হিজাব নেকাব বাংলাদেশে পাকাপোক্ত করা শেষ
গুম্ফ চাঁছা মেন্দি দাড়ি চোখ সয়েছে সবার বেশ
পাল্টে গেছে পরিধেয় বাঙালিত্বের নাই কো রেশ
শরিয়াকে বাসতে ভালো ঢাকছে নারী খোলা কেশ।
জানে না’তো শরিয়াটা, শাস্তি কেমন কখন শেষ
কোনভাবে মনের ভুলে না ঢাকলে সে মেলা কেশ।
ফ্যাশনেতে আহ্বলাদিত আছেন বহু নারী বেশ
জানেনা সে পাথর, নাকি চাবুক ঘায়ে হবে শেষ।

মোল্লা যদি পায় একবার সো-নার এ বাংলাদেশ
আইন দিবে শরিয়াতে, বর্বর সব অধ্যাদেশ।
হিল্লা মুতা বিয়ে করবে, না’বালিকা ইয়ে করবে,
তখন, নারী হবে দাসী। ফতোয়াতে বিচার হবে,
ব্যাডা হবে প্রভু। সে এক জীবনেই সবটা নেবে,
জ্যান্ত পুড়ে, পাথর মেরে খুনটা করে, হিরো হবে,
রাষ্ট্র কিতাব সঙ্গে নিয়ে, হেসে খেলে ক্ষমাও পাবে।

ইচ্ছা হলেই ধরবে নারী, বউ রাখবে চারটা
করবে দাসী, বেচবে পথে, মনমত যে যারটা।
মগজধোলাই করে ওরা চাপিয়ে দেবে জি-হাদ্‌
তখন মানুষ কেমন করে ফাঁকি দেবে এ-ফাঁদ?

হিজাবকে আজ ফ্যাশন বলে আদর করে যারা
মোল্লা এলেই দেখবে ক্যামনে হচ্ছে মানুষ মারা।

পথে ঘাটে নির্যা-তক সব মোল্লা মতন পুরুষ
শ-রি-য়া যদি এসে পড়ে চাবকে করবে বেহুঁশ।
বন্ধু রে, আর বেচো না স্বাধীনতা যতটুকু আছে
উঁচু মাথার মানুষ কি-হায় এমন করে বাঁচে?

জন্মভূমি একটাই হয়, একটি আপন দেশ,
মায়ের কোলে সবটা আদর, এটাই সর্বশেষ।

মোল্লা শাসক পরস্পরের খাতির বেজায় খাস্তা,
যে পথে চ-লেছে স্বদেশ, সেটা, ওয়ান ওয়ে রাস্তা।