বাংলাদেশে গত ৩৬৫ দিনে এমন একটা দিন নেই যে দিনে একটা শিশু, আই রিপিট ‘শিশু’ ধর্ষণ হয়নি! এর কারন হিসেবে যে দুটো কারন সব চেয়ে বেশি চোখে পড়েছে তা হল, পোশাকের জন্য আসলে ধর্ষণ বাড়ছে এবং পর্ণ দেখার কারনে ধর্ষণ বাড়ছে। এক শ্রেণীর বক্তব্য হল, যেহেতু মেয়েরা পর্দা করেনা এবং ছেলেরা পর্ন দেখে তাই ধর্ষণের হার বাড়ছে।
প্রথমেই বলি পর্ন নিয়ে। যদি পর্ন দেখাই ধর্ষণের জন্য দায়ী হত, তবে যে দেশগুলো পর্ন বানায় তাদের দেশে ধর্ষণের হার এত কম কেন? ধর্ষণের ইতিহাস একটু পড়লেই জানতেন পর্ন তো মাত্র সেদিন আসল। পর্নগ্রাফী প্রচলিত হবার আগেই ভয়াবহ ধর্ষণগুলো হয়ে গেছে।
জার্মানি যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে তখন এক কোটিরও বেশি সংখ্যক সোভিয়েত নারী জার্মান সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। নানচিং গণহত্যা ইতিহাস পড়লেই জানবেন, জাপানীরা কি পরিমাণ চিনা মেয়েদের ধর্ষণ করেছিল। ১৯৯১ শালে কাশ্মীরের কুনান ও পোশপোরা গ্রামে ৩০ জনেরও বেশি নারীকে ভারতীয় সৈন্যরা ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ আছে। পাহাড়ে ধর্ষণ তো নতুন না। আর আমাদের ৭১ এ তো পর্ন ছিল না, তো কি কারনে তিন লক্ষ ধর্ষণ হল ?
পর্নগ্রাফী মানুষের ফ্যান্টাসি বাড়ায় কিন্তু পর্ন দেখে বলেই সে ধর্ষক হবে এমন কোন কথা নাই। যদি হত তবে বাংলাদেশের প্রাইভেট আর পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্টদের ছেলেরা এবং একটা বিশাল অংশের মেয়েরাও ধর্ষক হয়ে যেত। আজকাল মেয়েরাও প্রচুর পর্ন দেখে কিন্তু তারা তো ধর্ষণ করতেছে না।
এর পরও যদি বলেন, বর্তমানে ধর্ষণ হচ্ছে পর্ন দেখে, তাহলে যে বৃদ্ধ ইতোর তার নয় মাস বয়সী নাতনী কে ধর্ষণ করেছে, সে পর্ন দেখে করেছে এমন কথা বলে মাথায় গু এর উপস্থিতি জানান দিয়েন না। গু ঢেকে রাখুন প্লিজ।
দ্বিতীয় আবালীয় যুক্তি। পোশাকের জন্য আসলে ধর্ষণ বাড়ছে। বিষয়টা কি আসলেই তাই?
এর উত্তর দেবার আগে একটা তথ্য দেই, গত ২৩ শে মে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একশ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে ১৫ বছরের এক কিশোর।
আরও একটি তথ্য দেই, বাংলাদেশে খুব অল্প সংখ্যক হলেও পুরুষ ধর্ষণ হয়। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯% ধর্ষণের ঘটনা ঘটে পুরুষ কর্তৃক পুরুষ ধর্ষণের। একজন পুরুষ আর একজন পুরুষকে ধর্ষণ করে কী কারনে? পোশাকের কারনে?
আপনার কি মনে হয় মাদ্রাসার হুজুর দ্বারা যে ছেলে বাচ্চাগুলা ধর্ষিত হইছে কিংবা খ্রিষ্টান পাদ্রী দ্বারা কিংবা বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ঘেঁটু পুত্র নামের বর্বর কালচারের বলি যে বাচ্চাগুলা ওরা পোশাকের কারনে ধর্ষিত হইছে? জি না ।
কোনটা কালচার, কোনটা ক্ষমতার আধিপত্য, কোনটা এন্টি-সোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার, কোনটা ধর্ম, কোনটা অশিক্ষা কোনটা ধ্বজভঙ্গতা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটও এর জন্য দায়ী ।
প্রায়ই একটা কথা শুনি যে মেয়েটা দেখি স্লাট এর মত পোশাক পরেছে। মাথায় ঢুকে গেল বিষয়টা । বেশ্যাবৃত্তি নিয়ে পড়তে শুরু করলাম এবং অবাক হয়ে দেখলাম স্লাটদের আসলে কোন ড্রেসকোড নেই! কিন্তু যারা বলে মেয়েটা দেখি বেশ্যাদের মত পোশাক পরেছে , এরা জানল কি করে যে বেশ্যারা কি পরে? কেন তার মনে হল এই মেয়েটাকে ধরে বিছানায় নেয়া যায়?
