অভিজিৎ রায় সহ পৃথিবীর জানা ইতিহাসের প্রারম্ভ থেকে আজ পর্যন্ত যেসব র্যাডিকাল থিংকার, বিজ্ঞানী, ফিলোসফার, সমাজ সংস্কারক, লেখক, কবি, রেশনালিস্ট, এথেইস্ট ও মানবতাবাদীরা যুগে যুগে ফান্ডামেন্টালিস্ট, অর্থোডক্স এন্ড এক্সট্রিমিস্ট রিলিজিয়াস পিপলদের দ্বারা শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, দেশ থেকে বিতাড়ন ও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন তাদের নিয়ে একটা রিসার্চ বেইজড ডকুমেন্টারি বানিয়েছি।
হাজার খানেক মানুষের জীবনী পড়ে তা থেকে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে টাইমলাইন অনুযায়ী সাজিয়ে, নির্বাচিতদের উপরে রেনেসাঁ যুগে ও তার আগে-পরে আঁকা অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য পেইন্টিংস, স্কাল্পচারের ছবি আর স্কেচ জোগাড় করে তৈরি করেছি ডকুমেন্টারিটা। ব্যবহৃত পেইন্টিংসগুলোতে অনেক ক্লু আছে ,যারা সেগুলো বুঝবেন হয়ত মজা পাবেন বেশী, কিন্তু না বুঝলেও দেখতে সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।
রবীন্দ্রনাথের গান থেকে নেয়া অভিজিৎ রায়ের প্রথম বই ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ নামের ইংরেজিটার অনুবাদই ডকুমেন্টারির নাম এবং নামের মাহাত্ম্য ডকুমেন্টারির কালার থিম দিয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি।
স্কেচগুলোর মাঝে বেশ কয়েকটা স্কেচ আর্টিস্ট আইউব আল আমিন অনুরোধের খাতিরে এঁকে দিয়েছেন বিনামূল্যে! তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
রেনেসাঁ যুগ ও তার আগে-পরে আঁকা যেসব পেইন্টিংস ব্যবহার করেছি সেগুলোর পরিচয় ও আর্ট স্টাইল ডকুর শেষে ক্রেডিটে পাবেন। যারা ছবি বুঝে দেখতে চান তারা ছবির ইনফো সেখান থেকে নিয়ে গুগল করে নিয়েন।
ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল মিউজিক ট্র্যাক হিসেবে Henry Purcell, Paul Hindemith, Sergei Rachmaninoff, Dimitri Shostakovitch এবং Alfred Brendel এর পিয়ানো ও ভায়োলিন অর্কেস্ট্রা ব্যবহার করেছি। সাথে আছে শ্রাবনী সেনের কন্ঠে রবীন্দ্রসংগীত আর ‘রনি ডালুমির’ কন্ঠে হিব্রু ভাষায় গাওয়া হলোকাস্টের গান। মিউজিক ট্র্যাকগুলোর বেশিরভাগই কপিরাইট ফ্রি না। ক্ষমা চাচ্ছি সেজন্য।
ওভারঅল প্রায় চারশো ঘন্টার বেশী সময় লেগেছে বানাতে। এই থিমে কাজ বাংলাদেশীদের মধ্য থেকে এর আগে হয়নি। ইংরেজি ভাষাতেও সম্ভবত হয়নি (আমি নিজেই অনেক খুজেছি, কারও জানা থাকলে জানাবেন)।
যাদের নেট স্পিড খারাপ তারা ইউটিউব থেকে দেখতে গেলে বেশ কিছু টেক্সট ব্লার দেখাবে । আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া আর ইউরোপের বেশ কয়েকটা দেশ থেকে দেখা যাচ্ছে জানালেও, কারও কারও আইপি থেকে নাকি ভিডিওটা দেখা যাচ্ছে না বা সাউন্ড অফ! ডকুতে ব্যবহৃত মিউজিক ট্র্যাকের কপিরাইট ইস্যুর কারণে ইউটিউব এমন করেছে।
যেমনঃ জার্মানী থেকে দেখতে গেলে এই ভিডিও ব্লক দেখাতে পারে। কারণ এতে “alfred brendel” এর “Der liermann”ট্র্যাক ব্যবহার করা হয়েছে। শ্রাবনী সেনের একটা গান এতে থাকার কারণে ইন্ডীয়াতে এই ভিডিও ব্লক দেখাতে পারে হয়ত।
যাদের ইউটিউবে দেখতে সমস্যা হবে তাদেরকে মিডিয়াফায়ার থেকে ডাউনলোড করে দেখতে অনুরোধ করছি।
এই ডকুমেন্টারির আরও দুইটা ভার্সন রিলিজ করা হবে পরে। একটা হচ্ছে ভয়েস ওভার দিয়ে, আরেকটা হচ্ছে ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের যারা এখন পর্যন্ত নির্যাতিত হয়েছেন শুধু তাদের নিয়ে।
যে যত খুশি দেখুন, যেখানে খুশি দেখান; আমার অনুমতি নিতে হবে না।
কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম নিয়ে কোনও প্রকার বক্তব্য এই ডকুতে নেই, তবুও যাদের ধর্মানুভূতি অল্পতেই আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাদেরকে দেখতে নিষেধ করছি। 😛
ডকুমেন্টারির নামঃ Luminary wayfarers of Darkness
ডিরেকশন এবং মেকিংঃ Ahmad Rony
দৈর্ঘ্য: 22min
সাইজ: 977 MB
রেজুলেশনঃ 1920*1080
কোডেকঃ h264
মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংকঃ
http://www.mediafire.com/?64fqf38r5qok6p0
ইউটিউব লিংকঃ
কাজটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খুবই ভাল কাজ করেছেন অভিনন্দন রোইল । নিজেকে এই কর্মযজ্ঞের একটি অংশ হিসাবে রাখতে পারলে গর্বিত বোধ করতাম
অভিনন্দন — খুব ভাল একটা কাজ হয়েছে
ধন্যবাদ। 🙂
আসলেই কয়েকটা টাইপো আছে। যেমন anaxagoras এর নিচের লেখায় লিখেছি yeass.. আসলে হবে years.
আরেক জায়গায় লিখেছি artisr.
জীবনীগুলো নিয়ে রিসার্চ করে পেইন্টিংসগুলো কালেক্ট করতে অনেক প্ররিশ্রম তো গিয়েছেই,
ছবি আর টেক্সট নিয়ে এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ফ্ল্যাশ এ এডিট করে সেখান থেকে আফটার ইফেক্টস এ স্লাইডগুলো তৈরি করে ভিডিও বানিয়ে সেগুলোকে কাটাছেড়া, জোড়াতালি করতে হয়েছে এডোবি প্রিমিয়ার প্রোতে। প্রজেক্টের একদম শেষ দিকে এসে তাই এক দুইটা বানান চোখে পড়লেও সেটা ঠিক করার সম্ভব ছিলো না। আমার কম্পিউটারটা আসলে এসব ভিডিওগ্রাফি করার জন্য শক্তপোক্ত না। ৫ মিনিটের ভিডিও রেন্ডার দিলে সে ৬/৭ ঘণ্টা লাগায়!
ইন ফ্যাক্ট কেউ হয়ত বিশ্বাস করবেন না, যে শেষের ক্রেডিট সিনের ইনফোগুলো জোগাড় করে সেটা বানাতে আমার অন্তত ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে!
