১। গত শনিবার ২৯ আগস্ট ৩8তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে ।এবার সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে অবাক করা বিষয় হল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা একজন ছাত্র প্রথম হয়েছে । এটা অনেকেই মানতে পারছেন না। কিন্তু না মানার কোন গ্রহন যোগ্য যুক্তিও তারা দেখাতে পারছে না। একারনে সমগ্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপরই অনেকে ক্ষিপ্ত। যারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তারা নিজেদের একেবারে আকাশে তুলে বেসরকারির ছাত্রদের তুচ্ছতাছিল্য করা শুরু করে। বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলকে কেন্দ্র করে মুল সমস্যার দিকে নজর না দিয়ে এসব কাদাছোড়াছুড়ি একেবারেই অগ্রহনযোগ্য। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটি যে নিজের যোগ্যতায় প্রথম হয়নি বা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদের নির্বাচনও ফেয়ার হয়নি- একথা অনেকেরই বুঝতে কষ্ট হয়।
যে ছাত্রটি প্রথম হয়েছে তার একটি ফেসবুক পোস্ট দেখি।
এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয়, সে স্বীকার করেছে দুইজন পিএসসি সদস্য তার পরিচিত। একজনের সাথে তার সরাসরি কথা হয়েছে। সদস্য তাকে তার প্রথম হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। একজন পরীক্ষার্থীকে তার ফলাফল জানানো দোষের কিছু না। বহুদিন আগে আমি তথ্য অধিকার আইনে বিসিএস পরীক্ষা ফলাফলের উপর তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। পিএসসির আইনজীবী ও তথ্য কর্মকর্তা যে যুক্তিগুলো দেখিয়ে তথ্য দিতে বিলম্ব করে পরে আর কোন তথ্যই দেয়নি সেগুলো হল-
১। তথ্য দিতে হলে বোর্ড মিটিং করা দরকার
২। পুলিশ প্রহরাধীন কক্ষে তথ্য থাকে
৩। পিএসসির চেয়ারম্যান দেশের বাইরে
উপরোক্ত ছাত্রটির ক্ষেত্রে সে সমস্যা হয়নি, সে ফোনে চাহিবামাত্রই দিতে বাধ্য থেকেছে পিএসসি। পিএসসির এ ধরনের অবস্থান পরিবর্তন একটা ইতিবাচক দিক। আশা করি ভবিষ্যতে সবাই এর সুফল পাবে।
২। ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটে। সে বছর চট্টগ্রাম ক্যান্টনম্যান্ট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষার বানিজ্য বিভাগে ১ম স্থানসহ বেশ কয়েকটি স্থান দখল করে ঐ কলেজের কয়েকজন ছাত্র। পরে মহসিন কলেজের শিক্ষকদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয় সেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার জন্য। ইতিমধ্যে প্রথম হওয়া ছাত্র পত্রিকায় সাক্ষাতকার দিয়েছে সে কত ঘন্টা লেখাপড়া করেছে, কিভাবে পড়াশুনা করলে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর মহসিন কলেজে শিক্ষকদের উদঘাটন করা তথ্যে জানা যায় ঐ ছাত্রসহ আরো কয়েকজন ৩ ঘন্টা পরীক্ষার হলে কিছুই লেখেনি, বসেছিল। ঐ কলেজেরই কয়েকজন শিক্ষক পরে তাদের খাতা বের করে তাদের লেখার সুযোগ করে দেয়। এ রকম ঘটনা আরো কয়েকজন ছাত্রের ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ইতিমধ্যে প্রথম হওয়া ছাত্র বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যায় উচ্চতর গবেষনা করে মানব জাতির কল্যানের জন্য।এ প্রসংগ হয়ত এখানে বেমানান । কিন্তু বাংলাদেশের পাবলিক পরীক্ষায় এ ধরনের ঘটনা বিরল নয়।
৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় এডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ছাত্রদের রোলগুলো খেয়াল করুন। সব মেধাবী কি একই সময় রেজিস্ট্রেশন করেছে না অন্য কিছু?
৩৪ তম বিসিএসে শুধু ০৩৮ হাজারের ঘরে Generalক্যাডার। সব মেধাবীরা কি একই সময় From fill-up করছিল: 038294, 038414, 038518, 038536, 038538, 038543, 038577, 038641, 038655, 038658, 038668, 038677, 038688, 038696, 038726, 038734, 038735, 038738, 038739, 038758, 038766, 038797, 038813, 038858, 038860, 038863, 038870, 038873, 038874, 038878, 038898, 038906, 038919, 038920, 038953, 038971, 038994……
বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলে এসেছে যে, বিসিএসের ভাগ্য নির্ধারন এখন ভাইভা বোর্ডের টেবিলে চলে এসেছে যেদিন থেকে ভাইভার পুর্নমান ২০০ হয়েছে। অংকের হিসেবে দেখেন, একজন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় গড়ে ৫০ পেলে ভাইভার জন্য মনোনীত হয় ৯ বিষয়*৫০=৪৫০ নম্বর পেলে।। আর সর্বোচ্চ একজন প্রার্থী পেতে পারে ৬৮০~৭০০ নম্বর।সর্বোচ্চ নম্বরধারীকে যদি চাকরি দিবে না মনে করে তাহলে সে ফেল নম্বর[৭৯] পেতে পারে। তবে মেধা তালিকায় ফাইট করা ছাত্রদের লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ব্যবধান ২০~৩০ এর বেশি হবে না। পেছন থেকে একজন ছাত্রকে মেধা তালিকায় আনতে গেলে ভাইভায় কারসাজির বিকল্প নেই।
আমি সেই অসম্ভব মেধাবী ছাত্রের কাছে জানতে চাইলাম তার পরিচিত সেই পিএসসি সদস্য দুজনের নাম কি?
তিনি জানালেনই না।
৩। বিসিএস শিক্ষার্থীদের একটা ফেসবুক গ্রুপ আছে সেখানে প্রায় দেড় লাখের উপর ছাত্রছাত্রী সদস্য হিসেবে আছে। একবার তাদের উদ্দেশ্যে আহবান জানিয়েছিলাম ২৮ তম থেকে ৩৩ তম বিসিএস পর্যন্ত যদি কোন প্রার্থীর নাম জানা থাকে যে সৎভাবে নিয়োগ পেয়েছে, তাহলে তার রেজি নং ও কততম বিসিএস তা জানানোর জন্য। কিন্তু কেউ জানাতে পারেনি। বরাবরের মত এবারও সেই আহবান জানিয়ে গেলাম। কমেন্টে জানাবেন ৩৪ তম বিসিএসে কেউ সৎভাবে নিয়োগ পেয়েছে কি না।
বিসিএস সহ সকল পাব্লিক পরীক্ষায় স্বচ্ছ মেধা তালিকা ও যৌক্তিক ভাইভা পুর্ন নম্বর এবং সৎ ভাইভা বোর্ডের বিকল্প নেই।
জানিনা, কেন ছবি দেখাচ্ছেনা মন্তব্যে, এখানে ছবির লিঙ্ক।
http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2015/09/bcs1.png
আমার তৈরি করা প্লট, X-অক্ষ বরার রেজিস্ট্রেশন নম্বর (হাজারে) , আর Y-অক্ষ বরার সেই নম্বরের কতজন নিয়োগ পেয়েছে সেই সংখ্যা।
শুরুতেই বিসিএস-সহ সকল পরীক্ষায় স্বচ্ছতার আহবান জানানোর জন্য লেখককে সাধুবাদ জানাই। সাধুবাদ জানাই পিএসসিতে চলা অস্বচ্ছতার মুখোশ উন্মোচন করার অতীত প্রচেষ্টাকে, যা তিনি তার মন্ত্যবে লিংকসহ উল্লেখ করেছেন। সাধুবাদের পাশাপাশি কিছু সমালোচনাও প্রাপ্য লেখকের।
অনুচ্ছেদ-১:
এখানে লেখক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়জনিত বিতর্ককে “একেবারেই অগ্রহণযোগ্য” বলে মন্তব্য করে, উনার ভাষ্যমতে “গ্রহণযোগ্য(!)” মতামত দিয়ে বলেছেন –
এখানে দুইটা জিনিস স্পষ্ট –
১) ব্যক্তি ওয়ালিদ বিন কাশেম দুর্নীতি করে প্রথম হয়েছেন।
২) অন্য সকল নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও অন্যায় ঘটেছে (হয় তারা নিজেরা অন্যায় করেছেন, কিংবা অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, নিশ্চিত করে বলেননি লেখক)।
এখানে প্রথম অভিযোগটা একেবারেই “ব্যক্তিগত আক্রমণ”। ওয়ালিদ বিন কাশেম মুক্তমনার “সহলেখক” নন, কিন্তু তাই বলে কি তাকে এভাবে প্রমাণ ছাড়া ব্যক্তিগত আক্রমণ করা গ্রহণযোগ্য? উল্লেখ্য- আমি একে ব্যক্তি-আক্রমণ বলতাম না যদি লেখক তার অভিযোগের পক্ষে শক্ত প্রমাণ দিতে পারতেন। উনি খুবই দুর্বল যুক্তি দিয়েছেন যে, জনাব ওয়ালিদ মেধাতালিকায় তার অবস্থান জানতে পেরেছেন। আমাদের দেশের দুর্নীতির মাত্রার প্রেক্ষাপটে পরিচিতদের মাধ্যমে রেজাল্ট জানা আর রেজাল্ট ‘ম্যানিপুলেট’ করার মধ্যে যে আকাশ-পাতাল তফাৎ তা নিশ্চয় কাউকে বলে দিতে হবে না। মুক্তমনার মতো পাবলিক প্লাটফর্মে একজন ব্যক্তিকে এভাবে দুর্বল যুক্তির ভিত্তিতে সরাসরি দুর্নীতিবাজ বলা “গ্রহণযোগ্য” হয়েছে কি না, তা লেখকের কাছে জানতে আগ্রহী। আর সম্পাদকমন্ডলীর কাছে আমার জিজ্ঞাসা, এটা মুক্তমনায় গ্রহণযোগ্য কি?