সাইকোলজিক্যাল দিক থেকে ভাবলে বিষয় হল মানুষ যা শেখে, ভাবে, সেটাই সে বিশ্বাস করে। খুব ছোট বেলা থেকে তাকে শেখানো হয়েছে,
– মেয়ে মানেই এলিয়েন , এরা ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী
– মেয়ে মানেই পাপ, মেয়েদের থেকে ১০০ হাত দুরে থাকতে হবে ।
– মেয়েদের না মানে হল হ্যাঁ !
– মেয়ে মানেই হল চোখ নামিয়ে ফেলতে হবে।
– মেয়েদের সাথে মেশা যাবে না।মিশলেই খারাপ হয়ে যাবে।
– মেয়েদের স্তন্য মানেই হল খাইতে হবে।
– মেয়ে শরীর মানেই হল খাওয়ার জিনিষ।
– মেয়ে হল খাবার আর পোলা হল মাছি। খাবারে মুখ দেয়াই তো মাছির কাজ।
– মেয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লেখক, শিল্পী যাই হোক না কেন, যে মেয়ের কাপড় যত লম্বা সে মেয়ে তত ভদ্র।
সুতরাং মেয়ের পীঠ দেখা গেলেই পোলার মনে হয়, পীঠ যেহেতু দেখাইছে সেহেতু মেয়ে তো বিছানায় যাবার জন্যই পীঠ দেখায়। কোমর দেখা গেছে মানে মেয়ে বিছানায় যাবে। হিজাব পরছে কিন্তু ঠোটে লিপস্টিক মানেই হল মেয়ে বিছানায় যাবে। মেয়ে টিশার্ট পরছে মানে হল তার বুকে চাপ দেয়া যায়। মেয়ে কোন পোশাক পরে নাই তার মানে হল পুরাই রেপ করে দেয়া যাবে।
অথচ ছেলে যখন গোসলের ছবি পোস্ট করে তখন কোন মেয়ে ভাবে না যে এই ছেলে কে রেপ করে দেয়া যাবে । কারন মেয়েরা ছেলেদের সেক্স অবজেক্ট জেনে বড় হয় না। পোলা মানেই মাল , কিংবা পোলা মানেই খেতে হবে এমন কথা তারা জেনে শিখে বড় হয় না বলেই কোন ছেলে খালি গায়ে বের হলে তার পোশাক মেয়েদের কাছে স্লাট কিংবা তাকে বেশ্যা লাগে না ।
সমস্যাটা মানসিকতায়। সমস্যাটা গোড়ায়। মেয়ে কে যেমন শেখানো হয় না যে ছেলে মানেই একটা শরীর , একটা সেক্স অবজেক্ট তেমন করে যদি ছেলে কে শেখানো হয় যে, মেয়ে মানেই তোমার মত মানুষ, তার স্তন্য কোন বিশেষ অঙ্গ না, সেটা হাত পায়ের মত স্বাভাবিক অঙ্গ। ছেলে মেয়ে এক সাথে মেশা এবং সম অধিকার নিয়ে বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক , ছেলে মেয়ে উভয় কেই মানুষ হিসেবে সম্মান করতে হবে , তবে ছেলেরা মেয়েদের স্বাভাবিক ভাবে নিতে শুরু করবে।
এর পরেও রেপের বিভিন্ন কারন আছে কিন্তু শুধু দৃষ্টি ভঙ্গি আর শিক্ষার কারনে উন্নত দেশগুলোতে রেপের হার এত কম, সেই শিক্ষা থেকে বোঝা যায় আমরা যদি ওদের এই দিকটা ফলো করি তবে আমাদের দেশেও রেপের হার ওদের মত অনেক কমে যাবে। ভাবুন প্লিজ , কারন সন্তান আপনার, আত্মীয় আপনার, দেশটাও আপনার , ক্ষতিটাও আপনারই হবে। ক্ষতিটা আমাদের হচ্ছে।
আহ অনেক সুন্দর লিখেছেন…
ভালো লেখা ।
“সমস্যাটা মানসিকতায়। সমস্যাটা গোড়ায়। মেয়ে কে যেমন শেখানো হয় না যে ছেলে মানেই একটা শরীর , একটা সেক্স অবজেক্ট তেমন করে যদি ছেলে কে শেখানো হয় যে, মেয়ে মানেই তোমার মত মানুষ, তার স্তন্য কোন বিশেষ অঙ্গ না, সেটা হাত পায়ের মত স্বাভাবিক অঙ্গ। ছেলে মেয়ে এক সাথে মেশা এবং সম অধিকার নিয়ে বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক , ছেলে মেয়ে উভয় কেই মানুষ হিসেবে সম্মান করতে হবে , তবে ছেলেরা মেয়েদের স্বাভাবিক ভাবে নিতে শুরু করবে।”
খুব ভালো লাগল লেখাটি!
[আমার নীচের মন্তব্যটি একই বিষয়ের উপরে লেখা মুক্তমনার আরেকটি ব্লগে প্রকাশ করেছি। তারপরেও ব্লগের লেখক আর মন্তব্যকারীদের সাথে আলোচনায় অংশ নেয়ার লোভে মন্তব্যটি এখানেও প্রকাশ করলাম। এই পুনরাবৃত্তির কারণে কেউ বিরক্ত হলে ক্ষমাপ্রার্থী]
সম্প্রতি ধর্ষণের হার, বিশেষত শিশু ধর্ষণের হার, খুব বেড়ে গেছে। অবশ্য এমনও হতে পারে যে আগে এসব খবর এভাবে পত্র-পত্রিকায় আসতো না। যাই হোক, এই অভিমতে দ্বিমত থাকার কথা না যে ধর্ষণের জন্য মূলত পুরুষরাই দায়ী, এবং আমাদের মানসিকতা আর সমাজ ব্যবস্থাই ধর্ষণে প্ররোচিত করে।
প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের দৈহিক মিলন একটি সাধারণ জৈবিক বৈশিষ্ট্য; কিন্তু আমাদের সমাজে সেই স্বাভাবিক বিষয়টিকেই নানা অস্বাভাবিকতার ঘেরাটোপে আড়ালে করে রাখা হয়েছে। এই সমাজে বিবাহ-বহির্ভূত যৌনতা একরকম নিষিদ্ধ। একজন পুরুষ যৌন-সক্ষমতা অর্জনের পরপরই বিয়ে করেন না; অর্থনৈতিক কারণসহ আরও অন্যান্য কারণে তাকে বিয়ের আগে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বিপত্নীক কিংবা অর্থনৈতিক কারণে পরিবার থেকে দূরে আছেন এমন পুরুষের সংখ্যাও অনেক। এদের যৌন চাহিদা পূরণের কোন ব্যবস্থাই বলতে গেলে নেই। অথচ তার যৌনানুভূতিকে উসকিয়ে দেয়ার মতো উপাদান চারিদিকে সহজলভ্য – পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে বটতলার সাহিত্য সব কিছুতেই যৌন সুড়সুড়ি। এছাড়া নারীর সম্মতি ছাড়া তাঁকে স্পর্শ করা যে অন্যায় এবং বেআইনি এই শিক্ষাটুকুও দেশের পুরুষরা পান না। আমাদের পুরুষ-শাসিত সমাজে ধর্মীয় অনুশাসনগুলোও যেন ধর্ষণে সহায়তা করতেই তৈরি। প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে ঘরে ছেড়ে বের হওয়া একাকী নারী তাই হয়ে যান পুরুষের লালসার বৈধ লক্ষ্য। সাথে প্রেমিক থাকলেও শেষ রক্ষা নেই, পরপুরুষের সাথে ঘোরাফেরাই যে নিষিদ্ধ! পুরুষদের অনেকেই এই ধারনা নিয়ে বড় হন যে নারীদেহ কেবল ভোগের জন্য, এবং এক্ষেত্রে নারীর ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কোন মূল্য নেই। অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় নারীই দোষী এই ধারনা যে আমাদের সমাজে স্বতঃসিদ্ধ।
ধর্ষণ একটি আদি অপরাধ যা পৃথিবী সব দেশেই কমবেশি ঘটে থাকে। তবে পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশে ধর্ষণের হার আমাদের দেশের তুলনায় অনেক কম। এইসব দেশের সাথে আমাদের দেশের তুলনামূলক বিশ্লেষণ হয়তো দেশে ধর্ষকের আধিক্যের কারণ সম্পর্কে ধারণা দেবে। তারপর বাকি থাকবে কঠিন কাজটি – ধর্ষণের ঘটনার হ্রাস এবং সম্ভব হলে বিলুপ্তি ।
স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশগুলোর একটি হল সুইডেন। বাংলাদেশের অনেক মানুষের কাছে সুইডেন আবার বেশি ধর্ষণের দেশ হিসেবে পরিচিত! মজার বিষয় হল সাধারণ অবুঝ মানুষের মতন জাফর স্যারও তার একটা লেখার সুইডেনের ধর্ষণের বিষয় উল্লেখ করেছেন।
“ধর্ষণ” কিংবা “ধর্ষণের সংখ্যা” কীভাবে নির্ধারণ করা হয় তা একেক দেশে একেকে নিয়ম আছে। যেমন ধরেন বাংলাদেশে একজন নারীকে ৩০ দিন আটক রেখে এক লোক ধর্ষণ করল। বাংলাদেশে সেখানে ধর্ষণের সংখ্যা এক। অথচ সুইডেনে ঐ লোকের বিরুদ্ধে ৩০ দিনে যদি দুই বার করে ধর্ষণ করা হয় তাহলে ৬০ টি ধর্ষণের অপরাধ ঘটনা নথিবন্ধ হবে। আর এই কারণে যে কোন দেশের তুলনায় পরিসংখ্যান দেখলে এখানকার অপরাধ বেশি মনে হবে। এছাড়া সুইডেনে সামগ্রিক ভাবে যৌন হয়রানিমূলক অপরাধ বা Sexual Offence এর আওতায় যে সমস্ত অপরাধ পড়ে তার তালিকাটি দেয়া হলো।
