Pintu-2

স্বপনপারের ডাক শুনেছি

তথ্য সাংবাদিকতার পেশাগত কাজে গত বছর জানুয়ারিতে পাবনা সফর করে ঢাকায় ফিরছি। অফিস অ্যাসাইন্টমেন্ট ছিলো ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কাভার করা। কাজ শেষে ভাবলাম, অনেক তো সংবাদ-শিকার হলো। এবার ফেরার পথে পাশের জেলা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ঘুরে যাই। উদ্দেশ্য রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি দর্শন।

উত্তরবঙ্গে প্রতি বছরই হাঁড় কাপানো শীত পড়ে। আর তখন চলছিল তীব্র শৈত্য প্রবাহ। চামড়ার মোটা জ্যাকেট, উলেন মাফলার, পুরু জিন্সের প্যান্ট, উলেন মোজা — কোনো কিছুতেই শীত যেন বাধ মানে না। তবু এই বৈরি আবহাওয়াতেও রবী বুড়োর ভূত আমায় তাড়া করে ফেরে।

আমার নিজের জন্মস্থান ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হলেও পৈত্রিক নিবাস সিরাজগঞ্জে। বালক বেলায় কয়েকবার সিরাজগঞ্জ বেড়াতে গেলেও পরে সেখানে বার বার গিয়েছি সাংবাদিকতার কারণেই। কিন্তু সময়াভাবে শাহজাদপুর যাওয়া হয়নি। ঐতিহাসিক একটি স্থান দেখা হবে ভেবে মনে মনে খানিকটা উত্তেজিত।

৫ জানুয়ারির এক তরফা নির্বাচনকে ঘিরে সে সময় চলছে বিএনপি-জামায়াতের অনির্দিষ্ট হরতাল, পেট্রোল বোমা আর মন্দির ভাঙার তালেবানী সন্ত্রাস। যানবাহান বলতে তাই শুধু মটর সাইকেল। তাও বিভিন্ন প্রধান সড়কে শত শত গাছ কেটে অবরোধ তৈরি করেছে হরতালকারীরা। জায়গায় জায়গায় রড, লাঠিশোটা, বোমা, ছুরি-চাকু নিয়ে জেহাদী সৈনিকরাও তৎপর। সাংবাদিক হলেও নিস্তার নেই। নানান জেরা, হয়রানী, ব্যাগ তল্লাশী। অনেকরই ক্যামেরা ছিনতাই হয়েছে, এমন খবরও শুনেছি। চড়-চপেটাও খেয়েছেন কোনো কোনো সহকর্মী। অপরাধ– কয়েকটি প্রধান সারির দৈনিকে কাজ করা।

যা হোক। এই সব হ্যাপার ভেতরেও রবীন্দ্রনাথ আমাকে ডাকেন। আমার ভেতরে ঘোর তৈরি হয়। আমি পাবনার কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে পরামর্শে বসি। ঘনিষ্ট কয়েকজন আমাকে জেলা সদর থেখে বেড়া উপজেলা পর্যন্ত মটরসাইকেলে পেৌছেঁ দিতে রাজী হন। আমি যোগাযোগ করি বেড়ার প্রতিনিধির সঙ্গে। তিনি জানান, বেড়া – শাহজাদপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। পথে পথে পিকেটাররা সব যাত্রীবাহি পরিবহন আটকে দিচ্ছে। তবু তিনি আমার জন্য বিকল্প যানের ব্যবস্থা করবেন। আর না হয় ঝুকিঁ নিয়ে নিজেই মটরসাইকেলে আমায় পেৌছেঁ দেবেন শাহজাদপুর।

খুব ভোরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে বাতাস উপেক্ষা করে আমি মটরসাইকেলের পেছনে চেপে হাজির হই বেড়া। সূর্যোদয়ের আগেই শাহজাদপুর পৌঁছাতে চাই। কারণ ওই বৈরি আবহাওয়ায় পথে জিহাদী সৈনিক কেন, কোনো শেয়াল-কুকুরও বেরুবে না বলে ধারণা করি।

