এক হাতে তালি বাজে না, নিশ্চয়ই ধর্ষিতা মেয়েটার চরিত্রেও সমস্যা ছিলো। এমনি এমনি কি ধর্ষণ হয় নাকি। মেয়েরা ছোট ছোট কাপড় পরে ঘুরে বেড়াবে, আর ছেলেরা কিছু করলেই দোষ। এই মেয়েরাই সব নষ্টের গোড়া, একজন পুরুষের শারীরিক প্রবিত্তিই হচ্ছে নারীদেহের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া এবং এটাই স্বাভাবিক। পুরুষদের কিছু দোষ থাকলেও মূল দোষটা আসলে মেয়েদের, মেয়েরা ঠিক থাকলে এত ধর্ষণ হয় না। ঠিকঠাক মত পর্দা করলে কখনোই রেপ হয় না…..
এই ধরণের কথাবার্তা আমাদের সমাজে ব্যাপক প্রচলিত। আসুন এবারে একটু হাতে-নাতে টেস্ট করে দেখি।
ধরেন আপনি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হলেন। ছিনতাইকারীর ছুরির মুখে সাধের মোবাইল আর মানিব্যাগটা তুলে দিলেন। তবে আশার কথা হচ্ছে ছিনতাইকারী ধরা পড়লো। বিচার ও হলো। কিন্তু আদালতে উকিল এক অদ্ভুত যুক্তি দেখালো। যেহেতু এক হাতে তালি বাজানো যায় না সুতরাং এই ছিনতাইয়ের পেছনে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যাক্তিটিরও সমান অবদান আছে।
একই কথা বলা যায় রাস্তায় পড়ে থাকা একটা লাশের ক্ষেত্রেও। তাকে কেন খুন করা হয়েছে এটার জন্য নিশ্চয়ই সে নিজেও দায়ী। আফটার অল এক হাতে তো আর তালি বাজে না। আজ থেকে আপনার বাড়িতে চুরি হলে আর থানায় যাবেন না, ডাকাত পড়লে থানায় জিডি করতে পারেন, তবে ডাকাতের সাথে নিজের পরিবারের সদস্যদের নামের লিস্টও দিয়ে আসবেন। আফটারঅল এক হাতে তো তালি বাজে না। এত বাসা থাকতে কেন আপনার বাসাতেই ডাকাত পড়লো। নিশ্চয়ই আপনার চলাফেরায় সমস্যা ছিলো। আপনারও বিচার হওয়া দরকার।
একজন মানুষকে জোর-জবরদস্তি করে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে যখন তার পোশাকটা দোষ দেন বলেন এক হাতে তালি বাজে না, মেয়েরও দোষ আছে। তখন আমার কাছে বড় অদ্ভুত লাগে সেই যুক্তি। সেই আপনাকেই একাত্তরের তিন লক্ষ ধর্ষণের কথা বললে বলেন পাকিস্তানিরা খারাপ ছিলো পুরান প্যাচাল ছাড়েন। শিশু ধর্ষণ হলে বলেন সিক মেন্টালিটির মানুষ। হিজাব পরা মেয়ে ধর্ষিত হলে বলেন পাগল।
আমাকে একটু বোঝান কোন ধর্ষকটা ভালো ??
আমাকে শুধু একটা কেইস দেখান যে খুব নম্র, ভদ্র, বিনয়ী একটা ছেলে, যার নামে কোন মামলা নাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র, বাবা-মার গৌরব। একটা উগ্র পোশাক মিনি স্কাট পরিহিতাকে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ঝোপে ফেলে ধর্ষণ করলো। এরকম একটা কেইস দেখান।
পোশাকের কারণে ধর্ষিত হয়েছে এরকম শুধু একটা কেইস দেখান।
আমি কয়েকটা কেইস দেখাই।
আপনারা বলেন;
অনেক দিন পর পর মা’কে দেখার জন্য ১৯৯৫ সালের ২৪ আগষ্ট ঢাকা থেকে বাড়ী যাচ্ছিল গার্মেন্টস কর্মী কিশোরী ইয়াসমিন। পথমধ্যে ইয়াসমিনকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে পুলিশ, এবং তাকে হত্যা করে লাশ দিনাজপুর শহরের পাঁচ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় ফেলে দেয়। বলেই এই মেয়েটার কি দোষ ছিলো । মিনি স্কাট পরে কি সে পুলিশের সামনে…
২৮ অক্টোবর ২০১৩, ইয়াং ওয়ান গার্মেন্টস এর এক কর্মী সকালে কর্মস্থলে যাবার উদ্দেশ্যে সাভার বাস স্ট্যান্ড থেকে আনন্দ সুপার পরিবহনের একটি গাড়িতে উঠে। ওই গার্মেন্টস কর্মী গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অন্যযাত্রী না নিয়ে দরজা বন্ধ করে গাড়ি ছেড়ে দেয় সুপারভাইজার। গাড়িটি সাভারের আমিন কমিউনিটি সেন্টার ছেড়ে আসার পর গাড়ির হেলপার ও সুপারভাইজার গার্মেন্টস কর্মীকে জড়িয়ে ধরে তার গলায় থাকা চেইনটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। বলেন এই ঘটনায় কিভাবে জড়াবেন মেয়েটার পোশাক ?
৩০-১১-২০১২, সাজিয়া দক্ষিণখানের নোয়াপাড়া আমতলার একটা ক্লিনিকের খণ্ডকালীন চিকিৎসক ছিলেন। ঘটনার আগের রাত বৃহস্পতিবার ওই ক্লিনিকে তাঁর রাতের পালায় দায়িত্ব ছিল। কাজ শেষে রাত ১২টার দিকে ওই ক্লিনিকের বিশ্রামাগারে ঘুমাতে যান। এরপর দুবিত্তরা ধর্ষণ করার চেষ্টা করে তাঁকে এরপর হত্যা করা হয় রাজিয়াকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে রাজিয়া নিয়মিত হিজাব করতেন। হিজাব করার কারণে রাজিয়াকে ছেড়ে দেয়নি ধর্ষক।
পরিমল জয়ধর রাজধানীর একটি নামকরা স্কুলের শিক্ষক। নিজের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিওচিত্র ধারন করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতা মেয়েটাকে আরও অনেকবার নির্যাতন করে। মেয়েটার জীবন থমকে গ্যাছে। ক্লাস এইটের মেয়ে, পোশাক কে কিভাবে দুষবেন বোঝান..
এভাবে একটার পর একটা লিখতে থাকলে রাত পার হয়ে যাবে। আমি মাত্র কয়েকটা ঘটনার উদাহরণ দিলাম। এই সবগুলো ঘটনাই আলোচিত। আপনি আমাকে শুধু এমন একটা ঘটনার কথা বলেন যেখানে শুধুমাত্র পোশাকের কারণে একটা মেয়েকে রেপ করা হয়েছে এবং ছেলেটা নিরীহ ছিলো।
একটা শুধু একটা…
কথা দিচ্ছি… আমি মেনে নেবো…
লেখা সরিয়ে নেবো… আর লিখবো না…
জানি পারবেন না। কোন দিন পারবেন না।
আচ্ছা আপনার কি লজ্জা করে না। ধর্ষকের হয়ে সাফাই গাইতে।
একবার নিজের বোন কে নির্যাতিতা মেয়েটার জায়গার দাঁড় করিয়ে ভাবুন তো।
আমাদের সমস্যাটা এক জায়গায়, নিজেকে কখনো ঐ জায়গায় দাঁড় করিয়ে ভাবি না। দাঁড়া করালে বুঝতে পারতেন এক হাতে তালি বাজে কি বাজে না।
সুব্রত শুভ’দার অনেক পুরনো একটা লেখা থেকে খানিকটা কোট করছি ;
“ভাইয়েরা আমার!!! পিলিজ বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে।
আমরা চলাফেরার সময় আপনারা অসচেতনার সহিত অনেক কিছু গায়ে জড়িয়ে বের হন, যা আপাদের করা উচিত না। যেমন- আপনারা ফরমাল ড্রেস পরে বের হন। একবার ভাবুন আপনাদের পেছনের শেপ বোঝা যায়, আপনাদের বুকের মাপ বোঝা যায় আপনাদের অনেক আর্কষনীয় লাগে এতে মেয়েরা আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এবং এর জন্য মেয়েটি দায়ী নয় বরং আপনি দায়ী কারণ আপনি এমন পোশাকটি পরে আসছেন।
ভাইয়েরা, একবার ভেবে দেখুন; আপনি যখন টি র্শাট গায়ে দেন তখন আপনার বাহু দেখা যায় তাতে একটি মেয়ে উত্তেজিত হতে পারে তাই এমন পোশাক অবশ্যই পরা উচিত না। আর যদি আপনি বডি বিল্ডার বা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোন তাহলে তো কথাই নেই প্রতিটি মেয়ে আপনাকে ডেব ডেব করে দেখবে। আপনি কেন আপনার বাপ, ভাই কে এমন টি শার্ট গায়ে দিয়ে রাস্তায় বের হতে দেন। একবার ভাবুন তো কেউ আপনার ভাই ও বাবার দিকে তাকালে আপনার কেমন লাগবে? আসুন এই পোশাক পরিহার করি।
ভাই একবার ভাবুন আপনি যখন থ্রি কোয়াটার পরে বের হোন তখন আপনার সুন্দর পা দেখে কী মেয়েরা খাদকের মতন তাকিয়ে থাকে না? তাহলে কেন আপনি সেই পোশাকটি পরেন। অনেকেই না বুঝে পরে তাই পোশাক বাছাইয়ে সাবধান হোন এবং সুন্দরের পথে আসুন। ভাইয়েরা আপনার গরম লাগে বলে হাফ হাতা জামা পড়েন যা একেবারেই উচিত না। কারণ আপনার বাহু বের হয়ে থাকে যা একদম অনুচিত। আপনে ধর্ষিত হলে কিন্তু মেয়েটার দোষ নেই বরং আপনার পোশাকটি ও আপনি দায়ী।
ভাইরা আমার, চুল দেখিয়ে হাঁটবেন না প্লিজ। আপনার সুন্দর সিল্কি চুল দেখলে মেয়েরা চুলে হাত বুলাতে চাইবে। আপনার চুলের দিকে তাকিয়ে থাকবে। প্লিজ ভাইয়েরা মাথা ঢেকে চলাফেরা করুন।
ভাইয়েরা, আপনারা স্টাইল করে বুকের বোতাম খুলে চলা ফেরা করেন। একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার খোলা বুক সাথে যদি পশম থাকে তাহলে মেয়েদের কেমন অবস্থা হয়। ধর্ষন হলে কিন্তু আপনাকে দায় নিতে হবে। কারণ যে কোন মেয়ে খোলা বুক দেখলে উত্তেজনা অনুভব করবে। এটাই স্বাভাবিক। লক্ষ্মী ভাইরা আমার প্লিজ বুকের বোতাম লাগিয়ে রাস্তায় বের হোন। কোন মেয়ে যাতে উত্তেজিত না হয় সে রকম পোশাক পরে বের হোন। একটি মেয়ে আপনার বাপ, ভাইয়ের দিকে ডেবডেব করে তাকিয়ে থাকুক তা নিশ্চই চান না। আসুন ভাইয়েরা আমরা সত্যের পথে আসি, সুন্দরের পথে আসি।“
………………………………………………………………………………………………
অনেকে ভাবতাসেন মালডা কি মেন্টাল কেস। পাগল-টাগল হইয়া গেলো। উপরের লেখাটা শুভ’দার মস্তিষ্ক প্রসূত; কিন্তু শুধু লিঙ্গ’টা পরিবর্তন করে দিলেই খুবই স্বাভাবিক বহুল প্রচলিত একটা ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরিণত হবে। উপলক্ষটা হচ্ছে আমাদের সমাজের বহুল প্রচলিত মিথ “ধর্ষণের জন্য মেয়েদের পোশাক দায়ী”
ধর্ষণের জন্য কি সত্যিই নারীর পোশাক-আশাক, আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি দায়ী?
