রমনা বটমূলে বোমা হামলা

বিশ্বের জঙ্গিবাদের ঢেউ বাংলাদেশেও ধাক্কা দিচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমান যে জঙ্গিবাদ তার শেকড় খুঁজতে গেলে আমাদের দৃষ্টি নিতে হবে তালেবানের উত্থানের সময়টিতে। ৮০-এর পর বাংলাদেশ থেকে অনেক ইসলামিক যোদ্ধা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আফগানিস্তানে যায়। যুদ্ধে অনেকে নিহত হয় অনেকে যুদ্ধ শেষে ফিরে আসে। তালেবান হল সুন্নি ওহাবী গোষ্ঠী। যারা তালেবানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে তারা যুদ্ধে যাওয়ার আগে ওহাবী কিংবা সালাফি ছিল কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও তারা যে ফিরে আসার সময় ওহাবী মতবাদ মাথায় করে নিয়ে এসেছে তা স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব। দেশে এসে তারা বিভিন্ন মাদ্রাসা, মসজিদ তৈরি করে কেউ বা মসজিদ মাদ্রাসার প্রধান হয়ে বসে। সুতরাং মাদ্রাসায় ইসলামিক শিক্ষার নামে বলে বলে ওহাবী মতবাদের প্রসার আর মসজিদের খুতবায় চলে ওহাবীদের পক্ষে প্রচার। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বীজ বপনের কাজটি হয়েছে সেসময়।

সময়ের পরিক্রমায়, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রশ্রয় ও মদদে চলে জঙ্গিবাদ বিস্তার। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিস্তারে বিভিন্ন এনজিও, দাতবসংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন ও ব্যাংক প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ যে জঙ্গিবাদের বিস্তার হয়েছে তা একদিনে হয়নি। রুট লেভেল থেকে শুরু করে আপার লেভেল পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন নামে জঙ্গি-মতবাদের বিস্তার করে চলছে। ফলে বিভিন্ন সময় সরকার এসব সংগঠন কিংবা দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধী দল জামাতী ইসলামের ছাত্র সংগঠন জঙ্গিবাদের সৈন্য সংগ্রহের প্রাথমিক স্তর হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে অনেক জিহাদী কিংবা জঙ্গি জামাত কিংবা শিবির ত্যাগ করে আরো বেশি রেডিক্যাল সংগঠনের সাথে যুক্ত হচ্ছে। এর মূল কারণ মতবাদ ও কার্যক্রম সম্পর্কে ভিন্ন-পন্থায় বিশ্বাসী। আমরা স্মরণ করতে পারি সারা দেশে বোমা হামলা করে জানান দেওয়া জেএমবি দলটির কথা। যারা সবাই ছিল জামাত, শিবিরের সাবেক সদস্য।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সবসময় জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক ফায়দা হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। ২০০৩ সালে বাংলা ভাইদের প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল জয়পুরহাটে। জঙ্গি হিসেবে তাদের বিরুদ্ধেও মামলাও হয়। তবে তাদের কোনও শাস্তি হয়নি। তখনকার প্রশাসন তাদের বের করে আনার পক্ষে ছিল। পরবর্তীতে যে এসআই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাভাই, শায়খ আবদুর রহমানদের গ্রেফতার করেছিলেন, পরবর্তীতে তার চাকরি চলে যায়। এই একটি ঘটনা বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও বিস্তার সম্পর্কে অনেক কিছু প্রমাণ করে। এছাড়া আওয়ামী লীগ সংকারের আমলেও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে হিজবুত তাহরীর মতন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে বড় কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। অবশেষে পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম; সরকার ও সরকারী উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সন্তানরা এসব জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত। গুলশান হামলার পূর্বে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ও সড়কে হিজবুত তাহরীর পোস্টার প্রচারণা চললেও কেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়নি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক ফায়দা হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হিসেবে স্মরণ করতে পারি; ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে জঙ্গি সংগঠন হুজির গ্রেনেড হামলা ও পরবর্তী রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য।

যাই হোক, এখন আমরা দেখব জঙ্গিবাদ বিস্তারে বিভিন্ন সংগঠন, দলের নিষিদ্ধে তালিকা। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন সময় জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় আহত ও নিহতদের পরিসংখ্যান। ব্লগটি বাংলাদেশের জঙ্গি হামলার প্রতিটি ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও লিপিবদ্ধ করা অব্যাহত থাকবে।

উগ্রবাদী দলগুলো নিষিদ্ধের তালিকা

২০০৩: ছয়টি উগ্রবাদী দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা।
সাহাদাত-ই-আল হিকমা-ফেব্রুয়ারি ৯, ২০০৩
জামায়েতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি এবং জাগ্রত মুসলিম বাংলাদেশ বা জেএমজিবি-ফেব্রুয়ারি ২৩. ২০০৫
হরকতুল-আল জিহাদ আল-ইসলাম (হুজি)-অক্টোবর ১৭, ২০০৫
হিজবুত তাহরীর- অক্টোবর ২২, ২০০৯
আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ২৫ মে, ২০১৫

২০০৯ এপ্রিল মাসে সাতটি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল সরকার:

হিজবুত তাহরীর, ইসলামি সমাজ, ওলেমা আঞ্জুমান আল বাইনিয়াত, ইসলামিক গণতন্ত্র দল, তওহিদ ট্রাস্ট, তামির উদ্দীন এবং আল্লাহ দল।