দয়া করে এখানে কেউ বলবেন না যে, “রেজাল্ট ম্যানিপুলেট করা যেমন দুর্নীতি, তেমনি আগে রেজাল জানাও দুর্নীতি। অতএব, ওয়ালিদ দুর্নীতি করেছেন এবং তাকে পাবলিকভাবে দুর্নীতিবাজ বলা ঠিক হয়েছে।” কেন বলবেন না? কারণ, এ ধরনের ত্যাঁনা প্যাঁচানো যুক্তি দেখিয়ে বলা যায়, “ফেসবুকের ব্যক্তিগত ম্যাসেজ জনসম্মুখে প্রকাশ করা অনৈতিক, লেখক তা করেছেন এবং লেখক নীতিহীন মানুষ।” হ্যাঁ, ব্যক্তিগত ম্যাসেজ জনসম্মুখে প্রকাশ করাকে আমি খুবই অপছন্দ করি, এটা লেখক হিসেবে “এথিক্স্ ” এর মধ্যে পড়ে বলেও মনে করি না। এবং একই সাথে এটাও মনে করিনা, লেখক একজন নীতিহীন লোক। এখানে অবশ্যই বলা উচিত, লেখকের (এবং জনাব ওয়ালিদের) উচিত ছিলো এব্যাপারে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করা, বিশেষ করে তিনি যখন আরেকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন।
আগের মন্তব্যের পর …
অনুচ্ছেদ-২:
আগের অনুচ্ছেদে গণহারে অভিযোগ করলেও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কেবল ব্যক্তিগত অভিযোগের। ২য় অনুচ্ছেদে ব্যাখ্যা করছেন – পাবলিক পরীক্ষায় দুর্নীতির কথা। এখানে উনার যুক্তি (যা তিনি বোল্ড করে বিশেষভাবে দেখাতে চেয়েছেন), সাধারণ ক্যাডারে ৩৮ হাজার রেজিস্ট্রেশন নম্বরের আধিক্য কেন? দুঃখিত জনাব লেখক, এ আধিক্য কি কোন দুর্নীতি প্রকাশ করে না। বরং এর একটা সহজ ব্যাখ্যা আছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর নির্ভর করে কোন্ জায়গা থেকে ভর্তি ফর্ম্ কিনেছেন তার উপর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্যান্য যেসব জায়গায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঘনত্ব বেশি বলে আমরা ধারণা করি, সেসব জায়গার শিক্ষার্থীদের একই জায়গা থেকে ফর্ম্ কেনার সম্ভাবনা বেশি, তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর কাছাকাছি হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। আর পরিণামে, ফলাফলেও সেটা দেখা স্বাভাবিক। তাই না? এমন সহজ-সাধারণ ব্যাখ্যা উপেক্ষা করে কেউ যদি এখানে দুর্নীতির গন্ধ খুঁজতে থাকেন, তাহলে তার প্রেক্ষিতে কেউ যদি তাকে “কন্সপিরেসি থিওরি”-তে বিশ্বাসী বলে তার বক্তব্য উড়িয়ে দেন, তাহলে দোষটা কি মন্তব্যকারীর হয়, নাকি লেখকের?
উল্লেখ্য- আমি লেখকের কন্সপিরেসি থিওরির সত্যতা যাচাই করতে একটা প্লট তৈরি করেছি। সেখানে ৩৮ এর ঘরের পাশাপাশি ২৮,৩০,৩১ এর ঘরের আধিক্যও যথেষ্ট বেশি। যেটা আমার দেয়া সহজ ব্যাখ্যার সঙ্গে মানানসই। পরিসংখ্যানের সামান্য জ্ঞান থেকে বলতে পারি, এটা একেবারে অস্বাভাবিক কিছু নয়।
অনুচ্ছেদ-৩:
লেখাটি পড়ে এ অনুচ্ছেদটি বড়ই আক্রমণাত্মক মনে হয়েছে আমার।
এ অংশটুকু পড়ে সন্দেহাতীতভাবে মনে হয়েছে, লেখক বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া (প্রায়) সকল শিক্ষার্থীকে দুর্নীতিবাজ বলেছেন। এখানে বন্ধনীর ভিতরে প্রায় যোগ করলাম কেবলই আমার মতামতকে শুদ্ধতর করতে। উনি দাবি করেছেন (অন্ততঃ অনুচ্ছেদের টেক্সট তাই বলে), কেউ সৎভাবে নিয়োগ পাওয়ার কথা দাবি করতে পারেনি। আর এই দাবি উনার পুরো লেখার সাথে একেবারেই মানানসই। যদিও লেখক মন্তব্যে জানিয়েছেন,
দুঃখিত, লেখক, এখানে বুঝার ভুল নয়, বুঝানোর ভুল হয়েছে। মাসরুফ হোসেন, জওশন আরা শাতিল আপনার ঢালাও অভিযোগ বুঝতে ভুল করেননি, বরং আপনি বুঝাতে ভুল করেছেন। মন্তব্যে আপনি এর ব্যাখ্যা দিলেও তা পর্যাপ্ত নয়, কারণ আপনার লেখা যারা পড়বেন, তারা লেখার সব মন্তব্য পড়বেন না। ভাল হয়, ৩য় অনুচ্ছেদখানি সংশোধন করে দিলে।
সামগ্রিক:
আচ্ছা, অন্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে তথ্য জানতে চাওয়া কতখানি নৈতিক? একজন পরীক্ষায় কত নম্বর পেল, তা তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মধ্যে পড়ে। কোন তৃতীয় পক্ষ সে তথ্য পেতে পারেন না, যদি তার পক্ষে শক্ত ভিত্তি দেখাতে না পারেন। আমার ইউনিভার্সিটিতে টিচিং এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা অন্তন্তঃ তাই বলে (দয়া করে ‘আপনি তো বিদেশে থাকেন, দেশের কী বুঝবেন‘ ধরনের ফালতু যুক্তি দিয়ে কিছু বলবেন না)। টিচিং এসিস্ট্যান্স ট্রেনিং-এ আমাদের পঁইপঁই করে বলে দেয়া ছিলো, আমরা যেন একজনের নম্বর আরেকজনের কাছে প্রকাশ না করি, তাহলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন করার দায় অভিযুক্ত হবো।
ডিসক্লেইমার:
আমি দাবি করছি না, বিসিএস পরীক্ষা-পদ্ধতি একেবারেই স্বচ্ছ, এখানে কোন দুর্নীতি হয়না, কিংবা ওয়ালিদ বিন কাশেম দুর্নীতি করেননি। আমি কেবল প্রমাণ ছাড়া এভাবে কোন একজন মানুষের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।
ভাল থাকবেন।
বিসিএস এ ভাইবার মত একটা ‘গায়েবী’ পরীক্ষায় ২০০ নাম্বার! এই পরীক্ষায় কোন পরিক্ষার্থীকে কী প্রশ্ন করা হলো। সে তার কী উত্তর দিলো। এবং ফলে তাকে কত মার্ক দেওয়া হলো সেসবের রেকর্ড কীভাবে রাখা হয় আমার জানা নাই। এমতাবস্থায় ভাইবাবোর্ড বা এইধরনের উচ্চপর্যায়ে, হট লিঙ্ক থাকা। সেই মারফত রেজাল্ট জানতে পারা। যা কি না তথ্য অধিকার আইন খাটিয়েও জানা দুষ্কর। খুবই সন্দেহজনক। এবং ‘নৈতিকতা-অনৈতিকতার’ প্রশ্ন পাশে রেখেও বলা যায় ফর্মাল প্রক্রিয়া ব্যাতিরেকে এই তথ্য প্রকাশ করাটা ‘বেআইনি’। ফলে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে পুরো প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছ ছিলো কি না। তাই, জনাব ওয়ালিদ বিন কাশেম এর দিকে যে সন্দেহের তীর, সেটা অযৌক্তিক নয়। তিনি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেও কেউ না কেউ একই প্রশ্ন/সন্দেহ উত্থাপন করত।
এবং পুরো প্রক্রিয়ার এইসব অস্বচ্ছতার স্থানগুলো নির্দেশ করা এবং সেসব সংশোধনের উপায় খোজাই এই সিরিজের পোস্টেগুলোর লক্ষ্য মনে হয়েছে।
আর এটা সত্যি যে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা প্রকাশ করা অনৈতিক। কিন্তু ‘নৈতিকতা-অনৈতিকতার’ প্রশ্নটি এত সরল নয় যে সব সময় এক লাইনের ‘রুল’ দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে। এখানে স্রেফ ওয়ালিদ বিন কাশেম এর একটি পাবলিক স্টেটমেন্ট সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। যেটা তিনি জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। নির্দিষ্ট করে এই আলাপচারিতাটুকু প্রকাশ ‘অনৈতিক’ হয়নি।
আর ‘সহলেখক’ বিষয়ক আপনার খোঁচার ব্যাপারে বলা যায়, আপনি হয়তো লক্ষ্য করেননি বিপ্লব কর্মকারকেও মুক্তমনা সম্পাদক সতর্কতা জানিয়েছেন। এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বলেছেন।
বাকীসবগুলো পয়েন্টের উপর আলোচনা হয়ে গেছে। তাই আর রিপিট করলাম না। ব্লগে লেখা পড়ার পাশাপাশি মন্তব্য এবং মন্তব্যের জবাবগুলোও পড়া উচিত। তারপর কমেন্ট করা উচিত।
উপরে এ নিয়ে একজনের স্বীকারোক্তি আছে এবং আমার জবাব আছে।
আপনাকে কি বলব বুঝতে পারছি না। এ বিষয়টা আগেই পরিস্কার করেছি। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পরীক্ষাসংক্রান্ত সবকিছু পাব্লিক ডকুমেন্ট। দেশের যে কোন নাগরিক দেখতে চাইতে পারে।
পাশাপাশি দুটি লাইনে স্ববিরোধী বক্তব্য।
ভালো থাকবেন।
কিছু মনে করবেন না, এ মন্তব্য পড়ে আমার মন্তব্য করার খায়েশ মিটে গেছে। আমার লেখা লাইন দু’টো আবার পড়ুন। লাইন দু’টোর বক্তব্যের মাঝের সূক্ষ্ম পার্থক্যটুকু বুঝার চেষ্টা করুন। সূক্ষ্ম পার্থক্য পরিষ্কার করা আর স্ববিরোধিতার মধ্যে পার্থক্যটুকু ধরার চেষ্টা করুন। না পারলে কোন বন্ধুর সহায়তা নিতে পারেন।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ন আলোচনার জন্য। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজনকে চিনি যার দূর্নীতি না করেই বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। আপনার অনুসন্ধানের জন্য তাদের অনুমতি নিয়ে তাদের রোল নাম্বার শেয়ার করবো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভারতে ভাইভা শেষ হওয়ার চার দিনের মাথায় ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলাফলের সাথে সবার মেধাক্রম, কোন কোটায় কতজন, কার নম্বর কতো ( প্রিলি, লিখিত, ভাইভা), কাট- অফ মার্ক কতো, সব তথ্য দেওয়া হয়। এমনকি ভাইভা পর্যন্ত রেকর্ড করে রাখা হয়। এক বছরের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে। আর আমাদের দেশে লিখিত মার্কস জানার জন্য ১ হাজার টাকা খরচ করে দেড় বছর অপেক্ষা করতে হয়। সাধারণ একটা কাগজে মার্কশীট দিতে ১০০০ টাকা রাখে, যেটায় খরচ হয় ১০ টাকারও কম। ১ হাজার জন মার্কশীটের জন্যে আবেদন করলে পিএসসি পায় ১০ লাখ টাকা, আর যত দিন পরে দেওয়া হয় ততো দিনে সবাই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
আমার দেশ কবে এগিয়ে যাবে।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মুল্যবাবদ যে টাকা নেয়া হয়, সে টাকার মধ্যেই প্রার্থীদের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর জানানো হয়।আলাদা টাকা নেয়া হয় না। কিন্তু পিএসসি এক পাতা মার্কসিটের দাম নেয় একহাজার টাকা, যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা মার্কসীটের জন্য দরখাস্ত না করে।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী এক পৃষ্টা তথ্য মুল্য দুই টাকা। পিএসসি যেন দুই টাকাই নেয় সেজন্যও তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেছি। আশা করি গরিব ছাত্রছাত্রীরা শীঘ্রই এর সুফল পাবে।
ভারতের উদাহরন দিয়ে আমাকে হতবাক করেছেন।
চারদিনের মাথায় ফলাফল?
