প্রিয় চারুলতা,
নামটা মনে আছে বলে অবাক হলে?
নাকি ভাবছ, আবার কেন!
সবকটি চিন্তা যৌক্তিক।
ভাবাটাই স্বাভাবিক।
সে যাই হোক,
মনে যখন আছে তখন সবটুকু বলেই ফেলি।
নয়ত পুরনো ছেড়া, ফাটা কথার ভিড়ে আবার
নতুন করে সাজতে পারে চিতা,
কিংবা স্মৃতির ছাই গুলো হারিয়ে যেতে পারে।
ঠিক সেবারের মত।
যেবার সন্ধ্যেয় আমার বুকে হারিয়েছিলে,
বলেছিল,সে বুকের দ্রাঘিমা, অক্ষাংশ সব রেখাই তোমার।
আমি শুধু পৃথিবীর ন্যায় ধারন করছি তা।
কিংবা সেদিনের মত হারিয়ে যাবে দেখো..
যে দিন তুমি আমি স্যুপের পেয়ালে,
চিকেনের ঝালে হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে।
থাক না বাপু…..
অত হারিয়ে এখন আর কাজ নেই,
ওগুলো মনের ভূল ছিল, বলও।
দেখেছ আজও তোমার মুখের কথা
আমি চোখেই পড়তে পারি।
তাই বলে ভেব না,
কষ্টে আছি ভারি।
ওসব সস্তা ইমোশন,
আর থেতলানো অনুভূতি, এতে আর স্মৃতিচারন কেন!
কিসব দ্রাঘিমা, অক্ষ, রেখা, আমি, তুমি, ধুর
ভুগোলের গুষ্টি কিলিয়েছি,
স্যুপেও রেখেছি বাড়ন।
ওসব কি ছাই-পাস,নষ্ট খাবার।
বেজায় স্বাস্থ হানী,
তাই খাইনা ওসব আর।
কি আজব কান্ড দেখও,
কি সব বলছি,
সস্তা কথা,… সস্তা মানুষ, সস্তা কষ্ট-ব্যথা।
কি করব বল….
মনকে মেরেছি, শখ পুড়েছি,
হাসি গুলো সব কবর দিয়েছি বুকে,
সত্যি সত্যি গো চারু,
সত্যিই তুমি সত্যি বদলেছো আমাকে।
একি চারুলতা কাজল কোথায়?
শূণ্য চোখে আবার!
ও ধুয়ে গেছে বুঝি?
দেখেছ কাদিয়ে এসেছি সেই কাল থেকেই,
আজ কাদিয়ে যাচ্ছি আবার।
হয়েছে অনেক,
কি বলতে এসেছিলাম,
এলোমেলো হচ্ছে আমার সাজানো পথ চলা,
কত কিছু বলতে এসেও,
কিছু কথা যা হল না দেখানো,
তা থেকে যাক না বলা।
—————–
লিখেছেন- করিম খান
কবিতার শুরুর ঢং’টা কিছুটা চিঠির মত, আবার শেষের দিকটা সংলাপের মত দেখায়! কি যেন নেই, আমি কি যেন খুঁজছি! বলতে পারেন কি খুঁজছি?
কবিতাটি ভালো লেগেছে।