বিশাল জলধির বক্ষে শুয়ে আছ
কে তুমি জলকন্যা?
তোমার নাম সন্দ্বীপ বুঝি?

নরম রেশমের ওড়নার মতো মেঘ উড়ে যায়
তোমার গায়ের উপর দিয়ে
আকাশ তার নীল শাড়ির মতো দেহে
নক্ষত্রের সোনালি চুমকির কারুকাজ করে রাখে
তোমায় পরাবে ব’লে।
তোমার গায়ের উপর জোছনা পড়ে
চাঁদ গ’লে গ’লে।
কে গো তুমি রাজকন্যা?
তোমার নাম সন্দ্বীপ বুঝি?

পাখিরা, সমুদ্রের জলেরা, গাছের পাতারা তোমায় গান শোনায়
সমুদ্রের ঢেউয়েরা ছলাৎ ছলাৎ ছন্দে এসে তোমার চরণ ধুয়ে দিয়ে যায়
বাতাস, ফুলের রেণু, বৃষ্টির ফোঁটা, সূর্যের আভা
এসে তোমার কপোল চুমে যায়।
ঝিঁঝিঁ পোকারা গান গেয়ে তোমায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়
চাঁদ নক্ষত্র আকাশ তোমার জন্য নির্ঘুম জেগে রয়
ভোরের পাখিরা গান গেয়ে,
নবীন সূর্য নম্র-কিরণ-স্পর্শে
তোমাকে নতুন দিনের অভিবাদন জানায়।
কে তুমি রাজকন্যা?
তোমার নাম সন্দ্বীপ বুঝি?

কদমফুলের পাপড়ির পুষ্পবৃষ্টি হয় তোমার গায়ে
বেলি শিউলি ঘুঙুর হয়ে রয় তোমার পায়ে।
শিশিরবিন্দু তোমার ঘাসে ভোরের আলোতে
হিরককুঁচি হয়ে জ্বলে
কতো কতো বুনোফুল ফুটে রয় তোমার চরণতলে।
কতো কতো হাসি গান সুবাস আদর মমতা লেগে থাকে
তোমার ঘাসে
তোমার মাটিতে, আকাশে, বাতাসে।
কতো সবুজ ঘাস, কতো জোছনা তোমায় আদরে ঢাকে।
কে গো তুমি জলকন্যা?
তোমার নাম সন্দ্বীপ বুঝি?