রস্ততি নিন। 

https://www.jobbank.gc.ca/home

https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/express-entry/eligibility/federal-skilled-workers.html

https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/express-entry/eligibility.html

https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/express-entry/eligibility/skilled-trades.html

৫.২। কানাডায় আসতে যে সব কাগজপত্র ও বিষয় দরকার হয়  

(১) আপনার/আপনাদের সকল ডকুমেন্টে নামের বানান ও অর্ডার অভিন্ন হতে হবে।

(২) যিনি আবেদন করবেন তার এবং তার ডিপেন্ডেডদের (স্বামী/স্ত্রী, সন্তান) ভ্যালিড পাসপোর্ট পাসপোর্ট থাকতে হবে। 

(৩) আবেদনকারী এবং তার ডিপেন্ডেডদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রকৃত জন্মনিবন্ধন সনদ থাকতে হবে।

(৪) ১৮ বছরের উপরের সবার ভোটার আইডি কার্ড বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে। 

(৫) বিবাহিতদের জন্য Marriage Certificate এবং নিকাহনামা থাকতে হবে। 

(৬) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও মার্কশিট ক্রেডিনশিয়াল করতে হবে। ক্রেডিনশিয়াল করার গাইড লাইন কানাডার ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। এই এসেসমেন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার শিক্ষার একটি মূল্যায়ন ও স্ট্যান্ডার্ট পাবেন। লিংক https://credentialevaluations.org/wes

(৭) IELTS (জেনারেল) স্কোর-এর সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

(৮) ভিসার জন্য আপনাকে ব্যাংকে সেটেলমেন্ট ফান্ড দেখাত হবে। ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী টাকার পরিমাণে ভিন্নতা আছে। সেই ক্ষেত্রে পরিমাণ অর্থ থাকতে হবে, দেখাতে হবে (সেটা ফিক্স ডিপোজিট, সঞ্চয়পত্র, চলতি হিসাব, প্রভিডেন্ট ফান্ড হতে পারে)।  

(৯) ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ ক্ষেত্রে কোনো ভুল তথ্য প্রদান করবেন না। 

(১০) কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র এক পাতার হলে ভালো। যিনি আপনাকে এ সনদপত্র প্রদান করবেন তার নাম, পদবি, স্বাক্ষর, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ই-মেইল এড্রেস থাকতে হবে। 

(১১) অনেক ক্ষেত্রে আপনি কেন কানাডায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে যোগ্য এ ধরনের একটি এক পাতার চিঠি আপনাকে ডকুমেন্ট হিসেবে পাঠাতে হয়। ওই চিঠিটা লেখার আগে কানাডার জব মার্কেট সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে লিখবেন। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের কাজের ওপর ভিত্তি করে কানাডার জব মার্কেটে আপনি কী অবদান রাখতে পারেন তা ওই চিঠিটি লিখতে হয়। কানাডাতে তাকে কভার লেটার বলে। 

(১২) আপনার ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ খোঁজ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার দেয়া তথ্যগুলোর সাথে সামঞ্জস্য থাকা বাঞ্চনীয়। 

(১৩) যে সব কাগজের ফটোকপি দেবেন তা নোটারি/সত্যায়িত করিয়ে দিতে হবে। 

(১৪) সুন্দর করে কানাডা’র উপযোগী সিভি, রেজুমে ও কভার লেটার তৈরী করবেন। 

(১৫) দশ বছরের ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল হিস্ট্রি’র তথ্য সংকলন করে রাখতে পারেন। 

৫.৩। এন ও সি (NOC) কি?

‘এন ও সি’ বা ‘ন্যশনাল অকুপেশনাল কোয়ালিফিকেশন National Occupation Classification (NOC), কি? ন্যাশনাল অকুপেশন ক্লাসিফিকেশন হচ্ছে কানাডার চাকরির একটি শ্রেণী বিন্যাস যাকে একটি কোড বা নাম্বারের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হয়। কিভাবে? ধরুন আপনার কাজের বা পেশগত পদবি ফাইনাসিয়াল ম্যানেজার তাহলে আপনার এন ও সি হবে ০১১১। এ রকম ভাবেই সকল চাকরির একটি কোড বিন্যাস করা করা আছে। এভাবেই আপনার চাকরি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আপনার এন ও সি কোড মিলিয়ে আপনাকে কানাডায় চাকরি খুজতে হবে এবং সেই ভাবে আবেদন করতে হবে। 

এই লিংক থেকে আপনারা আপনাদের এনওসি খুঁজে বের করতে পারবেন: 

https://www.canada.ca/en/immigration-refugees-citizenship/services/immigrate-canada/express-entry/eligibility/find-national-occupation-code.html

https://www.canada.ca/en/employment-social-development/services/foreign-workers.html

৫.৪। সি আর এস কি?  

