-অমল আকাশ

(ছোটগল্প)

এমন হাওয়ার দিনে খুব অসুবিধা হয় ছেলেটার। কি আছে এই বাতাসে ? কেন মন এমন বিলাসী বৈরাগ্যে ভোগে ? মাদক মিশ্রিত নাকি হাওয়ার শরীরে! কি যেন নাই, আবার কি যেন নতুন করে ফিরে আসে বুকে। ফাগুন মাসের শেষের দিকটায় এমন হয় খুব।তখন হাঁটতে বেশ ভালো লাগে ওর। সারা শহর জুড়ে হাঁটে একা একা। তবে বি.বি রোড ধরে এখন আর ভালো লাগেনা। গত দশ-পনের বছরে ভীষণ ভীড় বেড়েছে মানুষের।রাস্তায় সব সময় মনে হবে কোনো মেলা জমেছে অথবা বাজার। রাতারাতি গজিয়েছে কতশত হাইরাইজ ভবন।গাড়ির জ্যাম, বিকট হর্ণ,শহরটাকে ঢেকে ফেলা অসংখ্য সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ডাস্ট,ডাইং দূষণে পঁচে গলে মরে যাওয়া শীতলক্ষ্যার জল, এ সব কিছুই ভুলে যায় সে ফাগুন মাসে।কি যেন খুঁজতে ফিরে আসে ছেলেটা এই শহরে।

হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় কখনো লক্ষ্মীনারায়ণ-চিত্তরঞ্জন কটন মিল পেরিয়ে গোদনাইলের তেলের ডিপোর দিকে।সেখান থেকে নদী পাড় হয়ে ঢাকেশ্বরী কটন মিল।ও জানে এখানে ঢাকেশ্বরী কটন মিল বলে কিছুই নেই আর। সারি সারি শ্রমিক কলোনীর ভবন গুলো মাটির সাথে গুড়িয়ে দিয়ে প্লট বিক্রির ব্যবসা চলছে।তবে টিকে আছে এখনো এই শহরের সুন্দরতম মন্দিরটা, এক নম্বর ঢাকেশ্বরী কটন মিল কালী মন্দির।মন্দিরের পাথরের মেঝেতে শুয়ে কান পেতে শুনতে চেষ্টা করে সে কারখানার হুইসেলের শব্দ, হাজারো শ্রমিকের কলোরব, তাঁতকলের একটানা আওয়াজ।আর সে আওয়াজ পাল্টে যেতে যেতে গার্মেন্টস সেলাই মেশিনের শব্দে রূপান্তরিত হয়েগেলে ছেলেটা চোখ মেলে তাকায়। দেখে সে দাঁড়িয়ে আছে আদমজী ইপিজেডের সামনে।লক্ষ শ্রমিকের স্রোত ধেয়ে আসছে।গার্মেন্ট শ্রমিকদের ভিড়টা এড়াতে সিদ্ধিরগঞ্জের দিকে একটু এগিয়ে যায়।কিন্তু র্যাব অফিসের সাইনবোর্ড চোখে আটকে গেলে স্পাইনালকর্ডের শিরশিরে অনুভূতিটা ওকে ফিরিয়ে আনে নবীগঞ্জ কদমরসূলের দরগায়।টিলার মতো উঁচু দরগার উপরে গুলঞ্চ তলাটা তার খুব প্রিয়। কতো হাজার মানতের সুতা যে বাঁধা আছে গাছটার ডালে ডালে! প্রতিটা সুতার গেড়োতে একএকটা আলাদা গল্প। সেই সব গল্প খুব জানতে ইচ্ছে করে। অনেকবার ভেবেছে, সেও কি একটা সুতা বাঁধবে, বুকের অসুখটার জন্য।বাঁধবে বাঁধবে ভেবেও কখনো বাঁধেনি সুতা।সত্যিই যদি অসুখটা ভালো হয়ে যায়! সে কি তবে চায় না ভালো হোক! এরকম দোলাচলে কেটে যাচ্ছে তার বছরের পর বছর। তবু সে ফিরে ফিরে আসে এই নারায়ণগঞ্জে।লাখো মানুষের ভিড়ে হেঁটে বেড়ায় একা।