আবু আল-মাআরি এর জন্মস্থান সিরিয়া। ভিডিওতে স্পেইন লেখা হয়েছে যা ভুল।
সম্ভবত আগের কোনও স্লাইডের লেখা রয়ে গিয়েছিলো! 🙁
এই ডকুমেন্টারি মাত্র ২২ মিনিটের হলেও এতে অনেক ইনফো দিয়েছি। যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি ইনফোগুলোর অথেনটিসিটি বজায় রাখার।
ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি সবাইকে।
মহতি উদ্যগে জোর সমর্থন।
কিন্তু লেখায় অহেতুক ও যথেচ্ছ ইংরেজীর ব্যবহার পীড়াদায়ক। সেদিক থেকে এটি খুবই মানহীন লেখা। বিনীত অনুরোধ, মুক্তমনায় আরো পরিশীলিত লেখা দেওয়ার। শুভেচ্ছা।
চমৎকার। অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ আহমদ রনি। এরকম কাজ সারা পৃথিবীর মুক্তমনাদের উৎসাহ জোগাবে।
কয়েকটি টাইপো আছে। ইবনে সিনা’র স্লাইডে Physician এর জায়গায় Physian হয়েছে।
যুক্তির সংগ্রাম চলুক।
এরকম একটি কষ্টসাধ্য কিন্তু অনুপ্রাণিত কাজের জন্য আহমদ রনিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এর পেছনে যে কত পরিমাণ গবেষণা ও পরে ছবিটি তৈরি করতে কতটা খাটা-খাটনি গেছে সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু রনি তার বিবেকেরে তাগিদে জিনিসটাকে রূপ দিয়েছে। সুদূর ইতিহাসের প্রবাহে আমাদের বিজ্ঞান এগিয়েছে, কিন্তু আমাদের মানসিকতা আদৌ এগিয়েছে কিনা সেটা এই ভিডিওটি দেখলে বোঝা যায়। হাজার হাজার বছরে টিঁকে থাকার পরে এসিরীয় নিমরুদ শহরের ধ্বংসাবশেষ আইসিসরা ডাইনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিল, হাজার বছর পরে যুক্তিবাদী দার্শনিক আল-মারীর আবক্ষ মূর্তির মাথা সিরিয়ার আল-নুসরা ভেঙে দিল (রনি এই ভিডিওতে দেখিয়েছেন)। আল-মারী সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে পড়তে গিয়ে দেখলাম উনি সিরিয়ার আলেপ্পো এলাকার লোক (আহমদ রনি – ইসলামী স্পেনের নয়), অন্ধ ছিলেন ও নিরামিশাষী ছিলেন। এরকম একটি নিরীহ লোকের ওপর আল কায়দা যে ক্ষাপ্পা হবে তা তো জানা কথাই। আমাদের অভিজিৎ সেই আল মারী, মানসুর আল-হাল্লাজ, জিয়োর্দানো ব্রুনোরই সরিক হল, অতি দুঃখের মধ্যেও এই কথাটি মনে ভেসে ওঠে। ধন্যবাদ রনি এরকম একটি কাজের জন্য।
ইনাদের প্রত্যেকের অবদান সংবলিত ছোটোখাটো জীবনবৃত্তান্ত একইসাথে কোনো ব্লগে লেখা হয়েছে?
এই সবাইকে নিয়ে ব্লগ বা বই বাংলা বা ইংরেজি কোনও ভাষাতেই পাইনি। ঃ(
এই ধরনের জটিল অথচ ভালো কাজ অনেক কষ্টসাধ্য এবং সময় দাবি করে। কঠিন কাজটি করে দেখাবার জন্য আহমদ রনি’কে অনেক ধন্যবাদ।
পরের কাজটির অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ।
এই লেখাটি সচলায়তানে ১৭।০৪।২০১৫ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। একই লেখা একই সময়ে ২ ব্লগে প্রকাশ করা কি নীতি বিরুদ্ধ নয়?
নীতিমালা বিরোধী না। আপনি মুক্তমনার নীতিমালার ২.১৬ নং পয়েন্ট পুরোটা পড়ুন।
আমি মডারেটরদের সাথে কথা বলেই পোস্ট করেছি।
খুব দারুন কাজ করেছেন।
ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ।