লিখেছেন – রাইট হার্ট
যখন থেকে মানুষ নিজের অস্তিত্বকে অনুভব করতে শিখেছে, একটি প্রশ্ন তাকে দগ্ধ করে চলেছে, আর তা হল আমরা কোথা থেকে এলাম ! চার শব্দের এই বাক্য মানব সভ্যতায় জন্ম দিয়েছে অঞ্চল ভিত্তিক শতশত ধর্ম; যার কিছু হয়েছে বিলুপ্ত, আর কিছু মানুষকে পরিণত করেছে দাসে, আবদ্ধ করে রেখেছে বিশ্বাসের শৃঙ্খলে । প্রতিটি ধর্ম মানুষকে দিয়েছে একেকটি বিশ্বাসের স্বতন্ত্র সাম্রাজ্য, যেখানে যুক্তি অন্ধ, বিজ্ঞানের অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ । মানুষ নিজেকে আবৃত করেছে পরিবার প্রদত্ত ধর্মে, স্বজ্ঞানে নয়–অজ্ঞানে, যা তাদের মানুষ থেকে পৃথক করে রেখেছে বহুকাল ধরে; তাদের মাঝে জন্ম দিয়েছে বিকৃত নৈতিকতা আর আঁকড়ে ধরতে শিখিয়েছে অপবিজ্ঞান । যা মানুষ হয়ে অসম্ভব, তা ধর্মের আড়ালে বিশুদ্ধ, কিছু আবার পুরুস্কারযোগ্য—যার প্রলোভন রয়েছে উক্ত ধর্মের সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রধান ঐশীগ্রন্থে ।
বর্তমানে টিকে থাকা দ্বিতীয় প্রধান ধর্ম, ইসলাম, সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ২১ শতাংশ লোক যার অনুসরণ করে চলেছে, সেই ধর্ম এবং তাতে বর্নীত সৃষ্টিকর্তার নির্দেশনা কতখানি সংগতঃ তা আলোচনা কল্পেই মূলত এই লেখার অবতারণা । প্রায় ১৪০০ বছর পুর্বে জন্ম নেওয়া ধর্মটি মানুষ কে কতখানি নৈতিকতা শেখায় অথবা বিশ্বাসের অন্তর্জালে আবদ্ধ মানুষগুলো কে কতখানি ভালবাসতে শেখায় তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ । ইসলামি ঐশীগ্রন্থ, কোরআন, যার নির্দেশনা যতখানি না দৈব তার থেকে অনেক বেশি হিংস্র মনোভাবাপন্ন মানবীয়, মানুষকে ব্যাবহার করে মধ্যযুগীয় পন্থায় । যাতে স্বার্থ রক্ষা হয় মুসলিম পুরুষের, অনেকটা বর্বর প্রথায়, আর দুর্ভোগ ডেকে আনে তাদের ওপর যারা নারী অথবা যারা স্বীকার করে না কোরআনের ঐশী বানী ।
ইসলামে বর্নীত সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ, যার অস্তিত্ব অবতীর্ন হয়েছ সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত পুরুষ নবী মুহম্মদের মাধ্যমে, মুসলিম জাতির পথ প্রদর্শনে পাঠিয়েছেন কোরআনের ঐশীবানীগুলো—যা অপরিবর্তনীয় এবং অবশ্য পালনীয় । নবীর কার্যকলাপ এবং বক্তব্য নিয়ে লিপিবদ্ধ হয়েছে হাদিস, একজন বিশ্বাসীর জন্যে যা আল্লাহ অনুমোদিত জীবন নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা—ব্যাখ্যা করে কোরআনে বর্ণীত আয়াতের প্রেক্ষাপট । কোরআন নিজে অসম্পূর্ণ, একজন বিশ্বাসীর ধর্মীয় জীবনে পূর্ণতা এনে দিতে সে অক্ষম; হাদিসে লিপিবদ্ধ বাক্যগুলোই তাকে করে তোলে যথার্থ ধার্মিক ।
কোরআন যদি হয় সরাসরি আল্লাহ-র থেকে পাঠানো নির্দেশনা, একজন মুসলিমের বিশ্বাসে যিনি সমগ্র মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা, হতে হবে সমগ্র মানব জাতির কাছে গ্রহনযোগ্য এবং নির্ভুল একটি প্রস্তাবনা । ঐশীগ্রন্থ কোরআন, সেই সাথে হাদিসও, হতে হবে সকল সময় এবং সকল স্থানের মানুষের জন্যে সর্বোৎকৃষ্ট জীবন নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা । কোন সৃষ্টিকর্তা যদি থেকেই থাকেন, যদি আদৌ কোন নির্দেশনা দিয়েই থাকেন, তা মানব জাতিকে শেখাবে মানবিকতা, পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা; ওতে স্থান পাবে না কোন বর্বরতা, কিংবা কোন হিংসাত্মক কর্মকান্ডের সমর্থন ।
প্রথম অধ্যায় : ধর্ষণ
ধর্ষণ নিঃসন্দেহে একটি অমানবিক কাজ, যেখানে এক বা একাধিক পুরুষ কোন নারীর ওপর তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিনা সম্মতিতে জোর-পূর্বক, ভয়ভীতি প্রদর্শন অথবা ছলনার আশ্রয় নিয়ে সঙ্গমে লিপ্ত হয় । নারীর ওপর পুরুষের চরম আধিপত্যের উদাহরণ ধর্ষণ । সাম্রাজ্য বিস্তারের আদি-পর্ব থেকেই যুদ্ধ হয় পুরুষে-পুরুষে, আর ফল ভোগ করে নারী – বিজেতা কতৃক ধর্ষিত হওয়ার মাধ্যমে, যেন বিজিতের ঔরসে জন্ম হয় বিজেতার পৌরুষ । কোন ধর্মীয় গ্রন্থ, যাতে ধর্ষণ অনুমোদিত, যতটা না ঈশ্বর প্রদত্ব তার চেয়ে অনেক বেশি পুরুষ-সৃষ্ট । এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বিশ্বাসের সাম্রাজ্যে পুরুষ হয়েছে ক্ষমতাধর, আর নারী সর্বদা পুরুষের অধীন, যাতে তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারে সে নারীদেহ ।
ঐশীগ্রন্থ কোরআন-এ ধর্ষণ জাতীয় কোন শব্দের উল্লেখ নেই, যেমনটি নেই এমন কোন নির্দেশনা যা পরোক্ষভাবে হলেও জোর-পুর্বক যৌন উৎপীড়ন কে নিরুৎসাহিত করে । বরং রয়েছে এমন কিছু আয়াত যা অবস্থা বিশেষে অনুমোদন দেয় নারীর ওপর পুরুষের বল প্রয়োগের চরম রূপ–ধর্ষণকে ।
নিচের আয়াত গুলোকে বিশ্লেষণ করা যাক ।
[সুরা আন-নিসা আয়াত ২৪]
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া (তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়) সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ–এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়।
Also (prohibited are) women already married, except those whom your right hands possess: Thus hath Allah ordained (prohibitions) against you: Except for these, all others are lawful, provided ye seek (them in marriage) with gifts from your property,- desiring chastity, not lust.
[সুরা আল-মুমিনুন আয়াত ৫-৭]
(সেই সকল মুমিনগণ সফলকাম) যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে (স্ত্রী এবং অধিকৃত দাসী) ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।
Who abstain from sex, except with those joined to them in the marriage bond, or (the captives) whom their right hands possess – for (in their case) they are free from blame.
[সুরা আল-আহযাব আয়াত ৫০]
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন ।
O Prophet! We have made lawful to thee thy wives to whom thou hast paid their dowers; and those whom thy right hand possesses out of the prisoners of war whom Allah has assigned to thee.
[সুরা আল-মা’আরিজ আয়াত ২৯-৩০]
(তারা স্বতন্ত্র) যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে, কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না।
Except the observers of prayer, those who guard their private parts (abstaining from sexual activities), except from their wives or those their right hands possess, for indeed, they are not to be blamed.
