তেহেরকি তালিবান, যে গোষ্টিটি এই নৃশংস হত্যাকান্ডের কান্ডারী, তাদের মুখপত্র উমর খুরসানি জানিয়েছেন, তারা সুন্নত অনুযায়ী কাজ করেছেন। সুন্নত মানে হজরত মহম্মদের জীবনী অনুসরন করে শিক্ষা পাওয়া যায়। মদিনার নিকটস্থ বানু কোরজায়া ইহুদি উপজাতির ৮০০ পুরুষ এবং “বালক” কে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন মহম্মদ। কারন তারা শত্রুতা করেছিল। উমর এও জানিয়েছেন [১], যারা এই হত্যাকান্ডকে ইসলাম বিরোধি বলছেন তারা যেন শাহি আল বুখারীর হাদিস পড়ে দেখে নেয়- মহম্মদ বানু কোরাজিয়া ইহুদি উপজাতিকে গণহত্যার সময় নির্দেশ দিয়েছিলেন যেসব বালকদের যৌনচুল গজিয়েছে, তাদেরই যেন শুধু হত্যা করা হয়!!
যারা বলবেন ইহা ইসলামের অপব্যখ্যা-তারা এই বিষয় গুলি নিয়েও ভাবুন
ধর্মগ্রন্থের বাক্যগুলি মধ্যযুগীয়। গঠন দুর্বল। এগুলিকে লিঙ্গুইস্টিকে বলে উইক টেক্সট। মানে একাধিক ব্যখ্যা হতে পারে। মানবিকেরা মানুষের মতন, অমানুষেরা অমানুষের মতন ব্যখ্যা করবে । ফলে ধর্মগ্রন্থ অনুসরন করাটা খুব ভয়ংকর রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। যেটা এক্ষেত্রে হয়েছে। এই নিয়ে আমার একটা বিস্তারিত প্রবন্ধ আছে আগে , সেটা দেখে নিতে পারেন [২]
আরেকটা সমস্যা সুন্নত নিয়ে। অর্থাৎ মহম্মদের জীবনীকে অনুসরন করা। এখানে সমস্যা দুটী। মহম্মদ মদিনাতে যখন গেলেন, তখন তার হাতে আল ইসলামের কয়েকশ সৈনিক। এদিকে পেটে নেই খাবার। ফলে মক্কাগামী অনেক ক্যারভান লুঠ তরাজ করেছে মহম্মদের অনুগামীরা এবং মহম্মদ তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে সেই যুগে আরবে ক্যারাভান লুঠ করা বা ডাকাতি করা হারাম ছিল না । এখন এই ইতিহাস অনুসরন করে যদি মুসলমানরা ভাবে বিধর্মী লোকেদের ওপর ডাকাতি করা সুন্নত, তাহলে বিপদ আছে।
দ্বিতীয় ইস্যুটা এই যে মহম্মদ চরিত্রটাই কাল্পনিক। এই যে তেহরিক ই পাকিস্তান বলছে, মহম্মদ যৌনচুল গজানো বালকদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সাহি বুখারি অনুযায়ী-তা এই হাদিস অনুযায়ী মহম্মদের যে জীবনী আমরা জানি, তার কতটুকু সত্য? আমি যেটুকু ঐতিহাসিক রিসার্চ করতে পেরেছি, তাতে এটাই জেনেছি যে সেকালে মক্কায় হানিফ বলে এক প্রগতিশীল অংশের নেতা ছিলেন মহম্মদ। তার বাকী জীবনীর পুরোটাই গল্প। কোন ঐতিহাসিক বা বাস্তব প্রমান নেই । এটা নিয়েও একটা বিস্তারিত লিখেছিলাম [৩]
এবার আসি একটা বৃহত্তর প্রশ্নে। ধর্ম পালন কি আমাদের জীবনে দরকার? কি দরকার মহম্মদের কৃষ্ণের জীবনী অনুসরন করে? যেখানে তাদের জীবনে অনেক কিছুই আছে যা বর্তমানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন না ?
আধ্যাত্মিক গাইডেন্স দরকার-সেটা আমি মানি। কিন্ত তার জন্য কি ধর্মগ্রন্থ দরকার? একদম না । আধ্যাত্মিকতার উৎস জীবনের উদ্দেশ্য খোঁজা। সেটা মধ্যযুগের ধর্মগ্রন্থ যা সম্পূর্ন ফালতু-বোঝা যায় না -সেখানে কেন খুঁজবো? আমি জীবনে উদ্দেশ্য প্রেমে, গানে কবিতায় বিজ্ঞানে কেন খুঁজবো না ? আমি বিজ্ঞানের মাধ্যমে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজি। কিভাবে খুঁজি, তার একটা বিশদ বিবরন এই প্রবন্ধে দিয়েছিলাম [৪]। জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজতে আমাকে কোনদিন ধর্মগ্রন্থের বুজরুকির সাহায্য নিতে হয় নি! না কোন গুরুর কাছে দৌড়তে হয়েছে।
আবার অনেকে বলেন, ধর্ম না থাকলে সমাজে নৈতিকতা থাকবে না ! এটা ফালতু যুক্তি। নৈতিকতা মানে কি? সৎ থাকা। এটা ধর্ম কেন শেখাবে? প্রতিটা মানুষকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, তাকে সৎ হতেই হবে। আমি ব্যবসা করে খাই। যদি কেও আমাকে বিশ্বাস না করে- কে আমাকে কাজ দেবে, বা কেইবা আমার জন্যে কাজ করবে? আর এই বিশ্বাসটা সততা থেকেই আসে। সততা কেন ধর্মগ্রন্থ থেকে শিখতে হবে? এটাত বাস্তব বুদ্ধি থেকে আসা উচিত।
আমি জানি না বাকিদের জীবনের উদ্দেশ্য কি। তবে এটা জানি আমরা সবাই খাদ্য, যৌনতা, বাসস্থান, সন্তানের জন্য নিরাপত্তা চাই। আর সেটা টাকা ছাড়া আসে না জীবনে। ভাল কেরিয়ার গড়তে গেলে, অর্থ উপার্জন করতে চারটে জিনিস জীবনে জরুরী
(১) বুদ্ধি (২) পরিশ্রম (৩) সততা (৪) সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা।
১-৩ অনেকেরই থাকে, কিন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন। জীবনের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অনেক কিছু নিয়ে বস্তুনিষ্ট নির্মোহ ভাবে বিশ্লেষন করতে হয়। যেমন আমার আই আই টি বন্ধুদের প্রায় সবার মধ্যেই ১-৩ গুনাবলি আছে। তা স্বত্ত্বেও, ২০ বছর বাদে কেও কেও গুগল আপেলের মতন সংস্থায় লিডার আবার কেও কেও প্রায় বেকার বসে আছে । মধ্যের স্পেক্ট্রামে আছে আরো বেশী লোক। এর কারন- কোন ফিল্ড উঠছে, কোন কোম্পানী উঠছে, কোথায় উন্নতি করার সুবিধা, কোন কোম্পানী কখন ছাড়া উচিত-এসব অনেক ভেবে কাজ করতে হয়। নইলে গাড্ডায়। আমি দেখেছি ধর্মীয় মানুষদের একটা প্রবণতা আছে ধর্মের নামে, আল্লার নামে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যুক্তি এবং বিশ্লেষন দিয়ে চারিদিকটা দেখে না । ফলে প্রায়শ গাড্ডায় পড়ে। আমার আশে পাশে যত সফল প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী বা বিজ্ঞানী দেখছি-যাদের ভালোভাবে চিনি, তাদের কেও ধার্মিক না । এটা ভাবার কারন নেই মুসলমানরা সফল না । আমার এই হাওয়ার্ড কাউন্টির সার্কলে প্রচুর ভাল মুসলমান বন্ধু আছেন যারা বিজ্ঞানে বা মেডিসিনে নাম করেছেন। তাদের কেও ধার্মিক নন ( হয়ত এদের স্ত্রীরা এখনো ধার্মিক) । কারন ধার্মিক, ধর্মে গদগদ, জীবনে সফল- সেটা সম্ভব না । হ্যা অনেক সফল লোক আছেন, যারা আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরনা পান ধর্ম থেকে। কিন্ত তাদের ঠিক ধার্মিক বলা যাবে না । এরা সবাই বুদ্ধিমান বিচক্ষন লোক। তবে জীবনে সফল লোকেদের মধ্যে যে ধার্মিক লোকেদের সংখ্যা কম, উল্লেখযোগ্য ভাবে কম তা নিয়ে সন্দেহ নেই । কারন সফল হওয়ার চাবিকাঠি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াতে। আর সঠিক সিদ্ধান্ত “বিশ্বাসী” মনোভাব থেকে আসে না । আসে যুক্তিপূর্ন বিশ্লেষনী মন থেকে।
মোদ্দা কথা ধার্মিক হওয়াটা জীবনের সাফল্যের পথে অন্তরায়। বোঝা মাত্র। এই বোঝা যত তাড়াতাড়ি নামাতে পারবেন তত ভাল ।
[১] http://indiatoday.intoday.in/story/peshawar-massacre-killing-consistent-with-prophet-mohammed-tehreek-teaching-pakistan-taliban/1/407503.html
[২] দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন তত্ত্বের আলোকে ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা
[৩] রাজনৈতিক নেতা না অভিনেতা
[৪] বিজ্ঞানবাদ বা ন্যাচারালিজম
ভাল একটি লেখা। সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে লেখাটি নিয়ে তর্কে যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। তাদের হাদিস থেকেই দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। আকাশ মালিক এর সাথে একেবারে একমত। কেন জানি মনেহয় বর্তমানে আমাদের তথাকথিত মুসলমান থেকে IS,TTP,আলকায়েদা এরা তাদের লক্ষ্যের প্রতি সৎ। আর মডারেট মুসলিমরা ধর্মের বাজে গন্ধটাকে নাক টিপে সহ্য করে জয়গান গেয়ে যায়।
অসাধারন একটি লেখা। পড়ে ভালো লাগলো।
কিন্তু একটা সমস্যা আমি ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রায়ই দেখি। অনেক যুক্তিবাদী এটাকে “no true scotsman” নামক অপযুক্তি বলে অভিহিত করেন। সাদা বাংলায় এই ক্ষেত্রে এই যুক্তি প্রয়গ করলে যা দারায় তা হল, যেহেতু ইসলামে মানুষকে দ্য়াবান হতে বলা হয়েছে, তাই এই নৃসংশতা ইসলামিয় নয়। অন্যদিকে, ইসলামের ধর্মগ্রন্থগুলোতে (এবং প্রায় সব ধর্মেই) এমন অনেক পদ পাওয়া যায় যা একই রকম জঘন্য। আমার মনে হয়, এই পরস্পর বিরধিতার কারন শুধু মানব-সৃষ্ট ধর্মগুলই পরস্পর বিরধি না, মানুষ নিজেও পরস্পর বিরধী। এমন কোন আদর্শবাদ আমি দেখিনি, যা মানুষকে এই পরস্পর বিরধিতার থেকে মুক্তি দিতে পারে। নিটশে যেমন বলেছিলেন, “One is fruitful only at the cost of being rich in contradictions.”। এর থেকে বেড়িয়ে আসার উপায় আমার জানা নেই। তবে এটা নিস্চিত, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতীক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করে, শুধু ধর্মকে এর জন্য দায়ী করাটা হয়ত বোকামি। আবার যারা সেই “no true scotsman”-এ ফিরে যেতে চান, তারাও কিছুটা ভাবের ঘরে চুরি করে বসে আছেন।
বিপ্লবদা,
চমৎকার লিখেছেন। এই-ই হওয়া উচিৎ। আপনার ৪টি জরুরী উপাদানের ১ এবং ৪ একই মনে হচ্ছে! আমার কেনো যেনো মনে হয় ১ নম্বরের জায়গায় ” সামাজিক দায়িত্ত্ববোধ তথা বিশ্বমানবতা বোধ” হওয়া উচিৎ। কারণ ১ নম্বরটি না থাকলে ৪ নম্বরটির আশা করা বৃথা!
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/khurasani-story_650_121814020215_zpsbdf6839a.jpg[/img]
পেশাওয়ারে ইতিহাসের জঘন্যতম নিষ্টুরতম শিশু হত্যা, মুহাম্মদের সুন্নত বা তরিকা বা আদর্শ বা শিক্ষানুসারে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তাহরেকি তালেবানের মুখপাত্র ওমর খোরাসানী। তিনি বলেন যারা এই হত্যাকে ইসলামবিরোধী মনে করেন তারা যেন রাসুলের সেই হাদিসটি স্মরণ করেন, যেখানে বর্ণীত আছে ১৪ শত বছর পূর্বে আল্লাহর রাসুল তার শত্রুদের সাথে কেমন ব্যবহার করেছিলেন। হাদিসটি হলো-
Narrated Abu Said Al-Khudri:
Some people (i.e. the Jews of Bani bin Quraiza) agreed to accept the verdict of Sad bin Muadh so the Prophet sent for him (i.e. Sad bin Muadh). He came riding a donkey, and when he approached the Mosque, the Prophet said, “Get up for the best amongst you.” or said, “Get up for your chief.” Then the Prophet said, “O Sad! These people have agreed to accept your verdict.” Sad said, “I judge that their warriors should be killed and their children and women should be taken as captives.” The Prophet said, “You have given a judgment similar to Allah’s Judgment. (Bukhari, Book 5, Volume 58, Hadith 148)
পরবর্তি ঘটনা তাবারীতে আছে-
“…the messenger of God commanded that furrows should be dug in the ground for the B. Qurayzah. Then he sat down, and Ali and al-Zubayr began cutting off their heads in his presence.” Tabari
‘The messenger of God went out into the marketplace of Medina and had trenches dug in it; then he sent for them and had them beheaded in those trenches. They were brought out to him in groups … They numbered 600 or 700—the largest estimate says they were between 800 and 900 … the affair continued until the Messenger of God had finished with them.’
– Tabari
God’s Messenger had ordered that all Jewish males with pubic hair were to be killed, but he did spare one boy who took refuge with a Muslim woman who pleaded with the Prophet to spare the boy’s life. Her pleading for mercy may not have been necessary if the following story as told by the boy in question is accurate.
I was among the captives of Banu Qurayzah. They examined us, and those who had begun to grow hair (pubes) were killed, and those who had not were not killed. I was among those who had not grown hair.