কানাডার যে কোন প্রভিন্সে আবেদন করতে আপনাকে ‘সি আর এস’ কেল্কুলেসন করতে হয়। এই ক্যালকুলেসনের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার পয়েন্ট কত? সেটার উপর ভিত্তি ক রে আপনি প্রস্ততি নিতে হবে। বিষয়টা মোটেই কঠিন কিছু নয়। এখানে লিংক ও টিউটোরিয়াল আছে নিজে নিজেই করতে পারবেন।

সিআরএস ক্যাল্কুলেসন লিংক: https://www.cic.gc.ca/english/immigrate/skilled/crs-tool.asp

সি আর এস ক্যাল্কুলেসন টিউটোরিয়াল: https://www.youtube.com/watch?v=W5PxmxWkKAE

৫.৫। কানাডায় আসা নিয়ে অনেক ধরণের বিভ্রান্তকর প্রচার আছে। যারা এ সব তথ্য-প্রচারকে বিশ্বাস করেন তাদেরকে সতর্ক করছি। অনেকে বলেন, কানাডায় চাকরি না থাকলে সবাই বেকার ভাতা পান, অল্প মূল্যে বাসা পান, চাকরি না থাকলে আবেদন করলেই সোসাল বেনিফিট পান এ সব ধারণা ভুল। এখানে অবশ্যই কিছু সামাজিক সুবিধা আছে কিন্তু তা সবার জন্য নয়।    

অনেক ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রচার করেন যে, ৫/১০/২০ লাখ টাকা হলে কানাডায় যাওয়া যায়, কানাডার ভিসা পাওয়া যায়। তাদেরকে বলি কানাডার ভিসা দুবাই-সৌদিআরবের মত বিষয় নয় যে, কোন আদম ব্যাপারী এখান থেকে লট ধরে ভিসা কিনে নিয়ে দেশে বেশী দামে বা কমিশনে বিক্রী করবে। এখানকার ভিসা প্রক্রিয়া সম্পুন্ন আলাদা। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আপনাকে কানাডায় আসতে হবে। অর্থের বিনিময়ে কানাডায় আসার কোন প্রকার ফাঁদে পা দেবেন না। 

শেষ কথাঃ কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও প্রাণ-প্রাচুর্য়ে ভরা একটি দেশ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে কানাডার অর্জন ঈর্ষণীয়। অধিকতর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির ধারাকে এগিয়ে নিতে প্রতিবছর তাদের জনশক্তির প্রয়োজন হয়। সে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ অভিবাসি দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পায়। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি কানাডা সরকার ঘোষণা করেছে আগামী ৩ বছরে সারা বিশ্ব থেকে তারা প্রায় ১৪ লক্ষ অভিবাসিকে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেবে। এই মানবসম্পদ কানাডার অর্থনীতিকে অধিক গতিশীল করবে। 

কানাডা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে (চল্লিশের অধিক) তার দেশে জনশক্তি আমদানী করে থাকে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, ব্যবসা, তথ্য-প্রযুক্তি, শিল্প শ্রমিকসহ বিভিন্ন সেক্টরে এর সুযোগ আছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা নিজে অনলাইনে ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারেন। এবং কানাডায় স্থায়ীভাবে কাজ ও বসবাসের সুযোগ পেতে পারেন। 

এখানে কিছু প্রয়োজনীয় লিংক আছে। এগুলো পড়ে-বুঝে-শুনে সতর্কতার সাথে প্রস্ততি নিয়ে এগিয়ে যাবেন। কোন প্রশ্ন-বিষয় থাকলে কমান্টবক্সে জানাবেন। 

———————————————————————————————–

ড. মঞ্জুরে খোদা, লেখক, শিক্ষা-উন্নয়ন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।