১৯৭১ সালে একটা রাষ্ট্র তৈরি হয় বাংলাদেশ নামে। সে নির্মাণের ইতিহাস কম বেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু নির্মাণের ভিত্তি হয়তো জানলেও ভুলে গেছি বা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ১৯৭১ সালে এ দেশটা তৈরি হয় অসাম্প্রদায়িকতার স্লোগান নিয়ে। অসাম্প্রদায়িকতা মানে হলো এখানে সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একসাথে বসবাস করবে। সেখানে যে ধর্ম মানেনা তারও ঠাই থাকার কথা ছিলো, তারও কথা বলার সুযোগ থাকার কথা ছিলো। যে দেশ নির্মাণে এত তাজা রক্ত ঢালা হলো সে দেশে যে মুক্তমত প্রকাশ করা যাবে না এমনটা ভাবাও তো অন্যায়!
অথচ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাঙালি শব্দটা ধীরে ধীরে কেমন যেন নুইয়ে আসছে। যেন এ জাতির আত্মায় ভর করেছে ভিনদেশী প্রেতাত্মা।
তখন ক্ষমতায় ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ১৯৭৪ সালে তিনি যোগ দিলেন ও আই সি সম্মেলনে। এবং বোধ করি তখনই প্রথম ভাটা পড়লো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশী চেতনায়। দেখা যায় সেই ১৯৭৪ সালেই কবি দাউদ হায়দারকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয় ধর্ম অবমাননার দায়ে। উদার পিতা শেখ মুজিবর রহমানের সেই ব্যাবহার সন্তান হিসেবে মেনে নেওয়াটা বেশ কঠিন ছিলো দাউদ হায়দারের জন্য, এবং মুক্ত চিন্তার চর্চাকারী সকল সন্তানের জন্য।
২০০৪ সাল। তখন ক্ষমতায় স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপি জোট। বইমেলা থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হলো কবি ও লেখক হুমায়ুন আজাদকে। তাকে যারা কুপিয়েছিলো তারা মৌলবাদী এবং সেই মৌলবাদীদের প্রধান মদতদাতা সাইদী, নিজামী, মুজাহিদরা তখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জাতীয় সংসদে বসা। সুতারং এর যে কোন বিচার হবেনা তা হয়তো বাঙালি বুঝেছিল। তবুও প্রতিবাদ করেছিলো ছাত্র ইউনিয়নের সেই ছেলেটা। মলয়। কয়েকজন বন্ধু নিয়ে সে সেই রাতেই মিছিলে নামলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্লোগান দিচ্ছিলো হুমায়ুন আজাদ আহত কেন? প্রশাসন জবাব দাও। হ্যাঁ সেদিন মলয়েরও বুকের পাঁজর ভেঙে দিয়েছিলো পুলিশ। কি অদ্ভুত তাই না?
তারপর রাস্ট্র ক্ষমতায় আসলো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, মুক্তচিন্তার স্বপক্ষের শক্তি, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষের শক্তি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামলীগ। আবারও আশায় বুক বাঁধল শুদ্ধ চেতনার মানুষেরা। তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠলো একটা ছবির মত বাংলাদেশের মুখ, যে মুখ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিলো হায়েনাদের আঁচরে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া নিয়ে ফুসে উঠলো প্রজন্ম। উহু প্রজন্ম নয় শুদ্ধ চিন্তা ধারণকারী প্রজন্ম। শুরু হলো শাহাবাগ আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে ভাঙতে- যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে খুন করা হলো ব্লগার রাজীব হায়দারকে। তার আগে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপানো হয়েছিলো কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আসিফ মহিউদ্দিনকে যারা হত্যা করতে গিয়েছিলো তাদের ভেতর একজন ছিলো আওয়ামলীগের মন্ত্রী। মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা। রাজিব হত্যার পরে মমতাময়ী মা শেখ হাসিনা ছুটে গিয়েছিলো রাজিবের বাসায়। সেদিন মনে হয়েছিলো না এদেশে জঙ্গিবাদ টিকবে না। কিন্তু তারপর সবটাই আমরা দেখেছি। কিভাবে দিনের পর দিন প্রকাশ্যে জঙ্গীবাদ মাথাছারা দিয়ে উঠছে।
