লেখক: লুব্ধক অনিকেত
বাংলাদেশে মুসলমানরা জন্মের পর থেকেই ধর্মান্ধতা আয়ত্ব করতে শেখে। কেউ যদি বলে বাংলাদেশের বেশীরভাগ মুসলমান উদার মুসলিম সামাজিক সাংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠে সে কথার সাথে আমি মোটেও একমত পোষন করবো না। এদেশের মুসলমানরা অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি কতটা অসহিষ্ণু তা আমি আমার বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ার দেখেছি আর বড় হয়ে একে নিকৃষ্ট বর্ণবাদী ধর্মান্ধ এক সমাজ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারিনি। অন্তত আমি ছেলেবেলা যে সমাজে বেড়ে উঠেছি সেখানকার অভিজ্ঞতা থেকে আমি এমন ধারনাই পোষন করি। বর্ণবাদী সমাজ একারনেই বললাম যে বর্ণবাদ যেমন নিজ বর্ণ বা জাত ছাড়া অন্য কাউকে পূর্নাঙ্গ মানুষ বলে মনে না করে কেবল ঘৃনা পোষন করে, এদেশের মুসলমানদের বড় একটা অংশই অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি ঘৃনা পোষন করে।
আমি ছেলেবেলাতেই দেখেছি এই মুসলমান সমাজ কিভাবে ভীন্ন ধর্মাবলম্বীকে জোর-জবস্তি করে মুসলমান বানাতে চায়। এসমাজ প্রকাশ্যে অমুসলিমদের বিষদগার করে। যেকোন স্থানেই তারা ভীন্ন ধর্মাবলম্বীদের মালাউন বলে গালমন্দ করতে দ্বিধাবোধ করে না। এমনকি সেখানে ভীন্ন ধর্মাবলম্বী কোন মানুষ আছে বুঝতে পারার পরও এই মুসলমানরা লজ্জিত হয় না, বরং ভীন্ন ধর্মাবলম্বীরা বিপথে আছে বলে তাকে ধর্মন্তরিত হবার পারমর্শ দেয়, আর তারা নিজ ধর্মকে সমর্থনমূলক কথা বললে তাদের পেতে হয় ভৎসনা। মুসলমান ভীন্ন অন্য সবার ধর্মকেই এখানে অবমাননা করা হয়। এখানে ভীন্ন ধর্মাবলম্বী সবাই হিন্দু হিসেবে পরিগনিত হয়। একজন বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট্রান বা আদিবাসী হলেও সাধারন সমাজ মনস্বত্ত্ব হল ‘সে হিন্দুই’। এমনকি একজন নাস্তিকও ওই সমাজে হিন্দু হিসেবেই পরিগনিত। মানুষ কতটা গন্ড মূর্খ এমনটা ভাবতে পারে তা বলাই বাহুল্য!
যাহোক, এসব আমি জেনেছি আমার জীবন থেকে, মানে দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে জেনেছি। এখানে হিন্দু ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ শৈশবের প্রারম্ভ থেকে থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিস্তৃত। হিন্দু বিদ্বেষ এ দেশের মুসলিম সমাজে একজন শিশু তার সামাজিকিকরন প্রকৃয়ার মধ্য থেকেই শেখে। আমি শৈশবে আমার খেলার সাথীদের কাছ থেকে শিখেছিলাম লাল রংয়ের পিপড়াঁ হিন্দু তাই কামড় দেয় এবং এর কামড়ে বিষ থাকে! আমি আমার পারিপার্শ্বিকতা থেকে শিখেছিলাম হিন্দুরা মারা গেলে ভুত হয় কেননা হিন্দুরা খারাপ মানুষ! আমার সব সহপাঠিই মনে করত ভুতেরা হিন্দু! সে সমাজে শিশুদের শেখানো হয়েছিল কবরস্থান পবিত্র জায়গা আর শ্বশান অপবিত্র জায়গা, তাই শ্বশানে ভুতের আঁখড়া! তাই শশ্বানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় সুরা পড়তে পড়তে যেতে হত সবাইকে পাছে যদি আবার ভুতে ধরে! আমার ছেলে বেলায় মক্তবে গিয়ে শিখেছিলাম মুসলমান মারা গেলে সাথে সাথে বলতে হবে ‘ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন’ (মৃত ব্যক্তি জান্নাতবাসী হোক) কিন্তু হিন্দু মরলে বলতে হবে ‘ফী নারি জাহান্নাম খালিদীনা ফীহা’ (মৃত ব্যাক্তি চিরকাল জাহান্নামের আগুনে পুড়ুক)! আমার কৈশোরে যখন যৌনতার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছিলাম তখন আমার এক সহপাঠির কাছ থেকে শুনেছিলাম যে কুমারী হিন্দু নারীর সাথে যৌন ক্রিয়া করলে নাকি বাতের ব্যাথা ভাল হয়ে যায়!
এ মুসলমান সমাজে একটি শিশু এসব শুনতে শুনতেই হিন্দুদের শত্রু হিসেবে নিজের অজান্তে দাঁড় করায়। ফলে এমন মনস্বত্ত্ব তৈরী হয় যে বড় হয়ে এসব মুসলমানের কাছে হিন্দু নারী ধর্ষন, মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর, ধর্মন্তারকরন এক একটা একটা পূন্য কাজ বলে মনে হয়। আমার ছেলেবেলায় দেখছি ভারত পাকিস্থানের ম্যাচে ভারত জিতুক বা হারুক যাই হোক আমার হিন্দু বন্ধুদের বাড়ীর চালে ডিল পড়েছে। খুব ছোট থেকেই দেখেছি মানুষ অনায়াসে হিন্দুদের ডান্ডি, ডেডা ইত্যাদি নামে ডাকছে। আমার এক বন্ধুর নাম ছিল সঞ্জিব, ওকে আমিসহ আমার বন্ধুরা অবলিলায় বলে দিতাম ‘কিরে হিন্দু তুই কালকে কই ছিলি’ এ জাতিয় কথা । মাঝে মাঝে ডান্ডিও বলতাম সামনা সামনি। সেও এধরনের সম্বোধন শুনে অভ্যস্ত ছিল। পরে বুঝেছি কিভাবে এই ধরনের সম্বোধন একজন মানুষের মাঝে ভয়ংকর ভাবে আদারনেস তৈরী করে।
আমি যখন খুব ছোট তখন আমাদের পাশের হিন্দু পাড়ার দিলিপ একদিন মুসলমান হল। সে বয়সে ঘটনার সারমর্ম যা বুঝেছিলাম আর যতটুকু মনে আছে সে অনুসারে বলা যায় দিলিপ অভাবের তাড়নায় এক রেলওয়ে কর্মকর্তা দেয়া চাকরির প্রলোভনে মুসলমান হয়েছিল। দিলিপের নতুন নাম হয়েছিল রুস্তম। পাড়ায় রুস্তমকে নিয়ে একটা উৎসব আমেজ তৈরী হল। রুস্তমকে সবাই দাওয়াত করে খাওয়ায়। অল্পদিনেই রুস্তম বেশ মোটাতাজা হয়ে উঠল কিন্তু শুকিয়ে গেল রুস্তমের দুই মেয়ে আর বউ, ওরা মুসলমান না হওয়ায় মুসলমানরা ওদের ডেকে খাওয়ায় না আর অন্যদিকে নিন্মবর্ণের হিন্দু প্রতিবেশীরাও রুস্তমের পরিবারের বোঝা বইতে পারে না। একদিন দেখি পাড়ায় রুস্তমের সালিশ বসেছে কেননা তাকে হিন্দু পাড়ায় তার ঘরে বউ-বাচ্চা সাথে সাথে রাত কাটাতে দেখা গেছে। সালিশে কি বিচার হয়েছিল মনে নাই। তবে মনে আছে, রুস্তমের পরিবারের উপর নেমে এসেছিল এক সংকট। একদিকে পরিবার মুসলমান না হওয়ায় রুস্তম পরিবারের কাছে যেতে পারে না। অন্যদিকে পরিবারের নেই কোন খোরাকি। এভাবে একদিন রুস্তমের বউ দুই মেয়েকে নিয়ে মুসলমান হতে হল। তাদের জন্য পাড়ায় নতুন খুপড়ি ঘর বানান হল। একদিন রুস্তমের চাকরিও হল। কিন্তু আবার বিপত্তি দেখা দিল কেননা রুস্তমের বউকে নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেল সে লুকিয়ে মন্দিরে যায়। এরপর আরো অনেক সালিশই হতে দেখেছি রুস্তমের বউয়ের মন্দিরে যাওয়া নিয়ে। কি বিচার হয়েছিল তাও ভুলে গেছি। অনেক ছোট ছিলাম সবকিছু মনে নেই ঠিকঠাক। তবে সমাজটা যে নিষ্ঠুর ছিল এটা বুঝেছিলাম। তাই ভুলে যেতে পারিনি এঘটনা কোনদিনই। বড় হয়ে বুঝেছিলাম এটা ছিল একটি জোর-জবস্তির ধর্মান্তরকরন। এরকম আরো হাজার হাজার ঘটনা আজো ঘটে চলেছে এদেশের আনাচ কানাচে।
আমার ছোটবেলার সেই পাড়া থেকে বেড়িয়ে এসে একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাম। এখানে এসে দেখলাম ভীন্ন ধর্মাবলম্বীদের আদারনেস প্রব্লেম আরো বড়। তাদের জন্য একেবারে আলাদা হলই। ৮৪ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি, নাম, যশ বেশ বেড়েছে কিন্তু ধর্মকেন্দ্রীক পৃথকীকরন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বের হতে পারেনি। তাই আজো অমুসলিম ছাত্রদের জন্য আলাদা আবাসন ব্যবস্থা এদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে। কয়েকদিন আগে শুনলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ নতুন একটি হল সব শিক্ষার্থীর উম্মুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে মুসলমান শিক্ষার্থীরা। যেদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ধর্মন্ধতা অস্তিত্বশীল সেদেশে সাধারন মানুষের মনস্তত্ত্ব কেমন তা সহজেই অনমেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে এসেছি বছর দশেক চলছে এখনও আশপাশ থেকে কানে ভেসে আসে ‘মালউনের বাচ্চাদের একপা ভারতে’ এজাতিয় কথা। এইতো সেদিন অফিসের এক প্রকল্প পরিচালক সম্পর্কে এক কলিগ অভিযোগ করল তিনি নাকি বলেছেন, তার প্রজেক্টে কোন মালাউন রাখা হবে না। সেদিন বাংলাদেশ-ভারতের খেলায় লিটন দাস ভাল পারফর্মেন্স না দেখানোয় পরিচিত একজন মন্তব্য করে বসল, নামের শেষে দাস আছে সে জন্যই দলে চান্স পেয়েছে। সেদিন তো একজন তর্কই জুড়ে দিল বাংলাদেশ নাকি ইসলামিক দেশ। তাকে কোনভাবে বোঝানো গেল না এদেশে প্রায় ১৫ ভাগ অন্য ধর্মের মানুষ বাস করে। বোঝানো যাবেই বা কিভাবে? সংবিধানে একদিকে লেখা আছে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আর অন্যদিকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। আর এ কারনেই পাশ থেকে একজন টিপ্পনি কেটে উঠল, ভাই কি ধর্ম নিরপেক্ষ নাকি?
কথায় কথায় প্রসঙ্গে অপ্রসঙ্গে ভারত দেশটার কথা আসবেই ! নিন্দা বা প্রশংসার ছলে দেশটার নাম বলার জন্য অনেককেই একগাদা করে ধন্যবাদ!
লেখককে জানাই, ওটা আপনার অভিজ্ঞতা ! কিন্তু দেশটার সমস্ত মানুষের মনের কথা নাও হতে পারে!
সকলের বক্তব্যই পড়লাম, বুঝলাম, ধর্ম আছে তাই ধর্মান্ধতাও । শরীর এর মধ্যেই ক্যান্সার জন্ম লয় । প্রতিরোধ গড়ে তুলুন সর্বতো ভাবে
সুস্থ সমাজ যদিও কখনো হবে না । কারন মানুষ কোনদিন নিঃস্বার্থ হবে না । আর ইতিহাস পড়ুন যদি আসল পাওয়া যায় , ওটাও বিকৃত ।
বাংলাদেশের অজপাড়া থেকে ঝা চকচকে শহরেও ধর্মীয় উগ্রতা বিদ্যমান। মানুষ এখানে ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকে প্রতিনিয়ত। কেউ সুযোগ পেলে চুরি করে, কেউ ধর্ষণ করে, কেউ লুটকরাজ করে আরও কত কী! তাই আমি এখন বর্তমানে মানুষদের ছদ্মবেশী মানুষ বলে থাকি ।।
আমি ধর্ম নিয়ে বলছি না, আপনি আপনার লেখেয় যেভাবে মানুষএর দুইটা ধর্ম নিয়ে লিখেছেন আসলে মানুষ হিসাবে মানুষের সাথে কখনো এমন করার কথা না
যদি ও করে থাকে তাহলে আমি ধরে নেব আপনার অই সমাজে আলোর অনেক অভাব ।। আসলেই অনেক অভাব
লেখাটা পড়লাম ভাল লাগল আবার খারাপ ও লাগল। ভাল লাগল এজন্য অনেক বাস্তবিক বিষয় তুলে ধরার কারনে। আর খারাপ লাগল প্রত্যেকটা দেশের সংখ্যা লঘিষ্টরা এভাবে সারা জীবন শোষিত হয় বা হবে এজন্য। আসলে এটা পৃথিবী ধংসের পূর্ব পর্যন্তই চলমান থাকবে।
@ লেখক:
আমার জীবনের একটি ঘটনা আপনার সাথে শেয়ার করি। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় বাধনের (সেচ্ছায় রক্তদান সংস্থা) যুক্ত ছিলাম। একবার ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকে একজন এলো তার রোগীর জন্য বি পজেটিভ রক্ত লাগবে (২ ব্যাগ)। আমি রিকুজিশন পেপার দেখেশুনে আমি ও আমার এক জুনিয়রকে সাথে নিয়ে সেই লোকের সাথে হাসপাতালে গেলাম রক্ত দিতে। ব্লাড-ক্যান্সার রোগী। রক্ত পরীক্ষার ফাকে লোকটি আমাদের রোগীকে দেখাতে নিয়ে গেলেন। রোগীর এক আত্মীয় (বয়স্ক লোক) আমাদের নাম ধাম শুনে আমাদেরকে নিতে আসা লোকটিকে চরমভাবে গালিগালাজ করলেন। এর কারন হিসাবে তিনি বললেন আমরা মুসলমান, আমাদের রক্ত নিলে তাদের পাপ হবে। বয়স্ক লোকটি একথা গুলো আমাদের সামনে অবলীলায় বলছিলেন। মনে হচ্ছিল হাসপাতালের মেঝে খুড়ে ঢুকে যাই। পরে রোগীর অন্য এক আত্মীয় এসে ওনাকে বুঝিয়ে ঠান্ডা করছে। আমরা কোন রকম ব্লাড দিয়ে হলে চলে আসি। হা লেখক ভাই আমি বাংলাদেশে থেকে এধরনের অভিজ্ঞতার সমুখীন হয়েছি।
গোড়ামী সব ধর্মের লোকের মধ্যেই আছে। আর এমধ্যেই এসব মেনে নিয়ে আমাদের বেচে থাকতে হবে। ভাল থাকবেন।
@নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, “সব ধর্মের লোকের মধ্যেই গোঁড়ামী আছে”-সত্য কথা। ধর্মীয় গোঁড়ামী আর সংখ্যালঘুর উপর নিপিড়ন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হলেও এক কথা না। বাংলাদেশ সহ এই উপমহাদেশে হিন্দু মুসলমান পরস্পরের ঘরে না খাওয়া, রক্ত গ্রহন না করা এসব বহুকাল ধরে এই সমাজে চলমান। এগুলো হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের অনেক পরিবারেই প্রবলভাবে বিদ্যমান। কিন্তু এই গোড়াঁমীকে মেনে নিয়ে সংখ্যালঘু নিপিড়নকে মেনে নেয়ার অর্থ হল সংখ্যালঘু নিপিড়নকে সমর্থন করা। আপনি যে গোঁড়ামীর জন্য মন:কষ্ট পেয়েছেন এটা খুব সাবজেকক্টিভ, কিন্তু এটা এসমাজের মূলে প্রথিত একটি সমস্যা। সংখ্যালঘু নির্যাতন./নিপিড়ন একটা দৃশ্যমান সামগ্রীক বিষয় এটা ধর্মীয় গোঁড়ামী থেকেই উদ্ভুত। আপনি যে এটা মেনে নিতে বলছেন সেটাও ধর্মীয় গোঁড়ামীই হল।
@ লেখক
“বাংলাদেশ সহ এই উপমহাদেশে হিন্দু মুসলমান পরস্পরের ঘরে না খাওয়া, রক্ত গ্রহন না করা এসব বহুকাল ধরে এই সমাজে চলমান। এগুলো হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের অনেক পরিবারেই প্রবলভাবে বিদ্যমান।” এখানেই আমি আপনার সাথে সম্পূর্ন একমত। আপনি নিশ্চয় চলমান সামাজিক প্রথা কে ভেঙ্গে বের করে মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার কথাটি মাথায় নিয়েছেন। একটি সামাজিক রীতি ভেঙ্গে ফেলার জন্য অন্তত এক প্রজন্মের দরকার হয়। বিষয়টি মনে হয়না এত সহজভাবে সমাধান করা যাবে।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয় যে, আমাদের সমাজে পারিবারিক মূল্যবোধের পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধের বিষয়টি এর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যদি সঠিক ভাবে ধর্মীয় শিক্ষা পেয়ে থাকি তবে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অবশ্যই কাজ করবে। কাজেই এধরনের সমস্যা সমাধানে সামাজিক ভাবে সকলে এগিয়ে আসতে হবে। এখানে নিজের ধর্মকে গালি দেয়ার কোন অর্থ আমি খুজে পাইনা।
@ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নিজধর্ম বা পরধর্ম বা ধর্মহীনতা বা ধর্ম নিরপেক্ষতা যে যেই মতবাদেই বিশ্বাসী হন না কেন সবারই নিজস্ব বিশ্বাসের অথবা অন্যের বিশ্বাসের সমালোচনা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকা দরকার। যেহেতু আমি মুসলিম সমাজে বড় হয়েছি তাই এসমাজ কিভাবে একজন মানুষের সামাজিকিকরন প্রকৃয়ায় সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ তৈরী করে তা আমার গোচরীভূত হয়েছে। এটা আমাদের সমাজের মনস্বত্ত্বে গভীরভাবে প্রথিত। হয়ত হিন্দু সমাজে বেড়ে উঠেছে এমন কেউ হিন্দু সমাজের মুসলমান বিদ্বেষ তার সমালোচনায় তুলে ধরছে। এ ধরনের সমালোচনা এবং গালমন্দ করা এক নয়। আপনার মন্তব্যের পর আবার লেখাটা পড়ে দেখলাম কোথায় আমি ইসলাম ধর্মকে গালমন্দ করেছি বলে দেখছি না। যাদের যুক্তি নেই ও যারা অসার তারাই গালমন্দ করে। আজকাল অনেকের একটা প্রবনতা লক্ষ করছি। মুক্ত আলোচনাকে গালমন্দ ভেবে নেয়ার প্রবনতা।
আমি বর্তমানে মুক্তমনায় বাংগালি বা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী মুক্তমনা যারা আছেন তাদের কাছে একটি প্রশ্ন করতে চাচ্ছি। তা হল ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ের পর বাংলাদেশী ভূখন্ডের ছিটগুলোর প্রায় নব্বই ভাগেরও বেশী হিন্দু অধিবাসী ভারতে চলে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় ছিটগুলোর মুসলমান অধিবাসীদের একজনও বাংলাদেশে আসতে চাননি।
যদিও আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু জানি দুই দেশেই ছিটগুলোতে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আমি ১৩ বছর ধরে ভারতীয় সেনাতে আছি। এখানে সর্ব-ধর্ম-স্থল হয় যেখানে রাধা-কৃষ্ঞর মুর্তির পাশে মক্কা-মদিনার ছবি থাকে,যিষুখৃষ্টের,গুরু নানকের। আরতীর শেষে বলা হয়—-ধর্মের জয় হোক,অধর্মের নাশ হোক,প্রানীদের মধ্যে সদ্ভাব হোক,বিশ্বের কল্যান হোক। এখানে মন্দিরে কোনো মুসলিম সৈনিক যদি টুপি পরে আসে বা সে নামাজ আদা করলে তার বিরোধিতা হয় এমন কোনোদিন দেখিনি। বরং বলা হয় নামাজের সামনে দিয়ে যাসনা। ইদের সময় ইফতিয়ার পার্টি দেয় হিন্দু সাথীরা। এখানে JKLI,JKRIFএর মতো মুসলিম পল্টন আছে। এর থেকে আর বেশী কিছু বলার প্রয়োজন হবে না আশাকরি?