টিআইবির যে রিপোর্টের কথা বলেছিলাম, সেখানে তারা দাবী করেছে পিএসসি ভাইভা নেয়ার পর রেজাল্ট দিতে দেরী করার কারন ক্লায়েন্ট হান্টিং।
বোঝেন ভারত আর আমাদের পার্থক্য।
আমাদের মানসম্মান অনেক উঁচুতে, কিন্তু কাজকারবার? দুর্নীতির কথা বললেই যত সমস্যা। কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে রেজাল্ট দিতে দেরি করাটাও তো এক প্রকার দুর্নীতি। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তাদের ব্যপারে সন্দেহ করা কি পাপ?
মাসরুফ হোসেনের অভিযোগ মুক্তমনা সম্পাদকমণ্ডলী গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। মুক্তমনায় প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব ও তার দায় লেখকের। তবে কোনো অবস্থাতেই মুক্তমনাকে কোনো মনগড়া তথ্য প্রচারণা বা ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। বিপ্লব কর্মকারকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তিনি যেন অতিশীঘ্রি মাসরুফ হোসেনের প্রতিটি প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দেন। অন্যথায় মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ পোস্টটি বাতিল করতে বাধ্য হবে।
দিচ্ছি একটু সময় লাগছে।
প্রিয় মুক্তমনা সম্পাদক,
আমি এই পোস্টের মন্তব্যে মাসরুফ হোসেনের কোনো স্পেসিফিক অভিযোগ বা প্রশ্ন পেলাম না। যেটা পেলাম সেটা হলো- একটা অন্যায়কে ‘ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুবাদে’ করা হয়েছে বলে সেটাকে হালাল করার চেষ্টা। একই সাথে দেখলাম অযৌক্তিক ব্যক্তি আক্রমণ এবং মামলা করার হুমকি। আশাকরি, পোস্টটি ডিলিট বা পোস্ট সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পোস্টের বিষয়বস্তু এবং এই পোস্টকেন্দ্রিক অভিযোগগুলো ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
প্রিয় রায়হান আবীর,
আমার কমেন্টে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট একেবারে স্পেসিফিকভাবে সাদা বাংলায় আপত্তির জায়গাটা বলা আছেঃ
1) ধরে নিলাম প্রথম স্থান অধিকারী ওয়ালিদ দুজন পিএসসি মেম্বারের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্রে সে কনফার্ম হয়েছে যে সে বিসিএস এ প্রথম হয়েছে কিনা। এর থেকে কিভাবে প্রমাণ হয় যে সে দুর্নীতি করে বিসিএস এ প্রথম হয়েছে? ওর পরীক্ষার খাতা বা ভাইভাতে যে নম্বর, সেটা যে কারচুপি করে হয়েছে তার প্রমাণ কই? ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে রেজাল্ট কনফার্ম করা আর পুরো প্রসেসে দুর্নীতি কি এক জিনিস??
এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাইনি।
আর আটত্রিশ ঘরের রোল নম্বর নিয়ে লেখক যে ম্যানিপুলেশন দেখানোর চেষ্টা করছেন সেটারও তিনি সদুত্তর দেননি।
আশা করি আপনার “না পাওয়ার” অবসান ঘটেছে।
কবে থেকে এইসব ফেসবুকিয় আবর্জনাগুলো মুক্তমনার নীড়পাতায় উঠে আসতে শুরু করল! ঢালাওভাবে একটা মেধাতালিকার সবাইকে দূর্নীতির মাধ্যমে উঠে আসা বলে ফেলা হল কোন তথ্য প্রমাণাদি ছাড়াই। কিছু মানুষ কনস্পিরেসি থিওরীতে এতো বেশী ডুবে থাকে, যে নিজে বা নিজের পরিচিত জন কোন জায়গায় সুবিধা করতে না পারলে দূর্নীতি হয়েছে বলে ফেলতে দ্বিধা করেন না। যারা মেধায় এগিয়ে আছে, তারাই মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, এটা মেনে নিয়ে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য পড়ালেখা করলে পরের মেধা তালিকায় ঢোকার সুযোগ থাকে। আর তা না করে এইসব কন্সপিরেসী থিওরী বানাইতে বসলে এটা নিয়েই জীবন পার করতে হবে, মেধা তালিকায় ঢোকার সুযোগ হবে না, এটা বুঝতে বেশী মেধা লাগে না। নিজে যোগ্য হতে না পারলে যে যোগ্য তার গায়ে কালিমা লাগিয়ে কখনো যোগ্য ব্যক্তির মর্যাদা পাওয়া যায় না। বড়জোড় মিথ্যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যেতে পারে।
আপনি ঢালাওভাবে কথাটা বললেন।
আমি কিন্তু পিএসসির নিয়োগপক্রিয়ার পুরো চক্র ঘুরে এসেছি।
যেহেতু আপনি ঢালাওভাবে কথাটা বললেন , তাই আপনার কাছেই প্রশ্ন রাখছি, পিএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছ জায়গাগুলো কি কি?
সেগুলো কেন থাকবে?
আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, আপনার চিন্তাভাবনা বিসিএস কে কেন্দ্র করেই ঘুরপাক খাচ্ছে কেন বুঝতে চাচ্ছি আরকি। হতাশা? বিসিএস ছাড়াও মানুষের জীবনে অনেক লক্ষ্য আছে, চিন্তাভাবনা করার মত অনেক বিষয় আছে, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সেটা ভুলিয়ে দেয়নি আশা করি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেধা তালিকায় সুযোগ পেলে যারা সন্দেহের চোখে তাকায়, তাদের কি বলার থাকতে পারে! বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মেধা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের চেয়ে কম এই ধারণা কেন হল! এইখানে তো দেখলাম আপনিই একটা ঢালাও ইঙ্গিত দিলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, দুর্ণীতি ছাড়া কিভাবে সম্ভব- এমন টোনে কথা বললেন।
আর ঢালাও ভাবে বল্লাম কোথায়? আপনি কি একাই বিসিএস এর নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘুরে এসেছেন এমন নিশ্চয় নয়। আপনার মত আরো অনেক ব্যক্তি নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘুরে এসেছে বা পার করে এসেছে, তারা সব আপনার মত কনস্পিরেসী থিওরীর ঝুড়ি নিয়ে বসে নেই কিন্তু! আমার পরিবারে বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়েছে এবং হয়নি, এই দুই দলের মানুষই আছে, আমার বন্ধুদের মাঝেও এমন মানুষ আছে। কিন্তু কেউই ঢালাওভাবে বলেনি, দূর্নীতি ছাড়া মেধা তালিকায় ঢোকা যায় না।
আমাকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অসচ্ছতা জিজ্ঞেস করার কারণ কি? ধরেই নিয়েছেন যে সবার জীবনের লক্ষ্য হয় বিসিএস এ উত্তীর্ণ হওয়া বা এর অস্বচ্ছতা (কন্সপিরেসী থিওরী) খুঁজে বের করা? সবাইকে বিসিএস নিয়েই পড়ে থাকতে হবে? জীবনেও কোনদিন বিসিএস ক্যাডার হবার ইচ্ছে হয়নি, পরীক্ষাও দেইনি। কিন্তু কোনটা ঢালোভাবে উত্তীর্ণদের খাঁটো করার চেষ্টা আর কোনটা উত্তীর্ণ হবার চেষ্টা সেটা বোঝার ক্ষমতা আছে বলেই অন্যের গাঁয়ে কাঁদা লাগানোর মানসিকতা বাদ দেবার অনুরোধ করলাম।
একটা জিনিস খেয়াল করলাম, আপনি মাসরুফ হোসেনের কথার উত্তর দেননি।
পোস্টের সাথে অপ্রাসংগিক হবে তবুও বলছি।
১। গত দিন আমার কাছে প্রত্যন্ত গ্রামের এক রেপ ভিক্টিম গরীব নারী এসেছে। তার রেপ কেস ম্যজিস্ট্রেট খারিজ করে দিয়েছে, কোন আলামত পায়নি বলে।মেডিক্যাল রিপোর্টও তাই বলে। তার স্বামী পংগু, ধর্ষন কারী প্রভাবশালী ও ধনী।
শুধু কাগজপত্রে যে অনিয়ম দেখেছি তা হল- ধর্ষিতা যেই থানায় মামলা করেছে সেই থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মেডিকেল টেস্ট হয়নি, হয়েছে জেলা সদরের হাসপাতালে। আবার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ঐ জেলার অন্য আরেকটি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের, যেখানে সে ভর্তি হয়নি।
এখানে পুলিশ, ডাক্তার , মেজিস্ট্রেট তিন জনই প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা।
আমার বন্ধুকে সব কাগজপত্র নিয়ে আগাতে বলেছি, যদি আমাদের ধারনা সত্যি হয় তাহলে তিনজনই ঐ নারীর প্রতি অন্যায় করেছে।
২। ৩০ তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা আরেকটি জেলায়, এক অশিক্ষিত লোককে ধমক দিয়ে বলে- এভাবে থাকলে থাকেন না হলে পাকিস্তান চলে যান। টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছি জনসেবা করার জন্য নয়।
৩। আমার এক বন্ধু নির্ধারিত সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়েছে। কোন এক কারনে তার সার্টিফিকেট প্রয়োজন। সার্টিফিকেটের জন্য ট্যাক্স অফিসে গেলে, তাকে বলা হয় এত টাকা ট্যাক্স দিয়েছেন আমাদের অফিস খরচ দিবেন না? সে পাঁচশ টাকার নোট বের করে দিলে ট্যাক্স অফিসার তার বসার চেয়ারের সাথে থাকা কবিদের কাধে ঝোলানো ব্যাগ – যা আমরা এতক্ষন দেখিনি সেখানে রাখে।
তবে আমরা প্রশাসনেরই কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তাকে সবকিছু বলি।তারাই লাইনচ্যুত গাড়িকে ট্র্যাকে আনেন। তারা সংখ্যায় কম সাংঘাতিকভাবে সৎ ও গরীব।
আপনারা বিদেশে থাকেন, সবকিছুকে আদর্শ মনে করেন। দেশে এসে বসবাস করেন । কোন না কোন কারনে সরকারী অফিসে যেতেই হবে, যদি কখনো ১০০ টাকা অন্যায়ভাবে দিতে হয় বা ন্যায্য সেবা না পান, তাহলে এ অধমের কথা মনে রাইখেন যে একদিন এই পরিবর্তনের জন্য ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল, মুল সমস্যায় হাত দিয়েছিল। এজন্য সে অনেকের তীর্যক মন্তব্যের মুখোমুখি হয়েছিল।
আমিও বলতে পারতাম, ডঃ আবুল কালাম তার সব ডিগ্রি দেশেই নিয়েছে, দেশেই থেকেছে। ভারতীয়রা উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসে, তারা তাদের দেশকে সেভাবে গড়ে নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশিরা যে যেভাবে পারে দেশ ছেড়ে পালাতে চায়, এরপর বিদেশ গিয়ে দেশের জন্য সে কি টান অনুভব করে।
দেশে থাকেন কোথায় গন মানুষের সমস্যা, কেন সমস্যা হচ্ছে, সমাধান কেন হচ্ছে না বুঝবেন।
আমি স্পষ্ট করে আপত্তি জানিয়েছি তথ্য প্রমাণাদি ছাড়া ঢালাওভাবে একটা ব্যাচের সব বিসিএস ক্যাডারকে দূর্নীতির মাধ্যমে মেধা তালিকায় জায়গা পাওয়া বলে ফেলায়। আপনি এই একই অভিযোগ তথ্য প্রমাণাদি হাতে নিয়ে করলে আপত্তি করার প্রশ্নই ওঠে না, আপনাকে স্যালুট জানাবো। রাজনকে চোর সন্দেহে চোর বলে লোকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে, কেউ একবারও ভাবে নি, তাকে শাস্তি দেবার আগে সে আসলেই চোর কিনা, তা যাচাই করে দেখার। প্রমাণ ছাড়া কোন অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তা বুঝেন আশা করি। ভিত্তিহীন অভিযোগকে সাধুবাদ দিয়ে একজন সৎ মেধাবী শিক্ষার্থী, যারা দেশকে সেবা দিতে যাচ্ছে, তাদের অসম্মান করার পক্ষে নই।
দূর্নীতিবাজ আর সৎ ব্যক্তির মাঝে কতটা তফাত, সেটা আমি জানি। এক সৎ ব্যক্তির কাছে তার সততা আদর্শ, এই আদর্শকে যখন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আঘাত করবেন, তখন আপনি যতখানি অসততা দূর করছেন, তার চেয়েও বেশী তাদের আঘাত করছেন, যাদের শ্রমে এখনও বাংলাদেশটা টিকে আছে। অভিযোগ করতে হয় করুন, অসততার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় করুন, কিন্তু ঢালাও ভাবে অভিযোগ করার আগে আরেকবার ভেবে দেখুন আপনি আদর্শবানের আদর্শেও আঘাত করছেন কিনা।
আপনি আমি বিদেশে থাকি, তাই দেশের সমস্যা বুঝি না, এই ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলেছেন। বিদেশের সুখে আছি, দেশের সমস্যা বুঝব কি করে, এমন টোনে কথা বললেন। এইভাবে না জেনে কথা বলার অভ্যাসটা বাদ দেবেন দয়া করে? সাথে আবুল কালাম আজাদের কথাও বললেন, তিনি তো দেশেই ডিগ্রী নিয়েছেন, দেশেই কাজ করেছেন। আপনাকে অতন্ত্য বিনয়ের সাথে জানাই, আমাদের দেশ আবুল কালাম আজাদ তৈরী করে না, করার সামর্থ্য নেই। বাংলাদেশ সরকারের, বাংলাদেশের মানুষের ধারণাই নেই, গবেষণা কি জিনিস। জাফর ইকবাল স্যারের মত কয়েকজন মানুষ যারা জানেন, দেশে ফিরে এসেছেন, তাদের দারুণভাবে দেশের মানুষ সম্মানিত করছে, গবেষণার সুযোগ দিচ্ছে, দেখতে পাচ্ছেন?
আরো একটা কথা বলি, আবুল কালাম আজাদ মিসাইল বানাতেন, ভারত সরকারের মিসাইল দরকার ছিল বলে তারা আবুল কালাম আজাদকে ফান্ড দিয়েছিল। চীন আর পাকিস্তানকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে মিসাইল, এটম বোমা দরকার না হলে ভারতও আবুল কালাম আজাদকে তৈরী করতো না। স্যার সি। ভি। রামানের নাম শুনেছেন? তাকে ভাতর সরকার কিন্তু আবুল কালাম আজাদের কণা মাত্রও পৃষ্ঠপোষতা দেয় নি। কারণের রামানের গবেষনা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের কাজে লাগলেও তাতে ভারত সরকারের পেশী বৃদ্ধি হয় না। উনাকে প্রায় সারাটা জীবন সারাদিন আরেকটি চাকরী করে রাতে ঘরে ফিরে গবেষণার কাজ করতে হয়েছে। এখনও বেচে থাকার জন্য লড়াইয়ে, মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে রামানের গবেষণার কাছেই ছুটতে হয়, আর মানুষকে মেরে ফেলার জন্য ছুটতে হয় আবুল কালামের মিসাইলের সাহায্য নিতে। আপনার ভিশনের সীমাবদ্ধতাটা দেখালাম। আপনার ভিশন দিয়ে আমি পৃথিবী দেখবোনা। আপনি যতটুকু চিন্তা করতে পারেন, সেইটুকু দিয়ে আমার জীবনকে জাস্টিফাই করতে আসলেন তো, তাই বলছি, আমি আবুল কালাম আজাদ নই, হতেও চাই, তার জীবন দিয়ে আমাকে জাস্টিফাই করার দরকার নাই। আমা নিজের জীবন জাস্টিফাই করার জন্য আমিই চিন্তা করতে পারি, আপনার চিন্তা করা লাগবে না।
যেদিন আমার দেশের সরকার গবেষণা কি বুঝতে শিখবে, মানুষকে বাঁচাতে কতটুকু পরিশ্রম দিতে হয়, কতটুকু গবেষণার সুযোগ দিতে হয়, সেটুকু বুঝবে, বা আমরা যারা বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করি তারা বাংলাদেশ সরকারকে এটা বুঝাতে পারবো, সেদিন আমাদের দেশের গবেষকরাও দেশে ফিরে আসবে, আমি তাদের উপর এতোটুকু বিশ্বাস রাখি। আমার বিদেশ জীবনের সুখের সংজ্ঞা শুনবেন? সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা, এটা আমার প্রায় দিনের কাজের রুটিন, দুপুরে খাবার সময় পাই বা না পাই। বাঙ্গালদেশের সরকারী কর্মচারীরা সরকারের টাকায় অফিসে বসে ফেসবুকিং বাদ দিয়ে এইটুকু কাজ করার মানসিকতা অর্জন করতে পারলে, বাংলাদেশেও একদিন সুপার কম্পিউটার তৈরী হবে, অন্ধত্ব নিরামনের গবেষণা হবে। বাংলাদেশেও মানুষ নির্ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারবে, রাস্তায় বের হলে কেউ কোপ দিয়ে মাথা কেটে ফেলবে না।
নিজের আত্ন অহংকার এই এক লাইনে বেশ ভালই ফুটিয়ে তুলেছেন। যারা নুতুন নুতুন বিদেশে যায় তাদের মধ্যে এই প্রবণতাটা খুব কাজ করে। দেশটা সব গন্ড মূর্খ দিয়ে ভর্তি , এই দেশ ছেড়ে এসে খুব ভাল করেছি, এই দেশ আমার মত ‘মেধাবী’ দের জন্য নয়। এই সব মিথ্যা প্রবোধ দিয়ে সাধারণত নিজেকে স্বান্তনা দেয় এরা । মানছি যে বাংলাদেশ সরকার থেকে গবেষনা খাতে উৎসাহ দেওয়া হয় না বললেই চলে। তারপরও দেশে থেকে নানা প্রতিকুলতাকে উপেক্ষা করে অনেকে গবেষনা চালাচ্ছেন। দেশে কোন গবেষনাই হচ্ছে না, দেশের মানুষ গবেষনা কি তাই জানে না এই জাতীয় ধৃষ্টতামুলক মন্তব্য তাদের প্রচেষ্টার প্রতি এক ধরনের অপমান।
পোষ্টের কিছু বাক্যে বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়ে থেকে বি সি এসে উত্তীর্ণরা মন ক্ষুন্ন হলেও পোষ্টের সামগ্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই। বাংলাদেশে এটা সবাই জানে যে বি সি এসে নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত। এই পোষ্টে মুলত সেটাই বিশেষ করে ভাইভাতে ২০০ নম্বর বরাদ্দ রাখাকেই প্রশ্ন বিদ্ধ করা হয়েছে। কাজেই এখানে সমস্যার কিছু আছে বলে মনে করি না।
প্রিয় রুশো আলম,
আগের কমেন্টটাতে আমি কি কোথায় থাকি কি করি, সেই প্রসংগ লেখক এনেছেন, আমি নই। এটা অবাক লাগেনি, অযাচিত ভাবে এইখানে আমি কি করি, সেটা টেনে আনা হয়েছে? আমি কোথায় পড়ব, কাজ করব, সেটা নিয়ে অন্য কারর কি কথা বলার কথা?
হাজার প্রতিকূলতার মাঝে বাংলাদেশের কিছু মানুষ কেবল নিজেদের ব্যক্তগত প্রচেষ্টায় গবেষণা করছে সেটা আমার জানা আছে, কিন্তু সেটা বাংলাদেশ সরকারের অবদান হিসেবে উল্লেখ করা যায় না, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকেও প্রতিনিধিত্ব করে না। আশা করি, আমি আমার মত প্রকাশের অধিকার রাখি, সেটা আপনার কাছে আত্ম অহংকার মনে হলেও।
“যারা নুতুন নুতুন বিদেশে যায় তাদের মধ্যে এই প্রবণতাটা খুব কাজ করে।”
এই লাইনটা কি আপনি কোন একটা গোষ্ঠীকে জেনারালাইজ করার জন্য বললেন? এটা কি ঠিক হল?
প্রিয় জওশন আরা শাতিল, আপনাকে এই মর্মে সতর্ক করা যাচ্ছে যে, মুক্তমনার কোনো সদস্যের কাছ থেকেই অযাচিত ভাবে সহলেখকের কর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করা, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অ্যাম্বিশন ইত্যাদি নিয়ে দৃষ্টিকটু ব্যক্তি আক্রমন কাম্য নয়।
প্রাসঙ্গিক মন্তব্য-
প্রিয় মুক্তমনা সম্পাদক,
আপনাদের সতর্কতা শ্রদ্ধাভরেই মাথায় রাখলাম। তবে আমি আত্মপক্ষ সমর্থনে বলছি, লেখাটাই বেসরকারী বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের ছাত্রদের মেধার মান ইঙ্গিত করে একটা মেসেজ দেয়া হয়েছে, সেটা আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে। তাই আমি প্রশ্নকারীর কাছে তার ক্রেডিবিলিটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে নয়, খুবই সাধারণ ভাবেই জানতে চেয়েছি। কেউ যদি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধার মান নিয়ে প্রশ্ন করত, তাহলে যেভাবে খুব স্বাভাবিকভাবে যেমন প্রশ্নকারীর ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চাইতাম, সেভাবেই জানতে চেয়েছি।
আমার বক্তব্য ব্যক্তি আক্রমন মনে হয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।
প্রিয় শাতিলআপা, এই লেখাটি ঠিকমত না পড়ে সেটাকে ফেসবুকের আবর্জনা তকমা দিলেন ক্যানো বুঝতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলাম। বিপ্লব কর্মকার এখানে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করেছেন কিন্তু কোথাও দেখলাম না তিনি বলেছেন অতএব প্রমানিত হয় ‘বিএসএস যে যারা নিয়োগ পেয়েছে সবাই দূর্নীতি করে পেয়েছে’। আপনি সেই সিদ্ধান্ত নিলেন পোস্টে হয়তো শুধু চোখ বুলিয়ে এবং ঢালাও মন্তব্য করলেন। কেনো করলেন সেটা জানতে চাইলে যে উত্তর দিলেন সেটাকেই বরঞ্চ আমার অপ্রাসংগিক এই পোস্টের সাথে অসামঞ্জস্য, ব্যক্তিআক্রমণে পরিপূর্ণ, অপ্রয়োজনীয় উপদেশে ভরপুর মনে হলো।
প্রিয় আবীর, এই কথাটার পরে ফেসবুকের চ্যাট তুলে দেওয়া, যার সারমর্ম তিনি তার তথ্য এই ভদ্রলোক লেখককে দেননি, একটা লিখিত লাইন আর সাথে টোন, দুর্নীতি করে প্রথম হয়েছেন, কোন প্রমাণ ছাড়া, আপত্তিকর নয়? বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাটা উনিই লিখেছেন দেখলাম। সরকারি আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে মেধার স্টান্ডার্ড ধরলেন উনিই, উনার ধরা স্টান্ডার্ডেই জানতে চেয়েছি, কোন বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে মেধার স্টান্ডার্ড ধরতে শিখিয়েছে।
একজন মানুষ তার ব্যক্তিগত তথ্য পাবলিক না করার অধিকার রাখে, পাবলিক না করলে অন্য কারোর তার ব্যাপারে জাজমেন্টাল হবার অধিকার জন্মায় না।
লেখাটা দুইবাদ পড়েছি আবীর, এবার নিয়ে তিনবার। তুমি যে অংশটুকু কোট করেছ, সেটা মধুর ভাষায় বলেছি, সেই দাবী কখনই করব না, তবে এটুকু দাবী করব, প্রমাণ ছাড়া দূর্নীতি করেছে এই টোন দিলে তার ক্রেডিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন করাটা আসে বলেই মনে হয় আমার।
শাতিল আপা,
আমার মনে হচ্ছে না উনি এই স্ট্যান্ডার্ড ধরেছেন, বরঞ্চ উলটো। উনি অভিবাবকদের বলেছেন সরকারী কিংবা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এভাবে অযৌক্তিক সমালোচনা না করতে। এর পরে বলেছেন- বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটি যে নিজের যোগ্যতায় প্রথম হয়নি বা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদের নির্বাচনও ফেয়ার হয়নি- একথা অনেকেরই বুঝতে কষ্ট হয়। এই লাইনটাতেও আমার আপত্তি নেই, কারণ বিসিএস পরীক্ষার অস্বচ্ছতার অভিযোগ পুরানো। এই পোস্টেই উনার বাকি প্রতিটা লাইন, মন্তব্য পড়ে আমি কোথাও পেলাম না উনি বলেছেন সবাই দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছে। উনার মতে সিলেকশন প্রসেস ফেয়ার না এবং কেনো ফেয়ার না সেটার পক্ষে যেই যুক্তিগুলো দিয়েছেন/এবং আগের পোস্টগুলোতে যা বলেছেন সেগুলোকে আমার ভ্যালিড আর্গুমেন্ট বলেই মনে হয়েছে। এবং তিনি তার আর্গুমেন্টগুলোর পক্ষেও যথেষ্ট প্রমান দিয়েছেন। এই পোস্টে যেমন খালিদের দাবী করা স্ট্যাটাস যেখানে সে বলেছে সে দুইজন পিএসসি মেম্বারকে ফোন করে সে ফলাফল ভ্যারিফাই করেছে।
অথচ এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে করা পোস্টে এসে কেউ যদি বলে- বিসিএস এ চান্স পায় নি বলে বিপ্লব কর্মকার এমন কথা বলছে, দেশে তেল গ্যাস নাই কতো সমস্যা, কেনো বিসিএস নিয়েই কথা বলতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি তখন সেটাকেই বরঞ্চ আপনার ব্যবহৃত শব্দ চয়ন করলে বলতে হয় ‘আবর্জনা’। ক্ষমা করবেন, আপনার মন্তব্যের শুধু একটা লাইন আমি কোট করেছিলাম, তারমানে এই নয় যে আমার শুধু ঐ লাইনটাতেই আপত্তি ছিলো। বরঞ্চ বিপ্লব কর্মকারের উত্থাপিত অভিযোগকে নিয়ে আলোচনা না করে তাকে বিসিএস সংক্রান্ত আলোচনা করতে মানা করা, অযাচিত উপদেশ দেওয়া, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে জানতে চাওয়া, জীবনে হতাশ কিনা সেটা জিজ্ঞেস করা আজব লেগেছে।
আবীর, তোমার ভিন্ন মত আমি সম্মান জানাই। বোঝাই যাচ্ছে লেখাটার মেসেজ আমার কাছে যেভাবে এসেছে, তোমার কাছে ভিন্ন ভাবে গেছে সেটা। হয়ত আমি বুঝতে ভুল করেছি, যদিও আমার মনে হচ্ছে না তা। উনার আগের লাইনগুল অন্যদের ইঙ্গিত করে, কিন্তু এই লাইনটা উনার নিজের বক্তব্যই মনে হয়েছে আমার। এই লাইনটাতে মনে হয়েছে অন্যরা যা মনে করে উনি নিজেও তাই মনে করেন।
হয় আমি টোন বুঝি না, নাহয় বাংলা বুঝি না। আর্গুমেন্টের ধরণটা বোল্ড করে দিলাম। হম, কোথাও বাংলায় লেখা হয়নি, সবাই অসৎ ভাবে নিয়োগ পেয়েছে। বরং বলা হয়েছে কেউ সৎ ভাবে নিয়োগ পেয়েছে তা জানাতে পারে নি।
আমি উনাকে বলেছি, উনি এই অভিযোগটা প্রমাণ সহকারে করতে পারলে আমি উনাকে সাধুবাদ জানাবো। প্রমাণের আগে অভিযোগটা যখন সবাইকে ইঙ্গিত করে করা হচ্ছে, সেখানেই আপত্তিটা। সবাই যদি অসৎ হত তাহলে বাংলাদেশ রাস্ট্রটাই হয়ত আর থাকতো না। এতো অস্বচ্ছতার মাঝেও, কিছু মানুষ কষ্ট হলেও সৎ থাকে, দেশের জন্য কাজ করে। আমার মনে হয় না, তাদের আদর্শকে আঘাত করার অধিকার কারোর আছে।
হ্যা, আপনার বোঝার ভুল আছে।
সে আগে আহবান জনিয়েছিল,কাউকে পায়নি তাই বলে কোন উপসংহারেও আসেনি বরং আবার আহবান জানিয়ে গেল। এটাও তো আপনার দাবীর কোন উপসংহার নয় ।
সে যে কথা বলেনি আপনি বলতে চাচ্ছেন সে সেটা বোঝাতে চাচ্ছে।
তার গুরুত্বপুর্ন প্রমানাদি গুলো হল-
১। পিএসসি কর্মকর্তার স্বীকারোক্তি যে বিসিএসে আদৌ কোন মেধাতালিকা হয় না।
২। সচিবের আত্মীয়কে চোরাচালানে সহযোগিতা করার জন্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে বিসিএস অফিসার নিয়োগ।[আপনার মতামত?]
৩। লিখিত পরীক্ষায় পছন্দ-অপছন্দের প্রার্থীকে নাম্বার বাড়ানো-কমানো।[আপনার মতামত?]
৪।ভাইভা বোর্ডের সদস্যদের সাথে প্রার্থীর সম্পর্ক।
৫। পিএসসির ফলাফলের পরও পুলিশের একজন প্রার্থী প্রথম হয়েছে- যাকে নিয়োগ দেয়নি।মানে মুল রেজাল্টে সে ছিল না কিন্তু প্রতিবেদনে ছিল। বলা যায়, ফলাফল প্রকাশের পরও কিছু প্রার্থী পাওয়া যায় যাদের পর্যাপ্ত নম্বর আছে। [আপনার মতামত?]
বোঝা যাচ্ছে একটা বিসিএসে সত/অসত দুভাবেই নিয়োগ হয়।সতভাবে যাদের নিয়োগ হয় তারা অস্বচ্ছ পক্রিয়ার মধ্যে নিয়োগ পায়- যা হওয়ার কথা নয়। বলা যায় ভাগ্যের জোরে নিয়োগ পায়। কিন্তু তাদের ভাগ্য নয়, মেধাই হওয়া উচিত মাপকাঠি।
আপনার যে দুজন পরিচিত প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছে আমি যদি যুক্তির খাতিরে বলি/অভিযোগ করি তাদের নির্বাচনও সতভাবে হয়নি আপনি কি প্রমান দেখাতে পারবেন?
যদি পারেন তাহলে বলেন –
১। তাদের লিখিত ও ভাইভায় মার্কস কত?
২।ওই বিসিএসে কি আর কোন প্রার্থী আছে যারা নিয়োগ পায়নি কিন্তু আপনার আত্মীয়দের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে?
৩। কাট-অফ নাম্বার কত?
এবার আপনি কিছু প্রমান নিয়ে কথা বলেন। আপনি কোন প্রমানের জোরে বলেন, বিসিএসে সতভাবে নিয়োগ হয়-আমরা সেটাও জানতে চাচ্ছি।
(ডকুমেন্ট)
ফাহমিদা খাতুন
নাহ, আর তর্ক করব না।
কারণ, ১। আমি নিজে কখনও পরীক্ষা দেইনি।
২। আমার কোন আত্মীয় ২৮ থেকে ৩৪ এ পরীক্ষা দেয় নি। আমার বন্ধু তালিকায় ব্যক্তিগত ভাবে চেনা তিন জন আছে- তারা এই সময়ে পরীক্ষা দিয়েছে, প্রত্যেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবং আমি তাদেরকে কিছুই জিজ্ঞেস করতে যাবো না, বা আপনাদের প্রশ্নের উত্তরও দিতে বলব না। কারন,
আমি ভাবতাম মানুষ মূলত ভাল, আর এই কারনেই মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করে। এখন জানলাম, আমার সমসাময়িক জেনারেশনের একটা বড় অংশ, অন্তত এখানে যাদের দেখতে পাচ্ছি, তারা অসততাকে সন্দেহের চোখে না দেখলেও সততাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। কেউ নিয়োগ পেয়েছেন শুনলে প্রশ্ন করেন সৎ ভাবে নাকি অসৎ ভাবে! তার মানে বাংলাদেশের তরূন সমাজের মানসিকতা বদলে গেছে, যেটা আমার জানা ছিল না।
আপনারা যখন বিসিএস পরীক্ষায় বসেছেন, কোন না কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রী অন্তত শেষ করে এসেছেন। আচ্ছা, আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কি সৎ ভাবে হয়েছিল? আপনারা যে নম্বর ভর্তির সময় পেয়েছিলেন বলে প্রকাশ হয়েছিল, প্রমাণ করতে পারবেন তা আপনি ঘুষ দিয়ে বাড়িয়ে নেন নি? বা ভেতর থেকে কেউ আপনাকে প্রশ্ন পত্র যোগাড় করে দেয় নি? আপনাদের ব্যাচেলর ডিগ্রীর রেজাল্টটা কি সততার জোরে পেয়েছিলেন? নাকি পরীক্ষায় অসদুপায় অবল্মবন করেছিলেন? যে যুক্তিতে বিসিএস এ উত্তীর্ণদের সন্দেহের চোখে দেখছেন, সেই একই যুক্তিতে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, সেকেন্ডারী স্কুল এক্সাম, হায়ার সেকেন্ডারী স্কুল এক্সাম, সবই প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। করব?
আমি জানিনা, আমি কেন শুধু শুধু হাজার অসতের মাঝেও কিছু সৎ মানুষ থাকে বলে আশাবাদী হতে বলছি, অন্যদের হয়ে এতোক্ষণ ধরে যুক্তি দিয়ে কোন লাভ তো নেই আমার! তবুও দেখতে ভালো লাগেনি, একটা তরুণ প্রজন্মের একটা ভালো অংশ সততাকে অবিশ্বাস আর অসততাকে বিশ্বাসের চোখে দেখতে দেখতে শুরু করেছে। এটা একটা অন্ধকার চক্র, যা মানুষের ভালোত্বকে গ্রাস করে। আর এই কারণেই আমি আমার তিনজন বন্ধুর একজনকেও এইসব অন্ধকার প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করব না। অন্তত আমি বিশ্বাস করি তারা সৎ!
মেলা লেকচার দিয়েছি, ক্ষান্ত দিলাম। আপনারা সুখে থাকুন।
ভালো থাকুন।
এখানে কথাই তো হচ্ছে ২৮~৩৪ বিসিএস নিয়ে। তাহলে আপনি তাদের রেফারেন্স টানলেন কেন? তাহলে কোন বিসিএসে চান্স পেয়েছে?
লেকচার দিলে ভালো লাগত। মানুষকে অপমান করতে আর ব্যক্তিগত আক্রমন করতে তো খুব ভালো লাগে।
নিজে কোন প্রমান দিলেন না, হাওয়ার উপর ভর করে তর্ক করে গেলেন।
কিভাবে আপনি সিদ্ধান্তে আসলেন আমি বিসিএস পরীক্ষার্থী?আবারও একই ভুল করছেন।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অসতভাবে হয়, প্রমান সহ বলেন। আজই রাষ্ট্রপতি/ইউজিসিতে চিঠি দিব।
এই পোস্টের লেখকেরই উদ্দেশ্য ছিল সত ছেলেপেলে বিসিএসে চান্স পেয়ে দেশের পরিবর্তন, আপনার নয়। আপনার উদ্দেশ্য পরিস্থিতি ঘোলাটে করা, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা, লেখকেই অপরাধী প্রমান করা।
ফাহমিদা খাতুন
আপনারা যখন বিসিএস পরীক্ষায় বসেছেন,
কিভাবে আপনি সিদ্ধান্তে আসলেন আমি বিসিএস পরীক্ষার্থী?আবারও একই ভুল করছেন।
>> আপনারা একটা বহুবাচক শব্দ, যেটা দ্বারা যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের সবাইকে বোঝানো হয়েছে। আপনাকে বওঝাতে চাইলে “আপনি” শব্দটা উল্লেখ করতাম।
“আপনার উদ্দেশ্য পরিস্থিতি ঘোলাটে করা, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা, লেখকেই অপরাধী প্রমান করা। ”
আমি এইখানে যতগুলো কমেন্ট দিয়েছি, তাতে আমার উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল এবং আছে। তথ্য প্রমাণ ছাড়া কেউ কারোর মানহানি করতে পারে। আমি যে মেসেজটা পেলাম, তাদেরকে ডিফেন্ড করাটা ভালোভাবে নেয়া হয়নি। আপনি কি উপরোক্ত বক্তব্য দিয়ে আমাকে ব্যক্তি আক্রমন করছেন? আমি কোন ব্যক্তিস্বার্থে এখানে একটা মন্তব্যও দেইনি, এটা কি একবারো পরিষ্কার করে বলেছি আমি?
সংশোধন, তথ্য প্রমান ছাড়া কেউ কারর মানহানি করতে পারে না। না শব্দটা বাদ পড়ে গিয়েছিল।
আমি বলেছি যে লজিকে আপনারা বিসিএস এ উত্তীর্ণদের সততাকে প্রশ্ন করছেন, সেই একই লজিকে যে কোন পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। যুক্তিটার শেষে প্রশ্ন করেছিলাম, করব কি? প্রশ্নটা করার কারণ প্রশ্ন করতে চাওয়া নয়, বরং বলা, আমার সাধারণ ভাবে সেটা করি না, বরং পাবলিক পরীক্ষার ফল স্বচ্ছ বলেই ধরে নিই, এটা একতা সাধারণ ধারণা। আমরা পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন কারীদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রনকারীদের স্বচ্ছতায় বিশ্বাস রাখি।
খুব অদ্ভুত লাগছে, আজকে মুক্তমনায় আমাকে বাংলায় লেখা কথার ভাবসম্প্রসারণ করতে হচ্ছে, তাও নাম না জানা, অচেনা কিছু মানুষকে ডিফেন্ড করতে এসে। অবাক হচ্ছি।
করুণাই হল আপনার জন্যে, মানুষের অর্জনকে খাটো করতে কি প্রাণান্তকর চেষ্টাই না করছেন! বিসিএস আওয়ার গোল গ্রুপটায় আপনাকে মোটামুটি ধবল ধোলাই করা হয়েছে এরকম একটা উদ্ভট, ভুল এবং মিথ্যা তথ্যে পরিপূর্ণ লেখা প্রসব করার জন্যে, তা নিশ্চয়ই দেখছেন।
যা হোক, কাজের কথায় আসি। আমার নাম মাসরুফ হোসেন (পুরো নাম তাহসিন মাসরুফ হোসেন মাসফি) , আমি আটাশ এবং উনত্রিশ দুটি বিসিএস এ পুলিশ ক্যাডারে যথাক্রমে চতুর্থ এবং তৃতীয় মেধাস্থান দখল করি। এই দুই বিসিএস এ আমার রেজি: নম্বর যথাক্রমে 039645 , 020428.
আপনার প্রতি উদাত্ত আহবান রইল, যদি প্রমাণ করতে পারেন যে আমার নিয়োগে নূ্যনতম দুর্নীতি কোথাও হয়েছে, আমি চাকুরি থেকে রিজাইন দেব।
আর যদি না পারেন তাহলে দয়া করে আপনার সামর্থ্য জানাবেন। আপনার বিরূদ্ধে মানহানির যে মামলাটি করা হবে, ওটার ক্ষতিপূরণ যাতে আপনার সামর্থ্যের ভেতরেই থাকে সেজন্যে আরকি 🙂
পরিশেষে মুক্তমনা এ্যাডমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এধরণের আবর্জনা প্রকাশ করার আগে একটু যাচাই করে নিতে।
পয়েন্ট বাই পয়েন্ট ধরি:
1) ধরে নিলাম প্রথম স্থান অধিকারী ওয়ালিদ দুজন পিএসসি মেম্বারের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্রে সে কনফার্ম হয়েছে যে সে বিসিএস এ প্রথম হয়েছে কিনা। এর থেকে কিভাবে প্রমাণ হয় যে সে দুর্নীতি করে বিসিএস এ প্রথম হয়েছে? ওর পরীক্ষার খাতা বা ভাইভাতে যে নম্বর, সেটা যে কারচুপি করে হয়েছে তার প্রমাণ কই? ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে রেজাল্ট কনফার্ম করা আর পুরো প্রসেসে দুর্নীতি কি এক জিনিস??
দুই) ওয়ালিদের সাথে তার ইনবক্স চ্যাটিং এর রেকর্ড একটা পাবলিক ব্লগে তার বিনা অনুমতিতে প্রকাশ করাটা কতটা নৈতিক?
এটা বাদ দিই, এ্যাডমিন ক্যাডারে শ দেড়েক নিয়োগপ্রাপ্তদের একটা ক্ষুদ্র অংশের রোলের স্ন্যাপ নিয়ে তাতে আটত্রিশ রোলের আধিক্য দেখালে কিভাবে প্রমাণ হয় যে এরা দুর্নীতির মাধ্যমেই টিকেছে? স্ট্যাটিসটিকালি কাকতালীয়ভাবে মিলে গিয়েছে( খেয়াল করুন, সম্পূর্ণ রেজাল্ট নয়, একটি ক্ষুদ্র অংশ) দেখে সেটাকেই দুর্নীতির প্রমাণ বলে কিভাবে চালিয়ে দেয়া যায়? সলিড প্রুফ কোথায়?
আর তিন নম্বরের উত্তর তো শুরুতেই দিয়েছি। এবার কমন সেন্স থেকে প্রশ্ন করি। উনি যে সফল ক্যাডারের নাম আর রেজি নম্বর ফেসবুকে চাইলেন, আমার রেজি নম্বর ফেসবুকের অন্য মানুষের মুখস্ত থাকবে কিভাবে বা এই তথ্য তাদের কাছে কিভাবে যাবে?? এই প্রশ্নের ভিত্তিতে আটাশ থেকে এ পর্যন্ত সব বিসিএস এর নিয়োগ পাওয়া মানুষদের দুর্নীতির ফলে নিয়োগ পেয়েছে এমন দাবী করে ফেললেন???
আশা করি মুক্তমনা এ্যাডমিন বিষয়টি দেখবেন ।
একেবারে শেষ থেকে শুরু করি।
বোঝার ভুল আছে। আমি কখনোই বলিনি ২৮ তম থেকে সবাই ঢালাওভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছে। আমি কতগুলো রেজিঃ নং খুজছিলাম যারা সতভাবে নিয়োগ পেয়েছে । এগলোকে আদর্শ ধরে তথ্য অধিকার আইনে তাদের লিখিত ও ভাইভার নম্বর চাইতাম পিএসসির কাছে। কেউ দেয়নি বলে দৈবচয়নের ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রেশন নং দিয়ে পিএসসির কাছে তথ্য চেয়েছিলাম।
আপনার দেয়া রেজি নম্বর দিয়ে শিঘ্রই দরখাস্ত করা হবে।সেই হিসেবে ৩৪ তমের কত গুলো রেজি নং প্রয়োজন।
আপনি আদালতে যেতে পারেন, সম্মান হানির যতটাকা অর্থমুল্য হয় দাবী করতে পারেন।
@মুক্তমনা এডমিন,
আমি কখনোই ব্যক্তি স্বার্থে মুক্তমনাকে ব্যবহার করছি না।
ডঃ আকবর আলী খানের নেতৃত্বে যে কমিটি করা হয় সেখানে পিএসসির বড় অনিয়মের জায়গা চিহ্নিত করে ভাইভাকে। ভাইভাতে রাখা হয় ১০০ নম্বর। কিন্তু ৩০ তম থেকেই তা বাড়িয়ে ২০০ করা হয়। আবার ২০০ নম্বরের মধ্যে প্রার্থী কত পেয়েছে তা জানানো হয় না। তথ্য অধিকার আইন বলে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তা পাব্লিক ডকুমেন্ট তা শুধু প্রার্থী নয় দেশের যে কোন নাগরিক জানতে চাইতে পারে। পিএসসির আইন কর্মকর্তা বলেছিলেন, পিএসসিতে কোন মেধাতালিকা হয় না। যার অডিও ক্লিপ আরেক পোস্টে দিয়েছি।আমিই দরখাস্ত দিয়েছিলাম রহস্য উদঘাটনের জন্য যে , তাহলে পত্রিকায় যে মেধা তালিকা যায় তা কি?