২০১৩ সালের অগাস্টে আরো দুইটি দলকে কালো তালিকাভুক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়:

শাহদাত-ই নবয়ুত ও আল মারকজুল আল ইসলাম

২৩ জেলায় জঙ্গি তৎপরতা :

গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, বগুড়া, রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, সাতক্ষীরা, গাজীপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, পাবনা, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, টেকনাফ ও সিলেট জেলায় এখনো জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

নিষিদ্ধ চারটি আত্মস্বীকৃত জঙ্গি প্রতিষ্ঠান:

শাহাদাত-ই-আল হিকমা (2004), জমিয়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি,2005), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি,2005) ওহরকাতুল জিহাদ (2005)!

শুধুমাত্র বাংলাদেশেই ৩০টি কিংবা তারও বেশি জঙ্গী সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংগঠনগুলো:

মুজাহিদ অফ বাংলাদেশ, কালো তালিকাভুক্ত ইসলামী সমাজ, দাওয়াতে ইসলাম, ওলামা আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত, ইসলাম ও মুসলিম, হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ, আল হারাত আল ইসলামিয়া, জামায়াতুল ফালাইয়া, তাওহিদী জনতা, বিশ্ব ইসলামী ফ্রন্ট, জুম্মাতুল আল সাদাত, শাহাদাত-ই-নবুওয়াত, জামায়াত-ই-ইয়াহিয়া আল তুরাত, জইশে মোস্তফা বাংলাদেশ, আল জিহাদ বাংলাদেশ, ওয়ারাত ইসলামিক ফ্রন্ট, জামায়াত-আল-সাদাত, আনসার রাজশাহী, আল খিদমত, হরকত-এ ইসলাম আল জিহাদ, মুসলিম মিল্লাত শারিয়া কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ফ্রন্ট ফর জিহাদ, জইশে মোহাম্মদ, আল ইসলাম মার্টায়ারস ব্রিগেড, লস্কর-ই-তৈয়্যবা, হিযবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, হরকাতুল মুজাহিদীন, নুসরাতুল মুসলেমিন, ইসলামী জিহাদ আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবির,কতল বাহিনী, শহীদ নাসিরুল্লাহ খান আরাফাত ব্রিগেড, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি, তামির-উল-দীন বাংলাদেশ, তাওহিদ ট্রাস্ট।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো:

পাকিস্তানের লস্করই তাইবা, হরকত উল মুজাহিদ, জম্মু ও কাশ্মির স্বাধীনতা ফ্রন্ট (LKLF), জোশ-ই মুহাম্মদ (JeM), জোশ-ই মোস্তফা, ভারতের কাশ্মীর ভিত্তিক সংগঠন-আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্স (ARCF), তাহরিক-ই-জাভেদ-ইসলামি কাশ্মির (TJI), হরকতুল জিহাদুল ইসলামি, হিজবুত-উল-মুজাহেদিন, হেজবি ইসলামি, জামাত-উল-মুজাহেদিন এবং হরকত-উল-আনসার।

মায়ানমার ভিত্তিক জঙ্গি গ্রুপ:

রোহিঙ্গা সংহতি সংস্থা -Rohingya Solidarity Organisation (RSO)
আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল সংস্থা -Arakan Rohingya National Organisation (ARNO)
ন্যাশেনাল ইউনাইটেড পার্টি অব আরাকান -National United Party of Arakan (NUPA)
আরাকান রোহিঙ্গা ফোর্স- Arakan Rohingya Force
ইসলামিক সংহতি ফ্রন্ট- Islamic Solidarity Front
আরাকান পিপলস আর্মি- Arakan People’s Army
লিবারেশন মায়ানমার ফোর্স-Liberation Myanmar Force
আরাকান মুজাহিদ পার্টি- Arakan Mujahid Party
রোহিঙ্গা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফোর্স- Rohingya Independents Force
রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেন্স আর্মি- Rohingya Independence Army
রোহিঙ্গা পাট্রিয়টিক ফ্রন্স- Rohingya Patriotic Front,
রোহিঙ্গা ইসলামিক ফ্রন্ট এবং ইউনাইটেণ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশান-Rohingya Islamic Front and United students Association of Arakan Movement (USM)
আকামুল মুজাহিদিন (এএমএম)-Akamula Mujahideen
হারাকাহ আল-ইয়াকিন-Harakah al-Yaqin


জঙ্গি অর্থায়নে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা:

বাংলাদেশে ৫৭৭টি’র বেশি এনজিও জঙ্গিদের পেছনে বিপুল অর্থ ঢালছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং নাশকতা সৃষ্টিতে সন্দেহভাজন ৫৭৭টি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে সরকার। জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত বলে অভিযুক্ত এনজিওর বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৮টি ব্যাংক-বীমা ও সেবা খাতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে কড়া নজরদারি করছে সরকার। সূত্রমতে, জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থদাতাদের একটি তালিকা নিয়ে কাজ করছে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। বেসরকারি একটি ব্যাংকসহ একাধিক এনজিও প্রতিষ্ঠান ও জামায়াত প্রভাবিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ তালিকায়। জঙ্গি বিস্তারে নেপথ্য ভূমিকায় থাকা অর্থদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় বের করতেও কাজ করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে ৫৬৩ এনজিও এবং পরে আরও ১৪টি এনজিওসহ মোট ৫৭৭ প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকাসংবলিত ২১৬ পাতার প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জেএমবির আর্থিক মদদদাতা হিসেবে অভিযুক্ত রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামী সৌদি আরব সরকারের একটি সাহায্য সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ (এমডবি্লউএম) নামে পরিচিত। এটির আরেকটি সহযোগী এনজিও ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গানাইজেশন (আইআইআরও)। এ ছাড়া জামায়াত ও এর নেতাদের পরিচালিত বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক প্রতিষ্ঠান জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত। নিচে কিছু সংস্থার নাম উল্লেখ করা হল।

রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি: Revival of Islamic Heritage Society (RIHS)
রাবেতা আল-আলম আল-ইসলাম: Rabita al-Alam al-Islami
সোসাইটি অব সোসিয়াল রিফ্রমস: Society of Social Reforms, Qatar Charitable Society
আল-মুনতাদা আল ইসলামি: Al-Muntada Al-Islami
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামি রিলিফ এজেন্সি: Islamic Relief Agency
আল ফুরকান ফাইন্ডেশান: Al-Furqan Foundation
আর্ন্তজাতিক রিলিফ সংস্থা: International Relief Organization
কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি- Kuwait Joint Relief Committee,
মুসলিম এইড বাংলাদেশ:Muslim Aid Bangladesh
দার আল খাইর- Dar Al-Khair
হায়াতুল ইগাছা- Hayatul Igachha
কাতার চ্যারিটেবল সোসাইটি-
তাওহিদী নূর-Towhidi Nur
সৌদিভিত্তিক হায়াতুল ইগাছা এবং দ্য গ্রিন ক্রিসেন্ট
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গানাইজেশন (আইআইআরও)
রিবাইবাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি (আরআইএইচএস)
সোসাইটি অব সোশ্যাল রিফর্ম
কাতার চ্যারিটেবল সোসাইটি
আল মুনতাদা আল ইসলামী
সৌদিভিত্তিক আরব সরকারের সাহায্য সংস্থা মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ (এমডবি্লউএম)
জামায়াতের কৃষক সংগঠন হিসেবে পরিচিত ‘বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি’
তাওহীদি নুর ও আলমুনতাদা আল ইসলামি

প্রকাশ্যে জঙ্গিদলের উত্থান পর্ব:

৩০ এপ্রিল, ১৯৯২: জঙ্গি সংগঠন হুজি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দল তৈরির ঘোষণা দেয়।
৬ মে, ১৯৯৩: ইসলামিক সমাজ নামে সংগঠনটি জামাতের সাপোর্টে সৃষ্টি হয়।
১৯৯৪: টাঙ্গাইলের করতিয়া গ্রামে হিজবুত তাওহীদ গঠন হয়।
১৯৯৮: সাবেক হুজি নেতা শায়েখ আব্দুল রহমান জামালপুরে জেএমবি গঠন করে।
১৯৯৮: বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জেএমবির আরেকটি অংশ জেএমজিবি গঠন করা হয়। সংগঠনটির নাশকতার শুরু হয় ২০০৪ সালে।
২০০১: হিজবুত তাহরীর সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে।
২০০৭: আনসারউল্লাহ তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
২০০৮: হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশ (হুজি-বি) ডিজেএফআই-এর সহযোগিতায় রাজনৈতিক দল ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি (আইডিপি) তৈরি করে।
২০১৩: চট্টগ্রামে ছাত্র শিবিরের সাবেক সদস্যদের মাধ্যমে শহিদ হামজা ব্রিগেড গঠন হয়।
২০১৩: মুজাজিত অব বাংলাদেশ তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
২০১৪: বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ নামে আলাদা একটি গ্রুপের সন্ধান পাওয়া যায়।
২০১৫: জুনুদ আল তৈহিদ আল খলিফা নামক আরেকটি গ্রুপের সন্ধান পাওয়া যায়।
২০১৫: ইত্তেহাদুল মুজাহিদিনের সন্ধান পাওয়া যায়।

সশস্ত্র হামলা:

আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের আমল:

