আল্লামা শফী মৃত্যুবরণ করলেন। না, আনন্দিত হই নি, শুধু একটা আফসোস থাকবে, তাঁর দাড়িতে হাত বোলাতে বোলাতে একটা গল্প শোনাতে চেয়েছিলাম, এক গর্দভের গল্প, যে নাকি মুলো খাওয়ার লোভে দীর্ঘ ১০৪ বছর ছুটতে ছুটতে এক অন্তহীন অন্ধকার প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করেছিল অনন্তকালের জন্য।

তাঁকে শুধু আমরা নিধার্মিকরা নয়, সারা জাতি স্মরণ রাখবে তাঁর প্রগতিবিরোধী, নারীবিরোধী এবং মানবতাবিরোধী কাজের জন্য। একটি জাতিকে কয়েক যুগ পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত হেফাজতে ইসলাম।

আমরা হেফাজতে ইসলামের উত্থানের সময়টা একটু মনে করি। গণজাগরণ মঞ্চের যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনের সময় ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও কিছু জামাতপন্থী লোকের মাথায় একটি চক্রান্ত খেলা করে। তারা গণজাগরণ মঞ্চকে নানাভাবে বিতর্কিত করার উদ্যোগ নেন। রাজীব হায়দারের হত্যার পর তারা গণজাগরণ মঞ্চকে নাস্তিকদের আন্দোলন হিসাবে ব্যাপক প্রচার করে এবং হেফাজতে ইসলামকে সামনে নিয়ে আসে। অথচ গণজাগরণ মঞ্চ কোন বিচারেই শুধু নাস্তিকদের আন্দোলন ছিল না, সেখানে চরম ধার্মিক থেকে আরম্ভ করে নিধার্মিক সবাই জড়িত ছিল, নাস্তিকতার সাথে এর কোন সম্পর্কই ছিল না। মাহমুদুর রহমানদের উদ্দেশ্য ছিল ‘ধর্ম গেল’ জিগির তোলে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা এবং সরকারের পতন ঘটানো। বিএনপিও এতে যোগ দিল, স্বয়ং খালেদা জিয়াও নাস্তিকদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেন। আরো যোগ দিলেন ফরহাদ মজহার, একেবারে কোমর বেঁধে।

আল্লামা শফীর নেতৃত্বে নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনের জন্য তারা ৫ই মে ঢাকা অবরোধ করে এবং শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে সহিংসতা চালায়। ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগসহ ১৩দফা দাবি তুলে হেফাজতে ইসলাম এ ধরণের কর্মসূচি নিয়েছিল। অথচ রাজীব হায়দারকে মর্মান্তিকভাবে হত্যার পর তদের বরং শান্ত হওয়ার কথা ছিল, অনুশোচনার কথা ছিল।

মাহমুদুর রহমান এবং বিএনপি-জামাতের লোকজন যেটা বুঝতে পারেনি সেটা হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের হজুররা সম্পূর্ণ মেরুদণ্ডহীন, আশেপাশের ধমান্ধদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা লিল্লাহ নিয়ে পরজীবিদের মত তারা বেচে থাকে। সরকার সে সুযোগ নিল। সরকার হেফাজতে ইসলামকে টোপ দেয় যেটা তারা সাথেসাথেই গিলে ফেলে। আল্লামা শফীকে রেলের জায়গাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হল, কওমি মাদ্রাসার সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি দেয়া হল। তারাও আনন্দে আটখানা হয়ে শেখ হাসিনাকে কওমি জননীতে ভূষিত করে। ব্লগারদের বাচাতে সরকার কোন উদ্যোগই নিল না বরং স্বয়ং হাসিনা ব্লগারদের লেখালেখি নিয়ে আপত্তি তোললেন। সরকারী উদ্যোগে আগেই প্রস্তুত হয়েছিল ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা, যে তালিকা ধরে পরে একের পর এক ব্লগারকে হত্যা করা হয়।

অর্থাৎ যে হেফাজতে ইসলামকে মাহমুদুর ও বিএনপি-জামাতিরা সরকার পতনের ঘুটি হিসাবে কাজে লাগাতে চেয়েছিল তারাই সরকারের ক্ষমতা রক্ষার হাতিয়ার হয়ে উঠল।

এই হচ্ছে তাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- হেফাজতে ইসলাম শুধুই একটি ষড়যন্ত্রের ফসল। তাদের নিজস্ব কিছুই নাই, ঘিলুও নাই, আত্মমর্যাদাবোধও নাই। তাদের নিজস্ব কোনো অস্তিত্বও নাই, কারো না কারো পদলেহন করে, ক্ষমতায় আরোহনের সিড়ি হয়ে, অবৈধ সুবিধা ভোগকারী হয়ে, ষড়যন্ত্রের ঘুটি হয়ে, পরজীবি হয়ে তাদের বেচে থাকা।

এখন আসি আল্লামা শফীর মৃত্যুপরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে। নাস্তিকরা তাঁর মৃত্যুতে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে। তিনি তাদের প্রতি হত্যার নির্দেশনা জারি করেছিলেন। অথচ একজন মুরব্বি হিসাবে তিনি তাঁর অনুগত হুজুরদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন, নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাব কথার মাধ্যমে দেয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি জারি করে গেলেন এক অনন্ত সহিংসতা। আমরা আবারও দেখি প্রথম আলোতে প্রকাশিত তাঁর ফতোয়া

নাস্তিকদের কতল করা ওয়াজিব হয়ে গেছে

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৪, ১০:২৭

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘আমরা তোমাদের প্রধানমন্ত্রীকে গালি দিই নাই, শুধু শুধু আমাদের দিকে চোখ বড় করে তাকাও কেন? নাস্তিকরা তোমরা মুরতাদ হয়ে গেছ, তোমাদের কতল (হত্যা) করা আমাদের ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে।’

আল্লামা শফী আরও বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম কাউকে গদিতে বসাতে-নামাতে আন্দোলনে নামে নাই। আমরা আন্দোলন করছি ১৩ দফা মানার জন্য। সরকার, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। তারা মুসলমান হলে আমাদের ১৩ দফা মেনে নেবে। ১৩ দফা মানলে ভালো, না মানলে নাই।’

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের হকার-ব্যবসায়ী আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলনে আল্লামা শফী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আল্লামা শফী বলেন, ‘তারা কোথায় কী স্বপ্ন দেখেছে, কওমি মাদ্রাসার মধ্যে জঙ্গি আছে। স্কুল-কলেজে তো দুই দল মারামারি-গোলাগুলি করে, জঙ্গি বললে তাদেরই বলতে হবে। বাংলাদেশের কোনো মাদ্রাসার মধ্যে দুই দল মারামারি-গোলাগুলি করেছে, এ রকম প্রমাণ দিতে পারলে আমি তাদের পুরস্কৃত করব।’ তিনি বলেন, ‘নাস্তিকদের গালি দিলে কারও গায়ে লাগলে আমার করার কিছু নাই। আল্লাহর দেশে থাকতে হলে আল্লাহকে না দেখে আল্লাহর অস্তিত্ব মানতে হবে, না হলে তুমি আল্লাহর দেশে থাকতে পারবে না।’

ইসলামি মহাসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা জালাল আহমদ।

কিন্তু এরপরেও নাস্তিকরা তাঁকে কবর থেকে তোলে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয় নাই, লাশ পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় নাই, কুকুর দিয়ে খাইয়ে দেয়ার হুমকি দেয় নাই – এ ধরণের কোন ইচ্ছাই নাস্তিকরা পোষণ করে নাই। আমরা নাস্তিকদের নিয়ে গর্বিত হতে পারি, কখনও খুব বেশি নাস্তিককে সহিংসতার পক্ষে অবস্থান নিতে দেখি নি। অথচ ব্লগারদের হত্যার পর তাদের ফেইস বুক প্রফাইলে পর্যন্ত এসে মোল্লারা ও ইসলামপন্থী লোকজন হুমকি দিয়ে গেছে, সেসব হুমকির কী শ্রী! এখনো গিয়ে দেখে আসতে পারেন। হুজুররা ইহুদি-নাসারাদের সাথে নাস্তিক ব্লগারদেরও নিয়মিত অভিসম্পাত করেন, গালাগালি করেন। ইহুদি জুকারবার্গের ফেইসবুকে যখন তারা একই কাজ করেন তখন সেটা কৌতুকে পর্যবসিত হয়।

এবার দেখি তাঁর তেতুল ভিডিও

.

সবার সুবিধার্থে আল্লামা শফির নারী সম্পর্কিত বয়ানটি এখানে তুলে ধরা হলো: ( এখান থেকে সংগৃহিত)

– “ আপনারা মহিলারা মার্কেট করতে যাবেন না। স্বামী আছে সন্তান আছে তাদের যাইতে বলবেন। আপনি কেন যাবেন? আপনি স্বামীর ঘরের মধ্যে থাইকা উনার আসবাব পত্র এগুলার হেফাজত করবেন। ছেলে সন্তান লালন পালন করবেন। এগুলা আপনার কাজ। আপনি বাইরে কেন যাবেন?

– “মহিলাদের ক্লাসের সামনে বসানো হয় কলেজে ভার্সিটিতে, পুরুষরা কি লেখাপড়া কইরতেছে? মহিলা তেঁতুলের মতো-তেঁতুলের মতো-তেঁতুলের মতো। ছোট্ট একটা ছেলে তেঁতুল খাইতেসে, আপনে দেখতেছেন, আপনার মুখ দিয়া লালা বাইর হবে। সত্য না মিথ্যা বলেন তো? তেঁতুল বৃক্ষের নিচ দিকে আপনে হাইটা যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। মার্কেটে যেখানে তেঁতুল বিক্রি করে ওদিকে যদি আপনে যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। মহিলা তার থেকেও বেশি খারাপ! মহিলাদেরকে দেখলে দিলের মইধ্যে লালা বাইর হয়, বিবাহ করতে ইচ্ছা হয়। লাভ ম্যারেজ/কোর্ট ম্যারেজ করতে ইচ্ছা হয়। হয় কিনা বলেন? এই মহিলারা তেঁতুলের মতো।”

– “দিনেরাত্রে মহিলাদের সাথে পড়ালেখা করতেছেন, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। রাস্তাঘাটে হাঁটাহুটা করতেছেন, হ্যান্ডশেক কইরা কইরা, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। যতোই বুজুর্গ হোক না কেন, এই মহিলাকে দেখলে, মহিলার সাথে হ্যান্ডশেক করলে আপনার দিলের মধ্যে কুখেয়াল আইসা যাবে, খারাপ খেয়াল। এইটা মনের জেনা, দিলের জেনা হইতে হইতে আসল জেনায় পরিণত হবে। এটা সত্য না মিথ্যা?”

– “গার্মেন্টসে কেন দিছেন আপনার মেয়েকে? চাকরি তো অনেক করতেসেন। আপনি নিজে করতেসেন, আপনার বউ করতেসে, মেয়েরা করতেসে। কিন্তু কুলাইতে তো পারতেসেন না। খালি অভাব আর অভাব। আগের যুগে রোজগার করত একজন, স্বামী। সবাই মিইলা খাইত। এখন বরকত নাই। সবাই মিইলা এতো টাকা কামাইয়াও তো কুলাইতে পারতেসেন না। ফজরে ৭/৮ টা বাজে চলে যায়, রাত ৮টা, ১০টা, ১২টায়ও আসে না। কোন পুরুষের সাথে ঘোরাফেরা করতেসে তুমি তো জানো না। কতোজনের মধ্যে মত্তলা হচ্ছে আপনার মেয়ে, আপনে তো জানেন না। জেনা কইরা কইরা টাকা রোজগার করতেছে, কী বরকত হবে?”

– “আপনারই মেয়ে স্কুলে, কলেজে, ভার্সিটিতে লেখাপড়া করছে। আরে, ক্লাস ফোর ফাইভ পর্যন্ত লেখাপড়া করান। বিবাহ-শাদি দিলে স্বামীর টাকা-পয়সার হিসাব কইরতে পারে মতো, অতটুকু দরকার। বেশি বেশি আপনার মেয়েকে আইজকে স্কুলে কলেজে ভার্সিটিতে লেখাপড়া করাইতেছেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেছেন। কিছুদিন পরে আপনার মেয়ে স্বামী একটা নিজে নিজে ধরি নিবে, লাভ ম্যারেজ-কোর্ট ম্যারেজ করি চলি যাবে।”