কিন্তু এবছর আর একা হাঁটবার জো নেই। একটা নাছোরবান্দা ছেলে পিছু নিয়েছে তার।কতো বুঝায়,‘পিছু ছাড়ো, আমি একা থাকতে পছন্দ করি।’ ছেলেটা শুনছেই না সে কথা, বলে ‘গন্ধটা যতোদিন আছে, ততোদিন আমি হাঁটবো।তোমার মতো এমন একটা আজব প্রাণীর সাথে আমারোতো হাঁটবার কোন ইচ্ছা নাই!তোমার বুকের গন্ধটা আমাকে আটকে ফেলেছে-

গন্ধশাস্ত্র পড়েছি আমি

হাওয়ার স্কুলে-চিনেছি তার গোপন যাতায়াত

সেই পথে আমি পৌঁছে যেতে চাই- তার কাছে

গো-কুলে বসে নিতেছিলো যে
গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি…’

-এতো কাব্য করো না। কবিতা-টবিতা আমার বিরক্ত লাগে।

-তবে এই শিমুল তলে বসে আছো ক্যান?

-আমি তোমার মতো খুন হতে চাই না। তুমি আমার পিছু ছাড়ো।

-তোমার বুক থেকে ব্যাকুল গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে। যেকোনো বাহিনী টের পেয়ে যেতে পারে কিন্তু অস্তিত্ব থেকে উৎস পর্যন্ত!

এমন শংকায় ভয় হয় ছেলেটার।ইচ্ছে করে বুকের ভিতর থেকে শিকড়সহ গন্ধটা টেনে তুলে ফেলে। এ কেমন অসুখ! যে অসুখের কথা কাউকে বলা যাবে না কোনোদিন। কোনো মানুষের তো এমন হয় না! ওর তবে কেন এমন হলো!বুকটাকে তো লুকিয়ে রাখা যায় জ্যাকেটে, চাদর অথবা ঢিলেঢালা ভারী শার্ট পরে।আর এমন আউটলুকে লোকজন কাছে ঘেসে না পাগল ভেবে।কিন্তু এই আজব গন্ধ? এই ফাগুন হাওয়ায় তাকে তো আড়াল করা যায় না কিছুতেই!

আর এই গন্ধটাই কিশোর ছেলেটাকে ওর কাছে টেনে এনেছিলো একদিন। শীতলক্ষ্যার পাঁচ নম্বর ঘাটের পাশে একটা বটগাছের ছায়ায় উদাস হয়ে বসেছিলো সে।এমন সময় ছেলেটা নদীর ভিতর থেকে হুপ করে উঠে এলো।ওর পাশ ঘেসে বসে পরিচয় দিলো

-আমি ত্বকী।

-সারা শহরে প্রতি বছরইতো বিচারের দাবীতে পোস্টার পরে।এতো গুলো বছর ধরে দেখছি। তোমাকে না চেনার কি আছে।

-তোমার বুকের তীব্র গন্ধ আমাকে টেনে আনলো।

-এনেতো ভালোই করলো। শীতলক্ষ্যার ঐ পুঁজগলা পানিতে ডুবে ডুবে কি করছিলে?

-ওখানে না থাকলে ঠিকানা হারিয়ে ফেলবো যে! অনেকদিন রেওয়াজ করি না। জলের তলে গলা সাধছিলাম। তোমাকে উদাস দেখে চলে এলাম।

– এইনা বললে আমার অসুখের গন্ধে!

-তোমার থেকে গন্ধটাকে আলাদা করতে পেরেছো এখনো?

-না। তা এতো জায়গা থাকতে গলা সাধার জন্য নদীর তল কেনো? রতনকে তো ঠিকই তুমি মায়ের মুঠোতে বন্দি করে এলে!

