বর্তমান বাংলাদেশে লেখক প্রকাশকগণ কে কি লিখবেন, কে কি প্রকাশ করবেন তা রাষ্টের প্রতিষ্ঠান তথা রাষ্ট্র কর্তৃক নির্দেশিত করে দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, পুলিশের প্রধান, মন্ত্রী মহোদয়গণ থেকে শুরু করে বাংলা একাডেমীর প্রধান পর্যন্ত লেখকদেরকে তাদের লেখালেখিতে সীমা লংঘন না করা, উস্কানীমূলক এবং অশ্লীল লিখা না লিখার সবক দিচ্ছেন। হ্যা, এটা অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে উস্কানিমূলক এবং অশ্লীল কোন লিখা মননশীলতার পরিচয় বহন করে না। দুঃখের বিষয় এই যে, কি লিখলে সীমা লংঘন হবে না, কি প্রকাশ করলে তা উস্কানি হবে কিংবা কি প্রকাশ করলে তা অশ্লীল হবে সেটা কেউ স্পষ্ট করে বলছেন না বা বলতে পারছেন না। আমরাও কিছু বুঝতে পারছি না।
যারা বেহেস্তে হুর পাবার লোভে লেখনীর বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ তুলছেন, আসুন দেখি হুর সম্পর্কে তাদের কোরানে কি বলা আছে। কোরানে একাধিক সুরার বিভিন্ন আয়াতে হুরদের কথা পাওয়া যায়।
কোরানের সর্ববহুল পরিচিত একটি সূরা হলো আর রাহমান(৩৭)। এই সূরার ৫৬ নং আয়াতে বেহেস্তের হুরদের সম্পর্কে বলা হয়েছে,
“তথায় থাকবে আনত নয়না রমনীগন, যাদেরকে জীন ও মানুষ কখনো স্পর্শ করেনি” – ৩৭:৫৬
৭০ নং আয়াতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বেহেস্তের লোভ দেখাচ্ছেন এই বলে যে,
“সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমনীগণ”- ৩৭:৭০
কাউকে এমনভাবে আনত নয়না, কুমারী যোনি সম্পন্ন সুন্দরী রমনীর লোভ দেখানো অশ্লীলতার পর্যায়ে পড়ে না কী? আবার একই সূরার ৭২ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,
“(বেহেস্তে থাকবে)তাবুতে অবস্থানকারী হুরগন” ৩৭:৭২
তৎকালীন আরবের যৌনকর্মীদের একটা অংশ ছিলো ভ্রাম্যমান, যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে ঘুরে ক্ষুন্নিবৃত্তি করতো। তারা শহর বা কোন বসতির আশেপাশে তাবু টানিয়ে অবস্থান করতো। কোন গ্রন্থে যদি কাজের বিনিময়ে এমন করে তাবুতে অবস্থানকারী যৌনকর্মীদের লোভ দেখনো হয়, তাহলে সেই গ্রন্থ কি অশ্লীলতা মুক্ত হবে?
জান্নাত সম্পর্কে কোরানে সূরা বাকারার ২৫ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,
“ আর হে নবী (সাঃ), যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে” – ০২:২৫
জান্নাতের বর্ণনা খুঁজতে গেলে কোরানের ৫৬ নং সূরা আল ওয়াকিয়ার কয়েকটি আয়াতে যা পাওয়া যায়ঃ
“ আর সেখানে তাদের সাথে থাকবে পবিত্র দৃষ্টিসম্পন্ন সাথিরা, ঝিনুকের ভেতরে সংরক্ষিত মুক্তোর ঔজ্জ্বল্য নিয়ে” – ৫৬:২২-২৩
“ উঁচু আসনে তাদের সাথে থাকবে তাদের সাথিরা, সম্পূর্ণ নতুন করে সৃষ্টি করবো তাদের, অনন্ত যৌবনের বিকশিত সৌন্দর্যে তারা হবে প্রেমময় অনুগত সমকক্ষ”- ৫৬:৩৪-৩৭
ভাবতে অবাক লাগে, মুসলমানেরা ঝিনুকের মুক্তো রঙা, অনন্ত যৌবনা নারীর প্রলোভনকে অশ্লীল মনে করে না। কারণ, তা কোরানের কথা! আর এই সুরাটির ১৭-১৯ নং আয়াতে যে চিরকিশোর দ্বারা মদ পরিবেশনের কথা বলা হয়েছে তা না হয় নাই বললাম।
একইভাবে ৩৭ নং সূরা সফের ৪৮ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,
“তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ”-৩৭:৪৮
৫২ নং সুরার ২০ নং আয়াতে দেখুন,
“তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব” ৫২:২০
৭৮ নং সূরা আন নাবার ৩১-৩৩ নং আয়াতে আছে,
“৩১। পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য ৩২। উদ্যান, আঙ্গুর, ৩৩। সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী” ৭৮:৩১-৩৩
৩৮ নং সূরা সোয়াদ এর ৫২ নং আয়াতের সরলার্থ,
“তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ”-২৮:৫২
কি চমৎকার! জান্নাত মানেই রমনী, অনন্ত যৌবন। কাউকে চিরকুমারী রমনীর লোভ দেখানো কি অশ্লীলতা নয়?
কোরানে বেহেস্তের লোভ দেখানোর জন্য হুরদের কথা কেবলমাত্র এ কারণে বলা হয়েছে যে এরা হচ্ছে মুমিনদের যৌনসংগী। যৌন প্রলোভন এবং যৌনসংগীদের বর্ণনা কি অশ্লীলতার দায়ে দুষ্ট নয়! আর হাদীস অনুসারে ৭২ জন নারীর সাথে গ্রুপ সেক্স করার প্রলোভন কোন ধরনের শালীনতার দৃষ্টান্ত!
ইসলাম বিতর্ক বইটির বিরুদ্ধে অভিযোগ যে এটি অশ্লীল এবং অশালীনতায় পূর্ণ। আমি ঠিক জানি না, রাষ্ট্রীয় আইনে অশ্লীলতার কি সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্লীল কিংবা অশ্লীলতায় বিশ্বাস করি না। তবে যেহেতু বইটির শেষ অংশ নিয়েই অভিযোগটা বেশি জোরালো হচ্ছে, এবং যেহেতু সেখানে মুসলমানদের নবী মোহাম্মদের যৌন জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেহেতু ধরে নেয়া যায় যৌনতা নিয়ে শব্দ চয়ন করাটা অশ্লীলতা। যৌনতা নিয়ে শব্দ চয়নকে যদি অশ্লীলতা ধরে নিই, তাহলে যৌনশিক্ষা ও প্রজনন বিদ্যাকে অশ্লীলতার দায়ে বন্ধ করে দিতে হবে। তাহলে, অশ্লীলতা কী? ধরে নিলাম, শুধু যৌনতাপূর্ন শব্দই নয়, সাথে যৌনক্রিয়ার বর্ননা কিংবা যৌনাবেদনময় শব্দ কিংবা প্রলোভন যুক্ত বাক্যগুলো অশ্লীল। যদি তাই হয়, এবং এ কারণে ইসলাম বিতর্ক বইটি বন্ধ করে দেয়া হয়, এবং এই যুক্তিতে কেউ যদি যৌনাবেদন ও যৌনতার প্রলোভনে পূর্ণ কোরান ও হাদীস গ্রন্থগুলো নিষিদ্ধ করার দাবী করে, তাহলে তার দাবী অগ্রহনযোগ্য কিংবা অযৌক্তিক হবে কি?
যৌন বিষয়ে দুনিয়াতে পুরুষরা যথেষ্ট খোলামেলা। কিন্তু নারীরা প্রকৃতিগতভাবে রক্ষণশীল মনোবৃত্তির ও যথেষ্ট লাজুক। পুরুষদের প্রাপ্তির আলোচনাকে যেমন বিস্তারিত কোরআনে কারিমে করা হয়েছে, নারীদের প্রাপ্তিকে তেমন বিস্তারিত আলোচনা করলে নারীরা চরম লজ্জায় পড়ে যেতো কিংবা বিব্রতবোধ করত। হয়তো আল্লাহতায়ালা বিশ্ববাসীর সামনে নারীদের লজ্জায় ফেলতে চাননি, সবার সামনে তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাননি- তাই নারীদের প্রাপ্তির বিস্তারিত আলোচনাকে সযত্নে এড়িয়ে গেছেন।
তথাপি সূরা হা-মিম সিজদার ৩১ ও সূরা যুখরুফের ৭১ নম্বর আয়াতের দ্বারা নারীদের ইচ্ছামাফিক প্রাপ্তিকে সুনিশ্চিত করে রেখেছেন।
প্রাচীন ও আধুনিক ইসলামি স্কলারদের অনেকেই জান্নাতি নারীর স্বামী কে হবে এ ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কিন্তু সে সব আলোচনা দলিলহীন এবং তাদের অনুমাননির্ভর।
বস্তুত জান্নাত-জাহান্নামের বিষয়ে দলিলহীনভাবে শুধুমাত্র অনুমাননির্ভর হয়ে কোনো আলোচনা করা অনুচিত। আল্লাহতায়ালা ও তার রাসূল যেখানে নীরব থেকেছেন, সেখানে আমাদেরও উচিৎ নীরব থাকা।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা না করলেই নয়। তা হলো- যৌন তৃপ্তি কিন্তু জান্নাতের প্রধান প্রাপ্তি নয়। বরং এটা জান্নাতের অভাবনীয় বিশাল নেয়ামতরাজির মধ্যে অনেক পরের বিষয়। আল্লাহতায়ালা জান্নাতের আলোচনাগুলোতে হুরের আলোচনা কোথাও শুরুতে করেননি। বরং প্রথমে করেছেন জান্নাতের নয়নভিরাম সবুজ-শ্যামল পরিবেশ ও প্রকৃতির আলোচনা, দৃষ্টিনন্দন জলাধার, জলপ্রপাত ও ঝর্ণার আলোচনা, মনমাতানো সুরম্য প্রাসাদের আলোচনা। এরপর আলোচনা করেছেন জান্নাতের হরেক রকমের সুস্বাদু খাদ্যদ্রব্য ও বিচিত্র স্বাদের পানীয়ের। তৃতীয় ধাপে আলোচনা করেছেন হুর নিয়ে। তাই এটা জান্নাতের অনেক পরের বিষয়। জান্নাতের প্রধান আকর্ষণ হলো- আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ বা দর্শন। জান্নাতে যারা প্রবেশ করবেন তারা হুরের জন্য উদগ্রীব হবেন না। তারা জান্নাতে প্রবেশের পর থেকেই অধীর আগ্রহে প্রতিটি মূহুর্তে অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকবেন- কখন আসবে সেই স্বপ্নীল সময়, কখন সাক্ষাৎ পাবেন মহান মালিকের। কখন তার মুখ থেকে সরাসরি শুনতে পারবেন- তিনি তাদের ওপর খুশি।
কেননা- তারা দুনিয়ার জীবনে যত কষ্ট সহ্য করেছেন, ধৈর্যধারণ করেছেন; সবইতো করেছেন মাওলাকে খুশি করার জন্য। হুর লাভের জন্য তো তারা রাত জেগে নামাজ পড়েননি, হুরের উষ্ণ সান্নিধ্য লাভের লোভে তো সারাদিন অনাহারে থেকে রোজা পালন করেননি। তারা দুনিয়ার জীবনে যা কিছু করেছেন, সবই করেছেন শুধু আল্লাহকে পাওয়ার জন্য।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘অন্য কোনো কিছুই জান্নাতবাসীদের নিকট মহান আল্লাহর দর্শন লাভের চেয়ে অধিক প্রিয় হবে না।’ -সহিহ মুসলিম: ৪৬৭
মোটকথা, দিদারে মাওলা অর্থাৎ আল্লাহতায়ালা দর্শন লাভই হলো- জান্নাতের সবচেয়ে বড়ো পুরস্কার। যা নর-নারী সবাই সমানভাবে লাভ করবেন।
অতএব, কোনো হুরের লোভে নয়; আবার হুর না পাওয়ায় আশাহত হয়েও নয়- বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ঈমানের সঙ্গে সৎ কর্মে আত্মনিয়োগ করাই মানুষের কর্তব্য।
মন্তব্য…একজন মানুষ দুনিয়াতে থাকে ৬০,৭০ বা ১০০ বছরি ধরেন।তার ২৫ বছর পার হতেই সে নারী সঙ্গ বা স্ত্রী চায়।এর পর একটা সময় সে বৃদ্ধ হয় এবং মারা যায়।কিন্তু জান্নাতে কোন মূত্যু নাই।জান্নাতে সবাই থাকবে যুবক বয়সি তাতে সে দুনিয়ায় বাচ্চা বা বৃদ্ধ যে অবস্থাই মারা যাক।আর যে যুবক সে যাগায় আমৃত্যু থাকবে সে জাগায় সঙ্গিনির দরকার অবশ্যই আছে তাই তার সেবা এর জন্য জন্নাতি স্ত্রী বা হূর এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।আর আপনি আপনার স্ত্রী এর সাথে মিলিত হলে এতে অশ্লিলতার কিছু নাই।যদি বউ বাদে অন্য কারো সাথে করেন তা হবে অবৈধ বা অশ্লীল।তাই আল্লাহ বলছে আমি নিজে তাদের বিবাহ দেব।এই জাগায় লোভ দেয়া হয় নি।তাদের সৎ কর্মের পূরষ্কার স্বরুপ কি পাবে সেটা বলা হয়েছে।ঠিক তেমনি জাহান্নামের শাস্তি এর ভয়াবহ তার ও বর্ণনা ও করা হয়েছে। তাদের কুকর্মের শাস্তি স্বরুপ তারা কি পাবে তার বর্ণনা কুরআনে দেয়া আছে।এখন আপনি জান্নতে যেতে চান না জাহান্নামে যেতে চান সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।ভাই আপনার ঙ্গান খুবি তুচ্ছ তাই কুরআনের ভুল ধরতে আসছেন।আগে ঙ্গান অর্জন করেন তাহলে আর এই ভুলটা করতে চাইবেন না তখন কুরআন কে মানতে চাইবেন।ধন্যবাদ।
তাহলে মেয়েদের হুরের ব্যবস্থা করা হয়নি কেন , মেয়েদের ও তো সঙ্গী প্রয়োজন ,মেয়েরা সৎ কর্মের উপহার কি
আপত্তিগুলোর কোনওটিই যুক্তিসম্মত না
আমরা পুরুষ মানুষ। এমনটা না যে,জান্নাতে আমরা পুরুষ থাকবো না। দুনিয়ার একটা সাধারণ মানুষ যেমন বাচতে হলে তাকে খাদ্য খেতেই হবে। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই, যে খাদ্য ছাড়া চলতে পারে। আল্লাহ তাল্লা পুরুষ ও মহিলা মানুষকে একে অপরের পরিপুরক করে তৈরী করেছেন। একে অপরের বিপরীর লিঙ্গ। দুনিয়ার একটা সাধারণ মানুষের যেমন খাদ্যের পাশাপাশি তার জৈবিক চাহিদা দরকার। ঠিক তেমনি জান্নাতে, যে জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। সেই জীবনে কি,,আপনার জৈবিক চাহিদার প্রয়োজন পড়বে না,অব্যশই লাগবে। আর আল্লাহর আছে গায়েবি ক্ষমতা,তিনি ভবিষ্যৎ সমর্পকে জানেন। আর জান্নাতে ঐ সকল মানুষকে পবিত্র হুর দেওয়া হবে,যারা দুনিয়াতে কোন খারাপ মেয়ের দিকে তাকায় নি,,কোন যিনা করে নি। পাগল মানুষ তো বলবে,পৃথিবীতে এত আমি ভালো কাজ করলাম। দুনিয়ার কোন মেয়ের দিকে আমি তাকায়নি,এত কষ্ট করে আল্লাহ তাল্লার হুকুম আহকাম মানলাম,আমি কি কোনো সুখের সন্ধান পাবো না,কোন শান্তি পাবো না। আর সেই সকল মানুষের জন্যই উওম পবিত্র হুর এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা কোন লোভ দেখানো কিছু না,,একটা পুরুষ মানুষের সেটা অব্যশই প্রয়োজন। না জেনে,অহেতুক মুসলিমদের বিপক্ষে কিছু লিখবেন না। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক,আমিন।
– ‘বুঝলেন ভাই? বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসিবল।’
— ‘জ্বি ভাই। আমাদের নবী আদম আঃ ও জান্নাতে একা একা থাকতে পারেন নি। বন্ধু ছাড়া উনার লাইফও ইমপসিবল ছিলো।তাই আল্লাহ তা’লা অনুগ্রহ করে উনার জন্য হাওয়া আঃ কে বন্ধু হিসেবে সৃষ্টি করে বন্ধুর ব্যবস্থা করেছিলেন। আমাদের মৃত্যুর পরের জীবনেও যাতে আমরা একাকী অনুভব না করি, এরজন্যে জান্নাতে আল্লাহ তা’লা হুরের ব্যবস্থা করে রেখেছেন বন্ধু হিসেবে।’
— ‘ধুর! সবখানে মিয়া ধর্মের প্যাঁচাল পাড়েন ক্যা?’
– ‘ভাই, আমিও তো বন্ধুর কথাই বললাম। বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসিবল। সেটা দুনিয়া আর জান্নাত, দুই খানেই।’
–
দৃশ্যপট – ০২
——————-
– ‘ভাঈয়া, পর্দাহীন, বেগানা মহিলার সাথে একাকী সময় কাটাতে, ঘুরতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন।’
— ‘ক্যানো?’
– ‘কারন, এতে করে শয়তান মনের মধ্যে কু-প্রস্তাব ঢুকিয়ে মানুষকে বিপথে ফেলার ধান্ধায় থাকে। নারী-পুরুষ এমনিতেই পরস্পর-পরস্পরের প্রতি আকর্ষিত হয়। শয়তান এটাকেই কাজে লাগায়।’
– ‘আচ্ছা মিয়া, আপনারা দু’জন ছেলে-মেয়েকে একসাথে দেখলে সেক্স ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেন না? ভাবতে পারেন না, তারা দু’জন সেক্স বেইসড রিলেশান ছাড়াই খুব ভালো বন্ধু? একাকীত্বের সাথী? এমন ভালো বন্ধু, যার সাথে সেক্স ছাড়াই হাতে হাত রেখে, যার চোখে চোখ রেখে হাজার বছরের পথ পাড়ি দেওয়া যায়? খালি কি মাথায় সেক্স ঘুরে নাকি?’
– ‘না ভাই।সেক্স ঘুরবে কেনো? কিন্তু শয়তানের তো আর বিশ্বাস নাই। সে হাতে হাত রাখাতে গিয়ে না জানি এই হাত কতোদূরে নিয়া যায়। যাহোক, আল্লাহ আমাদের বলেছেন, দুনিয়াতে আমরা এসব অশালীন সম্পর্কগুলো থেকে মুক্ত থাকলে, পরকালে তিনি আমাদের প্রত্যেককে হুর দিবে, যাদের সৌন্দর্যের সাথে দুনিয়ার কোনকিছুর তুলনা চলে না।’
— ‘হাহাহাহা। মুহাম্মদের জান্নাতের হুরের কথা বলছেন? তা ভাই, জান্নাত কি মুমিনদের জন্য সেক্স প্লেইস নাকি? এত্তগুলা হুর একেকজনের জন্য।’
– ‘ভাই, আপনারা জান্নাতি ব্যক্তি আর হুরের মাঝে সেক্স ছাড়া আর কিছু কি ভাবতে পারেন না?
ভাবতে পারেন না, জান্নাতি ব্যক্তি আর হুরেরা সেক্স বেইসড রিলেশান ছাড়াই খুব ভালো বন্ধু? একাকীত্বের সাথী? এমন ভালো বন্ধু, যাদের সাথে সেক্স ছাড়াই হাতে হাত রেখে, চোখে চোখ রেখে অনন্তকাল পাড়ি দেওয়া যায়? খালি কি মাথায় সেক্স ঘুরে নাকি?’
– ‘ না, ইয়ে, মানে………….’
#DoubleStand
লেখকঃ আরিফ আজাদ
এক নাস্তিকের প্রশ্নের চমৎকার উত্তর দিলেন ডা. জাকির নায়েক
এক নাস্তিকের প্রশ্নের চমৎকার উত্তর দিলেন ডা. জাকির নায়েক
ইসলাম ডেস্ক: পিসিটিভি বাংলার নিয়মিত আয়োজন প্রশ্নত্তোর পর্বে ডা.জাকির নায়েককে এক নাস্তিক জিজ্ঞাসা করেন যে, কোর’আন কী আল্লাহর বাণী না মুহাম্মদ সাঃ এর? ওই নাস্তিকের এই প্রশ্নের উত্তরে ডা. জাকির নায়েক চমৎকার ভাবে জ্যামিতিক উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। কোরআনের চিরন্তন সত্যতা ও আল্লাহর কালাম হওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডা. জাকির নায়েক বলেন, ১৪০০ বছর পূর্বে কোরআনে অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ১৪০০ বছর পর বিগব্যাংগ তত্ত্ব, পৃথিবীর আকার, চাঁদের আলো, গ্রহ-নক্ষত্রের পরিভ্রমণ, পানিচক্র, সমুদ্রে্র লোনা পানি ও মিঠা পানি, ভূ-তত্ত্ব ইত্যাদির অবতারণা করেছেন, যেগুলোর প্রমাণ সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, অবিশ্বাসীরা বলে বসতে পারে এটা ‘হঠাৎ করে মিলে যাওয়া’র মত একটা কিছু। ইংরেজীতে একে বলা হয় ‘Theory of Probablity’ বা ‘সম্ভাবনার সূত্র’। উদাহরণস্বরূপ একটি কয়েন যদি টস করা হয় তবে এ সূত্র অনুযায়ী সঠিক দিকটি অনুমান করার সম্ভবনা ½ ভাগ বা ৫০%। অর্থাৎ ‘হেড’ও পড়তে পারে, ‘টেইল’ও পড়তে পারে। আবার যদি দু’বার করা হয় তবে দু’বারই সঠিক অনুমানের সম্ভাবনা ½+½= ¼ ভাগ বা ২৫%। যদি তিন বার করা হয় তবে সম্ভাবনা ½+½+½= ⅛ ভাগ বা ১২.৫%। . এভাবে এই থিউরী অনুযায়ী যদি কুরআনকে বিচার করা যায় তবে প্রথমে ধরা যাক পৃথিবীর আকার নিয়ে। একটা মানুষ কোন বস্তুর আকার নিয়ে প্রায় ৩০ ধরনের চিন্তা করতে পারে। যেমন- সোজা, বর্তুলাকার, আয়তকার ইত্যাদি। আর অনুমান করে একটা আকার যদি নির্ধারণ করে তবে সূত্র অনুযায়ী তা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ¹/৩০ ভাগ। চাঁদের আলো নিয়ে কোন অনুমানিক সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ½ ভাগ অর্থাৎ ৫০% । আবার পৃথিবী সৃষ্টির উপাদান নিয়ে যদি অনুমান করা হয় তার যথার্থতার সম্ভাবনা ¹/১০০০০ ভাগ। অতঃপর সামষ্টিকভাবে এই তিনটি আনুমানিক উত্তর সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ¹/৩০×½× ¹/১০০০০ = ৬০০০০০ ভাগের ১ ভাগ বা .০১৭%। . এভাবে ‘সম্ভাবনার সূত্র’ অনুযায়ী তিনটি বিষয়ের আনুমানিক উত্তর সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা যদি মাত্র .০১৭% হয় তবে সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, কোরআনে বিজ্ঞান বিষয়ক যে হাজারটা বর্ণনা এসেছে তা ‘অনুমান করে বলা’ বা ‘আন্দাজে বলা’র সম্ভাবনাও জিরো ভাগ। সুতরাং যদি প্রশ্ন করা হয়, কে এভাবে সুনিশ্চিতসত্য ও প্রামাণ্য তথ্য দিতে পারেন। নিঃসন্দেহে তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। আর তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা যার পক্ষে এসব তথ্য দেওয়া সম্ভব। এভাবে তিনি অবিশ্বাসীদের নিকট বিভিন্নভাবে বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে প্রমাণ দিয়েছেন যে, কুরআন আল্লাহর বাণী, তা রাসূল (সা:)-এর প্রখর বুদ্ধিপ্রসূত (!) কিছু নয়। ২৫ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/
উনার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থেকে বিশ্লেষণ করেছেন তবে পরিপুরন ভাবে বুঝতে চেস্টা না করার জন্য এমন লেখা । পৃথিবীর বহু অমুসলিম জ্ঞানী গুনী ও বিজ্ঞান ভিত্তিক সমালোচকরা কোরানের ভুল ধরতে চেস্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি । লেখকের আরো পড়া শোনা করে কলম ধরা উচিৎ ছিলো ।
মন্তব্য…যে আয়াত গুলো দেওয়া হয়েছে সেখানে উনি অশ্লীলতার কি দেখলেন? বুঝলাম না। উনি কি সুস্থ মাথার মানুষ নাকি অপ্রকৃতস্থ? আল্লহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছন, ভাল কাজের ফল হিসাবে জান্নাতে পুরস্কৃত করবেন। তাও বিবাহের মাধ্যমে, একেবারে বৈধ ভাবে। পুরস্কার কি শুধু দামি পদার্থকেই বুঝায়? যৌনতা বুঝতে হলে দেবতা শিব, ইন্দ্র,গনেশ, লুচ্চা কৃষ্ণ, পার্বতী, লক্ষীর সফল যৌন জীবন পড়তে হবে, জানতে হবে।
দাদা বিশ্বে কত লোক যে ধর্মান্তরিত হয়ে কোন ধর্ম গ্রহণ করছে তা আমরা সবাই জানি| শুধু আপনারই বোধহয় তা জানা নাই| আর যারা জঙ্গী তারা ইসলাম সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত নয়| তারা পথভ্রষ্ট| :bye:
Qur’an er ayat gulor ortho pore to oslil kichur kotha mathay aslo naa. Apnar bekkha gulo porei borong oslilotar choya pelam. Sobdo choyone Qur’An smart word gulo use koreche. Shune pobitro ekta feeling ase. But, apni bekkha dite giye “juni” shondo niye esechen. Jeta barabari. Icche kore opobekkha..
Apni Qur’An er ayat gulor ortho ta poren, pashapashi apnar bekkhata poren. Dekhen, kothay apni twist korechen..
এখানে বাংলায় মন্তব্য করতে হবে। বাংলা হরফে। ভবিষ্যতে এমন বাংলিশ মন্তব্য অনুমোদন পাবে না।
আব্দুল্লাহ, স্পষ্টভাষা বলে একটা কথা আছে। জানেন কি?
ভালো করে পড়ে দেখুন লেখাটি। লেখক শুধু আয়াত গুলোকে এককথায় সহজভাবে এবং আয়াতগুলো যা বোঝাতে চাচ্ছে তা-ই লিখেছেন। যোনী শব্দটা যদি অশ্লীল হয় তাহলে হাত, পা, চোখ-শব্দগুলোও অশ্লীল। ধন্যবাদ।
“ আর সেখানে তাদের সাথে থাকবে পবিত্র দৃষ্টিসম্পন্ন সাথিরা, ঝিনুকের ভেতরে সংরক্ষিত মুক্তোর ঔজ্জ্বল্য নিয়ে” – ৫৬:২২-২৩
“ উঁচু আসনে তাদের সাথে থাকবে তাদের সাথিরা, সম্পূর্ণ নতুন করে সৃষ্টি করবো তাদের, অনন্ত যৌবনের বিকশিত সৌন্দর্যে তারা হবে প্রেমময় অনুগত সমকক্ষ”- ৫৬:৩৪-৩৭
ভাবতে অবাক লাগে, মুসলমানেরা ঝিনুকের মুক্তো রঙা, অনন্ত যৌবনা নারীর প্রলোভনকে অশ্লীল মনে করে না। কারণ, তা কোরানের কথা! আর এই সুরাটির ১৭-১৯ নং আয়াতে যে চিরকিশোর দ্বারা মদ পরিবেশনের কথা বলা হয়েছে তা না হয় নাই বললাম।
একইভাবে ৩৭ নং সূরা সফের ৪৮ নং আয়াতে বলা হচ্ছে,
“তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ”-৩৭:৪৮
৫২ নং সুরার ২০ নং আয়াতে দেখুন,
“তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব” ৫২:২০
৭৮ নং সূরা আন নাবার ৩১-৩৩ নং আয়াতে আছে,
“৩১। পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য ৩২। উদ্যান, আঙ্গুর, ৩৩। সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী” ৭৮:৩১-৩৩ আলোচ্য আয়াতে কোথায় অশ্লীলতার পরিচয় পাওয়া যায় তা আমার বোধগম্য নয়।যেহেতু ইসলাম সকল বিষয়ের সমাধান সেহেতু জৈবিক চাহিদা নিয়াকের একমাত্র সঙ্গী নারীকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পুরুষ রাজত্বে নারী ছাড়া চলে নাকি? এমন ভ্রান্ত ধারনা কি কইরা হইল আপনার। এইজন্য হিন্দুরা নারী ভাগ করছে, ‘মা’, ‘বোন’, ‘স্রী’ ‘মেয়ে’, না হলে ধরাটা একদম খরা হইয়া যাইতো। মুসলমানদের নবী নিজে নারী ভোগ করে উপদেশ দিছেন ও ধর্মের নিয়ম লিখাইছেন। তিনি তো নিজে লিখতে জানতেন না। ভেড়া চড়াইতেন, পড়ে চাচার লগে মাল আনা-নেওয়ার কাজে ঘুরতেন। সামাজিকতা সম্বন্ধে কোন ধারনাইতো তখন তার হয় নাই। হঠাত কইরা আল্লা পাইছেন কইরা সবারে কইতে লাগলেন, আর যায় কোথায়, অনেক চেলা চামুন্ডা জুইটা গেল, সবকটার পেটে বিদ্যার বহর তথৈ বচঃ, যা মনে আইছিল তাই লিখছে, তখনতো ভাইবা দেখেনাই যে, এর বিষক্রিয়া কদ্দুর যাইব? পুরুষগুলান খালি নারী পাইলে বর্তায় যায়, সেজন্যই তো সব দলেদলে মুসলমান হইছে। আলী আসমান ভাই শেষের দিকে খারপ লেখেনাই। মনে কিছু কইরেন নয়া, দাদা আপনি কি সাধু পুরুষ না কি? অত দোষ ধ্রেন কেন? একটু মানাইয়া চল্লেই পারতেন। আপনার জন্য ভালো ব্যবস্থা থাকতো। এখনকার রাজনীতির মত। বিরোধীদের যেমন কিছু পাইয়ে দেয়। দাদা ঠিক কইছি কি না, জানাইলে মনে শান্তি পাইতাম।
আমার বেহেশ্তানুভূতিতে আঘাত পেলুম। লেখকের নির্বাসন চাই।
অনেক চমৎকার একটি লেখা । নশ্বর
পৃথু স্যান্যালের লেখা ” লেখাটি অশ্লীল, না পড়ার জন্য অনুরোধ ” পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। কোরান সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান কোনদিনই ছিল না। কোনদিন কোরান পড়ার চেষ্টাও করিনি। লেখক কতগুলি সুরা ও হায়াতের বর্ণনা দিয়েছেন তা পড়ে সাময়িক ভাবে অশ্লীল মনে হলেও, প্রকৃত পক্ষে অশ্লীল নয়। কারন কোরান ধর্ম গ্রন্থ। এ অশ্লীল হতে পারেনা। সমাজে অশ্লীলতার সংজ্ঞা দেওয়া আছে। কিছু বললে অশ্লীলতা হয়না, কাজে হয়। সেই দোষে দুষ্ট নয়। পুরুষের সব চেয়ে বড় পাওয়া নারী সংগ, সেটা তো প্রলোকে গিয়ে পেতে হবে। সেটাই বলেছে যে, কি বা কি রকম নারী দেবে। তাতে অশ্লীলতা কোথায় দেখলেন। আপনারা বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষিত্রা খালি দোষ খুজে বেড়ান। ভালো টা দেখতে চান না। আপনি মশাই একটু ভালো করে চলুন, তবে সুরা ও হায়াতে যা বলা আছে, আপনি সেই রকমই বা আরও বেশী ভালো পাবেন। এতে আপনার লাভ। কেন শুধু শুধু এই সব বাজে বাজে লেখে পাপ করতে যাচ্ছেন। পরলোকে গিয়ে ভুতপেত্নিদের পাবেন। কোনটা ভালো, বুঝেশুনে লেখা লেখি করুন। তারপর আছে ধ্বজা ধরা দারোয়ানের দল, কখন কি করে বসবে, বলা যায়না। একটা কাজ করেন দাদা, সবার উদ্দেশ্যে লেখেন যেন, দাড়িটাকে দেড় হাত ল্মবা রেখে আর টুপিটা গোল খাম্বা হয়, চারটা বিবি রাখে আর দশটা পোলার জন্ম দেয়। এতে বেহস্তের পথ সুর থাইকা মোটা হিয়া যাইব।
আলি আসমান মহাশয়,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। একটা ইনফরমেশন দিঃ– ৯/১১ তে যে জঙ্গিরা world trade center এ আক্রমণ করে তার আগের দিন রাতের
কিছু বিবৃতই পাওয়া গিয়েছে যাতে এই হুরী পরী সম্ভোগের লোভ দেখান আছে, মহম্মদ আটা (জঙ্গি) দের। এই লোভ বহু জঙ্গি দের দেখান হয়েছে , তাও প্রমান আছে।
অনেক দিন পরে আসার জন্য ধন্যবাদ আলি আসমান মহাশয় :rose:
গাঙ্গুলী মশায়কে ধন্যবাদ আমাকে মনে রাখার জন্য। এতদিন কোথায় ছিলেন দাদা? আপনাকে অনেক খুজেছি। যাক, এখন বলি যে, আকাশ বাবুর মন্তব্যটা একটু দেখবেন। আজ থেকে ২ হাজার বছ্র আগে বিজ্ঞানের অগ্রগতি কতখানি হয়েছিল? মানুষ অবৈজ্ঞানিক কার্যকলাপকে প্রাধান্য দিত। তখন মানুষ দৈবের উপর নির্ভরশীল ছিল। দৈবের নামে চালাক লোকেরা নিজেদের মতামতকে সাধারন অশিক্ষিত লোকদের উপর চাপিয়ে দিত বা দেওয়ার চেষ্টা করতো। সাধারন অশিক্ষিত লোকারা এদেরকে ভগবান/আল্লা/খোদা/গড প্রভৃতি অদেখা সৃষ্ঠি কর্তার অবতার হিসাবে মেনে নিত। এই সুযোগটা চালাক লোকেরা গ্রহ্ন করতো এবং নিজেদের ক্ষুরধার বুদ্ধি দ্বারা ও শক্তি দ্বারা সমাজের উপ্র প্রভুত্ব করতো বা করার চেষ্টা করতো। এই ইসলাম ধর্মকে শান্তির ধর্ম বলে এক শ্রেণীর লোক প্রচার করে। কিন্তু ইসলাম কি সত্যই শান্তির উপ্র প্রতিষ্ঠিত? নবী মহাম্মদ তার দল ভারী করার জন্য পুরুষদের কিছু কিছু প্রলোভন দিয়েছেন, যে তারা তার ধর্ম মতে আসে বা অবস্থান করে। যারা করতে চায়নি, তাদের উপর নির্মম ভাবে আঘাত করে মৃত্যু লোকে পাঠানো হতো, আর বলা হতো উপরওয়ালা তাদের উপর ক্রুদ্ধ হয়ে তাদের ইহলোক থেকে পরলোকে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেখানে তারা নরক যন্ত্রনা ভোগ ক্রবে। নবীজী তার মতের লোকদের ধরে রাখার জন্য হুরী/প্রীদের গ্লপ শুনিয়েছেন। না হলে তো তার দলে বিপ্লব ঘটে যাবে। আরবের লোকেদের নারী সঙ্গ ছাড়া চলেনা। সেইজন্যই কোরানে ঐ মতবাদ দেওয়া হয়েছে। আশাকরি কিছুটা হজম হবে। বেশী খাবেন না বদ হজমের সম্ভাবনা প্রবল। ইসলামে নারীদের স্বাধীনতা কোথায়? বোরখা আর হিজব পরিয়ে অন্ধকারে রাখার চেষ্টা, না হলে নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্মভোগ কি ভাবে করবে? এখন আর নয়, ধন্যবাদ।
আলি আসমান বাবু,
কি হজম হবে না হবে সেটা আমার জানা আছে , আমি বুঝি সেটা। আপনি যা বলছেন আমিও তাই বলছিলাম , এক ই ব্যাপার।
আমার কথা ছাড়ুন, সারা দুনিয়াতে মুসলিম বিদ্বেষ প্রচন্ড বেড়েছে। আপনার সঙ্গে আমার অনেকদিন পর দেখা। আমি ছিলাম আরব আমিরাতে কর্ম সুত্রে, দেখলাম , সৌদি আরবের পুরো বিপরীত অবস্থা আমিরশাহিতে। ভীষণ ভাবেই নিরপেক্ষ এবং সব জাতির মানুষ সমান অধিকার পায় একটা মুসলিম দেশে এমন হতে পারে ধারণা ছিল না। আপনাদের আরো লেখা দিন , আমাদের ভাল লাগে , আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা দের এই মুক্তমনা ভাল লাগে।
ভাল লাগলো