তাই যদি হত তাহলে একাত্তরে আমাদের মা-বোনেরা কি এমন পোশাক পরেছিলেন ও আচরণ দেখিয়েছিলেন যে, পাকিবাহিনী তাদের নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছিল? কেউ কি পাকিদের ধর্ষণের জন্য উন্মত্ত করেছিলেন সে সময়? প্রাসঙ্গিক ভাবেই সেসময়ের নারী নির্যাতনের কিছু উদ্বৃতি দিচ্ছি;
১
“……. এরপর উলঙ্গ মেয়েদের গরুর মতো লাথি মারতে মারতে, পশুর মতো পিটাতে পিটাতে ওপরে হেডকোয়ার্টারে দোতলা, তেতলা ও চারতলায় উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পাঞ্জাবি সেনারা চলে যাওয়ার সময় মেয়েদেরকে লাথি মেরে আবার কামরার ভেতর ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে চলে যেত। এরপর বহু যুবতী মেয়েকে হেডকোয়ার্টারের ওপর তলায় বারান্দায় মোটা লোহার তারের ওপর চুলের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয় প্রতিদিন পাঞ্জাবিরা সেখানে যাতায়াত করত। সেই ঝুলন্ত উলঙ্গ যুবতীদের, কেউ এসে তাদের উলঙ্গ দেহের কোমরের মাংস ব্যাটন দিয়ে উন্মত্তভাবে আঘাত করতে থাকত, কেউ তাদের বক্ষের স্তন কেটে নিয়ে, কেউ হাসতে হাসতে তাদের যৌনিপথে লাঠি ঠুকিয়ে আনন্দ উপভোগ করত, কেউ ধারালো চাকু দিয়ে কোনো যুবতীর পাছার মাংস আস্তে আস্তে কেটে আনন্দ উপভোগ করত, কেউ উঁচু চেয়ারে দাঁড়িয়ে উন্মুক্ত বক্ষ মেয়েদের স্তনে মুখ লাগিয়ে ধারালো দাঁত দিয়ে স্তনের মাংস তুলে নিয়ে আনন্দে অট্টহাসি করত……
……… প্রতিদিন এভাবে বিরামহীন প্রহারে মেয়েদের দেহের মাংস ফেটে রক্ত ঝরছিল, মেয়েদের কারও মুখের সামনের দিকে দাঁত ছিল না, ঠোঁটের দু’দিকের মাংস কামড়ে, টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল, লাঠি ও লোহার রডের অবিরাম পিটুনিতে প্রতিটি মেয়ের আঙুল, হাতের তালু ভেঙে, থেতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এসব অত্যাচারিত ও লাঞ্ছিত মহিলা ও মেয়েদের প্রস্রাব ও পায়খানা করার জন্য হাতের ও চুলের বাঁধন খুলে দেওয়া হতো না একমুহূর্তের জন্য। হেডকোয়ার্টারের ওপরতলায় বারান্দায় এই ঝুলন্ত উলঙ্গ মেয়েরা হাত বাঁধা অবস্থায় লোহার তারে ঝুলে থেকে সেখানে প্রস্রাব-পায়খানা করত……
……উন্মত্ত পাঞ্জাবি সেনারা এই নিরীহ বাঙালি মেয়েদের শুধুমাত্র ধর্ষণ করেই ছেড়ে দেয় নাই পাকসেনারা সেই মেয়েদের ওপর পাগলের মতো উঠে ধর্ষণ করছে আর ধারালো দাঁত বের করে বক্ষের স্তন ও গালের মাংস কামড়াতে কামড়াতে রক্তাক্ত করে দিচ্ছে, ওদের উদ্যত ও উন্মত্ত কামড়ে অনেক মেয়ের স্তনসহ বক্ষের মাংস উঠে আসছিল, মেয়েদের গাল, পেট, ঘাড়, বক্ষ, পিঠের ও কোমরের অংশ ওদের অবিরাম দংশনে রক্তাক্ত হয়ে গেল। যে-সকল বাঙালি যুবতী ওদের প্রমত্ত পাশবিকতার শিকার হতে অস্বীকার করলে তৎক্ষণাৎ পাঞ্জাবি সেনারা ওদের চুল ধরে টেনে এনে স্তন ছোঁ মেরে টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে ওদের যৌনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে সেই বীরাঙ্গনাদের পবিত্র দেহ ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিল……
……অনেক পশু ছোট ছোট বালিকার ওপর পাশবিক অত্যাচার করে ওদের অসার রক্তাক্ত দেহ বাইরে এনে দু’জনে দু’পা দু’দিকে টেনে ধরে চড়চড়িয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিল। পাঞ্জাবিরা শ্মশানের লাশ যে-কোনো কুকুরের মতো মদ খেয়ে সব সময় সেখানকার যার যে মেয়ে ইচ্ছা তাকেই ধরে ধর্ষণ করছিল। শুধু সাধারণ পাঞ্জাবি সেনারাই এই বীভৎস পাশবিক অত্যাচারে যোগ দেয় নাই, সকল উচ্চপদস্থ পাঞ্জাবি সামরিক অফিসারই মদ খেয়ে হিংস্র বাঘের মতো হয়ে দুই হাত বাঘের মতো নাচাতে নাচাতে সেই উলঙ্গ বালিকা, যুবতী ও বাঙালি মহিলাদের ওপর সারাক্ষণ পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ কাজে লিপ্ত থাকত। কোনো মেয়ে, মহিলা যুবতীকে এক মুহূর্তের জন্য অবসর দেওয়া হয় নাই, ওদের উপর্যুপরি ধর্ষণ ও অবিরাম অত্যাচারে সেখানেই রক্তাক্ত দেহে কাতরাতে কাতরাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে অনেকে, পরের দিন এ সকল মেয়ের লাশ অন্যান্য মেয়েদের সম্মুখে ছুরি দিয়ে কেটে কুটি কুটি করে বস্তার মধ্যে ভরে বাইরে ফেলে দিত। এ সকল মহিলা, বালিকা ও যুবতীদের নির্মম পরিণতি দেখে অন্য মেয়েরা আরও ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ত এবং স্বেচ্ছায় পশুদের ইচ্ছার সম্মুখে আত্মসমর্পণ করত………
……যে-সকল মেয়ে প্রাণে বাঁচার জন্য ওদের সাথে মিল দিয়ে ওদের অতৃপ্ত যৌনক্ষুধা চরিতার্থ করার জন্য সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে তাদের পেছনে ঘুরে বেড়িয়েছে, তাদের হাসি-তামাশায় দেহ দান করেছে তাদেরও ছাড়া হয় নাই। পদস্থ সামরিক অফিসাররা সেই সকল মেয়েদের ওপর সম্মিলিতভাবে ধর্ষণ করতে হঠাৎ একদিন তাকে ধরে ছুরি দিয়ে তার স্তন কেটে, পাছার মাংস কেটে, যৌনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে সম্পূর্ণ ছুরি চালিয়ে দিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে ওরা আনন্দ উপভোগ করত………
প্রতিদিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ব্যারাক থেকে এবং হেডকোয়ার্টার অফিসের ওপরতলা হতে বহু ধর্ষিত মেয়ের ক্ষতবিক্ষত বিকৃত লাশ ওরা পায়ে রশি বেঁধে নিয়ে যায় এবং সেই জায়গায় রাজধানী থেকে ধরে আনা নতুন নতুন মেয়েদের চুলের সাথে ঝুলিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে ধর্ষণ আরম্ভ করে দেয়। এসব উলঙ্গ নিরীহ বাঙালি যুবতীদের সারাক্ষণ সশস্ত্র পাঞ্জাবি সেনারা প্রহরা দিত। কোনো বাঙালিকেই সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না…”
(পাকিস্তানী জেনারেলদের মনঃ মুনতাসির মামুন)
২)
“২৬ মার্চ ১৯৭১, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়েদের ধরে আনা হয়। মেয়েরা আসা মাত্রই সৈনিকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। তারা ব্যারাকে ঢুকে প্রতিটি মহিলা এবং বালিকার পরনের কাপড় খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণে লিপ্ত হতে থাকে। …পাকসেনারা ধর্ষণ করেই থেকে থাকেনি, সেই মেয়েদের বুকের স্তন ও গালের মাংস কামড়াতে কামড়াতে রক্তাক্ত করে দেয়, মাংস তুলে নেয়। মেয়েদের গাল, পেট, ঘাড়, বুক, পিঠ ও কোমরের অংশ তাদের কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকে প্রতিদিন। যেসব মেয়ে প্রাথমিকভাবে প্রতিবাদ করত তাদের স্তন ছিড়ে ফেলা হত, যোনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে হত্যা করা হত। বহু অল্পবয়স্ক বালিকা উপর্যুপরি ধর্ষণে নিহত হন। এর পরে লাশগুলো ছুরি দিয়ে কেটে বস্তায় ভরে বাইরে ফেলে দেওয়া হত।”
(যুদ্ধ ও নারী)
৩)
ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকিস্তানী মেজর তার বন্ধুকে চিঠি লিখেছে;
“আমাদের এসব উশৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে, তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী”
“We must tame the Bengali tigress and change the next generation Change to better Muslims and Pakistanis”
স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ-কারবার করেছিল। অষ্ট্রেলিয় চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা ধার্মিক হৃদয়ে কোন রকম রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সরল জবাব ছিল,
“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো যে একজন ভালো মুসলমান কখনই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।”
“We had orders from Tikka Khan to the effect that a good Muslim will fight anybody except his father. So what we had to do was to impregnate as many Bengali women as we could.”
আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন টিক্কা খান কতোটা সফল ছিলেন ?
পাকিস্তানীরা হেরে গেলেও আমাদের সাচ্চা পাকিস্তানী করে রেখে গেছে। রাস্তা ঘাটে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলার লোকের অভাব হয় না। লোকটা আসলেই মাস্টারমাইন্ড ছিলো। খেয়াল করবেন এরা সবসময় গুড মুসলিম আর গুড পাকিস্তানী শব্দদুটো একসাথে বসায়। অর্থাৎ “গুড মুসলিম=গুড পাকিস্তানী”। একদম এ প্রজন্মের বাঙ্গালীদের মত যারা বলে, পাকিস্তানীরা মুসলিম তাই ওদের সমর্থন করি।
আর পরবর্তী প্রজন্মেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পাকিস্তানের বীজ ঔরসে ধারণ করতে
তাই আজও গ্যালারিতে প্ল্যাকাড উঁচু হয়।
“আফ্রিদি ম্যারি মি…”
পাকিবাহিনী বলুন আর যে কোনো ধর্ষণকারীই বলুন- এরা আসলে মানুষের পর্যায়ে পড়ে না। এদেরকে পশু বললেও পশুজাতির অবমাননা করা হয়। তাই এদের শুধুই ঘৃণ্য ধর্ষণকারী নামে গণ্য করা হোক। এখন বলুন মোদ্দা কথা একাত্তরের নারী ধর্ষণে নারী সমানভাবে দায়ী হয় কিভাবে। যখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়, যখন সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে তাদের স্ত্রী-কন্যাদের উপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়, তখনও কি আপনারা বলবেন যে নারী নিজেই তার ধর্ষণের জন্য দায়ী?
কারো কাছে কি কোনো যুক্তি আছে কেন ২ বছরের শিশুকে ধর্ষিতা হতে হয়?
উপরের সবগুলো ঘটনায় নারী কিভাবে ধর্ষণের জন্য সমানভাবে দায়ী কেউ কি বলতে পারে?
আসলে ধর্ষণের জন্য নারী নয়, শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র ধর্ষনকারীর বিকৃত মানসিকতাই এককভাবে দায়ী। ধর্ষণকারী কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ নয়। ধর্ষণকারী নারীর পোশাক, বয়স, আচরণ কোনো কিছুই আমলে নেয় না। বিকৃত কাম চরিতার্থে নারীরা এদের শিকার হয়। ধর্ষণকারীর পক্ষে তাই কোনো সাফাই নয়। এদের দরকার উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সেইসঙ্গে যথাযথ চিকিত্সা।
৯১ সাল থেকে মোটামুটিভাবে দেশ পরিচালনা নারীদের হাতে ছিল। এবার মন্ত্রীসভায় শুরুতে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, শ্রম সবকিছুতেই নারীরা ছিল। কিন্তু তাতে দেশের নারী সমাজের বিড়ম্বনা কমেনি বরং বেড়েছে। কিছুদিন আগেই সংসদে মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নারী ধর্ষণ বেড়েছে। সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৫০ হাজার ৬৯৯টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এসময়ে ১২ হাজার ৭৫০ জন নারী ধর্ষিত হয়েছেন। এটি আগের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে
যাদের মনে হয় পোশাক ধর্ষণের কারণ তারা আদতে আত্মমর্যাদাহীন পুরুষ, এরা এমনই নিচ যে নিজের মাতৃগর্ভকেও এরা প্রতিদিন কলঙ্কিত করে, ধর্ষণের সমর্থনকারী আদতে একজন মানসিক রোগী এবং একজন অপরাধীও বটে। কারণ এদের সাফাই আরেকটা ধর্ষণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেশে,
মোদ্দা কথা ধর্ষণে উস্কানিদাতা, এক হাতে তালি বাজে না টাইপের কথা যারা বলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা জরুরী। কি কি আচরণ ‘যৌন হয়রানী’ তা পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করা নতুন আইন করতে হবে। যৌন হয়রানী’র শাস্তি কি হবে তা নতুন করে আইনের আওত্তায় আনতে হবে। হেনস্থামূলক লোভাতুর দৃষ্টি; কামাতুর দৃষ্টি, কথা মন্তব্য চাকুরি ব্যবসা যে কোন স্থানে করলে তার শাস্তি কি সেসব আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
এবং এসব প্রতিষ্ঠিত হলেই, ধর্ষকদের সাথে সাথে এসব সাফাইকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা গেলেই কেবল ধর্ষণের হার কমানো সম্ভব।
ভাবছি এখন থেকে সব খাবারের দোকানে-রেস্টুরেন্টে হামলা চালাবো, ডাকাতি করব, সুস্বাদু সব ইয়াম্মি খাবার-দাবার (কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহেরি, পিজ্জা, চিকেন ফ্রাই) দাম না দিয়েই ডাকাতি করে সদলবলে খেয়ে ফেলবো। আমার কি দোষ? সব দোষ তো ওই হোটেলের, খাবারের দোকানের! ওরা এইভাবে খোলামেলা খাবার বিক্রি করে কেন? ওইসব খাবার দেখে আমার জিভে জল চলে আসে, মুখের লালা সংবরণ করতে পারি না, লোভ সামলাইতে পারি না। এদিকে পকেটে অত টাকাও নাই যে খাবারগুলো কিনবো। স্বীকৃত পদ্ধতিতে মূল্য পরিশোধ করে দোকানদারের অনুমতি নিয়ে খাবার কেনা সম্ভব না, আর এত টাইম কই! আগেই বলেছি, দোষ কিন্তু আমার না। ওই খাবারগুলো আমাকে প্রলুব্ধ করেছে, আমার জিভে জল নিয়ে এসেছে। নিজেকে সামলাইতে পারি নাই, তাই খেয়ে ফেলেছি! এত সুস্বাদু খাবার পর্দা দিয়ে বিক্রি করতে পারল না?
ভাবছি এখন থেকে বাসের ভেতর কারো মানিব্যাগ ভর্তি টাকা দেখলেই হাতিয়ে নেবো। ভাই আমার খুব টাকার দরকার। টাকার প্রতি অনেক লোভ। কারো মানিব্যাগ দেখলে নিজেকে আর বিরত রাখতে পারি না। আমার কিন্তু কোন দোষ নাই! সব দোষ ওই টাকার, আর যার মানিব্যাগ তার! খবরদার, কেউ আমাকে ধোলাই দেবেন না। এভাবে খোলাখুলিভাবে টাকা-পয়সা দেখালে ছিনতাই তো হবেই, হবে না? এক হাতে কিন্তু তালি বাজে না। তুমি কাড়ি-কাড়ি নোট দেখাবা, আর আমি ছিনতাই করব না, তা তো হবে না। আগে নিজের টাকাকে পর্দা করাও!
লেখাটা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। এর বিপক্ষে দার করাবার মত কোন যুক্তি খুজে পেলাম না।
আমরা সেই জাতি,
যারা একটি মেয়ে ধর্ষিত হবার পরে বলি বোন,
আর ধর্ষিত হবার আগে বলি মাল।
আপনি ঠিক বলেছেন কিন্তু মানসিকতার উপর ডিপেন্ড করে। আপনি যদি লুঙ্গি গেঞ্জি পরে বেরোন আপনার উপর মেয়েরা কুদৃষ্টি দিয়ে তাকাবে ? তবে কেন ছোট পোশাক পরা মেয়েদের মানুষ বলে মানি না। যদি খোলা খাবারের সঙ্গে এইসব মেয়েদের তুলনা করে “মাছি খোলা খাবার খাবে বলা হয়” তবে সেই মাছিকে এক চাপড়ে মেরে ফেলা হবে না কেন ? বোন বোনই হয় যে পোশাক ই পরুক না কেন ।
🙂 :rose:
:rose:
দাদা , সব পড়লাম , এই লেখাটি ভাল লাগল । পোষাকের দোস যারা দিচ্ছেন, তাদের অজুহাতটা এইরকম যে ম্যালেরিয়ার জন্য ত্বক দায়ি , মশা নয়। আমাদের মত দেশে , কোনো মেয়ে কোণ পশ্চিমই পোশাক পরলেই অনেকে অশালিন বলে , সেটা মিনি স্কার্ট না হলেও, পুরো ঢাকা ফূল হাতা গেঞ্জির সংগে লং স্কার্ট বা হাটু ঝুল স্কার্ট হলেও। শালিন অশালিন দৃষ্টিতেই গণ্ডগোল রয়েছে। একটা অজুহাত দেখাতে পারলেই হল। এটা কি কেউ জানেন যে গ্রিক যোদ্ধা বীরাঙ্গনাদের সংক্ষিপ্ত পোশাকই হত , জা পরে তারা জুদ্ধ করত। সানিয়া মির্জা (টেনিস প্লেয়ার) এর বিরুদ্ধে হুজুররা ফতোয়া জারি করে, তাই মেনে সানিয়া টেনিস স্কার্ট(জা খুব সংক্ষিপ্তই হয়) পরা ছেড়ে দিলে খেলা ছেড়ে দিতে হত তাকে , আর ভারত পেত না উইম্বলিডন যেটার গৌরব। মিনি স্কার্ট ছাড়লে সানিয়া মির্জাকে টেনিস খেলা ছাড়তে হত আর উনি জিততে পারতেন না উইম্বলিডন ট্রফি। ভারত এই গৌরব থেকে বঞ্ছিত থাকত। জাপান , সিওল( দক্ষিন কোরিয়া) এই সব জায়গার ছাত্রিদের প্রায় সবারই বট্ম ওয়্যার হল মিনি স্কার্ট, কই কজন ধর্ষণ হয়?(হয় না বললেই চলে )। তাই বলতেই হবে যে মানসিকতা বদলাও , সব সুধ্রাবে। একটি মেয়ে বিয়ে হয়ে গেলে আর পশ্চিমই পোশাক পরতে দেওয়া হয় না তাকে, এটাও একটা তালিবানি প্রথা, অবিলম্বে বন্ধ করা হোক, একটী মেয়ের স্বাচ্ছন্দ্য কেড়ে নেওয়ার এই বাজে রিতী টিও বন্ধ করা হোক।
ভাই, আপনি অনেক ভালো লিখেছেন, এমন কোন উদাহরণ আসলেই দেওয়া অসম্ভব। সব কথার পরে একটাই উচিৎ জবাব।এতো পোষাক পোষাক করে যারা গলা ফাটাচ্ছেন তারা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করেন না কেন। মেয়েদের ব্যপারে এতো বাধ্যকতা থাকতে হবে কেন,নিজের দৃষ্টি ঠিক করে তালি কিভাবে বাজবে সেটা নির্ধারন করলে ভালো হয়।
লেখাটা খুব সুন্দর ও ভালো হয়েছে। এরজন্য লেখকে ধন্যবাদ জানাই।
এই বিশ্বে দুটোই লিঙ্গ, যদিও ক্লীব বলে আর একটি লিঙ্গ আছে। তবে পুং ও স্রী বিশ্বে উৎপাদনের দুই মাত্রা। দুজনের মিলন ছাড়া উৎপাদন সম্ভব নয়। এই মিলেনের পূর্বে কাম ভাব জাগ্রত নাহলে, মিলন সম্ভব হয়না। আবার একে সামাজিক অধিকার দেওয়ার অন্যতম রূপ হল বিবাহ নামক বন্ধন। যা সমাজে স্বীকৃত। কিন্তু কথা হল, যখন কোন পুরুষ নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে মিলনে বাধ্য করে বা জোর করে তার সাথে মিলন ঘটায় তাকে সমাজ সমর্থন করেনা এবং এই মিলনে যে সন্তান আসে তাকে ‘জারজ’ বলা হয়। যাকে সমাজে সীকৃতি দেওয়া হয়না বা কেউ এই সন্তান কে স্বীকৃতি দিতে চায়না। তখন সেই নারীর আবস্থা কি হতে পারে, একবার ভেবে দেখুন।
আর নারী কি পুরুষের কামের শিকারী হবার জন্য জন্মেছে? এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি। নারী একধারে মা, ভগ্নী, কন্যা ও জয়া। সৃষ্টির নিয়ম অনুষারে সব লিঙ্গকে চলতে হয়। এক আপরকে শ্রদ্ধা ও মান্যতা দিয়ে চলাটাই সামাজিক ভাবে ভদ্রতা। এর নিয়মকে না মানলেই অসামাজিক্তা হয়। নারীকে কখনই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যবহার বা সম্ভোগ করা উচিত বা ঠিক নয়। এরজন্য সমাজের এবং সরকারের দেখা কর্তব্য। কিছু অমানুষ আছে, যারা সমাজের নিয়মকে মানে না। তাদের উপর কড়া দৃষ্ঠি রাখা প্রয়োজন এবং শাস্থি দেওয়া উচিত। তাহলে এইসব গুলি কমে যাবে।
আর যুদ্ধ বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর উপর পাসবিক অত্যাচার সব সময়ই ঘটে থাকে। তারজন্য রাজধর্ম অনেক ক্ষেত্রে দোষে দুষ্ট। মানব সভ্যতার প্রারম্ভ থেকে এই ঘটনাগুলি দেখা যায়। এরজন্য বর্তমান জগতে সুষ্ঠ স্মাধান হওয়া উচিত। আমরা বর্তমানে সভ্যতার বড়াই করি, কিন্তু এখনো প্রতিদিন এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আমরা কি তার সমাধান সঠিক ভাবে করতে পারছি? আমাদের ভেবে দেখতে হবে, কি করলে এই ঘটনা বন্ধ হতে পারে।
আমার সমাজের শিক্ষিত ব্যাক্তিব্রগ ও সরকারের কাছে আবেদন, এরজন্য যেন কঠোর শাসন প্রণালী আনা হয়, যার ভয়ে এই অমানুষেরা এই সমস্ত ঘটনা আর ঘটাতে না পারে বা ঘটাতে ভয় পায়।
পুরো লেখাটা পড়া আমার জন্য সত্যি কষ্টদায়ক। যেই ঘটনাগুলো সত্যি ১৯৭১ ঘটেছে, সেগুলো পড়তেও গা গুলিয়ে আসে। তারপর যারা পাকিস্তানিদের ভাই ভাবে তাদের কি বুঝতে পারিনা।
😥
আমি মনে করি .. পোশাক কোন বিষয় নয়। এটা মনের ব্যাপার . মনের রোগ . কিন্তু আমাদের মোল্লারা এটা মানতে রাজি নয়। তারা মেয়েদের বোরকা পরতে বলে . কিন্তু বোরকা পরলে মেয়েদের স্বাধীনতা হরণ হয়।
আমিতো বোরখা পরি, আমারতো কোনভাবেই মনে হয় না আমার স্বাধীনতা হরণ হচ্ছে। বোরখা পরলে কিভাবে স্বাধীনতা হরণ হয় একটু বুঝিয়ে বলবেন?