– কোন রতন?

– ওমা! আমিতো ভাবছি আমারই অসুখ! কিছু মনে থাকে না, সব ভুলে যাই। এখন তো দেখছি তোমারও একই দশা। কেন, তোমার ‘বন্দি’ গল্পের সেই ছেলেটা, স্কুল ফাঁকি দিয়ে নির্জন পোড়াবাড়িতে বন্ধুদের সাথে লুকিয়ে যে সিগারেট খেতো!

-হয়তো আমিও রতনের মতো মায়ের হাতের মুঠোয় বন্দিই থাকতে চেয়েছিলাম! যে বন্দি দশা আমাকে মমতার সীমাহীন আকাশে উড়িয়ে বেড়াতো সারাবেলা। যাই হোক, আমার সাথে যাবে তুমি শীতলক্ষ্যার তলে?

-বলে কি! আমি কেনো যাবো?

-এই শহরের কতো স্মৃতি পলি হয়ে জমে আছে সেখানে, তোমাকে দেখাবো সব।আর তাছাড়া-

-তাছাড়া?

– মা যখন আমাকে মনে করে কাঁদেন, সেই নি:শব্দ তরঙ্গরাশি থৈ থৈ করে খুঁজে ফিরে আমাকে-সুধীজন পাঠাগার, শ্রমকল্যাণ, সায়াম প্লাজা, গলাচিপা, কলেজ রোড।তারপর চারারগোপ পার হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কুমুদিনীর পাড় ঘেসে শীতলক্ষ্যা নদীর খালে। তখন আমি যদি শীতলক্ষ্যার জলে না থাকি, তবে যে মায়ের বুকের হাহাকার সারা শহর তন্ন তন্ন করে খুঁজে ফিরে আমায়।শহরের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। গাছের পাতারা বিষন্ন হয়ে নড়তে ভুলে যায়। রাস্তা গুলো এলোমেলো হয়ে ছুটে যায়, কে কোথায়! সমস্ত হাইরাইজ ভবন, ভবনের দরজা-জানালা, জানালার কাঁচ ও পর্দা, পর্দার রং ও সেলাই সব মলিন হয়ে থরথর কাঁপতে থাকে ভীষণ।লোকে ভাবে ভূমিকম্প। আমি জানি, মায়ের বুক যখন কান্নায় ভেঙে ভেঙে যায়, তখন এমন কম্পন উঠে শহর জুড়ে। শীতলক্ষ্যার তলে আমাকে খুঁজে পেতে কষ্ট হবে না। আর এই পথ এখন মায়ের কান্নার খুব চেনা পথ। কতো কান্না যে জমে আছে নদীর পলিতে! দেখতে পাচ্ছোনোতো! দেখবে কি করে! লোভী ব্যবসায়ীরাতো নদীর জল কেমিক্যাল আবর্জনায় নোংরা-কালো করে আড়াল করে ফেলেছে সব।এখন নদীর তল ডুবুরিরাও দেখতে পাবেনা।

একদমে এতো গুলো কথা বলে থেমেছিলো ত্বকী।তারপর প্রসংগ পাল্টাতে প্যান্টের পকেট থেকে বের করেছিলো একটা পুতুল। আরেক পকেট থেকে একতাল কাদামাটি বেরকরে ভাঙা পুতুলটাকে মেরামত করবার কাজে মনোযোগ দিয়েছিলো। পুতুলের গায়ে মাটি টিপে টিপে বলছিলো,‘মনে আছে আমার গল্পের হাসান ও তার পুতুলের কথা? কতো মমতা নিয়ে পুতুল গড়তো ছেলেটা। একদিন দুষ্ট ছেলেরা ওর পুতুল ভেঙে দিলো। সেই থেকে হাসানের মন খারাপ। হাসানের পুতুলটা তাই আবার মেরামত করার চেষ্টা করছি। তোমার মতো হাসানের সাথেও যদি একদিন দেখা হয়ে যায়, তবে নতুন পুতুলটা ওকে ফিরিয়ে দিবো। জানো এই পুতুলটাও আমি শীতলক্ষ্যায় খুঁজে পেয়েছি।’

ছেলেটা ত্বকীর কথা শুনতে শুনতে নদীর বুকে তাকিয়ে ছিলো। ছুটে যাচ্ছে কতো বালির কার্গো, তেলের জাহাজ, পিকনিকের লঞ্চ, মাছ-সবজি বহনকারী ট্রলার নৌকা, ছৈ নৌকা আর ট্রলারে পারাপার হচ্ছিলো হাজারো মানুষ। আর এই সকল কিছুই ছুটে চলছিলো শীতলক্ষ্যার পলিতে আটকে পরা, জমে থাকা কতো কতো নি:শব্দ কান্নার তরঙ্গ ভেদ করে।

‘উদাস হয়ে হঠাৎ কোথায় চলে গেলে? এ দিকে তোমার শিমুল ফুলতো সব আকাশে বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে!’

ত্বকীর ডাকে ছেলেটা ফিরে এলো শীতলক্ষ্যার পাড় থেকে শহীদ মিনারের ছোট্ট শিমুল গাছটার তলে। পড়ন্ত বিকালের আলোয় কথা বলছিলো ত্বকী আর ও। এখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। ত্বকীর ইশারায় বড় রাস্তাটার উপর তাকালো। সত্যিইতো, শত শত শিমুল ফুল বাতাসে দুলে দুলে এগিয়ে আসছে, এই চাষাড়া শহীদ মিনারের দিকে। ছেলেটা আরো গভীর করে তাকালে দেখতে পেলো,শিমুলের দল যতই সামনে এগিয়ে আসছে, এমনি একের পর এক শিমুল ফুলের গায়ে দাউ দাউ আগুন জ্বলে উঠছে। ছেলেটা এই দৃশ্যে আৎকে উঠে ত্বকীর হাতটা চেপে ধরলো,‘সকল শিমুল ফুলতো জ্বলে উঠছে, পুড়ে যাচ্ছে সব!’

ত্বকী ছেলেটার হাত ধরে টানলো,‘যাবে, মশাল মিছিলে?’

– আমি মিছিল ভয় পাই।

– তুমি আমার হত্যার বিচার চাও না?

– বহু বছর মিছিলে হেঁটে ক্লান্ত আমি।এখন একা হাঁটতে চাই।

– তুমি কি এমন কিছু হতে চেয়েছিলে, যা ছিলো না কখনো কারো কল্পনা- চিন্তায়!

– আমি শুধু চেয়েছিলাম একটা সবুজ পাতার আলো হয়ে থাকতে। আমি শুধু তার কাছে ফিরতে চেয়ে ছিলাম, যে আছে আলো হয়ে আমারই প্রতীক্ষায়।

– তবে চলো, তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় কিনা দেখি।
ত্বকীর হাত ভীষণ চেপে ধরে আছে ছেলেটার কব্জির উপর। এবং ক্রমশ সেখান থেকে একটা টান অনুভূত হচ্ছে।যা থেকে নিজেকে কিছুতেই ছাড়াতে পারছে না নিজেকে। তবু প্রাণপণ চেষ্টা করে গেলো। ওর মনের অবস্থা টের পেয়ে ত্বকী আবার বললো,‘ভয় পেয়ো না, যতোদিন মিছিলে আছো। ঐযে ঐ সর্বকনিষ্ট ছেলেটাকে দেখছো মিছিলে, এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথম সেই খুনিদের নাম উচ্চারণ করেছিলো সাহসের সাথে।আর তুমি ভাবছো ওদের ভয় নাই? এখনতো কোথাও আমার ছবি দেখলেই ভয়ে ওদের পিলে চমকে যায়।’ হো হো করে হেসে ফেললো ত্বকী।ছেলেটা তাকিয়ে রইলো ত্বকীর হাসি মাখা মুখটার দিকে,

– তোমাকেতো সচরাচর এমন হাসতে দেখিনা!
ত্বকী ছেলেটার কথায় উত্তর না করে কবিতা আউড়ায়-

প্রিজমে বিভাজিত রশ্মি দেখে

তুমি বলছো, লাল-নীল-সবুজ-

যখন সকল রঙের রাস্তা

এক বিন্দুতে এসে লীন হয়ে যায়

সেইতো সফেদ আলো

যা আমার দেহ থেকে তোমার দেহে

প্রতিফলিত হতে চাইছে নিয়ত

বাবার পাশে পাশে তাল মিলিয়ে হাঁটছিলো ত্বকী।মশাল মিছিলটা চাষাড়া গোল চত্বর ঘুরে শহর প্রদক্ষিণ করবে।এবং এতক্ষনে ছেলেটা খেয়াল করলো, ত্বকীর গায়ে সেই কালো শার্ট! ছয় মার্চ বাবা শার্টটা পাল্টে যেতে বললে, যেটা পড়ে সে বেড়িয়ে ছিলো লাইব্রেরীর পথে।

ত্বকী মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে বলল,‘বাবা যখন মিছিলে আসেন, আমি তার পাশে পাশেই থাকি। আর বলি, আমিও তোমার মতো সিনা টান টান একটা বৃক্ষ হতে চেয়েছিলাম।’

কিন্তু ছেলেটার কি হলো হঠাৎ? সে কিছুতেই মনে করতে পারছিলো, ত্বকী কি বৃক্ষের মতো হতে চেয়েছিলো? কেন? মনে করতে কষ্ট হচ্ছে ওর। ইদানিং সব ভুলে যাচ্ছে সে, সব সব। শুধু এটুকু মনে আছে, মিছিলটা ওকে ফেলে রেখে যখন চলে গেলো, যাওয়ার আগে ত্বকী ওকে বলে ছিলো,‘তোমার বুকফুলটার যত্ন নিও’। এরপর ত্বকী কোথায় হারালো? কিছুই মনে নেই তার।

মানুষের এমন ভুলে যাওয়ার রোগ হয় কেন?

আজ ছয় মার্চ। ত্বকীকে খুঁজে পেতেই হবে।

ছেলেটা হন্যে হয়ে ছুটতে থাকে সুধীজন পাঠাগার, শ্রমকল্যাণ থেকে সায়াম প্লাজা। কোথায় ত্বকী? হঠাৎ তার সমস্ত শরীরে তীব্র যন্ত্রণা হতে শুরু করলো।লাঠি দিয়ে যেনো পিটাচ্ছে কেউ। বিভৎস ব্যথায় ককিয়ে উঠছে মাথাটা। আতংকিত ছেলেটা ছুটে, ছুটতে থাকে।টের পাচ্ছে, একটা চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।ছেলেটা ছুটে।ছুটতে থাকে ত্বকীর খোঁজে।ছুটতে ছুটতে এবার সে গলাচিপা-কলেজ রোডের পথে।হন্তারকের দল ওর বুকে উপর উঠে কন্ঠনালি চেপে ধরলে ছেলেটা ত্বকীকে খুঁজে। এবং কোনোমতে হাতদুটো বুকের উপর এনে ত্বকীর জন্য বুকের গন্ধটাকে বাঁচাবার শেষ চেষ্টা করে। আর তখন ওরা পৈশাচিক উল্লাসে থেতলে দিলো অন্ডকোষ।সীমাহীন নিষ্ঠুর যন্ত্রণায় মুর্ছা যেতে যেতে যেতে ছেলেটা তখনো শহরের আনাচে কানাচে খুঁজে ফিরে ত্বকীকে।ছেলেটা ত্বকীকে খুঁজছে।মার্চের ছয় তারিখ আজ।

ত্বকীকে খুঁজে পেতেই হবে। নইলে আজ ওরা খুন করবে ত্বকীকে।