এখনো প্রচুর মুসলিম নিরুত্তাপ। তাদের ধারনা এই সন্ত্রাসবাদের সাথে তাদের প্রিয় ধর্মের কোন যোগ নেই। সব ইসলামিক জঙ্গীই আমেরিকা, ইস্রায়েল আর ভারতের তৈরী। না হলে সব চরিত্র কাল্পনিক। আরেকটু বুদ্ধি যাদের মাথায়, তারা আরেক দর। বাজে মুসলিমরা ইসলামের নামে কি করল তার দায় আমরা নেব কেন? রেসিজমের সব দায় কি সব সাদারা নিয়ে থাকে? কমিনিউস্টরাও ত মানুষ খুন করেছে অনেক বেশী? হিন্দু জঙ্গীও অনেক আছে? তাহলে হিন্দু ধর্মের দোষ ধরা হয় না কেন?
আমেরিকা ২০০ বছর আগে কত রেড ইন্ডিয়ান হত্যা করেছে। ইরাকে ভ্রান্ত নীতি নিয়েছে। আমেরিকা ড্রোন দিয়ে এত নিরাপরাধ লোক মেরেছে। ভিয়েতনামে ন্যাপ ফেলেছে। ইত্যাদি। ইত্যাদি।
এই যুক্তিগুলো হয় ছাগু মুসলিম না হলে বামাতিদের। উত্তর গুলো খুব পরিস্কার ভাবে দেওয়া দরকার নইলে হ্যাজ চলতেই থাকবে
(১) কেওই সাধু নয়। সবাই আধিপত্যবাদি। ওটা আমাদের জিনে। যেসব সংস্কার বা মেম টিকে গেছে-আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা সবাই করবে। সুতরাং তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি চোর বটে টাইপের যুক্তি দিয়ে লাভ নেই। ইসলাম, হিন্দুত্ব, আমেরিকা, কমিনিউজম-সবাই নিজেদের সংস্কার এবং প্রিন্সিপলগুলো প্রসারের চেষ্টা চালাচ্ছে। কারন সেটাই সামাজিক বিবর্তনের ভবিতব্য।
প্রশ্নটা হচ্ছে এই প্রসারনের পন্থাটি কি শান্তিপূর্ন বা অহিংস?
প্রাক্টিক্যালি স্পিকিং কেওই অহিংস না। কিন্ত তাতে কিছু যায় আসে না। প্রশ্নটা হচ্ছে আপনি আমি কোন কালচারে থাকতে ভালোবাসব? অভিয়াসলি যেখানে জীবনের নিরাপত্তা বেশী, খাদ্য, সেক্স, বাসস্থান, চিকিৎসা সুল্ভ।
সুতরাং ইসলাম যখন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে সহিংস উপায়ে, আমরা ভীত। কারন তা আরব মরুভূমির সংস্কৃতি-যেখানে কারুর কোন নিরাপত্তা থাকতে পারে না। কারন ইসলামের সংস্কৃতিতেই আছে রক্ত আর যুদ্ধ। মেয়েদের দাসী বানানো। এটি একটি মধ্যযুগীয় আরব সংস্কৃতি-যা একবিংশ শতাব্দিতে চলে না।
একই কারনে হিন্দুরা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করলেও আমি ভীত হই। কারন হিন্দুদের মধ্যে কুসংস্কার অসম্ভব বেশী-সামন্ততান্ত্রিক কালচার-সেখানে বিজ্ঞান এবং মুক্ত চিন্তার উন্মেষ ঘটানো মুশকিল।
কমিনিউস্টরা খাদ্য বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসার নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্ত দিতে পারে এমন প্রমান নেই। উলটে তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরন করে। আপাতত সব কমিনিউস্ট রাষ্ট্র মানুষকে যন্ত্রনা এবং দাসত্ব ছাড়া কিছু দেয় নি। তবে কমিনিউজম ভবিষ্যতে যদি উন্নত ফর্মে আসে, যেখানে মানুষের অধিকার সুরক্ষিত, উৎপাদন ও ভাল হয়, তাহলে অন্য কথা হবে।
এবার বাকী থাকল আমেরিকান কালচার-যার উদ্ভব আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধ থেকে। এর বীজ ছোট সরকার , কম ট্যাক্স, ব্যক্তিস্বাধীনতা, ব্যাক্তিউদ্যোগ, মার্কেট এবং আল ইনক্লুসিভনেস। আমেরিকা কোন ইউটোপিয়া না। এখানেও অনেক গরীব, অনেকেই চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্ত লোকে খেতে পায়। ৯৯% লোকের মাথার ওপরে ছাদ আছে। সব থেকে বড় কথা এই সংস্কৃতিই আমাদের যাবতীয় সব কিছু আবিস্কার দিয়েছে-সে ইলেক্ট্রিসিটি, ল্যাম্প, তেল, ইন্টারনেট, ফেসবুক, স্মার্টফোন-যাই বলুন না কেন।