জন্মের পর থেকেই ‘ লা ইলাহা ইল্লালাহ মুহাম্মদের রসুরুল্লাহ’ ক্রমাগত বলতে থাকলে বোধে কখনোই অন্য ধর্মের প্রতি, অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বোধ আসবে না বরং বড়দের কাছ থেকে অর্জিত বিধর্মী কাফের গালিই আয়ত্ব আসে বেশি!! তাছাড়া অনেক মওলানা, হুজুর ও ধর্মীয় প্রবক্তাদের কাছ থেকে অনেক মুসলিম ছেলে মেয়ে শৈশব থেকে এমন ধারনাই পেয়ে থাকে বেশি ।
আমারই হয়তো প্রশ্নটা আরেকটু খুলে করা উচিত ছিল । বিজেপি হিন্দুত্ব বাদী দল আমরা এটা জানি । কিন্তু তাদের কয়েকজনই উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা মুসলিম । কিন্তু জামায়েত ইসলামীতে হিন্দুদের ” হ ” ও নেই । আমি বলতে চাচ্ছি এবং আমার নিজস্ব মতামত যে বাংলাদেশের সকল হিন্দুদের বলা হয় ভারতে গেলে তাদের জীবন ধারনের জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে , তাহলে সকলে নাহলেও বেশীরভাগ মানুষ সেখানে চলে যাবে । কিন্তু পক্ষান্তরে ভারতের মুসলমানদের বলুন বাংলাদেশে আসলে এই দেশ তাদের সেই সকল সব সুযোগই দেবে । আপনাদের কি মনে হয় ? কজন আসতে চাইবে ? এর কারন। কি ?
প্রথমত… বিজেপির সাথে জামাতের তুলনাটি ঠিক হোল না… সেখানে যেমন হিন্দু নেতা নেই তেমনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কি বজরং দলে একটিও মুসলিম নেতা বা কর্মি নেই। বিজেপি কে ভোট আদায় না করতে হলে সেখানেও থাকত না। তবে একথা সত্য ভারতের অবস্থা নানান অসুবিধে থাকা সত্বেও বাংলাদেশের থেকে কিঞ্চিৎ ভালো…এখানকার সংখ্যালঘুরা ওদেশের সংখ্যালঘুদের থেকে কিন্তু মোটের ওপর নিরাপদ। এটা ভুলে গেলে চলবে না ভারতের কিন্তু কোন স্টেট রিলিজিয়ন নেই… ফলে সাংবিধানিক ভাবে রাষ্ট্র দুম করে ধর্মিয় ব্যপারে নাক গলাতে পারে না…
একটা প্রশ্ন ছিল সবার কাছে । যদি দয়াকরে উত্তর দেন । ” বিজেপি দলে কি কোন মুসলমান নেতা নেই ? পক্ষান্তরে আমাদের অবস্থা ?
আপনার প্রশ্নটার সুন্দর উত্তর দেয়া যায় আপনাকে আর একটা প্রশ্ন করে। বাংলাদেশে কি বিএনপিতে কোন হিন্দু নেতা নেই বা হিন্দুরা কি বিএনপি করে না?
অবশ্যই আছেন। BJP তে ঊচ্চ পদাসিন দুইজন হলেন, মুখতার আব্বাস নাকভি এবং সেইদ শাহনওয়াজ হুসাইন। প্রথমজন বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, ও দ্বিতীয়জন প্রাক্তন মন্ত্রী। দুজনেই ব্যপক ত্যানা প্যাঁচান।
ভাত ছরালে কাকের অভাব হয় না বলে একটা কথা আছে না?
ভারতে BJP আসার পরে হিন্দু মৌলবাদীদের দাপাদাপি বেড়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু এর দ্বারা কি মুসলমানদের অবিশ্বাসী দের প্রতি ঘৃণার কোনো তুলনা হয় ?
১) কোনো হিন্দু মন্দিরে, হরি সভায় , কীর্তনের আসরে কি কখনো অন্য ধর্মকে অপমানজনক কথা বলা হয় ? কিন্তু কে না জানে মসজিদের অন্যতম কাজ হলো হিন্দু সমেত অন্য ধর্মকে অপমান জনক কথা বলা। বিছিন্ন ভাবে হিন্দুরা কেউ কেউ মুসলমানদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলে। কিন্তু বাক্তিগত ভাবে বলা আর সংগঠিতভাবে বলা কি এক হলো ?
২) বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পরে সারা দেশে BJP নির্বাচনে ক্ষমতা লাভ করে। কিন্তু লক্ষ করুন ওই সময় পশ্চিম বঙ্গে BJP দাঁত ফোটাতে পারে নি। অন্য প্রদেশে কিছু হলে বাঙালি হিন্দুরা তার জন্য কতটা দায়ী ?
৩) সারা পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখুন। IS , বকো হারাম, পাকিস্থানে -বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখা দৃষ্টিকটু ভাবে কমে যাওয়া , এমনকি ভারতে গত জনগননা অনুযায়ী সতাংশ হিসাবে মুসলমান জনসংখা বেড়ে যাওয়া , এ সবের কি কোনো প্রভাব দেশে পড়বে না বলে মনে করেন ?
দুই সম্প্রদায় দায়ী , এই কথা বললে অতি সরলীকরণ হয়।
বিজন বাবু… আমি গুজরাটে থাকি…চাকরী সুত্রে। কলকাতা কে দেখে সারা ভারত কে ক্লীনচীট দিয়ে দেওয়াটা মোটেও যুক্তি সঙ্গত নয়। এখানে বরদা আহমেদাবাদ শহরে প্রকাশ্যে হাউসিং সোসাইটিতে লেখা থাকে যে কোন মুস্লিম কে ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া বা বিক্রী করা যাবে না। এটা কোন সভ্য সেক্যুলার আচরন নয়। তবে আমাকে এটাও স্বীকার করতে হবে এসব সত্ত্বেও ভারতে একটা স্থিতাবথা আছে। একটা মানিয়ে গুছিয়ে চলা ব্যাপার আছে। আর এক্সট্রিমিস্টদের অনুপাত বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। মানে আমাকে নাস্তিক মত প্রচারের জন্য বা হিন্দু ধর্মের সমালচোনা প্রকাশ্যে করার জন্য বিদেশে নির্বাসিত হবার কথা ভাবতে হয় না…
@অনিন্দ্য বাবু আর একটু যোগ করি। আমি দিল্লী বাসি, এবং এর আগে দাক্ষিণী রাজ্য গুলিতে কাটিয়েছি। বাড়িওয়ালারা শুধু মুসল্মান নয়; অনেক সময় এমনকি আমিষাশীদের (হিন্দু হলেও) ও ভাড়া দিতে চান না।
আপনার বক্তব্যর সাথে একমত।
ঋতব্রত
আপনারা যারা তর্ক করছেন তারা একটা অংশ নিজের অজান্তে ন্যায় আর অন্যায় কে গুলিয়ে ফেলছেন। ধরে নিলাম ভারতের হিন্দুরা সবাই bjp করে আর ভারতের মুসলমানদের উপর অত্যাচার করছে। তাহলে আমাদের বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত তার প্রতিবাদ করা, আন্দোলন করা, যাতে আন্তর্জাতিক ভাবে ভারত কে সবাই বয়কট করে। বর্মা তে বাঙালি মুসলমানদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তার জন্য যদি বাংলাদেশের বৌদ্ধদের ওপর হামলা করা হয় তাহলে পার্থক্যটা কোথায় থাকে? আপনি যখন এসব তর্ক করেন তখন নিজের বা অন্যের অন্যায় কে আপনি সাপোর্ট করছেন। যুগ যুগ ধরে শাসকরা ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেছে এর বাইরে আর কিছু না। আপনি নিজেও ভালো করে জানেন এই কথাগুলো নয়তো দেওয়ানবাগির কথা শুনে আপনি কেন নিরব থাকেন? কেন IS এর বিরুদ্ধে কিছু বলেন না? তাইলে কি আপনি এদের সাপোর্ট করেন?
@ঈশাণ কোন
আমরা ১৯৪৭ এর আগে ভারতেরই অংশ ছিলাম, বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশের বসবাসকারীদের চারিত্রিক দোষগুন একই রকম, এখানে ধর্মের কোনই ভেদাভেদ নেই,
বাংলাদেশেও অনেক লোকেই ক্ষেতে গিয়ে শৌচকাজ করে, আপনি শহরে বসবাস করেন বলেই হয়ত দেশের বৃহত্তর জনগোস্ঠীর খবর জানেন না
মন্তব্য… আমাদের ধর্ম কখনো বাড়াবাড়ির আনুমতিও দেয় না।
যথার্থ বলেছেন।। ধর্মটা আগে ভালভাবে পরেন। শুধু অনুমতি কেন? নির্দেশ দেয়া আছে। আমিও একজন মুসলিম, আগে গর্বিত হতাম। শুনেছিলাম ইসলাম মানে শান্তি। এখন দেখি হুমকি মানব অস্তিতের।
যাবতীয় মুক্ত চিন্তা শুধু মুসলামদের খারাপ বলা আর ইসলামকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করারই নাম তাই না?
মুক্তমনা হওয়া মানে খালি টিনের চশমা পরে বিশেষ একটি ধর্মের বিরোধী করাকে বলে না, মুক্তমনা হতে হলে সব কিছুর উর্ধ্বে যেয়ে মুক্ত ভাবে চিন্তা করতে হয়
মন্তব্য…@বাংলাদেশী
অন্য দেশে কুকাজ চলছে তাই নিজের নিজের দেশের আকাম যায়েজ।। কি অসাধারণ আপনার চিন্তা!!
অফটপিকঃ
ভারতের অধিকাংশ মানুষ ল্যাটরিন ব্যবহার করে না।। এই যুক্তিতে আপনিও বাগানে যাওয়া শুরু করে দেন।।
এ দেশের মুসলিম দের আপনার ভাল লাগে না এতে আমি মোটেও আশ্চার্য হই নি। কারন ভারতে যেমন রাত দিন বিনা আপরাধে RSS BJP গং রা মুসলিম দের হত্যা করছে জোর করে হিন্দু বানাছে আমরা তো আর তা করতে পারি না । কারন আমরা মুসলিম । আমরাও যদি তা করতাম তবে আপনার আমাদেরকে খুব ভাল লাগতো। আমাদের ধর্ম কখনো বাড়াবাড়ির আনুমতিও দেয় না।
@ ইউ কুং, আমি হিন্দুও না ভারতীয়ও না কেন আমাকে ভারতে কি হচ্ছে সে গীত শােনাচ্ছেন? যাহোক, গীত যেহেতু গাইলেনই তাহলে বলি শোনেন, ভারত কোন হিন্দু দেশ না। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সে দেশে ১৭ কোটি মুসলিম বাস করে যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার চেয়ে এক কোটি বেশী। একক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত দ্বিতীয় দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশী মুসলিম জনেগাষ্ঠী। আপনার তথ্যের জন্য বলি শোনেন, ভারতে হিন্দুরা মুসলমানদের মারলে মুসলমানরা আঙ্গুল চুষতে চুষতে বসে থাকে না। ভারতের মুসলিমরা যে আঙ্গুল চোষে না তার একটা উদহারন দেই, গুজরাট দাঙ্গায় ৭৯০ জন মুসলিম আর ২৫৪ জন হিন্দু মারা গিয়েছিল। সুতরাং প্রতি ৩ হিন্দু মৌলবাদীর জন্য এক মুসলিম মৌলবাদীর জীবন গিয়েছিল। কিন্তু আপনারা বাংলাদেশের মুমিন মুসলমানরা খুব ভাগ্যবান। আপনারা মন্দির, প্রতিমা ভাঙ্গেন নির্বিচারে, ধর্ষন করেন সংখ্যালঘুদের সুযোগ পেলেই আর দাঙ্গা ভারতে হলে তো হিন্দুরা কচুকাটা হয়। বার্মাতে মুসলিম মারা গেলে এদেশে বৌদ্ধরা কচুকাটা হয় কিন্তু তাদের এত সাহস নেই যে পাল্টা আঘাত করবে। কেননা আপনারা তাদের এত বেশি নিপিড়ন করেছেন যে তাদের বেঁচে থাকাটাই দায় এখানে। পাল্টা জবাব তো দুরের কথা। হিন্দুদের পক্ষে কথঅ বললে ভারতের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে কারা জানেন? পকিস্থানিরা আর আমাদের দেশের রাজাকাররা।
আপনার এসব ভালো না লাগলে ভারতে চলে যান, ওখানেও একই জিনিষ দেখবেন, তবে ভিন্নতা হচ্ছে, ভারতে একইরকম শোষন করছে হিন্দুরা আর শোষিত হচ্ছে মাইনরিটির ধর্মাবলম্বিরা
ভারতীয় নাস্তিক গোবিন্দ পানসারে , নরেন্দ্র ধাবলকার, সতিশ শেঠি, মাল্লেশাপ্পা কালবুর্গির হত্যাকারী কারা? একটু ভেবে বলুন
“আপনার এসব ভালো না লাগলে ভারতে চলে যান, “
লেখককে ভারত যাবার পরামর্শ দিচ্ছেন তবু নিজেদের শোধরানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারছেননা!
@বাংলাদেশী
শুনেন দাদা আপনি যে ভাবে মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর উপর দোষারোপ করলেন তা কিন্তুু পুরোপুরি সত্য নয়।আমি অনেক দিন হিন্দু জাতিগোষ্ঠীদের সাথে বসবাস করেছি কাজে আমি কিছুটা হলেও জানি।আমার পাড়ায় অনেকেই আছেন হিন্দু পরিবার।আমি ফ্রেন্ডদের সাথে একটা কথাই বলি সেটা ভারতীয় হিন্দুদের চেয়ে আমাদের দেশে হিন্দুরা অনেক ভাল, আমি অনেক দিন ভারতীয় সেনাদের সাথে ছিলাম সে আলোকেই বলছি কথাটা।আপনাদের অনেক গুলো কাজ আছে যা আমাদের মুসলিম সমাজে নেই যেমন কর্মই ধর্ম, মানে হিন্দুরা কর্মে ফাঁকি দেয় না।যা আমরা সচরাচর করি না। হিন্দুরা কাউকে ওজনে কম দেয় না যা মসলমানরা সচরাচর করে থাকে।দেখুন দাদা ধর্ম বর্ণ অবশেষে মিথ্যা হিংসা হানাহানি অতিতেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনি যেমন এখানে সাচছন্দ বোধ করছেন না ঠিক ভারতেও মুসলিমরা সাচছন্দ বোধ করে না।তার প্রমাণ আমি নিজেই। অনেক ভারতীয় মুসলিম সেনা যারা ইচ্ছা থাকলেও গরুর মাংশ খেতে পারে না।আমি লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের গরুর মাংশ খেতে দিতাম। বলতে চাচ্ছি সংখ্যালঘু জাতি গোষ্ঠীর বৈশম্য চিরদিনই থাকবে। তর্ক করলে শেষ হবে না।ধন্যবাধ আপনাকে।
শওকত ভাই, আপনি মনে হয় আমাকে হিন্দু ভাবছেন। আমি হিন্দু হিসেবে এদেশে অস্বাচ্ছন্দ্যেবাধ করছি তা কিন্তু লিখিনি, বরং আমি যে মুসলমান পরিবারে জন্মেছি তার স্পষ্ট ইঙ্গিত আমার লেখায় আছে। যেমন ধরেন আমি লিখেছি ছোট বেলায় আমি মক্তবে গিয়েছি, হিন্দু বন্ধুদের হিন্দু বলে গালাগাল করেছি এসব। আমি মুসলমান সামাজে থেকে হিন্দুদের প্রতি যে বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দেখেছি তা নিয়ে লজ্জিত হয়ে লিখেছি। যাহোক ভাই কেন যে হিন্দুদের নিয়ে আলােচনা হলেই এদেশের মানুষ ভারতকে টানে বুঝিনা। ভারতে হিন্দু সেনারা প্রকাশ্যে গরুর মাংস খেতে পারে না তাতে বুঝি বাংলাদেশের হিন্দুদেরই দায়! আর কর্মে ফাঁকি না দেয়া, ওজন ঠিক দেয়া এসব মানদন্ডে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন না করাই ভাল। সব জায়গাতেই ভাল আর মন্দ আছে। যিনি কাজে ফাঁকি দেন না বা যে দোকানদার ওজন ঠিক মাপে তিনি ভাল হিন্দু বা ভাল মুসলমানের চেয়ে বরং একজন ভাল মানুষ। আমাদের সকলেরই দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো উচিৎ।
আমার লেখার সাথে আমার ভারত চলে যাবার সম্পর্ক কোথায় তা বুঝলাম না। আমি তো বাঙালী মুসলমান সমাজের হিন্দু তথা ভীন্ন ধর্মবলম্বীদের নিয়ে যে ধর্মন্ধতা নির্ভর ঘৃনা তা নিয়ে লিখেছি। আমি তো আমার লেখায় কোথাও ভারত বন্দনা করিনি। তাহলে কেন আমি ভারত যাব, বলুনতো? নাকি আপনি হিন্দু ধর্ম এবং ভারতকে সমার্থক মনে করেন। আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে তাই। মানে ধর্মান্ধ মুসলিম সমাজের হিন্দু বিদ্বেষের প্রতিফলনই ঘটেছে আপনার মন্তব্যে। মানে আমি যাদের নিয়ে লিখেছি আপনিও একই কাতারের মানুষ। আর হ্যাঁ আপনার প্রশ্নের উত্তর হল ভারতের নাস্তিক লেখকদের হ্ত্যাকারীরাও ধর্মান্ধ। আপনার একই লাইনের মানুষ। পার্থক্য শুধু তারা উগ্র হিন্দুত্ববাদী আর আপনি উগ্র ইসলামপন্থী।
মার্জনা করবেন শ্রী বাংলাদেশী। আমি এক জন ভারতীয়। এবং কোন রকম অন্ধ দেশপ্রেম আমার নেই। আমি অবশ্যই স্বীকার করে নেব যে সংখালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের যে এখানে বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতা সইতে হয় না একথা বলা যায় না। তবে বিরাট আয়তনের এই দেশে বিভিন্ন জায়গায় তার তীব্রতা কম বা বেশী। এখানে RSS আছে, বজরং দল বা শিবসেনা, BHP এবং সর্বোপরি BJP আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও ভাগ্যক্রমে একটা স্থিতাবস্থাও আছে। এখানে মুক্তচিন্তক খুন হন। তবে এটা মান্তেই হবে সেই সংখ্যাটা বাংলাদেশের থেকে অনেক ছোট। এখানে কদিন আগে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ঘর বাওয়াপ্সি নাম দিয়ে উত্তর ভারতের মুসল্মান্দের ধরে হিন্দু করে দেওয়ার চেষ্টা চলেছিলো। কিন্তু আবার বলতেই হবে সেটা সারা দেশের লোক বিরোধীতাও করেছিল। অন্তত শ্রী বাংলাদেশ এই মোদ্দা কথাটা আপনাকে বলি নানান ম্যাসাকার হওয়া সত্ত্বেও এদেশে মুসলিমরা দিন রাত প্রাণভয়ে থাকেন না। এটা কোন বিদ্বেষ বা দেশাত্মবোধের কথা নয়। এটি অব্জেকটিভ ঘটনা।
জনাব অনিন্দ্য
আপনি বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন, বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাস্তিক প্রাণ হারিয়েছেন হিন্দু ধর্মের সমালোচনা করার জন্য্, আপনি নাস্তিক হলে আপনিও সংখ্যালঘু এবং আপনারও প্রানের সংশয় আছে ভারতীয় হিদুদের হাতে