(এর পরের অংশ চাঁটগাইয়া ভাষায়। মূল অংশটি তুলে ধরা হল)
“জন্মনিয়ন্ত্রণ কেন করেন? বার্থ কন্ট্রোল কেন করেন? বার্থ কন্ট্রোল হল পুরুষদের মরদ থাইকা খাসী কইরা ফেলা। মহিলাদের জন্মদানী সেলাই কইরা দেয়া। এরই নাম বার্থ কন্ট্রোল। বার্থ কন্ট্রোল করলেও, ডেথ তো কন্ট্রোল করতে পারবা না। রিজিকের মালিক হচ্ছে আল্লাহ। খাওয়াইবো তো উনি। তুমি কেন বার্থ কন্ট্রোল করবা? বড় গুনাহের কাজ এইটা। পারলে চাইরটা পর্যন্ত বিবাহ করবা। খাওয়াইবো তো আল্লাহ। বার্থ কন্ট্রোল করবা না। এইটা বড় গুনাহের কাজ।”

ভবিষ্যত পৃথিবী মোল্লাদের নয়:

মাদ্রাসায় একটি শিশুকে করে তোলা হয় কুশিক্ষিত। অশিক্ষা সমস্যাজনক কিন্তু কুশিক্ষা ভয়ংকর। যাদের দুনিয়াবী কোন দক্ষতা নাই, জ্ঞান নাই তাদের কোন উপযোগিতা নেই কোথাও । এভাবে গণহারে মোল্লা পয়দা হচ্ছে মাদ্রাসা থেকে, যাদের কোন গুরুত্ব নাই পৃথিবীর কাছে। সমস্ত পৃথিবীর সকল মাদ্রাসা মিলেও কোন প্রয়োজনীয় জ্ঞান তৈরী করতে পারছেনা, মৌলিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের গবেষণা-আবিষ্কারে তাদের অবস্থান শূন্য। সূতরাং ভবিষ্যত পৃথিবী তাদের নয়, বর্তমানও নয়। শুধু সংখ্যার জোরে, তদবিরের জোরে, ক্ষমতাসীনদের পদতলে বসে এবং মানুষের ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে তাদের অস্তিত্ব গড়ে তোলা হয়েছে- এটা শুধুই একটি তাসের ঘর। এই মাদ্রাসায় কুশিক্ষিত হুজুরদের নিয়ে একটি ব্লগ লিখেছি, এটা এখানে প্রাসঙ্গিক – মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করুন, মোল্লাতন্ত্রের অবসান চাই। বিস্তারিত লেখেছি এই ব্লগে।

আমরা নিধার্মিক, আমরা প্রশ্ন করবই

ভারবাহী গাধার সামনে একটা গাজর দেয়া হয়। গাধা সে গাজরের লোভে সামনে এগোতে থাকে, কিন্তু গাজর খেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘ পথ ভার বহন করে চলে যায়। একটা বড় সংখ্যক মানুষ তেমন। তারা যে বিশ্বাস পেয়েছে, যেটা শুনেছে, যেটা পড়েছে শুধু সেটা নিয়েই চলতে থাকে অজানা কিছুর লোভে, জান্নাতের লোভে, হুর-পরীর লোভে। কিন্তু আমরা প্রশ্ন করি, প্রশ্ন করি বলেই আমরা নিধার্মিক। আর মোল্লারা আমাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারে নাই বলে হত্যার ফতোয়া দেয়, ফিতনা ঘটায়। সেই কাজী নজরুলও রক্ষা পান নি মোল্লাদের ফতোয়া থেকে, আমরাও পাচ্ছি না। এ সমস্যা বিশ্বব্যাপী, সর্বযুগেই ভিন্নমতাবলম্বী মুসলিম দার্শনিক ও জ্ঞানীরাও মোল্লাদের ফতোয়া ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। আজ মুসলিমরা ডজন খানেক মুসলিম দার্শনিকের অবদান নিয়ে গর্ব করে, কিন্তু তাদের অনেকেই মোল্লাদের জন্য জীবন হাতে নিয়ে পালিয়েছিলেন। হেফাজতিদের পালের গোদা আমাদেরকে হত্যার ফতোয়া জারি করে অক্কা পেয়েছেন, অনেকে বলছে তাকেও নাকি হত্যা করা হয়েছে। জানি মোল্লারা সহজে মানুষ হবেনা, আমাদের আরও জীবনহানি ঘটবে, আরও রক্ত ঝরবে। কিন্তু আমরা জারি রাখব আমাদের প্রশ্ন, যার উত্তর আপনাদের দিয়ে যেতেই হবে। আমরা প্রশ্ন করি, প্রশ্ন করি বলেই আমরা নিধার্মিক।