উপরোক্ত আয়াত গুলো অনুযায়ী, একজন ইসলাম অনুসারি পুরুষের নিজ স্ত্রীগণ এবং যুদ্ধেবন্দিনী (দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়) বা দাসিদের সাথে যৌন সংসর্গ আল্লাহ কতৃক অনুমোদিত । এখানে আয়াতটি বুঝতে হলে তা কোন প্রেক্ষিতে নবী মুহম্মদের ওপর নাজিল হয়েছিল জানা আবশ্যক । হাদিস থেকে পাই, হুনাইন যুদ্ধের সময় নবী মুহম্মদ ও তার সহচরদের হাতে বন্দী হয় বেশ কিছু পরাজিত পুরুষ, যারা বিধর্মী, আর তাদের স্ত্রীগণ । যোদ্ধাদের দ্বিধা ছিল ঐসমস্ত নারীদের সাথে জোর-পুর্বক সঙ্গমে লিপ্ত হতে, যেখানে উপস্থিত ছিল তাদের স্বামীরা; ফলস্বরূপ অবতীর্ণ হয় আয়াত ৪:২৪ ।
[সহিহ মুসলিম বই ৮ হাদিস ৩৪৩২]
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করেছেন যে, হুনাইন যুদ্ধের সময় আল্লাহর নবী আওতাস-এ এক সৈন্যদল পাঠালেন, সেখানে তারা শত্রুপক্ষের সম্মুখীন হলেন এবং তাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন । যুদ্ধে জয়ী হলে তাদের হাতে কিছু বন্দী আসলো, আর নবীর অনুসারিদের দেখে মনে হল তারা আটককৃত নারীদের সাথে যৌন-ক্রিয়ার লিপ্ত হতে দ্বিধাগ্রস্থ, যেহেতু তাদের মুর্তিপূজক স্বামীরা সেখানে উপস্থিত । সেই মুহুর্তে মহান আল্লাহ পাঠালেন কোরআনের আয়াত, ‘‘এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া (তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়) সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ’’ (৪:২৪) –অর্থাৎ বন্দিনী নারীদের সাথে যৌনতা আমাদের জন্যে বৈধ হয়ে গেল ।
একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাবে [সহিহ মুসলিম বই ৮ হাদিস ৩৪৩৩ এবং সুনান আবু দাউদ বই ১১ হাদিস ২১৫০]
খ্যাতনামা কোরআন ব্যাখ্যাকারী, ইবনে কাথির, আয়াত ৪:২৪ নিয়ে কি বলেছেন দেখা যাক ।
‘‘ আয়াতটি বলছে, ‘তাদের ছাড়া, তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়, সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ’– অর্থাৎ তোমাদের জন্যে সেইসব স্ত্রীলোক বিয়ে করার জন্যে নিষিদ্ধ যারা ইতিমধ্যে বিবাহিত, তবে তাদের ছাড়া যাদের তোমরা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে বন্দী করে এনেছো, তবে তার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যেন তারা গর্ভবতী না হয় । ইমাম আহমেদ উল্লেখ করেছেন যে, সাইদ আল খুদরি বলেছেন, আওতাস অঞ্চল থেকে আমরা কিছু নারী আটক করলাম যারা আগে থেকেই বিবাহিত ছিল, আর আমরা তাদের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতে অপছন্দ করলাম যেহেতু তাদের প্রত্যকের স্বামী ছিল । ফলে আমরা আল্লাহর নবীকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম, আর তখন আয়াত নাজিল হল, ‘‘আর তাদের ছাড়া, তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়, সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ’ । ফলস্বরূপ আমরা তাদের সাথে বিনা দ্বিধায় যৌন সংসর্গ করতে পারলাম । হাদিসটি আত-তিরমিজি, আন-নাসাঈ এবং সহিহ মুসলিম কতৃক সমর্থিত । ’’
আল-জালালাইন থেকে প্রাপ্ত তাফসীর,
‘‘ তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ বিবাহিত মহিলারা (স্বাধীন-মুসলিম-নারী হোক বা না হোক), যাদের স্বামী বর্তমান, তবে বিয়ে করতে পারো যদি তারা তাদের স্বামী দ্বারা পরিত্যাক্ত হয়; আর আয়ত্তে রাখো, যাদেরকে তোমাদের দক্ষিণ হস্ত অধিকার করে রেখেছে যুদ্ধ বন্দিনীদের ভেতর থেকে, যাদের সাথে তোমরা হয়তো যৌন-কার্য করেছো, শত্রু শিবিরে স্বামী থাকতে পারে জেনেও, তবে অবশ্যই আগে নিশ্চিত হওয়ার নাও যে তারা গর্ভবতী নয় (রজঃচক্র সম্পূর্ণ হওয়ার পর); আর এটাই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন । ’’
ইবনে আব্বাস থেকে প্রাপ্ত তাফসীর,
‘‘ আর যুদ্ধবন্দিনীদের ভেতর থেকে সমস্ত যুবতী বা বিবাহিত নারী, যদি তাদের স্বামী যুদ্ধভূমিতে অবস্থানও করে, তারা গর্ভবতী নয় নিশ্চিত হলে এবং রজঃচক্র সম্পন্ন হওয়ার পর তোমাদের জন্যে (যৌন সংসর্গের উদ্দেশ্যে) বৈধ হয়ে যাবে । ’’
এবার দেখা যাক আয়াত ২৩:৫-৭ নিয়ে ইবনে কাথির কি ব্যাখ্যা দেন,
‘‘ আয়াত বলছে, তারাই সঠিক পথের যারা কোন অবৈধ কাজ থেকে নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, এবং সেসব কাজ করে না যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন (যেমন ব্যাভিচার, সমকামিতা) এবং অন্যকারো প্রতি নিজের কামনা প্রকাশ করে না, তাদের ছাড়া যারা তার স্ত্রী, আল্লাহ যাদের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন, আর তাদের ছাড়া যাদেরকে তারা যুদ্ধবন্দিনীদের ভেতর থেকে লাভ করেছে (ক্রীতদাসি) । কেউ যদি তার জন্যে আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত কিছু বেছে নেয় তবে সেটার জন্যে অভিযুক্ত হবে না, কিংবা তাতে কোন গুনাহ নেই । ’’
নিচের হাদিসটি উপরোক্ত বিবরণ কে আরো খোলসা করে,
[সুনান আবু দাউদ বই ১১ হাদিস ২১৫৩]
রুয়ায়ফি ইবনে তাবিত আল-আনসারি কতৃক বর্ণীত, আমার কি বলা উচিত নয় হুনাইন যুদ্ধের দিনে আমি কি শুনেছি আল্লাহর নবীর থেকে: যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং আখিরাতে বিশ্বাস করে, তার জন্যে কোন গর্ভবতী নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করা বৈধ নয়, কিংবা বৈধ নয় এমন কোন যুদ্ধবন্দি নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক করা যার রজোঃচক্র চলছে, এবং আরো বৈধ নয় ভাগ করার পুর্বেই যুদ্ধেলব্ধ মাল বিক্রয় করা ।
কোরআন, একজন সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত ঐশীগ্রন্থ, এটা অন্তত স্পষ্টতই নির্দেশ করছে যে, প্রকৃত ইসলাম অনুসারী সেই যে তার যৌন জীবনকে মোহর-প্রদানকৃত স্ত্রীগণ এবং যুদ্ধেপ্রাপ্ত বন্দিনী কিংবা দাসিদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখে । ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ইসলামের অগ্রসর সম্ভব হয়েছে যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে; যেখানে যুদ্ধেলব্ধ নারী বিজেতার দ্বারা ধর্ষিত হওয়াই ছিল পরম্পরা । আর তা অমানবিক থেকে বিশুদ্ধ হয়েছে কতগুলো ঐশী বানীর মাধ্যমে; মধ্যযুগীয় যেসব রীতি মুসলিম জাতির জন্যে পথ-প্রদর্শন করে আসছে বহু বছর ধরে ।
কোন নারীর সাথে তার স্বামী হন্তক কতৃক, কিংবা বন্দী স্বামীর সামনে আক্রমণকারীর দ্বারা যৌন সংসর্গ বলপুর্বক, আর তা ধর্ষণ, যে অনুমোদন কখনোই দৈব নয়, বরং পুরুষ-স্বার্থে রচিত । পরবর্তি প্রথায় বন্দী নারীদের দাস হিসেবে কেনা-বেচার অনুমোদনও দেয় ইসলাম, যা বর্বর । দাস প্রথায় কোন বন্দিনী গর্ভবতি হলে তার জন্যে ভালো দাম ওঠে না; ফলস্বরূপ মুসলিম দের মাঝে আজল (coitus interruptus যোনীর বাইরে বীর্যপাত) প্রকৃয়া অনুসরণের বিবরণ পাওয়া যায় । যদিও নিজ স্ত্রীর ক্ষেত্রে এরূপ তখনই করা যাবে যখন তার থেকে অনুমতি মিলবে, তবে দাসি কিংবা যুদ্ধবন্দিনীদের বেলায় অনুমতি নিষ্প্রয়োজন ।
নিচের হাদিস গুলো দেখা যাক,
[সহিহ বুখারি বই ৫৯ হাদিস ৪৫৯]
ইবনে মুহাইরিজ বর্ণনা করেছেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম আর আবু সাইদ আল খুদরি কে পেলাম । আমি তার পাশে বসে পড়লাম আর আজল সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম । আবু সাইদ বললেন, ‘‘আমরা আল্লাহর নবীর সাথে বানু মুস্তালিকের যুদ্ধে গেলাম, এবং আমরা কিছু আরব নারী যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে পেলাম । আমাদের জন্যে কৌমার্য পালন করা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল, আর তাই আমরা তাদের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চাইলাম এবং আমরা তখন আজল করতেই ভালবাসতাম । তবে আমরা যখন আজল করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন চিন্তা করলাম, আল্লাহর রসুল আমাদের সাথেই আছেন, এই অবস্থায় আমরা তাকে জিজ্ঞাসা না করে কিভাবে আজল করি । আমরা তাকে আজলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমাদের জন্যে উত্তম হবে এটা না করা, কেননা যা জন্ম হবার তা হবেই’ ।’’
[সহিহ বুখারি বই ৬২ হাদিস ১৩৭]
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণীত, যুদ্ধেলব্ধ মাল হিসেবে আমরা কিছু যুদ্ধবন্দিনী পেলাম, আর আমরা সাধারনত তাদের সাথে আজল প্রকৃয়াই অনুসরণ করতাম । তাই আমরা আল্লাহর রসুল কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, ‘তোমরা কি বরাবরই এমনটা করে থাকো ?’ তিনি তিন বার প্রশ্নটি উচ্চারন করলেন । এবং আরো বললেন, ‘আখিরাত পর্যন্ত যতগুলো আত্মা সৃষ্টি হবে তার প্রত্যেকটি জন্ম গ্রহন করবে’ ।
একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাবে [সহিহ বুখারি বই ৯৩ হাদিস ৫০৬ এবং সহিহ মুসলিম বই ৮ হাদিস ৩৩৭১, ৩৩৭৩]
হাদিস থেকে সাক্ষ্য পাচ্ছি, ইসলামের নবী অধিকৃত নারী ধর্ষণের ব্যাপারে কোন বাধা তৈরী করেননি, বরং সঙ্গম পরবর্তী বীর্য-স্থলন ধর্ষিত নারীর দেহের বাইরে ঘটানো কে অনুৎসাহিত করছেন । যারা সাধারণত আজল প্রকৃয়া অনুসরণ করতে ইচ্ছুক ছিল তাদের মুলত দুইটি উদ্দেশ্য ছিল — প্রথমত, তারা চায়নি ধর্ষিত নারীরা গর্ভবতী হয়ে যাক, এবং দ্বিতীয়ত, তারা যেন পরবর্তিতে বিক্রি করার মত অবস্থায় থাকে । কেননা, কোন যুদ্ধবন্দিনী এরূপ বল-পুর্বক সঙ্গমে গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিক্রি করা সম্ভবপর হত না । মধ্যযুগীয় আরবে দাস কেনা-বেচা ছিল খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, যার প্রমান মেলে সমগ্র কোরআন ও হাদিসে । ধর্মের প্রসার এবং যুদ্ধের নামে বিধর্মী নিরস্র মানুষের ওপর অতর্কিত হামলা চালানোর উদ্দেশ্য ছিল মুলত যৌন-দাসি সংগ্রহ এবং বন্দীদের দাস হিসেবে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন ।
নিচের হাদিসটি উক্ত বিষয়ের ওপর আরো একটু আলোকপাত করে,
[সহিহ মুসলিম বই ১৯ হাদিস ৪৩৪৫]
সালামা কতৃক বর্ণীত : আমরা ফযরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম, আর আবু বকর আমাদের সেনাপতি ছিলেন যাকে আল্লাহর নবী নিযুক্ত করেছিলেন । রাতের শেষ ভাবে আমরা তাদের ওপর চারিদিক থেকে অতর্কিত আক্রমণ করি, এবং তাদের পানিপূর্ণ স্থানে পৌছাই যেখানে তাদের সাথে যুদ্ধ সংগঠিত হয় । শত্রুদের কিছু হত্যা করা হয় আর কিছু বন্দী হিসেবে নেওয়া হয় । আমি কিছু মানুষের জটলা দেখতে পাই যাদের সবাই হয় নারী নয় ছোট বাচ্চা ছিল । আমি আশংকা করছিলাম তাদের ধরার আগেই তারা পাহাড়ের ওপাশে চলে যাবে, তাই তাদের আর পাহাড়ে মাঝে আমি তীর নিক্ষেপ করলাম । এটা দেখে তারা পালানো থেকে বিরত থাকল । তারপর আমি তাদের ধরে নিয়ে আসলাম । তাদের ভেতর বনি ফযরদের এক নারী ছিল, আর সাথে ছিল তার কন্যা, বলা যায় আরবের সুন্দরী রমনীদের মাঝে সে একজন । আমি তাদের তাড়িয়ে নিয়ে আসলাম আবু বকরের কাছে, আর তিনি ঐ মেয়েটিকে আমাকে দিলেন যুদ্ধে-লব্ধ মালের ভাগ হিসেবে ।
একজন মুসলিম পুরুষ, হোক সে অবিবাহিত কিংবা এক বা একাধিক নারীর স্বামী, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে নিজ ইচ্ছাধীন যে কয়জন খুসি ক্রীতদাসি রাখতে পারেন । একজন দাসির কোন অধিকার নেই প্রভুর নির্দেশ অস্বীকার করার, তার যৌন-ডাক উপেক্ষা করার, যতক্ষন না গুরুতর কোন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে । যদি সে তা করে, তবে প্রভু যেকোন প্রকারে সাঁজা প্রদানের মাধ্যমে তাকে শৃংখলায় আনতে পারবে, আর তা ইসলামি নিয়মে স্বীকৃত । দাসি ব্যাবহার তথা ধর্ষণের বিবিদ নিয়ম, নির্দেশিত আছে ধর্মীয় পোশাকে, পরিবর্তন ঘটেছে সময়ের সাথে সাথে পুরুষের ইচ্ছাধীন । ইসলাম কতৃক ধর্ষিত দাসিকে কখনো বা আখ্যায়িত করা হয় উপপত্নী (concubine) নামে, যাকে বিক্রয় অথবা বর্জন করার ক্ষমতা রাখেন প্রভু ।
ইবনে কাথির আয়াত ৪:২৪ এর ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন,
‘‘ আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমাদের জন্যে সব নারী বৈধ এই শর্তে যে, তোমরা তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য, ব্যভিচারের জন্য নয়’ – অর্থাৎ তোমরা তোমাদের অর্থ ব্যাবহার করতে পারো সর্বোচ্চ চারজন নারীকে বিবাহের উদ্দেশ্যে এবং যতজন খুসি দাসি কেনার জন্যে, তবে অবশ্যই তা বৈধ পথে । ’’
ইসলামি পন্ডিত ইবনে জাবির আল-তাবারির ভাষ্যমতে,
‘‘ আল্লাহ বলেছেন, ‘আর তারা যারা তাদের পবিত্রতা বজায় রাখে…(৭০ : ২৯-৩০)’ অর্থাৎ নিজেদের যৌনাঙ্গ সংযত রাখে সেসব কাজ থেকে যা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন, তবে তারা কোনরূপ অভিযুক্ত হবে না যদি তারা তাদের স্ত্রী এবং অধিকারভুক্ত দাসিদের সাথে যৌন সম্পর্ক রাখে । ’’
নারীদের ক্রীতদাস বানিয়ে ধর্ষনের ব্যাপারে নিচের হাদিসগুলো কী আলো ফেলে দেখা যাক ।
[সুনান আবু দাউদ বই ৩১ হাদিস ৪০০৬]
মুয়াইয়া ইবনে হায়দা বর্ণীত, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর নবী, কাদের থেকে আমাদের যৌনাঙ্গ সংযত রাখতে হবে (অর্থাৎ যৌন সম্পর্ক করা যাবে না), আর কাদের বেলায় আমরা তা ব্যাবহার করবো ?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা তোমাদের যৌনাঙ্গ সংযত রাখো তাদের ব্যাতিত যারা তোমাদের স্ত্রী এবং যারা তোমাদের অধিকৃত কিংবা ক্রয়কৃত দাসি ।’
[সহিহ মুসলিম বই ৮ হাদিস ৩৩৮৩]
জাবির বর্ণনা করেছেন যে, এক ব্যাক্তি আল্লাহর নবীর কাছে আসল, এবং বলল, ‘ও আল্লাহর রসুল, আমার কাছে যুদ্ধে পাওয়া একজন বন্দিনী আছে যে আমাদের দাসি, এবং আমি তার সাথে যৌন সংসর্গ করে থাকি । কিন্তু আমি চাইনা সে গর্ভবতী হয়ে পড়ুক ।’ আল্লাহর নবী বললেন, ‘আজল প্রকৃয়া অনুসরণ করো, যদি পছন্দ করো তো । তবে আল্লাহ কতৃক তার (দাসি) জন্যে যা নির্ধারণ হয়ে আছে তা হবেই ।’
একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাবে [সুনান আবু দাউদ বই ১১ হাদিস ২১৬৬ এবং সহিহ বুখারি বই ৭৭ হাদিস ৬০০]
[মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০]
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে । মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘এমন এক ব্যাক্তি যার কয়েকজন স্ত্রী এবং কিছু সংখ্যক দাসি রয়েছে, সে কি গোছলের পুর্বে একসঙ্গে সবার সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবে ?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘গোছলের পুর্বে কোন ব্যাক্তি তার অধিকৃত দুই দাসির সঙ্গে যৌনকৃয়ায় অংশ নিলে তাতে দোষের কিছু নেই । কিন্তু যেদিন এক স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনের দিন থাকবে সেদিন অন্য স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে না । তবে এক ক্রীতদাসির সাথে যৌন মিলন সম্পন্ন করে অন্য এক দাসির সাথে সহবাস আপত্তিকর নয়, যদিও সে ব্যাক্তি যুনুব (সঙ্গমের পর দেহে বীর্য লেগে থাকার অবস্থা) ।’
[মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৩]
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—উবায়দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ—তার পিতা থেকে। উমর ইবনে আল-খাত্তাব কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘কোন ব্যাক্তির এক ক্রীতদাস মহিলা এবং তার কন্যা রয়েছে । তাহলে ঐ ব্যাক্তি কি পারবে ক্রীতদাসি ও তার কন্যার সাথে পরপর সঙ্গমে লিপ্ত হতে ?’ উমর বললেন, ‘আমি এমনটা করা পছন্দ করি না।’ এরপর তিনি এধরনের কাজ নিষিদ্ধ করে দিলেন ।
[মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.১৭.৫১]
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে । আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বললেন, ‘কোন ব্যাক্তি যদি তার ক্রীতদাসকে বিয়ে করার অনুমতি দেয়, তবে তালাকের ক্ষমতা থাকে ক্রীতদাসের হাতে । এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারবে না । কোন ব্যাক্তি যদি তার ক্রীতদাসের কন্যা অথবা তার ক্রীতদাসির কন্যা নিজের জন্যে নিয়ে নেয় তবে সে ব্যাপারে কারো কিছু বলার নেই।’
[মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.৩২.৯৯]
ইয়াহিয়া—মালিক—দামরা ইবনে সাইদ আল মাজনি—আল হাজ্জাজ ইবনে আমর ইবনে গাজিয়া থেকে: উনি (আল হাজ্জাজ) জায়েদ ইবনে তাবিতের সঙ্গে বসে ছিলেন, যখন ইয়েমেন থেকে ইবনে ফাহদ তার কাছে আসলেন । তিনি (ইবনে ফাহদ) বললেন, ‘আবু সাইদ, আমার কাছে এক দাসি আছে, আর আমার কোন স্ত্রীই এই দাসির মত উপভোগ্য নয় । আমার কোন স্ত্রীই আমাকে এরূপ তৃপ্তি দানে সক্ষম নয় যে আমি তার থেকে কোন সন্তান চাই । তাহলে কি আমি তাদের সাথে আজল করতে পারি ?’ জায়েদ ইবনে তাবিত বললেন, ‘হে হাজ্জাজ, আপনি আপনার অভিমত দিন ।’ আমি বললাম, ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন । আমরা আপনার সাথে বসি যাতে আপনার থেকে কিছু শিখতে পারি ।’ তিনি বললেন, ‘আপনার মতামত জানান ।’ আমি বললাম, ‘ওই দাসি তোমার ময়দান, তুমি চাইলে সেখানে পানি ঢাল অথবা ইচ্ছে হলে তৃষ্ণার্ত রাখো । আমি জায়েদের থেকে এই শুনেছি ।’ জায়েদ বললেন, ‘উনি সত্য বলেছেন ।’
ইসলামি দলিল সাক্ষ্য দিচ্ছে মুসলিম সাম্রাজ্যে নারীর ব্যাবহার, পুরুষের অধীনে তার নির্বাক ধর্ষিত হওয়ার উপাখ্যান । আল্লাহ তার অনুসারীদের জন্যে যেকোন দাসির সাথে যৌন সম্পর্কের অনুমোদন দিয়েছেন, যদি দাসিটি হয় তার অধিকারভুক্ত, এবং তা কোনভাবেই ব্যাভিচার বলে গণ্য হবে না । ইসলামি পন্ডিতদের মাঝেও কোন নারীকে নিজ উপপত্নি রাখা বা কোন দাসির সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া (অন্য কথায় ধর্ষণ) নিয়ে কোন বিতর্ক নেই (ইসলামি পন্ডিত ইবনে কুইদামা-র ভাষ্যমতে) । এমনকি একজন স্ত্রীরও অধিকার নেই এব্যাপারে তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করার—যেমনটি হওয়ার কথা পুরুষ-স্বার্থে রচিত ইসলামি ধর্মতন্ত্রে ।
ইসলামের নবী, আর তার অনুসারীগণ যুদ্ধের সুবিধা নিতেন নারী সংগ্রহের মাধ্যমে—নিজেদের যৌন চাহিদা মেটাতে, আর তাদের বিক্রি করে দিতেন মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে । সমগ্র জাহানের সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ, তার অনুসারীদের চাহিদা মেটাতে ধর্ষণের অনুমোদন দিয়ে রেখেছেন ধর্মীয় বানীতে । নবী নিজে যুদ্ধবন্দিনী ভোগ করেছেন, যার সাক্ষ্য পাওয়া যায় ঐশী গ্রন্থে, আর বন্দী নারীদের বণ্টন করে দিতেন সহযোদ্ধাদের মাঝে—যুদ্ধে লব্ধ মালের ভাগ হিসেবে ।
কোরআনের আয়াতে আল্লাহ নিজেই স্বীকার করেছেন তার প্রেরিত পুরুষ কতৃক বন্দী নারী ধর্ষনের সত্যতা ।
[সুরা আল-আহযাব আয়াত ৫০]
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন (যুদ্ধক্ষেত্রে) এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল ।
O Prophet, indeed We have made lawful to you, your wives, to whom you have given their due compensation and those your right hand possesses from what Allah has returned to you [of captives] and the daughters of your paternal uncles and the daughters of your paternal aunts and the daughters of your maternal uncles and the daughters of your maternal aunts who emigrated with you and a believing woman if she gives herself to the Prophet [and] if the Prophet wishes to marry her.
[সহিহ বুখারি বই ৮৯ হাদিস ৩২১]
আয়েশা কতৃক বর্ণীত, আল্লাহর নবী নারীদের থেকে আনুগত্যের শপথ গ্রহন করতেন আয়াত ৬০:১২ ‘…তারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না’ -নাজিল হওয়ার পর । এবং আল্লাহর নবীর হাত তাঁর দক্ষিণ হস্ত যাদের অধিকার করেছে (যুদ্ধবন্দিনী এবং ক্রীতদাসিগণ) তাদের ব্যাতিত অন্য কোন নারীকে স্পর্শ করেননি ।
ইবনে কাথির আয়াত ৩৩:৫০ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন,
‘‘ আল্লাহ বলেছেন, ‘আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন’ –অর্থাৎ সেই সকল বন্দিনী যারা যুদ্ধের ময়দানে সংগৃহিত হয়েছে, তাদের থেকে কাউকে উপপত্নী রূপে গ্রহন করা নবীর জন্যে অনুমোদিত ছিল ।
তিনি সাফিয়া এবং জুয়াইরিয়া কে যুদ্ধ বন্দিনী হিসেবে নিজের অধিকারে পেয়েছিলেন । তিনি তাদের মুক্ত করেছিলেন এবং বিয়ে করেছিলেন । সাফিয়া বিনতে হুয়াই, যাকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন খায়বারের যুদ্ধবন্দিনীদের থেকে, আর তাকে মুক্ত করেছিলেন (দাসিবৃত্তি থেকে) যা ছিল তার বিয়েতে প্রাপ্য দেনমোহর । জুয়াইরিয়া বিনতে আল-হারিত এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটেছিল; তিনি তার মুক্তি কিনেছিলেন তাবিত বিন কায়েস এর থেকে, এবং বিয়ে করেছিলেন ।তাঁর অধিকারভুক্ত ছিল রায়হানা ইবনে সামউন আন-নাদারিয়া এবং মারিয়া আল-কিবতিয়া (নবী পুত্র ইব্রাহিমের মাতা); তারা উভয়ই যুদ্ধবন্দিনী দের ভেতর থেকে এসেছিল । ’’
সাফিয়া বিন্তে হুয়াই ছিল ১৭ বছর বয়সী, কিনানা ইবনে আল-রাব্বি নামক এক ইহুদি-নেতার স্ত্রী । নবী মুহম্মদ যখন খাইবার যুদ্ধে ইহুদি নগর জয় করলেন, তিনি আল-রাব্বি কে নির্যাতন করে হত্যা করলেন, আর তার স্ত্রীকে করলেন বন্দী । পরবর্তী ইতিহাস জানায়, সাফিয়া মুক্তি পেয়েছিলেন সে রাত্রেই, নবীকে বিয়ের মাধ্যমে; অন্য কথায়, স্বামী হন্তকের দ্বারা পবিত্র ধর্ষণের মাধ্যমে । কোন নারীর স্বামী-পরিবারকে হত্যা করার পর তাকে বিয়ে করায় কোন মহত্ব নেই, বরং তা বিয়ের নামে দীর্ঘমেয়াদি ধর্ষণ । এক রাতে নিজ পরিবারের লোকেদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী থাকার পর একজন নারী পরের রাতেই স্বইচ্ছায় নিজের দেহ হত্যাকারীর সামনে তুলে ধরবে, একথা ভাবাও হাস্যকর !
[সহিহ বুখারি বই ৮ হাদিস ৩৬৭]
আব্দুল আজিজ বর্ণীত, আনাস বলল: ‘‘যখন আল্লাহর নবী খাইবার আক্রমণ করলেন …. আমাদের কিছু সহযোদ্ধা যোগ করলো, ‘আমরা খাইবার দখল করে নিয়েছি, বন্দীদের পেয়েছি, আর কিছু মালামাল লুট করেছি’ । দিহিয়া আসল, এবং বলল, ‘ও আল্লাহর নবী, আমাকে একজন বন্দিনী দাসি হিসেবে দিন’ । নবী বললেন, ‘যাও, আর যেকোন একজন কে দাসি হিসেবে নিয়ে নাও’ । সে সাফিয়া বিন্তে হুয়াই কে বেছে নিল । একজন নবীর কাছে এগিয়ে আসল, বলল, ‘ও আল্লাহর রসুল, আপনি দিহিয়া কে সাফিয়া বিন্তে হুয়াই দিয়ে দিলেন, কিন্তু সে কুরাইজা এবং আন-নাদিরের গোত্র প্রধানের স্ত্রী । আপনি ব্যাতিত কারো সে নারী প্রাপ্য হতে পারে না’ । নবী নির্দেশ দিলেন, ‘তাকে এখানে নিয়ে এসো’ । সাফিয়া কে নিয়ে দিহিয়া সেখানে আসলে, নবী তাকে (সাফিয়া) দেখলেন, আর দিহিয়াকে বললেন যেন সে অন্য কোন বন্দিনী নিয়ে নেয় ।’’ আনাস যোগ করল, ‘‘নবী তখন তাকে দাসি থেকে মুক্তি দিলেন এবং বিয়ে করলেন । ফেরার পথে উম সুলাইম মেয়েটিকে বিয়ের জন্যে পোশাক পড়িয়ে দিল এবং রাতের বেলা তাকে নবীর কাছে কনে রূপে পাঠিয়ে দিল’’ ।
একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাবে [সহিহ মুসলিম বই ৮ হাদিস ৩৩২৯]
[সহিহ বুখারি বই ৪৬ হাদিস ৭১৭]
ইবনে আন বর্ণীত, আমি নাফিকে এক পত্র লিখলাম, জবাবে নাফি আমাকে জানাল যে, ‘কোনরূপ সতর্ক করা ছাড়াই নবী হঠাৎ বনি মুস্তালিক আক্রমণ করেছেন, যখন তারা ছিল নিজেদের কাজে ব্যাস্ত, আর গবাদি পশুগুলো চড়ে বেড়াচ্ছিল । তাদের ভেতর যারা যুদ্ধ করছিল তারা মরল এবং তাদের নারী ও বাচ্চা যারা ছিল বন্দী করে নেওয়া হল । সেদিনই আল্লাহর নবী জুয়াইরিয়া কে বন্দী হিসেবে পেলেন ।’ নাফি জানাল যে এটা ইবনে উমর কতৃক বর্ণীত, আর তিনি সৈন্যদের ভেতর ছিলেন ।
একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাবে [সহিহ মুসলিম বই ১৯ হাদিস ৪২৯২ ]
ইবনে হিসাম –এর ‘সিরাত-এ-রাসুলুল্লাহ’ এবং আল-তাবারি ’র ‘তারিখ আল-রসুল ওয়া আল-মুলুক’ সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত পুরুষ নবী মুহম্মদের সাথে দুইজন দাসির (concubine) বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে ।
মারিয়া আল-কিবতিয়াহ, ক্রীতদাসিদের ভেতর একজন, যাদেরকে ইজিপ্টের শাসক উপহার স্বরূপ প্রেরণ করেছিলেন আল্লাহর নবীর কাছে । ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মারিয়ার সৌন্দর্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্ত্রীরা আপত্তি তোলায় নবী তাকে বিবাহ করতে পারেননি; বরং তাকে যৌন-দাসি করে রাখেন, যার ফলস্বরূপ জন্ম নেয় নবী পুত্র ইব্রাহীম, আর তাকে বলা হয় উম-ওয়ালাদ (একজন ক্রীতদাসি যে তার মুনিবের সন্তান গর্ভে ধারণ করে) । আল-তাবারি এবং ইবনে সা’দ-এর ‘The Life of Prophet’ গ্রন্থে মারিয়া কে নবী মুহম্মদের উপপত্নী রূপে উল্লেখ করা হয়েছে ।
রেহানা বিনতে যায়েদ, বানু কুরাইজার এক ব্যাক্তির স্ত্রী, বন্দী হন যখন নবীর অনুসারীগণ বানু কুরাইজা আক্রমণ করেন এবং সেখানকার সকল পুরুষকে (প্রায় ৬০০-৭০০) হত্যা করেন । আল-তাবারি এবং ইবনে ইসহাকের ‘The Life of Muhammad’ গ্রন্থ অনুসারে, নবী মুহম্মদ সেখানকার সকল নারীকে ক্রীতদাসি করে নেন, আর রেহানার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাকে নিজের জন্যে বেছে নেন । তিনি তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে এবং বিয়ের ব্যাপারে প্রস্তাব করেন, কিন্তু রেহানা তা অস্বীকার করায় শেষ পর্যন্ত তাকে নবীর যৌন-দাসির তালিকায় স্থান পেতে হয় ।
পূর্ব আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ইসলামের প্রতিষ্ঠার সাথে ধর্ষণ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত । যুদ্ধের ময়দান একজন ধার্মিকের জন্যে সম্ভোগ ক্ষেত্র— বন্দী নারীদের যৌনদাসি করা এবং নিজেদের মাঝে তাদের বণ্টন ব্যাবস্থা ইসলাম দ্বারা স্বীকৃত— কোন নারী কে দাসি রূপে ক্রয় করা এবং তার ইচ্ছাধীন ব্যাবহার সৃষ্টিকর্তা নির্দেশিত । বিভিন্ন ইসলামিক পন্ডিত এমন এক উন্মুক্ত সত্যকে কখনো অস্বীকার করেন না, কিংবা করতে পারেন না । প্রচলিত অন্য সব ধর্মের মতই, ইসলাম, পুরুষের সাম্রাজ্যকে পুরুষের স্বার্থ চিন্তা করেই গড়ে দিয়েছে— যেখানে একজন নারী শুধুমাত্র তাদের যৌন সম্পদ, যাদের জীবন-যৌবন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা একমাত্র পুরুষের ।
কোরআন, তার বিশ্বাসী পুরুষকে সম্মতি দিচ্ছে যুদ্ধেবন্দী নারী এবং ক্রীতদাসিদের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতে, আর হাদিস জানাচ্ছে কিভাবে ধর্মানুসারীরা তার প্রয়োগ বাস্তবে ঘটিয়ে গেছেন । জয়ী মুসলিমগণ পরাজিত যুদ্ধ-ভূমিতে দাঁড়িয়ে লুট করে আনা অসহায় নারীদের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে, যাদের পরবর্তীতে বিক্রি করা হয়েছে দাস বাজারে । একজন যুদ্ধবন্দিনীর, যার স্বামী-পরিবার মুসলিমদের হাতে নিহত অথবা বন্দী, সম্মতি থাকতে পারে না সে যৌনতায়; যার ভবিষ্যত লেখা হয়ে গিয়েছিল তখনি—কোন পুরুষের যৌন-দাসি হয়ে জীবন অতিবাহিত করায় !
একজন নারী ধর্ষিত হলে ইসলাম ধর্ম অনুসারে কী বিধান প্রযোজ্য হবে ?
ঐশীগ্রন্থ কোরআনে সরাসরি ধর্ষণের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই— একজন বিশ্বাসীর কাছে তা যতই পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হোক না কেন । ইসলামিক আইন জানায়, কোন নারী-পুরুষের যৌন-মিলন তখনই ধর্ষণ বলে গণ্য হবে যখন, হয় ধর্ষক নিজে সেটা স্বীকার করবে, অথবা অন্তত পক্ষে চারজন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত হয়ে সে ব্যাপারে সমর্থন দেবে (৪:১৫ এবং ২৪:৪ অনুসারে)— নতুবা এধরণের অভিযোগ গৃহীতই হবে না ।
[সুরা আন-নিসা আয়াত ১৫]
আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন।
Those who commit unlawful sexual intercourse of your women – bring against them four [witnesses] from among you. And if they testify, confine the guilty women to houses until death takes them or Allah ordains for them [another] way.
উপরোক্ত আয়াত থেকে স্পষ্টই বোঝা সম্ভব, অনুমোদিত শাস্তির বিধান শুধুমাত্র একজন জিনাকারী (বিয়ে-পূর্ব যৌন সম্পর্ক ও বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক) তথা ব্যাভিচারীর জন্যেই প্রযোজ্য, যেখানে অভিযোগ প্রমানের জন্যে প্রয়োজন চারজন বিশ্বাসযোগ্য পুরুষের সমর্থন । যতদূর বোঝা যায়, ঐশীবানী নাজিলের সময়কালে বল-পুর্বক যৌনতা ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা, ফলে তার বিরুদ্ধে কোনরূপ নির্দেশনার প্রয়োজন পড়েনি । আর একারনেই বর্তমান সময়কালে ব্যাভিচারের বিধানই হয়েছে ধর্ষণের বিধান । কোন নারী, যিনি ধর্ষনের অভিযোগ এনেছেন, তিনি যদি চারজন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারেন, তবে সেটা শুধুমাত্র তাদের ভেতরকার যৌন সম্পর্কেরই প্রমান দেবে— এক্ষেত্রে তাদের কেউ যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তবে উলটো তারা উভয়ই ব্যাভিচারের সাঁজা ভোগ করবেন ।
প্রকৃত মানে এই দাড়ায়, ইসলামিক আইন তথা শরিয়াহ মোতাবেক ধর্ষণের ঘটনা প্রমান করা প্রায় অসম্ভব । কেননা যদি অভিযুক্ত ব্যাক্তি দাবি করেন যে তাদের যৌন সম্পর্ক পরস্পরের সম্মতিতে ঘটেছিল, তবে এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নারীর করার তেমন কিছুই থাকে না (যেহেতু তিনি কোন প্রকার প্রমান উপস্থিত করতে ব্যার্থ হয়েছেন) । ইসলামি ফতোয়া অনুযায়ী, কোন নারীর কাছে যদি এমন কোন প্রমান না থাকে যা তার অভিযোগ সত্য দাবি করে, তবে তার উচিত নয় কোন পুরুষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করা । -এটা অকল্পনীয় এবং হাস্যকর যে, একজন ধর্ষক বল-পুর্বক সঙ্গম-ক্রিয়ার সময় সেখানে কোন সাক্ষী উপস্থিত রাখবে !
ইসলামি আইনে, দাম্পত্য জীবনেও ধর্ষণ বিষয়ক কোন ব্যাপার নেই । একজন স্ত্রীর কোন অধিকার নেই তার স্বামীর যৌন-ডাক উপেক্ষা করার (গুরুতর কোন কারণ ব্যাতিত); একজন পুরুষ যখনি আহ্বান করবে, সাড়া দিতে হবে তার স্ত্রীকে— প্রয়োজনে শারীরিক শাস্তি প্রদানের বিধান দেয় ইসলাম ।
[সুরা নিসা আয়াত ৩৪]
আর যাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে কোন অবাধ্যতা খুঁজে পাও তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না।
As to those women on whose part you see ill conduct, admonish them, and abandon them in their beds, and beat them, but if they return to obedience, do not seek a means against them.