আমায় মার্জনা করবেন শ্রী বাংলাদেশী। প্রথমেই একটি কথা আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে বাংলাদেশের প্রতি আমার কোন রকমের-ই বিন্দুমাত্র বিদ্বেষ নেই যেমন ভারতের প্রতি কোনরকম অন্ধ দেশপ্রেম বা পক্ষপাত বা আদিক্ষেতা নেই যার জন্য আমি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করব। বস্তুত এই লেখাটির ই অপর একটি মন্তব্যের (শ্রী বিজন বসু মহাশয়ের) রিপ্লাইতে আমি ভারতকে ক্লিনচিট দেওয়ার আমি বিরোধীতা করেছি। আমি মোটেও ভুলে যাইনি গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টাইনস্ হত্যা, ভুলে যাইনি ২০০২ এর গুজরাট দাংগা এবং এই লজ্জা যে সেই দাঙ্গার প্রধান রূপকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ভুলে যাইনি দাভাল্কর, কুল্বার্গীর হত্যা। কিন্তু এতদসত্ত্বেও ভারতের জনসংখ্যা, আয়তন ও এই কুতসিৎ ঘটনা গুলির ফ্রিক্যোয়েন্সির অনুপাত বাংলাদেশের থেকে কিঞ্চিৎ কম। যেমন আমাকে নাস্তিক হওয়া বা নিরীশ্বরবাদ প্রচার করার জন্য নিয়ত প্রাণভয়ে থাকতে হয় না। কিন্তু আমার বাংলাদেশী ফেসবুক বন্ধুবর শ্রী আশিকুর কে আমার সাবধানে থাকার কথা বলতে হয়। আমি ফেসবুকে কোন হুমকি বা ওই জাতিয় কিছু এখন-ও পাই নি কিন্তু তিনি পান।এবং বেশ নিয়মিতই পান। নানান কুৎসিত বিরোধীতা ও আহাম্মকের মত প্রতিবাদ ইত্যাদির পরেও ন্যাংটো স্বরস্বতী আঁকার জন্য ফিদা হোসেনকে প্রানভয়ে দেশ ছাড়া হতে হয় নি।তিনি স্বাধীন ভাবেই জীবন যাপন করেছেন। এটি অনস্বীকার্য যে সংখ্যালঘুরা নানান সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা ও বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন। কিন্তু মোটের ওপরে আসমুদ্রহিমাচলে তাঁরা বিপজ্জনক ভাবে থ্রেটেন্ড নন। বা নিজ ধর্ম পালনে বাধাপ্রাপ্ত হন না। খেয়াল করবেন আমি বলছি মোটের ওপর। দয়া করে ভাববেন না যে আমি ভারতকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছি। শুধু যতটা সম্ভব নির্মোহ ভাবে বোঝার চেষ্টা করছি। যতটা সম্ভব অবজেক্টিভলি ফ্যাক্ট তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বোকামি তে আমার কোন আপত্তি নেই… তবে স্বর্গে বাস করি(সে বোকার হলেও)এমন ধৃষ্টতা অন্তত আমার সাজেনা। ধন্যবাদ।
জনাব অনিন্দ্য
যেনে খুশি হলাম যে আপনি নির্মোহ ভাবে বোঝার চেষ্টা করেন। তবে এটুকু বুঝতে হবে, বাংলাদেশের নাস্তিক হত্যা আর ভারতের নাস্তিক হত্যা একই ধরনের ধর্মীয় রাজনীতির সূত্রে গাথা নয়। বাংলাদেশের নাস্তিক হত্যার পিছনে গভীর রাজনৈতিক চালবাজি আছে, গুটিখানেক নাস্তিক হত্যা করে একটা তৃতীয় বিশ্বের দেশের মেজরিটির ধর্মকে সন্ত্রাসবাদী বানানোর প্রচেষ্টা এখানে বিদ্যমান, এর ফলাফল হিসাবে সাধারন বাংলাদেশীদেরকেও এখন হিংস্র সন্ত্রাসী সাজানো হচ্ছে, এই লেখকের লেখাটি এরই একটি প্রচেষ্টা। কিন্তু যেখানে ভারতীয় নাস্তিক হত্যা শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মের বিরোধীতা করা জন্য হয়েছে, তার জন্য সাধারন হিন্দুদেরকে হিংস্র সন্ত্রাসী সাজানো হয়নি, ভারতীয় নাস্তিক গোবিন্দ পানসারে , নরেন্দ্র ধাবলকার, সতিশ শেঠি, মাল্লেশাপ্পা কালবুর্গির হত্যাকারীদের জন্য হিন্দু ধর্মের ধর্মান্ধতা ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গাদাখানেক পোস্ট আসেনি মুক্তমনাতে। বাংলাদেশের জনগন ভারতের তুলনায় কম শিক্ষিত ও গরীব, তা সত্তেও এইসব কুতসিৎ ঘটনা গুলি ভারতেই আগে ঘটেছে, গ্রাহাম স্টুয়ার্টের হত্যাকারী আরও দুই জন মুসলিম এবং খ্রিস্টানকে হত্যা করেছিল সেটা পেপারে আসেনি। সব কুতসিৎ ঘটনা গুলির ফ্রিক্যোয়েন্সির ঠিক মত উপাত্ত নিলে পুরো উপমহাদেশটাকেই জাহান্নামের মত দেখাবে, এটাই করুন বাস্তবতা
আমার প্রগল্ভতা আবার-ও মার্জনা করবেন শ্রী বাংলাদেশী। যে সব কুৎসিত খবর আমি বা আমার পরিচিত লোকজন এখানে বসে জানতে পারি না, যেটা জানলে এদেশ কে জাহান্নম বলে মনে হবে তা আপনি আমার থেকে অন্তত দূরে থেকে এবং একটি রাজনৈতিক সীমান্তের বাধা থাকা সত্ত্বেও কি করে জেনে ফেললেন সেইটাই আশ্চর্য লাগছে।
আপনার এই গুটিখানেক নাস্তিক হত্যা… এই ধরুনঃ
1. আসিফ মইনুদ্দিন জানুয়ারি, ২০১৩
2. রাজীব হায়দর ফেব্রুয়ারি, ২০১৩
3. সাইফুল ইসলাম ২০০১৪
4. অভিজিত রায়, ফেব্রুয়ারি ২০১৫
5. ওয়াসিকুর রাহমা, মার্চ, ২০১৫
6. অনন্ত বিজয় দাস, মে ২০১৫
7. নিলয় নীল, আগস্ট, ২০১৫
গুটিকতক ই তো বটে! সাত মাসে চারজন ব্লগার খুন… মাত্র চারজন! আর এগুলো যা আমাদের খবরের কাগজে বেরিয়েছে…যা ইন্টারনেটে নথিবদ্ধ। এর বাইরে অপ্রকাশিত কিছু হয়ে থাকলে সে আপনি জানবেন ভাল…কিন্তু এই সর্বজনগ্রাহ্য তথ্যটি-ই তো যথেষ্ট। আমার মনে হয়। বাস্তবটা স্বীকার করার সময় এসেছে। বোকার স্বর্গটা কোথায় রচিত হচ্ছে সেটা বোঝাটা জরুরি।
আপনি তো মশাই ভয়ানক, মিছামিছি জ্যান্ত লোককে মৃত ঘোষনা করে দিলেন বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডার জন্য!
ভারতের মতো একটা নিউক্লিয়ার ক্ষমতাধারী ধনী দেশে যদি মাল্লেশাপ্পা কালবুর্গিকে গুলি খেয়ে মরতে হয়, কে এস ভগবানকে বজরং দল টুইট করে বলে “তুই নেক্সট” , সেখানে বাংলাদেশের মতো গরীব দেশে চারজন ব্লগার হত্যাকে আমি গুটিখানেকই বলব। আমরা ত্রিশ লক্ষের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কেনা লড়াকু জাতি, মৌলবাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য চারজন কেন, চারশ, চার হাজার এমনকি চার লক্ষ ব্লগার মরে গেলেও আমরা মাথা নত করব না।
আপনি আমার যুক্তি হয়ত বা বুঝবেন না। হিন্দিভাষীদের আন্ডারে পরাধীন পশ্চিমবাংলার মানুষেরা আমাদের জাতির লড়াইকে কোনদিনই বোঝেনি।
বালাই ষাট আসিফ আমার বন্ধু! … আপনার মন্তব্য পড়ে দেখলাম সত্যি লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে আসিফ-সইফুল ও মৃতের তালিকায় ঢুকে গ্যাছে…এটি আমার -ই লেখার ত্রুটি। আমি আক্রান্ত হিসেবে ওদের নাম টা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে আপনি যেটা বুঝতে চাইছেন না সেটা হোল ভারতের পরমানু গবেষনার আমি সমর্থন করছি না…আমি মুক্তিযুদ্ধ বা ভাষা আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধাবনত না হওয়ার কথা ভাবতেও পারি না… কিন্তু আপনি যেটা করছেন সেটা অন্ধ দেশপ্রেম যাতে প্রেম এর থেকে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ বেশী… আমি মশাই কুলাঙ্গার… আমার দেশপ্রেম নেই…যার যেটা খারাপ সেটাও বলি যেটা ভালো সেটাও বলি। আমার একটি মন্তব্যেও কিন্তু আমি বজরং দল, শিবসেনার বিজেপির গুনগান করিনি… বারম্বার বলছি এ গুলি চরম কুতসিৎ কিন্তু আপনি সেই এক কথা কয়ে যাচ্ছেন…আর নরেন মোদির প্রধান মন্ত্রি হওয়া একটি জাতিয় লজ্জা। কিন্তু এ গুলো কখনই তুলনামুলক ভাবে বাংলাদেশের ট্র্যাজেডিগুলো কে লঘু করে না… আর মার্জনা করবেন …।আমি এইটে মেনে নিতে পারলুম না আপনার দেশে আপনি মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন…
এই কথা যিনি বলেন…তিনিই মৌলবাদের বিরুদ্ধে মাথা নত করে্ন না ও লড়াই করেন এবং মৃত্যুবরন পর্যন্ত করতে পারেন এটা মনে করা অন্তত আমার পক্ষে কঠিন। মৌলবাদের সাথে লড়তে গেলে সেটাকে স্বীকার করতে হয়… আপনার উদ্ধৃতিতে তা দ্যাখা জাচ্ছে না যদিও শেষ বেলায় পরোক্ষে স্বীকারও করে নিলেন যে বাংলাদেশে মৌলবাদ আছে… মৌলবাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য চারজন কেন, চারশ, চার হাজার এমনকি চার লক্ষ ব্লগার মরে গেলেও আমরা মাথা নত করব না।
নরেন মোদির প্রধান মন্ত্রি হওয়া একটি জাতিয় লজ্জা??????
@বাংলাদেশী, বাংলাদেশের নাস্তিক হত্যা আর ভারতের নাস্তিক হত্যা মোটেও এক বিষয় নয়। বাংলাদেশের নাস্তিক ব্লগার হত্যা আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত। আলকায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা ইতিমধ্যে বাংলদেশের নাস্তিক বুদ্ধিজীবি হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এটা সরাসরি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সাথেও সংশ্লিষ্ট (যদিও এটাই একমাত্র কারন নয়)। কেন বাংলাদেশে গনজাগরন মঞ্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার কয়েকদির পর মঞ্চের কর্মী ব্লগার রাজিবকে হত্যা করা হল? এর আগে কি বাংলাদেশে নাস্তিক ব্লগাররা লিখেনি। এর আগে কি নাস্তিকরা অন্যকোন অন্দোলনে অংশগ্রহন করেনি? তখন কেন এসব বিষয় সামাজিক যোগােযাগ মাধ্যমে নাস্তিক ঘৃনার ঝড় ওঠেনি যেহেতু সব যুদ্ধাপরাধীরদের ফাঁসির দাবীতে ব্লগাররাই গনমানুষকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল তাই এই আন্দোলনে মানুষের গনমানুষকে বিভক্ত করে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত হিসেবেই নাস্তিক-আস্তিক ডায়কোটমিকে জনপ্রিয় করা হয়। আর রাজিবকে হত্যা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে রাজিবের মুক্তচিন্তা লেখাকে ঘৃন্য উদ্দেশ্যে প্রচার করে। যার ফলে মৌলবাদী গোষ্ঠী ব্লগারদের নিকৃষ্ট ও হত্যাযোগ্য হিসেবে অনেকের মনেই ধরনা প্রথিত করতে সক্ষম হয়। তাই মানুষের একটা অংশ নাস্তিক ব্লগার হত্যাকে এখন পূন্যকাজ মনে করছেন আর মৌলবাদীদের ঢাকঢোল বাজাচ্ছে। এই সুযোগটাই নিয়েছে এখন আন্তার্জাতিক ইসলামিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠিগুলো। নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা করে এরা একদিকে ধর্মন্ধ জনগোষ্ঠির একটা অংশের বাহবা নিচ্ছে আর ক্রমে বাংলাদেশে নিজেদের অস্তিত্বকে শক্তিশালী করছে।