বেড়া প্রতিনিধি বুদ্ধি করে আমার জন্য একটি নছিমন (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত মালবাহী লক্কড়-ঝক্কর যান) ঠিক করে রেখেছিলেন। আখ বোঝাই ওই নছিমনের এক কোনে গুটিশুটি মেরে বসতেই বিকট ভটভটি শব্দে বিস্তার কালো ধোঁয়া উড়িয়ে যান চলে শাহজাদপুর। নারকেল দুধের মতো ঘন কুয়াশায় চারপাশের চারপাশের দৃশ্য তেমন কিছুই চোখে পড়ে না। নছিমনের ফ্যাকাশে হলুদ হেডলাইটে শিশির ভেজা কালো সরু পথের খাকিটা চোখে পড়ে। আমার নিজের হাতেও শাক্তিশালী একটি টর্চ। আক্রান্ত হলে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।

শীতে রক্ত জমে হিম হয়ে আসতে চায়। শাহজাদপুরের স্থানীয় সাংবাদিক আড়াউর রহমান পিন্টু ভাইকে আগেই বলেছিলাম আমার জন্য হোটেল বুকিং দিয়ে রাখতে। আর তিনিই রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে হবেন আমার গাইড। নছিমন সাত সকালে শাহজাদপুর পৌঁছাতে পিন্টু ভাই আমাকে স্বাগত জানান। বাসস্ট্যান্ডেই এক ঝুপড়ি চায়ের দোকানে চা খেয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করি। পিন্টু ভাই বেশ আময়িক লোক। সেই দৈনিক বাংলার আমল থেকে সাংবাদিকতা করছেন। শাহজাদপুরেই তার জন্ম, পড়ালেখা, বেড়ে ওঠা।

হোটেলে পেৌছেঁ তখনই আমি কাছারি বাড়ি রওনা দিতে চাই। তর আর সয় না। পিন্টু ভাই জানান, সকাল ৯ টার আগে সেখানের গেট খুলবে না। তাই হাতে অনেকটা সময়। আমি এরমধ্যে ফ্রেশ হয়ে নেই। দুজনে নাস্তা সারি। চা খাই। মোবাইল ফোন চার্জ করে নেই। এরপর পায়ে হেচেঁই ছোট্ট উপজেলা শহরটিকে নজর করতে করতে রওনা দেই রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য কাছারি বাড়ি দর্শনে।

ভালবেসে সখি নিভৃত যতনে

উপজেলা সদর মোড়ে শ্বেত পাথরে গড়া সুবিশাল এক রবীন্দ্র মূর্তি। এর পাদদেশে লেখা তাঁরই লেখা গান,

ভালবেসে সখি নিভৃত যতনে
আমার নামটি লিখো
তোমার মনেরও মন্দিরে…

পরে জানতে পারি, অমর এই গীতসহ শতাধিক অমূল্য রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে বসে, ১৮৯০ থেকে ১৮৯৬- এই সাত সালে। ১৮৯৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শাহজাদপুর থেকে লেখা এক চিঠিতে বলেন, ‘এখানে যেমন আমার মনে লেখার ভাব ও ইচ্ছা আসে, এমন কোথাও না।’ …

আমার রবী বুড়োর ভাস্কর্যটির বেদীমূল স্পর্শ করে দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ওই সকালে ব্যস্ত নগরীর মানুষ, গাড়িঘোড়া, ধুলো, হট্টগোল আমাকে নিবৃত্ত করে। আমি ভাবের জগত থেকে ফিরে আসি বাস্তবে। হে সাংবাদিক তোমাকে কি আর এইসব শিশু সুলভ চপলতা মানায়?

পরে আমরা দুজন সেদিনের প্রথম দর্শনার্থী হিসেবে কাছারি বাড়ি প্রবেশ করি। তখনো এর পরিছন্ন কর্মীরা আঙিনাটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করছেন। আমি মোবাইল ফোন থেকে টপাটপ ছবি তুলতে থাকি। মাঝে মাঝে দু-একটি তথ্য নোটবুকে টুকে নেই। পিন্টু ভাই জানতে চান, আমি কাছারি বাড়ি নিয়ে কোনো নিউজ করবো কি না? নইলে এতো খুঁটিনাটি তথ্য নিচ্ছি কেনো? আমি মুচকি হেসে বলি, সংবাদ মূল্য থাকলে নিউজ করতে পারি, আর না হয় পরে হয়তো এই ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে কোনো ব্লগ লিখবো। শাহবাগ গণবিস্ফোরণরে পর ব্লগ হয় কি বস্তু, তা পিন্টু ভাইকে আর কষ্ট করে বুঝিয়ে বলতে হয় না।