৫মে হেফাজত ইসলাম নামে এক সংগঠন শুরু করলো নাস্তিকবিরোধী আন্দোলন, এবং তারা ৮৪ জন ব্লগারের লিস্ট দিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে। এই ৮৪ জনের ফাঁসি চায় তারা। সরকার ফাঁসি দেয়নি কিন্তু এই ৮৪ জন ব্লগারকে কিন্তু তালিকা ধরে ধরে খুন করা হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্র কি দারুণ নীরব! বইমেলায় খুন হলেন বিজ্ঞানলেখক অভিজিত রায়, আহত হলেন তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ। খুনিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই খুনের শোক কাটতে না কাটতেই আবার খুন হলেন ব্লগার ওয়াশিকুর বাবু। এবার কিন্তু তার খুনিরা ধরা পড়লো, তাদের ধরিয়ে দিলো কয়েকজন হিজড়া। এদের তো শেকর একটাই তবু কেন রাষ্ট্রীয় প্রশাসন তাদের সনাক্ত করতে পারছে না? মৌলবাদী জঙ্গিদের হাতে শেষ বলি হলেন ব্লগার, বিজ্ঞানলেখক অনন্ত বিজয় দাশ। এই হত্যার দায় অবশ্যই রাষ্ট্রের যেহেতু রাষ্ট্রকে জানান দেওয়া হচ্ছে বারবার আমার আল- কায়েদা, আমরা খুন করেছি। তাহলে কি রাষ্ট্রের কোন মাথাব্যাথা নেই জঙ্গিবাদ নিয়ে?
এবার খোদ আওয়ামলীগ, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সংগঠনের নেতা কর্মীরা অধ্যাপক জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে রাস্তায় মিছিল করলো। ঠিক হেফাজতিরা বা জামাতীরা যে স্লোগান দেয় আমি শুনেছি আওয়ামী নেতাকর্মীদের কণ্ঠেও একই সুর। তারা জাফর ইকবালকে নাস্তিক বলছে, ব্লগার বলছে। তার মানে জাফর ইকবালকেও হত্যা করা জায়েজ। কি অদ্ভুত তাই না?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে বলছি, শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন সদ্যস্বাধীন একটা দেশে আর আপনি পরিণত দেশ পেয়েছেন। মুজিব চাইলেও তার স্বপ্ন পুরন করতে পারেননি বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে কিন্তু আপনার কিন্তু সময়টা সোনালী। এই সোনালী সময়ে জঙ্গিবাদ দমনের সুবর্ণ সুযোগ কেন নেবেন না? কেন এদেশটাকে ধীরে ধীরে আইসিস- আলকায়েদাদের চারণভূমি হতে দেবেন?
১৯৭১ সালে একটা রাষ্ট্র তৈরি হয় বাংলাদেশ নামে। সে নির্মাণের ইতিহাস কম বেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু নির্মাণের ভিত্তি হয়তো জানলেও ভুলে গেছি বা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ১৯৭১ সালে এ দেশটা তৈরি হয় অসাম্প্রদায়িকতার স্লোগান নিয়ে। অসাম্প্রদায়িকতা মানে হলো এখানে সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একসাথে বসবাস করবে। সেখানে যে ধর্ম মানেনা তারও ঠাই থাকার কথা ছিলো, তারও কথা বলার সুযোগ থাকার কথা ছিলো। যে দেশ নির্মাণে এত তাজা রক্ত ঢালা হলো সে দেশে যে মুক্তমত প্রকাশ করা যাবে না এমনটা ভাবাও তো অন্যায়!
অথচ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাঙালি শব্দটা ধীরে ধীরে কেমন যেন নুইয়ে আসছে। যেন এ জাতির আত্মায় ভর করেছে ভিনদেশী প্রেতাত্মা।
তখন ক্ষমতায় ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ১৯৭৪ সালে তিনি যোগ দিলেন ও আই সি সম্মেলনে। এবং বোধ করি তখনই প্রথম ভাটা পড়লো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশী চেতনায়। দেখা যায় সেই ১৯৭৪ সালেই কবি দাউদ হায়দারকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয় ধর্ম অবমাননার দায়ে। উদার পিতা শেখ মুজিবর রহমানের সেই ব্যাবহার সন্তান হিসেবে মেনে নেওয়াটা বেশ কঠিন ছিলো দাউদ হায়দারের জন্য, এবং মুক্ত চিন্তার চর্চাকারী সকল সন্তানের জন্য।
২০০৪ সাল। তখন ক্ষমতায় স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপি জোট। বইমেলা থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হলো কবি ও লেখক হুমায়ুন আজাদকে। তাকে যারা কুপিয়েছিলো তারা মৌলবাদী এবং সেই মৌলবাদীদের প্রধান মদতদাতা সাইদী, নিজামী, মুজাহিদরা তখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা জাতীয় সংসদে বসা। সুতারং এর যে কোন বিচার হবেনা তা হয়তো বাঙালি বুঝেছিল। তবুও প্রতিবাদ করেছিলো ছাত্র ইউনিয়নের সেই ছেলেটা। মলয়। কয়েকজন বন্ধু নিয়ে সে সেই রাতেই মিছিলে নামলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্লোগান দিচ্ছিলো হুমায়ুন আজাদ আহত কেন? প্রশাসন জবাব দাও। হ্যাঁ সেদিন মলয়েরও বুকের পাঁজর ভেঙে দিয়েছিলো পুলিশ। কি অদ্ভুত তাই না?
তারপর রাস্ট্র ক্ষমতায় আসলো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, মুক্তচিন্তার স্বপক্ষের শক্তি, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষের শক্তি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামলীগ। আবারও আশায় বুক বাঁধল শুদ্ধ চেতনার মানুষেরা। তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠলো একটা ছবির মত বাংলাদেশের মুখ, যে মুখ খতবিক্ষত হচ্ছিলো হায়েনাদের আঁচরে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া নিয়ে ফুসে উঠলো প্রজন্ম। উহু প্রজন্ম নয় শুদ্ধ চিন্তা ধারণকারী প্রজন্ম। শুরু হলো শাহাবাগ আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে ভাঙতে- যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে খুন করা হলো ব্লগার রাজীব হায়দারকে। তার আগে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপানো হয়েছিলো কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আসিফ মহিউদ্দিনকে যারা হত্যা করতে গিয়েছিলো তাদের ভেতর একজন ছিলো আওয়ামলীগের মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা। রাজিব হত্যার পরে মমতাময়ী মা শেখ হাসিনা ছুটে গিয়েছিলো রাজিবের বাসায়। সেদিন মনে হয়েছিলো না এদেশে জঙ্গিবাদ টিকবে না। কিন্তু তারপর সবটাই আমরা দেখেছি। কিভাবে দিনের পর দিন প্রকাশ্যে জঙ্গীবাদ মাথাছারা দিয়ে উঠছে।
৫মে হেফাজত ইসলাম নামে এক সংগঠন শুরু করলো নাস্তিকবিরোধী আন্দোলন, এবং তারা ৮৪ জন ব্লগারের লিস্ট দিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে। এই ৮৪ জনের ফাঁসি চায় তারা। সরকার ফাঁসি দেয়নি কিন্তু এই ৮৪ জন ব্লগারকে কিন্তু তালিকা ধরে ধরে খুন করা হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্র কি দারুণ নীরব! বইমেলায় খুন হলেন বিজ্ঞানলেখক অভিজিত রায়, আহত হলেন তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ। খুনিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই খুনের শোক কাটতে না কাটতেই আবার খুন হলেন ব্লগার ওয়াশিকুর বাবু। এবার কিন্তু তার খুনিরা ধরা পড়লো, তাদের ধরিয়ে দিলো কয়েকজন হিজড়া। এদের তো শেকর একটাই তবু কেন রাষ্ট্রীয় প্রশাসন তাদের সনাক্ত করতে পারছে না? মৌলবাদী জঙ্গিদের হাতে শেষ বলি হলেন ব্লগার, বিজ্ঞানলেখক অনন্ত বিজয় দাশ। এই হত্যার দায় অবশ্যই রাষ্ট্রের যেহেতু রাষ্ট্রকে জানান দেওয়া হচ্ছে বারবার আমার আল- কায়েদা, আমরা খুন করেছি। তাহলে কি রাষ্ট্রের কোন মাথাব্যাথা নেই জঙ্গিবাদ নিয়ে?