আল-বুখারি (৩২৩৭) এবং মুসলিম (১৪৩৬) বর্ণনা করেছেন,
আবু হুরাইরা বললেন : আল্লাহর নবী জানালেন, ‘যদি কোন ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে (যৌন-ক্রিয়ার উদ্দেশ্যে) এবং সে তা উপেক্ষা করে, এবং উক্ত ব্যাক্তি স্ত্রীর ওপর রাগ নিয়ে রাত্রি যাপন করেন, তবে ফেরেস্তারা সকাল পর্যন্ত ঐ মহিলাকে অভিশাপ প্রদান করতে থাকেন ।’
সুতরাং যখন কোন নারী তার স্বামীর আদেশ উপেক্ষা করে, তাকে তার অবাধ্যতার ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে, আর ভয় প্রদর্শন করতে হবে আল্লাহর নির্দেশ এবং ফেরেস্তাদের অভিশাপের ব্যাপারে । এরপরেও যদি সে স্ত্রী তার আহ্বানে সাড়া না দেয়, তাকে আঘাত করা যাবে শারীরিক ভাবে; অতঃপর যৌনক্রিয়ায় জোর করলেও উক্ত ব্যাক্তি কোনরূপ অভিযুক্ত হবে না ।
বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশই ইসলামিক আইন কঠোর ভাবে অনুসরণ করে না, বরং পাশ্চাত্যের ধার করা নিয়মানুসারেই চলে । ফলে এসব দেশের ধর্ষিতরা প্রায়শই সঠিক বিচার পেয়ে থাকে, এবং তা বিজ্ঞান সম্মত প্রমানের ওপর ভিত্তি করেই ।
=============
অন-লাইন কোরআন http://quran.ksu.edu.sa/index.php?l=bn#aya=1_1
অন-লাইন হাদিস http://bukharishareef.blogspot.com/
অন-লাইন তাফসির (ইবনে কাথির) http://www.quran4u.com/tafsir%20ibn%20kathir/Index.htm
(চলবে) পরবর্তী অধ্যায় (নারীর মূল্যায়ন)
অতিথি লেখক, আপনার প্রতি ভালোবাসা…পর্ব ২ এর অপেক্ষায় থাকলাম
বুঝলাম
মানবের, ধর্মের প্রতি অনুরাগ বা বিশ্বাষের একটি অন্যতম কারনই হচ্ছে আস্তাহীনতা আর এই আস্তাহীনতা হচ্ছে নিজের প্রতি। মানুষ নানা বিষয়ে যখন নিজের কোন অক্ষমতা দেখতে পায় তখন সে বিভিন্ন ভাবে অন্যের সাহায্য প্রার্থনা করে থাকে। এটি মানুষের সহযাত প্রবৃত্তি , যখনই সে কাংক্ষিত সাহায্য সহযোগিতা পায়না তখনই তার মধ্যে অতিপ্রাকৃতিক সাহায্যের প্রতাশার সৃষ্ঠি হয় । ধর্মীয় বিশ্বাষ গুলো ঠিক এই জায়গায় কাজ করে।তাই যুগ যুগ ধরে জ্ঞানহীন সাধারণ দরিদ্র মানুষ এই ধর্মমত গুলোকে লালন করে আসচ্ছে । বহু সময় ধরে ধর্মীয় বিধিবিধান দিয়েই পৃথিবীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বিচারিক বিষয়গুলি পরিচালিত হয়েছে।এরি মধ্যে কিছু বিধান আমাদের জীবনের মৌলিক বিষয়ে পরিনত হয়েছে এর অন্যতম উদাহরণ হতে পারে মৃত ব্যক্তির লাশ সৎকার। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্হায় আমরা এইজাতিয় আনেক বিষয়ে আজও গ্রহনযোগ্য কোন সমাধানে আসতে পারিনি। আর এই সুযোগ গুলই কাজে আসচ্ছে একটি জনগোষ্ঠীর তাদের আধিপত্য কায়েম রাখতে। যখন এই ধর্মগ্রন্হ গুলি সাধারণ মানুষ বোধগম্য ভাষায় পড়তে পারবে এবং ব্যপক জনগোষ্ঠী এর অন্তসার শুন্যাতার বিষয়টি অবহিত হবে তখন আর এর তেমন গ্রহন যোগ্যতা থকবে না। এমনিতেই আল-কোরান এমন নতুন কোন কিছুই লিপিবদ্দ করে নাই যা এর আগে আর কোথাও বর্নিত হয় নাই এই গ্রহ্নের প্রায় সবটাই পূর্বতন ধর্মগুলোরই বিবরন ভিন্ন ভাবে যা আরবের মরুভুমিতে লোক-গাঁথা হয়ে আছে হাজার বছর ধরে। নতুনত্ত আছে এর শুধু শব্দ নির্বাচন আর বাক্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে ।তাই এসব নিয়ে খুব বেশী তির্যক সমালোচনা না করে যুক্তি নির্ভর আলোচানার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা খবই জরুরি।
ভালো লাগলো
আমি বারবার মুসলিম এপোলজেটিকদের কাছ থেকে শুনি, ইসলাম খুব সুন্দর, এমনকি পারফেক্ট ধর্ম। কিন্তু কিছু দুষ্টু এই সুন্দর ইসলামের অপব্যবহার করছে। শান্তির ধর্মকে জঙ্গির ধর্ম বানিয়ে ফেলেছে। এরা অন্যের ভুল ধরবে, এমনকি নিজেকেও দোষী মনে করবে কিন্তু ইসলামের কোন ভুল তাদের চোখে পড়বে না। ইসলাম ভাল, (কিছু) মুসলিম খারাপ তাই তাদের দোষ ইসলামের গায়ে লাগছে। সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে এরা, বিজ্ঞানকে, নিজের কালচারকে, মুল্লাদেরকে, এমনকি হাদিসকে, কিন্তু প্রশ্ন করার ইতি পরে যায়, যেই তারা, কোরান, মোহাম্মাদ বা আল্লার সম্মুখীন হয়। এই “তিন মূর্তির” কোন দোষ দেখাই যাবে না, এর কোন ভুল থাকতেই পারে না। কেন? না আল্লা, আল্লার বাণী বা আল্লার নির্বাচিত ইস্পেসাল নবীর উপরে প্রশ্ন করার প্রশ্নই উঠতে পারে না। আসলে যে বিশ্বাসকে তারা ধ্রুব সত্য বলে মেনেই নিয়েছে তাকে কেমন করে প্রশ্ন করবে এরা? তাই কোরানের আয়াত বার করে করে খারাপ দিকগুলো দেখালেও এরা মানতে চায় না।মহাম্মাদের ত্রুটি/ কলঙ্ক-ও চোখে পড়ে না। মানসিক ভাবে তারা এমন একটা জায়গাতে আসতেই পারে না, যেখান থেকে সমালোচনা গুলকে নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করা যায়। প্রশ্ন করার জায়গাতে আসতে গেলে আন্তত এটা মানতে হবে, কোরান/ মোহাম্মাদ/ আল্লা কেও যাচিয়ে দেখা যেতে পারে ঠিক যেমন ভাবে আমরা অন্য আন্য মানুষ ও মতামতকে যাচাই করে দেখি। কিন্তু ইসলামিক বিলিফ-সিস্টেমের মধ্যে থেকে তা সম্ভব নয়। এই “তিন মূর্তিকে” প্রশ্ন করার কথা ভাবাও স্বধর্ম ত্যাগের সমান। এবং ইসলাম ত্যাগ করাকে ইসলাম তেমন একটা নরম ভাবে দেখে না! :guli: :-[
@অর্থ,
ভয় হল মূলধন ইসলামী চরিতে, কোর-আন্ খূলিলেই পাবে তাহা পড়িতে;
প্রায় পাতা এককথা সন্দেহ কুনোনাই; বিশ্বাস ভয় কর যুক্তির কথা নাই।
চাইলেই যেতে হবে শয্যায় বিবিকে, যেবা খুশী ব্যাবহার অথরিটি স্বামীকে;
সূরা পড় বাকারা দুশ-তেইশ আয়াতে, ছিঃ নারী স্বাধীনতা পতিটিরই ছায়াতে।
হুকুম না-মানো যদি আল্লার রসুলে, অবাধ্য আল্লার; পড়ে গেলে অকূলে,
নিসা পড় মনদিয়ে আশীতম আয়াতে, এইকথা লেখা আছে পবিত্র ছোঁয়াতে।
যাই বলো ওরেভাই কোরানযে পড়াচাই; নিজেপড় বিকল্প মোটেকোন জানানাই।
তাইরে নাইরে নাই; ঘন্টাধ্বনি চাই, স্বপ্নেদোষ লাগিলেরে আবার দিমু ভাই।
যুক্তি ও প্রমানসহ চমৎকার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। ধর্মান্ধদের চোখ ফোটানোর আশা যদিও অল্প, কিন্তু যারা অভ্যাস বশতঃ পিতা প্রপিতার ধর্ম চোখ বুঁজে পালন করে যাচ্ছেন তাদের অনেকের চক্ষু খোলার সম্ভাবনা আছে। (Y)
ইসলামি আইন অনুসারে কোনো নারী-পুরুষের যৌন মিলন তখনই ধর্ষন বলে বিবেচিত হবে যখন;
১) ধর্ষক নিজ থেকে তার অপরাধ গুলো স্বীকার করে নেবে;
নতুবা,
২) ধর্ষিতাকে চার জন পুরুষ সাক্ষী হাজির করতে হবে তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য।
কোনো ধর্ষক তার অপরাধ নিজে স্বীকার করে নেবে সেটা রীতিমত অতিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাকি রইলো সাক্ষ্য প্রদানের অপশনটি। কোনো ধর্ষক ধর্ষন করার পূর্বে চারজনকে দাঁড় করিয়ে রাখবেন তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য; এর চাইতে হাস্যকর কথা আর কোন বইতে বা অন্য কোন দেশের বা জাতীর আইনে পাবেন কি ???
কোনো নারী যদি কারো বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ তোলেন কিন্তু চারজন পুরুষ সাক্ষী হাজির করতে ব্যার্থ হন তখন কিন্তু সেটা সারিয়া আইন অনুযায়ী ধর্ষণটি তাদের মধ্যেকার অবৈধ যৌন সম্পর্ক হিসেবে গণ্য হবে; ফলশ্রুতিতে সেক্ষেত্রে নারীটি দন্ডিত হবে অথবা নারী-পুরুষদের মাঝে কেউ একজন বিবাহিত হলে উভয়কেই শাস্তি পেতে হবে।
দুজনের ইচ্ছায় যৌন সঙ্গম হলে সেখানে এত হাউকাউ কেন ??? একজন পুরুষ এতজনের সাথে (৪ বউ, আর ৭২ হুরের কথাই ধরুন; নারীরা ১ জন পাবে কেন???) সঙ্গম করতে পারবে কিন্তু নারীদের জন্য একজন; কেন ???
যেখানে যৌন সঙ্গম পাপ নয় সেখানে কখনো ধর্ষণই হয়না; এখানে দেখুন।
প্রকৃত মানে এই দাঁড়ায়; ইসলামি শরীয়া মোতাকেব ধর্ষনের ওভিযোগ প্রমান করা প্রায় অসম্ভব কারন অভিযুক্ত পুরুষটি যদি একবার বলেই বসে “আমাদের যৌন মিলন ঘটেছে উভয়ের সম্মতিতে” তাহলে মহিলাটির করনীয় কিছুই থাকবে না কারন সেই কুক্ষনে কেউ সেখানে ছিলনা কেবল তারা দুজন ছাড়া।
কোন সুস্থ মানুষের (অথবা অন্য কোন প্রাণীর) পক্ষে এমন আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়।
আবার ধর্ষণের অন্য একটি ফর্মের কথা বলি।
বিয়ের পরে স্বামী কত্রিক ধর্ষণ। আধুনিক সংজ্ঞা অনুসারে কোন পুরুষ বা নারীর সাথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গম করা বা চেষ্টা করাকেই ধর্ষণ বলে।
সে ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে ???
বুঝলেন কিছু ???
ইসলাম প্রণেতারা কিন্তু আসলে ধর্ষণ কি জিনিস সেটাই জানেনা। তাদের কাছ থেকে এর চাইতে ভালো কিছু আশা করা যায় কি ???