২০১৭

১৫ই অগাস্ট, ২০১৭:ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিছিলে হামলার পরিকল্পনা সাইফুল ইসলামের ছিল জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘এই ৩২ নম্বরকে কেন্দ্র করে যে মিছিলগুলো আসবে, সেই মিছিলে আত্মঘাতী বোমা হামলা করবে এবং শত শত লোককে মেরে ফেলবে—এ ধরনের প্রস্তুতি ছিল তার। আমরা গোয়েন্দারা গতকাল থেকে ফলো করে জঙ্গি আস্তানা পেয়েছি। ওলিও হোটেলে তল্লাশি করে একটি রুমে রেসপন্স পেলাম, তাতে বুঝলাম সে জঙ্গি। আমরা তাকে আটকে রাখলাম এবং তাকে সারেন্ডার করতে বললাম। কিন্তু সে সারেন্ডার করেনি।’ সাইফুলের পিতা জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত।
১১ মে, ২০১৭: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হাবাসপুরে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন ‘সান ডেভিল’ অভিযানে ছয়জন নিহত হয়েছেন। জঙ্গিদের ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণের’ সময় একজন নারী ও পুরুষ দৌড়ে গিয়ে কাছে থাকা ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান আবদুল মতিন। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন ওই আস্তানার পাঁচজন।
২৭ এপ্রিল, ২০১৭: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ‘জঙ্গি আস্তানা’য় অপারেশন ‘ইগল হান্টে’ আবুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এর আগে বিকেল সোয়া চারটার দিকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানায় পুলিশ। সে সময় এ আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি। ওই আহ্বানের পর একপর্যায়ে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পুলিশ জানায় চারজনই আত্মঘাতী হয়েছেন।
২৯ মার্চ, ২০১৭: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় পুলিশের উপর গ্রেনেড ও গুলি করে জঙ্গিরা। জঙ্গি আস্তানায় সোয়াটের অপরেশনের নাম- “অপারেশন হিট ব্যাক”। এছাড়া একই দিনে কুমিল্লায় একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। অভিযানে নারী-শিশুসহ নিহত ৭ জন।
২৫ মার্চ, ২০১৭: সেনাবাহিনীর ব্রিফিংস্থলের কাছে দুই দফায় বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৬, আহত ৫০ জন। নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্য, আহতদের মধ্যে ২ সেনা সদস্য রয়েছেন। বোমা হামলায় র‍্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ গুরুতর আহত হয়ে ৩০ মার্চ মারা যান। এছাড়া ঘটনাস্থল হতে অবিস্ফোরিত একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার। গতকাল (২৪শে মার্চ) থেকে সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া অভিযান পরিচালনা দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হোন ১ এলাকাবাসী। জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সিলেটে রকেট লঞ্চার ব্যবহার করেছে। এর আগে মর্টার ব্যবহার করা হয় ১৯৮৯ সালে পীর মতিউরের আস্তানার দখল নিতে।সেনা বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত “অপারেশন টোয়ালাইট”-এ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) অন্যতম শীর্ষ নেতা মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসাসহ এক নারী ও দুই জেএমবি সদস্য নিহত হয়।
২৪ মার্চ, ২০১৭: ঢাকায় বিমানবন্দর গোলচত্বরে বিস্ফোরণে নিহত ১ (হামলাকারী)। আত্মঘাতী হামলার দায় আইএস স্বীকার ও জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে আইএস। বাংলাদেশ পুলিশ বলছে এটি আত্মঘাতী হামলা নয়।
১৭ মার্চ, ২০১৭: শুক্রবার ঢাকায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র‌্যাবের নির্মাণাধীন সদর দপ্তরে একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ এতে হামলাকারী নিহত ও দুই ব়্যাব সদস্য আহত হয়৷ আইএস এই হামলার দ্বায় স্বীকার করেছে। হামলাকারী কালো পাঞ্জাবী পরে হামলা চালায়।
৮ মার্চ, ২০১৭: কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলা হয়েছে। এ হামলার পর বোমা ও ছুরিসহ জসিম ও হাসান নামে জেএমবির দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ। মহাসড়কে দ্রুতবেগে আসা একটি বাস চেকপোস্টে থামানোর পর সেটি থেকে নেমেই দুই জঙ্গি বোমা ছোড়ে।
৬ মার্চ, ২০১৭: জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের বহনকারী প্রিজন ভ্যানে বোমা হামলা। গাজীপুরে টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানকে বহনকারী পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ট্রাফিক পুলিশ।