Maisha….
বুজবেন কিভাবে,,,, অন্ধ বিশ্বাস ছেড়ে আসুন বুজবেন,,,,
আপনার লেখার মুক্তিযুদ্ধের অংশটুকু পড়ে বার বার শিউরে উঠছি। মানুষ এতটা নৃশংষ কি ভাবে হওতে পারে?
দোষ আমাদের সবার। এতটুকুই বলার ছিল। আমাদের সবাইকেই ঠিক হতে হবে। তা নাহলে তালি বাজতেই থাকবে। আর সাথে আমারা সবাই কথার ঝড় তুলতেই থাকব। সেটা এক হাতেও হতে পারে, দুই হাত দিয়েও হতে পারে। কেউ ভুল করবে মাসুল অন্য কেউ গুনবে। আমার দেখা মতে এটাই নিয়ম।
আরিফ রহমান ভাই,
অাপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অাপনার লখোটা পোস্ট করার জন্য। অাপনার ও অন্যান্যদরে সমস্ত বক্তব্যই মূল্যবান। অাম িতার সঙ্গ েঅার একটা কথা যােগ করত েচাই। ধর্ষণরে বরিুদ্ধে অাইন যমেন দরকার তমেন িধর্ষকরে মনঃস্তত্বটাও অামার মন েহয় অামাদরে ভবে েদখো উচতি।
অামার মন েহয় যত দনি যাচ্ছ েতত অামরা অামাদরে সৌন্দর্যবোধ ও নান্দনকি বােধরে জগৎটা হারয়ি েফলেছ।ি অামরা ক্রমশ অারও অনকে বশে িঅাত্মকন্দ্রেকি হয় েউঠছ।ি ফল েপ্রকৃতরি কােনও বষিয়রে প্রতইি অার অামাদরে ভালােবাসা নইে। সবই কবেল ভােগরে বস্তু। অামরা অামাদরে শক্ষিাব্যবস্থার মাধ্যম েযদ িসত্য িএর পরবির্তন করত েপারতাম, তাহল েহয়তাে পরস্থিতি িপাল্টাত েপারতাে কােনওদনি। সৌন্দর্য ও ভালােবাসার অাদর্শ ও মূল্যবোধ যদ িপ্রতষ্ঠিা করত েপারতাম…
পৃথিবীর সব শেয়াল ই মুরগির স্বাধীনতা চায় ।
@আবির,
পৃথিবীর সব ছাগু কাঠালপাতা চায়, এখন এতো কাঠালপাতা কই পাই? 😥
@Sajid, :hahahee: :hahahee: :hahahee:
শুধু একটা কথা বলতে চাই লেখক কে , – ধন্যবাদ … একদম মনের গভীর থেকে ধন্যবাদ , ধন্যবাদ সকল নারি জাতির পক্ষ থেকে। শাসন করার কোন ইচ্ছা আমাদের নেই , না আছে প্রভুত্ত করার চেষ্টা, শুধু নিজেদের প্রথমে মানুষ তারপর নারী হিসেবে পরিচিত করতে চাই । কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়ে এই চাওয়াটাও দৃষ্টটা । আশা ছেড়ে দেয়ার সেই মুহূর্ত গুলিতে আপনার মত কেউ এসে আবার আমাদের মানুষের মর্যাদা দিয়ে যান। এই মর্যাদা টুকুর জন্য ধন্যবাদ।
@জয়া,
আমি আর কি লিখলাম আপু,
এটুকু না করলে তো আর নিজেকে মানুষ বলতে পারতাম না
ছাগু কুতর্কের পর আর তেমন কিছুই বলার নেই। শুধু একটি খবর উদ্ধৃত করে যাই।
[লিংক] (Y)
ম্যায় ইস হারামজাদী কওম কি নাসল বদল দুঙ্গা ( আমি এই জারজ জাতির বংশগতি বদলে দেব )…………….। ”
– লেঃ জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী, ১৯৭১
অর্থাৎ , জেনারেল নিয়াজী প্রচুর পরিমান পাকিস্তানী Y ক্রোমোজোম জনপুঞ্জে প্রবেশ করিয়ে বাঙালী জাতির বংশগতি বদলে দেবেন এবং এটা করা হবে তার সেনাদের দিয়ে বাঙালী নারীদের উপর ‘অপারেশন গণধর্ষণ’ চালিয়ে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, সেটা করার মত যথেষ্ট সময় তিনি পান নি, তবে করার যথাসাধ্য চেষ্টা তিনি করেছেন। আমি জানি না , কোনদিন পাকিস্তানী ধর্ষকামী যুদ্ধপরাধীদের নুর্নবার্গের মত সামরিক বিচারালয়ে বিচারের সম্মুখীন করা যাবে কি না। সে সময় পর্যন্ত বিচারের বানী নিভৃতেই কাঁদবে।
লেখককে শুভেচ্ছা; সুন্দর লিখেছেন (Y)
@এম এস নিলয়,
ধন্যবাদ দাদা।
আপনার প্রশংসা উৎসাহ যোগায়
“ভাইয়েরা আমার!!! পিলিজ বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে।
আমরা চলাফেরার সময় আপনারা অসচেতনার সহিত অনেক কিছু গায়ে জড়িয়ে বের হন, যা আপাদের করা উচিত না। যেমন- আপনারা ফরমাল ড্রেস পরে বের হন। একবার ভাবুন আপনাদের পেছনের শেপ বোঝা যায়, আপনাদের বুকের মাপ বোঝা যায় আপনাদের অনেক আর্কষনীয় লাগে এতে মেয়েরা আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এবং এর জন্য মেয়েটি দায়ী নয় বরং আপনি দায়ী কারণ আপনি এমন পোশাকটি পরে আসছেন।
ভাইয়েরা, একবার ভেবে দেখুন; আপনি যখন টি র্শাট গায়ে দেন তখন আপনার বাহু দেখা যায় তাতে একটি মেয়ে উত্তেজিত হতে পারে তাই এমন পোশাক অবশ্যই পরা উচিত না। আর যদি আপনি বডি বিল্ডার বা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোন তাহলে তো কথাই নেই প্রতিটি মেয়ে আপনাকে ডেব ডেব করে দেখবে। আপনি কেন আপনার বাপ, ভাই কে এমন টি শার্ট গায়ে দিয়ে রাস্তায় বের হতে দেন। একবার ভাবুন তো কেউ আপনার ভাই ও বাবার দিকে তাকালে আপনার কেমন লাগবে? আসুন এই পোশাক পরিহার করি।
ভাই একবার ভাবুন আপনি যখন থ্রি কোয়াটার পরে বের হোন তখন আপনার সুন্দর পা দেখে কী মেয়েরা খাদকের মতন তাকিয়ে থাকে না? তাহলে কেন আপনি সেই পোশাকটি পরেন। অনেকেই না বুঝে পরে তাই পোশাক বাছাইয়ে সাবধান হোন এবং সুন্দরের পথে আসুন। ভাইয়েরা আপনার গরম লাগে বলে হাফ হাতা জামা পড়েন যা একেবারেই উচিত না। কারণ আপনার বাহু বের হয়ে থাকে যা একদম অনুচিত। আপনে ধর্ষিত হলে কিন্তু মেয়েটার দোষ নেই বরং আপনার পোশাকটি ও আপনি দায়ী।
ভাইরা আমার, চুল দেখিয়ে হাঁটবেন না প্লিজ। আপনার সুন্দর সিল্কি চুল দেখলে মেয়েরা চুলে হাত বুলাতে চাইবে। আপনার চুলের দিকে তাকিয়ে থাকবে। প্লিজ ভাইয়েরা মাথা ঢেকে চলাফেরা করুন।
ভাইয়েরা, আপনারা স্টাইল করে বুকের বোতাম খুলে চলা ফেরা করেন। একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার খোলা বুক সাথে যদি পশম থাকে তাহলে মেয়েদের কেমন অবস্থা হয়। ধর্ষন হলে কিন্তু আপনাকে দায় নিতে হবে। কারণ যে কোন মেয়ে খোলা বুক দেখলে উত্তেজনা অনুভব করবে। এটাই স্বাভাবিক। লক্ষ্মী ভাইরা আমার প্লিজ বুকের বোতাম লাগিয়ে রাস্তায় বের হোন। কোন মেয়ে যাতে উত্তেজিত না হয় সে রকম পোশাক পরে বের হোন। একটি মেয়ে আপনার বাপ, ভাইয়ের দিকে ডেবডেব করে তাকিয়ে থাকুক তা নিশ্চই চান না। আসুন ভাইয়েরা আমরা সত্যের পথে আসি, সুন্দরের পথে আসি।“
@এম এস নিলয়, উপ্সস!!!
উপরের একজনকে রিপ্লাই করতে গিয়ে ভুলে কমেন্ট করে ফেলেছি 😕
কবে যে মুক্তমনায় স্বাধীন লেখক হব :-X
@এম এস নিলয়,
হাহাহা নিলয়’দা এ আর কি
এই পোস্টে গত কয়েকদিনে যত ছাগু দেখলাম মুক্তমনায় এত ছাগু একসাথে আর দেখি নাই
আমি বলতে চেয়েছি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাত্সীরা ইহুদিদের উপর যে অত্যাচার করেছিল সেগুলো এবং বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময়কার অত্যাচার শুধু অত্যাচার, অত্যাচার, অত্যাচার। কোনো যৌন সুখের জন্য কেউ ওই গুলো করে না
@অনিন্দ্য পাল,
তাই নাকি ?
আপনি কি একজন ছাগল ??
জীবিকার কারণে পরিবারের থেকে দুরে থাকতে বাধ্য হলে বা অন্যান্য কারণে অনেকে সুস্থ যৌন জীবন থেকে বঞ্চিত হয়। এরকম একটা কেইস দেখান তো দেখি।
নাকি আপনার জীবনেই এরকম অভিজ্ঞতা আছে ??
@আরিফ রহমান,
আপনি জিবিকা থেকে দুরে থাকার জে কারন অনিন্দ্য বাবু দেখিয়েছেন, তাতে আপত্তি করেছেন। তাহলে কি অনিন্দ্য বাবুর বাকি বক্তব্যের সাথে আপনি একমত?
is this a joke!!!!!!
মাইরালা কেউ আমারে মাইরালা
আমি খুব সংক্ষেপে আমার বক্তব্য প্রকাশ করছি।
১) যে সব বিভত্স অত্যাচারের ছবি / কাহিনী লেখা হয়েছে তাকে ধর্ষণ বলার কথা নয় কারণ এর সঙ্গে যৌনতার সম্পর্ক সামান্যই। সব ধরনের ধর্ষণ কে একই গোত্রে ফেলা উচিত নয়। কোনো অরক্ষিত নারীকে একাকী ধর্ষণ করা এবং গণ ধর্ষণের চরিত্র এক নয়। এ ছাড়া যুদ্ধের সময়কার পরিস্থিতিকে অন্য সময়ের সাথে মিলিয়ে ফেলা উচিত না।
২) পুরুষের কোনো যৌন সুইচ নেই যে ইচ্ছা মত বা প্রয়োজন মত তাকে অন অথবা অফ করা যায়। পুরুষের যৌনতা সব সময় দুটি বিপরীত শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তার যৌন ইচ্ছা যাকে কুপ্রবৃত্তি বলা যেতে পারে (যদিও সেটা না থাকলেও চলে না ) সেটির তীব্রতা নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর ।
ক) তার বয়স খ) স্বাস্থ্য গ) শেষ কত দিন আগে সে যৌন কার্য করেছে। অপর দিকে যে শক্তিগুলি তার এই ইচ্ছা কে নিয়ন্ত্রণ করে তা হলো ক) সমাজের ভয় খ) রাষ্ট্রের ভয় (আইন/ আদালত) এবং গ) সংস্কৃতি।
৩) সংস্কৃতি হলো সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সংস্কৃতি তাকে সবথেকে বেশি নিয়ন্ত্রণ করে।
৪) বিজ্ঞাপনে / সিনেমায় নারীকে খোলা মেলা পোশাকে যৌন বস্তু হিসাবে উপস্থাপনা করা হছে আবার বলা হছে নারী ভোগ্য বস্তু নয়। এটি পরস্পর বিরোধী।
৫) জীবিকার কারণে পরিবারের থেকে দুরে থাকতে বাধ্য হলে বা অন্যান্য কারণে অনেকে সুস্থ যৌন জীবন থেকে বঞ্চিত হয়। সমাজ কিন্তু তাদের কথা ভাবে না। পুলিশ বা মিলিটারিদের কিন্তু বহু দিন ধরে পরিবার থেকে দুরে থাকতে হয়। মানসিক যন্ত্রনায় তারা অনেক সময় আত্মহত্যা পর্যন্ত করে। তাদের ওই সময় কার যৌন চাহিদার কথা কিন্তু সমাজ উপেক্ষা করে। উপরন্তু যৌন পেশা আমাদের দেশে বেআইনি। ফলে প্রয়োজনে মানুষ সেখানে যেতে পারে না বা ভয় পায়।
৬) বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীকে যৌন উত্তেজক বস্তু হিসাবে উপস্থাপনা করা হয় এবং নারীও সেটাকে আধুনিকতা বলে গ্রহণ করেছে। কিন্তু যে পশ্চিমী দেশ থেকে এই সংস্কৃতি আসছে সেখানে ১৪/১৫ বছর বয়েস থেকে অবাধ যৌনতা সামাজিক রীতি। আমরা কিন্তু নানা কারণে অবাধ যৌনতাকে গ্রহণ করিনি। অথচ এখানে পশ্চিমী সংস্কৃতি প্রতি মূহুর্তে আমাদের প্ররোচিত করছে।
৭) নারী ধর্ষণ করে না। কিন্তু বাকি সব কু কর্ম করে (বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, অনৈতিক যৌনতা , এমনকি কম বয়সী বালকদের সাথে অনৈতিক যৌনতা – ধর্ষণ?)