নারীকে শুধু ভোগ্য বস্তু করেই তোলা হয়নি বরং তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে যে “তোমাদের প্রধান কাজ নরম হয়ে শুয়ে থাকা। ভুলেও শক্ত হইওনা; শক্ত হলে ফেরেশতারা সর্বোপরি আল্লাহ রাগ করবেন”। যদি তা নাই হতো তবে স্ত্রীর ইচ্ছা হচ্ছে কিন্তু স্বামী চাচ্ছে না সে খেত্রেও ফেরেশতাদের কষ্ট পাওয়ার কথা ছিল।
ভালো লিখেছেন; পরের পর্ব গুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম 🙂
@এম এস নিলয়,
ব্লগ মোল্লাদের প্রায়ই বলতে শুনি ইসলামী শাসনে চলা দেশগুলোতে নারীরা অনেক সুরক্ষিত, কারন সেসব দেশে ধর্ষনের সংখ্যা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম!! :-O
কিন্তু সেই সব ভন্ড মোল্লারা এটা স্বীকার করে না যে ইসলামী শাসনে চলা দেশগুলোতে নারীদের অধিকার বা স্বাধীনতা বলতে কিছুই নাই; ঐ ইসলাম শাসিত দেশগুলোতে ধর্ষনের শিকার নারীরা ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে উল্টো সেই নারীকেই ব্যভিচারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি প্রদান করা হয়, পাশাপাশি সামাজিকভাবে মান-সম্মান হারিয়ে একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়তো আছেই !!!
যেহেতু ইসলামী শাসনে চলা দেশগুলোতে ধর্ষনের শিকার নারীরা ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহসই পায় না তাই কোন পরিসংখ্যানেই ঐসব দেশের ধর্ষনের প্রকৃত সংখ্যা উঠে আসে না| এই কারণেই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর তুলনায় ইসলামী শাসনে চলা দেশগুলোতে ধর্ষনের সংখ্যা কম দেখায় ! :-s
শরিয়াহ শাসনে ধর্ষনের বিচারের নমুনা দেখেন :
http://www.theguardian.com/world/2014/feb/18/sudan-pregnant-alleged-rape-victim-charged-adultery
————————————–
http://www.dailymail.co.uk/news/article-2621260/Widow-gang-raped-punishment-having-affair-married-man-Indonesia-caned-public-Sharia-law.html
@এম এস নিলয়,
নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করি ।
[সুনান আবু দাউদ বই ৩৮ হাদিস ৪৩৬৬]
ওয়ালি ইবনে হুজুর বর্ণীত, নবীর সময়কালে যখন এক মহিলা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল, এক লোক তাকে জাপটে ধরল এবং জোর খাটালো (সঙ্গম করতে) । মহিলাটি চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়, এবং যখন এক পথচারী সেখানে এসে উপস্থিত হল, মহিলাটি জানালো ঐ লোকটি তার সাথে কিসব করেছে । ভ্রাম্যমাণ কিছু ব্যাক্তি এগিয়ে আসলো, আর মহিলাটি বলল, ঐ লোকটি তার সাথে এসব এসব করেছে । তারা গিয়ে এক লোককে ধরলো এই ভেবে যে এই ব্যাক্তিই মহিলাটির সাথে যৌন ক্রিয়া করেছে, এবং তার কাছে নিয়ে আসল । মহিলাটি বলল, ‘হ্যা, এই সেই ।’ তখন তারা তাকে আল্লাহর নবীর কাছে নিয়ে গেল । যখন নবী কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, প্রকৃত যে লোক মহিলাটির সাথে যৌন ক্রিয়া করেছে উঠে দাড়ালো, আর বলল, ‘আমিই সেই ব্যাক্তি যে তার সাথে এমনটা করেছে ।’ নবী মহিলাটিকে বলল, ‘যাও আল্লাহ তোমাকে মাফ করেছেন ।’ আর যে লোকটি তার সাথে যৌন ক্রিয়া করেছে, তার ব্যাপারে বললেন, ‘পাথর মেরে একে হত্যা করো ।’
কোন স্বাধীন মুসলিম নারীকে ধর্ষণের সাঁজা দেওয়া হবে মৃত্যুদন্ড, নবীর কার্য মোতাবেক, তবে অবশ্যই যদি তা প্রমাণিত হয় । ধর্ষণ বিষয়ে শরীয়া আইন মূলত উক্ত হাদিস কে ঘিরেই তৈরি, যা কতগুলো শর্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করবে— প্রথমত, চারজন বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে, যারা বল-পুর্বক যৌনতার ব্যাপার নিশ্চিত করবে; দ্বিতীয়ত, যদি অভিযুক্ত পুরুষ নিজে তার গুনাহ কবুল করে । সাক্ষী হিসেবে এক্ষেত্রে কোন নারী অগ্রহণযোগ্য, কেননা তারা সল্প বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন ।
ইসলামি আইনে তথা শরীয়ায় ধর্ষণের বিধান নিন্মরূপ,
In case a woman gets raped, she is considered guilty of adultery unless she can provide four adult muslim male witnesses who had watched the action and who would testify that the sex was actually forced on her and that she was not a willing partner in it. If she has only female witnesses in case she was raped by an intruder in front of her fellow wives and slave girls or in a women’s dormitory full of women witnesses then she is out of luck. Her punishment is stoning to death if she is married or hundred lashes if single.
খুবই Interesting ব্যাপার !
@এম এস নিলয়,
ধর্ষণ বিষয়ক বিচারকার্য পরিচালনা করা হয় হুদুদ আইনে । আর হুদুদ আইন বিবেচিত হয় আল্লাহর তৈরী আইন হিসেবে যা কতগুলো গুরুতর বিষয় নিয়ে কাজ করে – চুরি, বিবাহ-পূর্ব যৌন সম্পর্ক (জিনা), বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্ক, মদ্য পান ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য সেবন, এবং ধর্ম ত্যাগ । সমস্যা হচ্ছে, হুদুদ আইনে শুধুমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহনযোগ্য, অন্যান্য অবস্থাগত সাক্ষ্য-প্রমান এখানে গৃহীত হয় না । প্রত্যক্ষদর্শী অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য পূর্ণবয়স্ক পুরুষ হতে হবে । কোন নারীর সাক্ষ্য এখানে অগ্রহণযোগ্য, যেহেতু বুখারী (বই ২৪ হাদিস ৫৪১) ও মুসলিম (বই ১ হাদিস ১৪২) অনুসারে তারা সল্প-বোধবুদ্ধি সম্পন্ন ।
খ্যাতনামা ইসলামি গবেষক সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীর ভাষ্যমতে,
কোন ধর্ষিত নারীকে তার অভিযোগ সত্য প্রমান করতে হলে জিনাকারী বা ব্যাভিচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দুটি শর্তের (চারজন সাক্ষ্য অথবা অভিযুক্ত ব্যাক্তির দোষ স্বীকার) কোন একটি অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে । শর্ত পালিত না হলে উক্ত নারীর সাঁজা হবে ব্যাভিচার (বিবাহিত হলে) অথবা জিনা (অবিবাহিত হলে) করার জন্যে । ফলস্বরূপ, অধিকাংশ ধর্ষিত নারী বাধ্য হন তার ওপর চালানো এই বর্বরতা চেপে রাখতে ।
@রাইট হার্ট,
নারীকে যদি মারতে চাও, চাইর পুরুষে সাক্ষ্য দাও;
আন্ নিসা সূরা চাও, পনেরো আয়াত দেখায়া দাও।
চারটা পুরুষ যদিনা পাও, একাই চারবার সাক্ষী দাও;
আননূর আয়াত ছয় দেখাও, ওই নারীতে দোষ লাগাও।
আপনি সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের পুরা অংশটুকু কিন্তু দেননি।
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। [ সূরা নিসা, আয়াত নংঃ২৪
এখানে কিন্তু স্পস্টই বলা হচ্ছে–
১/ অর্থের বিনিময়ে অর্থাৎ মহরানা দিয়ে দাসীদেরকে বিয়ে করতে হবে।
২/ তাদের সাথে মিলিত হলে অবশ্যই নির্ধারিত হক বা মূল্য পরিশোধ করতে হবে
যা পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে তথা চুক্তির মাধ্যমে হতে হবে।
আবার সূরা নিসার ২৫ নং আয়াতে বলা হচ্ছে–
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না।
এখানেও কিন্তু একই কথা।
কাজেই দেখা যাচ্ছে কোরানে বার বার দাসীদেরকে বিয়ে করার জন্য উতসাহিত করা হয়েছে।
তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সুরা নুর: ৩৩
পরিষ্কার করে বলা হচ্ছে দাসীদের উপর কিছুতেই কোন প্রকার বল প্রায়োগ করা যাবে না।
এখানে আপনি ধর্ষনের কি পেলেন ঠিক বুঝা যাচ্ছে না।
@আরিফ,
প্রথমত, আমি আয়াতের পূর্ণ তাফসির উল্লেখ করে দিয়েছি, যেখানে তারা স্পষ্টরূপে দাসিদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌনতার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন ।
দ্বিতীয়ত, নিচের ইসলামি ফতোয়া দেখুন, (লিঙ্ক শেষে দেওয়া আছে), যেখানে দাসি ধর্ষণের অনুমোদন কত প্রকটভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ।
ফতয়া নম্বর 10382
@আরিফ,
সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতে একটা ব্যাপার এড়িয়ে গেছেন,
এই ”এদেরকে ছাড়া” শব্দটা আপনি লক্ষ্য করছেন না, যা দারা বোঝাচ্ছে ”বিবাহিত স্ত্রীগণ ও ক্রীতদাসি”, যাদের ব্যাতিত বাদবাকি নারীদের মোহর প্রদান করে শুধুমাত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে, ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়া নয় । আবার আয়াত ২৩:৫-৭ বলছে, তারাই সঠিক পথের যারা অন্যকারো প্রতি নিজের কামনা প্রকাশ করে না, তাদের ছাড়া যারা তার স্ত্রী, আল্লাহ যাদের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন, আর তাদের ছাড়া যাদেরকে তারা যুদ্ধবন্দিনীদের ভেতর থেকে লাভ করেছে (অর্থাৎ ক্রীতদাসি) । স্পষ্ট ভাবেই এখানে নির্দেশ করছে, প্রকৃত ইসলাম অনুসারী সেই যে তার যৌন জীবনকে মোহর-প্রদানকৃত স্ত্রীগণ এবং যুদ্ধেপ্রাপ্ত বন্দিনী অর্থাৎ ক্রীতদাসিদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখে ।
সূরা নিসার ২৫ নং আয়াত অনুসারে, যে ব্যক্তির স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, অর্থাৎ মোহর প্রদানে সমর্থ নয়, সে তার অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসী কাউকে বিয়ে করে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারে । যদি নিজের অধিকারভুক্ত না থাকে, সেক্ষেত্রে অন্য কোন ব্যাক্তির ক্রীতদাসীকে বিয়ের ব্যাপারে তার মালিকের অনুমতি নিতে হবে । আয়াতটি একজন পুরুষের স্বাধীন মুসলিম নারী বিয়ের অসমর্থের ফলস্বরূপ দাসী কাউকে বেছে নিতে বলে, তবে এর মানে এই না যে কোন দাসীর সাথে যৌন সম্পর্ক শুধুমাত্র বিয়ে করেই করা যাবে । কেননা দুটো সম্পুর্ণ ভিন্ন বিষয় ।
সুরা নুর: ৩৩ ”And force not your slave-girls to prostitution, if they desire chastity, in order that you may make a gain in the goods of this worldly life. But if anyone compels them, then after such compulsion, Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.” নাজিল হয়েছিল এই কারণে, যে, জাহিলিয়ার লোকেদের মাঝে কেউ কেউ তাদের ক্রীতদাসিদের ব্যাভিচারে বাধ্য করতো অর্থ কামানোর জন্যে, সহজ ভাষায় বেশ্যাবৃত্তি, যা আল্লাহ নিষেধ করে দিয়েছেন ।
তাফসির ইবনে কাথির –
অর্থাৎ আমার লেখার বিপরীতে আপনার উল্লেখিত যুক্তিগুলো খাটছে না । আপনার থেকেও বড় আলেম Ibn Qudaamah বলে দিয়েছেন,
@তারিক
আর উল্টোদিকে এই ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারী নাস্তিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার দেখে মৌলবাদী/মডারেট মুসলিমদের মানসিক-অবস্থাও ভয়াবহ
আপনার সাথে দ্বিমত পশন করলাম কারন আপনি কোন যুক্তি ছাড়াই ইসলামের দোষ খুজতে নেমে পড়েছেন!!!