উপরোক্ত প্রার্থী দাবি করছে সে রেজাল্ট দেয়ার আগেই পিএসসি থেকে তার ফল জানত, সে চুপ ছিল। তাহলে কি বোঝেন।
২৮ তম বিসিএসে একজন সমতলের আদিবাসী পদ শুন্য থাকার পরও তাকে আদিবাসী কৌটায় নিয়োগ দেয়নি। এরকম আরো পাবেন।
পরিশেষে বলি বিসিএসে ভাইভা একেবারেই অস্বচ্ছ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হওয়া প্রার্থীকে তার পছন্দনীয় বিষয় ধরি সে পছন্দ করল পদার্থ, তাকে পদার্থ বিজ্ঞান দেয়া হয়। পরেরজন পছন্দ করল ইংরেজি, তাকে দেয়া হবে ইংরেজি ।এভাবে চলতে থাকে।
কিন্তু বিসিএসে এরকম আদৌ মানা হয় কিনা সন্দেহ। ইতিমধ্যে তথ্য অধিকার আইনে সেসবও জানতে চেয়েছি এবং উদাহরন হিসেবে ২৮তম বিসিএসের প্রার্থীদের ক্যাডার চয়েস ফরমের ফটোকপি চেয়েছি, কিন্ত পিএসসি দেয়নি। তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেছি শীঘ্রই শুনানী হবে।
এখন বলেন, এতদিকে এত অস্বচ্ছ তাহলে প্রার্থীদের কিভাবে নিয়োগ দিচ্ছে পিএসসি। তার উপর লিখিত পরীক্ষার খাতা মুল্যায়ন কিভাবে হয় তার পেপার কাটিং আরেকটি পোস্টে দিয়েছি। পছন্দের প্রার্থীকে নাম্বার বাড়ানো, অপছন্দের প্রার্থীকে নাম্বার কমানো এগুলো এত নগ্নভাবে হয় যে, পত্রিকায় পর্যন্ত এসেছে।
এই নিউজ দেখেন,
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/414499/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B2
এবার বলেন, কোন দেশের প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা নিয়োগ এভাবে হয়। বাকীটা আপনাদের ইচ্ছা।
শেষ করছি টিআইবির ওয়েবসাইটে প্রায় ৪০০ পাতার উপর পিএসসির বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে একটা রিপোর্ট আছে, দেখতে পারেন নাহলে আপনাদের মেইল করব।
মাসরুফ হোসেন, দুঃখিত আমার কাছে এই পোস্টটি একেবারেই কারও অর্জনকে খাটো করার জন্য লেখা মনে হলো না একবারও। পোস্টের ১ নং পয়েন্টে বিপ্লব কর্মকার ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র’ কিভাবে বিসিএস এ প্রথম হয় এই ‘অযৌক্তিক’ সমালোচনার সমালোচনা করে বলেছেন ‘বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলকে কেন্দ্র করে মুল সমস্যার দিকে নজর না দিয়ে এসব কাদাছোড়াছুড়ি একেবারেই অগ্রহনযোগ্য’। বিপ্লব কর্মকারের বিসিএস পরীক্ষার অস্বচ্ছতা এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তথ্য প্রদানের অনীহা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করে আসছেন এবং সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন। বিপ্লব কর্মকারের দৃষ্টিতে মূল সমস্যা কী সেটা আগের পোস্টগুলো পড়লেই ধারণা পাবেন, আমি এই পোস্টে বিপ্লব কর্মকারের উল্লেখ করা সমস্যাটাকে অবশ্যই খুব বড় একটা সমস্যা হিসেবে দেখছি। যেটার উল্লেখ তিনি করেছেন ১ নম্বর পয়েন্টেই। আমি তার পর্যবেক্ষণের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
বিসিএস এ ‘প্রথম’ হওয়ার তথ্য খালিদ বিন কাশেম তার বাবার বন্ধু পিএসসি সদস্যকে ফোন করেই জেনে নিতে পারাটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে কারণ-
বিপ্লব কর্মকারের অসংখ্য পোস্টে আমি দেখেছি তাকে অসংখ্য আইনগত পক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এবং তিনি ফলাফল সংক্রান্ত কোনো তথ্য পেতে, আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকা স্বত্তেও ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ খালিদ বিন কাশেম তার বাবার বন্ধুকে কল করেই ফলাফল পাচ্ছে। যে ফলাফল আবার কিনা অফিসিয়ালি প্রকাশই হয় নি- খালিদ নিজেও লিখেছে অফিসিয়ালি মেধাতালিকা প্রকাশিত হয় না। তাহলে অপ্রকাশিত তালিকার তথ্য খালিদ বিন কাশেমকে কেনো দেওয়া হলো? তার বাবা BPSC এর সদস্যের বন্ধু বলে? যদি বাবার বন্ধুত্বের খাতিরে এমন একটি অন্যায়, অবৈধ, আইনপরিপন্থী কাজ একজন সদস্য করে থাকেন তাহলে তাদের দ্বারা অন্য কোনো অন্যায়, অবৈধ, আইনপরিপন্থী কাজ হয় নি তা আমরা কিভাবে বুঝবো? আপনি বললেন- ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে রেজাল্ট কনফার্ম করা আর পুরো প্রসেসে দুর্নীতি কি এক জিনিস?? একই জিনিস না, তবে ব্যক্তিগত পরিচয়ের ‘সুবাদে’ যেই রেজাল্ট অফিসিয়ালি প্রকাশিত হয় নি তা আপনার ভাষায় ‘কনফার্ম’ করাকে আমি দুর্নীতি হিসেবেই দেখছি। তবে এটাও মানছি যে এতে প্রমান হয় না কারচুপি হয়েছে, তবে প্রমান হয় ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে বাংলাদেশ পাব্লিক সার্ভিস কমিশন ‘দুর্নীতি’ করে। আমার অভিজ্ঞতাবলে যারা দুর্নীতিবাজ তারা শুধু একবারই দুর্নীতি করেন না, দূর্নীতি করাটাই তাদের নীতি থাকে। তাই বিপ্লব কর্মকান্ডের করা প্রশ্ন আমার কাছেও ভ্যালিড। ওয়ালিদ যদি এভাবে রেজাল্ট জানতে পারে, তাহলে সে বাবার বন্ধুকে দিয়ে পুরো প্রসেসটাই দুর্নীতি করে করেন নি তার প্রমান কই? সে প্রমান ওয়ালিদকেই দিতে হবে।
মন্তব্য কন্টিনিউড…
এখানে বিপ্লব কর্মকার যে ওয়ালিদের কাছে তথ্য চাওয়া স্বত্তেও সে সেটা জানায় নি তার প্রমান হিসেবে শুধু ওয়ালিদের সাথে তার এই সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরের স্ক্রিন শট দিয়েছেন। এটাকে আমার একদমই অনৈতিক মনে হচ্ছে না। ওয়ালিদ পাবলিক পোস্ট করে জানিয়েছে কমিশনের সদস্য তার বাবার বন্ধু সুতরাং যেকোনো অনুসন্ধিৎসু তাকে জিজ্ঞেস করতেই পারেন, বন্ধুটা কে। কোনো একজন সাংবাদিক যদি ওয়ালিদকে ফোন করে একই প্রশ্ন করতো, এবং ওয়ালিদ উত্তর না দিতো, তাহলে সেই সাংবাদিক যদি উল্লেখ করতেন তিনি ফোন করা স্বত্তেও ওয়ালিদ উত্তর দেয় নি, তাহলে ‘ফোন করার’ কথা বলাটা কী অনৈতিক হতো? একদমই না। এখানে ওয়ালিদের কোনো গোপন তথ্য ফাস করেন নি বিপ্লব কর্মকার।
আপনি আবারও বিপ্লব কর্মকার যা করেন নি, সেটা তিনি করেছেন উল্লেখ করে কেনো করেছেন তা জানতে চাইলেন। আমি পোস্টে দেখছি এটাও বিপ্লব কর্মকারের আরেকটি পর্যবেক্ষণ- তিনি কোথাও দাবী করেন নি এটা দূর্নীতির প্রমান।
মাসরুফ ভাই, আমি বিসিএস পরীক্ষা দেই নি কখনও, তাই সিস্টেম সম্পর্কে জানি না। কিন্তু যেহেতু ওয়ালিদের মতো আপনিও আপনার দুইটি মেধা পজিশন জানেন তাই আমার একটা কনফিউশন হচ্ছে? আসলেই কী এখানে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়? যদি হয়ে থাকে তাহলে ভালো, যদি না হয়ে থাকে তাহলে আপনি কিভাবে এই তথ্য পেয়েছেন জানতে চাচ্ছি। জাস্ট জানতেই চাচ্ছি- এর পেছনে আপনি দুর্নীতি করে ক্যাডার হয়েছেন সেটা প্রমানের কোনো চিন্তা নেই (আপনাকে ভালো করেই চিনি, আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে আপনি এমন ফলাফলেরই যোগ্য এবং দেশের মেধাবি সন্তান)।
আপনি কী পয়েন্টে মানহানি মামলা করবেন তা ভাবছি বেশকিছুক্ষণ ধরে। আপনি দুর্নীতির মাধ্যমে বিএসএস নিয়োগ পেয়েছেন কোথাও বিপ্লব কর্মকারে সেটা উল্লেখ করেন নি। উলটো মান হানাহানি কিছু হয়ে থাকলে আপনি তার পোস্টকে আবর্জনা বলে সেটা করেছেন।
বিপ্লব কর্মকারের উপসংহারটি দেখুন-
মেধাতালিকা আপনিও জানতে চান এবং জেনেছেনও। বিপ্লব কর্মকারের অধিকার আছে সেই তথ্য পাবার। যৌক্তিক ভাইভার নাম্বার বন্টন এবং সৎ ভাইবা বোর্ডের বিকল্প আসলেই নেই এবং শুধু এই পোস্টের মাধ্যমেই বিপ্লব কর্মকারের দেখাতে পেরেছেন ভাইভার নম্বর বন্টন যৌক্তিক নয় এবং ভাইবা বোর্ডের সদস্যরাও ‘সৎ’ নয়। কারণ তারা ক্যান্ডিডেটের বাবার বন্ধু সূত্রে গোপন তথ্য পাচার করে।
////যেহেতু ওয়ালিদের মতো আপনিও আপনার দুইটি মেধা পজিশন জানেন তাই আমার একটা কনফিউশন হচ্ছে? আসলেই কী এখানে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়? যদি হয়ে থাকে তাহলে ভালো, যদি না হয়ে থাকে তাহলে আপনি কিভাবে এই তথ্য পেয়েছেন জানতে চাচ্ছি।///
বিসিএস পরীক্ষার রেজাল্টে প্রতিটা ক্যাডারের সিরিয়াল নম্বর মেধা অনুসারে প্রকাশিত হয়ে থাকে, কখনও কখনও পি এস সি ঘোষণা দিয়ে জাতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করে।
আটাশতম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে নির্বাচিত ব্যক্তিদের রেজাল্ট পড়বার সময় বাম থেকে ডানে যেতে যেতে চার নম্বরে আমার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল (০৩৯৬৪৫) , যেটা থেকে প্রকাশিত হয় যে আমি মেধাক্রমে চতুর্থ স্থান দখল করেছি।
সমগ্র বিসিএস পরীক্ষায় আমার মেধাক্রম কত এটা আমি জানিনা, কিন্তু পুলিশ ক্যাদারে যারা পরীক্ষা দিয়েছে তাদের মেধাক্রম আমি জানি এবং এতে আমার অবস্থান চতুর্থ। আমাদের ব্যাচের ফার্স্ট বয় সাগর সেন যোগদান নয়া করায় তা এক এগিয়ে তৃতীয় হয়েছে। এই মেরিট সিরিয়ালের উপর ভিত্তি করেই প্রতিটা ক্যাডারে প্রমোশন ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়, ফাইলপত্র সাজান হয় ইত্যাদি।
পি এস সি যে জিনিসটা অনিয়মিতভাবে করে সেটা হচ্ছে ওভারঅল মেধা তালিকা প্রকাশ করা। কিন্তু নিয়মিত যে কাজটা করে তা হচ্ছে প্রতিটা ক্যাডারের মেধা তালিকা রেজাল্টের সময়েই রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুসারে সাজিয়ে দেয়া।ওটা দেখেই বোঝা যায় কার মেরিট পজিশন কত।
মোদ্দা কথা, এটা রকেট সায়েন্স নয়।
হ্যাঁ, আমি কখনোই বলছিনা বিসিএস পরীক্ষা সর্বকালের সবচেয়ে ফেয়ার পরীক্ষা। এই আমাকেই ভাইভাতে চরম নাজেহাল করা হয়েছিল দুইবারই , প্রথম বার প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্র বলে, দ্বিতীয়বার একবার চাকুরি পেয়েও কেন আবার পরীক্ষা দিতে এসেছি( আমি পুলিশের বদলে ফরেজে যেতে চেয়েছিলাম) সেজন্যে। বাংলাদেশের মত একটি দুর্নীতিপরায়ণ দেশের পরীক্ষা যেরকম হবার কথা, বিসিএস পরীক্ষা তার বাইরের কিছু হয়না। আমার সমস্যা হচ্ছে বিপ্লব সাহেবের লেখার টোন-এ।
আমি স্পষ্টভাবে স্বীকার করি ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে পি এস সি থেকে নিজের মেধাক্রম জানাটা নৈতিক নয়।এটাকে অন্যায় বলা যায় অবশ্যই। কিন্তু এটার সুত্র ধরে সরাসরি বলে ফেলা, “যেহেতু সে এই তথ্য বের করতে পেরেছে সেহেতু সে দুর্নীতি করে প্রথম হয়েছে”-
এটা একটা প্রমাণ বিহীন ফালতু ব্যক্তি আক্রমণঃ
লেখক বলেছেনঃ
///বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটি যে নিজের যোগ্যতায় প্রথম হয়নি বা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদের নির্বাচনও ফেয়ার হয়নি- একথা অনেকেরই বুঝতে কষ্ট হয়।///
মানে, যেহেতু ওয়ালিদ নিজের রেজাল্ট পরিচিত পি এস সি মেম্বারের মাধ্যমে জেনেছে, সুতরাং সে পরীক্ষার খাতাও দুর্নীতি করে লিখেছে, ভাইভাতে দুর্নীতি করে নম্বর পেয়েছে এবং সব মিলিয়ে নিজের যোগ্যতাতে প্রথম হয়নি।
আমি বিপ্লব সাহেবের এধরণের দাবীর সপক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণ চাইছি। তিনি প্রমাণ দিন ওয়ালিদ নিজের যোগ্যতায় নয়, অন্য কারো যোগ্যতায় প্রথম হয়েছে। যিনি দাবী করেন বার্ডেন অফ প্রুফ তার উপরই বর্তায়, এটা আশা করি আপনার জানা আছে।
বিপ্লব সাহেবের পর্যবেক্ষণের নমুনাটা বলিঃ
///৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় এডমিন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ছাত্রদের রোলগুলো খেয়াল করুন। সব মেধাবী কি একই সময় রেজিস্ট্রেশন করেছে না অন্য কিছু? ///
ধরে নিচ্ছি “অন্য কিছু” মানে দুর্নীতি না। তাঁর আরেকটা “পর্যবেক্ষণ” বলিঃ
// পেছন থেকে একজন ছাত্রকে মেধা তালিকায় আনতে গেলে ভাইভায় কারসাজির বিকল্প নেই।///
এ দুটোর মাঝখানে তিনি তাঁর ওই “পর্যবেক্ষন” দিয়েছেন ( আটত্রিশ রোলের আধিক্য)।
আমার পড়ে মনে হয়েছে তিনি এখানে দুর্নিতি/ কারসাজিকেই নির্দেশ করেছেন। আপনার অন্য কিছু বলে মনে হতে পারে হয়তবা।
৩৪তম bcs এর 38 হাজার রোলের general cadre সম্পর্কে কিছু কথা আমার জানানোর আছে । 38 হাজার ঘরের সব cadre ই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বাকৃবি) ছাত্র ! এটা সম্ভব হয়েছে কারণ বাকৃবির maximum student রা আসলেই একই দিনে & একই সময়ে ৩৪ তম bcs এর টাকা পাঠিয়েছিল (কিছু student এর বুদ্ধিতে টাকা পাঠানোর দিন & সময় ১ সপ্তাহ আগেই ঠিক করে বাকৃবির প্রতিটা হলে পোস্টারিং & মাইকিং করে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, আমি নিজেও পাঠিয়ে ছিলাম & আমার নিজের রোলও ৩৮ হাজারের মধ্যেই ছিল। but আমি প্রিলিতে qualify করি নি ) । এই একই কাজ বাকৃবিতে ৩৫ তম ও ৩৬ তম bcs এ ও করা হয়েছে । উদ্দেশ্য বাকৃবির student রা যেন প্রিলি & রিটেন এ কাছাকাছি & পাশাপাশি(ভাগ্য ভাল হলে) থাকতে পারে । বাকৃবির ছাত্র হিসেবে আমার জানা মতে ৩৪তম bcs এ আমাদের ভার্সিটি থেকে মোট ৩২৩ cadre হয়েছে । এর মধ্যে এডমিন ৪০ জন, ফরেন ২ জন, এএসপি ৫-৭ জন & বাকিরা প্রোফেসনাল cadre । তাই খোজ নিলে দেখা যাবে বাকৃবির এই ৩২৩ জনের ৯৫% এর রোলই ৩৮-৩৯হাজারের মধ্যে আছে (বাকৃবিতে এবার আরও বেশি cadre হলে তাদের রোলও এর মধ্যেই থাকত), তাই আশ্চর্যজনক হলেও সম্ভব ।
বি. দ্র. আমাদের বাকৃবির ক্যাম্পাসের তুলনায় student এর সংখ্যাটা অনেক ছোট । যেখানে প্রতি বছর প্রায় ১০০০ student ভর্তির সুযোগ পায়, সেখানে এক bcs এ ৩২৩ জন cadre খারাপ না । কী বলেন ???
আপনাদের বাকৃবির ছাত্রদের অভিনন্দন।
” এই একই কাজ বাকৃবিতে ৩৫ তম ও ৩৬ তম bcs এ ও করা হয়েছে । উদ্দেশ্য বাকৃবির student রা যেন প্রিলি & রিটেন এ কাছাকাছি & পাশাপাশি(ভাগ্য ভাল হলে) থাকতে পারে ।”
এইখানে কি কোন অনিয়ম বা অসততার গন্ধ পাচ্ছেন? এধরনের তথ্য আরো বেরিয়ে আসুক। আমার পর্যবেক্ষন বলে দুইজন ছাত্র যদি পাশাপাশি বসে দেখাদেখি করে লেখে তাহলে সঠিক উত্তরের আর কিছু বাকি থাকে না। গনিত, মানসিক দক্ষতায় পুর্ননম্বর, ইংরেজি ১ম, বিজ্ঞান ও আন্তরজাতিক বিষয়াবলীতে ৮৫+ পাওয়া সম্ভব। সেখানে এতজন একই সাথে বসেছে! এইখানেই তো পরীক্ষার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। যে নিজ থেকে লিখছে সে তো কোনদিন মুল প্রতিযোগিতায় আসতে পারবে না। তাহলে দেখা যাচ্ছে , নিজ থেকে লিখার চিন্তা করে বিসিএস পরীক্ষার হলে যাওয়া যাবে না। এভাবে দল বেধে রেজি করতে হবে।
বিপ্লব দা,
আপনার পোষ্টটি খুবই চমৎকার ও পবেষনাপ্রদ।তবে আপনার—- “বিসিএস শিক্ষার্থীদের একটা ফেসবুক গ্রুপ আছে সেখানে প্রায় দেড় লাখের উপর ছাত্রছাত্রী সদস্য হিসেবে আছে। একবার তাদের উদ্দেশ্যে আহবান জানিয়েছিলাম ২৮ তম থেকে ৩৩ তম বিসিএস পর্যন্ত যদি কোন প্রার্থীর নাম জানা থাকে যে সৎভাবে নিয়োগ পেয়েছে, তাহলে তার রেজি নং ও কততম বিসিএস তা জানানোর জন্য।”—এই পোষ্টটা আমি আগে দেখিনি।দেখলে, আগেই জানিয়ে দিতাম।বিনম্রভাবে জানাচ্ছি, আপনার নিয়োগ বিষয়ক সকল ধারনা ঠিক নয়। তাই আমারটা দিয়ে আপনার ভুল ধারনা কিছুটা ভাঙ্গানোর চেষ্টা করলাম।২৮ তম থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছি এবং হচ্ছেও।আমার ব্যাক্তিগত প্রায় হাফ সেঞ্চুরী ক্যাডার ও যে এস সি -এর অফিসার আছে যারা সৎভাবেই চাকরি পেয়েছে। আমি তাদের দেখেই অনুপ্রানিত। নইলে বিসিএস দিতে আসতাম না। আপনার আশে-পাশেও আছে।খুজলেই পাবেন। একটা লিংক দিয়ে দিলাম। এখানে সব আছে। ভাল থকবেন দাদা। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। http://www.banglapost24.com/?p=463078 ।
ধন্যবাদ আমি এমন কমেন্টই আশা করছিলাম।
মোট তিনটা গ্রুপে আহবান জানিয়েছিলা। দুইটা গ্রুপ আমাকে ব্যান করেছিল, একটা গ্রুপ পোস্ট ডিলিট করেছিল। সে সময় আমার দরকার ছিল।তাদের প্রাপ্ত নম্বর হত আদর্শ। কিন্তু কোন রেজি নম্বর পাইনি বলে রেন্ডম রেজি নম্বর দিয়ে পিএসসির কাছে তথ্য চেয়েছিলাম।
ক্যাডারপ্রাপ্তদের মধ্যে একমাত্র আপনিই ভদ্রভাবে কমেন্ট করেছেন, গালিগালাজ করেননি, এজন্য আবারো ধন্যবাদ।
আপনি কততম বিসিএস, রেজি নং কত?
যেকোনো সরকারী চাকরী মানেই দুর্নীতি/এটা আর নতুন কি?
BCS টা আমারে বড়ই কষ্ট দিল, পর পর দুইবার নন ক্যাডারে ফেলায় দিল। অবিভাবকবিহীন এই বাংলাদেশে আমাদের জন্মটাই পাপ।