২০১৬

২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬: দেশে প্রথম নারী জঙ্গি (শাকিরা, ইউরোপে প্রথম নারী জঙ্গির নাম-হাসনা আইটবুলাসেন) সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। নিহত দুই জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকর্তারা জানান, বাড়ির ভেতরে থাকা তিনজনকে আত্মসমর্পণ করতে বললে বোরকা পরা এক নারী ধীরে ধীরে হেঁটে ঘরে থেকে বের হয়। এ সময় তাকে হাত উঁচু করতে বললে তিনি তা করেনি এবং বোরকা পরা থাকায় বোঝা যাচ্ছিল না তার কোমরে সুইসাইডাল ভেস্ট রয়েছে। ঘরের দরজার কাছে এসে তিনি বিস্ফোরণ ঘটনায়। এতে পুলিশ আহত হয় এবং সাত বছরের শিশুটি আহত হয়।
৭ জুলাই, ২০১৬: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পুলিশসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১২ জন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পুলিশ।
৪ জুলাই ২০১৬: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিয়ে রেজিস্ট্রারকারী (কাজী) ও মসজিদের ইমাম মাওলানা মতিউর রহমান (৪২) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
২ জুলাই, ২০১৬: ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা হামলা চালায়। যারা আয়াত মুখস্থ বলতে পারেনি তাদের সহ মোট ২০ জনকে জবাই করে হত্যা করে জঙ্গিরা। রেস্তোরাঁয় নিহতদের জন বিদেশী, ৩ জন বাঙালি। এছাড়া জঙ্গিদের হামলায় ২ পুলিশ সদস্য নিহত হোন। আহত হোন আরও ২০ জন। এছাড়াও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় হিন্দু পুরোহিত ভবসিন্ধু বরের কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এবং কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নগুয়া এলাকায় বিবেকানন্দ পাঠাগার ও মন্দিরের সেবায়েতের ওপর শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হামলা হয়। এতে সামান্য আহত হলেও সেবায়েত পুলক চক্রবর্তী পুলক (৪৬) নিজ বুদ্ধিমত্তার জোরে বেঁচে যান।
১ জুলাই, ২০১৬: ঝিনাইদহে হিন্দু সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে (৬২) ও বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আওয়ামী লীগ নেতা মংশৈনু মারমা (৫৬) কে হত্যার ‘দায় স্বীকার’ করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। একই দিনে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামে মহসিন হাওলাদার (৩০) নামের মসজিদের এক মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
১০ জুন, ২০১৬: পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ সেবাশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে (৬২) কুপিয়ে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। দায় স্বীকার করেছে আইএআইএস।
৭ জুন, ২০১৬: ঝিনাইদহে বৃদ্ধ পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলিকে গলা কেটে হত্যা। মঙ্গলবার সকাল নয়টার পর এলাকার একটি মাঠ দিয়ে বাইসাইকেলে করে যাওয়ার সময় তাঁকে হত্যা করা হয়। দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএস।
৫ জুন, ২০১৬: চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে গুলি করে হত্যা। এবং নাটোরে খ্রিস্টান ব্যবসায়ী সুনীল গমেজকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জবাই করে হত্যা। সুনীল হত্যায় দায় স্বীকার করেছে আইএআইএস।
২৪ মে, ২০১৬: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জুতা ব্যবসায়ী দেবেশ চন্দ্র প্রামাণিককে কুপিয়ে হত্যা। দায় স্বীকার আইএসআইএস।
২০ মে, ২০১৬: কুষ্টিয়ায় সানোয়ার হোসেন (৫৫)নামের এক হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আইএসআইএস। এসময় সাথে থাকা সানোয়ারের বন্ধু কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুজ্জামানের উপরও হামলা চালায় জঙ্গিরা।
১৪ মে, ২০১৬: বান্দরবানের বাইশারী ইউনিয়নের চাক পাড়ার মংশৈ উ চাক (৭৫) নামের এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
০৭ মে, ২০১৬: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (৬০) নামে এক ‘পীর সাহেব’কে গলা কেটে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের একটি আম বাগান থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
০৪ মে, ২০১৬: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গার গীর্জাপাড়ায় এক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আহত ১ জন।
৩০ এপ্রিল, ২০১৬: নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার তিন বছর আগে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। সেই কটুক্তির কারণে তাকে কুপিয়ে ও জবাইকে হত্যা করে ইসলামিক জঙ্গিরা।
২৫ এপ্রিল, ২০১৬: ঢাকায় সমকামী বিষয়ক পত্রিকা রূপবানের সম্পাদকসহ ২ জন খুন। রূপবান পত্রিকার সম্পাদক জুলহাস মান্নান ইউএসএইডে কর্মরত ছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি। অন্যদিকে মাহবুব তন্ময় ছিলেন নাট্য ও সমকামীদের অধিকার আন্দোলনের কর্মী। খুনিরা আল্লাহ আকবর স্লোগান দিয়ে চলে যায়। হত্যা করে আনসা-আল-ইসলাম।
২৩ এপ্রিল ২০১৬: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী’কে নিজ বাসার পাশে সকাল বেলায় জবাই করে হত্যা করে আইএসআইএস।
৬ এপ্রিল, ২০১৬: গণজাগারণ মঞ্চের কর্মী ও অনলাইন এক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যা করে আনসার-আল-ইসলাম।
১৪ মার্চ, ২০১৬: ঝিনাইদাহে শিয়া ধর্ম প্রচারখ আব্দুল রাজ্জাককে হত্যা করে জেএমবি/আইএস।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে যজ্ঞেশ্বর রায় নামে ওই হিন্দু পুরোহিতকে গলা কেটে হত্যা করে জেএমবি/আইএস
৭ জানুয়ারি, ২০১৬: ঝিনাইদাহে হোমিউপ্যাথি ডাক্তার ছামির উদ্দিন মন্ডলকে হত্যা করে জেএমবি/আইএস

