লেখক: তেপান্তর লারমা অপু
২০১৫ সালের ২৬ ই ফেব্রুয়ারি ঠিক ১ বছর আগে আজকের এই দিনটাতে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় দাদাকে অমর একুশে বইমেলায় নৃশংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতকরা। এমনকি তার স্ত্রীকেও কুপিয়ে জখম করে ঘাতকরা। কিন্তু নির্বোধ ঘাতকরা কি জানে না-মরনেই থামেনা জীবন?
অভিজিৎ দাদাকে হত্যা করে ঘাতকরা প্রমান করল তারা কতটাই নির্বোধ। আজ বাংলার প্রতিটা ঘর ঘরেই অভিজিৎ দাদার জন্ম হচ্ছে, আজ বাংলার প্রতিটা পরিবারেই অভিজিৎ রায় ফিরে আসছে। ঘাতক তুমি বড়ই নির্বোধ।
যেই দেশ মাতৃভাষার জন্য জীবন দিতে পারে সেই দেশে মাতৃভাষার মাসেই অন্যের জীবনকে হরণ ও করতে পারে তাও আবার অমর একুশে বইমেলায়। পুলিশের সামনেই কুপিয়ে জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করেই ঘাতকরা নির্বিঘ্নে চলে যায়। পুলিশের সামনেই অভিজিত দাদার সেই বইমেলা ঘুরে দেখাই কাল হয়ে দাড়ালো। তাহলে হিসাব সমীকরন কি বলে বইমেলায় লেখকদের চাইতে অস্ত্রধারী ঘাতকরাই বেশি নিরাপত্তা নিয়েই হত্যা করছে -নয় কি?
সরকার ঘাতকদের খুজে বের করতে পারে না, পারেনা লেখকদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে। কেন অভিজিৎ দাদার নিরাপত্তা ছিলোনা সেই দিনের অমর একুশে বইমেলায়?
নির্বোধ ঘাতক কলমের কালিকে ভয় পায়, কিন্তু ভয় পায়না হত্যা করাকে। তাই তারা প্রশাসনের সামনেই নির্বিঘ্নে হত্যা করতে পারে অভিজিৎ রায়কে। কিন্তু অভিজিৎ রায় দাদাকে হত্যা করতে পেরেছেন, কিন্তু হত্যা করতে পারেননি অভিজিৎ রায় দাদার সেই কলমের শক্তিকে। সেই অভিজিৎ রায় এখন আমাদের মাঝেই জন্ম নিয়েছেন তার লেখনির শক্তির মাধ্যমেই। তাই তিনি অমর হয়ে থাকবেন অমর ২১এর মতন।
আমাদের লেখনির শক্তির মাধ্যমেই অভিজিৎ দাদা বেচে থাকবেন চিরকাল।
মন্তব্য… আমরা এক অভিজিৎ কে হারিয়েছি, কিন্তু তার লিখনি হাজার অভিজিৎ সৃষ্টি করেছে।