কাছারি বাড়ির ফটকেই চোখে পড়ে নীল রঙা একটি নোটিশ বোর্ড। এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নোটিশ। তারাই কাছারি বাড়িটির তত্ত্ববধায়ক। সেখানে লেখা:

‘কোন ব্যক্তি এই পুরাকীর্তির কোন রকম ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে বা এর কোন বিকৃতি বা অঙ্গচ্ছেদ ঘটালে বা এর কোন অংশের উপর কিছু লিখলে বা খোদাই করলে বা কোন চিহ্ন বা দাগ কাটলে, ১৯৬৮ সালের ১৪ নং পুরাকীর্তি আইনের ১৯ ধারার অধীনে তিনি সর্বাধিক এক বৎসর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।’

Pintu-1

হায় রবীন্দ্রনাথ!
পরে আমরা ঘুরে দেখি কাছারি বাড়ির মূল দোতলা ভবন। সেটি এখন জাদুঘরে পরিনত করেছে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর। নীচতলাটি শুধুই রবীন্দ্রনাথের ছবি দিয়ে সাজানো। আর দোতলায় তারই ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাব ও দ্রব্য সামগ্রী। দোতলায় রবীন্দ্র নাথের ব্যবহৃত নানান জিনিষপত্র দেখতে দেখতে আমি চমকিত হই রুচি ও বিত্তের সংমিশ্রন দেখে। বেশীর ভাগ আসবাব ও অন্যান্য ব্যবহার্য দ্রব্য ইউরোপ থেকে জাহাজে করে আনানো। রয়েছে ভিক্টোরিয়ান আমলের সোফা, ঝাড় বাতি, চেয়ার-টেবিল, খাট, পাথরের সামোভার, হাতমুথ ধোবার ধাতব বেসিন, এমনকি এক জোড়া লন টেনিস র‌্যাকেটও! তবে আমি কালো মেহগনি কাঠের তৈরি তার নকশা করা মাঝারি মাপের টেবিলটি দেখে চমকিত হই। টেবিলের সঙ্গে মানান সই একটি কাঠের চেয়ার। বসার আসনটি বেতের জালে তৈরি। টেবিলের এক কোনে রাখা প্রাচীন আমালের মুখ খোলা কাচেঁর দোয়াত। তার পাশে কয়েকটি হ্যান্ডেল পেন। টিউববিহীন এসব পেন বার বার দোয়াতে চুবিয়ে লিখতে হতো। …

হঠাৎ যেন আমার বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়। আমি মনছবিতে দেখতে পাই, এরকমই এক শীতে সকালে জানালা দিয়ে আসা নরম রোদ্দুর উপভোগ করতে করতে সাদা আলখেল্লা পরা রবীন্দ্রনাথ এই টেবিলেই বসে যেন খস খস করে কি লিখে চলেছেন। তার কাধে জড়ানো নস্যি রঙের একটি আলোয়ান।…আমার দেহ থর থর করে কাঁপতে থাকে। জাদুঘরের নিষেধাজ্ঞা ভুলে লাল দড়ি দিয়ে ঘেরাটোপে বন্দি টেবিলটির কার্নিশ স্পর্শ করার জন্য অজান্তেই যেন হাত বাড়াই। পিন্টু ভাই, অনেক মমতায় আমার হাতটিকে নিজের মুঠো বন্দি করেন। মৃদূ কণ্ঠে বলেন, আসুন আমরা এই বাড়ির দোতলার বারান্দায় দাড়িয়েঁ এর লনটিকে দেখি। …

পরে কাছারি বাড়ি ঘুরে দেখে, এর তত্ত্ববধায়ক পুরনো কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারির কাছ থেকে আমি ভবনটি সম্পর্কে নানান তথ্য সংগ্রহ করি। জানতে পারি, অধিদপ্তর কয়েক দফা বাড়ির মূল কাঠামো ও নকশার পরিবর্তন করেছে। ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীর দোতলা ভবনের লাল রং গত সাতের দশকে পরিবর্তন হলুদ রঙে চুনকাম করা হয়েছে। আটের দশকে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোতলার পশ্চিম দিকের অন্তত তিনটি জানালা (ফ্রেঞ্চ উইন্ডো)। সে সময় একই অংশের নিচতলার একটি জানালার গ্রিক প্যাটার্নের খিলানেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। দোতলার উত্তরাংশের আরেকটি ফ্রেঞ্চ উইন্ডো এবং পূর্ব দিকের দরজাও ঢেকে ফেলা হয়েছে দেয়াল দিয়ে। [ছবি দ্রষ্টব্য]

একইভাবে বাড়ির পূর্ব দিকে রবীন্দ্রনাথের খোঁড়া সুপেয় পানির পাতকুয়াটি বুজিয়ে ফেলা হয়েছে সিমেন্ট ঢালাই করে। ভবনের পশ্চিম দিকের মূল সীমানাপ্রাচীরের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বাড়তি দেয়াল।

এছাড়া বর্ষাকালে কবিগুরু বজরা নৌকায় চড়ে করতোয়া নদীর শাখা ‘ছোট নদী’ বা ‘খোনকারের জোলা’ দিয়ে কাছারিবাড়ির উত্তরাংশের ঘাটে এসে নামতেন। গত নয়ের দশকে পৌরসভা কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পের নামে ট্রাকে করে মাটি ফেলে উধাও করে দিয়েছে নদীটি। এদিকে বাড়ির আঙিনায় ব্রিটিশ নীলকরদের প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত কুঠিবাড়ি ও এর আশপাশে কয়েকটি ঝুপড়িঘর তুলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মচারীরা বাস করছেন সপরিবারে।

কাছারিবাড়ির গ্রন্থাগারের পরিচালক মোশাররফ হোসেন ১৯৮৮ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি আমাদের বলেন, আমি যখন কাজে যোগ দিই তখনো নদীটি দিয়ে প্রচুর নৌকা চলাচল করত। কিন্তু ১৯৯৫-৯৬ সালে দ্বারিয়াপুর বাজার সম্প্রসারণের নামে পৌরসভা এটি ভরাট করে ফেলে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আপত্তিও তারা শোনেনি।

মূল ভবনের কাঠামো পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন জানান, ১৯৬৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জরাজীর্ণ অবস্থায় ভবনটিকে অধিগ্রহণ করে। এরপর দফায় দফায় এর সংস্কার হয়েছে। প্রথম দফায় একতলা ও দোতলার ছাদ পুনর্নির্মাণসহ সংস্কার করা হয় এর বেশ কিছু অংশ। সম্ভবত সে সময়ই ভবনের মূল লাল রং বদলে ফেলা হয়; বুজিয়ে ফেলা হয় কয়েকটি দরজা-জানালা ও পাতকুয়া। দ্বিতীয় দফায় ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সালে আবারও সংস্কার করা হয় ভবনে। সব শেষে দুই বছর আগে ভবনটিতে হলুদ চুনকাম করা হয়েছে।

আর শাহজাদপুরের বাসিন্দা, সহকর্মী পিন্টু ভাই ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছেন কাছারি বাড়ি নিয়ে এইসব অনাচার। কিন্তু বিস্ময়কর এই যে, তিনি তো বটেই, শাহজাদপুর- সিরাজগঞ্জের কোনো সাংবাদিকই অধিদপ্তরের এই সব অনাচার নিয়ে সংবাদ করার কথা ভাবেননি!

পিন্টু ভাইয়ের কাছ থেকেই জানতে পারি, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনা বাহিনী এবং শেখ মুজিবের সময় রক্ষী বাহিনী দুদফায় কাছারি বাড়িটিকে তাদের ক্যাম্পে পরিনত করে। সেসময় সেনা ও রক্ষী বাহিনীর কর্তারা ইচ্ছেমত দামি আসবাব ও রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত নানান দ্রব্য সামগ্রী লুঠ করেছে। আর সে সময় খোয়া গেছে না জানি আরো কতো সব অমূল্য স্মৃতি।…

আরো দুদিন শাহজাদপরে থেকে আমরা রবীন্দ্রনাথের বেদখল জমিদারী সর্ম্পকে অনুসন্ধান চালাই। পরে ঢাকায় ফিরে এ নিয়ে দুটি সচিত্র সরেজমিন প্রতিবেদন করি।

০১. কবিগুরুর স্মৃতিধন্য শাহজাদপুর: অধিদপ্তরই বদলে দিল রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি [লিংক]
এবং ০২. রবীন্দ্রনাথ গায়েব শাহজাদপুরে [লিংক]
__
ছবি: রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি, শাহজাদপুর, লেখক।