২০১৫

১১ জানুয়ারি, ২০১৫: হিজাবের জের ধরে চট্টগ্রামে নার্সিং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা অঞ্জনা দেবীকে হত্যা করে শিবির/জেএমবি।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫: টিএসসিতে বই মেলা থেকে ফিরবার পথে মুক্তমনার প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান লেখক অভিজিত রায়কে হত্যা, প্রাণে বেঁচে যান স্ত্রী লেখিকা বন্যা আহমেদ। হামলা চালায় আনসারউল্লাহ
৩০ মার্চ, ২০১৫: তেজগাও এলাকায় ওয়াশিকুর বাবুকে হত্যা করা হেফাজত/আনসারউল্লাহ
২১ এপ্রিল, ২০১৫: আশুলিয়ায় বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় জঙ্গি হামলা। ডাকাতির সময় জঙ্গিরা গুলি করে এবং কুপিয়ে ৮ জনকে হত্যা করে।
১২ মে, ২০১৫: বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাসকে সিলেটে হত্যা করে আনসারউল্লাহ।
৭ অগাস্ট, ২০১৫: ঢাকায় ব্লগার নীলয় নীলকে হত্যা করে আনসার-আল-ইসলাম।
২০১৫ সালের ৯ অগাস্ট নীলফামারীতে শিক্ষক মানব চন্দ্র রায়কে ইজি বাইকের মধ্যে হত্যা করে জঙ্গিরা। দায় স্বীকার করেছে জেএমবি
৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫: মাহমত উল্লাহ ও তার সহযোগীকে চট্টগ্রামের মাজাকে হত্যা করে জেএমবি।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫: গুলশানে ইতালির নাগরিককে হত্যা করে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস।
৩ অক্টোরবর, ২০১৫: রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিওকে হত্যা করে আইএসআইএস।
৫ অক্টোবর, ২০১৫: পাবনাতেও চার্চের জাজককে জবাই করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে আটক হয়েছে শিবির কর্মী।
৬ অক্টোরব, ২০১৫: আধ্যাত্ত্বিক নেতা খিজির খানকে হত্যা করে জেএমবি।
২২ অক্টোবর, ২০১৫: ঢাকার গাবতলিতে পুলিশ চেক পোস্টে হামলা চালায় আহত হয় পুলিম সদস্য ইব্রাহিক মোল্লাহ। হামলা চালায় আইএস/জেএমবি।
২৪ অক্টোবর, ২০১৫: শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলায় নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক। হাশলা চালায় আইএস/জেএমবি।
৩১ অক্টোবর, ২০১৫: জাগৃতি প্রকাশক আরেফিন ফয়সাল দীপন ও শুদ্ধস্বরের প্রকশক টুটুলের উপর হাশলা চালানো হয়। এতে জাগৃতি প্রকাশনীর নিপত নিহত হোন। একই সময়ে শুদ্ধস্বরের প্রকাশক টুটুলের সাথে গুরুতরভাবে আহত হোন লেখক রণদীপন বসু ও কবি তারেক রহিম। হামলা চালায় আনসার-আল-ইসলাম।
৮ নভেম্বর, ২০১৫: রংপুরে বাহাই সেন্টার ডিরেক্টর রুহুল আমিনের উপর আক্রমণ চালায় জেএমবি/আ্‌ইএস
১০ নভেম্বর, ২০১৫: রংপুরে মঠাধক্ষকে জবাই করে হত্যা করে জেএমবি/আইএস।
১৮ নভেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরে ইতালিয়ান ডক্টর ও ধর্মযাযককে গুলি করে হত্যা চেষ্টা চালায় জেএমবি/আইএস
২৬ নভেম্বর, ২০১৫: বগুড়ায় শিয়া মসজিদে ঢুকে গুলি, মুয়াজ্জিন নিহত। হামলা চালায় আইএস/জেএমবি
৩০ নভেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরে ইসকনের প্রেসিডেন্ট বীরেন্দ্র নাথের উপর গুলি চালায় জেএমবি/আইএস
৫ ডিসেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরে রাসমেলার যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা বিস্ফোরণ। আহত ১০ জন। জেএমবি/আইএস
১০ ডিসেম্বর, ২০১৫: দিনাজপুরের কাহারোলে ইসকন মন্দিরে গুলি ও বোমা হামলায় দুইজন আহত । সন্দেহ জেএমবি/আইএস ।
১০ ডিসেম্বর, ২০১৫: চুয়াডাঙ্গায় বাউল সংগঠক জাকারিয়া হোসেন জাকির নিহত । সন্দেহ জেএমবি/আইএস
১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫: বাউল উৎসবের আয়োজক খুন: দুজনকে পুলিশে সোপর্দ
১৯ ডেসেম্বর, ২০১৫: চট্টগ্রামে নৌ বাহিনীর মসজিদে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি/হিজবুল ফুজুল
২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ – রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় একজন নিহত হয়েছেন এবং ১০ জন আহত হয়েছে। হামলা চালায়-আইএস/জেএমবি

২০১৪

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪: যুবলীগ নেতার নির্দেশে ত্রিশালে পুলিশ মেরে প্রিজন ভ্যান থেকে জঙ্গি ছিনতাই। রোববার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালের এই ঘটনায় যাদের ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে, তারা তিনজনই জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য জানিয়েছে। এদের মধ্যে সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি (৩৮) এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ (৩৫) মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত। অন্যজন জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত।
৩০ মার্চ, ২০১৪: ফেসবুকে লেখালেখির কারণে রায়হান রাহি ও উল্লাহ দাসের উপর আক্রমণ করে শিবির।
২৪ জুন, ২০১৪: ব্লগার রাকিব মানুষের উপর হাশলা চালায় আনসারউল্লাহ।
২৭ অক্টোরব, ২০১৪: টিভি উপস্থাপক শেখ নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করে জেএমবি। যদিও তার অনুসারীরা শিবিরের নাম বলেছে।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪: ডেফোডিল ভার্সিটির ছাত্র আশরাফুল ইসলামকে খুন করে আনসারউল্লাহ।
১৫ নভেম্বর, ২০১৪: রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক একেএম শফিউল ইসলামকে হত্যা করে শিবির/আনসারউল্লাহ।