এবার খোদ আওয়ামলীগ, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সংগঠনের নেতা কর্মীরা অধ্যাপক জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে রাস্তায় মিছিল করলো। ঠিক হেফাজতিরা বা জামাতীরা যে স্লোগান দেয় আমি শুনেছি আওয়ামী নেতাকর্মীদের কণ্ঠেও একই সুর। তারা জাফর ইকবালকে নাস্তিক বলছে, ব্লগার বলছে। তার মানে জাফর ইকবালকেও হত্যা করা জায়েজ। কি অদ্ভুত তাই না?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে বলছি, শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন সদ্যস্বাধীন একটা দেশে আর আপনি পরিণত দেশ পেয়েছেন। মুজিব চাইলেও তার স্বপ্ন পুরন করতে পারেননি বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে কিন্তু আপনার কিন্তু সময়টা সোনালী। এই সোনালী সময়ে জঙ্গিবাদ দমনের সুবর্ণ সুযোগ কেন নেবেন না? কেন এদেশটাকে ধীরে ধীরে আইসিস- আলকায়েদাদের চারণভূমি হতে দেবেন?
ধর্ম নামক ইঞ্জিন; বাংলাদেশ নামক মাল্গাড়ীটাকে আউট লাইন দিয়ে টেনে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে, তাকে ফ্ল্যাগ দেখিয়ে সবুজ সংকেত দিচ্ছে কতগুলি কাপুরুষেরদল। ধর্মান্ধ চালক চালিয়ে যচ্ছে ইঞ্জিন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেকুলারিজমের হাওয়া কখনো আসেনি। ধর্মভিত্তিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মুক্তচিন্তার স্থান নেই।
Comment…মানুষকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারলে এই দুর্দশা থেকে বের হয়া যাবে না
শেখ মুজিব ধরমনিরপ্পক্ষ ছিলেন কিনা জানিনা । কিন্তু উনি বাংলাদেশে ধর্ম ফেরত আশার জন্য অনেক করেছেন। রাদিও,তেলিভিশন এ কোরান পড়ানো উনি বন্ধ করেন নি ।আমার মতে উনি ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যাপারটা বুজেতেই পারেননি।
আমি মনে করি একটা দেশ সেখানেই যায় যেখানে দেশের মানুষ নিয়ে যেতে চায়। দেশের মানুষ বলবে সরকার যেখানে নিয়ে যায় – সেখানেই যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ যতদিন সত্যিকারভাবে জেগে না উঠবে – ততদিন ‘নেতা’রা মানুষকে নিয়ে খেলবে, আর মানুষ হাহাকার করতে থাকবে। জাফর ইকবালকে দেশের যত মানুষ ভালোবাসে বলে মনে হয় – কৈ তাদের সমন্বিত ভালোবাসার এত বড় অপমানে যেরকম বিক্ষোভ হবার কথা – হলো না তো।
ধর্মের বড়ি খেয়ে সবাই সবই ভুলে যায়, বিশ্বাসের ভাইরাসের এমনই গুণ! দেশের মানুষের অনুভূতি বড়ই অদ্ভুত, কোনো নিয়মযুক্তিশৃঙ্খলার ধার ধারে না। নিজের মানুষ মেরে ফেললেও মুখে রা নেই, অন্যদেশে বোমা পড়লে কেঁদে জারেজার। তবে, আপনার কথারই প্রতিধ্বনি করি, দেশ হলো তার নাগরিকদের ইচ্ছের সমষ্টি। মানুষ যেমন চাইবে, সরকারও তেমনই হবে।
অদ্ভুত এক অন্ধকারের পিঠে চড়ে চলছে স্বদেশ, এবং কোন পথে, কেউই জানে না আসলে।
সেদিন ফেসবুকে কারো একটি বিশ্লেষন পড়ছিলাম, বাংলাদেশ কী আদৌ সেক্যুলার ছিলো? বঙ্গবন্ধু নিজে কী ধর্মহীনতায় বিশ্বাস করতেন কখনো? বিশ্লেষনের সাথে আমিও একমত। সেক্যুলার রাষ্ট্রের স্বপ্ন ছিলো কিন্তু সকল সময় ধর্ম এই রাষ্ট্রকে শাসন করার বিরাট একটা উপাদান হিসেবে কাজ করে গেছে
লেখাটা দু’বার পোস্ট হয়েছে