1. Rape (1)
2. Aggravated rape (1)
3. Negligent rape (1a)
4. Sexual assault (2)
5. Negligent sexual assault (3)
6. Rape of a child (4)
7. Aggravated rape of child (4)
8. Sexual exploitation of a child (5)
9. Sexual abuse of a child (6)
10. Sexual intercourse with an offspring/sibling (7)
11. Exploitation of a child for sexual posing (8)
12. Purchase of a sexual act from a child (9)
13. Contact with a child for sexual purposes (10a)
14. Sexual molestation (10)
15. Purchase of sexual service (11)
16. Procuring (12)
17. Aggravated procuring (12)
বিস্তারিত জানতে আগ্রহীরা গোলাম সারওয়ারের লেখাটি পড়তে পারেন- অধ্যাপক জাফর ইকবালের “বিভ্রান্ত হওয়া না হওয়া” আর বুদ্ধিজীবীদের সত্য বলার দায় প্রসঙ্গে । লিংক- https://bit.ly/2M0F63v
ধন্যবাদ শুভ একটা চমৎকার লেখার লিঙ্ক দেয়ার জন্য। ডঃ জাফর ইকবালের আরেকটি বিভ্রান্তিকর প্রচারণাকে লেখক মুহাম্মদ গোলাম সারওয়ার তাঁর শাণিত যুক্তি আর রেফারেন্সসহ তথ্য দিয়ে ধরাশায়ী করেছেন। দেখা যাচ্ছে, ডঃ জাফর ইকবাল তাঁর লেখাটিতে একজন বুদ্ধিজীবির দায়বদ্ধতা থেকে দূরে সরে গিয়ে কেবল দলীয় ‘স্পিন ডক্টরের’ ভূমিকায় নেমে পড়েছেন। অবশ্য এমন কাজ তিনি এর আগেও করেছেন (অনেক আগে এ নিয়ে মুক্তমনায় একটা পোস্টও দিয়েছিলাম)। অনেক ভাল কাজের পাশাপাশি এই ধরনের সস্তা দলবাজী তাঁর মাপের একজন মানুষ করে চলেছেন ভাবলে অবাক লাগে। এর আদৌ কোন দরকার আছে কি?!!
অনেকদিন আগে কোন এক ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম একটা স্কুলের কথা যেখানে বাচ্চাদের অন্যভাবে শেখানো হতো। বাচ্চা খেলতে খেলতে হাসতে হাসতে শিখতো। তারা ইতিহাস পড়তো ইতিহাসের কোন নিদর্শন দেখে। বিজ্ঞান শিখতো হাতে কলমে। ছেলে-মেয়েদের ওই স্কুলের হেডমাস্টার পুকুরে গোসল করাতেন। বাচ্চারা গোসল করতো জামা কাপড় খুলে। হেডমাস্টারের যুক্তি ছিলো ওরা নিজেদের শরীর সম্পর্কে ধারণা লাভ করুক। মেয়েদের শরীর নিয়ে যেন ওদের নোংরা কোন কৌতুহল ভবিষ্যতে না তৈরি হয় কিংবা তাদের অসম্মান না করা হয় সেটা চাইতেন। স্কুলের ক্লাসরুমগুলো ছিলো একেকটা ট্রেনের বগি। স্কুলের নাম মনে নাই। কোন দেশ সেটাও মনে নাই। নাৎসিৎ বাহিনীরা নাকি স্কুলটা ধ্বংস করে দিয়েছিলো। এমন স্কুল দেশে থাকলে আর এইভাবে বাচ্চাদের বড় হতে শেখালে দেশে ধর্ষক জন্মাবেনা বলে আমি মনে করি।
ভাই, সব স্কুলে তো খেলার মাঠ নেই, সব স্কুলে তো ভালো বাথরুম নেই । সেসকল স্কুলে এসব নেই সেসব স্কুলে এই পুকুর, খেলতে খেলতে শেখানো, এরকম শিক্ষক আশা করা তো দূরাশা ।
বইয়ের নাম – তোত্তো-চান
t
তস্লিমার নির্বাসনের ২৫ বছর উপলক্ষে লেখা চাই।
আমি আপনাদের কথাতে একমতি আপনাদের কথাতে। আমাদের দেশে মেয়েদের ড্রেসের উপরে চেক দেয়া উচিত ও সব এডাল্ট সাইট ব্লক করে দেয়া উচিত। সাথে সব ধরনের ভিপিএন সফ্টওয়্যার, এ্যাপ্স বন্ধ করতে হবে। তাহলে সমাজ ঠিক হয়ে যাবে।
@ রোকসানা , কোন রোগ চিকিৎসা করতে হলে সর্ব প্রথম রোগের কারন অনুসন্ধান জরুরী। এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মতামত উঠে আসবে। তার মধ্যে সব মতামত সঠিক নয়। কিন্তু কেউ অন্য রকম বা ভুল বললে যদি তাকে “পুরুষতান্ত্রিক” , ‘ধর্ষণের সমর্থক”, ” সম্ভাব্য ধর্ষণকারী” ইত্যাদি বিশেষণে ভূষিত করা হয় তা হলে ভয়ে আর কেউ মুখ খুলতে চাইবে না। আমার মনে হয় ধর্ষণের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। এমন একটা বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে যে কেউ অন্য রকম কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। তাই প্রকৃত কারন ও ধর্ষণের উৎস খুঁজে পেতে অসুবিধা হচ্ছে । আমি ভুল বললে বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু আমাকে ওই সব বিশেষণ কি না দিলেই নয়! আপনি বাবু জোন্স কে এই ভাবেই থামিয়ে দিলেন। মনে রাখা দরকার সত্য উদ্ঘাতনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মতামত উঠে আসা জরুরী।
@ রুকসানা, আপনি জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশ পুরুষ তান্ত্রিক কি না। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীর সব সমাজই পুরুষতান্ত্রিক। ব্যতিক্রম হিমালয়ের কিছু খুদ্র নৃ গোষ্ঠী । কেউ পরিকল্পনা করে সব সমাজকে পুরুষতান্ত্রিক বানায়নি। এটা সামাজ বিবর্তনের মাধ্যমেই হয়েছে। আবার দীর্ঘ সময় লাগবে সমাজ লিঙ্গ বৈষম্য দুর করতে।
পুরুষরা কেন মেয়েদের যৌন বস্তু হিসাবে দেখে? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় অনেক মেয়েই নিজেদের যৌন বস্তু হিসাবেই নিজেকে উপস্থিত করে না কি? নাম করা নারী মডেল, চলচিত্র জগতের নারীর মধ্যে কি নিজেকে যৌন বস্তু হিসাবে তুলে ধরার প্রয়াস দেখতে পারছেন না? তার পরে দাবী করা “মেয়েরা যৌন বস্তু নয়” কেমন হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে না! সত্যি বলতে কি ছেলেদের চোখে মেয়েরা যৌন বস্তু এবং মেয়েদের চোখে ছেলেরা যৌন বস্তু। তা না হলে নারী পুরুষ পরস্পর আকর্ষিত হবে কেন? লিখেছেন নারীর স্তন অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এর মত একটি অঙ্গ সুতরাং এটাকে ঘিরে পুরুষদের মধ্যে এত অস্বাভাবিকতা কেন? তাই বুঝি! আপনার চোখে পড়ছে না যে প্রায় সর্বত্রই এই বিশেষ অঙ্গটিকে বিভিন্ন ভাবে , বিভিন্ন ভঙ্গিতে তুলে ধরে নিজেকে আরও যৌন উত্তেজক তুলে ধরার চেষ্টা মেয়েদের মধ্যে রয়েছে। এমন কি কবিরাও তো এই বিশেষ অঙ্গটির বর্ণনা দিয়েছেন বেশ আলাদা ভাবে।
ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে পশ্চিমী দেশের নারী পুরুষ সম্পর্ক তুলনা করলে চলবে কেন! ওই সমাজে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যায় বেশ বড় সংখ্যার নারী পুরুষ ৩০ বছরের মধ্যেই গড়ে প্রায় ২০ জনের বেশি যৌন সঙ্গি পালটায়। এ ছাড়া সেখানে ১৪/১৫ বছরেই প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। অথচ এই দেশে বেশীরভাগ ছেলে মেয়ে বিবাহের আগে কোন যৌন সম্পর্কে জড়ায় না। সমাজটাই এভাবে তৈরি। এখন অর্থনৈতিক অন্যান্য ক্ষেত্র গুলো পরিবর্তন না করে যদি আমরাও পশ্চিমীদের মত সামাজিক মেলামেশা সুরু করি তা হলে তার ফল কি হবে ভেবে দেখেছেন?
পশ্চিমী দেশের ধ্যান ধারনা গুলো কপি পেস্ট করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে বলেই আমার ধারনা।
আমি নারীদের মানুষ ভাবি না, এই সিদ্ধান্তে এলেন!!!
মনের এডল্ট সাইট গুলো বন্ধ করার প্রযুক্তি কি ভাই আবিস্কার হয়েছে? হে পুরুষ তোমর বিবেক তোমার নিয়ন্ত্রক হোক। স্রষ্টা বা তার দেয়া বিধান কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। যখন আমি সৃষ্টি হয়েছি তখন তো আমায় একটু সুন্দর বিবেক দেয়া হয়েছে। যার ধারক আমি নিজে। পুরুষ তোমার অন্তরের কথা শোন শুদ্ধ আন্তরের কথা। সে কি বলে নারী মানেই কি ভোগ? তাহলে পুরুষ তোমার মা, তোমার বোন, তোমার স্ত্রীও তো অন্যের ভোগ্য তাই নিজে সুদ্ধ হও পুরুস নিজেকে পাল্টাও।
বিচার না হওয়ার কারনেই দেশে ধর্ষণের সংখা বাড়ছে। ড্রেস কখনই ধর্ষণের কারন হতে পারে না, যারা এগুলা বলে তাদের ও বিচার হওয়া উচিত।
আমাদের উপমহাদেশীয় সংস্কৃতিতে যৌনতার প্রতি যে দৃষ্টীভঙ্গী শেখানো হয় ছোটবেলা থেকে, সমস্যার মূল সেখানেই। ব্যাপারটাকে অস্বভাবিক আর অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে বিষয়টার প্রতি এক ধরনের বিকৃত দৃষ্টীভঙ্গী গড়ে উঠে। ছোটবেলা থেকে জিনিসটাকে এমন অস্বাভাবিক করে শেখানো হয় যে মনোবিকাশেই ব্যাপারটাকে নিয়ে অস্বাভাবিকতা গড়ে উঠে অনেকের মধ্যেই।
লেখাটিকে খুব গৎ বাধা, ভাষাটিকে ফেসবুক ঘেঁষা, ঠিক মুক্তমনা মানের মনে হয়নি। বানান ভুলগুলোও মারাত্মক চোখে লাগছে।
ধর্ষণের প্রকৃত কারণ ও সম্ভাব্য প্রতিকারও লেখায় অনুপস্থিত, যেটি মন্তব্যের ঘরে অন্যরা বলার চেষ্টা করছেন। অবশ্য এই বিতর্কটুকু উপভোগ্য। চলুক। 👍
মুক্তমনার এডমিনদের আগ্রহে লেখাটা প্রকাশিত হয়েছে সুতরাং মানের ক্ষেত্রে প্রশ্নটা তাদের করা যেতে পারে । আর বানানগুলো আপনি এখানে লিখুন আমি শুধরে দিচ্ছি ।
ওরে ভাই বিপ্লব, সুস্থ বিতর্কটা’ই আসল। বাকি সব না গুনলেও চলে। ফড়িং’রা যে এখনো ব্লগ ভালোবাসে এইটা কি কম কথা? কি বলেন?
@ কাজী ভাই অবশ্যই।
@ ক্যামেলিয়া, বিতর্ক চলুক। অনুগ্রহ করে আমার আগের মন্তব্য উপেক্ষা করু। 👍
আপনার মতে ইউরোপের ভায়োলেন্স কাউন্টিংয়ের ব্যবস্থা যে আসলেই এরকম তার পক্ষে কোনো, ডকুমেন্টস দেখাতে পারবেন? নাকি আপনি ইউরোপ
ঘুরে গবেষণা করে যুক্তিগুলো দেখালেন, কোনটা?
এই রেপ নিয়ে যতই কাচা ধোয়া করেন ময়লা বের হতেই থাকবে। কেন জানেন? একটা রোবট থেকে কিভাবে সর্বোচ্চ উপযোগ পাওয়া যাবে এটা ওই কোম্পানির ওই রোবটের ম্যানুয়াল লেখা থাকে। অন্য রোবটের ম্যানুয়াল দেখে বা মনের মাধুরী মিশিয়ে রোবট চালালে বা রোবটকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে সেটা থেকে আপনি সল্প মেয়াদে সামান্য উপকার পেলেও দীর্ঘমেয়াদে আপনি ঠকবেন। মানুষকে যিনি তৈরি করেছেন তিনিই মানুষকে ম্যানুয়াল দিয়ে দিয়েছেন। যান গিয়ে সেই ম্যানুয়াল এসব সমস্যার কারণ খোঁজেন। আর নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করেন ম্যানুয়াল অনুযায়ী। নিজের স্বাধীনতা মতো চলবেন তো এরকম একটা না হাজারো সামাজিক সমস্যা আসতেই থাকবে। সেসব সমস্যার জন্য কি করতে হবে সেটাও আছে ম্যানুয়ালে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া শিখেন দেখেন অপরাধ কোথায় যায়। এত এত গবেষণা করে এত সময় ধরে নানা দেশের ধর্ষণ গবেষক হয়ে কোন লাভ নাই।
https://www.thelocal.se/…/why-sweden-is-not-the-rape…”For example, countries can count one ‘case’ or every single episode. This can make a big difference, especially in cases of domestic violence: is every episode of violence between partners counted, or only the report made by the woman/wife?”.
In Sweden, each case of sexual violence is recorded as a separate incident. So for example, if someone says they were raped by a partner every day for a fortnight, officers will record 14 potential crimes. In other countries the claim could be logged as a single incident.
ধর্ষণের জন্য আমাদের সংস্কৃতি দায়ী। আর এই সংস্কৃতির জন্য পুরুষরা তো দায়ী বটেই মেয়েরাও এই অসুস্থ সংস্কৃতির অংশীদার।
আমেরিকার ব্যুরো অব জাসটিস স্ট্যাটিস্টিক অনুযায়ী আমেরিকায় ধর্ষণের শিকার নারীর পরিসংখ্যান ৯১% এবং ৮% পুরুষ।
ন্যাশনাল ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইম্যানের সার্ভে অনুযায়ী আমেরিকার প্রতি ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ধর্ষণের শিকার। এবার বলুন কন দেশে ধর্ষন বেশি??
ভাই আপনি ইউরোপ আমেরিকার ধর্ষনের সংঙগা আর স্বচ্ছতা আগে জানুন ঐসব দেশে ইভটিজিং করলেও ধর্ষনের অন্তর্ভুক্ত আর আমাদের দেশে ধর্ষন পর খুন না হলে কেউ জানেই না আর ইজ্জত এর ব্যাপার তো আছেই তাই শতকরা দু জন ও অভিযোগ করতে আসেনা তাই অফিসিয়ালি নথি ভুক্ত হয়না তাই আপনার কাছে ইন্টারনেট এই পার্সেন্টিজ কম হচ্ছে আর বাস্তব চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন ,আর উন্নত দেশে বউ কে অনুমতি ছাড়া ধরলেও ধর্ষণ
আমার নিজের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া মামাতো বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিলো। কেউ না দেখলে হয়তো ওকে ধর্ষণ করে মেরেই ফেলতো। আর ধর্ষণটা করেছিলো এক বুড়া। যেটার শেষমেষ কোন মামলা হয়নি। কারণ কি জানেন? আমার মামা-মামী চায়না কোন মামলা দিতে। কেন মামলা দিতে চায়নি? সমাজের ভয়ে। আমি খুব বুঝিয়েছি চেষ্টা করেছি। তারা রাজি না থাকায় আমি কোন কিচ্ছুই করতে পারিনি।
এই রকম প্রচুর ঘটনা দেশে ঘটছে প্রতিনিয়ত যেগুলোর কোন হিসাব হয়না। কোন রেকর্ডও থাকছে না কোথাও। তাহলে ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশের সাথে বাংলাদেশের ধর্ষণের পরিসংখ্যান হিসাব করলে কি কোন লাভ আছে?
দারুন বলেছেন । তবে আপনি আপনার মামা মামিকে দোষ দিতে পারেন বলে আমি মনে করি না ।
ভালোই বলেছেন।
উন্নত দেশগুলাতে রেপের হার কম। সিরিয়াসলি? লেখককে বলবো রেপের পরিসংখ্যান দেখতে।
খনই ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু লিখতে বসি, তখনই এক শ্রেণীর মানুষ কতগুলো রিপোর্টের স্ক্রিনশট দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করে ইউরোপ ডমেস্টিক ভায়ালেন্স এবং যৌন হয়রানিতে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশী আগানো । আশ্চর্যের বিষয় হল এরা কোন দিন ঐ রিপোর্টগুলো পড়ে না, এবং জানে না ইউরোপে আসলে ক্রাইম কিভাবে কাউন্ট করা হয় ! তাই আজকে বাধ্য হলাম বিষয়টা ক্লিয়ার করতে।
ইউরোপের আইন হল প্রচণ্ড স্বচ্ছ আইন। এরা প্রত্যেকটা ক্রাইম, এক এক দিন সহ, আলাদা আলাদা কাউন্ট করে । প্রথমে আসি ডমেস্টিক ভায়ালেন্স এর বিষয়ে।
যেমন ধরুন একটা কাপল দুবছর ধরে এক সাথে আছে, তাদের মধ্যে তিশ দিন ঝগড়া হয়েছে এবং এই ত্রিশ দিনে সে তার বয়ফ্রেন্ড কিংবা হাজবেন্ড এর কাছে থেকে ত্রিশ বার আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। সুতরাং, এখাকার আইন অনুযায়ী এটা একটা ক্রাইম না, এটা মোট ত্রিশটা ক্রাইম । মানে পুলিশ ত্রিশটা ক্রাইমের চার্জ ঐ ছেলেটার উপরে আনবে , অথচ আমাদের দেশ সহ অনেক দেশে এটা আসলে একটা অন্যায় মানে একটা ক্রাইম। আর সৌদির আইন অনুযায়ী এটা কোন অন্যায়-ই না ! !
এবার আসি সেই যৌন হয়রানীর বিষয়ে। ধরুন একটি মেয়ে বাসে যাচ্ছে এবং পাশের লোকটি তাকে কোন অশালীন মন্তব্য করল, এটা ইউরোপে যৌন হয়রানীর ক্রাইম হিসেবে নথিভুক্ত হবে। আবার ধরুন এক মেয়ে তিন বছর চাকরী করেছে সেখানে তার পুরুষ কলিগ তাকে তিন বছরে যতদিন অশালীন মন্তব্য করেছে , কিংবা যৌন হয়রানী করেছে, সেটা ততটা ক্রাইম হিসেবে কাউন্ট হবে, মানে পঞ্চাশ বার করলে সেটা পঞ্চাশটা আলাদা ক্রাইম !