২০১৩

১৩ জানুয়ারি, ২০১৩: উত্তরায় ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনের উপর হামলা করে আনসারউল্লাহ।
১৫ ফেবুয়ারি, ২০১৩: ব্লগার রাজিব হায়দারকে খুন করে জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ।
২ মার্চ, ২০১৩: সিলেটে ব্লগার ও গণজাগরণ কর্মী জগতজ্যোতী তালুকদার খুন করে আনসারউল্লাহ।
৭ মার্চ, ২০১৩: ঢাকার মিরপুরে ব্লগার ও ইঞ্জিয়ার সানাউল রহমানের উপর হামলা চালায় শিবির/আনসারউল্লাহ
৯ এপ্রিল, ২০১৩: বুয়েটের ছাত্র আরিফ রায়হান দ্বীপকে হত্যা করে আনাসারউল্লাহ।
৮ অগাস্ট, ২০১৩: খুলনার খালিসপুরে উম্মুল মোমিনিন তৈয়ুবুর রহমান ও তার পুত্রকে হত্যা করে জেএমবি।
১১ অগাস্ট, ২০১৩: গাইবান্ধায় বুয়েট ছাত্র তন্ময় আহমেদ এর উপর হামলা করে শিবির/আনসারউল্লাহ।
৭ অক্টোরব, ২০১৩: লালখান বাজার মাদ্রাসায় বোমা তৈরি করতে গিয়ে ৩ জঙ্গি নিহত। এরা হুজির সদস্যা ছিল।
১১ ডিসেম্বর, ২০১৩: গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জাকারিয়া বাবুকে খুন করে জামাতের কর্মী।
২১ ডিসেম্বর, ২০১৩: গোপীবাগে পীর লুতফর রহমানসহ ৬জনকে হত্যা করে জেএমবি।

২০১২

জানুয়ারি ২০১২: সেনা বাহিনীর বয়ান অনুসারে সেনা বাহিনীতে ক্যু করার চেষ্টা করে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরী

২০০৯

২০০৯ সালে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের সম্মেলনে গ্রেনেড হামলায় ১২ জন আহত হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল:

২০০৭

১১ এপ্রিল ১১, ২০০৭: ঝালকাঠি পাবলিক প্রোসিকিউটর হায়দার হোসেন-কে গুলি করে হত্যা করে জেএমবি।

বিএনপি ও জামাত জোট সরকারের আমল:

২০০৬

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শেখ তাহের আহমদকে উপর আক্রমণ করে হত্যা করে শিবির/জেএনবি।

২০০৫

১৭ অগাস্ট, ২০০৫: সারা দেশে ৬৩ জেলায় ৫১১টি স্থানে একযোগে বোমা হাশলায় ২ জন নিহত ও ২ শতাধিক মানুষ আহত হয়। হামলা চালায় জেএমবি।
১৭ জানুয়ারি ২০০৫-এ গোপালগঞ্জে এনজিও ‘ব্র্যাক’-এর অফিসে বোমা বিস্ফোরণে আহত ২১ জন।
২৭ জানুয়ারি, ২০০৫: শাহব এএমএস কিবরিয়ার উপর হামলা চালায় ৫ জন নিহত। হাশলা চালায় জংঙ্গি সংগঠন হুজি।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫: খুলনা প্রেসক্লাবে বোমা বিস্ফোরণে ১ জন সাংবাদিক নিহত, আহত ৫ জন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ। আহত ৮ জন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী আলোচনাসভায় বোমা বিস্ফোরণ।
৩ অক্টোবর, ২০০৫:চট্টগ্রাম আদালতের দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এবং মহানগর হাকিম আকরাম হোসেনের এজলাসে জেএমবি জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালত চলাকালে জঙ্গি শাহাদাত আলী ওরফে লাল্টু এজলাসের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে হাতে থাকা একটি বই-বোমা বিচারককে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করলে সেটি বিচারকের সামনের টেবিলের কাচের ওপর পড়ে কিছু অংশ ভেঙে যায় এবং অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে। শাহাদাত আলী পালানোর চেষ্টা করলে তাকে লোকজন ধরে ফেলে। এর ১০ মিনিট আগে মহানগর হাকিম আকরাম হোসেনের এজলাসে লাল রঙের জ্যামিতি বক্সে রক্ষিত বোমা ছুড়ে মারা হয়।এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।
৩ অক্টোবর ২০০৫:লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং চট্টগ্রামের কোর্টে বোমা বিস্ফোরণ। নিহত ৩ জন, লক্ষ্মীপুর কোর্টের ১ জন বিচারকসহ আহত হন ৩৮ জন।
১৪ নভেরম্বর, ২০০৫: ঝালকাঠিতে বিচারক সোহেল আহমেদ চৌধুরীর ও জগন্নাথ পাঁড়ি’কে বোমা হামলা করে খুন করা হয়। হাশলা চালায় জেএমবি।
২৯ নভেম্বর, ২০০৫: গাজিপুরের জেলা বার এসোসিয়েশন অফিসে জঙ্গি সদস্য আদাস আত্মঘাতি বোমা হামলা চালায়। এতে ৪ জন্য আইনজীবীসহ মোট নিহত হয় ৮ জন। আদাস জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।
৮ ডেসেম্বর, ২০০৫: আত্মঘাতি বোমা হামলায় ৮ জন নিহত। হামলা চালানো হয় উদিচী ও শত দল শিল্পগোষ্ঠীর অফিসে। হামলা চালায় জেএমবি।

২০০৪

১২ জানুয়ারি ২০০৪: হযরত শাহজালাল (র:) মাজার প্রাঙ্গণে বোমা হামলা হয়। এতে সাত জন নিহত হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন আজাদের উপর চালায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি
এপ্রিল ২০০৪-জানুয়ারি ২০০৫: বাংলা ভাই কম করে ২৪ জনকে হত্যা করে এবং ৩০০ লোকের উপর নির্যাতন চালায় রাজশাহি জেলায়।
২১ মে, ২০০৪: ২১ মে ২০০৪ সিলেটে হজরত শাহজালালের মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর আর্জেস গ্রেনেড হামলা। নিহত ২, হাইকমিশনারসহ আহত হয় ৭০। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
২৭ জুন, ২০০৪: খুলনায় দৈনিক জন্মভূমির অফিসে বোমা বিস্ফোরণে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু নিহত হন।
৭ আগস্ট ২০০৪ সিলেটে গুলশান হোটেলে আর্জেস গ্রেনেড বিস্ফোরণে ১ জন নিহত ও ৪০ আহত।
২১ অগাস্ট, ২০০৪: বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় ২৩ জন নিহত আহত শতাধিক। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
১৬ নভেম্বর, ২০০৪: মৌলভীবাজারে যাত্রা প্রদর্শনীতে বোমা বিস্ফোরণে আহত ১০ জন।
২৪ ডিসেম্বর, ২০০৪: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রেফেসর ইউনুস আলীকে হত্যা করা হয়। হত্যা করে-জেএমবি/শিবির।

২০০৩

১৭ জানুয়ারি ২০০৩-এ টাঙ্গাইলের সখিপুরের ফালুচাঁদ ফকিরের মাজারের মেলায় বোমা বিস্ফোরণ। নিহত ৭, আহত হয় ৮।
১ মার্চ, ২০০৩: খুলনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কর্তব্যরত পুলিশের ওপর বোমা হামলা। নিহত হয় ১, কয়েকজন আহত হয়।

২০০২

২০০২ সালে সিরাজগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় বোমা হামলার ঘটনায় ১৫ নিহত হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০২: সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের জনসভায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চার জন মারা যায়।
৭ ডিসেম্বর, ২০০২: ময়মনসিংহে ৪টি সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলায় ১৭ জন নিহত হয়। হামলা চালায় জেএমবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল:

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০১: বাঘের হাটের মোল্লাহাটের খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজে রিমোট কন্টোলে নিয়ন্ত্রিত শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত, ৫০ জন আহত হয়। বোমা হলামার দায় স্বীকার করে জেএবি ও জঙ্গি সংগঠন হুজি।

আওয়ামী লীগের আমল:

২০০১

৩ জুন, ২০০১: গোপালগঞ্জের বানিয়াচং গীর্জায় প্রার্থনা চলাকালে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত, আহত অর্ধশত।
২০ জানুয়ারি, ২০০১: সিপিবি’র মিটিংয়ে বোমা হামলায় ৫ জন নিহত। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
১৪ এপ্রিল, ২০০১: রমনা বটমূলে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।

২০০০

২০ জুলাই, ২০০০:গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভায় ৭৬ কেজি ওজনের পুঁতে রাখা বোমা উদ্ধার করা হয়। জনসভা শুরুর আগেই এই শক্তিশালী বোমাটি উদ্ধার হওয়ায় বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা থেকে বেঁচে যায় দেশ। জঙ্গি সংগঠন হুজি এতে জড়িত ছিল

২০০০: “নারী তুমি মানুষ ছিলে কবে?” বইটি লেখার অপরাধে লেখক মনির হোসেইন সাগরকে খুন করে জেএমবি। ২০০৬ সালে গোয়ান্দা জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে তারা শুধু হুমায়ুন আজাদকে নয় ২০০০ সালে সাগরকেও খুন করে।

১৯৯৯

১৮ জানুয়ারি, ১৯৯৯: কবি শামসুর রাহমানের উপর হাশলা করে জঙ্গি সংগঠন হুজি
৮ অক্টোবর, ১৯৯৯: খুলনা শহরে আহমদিয়া মসজিদে বোম হামলায় ৮ জন নিহত। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
৬ মার্চ, ১৯৯৯: যশোরে উদীচি অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত। হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হুজি।
১৯৮৯ সালের ১২ ডিসেম্বর মতিউর রহমানের আস্তানায় অভিযান চালায় ৫ শতাধিক পুলিশ। আড়াই দিন ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুই সদস্যসহ ২১ জন নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মর্টারের গোলাবর্ষণও করা হয়। শেষে ৪৮ জন জঙ্গি সদস্যসহ মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। যা দেশে ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রথম বহিঃপ্রকাশ।
১৯৮৬: ‘মুসলিম মিল্লাত’ বাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে এই জঙ্গি তৎপরতার সূচনা ঘটে। তৎকালীন চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মেজর মতিউর রহমান মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে এসে এই বাহিনী গঠন করেন। নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১১৩টি ঘর ও ৬১ টি বাঙ্কার খনন করে শুরু করে যুদ্ধবিদ্যা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

লেখাটির ইংরেজী লিংক-Timeline: Militancy in Bangladesh

‘দ্যা ডেইলি স্টার’ পত্রিকা, গত ৪ বছরে ২৯ জন খুন হওয়া নিয়ে “Motion Timeline: 29 killings in 4 years” নামে একটি ভিডিও প্রকাশ করে।