সভ্যতার আসল অগ্রগতি প্রযুক্তিতে। আর তা আমেরিকারই দান মূলত ৮০%।
সুতরাং আমি যদি বাকি তিনটে সংস্কৃতি দেখি, খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমেরিকার সংস্কৃতির সাথেই থাকব। তা যতই ভিয়েতনাম আর পাকিস্তানে বোমা ফেলুক। সেই জন্য কমি, মোল্লা, চাড্ডি যতই নিজেদের কালচার নিয়ে বড় বড় ভাষন দিক, আমেরিকার ভিসার জন্য প্রথমে লাইন দেবে। এই মোল্লাগুলো কিন্ত আরবের থেকে আমেরিকায় থাকতে পছন্দ করে বেশী-কিন্ত আমেরিকাতে কানাডায় বসে আরবের শরিয়ার জয়গান গাইবে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারা ভ্রান্ত, দ্বিচারী এবং ডিজইলিউশনাল। এদের মাথা ঠিক নেই বা পিউর বদমাইশ টাইপের পাবলিক।
সুতরাং ইসলামের খুন করা আর আমেরিকার সরকারী নীতির জন্য হত্যালীলাতে পার্থক্য আছে। একটি প্রগতিশীলতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, অন্যটি আমাদেরকে মধ্যযুগে পাঠানোর জন্য।
সব হত্যালীলাই নিন্দার। কিন্ত আমেরিকার ড্রোন হামলার সাথে গুলশান হামলার তুলনা হাস্যকর। একটি প্রগতিশীলতার আধিপত্যবিস্তার-অন্যটি আমদের মধ্যযুগে ঠেলার পাঁইয়তারা-যেখানে খাদ্য, বস্ত্র চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকারগুলো নেই। সুতরাং আমেরিকার হত্যালীলার বিরুদ্ধে আমরা অতটা সোচ্চার নই, কিন্ত ইসলামি জঙ্গীদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার। কারন পেছনের দিকে আমরা যেতে চাইছি না।
স্পেডকে স্পেড বলাই ভাল।
(২) আরেকটা ব্যপার গুরুত্বপূর্ন। কোন সংস্কৃতি গণতন্ত্রকে রক্ষা করে। অনেক মুসলমান যুক্তি দেয় রেসিস্টদের জন্য সাদারা কি দুঃখ প্রকাশ করে? কিন্ত তারা ভুলে যাচ্ছে বর্নভেদ, ক্রীতদাস প্রথা তোলার জন্য আমেরিকাতে গৃহযুদ্ধ হয়। যেখানে নিগ্রোদের মুক্ত করতে ৭০০,০০০ সাদা সৈনিক প্রান দিয়েছে। কজন মুসলমান কোরানে “এপ্রুভড” ক্রীতদাস প্রথা, যা আরবে বহুদিন চলেছে ( বৃটিশ এসে আইন করে বন্ধ করে), তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে প্রান দিয়েছে? কজন মুসলমান তালাক, হুডুড আইন সব নারী বিরোধি আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে? প্রান দেওয়া দূরের কথা। ভারতে, বাংলাদেশে মুসলমানরা আল কায়দার বিরুদ্ধে একটা ছোট মিছিল পর্যন্ত নামাতে সাহস পায় না।
(৩) আরো আরেকটা ব্যপার প্রাক্টিক্যাল কনসার্ন। পশ্চিম বাংলা বা বাংলাদেশের গ্রামে যেসব হিন্দুরা আছেন মুসলমান অধ্যুসিত হয়ে-তারা কেমন আছেন? বাংলাদেশের খবর কি কিছুই পান না? আমার এসব নিজের চোখে দেখা যে কিভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে যখন তখন ভয় দেখিয়ে জমি জায়গা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। কজন মুসলিমকে ভারত বা বাংলাদেশে জমি ছাড়তে বাধ্য করেছে হিন্দুরা? গুজরাতের যে দাঙ্গা হয়, তার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমেদাবাদের কিছু এলাকা থেকে মুসলিমদের তাড়ানো যাতে সেখানে রিয়েল এস্টেট মাথা তোলে। কিন্ত সেগুলো সফল হয় নি।
আবার রাজারহাট করার সময় মুসলমান চাষীদেরই তাড়িয়েছে মুসলমান মাফিয়ারা। সবটাই জমি জায়গার খেলা।
ফলে এখন সেসবের সুযোগ নিচ্ছে হিন্দুত্ববাদিরা। গ্রামে হিন্দুদের যখন জমি ছাড়তে বাধ্য করে মুসলমানরা সেখানে বামেরা কি কোন প্রোটেকশন দিতে যায় না পারে? পারে না। ফলে পশ্চিম বঙ্গের মুসলিম প্রধানগ্রামগুলিতে বিজেপি এখন বাড়ন্ত। নেহাত নেতা নেই। উলটো দিকে মমতার মতন শক্তিশালী নেতা। ফলে পশ্চিম বঙ্গে মমতার জন্য এখনো বিজেপি আটকে। কিন্ত কদিন। পশ্চিম বঙ্গ বামশুন্য হওয়ার দিকে এগোচ্ছে-এটা ভুলবেন না আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম একটাও সিট পাবে না।
সুতরাং গ্রামে হিন্দুদের প্রোটেকশন না দিতে পারলে পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির উত্থান এবং ক্ষমতা দখল স্টালিনের বাপ আসলেও আটকাতে পারবে না। মমতা ব্যানার্জি এটা বুঝেছেন বলে, এইবার প্রথম গ্রামে গ্রামে মুসলিম জঙ্গীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে এক্টিভ থাকতে বলেছেন।
(৪) কিন্ত অন্যদিকটা ভাবতে হবে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে দেগেও লাভ নেই। মুসলমানদের বোঝাতে হবে তারা ইসলামের ভিক্টিম। ইসলামের মতন আরব মরূভূমির বর্বর আইন কানুনের সাথে বাংলার যোগ থাকাটাই দুর্ভাগ্যজনক। এই বাংলা নাচে গানে কবিতায় সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। বাংলার নিজস্ব আধ্যাত্মিক ট্রাডিশন আছে। ফালতু কেন তারা মরূভূমির আরবদের মতন ক্লাউন হওয়ার চেষ্টা করছে? তারা বাঙালী, বাঙালী সত্ত্বার মধ্যেই তাদের মোক্ষ। বোরখা, হিজাব বাঙালীর সংস্কার হতে পারে না।
ইসলামে কি আদর্শ আছে, কি লেখা আছে যা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বা লালন আমাদের যা দিয়ে গেছেন তার থেকে উন্নত? কোন মুসলমান আমাকে বলবে তারা ইসলামে কি আধ্যাত্মিক ভ্যালু পাচ্ছে যা রবীন্দ্র নজরুল লালনে নেই?
ইসলামের বিরুদ্ধে লড়ে যান-কিন্ত মুসলমানদের বোঝান যে তারা একটি মধ্যযুগীয় সংস্কৃতির ভিক্টিম। তাদের গালাগাল দিয়ে দূরে সরানোটা ভুল স্ট্রাটেজি।
হিন্দু রীতিনীতি কুসংস্কার আমার পছন্দ হয় না বলে আমি নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিই না। কিন্ত উপনিষদ আমার ভালো লাগে। সুফী ইসলামের মানবিকতাও আমার প্রিয়। আমি প্রতিটা হিন্দু বা মুসলমানকে অনুরোধ করব-নিজেকে আগে হিন্দু এবং মুসলমান পরিচিতির বাইরে রাখুন। ইসলামের অনেক কিছু আপনার ভাল লাগতেই পারে। সেগুলো পালন করুন । কিন্ত নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেবেন না প্লিজ। ওটি এখন ঘৃণিত একটা পরিচয় যার গায়ে ১৪০০ বছরের রক্ত। আর সেই রক্তের দাগ আরো মোটা হচ্ছে। উপনিষদ ভাল লাগে। কিন্ত নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিই না। কারন হিন্দুত্বের গায়ে ৩০০০ বছরের বর্নভেদের কলঙ্ক। আর অসম্ভব কুসংস্কার।
সত্যি অভাগ করার মত কথা বললেছেন!
পুরা লিখার উত্তর দিতে হলে অনেক লিখতে হবে,কিন্তু সময়ের কারনে লাখতে পারলাম না।তবে খাঁটি বাংলায় একটা কথা আছে” রসুন কোয়া কেয়া পোন টা একই জায়গায়” আসলে বাস্তবতায় ধর্মীয় ভাবেও এমন,নয়তো হিন্দু বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্যজোট হল কেন? শুদু মুসলমানই বাদ??