বাংলাদেশে সেটা ভাবা যায় ? এখানে তো মোটামুটি মেরে হাত পা ভেঙে না দিলে , রেপ না করলে সেটা যৌন হয়রানির পর্যায়ে নেয়াই হয় না !
এবার আসি রেপের বিষয়ে । ধরুন এক মেয়ে তার পার্টনার এর সাথে পাঁচ বছর ধরে আছে এবং তার পার্টনার মেয়েটার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেক্স করেছে দুইশত বার, তার মানে রেপ হিসেবে এটা কাউন্ট হবে দুইশত রেপ !
এই হিসাব করলে বাংলাদেশে একটা বিশাল অংশের বিবাহিত মেয়েরা সারা জীবনে কতবার রেপ হয়েছে? কিংবা এখনো হচ্ছে ?
আর যারা সৌদি সহ বিভিন্ন সহি দেশগুলোর উদাহরন টানে, তাদের জন্য কথা হল সৌদিতে স্বামী যা ইচ্ছা তার বৌ এর সাথে করতে পারে সেটা মোটেও ক্রাইম না ! এমনকি আমাদের দেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়ে তারা কি করে আমরা সবাই জানি । আর সৌদিতে রেপ হলে ওখানে বিচার হয় উল্টো মেয়েটার!
এমন না যে ইউরোপে নারী নির্যাতন হয় না । অবশ্যই হয় কিন্তু সেটার বিচার হয় দ্রুত , কঠোর আইন আছে তাই আমাদের তুলনায় এখানে নারী নির্যাতনের চিত্রটা ভিন্ন।
এবার বলেন আসলে নারী নির্যাতনে কোন কোন দেশ এগিয়ে আছে ? এর পরেও না বুঝলে, দুঃখিত আপনি এখনো বুদ্ধি ভ্রষ্ট হয়ে আছেন আপনার জন্য শুধুই সবমেদনা
পুনশ্চঃ আপনার যদি আরবের আইন, মেরিটারিয়াল রেপ, দেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়ে আমাদের মেয়েদের সাথে বর্বরগুলা কি করে, এসব বিষয় জানতে ইচ্ছে করে তবে গুগল করবেন । আর গুগল করা না জানলে আমার লেখা এখন থেকে পড়বেন না । আমি ছাগল শিক্ষিত করার দায়িত্ব নেই নাই । ধন্যবাদ ।
“পুনশ্চঃ আপনার যদি আরবের আইন, মেরিটারিয়াল রেপ, দেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়ে আমাদের মেয়েদের সাথে বর্বরগুলা কি করে, এসব বিষয় জানতে ইচ্ছে করে তবে গুগল করবেন । আর গুগল করা না জানলে আমার লেখা এখন থেকে পড়বেন না । আমি ছাগল শিক্ষিত করার দায়িত্ব নেই নাই । ধন্যবাদ । ”
————–
সরি, চেপে যাওয়া গেল না।
এটা কী ধরনের মন্তব্য হলো? মুক্তমনার নিমন্ত্রণে লেখা প্রকাশ করায় এতোটা অহং প্রকাশ করা কী ঠিক?
চরম বিরুদ্ধ মতের লোক হলেও বোধহয় সিপি গ্যাং কালচারের পুনরুজ্জীবন কাম্য নয়।
হতে পারে আপনি বড় লেখক বা ব্লগার, কিন্তু মুক্তমনার যে ক্যামেলিয়ার সংগে আমরা পরিচিত, তার সংগে এই ক্যামেলিয়ার পার্থক্য বোধহয় খুব বেশি!
অনুগ্রহ করে ভেবে দেখবেন।
শুভেচ্ছা 👍
@ রোকসানা,
আপনার ক্যামেলিয়া দিদি ঠিক বলেছেন, না বেঠক বলেছেন, সে বিতর্ক পরে।
আগে বলুন, এই কথাগুলো তিনি বলতে পারেন কি না? নাকি বলা উচিৎ?
// পুনশ্চঃ আপনার যদি আরবের আইন, মেরিটারিয়াল রেপ, দেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়ে আমাদের মেয়েদের সাথে বর্বরগুলা কি করে, এসব বিষয় জানতে ইচ্ছে করে তবে গুগল করবেন । আর গুগল করা না জানলে আমার লেখা এখন থেকে পড়বেন না । আমি ছাগল শিক্ষিত করার দায়িত্ব নেই নাই ।//
একি কাণ্ডজ্ঞান! একি দেশ্চার! একি মুক্তমনা! এই সিপি গ্যাং চর্চার প্রতিবাদ জানাই। 👎
দিদি তাহলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন,মেয়েরা ও কি ছেলেদের মতো খালি গায়ে থাকবে,যেখানে সেখানে তারা জামা খুলতে পারবে।
ইউরোপ কিংবা আমেরিকাতেও কিন্তু মেয়েরা, যেখানে সেখানে খালি গায় থাকে না।