– Abu Dawud
@আকাশ মালিক,
পেশোয়ারের ঘটনায় সম্ভবত নিম্ন কেশ পরীক্ষা করে হত্যাকান্ড সঙ্ঘটন হয়নি বলেই ‘সহি’ হয়নি এমনও হতে পারে।
@আদিল মাহমুদ,
হতে পারে, তারপর উনি যে হাদিসের উদ্দৃতি দিয়ে শিশু হত্যা জায়েজ করেছেন সেই হাদিস জালও হতে পারে। আর যদি হাদিস জাল না হয় তাহলে তর্জমায় ভুল হতে পারে। আর যদি তর্জমায় ভুল না হয় তাহলে ঘটনার প্রেক্ষাপট বুঝার ভুল হতে পারে। তবে সহীহ ইসলাম আর সহীহ মুসলমান যে, কোন প্রকার সন্ত্রাসের জন্যে দায়ী নয়, তাতে কোন ভুল নাই।
আসলে বানু কুরাইজা সংক্রান্ত একটি হাদিস না, খুঁজলে আরো অনেক হাদিসই পাওয়া যাবে যেখানে নারী এবং শিশুদের হত্যার নির্দেশ আছে। যেমন গতকাল পেলাম এই হাদিসটি –
Volume 4, Book 52, Number 256:
Narrated As-Sab bin Jaththama:
The Prophet passed by me at a place called Al-Abwa or Waddan, and was asked whether it was permissible to attack the pagan warriors at night with the probability of exposing their women and children to danger. The Prophet replied, “They (i.e. women and children) are from them (i.e. pagans).” I also heard the Prophet saying, “The institution of Hima is invalid except for Allah and His Apostle.”
ওয়াদ্দানের ‘যুদ্ধের’ সময় এ আদেশ দিয়েছিলেন নবীজি। যুক্তি ছিল তারা যেহেতু প্যাগান (অর্থাৎ ননমুসলিম), তাদের নারী এবং শিশুদের হত্যা জায়েজ। তালিবানরাও শিশুদের হত্যা করেছে, তবে তারা ছিল মুসলিম। এর পেছনে যুক্তি হয়তো এরা ইহুদি নাসারাদের প্রতিষ্ঠান স্কুলে পড়ছে, মেয়েদের শিক্ষিত করছে, কাজেই নিশ্চয় তারা আর মুসলিম নেই, কে জানে। তবে মোদ্দা কথা হল, কোরান হাদিসে বহু আয়াতই আছে, অনেক নির্দেশই আছে যেগুলো সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং হয়ও। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে কোদালকে কোদাল বললেই ‘সালাফি সেক্যুলার’ বলে ট্যাগ খেতে হয়। 🙂
@অভিজিৎ,
এর বিপরীতে এমন হাদীসও আছে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নারী শিশুদের হত্যা নিষিদ্ধ।
Saheeh Bukhari
Volume 004, Book 052, Hadith Number 258.
Narrated By Ibn ‘Umar : During some of the Ghazawat of Allah’s Apostle a woman was found killed, so Allah’s Apostle forbade the killing of women and children.
Saheeh Muslim
Book 019, Hadith Number 4320
Chapter : Prohibition of killing women and children in war
It is narrated by Ibn ‘Umar that a woman was found killed in one of these battles; so the Messenger of Allah (may peace be upon him) forbade the killing of women and children
১৪০০ বছর আগে নাজিল হওয়া ধর্মীয় সূত্রগুলি স্বাভাবিকভাবেই এমনই বিভ্রান্তিকর। মানসিকতা অনুযায়ী এক একজনা এক এক ভাবে ইন্টারপ্রেট করবে, পছন্দমতটা গ্রহন করবে অপছন্দেরটা এড়িয়ে যাবে। গান বাজনা গাওয়া, ছবি আঁকা কিছু হাদীসে নিষিদ্ধ, তাই অনেক মুসলমান এসব এড়িয়ে চলেন। আবার কিছু হাদীস থেকে বার করা যেতে পারে যে গান বাজনা চলতে পারে……কার সাধ্য বলে কোনটা সহি ইসলাম?
এসব ভিত্তি করে জীবন প্রনালী সাজাতে গেলে ফলাফলও হবে এমনই বিভ্রান্তিকর, মডারেট মস্তিষ্কে এখনো এই সহজ সত্যটি প্রবেশ করতে পারেনি। জীবন চালাতে ধর্মের দ্বারস্থ হবার যে কোন দরকার নেই, উলটা সে চেষ্টা করাটাই বিভ্রান্তিকর এবং সমস্যার মূল এটা তারা কবে বুঝবেন কে জানে।
@আদিল মাহমুদ,
অবশ্যই। কোরানে যেমন এক জায়গায় আছে ‘যেখানেই পাও অবিশ্বাসীদের হত্যা কর’, ‘গর্দানে আঘাত কর’, আবার অন্য জায়গায় আছে ‘ইসলামে কোন জোরজবরদস্তি নাই’, ‘তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার’ ইত্যাদি। পুরোটাই একটা গোঁজামিলের প্যাকেজ, নানাপদের তালবাহানা আর কন্ট্রাডিকশনে ভরপুর। সেজন্যই একই ধর্ম মেনে কেউ সুফি দরবেশ হয়, কেউ বা হয় বিন লাদেন আর তালিবান। দুটোই ফ্যাকট।
অথচ তারাই আবার দাবী করে তাদের মনোনীত ধর্মে কোন কন্ট্রাডিকশন নাই।
প্রশ্ন সেটা নয়, কথা হল – তালিবানের এই ম্যাস-ম্যাসাকার নাকি নবীজির জীবনী দিয়ে ইন্সপায়ার্ড – এত বড় একটা কথা বলার পরেও তারা তেমন কোন প্রতিবাদের সম্মুখীন হয় নাই। খুব বেশি প্রতিবাদ দেখলাম না জিহাদীদের বিয়ে না করার জন্য আইসিসেরা ১৫০ জন নারীকে হত্যা করেছে, সেটার ক্ষেত্রেও। প্যালেস্টাইন- ইসরায়েল ইস্যুতে গলা ফাটিয়ে ফেলা মডারেট মুসলিমেরা এসব ব্যাপারে একেবারে কবরের মতোই নীরব। এটাই অ্যালার্মিং।
সহজ কথায় খুব গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট এনেছেন।
ইসলাম ধর্ম জড়িত এ জাতীয় যে কোন ইস্যুতে আলোচনা অবধারিতভাবে “ইসলাম সম্মত কিনা”……প্রকৃত ইসলাম কি বলে……এ যায়গায় এসে ঠেকে যায়। ভাবখানা এমন যে প্রাচীন আমলের আরবে আরবী ভাষায় লেখা কোরান হাদীসের নানা অনুবাদ ভাবানুবাদ…সেসবের ভিত্তিতে হাজার হাজার ইন্টারপ্রেটেশন বৈজ্ঞানিক বা গানিতিকভাবে এনালাইজ করে প্রকৃত ইসলাম কি বলে তা প্রমান করা যায়। বলাই বাহুল্য এর কোন জবাব হয় না। আল্লাহ এক এবং নবী মুহম্মদ আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী জাতীয় আপ্ত বাক্য ছাড়া সকল মুসলমান এক ভাবে ইসলাম মানে না; এক এক জনা এক এক ভাবে ইসলাম মানে। কোরান হাদীস কি বলে তাও নিজ নিজ বিবেক বুদ্দি পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রহন বর্জন করে।
এই ফালতু কূটতর্কে আসল ইস্যু চলে যায় আড়ালে। যার কোন সর্বসম্মত ইন্টারপ্রেটেশন তো হয়ই না, উলটা যা থেকে সম্পূর্ন বিপরীতমূখী ইন্টারপ্রেটেশন হতে পারে সেসব ভিত্তি করে জীবন ব্যাবস্থা গড়তে হবে এই মারাত্মক বিভ্রান্তিমূলক দর্শন যে সকল নষ্টের মূলে এই সহজ কথাটা ইসলামপ্রেমি তো নয়ই, ইসলাম বিদ্বেষীদের মস্তিষ্কেও ঢোকানো যায় না। ইসলাম সমালোচকরাও প্রবল উতসাহের সাথে কোরান সমালোচনা, নবীর নানানবিধ কার্যকলাপের সমালোচনায় লেগে থাকেন।
ইসলাম ধর্ম এবং এর ফলোয়ার মুসলমানদের ইউনিকনেসটাই হল তাদের ধর্ম অন্যান্য ধর্মগুলির মত কেবল বিশ্বাসে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পূর্নাংগ জীবন বিধান এই ধারনা দৃঢ়ভাবে লালন পালন করা। এ কারনে তারা কল্পনার এক ইউটোপিয়ান স্বর্গরাজ্যের স্বপ্ন দেখেন, মুসলমান জাতীয়তাবোধ নামক এক কৃত্রিম জাতিস্বত্তায় আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগেন এবং এই ভাবনার বিপরীতে যা কিছু তা সবই ইসলাম বিদ্বেষী এবং তাদের বিরুদ্ধে সদা চলমান ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেন। ফলে বিধর্মীদের তো বটেই, এমনকি তাদের স্বজাতির যারা এই ধরনের ধর্ম নিয়ন্ত্রিত সমাজ চায় না তাদেরও শত্রু হিসেবে দেখে। এভাবে নিজেরাই নিজেদের শত্রু বানাবার বিরল গুন তারা প্রদর্শন করেছেন। যুগে যুগে আসল ইসলাম কায়েম করার নামে অকাতরে নিজেরাই নিজেদের গনহারে খুন করেছেন; বর্তমান দিনের আইসিসের সাথে আরব দেশে ওয়াহাবি ঝড় একই রকমের চিত্রই দেখায়। জেহাদী তৈরী হবার মূলমন্ত্র এখানেই আছে, শেয়াল কুমীরের মত আমেরিকা আমেরিকা বলে চেঁচিয়ে মন সান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কিছু হয় না। খৃষ্ট প্রধান দেশে কেউ আদর্শ খৃষ্ট সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখে না, বিশ্বময় খৃষ্টবাদ কায়েম করার মাধ্যমে অপার শান্তির জগত তৈরী করবে এমন আজগুবি তও্ব শুনলে চার্চভক্ত লোকেও আঁতকে উঠবে। ভারতেও বিজেপি মৌলবাদ ব্যাবহার করলেও কোনদিন ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান বদলাবে না, বিশ্বময় দারুল হিন্দ কায়েম করা অনেক দূরের ব্যাপার।
সৌদীর মত কট্টর রাজতন্ত্র নিয়ন্ত্রিত দুয়েকটি দেশ ছাড়া এমন কোন মুসলমান দেশ নেই যেসব দেশে আদর্শ ইসলামী সমাজ কায়েম করার লক্ষ্যে সক্রিয় জেহাদী গ্রুপ নেই। এভাবে নিজেরা নিজেদের শত্রু তৈরী করে যুগ যুগ ধরে এক উতকট ফালতু সমস্যা জিইয়ে রাখার কৃতিত্ব সম্পূর্নভাবে মুসলমানদেরই। আমিও এতে একমত যে মৌলবাদীরা তাদের নীতিতে সত। তথাকথিত শিক্ষিত মডারেটদেরই মূল দায় নিতে হবে। ইসলামই সব সমস্যার সমাধান, ইসলাম কায়েম করতে হবে………এসব শিখিয়ে যাবেন, নিজেরা নানান ওজর তুলে পালন করবেন না আর যখন সেসব কায়েম করার লক্ষ্যে মৌলবাদীরা বোমা ফুটায় তখন এসব প্রকৃত ইসলামে নেই বলে হাঁক ছেড়ে বেশীদিন আর যাবে না। মডারেটগন শফি মোল্লাদের আজগুবি তত্ত্ব শুনলে নিজেরা বড় আলেম সেজে অনৈসলামিক রায় দেবে, আবার নিজেদের পরকালে মুক্তির আশায় এই মোল্লা চক্রের দরগায় শিন্নি দেবে। মুরতাদ হত্যার সমালোচনা শুনলে কোরান ওনলী বনে যাবে, উগ্র নাস্তিক গালি দেবে, কিন্তু সেই ফতোয়া এন্ডোর্স করা আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ইসলাম বিদ্বেষী বলে বন্ধ করার দাবী মারা গেলেও করবে না।
ইসলামে আছে কি নেই তা অবান্তর……মোদ্দা কথা হল ইসলামকে যতদিন বিশ্বাসের বাইরে পূর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থা হিসেবে দেখার মারাত্মক প্রবনতা বন্ধ না হবে ততদিনই এইসব উন্মাদনা চলবে – এতে কোন ভুল নেই। মুশকিল হল এই সত্য স্বীকার করার মত মানসিক পরিপক্কতা মুসলমান সমাজে সামগ্রিকভাবে আসতে এখনো বহু দেরী। ফলে কপালে আরো বহু খারাবী আছে।
পেশোয়ারের নৃশংস শিশু হত্যাকান্ডের পর দেখছি, অনেক “মডারেট” মুসলমানের মনে কোরানে কি আছে, দেখিয়া খুজি ভাই, যদি বিশেষজ্ঞ পাই ( এজ ইফ, কোরান বাংলায় বা ইংরেজিতে পাওয়া যায় না ! বা সেটা নিজে পড়া যায় না ) টাইপের মনোভাব জেগেছে। একজন জানিয়েছেন, কোরান যে সন্ত্রাসবাদ, অসভ্যতা সমর্থন করে না এটা কোরান খুজে পেতে মুর্শিদাবাদের লোকেদের বোঝাতেই পারলেই নাকি, তারা আর মৌলবাদি হবে না ! উনারা নাকি বিদ্যাসাগর, রামমোহনের মতন ধর্ম সংস্কারের মাধ্যমে ইসলামকে ভদ্র সভ্য করে গড়ে তুলবেন!!!! তাতে নাকি কাজ হবে কারন অধিকাংশ সাধারন মুসলমান ধর্মান্ধ!
সমস্যা ত্রিবিধ।
প্রথমত হিন্দু ধর্মে সংস্কারের জন্য হিন্দুত্ব কমে নি বা হিন্দুদের আধুনিকরন হয় নি। হিন্দুদের আধুনিকরন হয়েছে আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে তারা জড়িয়েছে বলে। তাও সেটা শহর এলাকাতে সীমাবদ্ধ। বিবেকানন্দর হিন্দু ধর্ম সংস্কারে যেটা হয়েছে হিন্দু মৌলবাদিরা গোডাউন আর শোকেশে ভাগ হয়ে গেছে। এই মুহুর্তে মুসলমানদের মধ্যে গোডাউন মৌলবাদি বেশী, শোকেসে কম। বিবেকানন্দ, রামমোহনের প্রভাবে হিন্দু ধর্মে শোকেস মৌলবাদি বেশী গোডাউনে কিছু কম। কিন্ত ব্যপারটা কালেদরে এক। ফলে ভারতে হিন্দুত্ববাদ কিছু কমে নি। তারা ক্রমাগত ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
দ্বিতীয় পয়েন্ট ফুকোর ক্ষমতার তত্ত্ব থেকে আসে। উনারা চান একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে যেখানে কোরান সঠিক কিন্ত সন্ত্রাসবাদিরা ভুল। কিন্ত কনসেনসাস হচ্ছে কোরান ঠিক, মহম্মদ ঠিক। ফুকোর ক্ষমতার তত্ত্ব অনুযায়ী এক্ষেত্রে আসলেই ক্ষমতা বাড়বে ইসলামের মৌলবাদের কারন ইসলাম বেঠিক, এটা পুরো ত্যাজ্য হচ্ছে। এই জন্য হিন্দুত্ববাদিরা বিবেকানন্দ বিরোধি ইত্যাদি বলে হিন্দুত্বর রথ আটকানো যাবে না । হিন্দুত্ববাদ আটকাতে গেলে বিবেকানন্দের দর্শন এবং জীবনকে আক্রমন করতেই হবে।
তৃতীয় ভুলটা এই যে ইসলামে সুন্নত বলে একটা ব্যপার আছে। বালকদের হত্যা করা উচিত না অনুচিত-এটা মোটেও কোরান থেকে তেহরকি পাকিস্তান নেই নি। নিজেছে সুন্নত থেকে বা মহম্মদদের জীবন থেকে। যেখানে সহি বুখারিতে পরিস্কার লেখা আছে বানু কোরজার ইহুদিদের গণ নিধনের সময় মহম্মদের নির্দেশ কি ছিল (Then the Prophet said, “O Sad! These people have agreed to accept your verdict.” Sad said, “I judge that their warriors should be killed and their children and women should be taken as captives.” The Prophet said, “You have given a judgment similar to Allah’s Judgment (or the King’s judgment).”Sahih al-Bukhari,5:58:148 )। সুন্নত মানলে সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে পারবেন মডারেট মুসলিমরা ? হজরত মহম্মদ রাষ্ট্রনেতা যুদ্ধনেতা হিসাবে প্রায় ৭০ টি যুদ্ধ করেছন। যদি সত্য হচ্ছে, এই মহম্মদ শার্লক হোমসের মতন এক আরব নেতার ছায়াতে তৈরী এক কাল্পনিক চরিত্র । যুদ্ধে সে যুগে যা করা হত, যথা লুঠ তরাজ, মেয়েদের ধর্ষন করে যৌনদাসী বানানো-এসব কিছুই মহম্মদ করেছেন বা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সুন্নত মেনে, আই সিসিসরা আজ ঠিক তাই করছে, যা সেযুগে মহম্মদ করেছিলেন। সেযুগে সেসব ঠিক ছিল। এযুগে?? আর সুন্নত কত মারাত্মক তার প্রমান ইরাকে আই সিসিস। ইমরানা কেস। উত্তরপ্রদেশে ইমরানার শশুর ইমরানাকে ধর্ষন করেছিল। ইমরানা অভিযোগ জানালে, উলেমারা সুন্নত অনুসরন করে নিদান দেন, ইমরানা শশুরকেই বিয়ে করুক!! কারন? কারন মহম্মদ নিজের পুত্রবধু জয়নাবকে বিয়ে করেছিলেন!! মহম্মদ যা করেছিলেন শশুররা তাই করুন-পুত্রবধূর দিকে হাত বাড়ান!!
বেসিক্যালি মুসলিম মৌলবাদিরা কিন্ত সৎ। তারা ইসলামে ঠিক যা যা করতে বলা হয়েছে, তারা তাই করছেন। অসৎ হচ্ছে তথাকথিত মডারেট মুসলিমরা। যারা কিছু হলেই সহি ইসলামের বিশেষজ্ঞ খুঁজতে বেড়োন এবং ইহা সহি ইসলাম না -ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। সব ধর্মের পাদের গন্ধই বিটকেল-কিন্ত ইসলামেরটা এত বাজে যে ও শান্তির ধর্ম, বিশেষজ্ঞ চাই ইত্যাদি ভুলভাল বক্তব্যে এই ধর্মের দুর্গন্ধ আটকানো যাবে না ।
@বিপ্লব পাল,
দাদা, শেষ পর্যন্ত আপনিও! একজন বিশুদ্ধ ইসলাম ব্যাশার, মুসলিম বিদ্বেষী আর বোনাস হিসেবে আমেরিকার বেতনভোগী ইহুদীদের দালাল খেতাব কপালে জুটবে, আর কিছু নয়। ঐ নিরপরাধ নিষ্পাপ শিশুগুলোর জন্যে বুক ফেটে কান্না আসে, চোখ ফেটে অশ্রু আসে কিন্তু কিছু করার নেই কিছু বলার নেই। বাদ দেন ওসব, চোখ কান বন্ধ করে আল্লাহ আল্লাহ করেন, দেখেন না সবাই খিল দিয়েছে দোয়ারে?
একটা ডকুমেন্টারি ছবি দেখলাম, হয়তো আপনি আগেই দেখেছেন। সালাউদ্দীন আয়ূবী আর রিচার্ড দ্যা লায়ন হার্ট-
httpv://www.youtube.com/watch?v=1NSRA_Lpy1U
@বিপ্লব পাল,
বেসিক্যালি মুসলিম মৌলবাদিরা কিন্ত সৎ। তারা ইসলামে ঠিক যা যা করতে বলা হয়েছে, তারা তাই করছেন।
আলবৎ। এরা মৌলবাদী না মডারেইট? সহিহ না গলত মুসলমান? আমাদেরকে একটি নাস্তিকমুক্ত বাংলাদেশ, আমেরিকামুক্ত পৃথিবী দিন, আমরা চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সারা দুনিয়াকে খুলাফায়ে রাশেদীনের স্বর্ণ যুগে ফিরিয়ে নেব ইনশাল্লাহ।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/Jihadchobi_zpsa4d9911f.jpg[/img] [img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/5-injured-in-fresh-clashes-at-baitul-mukarram-mosque_zpsa7722b90.jpg[/img]
@ বিপ্লব পাল,
এই ঘৃণ্য কাজটি ইসলাম সম্মত, নাকি ইসলাম সম্মত নয় ? ভাবখানা যেন, এটি ইসলাম সম্মত হলে এই ঘৃণ্য ঘটনাকে সমর্থন করা যেতে পারত। সমস্যাটা এখানেই। বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ সব কিছুতেই কাজটিতে ধর্মীও অনুমোদন খোঁজে । তা সে খাওয়ার জন্য পশু হত্যা হোক, জন্ম নিয়ন্ত্রন হোক বা পোশাক হোক বা অন্য আরও সব কিছুতে।
বিদ্যাসাগর মহাশয় যখন বিধবা বিবাহ চালু করতে চেষ্টা করেন তখন গোঁড়া হিন্দুরা একে বন্ধ করতে চেষ্টা করেছিল বিধবা বিবাহ অশাস্ত্রীয় এই অজুহাতে। কিন্তু বিদ্যাসাগর তাঁর অসাধারন পাণ্ডিত্য দিয়ে প্রমান করে ছিলেন যে বিধবা বিবাহ অশাস্ত্রীয় নয়। লক্ষ্য করুন , তিনি তখন এই কথা বলতে পারেন নি যে বিধবা বিবাহ শাস্ত্রীয় অনুমোদন না থাকলেও এটি চালু করা উচিত । সেই যুগে সেটি সম্ভব ছিল না। আজ কিন্তু হিন্দু সমাজ বেশির ভাগ কাজে শাস্ত্রীয় অনুমোদন খোঁজে না। যেটি তাঁর বিবেক অনুমোদন দেয় সেইটি করে শুধু না জোর গলায় দাবি জানায়। আজকের মুসলমান সমাজের বেশির ভাগ অংশ বিদ্যাসাগরের যুগে পড়ে আছে। কে তাদের টেনে তুলবার দায়িত্ব নেবে? মুসলমান নেতারা কি বলতে পারছে শাস্ত্রে যা থাকে থাকুক আসুন আমরা বিবেকের নির্দেশে কাজ করি?
@অনিন্দ্য পাল,
একদম ঠিক কথা। এই জন্যে আমার প্রবন্ধের দ্বিতীয় অংশটা আমি ব্যয় করেছি, ধর্মের কি প্রয়োজন আছে সেটার ওপরে। কারন ধর্মগ্রন্থের আর কোন প্রয়োজন নেই ।
পাকিস্তানে এমন হত্যাকান্ডের পর মুক্তমনায় একটা লেখা আশা করছিলাম, সেটা পুরন হয়েছে। অনকেই এই হত্যাকান্ডকে ইসলাম সম্মত নয় অভিমত দিচ্ছেন যা কিনা আসলেই ভিত্তিহীন আর আপনার লেখায় তা সুস্পষ্ট ভাবেই প্রমানিত। ধন্যবাদ আপনাকে, আরও যুক্তিবাদী লেখা পাবার আশায় রইলাম।
ধর্ম কিংবা মুহাম্মদ /কৃষ্ণের জীবনাচরণ অনুসরণ করে যে তথাকথিত নৈতিকতা রক্ষার অজুহাত সমাজ তৈরি করেছে আরোপিত। মনোজাগতিক উপলব্ধি থেকে এই নৈতিকতার সৃষ্টি হয়নি, তাই এটি ধর্মানুভূতি সম্পন্ন মানুষ ধারন করেনা। তাই এই নৈতিকতার দৌড় শেষে এসে গোঁড়ামিতে গিয়ে থামে। অন্যদিকে ধর্মানুসারীরা সামাজিক সংস্কৃতিকে বাধাগ্রস্থ করে মনোজাগতিক নৈতিকতার রাস্তা বন্ধ করতে।
ভালো লেগেছে।