তা হলে কি ধরে নিতে হয় নারী ধর্ষণ করে না কারণ শারীরিক ভাবে ধর্ষণ করা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে?
সংস্কৃতির যখন অবক্ষয় হয় তখন নারী পুরুষ সকলে তার শিকার হয়।
সংস্কৃতির উন্নতি না হলে এর থেকে মুক্তি নেই।
:-Y
নারী নির্জাতন কারীদের কঠোর শাস্তি বিধানের সাথে সাথে এই ঘটনা কমানোর জন্য,
সামাজিক সচেতনতা, স্কুল পর্যায়ে নারী অধিকার বিষয়ক শিক্ষা, সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি বাড়ানো, মানুষের জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করা। যেমন খেলাধুলার যায়গা, প্রতিটি শহর গ্রামে, বড় পাবলিক প্লেস নির্মান। এইসব ও করতে হবে।
শুধু শাস্তির ভয়ে সামাজিক অপরাধ কমে না। এইসবের মূলে যে সামাজিক সমস্যা, (যেমন যৌনতা নিয়ে ট্যাবু, অশিক্ষা, ধর্মান্ধতা, এম্প্যাথির অভাব, সুস্থবিনোদনের অভাব) সেগুলোকেও নির্মুল করতে হবে।
কুশিক্ষিত বাঙালি তাদের যৌনতাকে অবদমিত করে রাখার দরুন নারীদেহকে ভোগ্যবস্তু ছাড়া অন্য কিছু মনে করতে পারে না । ইসলামি ধর্মগরুরা এক্ষেত্রে তাদের আরো একধাপ উসকে দেয় । ফলস্বরূপ, কোন পুরুষ নিজেকে যত শিক্ষিত দাবিই করুক না কেন, মধ্যযুগীয় ধর্মের বাতাস আর সমাজের কুশিক্ষায় নারী শরীর তার কাছে শুধুই ফল, মিষ্টি আর তেঁতুল, যাকে গৃহে আবদ্ধ রাখা অথবা বস্তা পড়ে বাইরে বের করানোই শ্রেয় । রাস্তা ঘাটে, কর্ম ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া এসব বেপর্দা নারীদেহের বাঁকগুলো তাদের দুর্বল করে দেয়, যৌনাঙ্গে জ্বালা ধরায়, এমতাবস্তায় তাদের গায়ে একটু আধটু হাত দিয়ে ফেললে নিশ্চয়ই সেটা পুরুষের দোষ নয় ! মুমিনদের অন্তত তাই মত । :-s
লেখাটা পরে সমসাময়িক একটি ঘটনায় বাঙালির মনের কিছু কথা উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছি না । ইদানীং একটা খবর ফেসবুকিয় পাতায় শোভা পাচ্ছে – সাকিব আল হাসানের পত্নী নাকি কিছু ‘নাবালক’ পুরুষ দ্বারা উত্যক্ত হয়েছেন । তো লেখাটা পড়তে গিয়ে কিছু মানুষের মন্তব্যগুলো কেমন ছিল একটু দেখাতে চাই ~ :lotpot:
এখানে দেখতে পারেন
এই ছিল বাঙালি মুসলিম পুরুষের জঘন্য মনস্তত্বের সামান্য কিছু নমুনা ।
@রাইট হার্ট,
এই ব্লগেই একজন মন্তব্য করেছিলেন, আমার কাছে প্রমাণ খুঁজেছিলেন
এই যে রাইট হার্ট ভাইয়ের লেখাতেই প্রমাণ…
@রাইট হার্ট,
ভাই, আপনার এই কমেন্টই এটা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট যে সমাজে এধরণের কিছু লোক আছে… আর এ জন্যই ইসলামের বিধান হল নারীরা নিজেদের পোশাক ও আচার-ব্যবহার নিয়ে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্ববন করবে। কিন্তু প্রশ্ন হল এতে কি সমাজে ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে ?
না ভাই ধর্ষণ বন্ধ হবে না… নিজেকে হয়ত নিরাপদ রাখা যাবে ……
তাহলে কি ধর্ষণ বন্ধের কোন উপায় কি?
এর সুস্পষ্ট সমাধানও ইসলামে আছে…
* ৫ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করা…
* সব রকমের অশ্লীলতা থেকে ব্যক্তিকে ও সমাজকে মুক্ত রাখা…
* ধর্মীয় বিধান মেনে চলা … যেমনঃ পুরুষদের জন্য – মেয়েদের দেখলে নজর নিচু করা…নারীদের জন্য- পুরুষদের সাথে আচরণে সংযত ও সতর্ক থাকা ( কারণ কার মনে ঠিক কি আছে কেবল আল্লাহ্ই ভাল জানে )
* যোগ্য ও প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ে করে ফেলা…
* কোন অপকর্ম ঘটলে (ধর্ষণসহ প্রতিটি অপরাধের জন্য) দণ্ড প্রয়োগের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা…
* কোনরকম অপকর্মকে সামাজিকভাবে প্রশ্রয় না দেয়া …
………………………………প্রভৃতি
এভাবে ধর্মীয় সকল অনুশাসনগুলো মানলে ধর্ষণ ১০০% নির্মূল করা নাগেলেও নিয়ন্ত্রণে আনা অবশ্যই সম্ভব…
যদি কোন সমাজে অশ্লিল ভিডিও-বই খুব সহজলভ্য হয়ে যায়
যদি যুবসমাজ মূল্যবান সময় নষ্ট করে অহেতুক / অশ্লীল আড্ডায় লিপ্ত থাকে
যদি লোকজন ধর্মীয় বিধি-বিধান নৈতিকতা থেকে দূরে সরে গিয়ে বিভিন্ন কু-শিক্ষা ও অপসংস্কৃতি নিয়ে লিপ্ত থাকে
যদি লোকজন তাদের জীবনের তাৎপর্য ভুলতে বসে… নিজের বিবেককে অনুভব করতে ভুলে যায়…এতটাই যান্ত্রিক হয়ে যায় যে মানবিকবোধ-আবেগগুলো ভোঁতা হয়ে যায়… স্বার্থপরের মত কেবল নিজেকে নিয়েই ভাবে…
তাহলে সমাজে ধর্ষণের মত গুরুতর জঘন্য কাজ করার লোকের অভাব হবে না।
তারপর আবার
যদি আইনের শাসনের বালাই না থাকে [কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সরকারের কথা বলা হচ্ছে না !]
সমাজে যদি ন্যায়বিচার না থাকে … অপরাধ করে যদি কেউ পার পেয়ে যায় …
সমাজের আচরণে অপরাধী যদি লজ্জিত বোধই না করে , অনুতপ্তই না হয় … উল্টো সমাজ যদি তার শক্তি (আর্থিক ও রাজনৈতিক) প্রয়োগ করে এই ঘৃণ্য অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য
তাহলে এসব তো কোন ক্রমেই কমবে না …
এজন্যই সমাজে খুন-ধর্ষণ অনেক বেশি দেখা যায়… আমরা যখন রাস্তায় কাউকে পরে থাকতে দেখি আর কোন আবেগ হয়ত অনুভব করি না… রাস্তায় গণপিটুনিতে মানুষ মারার খবর পাই …এমন খবর পাই যেখানে কয়েক জন মিলে বিশ্বজিৎকে হত্যা করে আর আমাদের ‘বস্তুনিষ্ঠ’ সাংবাদিকেরা / ক্যামেরাম্যানরা ছবি তলে, ‘জনগনের বন্ধু’ পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখে, আর সাধারণ জনগণ ? কে কার কথা ভাবে … “নিজের তো কোন ক্ষতি হচ্ছে না” !!
ঠিক একইভাবে সমাজে কোন ধর্ষণ হলে দেখা যায় সবাই এমন আচরণ করে যেন যে ধর্ষণের শিকার সেই দোষী !!
কিন্তু এই ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা, সু-শিক্ষার মাধ্যমে ‘মানুষ’কে আবার মানুষে পরিনত করা রাতারাতি সম্ভব নয় … তাই একই সাথে আমাদের যেমন সু-শিক্ষা-মূল্যবোধ-নৈতিকতা নিয়ে লম্বা সময় ধরে কাজ করতে হবে তেমনি আজকে আমদের নিজেদের নিরাপদও রাখতে হবে…আর ধর্ষণের প্রেক্ষাপটে তখনই আসে রুচিশীল পোশাকের কথা… ব্যক্তিগত বাড়তি নিরাপত্তার কথা …।
এক কথায় আমি বলতে চাই, ধর্ষণ থেকে মুক্তির একটা উপায় হিসেবে যদি কেউ পোশাকের শালীনতার উপর গুরুত্ত দেয় … আমি তাকে নিঃসন্দেহে সমর্থন দেই কারণ এতে বিরাজমান সময়ে নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশী…কিন্তু কোন ধর্ষণের পর এটা কখনই প্রথম/দ্বিতীয়/তৃতীয় প্রশ্ন হতে পারে না যে “মেয়েটার পোশাক কেমন ছিল ?”
শেষে “…ইসলামি ধর্মগরুরা এক্ষেত্রে তাদের আরো একধাপ উসকে দেয় ……………মুমিনদের অন্তত তাই মত ।” এধরণের অযৌক্তিক অশালীন মন্তব্যের আপত্তি ও নিন্দা জানাই …
ধন্যবাদ
@ছোটভাই,
আপনার নারীদের ধর্ষণ হতে মুক্তির উপায় পড়ে যথেষ্ঠ বিনোদন পাইলাম এবং বুঝলাম বলদ এখন গাছে ধরে। 😀
১০০% ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মানলে ধর্ষণের পরিমান কমবে না বরং বাড়বে। কারণ ইসলাম ধর্ম নিজেই ধর্ষণের অনুমতি দেয়।
ধর্ষনের জন্য নারীদের পোশাক কোনভাবেই দায়ী না, তা এই ধর্মান্ধ বলদগুলোকে বুঝানো সম্ভব না। গতকালকের খবর দেখুন: রাজধানীতে বাসযাত্রী দুই শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাসের চালকসহ স্টাফদের হাতে নিপীড়নের শিকার হয় এই শিশুরা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে বাসে ওঠার পর মুগদায় দুই শিশুকে কৌশলে নামিয়ে একটি বাড়িতে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করা হয়। (লিংক: http://www.kalerkantho.com/online/national/2014/06/22/99041 )
এখন প্রশ্ন ধর্ষণের শিকার এই বাচ্চা মেয়েগুলো কি এমন পোশাক পরেছিল যা ঐ ধর্ষকদের ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ করেছিল? এই বাচ্চা মেয়েগুলো ধর্মীয় পোশাক পরলেও ধর্ষিত হতো, কারণ ধর্ষকদের উদ্দেশ্যই ছিল ধর্ষণ করা।
একারণেই বলছি, ধর্ষক নারীদের পোশাক দেখে ধর্ষণ করে না, ধর্ষনের ঘটনার পিছনে ধর্ষকের বিকৃত মানষিকতাই মূলত দায়ী। ধর্ষণের ঘটনায় শুধু শুধু মেয়েদের বাহিরে যাওয়া কিংবা সাজসজ্জা ও পোশাক-আশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে ধর্ষককে ধর্ষণে উতসাহিত করা। তাই আমাদের নারীদের ব্যাপারে পুরুষের নোংরা মানুষিকতা পরিবর্তন করার চেষ্ঠা করা উচিত। সেক্ষেত্রে, পুরুষের মানুষিকতার পরিবর্তন হলে ধর্ষণের ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
@Sajid,
আমি কি … সে দিকে যাব না … কিন্তু আপনার এই মন্তব্য আপনার জ্ঞান ও মানসিকতার খুব ভাল পরিচয় দেয় না…
আপনি নিজেও তা বুঝতে পারবেন… শুধু কষ্ট করে আরেকবার (আগের চেয়ে একটু বেশী মনযোগ দিয়ে) আগের কমেন্টটা পড়লেই হবে…
আমি কখনই এটা দাবি করিনি যে … “ধর্ষনের জন্য নারীদের পোশাক দায়ী ”
আসলে কিছু মানুষ এমন থাকে…যারা কোন বিষয় নিয়ে কিছু জানার-বোঝার বা ভাবার আগেই পূর্বনির্ধারিত একটা ধারণা পোষণ করে … ওই ধারণা ঠিক হোক আর ভুল হোক সে অন্ধের মত সারা জীবন তাই নিয়ে পরে থাকে… কেউ বোঝাতে চাইলেও বুঝবে না… সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা তখনই ঘটে যখন এদের কেউ কেউ আবার গর্বের সাথে নিজেকে ব্রড-মাইন্ডেড, মুক্ত-মনা ইত্যাদি বলে পরিচয় দেয় … অথচ তারা অন্যের মতামতের প্রতি (গ্রহণীয়/বর্জনীয় যাই হোক) ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ দেখাতে জানে না বা রাজি না …… অথচ তারাই “মুক্ত-মনা”!!
আসা যাক আসল কথায় … আমরা সবাই জানি যে সমাজে ধর্ষণ করার মত কুলাঙ্গার অনেক আছে …হয়ত সব এলাকাতেই আছে… এটা জানার পর যদি কোন নারী এমন পোশাক পরার/এমন আচরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় যা ওই অসুস্থ-মানসিকতার লোকগুলোকে কোন ভাবেই উৎসাহিত/আকৃষ্ট করে না … তাহলে তার ধর্ষণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে না কমবে ?
আমি যদি আমার মূল্যবান কোন সম্পদ বাড়ির বাইরে একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় রেখে দেই … তারপর যদি তা চুরি হয় …তখন ব্যাপারটা কেমন হবে? এখানে চোর শতভাগ দোষী হলেও আমার দায়িত্ববোধ কোন প্রশ্ন উঠবে কিনা? কারণ আমি ওই সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে অবহেলা করে চোরকে সুযোগ করে দেইনি??
শেষে- বিরাজমান সমাজ-বাস্তবতায়… ধরুণ আমি একজন নারী .. আমি প্রতিদিন খবরের কাগজে ধর্ষণের খবর পাই… আমি সমাজে এমন কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখিনা যাতে আগামিকাল থেকে আর কোন ধর্ষণ হবে না … এইরকম অবস্থায় অবশ্যই আমি নিজেকে অন্তত নিরাপদ রাখতে চাই… আমি চাই না কাল সকালে আমার ধর্ষণের কোন নিউজ মিডিয়াতে আসুক…… আমি আপনার কাছে এসে পরামর্শ চাইলাম এমন কোন উপায়ের জন্য যাতে সমাজে ধর্ষণ বন্ধ না হলেও অন্তত আমি যেন নিজেকে নিরাপদে রাখতে পারি … আপনি কি কি পরামর্শ দিবেন ?
@ছোটভাই,
নারীদের শুধু নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে তো হবে না, তাদের সম্পূর্ণ নারী সমাজকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। নারীরা যদি ধর্ষণের ভয়ে নিজেকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে, তাহলে তাঁরা কখনই পুরুষতান্ত্রিক ধর্ম ও সমাজের বেড়াজাল হতে মুক্ত হতে পারবে না। নারীরা যত ভয় পাবে নির্যাতনকারীদের সাহস তত বৃদ্ধি পাবে।
নারী নির্যাতনকারীর কঠোর শাস্তি বিধান তৈরী, ধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমাজে নারী পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।
@Sajid,
প্রশ্নের জবাব তো দিলেন না জনাব…!!
সহজ একটা প্রশ্ন ছিলঃ
ভাই শুধু বলার জন্য বললে অনেক আবল-তাবল-ই বকা সম্ভব।
প্রশ্নের উত্তর সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে বললেনঃ
“শুধু” !! আমার কাছে তো মনে হয় আপনার কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কোন গুরুত্বই নেই … …না হলে অন্তত দু-একটা উপায় বলতেন যাতে আর কিছু না হোক নিজে নিরাপদে থাকা যায়…।
সত্য স্বীকার করতে কি বাঁধে ? বর্তমান সমাজের যে অবস্থা তাতে নিরপদে রাস্তা-ঘাটে চলতে গেলে নারীদের শালীন পোশাক – সতর্ক ও সংযত আচরণের কথা অবশ্যই আসে… আপনি – আমি সবাই জানি… স্বীকার করেন আর না করেন ………
আর ধর্ষণই একমাত্র নারী নির্যাতন নয়… অনেক সময় দেখা যায় মেয়েদের উত্যক্ত করা হয় ইশারায় – ইঙ্গিতে, কথায় … যার অনেক কিছুই আইনের আওতায় আসে না… কিন্তু এধরণের ঘটনাকে প্রশ্রয় দিলে অনেক খারাপ কিছুই ঘটতে পারে… এজন্যই কারো সাথে আচরণে মেয়েদের সতর্ক থাকা উচিত…এই সমস্যার সমাধানের জন্য দরকার আত্মার পরিশুদ্ধি …এখানেই ধর্মের আবির্ভাব ……।
আর আপনার মতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার চেয়ে পুরো নারী সমাজের নিরাপত্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ… অবশ্যই তাই … কিন্তু স্যার ভুলে গেলে চলবে না…
“ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালিকণা বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল”
যখন ব্যক্তির-ই নিপারাপত্তা নেই, সমাজের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করবেন ?
আর আপনার পরামর্শ এক দিক দিয়ে বেশ চমকপ্রদ…আপানর পরামর্শের খানিকটা এমন … একজন নারীর উচিত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ নারী সমাজের নিরাপত্তার জন্য সাহসিকতার সাথে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মুখোমুখি হওয়া …। এটা ধর্ষণকে অনেকটা প্রতিহত করবে …
কিন্তু আসলে এতে হবে কি…… ধর্ষণের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে … কেন ?
সত্যিকার অর্থে ধর্ষণ নির্মূলের উপায়গুলো (এমন কি আপনি যেগুলো বলেছেন সেগুলোও) বেশ দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া… রাতারাতি কিছুই হবে না… কয়েক বছরের মধ্যেও সমাজে মানবিক মূল্যবোধও বৃদ্ধি পাবে না… উপযুক্ত আইনের যথাযথ প্রয়োগের দ্বারা ন্যায়বিচার নিশ্চিতও হবে না… এমন কোন লক্ষণ তো দেখা যায় না…… ফলে যে হাতে গোনা ‘সাহসী’ নারী ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা না ভেবে কেবল সম্পূর্ণ নারী সমাজের নিরাপত্তার জন্য, সমাজকে নোংরা মুক্ত করার জন্য রাস্তায় নামবে … তারা জঞ্জাল সরানোর চেয়ে ধর্ষণের ঘটনার তালিকা আরও লম্বা করবে…।
ধর্ষণ সহ,সকল নারী-নির্যাতন নির্মূল করতে এই দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়াগুলো যখন চলতে থাকবে তখন একই সাথে নারীদের নিজেদের নিরাপত্তায়ও যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে… ব্যক্তি নারীর আর নারী সমাজের নিরাপত্তার জন্য একই সাথে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে … না হলে আন্দোলনের নামে ঘরের বাইরে নিয়ে ফায়দা লোটার মত লোকেরও বোধ হয় অভাব হবে না… নারী-পুরুষ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপেক্ষা করে নয়…
@ছোটভাই,
😀 হা… হা… হা…
ধর্মের নেশা মারাত্বক নেশা, ইহা হেরোইন সেবন হইতেও ভয়ংকর নেশা। অতিরিক্ত ধর্মের নেশায় আসক্ত মানুষ একসময় মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং তার যাবতীয় সমস্যার সমাধান ধর্ম নামের মাদকে খুঁজে পায়। 😉
:guru: :clap
আপনার এই চমৎকার লেখাটির অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই…
আমার মতেও পোশাকের ব্যাপারটা কখনই মুখ্য হতে পারে না… এমন কি ধর্ষণের প্রথম তিন-চার টা কারণেও থাকবে কিনা সন্দেহ আছে…
কারণগুলো হয়ত এরকম হবে…
১. সমাজের সবাই এখনো নারীকে যথাযথ মর্যাদা দিতে, শ্রদ্ধা করতে শেখেনি…
২. এই ধরনের ঘটনাগুলোতে দোষী হয়ত বেশীরভাগ সময় শাস্তির আওতায় আসে না… (অর্থ-ক্ষমতা ইত্যাদির প্রভাবে)
৩. শাস্তিই হয়ত পর্যাপ্ত না…
… আরও অনেক কারণ আছে … আর আমি ‘হয়ত’ শব্দ ব্যবহার করছি কারণ এই বিষয়ে আমার বিশেষ কোন পড়া-শুনা করা হায়নি…
আপনি বলেছেন
আমি এধরণের আজগবি উদাহরণ দেয়ার আগে-পিছে নেই। কিন্তু এটা না বলে পারছি না … আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে সমাজের সবাই “…খুব নম্র, ভদ্র, বিনয়ী একটা ছেলে, যার নামে কোন মামলা নাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র, বাবা-মার গৌরব…” হয় না … বোধ হয় কোন সমাজের সবাই এমন হবেও না…
সমাজে সংখ্যায় কম হলেও কিছু চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারী থাকবেই যারা সুযোগ পেলেই সহজ কিন্তু অবৈধ-অমানবিক পন্থায় নিজের বাসনা পূর্ণ করবে…। এমনকি কিছু নোংরা মনসিকতার অমানুষও থাকবে যারা সুযোগেই নিজের অসুস্থ-মনসিকতার নির্মম পরিচয় দিবে…
তাই নিশ্চয় আমি রাত ২-৩ টায় বাসায় ফেরার সময় কোন অন্ধকার চিপা-গলি না ব্যবহার করে আলোকময় জন-সমৃদ্ধ রাস্তাই বেছে নিবো … যদি একটু সময় বেশি লাগে বা দূরত্ব বেশি হয় তবুও …কারণ এতে নিরাপদ থাকার নিশ্চয়তা বেশি…ঠিক একই ভাবে চিন্তা করলে হয়ত পশাকের ব্যাপারটাও আসে…কারণ প্রাথমিক কাজ হল নিজেকে নিরাপদ রাখা তারপর সমাজের জঞ্জাল দূর করার চেষ্টা করা…আমি যখন জানিই যে, সমাজে কিছু অমানুষ অবশ্যই সুযোগের আশায় বসে আছে… তখন নিরাপদ থাকার জন্য বাড়তি সতর্কতা কেন অবলম্বন করবো না…!!
কিন্তু আমি কখনই বলব না যে, হিজাব করলেই/কিছুটা খোলা-মেলা পোশাক না পরলেই ধর্ষণ থেকে বাঁচা যাবে… কারণ পশাকের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা কেবল ওই আলকময় জন-বহুল লম্বা রাস্তা বেছে নেয়ার মত … যেখানে নিরাপদ থাকার নিশ্চয়তা বেশি…কিন্তু যদি কোন সমাজ এমন হয় (কাল্পনিক) যেখানে কোন পুলিশি ব্যবস্থা নেই, অপরাধের জন্য সমুচিত শাস্তি হয় না, এমন কি দোষী দোষ করে বিন্দুমাত্র লজ্জিত বোধ করে না … তাহলে কিন্তু ওই আলকময় জন-বহুল লম্বা রাস্তায়ও কোন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকবে না…
তাই আমি বলব ধর্ষণ নির্মূল করার জন্য আমাদের সমাজের সবাইকে সুশিক্ষিত হতে হবে, নারীকে শ্রদ্ধা করতে/যথাযথ মর্যাদা দিতে শিখতে হবে, আইন কঠোর করতে হবে, শাস্তি কঠিনতর করতে হবে, আইন ও শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে, অপ-সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকতে হবে… একই সাথে নিজেদেরকে নিরাপদে রাখার নিশ্চয়তা বাড়াতে বাড়তি সতর্কতা (এক্ষেত্রে হিজাব/শালীন পোশাক) অবলম্বন করতে হবে…
*ভুল হলে শুধরে দিবেন … ধর্ষণের কারণ-প্রভাব-প্রতিকার এসব নিয়ে আমার কোন ধরনের সামাজিক গবেষণা / পড়া-শুনা নেই… কেবল নিজস্ব মতামতই দিলাম
আর ৭১ ঘটনাগুলো খুবই করুন… মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি পাকিস্তানিরা এসব করল কিভাবে ! তাদেরও নিশ্চয়ই মা ছিল, বোন ছিল, … মানুষ কিভাবে এমন আচরণ করতে পারে !! কয়েকজন না পুরো একটা গোষ্ঠী কিভাবে এমনটা করতে পারে…!!!
ধন্যবাদ
ভাই অনেককিছু জানা গেল আপনার পোস্ট থেকে। আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই।
১. একটা ছেলে সে যতই ভদ্র হোকনা কেন সে যে কোন মেয়ে দেখলে তার যৌন চিন্তা আসবেই। এখন সে তার চিন্তা টাকে কাজে পরিনত করবে কিনা সেটা তার মূল্যবোধ এবং মনুষ্যত্বের ব্যাপার। আমাদের দেশে মেয়েরা প্রায়শই তাদের কাজিন দের কাছে যৌন হয়েয়ানির স্বীকার হয়।এখন এই হয়রানিগুলো সাধারনত মেয়েরা গোপন করে অথবা নিজেই সম্মতি প্রদান করে। তথাকথিত ভদ্র মানুষ দের কাছেই কিন্তু কাজের মেয়ে বা নারি কর্মীরা যৌন হয়রানীর স্বীকার হন। অর্থাৎ খারাপ ছেলেরা রেইপ করে প্রকাশ্যে আর ভদ্র মানুষ গুলো করে নিরবে।
২. ছেলেরা যেকোন মেয়ে দেখলেই যৌনচিন্তা করে আর মেয়েরা ইমোশনাল এটাচমেন্ট ছাড়া কোন ছেলেকে নিয়ে যৌনচিন্তা করেনা এটা ন্যাচারাল ব্যাপার। এখন এই যৌনচিন্তা পশুত্বে রুপান্তরিত হয় যখন বিভিন্ন ফ্যাক্টর একটি ছেলের উপর প্রভাব ফেলে, যেমন: নোংরা ফিল্ম, ইন্টারনেট এর বাজে সাইট এবং অতিঅবশ্যি মেয়েদের বাজে ড্রেস আপ। ভাই আমিত অনেক কঠর পরিবেশে বড় হয়েছি, তবুও বাজে ড্রেস পরা মেয়ে দেখলে চোখ ফেরাতে পারিনা।
৩. আমেরিকা তো ফ্রি সেক্স এর দেশ। তারপরেও সেখানে কিপরিমান রেইপ হয় সেটা যান সার্চ করুন আর ইসলামিক দেশগূলিতে কিপরিমান রেইপ হয় সেটা কম্পেয়ার করুন, আশাকরি পর্দাপ্রথার সুফল বুঝতে পারবেন। আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা ধর্ম সম্পর্কে খুব ভাসাভাসা জানি এবং এর বিরোধিতা করে নিজেকে স্মার্ট মনে করি। আপনি কি ইসলাম ধর্মে নারীর অধিকার, নারী ও পুরুষের পর্দার সিস্টেম সম্পর্কে ডিটেইল স্টাডি করেছেন? আসলে ফাকা কলসি বাজে বেশি।
৪. ভাই যুদ্ধের সময়ে সংঘটিত ধর্ষন আর স্বাভাবিক সময়ের ধর্ষন একই কাতারে বিচার করলে আপনাকে বিচক্ষণ বলতে পারবনা। আমাদের বাংলাদেশ সেনাভাইদের কোথাও অপারেশনে পাঠালে একসময় তারাও একই কাজ করবে। হয়তবা কিছুটা কম কিংবা বেশি। Wartime Mentality কখনো শান্তিকালীন সময়ে অনুভব করা যায়না।
৫. ভাই আমি সামাজিকভাবে বেশ প্রতিষ্ঠিত। বিভিন্ন সামাজিক অনূষ্ঠানে যেয়ে যখন একজন পর্দানশীন মহিলাকে দেখি, মন থেকে শ্রদ্ধাভাব এম্নিতেই চলে আসে আর বিশ্রি পোষাকের মহিলা দেখলে আমার এই সুশিক্ষিত, বিবেচক মনেও যৌনচিন্তা আসে। আপনার যদি না হয় তাহলে আপনি ফেরেশতা অথবা নপুংসক। Nature আমাদের ওভাবেই create করেছে।
পরিশেষে বলতে চাই সামাজিক অবক্ষয়, অশ্লীল ভিডিও, মুভি এবং সবশেষে খোলামেলা পোষাক রোধ করুন এবং আইন এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করুন রেইপ অবশ্যই কমে আসবে।
@SD Monsur,
আমেরিকান নারীরা স্বাবলম্বী, তাদেরকে সে সমাজের পুরুষেরা ঘরের মাঝে আবদ্ধ করে রাখেনি । ফলে তাদের ওপর যেকোন ধরণের যৌন হয়রানি কি ধর্ষণ সবই পুলিশের দৃষ্টিতে আনে, যাতে করে ধর্ষকের প্রকৃত শাস্তি দাবি করতে পারে । ধর্ষণ সকল সমাজেই বর্তমান, পার্থক্য এই যে কোন সমাজের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, আর কোনটায় যায় না ।
এখন আসি ইসলামিক দেশ গুলোর কথায় । আমরা খুব উঁচু গলায় দাবি করতে পারি যে ইসলামিক দেশে ধর্ষণ খুবই কম হয় । কিন্তু কম কেন হয় সেটাই আমি দেখাতে চাই ~
বিস্তারিত পাবেন আমার এই লেখাটায় ।
ধর্ষণ বিষয়ক বিচারকার্য পরিচালনা করা হয় হুদুদ আইনে । আর হুদুদ আইন বিবেচিত হয় আল্লাহর তৈরী আইন হিসেবে যা কতগুলো গুরুতর বিষয় নিয়ে কাজ করে – চুরি, বিবাহ-পূর্ব যৌন সম্পর্ক (জিনা), বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্ক, মদ্য পান ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য সেবন, এবং ধর্ম ত্যাগ । সমস্যা হচ্ছে, হুদুদ আইনে শুধুমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহনযোগ্য, অন্যান্য অবস্থাগত সাক্ষ্য-প্রমান (DNA test, Forensic evidences) এখানে গৃহীত হয় না । প্রত্যক্ষদর্শী অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য পূর্ণবয়স্ক পুরুষ হতে হবে । কোন নারীর সাক্ষ্য এখানে অগ্রহণযোগ্য, যেহেতু বুখারী (বই ২৪ হাদিস ৫৪১) ও মুসলিম (বই ১ হাদিস ১৪২) অনুসারে তারা সল্প-বোধবুদ্ধি সম্পন্ন ।
দেখা যাচ্ছে, কোন ধর্ষিত নারীকে তার অভিযোগ সত্য প্রমান করতে হলে জিনাকারী বা ব্যাভিচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দুটি শর্তের (চারজন সাক্ষ্য অথবা অভিযুক্ত ব্যাক্তির দোষ স্বীকার) কোন একটি অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে । শর্ত পালিত না হলে উক্ত নারীর সাঁজা হবে ব্যাভিচার (বিবাহিত হলে) অথবা জিনা (অবিবাহিত হলে) করার জন্যে । ফলস্বরূপ, অধিকাংশ ধর্ষিত নারী বাধ্য হন তার ওপর চালানো এই বর্বরতা চেপে রাখতে । আর এভাবেই ইসলামি দেশগুলো ধর্ষণের সর্বনিন্ম পরিসংখ্যান নিয়ে অত্যন্ত গর্ববোধ করে ।
@SD Monsur,
মেয়েদের ওপর বস্তা-পড়ানোর এই মধ্যযুগীয় প্রথা অত্যন্ত অসুস্থ চিন্তার প্রতিফলন । এধরণের চিন্তা করার পর সেই সমস্ত পুরুষের মানুষিক শিক্ষার অবস্থা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান । কোন পুরুষের অধিকার নেই একজন নারী কিভাবে চলবে তা নির্ণয় করে দেওয়ার । আমরা নিশ্চয়ই এমন একটা সমাজ কল্পনা করতে চাইনা যেখানে পুরুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে বা তাকে বস্তা পড়ানো হচ্ছে এই বিবেচনায় যে তা না করলে হয়তো কোন নারী কামার্ত হয়ে পড়বে !?
নারী শরীর দেখলে পুরুষের মাঝে যৌন চিন্তা আসাটাই স্বাভাবিক, এর জন্যে কারো মন সুশিক্ষিত বা বিবেচক হওয়ার প্রয়োজন নেই । কিন্তু এও মাথায় রাখা দরকার, যৌন চিন্তা আসলেই আমরা সেই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি না । নারী শরীরটি একান্তই তার নিজের, সেখানে দৃষ্টি দেওয়ার অধিকার তারই আছে যাকে তিনি সে অধিকার দেবেন । পোশাকের দোহাই দিয়ে কোন পুরুষ ধর্ষণের সাফাই গাইলে আমি বলবো সে অতি অবশ্যই অসুস্থ মানুষিকতা সম্পন্ন ।
Dick gregory’র উক্তিটি আমার এক্ষেত্রে যথার্থ মনে হয়,
অনেক সময় মানুষ মাছ বা মাংস কিনে আনলে, বিড়ালরা তা চুরি করার চেস্টা করে। মাংস বা হাড় দেখলে তো কুকুর এর মুখ থেকে লালা ঝরতে থাকে। এই ধর্ষকগোষ্ঠী কুকুর বিড়ালের মতই ইতর তবে তুলনামূলক ভয়ঙ্কর প্রানী। তারা মানুষ না। এখন বিষয় হচ্ছে একজন মানুষকে কুকুরে কামড়ালে লোকে কামড় খাওয়া লোকটাকেই দোষ দিবে। বলবে ঐ রাস্তায় কুকুর আছে জানা সত্ত্বেও ঐ রাস্তা দিয়ে কেন এসেছ। লোকে তো এইটা বলবে না যে ঐ রাস্তাই বাড়ি ফেরার একমাত্র রাস্তা। মেয়েদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা হয়েছে তাই।
আর আইন এর কথা বলতে গেলে বলব যে আইনের প্রয়োগ কিভাবে করবেন। ২ – ১টা বাসের দ্রাইভার হেল্পার যাদের রাজনৈতিক সাপোর্ট নেই তাদের ধরে বছর ঘুরিয়ে বিচার পেতে পারেন। কিন্তু ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে কি করবেন? একটা মামলা মানে উকিলের টাকা কামানোর ধান্দা। তারা যতদিন কেস ঘুরাবে ততদিন তাদের পকেটে টাকা আসবে।
ধর্ষন এর জন্য শুধু মাত্র ধর্ষক দায়ী। চিরন্তন সত্য কথা। ছেলেরাও জানে। মেয়েরাও জানে। ধর্ষকের চেহারায় লেখা থাকে না যে সে ধর্ষক। কিন্তু রাস্তার কুকুরকে দেখলে মানুষ বুঝে যে কি কি ক্ষতি সে করতে পারে। তাই মেয়েদের কি উচিত নয় যে সকল পরিস্থিতিতে ধর্ষন হতে পারে তা এরিয়ে চলা? কেননা আপনার এক লেখায় ধর্ষকের মানষিকতার পরিবর্তন হবে না। কুকুরের এর লেজ তো কোনদিন সোজা হয় না।
চমৎকার লেখনী কিন্তু ভাইয়া এখানে ডাঃ সাজিয়া আফরিন আপুর ঘটনা টা একটু বিকৃতভাবে এসেছে। আপুকে ওই ওয়ার্ডবয় ব্র্যাক ক্লিনিকে রেপ করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আপুর প্রতিরোধের জন্য পারেনি। এবং ধর্ষণে ব্যার্থ হয়েই সেই ওয়ার্ডবয় আপুকে খুন করে। যে মেয়েটা নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে জীবন দিলো তার মৃত্যুর পর তাকে যেনো আমরা ধর্ষিতা বানিয়ে না ফেলি।
@স্বপ্নময়ী অপরাজিতা,
একাধিক সংবাদপত্রের সূত্র থেকে ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করেছি। তারপর আপনার কাছ থেকে জেনে যাচাই করে দেখলাম ঘটনাটা আসলেই ধর্ষণচেষ্টা ছিলো। এখনি ঠিক করে নিচ্ছি।
@আরিফ রহমান,
কমপক্ষে আটটি সংবাদ সূত্র ঘটনাটাকে রেপ বলছে,
উনি কি আপনার পরিচিত ছিলো। জাস্ট ভেরিফাই করার জন্য জানতে চাচ্ছি।
ভাল লেখা। যিনি বা যারা লেখককে জিজ্ঞেস করছেন বিকিনি পরিহিত মেয়ে আর হিজাব পরিহিত মেয়ের মধ্যে কাকে ধর্ষণ করবেন…তিনি বা তাঁরাই ধর্ষণ করবেন,যাকে নির্যাতন করার সুযোগ পাবেন তাঁকেই করবেন। লেখক এঁদের কাউকেই ধর্ষণ করবেন না কারণ তিনি ধর্ষক নন। সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয় এর মতন, সকল ধর্ষক শারীরিকভাবে পুরুষ, কিন্তু পুরুষ হিসাবে জন্ম নেওয়া সকল মানুষ ধর্ষক নয়। পাকিস্তানের মেয়েরা বাংলাদেশের তুলনায় বেশি হিজাব পরেন, তাই বলে সেখানে ধর্ষণ কম ঘটে না, বরং বেশি ঘটে কেননা শাস্তি হবার নজির নাই বললেই চলে, দুই জন পুরুষ সাক্ষী ছাড়া কেস টেঁকেই না, শরিয়া আইন বলে একে। দুই জন পুরুষ সাক্ষী থাকলেতো হয় তারা ধর্ষকের সহকারী, নয়তো তারা প্রতিবাদ করতেন, ঘটনাই ঘটত না। আর যদি ভয় পেয়ে তারা প্রতিবাদ না করে থাকেন, তাহলে সাক্ষী দেবেন কোন সাহসে?
বলিউডের অনেক নায়ককে দেখে মেয়েদের যৌন চেতনা জাগ্রত হয়, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কোন ছেলেকে দেখে কি হয় না? আলবৎ হয়, কিন্তু মেয়েদের উপায় নেই পুরুষকে রেপ করার, সুযোগ নেই, সামর্থ্য নেই, বায়োলজিক্যাল প্রিভিলেজ (?!) নেই। তাই মেয়েরা যতই কামনার আগুনে দগ্ধ হোক তারা রেপ করেনা এবং করার পর বলেনা “ওই ছেলের জামাকাপড়ের ঠিক ছিল না, আমিওতো রক্তমাংসের মানুষ, আমারও কামনা বাসনা আছে”
@উম্মে ফারহানা,
অসাধারণ মন্তব্য,
অনেক ধন্যবাদ
@উম্মে ফারহানা, সমস্ত টপিক্স পড়লাম। এখানে সবার মতামতকে সম্মান জানাই এবং আমি তােমাদের মতামতের সাথে একাত্ত্বতা ঘােষনা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
@উম্মে ফারহানা, বেষ্ট মন্তব্য (Y)
পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু সরকারের উচিত হয়নি পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যাওয়া। বঙ্গবন্ধু সরকারের ভুলের মাশুল আমাদের এখনো দিতে হচ্ছে। আমরা চাইলেই এখন পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের সমর্থনের মত বিষয়টাকে খারাপ বলতে পারবোনা।
@শেহজাদ আমান,
কেন রে ভাই, বঙ্গবন্ধুর ভুল বঙ্গবন্ধু করসে। আমি কেন করবো ?
আমি পাকিস্তানকে সমর্থন করি না, এটা আমার ব্যাপার, কোন চুক্তি আমার মনোভাবে প্রভাব কেন ফেলবে ??
আমি যেহেতু নিরপেক্ষ মানুষ না এবং আমি যেহেতু খেলার সাথে রাজনীতি মেশাই, পাকিস্তানের ক্রিকেটারা তাদের পূর্বপুরুষ শুকরদের কৃত গনহত্যার জন্য ক্ষমা না চাইলে তাদের সবচেয়ে বিকৃত গালি দিতে দ্বিধা বোধ করি না, তিরিশ লক্ষ খুন আর তিন লক্ষ ধর্ষণের দায়ে আমি যেখানে পাকিস্তান নামক দেশটাকেই অস্বীকার করসি শেখানে তাদের ক্রিকেটের সমর্থকদের জন্য আমার কাছে কি মনোভাব আশা করেন…
একটা টিমকে সাপোর্ট করা যাবে কি যাবে না সেটা কি আদালত থেকে রায় দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে ?
এটা তো মানসিকতার ব্যাপার…
ধর্ষণ হওয়ার জন্য আমার মনে হয়না কেউ মেয়েদেরকেই দায়ি করে। এটা নারীবাদের একটা প্রপাগান্ডা যে, “অনেক পুরুষ ধর্ষণের জন্য নারীদেরকেই দায়ি করে।” এতে নারীবাদ ব্যবসায়ীদের সুবিধা হয়।
ধর্ষিত হওয়ার জন্য নারীদেরকেই দায়ী করা হয়েছে এরকম কিছু ঘটনার রেফারেন্স পারলে দিয়েন…।
@শেহজাদ আমান,
তারমানে বলতে চাচ্ছেন কথাটা “মেয়েদেরকেই” না হয়ে “মেয়েদেরকেও” হবে ? মান বোঝাতে চাচ্ছেন ধর্ষণের জন্য কেবলমাত্র মেয়েদের একার দোষ নেই তবে কিছুটা দোষ মেয়েদেরও আছে… সেটাই তো ?
আমার লেখায় কিন্তু আমি “একা মেয়েদের দায়ী করা হচ্ছে কথাটা বলি নাই, আমি বলসি এক হাতে তালি বাজে না মেয়েদেরও দোষ আছে। আমি তো একবারও বলি নাই একক ভাবে মেয়েদের দায়ী করা হচ্ছে ধর্ষণের জন্য।
পোশাক ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ করে কিনা সেটাই আলোচনার বিষয় ছিলো।
আর ভাই
আপনি কোন দেশে থাকেন ?
মজা করছেন নাকি…
আপনি কি বলতে চান ধর্ষণের জন্য মেয়েদের চলাফেরা পোশাক-আষাক কে দায়ী করে মানুষ কথা বলে না ??
এটা আমাকে রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করে দিতে হবে ??
@আরিফ রহমান,
কথা না ঘুরিয়ে পারলে কিছু রেফেরান্স দিয়ে দেন……….!!
@মিজান,
আপনার কিসের রেফারেন্স দরকার? 1.ধর্ষনের শিকার নারীদেরকে ধর্ষণের জন্য দায়ী করা হয়েছে এমন রেফারেন্স, নাকি 2.ধর্ষণের জন্য মেয়েদের চলাফেরা/ পোশাককে দায়ী করে মানুষ কথা বলে সেটার রেফারেন্স!? 😕
প্রথমটি হলে ইন্টারনেট ঘাটেন বহু রেফারেন্স পাবেন, না পেলে আমাকে জানান রেফারেন্সের অভাব নাই। 🙂
আর দ্বিতীয়টি হলো সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, আপনার আশেপাশের মানুষের কথা শুনেন তাঁরাই রেফারেন্স!! কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেন তো দেখি,
ধর্ষনের শিকার নারীদের প্রসঙ্গে কোথাও কোন নিউজ ছাপা হলে কিংবা আলোচনা শুরু হলে কিছু মানুষ নারীদের বোরকা-হিজাব/পর্দা করে চলার পরামর্শ দেন। এখন প্রশ্ন হল কেন তারা নারীদের বোরকা হিজাব করার পরামর্শ দেন? তাদের ঐ পরামর্শের মানে কি এই না যে, নারীরা বোরকা হিজাব করলে ধর্ষনের শিকার হবে না?? এখানে কি ধর্ষনের মূল কারন হিসেবে নারীদের পোশাক কেই দায়ী করা হচ্ছে না??? (*)
@তারিক,
ভাই অসাধারণ উত্তর দিয়েছেন 🙂
ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক ভাল লাগলো লেখাটি পরে। আপনাদের মত মানসিকতার কিছু মানুষ এখন ও আছে বলে ই নারী এখনও কিছুটা স্বস্তি পাই। আর এখনও পুরুষ কে সম্মান করি, না হলে বাবা, ভাই, স্বামী কে ও যে ঘৃণা করতে হত!
@সালমা হোসেন,
অনেক ধন্যবাদ
অসাধারণ লিখেছেন। (Y)
@তারিক,
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
এত দিন জা আমার মনে ছিল। আজ এখানে পরে অনেক ভাল লাগল।
@upoma,
অনেক ধন্যবাদ
এটা একটা সামাজিক ব্যাধি…মেয়েটা যদি নিজের বোনও হয় অথবা পাশের বাড়ির কেও।তাতে কোন কিছু যায় আসে না ধর্ষকদের……। 🙁
@স্বপ্নীল সাহা,
একটা সুন্দর আর সাবলীল লেখা উপহার দেবার জন্যে ধন্যবাদ।
দুঃখিত ভুল করে স্বপ্নীল সাহা কে এড্রেস করে ফেলেছি।
লেখক’কে কে ধন্যবাদ ভালো লেখা উপহার দিলেন তাই।
@আফরোজা আলম,
আপনাকেও ধন্যবাদ
@স্বপ্নীল সাহা,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
ভাই আপনি অনেক ভাল লিখছেন। সবই ঠিক আছে কিন্তু আসলে নারীর পোশাকটা কি কোন প্রভাব ফেলে না ? ভাই ১৯৭১ আর বর্তমান এর ধর্ষণ এক না ভাই। ৭১ এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। আপনি রাস্তাই হেটে যাবেন তখন যদি আপনি ২জন কে দেখেন যেমন একজন পর্দা করা আর অন্য জন বিকিনি পরা আপনি কি করবেন ? ৭১ আর বর্তমান সময় ও ২ টা আলাদা। ধর্ষণ যারা করে এরা মানসিক রোগী কিংবা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। এইটা ভাই নেশা। কিন্তু পোশাকের কারনে ভাই প্রতিনিয়ত মেয়েরা ইভ টিজিং এর শিকার হচ্ছে। তারপর ও ভাই কেন আমার দেশের মেয়েরা বাজে পোশাক পরবে , যার কারনে প্রতিদিন অনেক নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়তেছে। ভাই যাই বলেন বর্তমান এ নারীরাই তাদের নিজেদের ইজ্জত নিজেরা বিলাই দিতাছে। ভাই অনেক ভাল লিখছেন, অনেক কিছু জানলাম।
@ফরহাদ হোসেন রুমেল,
আপনি আগে উত্তর দেন,
আপনি কাকে ধর্ষণ করবেন ??