ইসলামের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন এবং হাদীসে কোন জায়গাতে নেই যে ইসলাম সন্ত্রাসী করা বা প্রশ্রয় দেয়া,এমন কি অন্যকে কঠু কথা বলা থেকে বিরত থাকতে বলছে। এ যুক্তিতে আমি আইএস কে মুসলিম বলবনা,আর আইএসের প্রধান যিনি উনি তো একজন ইহুদি,সো প্রশ্নটা কোথায় দাড়াল??
মিয়ানমরে শত শত মুসলমানদের কেটে টুকরা টুকরা করে হত্যাকরতেছে,
ভারতে ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নির্যাতন -অত্যাছার করতেছে(অতীত না হয় বাদই দিলাম) ফিলিস্তিন এ দেখুন মুসলমানদের চিত্র, আরেনা দেখবেন কি করে? তখন তো আপনাদের চোখ অন্ধ হয়ে যায়। তখন কেন ব্লগে লিখেননা? প্রমান দিন তখন কি লিখন শক্তি দিয়ে মনবতার কথা বলেছেন?
আর এখন যখন বলছে আইএস মুসলমান তখন উৎপেতে লেগেছেন প্রমানে নেমেছেন যে, ” আসলেই মুসলমান জঙ্গী”
কিন্তু কখনো না! মুসলমান জঙ্গীনা। যেমনি আপনার বাবা ছারা আপনি না তেমনি ইসলাম জঙ্গীনা,আইএস ইসলামের ধ্বংশকরার জন্য ইসলাম নামধারী একটা ছাল মাত্র।
মুন্না ভাই – আপনার কোরান – হাদিস এ সন্ত্রাস করার কথা বলা নেই.. কারণ সন্ত্রাস শব্দ তা নেতি বাচক.
মানলাম কোরান নিরপরাধী দের মারার কথা বলে না. প্রশ্ন হলো যে মহিলা হিজাব পরে নি, সে কিভাবে নিরপরাধ হয় ?
যে মানুষটা কাফের ( অমুসলিম) , সে কিভাবে নিরপরাধ হয় ?? তাই তাদের কে জবাই করা কেন সন্ত্রাস হতে যাবে?
রাষ্ট্র ও তো মৃত্যু দ্বন্দ্ব দেয়. সেটা তো সন্ত্রাস না. !!
আপনি IS কে support করেন না ভালো কথা. কিন্তু IS কে আপনি মুসলিম / ওসমুসলিম বলবার কে? ইসলাম এর ভালো কথা গুলো শুধুই মুসলিম দের জন্য. অন্য দের জন্য না. IS এর প্রধান ইহুদি >? হতে পারে.! মোহাম্মদ ও সেই পরিবার এই জন্মেছিলেন – যেখানে মূর্তি পূজা হতো. .. মুসলিম হয়েছেন অনেক পরে.
হিজাব পড়েনি সে জন্য তো সে মৃত্যূদন্ড প্রাপ্য নই। (যদি রাষ্ট্রীয় আইন থাকে সেটা অন্য কথা)।কিন্তু তার জন্য তাকে বুঝানো যাবে । আর যতক্ষন না কোন ব্যক্তি সরাসরি ইসলামকে আঘাত করবে ততক্ষন পর্যান্ত কাউকে শাস্তি দেয়ার বিধান নেই, শুধু শধু আই এস কে সঠিক মুসলমান হিসাবে মানবনা। কারন ইসলামে এটা কখনো সাপর্ট করেনা।
হিন্দুদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ভন্ডামো থাকলেও —সে সমাজে খোলা রয়েছে শোধরারনোর পথ ৷
“এই মোল্লাগুলো কিন্ত আরবের থেকে আমেরিকায় থাকতে পছন্দ করে বেশী-কিন্ত আমেরিকাতে কানাডায় বসে আরবের শরিয়ার জয়গান গাইবে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারা ভ্রান্ত, দ্বিচারী এবং ডিজইলিউশনাল। এদের মাথা ঠিক নেই বা পিউর বদমাইশ টাইপের পাবলিক”।
Mr biplab: Hindu dhormer kusonskar gulo koyekjon Pondit nijer Sarthe baniyechilo. Tar jonno nijeke hindu na bolata ami mone korina thik. Uponisad charao hindu dhormer aaro onek boi ache- jegulo prem- manobota- bastobotar darsonikota k lalon kore.
Aaj kojon sikhhito hindu kusonskar mane? Khub kom. Ta o sikhhar sathe sathe kombe.. kintu dhormo porichoy akta sonaton oitijjo .. ram mohan/ bidyasagar social reform korechilen. nijer dhormo k ossikar koren ni. Amader o uchit dirty clothes fele na diye seta wash kora. Nijer ostitto, nijer sonaton oitijjo k agiye niye jaoa.
এই ব্লগে মন্তব্য বাংলায় করতে হবে।
ধর্ম পরিচয় কোন সনাতন ঐতিহ্য না। এগুলো এসেছে ইসলাম খ্রীষ্ঠাণ এদের সাথে। চন্দ্রগুপ্ত জৈন ছিলেন, বিম্বিসার অভিজিকা, অশোক বৌদ্ধ। প্রাচীন ভারতে কোন ধর্মীয় পরিচয় থাকত না । ধর্মীয় পরিচয়ের কঠোর অনুশাসন শুরু খ্রীষ্ঠান ধর্ম থেকে-তা আরো কড়া হয় ইসলামে এসে-যে মুসলমানের ছেলেকে মুসলমান হতেই হবে। এগুলো শ্রেফ অসভ্য জাতির পরিচয় যা প্রাচীন ভারতে ছিল না। এখন হিন্দুরাও তাই বিশ্বাস করতে শিখেছে। কারন হিন্দু ধর্মটা আস্তে আস্তে ইসলামের সব বাজে দিক গুলো পাচ্ছে।
সব ধর্ম পরিচয় সনাতন ঐতিহ্য না। ইসলাম বা খ্রিস্টান তো নতুন ই বলতে গেলে ইতিহাস এ। কিন্তু হিন্দু ধর্ম কেউ জোর করে প্রতিস্থা করেনি। সিন্ধু সভ্যতার মানুষ জনের আছার- বিচার ধ্যান ধারনা , দর্শন , সংস্কৃতি ই ধিরে ধিরে হিন্দু ধর্মের পথ দেখিয়েছে। এত পুরান একটা ধর্ম মতে ( যখন মানুষ সামাজিক, সাংস্কৃতিক , বৈজ্ঞানিক চিন্তা ভাবনায় কম পারদর্শী) কিছু কু সংস্কার থাকবেই। কিন্তু তা বলে হিন্দু ধর্ম থেমে থাকেনি, ধারাবাহিক বিবর্তন এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে। চিন্তা ধারায় modification এসেছে বার বার। সেরকম একটা ধর্মের অস্তিত্ব কনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। এই উপমহাদেশ এর বেশির ভাগ মুসলিম ই হিন্দু ধর্ম থেকে ধরমান্তরিত মুসলিম। তারা ভুলে যেতে পারে- কোন ধর্ম তাদের পূর্ব পুরুষ কে ধারন করেছে। কিন্তু আমরা ভুলতে পারিনা।
যত জন স্নাতক (graduation) পড়ে তার মাত্র কয়েক শতাংশ স্নাতকোত্তর (post graduation) পড়ে। তারও মাত্র কয়েক জন গবেষণায় (phd) যায়। মাত্র কয়েক জন ইসলামী জঙ্গি হয়। তারা Phd. । তা হলে কত জন ঐ একই সিলেবাসে স্নাতক হয়েছে তা কি বোঝা যাচ্ছে না ?
কি চাইছে বাংলার মুসলিম সমাজ? একের পর এক মুক্তমনা, ব্লগার, বুদ্ধিজীবী,অমুসলিম খুন করছে সন্ত্রাসীরা। আর নিজেদের ইসলামের রক্ষক ISIS বলে পরিচয় দিচ্ছে। ইসলামকে রক্ষা করার নাম করে এরা গুলশানের মতো জঘন্য নরহত্যা করলো।তবুও বিভিন্ন কিছু লোক এদের সমর্থন করে যাচ্ছে। এরা মনে করছে ISIS ইসলামের রক্ষক ও শুধু অমুসলিমদেরই হত্যা করে।এই নির্বোধ লোকগুলি হয়তো ইরাক, সিরিয়া ইত্যাদি দেশের ISIS এর কার্যকলাপ সম্পর্কে খবর রাখে না! এরা বোঝে না সন্ত্রাসীরা কারো বন্ধু নয়, এদের প্রশ্রয় দিলে একদিন পুরো বাংলাদেশকে এর ফল ভোগ করতে হবে। তাই সাবধান বাংলাদেশ।