[অভিজিৎ রায় আর তার কিছু কাজ নিয়ে তৈরী নতুন ওয়েবসাইটটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন]
শুভ জন্মদিন অভি।
জন্মদিনের আগের রাতে আমাদের বাসায় খুব বড়সড় আয়োজন বসে যেত। ঠিক রাত বারোটায় – কেক, উপহার, চিঠি খোলা হবে, অভিনব উপায়ে কিভাবে সারপ্রাইজ দেওয়া যাবে সেসবের জন্যে এক বিশাল প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত কয়েকদিন আগে থেকেই। জীবনকে বড্ড ভালবাসত সে – পড়তে, লিখতে, ক্রিকেট খেলতে এবং দেখতে, মুভি দেখতে, খেতে, রান্না করতে, তৃষার সাথে মিলে মুখ ভ্যাংচাতে, খুনসুটি করতে , আমাকে খোঁচাতে, সারকাজম করতে… । জীবনের হিসাবনিকাশ, বাড়িঘর, টাকাপয়সা এসব নিয়ে কথা বললে বিরক্ত হয়ে উঠত, বলতো ‘কবে ঠুস করে মরে যাব ঠিক নেই, এত চিন্তা করে কী হবে?’ তাই’ই তো!
তাই আজকে বাংলাদেশ সময় রাত বারোটায় অভিজিৎ এর জন্য করা নতুন এই ওয়েবসাইটটি লাইভ করা হলো। এখানে তার ছোট কিন্তু প্রাণবন্ত, কর্মময় এবং বর্ণাঢ্য জীবনটা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। অভিজিতের জীবনের ছবিটা ফুটিয়ে তোলার জন্যে বেশ কিছু ছবির সমন্বয়ে তিনটে এলবাম’ও যুক্ত করা হয়েছে। যা যা এখনো যুক্ত করা হয়নি সেগুলোও করে দেওয়ার আশা রইলো খুব তাড়াতাড়ি।
Sobak কে ধন্যবাদ এত ভালোবেসে এবং কষ্ট করে ওয়েবসাইটটি বানানোর জন্য। মুক্তমনার সম্পাদকদের ধন্যবাদ টেকনিক্যাল এবং সম্পাদনা বিষয়ে সাহায্য করার জন্যে। ওয়েবসাইটের ‘কিছু লিখুন’ পেজে মন্তব্য রেখে গেলে খুশি হব আমরা সবাই।
শুভ জন্মদিন অভি দা।
চাপাতির কি এমন শক্তি যে তোমার কণ্ঠ রুখে দেয়! মুক্তমনা আন্দোলন এখন ছড়িয়েছে দশ দিগন্ত, কলম চলবে।
#iamavijit
শুভ জন্মদিন অভি
মিস ইউ 🙁
মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর কর্মে, বয়সে নয়। ডঃ অভিজিৎ রায়ের ন্যায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েও সত্যকে ধারণ করে আঁধারের যাত্রীদের জন্য আলো হাতে এগিয়ে আসে ক’জন? ডঃ অভিজিৎ বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল, তাঁর রেখে যাওয়া কর্মের মাধ্যমে। তিনি যুক্তিহীন, কাল্পনিক ধর্মীয় অনুশাসন ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনীর মাধ্যমে এক অনন্য আলোর মশাল জ্বেলে গেলেন। সেই মশালের আলোতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পথ চলতে চলতে একদিন তাঁর কাঙ্ক্ষিত কুসংস্কার মুক্ত মানবিক সমাজ বিনির্মান করবেই – এই প্রত্যাশা ক্রমেই যেন দৃঢ় হচ্ছে। শুভ জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। সত্যের জয় হোক।
আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী………