“আমি অধম তাই বলিয়া তুমি উত্তম হইবে না কেনো?”
ভারতের নাগরিক গণনা বা এনআরসি অনেকের মুখোশ খুলে দিয়েছে।
যে দল ধর্মনিরপেক্ষতাকে কবর দিয়ে একটি বিশেষ ধর্মকে সংযোজন করেছিলো, সেই দলের মহাসচিব বিবৃতি দিয়েছেন,
” ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা আর রক্ষা করা হচ্ছে না, আমরা উদ্বিগ্ন- মির্জা ফকরুল” ( বিবিসি- ১০ ডিসেম্বর,২০১৯)।
কী বুঝলেন? মির্জা ফকরুলরা ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষের লোক? উনারা এখন উদ্বিগ্ন অথচ উনারাই এক সময়ে বাংলাদেশে নিরুদ্বিগ্ন হ’য়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে কবর দিয়েছিলেন!!
” স্বাধীনতার পরে কোনো বাংলাদেশী ভারতে যায় নি- মির্জা ফকরুল” ( যুগান্তর, সেপ্টেম্বর ১১,২০১৯ ),
কী বুঝলেন? রাজনীতি ক’রলে তো ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির হওয়া চলে না? তাই বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কিভাবে কোটিখানিক কমে গেল? কোথায় গেল বাংলাদেশের এই বিপুল হিন্দু জনগোষ্ঠী?
তবে সবচেয়ে যুগান্তকারী কথা বলেছেন বাংলাদেশে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের নেতা জনাব আল্লামা শফী সাহেব,
” ভারতে নাগরিকত্ব আইন হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র তৈরীর ঘৃণ্য প্রয়াস ( ছবি সংযুক্ত)”
কী বুঝলেন? ধর্মীয় সম্প্রদায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরী ঘৃণ্য কাজ বটে কিন্তু ব্যতিক্রম হবে শুধু বাংলাদেশ? বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র দু’টো ধর্মীয় রাষ্ট্র হবে কিন্তু ভারতকে চাই ধর্মনিরপেক্ষ!
তাই বলছিলাম, ” আমি অধম তাই বলিয়া তুমি উত্তম হইবে না কেনো?”
কবে যে এই দ্বিচারিতা শেষ হ’য়ে “মানুষ হবে মানুষ শুধু”।
প্রচলিত ধর্মকে বিসর্জন দিতে পারলে মানুষে মানুষে বিবাদ 99% কমে যাবে। ধর্মই যত গন্ডগোল তত। মানুষের একটাই ধর্ম হয় উচিত তা মানবতা।
এটাই তো হয়, ধর্ম না বুঝেই সব ধার্মিক সেজে বসে আছে।
সুজন ভাইয়ের কথায় আমি একমত। একবার এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ” তুই কুরআন পড়ছিস কখনো পুরোপুরি?” সে উত্তর দিয়েছিল, “না”। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আবার,” তাইলে কি আন্দাজে ধর্ম পালন করিস?” সে বলল কিছুটা আন্দাজে কিছুটা শুনে। তারপরও সে এর বাইরে যাবে না। ফ্যামিলি থেকে ছোটবেলায় যে ব্রেইন ওয়াশ করা হয় সেটা থেকে বেরিয়ে আসা খুব একটা সোজা কাজ না।
ওদিন বাংলাদেশের এক টিভি চ্যানেলে হেফাজত ইসলামের এক নেতার ব্যাখ্যা শুনলাম; কেনো বাংলাদেশে ইসলামি শাসন দরকার? তার মতে, “বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রয়োজন নেই। কারণ, বাংলাদেশের সবাইকে একদিন ইসলামের পতাকা তলে আসতেই হবে। বাংলাদেশে একদিন সবাই মুসলমান হয়ে যাবে। আর যারা আসবে না, তাদের সব অধিকার হেফাজত ইসলাম “হেফাজত” করবে।”
বুঝুন, এই কথা বাংলাদেশে একটি টিভি মাধ্যমে প্রকাশ্যে বলছে একটি দল। কী ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা! অথচ সরকার ও রাষ্ট্র এগুলো মেনে নিচ্ছে। সত্যি এক ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করছে সামনে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান ক্রমশ এক ভয়াবহ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। আর এই ভয়ঙ্কর মানুষগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বকেও ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে এই ধর্মীয় মৌলবাদীদের প্রতিহত করার মাধ্যমেই কেবল এদের প্রতিরোধ সম্ভব।
Nice article!
ভাল লিখেছেন।
আমি হিন্দু রাষ্ট্র কায়েম ও ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম দুটিকে এক চোখে দেখি না।
যাই হোক, মি. ভজন সরকার, আমার মনে হয় না আপনারা ব্লগিং করে মুসলমানদের ধমর্ম পালন থেকে সরাতে পারবেন।
কারণ, আমরা আপনাদের থেকেও চরম মাত্রায় ঘাড়তেরা !(ধমর্ম পালনের ক্ষেত্রে)
যতই brain wash করেন জীবন গেলেও ধমর্ম ছাড়বে না।
হিন্দু রাষ্ট আর মুসলিম রাষ্ট্রকে এক চোখে দেখেন না কেন?
সাব্বাস! আপনি এর প্রতিদান পাবেন।