আগে নিজেকে দাঁড়া করান, তারপর জাকির নায়েক কে দাঁড়া করান।
এবার বলেন।
আমি তো চ্যালেঞ্জ করেছিই,
আপনি প্রাকটিকাল একটা কেইস দেখান যেখানে খুব নম্র, ভদ্র, বিনয়ী একটা ছেলে, যার নামে কোন মামলা নাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র, বাবা-মার গৌরব। একটা উগ্র পোশাক মিনি স্কাট পরিহিতাকে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ঝোপে ফেলে ধর্ষণ করলো। এরকম একটা কেইস দেখান।
আপনি দেখান এরপর আমি আমার পোস্ট ডিলেট করে দিচ্ছি
@আরিফ রহমান,
ধর্ম যে পোশাকের কথা বলে সেটা তো শুধু ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র, বাবা-মার গৌরব’ দের জন্য না ভাই। ধর্ম তো সবার জন্য রে ভাই। যার শিক্ষা নাই, যে খারাপ কোন পরিবেশ থেকে বড় হয়েছে তার নীতিবোধ নাও থাকতে পারে। আমরা জানি যে রাস্তায় পকেটমার হতে পারে, তাই সতর্ক থাকা লাগে। কিন্তু এরপর ও পকেটমার হলেও হতে পারে। ঠেকাটা তো আমাদের। যে পকেটমার করেছে তার শাস্তির কথা তো পরে ভাববো। এবং পকেটমার হওয়ার পর এই ঘটনা যখন সবাই জানবে জিজ্ঞেস করবে যে জিনিসটা আমি কোন ব্যাগে রেখেছিলাম, কিভাবে রেখেছিলাম! যদি কোন আনসেইফ ব্যাগে রাখি সবাই কিন্তু দোষ আমাকেই দিবে, বলবে কেন বেকুবের মত ওই জায়গায় রেখেছি। কেউ কিন্তু বলবেনা, পকেটমার কত খারাপ! কত জঘন্য! আমি এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী। ;-( সবাই আমাকেই দোষ দিসে।পকেটমারের কাজ পকেটমারি করা, ধর্ষকের কাজ ধর্ষণ করা। ঠেকাটা কি আমাদের না?! নিজেদের যতটুকু সম্ভব , যতটা পারা যায়, সেইফ রাখার চেষ্টা করা !!
@শফিউর রহমান,
বাহ… বাহ… কি সুন্দর যুক্তি! ধর্ষক ধর্ষণ করবে সেই ভয়ে নারীদের সেইফ থাকার জন্য পর্দা করে চলতে হবে, তাই না? 😀
যখন কোন মেয়ে ধর্ষিত হয়, তখন আপনার মত মানুষগুলোই চিৎকার করে বলতে থাকে, মেয়েটা কেন বোরখা-হিজাব ছাড়া ঘর থেকে বের হল। বলে না যে, তাদের মা বোন ও ঘরের ভিতর বোরখা হিজাব পড়ে না কিন্তু তাদের দেহের প্রতি আকর্ষণ না জন্মালে আরেকটা মেয়ের শরীরের বাক দেখে কেন আকর্ষণ জন্মায়?
যখন একটা বোরখা হিজাব পড়া মেয়ে ধর্ষিত হয়, তখন তারা বলে, মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়ার কি দরকার। বলে না, মেয়ে মাত্রই আমাদের কাছে ভোগ্য তা যে রেপিংপেপার দিয়েই মুড়ে রাখা হোক।
যখন তিন চার বছরের একটা মেয়ে ধর্ষিত হয় তখন তারা বলে, চারপাশে জুড়ে সব বেদায়াতি কাজ কর্ম চলছে , সিনেমা দেখে পর্ন দেখে সবাই উত্তেজিত থাকে তাই ধর্ষন করে ফেলে। বলে না, ওই ধর্ষক আসলে শিশুকামী।
যখন কোন পর্ন না দেখা, সিনেমা না দেখা হুজুর তার মক্তবে পড়তে আসা বাচ্চাটিকে ধর্ষণ করে তখন তারা বলে, চার বিয়ে করার সুযোগ পায় না বলে এসব কাজে তারা যুক্ত হয়। তবু সত্যটা স্বীকার করে না যে, ধর্ষণ-এ আসলে পুরুষের বিকৃত কামনাই দায়ী।
আমি যখন এইসব মানুষগুলো কে দেখি, এদের প্রত্যেকের মাঝে একজন করে ধর্ষক খুঁজে পাই যার সাহসের অভাবে ধর্ষণ করতে পারছে না, কিন্তু সুযোগ পেলে তারা অবশ্যই ধর্ষণ করত।
কি বুঝলেন? ধর্ষণের ঘটনায় শুধু শুধু মেয়েদের বাহিরে যাওয়া কিংবা সাজসজ্জা ও পোশাক-আশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে ধর্ষককে ধর্ষণে উতসাহিত করা। নারীদের ব্যাপারে পুরুষের নোংরা মানুষিকতা নিয়ে আপনার প্রশ্ন তোলা উচিত। সেক্ষেত্রে, পুরুষের মানুষিকতার পরিবর্তন হলে নারীদের নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
@শফিউর রহমান,
কি সুন্দর যুক্তি! 😀
ধর্ষক ধর্ষণ করবে সেই ভয়ে নারীদের সেইফ থাকার জন্য পর্দা করে চলতে হবে, তাই না?
যখন কোন মেয়ে ধর্ষিত হয়, তখন আপনার মত মানুষগুলোই চিৎকার করে বলতে থাকে, মেয়েটা কেন বোরখা-হিজাব ছাড়া ঘর থেকে বের হল। বলে না যে, তাদের মা বোন ও ঘরের ভিতর বোরখা হিজাব পড়ে না কিন্তু তাদের দেহের প্রতি আকর্ষণ না জন্মালে আরেকটা মেয়ের শরীরের বাক দেখে কেন আকর্ষণ জন্মায়?
যখন একটা বোরখা হিজাব পড়া মেয়ে ধর্ষিত হয়, তখন তারা বলে, মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়ার কি দরকার। বলে না, মেয়ে মাত্রই আমাদের কাছে ভোগ্য তা যে রেপিংপেপার দিয়েই মুড়ে রাখা হোক।
যখন তিন চার বছরের একটা মেয়ে ধর্ষিত হয় তখন তারা বলে, চারপাশে জুড়ে সব বেদায়াতি কাজ কর্ম চলছে , সিনেমা দেখে পর্ন দেখে সবাই উত্তেজিত থাকে তাই ধর্ষন করে ফেলে। বলে না, ওই ধর্ষক আসলে শিশুকামী।
যখন কোন পর্ন না দেখা, সিনেমা না দেখা হুজুর তার মক্তবে পড়তে আসা বাচ্চাটিকে ধর্ষণ করে তখন তারা বলে, চার বিয়ে করার সুযোগ পায় না বলে এসব কাজে তারা যুক্ত হয়। তবু সত্যটা স্বীকার করে না যে, ধর্ষণ-এ আসলে পুরুষের বিকৃত কামনাই দায়ী।
আমি যখন এইসব মানুষগুলো কে দেখি, এদের প্রত্যেকের মাঝে একজন করে ধর্ষক খুঁজে পাই যার সাহসের অভাবে ধর্ষণ করতে পারছে না, কিন্তু সুযোগ পেলে তারা অবশ্যই ধর্ষণ করত।
কি বুঝলেন শফিউর রহমান ? ধর্ষণের ঘটনায় শুধু শুধু মেয়েদের বাহিরে যাওয়া কিংবা সাজসজ্জা ও পোশাক-আশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে ধর্ষককে ধর্ষণে উতসাহিত করা। নারীদের ব্যাপারে পুরুষের নোংরা মানুষিকতা নিয়ে আপনার প্রশ্ন তোলা উচিত। সেক্ষেত্রে, পুরুষের মানুষিকতার পরিবর্তন হলে নারীদের নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
@Sajid,
@ যুক্তি
আমি কিন্তু বলেছিলাম তারপর ও পকেটমার হতে পারে। বাংলাদেশে যত এডাল্ট রেপ হয়েছে তার মধ্যে পর্দা করা মেয়ে রেপ হয়েছে এ সঙ্খ্যাটি অনেক কম। আপনি চাইলে পরিসঙ্খ্যান দেখতে পারেন।
অবশ্যই দোষ ধর্ষকের। ধর্ম ধর্ষণের জন্য ধর্ষকের শাস্তির কথা বলে। ধর্ষিতার নয়।
আপনি ধর্মের সাথে একমত। আমিও।
আপনি বলেছেন,
কিন্তু কুরআন বলে,
এরপর আর আপনি একমত নন।কিন্তু আমি এখনো একমত।
এ ব্যাপারে আল্লাহ্ বলেন,
আপনি বলেছেন,
আল্লাহ্ বলেন,
আমি এখনো একমত। কিন্তু বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, বলুন তো, কয়জন ধর্ষকের শাস্তি হয়? অধিকাংশই আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যায়। আর যদি হয় ও সেটা কতটুকু? পকেটমার বা চুরির ভয়ে আমরা এতোটা সতর্ক থাকি! ধর্ষণ তো তার চেয়েও খারাপ। যে নারীটি এর ভুক্তভুগী, সে কি সারাজীবনে এই কষ্ট ভুলতে পারবে?
এরপর আপনারা যা ইচ্ছা বলতে পারেন । আমার আর কিছু বলার নাই। আমি মূর্খ মানুষ। 🙂
ও হ্যাঁ, আপনি চাইল্ড রেপের কথাও বলেছেন। এইগুলা আসলে মানুষ না, পশুও না, এইগুলা হচ্ছে পিশাচ। এইগুলারে ছুরি দিয়ে খুঁচাই খুঁচাই মারা উচিত।
@শফিউর রহমান,
ত্যানা প্যাঁচান কেন?
আমার কমেন্ট উদ্ধৃত করে কোরানের আয়াত দিয়ে কি বুঝালেন?
আপনি কোরানের সাথে একমত নাকি দ্বিমত তা জানার জন্য এখানে কেউ বসে নেই।
আপনি এই হাস্যকর পরিসংখ্যান কোথায় পেলেন? :lotpot:
দ্রুত রেফারেন্স দেন, পড়ে একটু জ্ঞান অর্জন করি। :kiss:
ভালো করে মনোযোগ দিয়ে শুনেন: ধর্ষক নারীদের পোশাক দেখে ধর্ষণ করে না, ধর্ষনের ঘটনার পিছনে ধর্ষকের বিকৃত মানষিকতাই মূলত দায়ী। পুরুষের মানুষিকতার পরিবর্তন হলে ধর্ষনের ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
@Sajid,
আমার কমেন্টে কুরানের উদ্ধৃতি দেয়ার কারণ হল যুক্তি এবং আপনার কমেন্টে পর্দা, হুজুর,বেদায়াতি , মক্তব এই শব্দটা বারবার এসেছিল।
নারী ধর্ষণের হার আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি। সেখানে কিন্তু ধর্ষণের জন্য ধর্ষিতাকে দায়ী করা হয়না। তুলনামুলক ভাবে মুসলিম দেশ গুলোতে ধর্ষণের ঘটনা অনেক কম। আমি কিছু বলবনা। আপনি এটা দেখতে পারেন।
[নিচের একটা চার্টে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের সংখ্যা দেয়া আছে। ]
আপনি বলেছেন,
আমি একমত। 🙂 এব্যাপারে আল্লাহ্ বলেন,
@শফিউর রহমান,
এখন কথা অন্যদিকে ঘুরাচ্ছেন কেন? আর কত পিছলামি করবেন! আপনি কি কমেন্ট করছিলেন আবার পড়েন:
আমি “বাংলাদেশের” এই পর্দাওয়ালা/পর্দা ছাড়া ধর্ষিতা নারীদের পরিসংখ্যানটা জানতে চাচ্ছি! দয়া করে এই পরিসংখ্যানটা শেয়ার করেন… আর চাপাবাজি করে থাকলে স্বীকার করেন। :kiss:
এই বিষয়ে কয়েকদিন পূর্বে ( http://blog.mukto-mona.com/?p=41435 ) এই লেখায় একটা কমেন্ট পড়েছিলাম। কমেন্টটা পড়েন:
ব্লগ মোল্লাদের প্রায়ই বলতে শুনি ইসলামী শাসনে চলা দেশগুলোতে নারীরা অনেক সুরক্ষিত, কারন সেসব দেশে ধর্ষনের সংখ্যা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম!! :-O
কিন্তু সেই সব ভন্ড মোল্লারা এটা স্বীকার করে না যে ইসলামী শাসনে চলা দেশগুলোতে নারীদের অধিকার বা স্বাধীনতা বলতে কিছুই নাই; ঐ ইসলাম শাসিত দেশগুলোতে ধর্ষনের শিকার নারীরা ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে উল্টো সেই নারীকেই ব্যভিচারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করা হয়, পাশাপাশি সামাজিকভাবে মান-সম্মান হারিয়ে একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়তো আছেই !!!
যেহেতু ইসলামী শাসনে চলা দেশগুলোতে ধর্ষনের শিকার নারীরা ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহসই পায় না তাই কোন পরিসংখ্যানেই ঐসব দেশের ধর্ষনের প্রকৃত সংখ্যা উঠে আসে না| এই কারণেই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর তুলনায় ইসলামী শাসনে চলা দেশগুলোতে ধর্ষনের সংখ্যা কম দেখায় ! :-s
শরিয়াহ শাসনে ধর্ষনের বিচারের নমুনা দেখেন :
http://www.theguardian.com/world/2014/feb/18/sudan-pregnant-alleged-rape-victim-charged-adultery
————————————–
http://www.dailymail.co.uk/news/article-2621260/Widow-gang-raped-punishment-having-affair-married-man-Indonesia-caned-public-Sharia-law.html
@Sajid,
তর্ক করিতে মন চায়না। কিন্তু জবাব না দিয়া পারতেসি না। 🙂
মুসলিম দেশ গুলো তে নারী ধর্ষণ কম হয় এটা বলার কারণ, সেখানে নারীদের পোশাকটা ঠিক থাকে। নারীদের কে কিভাবে ট্রিট করা হয়, সেটা এখানে আসবে কেন? এটা তো ‘নারী অধিকার শীর্ষক’ আলোচনা না, কিংবা ‘মুসলিম দেশগুলোতে নারীর অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা না। হলে আমি কিছু বলতে ও আসতাম না। এখানে শুধু নারীদের পোশাক এবং ধর্ষণ এটাই টপিক। মুসলিম দেশগুলোতে রেপ হলে মেয়েদের কি করে হাবিজাবি এসবের আমি কি জানি? আমি মুসলিম দেশ গুলার কথা এনেছিলাম শুধু এই কারনে যে সেখানে মেয়েদের পোশাক ঠিক থাকে। উন্নত দেশ গুলোতে থাকেনা।
রেপের জন্য অবশ্যই রেপিস্ট দায়ী। নারীর পোশাক রেপিস্টের জন্য ইম্পরটেন্ট না। সে শুধু মেয়ে পাইলেই রেপ করবে এই অবস্থা। এটা মানছি।কিন্তু তার জন্য কাকে টার্গেট বানানো সোজা?