ইসলাম যদি এতই খারাপ হবে আর টা ত্যাগ করে সবাই দলে দলে নাস্তিকতা কে মেনে নিচ্ছে বলেন তবে ইসলাম ধরমালম্বি দের সংখ্যা এত বাড়ছে কি করে প্রতিবছর?
@এম এস এস রেহমান,
আপনি কি আমার ঐ কমেন্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন? কেন আমি ইসলাম তথা ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে অনৈতিক বলছি, সেই কমেন্টে নিচের এই অংশটুকু পড়ে কি কিছুই বুঝেন নাই ?? :-Y
কয়েকদিন আগে এক ব্লগ মোল্লার সাথে তর্ক হচ্ছিলো ইসলামী শাসনে চলা ইরানে শরিয়াহ আইনে পিতা তার পালিত/দত্তক নেওয়া কন্যাকে বিয়ে করাকে বৈধতা দেওয়া প্রসঙ্গে ! সেই মোল্লা ইনিয়ে-বিনিয়ে এটাই প্রমান করতে চাচ্ছিলো যেহেতু পিতা ও তার পালিত/দত্তক নেওয়া কন্যার মধ্যে কোন রক্তের সম্পর্ক নাই সেহেতু তাদের মধ্যে বিবাহ অনৈতিক ও অস্বাভাবিক না !! বুঝেন এবার মোটামুটি শিক্ষিত মোল্লাদের নৈতিকতা জ্ঞান এই রকম হইলে খাঁটি মৌলবাদীদের নৈতিকতা জ্ঞানের অবস্থা কি !?
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা এত দ্রুত বৃদ্ধির মূল কারন: বাল্য-বিবাহ, বহু-বিবাহ, জন্ম-নিয়ন্ত্রনে অসম্মতি, … ইত্যাদি কারনে দরিদ্র, অশিক্ষিত ও কুসংস্কার আচ্ছন্ন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর “উচ্চ জন্মহার” !!! :-p
@এম এস এস রেহমান,
ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা হারাম । জাকির নায়েকের লেকচার দ্রষ্টব্য । সেক্ষেত্রে পৃথিবীতে মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়বে নয়তো কমবে ?
Is Family Planning necessary – Dr Zakir Naik
@রাইট হার্ট, ভাল একটা কথা বলেছেন। মুসলমানরা জন্ম নিয়ন্ত্রন করে না বলেই তাদের সংখ্যা বাড়ে। প্রকৃতপক্ষে ইসলাম খুব গ্রহন করে এমন সংখ্যা কম। তার চেয়ে বেশী মানুষ ইসলাম ছেড়ে নাস্তিক হচ্ছে। বাংলাদেশ ই তার উত্কৃষ্ট প্রমান।
আপনি এইসব হাদিস গুলোকে বর্তমান কালের সাথে মিলায়ে কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন, চাচ্ছেন যে মুহাম্মদ একজন লুইচ্চা ছিল তার সাহাবীরা আরও বড় রকমের ধর্ষক ছিল (নাউজুবিল্লা)।
একটা সময়ের জন্য দাসিদের সাথে এসব গুলো এ হালাল বলা যায় যেটা আজকের সময়ের জন্য অত্যন্ত ঘ্রিন্ন হয়ে পারে।
আপ্নে কে একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন, মনে করেন থাইল্যান্ড এর সী বিচে দেখবেন মেয়েরা উলঙ্গ হয়ে বসে সান বাথ করতেছে, অই কাজটা কে আপনি যদি কক্সবাজার সী বিচে দেখতে চান তবে নিজের কাছে কেমন আত্নসম্মানে বাধবে।
মদ্দকথা হল, সেই দেশের কালচারে এইটা কে ওরা উদারিকতা ভাবে আর আমরা ভাবি বেলাল্লিপনা।
@এম এস এস রেহমান,
পুর্বশর্ত,
ধর্ম বাঁচাতে চাপাবাজি আর কত ??
@এম এস এস রেহমান, জ্বি সেটাই বলতে চাচ্ছি। মুহা্ম্মদ যুদ্ধবন্দি নারীকে গতিমতের মাল বলে তাকে সোনা টাকা পয়সা ইত্যাদি ভোগ্য পন্যের সাথে তুলনা করেছে। আর ঐ গনিমতের মালকে ভোগ করার অনুমতি ও দিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে এসব কাজ যুদ্ধপরাধ বলে পরিচিত। ১৯৭১ সালে রাজাকার বাঙ্গালি নারীকে গনিমতের মাল বলেছিল এই কনসেপ্টের ভিত্তিতে।
@এম এস এস রেহমান,
আপনার বক্তব্য মেনে নিলে কোরআনের সে সময়ে যে আয়াত গুলো নাজিল হয়েছে তার মধ্যে আনেক গুলো আয়াতই বাদ দিয়ে দিতে হয়।যেহেতু এগুলো আর বর্তমান সময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়।
কিন্তু আল-কোরান তো অপরিবর্তনিয় সেটার কি হবে ? এই বিষয়টা একটু পরিস্কার করলে ভাল হতো না ?
ধর্ম নীতি-নৈতিকতার মূল উৎস আর ধর্মগ্রন্থ নীতি-নৈতিকতা শিক্ষার মূল পাঠ্যবই, এই বাক্যটি ছোটবেলা থেকে শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়ে গেছে | কিন্তু যখন কোরান-হাদিস বুঝে পড়া শুরু করলাম তখন বুঝতে পারলাম এগুলা কোনভাবেই নৈতিকতা শিক্ষার মূল উৎস হতে পারে না, বরং এই বইগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনৈতিক বিষয়ের শিক্ষা দেয় ! :-O 😕
অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের মত ইসলাম ধর্মের এই অনৈতিকতা বুঝতে পেরেই মুসলিমেরা দিন দিন ইসলাম ধর্ম হতে দূরে সড়ে যাচ্ছে এবং ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারী নাস্তিকদের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ! আর উল্টোদিকে এই ইসলাম ধর্ম ত্যাগকারী নাস্তিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার দেখে মৌলবাদী/মডারেট মুসলিমদের মানসিক-অবস্থাও ভয়াবহ !! :X
কয়েকদিন আগে এক ব্লগ মোল্লার সাথে তর্ক হচ্ছিলো ইসলামী শাসনে চলা ইরানে শরিয়াহ আইনে পিতা তার পালিত/দত্তক নেওয়া কন্যাকে বিয়ে করাকে বৈধতা দেওয়া প্রসঙ্গে ! সেই মোল্লা ইনিয়ে-বিনিয়ে এটাই প্রমান করতে চাচ্ছিলো যেহেতু পিতা ও তার পালিত/দত্তক নেওয়া কন্যার মধ্যে কোন রক্তের সম্পর্ক নাই সেহেতু তাদের মধ্যে বিবাহ অনৈতিক ও অস্বাভাবিক না !! বুঝেন এবার মোটামুটি শিক্ষিত মোল্লাদের নৈতিকতা জ্ঞান এই রকম হইলে খাঁটি মৌলবাদীদের নৈতিকতা জ্ঞানের অবস্থা কি !? :Y
@তারিক,
জ্ঞানের অবস্থা !
মারহাবা! মারহাবা!মারহাবা! ছভানাল্লাহ!