১৯৮৭ এ Journal of Applied Social Psychology এর একটা রিপোর্টে দেখা যায়,
এটা রেপিস্টের একটা চয়েস হতে পারে।
লিঙ্কঃ http://onlinelibrary.wiley.com/doi/10.1111/j.1559-1816.1987.tb00304.x/abstract
Psychology journal একটা স্টাডিতে sex role, clothing,date rape এই ব্যাপারগুলোকে ইনভেস্টিগেট করা হয়। এবং এইটা দেখাইলো যে ইঙ্গিত পূর্ণ আচরণ (যেমন clothing) নারীকে ভিক্টিম বানাতে সাহায্য করে।
লিঙ্কঃ http://link.springer.com/article/10.1023%2FA%3A1018858313267
Journal of American College Health একটা study তে দেখালো যে,
লিঙ্কঃ http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/9519576
ধর্ষণের জন্য পোশাকই একমাত্র কারণ এটা ভুল। কিন্তু পোশাক ধর্ষণের জন্য কোন ভাবেই দায়ী না এটা ও ভুল।
হইসে, আর পারবোনা। আমার ইনারজী শেষ। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলরে নিয়া ঝগড়া করিলেও এতো ইনারজী লস হয় না। ও হ্যাঁ
ইহা আমার ভুল হইয়াছে। আমায় ক্ষমা করিবেন। টাটা। 🙂
@শফিউর রহমান,
ভুল স্বীকারের জন্য ধন্যবাদ।
বোরখা-হিজাব বাঙালি নারীর জন্য কোনো উচ্চ-রুচিপূর্ণ পোশাক নয়। সুশ্রী যেকোন পোশাকই রুচিপূর্ণ ও দৃষ্টনন্দন। এমন ফ্যাশন কিংবা সাজ কেন করা, যাতে অন্যের কাছে তা ঘৃণিত হয়। পরিশেষে যা বলছি, মেয়েদের কুরুচিপূর্ণ পোষাক পরিধান করা উচিত না।
@শফিউর রহমান,
ধর্ষকদের পক্ষে যারা সাফাই গায় তারা নিজেরাও সেই বিকৃত কামনা পোষণ করে। সুযোগ পেলে সেও যে করবেনা, তারও গ্যারান্টি নেই। ধর্ষকদের কখনো ওই মানসিকতা থাকেনা যে যাকে সে ধর্ষণ করছে সে হিজাব বোরকা পরিহিতা নাকি স্বল্পপোশাক পরিহিতা। তারা কেবল উথিত শিশ্ন জোর করে নারীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করাতেই মনোযোগ দেয়, তখন নারীর বয়স, পোশাক কোন কিছুতেই তাদের বাহ্য জ্ঞান থাকে না!এ শুধুই তাদের বিকৃত কামনার বহিঃপ্রকাশ! তাদের অসংযমের ফল! মানুষকে প্রতিটি ধর্মেই সংযম পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তবুও নারী ধর্ষিত হলে তার দিকেই ধর্মের দোহাই দিয়ে আঙ্গুল নিক্ষেপ করা হয়! খুব ছোটবেলা, ক্লাস ফোরে পড়ার সময়, আমার বাসায় এসে একদিন এক লোক (আঙ্কেল) আমার বুকে হাত দিচ্ছিল বারবার। আমার তখন মাত্র একটু আধটু গ্রোথ হচ্ছিল, বুক জন্মায়ই নি, তবুও লোকটা বুকে হাত দিচ্ছিল বারবার, আস্তে আস্তে নিচেও নামছিল, ঠিক তখন কাজের বুয়া এসে দেখে ফেলে বলে লোকটা তাড়াতাড়ি কোল থেকে নামায়। এই যে abuse করা হয় বাচ্চাদের , যেটা তাদের মানসিক জীবনে বিরাট বাঁধার সৃষ্টি করে সেখানে আমি বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ ছিল? বয়সে হয়ত বড় থাকলে আমাকে ওই লোকটি ধর্ষণই করে ফেলতে পারত! কিন্তু কথা হল, আমার তখন সে বয়সই হয় নি যা দেখে একজন পুরুষ আকর্ষিত হতে পারে, তার শিশ্ন উত্থিত হতে পারে, তাহলে আমার সাথে ওই বিকৃত রুচির মানে কি? এ কি তার হীন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ নয় কি? উল্লেখ্য তার ঘরে আমার চাইতে ২ বছরের বড় এক কন্যা ছিল।
@মারজিয়া হাসান,
আমি ধর্ষকের পক্ষে সাফাই কখন গাইলাম? :-s
@শফিউর রহমান,
আপনি না;
সম্ভবত আমি এখানে ধর্ষকের পক্ষে সাফাই গাইছি।
দেশের সবচেয়ে প্রগতিশীল ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের যে ছাগুরা এভাবে আক্রমন করতে পারে সেটা আপনি প্রমাণ করে দিলেন।
:-Y :-Y :-Y :-Y :-Y
এই ছাগুদের কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি রাজি নই,
ধন্যবাদ
[img]http://www.google.com.bd/imgres?imgurl=http%3A%2F%2Fwww.krishibarta.org%2Fwp-content%2Fuploads%2F2013%2F08%2Fmahamanob_1320499363_1-2011-11-05_13.00.04.jpg&imgrefurl=http%3A%2F%2Fwww.krishibarta.org%2F2013%2F08%2F04%2F%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2581%25E0%25A6%25A0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BE%2F&h=306&w=400&tbnid=zPXKtziEmrSlcM%3A&zoom=1&docid=c3LLaThojUwMPM&ei=v5qmU7WFGIzJuATY_oDQBg&tbm=isch&client=firefox-a&ved=0CBwQMygDMAM&iact=rc&uact=3&dur=537&page=1&start=0&ndsp=17[/img]
@আরিফ রহমান,
আপনাকে ধন্যবাদ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম এই অসাধারণ লেখনীটির জন্য। দেখতেই পাচ্ছেন, পুরুষশাসিত সমাজে নারীকে দমিয়ে রাখার জন্য কি কঠিন কঠিন যুক্তি,কোটেশন আর পরিসখ্যান প্রদর্শন করছে আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত পুরুষসমাজ। নারীদের প্রতি পুরুষের ধারণা আজও, এত বছর পরেও কেমন তা শুধু আপনার লেখার কিছু কমেন্ট পড়েই ধারণা করা যায়। তবে আশার কথা সংখ্যায় তারা কম। আপনারাই বেশি। আপনাদের সাহায্য,inspiration আমাদেরকে প্রেরণা জাগাবে, ওই গজে উঠা সমস্ত পরগাছা নির্মূল করতে। আপনাকে, আপনাদের মত মানুষদের বড্ড বেশি প্রয়োজন আমাদের।
সমস্ত নারীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমাদের পাশে থেকে যুক্তির লড়াই করার জন্য। আবার ধন্যবাদ।
মেয়েরা ছোট কাপড় পরে ঘুরে বেড়াবে আর ওদেরকে কি সেটা লোভী চোখে দেখে নিজের কাম বাসনা পূরণ করতে বলা হয়েছে কোন ধর্ম এ !!!!!!! so যারা পোষাকের দোহাই দেয় তারা rapist কে সমর্থন করে এবং সুযোগ পেলে নিজেরাও করবে।
নীচের ভিডিওতে দেখতে পারেন মিশরে এমনকি মানবাধিকার কর্মীও ধর্ষিতা হবার জন্য মহিলাদেরই দায়ী করেছে বলে বক্তব্য দিয়েছে। ১মিঃ ৪০সেঃ এ দেখবেন একজন লোকের বক্তব্য।
https://www.youtube.com/watch?v=hLnaWxjI2lM
@আদিল মাহমুদ,
হাস্যকর, এরাও নাকি মানুষ…
@আরিফ রহমান,
ধর্ম যেসব সমাজে সরাসরি এবং প্রচ্ছন্ন প্রভাব রেখেছে সেসব সমাজেই এই ধরনের মূল্যবোধ ওয়ালা লোকজন থাকে। ভারতও এর ব্যাতিক্রম নয়। সেখানেও সাম্প্রতিক বেশ কিছু গনধর্ষন গোছের ঘটনার পর এই জাতীয় তত্ত্ব শোনা গেছে।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা… এই লেখাটার জন্য কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, ভারতের গনপ্রতিনিধিরা এরকম বেফাঁস মন্তব্য করে জনরোষের শিকার হচ্ছে অহরহ…
যাদের মস্তিষ্ক হাজার হাজার বছর আগের মূল্যবোধ ভিত্তিক ধর্মীয় বিধিনিষেধের মোড়কে আবদ্ধ হয়ে আছে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে কোন লাভ নেই। এসব সমাজে ধর্ষক বীর দর্পে নারীর পোষাকের দোষ দেবে, ধর্মওয়ালারাও ইনিয়ে বিনিয়ে সরাসরি বা ঘুরিয়ে তার যুক্তি মেনে নেবে।
মিশরে যেমন নারীদের ওপর মব সেক্স এসল্ট রীতিমত ভয়াবহ মাত্রায় চলে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে সেখানে প্রকাশে মহিলাদের মিছিল সমাবেশ থেকে ধরে রাস্তা গলিতে গ্যাং রেপ চলে। সেই আরব বসন্তের সময়েও অনেক ঘটনা ঘটেছে, এই সেদিনও ঘটেছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট বলে সেখানকার ৯৯% এর ওপর মহিলা সে দেশে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের শিকার, ৮২% রাস্তাঘাটে নিজেদের নিরাপদ বোধ করে না। এমন ভয়াবহ অবস্থা নিশ্চয়ই বাংলাদেশে এখনো হয়নি। বোরখা হিজাবের মাত্রা সেখানে ব্যাপক হবার পরেও এই পরিসংখ্যান কি করে হয় সেটা পোষাকের সাথে ধর্ষকামী হবার সম্পর্ক টানা জ্ঞানীদের মাথায় ঢুকবে না।
সেখানকার এ জাতীয় গ্যাং রেপে অংশ নেওয়া লোকের বক্তব্যও শুনেছি সেই একই, মহিলাদের স্বল্প পোষাকের কারনেই তারা নাকি উদ্বুদ্ধ হয়।
@আদিল মাহমুদ,
এই উসকানিদাতাদের কি বিচারের আওতায় আনা যায় না কোনভাবে ?
নারী আন্দোলন ‘ধর্ষিত’ শব্দের পরিবর্তে ধর্ষণের শিকার নারী বলার পক্ষে। কারণ, ‘ধর্ষিত’ বললে ধর্ষণের শিকার নারীটিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয় যা করা উচিত নয়। আমিও ‘ধর্ষিত’ শব্দের পরিবর্তে ধর্ষণের শিকার নারী ব্যবহার করার অনুরোধ করছি।
তাছাড়া, আমাদের দেশের ধর্ষণের বিচারের আইনটিই পরিবর্তন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার নারীটিকেই প্রমাণ করতে হয় যে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। পাকিস্তানে আবার ধর্ষণের শিকার নারীটিকে দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী যোগাড় করতে হয়, যা করা অসম্ভব। আর ভারতে যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় তাকে প্রমাণ করতে হয় যে সে ধর্ষণ করেনি।
@গীতা দাস,
একদম ঠিক কথা বলেছেন,
আমি এখন থেকে ‘ধর্ষিত’ শব্দটি বর্জন করে চলবো।
আর আইনের পরিবর্তন করে ধর্ষণে সাফাইকারিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে
@আরিফ রহমান,
আপনার এ প্রতিশ্রুতিতে আমি কৃতজ্ঞ। নারীপক্ষ নামে নারী সংগঠন নারীর প্রতি , নারীর বিরুদ্ধে কিচ্ছু শব্দ চয়নে বিরোধিতা করে আসছে। এতে আপনার অংশগ্রহণকে স্বাগত জানাচ্ছি।
@গীতা দাস,
সানন্দে…
কিভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি জানাবেন,
আমার ফেসবুক ঠিকানাঃ
https://www.facebook.com/Arif1415
@আরিফ রহমান,
যারা বলে , পোশাকের জন্য মেয়েরা ধর্ষণের স্বীকার ,আমি মনে করি তাদের মনের চোখ ঠিক নয়……।।
সব পুরুষদের প্রতি শুধু ১ টাই আহবান , আপনি ও তো একজন নারীর ,একজন মায়ের সন্তান , আর তাই
দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে নারী দের সম্মান করুন ।
So, Raise Voice Against Violence ……..
https://www.facebook.com/groups/1392361274337356/
@গীতা দাস,
যৌন হয়রানির শাস্তি দেবার কঠোর আইন তৈরী করতে হলে আইন তৈরী করে যারা তাদের ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্ঠি করা দরকার। অধিকার জিনিষটা আদায় করে নেবার ব্যপার। অবস্থান ধর্মঘট ধরনের কিছু করা মন্দ নয়। ধরুন শহরের ভেতর থেকে ৫-১০ টা গার্মেন্ট কারখানার মেয়েরা যদি এই একটা দাবী আদায়ে যার যার কারখানার সামনে একই সময়ে ১ ঘন্টারও অবস্থান ধর্মঘট করে তা হলে টনক নড়তে পারে আইন প্রস্তুতকারীদের। এই ১ ঘন্টার বেতন মালিক পক্ষ তাদের দেয় ট্যাক্স থেকে রেহাই নিতে পারে, খরচ দেখিয়ে। অন্য মানুষ যারা এই অচলাবস্থার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হবে তারাও আইনওয়ালারাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করুক। দেশ এগিয়েছে যদি দাবি করা হয় তা হলে এগুনোর জন্য যে সব মৌলিক নিরাপত্তা আইন দরকার তা সবচে আগে দরকার। অনেক কিছুই হতে পারে। হয় না প্রতারক বদমাশদের কারনে।
তোমার আমার মাথায় ভাঙে;
কাঠালো ভ্টাশ,
শাঁশটি খেয়ে পালায় ওরা;
সাক্ষাতো বদমাশ।
@কাজী রহমান,
গার্মেন্ট কারখানার মেয়েদেরসহ ( এক ঘন্টার বেতন মালিক পক্ষ না দিলেও এর তোয়াক্কা না করেই) এমন অনেক কিছু করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আইনী জায়গায় আঁচড় কাটা সহজ নয়।
@গীতা দাস,
সহজ কাজ একথা বলিনি কিন্তু। কঠিন কাজটাই একসাথে করতে হবে। বিকল্প আছে বলে মনে হয় না।
@কাজী রহমান,
আসলেই দাদা, শুরুটা হোক না কম মানুষ নিয়ে…
আমরা কি পারি না
“ধর্ষণে উস্কানিদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে”
এমন কোন ব্যানারে কিছু একটা করতে ???
@আরিফ রহমান,
কি কি আচরণ ‘যৌন হয়রানী’ তা পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করা আইন করতে হবে। যৌন হয়রানী’র শাস্তি কি হবে তা নতুন করে আইনের আওত্তায় আনতে হবে। হেনস্থামূলক লোভাতুর দৃষ্টি; কামাতুর দৃষ্টি, কথা মন্তব্য চাকুরি ব্যবসা যে কোন স্থানে করলে তার শাস্তি কি সেসব আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এগুলো মেয়েদের নিজেকেই আদায় করে নিতে হবে। জোরদার দাবি না করলে এবং সুনির্দিষ্ট ভাবে অধিকার আদায়ে না নামলে এইসব কথাবার্তা বলে খুব একটা কাজ কি হবে কি?
@কাজী রহমান,
মুক্তমনার ব্যানারে তো এমন বহু আন্দোলন হয়েছে, আমরা কি শুরুটা করতে পারি না ?
@আরিফ রহমান,
এর শুরু তো অনেক আগে থেকেই হয়েছে। যা হয়নি তা হোল ছকে বাঁধা সুনির্দিষ্ট কার্য্যকরী একটি আন্দোলন। আন্দোলনটি পরিকল্পিত এবং তীব্র হতে হবে। জনমত তৈরী করতে হবে। নারী শ্রমিকদের চাকুরী ও বেতন ভাতা যারা যোগান তাদের মধ্য থেকে কিছু সমর্থন যোগাড় করতে হবে যাতে করে শ্রমিকের বেতন কাটা না যায়। মোট কথা মাঠে নামার আগেই প্রচুর প্রস্তুতি নিতে হবে। ভাবুন, প্রস্তুতি নিন, শক্তি অর্জন করুন এবং তারপর ঝাপিয়ে পড়ুন। সম্মিলিত ভাবে এরকম কাজ করা মোটেও সহজ নয়।
@আরিফ রহমান,
কঠিন হলেও অসম্ভব নয় মোটেও।
নারীর পোষাকই নারীর ধর্ষিত হবার কারণ- এ কথা শুধু পুরুষ নয়, অনেক নারীকেও আমি বলতে শুনেছি।
সব দোষ ভিকটিমেরই বটে। নইলে কেন সে ভিকটিম হতে যাবে।
@তামান্না ঝুমু,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
@তামান্না ঝুমু, আমি আপনার কথায় একমত পোষণ করছি ।
যারা ধর্ষণ হবার জন্য দুই পক্ষকেই দোষারোপ করে তাদের নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়, তাদেরও শাস্তির বিধান রাখা দরকার। আপনার সাথে একমত। অনেক ছবি আর রেফারেন্স জোগার করেছেন। তবে ধর্ষিত হবার পরে নারীর প্রচলিত সতীত্বের ধারণার কারণে যারা আত্মহত্যাপ্রবণ হয়, তাদের সতীত্বের ধারণার সমালোচনাও লেখাটিতে প্রয়োজন ছিল। নারী শুধু যোনী স্বর্বস্ব প্রাণী নয় যে কেউ তার যোনীতে প্রবেশ করলেই তার জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে, সে পতিত হয়ে যাবে। আমার মনে হয় সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা আলোচনার বিষয়।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আসিফ ভাই,
সামনে অবশ্যই এ নিয়ে লিখবো।
অনেক ধন্যবাদ
@আরিফ রহমান,
নিয়ে আপনার পরবর্তী লেখাটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম…